বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
পরম করুণাময় ও অসিম দয়ালু আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু করছি-
ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
একটি প্রবন্ধের বাংলা অনুবাদ
আমেরিকান প্রতিশ্রুতি এবং কাবুল সরকারের ভগ্নদশা
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আমেরিকান প্রতিশ্রুতি এবং কাবুল সরকারের ভগ্নদশা
(প্রবন্ধটির প্রকাশকাল ১৮ অক্টোবর, ২০১৬ ইংরেজি)
এটা স্পষ্ট যে, মুজাহিদিনদের শক্ত ভুমিকার কারনে ৫ টি প্রাদেশিক রাজধানীতে যে অবরোধের সৃষ্টি হয়েছে, তা আমেরিকান সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। রাজধানী গুলো হল- ফারাহ, কুন্দুজ, হেলমান্দ, বাগলান ও উরুজগান।
রিপোর্টে বলছে, আমেরিকান কমান্ডার নিকলসন গত সপ্তাহে কুন্দুজ, ফারাহ, হেলমান্দ ও উরুজগানে কয়েকটি সফর করেছে। তিনি সেখানে মনোবল হারানো সরকারি সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বেশ কয়েকটি আলোচনা সম্পন্ন করেছেন। আমেরিকান বিশেষ বাহিনী এবং যুদ্ধবিমানগুলোর সরকারের পক্ষে কাজ করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি তাদের প্রতি আমেরিকান সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং তাদের হারিয়ে যাওয়া মনোবল পুনরায় ফিরিয়ে আনতে উৎসাহ দিয়ে তালিবানদের বিরুদ্ধে আরও ব্যাপক হামলার আহবান জানান।
যেটাই হোক না কেন, এটা একপ্রকার নিশ্চিত যে, আল্লাহ্ সুবাহানু ওয়া তা'আলার অশেষ সাহায্যে তালিবানরা কুন্দুজ ও হেলমান্দের সরকারি বাহিনীকে একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে আর ওরা তাদের মনোবল পুনরায় ফিরিয়ে আনার কোন রকম অবকাশ রাখেন নি।
বাস্তবতা হল এই যে, হেলমান্দ এবং কুন্দুজ প্রদেশে আমেরিকানদের বিশাল সামরিক সৈন্য এবং কর্মীদল রয়েছে। তাদের বিশেষ বাহিনী এবং যুদ্ধবিমানগুলো তাদের আভ্যন্তরীণ মিত্রদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করছে এবং মুজাহিদিনদের উপর আক্রমনের জন্য তাদের যুদ্ধবিমানগুলোকে ব্যবহার করেছে। এবং আমেরিকানরা এই দুই যুদ্ধে তাদের বাড়তি সেনাদল প্রেরণ করেছে এবং সেই সাথে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পরামর্শক দলকেও পাঠিয়েছে। উপরন্তু তাদের প্রাক্তন কম্যুনিস্ট সরকারের মিত্ররা রেডিও মাধ্যম গুলোতে ক্রমাগত দ্রুত আগমনকারী এক মিথ্যা বিজয়ের সংবাদ দিয়ে ভরে ফেলছে। তাদের প্রাক্তন মুজাহিদ মিত্ররা শহর রক্ষার জন্য ধর্মীয় ‘ফাতওয়া’ ঘোষণা করেছে এবং আরও ভারি বোমাহামলার জন্য প্রার্থনা করছে। আমেরিকান নিয়ন্ত্রিত সরকারী প্রচার মাধ্যমগুলো ব্যাপক গণহত্যা এবং পাইকারি হত্যার ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে গলা ফাটিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে।
সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক চেষ্টা এবং ব্যাপক প্রোপ্যাগান্ডা সত্ত্বেও মুজাহিদিনরা তাদের ত্বরিত আক্রমন দ্বারা সেনাবাহিনীর ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা থেকে তাদের ছিটকে ফেলে দিয়েছেন, তাদের শুরু হওয়া প্রচেষ্টা গুলোকে বন্ধ করে দিয়েছেন, শত্রুবাহিনীকে নাসতানাবুদ করে তাদের খালি ফেলে যাওয়া সেনা ঘাঁটি এবং সেনাবাহিনীর যন্ত্রপাতিগুলো জব্দ করেছেন।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মুজাহিদিনদের সংখ্যা শত্রুবাহিনীর তুলনায় খুবই কম এবং তাদের প্রয়োজনীয় অস্তশস্ত্র ও যন্ত্রপাতির পরিমাণও সরকারী বাহিনী এবং তাদের বিদেশী প্রভুদের তুলনায় একেবারে নগণ্য। হয়ত এরপরও মুজাহিদিনরা ইস্পাতের ন্যায় দৃঢ়তা, সুউচ্চ মনোবল এবং সর্বাগ্রে আল্লাহ্ সুবাহানুওয়া তা'আলার সাহায্য পেয়ে ধন্য হয়েছেন। তাদের যে অল্পস্বল্প অস্ত্র আর সরঞ্জামাদি আছে তা দিয়েই তারা আল্লাহ্ সুবাহানুওয়া তা'আলার ইচ্ছায় এই নিকৃষ্ট ভাড়াটে বিদেশী সৈন্যদেরকে ধ্বংস এবং নাস্তানাবুদ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এর ফলে বিদেশী বাহিনী আজ মনোবলহীন প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। আলহামদু লিল্লাহ।