JustPaste.it

আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad (পূর্বনাম #Abdul_Wahed) এর সীমাহীন জাহালাত, মিথ্যাচার ও জালিয়াতির ফিরিস্তি..... পর্ব-১

 

ভূমিকাঃ

তার ব্যাপারে আমি পূর্বেও বলেছি যে, সে আসলে কিয়ামতের একটি আলামতের মধ্যে পড়ে,যখন জাহেলরা ফাতাওয়া দিবে এবং নিজেও পথভ্রষ্ট হবে ও অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে। সে আসলে হাদীসে বর্ণিত ঐসব ব্যক্তিদের একজন। আমি এও বলেছি যে, আমার পুরো জীবনে আমি তার মতো এমন কোনো মূর্খের সন্ধান পাইনি, যে বিশাল বিশাল আর্টিকেল লিখে তার নির্মম মূর্খতাপূর্ণ গোমরাহী প্রচার করছে। আশা করি, আমার সেসব কথার বাস্তবতা সকলেতো বটেই, সে নিজেও অনুভব করতে পারবে।

আইএসের পথভ্রষ্টতা নিয়ে “তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি” শিরোনামে আমি যখন আমার প্রথম আর্টিকেলটি প্রকাশ করি, তার কয়েকদিন পর এই #Abdul_Wahed আইএসের সেসব পথভ্রষ্টতা ঢাকার জন্য ৩ টি লেখা প্রকাশ করে। লেখাগুলো প্রকাশ করার পর অনেকেই বলেছিলেন, সেসবের জবাব দেওয়ার জন্য। কিন্তু তার সীমাহীন মূর্খতা এবং উক্ত লেখাগুলোতে আমার প্রতি জঘন্য সব অপবাদ দেখে এসব বাজে লেখার জবাব দেওয়ার চিন্তা বাদ দেই। অথচ তার সেই ৩ টি লেখার প্রায় প্রত্যেকটি কথা নির্মম অজ্ঞতা ও মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। 

তার এসব জালিয়াতির প্রায় সকল প্রমাণাদি আমার তখনই ছিলো, কিন্তু এরকম একটা জাহেলের পিছনের আমি এতো সময় ব্যয় করতে চাচ্ছিলাম না। যখনই আমি তার লেখার জবাব দেওয়ার চিন্তা করেছি, তখনই কেনো যেনো আমার আর লেখা হতো না। এরকম একজন চরম জাহেলের জবাব দেওয়ার পেছনে আমার আগ্রহ হচ্ছিলো না। কিন্তু এতে তার ধৃষ্টতা বেড়ে যায় এবং সে গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত উমারা ও আলিমদের বিরুদ্ধে সীমাহীন জাহালাত ও নির্মম গোমরাহীপূর্ণ বিদ্বেষের উদগীরণ করতে থাকে। এমনকি অবশেষে তার মতো একজন গণ্ডমূর্খ (তার ব্যাপারে লেখা শেষ হলেই বুঝতে পারবেন কেনো জোর গলায় তাকে গণ্ডমূর্খ বলছি) ব্যক্তি শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ‘ইসলামী বসন্ত’ শিরোনামে দেওয়া ৬ পর্বের বক্তব্যের মধ্যে ১০০ টি শরীয়ত বহির্ভূত বিষয় খুঁজে পায় !!! সে ধারাবাহিকভাবে তা লিখেও যাচ্ছে !!!

এখন অনেক ভাই অনুরোধ করছেন তার জবাব দেওয়ার জন্য। তার অনুসারী কতিপয় আইএস সমর্থক আমাদের পক্ষ থেকে এসবের জবাব না দেখে রীতিমত হইচই করছে ! সুতরাং এবার তার গোমরাহী আর বাড়তে দেওয়া যায় না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার এসব মনগড়া ও মূর্খতাপূর্ণ জালিয়াতির জবাব দেবো ইনশাআল্লাহ্‌। একটি কিতাব কিংবা একটি লেখা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ কিংবা কতটুকু মূল্যবান তা নির্ণীত হয় লেখকের অবস্থা বিবেচনায়।

