JustPaste.it

আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad (পূর্বনাম #Abdul_Wahed) এর সীমাহীন জাহালাত, মিথ্যাচার ও জালিয়াতির ফিরিস্তি..... পর্ব-২


( ১ম পর্বের লিংক..... https://justpaste.it/abdul_ahad1


৪। গণ্ডমূর্খতা কাকে বলে !!! (মুরতাদ বললে নাকি তাকফীর করা হয় না !! মুরতাদদের ইরতিদাদ নাকি কুফুরী নয় !! )

আমি পুর্বেই বলেছি যে, শরীয়তের ব্যাপারে তার প্রাথমিক জ্ঞানও নেই। সে তার ২ নং লেখায় বলেছে, মুরতাদ বললে নাকি তাকফীর করা হয় না !! মুরতাদদের ইরতিদাদ কোন কুফুরি নয় !!! বিশ্বাস না হলে দেখতে থাকুন........

// ♣ মুজাররাদাহ মুরতাদদের, মুরতাদ বলা কি তাকফির...??
---------------------
ইবনে আবদুর রহমান, ইসহাক রঃ, আবদুল ওহহাব রঃ এদের মতে এসব মুরতাদদের ইরতিদাদ কোন কুফুরি নয়।
এদের সঠিক দ্বীনে ফিরে আসতে হবে।
এদের ত্বওবা কবুল করা হবে।এদের হত্যা করা হবেনা।
এদের মুরতাদ বলাও তাকফির নয়!
সুখাইমান বিন সুহবান রহঃ এর মতেও তাকফির হবেনা!।।
...................... শাইখ আবা বাতিন রহঃ বলেন , এ সব লোকদের মুর্তাদ বলা কখনো তাক্ফীর হবেনা।।।//
// . আরো পরিস্কার ভাবে বলা হয়ে যে এ সব মুজাররাদ মুরতাদদের মুর্তাদ বললে কি তাক্ফীর হবে?
উত্তরঃ না এদের মুর্তাদ বলা তাক্ফীর হবেনা..
বিস্তারিত ফতুয়া .................. সুলাইমান বিন সুহমান রহঃ এর মতেও তাক্ফীর হবেনা// (উপরের কথাগুলো আব্দুল ওয়াহেদ এর)

তার এই চরমতম মূর্খতাসুলভ কথাগুলো উপরোক্ত আলিমরা কোথায় বলেছেন, সে যেনো তা অনুবাদ করে দেখায় !!
মক্তবে কিংবা ফোরকানিয়ায় পড়া একজন শিশু ছাত্রেরও জানার কথা যে, একজন ব্যক্তি যখন মুসলিম থেকে কাফির হয়, তখনই তাকে মুরতাদ বলা হয়। আর কাউকে তাকফির করা মানে মুরতাদ বলা, মুরতাদ বলা মানেই তাকফীর করা।
কিন্তু তার মতে, মুরতাদ বললে নাকি তাকফীর করা হয় না !! মুরতাদদের ইরতিদাদ নাকি কুফুরী নয় !!

তার মাথায় এতোটুকু ঘিলু নেই যে, কুফুরী না হলে সে কীভাবে মুরতাদ হলো ???
সে আগে বলেছে, সাহাওয়াত বললে তাকফীর করা হয় না !! এটা না হয় বুঝলাম যে, জিহাদের ময়দানের ব্যাপারে এবং সাহাওয়াত শব্দের প্রয়োগের ব্যাপারে সে অজ্ঞ; কিন্তু মুরতাদ বললে তাকফীর করা হয় না, এটা কীভাবে তার মতো একজন বিজ্ঞ (!) শায়খ ( খারিজী আইএসের কতিপয় জাহেল সমর্থকের মতে। তারা যেনো তাদের এই গন্ডমূর্খ শায়খের বেহাল অবস্থা দেখে যায় !! আর দেখবেই বা কী !! তাদের অবস্থা আরো কী যে শোচনীয় !! সুবহানাল্লাহ ! )

আসলে সে এক লাইন আরবী অনুবাদ করাতো দূরের কথা হরকত ছাড়া এক লাইন আরবী সম্ভবতঃ ডিনামাইট মারলেও বলতে পারবে না। এমনকি সে তাকফীর,মুরতাদ শব্দের অর্থ এবং এই পরিভাষা সম্পর্কেও জানে না। জানলেতো একথা বলতো না যে, মুরতাদ বললে তাকফীর করা হয় না।

