JustPaste.it

তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি

 

আলহামদুলিল্লাহি ওয়াহদাহ ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু ‘আলা মান-লা নাবিয়্যা বা’দাহ। 

মহান আল্লাহ্‌ তা’আলার হামদ ও সানা এবং প্রিয় নবী সাঃ এর উপর দুরুদ ও সালাম পাঠের পর অত্যন্ত মনোবেদনার সাথে বলতে হচ্ছে, যে বিষয়টি নিয়ে এই লেখাটি লিখতে হচ্ছে,তা লেখার মোটেও ইচ্ছা ছিলো না। ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে যে, গ্লোবাল জিহাদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ তথা ইরাকের জিহাদের সাথে জড়িত মুজাহিদদের ব্যাপারে এই লেখাটি লিখতে হচ্ছে। আল্লাহ্‌ তা’আলা মুমিনদেরকে সর্বাবস্থায় সত্য বলার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। আল্লাহ্‌ তা’আলার সেই নির্দেশের পূর্ণ আনুগত্য করতেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইরাকের মুজাহিদদের উত্তরসূরী হিসেবে বর্তমান ইসলামিক স্টেইট(পূর্বের ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক্ব এন্ড শাম, তার পূর্বে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক্ব,তার পূর্বে আল-কায়েদা ইন ইরাক্ব) এর তাকফীরের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত অবস্থান ও তৎসংশ্লিষ্ট জরুরি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই এই ভূমিকার অবতারণা।

 

আইএসের বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে আলোচনার পূর্বে একটি আয়াত পেশ করা জরুরি মনে করছি।

 আল্লাহ্‌ তা’আলা ইরশাদ করেন.............. “হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহকে সাক্ষী রেখে তোমরা ন্যায়বিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো। আর কোনো জাতির প্রতি বিদ্বেষ যেনো তোমাদেরকে ইনসাফ থেকে বিরত রাখতে প্ররোচিত না করে। তোমরা ইনসাফ কর,কারণ তা তাক্বওয়ার অধিক নিকটবর্তী। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই তোমরা যা কর, সে বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। ”(সূরাহ মায়িদাহ-০৮)

অত্যন্ত মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে যখন শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর প্রতিষ্ঠিত মানহাজ থেকে তাদের বিচ্যুতি নিয়ে আলোচনা করতে হচ্ছে,তখনও ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার জন্য রব্বুল ‘আলামীনের রহমত ও তাউফীক্ব কামনা করছি।  আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদেরকে যেখানে কুফফারদের বিরুদ্ধেও ইনসাফ কায়েম করতে বলেছেন,সেখানে মুসলিমদের প্রতি ইনসাফ না করার মতো অবিচার থেকে সুমহান রব্বের পানাহ চাচ্ছি।

আলোচনার বিষয়বস্তুঃ

ইসলামিক স্টেইট বা আইএস গ্লোবাল-জিহাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। গ্লোবাল জিহাদের মহানায়ক শাইখ উসামা রাহিঃ এর হাত ধরে তাদের উত্থান হলেও আজ তারা এমন এক অবস্থানে নিজেদের প্রকাশ করছে,যাতে প্রমাণিত হ্য়,তারা শাইখ উসামা রাহিঃ এর প্রতিষ্ঠিত  সঠিক মানহাজ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। তথাপি  যেহেতু তাদের জন্ম আল-কায়েদার হাত ধরে এবং তারা এখনো শাইখ উসামা রাহিঃ এর প্রতিষ্ঠিত সঠিক মানহাজের প্রতিষ্ঠিত বলে নিজেদেরকে পেশ করে থাকে,তাই তাদের বর্তমান বাস্তবতা স্পষ্ট করা অতীব জরুরী। আলোনায় মূলত ৩ টি বিষয় উপস্থাপনের চেষ্টা করেছিঃ-

১। তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের বিচ্যুতি,যা তাদেরকে এমন এক অবস্থানে পৌছে দিয়েছে,যা রীতিমত ভীতিকর ও আতঙ্কজনক। তারা আজ যাদেরকে তাকফীর করছে,বিগত ২ বছর পূর্বে তারা এসব ক্ষেত্রে তাকফীর করাকে স্পষ্ট ভাষায় অস্বীকার করতো।তাদের এই তাকফীর প্রথমত শুরু হয় সিরিয়ার কিছু দলকে দিয়ে। অতঃপর তাদের এই তাকফীরের ব্যাপ্তি আল-কায়েদা ব্যতীত সিরিয়ার সব ইসলামী দলের উপর পতিত হয়। অতঃপর তারা সিরিয়ার আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরাকে তাকফীর করে।  আর এখন আইএস গ্লোবাল জিহাদের নেতৃত্ব দেয়া আল-কায়েদা ও তালিবান মুজাহিদদেরকে সরাসরি তাকফীর করে অর্থাৎ মুরতাদ বলে সম্বোধন করে। এখন থেকে ২ বছর বা তার কিছু পূর্বে তারা তাকফীর নিয়ে কী বক্তব্য দিয়েছিলো আর বর্তমানে কী বলছে, তাদের এ দু’টো বক্তব্য একত্রিত করলে প্রতিটি আক্বলবান ব্যক্তির কাছে তাদের মানহাজচ্যুতির বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হবে। তাদের পূর্বের বক্তব্য দেখলে আজকের আইএসকে অপরিচিত মনে হবে। আর আজকের আইএসের তাকফীর করার ধরণ দেখলে,পূর্বে দেয়া তাদের বক্তব্যগুলোকে তাদের বলে মেনে নিতে অত্যন্ত কষ্ট হবে বলে আশা করি। আর তাই তাকফীরের ক্ষেত্রে তাদের আকীদা ও মানহাজগত বিচ্যুতি স্পষ্ট করা অতীব জরুরি।

২। গ্লোবাল জিহাদের নেতৃত্ব দেয়া আল-কায়েদার একটি শাখা থেকেই আজকের আইএসের জন্ম এবং তারা আল-কায়েদা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাদের আমীরের উপর আল-কায়েদার আমীর শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বাই’আত বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু বর্তমানে আইএস এই দাবী করে যে, শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর কাছে তাদের বাই’আত ছিলো না ! তারা আল-কায়েদার অংশ ছিলো এটিও অস্বীকার করে। এমনকি তারা আল-কায়েদার বাই’আতের অধীনে থাকার বিষয়টি এড়াতে কূট-কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে।  তাদের পূর্বের অফিসিয়াল বক্তব্য ও বর্তমান বক্তব্যগুলো উপস্থাপনের মাধ্যমে আল-কায়েদার কাছে তাদের বাই’আতের ধরণ ও প্রকৃতি প্রত্যেকের কাছে স্পষ্ট হবে আশা করি ইনশাআল্লাহ্‌।

৩। গ্লোবাল জিহাদের উমারা ও আলিমদের ব্যাপারে তারা পূর্বে কী বলতো এবং বর্তমানে কী বলে তা মিলালে প্রত্যেক ইনসাফগার ব্যক্তির কাছে স্পষ্ট হবে গ্লোবাল জিহাদের মানহাজ ও আচরণ অনুসরণ করার ব্যাপারে তারা কোথায় অবস্থান করছে।

 

তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের বিচ্যুতিঃ

 

*** সিরিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের ব্যাপারে প্রাথমিক কিছু কথাঃ

২০১৪ সালের ৩ জানুয়ারি ISIS এর বিরুদ্ধে সিরিয়ার যেসব দল লড়াই শুরু করেছিলো,তাদের সবার লক্ষ্য এক ছিলো না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে আমেরিকাপন্থী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির একটি অংশ ‘জাইশুল মুজাহিদীন’ নামে এবং আমেরিকার দালাল জামাল মারুফের গ্রুপ মিলে সর্বপ্রথম ISIS এর বিরুদ্ধে হামলা চালায়। এটাই হচ্ছে সত্য কথা,যা স্বয়ং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মুখপাত্র স্বীকার করেছিলো। আর আহরার আশ-শাম ও ইসলামিক ফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দল তাদেরকে তাকফীর করা এবং তাদের কিছু নেতাকে ISIS কর্তৃক হত্যার কারণে তারা প্রথম থেকেই এই হামলার সাথে যুক্ত হয়,যা আহরার আশ-শামের সাবেক প্রধান এবং ইসলামিক ফ্রন্টের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান হাসান আব্বুদ সাহেব স্বীকার করেছেন। আর সেসময়ে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরাহ আইএসের ভাইদেরকে আশ্রয় দেয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে,যা আইএসের শামের একজন শার’য়ী স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেছেন। নিম্নে তার প্রমাণ পেশ করা হয়েছে। আর এই লড়াই শুরু হওয়ার পর জাবহাতুন নুসরাহ সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে তা থামানোর জন্য,কিন্তু আইএস তাতে সাড়া দেয়নি। অথচ আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে, যেই জাবহাতুন নুসরাহ  ISIS এর ভাইদেরকে নিজেদের নিরাপত্তার ঝুকি নিয়ে সাহায্য করেছে,সেই ISIS  জাবহাতুন নুসরার রাক্কা প্রদেশের আমীরসহ আরো বহু মুজাহিদকে হত্যা করেছে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে জাবহাতুন নুসরাহও আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক লড়াইয়ে শরীক হয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় আইএস জাবহাতুন নুসরাহকে তাকফীর তথা মুরতাদ বলে ঘোষণা দিয়েছে। 

সিরিয়ার বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে যখন অভ্যন্তরীণ লড়াই শুরু হয়,তখন তৎকালীন ISIS এর বিরুদ্ধে সিরিয়ার অন্যান্য জিহাদী গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকে তাকফীরের অভিযোগ উঠে অর্থাৎ ‘আইএস (তৎকালীন ISIS বা ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক্ব এন্ড শাম) অন্যান্য জিহাদী দলগুলোকে মুরতাদ মনে করে’ এই অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিলো। কিন্তু আইএসের শামের একজন শার’য়ীর পক্ষ থেকে দেয়া তাদের অফিসিয়াল বার্তার মাধ্যমে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করা হয়েছিলো। এমনকি আইএসের উক্ত শার’য়ী দ্ব্যার্থহীন ভাষায় একথাও বলেছিলেন, যে ব্যক্তি এধরণের তাকফীর করবে তারা খাওয়ারিজদের অন্তর্ভুক্ত ।

►►►  তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের পূর্বের বক্তব্যঃ

          *** আইএসের বিরুদ্ধে তাকফীরের অভিযোগের ব্যাপারে আইএসের শামের একজন শার’য়ীর বক্তব্যঃ

                       তৎকালীন ISIS(বর্তমান আইএস) এর বিরুদ্ধে সিরিয়ার অন্যান্য জিহাদী গ্রুপগুলোর পক্ষ থেকে তাকফীরের অভিযোগ উত্থাপনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের জানুয়ারির ২১ তারিখ তৎকালীন ISIS এর শামের একজন শার’য়ীর(শরী’আহ বিশেষজ্ঞ) “يا ليت قومي يعلمون" رسالة من مجاهد في الدولة الإسلامية إلى العلماء الصادقين والدعاة الناصحين وإخوانه المجاهدين وسائر المسلمين 

অর্থাৎ “ইসলামিক স্টেইটের একজন মুজাহিদের পক্ষ থেকে ‘সত্যবাদী আলিম’, নাসীহাহ প্রদানকারী ‘দায়ী’, মুজাহিদ ভাই ও সমস্ত মুসলিমদের প্রতি বার্তা” শিরোনামে একটি বার্তা দেন।

বার্তাটির লিংক...... https://justpaste.it/e5vd  অথবা  https://dawaalhaq.com/post/10064 (এই সাইটটি আইএসের সমর্থক মিডিয়া এবং তাতে আইএসের প্রায় সকল সংবাদ,বার্তা প্রচার করা হয়ে থাকে। ) অথবা    http://tinyurl.com/hhgf2bv

 নিম্নে অনূদিত উক্ত বার্তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

তৎকালীন ISIS এর শার’য়ী “أبو عبادة المغربي محمد سموح الراشد” উনার বার্তায় বলেন........