যেমনঃ কুরআন আল্লাহর কালাম তাই এটি সর্বাধিক মূল্যবান কিতাব। অতঃপর হাদীস যেহেতু রাসূল সাঃ এর পবিত্র মূখ নিঃসৃত বাণী তাই এটি কুরআনের পরে সর্বাধিক মূল্যবান বাণী। একজন নির্ভরযোগ্য আলিম যখন একটি কিতাব লিখেন, তার মূল্যায়নও লেখকের অবস্থানের বিবেচনায় হয়ে থাকে। অপরদিকে যখন একজন ব্যক্তি দ্বীনের সামান্য জ্ঞান নিয়ে কিংবা পথভ্রষ্ট ব্যক্তি কোনো কিতাব লিখে তার মূল্যায়নও তার পথভ্রষ্টতা কিংবা সামান্য জ্ঞানের আলোকেই হয়ে থাকে। অর্থাৎ এধরণের ব্যক্তির লেখাকে কোনো হক্বপন্থী ব্যক্তির কাছে একেবারেই মূল্যহীন। কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে দ্বীন শিক্ষার ক্ষেত্রে সহীহ মুসলিমের ভূমিকায় প্রখ্যাত তাবেয়ী ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন রাহঃ এর থেকে একটি মূলনীতি বর্ণিত আছে। আর তা হচ্ছে, عن محمد بن سيرين قال إن هذا العلم دين فانظروا عمن تأخذون دينكم “ তাবেয়ী মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন রাহঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নিশ্চয়ই এই ইলম হচ্ছে দ্বীন। সুতরাং তোমরা কার কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণ করছো তা লক্ষ্য রেখো ।” (সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা বা ভূমিকা অধ্যায়-২৬) উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে #Abdul_Wahed কে যাচাই করা জরুরি, আসলে সে ইলম প্রচারের কিংবা দ্বীন নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখে কি না ? কিংবা তার মতো একজন ব্যক্তি শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ভুল ধরার ইলম রাখে কি না ?? কিংবা তার মতো একজন ব্যক্তি বিশাল বিশাল লেখা প্রকাশ করার যোগ্য কি না ???

 

*** #Abdul_Wahed) এর সীমাহীন জাহালাত, মিথ্যাচার ও জালিয়াতির বিবরণঃ

আমার (#Abdullah_Hasan) “তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি” আর্টিকেলের বিরুদ্ধে তার উক্ত ৩ টি লেখার লিংক.... এগুলোর জবাব দেওয়ার মাধ্যমেই শুরু করছি......

১। আব্দুল্লাহ হাসান এর মুনাফিকি....... https://justpaste.it/tf39

২। কাফির, মুর্তাদ, ও সাহাওয়াত ১ জিনিস নাকি! সাহাওয়াত বা মুর্তাদ বলা তাকফীর হবে কিনা?? ..... https://justpaste.it/tgrc

৩। সাহাওয়াতরা কি কাফির? যেভাবে আল কায়েদার জাহেলরা সাহাওয়াতদের কাফির মনে করে?!! ...... https://justpaste.it/tluq

 

১। সাহাওয়াত নিয়ে সীমাহীন জাহালাত ও জালিয়াতির সমষ্টিঃ

আইএসের পথভ্রষ্টতা নিয়ে “তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি” শিরোনামে আমি যখন আমার প্রথম আর্টিকেলটি প্রকাশ করি, তখন আইএস সমর্থকদের মধ্যে কতিপয় অন্ধ সমর্থক আমাকে যাচ্ছে তাই গালাগালি এমনকি তাকফীর পর্যন্ত করেছে। কারণ, সেই আর্টিকেলটিতে আমি খারিজী আইএসের পথভ্রষ্টতা এমনভাবে প্রমাণ করেছি, ইনশাআল্লাহ্‌ যার মোকাবেলা করা তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়। আমি তাতে আইএসের অফিসিয়াল বার্তাগুলোর অকাট্য প্রমাণের মাধ্যমে আইএসের বাতিল হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট করেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

