মুজাহিদ উমারা ও আলিমদের ব্যাপারে আইএস/দাওলার পূর্বাপর অবস্থান............
►►► শাইখ আবু কাতাদা ও শাইখ মাক্বদিসীর ব্যাপারে আইএস/দাওলার পূর্বের অবস্থানঃ
১। ২০১১ সালে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে আইএস/দাওলার প্রধান অফিসিয়াল মিডিয়া আল-ফুরক্বান মিডিয়ার পক্ষ থেকে “ خمسة أعوام لدولة الإسلام” অর্থাৎ দাওলাতুল ইসলামের ৫ বছর শিরোনামে কয়েকটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। তার মধ্যে একটি ফিলিস্তিনের মুজাহিদ শাইখ আব্দুল লতীফ মূসা রাহিঃ কে নিয়ে। ভিডিওটিতে ‘জামা’আতুত তাউহীদ ওয়াল জিহাদ’ এর লোগো সংযুক্ত করা হয়।
শাইখ আব্দুল লতীফ মূসা রাহিঃ হামাসকে গণতান্ত্রিক পন্থা ছেড়ে আল্লাহর শরী’আ কায়েম করার আহবান জানালে হামাস উনার মাসজিদে হামলা করে শাইখকে হত্যা করেছিলো।
ভিডিও বার্তাটির লিংক..... https://archive.org/details/shamikh026
সরাসরি দেখুন বা ডাউনলোড করুন.... https://ia600306.us.archive.org/5/items/shamikh026/d1.mp4
উক্ত ভিডিও বার্তায় দাওলা আম্বিয়া আঃ,হক্ব দা’য়ী ও উলামাদের উপর যুগে যুগে নির্যাতনের বিবরণ দিতে গিয়ে তাতে শাইখ ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিঃ সহ বেশ কয়েকজন মুজাহিদ আলিমের ছবি সংযুক্ত করে। এর মধ্যে সত্যপন্থী মুজাহিদ আলিম হিসেবে শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ এবং শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ এর ছবিও যুক্ত করে।
>>> ভিডিওটির ৩ মিঃ ৪৭ সেকেন্ডে শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ এর ছবি দেখুন।
>>> ভিডিওটির ৩ মিঃ ৫৬ সেকেন্ডে শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ এর ছবি দেখুন।
অর্থাৎ ২০১১ সালে এই দুই শাইখ দাওলার কাছে সত্যের পতাকাবাহী আলিম ও দা’য়ী হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন।
২। শাইখ আবু কাতাদা ও শাইখ মাক্বদিসীর ব্যাপারে দাওলার শামের শার’য়ীর পূর্বের বক্তব্যঃ
২০১৪ সালের জানুয়ারির ২১ তারিখ তৎকালীন ISIS এর শামের একজন শার’য়ীর(শরী’আহ বিশেষজ্ঞ) “يا ليت قومي يعلمون"
رسالة من مجاهد في الدولة الإسلامية إلى العلماء الصادقين والدعاة الناصحين وإخوانه المجاهدين وسائر المسلمين
অর্থাৎ “ইসলামিক স্টেইটের মুজাহিদের পক্ষ থেকে ‘সত্যবাদী আলিম’, নাসীহাহ প্রদানকারী ‘দায়ী’গণ, মুজাহিদ ভাই, সমস্ত মুসলিমদের প্রতি বার্তা” শিরোনামে একটি বার্তা দেন।
তৎকালীন ISIS এর শার’য়ী “أبو عبادة المغربي محمد سموح الراشد” উনার উক্ত বার্তায় বলেন........
