?রাসুল সা. খারিজীদের আলামতে কি ধরনের তাকফিরীর শর্তারোপ করেছিলেন
?খারেজী কারা? কোথায় তারা
রাসুল সঃ এর মুজিযাহপূর্ণ একটি হাদিস দ্বারা চুলছেড়া বিশ্লেষন ও বর্তমান মুসলিমদের অবস্হান।
--------------
ভুমিকাঃ খুবই সহজভাবে বলা যায় যে, তাকফিরী করলেই খারেজী হবে, এ কথাটি পবিত্র কুরআনের কোন আয়াতে উল্লেখ নেই, না কোন হাদিসে
বিঃ দ্রঃ- এ সিরিজে মোট ৫ পর্বে খারেজীদের সম্মন্ধে শরীয়তের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশা আল্লাহ, সম্পুর্ণ লিখা না পড়া পর্যন্ত বিষয়টি পাঠকের বোধগম্য হবেনা।। আল কায়েদার ওলামাদের জন্য আফসোস! তারা মানুষদের সঠিক ও সত্য দ্বীন থেকে বিমুখ করছে.. তাদেরকে আমার এ সিরিজের মুনাজারার আহবান করছি, যেন সত্য মিথ্যার পার্থক্য হয়ে যায়।। সাধারন মানুষ সঠিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।।
♦♦ খারেজি! ♦♦
----------------------------
★ ১ম যুক্তি = খারেজিরা তরুন ও বালক হবে। ★
---------------------------------------------
আমরা প্রথমে দেখব এই কথাটির উৎস কি.?
তারা "খারেজিদের এই চিহ্নটি ইসলামিক স্টেট এর দিকে নিসবত বা ঈংগিত করেনা কেন ??
উওরঃ-
// ★ ১ম হাদিস★
আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণনা করেন, রাসূল সঃ বলেছেন, "নির্বোধ ও অজ্ঞ তরুনদের হাতে সর্বপ্রথম উম্মতের উপর বিপর্যয় নেমে আসবে।এসব কোরাঈশী যুবক মুয়াবিয়্যাহ রাঃ এর শাসনামলের থেকেই আত্নপ্রকাশ করবে"।। //
★ ২য় হাদিস ★
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ মদিনার বাজারের উপর দিয়ে গমন কালে এই দোয়া পড়তেন, অর্থঃ- "হে আল্লাহ হিজরী ষাট সাল পর্যন্ত আমাকে জীবিত রেখনা, সাবধান! মুয়াবিয়্যাহর শাষনকে তোমরা অব্যাহত রাখো।
ইয়া আল্লাহ, বালকদের শাষনকাল পর্যন্ত আমাকে জীবিত রেখনা।
(বায়হাক্বী) //
★ ৩য় হাদিস ★
রাসূল সাঃ বলেন, "বনু উমাইয়্যার এক ব্যক্তীই সর্বপ্রথম আমার অনুসৃত নীতির পরিবর্তন সাধন করবে।।
ইমাম বায়হাক্বী মনে করেন, এই হাদিস দ্বারা ইয়াযিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানকেই বুঝানো হয়েছে।কেননা এটি বনু উমাইয়া নসব থেকে।
মারওয়ান বলেন, কতৃত্ব পাওয়ার আগে তারা আমাদের মুসলিমদের জামাতের সাথেই আছে।আল্লাহ সুবঃ এর লা'নত ঐ তরুনদের উপর। আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, আমি যদি তাদের নাম, গোএ, উল্লেখ করতে চাই, তবে আমি নাম ধরে ধরে বলতে পারব যে, তারা অমুক গোএের অমুক অমুক।। (আহমাদ)
এ হাদিসের রাবি, আমর রঃ বলেন, আমি আমার পিতা, (ইয়াহইয়া) ও দাদা (সাঈদ) সহকারে বনু মারওয়ানের নিকট যাই। দেখতে পেলাম যে, তারা বালকদের শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছে(বায়াত নিচ্ছে). উল্লেখ্য যে মুয়াবিয়া রাঃ হিজরী ৬০ সনেই ইনতেক্বাল করেন!
