JustPaste.it

মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে সহায়তা করা কি কুফরে আকবার ও রিদ্দাহ ? নাকি অন্য কিছু ?

 এ ব্যাপারে উম্মতের ইমাম ও আলিমদের বক্তব্য......  ২য় পর্ব।  

(শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. এর বক্তব্য)

 

***  শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. কে প্রশ্ন করা হয়েছিল,

هؤلاء التتار الذين يقدمون إلى الشام مرة بعد مرة وتكلموا بالشهادتين وانتسبوا إلى الإسلام ولم يبقوا على الكفر الذي كانوا عليه في أول الأمر فهل يجب قتالهم أم لا ؟ وما الحجة على قتالهم ؟ وما مذاهب العلماء في ذلك ؟ وما حكم من كان معهم ممن يفر إليهم من عسكر المسلمين : الأمراء وغيرهم ؟ وما حكم من قد أخرجوه معهم مكرها ؟ وما حكم من يكون مع عسكرهم من المنتسبين إلى العلم والفقه والفقر والتصوف ونحو ذلك ؟ وما يقال فيمن زعم أنهم مسلمون والمقاتلون لهم مسلمون وكلاهما ظالم فلا يقاتل مع أحدهما

অর্থঃ  “যে তাতারীরা বারবার শামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে অথচ তারা কালিমায়ে শাহাদাহ উচ্চারণ করে , ইসলামের সাথে যুক্ত হয়েছে এবং তারা পূর্বে যে কুফুরীর উপর ছিল সে কুফুরীর উপরও প্রতিষ্ঠিত নেই, এমতাবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা কী ওয়াজিব ? তাদের বিরুদ্ধে ক্বিতালের হুজ্জাহ বা প্রমাণ কী ? এব্যাপারে উলামাদের মাযহাব বা মত কী ? মুসলিম বাহিনীর নেতৃবৃন্দ ও অন্যদের থেকে যারা তাতারদের সাথে গিয়ে মিলিত হবে, তাদের হুকুম কী ? আর যারা তাদের সাথে বাধ্য হয়ে বের হয়েছে তাদের হুকুম কী ? তাতারীদের সেনাবাহিনীর সাথে থাকা ইলম, ফিকহ, দুনিয়াবিমুখতা ও তাসাউফের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং অনুরুপ অন্যদের হুকুম কী ? আর ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে কী বলা হবে , যে মনে করে তারা (তাতারীরা)ও মুসলিম এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরতরাও মুসলিম এবং উভয়েই জালিম, সুতরাং উভয়দলের কারো  সাথে মিলে যুদ্ধ করা যাবে না..... ?  ”  (মাজমু’আতুল ফাতাওয়া, ২৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা-৫০৯)

 

এসব প্রশ্নের জবাবে শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. তাতারীদের ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক যে ফাতওয়া দেন তার চুম্বকাংশ থেকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফির-মুশরিকদের সাহায্য-সহায়তার বিধান উল্লেখ করা হলোঃ__

 

১। শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. বলেন,

وقد أجمع المسلمون على وجوب قتال الخوارج والروافض ونحوهم إذا فارقوا جماعة المسلمين كما قاتلهم علي رضي الله عنه فكيف إذا ضموا إلى ذلك من أحكام المشركين - كنائسا - وجنكسخان ملك المشركين : ما هو من أعظم المضادة لدين الإسلام وكل من قفز إليهم من أمراء العسكر وغير الأمراء فحكمه حكمهم وفيهم من الردة عن شرائع الإسلام بقدر ما ارتد عنه من شرائع الإسلام

وإذا كان السلف [ ص: 531 ] قد سموا مانعي الزكاة مرتدين - مع كونهم يصومون . ويصلون ولم يكونوا يقاتلون جماعة المسلمين - فكيف بمن صار مع أعداء الله ورسوله قاتلا للمسلمين مع أنه والعياذ بالله لو استولى هؤلاء المحاربون لله ورسوله المحادون لله ورسوله المعادون لله ورسوله على أرض الشام ومصر في مثل هذا الوقت لأفضى ذلك إلى زوال دين الإسلام ودروس شرائعه

 

