JustPaste.it

ইস্তিখারা সিরিজ

 

 

যেকোনও কাজে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ইস্তিখারার আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইস্তিখারা নিয়ে চার পর্বে একটি সিরিজ লিখেছি। সবগুলো পর্বের লিংক একত্রে দেওয়া হলো। শেয়ার বা কপি করতে পারেন।
➖➖➖➖➖◄❖►➖➖➖➖➖
প্রথম পর্ব: ইস্তিখারার মৌলিক পরিচয়
.
দ্বিতীয় পর্ব: ইস্তিখারা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসয়ালা ও এর নিয়মকানুন
.
তৃতীয় পর্ব: ইস্তিখারার নামাজ ও দু‘আর নিয়ম (অডিও উচ্চারণসহ সহজ উপস্থাপন)
.
চতুর্থ পর্ব: সংক্ষিপ্ত ইস্তিখারার তিনটি দু‘আ
.
-----------------------------------------

 

#ইস্তিখারা (প্রথম পর্ব)

যেকোনো কাজে কল্যাণ লাভ করার জন্য ‘ইস্তিখারা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। আজ আমরা ইস্তিখারা সম্পর্কে আলোচনা করবো।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❑ ইস্তিখারা কী?
.
আরবি ‘ইস্তিখারা’ শব্দের অর্থ হলো: কল্যাণ কামনা করা, ভালো কিছু চাওয়া।
.
ইস্তিখারা হলো, কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করলে, কাজটি করার পূর্বে আল্লাহর সাথে পরামর্শ করে সেই কাজটির মধ্যে কল্যাণ প্রার্থনা করা এবং কাজটিতে কোনো অকল্যাণ থাকলে আল্লাহ্ যেন তা দূর করে দেন এবং সঠিক পথনির্দেশ দেখিয়ে দেন, সেটি কামনা করা।
.
❑ ইস্তিখারার পদ্ধতি কী?
.
হাদিসে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে, কোনো কাজের ইচ্ছা করলে, প্রথমে অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়া। এরপর হাদিসে বর্ণিত বিশেষ দু‘আ পড়া। এরপর মন যেটির দিকে সায় দেবে, সেটিতেই কল্যাণ আছে ধরে কাজ শুরু করে দেওয়া। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১১৬২]
.
❑ ইস্তিখারা কখন করতে হয়?
.
দুই ক্ষেত্রে ইস্তিখারা করা যায়।
.
১। যখন কেউ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে চায়, তখন ইস্তিখারা করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করা। যেমন: কোনো কষ্টকর ঝুঁকিপূর্ণ সফরে বের হওয়ার আগে ইস্তিখারা করা। ইস্তিখারার পর যদি মন সায় দেয়, তবে বের হবে, অন্যথা অন্য চিন্তা করবে বা অন্যদিন বের হবে। এভাবে যেকোনো কাজ শুরু করার আগে ইস্তিখারা করা উত্তম।
.
২। যখন দুটো বৈধ কাজের মধ্যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তখন ইস্তিখারার মাধ্যমে তুলনামূলক ভালো (better) কাজটি নির্বাচন করার জন্য আল্লাহর তাওফিক চাওয়া। বিশেষত, যে কাজটিতে অধিক কল্যাণ রয়েছে, সেটি কামনা করা। যেমন: একই সাথে দুটো চাকরি হলো বা দুটো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ এলো কিংবা বিয়ের দুটো প্রস্তাব এলো। এমতাবস্থায় একটিকে বেছে নিতে হবে, কিন্তু আপনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তখন ইস্তিখারা করবেন। এরপর মন যেটির দিকে সায় দেবে, সেটি বেছে নেবেন।
.
❑ ইস্তিখারার গুরুত্ব ও উপকারিতা:
.
জাবির ইবনু আবদিল্লাহ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রতিটি বিষয়ে (সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে) ইস্তিখারা করতে শেখাতেন, যেভাবে তিনি আমাদেরকে কুরআনের সুরা শেখাতেন।’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১১৬২]
.
ইস্তিখারা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। ইস্তিখারা করে কোনো কাজ করলে, সেই কাজে গতি পাওয়া যায় এবং এতে আল্লাহর সাহায্য থাকে। ইস্তিখারা করার মাধ্যমে হীনম্মন্যতা দূর হয় এবং মানসিকভাবে সুদৃঢ় থাকা যায়।
.
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, ‘সে ব্যক্তি অনুতপ্ত হবে না, যে স্রষ্টার নিকট ইস্তিখারা করে ও মানুষের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার উপর অটল থাকে।’
.
ইস্তিখারা করার পর আর পেছনে না তাকিয়ে কাজে নেমে পড়তে হয়। কারণ ইস্তিখারার পর যে সিদ্ধান্তটিতে মন সায় দেবে, সেটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে, ধরে নিতে হয়। এ ব্যাপারে উমার (রা.) বলেন, ‘কোনো কোনো মানুষ ইসতিখারার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করে। তখন আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য (সিদ্ধান্ত) বাছাই করে দেন। কিন্তু (বাহ্যিক দৃষ্টিতে বান্দার কাছে তা কল্যাণকর মনে না হওয়ায়) সে আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়। এরপর যখন বিষয়টির সুন্দর পরিণাম দেখতে পায়, তখন বুঝতে পারে, সেই ফায়সালা তার জন্য কতো কল্যাণকর ছিলো।’ [ইমাম ইবনুল মুবারক, কিতাবুয যুহদ: ১২৮]
.
----------------------------