“الرسالة الأولى : إلى العلماء الناصحين والدعاة الصادقين ... وعلى رأسهم المشايخ سليمان العلوان وأبي محمد المقدسي وأبي قتادة الفلسطيني فك الله أسرهم ورفع من قدرهم : ً ونعني كم ابتداء لأنكم المنارات التي بها تكشف مثل هذه الفتن فكما قال الحسن البصري رحمه الله " إن الفتنة إذا أقبلت عرفها كل عالم وإذا أدبرت عرفها كل جاهل " ، فنحن نعول بعد الله عليكم ، مشايخنا الأفاضل”
“প্রথম বার্তাঃ নাসীহাহ প্রদানকারী ‘আলিমগণ ও সত্যবাদী ‘দায়ী’গণের প্রতি..... আর তাদের সর্বোচ্চে যে মাশাইখগণ রয়েছেন তারা হচ্ছেন, সুলাইমান আল-উলওয়ান,আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসী এবং আবু ক্বাতাদা আল-ফিলিস্তিনী আল্লাহ্ তাদেরকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করুন এবং তাদের মর্যাদা সমুন্নত করুন। আমরা সর্বপ্রথম আপনাদেরকেই বিবেচনা করি, কারণ আপনারা হচ্ছেন এমন আলোকবর্তিকা যাদের মাধ্যমে এধরণের ফিতনাহ স্পষ্ট হয়। যেমনটি হাসান-আল বাসরী রাহিঃ বলেছেন...... “যখন ফিতনাহ আসে,তখন প্রত্যেক ‘আলিম তা চিনতে পারে। আর যখন ফিতনাহ চলে যায়,তখন প্রত্যেক জাহেল(মূর্খ) তা চিনতে পারে।”। সুতরাং আমরা আল্লাহর পরে আপনাদের উপর নির্ভর করি।”
বার্তাটির লিংক......... https://justpaste.it/e5vd
আশ্চর্য্যের বিষয় কী জানেন !!
যেই দাওলার শার’য়ী ২০১৪ সালে শাইখ সুলাইমান আল-উলওয়ান,আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসী এবং আবু ক্বাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিযাহুমুল্লহদেরকে লক্ষ্য করে “আমরা আল্লাহর পরে আপনাদের উপর নির্ভর করি।” এই কথা বলেছেন, আজ সেই আলিমদের কথা অনুসরণ করাকে দাওলা তাক্বলীদ বলে আখ্যা দিয়ে তাকে শিরক বানানোর চেষ্টা করে।
(দাবিক্ব সংখ্যা-১১, পৃষ্ঠা-১০-১৪ তে লিখা The Evil Of Division And Taqlīd আর্টিকেলটি পড়লেই তা বুঝতে পারবেন। )
►►► শাইখ আবু কাতাদা ও শাইখ মাক্বদিসীর ব্যাপারে বর্তমানে দাওলার বক্তব্যঃ
১। আল-কায়েদার আলিমদের(বিশেষ করে শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ এবং শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ)কে উদ্দেশ্য করে “জ্ঞানী গাঁধা” বলে উপহাস করেছে দাওলার মুখপাত্র.........
Look with the perspective of the Sharī’ah and the evidence, and then don’t turn to the fatāwā of the donkeys of knowledge who’ve stumbled and fallen in trash.
“শরী’আহ এবং দলীলের দৃষ্টিভঙ্গিতে লক্ষ করুন, আর জ্ঞানের গাঁধাদের ফাতাওয়ার দিকে লক্ষ্য করবেন না,যারা হোঁচট খেয়েছে এবং আবর্জনায় পতিত হয়েছে।”
দাওলার মুখপাত্রের উপরোক্ত বক্তব্যের অডিও বার্তা ও ইংরেজি অনুবাদের লিংক.... http://tinyurl.com/p37oeky
২। ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দাওলার মুখপাত্র “قل للذين كفروا ستغلبون” অর্থাৎ “আপনি কাফিরদেরকে বলে দিন ! তোমরা অচিরেই পরাভূত হবে ” শিরোনামে একটি বার্তা দেন। দাওলার মুখপাত্র তাতে আল-কায়েদার আলিমদের ব্যাপারে(বিশেষ করে শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ এবং শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃকে উদ্দেশ্য করে) যা বলেছেন ....................