আমার পোস্টে আমি বহুসংখ্যক প্রমাণ পেশ করেছি যে, আইএস আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদেরকে সাহাওয়াত তথা মুরতাদ আখ্যা দিয়ে ‘আমভাবে তাকফীর করেছে। কিন্তু আইএসের এই সমর্থক #Abdul_Wahed তার বিশাল লেখায় বলেছে, আইএস তাদেরকে তাকফীর করেনি !! দেখুন তার কিছু অমীয় বাণীতে........... (৩নং লেখায়) //সাহাওয়াতরা কি কাফির? যেভাবে আল কায়েদার জাহেলরা সাহাওয়াতদের কাফির মনে করে?!! (দাওলাতুল খিলাফাহর বৈধ ও শরীয়ত সম্মত তাকফিরী নিতীর বিরুদ্ধে আল কায়েদা গংদের মিথ্যা ও ভয়ংকর প্রোগাপান্ডা!)//

// বাংলার আল কায়েদার গুরু Abdullah Hasan এর আলোচিত আর্টিকেল থেকে, যা তিনি ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে শয়তানের সহযোগীতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে লিখেছেন! তিনি শরীয়ত নিয়ে নিজের খিয়াল খুশি মত লিখে সাহাওয়াতদের কাফির বানাইছে!//

আর সাহাওয়াত শব্দ দ্বারা নাকি আইএস তাকফীর বুঝায়নি !!! সে সাহাওয়াত আরবী (الصحوات) শব্দটিকে الشهوات তথা প্রবৃত্তি ( এর অনুসরণ) বলে যে জাহালাত প্রদর্শন করেছে, তা আরবী ভাষা সম্পর্কে যারা মোটামুটি অবগত আছেন, তারা বুঝবেন আশা করি। আর আরবী ভাষা সম্পর্কে যে তার প্রাক-প্রাথমিক কিংবা মক্তবের জ্ঞানও নেই, তার লেখা পড়লে আরবী জানা কোনো ব্যক্তির বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হবে না।

প্রথমতঃ সে সাহাওয়াত শব্দ কী তাই জানে না। দ্বিতীয়তঃ সাহওয়াত শব্দ এবং তার প্রয়োগ সম্পর্কে কিছু না জানা সত্ত্বেও সে সত্যকে ঢাকার জন্য অজ্ঞতা নির্ভর মনগড়া বানোয়াট কথা বলেছে। সাহাওয়াত শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়, ইরাকের কিছু সুন্নী গোত্রের ব্যাপারে যারা আমেরিকার সাথে হাত মিলিয়ে “সাহওয়াত কাউন্সিল বা গণজাগরণ পরিষদ” নাম দিয়ে ইরাকের মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছিলো। আর তারা যে মুরতাদ ছিলো, এটি জিহাদের ময়দানের প্রাথমিক ধারণা রাখা মুসলিমরাও জানে। আর আইএস ‘সাহাওয়াত’ বলে যে স্পষ্টভাষায় মুরতাদ আখ্যা দেয়, এটি আশা করি এখন দুনিয়ার শুধু মানুষ নয় বরং গরু-ছাগলও হয়তোবা জানে !!!

 

২। জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদেরকে ‘আমভাবে মুরতাদ আখ্যা দেওয়া নিয়ে জালিয়াতিঃ

আমার উক্ত আর্টিকেলে আমি প্রমাণ উল্লেখ করে উপস্থাপন করেছি যে, আইএস জাবহাতুন নুসরাহকে ‘আমভাবে তাকফীর করেছে। এই #Abdul_Wahed তার লেখায় খারিজী আইএসের বাতিল মতবাদ ঢাকার জন্য তার লেখায় দাবি করেছিলো যে, আইএস নাকি জাবহাতুন নুসরাহকে তাকফীর করেনি !!! আইএস যে আল-কায়েদা ও তালিবানের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে মুরতাদ আখ্যা দিয়েছে, তার এক ডজনের বেশি প্রমাণ তাদের অফিসিয়াল সূত্রের রেফারেন্সসহ আমার আর্টিকেলে আছে। যে কেউ পড়ে নিতে পারেন। লিংক..... https://justpaste.it/takfir_all

 

আইএস আল-কায়েদার তৎকালীন শাখা জাবহাতুন নুসরার মুজাহিদদের প্রত্যেককে মুরতাদ আখ্যা দেয় তার প্রমাণস্বরুপ আমি তাদেরই এদেশীয় শাখার অফিসিয়াল মিডিয়া ‘আত-তামকিন’ ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালের ২০ জুন প্রকাশিত একটি আর্টিকেল থেকে তুলে দিচ্ছি..................