-----
এই হল তারিখ ও হাদিসের আলোকে যুবক, তরুন, বালকদের খারেজী হওয়ার বৈশিষ্ট।। সকল ইমাম ও মুজতাহিদগন রঃ জানেন এই ভবিষ্যত বানীটি ৬০ হিজরীর পরেই জমিনে প্রকাশ পেয়েছিল,এবং তার সিলসিলাহ হিজরী ১০০ এর পরবর্তী সনে উমর ইবনে আব্দুল আজিজের শাষনামলে চিরতরে খতম হয়ে যায়।
যেই খারেজি বালক তরুনদের হাতে হুসাঈন রাঃ, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাঈর রাঃ, সহ অনেক বড় বড় সাহাবায়েকারগন (রাঃ) শহিদ হয়ে যান। ★আর সে জন্য বর্তমান খিলাফাহর শাষনামলকে এ মিথ্যা "তোহমদ" দিয়ে আক্রমন করতে পারছেনা।তারপরেও বাংলার তথাকথিত আল কায়দার (জাল কায়দা) অনেক অন্ধ ও মুর্খ ফ্যানবয় নির্লজ্জ ও জাহেলভাবে এই "তোহমোদটি" লাগাতার ভাবে লাগাবার বৃথা আপ্রান চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হয়রান হচ্ছে!! যা সত্যিই অনেক হাস্যকর আর মজার বিষয়.....।। ৩৪৩
//
♦♦ ২য় যুক্তি ♦♦
----------------------------
★ খারেজিরা কি যামান বিল খাস (কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য) নাকি ইলা মিদারিস সাআ'হ, (কেয়ামতের আগ পর্যন্ত)....???
--
উওরঃ- ফিৎনার ভয়াবহ মূহুর্তে বর্তমান সময়ের এক দল বিপথগামী যুবক ও বিষেশ একটি চক্র, রসূল সঃ যামান বিল খাস, মাআ'রিফাতুস্ শখছ এর ক্বওলকে তাদের নিজেদের ভাষায় সাজিয়ে নিয়েছে।
এরা, একমাএ সঠিক পথের অনুসারি দাওলাতুল খিলাফাহর সম্মানিত মুজাহিদ ভাইদের, কাল্পনিক, মিথ্যা "তোহমদ" দেওয়ার জন্য, স্বয়ং রসূল সঃ এর উপর মিথ্যারোপ করে নিজেদের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিচ্ছে।হয়ত কেউ জেনে বুঝে, আবার কেউ না বুঝেই।
আহ্ আফসোস এসব নাদান লোকদের জন্য !!! //
আমার লিখাটি, বিষেশ করে যারা আল কায়দা সহ পথ ভ্রষ্ট মানুষদের প্রতারনায় নিজেদের অজান্তেই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সঃ এর সহিহ হাদিসের উপর মিথ্যাচার করছেন তাদের জন্য।
//
★ এবার আসুন, নিম্নের সহিহ হাদিসটি নিয়ে গবেষনা করি, যা রসূল সঃ নিজেই খারেজিদের ব্যাপারে, নির্দিষ্ট গোএ, ব্যক্তির নাম, তাদের চিহ্ন, এবং তাদের ফিৎনার সূচনার সময়, ও অবসানের কথা একেবারে স্পষ্ট করেই বলে গিয়েছেন।.... ★
আবু সাঈদ খুদুরী রাঃ বলেন, একদা আমরা নবী করিম সঃ এর নিকট বসা ছিলাম।নবী করিম সঃ গনিমতের মাল বন্টন করছিলেন, এই সময় বনু তামিম গোএের যুলখুওয়ায়সিরা নামক এক ব্যক্তী এসে উপস্থিত হয়, সে বলে হে আল্লাহর রসূল ইনসাফ করুন!
