JustPaste.it

 আমাদের নবীজি (সাঃ) সিরিজ

 

 

 

প্রথম পর্ব 
.
দ্বিতীয় পর্বটি ভুলে ডিলিট হয়ে গেছে। দুঃখিত।
.
তৃতীয় পর্ব
.
চতুর্থ পর্ব
.
পঞ্চম পর্ব
.
ষষ্ঠ পর্ব
.
সপ্তম পর্ব
.
অষ্টম পর্ব
.
নবম পর্ব
.
দশম পর্ব

.

 

#আমাদের_নবীজি (১ম পর্ব)

 

একটি মাত্র বাক্য দিয়েও কখনো মানুষের হৃদয় কিনে ফেলা যায়!
.
উমার (রা.) বলেন, একবার আমি উমরাহ্ করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অনুমতি চাইলাম। তিনি অনুমতি দিলেন আর বললেন, "হে প্রিয় ভাই আমার! তোমার দু'আর মধ্যে আমাদেরকে ভুলো না!" (অর্থাৎ, আমাদের জন্যও দু'আ করো।)
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে, "হে আমার প্রিয় ভাই! তোমার দু'আর মধ্যে আমাদেরকেও শামিল করো।"
.
উমার (রা.) রাসূলের এই ভালাবাসাপূর্ণ আহ্বান প্রসঙ্গে বলেন, "নবীজি এমন একটি কথা বললেন-- যদি সমগ্র দুনিয়াটাও আমার হয়ে যেত, তবুও এই কথাটির চাইতে আমি বেশি আনন্দ পেতাম না।" [আবু দাউদ, তিরমিযি। হাদিসটি হাসান-সহিহ, রিয়াদুস সালেহিন, হাদিস নং ৭১৪]
.
একবার ভাবুন তো, যদি কেউ কখনো "হে আমার প্রিয় ভাই!" বা এরকম কোনো মধুর বাক্যে দিয়ে আপনার কাছে কোনো কিছু আবদার করে, আপনি কি তা ফেলে দিতে পারবেন? এমন লোকদের কখনো ভুলতে পারবেন?
.
পূর্বযুগে অর্থ দিয়ে মানুষ দাস কিনতো। সে প্রসঙ্গে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছিলেন, "অবাক লাগে যে, লোকে অর্থ দিয়ে দাস ক্রয় করে, অথচ সদ্ব্যবহার দিয়ে স্বাধীন মানুষ ক্রয় করে না।" জ্বী, ব্যাপারটি এমনই। সদ্ব্যবহার দিয়ে একজন ভদ্র মানুষকেও কিনে ফেলা যায়।
.
মানুষের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাইলে কথায় মাধুর্য আনার কোনো বিকল্প নেই। সাহাবাগণ নবীজির কথা শুনার জন্য তন্ময় হয়ে থাকতেন। আমরা অন্য কোনো পর্বে এ প্রসঙ্গে আরো আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব গঠনের সিরিজটি আজ কেবল শুরু করলাম।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৩য় পর্ব)

 