 

#ইস্তিখারা (দ্বিতীয় পর্ব)

ইস্তিখারা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি বিষয় এবং ইস্তিখারার আগে যেসব কাজ করবেন:
▬▬▬▬▬▬▬❖▬▬▬▬▬▬▬
প্রথমে নিজের বিবেক-বুদ্ধিকে ব্যবহার করে সেই কাজ ও সিদ্ধান্তের ভালো-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবুন।
.
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমার জন্য যা কল্যাণকর, তা অর্জনের জন্য তুমি প্রলুব্ধ (আগ্রহী) হও আর আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও। অক্ষম হয়ে যেও না।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৬৬৭]
.
একই সাথে আপনার আপনজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করুন। আল্লাহ্ বলেন, ‘‘তুমি তাদের সাথে পরামর্শ করো।’’ [সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
.
এরপর দুই রাকাত নামাজ পড়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো দু‘আর মাধ্যমে ইস্তিখারা করুন ও আল্লাহর কাছে কল্যাণ প্রার্থনা করুন। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ১১৬২]
(পরবর্তী পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে)
.
ইস্তিখারা সম্পর্কে ১০ টি জ্ঞাতব্য:
.
(১) একটি বিষয়ে একাধিকবার ইস্তিখারার বিষয়ে সাহাবিগণের আমল পাওয়া যায়। যেমন: আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রা.) কা’বা ঘর পুনর্নির্মাণ করার আগে তিন দিন ইস্তিখারা করেন। এরপর সেই কাজ করেন। [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৩১৩৬]
.
অতএব, কোনো বিষয়ে একাধিকবার ইস্তিখারা করা জায়েয। তবে, একবার করা উত্তম। সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে একাধিকবার করা যায়।
.
(২) ইসতিখারার পর মন যেদিকে ঝুঁকবে সেই দিকটি ইসলামি শরিয়ত ও সুস্থ বিবেকের বিচারেও উত্তম হওয়া জরুরি। কোনো নাজায়েয কাজে ইস্তিখারা নেই। কেবল বৈধ কাজের ব্যাপারেই ইস্তিখারা করা যায়।
.
(৩) মনে রাখতে হবে, দুনিয়া ভালো-মন্দ উভয়ের সমষ্টি। তাই ইস্তিখারার পর যে দিকটি অবলম্বন করা হবে, তাতে ইনশাআল্লাহ কল্যাণের অংশই বেশি হবে। তবে, অকল্যাণের কিছু অংশ তাতে থাকা বিচিত্র নয়। অর্থাৎ অধিক কল্যাণের বিবেচনাই এখানে মূখ্য বিষয়। (মাসিক আল কাউসার)
.
(৪) ইস্তিখারার পর যে পথ ও পন্থা অবলম্বন করা হবে, ইনশাআল্লাহ তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই হবে। অর্থাৎ ইসতিখারার পর বান্দার জন্য কল্যাণের পথই উন্মুক্ত হবে। অকল্যাণের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তারপর এই কল্যাণ ধরে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। নিজের খারাপ আমল, উদাসীনতা কিংবা অন্য কোনো কারণে সেই কল্যাণ যেন বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ: ইস্তিখারার পর কোনো গাড়ি, বাড়ি বা কোনো জমি সংগ্রহ করা হলো, কিংবা কোনো মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হলো বা ছেলেকে বিয়ে করানো হলো; এখন এসবের হক আদায় করে সেই কল্যাণ বজায় রাখতে হবে। নিজের কোনো খারাপ আমলের কারণে যদি কোনো ধরনের অকল্যাণ প্রকাশ পায়, সেটার জন্য ইস্তিখারাকে দোষারোপ করা যাবে না। (মাসিক আল কাউসার)
.
(৫) আখিরাতের কল্যাণই মুমিনের প্রকৃত কল্যাণ। সুতরাং দুনিয়ার জীবনে যদি কোনো সমস্যা, সংকট বা পেরেশানি হয়, কিন্তু আখেরাতের হিসাবে তা কল্যাণকর হয়, তাহলে এতেই মুমিনের অধিক কল্যাণ। সুতরাং ঈমানদারকে আল্লাহর যেকোনো ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
.
আল্লাহ্ বলেন, “তোমাদের কাছে হয়তো কোনো একটি বিষয় পছন্দনীয় নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আবার, হয়তো কোনো একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয়, অথচ তোমাদের জন্য তা অকল্যাণকর। বস্তুত আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।” [সুরা বাকারাহ, আয়াত: ২১]
.
(৬) স্বপ্ন শরিয়তের দলিল নয়। তাই, ইস্তিখারার রেজাল্ট জানার জন্য স্বপ্নের মাধ্যমে ইঙ্গিত পাওয়ার ধারনা সঠিক নয়। সুতরাং ইস্তিখারা দিনে বা রাতের যেকোনো সময়েই করতে পারেন।
.
(৭) ইস্তিখারা করতে হবে হাদিসে বর্ণিত উপায়ে। কোনো অনির্ভরযোগ্য বইয়ের নিয়মে এটি করা যাবে না। ইস্তিখারা নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সুরা নেই। যেকোনো সুরাই পড়া যাবে।
.
(৮) নিজে না করে অন্যকে দিয়ে ইস্তিখারা করানো একটি ভুল পদ্ধতি। তবে, সন্তানাদির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে বাবা-মা ইস্তিখারা করতে পারবেন।
.
(৯) অদৃশ্যের বিষয় জানার জন্য ইস্তিখারা করা শির্ক। তাছাড়া, এটি হাস্যকর ব্যাপার। এটি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ইস্তিখারা মানে কল্যাণ কামনা করা; কোনো অদৃশ্য বিষয় জানা নয়।
.
(১০) ইস্তিখারা করার পর আর হীনম্মন্যতায় ভোগা উচিত নয়। বরং দৃঢ় মনোবল রাখা উচিত। আল্লাহ বলেন, “আর যখন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ফেল, তখন আল্লাহর উপর ভরসা করো।” [সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
.
তবে, ইস্তিখারা করার পর দেখা গেলো, যে সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন, সেটিতে সরাসরি সমস্যা হচ্ছে। তখন কোনো আলিমের সাথে বিষয়টি শেয়ার করবেন।
.
-----------------------------

 

#ইস্তিখারা (তৃতীয় পর্ব)