নবী সঃ বলেন "তোমার জন্য দূর্ভোগ, আমি ছাড়া আর কে আছে (পৃথিবীর মানুষদের মধ্য হতে)
ইনসাফ করার ??
যদি আমি ইনসাফ না করি তাহলে তো আমি ধ্বংস ও
ক্ষতি-গ্রস্ত মানুষদের অন্তর্ভুক্ত হবো! ★
//
এদের নিদর্শন হলো, এদের মধ্যে একজন অতি কৃষওকায় লোক হবে, তার একটি বাহু হবে নারী লোকের স্তনের ন্যায়। যা সর্বদা কাঁপতে থাকে।মানুষের মধ্যে যখন কলহের সৃষ্টি হবে তখন এদের আবির্ভাব ঘটবে।
/
আবু সাঈদ কুদুরি রাঃ বলেন আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে আলী ইবনে আবু তালিব রাঃ তাদের বিরুদ্বে তাদের বিরুদ্বে যুদ্ব করেছেন, ঐ যুদ্বে আমিও শরিক ছিলাম।আলী রাঃ এই লোকটিকে খোঁজে বের করার জন্য হুকুম দেন, অতপর তাকে খুঁজে বের করে আনা হল।
আমি সাক্ষ্য দান করলাম যে রাসূল সঃ তার যেসব নিদর্শন বলেছিলেন সেই প্রত্যেকটি নিদর্শন তার মধ্য পুরোপুরি রয়েছে। (বুখারি মুসলিম)
/
লক্ষ্যনীয়, উপরের হাদিস অনুযায়ী খারেজি নেতার বৈশিষ্ঠ, খারেজিদের সূচনা, সময়কাল, পতন ইত্যাদি স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। "যখন থেকে কলহের সৃষ্টি হবে" এই কথাটির তাৎপর্য যদি আমরা জানতে চাই, তাহলে, বুখারি শরিফের হযরত হুযায়ফা রাঃ এর একটি হাদিসের দারস্ত হতে হবে, যেখানে বলা হচ্ছে "উমার রাঃ ফিৎনার ঢাল স্বরুপ"......(অনেক লম্বা হাদিস) রসূল সঃ সে হাদিসে আরো বলেন, "উমরের রাঃ ইন্তেক্বালের পরে ফিৎনার দরজা খুলে যাবে"।
/
আর সেই ফিৎনা কলহের প্রথম সূচনাই হল খারেজি ফিৎনাহ।যা নির্দিষ্ট ব্যক্তী, ক্বওম, নির্দিষ্ট সময়, কালের সাথে সম্পর্কিত।এবং নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট সহকারে। তাহলে এতসব সহি হাদিস গুলো উপেক্ষা করে কিভাবে অন্তরের রোগীরা পৃথিবীর সর্বোওম ঈমানদারদের খারেজি নামের কাল্পনিক নাম দিয়ে নিজের মুখটাকেই দুর্গন্ধময় করছে?? আর তা করছে কাল্পনিক, হিংসা, আর নিজের ব্যক্তিগত নিকৃষ্ট ক্রোধ থেকে, কোন কোরআন হাদিসের সহিহ দলিল ছাড়া!! এমনকি তারপরেও দূর্বল,যঈফ(অগ্রহনযোগ্য)কোন দলিলও নেই।
;;;;;
তাহলে কি উপরেল্লেখিত হাদিসে, "কৃষকায় নিকৃষ্ট ব্যক্তির অপরাধ ও বৈশিষ্ট, পবিএ কোরাঈশ বংশের আহলে বাইত এবং হোসাঈন রাঃ এর স্বজন, আবু বকর আল বাগদাদি হাফিঃ এর নামে চালিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করা হচ্ছে?? আমরা খারেজিদের ব্যাপারে সব হাদিসই আলোচনা করব ইংশাআল্লাহ।আর বিশ্লেষন করব শেষ জামানার ফিৎনার সাথে খারেজিদের কি সম্পৃক্ততা আছে ? //
হাদিস নং ০৩ //
-------------------------
(খারেজিদের মাথা মুন্ডানো থাকবে)