প্রথমে একটি মজার ঘটনা বলি:
.
সাহাবি আমর ইবনুল আস (রা.) ছিলেন সাহাবাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান ও চতুর মানুষ। তিনি তার সাথে নবীজির আচরণ দেখে মনে করতেন, নবীজি সম্ভবত তাকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন! তাই একদিন জিজ্ঞাসাই করে বসলেন-
- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে?
- আয়েশা (নবীজি জবাব দিলেন)
- পুরুষদের মধ্যে কে?
- আয়েশার পিতা (অর্থাৎ আবু বকর রা.)
- তারপর?
- উমার।
- তারপর?
.
এই পর্যায়ে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে একে সেসব সাহাবার নাম বলতে লাগলেন, যারা ইসলামের প্রাথমিক যুগে অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করেছেন।
.
আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, "আমার নাম সবার শেষে বলেন কীনা- এই ভয়ে আমি আর প্রশ্ন না করে নিরব হয়ে গেলাম।" 😃 [সহিহ বুখারি ও মুসলিমের হাদিস]
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবার সাথে এমনভাবে আচরণ করতেন যে, সবাই ভাবতো, তাকেই বুঝি নবীজি সর্বাধিক মহব্বত করেন, ভালবাসেন। কিন্তু আমর (রা.) যখন সরাসরি প্রশ্ন করে বসলেন, তখন প্রকৃত অবস্থাটা জানা গেল।
.
এখানে আরেকটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, নবীজি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশাকে এতই ভালবাসতেন যে, আমরের প্রশ্নের জবাবে এভাবে বলেননি যে, "আবু বকরকে", বরং বলেছেন, "আয়েশার পিতাকে।" এখানেও তিনি আয়েশা (রা.)-এর নামটা জুড়ে দিলেন! যেন যেকোনো উসিলায় প্রিয়তমার নামটা ফোকাস করা!
.
আপনি একবার ভাবুন, কারো ব্যাপারে যদি আপনি ধারণা করেন, সে আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে, পছন্দ করে, তার সাথে আপনি কতটা আন্তরিক হবেন? তাকেও কতটা ভালবাসা উপহার দিতে চাবেন? আমরা কি আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের সাথে এমন জোড়ালো সম্পর্ক রাখতে পারি? বা রাখতে চেষ্টা করি?
.
আমাদের নবীজি ছিলেন এমনই একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব যে, সবার প্রতি সমান খেয়াল রাখতেন, সবাইকে ভালবাসতেন, কারো সাথে সামান্য দূরত্বও রাখতেন না। বিনিময়ে তাঁকেও লোকেরা কলজেছেঁড়া ভালবাসা দিত। তাঁর জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধা করতো না। পক্ষপাতমূলক আচরণ দ্বারা মানুষ জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
.
বি:দ্র: সিরাত (নবীজীবনী) থেকে বোঝা যায়, নবীজি আম্মাজান খাদিজা (রা.)-কে সর্বাধিক ভালবাসতেন। কিন্তু তিনি তখন জীবিত ছিলেন না, তাই তাঁর অবর্তমানে আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর নাম উল্লেখ করেছেন। ওয়াল্লাহু আ'লাম।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৪র্থ পর্ব)

 

নবীজি তাঁর সাহাবাদের নিয়ে খাইবার যুদ্ধ শেষে ফিরছিলেন। পথে রাত হয়ে গেলো, সবাই ভীষণ ক্লান্ত। এবার ঘুমানোর পালা। আল্লাহর রাসূল বললেন, আমরা তো ক্লান্ত, ফজরে ওঠতে সমস্যা হতে পারে, অতএব আমাদের কে জাগিয়ে দিতে পারবে? বিলাল (রা.) ছিলেন খুবই উদ্যমী মানুষ। তিনি দায়িত্ব নিলেন।
.
সবাই ঘুমে বিভোর। বিলাল সলাত পড়ে পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। দীর্ঘ সফরের ক্লান্তির ফলে তিনিও আর টিকতে পারলেন না, উটের সঙ্গে হেলান দিয়ে বিশ্রাম করতে করতে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লেন।
.
রাত শেষ হয়ে সকাল হলো, ফজরের ওয়াক্ত শেষ। সূর্যের তাপে তাঁদের ঘুম ভাঙলো। সর্বপ্রথম জাগলেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এরপর বাকিরা। সবাই বিলালের দিকে তাকিয়ে আছেন। নবীজি বিলালকে এমন হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, "আপনার যা হয়েছিলো, আমারও তাই হয়েছিলো।" অর্থাৎ ঘুম আটকাতে পারিনি।
.
নবীজি বললেন, তুমি সত্য বলেছো। তাঁকে তিনি আর কোনো তিরস্কার করেননি। এরপর তাঁরা কাযা নামায পড়ে নিলেন। [সহিহ মুসলিম: ১০৯৭]
.
লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, বিলাল (রা.) নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়েও সজাগ থাকতে পারেননি। তবুও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জেরা করেননি। আমরা হলে প্রথমেই হয়ত বলতাম, "সজাগ থাকতে পারবেন না, তাহলে দায়িত্ব কেন নিয়েছিলেন?" কিন্তু প্রিয় নবীজি এমনটি করেননি। সাহাবাগণও এমনটি করেননি। এখানেই আমাদের সাথে তাঁদের পার্থক্যটা। তাঁরা মুসলিম ভাইদের প্রতি ছিলেন রহমদিল। তাঁদের ওযর গ্রহণ করতেন, ভুল ক্ষমা করতেন, যৌক্তিক কারণ বিবেচনা করতেন।
.
যদি নবীজি সবার সামনে বিলালকে আচ্ছামত শাসাতেন, তবে নিঃসন্দেহে বিলাল (রা.) ভীষণভাবে লজ্জা পেতেন। কিন্তু নবীজির মত শিক্ষকের কাছ থেকে এমন কাজ হতেই পারে না। তিনি বরং সহজ করে দিয়েছেন। আমরাও আমাদের সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের কোনো যৌক্তিক ভুলের জন্য তাদের তিরস্কার করবো না, সেই ভুলটি যত বড়ই হোক। এতে তার সাথে সম্পর্ক শুধু স্বাভাবিকই থাকবে না, বরং সারা জীবনের জন্য আপনি তার মনে স্থান করে নেবেন।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৫ম পর্ব)