// কিছু ভাই বোন মনে করেন যে এই বিষয়ে দাওলাতুল ইসলামের অফিসিয়াল অবস্থান ধোঁয়াশা, সেক্ষেত্রে জাবহাত আন নুসরাহ’র এসব সৈন্যদের অবস্থান সন্দেহজনক, তাই তারা না মুসলিম আর না কাফির। অনেকে মনে করেন যে দাওলাতুল ইসলাম কেবলমাত্র জাওলানী ফ্রন্টের নেতাদেরকে মুরতাদ মনে করে এবং সৈন্যরা তাদের কমান্ডারদের কুফরের কারণে দায়ী নয়। আরও অনেকে মনে করেন যে এটা দাওলাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাবহাত আন নুসরাহ’র একজন সদস্য যতক্ষণ পর্যন্ত শারীরিকভাবে যুদ্ধে অংশ না নেয় ততক্ষণ পর্যন্ত তার ওজর থাকে এবং একজন মুসলিম হিসেবে তার অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে। তারা সন্দেহমূলক সূত্রগুলোকে এসব ভ্রান্ত বিশ্বাসগুলোর ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে মনে করে যেখানে তারা এসব কথা খিলাফাহ’র ছদ্মবেশী সৈনিক বা সেসব “মুনাসিরদের” কাছে পায় যারা ইসলামের ভূমির বাইরে থাকে। যেকোন বিবৃতি অফিসিয়াল হিসেবে গণ্য হবে না তা হোক কোন মুনাসির, সৈনিক, পরিচালক অথবা আমিরের পক্ষ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত না তা দাওলাতুল ইসলামের যেকোন একটি অফিসিয়াল মিডিয়া চ্যানেল হতে প্রচারিত না হয়, তা শুধু দাবিক এবং নাবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জাবহাত আল-জাওলানীর সর্বোচ্চ নেতা হতে সর্বনিম্ন সদস্যদের রিদ্দা সম্পর্কে দাওলাতুল ইসলামের অফিসিয়াল সাহিত্য ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে আসছে। যেমন, দাবিকে এ বিষয়ে কেউ দেখতে পারে সংখ্যা ২, “মুবাহালার মহাপ্লাবন” সংখ্যা ৬, “ক্বায়েদা এবং আয-যাওয়াহিরি” সংখ্যা ৭, “অসংখ্য ‘নুসরাহ’ এবং ‘আহরার’ যোদ্ধা তাওবাহ করে দাওলাতুল ইসলামে যোগ দিয়েছেন” সংখ্যা ৮, “শামে আল ক্বায়েদার মিত্ররা” এবং “ইরজা’-সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিদ’আত” সংখ্যা ৯, “শামে আল ক্বায়েদার মিত্ররাঃ পর্ব ২” “সাহওয়াতদের দমন” এবং “শত্রুর ভাষায়” সংখ্যা ১০, “শামে আল ক্বায়েদার মিত্ররাঃ পর্ব ৩”, “তাদের স্বামীরা তাদের জন্য বৈধ নয়” “আল্লাহর আইন না মানব রচিত আইন”, “শত্রুর ভাষায়” এবং “আবু সামির আল-জর্ডানির সাক্ষাৎকার” সংখ্যা ১১, “শামে আল ক্বায়েদার মিত্ররাঃ পর্ব ৪” “আহযাবের যুদ্ধ হতে ক্রুসেড জোটের যুদ্ধ” সংখ্যা ১২, “ইয়েমেনে আল ক্বায়েদার মিত্ররা”, “শামে আল ক্বায়েদার মিত্ররাঃ শেষ” এবং “শত্রুর ভাষায়” সংখ্যা ১৪, “মুরতাদ ব্রাদারহুড”//

তারপর আরো লিখেছে..............