ইস্তিখারা করার পদ্ধতি এবং ইস্তিখারার দু‘আটি সহজভাবে অডিওসহ উপস্থাপন করা হলো। আশা করি, সবাই শিখতে পারবেন।
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
ইস্তিখারা মানে আল্লাহর সাথে পরামর্শ করা এবং তাঁর কাছ থেকে সঠিক ও কল্যাণকর পথনির্দেশ কামনায় নামাজ ও দু‘আ করা।
.
প্রথমে অজু করে সাধারণ নফল নামাজের মতো দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বেন ইস্তিখারার নিয়তে। এরপর হাদিসে বর্ণিত দু‘আটি অর্থের দিকে খেয়াল রেখে পাঠ করবেন। চাইলে নামাজের বৈঠকে সালাম ফেরানোর আগেও দু‘আটি পড়তে পারেন আবার সালাম ফেরানোর পরও পড়তে পারেন। এমনকি সিজদারত অবস্থায়ও পড়া যাবে।
.
প্রখ্যাত সাহাবি জাবির ইবনু আবদিল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন কোনো (বিশেষ) কাজ করার ইচ্ছা করবে, প্রথমে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। এরপর বলবে—
.
اَللّٰهُمّ إِنِّيْ أَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ
আল্লাহুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিক
[হে আল্লাহ! আমি আপনার ইলমের উসিলায় আপনার কাছে (আমার উদ্দিষ্ট বিষয়ের) কল্যাণ চাই]
.
وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ
ওয়া আসতাক্বদিরুকা বিক্বুদরাতিক
[আপনার কুদরতের উসিলায় আপনার কাছে (কল্যাণ অর্জনের) শক্তি চাই]
.
وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ
ওয়া আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকাল ‘আযীম
[আর আপনার কাছে আপনার মহান অনুগ্রহের কিছুটা আমি চাই]
.
فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ
ফাইন্নাকা তাক্বদিরু, ওয়া লা আক্বদির
[কেননা, (সকল বিষয়ে) আপনার ক্ষমতা রয়েছে; আমার কোনো ক্ষমতা নেই]
.
وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ
ওয়া তা‘লামু, ওয়া লা আ‘লাম
[আপনি (সব) জানেন, আমি কিছুই জানি না]
.
وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوْبِ
ওয়া আনতা ‘আল্লামুল গুয়ূব
[আপনি অদৃশ্যের সকল বিষয়ে সর্বজান্তা]
.
اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ
আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তা‘লাম
[হে আল্লাহ! আপনি যদি জানেন]
.
أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِيْ
আন্না ★হাযাল আমরা★ খাইরুল লী
[★এই কাজটি★ আমার জন্য কল্যাণকর]
(এই বাক্যটি বলার সময় আপনি যে জন্য ইস্তিখারা করছেন, সেটিকে কল্পনা করবেন)
.
فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ
ফী দী-নী, ওয়া মা‘আ-শী, ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী
[আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও কাজের পরিণামের বিচারে]
.
فِيْ عَاجِلِ أَمْرِيْ وَآجِلِهِ
ফী ‘আ-জিলি আমরী ওয়া আ-জিলিহ
[আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিণতি বিচারে]
.
فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِيْ
ফাক্বদুরহু লী, ওয়া ইয়াসসিরহু লী
[তাহলে আমার জন্য তা নির্ধারণ করে দিন এবং বিষয়টিকে আমার জন্য সহজ করে দিন]
.
ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ
সুম্মা বা-রিক লী ফীহি
[অতঃপর এতে আমার জন্য বরকত দান করুন]
.
وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ
ওয়া ইন কুনতা তা‘লাম
[আর, যদি আপনি জানেন]
.
أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِيْ
আন্না ★হাযাল আমরা★ শাররুল লী
[★এই কাজটি★ আমার জন্য অকল্যাণকর]
(এই বাক্যটি বলার সময় আপনি যে জন্য ইস্তিখারা করছেন, সেটিকে কল্পনা করবেন)
.
فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِيْ
ফী দী-নী, ওয়া মা‘আ-শী, ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী
[আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও কাজের পরিণামের বিচারে]
.
فِيْ عَاجِلِ أَمْرِيْ وَآجِلِهِ
ফী ‘আ-জিলি আমরী ওয়া আ-জিলিহ
[আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিণতি বিচারে]
.
فَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ
ফাসরিফহু ‘আন্নী, ওয়াসরিফনী ‘আনহু
[তাহলে আপনি আমার থেকে সেটি সরিয়ে দিন এবং আমাকে তা থেকে দূরে রাখুন]
.
وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ
ওয়াক্বদুর লিয়াল খাইরা ‘হাইসু কা-না
[আর আমার জন্য কল্যাণের ফায়সালা করুন; তা যেখানেই হোক]
.
ثُمَّ أَرْضِنِيْ بِه
সুম্মা আরদ্বিনী বিহি
[অতঃপর তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন]
.
দু‘আটির বিশুদ্ধ উচ্চারণ শিখতে এই লিংকে যান, সহজ করে উপস্থাপন করা হয়েছে
.
দু‘আটির যে দুই জায়গায় هَذَا الأَمْرَ (হাযাল আমর বা ‘‘এই কাজটি’’) বলা আছে, সেখানে নিজ প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবেন। (কিংবা অন্তত মনে মনে সেটি কল্পনা করবেন।) [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৭৩৯০]
.
দু‘আ শেষ করার পর মন যেদিকে সায় দেবে এবং যেভাবে কাজটি করা কল্যাণকর মনে হবে, সেটিকে সঠিক ভেবে কাজ শুরু করবেন। ধরুন, আপনার কোথাও যাওয়া দরকার আবার বাসার মধ্যেও থাকা দরকার। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তখন ইস্তিখারা করবেন। ইস্তিখারার পর যদি মনে হয়, বাসায় থাকাটাই আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর হবে, তাহলে আপনি সেটিই করবেন এবং ভেবে নেবেন, এই সিদ্ধান্তটি আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে আর এতেই আপনার কল্যাণ রয়েছে। আবার ধরুন, আপনি একটি বাইক কিনতে চাচ্ছেন। তখনও ইস্তিখারা করতে পারেন। যদি ইস্তিখারা করার পর বাইক কেনার দিকেই মন ঝুঁকে, তাহলে কিনুন। দু‘আ শেষ করার পরপরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়। বরং সময় নিতে পারেন।
.
আগের দুটো পর্ব পড়ে নিলে আরও বেশ কিছু বিষয় জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
.
------------------------------