 

যেভাবে কথা বললে মানুষ বিরক্ত হবে না
.
নবীজি প্রয়োজন ব্যতীত কোন কথা বলতেন না। স্পষ্টভাবে কথা বলতেন। ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলতেন। তাঁর কথাবার্তা অধিক বিস্তারিত ছিলো না আবার অতি সংক্ষিপ্তও ছিলো না।
- হিন্দ ইবনু আবু হালা (রা.)[১]
.
রাসূলুল্লাহ্ তোমাদের মতো অস্পষ্টভাবে দ্রুততার সাথে কথা বলতেন না, বরং তাঁর প্রতিটি কথা ছিল সুস্পষ্ট। আর শ্রোতারা খুব সহজেই বুঝতে পারতো।
- আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা[১]
.
আমরা অনেকেই সঠিক পন্থায় কথা বলতে পারি না, ফলে কিছু সময়ের মধ্যেই অন্যের নিকট বিরক্তিকর হয়ে পড়ি। উৎকৃষ্টভাবে কথা বলতে পারি না বলে লোকজন আমাদের সঙ্গ উপভোগ করে না। আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথাবার্তার ধরণ থেকে শিক্ষা নিতে পারি। তাঁর কথায় মানুষ বিরক্ত হতো না, কারণ তিনি কথা বলতেন খুব হিসেব করে, স্পষ্টভাবে, মধ্যমপন্থায়।
.
এক ভাই বলেছিলেন, "সবসময় 'আমি আমি' করতে থাকা ব্যক্তিরা খুব দ্রুতই মানুষের নিকট বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়।" ব্যাপারটা এমনই। আপনি কী, আপনি কেমন ইত্যাদি জানার জন্য সব মানুষ আগ্রহী নয়, তাই এগুলো সবার সাথে বলে বেড়াবেন না। নিজের স্বামী/স্ত্রী বা খুব ঘনিষ্ঠ কারো সাথে কথা প্রসঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
.
আরেকটি ব্যাপার হলো, কথা বলার সময় সঙ্গীর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে, তার কথাও শুনতে হবে। একজন প্রজ্ঞাবান সাহাবি উপদেশ দিয়ে বলেন, তোমাকে কান দেওয়া হয়েছে দুটো, সুতরাং বেশি শুনবে আর মুখ দেওয়া হয়েছে একটি, সুতরাং কম বলবে।
.
আপনার বক্তব্যকে অযথা দীর্ঘায়িত করবেন না; এটা বিরক্তির কারণ হয়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হলো, তাঁকে বলা হয় "জাওয়ামিউল কালিম"। এর মানে হলো, তিনি অল্প কথায় অধিক ভাব প্রকাশ করতেন। কথাকে দীর্ঘ করা থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকতেন। এই গুণটি যদি আমাদের মধ্যে আনতে পারি, তবে আমাদের আলাপচার খুবই উপভোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ্।
-------------------
তথ্যসূত্রসমূহ:
-------------------
[১] শু'আবুল ঈমান: ১৩৬২, সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: ১৬৭
[২] মুসনাদ আহমাদ: ২৬২৫২, শারহুস সুন্নাহ: ৩৬৯৬, সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: ১৬৫
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৬ষ্ঠ পর্ব)

 

আপনি কথা বলে যাচ্ছেন, আর সে মোবাইল টিপেই চলেছে, তাকাচ্ছেও না; কেমন লাগে সেই সময়?
.
খুব খারাপ লাগে নিশ্চয়ই। এবার আপনি ভাবুন তো, আপনার মাঝেও এই বাজে অভ্যাসটি নেই তো?
.
পারস্পরিক কথাবার্তায় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চেহারা সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির দিকে নিবদ্ধ করে রাখতেন, যাতে সে আনন্দ পেতে পারে। নবীজি মানুষকে এমনভাবে মূল্যায়ন করতেন যে, লোকজন ভাবতো, নবীজি হয়তো তাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেন! এমনকি তিনি কোনো গোত্রের নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথে কথা বলার ক্ষেত্রেও এভাবেই কথা বলতেন। [সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: হাদিস নং ২৬৪]
.
আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিজে ঠেকে, শিক্ষা পেয়ে, অবহেলিত বা অপমানিত হয়ে শিখতে পছন্দ করি। অথচ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে আছে আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হয়েও তিনি নিকৃষ্ট ব্যক্তিদেরও সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করতেন; সেখানে আমি-আপনি এমন কী হয়ে গেলাম যে, লোকেরা আমাদের সাথে কথা বলার সময় বিরক্তিবোধ করে, হতাশ হয়!?
.
একজন সাহাবি বর্ণনা করেন, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথায় কঠোরতা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের ভাব থাকত না।" [শু'আবুল ঈমান: ১৩৬২, সহিহ শামায়েলে তিরমিযি: হাদিস নং ১৬৭]
.
কেউ কথা বলার সময় যদি আপনি মোবাইল টিপেন বা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে তো তাকে অবমূল্যায়ন করলেন, তাকে তুচ্ছজ্ঞান করলেন। এমনটি করা উচিত নয়। এটি কোনো মুমিনের সিফাত নয়। এছাড়া আপনি আল্লাহপ্রদত্ত প্রাকৃতিক উপায়ে এর বদলাও পেয়ে যাবেন। দেখবেন, অন্য সময় আপনিও এভাবে অবমূল্যায়ন বা অবহেলার শিকার হচ্ছেন।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৭ম পর্ব)

