JustPaste.it

সংক্ষিপ্ত তাওহিদ প্রজেক্ট -৬ || শিরকের পরিচয় ও প্রকারভেদ

شرك এর পরিচয়ঃ- আল্লাহ তা’য়ালার সাথে খাস এমন কিছুকে গাইরুল্লাহর সাথে সাব্যস্ত করা।

 

شرك এর প্রকারভেদঃ-

শিরক দুই প্রকারঃ

১ | الشرك الأكبر বড় শিরক।

২ | الشرك الأصغر ছোট শিরক।

 

شرك أكبر ইহা মুসলিমকে ইসলামকে থেকে বের করে দেয়। আর শিরকে আকবার কারীকে আল্লাহ তায়া’লা তাওবাহ ব্যাতিত ক্ষমা করবেন না।এবং সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী অবস্থায় আল্লাহ তায়া’লার সাথে সাক্ষাৎ করবে।

 

শিরকে আকবার অনেক তবে এর মূল ধরন হলো চার প্রকারঃ-

১/شرك الدعاء (দোয়ার ক্ষেত্রে শিরক)

وَمَن يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِندَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ

আর যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে, যে বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ নেই; তার হিসাব কেবল তার রবের কাছে। নিশ্চয় কাফিররা সফলকাম হবে না। (সূরা মুমিনুন,আয়াতঃ১১৭)

 

২/شرك الطا عة (আনুগত্যের ক্ষেত্রে শিরক)

আর তা হলো পন্ডিত, সংসার বিরাগী, উলামায়ে সূ এবং নেতা-নেতৃদেরকে আল্লাহর অবাধ্যে   আনুগত্য করা।

আল্লাহ তায়া’লা এরশাদ করেন,

يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِي النَّارِ يَقُولُونَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللَّهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولَا -وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا

যেদিন আগুনে তাদের মুখমণ্ডল ওলট পালট করা হবে; সেদিন তারা (অনুতাপ প্রকাশ করে) বলবে, হায়! আমরা যদি আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করতাম।”

তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের আনুগত্য করেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল।”(সূরা আহযাব,আয়াতঃ৬৬-৬৭)

 

৩/شرك  المحبة মুহাব্বতের ক্ষেত্রে শিরক।

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

 وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَهُمۡ کَحُبِّ اللّٰهِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰهِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰهَ شَدِیۡدُ الۡعَذَاب

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালবাসার মত ভালবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালবাসায় দৃঢ়তর। আর যদি যালিমগণ দেখে- যখন তারা আযাব দেখবে যে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আল্লাহ আযাব দানে কঠোর।(সুরা বাকারা,আয়াত;১৬৫)

 

 ৪/شرك النية والارادة والقصد নিয়ত এবং ইচ্ছার ক্ষেত্রে শিরক করা। আর তা হলো গায়রুল্লাহ'র উদ্দেশ্য আমল করা।

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,

  مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لَا يُبْخَسُونَ -أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْآَخِرَةِ إِلَّا النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ

مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

"যদি কেউ পার্থিব জীবন ও তার শোভা কামনা করে তবে পৃথিবীতেই আমি তাদের কর্মের পরিমিত ফল দান করি এবং পৃথিবীতে তারা কম পাবে না।” 

“তাদের জন্য পরলোকে নরকের আগুন ছাড়া অন্য কিছু নেই। পার্থিব জীবনে তারা যা করে পরলোকে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে তা নিরর্থক।"(সূরা হুদ,আয়াত ১৫-১৬)

 

আর শিরকের দ্বিতীয় প্রকার হলো

الشرك الأصغر:

ইহা মুসলিমকে মিল্লাতে ইসলাম থেকে বের করে না।সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে,আল্লাহ যাদি ইচ্ছা করেন তাকে আজাব দিবেন,আবার চাইলে মাফ করে দিতে পারেন।

 

শিরকে আসগারের প্রকারভেদঃ-

 এটাও অনেক। তবে উল্ল্যেখযোগ্য তিনটি।

১/رياء(লৌকিকতা)

২/الحلف بغير الله(আল্লাহ পাক ব্যাতিত অন্য কিছুর নামে শপথ করা)

৩/কোনো ব্যাক্তির উক্তি " আল্লাহ পাক যদি চান এবং তুমি যদি চাও"

----------------------

চলবে ইনশা আল্লাহ....

============

যাস্টপেস্ট লিংক

https://justpaste.it/2xdn1