 

#ইস্তিখারা (চতুর্থ ও শেষ পর্ব)

যেকোনো মুহূর্তে সংক্ষেপে ইস্তিখারা করার জন্য তিনটি সহজ দু‘আ মুখস্থ করে নিন।
.
(১) নিচের দু‘আটি পড়ে কাজ শুরু করবেন।
.
আলি (রা.)-কে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আটি শিখিয়েছিলেন।
.
اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ وَسَدِّدْنِيْ
.
(আল্লাহুম্মাহদিনি ওয়া সাদ্দিদনি)
‘‘হে আল্লাহ! আমাকে সঠিক পথ নির্দেশ করুন এবং আমার কাজ সঠিক করে দিন।’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৮০৪]
.
(২) আরও একটি দু‘আ পড়তে পারেন।
.
আয়িশা (রা.) তাঁর পিতা আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন—নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতেন, তখন এই দু‘আ পড়তেন—
.
اَللّٰهُمَّ خِرْ لِيْ وَاخْتَرْ لِيْ
.
(আল্লাহুম্মা খির লী, ওয়াখতার লী)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে কল্যাণ দান করুন এবং আমার জন্য আপনিই (সঠিকটি) নির্বাচন করে দিন। [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৫১৬; হাদিসটির সনদে দুর্বলতা থাকলেও আমলযোগ্য]
.
(৩) এমন আরেকটি হাদিসের দু‘আ পড়া যায়—
.
اَللّٰهُمَّ أَلْهِمْنِيْ رُشْدِيْ وَأَعِذْنِيْ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ.
.
(আল্লাহুম্মা আলহিমনী রুশদী, ওয়া আ‘ইযনী মিন শাররি নাফসী)
.
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য যা সঠিক, তা দেখিয়ে দিন এবং আমার নফসের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন। [ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৯৯৯২; হাদিসটি সহিহ]
.
অথবা নিজের ভাষায় নিজের মত দু‘আ করা যায়। যেমন: আল্লাহর কাছে এভাবে দু‘আ করা যে, হে আল্লাহ! আমি এই কাজটি করতে চাচ্ছি। যদি এটি আমার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য কল্যাণকর হয়, তাহলে আমার জন্য কাজটি সহজ করে দিন। আর কাজটিতে আমার জন্য অকল্যাণ থাকলে আমাকে এ থেকে ফিরিয়ে রাখো এবং যে কাজে আমার কল্যাণ আছে, সেটি আমার জন্য সহজ করে দিন। আপনার পক্ষ থেকে আসা সিদ্ধান্তে আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন। (আরও সুন্দর করে বলতে পারেন)
.
তবে, হাদিসে বর্ণিত দু‘আ পাঠ করা উত্তম ও বরকতময়। সুতরাং, প্রথম পদ্ধতিটি অগ্রাধিকার দেবেন। এটিই সুন্নাহ ও শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি। আর, বেশি তাড়া থাকলে হাদিসে বর্ণিত ছোট দু‘আ দিয়ে দু‘আ করতে পারেন।
.
-----------------------------