 

উপহার পেলে প্রচুর আনন্দ লাগে, তাই না? কিন্তু উপহার দিতে আমাদের ভালো লাগে না। ফলে, সম্পর্কগুলো মজবুত হয় না।
.
আয়িশা (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপহার গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদানও দিতেন। [সহিহ বুখারি: ২৫৮৫]
.
এটার উদাহরণ দিয়েছেন রুবাইয়ি' বিনতে মু'আউয়িয (রা.)। তিনি বলেন, "আমি এক পাত্র খেজুর এবং কিছু শসা নিয়ে রাসূলের খেদমতে হাজির হলাম। অতপর তিনি (এগুলো গ্রহণ করে) আমাকে মুঠ দিয়ে অলংকার ও স্বর্ণমুদ্রা দিলেন।" [মুজামুল কাবির: ২০১৫৭, আহমাদ: ২৭০৬৮]
.
আমরা অনেকেই শুধু পেতে চাই, কিছুই দিতে চাই না। উপহার পেলে আনন্দে ফেটে যাই, উপহারদাতাকে খুব আপন ভেবে নেই। অথচ এর বিনিময়ে তাকেও উপহার দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসে না, আসলেও মনটা সংকীর্ণ হয়ে যায়। উত্তম হলো, উপহারের বদলা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা। তবে, সামর্থ না থাকলে সেটি একদমই ভিন্ন ব্যাপার। তবুও মৌখিকভাবে কিছু বলে নেওয়া উত্তম। এতে সম্পর্ক মজবুত হয়। যদিও অনেকেই উপহার ব্যাক পাওয়ার আশা রেখে উপহার দেন না, তবুও অবচেতনভাবেই তাদের অনেকের মনে এটা উদয় হয়, "লোকটা ভদ্রতা বোঝে না। কোনো সৌজন্য দেখাতে পারে না" ইত্যাদি।
.
তাই, উপহার পেলে আমরা সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করব, এর বদলা দিতে। সেটা সমানসমান হওয়া জরুরি নয়। মনে রাখবেন, উপহার সামান্য হলেও এটি মানুষকে ভীষণভাবে আকর্ষিত করে, সম্পর্কের অভাবনীয় উন্নতি ঘটায়।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৮ম পর্ব)

 