“نعم في صفوف الدولة بعض الجنود عندهم نوع غلو بل ويمكن أن يكون ذلك عند بعض الشرعيين ، ولكن ذلك ليس من سياسة الدولة ولا منهجها ولا عقيدتها وليس تلكم الآراء هي ما يحرك الدولة أو يحكم قراراتها بحمد الله

 

অনুবাদঃ হ্যাঁ, দাওলার সারিতে এমন কিছু সৈন্য রয়েছে,যাদের মধ্যে গুলু বা বাড়াবাড়ির কোনো প্রকার রয়েছে; বরং এটা সম্ভব হতে পারে যে উক্ত গুলু কতিপয় শারয়ীর মধ্যেও রয়েছে কিন্তু তা দাওলার মূলনীতি,মানহাজ,আক্বীদার অন্তর্ভুক্ত নয় আর আল্লাহর প্রশংসায় ঐসব মত এমন নয়, যা দাওলাকে (তার মানহাজ থেকে)সরিয়ে দিবে অথবা তার মূলকে শাসন (প্রভাবিত) করবে

 

তৎকালীন ISIS(বর্তমান IS) এর উক্ত শার’য়ী আরো বলেন,

ولا يجوز لأحد أن يطلق أحكاما بالتكفير ونحوها على حركة أحرار الشام أو أي حركة أو جماعة...........

.....................................  فإياكم إياكم والغلو ، ولو صدر ذلك عن أسماء معروفة ناصرتنا سابقا

 

অনুবাদঃ  কারো জন্য জায়েয নয় আহরার আশ-শাম অথবা যেকোনো সংগঠন বা জামাআত এর উপর তাকফীর অথবা অনুরুপ কোনো হুকুম প্রয়োগ করা,যাদের দাবী অনুযায়ী প্রমাণ করে যে তারা আমাদের সাথে লড়াই করছে প্রতিরোধের জন্যউভয়ের মাঝে সরাসরি সংঘর্ষের ফলে অন্যায্য বিষয়ের কারণে যে ব্যক্তি তাদেরকে তাকফীর করবে সে খাওয়ারিজদের মতের অধিক নিকটবর্তী,যাদেরকে এবং যাদের মতকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি দাওলার শার’য়ী ও সৈন্য ভাইদের এ ব্যাপারে বক্তব্য হচ্ছে, এসব মুসলিম দলগুলোর জন্য রক্তের পবিত্রতা বহাল থাকবে যে পর্যন্ত না,আমাদের কাছে ইয়াক্বীনের সাথে প্রমাণিত হয়, যাতে তাদের ইসলাম ভঙ্গের কোনো কারণ স্পষ্ট হয় । নিশ্চয়ই তারা শুধুমাত্র আক্রমণকারীকে প্রতিহত করার জন্য মোকাবেলা করছে।  আমাদের উপর আবশ্যক হচ্ছে এই লড়াইয়ের কারণ বন্ধের জন্য চেষ্টা করা।

আর এর উপর ভিত্তি করে তাদের হেডকোয়ার্টারগুলোকে লক্ষ্য করে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটানো বা অনুরুপ কিছু করা যাবে না। আমরা এধরণের কাজ থেকে আল্লাহর কাছে নিজেদের সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করছি। তবে যদি তাতে চর কিংবা মুরতাদ থাকে,তাহলে বিচার-বিশ্লেষণ ও প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুতরাং পবিত্র রক্ত তুচ্ছ করার ব্যাপারে সাবধান !

 

অনুরুপভাবে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির উপর হুকুম প্রয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে যুক্ত থাকার কারণে আমভাবে তাদেরকে তাকফীর করা বৈধ হবে না অথচ আমরা সকলেই জানি ফ্রি সিরিয়ান আর্মির কর্নেল রিয়াদ আল-আসাদ এর অবস্থান ইনসাফপূর্ণ আর ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে যুক্ত এমন অনেকে রয়েছে যারা বিভিন্ন ইসলামী গ্রুপের সাথে যুক্ত কারো কারো থেকে উত্তম আর এখানে এমন অনেক দল রয়েছে যারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে নামমাত্র সংযোগ রাখে কিন্তু তাদের সাথে মুজাহিদদের সম্পর্ক ভালো। সুতরাং এই নামে কোনো হুকুম যুক্ত করা যে,  ফ্রি সিরিয়ান আর্মি মুরতাদ এধরণের প্রয়োগ করা সঠিক হবে না। আর যে তাদের(ফ্রি সিরিয়ান আর্মি) উপর আমভাবে মুরতাদ হুকুম প্রয়োগ করে,তাহলে তা গুলু বা বাড়াবাড়ি যা নিষিদ্ধ আর যেকোনো গ্রুপের উপর বিদ্রোহ কিংবা রিদ্দা বা মুরতাদ হওয়ার হুকুম প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

জাবহাতুন নুসরাহ এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলোতে আমাদের ভাইদের ব্যাপারে বক্তব্য হচ্ছে ,যারা চরম গুলু ও অতিরঞ্জনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে,তাদের জন্য সত্যের দিকটি স্পষ্ট হবে। অথবা তাদের উপর মুরতাদ ও সাহাওয়াতদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে ফিতনার লড়াই মিশে গেছে,ফলে তারা বিরত থাকাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর আলী রাঃ সাহাবীদের মধ্যে যারা উনার থেকে বিরত থেকেছে তাদেরকে ভৎসনা করেননি। অথচ অধিকাংশ আহলুল হাল্লি ওয়া-‘আক্বদের ঐক্যমত্যে তিনি শর’য়ী খলীফা ছিলেন। তদুপরি জাবহাতুন নুসরাহ এবং অন্যান্যদের মধ্যে সত্যপন্থী অনেক ভাই আমাদেরকে সাহায্য করেছেন আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌ তা’আলার। 

আর আমাদের সাথে যারা যুদ্ধ করে তাদের প্রত্যেকের উপর ব্যক্তিগতভাবে মুরতাদের হুকুম গ্রহণ করা আবশ্যক করে না। বরং তাদের মধ্যে কিছু খিয়ানতকারী মুরতাদ রয়েছে,আবার তাদের মধ্যে কিছু প্রবৃত্তি পূজারী কবীরাহ গুণাহকারীও রয়েছে। আবার তাদের মধ্যে কিছু অজ্ঞও রয়েছে। আবার তাদের মধ্যে কিছু তাবীল বা ব্যাখ্যার আশ্রয়গ্রহণকারীও রয়েছে।আর যদিও ব্যাখার দরজা অনেককে সংকীর্ণ করে দিবে। যেহেতু রিদ্দার প্রকল্পই অধিক সুস্পষ্ট।

কিন্তু যদি তারা সকলেই একই পতাকার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয় অতঃপর তারা ক্বিতালের আহবান করে,তাহলে তারা তাদের নিয়্যাতের উপর পুনরুত্থিত হবে। যেহেতু তাদের মধ্যে পার্থক্য করা শরীয়ত আমাদের উপর বাধ্য করেনি।

 

আর যদি তারা পৃথকভাবে করে অতঃপর কিছু ইসলামী দল আমাদের বিরুদ্ধে ক্বিতাল করে,তবে তা অবশ্যই রিদ্দার লড়াই হবে না আর যে ব্যক্তি এমনটি বলে, সে খাওয়ারিজদের মত অবলম্বন করলো বরং এই লড়াই হচ্ছে হামলাকারীকে প্রতিহত করার জন্য, অন্য কিছু নয়। অতঃপর সবচেয়ে সহজ পন্থায় তা মোকাবেলা করা হবে।

আর সর্বসম্মতিক্রমে ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াই করা কাফিরকারী নয় এবং ঈমান ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে ভঙ্গকারী কোনো কারণ নয় বরং এধরনের লড়াইয়ের দিকে আমরা অগ্রসর হবো না এবং তা থেকে বিরত থাকার জন্য কারণ অন্বেষণ করা আমাদের জন্য আবশ্যক হবে। কিন্তু তারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে,তাহলে আমরা শুধুমাত্র আমাদের পক্ষ থেকে তা প্রতিহত করবো। আর সেগুলো হবে প্রতিরক্ষামূলক। 

আর সাহাওয়াত শব্দের ব্যবহার আপনারা জেনে রাখুন, এই শব্দটি কোনো শর’য়ী শব্দ নয়,যার ভিত্তিতে কোনো শর’য়ী হুকুম নির্ভর করে। বরং এটি একটি নতুন বৈশিষ্ট্য। আর মূলনীতি হচ্ছে এটিকে ‘আমভাবে প্রয়োগ না করা। কেননা এটি যুক্ত  হয়েছে যে, সাহাওয়াত হচ্ছে কুফফারদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পৃক্ততা,যা রিদ্দা বা দ্বীনত্যাগ। সুতরাং আমাদের আহরার আশ-শামের ভাইদেরকে অথবা এমনকি ইসলামিক ফ্রন্টের সৈন্যদেরকেআমভাবে  সাহাওয়াত বলা সঠিক হবে না এটি জুলুম এবং ভুল,যা থেকে বিরত থাকা আমাদের জন্য আবশ্যক আর আপনারা ধারণা করবেন না, শাইখ আদনানী হাফিঃ ঐসব ইসলামী দলগুলোকে তাকফীর করার ভিত্তিতে সাহাওয়াত বৈশিষ্ট্যের বুঝাতে চেয়েছেন। এটি অবশ্যই গুলু বা বাড়াবাড়ি যা থেকে শাইখ আদনানী হাফিঃ আমাদেরকে নিষেধ করেছেন।

হে আমার ভাইয়েরা ! আপনারা জেনে রাখুন, আপনারা সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ইসলামিক স্টেইটকে সহযোগিতার দাবী করবে এমন অপরিচিত নামগুলো থেকে এমন বক্তব্য পাবেন যা জাবহাতুন নুসরার উপর পতিত হবে এবং জাবহাতুন নুসরাহকে কুফরের অপবাদ আরোপ করবে। অনুরুপভাবে আমভাবে সকল জিহাদী সংগঠনের উপর তাকফীরের অপবাদ আরোপ করবে। এধরণের কথা বাতিল এবং তা থেকে আপনাদের ভাইদের উপর আক্রমণ,তাদেরকে তাকফীর করা ও অনুরুপ বিষয় থেকে আপনাদের প্রতিরোধ কাম্য ।

সাবধান ! গুলো(বাড়াবাড়ি)র ব্যাপারে সাবধান ! যদিও তা আমাদেরকে পূর্বে সাহায্য করেছে এমন পরিচিত মুখ থেকে আসে !”

(আইএসের শার’য়ীর অফিসিয়াল বক্তব্যের অনুবাদ। )

***  দাওলার বিরুদ্ধে তাকফীরের অভিযোগের ব্যাপারে দাওলার মসূলের শার’য়ীর বার্তাঃ

 

২৩ জানুয়ারি,২০১৪ তারিখে শামের মুজাহিদদের প্রতি শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ “শামে আমাদের ভাইদের প্রতি একটি জরুরি আহবান” শিরোনামে আইএস কর্তৃক অন্য দলগুলোকে তাকফীরের ব্যাপারে ইঙ্গিত করে তার ব্যাপারে সতর্ক হতে অনুরোধ করা হয়। (শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রদানকৃত বার্তাটির লিংক.... http://tinyurl.com/j4v27dy (অডিও+আরবী পিডিএফ)  http://tinyurl.com/z6nnhly (ইংরেজি অনুবাদ)

 অতঃপর ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে তৎকালীন ISIS(বর্তমান আইএস) এর ইরাকের মসূলের শার’য়ী ‘أبو العباس التميمي’ শামের ঘটনাবলী এবং আইএস/ দাওলার বিরুদ্ধে তাকফীরের অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে শাইখ আইমান লা-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি “رسالة إلى حكيم الأمة الشيخ أيمن الظواهري حفظه الله” “হাকীমুল উম্মত শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি বার্তা” শিরোনামে একটি বার্তা প্রকাশ করেন। বার্তায় দাওলার শামের উপরে বর্ণিত الشيخ محمد سموح " أبو عبادة المغربي " এর " يا ليت قومي يعلمون অর্থাৎ “হায় ! যদি আমার জাতি জানতো” উক্ত বার্তাটির বিষয়ে উল্লেখ করেন এবং দাওলার বিরুদ্ধে তাকফীরের অভিযোগগুলোর ব্যাপারে কী বলেছিলেন তা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন.................. 