 

#Nusus
Page link- https://www.facebook.com/FromNusus

 

--------------------------------------

 

>> কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক বইয়ের (৪০০+) pdf লিংক
https://justpaste.it/4ne9o

>> কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক Apps, YouTube Video, Quran Recitation, YouTube channel.
https://justpaste.it/islamicappvideo

>> রবের_কাছে_ফেরার_গল্পগুলো
https://justpaste.it/deen_a_ferar_golpo

>> "বিয়ে, রিজিক লাভ, ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি"
https://justpaste.it/5gol5

>> র‍্যান্ড, মডারেট ইসলাম, মডার্নিস্ট মুভমেন্ট
https://justpaste.it/76iwz

>> কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক Apps, YouTube Video, Quran Recitation, YouTube channel.
https://justpaste.it/islamicappvideo

>> ফেসবুক ও ইউটিউবের উপকারী সব পেইজ, গ্রুপ, আইডি এবং চ্যানেলের লিংক
https://justpaste.it/facebook_page_grp_link

>> তাকদির আগে থেকে নির্ধারিত হলে মানুষের বিচার হবে কেন? যাদের কাছে ইসলামের দাওয়াহ পৌঁছেনি তাদের কী হবে?
https://justpaste.it/6q4c3

>> কুরআন এবং আপনি
https://justpaste.it/5dds8

>> কখনও ঝরে যেও না …
https://justpaste.it/3bt22

>> ফজরে আমি উঠতে পারি না
https://justpaste.it/6kjl6

>> এই ১০টি ফজিলতপূর্ণ আমল যা আপনার সারাবছরের_ই দৈনন্দিন রুটিনে থাকা উচিত
https://justpaste.it/9hhk1

>> ইস্তিগফার অপার সম্ভাবনার দ্বার
https://justpaste.it/6ddvr

>> দাম্পত্যজীবন, অজ্ঞতা ও পরিণাম
https://justpaste.it/7u5es

>> বিপদাপদে ধৈর্যধারণ : ফজিলত, অর্জনের উপায় ও করণীয়
https://justpaste.it/8dccj

>> মহান রবের আশ্রয়ে সিরিজের সকল পর্ব
https://justpaste.it/6ttuf

>> স্বার্থক মুনাজাত
https://justpaste.it/1xf0t

>> রাসূলের উপর দরুদ ও সালাম পাঠ-সংক্রান্ত ৭ পর্বের একটি সিরিজ
https://justpaste.it/4hhtd

>> তাহাজ্জুদ সিরিজ
https://justpaste.it/4ja0n

>> মহিমান্বিত কুরআন সিরিজের সকল পর্ব
https://justpaste.it/3dxi7

>> ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি (বদ নজর সিরিজের সকল পর্ব)
https://justpaste.it/7056k