অর্থঃ “আর মুসলিমগণ খাওয়ারিজ ও রাফেযীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ওয়াজিব/ফরয হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বা ইজমায় উপনীত হয়েছেন, যখন তারা মুসলিমদের জামা'আতকে ছিন্নভিন্ন করতে আসবে।  যেমনিভাবে আলী রা. তাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। সুতরাং তাদের হুকুম কী হতে পারে যখন তারা মুশরিকদের বাদশাহ চেঙ্গিস খান এবং গির্জার মুশরিকদের বিধানের সাথে যুক্ত হবে যা দ্বীন ইসলামের সাথে মারাত্মক সাংঘর্ষিক।

সুতরাং সামরিক নেতৃত্ব এবং নেতৃত্ব ছাড়া অন্যদের মধ্য থেকে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে তাদের (তাতারদের) সাথে যোগ দিয়েছে, তার হুকুম তাদের (তাতারদের) মতোই  এবং তাদের মধ্যে ইসলামী শরীয়ত থেকে রিদ্দাহ বা দ্বীন পরিত্যাগের মাত্রা অনুসারে তারাও ইসলামী শরীয়ত থেকে রিদ্দায় পতিত হয়েছে। 

যখন সালাফগণ ‘মানিউ’য-যাকাত’ বা যাকাত প্রদান থেকে বিরত থাকা লোকদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়েছেন, অথচ তারা সাওম রাখতো এবং সালাত আদায় করতো, তদুপরি তারা মুসলিমদের জামা'আতের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেনি। সুতরাং তাদের হুকুম কী হবে যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আল্লাহ ও তার রাসূলের শত্রুদের সাথে যোগ দিয়েছে !   না'উযুবিল্লাহ, তদুপরি যদি আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত,  আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের বিরোধিতায় লিপ্ত, আল্লাহ ও তাঁর  রাসূলের শত্রুতায় লিপ্ত এসব (তাতারীরা) লোকেরা শাম ও সিরিয়ায় এসময়ে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারতো, তাহলে তা দ্বীন ইসলাম ও শরীয়তের শিক্ষাকে নিঃশেষ করার পর্যায়ে নিয়ে যেতো। ” (মাজমু’আতুল ফাতাওয়া, ২৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩০-৫৩১)

 

[শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. শরীয়তের বিভিন্ন আহকাম পরিত্যাগ করে মানবরচিত সংবিধান ইয়াসিকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী তাতারীদেরকে সুস্পষ্টভাষায় মুরতাদ আখ্যা দেন। অথচ তাতারীরা ঈমান গ্রহণ করেছিল এবং নিজেদেরকে ঈমানদার দাবীও করতো। এমতাবস্থায় শাম ও মিসরে হামলা করার জন্য তাতারীরা অগ্রসর হলে ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ.  উপরোক্ত ফাতওয়া দেন।  মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুরতাদ তাতারীদেরকে সাহায্য করা যদি পরিষ্কার রিদ্দাহ হয়,তাহলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদেরকে সহায়তাকারীদের হুকুম কী হতে পারে চিন্তা করুন !  ]

 

২।  তাতারদের সাথে যোগ দেওয়া ব্যক্তিকে মুরতাদ আখ্যাদান এবং তার সাথে কিতাল আরো অধিক জরুরি এই ফাতওয়া দিয়ে শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. বলেন,

فمن قفز عنهم إلى التتار كان أحق بالقتال من كثير من التتار ; فإن التتار فيهم المكره وغير المكره وقد استقرت السنة بأن عقوبة المرتد أعظم من عقوبة الكافر الأصلي من وجوه متعددة . منها أن المرتد يقتل بكل حال ولا يضرب عليه جزية ولا تعقد له ذمة ; بخلاف الكافر الأصلي . ومنها أن المرتد يقتل وإن كان عاجزا عن القتال

অর্থঃ  “সুতরাং মুসলিমদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি তাতারদের সাথে যোগ দিবে, সেই ব্যক্তি অনেক তাতারদের চেয়েও কিতালের অধিক উপযুক্ত ব্যক্তি। কেননা নিশ্চয়ই তাতারদের মধ্যে বাধ্য হয়ে যোগ দেওয়া এবং স্বেচ্ছায় যোগ দেওয়া উভয় ধরণের ব্যক্তিরা রয়েছে। আর সুন্নাত স্বীকৃত হয়েছে যে, বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মুরতাদের শাস্তি আছলি কাফিরের শাস্তির চেয়ে অধিক মারাত্মক। তার মধ্যে যেমন, মুরতাদকে সর্বাবস্থায় হত্যা করা হয়, তার উপর কোনো জিযিয়া প্রযোজ্য নয় এবং তার জন্য কোনো জিম্মা বা নিরাপত্তা সংগঠিত হয় না, যা আছলি কাফিরের ক্ষেত্রে ভিন্ন। আরো যেমন, মুরতাদ যদি যুদ্ধ করতে অক্ষমও হয়, তবুও তাকে হত্যা করা হবে।  ”   (মাজমু’আতুল ফাতাওয়া, ২৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩৪)