// এরপরও যদি এই বিষয়ে আরও কিছু সন্দেহ থাকে, তাহলে জেনে রাখুন জাবহাত আল-জাওলানীর প্রত্যেক সদস্য সে দাওলাতুল ইসলামের সাথে যুদ্ধ করুক বা না করুক তাকে ইসতিতাবাহ কোর্সে অংশ নিতে হবে যার অর্থ তাকে অবশ্যই কুফর থেকে তাওবাহ করতে হবে যা সে সম্পাদন করেছে। এই কোর্সের একটি অংশ হল যে সে ব্যক্তিগতভাবে স্বীকারোক্তি প্রদান করবে যে, সে একজন মুরতাদ ছিল। জাবহাত আল-জাওলানীর সৈনিকরা কাফির। যারা পরিষ্কারভাবে কুফুরি করেছে। তারা মুনাফিক্বিন, তাই তাদের বিধান হল তারা মুরতাদদিন। তারা জমিনে ফাসাদ সৃষ্টি করেছে এবং বন্দী হওয়ার পূর্বে তারা তাওবাহ না করলে তাদের প্রতি কোন অনুগ্রহ দেখানো হবে না। তাদের মৃতরা জাহান্নামের জ্বালানী। যেহেতু এটা ঈমানের বিষয়, এই পরিষ্কার বিধানের ব্যাপারে সচেতন মুসলিমদের অবশ্যই তাদেরকে তাকফির করতে হবে (তাদের কুফুরির জন্য) আর এভাবেই তাদের থেকে বারা’আ স্থাপন করতে হবে।//

আত-তামকিনের অফিসিয়াল সাইট থেকে নেওয়া স্ক্রিনশটে পুরো লেখা দেখুন..... (নিচের দিকে লাল দাগ চিহ্নিত) https://justpaste.it/1ftud 

এটি পরবর্তীতে প্রকাশিত অনলাইনে তাদের সমর্থকদের একটি সাইট থেকে পড়ুন..... http://bit.ly/2FIYfRU

 

উল্লেখ্য খারিজী আইএস সমর্থকদের সাইট ‘আত-তামকিন’ এ যখন (২০ জুন ২০১৬) আর্টিকেলটি প্রকাশিত হয়, তখনও শামে জাবহাতুন নুসরাহ নামে আল-কায়েদার শাখা ছিলো। উপরোক্ত আর্টিকেলে জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদকে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় মুরতাদ আখ্যা দেওয়া হয়। মুরতাদ আখ্যা দেওয়ার রেফারেন্স হিসেবে তারা দাবিক্বের মোট ৯ টি সংখ্যা থেকে যেসব আর্টিকেলের নাম উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে শুধুমাত্র দাবিক্ব-১৪ ব্যতীত বাকী সবগুলোই আমার আর্টিকেল লেখার পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে। 

সুতরাং এই ধোঁকাবাজি করার সুযোগ নেই যে, আমার লেখা আর্টিকেলের পরে জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদকে আইএস মুরতাদ আখ্যা দিয়েছে । তার পোস্টে...... (৩নং লেখায়) //সাহাওয়াতরা কি কাফির? যেভাবে আল কায়েদার জাহেলরা সাহাওয়াতদের কাফির মনে করে?!!// আচ্ছা, কে জাহেল তা কী এখন প্রমাণিত নয় !!!! 

 

৩। মুনাফিক্বীর অপবাদ তার উপরেই পতিত ! 

আমি আইএসের অফিসিয়াল মিডিয়ায় প্রকাশিত অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করে প্রমাণ করেছি যে, আইএস জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদকে মুরতাদ আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু এই #Abdul_Wahed তার ৩ টি লেখায় এটি প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, আইএস নাকি সাহাওয়াত বলে জাবহাতুন নুসরাকে তাকফীর করেনি। আমি যেহেতু তা প্রমাণ করেছি তাই তার এই নির্মম মিথ্যা ও জালিয়াতি প্রমাণ করার জন্য আমাকে আক্রমণ করে তার লেখায় যেসব কথা উল্লেখ করেছে, সেগুলো দেখুন................... . // আব্দুল্লাহ হাসান এর মুনাফিকি//, // মুনাফিক আ. হা.. এর পুরা পোস্ট//, // এ অংশটুকু এ যুগের আবদুল্লাহ সাবার পোস্ট থেকে কপি করা// //// বাংলার আল কায়েদার গুরু Abdullah Hasan এর আলোচিত আর্টিকেল থেকে, যা তিনি ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে শয়তানের সহযোগীতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে লিখেছেন!//