উপরে যেসব আলিমদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে, সে তার লেখায় বিভিন্ন কিতাব থেকে উনাদের বক্তব্য কপি করেছে, অথচ সে একটি লাইনেরও অনুবাদ করেনি ! আর তার উপরোক্ত কথার একটি বাক্যও উক্ত আলিমদের কথায় নেই।
আশ্চর্যের বিষয় কী জানেন ?
এসব বিশ্ব-মূর্খতা প্রদর্শন করার পর সে লিখেছে......
// মুরতাদ কে মুরতাদ মনে না করা, তাঘুত ও তার সহযোগীদের তাক্ফীর না করা এগুলো জাহমিয়্যাদের আকীদাহ..//

অর্থাৎ শরী’আহর প্রাথমিক জ্ঞান নেই এবং তাকফীর,ইরতিদাদ,মুরতাদ এসব শব্দের ব্যাপারে অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত চরমতম জাহেল হওয়ার পরেও সে কিন্তু খারিজী ধোঁকাবাজদের আকীদা ঠিকই প্রকাশ করেছে !

তার মূর্খতা প্রকাশ করার জন্য সে আলিমদের অন্য প্রসঙ্গের বক্তব্য কপি করে নির্মম ধোঁকাবাজি ও জালিয়াতি করেছে।

৫। আইএসের মুখপাত্র আদনানীর বক্তব্য নিয়ে ধোঁকাবাজিঃ

আমার লেখায় আইএসের মুখপাত্র আদনানীর বক্তব্যের হবহু অনুবাদ দিয়ে প্রমাণ করেছি যে, আদনানী বলেছেঃ //তুমি বুঝো আর না বুঝো (আইএস)ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাধ্যমে তুমি কুফরে পতিত হবে।//
এই #Abdul_Wahed তার ব্যাপক আরবী ভাষাজ্ঞান (তার ব্যাপক আরবী ভাষাজ্ঞান নিয়ে সামনে লেখা আসছে।) প্রয়োগ করে এটি বুঝানোর চেষ্টা করেছে যে, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যারা করে তাদেরকেই শুধু আইএস তাকফীর করে !!!


অথচ আইএসের এদেশীয় অফিসিয়াল সাইট আত-তামকিন এ প্রকাশিত আর্টিকেল কী বলছে দেখুন...... (১ম পর্বে এই লেখার লিংক দেওয়া আছে)
// এরপরও যদি এই বিষয়ে আরও কিছু সন্দেহ থাকে, তাহলে জেনে রাখুন জাবহাত আল-জাওলানীর প্রত্যেক সদস্য সে দাওলাতুল ইসলামের সাথে যুদ্ধ করুক বা না করুক তাকে ইসতিতাবাহ কোর্সে অংশ নিতে হবে যার অর্থ তাকে অবশ্যই কুফর থেকে তাওবাহ করতে হবে যা সে সম্পাদন করেছে। এই কোর্সের একটি অংশ হল যে সে ব্যক্তিগতভাবে স্বীকারোক্তি প্রদান করবে যে, সে একজন মুরতাদ ছিল।//
....... যুদ্ধ করুক বা না করুক মুরতাদ ছিল !!!
এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, সে খারিজী আইএসের আকীদাও জানে না।

৬। নতুন শরীয়ত প্রণয়নঃ 

আমি আরো অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে, এই নব্য খারিজী আইএস ও অজ্ঞতার অন্তহীন সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া তাদের সমর্থকরা শরীয়তে নতুন নতুন বিধান তৈরি করেছে।
এই ব্যক্তি বাগদাদীর হারানো রাজ্যকে ইসলামী রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে বলেছে, এধরনের ইসলামী রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে নাকি কাফির হয়ে যাবে ? দেখুন তার ১ নং লেখায়......
//অতএব উপরের ৩টি মৌলিক শর্ত যদি বর্তমান ইসলামিক স্টেট এর কাছে পাওয়া যায়, তাহলে তারা অবশ্যই বৈধ ইসলামী রাস্ট্র..
এবার এধরনের ইসলামী রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা তার সহযোগিতা করা শরীয়তে হুকুম কি??
হ্যা! শরীয়ত বলে কাফির হয়ে যাবে...//

এধরণের কথা বিগত ১৪০০ বছরের ইসলামের ইতিহাসে কোনো ফকীহ,মুহাদ্দিস কিংবা কোনো আলিম বলেননি। খোলাফায়ে রাশেদীনের অন্তর্ভুক্ত একজন হযরত উসমান রাঃ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী ও যুদ্ধকারী ব্যক্তিদেরকে কেউ তাকফীর করেনি। আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে জঙ্গে জামাল ও জঙ্গে সিফফিনে যারা যুদ্ধ করেছে বিগত ১৪০০ বছরের ইসলামের ইতিহাসে কেউ তাদেরকে তাকফীর করেনি।
এমনকি যে খারিজীরা আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে,তাদেরকে কোনো সাহাবী,তাবেয়ী,তাবে’ তাবেয়ী কিংবা উম্মাহর কোনো ফকীহ,মুহাদ্দিস কিংবা কোনো আলিম তাকফীর করেনি !!