সাহল ইবনে হুনায়ফ রাঃ, রসূল সঃ এর কাছ থেকে বর্ননা করেন, রসূল সঃ বলেছেন "পূর্ব দিক থেকে একদল লোকের আবির্ভাব হবে, যারা মুখ দিয়ে কোরআন তোলোয়াত করবে, কিন্তু কুরআনের হিদায়াত তাদের অন্তরে প্রবেশ করবেনা, তারা সত্ব দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে, যেমনি ভাবে তীর ফলা থেকে বেরিয়ে যায় তাদের মাথা মুন্ডিত থাকবে"। (মুসলিম) আবু রাঃ থেকে বর্ণিত, রসূল সঃ বলেন উপরের মতন হুবহু রেখে, তাদের চিহ্ন মাথা মুন্ডান,তারা হবে সৃষ্টির নিকৃষ্টতম চরিএের লোক।(মুসলিম) তবে হাদিসে, শেষ যুগে যে দলের আবির্ভাবের কথা বলা হয়েছে তাদের কিছু বৈশিষ্ট উল্লেখ আছে।যেমন //
/
হাদিস নং ৪ //
-----------------------
আলী রাঃ থেকে বর্নিত, রসূল সঃ বলেন শেষ যুগে এক শ্রেনির লোকের আবির্ভাব হবে,তাদের দাঁত হবে নব উদ্গত, বুদ্বি-বিবেক হবে অপরিপক্ব, তাদের মুখে থাকবে নবী সঃ এর বানী, কিন্তু ঈমান তাদের কন্ঠ নালির নিচে পৌঁছাবেনা। (বুখারি ও মুসলিম) পূর্বের হাদিস ও অএ হাদিস দুটি সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা বৈশিষ্টের কথা বলা হচ্ছে। একশ্রেনি কোরআন পড়ে তা আমল করবেনা, শারিরিক চিহ্ন, মাথা মুন্ডানো।
/
(আমার ভয় হচ্ছে, ফ্যানবয়রা আবার মক্কার হাজীদেরকে খারেজী বলে আখ্যায়িত করে কিনা!, কারন এরা এতটাই মুর্খ যে আগুন আর পানিই আলাদা করতে পারেনা!)
আরেক শ্রেনি "হাদিসের কথা বলবে, কিন্তু আমল করবেনা" এই শ্রেনিটি বর্তমান তথাকথিত আহলে হাদিস, পথ ভ্রষ্টদের সাথে পুরোপুরি মিলে যায়।(তারপরেও মহান আল্লাহ সুবঃ সব চেয়ে ভালো যানেন)।শারিরিক চিহ্ন, নব উদ্গত দাঁত, ও অপরিপক্ব বিবেক। সুতরাং দুটি সম্প্রদায় আলাদা হবে। একদল খারেজি হলে অন্য দল অন্য সম্প্রদায়ের হতে হবে।
--
উল্লেখ্য, খারেজি বাতিল ফিরকার ৭৩ ফিরকার মধ্যে একটি মাএ ফিরকা। এছাড়া মুরজিয়া, কাদরিয়্যাহ, জরবিয়্যা, নক্বশবন্দিয়্যা, সাবেরিয়্যা, মুজাদ্দেদিয়্যা, মু'তাজিলাহ, জাহমিয়্যা, রাফেজি, ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক ফিরকা রয়েছে।কিন্তু কালের আবর্তনে বর্তমান সময়ে বিষেশ এক শ্রেনির স্বার্থন্বেশী অন্তরের রোগীরা তাদের নফসের খাহেশাত পুরন করতে হক্বপন্থী জামা'তকে ব্যর্থ ভাষায়, খারেজি খারেজি বলে মুখে ফেনা তুলছে! যার ভিওিও নেই! শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যা তার কিতাব মজমুয়ায়ে ফতুয়ায়ে উল্লেখ করে বলেন, বাতিল ফিরক্বার পথভ্রষ্ট লোকেরা, হক্বপন্থিদের / জামা'তকে বিনা দলিলে, বিনা দলিলে খারেজি উপাধি দেয়। খারেজিদের বংশ পরিচয় কি রসূল সঃ আমাদের কি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন??