          “অতঃপর আমরা বলবো, সম্মানিত শাইখ ! আপনার বক্তব্যে যা বর্ণিত হয়েছে, আমরা মনে করি তা আমাদের আকীদা এবং আমাদের বর্ণনার সাথে যোগসূত্র রয়েছে। আর তার মধ্যে ‘আমভাবে মানুষকে তাকফীর করার ভয়াবহতা এবং অন্যান্য জিহাদী দলগুলোকে তাকফীর করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। আর আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলি, আমরা ইতোপূর্বে ঘোষণা করেছি এবং এখনো করছি। আমরা এর উপরে তাকীদ দিচ্ছি এবং শাইখ আমীর আবু বকর আল-বাগদাদী হাফিঃ তার শেষ বক্তব্যে তাকীদ প্রদান করেছেন। বিষয়টি সেনাপতি শাইখ আল-‘আদনানী অনেকবার উল্লেখ করেছেন। আর বিষয়টি ইসলামিক স্টেইটের অনেক শার’য়ীর বক্তব্যেও স্পষ্ট। বরং শামের বিভিন্ন শহরে বিতরণ করা প্রকাশনা সেগুলোতে আমরা আল-জাবহাতুল ইসলামিয়্যা বা ইসলামিক ফ্রন্টকে  আমাদের ভাই হিসেবে নামকরণ করেছি।এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছি। আর শামে আমাদের শার’য়ী ভাইদের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে এসেছে। আর তার মধ্যে সর্বশেষ আমাদের ভাই দাওলার একজন শার’য়ী الشيخ محمد سموح " أبو عبادة المغربي " তার " يا ليت قومي يعلمون অর্থাৎ “হায় যদি আমার জাতি জানতো” শিরোনামে প্রসিদ্ধ বার্তায় বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

আমরা নতুনভাবে এর উপরে তাকীদ দিচ্ছি, যে ব্যক্তি শামের জিহাদী দলগুলোকে তাকফীর করে কিংবা ‘জাইশুল হুর’ বা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও অনুরুপ অন্যদের উপর ‘আমভাবে তাকফীর প্রয়োগ করে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে আমাদের সম্পর্কহীনতা নবায়ন করছি। এটা গুলু বা বাড়াবাড়ি,যাতে আমরা একমত নই। এমন কথা বলা ব্যক্তি যেই হোক না কেনো আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি,এমনকি যদি সে আমাদের সৈন্যদের অন্তর্ভুক্তও হয়। ”

(দাওলার মসূলের শার’য়ীর উপরোক্ত বার্তার লিংক..... https://justpaste.it/e9os অথবা  https://dawaalhaq.com/post/10325 )  

 

►►► দাওলা  “তালিবান ও অন্যান্য মুজাহিদ উমারাদেরকে তাকফীর করে” এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাওলার অফিসিয়াল বার্তাঃ 

               দাওলা তালিবান,শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ ও শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে তাকফীর করে সিরিয়ায় দাওলার বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করে ২০১৪ সালে ১ মার্চ তারিখে দাওলার পক্ষ থেকে একটি বার্তা প্রদান করা হয়।

বার্তায় বলা হয়.........  “فقد نُسبت للدّولة الإسلاميّة مقالة مُفتراة زعم فيها مروّجوها أنها تقول بكفر الطالبان أو أمراء الجماعات الجهادية كالدّكتور الظواهري حفظه الله والشيخ أسامة بن لادن تقبله الله، ............................ أو تقولُ أن الأصل في المنتسبين إلى الإسلام الكفر، أو ما قيل مؤخراً بأنّها تُكفّرُ المجاهدين -أمراءهم وجنودهم- في خراسان أو غيرها والعياذ بالله”.

ইসলামিক স্টেইটের প্রতি এমন একটি অভিযোগমূলক বক্তব্যকে সম্পর্কিত করে প্রচার করা হচ্ছে,যাতে বলা হচ্ছে, উক্ত বক্তব্যের বক্তা বলছেন যে, তা (দাওলা) তালিবান, জিহাদী জামাআতের উমারা যেমনঃ শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এবং শাইখ উসামা বিন লাদেন (তাক্বাব্বালাহুল্লাহ) কে তাকফীর করে এই গুরুতর সংশয় শামের এক প্রদেশে আমাদের ভাইয়ের অডিও কথাবার্তাকে কেন্দ্র করে যুক্ত করা হচ্ছে, যারা অন্য জামাআতের সদস্যদের সাথে তর্কে লিপ্ত ছিলেন 

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে আমরা বলি, নিশ্চয়ই আমরা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মানহাজ পরিপন্থী প্রত্যেক বক্তব্য থেকে আল্লাহর কাছে নিজেদের সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করছি আর ইসলামিক স্টেইটের মানহাজ তার উমারাদের বক্তব্যে একেবারে সুপরিচিত সুস্পষ্ট আমরা জিহাদী প্রজেক্টের  শত্রু বিরোধিতাকারীদের বলবো, তোমরা তোমাদের বিকৃত প্রোপাগান্ডা নিয়ে খুশি হয়ো না কারণ, দাওলার মানহাজ দিনের মধ্যভাগের সূর্যের চেয়েও অধিক স্পষ্ট এবং এধরণের পরিস্থিতি তাকে মেঘে ঢেকে ফেললেও তা অত্যন্ত পরিষ্কার হয়ে দেখা দিবে,যা থেকে আমরা মজবুতি অর্জন করবো ইনশাআল্লাহ্

আর যদি প্রমাণিত হয় যে, ইসলামিক স্টেইটের কোনো মুজাহিদ এমন কথা বলেছে,তাহলে আল্লাহর কসম ! সে যেই হোকনা কেনো, তাকে এমনভাবে পাকড়াও করা হবে (বিচারের মুখোমুখি) , যাতে আল্লাহর ইচ্ছায় সে ব্যতীত অন্যদের জন্য তা উপযুক্ত শিক্ষা হয়ে যায় আর যদি আমরা তা না করি,তাহলে আমাদের মাঝে কোনো কল্যাণ নেই 

আর শামে জিহাদী প্রকল্পের বিরুদ্ধে সাহাওয়াতদের চক্রান্তের মিলনমেলায় ব্যাপক অপপ্রচার গুজব ছড়ানো হচ্ছে দাওলার চেহারাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন  এবং দাওলার বিরুদ্ধে যুদ্ধকে বৈধ করার জন্যে আর তাকে কেন্দ্র করে ইসলামিক স্টেইটকে এমনভাবে উপস্থাপন করা যাতে মনে হবে যে,দাওলা খাওয়ারিজ চরমপন্থীদের মানহাজ ধারণ করে,যারা কবীরা গুণাহ, সন্দেহ, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের দাবী রাখে এমন কথার মাধ্যমে তাকফীর করে অথবা বলে ইসলামের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি হচ্ছে কুফর অথবা সবশেষে যা বলা হয় যে, দাওলা খোরাসান এবং অন্যত্র থাকা মুজাহিদ উমারা(দায়িত্বশীল বা আমীরগণ) সৈন্যদেরকে তাকফীর করে আল্লাহর কাছে (এসব থেকে) আশ্রয় প্রার্থনা করছি    

দাওলার উপরোক্ত অফিসিয়াল বার্তাটির লিংক.........  http://tinyurl.com/zjfydrw

 

►►► দাওলার বিরুদ্ধে শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী কর্তৃক তাকফীরের অভিযোগঃ 

২০১৪ সালের ০৫ মার্চ সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরার মাজলিসে শূরার সদস্য ও  শরী’আ কমিটির উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী দাওলা/আইএস এর বিরুদ্ধে হারাম তাকফীরের অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন............ 

After all these details it became clear to us that everyone who fights ISIS they will consider to be fighting against Islam. ............................ and made money/blood Halal due to wrong interpration.

“এই বিস্তারিত আলোচনার পর এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তি যে ISIS এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে,তারা( ISIS) এটাকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করে এবং তারা এর আলোকে কাজ করে এবং নিজেদেরকে পরিচালিত করে, এমনকি যদিও এটি তাদের অফিসিয়াল বক্তব্যে নেই। ISIS ভ্রান্ত অজুহাতে আল্লাহর বিধানের অধীনে বিচার হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং ভ্রান্ত ব্যাখ্যার কারণে তাদের সম্পদ/রক্তকে হালাল করে নিয়েছে।” 

উক্ত বার্তার লিংক.......  http://tinyurl.com/jc5xqd2

 

►►► শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর তাকফীরের অভিযোগ মিথ্যা এই দাবী করে দাওলার মুখপাত্রের মুবাহালাঃ

দাওলা/আইএস তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরিয়ার জিহাদী দলগুলোকে তাকফীর করে এই মর্মে শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর পূর্বে বর্ণিত বার্তা প্রকাশিত হওয়ার পর ৭ মার্চ,২০১৪ তারিখে দাওলার মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানী শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে মুবাহালা করেন। উক্ত মুবাহালার গুরুত্বপূর্ণ অংশ.................

 

وها أنا أذكر بعضها أباهله عليها، فليباهلني إن كان صادقًا.ـ  فيا أيُّها المسلمون آمنوا، واجعلوا لعنة الله على الكاذبين: ـ اللهم إن أبا عبد الله الشامي زعم أننا................ ـ- وأن الدولة ترى كل من قاتلها قد صار محاربًا للإسلام خارجًا عن الملة.ـ........... )  

“আর এখানে আমি কিছু বিষয় উল্লেখ করবো,যার উপর আমি মুবাহালা করবো।  যদি সে(আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী) সত্যবাদী হয়ে থাকে,তাহলে যেনো আমার সাথে মুবাহালা করে।

আর হে মুমিনগণ !  আপনারা আমীন বলুন এবং মিথ্যাবাদীদের উপর লানত দিন।

হে আল্লাহ ! নিশ্চয়ই  আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামী অভিযোগ করেছে যে,আমরা

...............  নিশ্চয়ই দাওলা মনে করে,দাওলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শামিল এবং সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়। 

.................. হে আল্লাহ ! আমি আপনাকে সাক্ষী রাখছি,আপনার বান্দা আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর বক্তব্য,আমি উপরে যা উল্লেখ করেছি, তা মিথ্যা ও দাওলার বিরুদ্ধে অপবাদ। এটি দাওলার মানহাজ নয় এবং দাওলা এই আকীদা পোষণ করে না। আর তার কাজ এ উদ্দেশ্যে নয় বরং যে এমনটি করে দাওলা তা প্রত্যাখ্যান করে।

হে আল্লাহ !  আমাদের মাঝে যে মিথ্যাবাদী,আপনি তার উপর লা’নত দিন এবং আমাদেরকে তার নিদর্শন দেখিয়ে দিন ও তাকে উপদেশ বানিয়ে দিন।  হে আল্লাহ !  এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে,আপনি তার চক্রান্তকে তার গর্দানে ফিরিয়ে দিন এবং গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে দিন এবং লুকানো উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে দিন,আর তাকে উপদেশ গ্রহণকারীর জন্য উপদেশ বানিয়ে দিন।” (দাওলার মুখপাত্রের মুবাহালার বক্তব্যের হুবহু অনুবাদ)

 

মুবাহালা করা উপরোক্ত বার্তার লিংক......  http://tinyurl.com/jv3r6e9

তাকফীরের ব্যাপারে পূর্বে প্রদান করা দাওলার উপরোক্ত বক্তব্যগুলোর সারাংশঃ

দাওলার শামের একজন শারয়ী, মসূলের শারয়ী,দাওলার অফিসিয়াল বার্তা দাওলার মুখপাত্রের বক্তব্য থেকে একজন সুস্থ্য মানুষের কাছে এটা সূর্যের আলোর চেয়ে পরিষ্কার যে, (তাদের পূর্বের বক্তব্য অনুযায়ী) দাওলা শামের জিহাদী দলগুলোকে তাকফীর করে না তারা আহরার শাম কে তাকফীর করে না এবং ইসলামিক ফ্রন্টকেআমভাবে সাহাওয়াত বলে না এমনকি দাওলা ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকেওআমভাবে তাকফীর করে না আর জাবহাতুন নুসরাহতো তাদেরই ভাই সুতরাং সিরিয়ার জিহাদী দলগুলোকে যে বা যারা তাকফীর করবে দাওলার শারয়ীদের মতে এটা খারিজীদের পথআর দাওলার শামের শারয়ী স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করেছেন, অন্যান্য গ্রুপ যখন দাওলার উপরে হামলা করেছে,জাবহাতুন নুসরাহ তখন দাওলাকে সাহায্য করেছে 

তাদের এসব সুস্পষ্ট বক্তব্যের আলোকে তাদের নিজেদের কথায়ই প্রমাণিত হবে তারা বর্তমানে কাদের পথ অবলম্বন করছে উপরের বক্তব্যগুলো মনে রেখে নিম্নে তাদের বর্তমান কথাগুলোতে চোখ রেখে দেখুন,তাদের বক্তব্যের আলোকে তাদের অবস্থান কী দাঁড়ায় !! 