“তাই যদি তোমাদের বোকাদের- এর মানে তোমাদের “জ্ঞানী” লোকদের – ফাতাওয়া সমূহ আমাদের নিরুৎসাহিত কিংবা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় তাহলে যদি তোমরা চাও,নিরাপত্তা কাউন্সিল বা জাতিসংঘের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো................”বার্তাটির পৃষ্ঠা-৮
“আমাদের বিরুদ্ধে জিহাদের ভুয়া দাবীদাররা আর বোকারা যতই মিথ্যা বলুক তা তোয়াক্কা না করে আমরা আমাদের বিস্ফোরণ সমূহ আর ধ্বসাত্মক হামলা চালিয়ে যাবো, এমনকি যদিও এই বোকাদের ভুলক্রমে “জ্ঞানী লোক” বলে সম্বোধন করা হয়।” (বার্তাটির পৃষ্ঠা-৯)
“আর যদি “জ্ঞানের” গাধা-খচ্চরদের ফাতাওয়া তোমাকে বিভ্রান্ত করে থাকে, তাহলে আমি তোমাকে এমন এক বিষয়ের দিকে নির্দেশিত করবো,যার ব্যাপারে গভীর পর্যবেক্ষণ করলে তুমি সত্যকে জানতে পারবে।” (বার্তাটির পৃষ্ঠা-১১)
“যদি তুমি তোমাদের তথাকথিত “তাত্ত্বিক” আর “বড় হুজুরদের” দাবি অনুসারে মনে করো যে তারা গোমরাহ হয়ে গেছে........” (বার্তাটির পৃষ্ঠা-১২)
বার্তাটির বাংলা অনুবাদের লিংক....... http://tinyurl.com/hnqdc4e
বার্তাটির ইংরেজি অনুবাদের লিংক..... https://ansaaar1.wordpress.com/
৩। দাবিক্ব-৬, ৩৮ পৃষ্ঠায় ছবিসহ শাইখ মাকদিসী ও শাইখ আবু কাতাদাকে Misleading Scholars বা বিভ্রান্ত স্কলার বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ।
শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে উদ্দেশ্য করে দাওলার পূর্বের বক্তব্যঃ
►►► শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে উদ্দেশ্য করে দাওলার মুখপাত্রের ‘(হাকীমুল উম্মত)’ বলাঃ
২০১১ সালে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর শাহাদাতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তৎকালীন ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের পক্ষ থেকে দেয়া “رثـاء الإمــام مــن ربـوع دولـة الإسـلام” অর্থাৎ “দাওলাতুল ইসলামের ঘর(এলাকা) থেকে ইমামের জন্য শোকগাথা” শিরোনামে দাওলার মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানীর একটি ভিডিও বার্তা প্রদান করা হয়। তাতে দাওলার তৎকালীন ও বর্তমান মুখপাত্র আবু মুহাম্মদ আল-আদনানী উনার বক্তব্যে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে উদ্দেশ্য করে বলেন........(ভিডিওটির ১৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে)
“وإلى الدكتور الشيخ أيمن الظواىري حكيم أمتنا”
অর্থাৎ (পরিশেষে আমরা বলবো)আমাদের উম্মতের প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি (হাকীমুল উম্মত) ডঃ শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি ”
ভিডিওটির লিংক....... https://archive.org/details/Reth-Dawalah
ভিডিওর পিডিএফ(আরবী) ডাউনলোড লিংক..... https://archive.grupa17.pl/details/nokbah990
►►► দাওলার মসূলের শার’য়ী কর্তৃক শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে ‘হাকীমুল উম্মত’ বলাঃ
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে তৎকালীন ISIS(বর্তমান আইএস) এর ইরাকের মসূলের শার’য়ী ‘أبو العباس التميمي’ শামের ঘটনাবলী এবং আইএস/ দাওলার বিরুদ্ধে তাকফীরের অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে শাইখ আইমান লা-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি “رسالة إلى حكيم الأمة الشيخ أيمن الظواهري حفظه الله” “হাকীমুল উম্মত শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি একটি চিঠি” শিরোনামে একটি বার্তা প্রকাশ করেন।
দাওলার মসূলের শার’য়ী শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ প্রতি যেভাবে সম্মান ও বিনয় প্রদর্শন করে কথা বলেছেন,তা আজ অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় মনে হবে। তাদের পূর্বের সাথে বর্তমানের তফাৎ বুঝার সুবিধার্থে উক্ত বার্তার নিম্নের অংশটুকু পড়ুন.....................