ও তাদের তাদের নেতার নাম পর্যন্ত বলে গেছেন??! //
/
হাদিস নং ৫ //
-----------------------
সাঈদ বিন আবু ওয়ক্কাস রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রসূল সঃ বলেন, একদা রসূল সঃ স্তনধারীর কথা উল্লেখ করে বলেন, সে এত ধুরন্দ্বর শয়তান, ঘোড়ার রাখালের ন্যায় তাকে ভয় করা হয়।সে হবে বুজায়েল গোএের, আশহাব বা ইবনু আশহাব নামে তাকে আখ্যায়িত করা হবে। অত্যাচারি ক্বওমের সে নিদর্শন হবে।
(মুসলিম) সা'দ ইবনে মালিক রাঃ বলেন, আলী রাঃ বলেন সেই কুশ্রী শয়তানকে হত্যা করেন।
খারেজিরা পবিএ ক্বুরআন অস্বিকার করবে।।
/
আলী রাঃ এর শাসনামলে যখন ক্বুরআনের আ'ঈন দিয়ে বিচার করা হত,তখন খারেজিরা হযরত আলী রাঃ কে বলত, আপনিতো মানুষ! আপনি কিভাবে বিচার করেন?আল্লাহ বলেছেন ক্বুরআনই বিচার করবে।এভাবে তারা ক্বুরআনকে অপব্যাখ্যা করত। খারেজিদের ফিৎনা শেষ? না, এখনো বিদ্যমান? //
/
হাদিস নং ৬ // হযরত সালমা রাঃ থেকে বর্নিত, ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, মরওয়ান বাহিনী ছিল ওসমান রাঃ এর হত্যা কারী দল।
(বায়হাক্বী) //
/
হাদিস নং ৭ // আবু সাঈদ খুদুরি রাঃ হতে বর্নিত, তিনি বলেন, রসূল সঃ থেকে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে ক্বুরআনের অপব্যাখ্যা কারিদের বিরুদ্বে লড়াই করবে।যেমন ক্বুরআন অস্বিকার কারিদের বিরুদ্বে আমি লড়াই করেছি।
/
হযরত আবু বকর রাঃ আরজ করলেন, ইয়া রসূল সঃ, সে ব্যক্তি কি আমি? তিনি সঃ বললেন, না।হযরত উমর রাঃ বললেন তাহলে কি আমি? নবী সঃ বললেন,না।বরং তালিযুক্ত জুতা পরিধান কারী, অর্থাৎ হযরত আলী রাঃ।
/
(বায়হাক্বী) সুফিয়ান বিন ইমরান রাঃ বলেন, নাহওরা ওয়ান, থেকে যার হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্বে বিদ্রোহ করেছিল তারা ছিল চার হাজার, লৌহ বর্মধারী। মুসলমানগন তাদের সাথে যুদ্ব করে সকলকে হত্যা করে,পক্ষান্তরে তারা মাএ মুসলিমদের নয় জনকে হত্যা করতে সক্ষম হয়।আর এভাবে খারেজীদের চুড়ান্ত ফিতনার অবসান হয়।
--------------
★খারেজী এত নিকৃষ্ট কেন???★
উওরঃ আমরা জানি তারা মুনাফিক কাফিরদের চেয়েও নিকৃষ্ট।কেননা কাফিরদের কুফুরি প্রকাশ্যে, কিন্তু মুনাফিকদের কুফুরি গোপনে, ফলে এদের কারনে মানুষের মহা সম্পদ ঈমানকেই হারিয়ে ফেলে!