 

যেহেতু অকাট্য প্রমাণাদি এবং খারিজী আইএসের অফিসিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের দ্ব্যার্থহীন বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, আইএস আমার আর্টিকেল লেখার পূর্বেই জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদকে মুরতাদ আখ্যা দিয়েছে, তাই হাদীস অনুযায়ী উপরোক্ত প্রতিটি অপবাদ তার উপর পতিত হয়েছে (যদিও আমি কখনো তার বিরুদ্ধে নিফাক্বীর কোনো অভিযোগ আরোপ করিনি, মা’আযাল্লাহ এবং আমি চাইও না সে মুনাফিক্ব অবস্থায় মৃত্যুবরণ করুক। বরং তাকে আমি মুমিন মনে করি, তবে একেবারে মূর্খ ও গোমরাহ তো অবশ্যই। )

আর কাউকে মুনাফিক্ব আখ্যা দেওয়া মানে তাকে কাফির আখ্যা দেওয়া, আশা করি এটি দ্বীন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান রাখা ভাইয়েরা ভালোভাবে অবগত আছেন। আর তার বক্তব্যে আমাকে পরিষ্কারভাবে তাকফীর করা হয়েছে। এটি নিয়েও না জানি সে আবার ধোঁকাবাজি করে !! যেহেতু এরা হাদীসে বর্ণিত খারিজী ‘সুফাহাউ আহলাম’ বা নির্বোধদের অনুসারী তাই আত-তামকীনে প্রকাশিত আর্টিকেল থেকেই দেখিয়ে দিচ্ছি..... // তারা মুনাফিক্বিন, তাই তাদের বিধান হল তারা মুরতাদদিন।//

সুতরাং মুনাফিক্ব বলার মাধ্যমে এবং আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা আখ্যা দেওয়ার মাধ্যমে সে সুস্পষ্টভাবে আমাকে তাকফীর করেছে। আর রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, أيما امرئ قال لأخيه يا كافر فقد باء بها أحدهما إن كان كما قال وإلا رجعت عليه অর্থঃ যে কোনো ব্যক্তি তার ভাইকে বলবে, হে কাফির ! তাহলে তা তাদের দু’জনের যেকোনো একজনের উপর তা পতিত হবে। সে যা বলেছে, তা যদি হয় (তাহলেতো হলো), অন্যথায় সেটি তার উপর প্রত্যাবর্তন করবে। (সহীহ মুসলিম-কিতাবুল ঈমান, হাদীস নং-২২৫)

আলহামদুলিল্লাহ, তার প্রত্যেকটি কথা চরমতম মিথ্যা, জাহালাতপ্রসূত ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। তার মতো একটা জাহেলতো দূরের কথা, আইএসের বাতিল আকীদা নিয়ে লেখা আমার কোনো আর্টিকেল ভুল প্রমাণ করা স্বয়ং বাগদাদীর পক্ষেও সম্ভব নয়। আমার প্রতিটি লেখায় তাদের অফিসিয়াল মিডিয়ার বক্তব্য অকাট্য প্রমাণসহ হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। সে যদি এই মিথ্যাচার ও অপবাদের জন্য তার অপরাধ ও জাহালাত স্বীকার করে ক্ষমা না চায় এবং আর্টিকেলের নামে তার এসব আবর্জনাসম লেখা থেকে বিরত হয়ে তাওবা না করে, তাহলে হাদীস অনুযায়ী সে যেনো পরকালে এগুলোর দায়ভার গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে।

আর শয়তানের সহযোগিতায় কে আর্টিকেল লিখেছে, তা যাদের সামান্যতম ইলম ও মানসিক সুস্থতা আছে, আমার এই জবাবটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আশা করি তা বুঝতে তাদের কোনো কষ্ট হবে না ইনশাআল্লাহ্‌।

ফেইসবুকে প্রকাশিতঃ ২০/০১/২০১৮

লিংক.... fb.com/142465383108902

.

বিঃদ্রঃ  জিহাদ ও আইএস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে মূল পেইজে যেতে পারেন। 

লিংক....   https://justpaste.it/Abdullah_Hasan