“সর্বপ্রথম এবং এই সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মূল উদ্দেশ্যে প্রবেশ করার পূর্বে এমনকি আমরা এমন প্রত্যেক জাহেল অথবা হিংসুক অথবা মন্দ নিয়্যাতকারী,নিকৃষ্ট বাসনা লালনকারীর রাস্তা কেটে দিচ্ছি।
আশ্চর্য্যের কোনো বিষয় নয়,আমরা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর জন্য আমাদের মুহাব্বত,আমাদের বন্ধুত্ব এবং আমাদের সাহায্য ঘোষণা করতে চাই। তিনি আমাদের থেকে এবং আমরা উনার থেকে। আর তিনি আমাদের শাইখ এবং আমাদের শিক্ষক।
আর ইসলামিক স্টেইটে তার সন্তানেরা জিহাদের আলোকিত পথের সৌন্দর্য্যের মধ্যে একটি সৌন্দর্য্য, তিনি( শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ) এবং পূর্ববর্তী আকাবিরগণ যার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে,আর তাদের কেউ কেউ অপেক্ষা করছে। অচিরেই এই চারাগাছ পত্রপল্লবে সুশোভিত হয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় ও প্রতিষ্ঠা লাভ করে ফলদান করবে,যেমনটি আমরা ভালোবাসি এবং আকাঙ্খা করি।
উহার উপর ভিত্তি করে নিশ্চয়ই যে শাইখ সম্পর্কে মন্দ কথা বলে কিংবা (নেতিবাচক) কথা বলে আমরা এমন প্রত্যেক জাহেল অথবা হিংসুক অথবা ফিতনাগ্রস্ত ব্যক্তি থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করছি। আর আমরা উক্ত ব্যক্তির কথা সর্বাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যান করছি,এমনকি যদিও সে আমাদের সহযোগী দাবি করে। সুতরাং এ ধরণের কথা আমাদের কথার অনুরুপ নয় এবং আমরা তাতে সন্তুষ্ট নই।
বরং শাইখ যদি আমাদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় নাসীহাহ প্রদান করে কিংবা শাইখের কাছে যদি এমন বিষয় প্রাধান্য পায়,যা আমাদের মতের বিপরীত তবুও তা আমাদের কাছে আমাদের কতিপয় সহযোগীদের চেয়ে অধিক প্রিয়। নিশ্চয়ই আমরা ইয়াক্বীনের ভিত্তিতে মনে করি যে, শাইখ(আল্লাহ তা'আলা উনাকে সরল পথের উপর রাখুন) তার কথায় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আল্লাহর দ্বীনের সাহায্য ব্যতীত অন্য কিছু উদ্দেশ্য করেননি।
উহার উপর ভিত্তি করে নিশ্চয়ই যে শাইখ সম্পর্কে মন্দ কথা বলে কিংবা (নেতিবাচক) কথা বলে, আমরা এমন প্রত্যেক জাহেল অথবা হিংসুক অথবা ফিতনাগ্রস্ত ব্যক্তি থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করছি। আর আমরা উক্ত ব্যক্তির কথা সর্বাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যান করছি,এমনকি যদিও সে আমাদের সহযোগী দাবি করে। সুতরাং এ ধরণের কথা আমাদের কথার অনুরুপ নয় এবং আমরা তাতে সন্তুষ্ট নই। ”
(দাওলার মসূলের শার’য়ীর উপরোক্ত বার্তার লিংক..... https://justpaste.it/e9os অথবা https://dawaalhaq.com/post/10325 )
(শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে লক্ষ্য করে দাওলার মসূলের শার’য়ীর উপরোক্ত চিঠির বক্তব্যগুলো ভালোভাবে পড়ুন। আর নিচে তাদের বর্তমান বক্তব্যের দিকে লক্ষ্য করুন, তাহলে তারা কতটা বদলে গেছে,তা প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে প্রকাশ্য দিবালোকের চেয়েও অধিক স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ্। )
শাইখ আইমান হাফিঃ কে উদ্দেশ্য করে দাওলার বর্তমান বক্তব্যঃ
►►► দাওলার মুখপাত্র কর্তৃক শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীকে মূর্খ/নির্বোধ বলা !ঃ
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দাওলার মুখপাত্র “قل للذين كفروا ستغلبون” অর্থাৎ “আপনি কাফিরদেরকে বলে দিন ! তোমরা অচিরেই পরাভূত হবে ” শিরোনামে দেয়া বার্তায় শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে উদ্দেশ্য করে বলেন ............. ...............
“আমাদের অনেক ভাই আমাদের ধারাবাহিক দিগন্ত ঢেকে দেয়া মিথ্যা সমূহের প্রতিক্রিয়া প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছেন। তখন আমরা পরিতাপের সাথে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে করতে বলিঃ
[কবিতা]
বিচক্ষণতা কখনই এক বৃদ্ধের ভীমরতিকে অনুসরণ করে না।
বরং তা অনুসরণ করে তারুণ্যের শিশুসুলভতাকে।
আমি সেই মূর্খের প্রতি নীরব ছিলাম আর তাই সে ভাবল আমি জবাব দিতে অপারগ !