তদ্রুপ খারিজিরা ছিল, এরকম জঘন্য নিফাক্বের রোগী।
/
উস্ট্রের যুদ্বে (জংগে জামাল) খারেজিদের বিস্তার ঘটে। তারা কৌশলে হযরত আলী রাঃ এর দলে মিশে যায়।এবং তা এই যুদ্বের প্রতি উৎসাহিত করে তারা উসমান রাঃ হত্যা সহ সুকৌশলে আলী রাঃ, হযরত মুয়াবিয়া রাঃ, উম্মূল মুমিনিন হযরত আয়েশা রাঃ এর মাঝে দ্বন্দ বাধায়।।সিফফীন যুদ্বে যদিও তাদের স্বমূলে নিঃশেষ করা হয়েছে,কিন্তু তাদের ভয়াবহ নিফাক্বের ফিৎনা,হযরত নবী কারিম সঃ এর উম্মতকে টুকরো টুকরো করেছে।তাই আজ বর্তমানেও শীয়া, রাফেদি, নুসাইরি, ইত্যাদি খারেজিদের পাপের সফল।এজন্য হযরত রসূল সঃ তাদের জাহান্নামের কুকুর বলেছেন।
/
এবার আমরা আলোকপাত করি, রসূল সঃ এর সেই হাদিস গুলো, যেগুলো শেষ যামানায় দ্বীন থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপার বর্ননা করেছেন।যা আজকাল এক শ্রেনির অন্তরের রোগী বিশেষ একটি হক্বপন্থী জামাতের উপর মিথ্যারোপ করেছেন।
একবার মিথ্যাচার করছেন রসূল সঃ এর সাথে, যিনি কোন সম্প্রদায়কে উদ্যেশ্য করেননি।কিন্তু এরা বিনা দলিলে দাওলাতুল ইসলামকে খারেজি বলে নির্দিষ্ট ভাবে...
দ্বিতীয় মিথ্যাচার করছেন, শেষ যামানার হক্বপন্থী জামাতের উপর যাদের সাথে খুরুজীয়তের কোন চিন্হের লেশমাএ পাওয়া যায়না। আমরা ইংশাআল্লাহ এক একটি সব হাদিস উল্লেখ করব আর মিলাতে থাকব কোন সম্প্রদায়ের সাথে হাদিসের বানী গুলো মিলে যায়।! // ৮ ম হাদিস //...... চলবে...
খারিজীদের আলামতে রাসুল সা. এর মুযীযাহপূর্ণ একটি বিস্ময়কর হাদিস, আল্লাহু আকবর!।(2/5)
ABDUL WHIDE·FRIDAY, JUNE 3, 201659 Reads
আমরা ইংশাআল্লাহ এক একটি সব হাদিস উল্লেখ করব আর মিলাতে থাকব কোন সম্প্রদায়ের সাথে হাদিসের বানী গুলো মিলে যায়।! // ৯ম হাদিস // রসূল সঃ বলেন, আখেরী যামানায় এমন একদল আসবে যাদের বয়স হবে অল্প এবং জ্ঞান হবে খুবই সামান্য।তারা মানুষের সাথে সর্বোওম বুলি আওড়াবে। কিন্তু সত্বেও তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।যেমনিভাবে তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।তাদের ঈমান তাদের অন্তরের গভীরে প্রবেশ করবেনা।তাদেরকে যেখানেই পাবে হত্যা করবে।
বিশ্লেষন।
১) তারা অল্প বয়সী অল্প জ্ঞানি হবে। ★হাদিসের এ কথার উপর আমর করতে গেলে পৃথিবীর সব যুবক ও কম জ্ঞনি খারেজী বলে হত্যা করতে হবে। (নাউজুবিল্লাহ) এর জন্য আরো কিছু আলামতের নিদর্শন পাওয়া আবশ্যক।
তাহলো যুবক ও কম জ্ঞানি মানুষ যদি সর্বোওম বুলি আওড়ায় তাহলে তাদেরকেও হত্যা করতে হবে। আর আপনার বিবেক কি বলে..! ? আর যুবক ও জ্ঞানি যারা সর্বোওম কথা বলবে মানুষদের সাথে, তাদের খিলাফাহর সৈনিকদের সম্পর্ক কি??