 

বর্তমানে আইএসের তাকফীরের ধরণ

অত্যন্ত বেদনাদায়ক বাস্তবতা হচ্ছে, তাকফীরের ব্যাপারে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদানকারী দাওলা এখন প্রথমতঃ শামের সকল জিহাদী দলগুলোকে ‘আমভাবে তাকফীর করে। দ্বিতীয়তঃ আল-কায়েদা এবং তালিবানকে সরাসরি তাকফীর করে। এমনকি তারা তালিবানের প্রধানকে ত্বগুত বলে উল্লেখ করেছে !! এই বেদনাদায়ক বাস্তবতার অকাট্য প্রমাণগুলো নিচে দেখুন...........

►►► দাওলার মুখপাত্রের নিজ মুবাহালার বিপরীত বক্তব্যঃ   

২০১৫ সালের ২৩ জুন দাওলার মুখপাত্র “হে আমার ক্বওম ! আপনারা আল্লাহর দিকে আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিন” শিরোনামে সাড়ে ১৫ মাস আগে দাওলার তাকফীরের ব্যাপারে নিজের করা মুবাহালার সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্য সম্বলিত একটি অডিও বার্তা দেন। তাতে তিনি বলেন,

O you afflicted by fitnah, before embarking to fight the Islamic State, that there is no place on the face of the Earth ..........So beware, for by fighting the Islamic State you fall into kufr whether you realize it or not.

“ওহে ফিতনায় নিপতিত (ব্যক্তি) ! ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার পূর্বে (জেনে রেখো), ভূপৃষ্ঠে ইসলামিক স্টেইটের ভূমিসমূহ ব্যতীত এমন কোনো স্থান নেই যেখানে আল্লাহর শারী’আহ বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। মনে রেখো ! যদি তুমি তা থেকে এক হাত কিংবা একটি গ্রাম কিংবা একটি শহর দখল করতে সক্ষম হও,তাহলে উক্ত এলাকাতে আল্লাহর বিধান মানব রচিত বিধানের দ্বারা পরিবর্তিত হবে। অতঃপর তুমি নিজেকে প্রশ্ন করো, “যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধানকে মানব রচিত বিধানের মাধ্যমে পরিবর্তন করে কিংবা পরিবর্তনের কারণ হয়,তার হুকুম কী হবে ? হ্যাঁ, তুমি তার কারণে একজন কাফির হয়ে যাবে। সুতরাং তুমি বুঝো আর না বুঝো (আইএস)ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাধ্যমে তুমি কুফরে পতিত হবে

বার্তাটির অডিও+ইংরেজি অনুবাদের লিংক...... http://tinyurl.com/p37oeky

সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনাঃ

দাওলার মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানী ইতোপূর্বে আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর অভিযোগের জবাবে মুবাহালায় বলেছিলেন, ‘দাওলা তাদের বিরুদ্ধে লড়াইকারীদেরকে তাকফীর করে’ আবু আব্দুল্লাহ আশ-শামীর এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বাতিল। দাওলা এমন আকীদা রাখে না। আর দাওলার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের কারণে দাওলার মুখপাত্র মুবাহালার মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকে লা’নতের দু’আ করেছেন।

আর সেই একই ব্যক্তি সাড়ে ১৫ মাস পরে বলছেন............ সুতরাং তুমি বুঝো আর না বুঝো (আইএস)ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাধ্যমে তুমি কুফরে পতিত হবে

 

►►► একটি মনগড়া তথ্য ও সংশয় অপনোদনঃ

দাওলার মুখপাত্র তার বক্তব্যে বলেছেন................. “ভূপৃষ্ঠে ইসলামিক স্টেইটের ভূমিসমূহ ব্যতীত এমন কোনো স্থান নেই যেখানে আল্লাহর শারী’আহ বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য।” 

উনার এই বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মনগড়া। কারণ, সোমালিয়ায় আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব মুজাহিদরা বছরের পর বছর ধরে শরী’আহ কায়েম করছেন। এমনকি যখন দাওলার নিয়ন্ত্রণে অতি সামান্য ভূমি ছিলো, তখনো আল-শাবাব মুজাহিদরা  সোমালিয়ার বিশাল ভূখণ্ড পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সেখানে শরী’আহ কায়েম করেছেন এবং এখনো করছেন আলহামদুলিল্লাহ্‌।

আল-শাবাবের অধীনে আল্লাহর বিধানের মাধ্যমে পরিচালিত ভূখণ্ডে শরী’আহ কায়েম নেই এই কথা বললে সেখানে প্রতিষ্ঠিত শরী’আহকে কী অস্বীকার করা হয় না ? আর আল্লাহর শরী’আহকে অস্বীকার কারীর হুকুম দাওলার মতে কী তা নিশ্চয়ই সবার জানা আছে ! নাকি দাওলার মনমতো না হওয়া পর্যন্ত সেটিকে শরী’আহ বলে মনে করা হবে না !! 

 

সোমালিয়ায় শরী’আভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের ব্যাপারে শাইখ আনওয়ার আল-আওলাকী রাহিঃ এর সাক্ষাৎকারের একটি অংশ দেখুন...............

আল-মালাহিমঃ আমেরিকানরা আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে সোমালিয়ার মুজাহিদীনদের সাথে, বিশেষ করা শাবাব আল-মুজাহিদীনদের  সাথে আপনার যোগাযোগ আছে,মূলত আপনার ওয়েব সাইটে আপনি যখন তাঁদেরকে তাদের বিজয় লাভের পর অভিনন্দন জানিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। শাবাব আল-মুজাহিদীনদের সাথে আপনার সম্পর্কের বাস্তবতা কি? আর সোমালিয়ার জিহাদ ও মুজাহিদীন সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?

শাইখ আনোয়ার আল-আওলাকিঃ সোমালিয়ার শাবাব আল-মুজাহিদীনদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে আমি একটি চিঠি লিখেছিলাম এবং তারাও অভিনন্দন জানিয়ে উত্তর দিয়েছিল। এরপর আমেরিকানরা এই কথা বলেছে।

সোমালিয়ায় জিহাদি অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে হবে এটি আসলেই একটি অভিজ্ঞতা। আমার মতে, এবং আল্লাহই ভাল জানেন,এ কারণেই ইসলামী আন্দোলন,আলিম আর ইসলামী দলগুলির সোমালিয়ায় দূত পাঠানো উচিত, যাতে তারা এই মুজাহিদীনদের থেকে (জিহাদের)অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং ফিরে গিয়ে এই অভিজ্ঞতাকে অন্যান্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে।

ইসলামী আন্দোলনগুলি এই উম্মাহর সমস্যার সমাধান খুঁজছে যেমনিভাবে আলিমগণও খুঁজছেন। এই ইসলামী আন্দোলনগুলি যে সমাধানগুলি গ্রহণযোগ্য মনে করে সেগুলো তুলে ধরে। এবং একইভাবে অনেক আলিম যে সমাধানগুলি গ্রহণযোগ্য মনে করেছিলেন সেগুলো তুলে ধরেছেন। এখন আমরা আমাদের চোখের সামনে সমাধান দেখছি সোমালিয়ায়। এই মুজাহিদ দল সামান্য কিছু সামর্থ্য নিয়ে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করেছে যেখানে তারা সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌র আইন অনুসারে শাসন করতে পারছে। এখন তারা মানুষের সামনে সমাধান তুলে ধরেছে। এখন মুজাহিদীনদের নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকাগুলোতে মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে, অর্থনীতি উন্নতি সাধন করছে।কেননা যখন শান্তি প্রতিষ্টা হয় তখন ব্যবসা বাণিজ্য আর কৃষিতে সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়। সুতরাং এই অভিজ্ঞতা পথ দেখাচ্ছে যে, অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের উপকৃত হওয়া উচিত। এখন তারা বাস্তবতার সাথে টিকে আছে আর ইসলামী শারী’আহ থেকে তারা এই সমাধানের বাস্তবতা তুলে ধরছে। এজন্যই আমি বলেছি এই অভিজ্ঞতা স্বতন্ত্র আর জাতিগুলোর উচিত এখান থেকে উপকৃত হওয়া।”

আল-মালাহিম মিডিয়ার সাথে শাইখ আনওয়ার আল-আওলাকী রাহিঃ এর সাক্ষাৎকারের লিংক.........

বাংলা অনুবাদ………    https://justpaste.it/f9k9

ইংরেজি টেক্সট............  http://tinyurl.com/hs79p52

মূল সাক্ষাৎকারের ভিডিও.........  https://www.youtube.com/watch?v=eInGfXV3YvY 

 

 

►►► দুনিয়ার সকল জিহাদী দলগুলোর প্রতি দাওলার মুখপাত্রের বক্তব্যঃ

২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দাওলার মুখপাত্র “قل للذين كفروا ستغلبون” অর্থাৎ “আপনি কাফিরদেরকে বলে দিন ! তোমরা অচিরেই পরাভূত হবে ” শিরোনামে একটি বার্তা দেন। উক্ত বার্তায় দাওলার মুখপাত্র দুনিয়ার সব জিহাদী দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে(বাংলা অনুবাদের ৮-১২ পৃষ্ঠায়) যেসব কথা বলেছেন,তার কিছু অংশ নিচে উল্লেখ করা হলো........

 

“এরপর আমি ঐসব দল,গ্রুপ,পার্টি,ফিরকা আর সংগঠন সমূহের নেতাদের বলবো,যারা খিলাফাহ’র পুনরুদ্ধারের দাবি করত খিলাফাহ’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তাদের এবং যারা তাদের পছন্দ করে তাদের আমি বলছি, আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা আমাদের পথে এগিয়ে যাবো.......