জীবনে অনেক মানুষকে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আপনাকে ক্ষমা করতেই হবে। সুতরাং ক্ষমা করারও সুন্দর পদ্ধতিটি জানা থাকা জরুরি। প্রথমে নিচের হাদিসটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন।
.
আয়িশা (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো মন্দের জবাব মন্দ দিয়ে দিতেন না, বরং ক্ষমা করে দিতেন। পরবর্তিতে তা কখনো আলোচনাও করতেন না। [আহমাদ: ২৫৪৫৬, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৬৪৪৩]
.
এই হাদিসে কাউকে ক্ষমা করার কয়েকটি ধাপ বর্ণিত হয়েছে।
.
১. মন্দ আচরণের জবাবে মন্দ আচরণ না করা।
২. খারাপ কথার জবাবে খারাপ কিছু না বলা।
৩. মন্দ আচরণটির জবাব উত্তম কোনো উপায়ে দেওয়া।
৪. তাকে ক্ষমা করে দেওয়া।
৫. ক্ষমার কথাটি কখনো আলোচনাও না করা।
.
আমরা কী করি? প্রথমে একবার ঝগড়া করে নেই। এরপর হয় বিরক্ত হয়ে না হয় বাধ্য হয়ে তাকে ক্ষমা করি, তাও ভেতরে ক্ষোভ বাকি রেখে। আবার তাকে ক্ষমা করার বিষয়টি মাথায় নিয়ে ভাবি, তার প্রতি বিরাট এহসান (অনুগ্রহ) করেছি। কারণে-অকারণে এই ব্যাপারটি নিয়ে কথাও বলি। অথচ নবীজির আচরণ ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।
.
আমাদের হজমশক্তি কম। আমরা সামান্য ভালো কিছু করলেও সেটিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করতে ভালবাসি--ইচ্ছায় হোক বা আনমনে। তবে এটি ভালো কোনো স্বভাব নয়। ক্ষমাকারীদের ব্যাপারে কুরআন হাদিসে অসাধারণ মর্যাদার কথা এসেছে। সুতরাং আমরা কাউকে ক্ষমা করলে যেন নেকি পাওয়ার উদ্দেশ্যেই করি। আর সেটি দিয়ে ভবিষ্যতে তাকে যেন ছোট না করি, খোঁটা না দেই। কারণ খোঁটা দেওয়া মুমিনের সিফাত নয়।
.
আর আপনি যদি কাউকে উপরে উল্লেখিত নবী আদর্শের আলোকে ক্ষমা করতে পারেন, তবে সে যদি আপনার শত্রুও হয়ে থাকে, তবুও সে আপনার বন্ধুতে পরিণত হবে। যেমনটি কুরআনে এসেছে, “ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ ও যুলুমকে উৎকৃষ্ট পন্থায় প্রতিহত কর। (যুলুমের পরিবর্তে অনুগ্রহ কর)। এরূপ করলে যে ব্যাক্তি ও তোমার মধ্যে শক্ৰতা আছে, সে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যাবে।” [সূরা ফুসসিলাত: ৩৪]
.
আর হ্যাঁ, আমরা তাই দেখেছি নবীজির জীবনে। তাই, জীবনকে সুন্দর করতে উত্তম পদ্ধতিতে ক্ষমা করার প্র্যাকটিস করতে হবে।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (৯ম পর্ব)

 

আপনার স্ত্রীকে রানির মর্যাদা দিন, বিনিময়ে তিনি আপনাকে রাজার মর্যাদা দিবেন।
.
সাফিয়্যা (রা.) ছিলেন, নবীজির অন্যতম স্ত্রী। তিনি কিছুটা খাটো ছিলেন, ফলে উটের পীঠে আরোহন করতে কষ্ট হতো। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সাহায্য করার জন্যে নিজের হাঁটু পেতে দিতেন। সাফিয়্যা (রা.) সেই হাঁটুতে পা রেখে উটের হাওদায় ওঠে বসতেন [সহিহ বুখারি: ৪২১১]
.
আম্মাজান সাফিয়্যা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসূল ﷺ তাঁর স্ত্রীদের সাথে হজ্বে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আমার উট বসে পড়ল, কারণ ওটা ছিল সবচেয়ে দুর্বল উট, তাই আমি কেঁদে ফেললাম। নবী ﷺ আমার কাছে আসলেন আর আমার চোখের জল নিজের জামা ও হাত দিয়ে মুছে দিলেন।’ [মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৩৭]
.
সুবহানাল্লাহ! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষটি তাঁর স্ত্রীর সাহায্যে নিজের হাঁটু বিছিয়ে দেন আর সেই হাঁটুতে পা দিয়ে ভর করে স্ত্রী উটের পীঠে চড়েন! কী অসাধারণ দৃশ্য! কী চমৎকার বিনয় ও ভালবাসা! আবার স্ত্রীর চোখের পানি নিজের জামা ও হাত দিয়ে পরম মমতায় মুছে দেন। অন্য হাদিসে এসেছে, তিনি উঠের পীঠে তন্দ্রালু হয়ে পড়তেন, তখন নবীজি তাঁর মাথা ধরে রাখতেন! একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে আর কী চায়?
.
একজন স্ত্রী হিসেবে সাফিয়্যা (রা.) নিজ স্বামী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কীভাবে মূল্যায়ন করতেন? কতটুকু ভালবাসতেন? এটি বুঝতে একটি হাদিসই যথেষ্ট হতে পারে।
.
হাদিসে এসেছে, ‘রাসূল ﷺ যখন প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, তাঁর স্ত্রীরা তাঁর চারপাশে জড়ো হলেন। তখন সাফিয়্যা (রা.) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতে পারতাম!’ (অর্থাৎ, আপনার কষ্টটা আপনার না হয়ে যদি আমার হতো!) তাঁর কথা শুনে অন্য স্ত্রীগণ মুখটিপে হাসলেন। রাসূল ﷺ তাঁদের দেখে ফেললেন এবং বললেন, ‘তোমাদের মুখ ধুয়ে ফেল।’ তাঁরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেন?’ তিনি জবাবে বললেন,‘কারণ তোমরা তাঁকে বিদ্রুপ করেছ। আল্লাহর শপথ! সে সত্য বলছে।’ [তবাকাতে ইবনে সা'দ: ৮/১০১]
.
জ্বী, এটিই বাস্তবতা। জ্ঞানীরা বলেন, নারীকে আপনি যেটুকু ভালবাসা ও সম্মান দিবেন, সে বিনিময়ে তারচেয়ে বেশি ভালবাসা ও সম্মান ফিরিয়ে দেবে। আবার তাকে যতটুকু ঘৃণা দেখাবেন, বিনিময়ে সে তারচেয়েও বেশি ঘৃণা ফিরিয়ে দেবে।
(যাহোক, এটা কোনো চিরন্তন সত্য বা ওহির বাণী নয়, আপনারা এতে দ্বিমত করতেই পারেন। আমরা প্রাসঙ্গিক হিসেবে এটি উল্লেখ করলাম মাত্র।)
.
মূলকথা হলো, স্ত্রীকে ভালবাসা ও সম্মান দিন। তাকে রানির মত ট্রিট করুন। সে আপনাকে রাজার মত ট্রিট করবে, আপনাকে সম্মান করবে, ভালবাসবে। যেমনটি আমরা দেখেছি সাফিয়্যা (রা.) ও নবীজির জীবনে।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