আল্লাহর কসম! বরং খিলাফাহর সৈনিকদের ভাষা সবচেয়ে কঠিন ও কর্কশ।
তারা সবসময় মারা-কাটার কথা বলে।
প্রতিটি মানুষের ক্লাস অনুযায়ী যাকে যেটা বলার দরকার তা বলতে লজ্জাবোধ করেনা।
তাদের রয়েছে শত শত, হাজার হাজর হক্বানি দায়ী এবং হক্ব পন্থী নির্ভেজাল সম্মানিত আলেম দ্বীন গন। এখন পূর্বের প্রশ্নের উওরে বলা যায়, অএ হাদিসটি রসূল সঃ এর পূর্নাঙ একটি হাদিসের অংস বিশেষ।
সাহাবী রাঃ এর মধ্যে হতে যে যতটুকু শুনেছেন তিনি ততটুকুই বর্ননা করেছেন। সে ক্ষেত্রে অএ হাদিসের ২য় সনদে আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা পেয়ো যাব ইংশাআল্লাহ। // ১০ম হাদিস // ......তারা মুসলিমদের হত্যা করবে, তারা মুশরিক কাফিরদের ছেড়ে দিবে। তাদের সময়ে আমি যদি থাকতাম তাহলে আমি তাদেরকে সেই ভাবে নির্মুল করতাম যেভাবে নির্মুল করা হয়েছিল সামূদ জাতিকে। (বুখারি)
অর্থাৎ তারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ব করবে এবং কাফিরদের সাথে সদয় হবে।। // এ বিষয়ে সনদের পূর্ণাঙ্গ হাদিস টি এই ..
(এটি একটি মুযীযাপূর্ণ ও বিস্ময়কর হাদিস, আল্লাহু আকবর! এর গভীরে যতই প্রবেশ করবে ততই মুযীযাহ প্রকাশ পাবে।) // ১১তম হাদিস , حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، وعبد الله بن عامر بن زرارة، قالا: حدثنا أبو بكر بن عياش، عن عاصم، عن زر عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله "يأتي في آخر الزمان قوم: حدثاء الأسنان، سفهاء الأحلام، يقولون من خير قول البرية، يقتلون أهل الإسلام ويدعون أهل الأوثان،(غزيرو اللحية)، مقصرين الثياب، محلقين الرؤوس، يحسنون القيل ويسيئون الفعل، يدعون إلى كتاب الله وليسوا منه في شيء. وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم في الذين يحملون هذه الصفات: يقرؤون القرآن لا يتجاوز حناجرهم، يمرقون من الإسلام كما يمرق السهم من الرَّميَّة، فأينما لقيتموهم فاقتلوهم، فإن قتلهم أجر لمن قتلهم يوم القيامة. قال النبي عليه الصلاة والسلام: فإن أنا أدركتهم لأقتلنهم قتل عاد. مصادر الحديث: صحيح بخارى
- صحيح مسلم
-مسند احمد بن حنبل
- السنن الكبرى للنسائى
- السنن الكبرى للبيهقى
- الجمع بيين الصحيحين بخارى ومسلم
- كتاب الأحكام الشرعية الكبرى -
سنن أبى داود
আল্লাহু আকবর !