>> বিশুদ্ধ ঈমান সিরিজ
https://justpaste.it/7fh32

>> ইমান ভঙ্গের ১০ কারণ
https://justpaste.it/9icuq

>> দুশ্চিন্তা ও ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির ১০ আমল
https://justpaste.it/8gmtk

>> পর্দায় প্রত্যাবতন: পর্দায় ফেরার গল্প
https://justpaste.it/3lqzf

>> নফসের জিহাদ -শায়খ আহমাদ মুসা জিবরীল (হাফিজাহুল্লাহ)
https://justpaste.it/8vnly

>> রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর সকাল-সন্ধ্যার দু'আ ও যিকর
https://justpaste.it/sokalsondharjikir

>> সালাফদের আত্মশুদ্ধিমূলক বাণী
https://justpaste.it/9e6qh

>> সন্তান লাভের ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ আমল
https://justpaste.it/9hth5

>> Rain Drops, Baseera, Hunafa, Mubashshireen Media ও Ummah Network থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোর (তাওহীদ সিরিজ, আকিদা সিরিজ, তাহাজ্জুদ, সালাত, আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ নিয়ে আলোচনা, ধূলিমলিন উপহার রামাদান, আলোর পথে যাত্রা, পরকালের পথে যাত্রা, শ্রেষ্ঠ মানুষেরা(নবীদের জীবনী), জীবন-মৃত্যু-জীবন, সীরাহ(রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনী), কুরআনের কথা, কোরআনের বিভিন্ন সূরার তাফসীর, আমি তাওবা করতে চাই কিন্তু, সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত জীবনী, বোনদের প্রতি উপদেশ) অডিও ডাউনলোড লিংক
https://justpaste.it/4kes1

>> পাপ থেকে বাঁচার ১০ উপায়: যা সকল মুসলিমের জানা আবশ্যক
https://justpaste.it/3ob7j

>> রমজানের প্রস্তুতি : মুমিনের পথ ও পাথেয়
https://justpaste.it/5tziy

>> কাফির ও ইসলামের শত্রুদের মৃত্যু বা বিপদে আনন্দ প্রকাশ
https://justpaste.it/6ksvm

>> মহিমান্বিত রজনী (লাইলাতুল কদর) সিরিজ, লাইলাতুল কদরের জন্য ১২ টি সহজ আমল এবং ইতিকাফের গুরুত্ব, ফজিলত, উদ্দেশ্য, আমল।
https://justpaste.it/1q3bs

>> বিশেষ নফল নামাজ সিরিজ (ইশরাক, দোহা, চাশত, আওয়াবিন, যাওয়াল, সালাতুল হাজত, সালাতুত তাসবিহ)
https://justpaste.it/9n0kf

>> হাদিসের শিক্ষা সিরিজ
https://justpaste.it/4fywd

>> ইস্তিখারা সিরিজ
https://justpaste.it/2i736

>> আমাদের নবীজি (সাঃ) সিরিজ
https://justpaste.it/4c1tt

>> Words With Nusus সিরিজ
https://justpaste.it/6h968

>> বছরের শ্রেষ্ঠ দশ দিন (জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন)
https://justpaste.it/1s2vv

>> আশুরা দিবস : বাস্তবতা, পালনীয় ও বর্জনীয়
https://justpaste.it/3kn8w

>> বিবাহের কিছু আমল ও দু‘আ এবং সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য ১০টি করণীয়, স্ত্রীকে বশ করে রাখার টোটকা
https://justpaste.it/58k7y

>> দুআ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ লেখাসমূহ, দুআ কবুলের সময় শর্তাবলী ও আদবসমূহ, দুআ কবুলের গল্পগুলো
https://justpaste.it/7ttq6

>> কুরআন কারীম নিয়ে আতিক উল্লাহ হুজুরের অসাধারন কিছু কথা ও উপদেশ
https://justpaste.it/8abde

.

>> ইসলামিক বই, অডিও-ভিডিও লেকচার সিরিজ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের লিংকগুলো পাবেন এখানে। সবগুলো বিষয়ের লিংক এক জায়গায় রাখা হয়েছে। এই লিংকটা শেয়ার করতে পারেন। 
https://justpaste.it/48f6m