............ আমরা এই দল সমূহকে ভেঙ্গে দিবো  এবং তাদের সংগঠনের সারিসমূহকে চূর্ণ করে দিবো। হ্যাঁ, কারণ জামা’আহ(খিলাফাহ) পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই সব দলসমূহের কোন স্থান নেই। সংগঠন সমূহ দূর হোক। আমরা হারাকাত,সংগঠন আর ফ্রন্টসমূহের সাথে যুদ্ধ করবো। আমরা ব্যাটালিয়ন সমূহ,ব্রিগেড সমূহ এবং সেনাবাহিনী সমূহকে আল্লাহর ইচ্ছায় চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবো,কারণ এই ফিরকা সমূহ ছাড়া আর কিছুই মুসলিমদেরকে দুর্বল করে না,আর বিজয়কে দীর্ঘায়িত করে না।

........... একই সাথে, আমরা ফিরকা সমূহের সৈনিকদের বলতে চাই, আমরা বলি; তোমরা তোমাদের নেতাদের প্রতি আমাদের বার্তা শুএঞ্ছো, অতঃপর শুনো,এবং বুঝে নাও আমি কি বলি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা তোমাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছি । আল্লাহর কসম, আমরা তোমাদের জন্য পরিতাপ অনুভব করি। অতঃপর এই কথাগুলোকে গুরুত্বের সাথে নাও এবং বুঝো। যদি তুমি এগুলোকে সত্য হিসেবে না পাও তাহলে তা ছেড়ে দিও। আমরা জানি যে তোমাদের নিয়্যাত,লক্ষ্য ও এবং পরিস্থিতি ভিন্ন ভিন্ন।

......... কিন্তু জেনে রাখো, আমরা এই সকল নিয়্যাত আর উদ্দেশ্য সমূহের উপর ভিত্তি করে কোন পার্থক্য করি না এবং পাকড়াও করার পর তোমাদের উপর আমাদের বিধান একটাইঃ হয় তোমাদের মগজ ভেদকারী একটি বুলেট অথবা তোমাদের ঘাড়ে একটি ধারালো ছুরি।”

বার্তাটির বাংলা অনুবাদের লিংক.......  http://tinyurl.com/hnqdc4e

বার্তাটির ইংরেজি অনুবাদের লিংক.....  https://ansaaar1.wordpress.com/

 

(দুনিয়ার জিহাদী দলগুলোকে লক্ষ্য করে উপরে যেসব কথা বলা হয়েছে,তা কুফরের উপর প্রতিষ্ঠিত দলকে লক্ষ্য করে বলা যায়,আল্লাহর দ্বীন কায়েমে নিয়োজিত কোনো জিহাদী জামা’আতকে লক্ষ্য করে নয়। কিন্তু বাস্তবে তারা দুনিয়ার জিহাদী জামা’আতকে যা মনে করে,সেই আলোকেই উপরোক্ত কথাগুলো বলেছে। স্পষ্টভাবে বললে, তারা নিজেদের ছাড়া দুনিয়ার অবশিষ্ট জিহাদী জামা’আত গুলোকে তাকফীর করে,যা উপরোক্ত বক্তব্যের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়।আর তাই দুনিয়ার সকল মুজাহিদদের জন্য তারা “মগজ ভেদকারী একটি বুলেট” অথবা ঘাড় বিচ্ছিন্নকারী “একটি ধারালো ছুরি”র আয়োজন রেখেছে, ইন্নালিল্লাহ। )

►►► জাবহাতুন নুসরাহকে দাওলা কর্তৃক তাকফীরঃ

সিরিয়ায় দাওলার বিরুদ্ধে অন্যান্য গ্রুপের হামলার প্রেক্ষাপটে দাওলার শামের শার’য়ী বলেছিলেন.......

তদুপরি জাবহাতুন নুসরাহ এবং অন্যান্যদের মধ্যে সত্যপন্থী অনেক ভাই আমাদেরকে সাহায্য করেছেন আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্তাআলার

যেই জাবহাতুন নুসরাহ দাওলার ভাইদেরকে সাহায্য করেছেন বলে দাওলার শামের শার’য়ী অফিসিয়াল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন,সেই দাওলা আজ আল-কায়েদার সিরিয়ান শাখা জাবহাতুন নুসরাহকে ‘আমভাবে তাকফীর করে । ভাবা যায় !

নিম্নের অকাট্য প্রমাণগুলো লক্ষ্য করুন।

১।    দাবিক্ব-৮, ৫৬ পৃষ্ঠায় জাবহাতুন নুসরাহকে কীভাবে তাকফীর করা হয়েছে লক্ষ্য করুন...........

“This deviant Irjā’ then became the driving force for the jihād claimants of Shām (the Jawlānī front) to assist the Sahwah of apostasy in the war against the Islamic State! The ruling of this is well known; Imām Muhammad Ibn ‘Abdil- Wahhāb (rahimahullāh) said that from the nullifiers of Islam was “backing and aiding the mushrikīn against the Muslims. The proof is the statement of Allah (ta’ālā), {And whoever is an ally to them among you – then indeed, he is one of them. Indeed, Allah guides not the wrongdoing people} [Al-Mā’idah: 51]” [Nawāqid al-Islām]. And so the jihād claimants made their religion flimsier than the frailest of garments until it left them stripped of the religion and exposed like their Sahwah counterparts.”

সুতরাং এই ভ্রষ্ট ইরজা’ শামের জিহাদের দাবীদার(জাউলানী ফ্রন্ট) এর জন্য ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে মুরতাদ সাহাওয়াতদের সহায়তা করতে প্রধান চালিকা শক্তি হয়েছে। এর হুকুম সবার জানা আছে; ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহহাব রাহিঃ “নাওয়াক্বিদুল ইসলাম/“ইসলাম ভঙ্গকারী”(কিতাব) তে বলেছেন, “মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহায়তা করা। প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণী{আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে,সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।}[আল-মায়িদাহ-৫১]” [“নাওয়াক্বিদুল ইসলাম]। সুতরাং জিহাদের দাবীদাররা তাদের দ্বীনকে পোষাকের চেয়েও হালকা করে ফেলেছে, এমনকি তা তাদেরকে দ্বীন থেকে বের করে দিয়েছে এবং তাদের সাহাওয়াত সহযোগীদের মতো উন্মুক্ত করে দিয়েছে।”

২।   দাবিক্ব-১০, ৪৫ পৃষ্ঠায়  জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদেরকে সাহওয়াত আখ্যা দিয়ে তাকফীর করে বলা হয়েছে......  Fighters from the Jawlānī branch of the Sahwah. অর্থাৎ জাউলানী শাখার সাহাওয়াত যোদ্ধারা”

এমনকি উক্ত আর্টিকেলে সিরিয়ার সকল দলকে সাহাওয়াত/মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের স্ত্রীরা তাদের জন্য অবৈধ হয়ে গেছে এই কথা লেখা হয়েছে।

 

7e176fc40df4c177bf097c84b7c8390c.png

(জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদের ছবি দিয়ে তার নিচে ক্যাপশনে লেখা আছে...... Fighters from the Jawlānī branch of the Sahwah)

  **** একইভাবে দাবিক্ব-১০, ৭২ পৃষ্ঠায়  জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদেরকে সাহওয়াত আখ্যা দিয়ে তাকফীর করে বলা হয়েছে......  Fighters from the Jawlānī branch of the Sahwah. অর্থাৎ জাউলানী শাখার সাহাওয়াত যোদ্ধারা”

(নিচের স্ক্রিনশটে তার প্রমাণ দেখুন)

fe9c45b1b9604e0e8f0fa66eba48ff97.png

 

৩। দাবিক্ব-১০, ৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে.......  

 In the beginning, the wicked Sahwah Coalition in Shām consisted of “Jaysh al-Mujāhidīn,” the

“Islamic Front,” “Jabhat Thuwār Sūriyā,” the Free Syrian Army, and the Jawlānī front.1

অর্থাৎ শুরুতে শামে নিকৃষ্ট সাহাওয়াত জোট গঠিত হয়েছিলো ‘জাইশুল মুজাহিদীন’, ‘ইসলামিক ফ্রন্ট’, ‘সিরিয়ান রেভ্যুলুশনারি ফ্রন্ট’, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি এবং জাউলানী ফ্রন্টের সমন্বয়ে।

অথচ দাওলার উপর হামলার পর ২১ জানুয়ারি,২০১৪ তারিখে শামে দাওলার একজন শার’য়ী তার বার্তায় বলেছিলেন.......  তদুপরি জাবহাতুন নুসরাহ এবং অন্যান্যদের মধ্যে সত্যপন্থী অনেক ভাই আমাদেরকে সাহায্য করেছেন আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্তাআলার          (উপরে ৪-৬ নং পৃষ্ঠায় দাওলার উক্ত শার’য়ীর বার্তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশের অনুবাদ প্রদান করা হয়েছে।)

►►► দাওলা তালিবানদের যেভাবে তাকফীর করেঃ

দাওলা আফগান তালিবানদের স্পষ্ট ভাষায় সাহাওয়াত বলে তাকফীর করে থাকে। (প্রথমে সাহাওয়াত বলা হতো, ইরাকে যেসব সুন্নী দল মুজাহিদদের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেছে তাদেরকে। কিন্তু দাওলা এখন আল-কায়েদা ও তালিবানকে লক্ষ্য করে সাহাওয়াত বলে থাকে । অথচ আল-কায়েদা ও তালিবান আমেরিকার বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে ! তাহলে আল-কায়েদা ও তালিবানকে কী করে আমেরিকার তাবেদারদের সাথে তুলনা করা যায় !! )

১।  সাহাওয়াত(অর্থাৎ মুরতাদ) আখ্যা দিয়ে ১ জন তালিবান মুজাহিদকে জবাই করছে দাওলার উইলায়াহ খোরাসানের সদস্যরা.....ইন্নালিল্লাহ। আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে তালিবানদের সাথে দাওলার উইলায়াহ খোরাসানের সদস্যদের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে দাওলার সদস্যরা উক্ত তালিবানকে জবাই করে ।

দাওলার ‘উইলায়াহ খোরাসান’ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল ভিডিও “খুরাসান-মাক্ববারাতুল মুরতাদ্দীন-১” অর্থাৎ “খোরাসান-মুরতাদদের কবরস্থান-১” (৭ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে) ভিডিওটিতে পাকিস্তানী মুরতাদ সৈন্যদের হত্যা,অতঃপর আফগান মুরতাদ সেনা ও দালাল বাহিনীকে হত্যার ভিডিওর পাশাপাশি এই দৃশ্য দেখানো হয়।

লিংক.....  https://goo.gl/BiSNAw   

 

6d97b8dc23fdcbac877ab5ca83c66d64.png

                         (উক্ত ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশট। তাতে আরবীতে লেখা আছে, নাহরু আহাদিস সাহাওয়াতি ফি মানত্বিক্বাতি মামান্দ [আশিন-নানগারহার]” অর্থাৎ নানগারহার প্রদেশের আচীন এর অন্তর্গত মামান্দ/মাইমান্দ এলাকায় একজন সাহাওয়াতকে জবাই”)

২। .....একই ভিডিওর ৭ মিঃ ৩১ সেকেন্ডে “ক্বাতলু মাজমু’আতিম মিন সাহাওয়াতির রিদ্দাহ ফি মানত্বিক্বাতি মামান্দ [আশিন-নানগারহার]”   অর্থাৎ “নানগারহার প্রদেশের আচীন এর অন্তর্গত মামান্দ/মাইমান্দ এলাকায় সাহাওয়াত মুরতাদদের একদলকে হত্যা” এই সাব-টাইটেল দিয়ে ২ জন তালিবান মুজাহিদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

স্ক্রিনশটে দেখুন......... 

 

৩। গর্ত খুড়ে তাতে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নৃশংসভাবে ১০ জন তালিবান সহযোগীকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে  দাওলার উইলায়াহ খোরাসানের সদস্যরা তাদেরকে হত্যা করেছে। দাওলার ‘উইলায়াহ খোরাসান’ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল ভিডিও  قتل المرتدين ثأراً للموحدين    অর্থাৎ “তাওহীদবাদীদের জন্য প্রতিশোধ হিসেবে মুরতাদদের হত্যা” শিরোনামে ভিডিওটিতে স্পষ্টভাষায় তালিবানদের সহযোগী ১০ জনকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

দাওলার ‘উইলায়াহ খোরাসান’ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল ভিডিওটি দেখে আসুন...  https://goo.gl/LBaE22   

 

 

►►► দাওলা তালিবানদের প্রধানকে ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে ! ঃ  

            দাওলা/আইএসের তাকফীরের গতি এপর্যন্ত থেমে থাকেনি; বরং তারা তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ কে ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি’উন। আর এটা নিশ্চয়ই সকলের জানা আছে যে, প্রত্যেক ত্বগুত অবশ্যই কাফির। কিন্তু প্রত্যেক কাফির ত্বগুত নাও হতে পারে। সংক্ষেপে ত্বগুত হচ্ছে, যে/যারা নিজেরা আল্লাহর দ্বীন মানে না এবং অন্যকে দ্বীন মানতে বাঁধা দেয় অথবা যারা কুফরের নেতৃত্ব প্রদান করে।  

দাওলা তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ কে শুধু তাকফীর করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকেনি;বরং ত্বগুত বলে সম্বোধন করেছে।

প্রমাণঃ   দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামী সোমালিয়ার আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব মুজাহিদদের উদ্দেশ্য করে

  أيها الشباب في الصومال:السفيه الخرفان يبايع طاغوت طالبان!