 

#আমাদের_নবীজি (১০ম পর্ব)

 

নবীজির জীবনের সবচেয়ে বিস্ময়কর চারিত্রিক দিকটি বর্ণনা করেছেন তাঁর প্রিয় খাদেম আনাস বিন মালিক (রা.)।
.
তিনি বলেন, "আমি ১০ বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমত করেছি; এ (দীর্ঘ) সময়ের মধ্যেও তিনি কখনো আমার কোন কাজে "উফ" শব্দটি পর্যন্ত করেনি।" সুবহানাল্লাহ!
.
তবে, হাদিসের বাকি অংশটি আরো বিস্ময়কর, যা নবীজির চরিত্রের নজিরবিহীন দৃষ্টান্তের প্রমাণ। আনাস (রা.) বলেন, তিনি (দীর্ঘ দশ বছরে) আমার কোনো কাজ নিয়ে কখনো বলেননি যে, "তুমি কেন এই কাজটি করেছো?" বা "তুমি কেন এই কাজটি করোনি?" [শারহুস সুন্নাহ: ৩৬৬৪, আহমাদ: ১৩০৫৭, সহিহ ইবনে হিব্বান: ২৮৯৪]
.
আল্লাহু আকবার! আনাস (রা.) যখন মাত্র শিশুকাল শেষ করে কৈশোরে পা দিয়েছেন, সে সময়ের কথা! দুরন্ত বয়সের একটা বাচ্চা ছেলেকে ১০ বছরেও তিনি কোনো কাজের ব্যাপারে জেরা করেননি! কীভাবে তিনি আনাসকে পরিচালনা করতেন, তার একটি উদাহরণ এই হাদিস থেকে পড়ুন-
.
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা তাঁকে একটি কাজের জন্য প্রেরণ করেন, কিন্ত বালক আনাস (রা.) নবীজির নির্দেশের কথা ভুলে গিয়ে অন্যান্য বালকদের সাথে খেলায় মত্ত হয়ে যান। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্বয়ং রাসুলুল্লাহ আনাস (রা.) এর খোঁজে বের হন। অত:পর গিয়ে দেখেন বাজারে আনাস (রা.) অন্যান্য ছেলেদের সাথে খেলা করছেন। রাহমাতুল্লিল আলামীন প্রিয়নবী হযরত আনাস (রা.)-এর দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে হাসতে থাকেন। হঠাৎ করে আনাস (রা.) এর নযর রাসূলের দিকে পড়লে তিনি হতবাক হয়ে যান। নবীজি জিজ্ঞেস করেন, "আনাস তুমি কি কাজটি করেছ?" আনাস (রা.) বলেন- যাচ্ছি হে আল্লাহর রাসূল! (সহিহ মুসলিম, মিশকাত: পৃ. ৫১৮)
.
এই আনাস (রা.) যখন মোটামুটি বড় হয়েছেন নবীজির খেদমতে, তখন তাঁর মা এসেছিলেন তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে। (পূর্বে তিনিই ছেলেকে খেদমতের জন্য পেশ করেছিলেন)। নবীজি আনাসকে অনুমতি দিলেন- ইচ্ছা করলে তিনি মায়ের সাথে চলে যেতে পারেন অথবা তাঁর কাছেই থেকে যেতে পারেন। কিশোর আনাস এত দিনে নবীজির অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্যে এতটা মুগ্ধ হয়েছেন যে, নবীজির সাথেই থেকে গেলেন।
.
এছাড়াও বাকি জীবন আনাস (রা.) নবীজিকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করেছেন, প্রাণভরে ভালবেসেছেন। একদিন তিনি দেখলেন, নবীজি লাউ খুব পছন্দ করে খাচ্ছেন। সেদিন থেকে তিনিও লাউ খাওয়া পছন্দ করা শুরু করে দিয়েছেন। [সহিহ বুখারি: ২০৯২, সহিহ মুসলিম: ৪৫৫৬]
.
একজন মানুষকে কতটুকু ভালবাসলে নিজের খাদ্যাভ্যাসেও তাঁকে অনুকরণ করা যায়? নবীজি এমনই ছিলেন। তিনি মানুষকে কখনো বিরক্ত করতেন না, কষ্ট দিতেন না, তার মানসিকতা বুঝে তার সাথে আচরণ করতেন, জেরা করতেন না, তাচ্ছিল্য করতেন না। শিশুদের সাথে শিশুর মতই আচরণ করতেন। মাহমুদ নামের একজন শিশু সাহাবির ঘটনা আমরা পূর্বে আলোচনা করেছি। নবীজি অযু করার সময় তাঁকে বালতি থেকে পারি ছিটিয়ে তার সাথে আনন্দ করেছেন। এই ঘটনা সেই শিশু সাহাবি আর ভুলতে পারেননি। (সহিহ বুখারি) শিশু, কিশোর, আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা- সব লোকেরা তাকে কলজেছেঁড়া ভালবাসা প্রদান করত। আমরা যারা সুন্দর জীবনযাপন করতে চাই, উত্তম ব্যক্তিত্ব গঠন করতে চাই তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাঁর জীবনকাহিনী ১৫০০ বছর পরেও সমানভাবে অনুকরণীয়।
.
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
-------------------------------------