একজন লোক যে একজন মৃত ব্যক্তির প্রতি বাইয়াহ প্রদান করে এবং উম্মাহকে একজন মৃত ব্যক্তির প্রতি বাইয়াহ প্রদান করতে আহবান করে, সে লোক কি কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়ার যোগ্য ?” (বার্তাটির পৃষ্ঠা-১০)
(শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে দাওলার যেই মুখপাত্র ‘হাকীমুল উম্মত’ বা উম্মতের জ্ঞানী বলে আখ্যা দিয়েছিলো,আজ সেই একই মুখপাত্র শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে মূর্খ/নির্বোধ বলছে ! উম্মতের প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিটি আজ মূর্খ ও নির্বোধ হয়ে গেলো শুধুমাত্র এই নব্য খারিজীদের বাতিল মতবাদকে মেনে না নেওয়ার কারণে !! )
►►► দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামী কর্তৃক শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীকে ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ বলে আখ্যা দেয়া ! :
দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামী শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে ‘ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ’ আখ্যা দিয়েছে। আবু মাইসারাহ আশ-শামীর আর্টিকেলের শিরোনাম হচ্ছে.......
أيها الشباب في الصومال:السفيه الخرفان يبايع طاغوت طالبان!
অর্থাৎ “হে সোমালিয়ার আল-শাবাব ! ভীমরতিগ্রস্ত নির্বোধ, তালিবানের ত্বগুতকে বাই’আত দিয়েছে” ।
দাওলার শার’য়ী আবু মাইসারাহ আশ-শামীর মূল (আরবী) আর্টিকেলের লিংক..... http://justpaste.it/p1dt
ইংরেজি অনুবাদের লিংক..... http://tinyurl.com/zf2yjs2
সংযোজনঃ
(ইতোমধ্যে প্রকাশিত খারিজী আইএসের ম্যাগাজিন রুমিয়া-৮ এ শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ এবং শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ কে ত্বগুত স্কলার বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি আইএসের হিমস প্রদেশ থেকে প্রচারিত এক নির্দেশনায় সউদি ত্বগুত শাসকদের কারাগারে বন্দী গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত শাইখ সুলাইমান আল-উলওয়ান হাফিঃ কে পরোক্ষভাবে তাকফীর করেছে। শাইখ সুলাইমান আল-উলওয়ান হাফিঃ এর বিরুদ্ধে খারিজী আইএস ৫ টি অভিযোগ দায়ের করেছে,এধরণের যেকোনো একটি অভিযোগের বিপরীতে নব্য খারিজী আইএস যে কাউকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে থাকে। )
এখন যদি নব্য খারিজী আইএসের কোনো জাহেল সমর্থক শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ, শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ এবং শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ এর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বের কোনো বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে কিংবা শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর নেতৃত্ব নিয়ে নব্য খারিজীদের কোনো সমর্থক প্রোপাগান্ডা চালানোর অপচেষ্টা চালায়,তাহলে এর অর্থ হবে, হয় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নব্য খারিজীরা বাতিল-মিথ্যার উপর ছিলো ! এরপরে তারা তাদের বানানো নব্য শরীয়ত অনুযায়ী সঠিক/হক্ব হয়েছে !!!
কিন্তু খারিজীরা দাবি করছে,তারা নাকি আগের মতোই আছে !!! তাহলে কারা বদলে গেছে !!!!
অথবা নব্য খারিজীদের নেতারা মুসলিম উম্মাহকে ধোঁকা দেওয়া ও প্রতারণা করার জন্য তখন মুজাহিদ উমারা ও উলামাদের ব্যাপারে এধরণের প্রশংসা করেছিলো !!!
এই দুইয়ের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ খারিজী সমর্থকদের নেই !!!
আশা করি খারিজী নেতাদের পরিবর্তন ও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বুঝার জন্য এই লেখাটি সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ্।
আল্লাহ তা'আলা খারিজী সমর্থকদেরকে সত্য বুঝার ও তা মেনে নেওয়ার বিশুদ্ধ মানসিকতা দান করুন এবং বাতিল মতবাদ পরিহার করার তাউফীক্ব দান করুন।
(লেখাটি ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে লেখা হয়েছিলো। আর ‘সংযোজন’ অংশটুকু আজ লেখা হয়েছে।)
বিঃদ্রঃ জিহাদ ও আইএস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে মূল পেইজে যেতে পারেন।
লিংক.... https://justpaste.it/Abdullah_Hasan