“হে সোমালিয়ার আল-শাবাব ! ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ, তালিবানের ত্বগুতকে বাই’আত দিয়েছে” শিরোনামে একটি আর্টিকেল লিখেছে।

তাতে দাওলার শার’য়ী ১০ বার তালিবানদের প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ কে তালিবানের ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে।

 দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামীর মূল (আরবী) আর্টিকেলের লিংক.....  http://justpaste.it/p1dt

ইংরেজি অনুবাদের লিংক..... http://tinyurl.com/zf2yjs2

 ►►► দাওলা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে যেভাবে তাকফীর করেছেঃ

             দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামী সোমালিয়ার আল-কায়েদার শাখা আল-শাবাব মুজাহিদদের উদ্দেশ্য করে

  أيها الشباب في الصومال:السفيه الخرفان يبايع طاغوت طالبان!

“হে সোমালিয়ার আল-শাবাব ! ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ, তালিবানের ত্বগুতকে বাই’আত দিয়েছে” শিরোনামে একটি আর্টিকেল লিখেছে।

(বার্তাটির লিংক উপরে দেওয়া হয়েছে।)

আচ্ছা ত্বগুতকে বাই’আত দিলে এবং তার আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করলে তার হুকুম কী হয় ?

দাওলার মতেতো অবশ্যই মুরতাদ হবে,অনু পরিমাণ সন্দেহও নেই ! এমনকি দুনিয়ার সব সত্যপন্থী মুজাহিদদের কাছেও ত্বগুতকে বাই’আত প্রদানকারী ও ত্বগুতের আনুগত্যের শপথকারী ব্যক্তি নিঃসন্দেহে কাফির।

এভাবেই তারা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃকেও তাকফীর করেছে। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইলাইহি রাজি’উন)

 

►►► দাওলা দুনিয়ার অন্যান্য যেসব দল ও তাদের প্রধানকে তাকফীর করেছেঃ 

১। হামাসঃ

দাওলা ফিলিস্তিনের ইসরায়েল বিরোধী সংঘটন হামাসকে সরাসরি মুরতাদ ও ত্বগুত সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেছে। এমনকি হামাসের রাজনৈতিক প্রধান খালেদ মেশালকে ত্বগুত এবং হামাসের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াকে সরাসরি মুরতাদ বলে আখ্যা দিয়েছে। 

**** Tদাবিক্ব-৯, ৬৭ পৃষ্ঠায় খামেনির সাথে ইসমাইল হানিয়ার ছবি দিয়ে লিখেছে....he apostate leader of Hamas, Ismā’īl Haniyyah, with his ally Khamenei, leader of the Rāfidah। অর্থাৎ “রাফেজীদের নেতা ও তার সহযোগী খামেনীর সাথে হামাসের মুরতাদ নেতা ইসমাইল হানিয়া।”

 

****  দাবিক্ব-৯, ৬৮ পৃষ্ঠায় খালেদ মেশাল,মাহমুদ আব্বাস ও কাতারের আমীরের ছবি দিয়ে লিখেছে.......The tawāghīt of Palestine and Qatar অর্থাৎ “ফিলিস্তিন ও কাতারের ত্বগুতেরা।”

 

২। লস্কর-ই-তৈয়্যবাঃ

****  দাবিক্ব-১৩, ৫৩ পৃষ্ঠায় পাকিস্তানের কাশ্মীরভিত্তিক সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়্যবার আমীরকে নাম ধরে মুরতাদ আখ্যা দেয়া হয়েছে । লস্কর-ই-তৈয়্যবার আমীর হাফিয মুহাম্মদ সাঈদের একটি ছবি দিয়ে তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে Th murtadd leader of Lashkar-e-Taiba অর্থাৎ লস্কর-ই-তৈয়্যবার মুরতাদ নেতা ।

 

৩। ইখওয়ানুল মুসলিমীন ও মুরসীঃ

দাওলা মিসরের ইখওয়ানুল মুসলিমীন এবং তার নেতা মুরসীকে সরাসরি তাকফীর করে ।  দাবিক্ব-৬, ৫২ পৃষ্ঠায় ছবিসহ মুরসিকে ত্বগুত বলে সম্বোধন করা হয়েছে । 

৪। জামাআতে ইসলামী ও তার প্রধানঃ 

জামাআতে ইসলামীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে তারা মুরতাদ বলে আখ্যা দিয়েছে। দাবিক্ব-১২, ৩৮ পৃষ্ঠায় মতিউর রহমান নিজামীর ছবি দিয়ে লিখেছে........ Motiur Rahman Nizami – The murtadd head of the “JamaateIslami” organization অর্থাৎ “জামাআতে ইসলামীর মুরতাদ প্রধান-মতিউর রহমান নিজামী । ”

 

এছাড়া শামসহ দুনিয়ার প্রায় সব সংগঠনকেই তারা তাকফীর করে। এমনকি যারাই গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করছে,তাদের সবাইকে তারা তাকফীর করে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, যেসব উলামারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের ভুল ও ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে,তাদেরকেও দাওলা তাকফীর করে। এক্ষেত্রে তারা কোনো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কিংবা ওযর গ্রহণ করে না।

এখানে একটি বিষয় ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে,  লস্কর-ই-তৈয়্যবা,হামাস,ইখওয়ানুল মুসলিমীন ইত্যাদি সংগঠনগুলো বিভিন্ন কারণে গ্লোবাল জিহাদের চিন্তাধারা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। এমনকি হামাস ও ইখওয়ানুল মুসলিমীন ইসলাম কায়েমের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করেছে,যা অবশ্যই ভ্রষ্টতা এতে কোনো সন্দেহ নেই । বিভিন্ন সময় মুজাহিদ শাইখরা তাদেরকে এসব ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং এসব ভ্রান্ত পদ্ধতি থেকে ফিরে আসার আহবান জানিয়েছেন। যেমনঃ শাইখ আবু ইয়াহিয়া আল-লিবী রাহিঃ ফিলিস্তিনের দলগুলোকে জাহেলী ‘আসাবিয়্যাত থেকে বের হয়ে আসার আহবান জানিয়ে ভিডিও বার্তা প্রদান করেছিলেন। তথাপিও শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ কিংবা ইতোপূর্বে গ্লোবাল জিহাদের কোনো শাইখ,দাওলা যাদের নামের সাথে রাহিঃ যোগ করে, এমন কোনো শাইখ কখনোই তাদেরকে তাকফীর করেনি। দাওলা ও তার সমর্থকদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম, উপরোক্ত কোনো সংগঠনকে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ কিংবা গ্লোবাল জিহাদের শহীদ হওয়া কোনো আমীর তাকফীর করেছেন এমন প্রমাণ নিয়ে আসুক !

দাওলা দাবী করে থাকে,তারা শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর মানহাজে আছে। অথচ শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এসব দল ও তাদের নেতাদের তাকফীর করতেন না, কিন্তু দাওলা করছে ! 

এমনকি২০০৯সালেআল-জাযিরারসাথেএকসাক্ষাৎকারেআল-কায়েদারতৎকালীন৩য়ব্যক্তিশাইখমুস্তাফাআবুলইয়াযিদরাহিঃকেআল-জাযিরারসাংবাদিকবলেছিলো, “আল-কায়েদানিজেদেরব্যতীতদুনিয়ারঅন্যান্যজিহাদীদলেরব্যাপারেনেতিবাচকদৃষ্টিভঙ্গিপোষণকরে” এমনকথাপ্রচলিতআছে।এব্যাপারেজানতেচাইলেশাইখমুস্তাফাআবুলইয়াযিদরাহিঃবলেন...........................

আমরা পূর্বেও বলেছি,এখনো বলছি, আমরা আমাদের সামর্থ অনুযায়ী ফিলিস্তিনের প্রত্যেক সত্যবাদী মুজাহিদকে এমনকি হামাসের মুজাহিদদেরকেও সহযোগিতা করি,সমর্থন করি সাহায্য করি তারা আমাদের ভাই, তারা আমাদের একই চিন্তাধারা একই পথে আছে

আল-জাযিরার সাক্ষাৎকারের লিংক....(২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের পর উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।)

https://www.youtube.com/watch?v=M4fV9JI043w

উপরোক্ত কথাগুলো থেকে এটি একদম পরিষ্কার যে, আল-কায়েদা হামাসকে মুসলিম ও ভাই মনে করতো।

উল্লেখ্য শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন ২০০৯ সালে অথচ হামাস গণতান্ত্রিক নির্বাচনে গেছে ২০০৬ সালে শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ যখন এই কথাগুলো বলেছিলেন তখন শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ জীবিত ছিলেন অর্থাৎ আল-কায়েদার তৎকালীন ৩য় প্রধান ব্যক্তি শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ এর কথাগুলো মূলত শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর কথা ছিলো ব্যাপারে কেউ কোনো আপত্তিও তোলেনি আর আজকের দাওলা/আইএস হামাসকে সরাসরি তাকফীর করছে এবং মুরতাদ বলছে

দাওলার আজকের অবস্থান যদি সঠিক হয়,তাহলে আল-কায়েদার তৎকালীন ৩য় প্রধান ব্যক্তি শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ এবং শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ সহ পুরো আল-কায়েদার কারোই আক্বীদা সঠিক ছিলো না (দাওলার অবস্থান অনুযায়ী) !! 

তাহলে দাওলা কী করে দাবী করতে পারে যে, তারা শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে !!!

আর শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ হামাসকে ভাই বলে সম্বোধন করেছেন বর্তমানে যেহেতু দাওলার মতে হামাস ত্বগুত তাহলে, ত্বগুতকে ভাই বলা শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ এর হুকুম দাওলার মতে কী হয়, এটা বোধহয় খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না

আশ্চর্য্যের বিষয় কী জানেন, দাওলার সমর্থকরা এই শাইখ মুস্তাফা আবুল ইয়াযিদ রাহিঃ এর বক্তব্যকে দাওলার স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার সপক্ষে ব্যবহার করে থাকে !!

দাওলা যেভাবে/যেসব কারণে তাকফীর করেঃ

১। তারা নিজেদেরকে আল-জামা’আহ/জামা’আতুল মুসলিমীন মনে করে, অর্থাৎ দাওলা মনে করে, জামা’আতগতভাবে তারাই একমাত্র মুসলিম জামা’আত। এজন্য তারা নিজেদের ব্যতীত দুনিয়ার সকল জামা’আতকে বাতিল আখ্যা দেয়।  ফলে যারাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে,তারা তাদেরকেই কোনো না কোনো অজুহাতে তাকফীর করে। মূলত আল-জামা’আহ মানে হচ্ছে পুরো মুসলিম উম্মাহ মিলে যে জামা’আহ। যেসব হুকুম রিসালাতের ক্ষেত্রে প্রোযোজ্য হয়,দাওলা সেসব হুকুম তাদের দলের ক্ষেত্রে কাজে লাগায়। যেমনঃ একজন নবী কিংবা রাসূলের উপস্থিতিতে তাঁর উপর ঈমান এনে যারা সেই জামা’আতে শরীক হয়েছে,তারাই শুধু মুসলিম। আর যারা উক্ত নবী কিংবা রাসূল সাঃ এর উপর ঈমান না আনবে কিংবা উক্ত নবী/রাসূল কিংবা তাদের জামা’আতের বিরোধিতা করবে,তারা অবশ্যই কাফির বলে বিবেচিত হবে। আর দাওলা নবী-রাসূলদের জন্য নির্ধারিত এই বিষয়টিকে মনগড়াভাবে নিজেদের দলের জন্য উসূল বানিয়ে নিয়েছে। তারা নিজেরা একজনকে খলীফাহ বানিয়ে এখন তার ভিত্তিতে আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা অর্থাৎ বন্ধুত্ব ও শত্রুতার নীতি গ্রহণ করেছে।  তাদের এই ভ্রান্ত নীতিই অন্য জিহাদী জামা’আতকে তাকফীর করার ক্ষেত্রে উৎসাহ যুগিয়েছে।

এ ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ বলেছেন,

وليس لأحد أن ينصب للأمة شخصا يدعو إلى طريقته ويوالي ويعادي عليها غير النبي صلى الله عليه وسلم ولا ينصب لهم كلاما يوالي عليه ويعادي غير كلام الله ورسوله وما اجتمعت عليه الأمة بل هذا من فعل أهل البدع الذين ينصبون لهم شخصا أو كلاما يفرقون به بين الأمة يوالون به على ذلك الكلام أو تلك النسبة ويعادون .
والخوارج إنما تأولوا آيات من القرآن على ما اعتقدوه وجعلوا من خالف ذلك كافرا ; لاعتقادهم أنه خالف القرآن فمن ابتدع أقوالا ليس لها أصل في القرآن وجعل من خالفها كافرا كان قوله شرا من قول الخوارج .