সে বাগদাদী ও তার চৌদ্ধগোষ্ঠী নিয়ে যেনো এমন একটি প্রমাণ দেখায় যেখানে শুধুমাত্র খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কারণে কাউকে তাকফীর করা হয়েছে।
অথচ তাদের নতুন শরীয়তে তাদের দলীয় খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে নাকি কাফির হয়ে যাবে !!
আর তাদের বানানো এই নব্য শরীয়তের আলোকেই শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ‘ইসলামী বসন্ত’ লেকচারে তার মতো একটা গণ্ডমূর্খ ১০০ টি শরীয়ত বিরোধী কথা খুঁজে পায় !!

আশা করি সবাই বুঝে নিয়েছেন, আসলে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ‘ইসলামী বসন্ত’ লেকচারে তাদের এই নব্য শরীয়তের বিরুদ্ধে সে ১০০ টি কথা পেয়েছে।

৭। ইমাম মুসলিম রাহঃ এর নামে জালিয়াতিসমষ্টিঃ

সম্ভবতঃ বিশ্ব-ইতিহাসে এতো বড় জাহালাত ও ধোঁকাবাজির ঘটনা খুব কমই ঘটেছে ! তাদের বাতিল দলের বিরুদ্ধে কেউ যুদ্ধ করলে সে কাফির হয়ে যাবে, এই মর্মে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে এক ব্লগ থেকে একটি লেখার অংশ কপি করে সেটিকে ইমাম মুসলিম রাহঃ এর ফাতাওয়া (সে লিখেছে ফুতুআ) বলে চালিয়ে দিয়েছে।
দেখুন... তার ১ নং লেখা থেকে......

//ইমাম মুসলিম এর ফুতুআ ,
http://www.almeshkat.net/vb/archive/index.php/t-38564.html
ولقد كان الكفار هم الذين يصدون عن سبيل الله،....... ولتقيم سلطان القرآن وترفع راية الاسلام .
এবং সকল ইমামগণের মতেই কাফির হয়ে যাবে, সে ব্যাক্তি যে ইসলামী রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।।//

*** কতগুলো ধোঁকাবাজি সে এখানে করেছে খেয়াল করুন।
ক। এখানে এই প্রসঙ্গে কোনো কথাই বলা হয়নি। তার প্রদানকৃত লিংকে গিয়ে লেখাটি পড়ে দেখুন।
খ। এটি একটি ব্লগে লেখা একজনের আর্টিকেলের অংশ। এমনকি সে তার ধোঁকাবাজি পূর্ণ করতে উক্ত লেখাটির শুরু থেকে এবং মাঝখান থেকে বাদ দিয়ে ইমাম মুসলিম রাহঃ এর নামে চালিয়ে দিয়েছে। 
গ। এটি কোনো ফাতাওয়াই নয়।
ঘ। একটি ব্লগের একজন ব্যক্তির লেখার অংশকে ইমাম মুসলিম রাহঃ এর ফাতাওয়া বলে চালিয়ে দিয়েছে।

এভাবেই এই চরমতম জাহেলগুলো ইসলামী শরীয়তে নতুন নতুন বিধান যোগ করে কীভাবে উম্মতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদেরকে তাকফীর করা যায়, এই ধান্ধায় লিপ্ত রয়েছে।

২য় পর্বের শেষে তার প্রতি আমার আহবান থাকবে, সে যেনো তার এসব জাহালাত ও নির্মম মিথ্যাচার স্বচক্ষে দেখে তাওবার পথ অবলম্বন করে। আর সে যদি এসব জাহালাত, ধোঁকাবাজি ও মনগড়া শরীয়ত বানিয়ে মানুষকে খারিজী আইএসের বাতিল মতবাদের দিকে নিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে, তাহলে সে যেনো এটিও জেনে রাখে, তার চরম জাহালাত ও ধোঁকাবাজি আমি এমনভাবে প্রকাশ করবো, যাতে তার এসব আবর্জনা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ইনশাআল্লাহ্‌।

 

ফেইসবুকে প্রকাশিতঃ ২১/০১/২০১৮

লিংক....  fb.com/142696749752432    

 

বিঃদ্রঃ  জিহাদ ও আইএস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে মূল পেইজে যেতে পারেন। 

লিংক....   https://justpaste.it/Abdullah_Hasan