 

৩।  বাধ্য হয়ে কাফির-মুশরিকদের সাথে মিলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুকুম বর্ণনায় শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. বলেন,

 فالله تعالى أهلك الجيش الذي أراد أن ينتهك حرماته - المكره فيهم وغير المكره - مع قدرته على التمييز بينهم مع أنه يبعثهم على نياتهم فكيف يجب على المؤمنين المجاهدين أن يميزوا بين المكره وغيره وهم لا يعلمون ذلك بل لو ادعى مدع أنه خرج مكرها لم ينفعه ذلك بمجرد دعواه كما روي : { أن العباس بن عبد المطلب قال للنبي صلى الله عليه وسلم لما أسره المسلمون يوم بدر : يا رسول الله إني كنت مكرها . فقال : أما ظاهرك فكان علينا وأما سريرتك فإلى الله } .

অর্থঃ  সুতরাং আল্লাহ তা’আলা এই (তাতার) বাহিনীকে ধ্বংস করুন যারা আল্লাহ তা’আলার সীমাকে লঙ্ঘন করার ইচ্ছা করেছে। তাদের মধ্যে বাধ্য হয়ে যোগ দেওয়া ব্যক্তিও রয়েছে এবং বাধ্য নয় এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে। সম্ভব হলে তাদের মধ্যে পার্থক্য করা হবে। সেই সাথে তারা তাদের নিয়্যাত অনুযায়ী (পরকালে) উত্থিত হবে। বাধ্য হয়ে যোগ দেওয়া এবং অন্যদের মাঝে পার্থক্য করা মুমিন মুজাহিদদের উপর কীভাবে ওয়াজিব হতে পারে অথচ তারা তা জানে না বরং যদি কোনো দাবিদার এই দাবি করে যে, সে বাধ্য হয়ে বের হয়েছে, তাহলে শুধুমাত্র তার এই দাবি তার কোনো কাজে আসবে না। যেমনটি বর্ণিত আছেঃ বদরের যুদ্ধের দিন যখন মুসলিমগণ আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবকে বন্দী করলেন, তিনি বললেন, আমি বাধ্য হয়ে বের হয়েছি। অতঃপর রাসূল সাঃ বলেন, আপনার বাহ্যিক অবস্থা আমাদের কাছে ধর্তব্য, আর আপনার অভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহ তা’আলার কাছে সমর্পিত। (মাজমু’আতুল ফাতাওয়া, ২৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩৭)

 

৪। বাধ্য হয়ে কাফিরদের সাথে থাকা ব্যক্তির করণীয়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইমাম বিনে তাইমিয়্যাহ রাহ. বলেন,

والمقصود أنه إذا كان المكره على القتال في الفتنة ليس له أن يقاتل ; بل عليه إفساد سلاحه وأن يصبر حتى يقتل مظلوما فكيف بالمكره على قتال المسلمين مع الطائفة الخارجة عن شرائع الإسلام كمانعي الزكاة والمرتدين ونحوهم فلا ريب أن هذا يجب عليه إذا أكره على الحضور أن لا يقاتل وإن قتله المسلمون كما لو أكرهه الكفار على حضور صفهم ليقاتل المسلمين وكما لو أكره رجل رجلا على قتل مسلم معصوم فإنه لا يجوز له قتله باتفاق المسلمين ; وإن أكرهه بالقتل ; فإنه ليس حفظ نفسه بقتل ذلك المعصوم أولى من العكس . [ ص: 540 ] فليس له أن يظلم غيره فيقتله لئلا يقتل هو ;