©Tasbeeh
Page link- https://www.facebook.com/TasbeehZikr/

.

©Nusus
Page link- https://www.facebook.com/FromNusus

--------------------------------------------------

 

>> কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক বইয়ের (৪০০+) pdf লিংক
https://justpaste.it/4ne9o

>> কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক Apps, YouTube Video, Quran Recitation, YouTube channel.
https://justpaste.it/islamicappvideo

>> রবের_কাছে_ফেরার_গল্পগুলো
https://justpaste.it/deen_a_ferar_golpo

>> "বিয়ে, রিজিক লাভ, ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি"
https://justpaste.it/5gol5

>> র‍্যান্ড, মডারেট ইসলাম, মডার্নিস্ট মুভমেন্ট
https://justpaste.it/76iwz

>> কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক Apps, YouTube Video, Quran Recitation, YouTube channel.
https://justpaste.it/islamicappvideo

>> ফেসবুক ও ইউটিউবের উপকারী সব পেইজ, গ্রুপ, আইডি এবং চ্যানেলের লিংক
https://justpaste.it/facebook_page_grp_link

>> তাকদির আগে থেকে নির্ধারিত হলে মানুষের বিচার হবে কেন? যাদের কাছে ইসলামের দাওয়াহ পৌঁছেনি তাদের কী হবে?
https://justpaste.it/6q4c3

>> কুরআন এবং আপনি
https://justpaste.it/5dds8

>> কখনও ঝরে যেও না …
https://justpaste.it/3bt22

>> ফজরে আমি উঠতে পারি না
https://justpaste.it/6kjl6

>> এই ১০টি ফজিলতপূর্ণ আমল যা আপনার সারাবছরের_ই দৈনন্দিন রুটিনে থাকা উচিত
https://justpaste.it/9hhk1

>> ইস্তিগফার অপার সম্ভাবনার দ্বার
https://justpaste.it/6ddvr

>> দাম্পত্যজীবন, অজ্ঞতা ও পরিণাম
https://justpaste.it/7u5es

>> বিপদাপদে ধৈর্যধারণ : ফজিলত, অর্জনের উপায় ও করণীয়
https://justpaste.it/8dccj

>> মহান রবের আশ্রয়ে সিরিজের সকল পর্ব
https://justpaste.it/6ttuf

>> স্বার্থক মুনাজাত
https://justpaste.it/1xf0t

>> রাসূলের উপর দরুদ ও সালাম পাঠ-সংক্রান্ত ৭ পর্বের একটি সিরিজ
https://justpaste.it/4hhtd