একমাত্র নাবী সাঃ ছাড়া কোন ব্যক্তির এই অধিকার নেই যে সে উম্মাহর জন্য একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করবে এবং তার তরীকা বা দিকে আহবান করবে, এবং এর ভিত্তিতে বন্ধুত্ব শত্রুতা নির্ধারণ করবে, (অর্থাৎ নাবী ছাড়া আর কোন ব্যক্তির ব্যাপারে এভাবে আহবান করা এবং এর ভিত্তিতে বন্ধুত্ব শত্রুতার নীতি নির্ধারণ করা যাবে না ) এবং কোন ব্যক্তির এই অধিকার নেই যে, সে আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের বক্তব্য, এবং যেসব বিষয়ে উম্মাহ ঐক্যমতে পৌঁছেছে [ইজমা] ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সেগুলো ছাড়া অন্য কোন বক্তব্যের প্রতি আহবান করার এবং তার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব শত্রুতা নির্ধারণ করার বরং এগুলো হল বিদআতীদের কাজের অন্তর্গত যারা নিজেদের ইচ্ছামতো একজন ব্যক্তি কিংবা কোনো মত নির্ধারণ করে এবং তার মাধ্যমে উম্মাহর মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে, অতঃপর তারা এর ভিত্তিতে বন্ধুত্ব শত্রুতার নীতি গ্রহণ করে

 আর খারিজীরা কুরআনের কিছু আয়াতকে নিজেদের আক্বীদা অনুযায়ী ব্যাখ্যা করে অতঃপর যে তার বিরোধিতা করে তাকে কাফির আখ্যা দেয়,এই আকীদার কারণে যে উক্ত ব্যক্তি কুরআনের বিরোধিতা করেছে আর যে ব্যক্তি এমন কথা বা মতের উদ্ভাবন করে যার মূল কুরআনে নেই অতঃপর যে তার বিরোধিতা করে তাকে কাফির আখ্যা দেয়, তার মত খারিজীদের মতের চেয়ে নিকৃষ্ট

(মাজমু’ ফাতাওয়া,২০ তম খণ্ড, ১৬৪ পৃষ্ঠা।)

আরবী ইবারতের লিংক......  http://tinyurl.com/jexvroq

 

২। দাওলা চেইন/ধারাবাহিক তাকফীর করে। যেমনঃ তারা প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সিরিয়ার কিছু দলকে তাকফীর করেছে। অতঃপর জাবহাতুন নুসরাহ ঐসব দলকে তাকফীর না করার কারণে এবং তাদের সাথে মিলে দাওলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কারণে জাবহাতুন নুসরাহকেও তাকফীর করেছে। অথচ বিষয় হচ্ছে, সিরিয়ায় আল-কায়েদা ও অন্যান্য বিভিন্ন দল পাশাপাশি আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলো।ফলে বিভিন্ন এলাকায় সব গ্রুপ মিলেই পাশাপাশি অবস্থান করছিলো। আর দাওলা যখন সেসব এলাকায় হামলা চালালো,তখন সেখানে অবস্থিত সবাই মিলেই দাওলার মোকাবেলা করেছিলো। এভাবেই দাওলা আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরাহকে তাকফীর করে। যুক্তিঃ দাওলা প্রথমে সেসব দলকে তাকফীর করলো ! এবার বললো কাফিরদের সাথে মিলে দাওলার বিরুদ্ধে অর্থাৎ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে,সুতরাং এটা রিদ্দাহ !!  যেমনঃ দাওলার অফিসিয়াল ম্যাগাজিন দাবিক্ব-৮ এর ৫৬ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে..........................

“সুতরাং এই ভ্রষ্ট ইরজা’ শামের জিহাদের দাবীদার(জাউলানী ফ্রন্ট) এর জন্য ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে মুরতাদ সাহাওয়াতদের সহায়তা করতে প্রধান চালিকা শক্তি হয়েছে। এর হুকুম সবার জানা আছে; ইমাম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহহাব রাহিঃ “নাওয়াক্বিদুল ইসলাম/“ইসলাম ভঙ্গকারী”(কিতাব) তে বলেছেন, “মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহায়তা করা। প্রমাণ হচ্ছে আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণী{আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে,সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।}[আল-মায়িদাহ-৫১]” [“নাওয়াক্বিদুল ইসলাম]। সুতরাং জিহাদের দাবীদাররা তাদের দ্বীনকে পোষাকের চেয়েও হালকা করে ফেলেছে, এমনকি তা তাদেরকে দ্বীন থেকে বের করে দিয়েছে এবং তাদের সাহাওয়াত সহযোগীদের মতো উন্মুক্ত করে দিয়েছে।”

 

►►► দাওলার তাকফীর নীতির আলোকে দাওলাকে মূল্যায়নঃ

১। দাবিক্ব-৯, ৬২ পৃষ্ঠায় কাতারে তালিবানদের প্রতিনিধির ছবি দিয়ে লিখেছে, The Taliban under the shade of the tawāghīt .

 

পর্যালোচনাঃ  দাবিক্বের এই ছবি+সাব-টাইটেলের মাধ্যমে দাওলা এটাই বুঝাতে চেয়েছে যে, তালিবানরা যেহেতু এখন ত্বগুত কাতারে অফিস খুলেছে,তাই তারা ত্বগুতের সাথে আল-ওয়ালা বা বন্ধুত্ব করেছে !   

আমরা একটু অতীত থেকে ঘুরে আসি। ১৯৯৬-২০০১ সালে তালিবানরা যখন আফগানিস্তানে ইসলামী শাসন কায়েম করেছিলেন, তখন তালিবানরা ৩ টি রাষ্ট্রে দূতাবাস/অফিস খুলেছিলেন।আর সেগুলো হচ্ছে, সৌদি আরব,পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমীরাত।

তখনো কিন্তু  উক্ত ৩ টি  রাষ্ট্রই ত্বগুত রাষ্ট্র ছিলো ! তাহলে কী মোল্লা উমর রাহিঃ ত্বগুতের সাথে আল-ওয়ালা বা বন্ধুত্ব করেছিলেন !! যদি তাই হয়ে থাকে,তাহলে সেই ত্বগুতের সাথে আল-ওয়ালাকারী মোল্লা উমর রাহিঃ কে বাই’আত দেওয়া শাইখ উসামা রাহিঃ এর হুকুম কী হয় ? অথচ দাওলা বলছে শাইখ উসামা রাহিঃ হচ্ছেন, এই যুগের ইমাম ও মুজাদ্দিদ ! তাহলে দাওলার নীতি অনুসারে ত্বগুতের সাথে আল-ওয়ালাকারীকে বাই’আত দেওয়া ব্যক্তিকে ইমাম বানানো দাওলার হুকুম কী হয় ?

অর্থাৎ দাওলার নিজের নীতির আলোকেই দাওলাও ত্বগুতের সাথে আল-ওয়ালাকারীদের সাথে যুক্ত !!

 

***  টুইনটাওয়ারে হামলার পর  সৌদি আরব তালিবানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং তালিবান দূতকে দেশত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় ...... http://tinyurl.com/jqamsum

 

***  সংযুক্ত আরব আমীরাত কর্তৃক তালিবানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন এবং তালিবান দূতকে দেশত্যাগের আল্টিমেটাম......

http://tinyurl.com/zyzwq8m

 

 

২। কুফফারদের বক্তব্য দিয়ে আল-কায়েদা-তালিবানকে দাওলার মূল্যায়নঃ 

 

(ক)  দাবিক্ব-৯, ৬৩ পৃষ্ঠায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি গ্রাফিক চিত্র দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দুনিয়ার অন্যান্য ত্বগুতদের সাথে আল-কায়েদাকে মিলানোর চেষ্টা করা হয়েছে.........!

(খ) দাবিক্ব-১৩, ৫০ পৃষ্ঠায় পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল হামিদ গুলের মৃত্যুতে তালিবান প্রধান মোল্লা আখতার মানসূর হাফিঃ শোক বার্তা দিয়েছে বলে কুফফার মিডিয়ার মিথ্যাচারকে দাওলার উইলায়াহ খোরাসান এর ওয়ালী তার সাক্ষাৎকারে প্রচার করছেন।

অথচ এটি ছিলো তালিবানদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী ত্বগুত মিডিয়া ‘Ummat’ এর একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। এব্যাপারে তালিবানদের অফিসিয়াল বার্তা দেখুন...... http://tinyurl.com/h6e5j5r

(গ)  তালিবানরা আফিম চাষ থেকে কর নিয়ে তার বৈধতা দিচ্ছে এই দাবী করেছেন দাওলার উইলায়াহ খোরাসান এর ওয়ালী। তা প্রমাণের জন্য দাবিক্ব্ব-১৩, ৫১ পৃষ্ঠায়  একটি ছবি দেয়া হয়েছে। আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে, আফিম চাষের যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে তা ৮ বছর আগের কুফর মিডিয়া বিবিসির একটি ছবি,যার মাধ্যমে বিবিসি তালিবানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালানোর অপচেষ্টা চালিয়েছে। অবশ্য ছবিটি তালিবানদের এমন কোনো কথা বিবিসি বলেনি।  ৮ বছর আগের ছবিটি………  http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7663204.stm

আর বছর আগের বিবিসির সেই ছবিটিই(যা তালিবানদের নয়) আজ দাওলা তালিবানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে !?!  এধরণের কাজ যদি অন্য কেউ করতো তাহলে দাওলা নির্ঘাত এটাকে কুফফারদের সাথে আল-ওয়ালা  কিংবা জোট এর বহিঃপ্রকাশ আখ্যা দিয়ে তাকফীরের হুকুম প্রয়োগ করতো বলে আমার ধারণা

 

 

►►►দাওলার উপরোক্ত নীতির আলোকে দাওলাকে মূল্যায়নঃ 

১।   কুফফার মিডিয়ার বক্তব্য দিয়ে আল-কায়েদা-তালিবানকে মূল্যায়ন করা যদি দাওলার মতে সঠিক হয়,তাহলে এই নীতিকে আমরা দাওলার উপরেও প্রয়োগ করে দেখি কী দাঁড়ায় ! আফগানিস্তানের ত্বগুত সরকারের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ও এমপি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তার কাছে প্রমাণ আছে দাবী করে জানিয়েছে, আফগান ত্বগুত,দালাল সরকার আফগানিস্তানে দাওলা/আইএসকে সহযোগিতা করছে ! এমনকি আফগান দালাল সরকার তালিবানদের বিরুদ্ধে দাওলার উইলায়াহ খোরাসানকে অস্ত্রশস্ত্র প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। মিডিয়া থেকে দেখুন তার প্রমাণ ......   http://tinyurl.com/znhndjc      

ত্বগুত সরকারের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ও এমপি একথাও বলেছে, আফগান সরকার যেভাবে আইএসকে সহায়তা করছে, তার প্রমাণ প্রকাশ করলে সরকারের পতন ঘটে যেতো !  দেখুন সেই সংবাদ.... https://bit.ly/38chMIv   

  

তাহলে দাওলার নীতির আলোকে দাওলার হুকুম কী হয় ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো !!  আল-কায়েদা ও তালিবানের ক্ষেত্রেতো শুধু কুফফার মিডিয়া বলছে,আর দাওলার ক্ষেত্রে ত্বগুত সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিজে সাক্ষ্য দিচ্ছে ! দালাল সরকারের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সরকার দাওলার উইলায়াহ খোরাসানকে তালিবানদের বিরুদ্ধে সাহায্য করছে ! দাওলার নীতির আলোকে এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কী হতে পারে !!