অর্থঃ  "উদ্দেশ্য হচ্ছে, যখন ফিতনার যুদ্ধে বাধ্য হয়ে যোগ দেওয়া ব্যক্তির যুদ্ধ করার অনুমতি নেই বরং তখন করণীয় হচ্ছে ব্যক্তি তার অস্ত্র ভেঙ্গে ফেলবে এবং ধৈর্য ধরে থাকতে থাকবে যতক্ষণ না মাজলুম অবস্থায় শহীদ হয়।  সুতরাং যাকাত প্রদান পরিত্যাগকারী কিংবা মুরতাদ বা তাদের অনুরুপ অন্যদের ন্যায় ইসলামী শরীয়তের বিদ্রোহী দলগুলোর সাথে যারা  মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য হবে তাদের করণীয় কী হতে পারে ! কোনো সন্দেহ নেই যে, তার উপর আবশ্যক হচ্ছে যদি সে যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য হয়, তাহলে যুদ্ধ না করা, যদিও মুসলিমরা তাকে হত্যা করে। যেমনঃ যদি মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কাফিররা তাকে কাফিরদের সারিতে যুদ্ধে উপস্থিত হতে বাধ্য করে  এবং যেমনঃ  যদি একজন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে একজন নিরপরাধ মুসলিমকে হত্যা করতে বাধ্য, মুসলিমদের সর্বসম্মতিক্রমে এই ব্যক্তির জন্য উক্ত মুসলিমকে হত্যা করা বৈধ নয়, যদিও সে তাকে হত্যা করার জন্য বাধ্য করে। কেননা নিশ্চয়ই তার নিজের জীবন বাঁচানোর বিপরীতে উক্ত নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফলে তার জন্য এই সুযোগ নেই যে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য অন্যকে জুলুম করবে, তারপর হত্যা করবে।" (মাজমু’আতুল ফাতাওয়া, ২৮ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩৯-৫৪০)

 

[শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ. উপরোক্ত ফাতওয়া থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, যে ব্যক্তি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সাহায্য সহযোগিতা করবে, তার উপর রিদ্দাহ তথা মুরতাদের হুকুম পতিত হবে। মুরতাদ তাতারীদের ক্ষেত্রে এই হুকুম প্রযোজ্য হলে আল-কুরআনে বর্ণিত ইসলাম ও মুসলিমদের চিরন্তন শত্রু ক্রুসেডার-জায়নবাদী কাফির-মুশরিকদের সাহায্য-সহযোগিতাকারী তাতারীদের সাথে যোগ দেওয়া ব্যক্তির চেয়েও অধিক জঘন্য মুরতাদ, এব্যাপারে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই। 

 

শাইখুল ইসলামের ফাতাওয়া থেকে এটিও দ্ব্যার্থহীনভাবে স্পষ্ট হলো যে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফির-মুশরিকদের সাহায্য-সহযোগিতাকারী ব্যক্তির জন্য কোনো ধরণের ওযর গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি যদি কেউ বাধ্য হয় কাফির-মুশরিকদের পক্ষ হয়ে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে,তার জন্যও দুনিয়াতে কোনো ওযর নেই বরং সে যদি নিজের ঈমান বাঁচাতে চায় তাহলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহায়তা না করে প্রয়োজনে কাফিরদের হাতে জীবন দিতে হবে। এমনকি ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে কাফির মুশরিকদের সাড়িতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি বন্দী হলে তার উপরও দুনিয়াতে কুফরের হুকুম আরোপিত হবে, যেমনটি হযরত আব্বাস রা. এর উপর আরোপিত হয়েছিল। তবে বাধ্য হয়ে কাফিরদের সাথে এসেছে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থেকেছে, এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেলে ভিন্ন কথা।

 

তাহলে সেইসব ব্যক্তিদের হুকুম কী হতে পারে, যারা আজকে সারা দুনিয়াতে ইসলামের চিরন্তন শত্রু ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদেরকে ইসলাম ও  মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরাসরি সহায়তা করে যাচ্ছে, এমনকি কাফিরদের গ্রাউন্ড ফোর্স হিসেবে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। শাইখুল ইসলামের ভাষায় বলা যায়, যারা ইসলাম ও  মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইয়াহুদী-খ্রিস্টানদেরকে সরাসরি সাহায্য করছে, সেনাবাহিনী-বিমান ও অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা, মুজাহিদদেরকে হত্যা করছে,বন্দী করছে এবং নিশ্চিহ্ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, তাদের রিদ্দার ব্যাপারে একমাত্র জাহেল ছাড়া আর কেউ সংশয় পোষণ করতে পারে না । ]

 

লেখকঃ Zamil_Hasan

১ম পর্বের লিংক.....https://justpaste.it/riddah1

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

তাওহীদ ও জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজের উপর গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা সম্বলিত মূল পেইজ

লিংক...https://justpaste.it/tawhid_jihad