.
দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতা আমাদের জীবনের এক অনাকাঙ্ক্ষিত অংশ। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব হতে পারে আবার রহমতও হতে পারে। শাইখুল ইসলাম তাকী উসমানী বলেন, যদি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হওয়ার পর তোমার গুনাহ বেড়ে যায়, আমল কমে যায় তাহলে এটা একথার আলামত যে, পেরেশানিটা তোমার ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব। পক্ষান্তরে যদি তোমার আমল বেড়ে যায়, গুনাহ কমে যায় তাহলে পেরেশানিটা হবে তোমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত। মূলত এর মধ্যমে তিনি তোমার মর্যাদা বাড়াবেন কিংবা গুনাহ মাফ করে দিবেন।
তাই এই পেরেশানি যেন আযাবের কারণ না হয়; বরং রহমতের উসিলা হয়; এ লক্ষে এটি দূর করার দশটি উপায় কোরআন-হাদীস থেকে বলে দিচ্ছি–
.
❒ এক:
● তাকদিরের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখুন। কেননা, যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, সকল বিষয় লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে, আল্লাহ না চাইলে কেউ কারো কোন ক্ষতি করতে পারে না; সে ব্যক্তিকে দুঃশ্চিন্তা কাবু করতে পারে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ উম্মতকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন। তিনি বলেন,
জেনে রাখ, সমস্ত মানুষ যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তা ব্যতীত আর কোন উপকার করতে পারবে না। আর যদি সমস্ত মানুষ তোমার কোন অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ্ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে। (তিরমিযি ২৫১৬)
.
● অপর হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
মনে রেখো, যা তুমি পেলে না, তা তোমার পাবার ছিল না, আর যা তুমি পেলে তা তুমি না পেয়ে থাকতে না। আরো জেনে রাখো, ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে। (ইমাম নববই-কৃত আলআরবাঈন-১৯)
.
❒ দুই:
● চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দিন। দুনিয়ার মুসিবত নয়; বরং সবচে’ বড় মুসিবত তো হল আখেরাতের মুসিবত। সুতরাং চিন্তার ‘কেন্দ্রবিন্দু’ দুনিয়াকে না বানিয়ে আখেরাতকে বানান। এখন থেকে এভাবে চিন্তা করুন এবং এটাই যেন হয় মূল চিন্তা যে, আমি আখেরাতে আল্লাহর সামনে তাঁর সন্তুষ্টি নিয়ে দাঁড়াতে পারব তো! রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
যে ব্যাক্তি তার সমস্ত চিন্তাকে একই চিন্তায় অর্থাৎ আখিরাতের চিন্তায় কেন্দ্রীভূত করেছে, আল্লাহ তার দুনিয়ার চিন্তার জন্য যথেষ্ট। অপর দিকে যে ব্যাক্তি যাবতীয় পার্থিব চিন্তায় নিমগ্ন থাকবে সে যে কোন উন্মুক্ত মাঠে ধ্বংস হোক, তাতে আল্লাহ্র কিছু আসে যায় না। (ইবনু মাজাহ ২৫৭)
.
❒ তিন:
● আপনার থেকেও যার অবস্থা আরো করুণ ও বেগতিক; তার দিকে তাকিয়ে উপদেশ গ্রহণ করুন। ভাবুন, আল্লাহ আপনাকে তার থেকেও ভাল রেখেছেন। বর্তমান মনোবিজ্ঞানীরাও ডিপ্রেশনের চিকিৎসা হিসেবে রোগীকে এভাবে চিন্তা করার উপদেশ দিয়ে থাকেন। কেউ যদি ঋণগ্রস্থ হয়, বলা হয়, ‘তোমার চাইতে অবস্থা যার আরও খারাপ তার দিকে তাকাও। তুমি অসুস্থ; তোমার চেয়েও অসুস্থ আছে। তুমি অসহায়; তোমার চেয়েও অসহায় আছে।’ এভাবে চিন্তা করুন, দেখবেন, অস্থিরতা লাঘব হবে।
আমাদের নবীজীও দেড় হাজার বছর আগেই চিকিৎসার এ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলেন। হাদিসে এসেছে, খাব্বাব ইবনু আরাত্ত্ রাযি. বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর কাছে অভিযোগ করলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি কা‘বা ঘরের ছায়ায় একটি চাদরে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম যে, ‘আপনি কি আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য দো‘আ করবেন না?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘তোমাদের জানা উচিত যে, তোমাদের পূর্বেকার মু’মিন লোকেদের এই অবস্থা ছিল যে, একটি মানুষকে ধরে আনা হত, তার জন্য গর্ত খুঁড়ে তাকে তার মধ্যে পুঁতে রাখা হত। অতঃপর তার মাথার উপর করাত চালিয়ে তাকে দু’খণ্ড করে দেওয়া হত এবং দেহের গোশতের নিচে হাড় পর্যন্ত লোহার চিরুনী চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হত। কিন্তু এই কঠোর পরীক্ষা তাকে তার দ্বীন থেকে ফেরাতে পারত না। (বুখারী ৩৬১৬)
.
❒ চার:
● আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন এবং তাঁর প্রতি এ সুধারণা রাখুন যে, তিনি আপনাকে আপনার দুরাবস্থা থেকে নাজাত দিবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’ (তালাক ৩)
.
● রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেন,
"আমি সেইরূপই, যেরূপ বান্দা আমার প্রতি ধারণা রাখে।" (বুখারী ৬৯০১)
.
❒ পাঁচ:
● ধৈর্য্যধারণ করুন। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
জেনে রাখো- ধৈর্য্য ধারণের ফলে (আল্লাহর) সাহায্য লাভ করা যায়। কষ্টের পর স্বাচ্ছন্দ আসে। কঠিন অবস্থার পর স্বচ্ছলতা আসে। (ইমাম নববই-কৃত আলআরবাঈন-১৯)
.
❒ ছয়:
নফল সালাত পড়ুন। হাদিসে এসেছে,
.
● রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন দুঃশ্চিন্তায় পড়তেন, নামাযে মগ্ন হতেন।
(জামিউল বায়ান ৭৭৯)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
● তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। (সূরা বাকারা ৪৫)
.
❒ সাত:
অধিকহারে ইস্তেগফার করুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
● যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তেগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুঃশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিজিকের সংস্থান করে দেবেন। (আবূদাউদ ১৫২০)
.
❒ আট:
● অধিকহারে দরূদ পড়ুন। হাদিসে এসেছে, উবাই ইবন কা’ব রাযি. বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি আপনার উপর অধিক হারে দরূদ পাঠ করে থাকি। আমার সময়ের কতটুকু আপনার প্রতি দরূদ পাঠে ব্যয় করব?
রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমার যতটুকু ইচ্ছা। আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা। কিন্তু যদি আরো বাড়াও তবে ভাল। আমি বললাম, অর্ধেক সময়? তিনি বললেন, তোমার যা ইচ্ছা; তবে আরো বৃদ্ধি করলে তা-ও ভাল। আমি বললাম, দুই তৃতীয়াংশ সময়? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা; তবে আরো বাড়ালে তাও ভাল। আমি বললাম, আমার সবটুকু সময় আপনার উপর দরূদ পাঠে লাগাব? তিনি বললেন,
إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ
তাহলে তো তোমার চিন্তামুক্তির জন্য তা যথেষ্ট হয়ে যাবে আর তোমার গুনাহ মাফ করা হবে। (তিরমিযি ২৪৫৭)
❒ নয়:
● যে বিষয় নিয়ে আপনার দুঃশ্চিন্তা; সে বিষয়ে কোন আমলধারী নির্ভরযোগ্য ভাল আলেমের সঙ্গে পরামর্শ করুন। যেমন উপরে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, খাব্বাব ইবনু আরাত্ত্ রাযি. বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর কাছে অভিযোগ করলাম…। তাবরানির (৬৬২৭)
.
● এক বর্ণনায় এসেছে,
যে ব্যক্তি পরামর্শ কামনা করে সে অকৃতকার্য হয় না।
❒ দশ:
দুঃশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে নাজাতের উদ্দেশ্যে হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেয়া হয়েছে। ওই দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ুন। যেমন,
১। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নবী রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি কেউ কখনো দুঃশ্চিন্তা বা বেদনায় আক্রান্ত হয়ে এভাবে বলে,
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِيْ عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِي، وَنُوْرَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّيْ
হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।
আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ইবনু ‘আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী
আহমাদ ১/৩৯১, নং ৩৭১২। আর শাইখ আলবানী তাঁর সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ গ্রন্থে ১/৩৩৭ একে সহীহ বলেছেন।
২। ইমাম আবু দাউদ ‘সুনান’ গ্রন্থে (৫০৯০) ও ইমাম আহমাদ ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে (২৭৮৯৮) আবু বাকরা রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, “বিপদগ্রস্তের দোয়া হচ্ছে,
اللّٰهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِيْ طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِيْ شَأْنِيْ كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।
আল্লা-হুম্মা রহ্মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা
আবূ দাউদ, ৪/৩২৪, নং ৫০৯০; আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদ গ্রন্থে ৩/৯৫৯ এটাকে হাসান হাদীস বলেছেন।
৩। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে অবগত আছি, কোন বিপদগ্রস্ত লোক তা পাঠ করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার সেই বিপদ দূর করে দিবেন। সেটি হচ্ছে আমার ভাই ইউনুস আ-এর এর দু’আ। দোয়াটি এই,
لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
(অর্থ-হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই; আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত।) (তিরমিযী ৩৫০৫)
৪। আবু সাঈদ খুদরী রাযি. হতে এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু উমামা রাযি. কে বলেছেন- আমি কি তোমাকে এমন একটি বাক্য শিক্ষা দিব না, তুমি যদি তা পাঠ কর, তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন এবং তোমার ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করে দিবেন? বর্ণনাকারী বলেন- আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে তা শিক্ষা দিন। তিনি বললেন, সকাল ও বিকালে তুমি পাঠ করবে-
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা‘ইদ দ্বাইনে ওয়া গালাবাতির রিজা-লি
বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩; আরও দেখুন, বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭৩; আরও দেখুন যা ৪১.২ নং দুআ এ বর্ণিত হবে।
আবু উমামা রাযি. বলেন, আমি এই দু’আটি পাঠ করলাম। এতে আল্লাহ্ তা‘আলা আমার যাবতীয় দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন এবং ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিলেন।
(সংগৃহীত)