>> তাহাজ্জুদ সিরিজ
https://justpaste.it/4ja0n

>> মহিমান্বিত কুরআন সিরিজের সকল পর্ব
https://justpaste.it/3dxi7

>> ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি (বদ নজর সিরিজের সকল পর্ব)
https://justpaste.it/7056k

>> বিশুদ্ধ ঈমান সিরিজ
https://justpaste.it/7fh32

>> ইমান ভঙ্গের ১০ কারণ
https://justpaste.it/9icuq

>> দুশ্চিন্তা ও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ১০ আমল
https://justpaste.it/8gmtk

>> পর্দায় প্রত্যাবতন: পর্দায় ফেরার গল্প
https://justpaste.it/3lqzf

>> নফসের জিহাদ -শায়খ আহমাদ মুসা জিবরীল (হাফিজাহুল্লাহ)
https://justpaste.it/8vnly

>> রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সকাল-সন্ধ্যার দু'আ ও যিকর
https://justpaste.it/sokalsondharjikir

>> সালাফদের আত্মশুদ্ধিমূলক বাণী
https://justpaste.it/9e6qh

>> সন্তান লাভের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ আমল
https://justpaste.it/9hth5

>> Rain Drops, Baseera, Hunafa, Mubashshireen Media ও Ummah Network থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোর (তাওহীদ সিরিজ, আকিদা সিরিজ, তাহাজ্জুদ, সালাত, আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ নিয়ে আলোচনা, ধূলিমলিন উপহার রামাদান, আলোর পথে যাত্রা, পরকালের পথে যাত্রা, শ্রেষ্ঠ মানুষেরা(নবীদের জীবনী), জীবন-মৃত্যু-জীবন, সীরাহ(রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনী), কুরআনের কথা, কোরআনের বিভিন্ন সূরার তাফসীর, আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু, সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবনী, বোনদের প্রতি উপদেশ) অডিও ডাউনলোড লিংক
https://justpaste.it/4kes1

>> পাপ থেকে বাঁচার ১০ উপায়: যা সকল মুসলিমের জানা আবশ্যক
https://justpaste.it/3ob7j

>> রমজানের প্রস্তুতি : মুমিনের পথ ও পাথেয়
https://justpaste.it/5tziy

>> কাফির ও ইসলামের শত্রুদের মৃত্যু বা বিপদে আনন্দ প্রকাশ
https://justpaste.it/6ksvm

>> মহিমান্বিত রজনী (লাইলাতুল কদর) সিরিজ, লাইলাতুল কদরের জন্য ১২ টি সহজ আমল এবং ইতিকাফের গুরুত্ব, ফজিলত, উদ্দেশ্য, আমল।
https://justpaste.it/1q3bs

>> বিশেষ নফল নামাজ সিরিজ (ইশরাক, দোহা, চাশত, আওয়াবিন, যাওয়াল, সালাতুল হাজত, সালাতুত তাসবিহ)
https://justpaste.it/9n0kf

>> হাদিসের শিক্ষা সিরিজ
https://justpaste.it/4fywd

>> ইস্তিখারা সিরিজ
https://justpaste.it/2i736

>> আমাদের নবীজি (সাঃ) সিরিজ
https://justpaste.it/4c1tt

>> Words With Nusus সিরিজ
https://justpaste.it/6h968

>> বছরের শ্রেষ্ঠ দশ দিন (জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন)
https://justpaste.it/1s2vv

>> আশুরা দিবস : বাস্তবতা, পালনীয় ও বর্জনীয়
https://justpaste.it/3kn8w

>> বিবাহের কিছু আমল ও দু‘আ এবং সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য ১০টি করণীয়, স্ত্রীকে বশ করে রাখার টোটকা
https://justpaste.it/58k7y

>> দুআ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ লেখাসমূহ, দুআ কবুলের সময় শর্তাবলী ও আদবসমূহ, দুআ কবুলের গল্পগুলো
https://justpaste.it/7ttq6

>> কুরআন কারীম নিয়ে আতিক উল্লাহ হুজুরের অসাধারন কিছু কথা ও উপদেশ
https://justpaste.it/8abde

.

>> ইসলামিক বই, অডিও-ভিডিও লেকচার সিরিজ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের লিংকগুলো পাবেন এখানে। সবগুলো বিষয়ের লিংক এক জায়গায় রাখা হয়েছে। এই লিংকটা শেয়ার করতে পারেন। 
https://justpaste.it/48f6m