২।  জাবহাতুন নুসরাহ সিরিয়ার বিভিন্ন দলকে দাওলার মতো তাকফীর না করায় এবং তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার কারণে দাওলা এটিকে কাফিরদের সাথে আল-ওয়ালা বা বন্দুত্বের  হুকুমে ফেলে দিয়ে  জাবহাতুন নুসরাহকে তাকফীর করেছে ! আশ্চর্য্যের বিষয় কী জানেন ? এই দাওলা ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের একদম শেষের দিকে সিরিয়ার হাসাকাহ প্রদেশের কামিশলি শহর মুক্ত করার জন্য জাবহাতুন নুসরাহ,আহরার আশ-শাম এবং লিওয়া আনসারুল খিলাফাহ এর সাথে মিলে একসাথে লড়াই করে কামিশলি বিজয় করেছিলো ।

তাহলে কী দাঁড়ায় ! দাওলা আজকে যাদেরকে তাকফীর করছে,তাদের সাথে মিলে একসাথে লড়াই করেছিলো। সুতরাং দাওলা যে হুকুম জাবহাতুন নুসরার উপর প্রয়োগ করছে,তা দাওলার উপরও প্রয়োগ হবে ! নিজের চোখে তার ভিডিওটি দেখে আসুন............

https://www.youtube.com/watch?v=K5er63Wzl7I

 

নাকি বিষয়টি এমন যে,দাওলা করলে কোনো সমস্যা নেই। আর অন্যরা করলেই তাকফীর !

 

 ৩।  (পূর্বে উল্লিখিত)দাওলার শামের শার’য়ী তার বার্তায় বলেছেন..............................

অনুরুপভাবে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির উপর হুকুম প্রয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে যুক্ত থাকার কারণে আমভাবে তাদেরকে তাকফীর করা বৈধ হবে না অথচ আমরা সকলেই জানি ফ্রি সিরিয়ান আর্মির কর্নেল রিয়াদ আল-আসাদ এর অবস্থান ইনসাফপূর্ণ আর ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে যুক্ত এমন অনেকে রয়েছে যারা বিভিন্ন ইসলামী গ্রুপের সাথে যুক্ত কারো কারো থেকে উত্তম আর এখানে এমন অনেক দল রয়েছে যারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে নামমাত্র সংযোগ রাখে কিন্তু তাদের সাথে মুজাহিদদের সম্পর্ক ভালো

আচ্ছা দাওলার শার’য়ী এই যে গণতান্ত্রিক ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাবেক প্রধান কর্নেল রিয়াদ আল-আসাদ এর অবস্থানকে ইনসাফপূর্ণ বলে আখ্যা দিলো, ফ্রি সিরিয়ান আর্মির বিভিন্ন গ্রুপের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে এই কথা স্বীকার করলো এগুলো কী আল-ওয়ালার বিপরীত নয় ! এগুলোর মাধ্যমে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, দাওলা ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে বন্দুত্ব বজায় রেখে চলতো। দাওলার বর্তমান  মতের আলোকে এগুলো কেনো কুফফারদের সাথে বন্ধুত্ব বলে বিবেচিত হবে না, জানার আকাঙ্ক্ষা রইলো !!

এই একই কাজ জাবহাতুন নুসরাহ করেছে,অথচ এসব কারণে দাওলা আজ জাবহাতুন নুসরাহ কে তাকফীর করছে। তাহলে হুবহু একই কারণে কেনো দাওলার উওরেও তাকফীরের হুকুম প্রয়োগ হবে না !!!   

 

মনগড়া তাকফীরকারীদের ব্যাপারে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ এর কিছু বক্তব্যঃ

    ১। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ (জন্ম-৬৬১ হিজরী, মৃত্যু-৭২৮ হিজরী ) অবৈধ তাকফীরকারীদের ব্যাপারে বলেন,

ولكن من شأن أهل البدع أنهم يبتدعون أقوالا يجعلونها واجبة في الدين ، بل يجعلونها من الإيمان الذي لا بد منه ويكفرون من خالفهم فيها ، ويستحلون دمه كفعل الخوارج والجهمية والرافضة والمعتزلة وغيرهم . وأهل السنة لا يبتدعون قولا ولا يكفرون من اجتهد فأخطأ ، وإن كان مخالفا لهم مكفرا لهم مستحلا لدمائهم ، كما لم تكفر الصحابة الخوارج ، مع تكفيرهم لعثمان وعلي ومن والاهما ، واستحلالهم لدماء المسلمين المخالفين لهم

, “কিন্তু আহলুল বিদআর বৈশিষ্ট্য হল তারা কোন একটি নতুন মত উদ্ভাবন করে এবং তারপর এই নব উদ্ভাবিত বিষয়কে দ্বীনের মধ্যে ওয়াজিব করে নেয় এমনকি এসব নব উদ্ভাবিত বিষয়কে ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নেয় আর একারণে মুসলিমদের ভেতর থেকে যারা এসব বিষয়ে তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে তাদের উপর তারা তাকফির করে, এবং তাঁদের রক্ত হালাল ঘোষণা করে, যেরকম খাওয়ারিজ এবং জাহমিয়্যাহ,রাফেযী এবং মু'তাযিলা অন্যান্যরা করেছিল

আর আহলুস সুন্নাহ দ্বীনের মধ্যে নতুন কোনো মত উদ্ভাবন করে না আর যে ইজতিহাদ করার পর ভুলে পতিত হয়,তাকে তাকফীর করে না যদিও কেউ আহলুস সুন্নাহর বিরোধী হয়,তাকফীরকারী হয়, তাদের রক্ত হালালকারী হয় যেমনঃ খারিজীরাউসমান রাঃ, ‘আলী রাঃ তাঁদের সাথে বন্ধুত্বকারীদেরকে তাকফীর করা,মুসলিমদের মধ্যে তাদের মতের বিরোধীদের রক্ত হালাল করলেও সাহাবাগণ খারিজীদেরকে তাকফীর করেননি 

(মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়্যাহ, ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৯৫)

আরবী ইবারতের লিংক...... http://tinyurl.com/jzwsojy

২। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ আরো বলেন,

والخوارج تكفر أهل الجماعة وكذلك أكثر المعتزلة يكفرون من خالفهم وكذلك أكثر الرافضة ومن لم يكفر فسق وكذلك أكثر أهل الأهواء يبتدعون رأيا ويكفرون من خالفهم فيه وأهل السنة يتبعون الحق من ربهم الذي جاء به الرسول ولا يكفرون من خالفهم فيه

খারিজীরা আহ্লুস সুন্নাহ ওয়াল-জামাআহকে তাকফীর করে অনুরুপভাবে অধিকাংশ মুতাযিলারাও তাদের মতের বিরোধীদের তাকফীর করে অনুরুপভাবে অধিকাংশ রাফেযীরাও (তাই করে) আর যে তাকফীর করেনা,তাকে ফাসিক্ব মনে করা হয়

ঠিক তদ্রুপ অধিকাংশ আহলুল হাওয়া বা প্রবৃত্তি পূজারীরা মনগড়া মত(বিদআত) উদ্ভাবন করে এবং যারা তাতে বিরোধিতা করে,তাদেরকে তাকফীর করে আর আহলুস সুন্নাহ তাদের রবের পক্ষ থেকে রাসূল সাঃ যে সত্য নিয়ে এসেছেন তার অনুসরণ করে এবং তাদের কোনো মতের বিরোধিতা করলে তারা তাদেরকে তাকফীর করে না”  

(মিনহাজুস সুন্নাহ আন-নাবাবিয়্যাহ, ৫ম খণ্ড, ১৫৮ পৃষ্ঠা।)

আরবী ইবারতের লিংক......  http://tinyurl.com/hayl5xn   

৩। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ আরো বলেন,

ولكن الخوارج دينهم المعظم مفارقة جماعة المسلمين واستحلال دمائهم وأموالهم

কিন্তু খারিজীদের প্রধান ধর্মই হচ্ছে, মুসলিমদের জামাআতকে বিচ্ছিন্ন করা এবং তাদের রক্ত সম্পদকে হালাল করা

(মাজমু’ ফাতাওয়া,১৩ তম খণ্ড-২০৯ পৃষ্ঠা)

আরবী ইবারতের লিংক......  http://tinyurl.com/j6nj6jh

৪। ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ আরো বলেন,

والخوارج هم أول من كفر المسلمين يكفرون بالذنوب ، ويكفرون من خالفهم في بدعتهم ويستحلون دمه وماله .   وهذه حال أهل البدع يبتدعون بدعة ويكفرون من خالفهم فيها .   وأهل السنة والجماعة يتبعون الكتاب والسنة ويطيعون الله ورسوله فيتبعون الحق ويرحمون الخلق .   وأول بدعة حدثت في الإسلام بدعة الخوارج والشيعة حدثتا في أثناء خلافة أمير المؤمنين علي بن أبي طالب فعاقب الطائفتين .

 “আর খারিজীরাই সর্বপ্রথম মুসলিমদেরকে তাকফীর করেছিলো তারা পাপের কারণে তাকফীর করে তাদের মনগড়া মতের(বিদআত) যে বিরোধিতা করে তাকে তাকফীর করে এবং তার রক্ত মালকে হালাল করে আর এটি বিদআতীদের অবস্থা যে, তারা একটি বিদআত বা মনগড়া মত উদ্ভাবন করে,অতঃপর যে উক্ত বিদআতের ক্ষেত্রে তাদের বিরোধিতা করে তাকেই তাকফীর করে আর আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত কিতাব সুন্নাহর আনুগত্য করে তারা আল্লাহ্ তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে অতঃপর তারা সত্যের অনুসরণ করে এবং তারা সৃষ্টির প্রতি দয়া করে

আর ইসলামে সর্বপ্রথম বিদআত উদ্ভাবিত হয়েছিলো খাওয়ারিজ শিয়াদের বিদআত আমীরুল মুমিনীন আলী রাঃ এর খিলাফতের সময় দুটি বিদআত উদ্ভাবিত হয়েছিলো,অতঃপর তিনি দুই দলকেই শাস্তি দিয়েছিলেন


(মাজমু’ ফাতাওয়া,৩য় খণ্ড-২৭৯ পৃষ্ঠা)

আরবী ইবারতের লিংক...... http://tinyurl.com/zb3js4q

........................

পরিশেষে বলবো, উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে দাওলার বর্তমান অবস্থান তাদের উমারাদের পূর্বের বক্তব্য থেকে এমনভাবে স্পষ্ট যে, তাতে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কোনো অবকাশ নেই। আলোকজ্জ্বল দিনের ন্যায় স্পষ্ট হওয়ার পরেও যদি কেউ সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে,তাহলে এর দায়ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম। দাওলা যে তার নেতৃত্বের দ্ব্যার্থহীন বক্তব্যের মাধ্যমে অবৈধ তাকফীর এবং মুসলিমদের রক্ত ও সম্পদ হালাল করে ফেলেছে,তা অকাট্য প্রমাণসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেছে আশা করি। দাওলার আকীদাগত এই ভয়াবহ বিচ্যুতি স্পষ্ট হওয়ার পরও যদি কেউ সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে দাওলার প্রতি সমর্থন বজায় রাখেন,তাহলে এই লেখার প্রমাণাদি কিয়ামতের দিন তার জন্য সাক্ষী হবে ইনশাআল্লাহ্‌।

আল্লাহর তা’আলার ইরশাদ হচ্ছে,“আর আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে স্পষ্টভাবে পৌছে দেওয়া।” (সূরা ইয়াসীন-১৭)

ইয়া রব্বাল-‘আলামীন  ! আপনি সাক্ষী থাকুন, আমি পৌছে দিয়েছি। 

***  দাওলার অফিসিয়াল ইংরেজি ম্যাগাজিন দাবিক্ব এর সব সংখ্যা এই লিংকে পাওয়া যাবে...... http://jihadology.net/category/dabiq-magazine/ 

.