আমরা যদি এ হাদিসটির প্রতিটি শব্দের ব্যাপারে বোধগম্যতা লাভ করি, তাহলে আল্লাহ সুবঃ এর রহমতে খারেজী ফিতনার ব্যাপারে প্রথমত নিজেরা পথভ্রষ্ট হবনা, এবং আমাদের দ্বারা অন্যরাও পথভ্রষ্ট হবেনা ইংশাআল্লাহ।
প্রথমত.. "يأتي في آخر الزمان ...... অর্থাৎ শেষ যামানায় একটি জাতি, গোত্র বা সম্প্রদায় আসবে,
**আমরা এখানে আলামাতে সা'আর হাদিস সমূহ উল্লেখ করবনা, নোটকে সংক্ষেপ করার ক্ষেত্রে, তবে আলমতে সা'আর ৩০টি ছোট নিদর্শন প্রকাশিত হয়ে গেছে জমিনে। তাই বর্তমান সময়টাই হল শেষ যামানা।
/ .قوم
...এখানে..قوم..”ক্বাওম” ...শব্দের অর্থ গোএ বা জাতী।যার ইসমে মানসুব..القَوْميّة .. গোএিয় বা জাতীয়তবাদি।
القَوْميّة
শব্দকে যদি আমরা নাহু সরফ কিংবা শরিয়তের পরিভাষায় বিশ্লষন করি তাহলে অনেক বড় জটলা খুলে যাবে খারজীদের সণ্বন্ধে। নাহুর ভাষায় ক্বাউমিয়া হলো,
,, القَوْميّة : صلة اجتماعية عاطفية تنشأ من الاشتراك في الوطن والجنس واللُّغة والمنافع وقد تنْتهي بالتضامن والتعاون إلى الوحدة
অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ভূখন্ডের, জাতিগত, ভাষাগত, পরপস্পর থেকে উপকার লাভ করার ক্ষেত্রে পরস্পর সংহতি ও সহযোগিতার ব্যাপারে ঐক্যমত হওয়া। <
পরস্পর অর্তনৈতিক কারবারে শরিক থাকবে
عني مجتمع طبيعي من البشر يرتبط ببعضه البعض بوحدة الأرض و الأصل و العادات و اللغة من جراء الاشتراك في الحياة و فيالشعور الاجتماعي و جغرافية مشتركة و مصير مشترك و مصلحة اقتصادية مادية مشتركة و ثقافة مشتركة نفسية مشتركة
অর্থাৎ পরস্পরের সাথে এমন সংযোগ থাকবে বংশীয় দিক থেকে একটি নির্দিষ্ট ভু-খন্ড হবে।
যেমন, নুসাইরি, সাফাভী, ইত্যাদি ক্বওম। আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লীক করুন
http://www.almaany.com/ar/dict/ar-a...
এবার আমরা ক্বওম গুলো দাওলাতুল ইসলামিয়্যার সাথে মিলিয়ে দেখি! ১) বর্তমান খিলাফাহ কোন, সিমানা, বর্ডারের পরোয়া করেনা।
তাদের সৃষ্টিই হয়েছে সমস্ত বর্ডার, সিমানা ভেংগে একটি ইসলামিক দাওলাহ প্রতিষ্ঠার জন্য।
বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লীক করুন
https://www.google.com.sa/search?q=...
***ইরাক, সিরিয়ার ভাষার সাথে খোরাসান সহ অনেক দেশের মিল নেই।
তদ্রুপ কারো সাথে না কারো সাথে আছে,জাতীগত ভাবে,, অর্থনৈতিকভাবেও নয়,
তাহলে ক্বওমীয়তের কোন শর্ত দাওলাতুল ইসলামে পাওয়া যাচ্ছেনা।
অপর দিকে আমরা যদি এ ক্বওম শব্দকে মিলাতে চাই, তাহলে সৌদি জাতীয়তাবদিদের দিকে এ তীরকে ছুড়ে দিতে হবে।তার যথেষ্ট কারনও রয়েছে। আমার নোটের শেষ পর্বে উল্লেক করব ইংশাআল্লাহ। তবে ক্বওম সবগুলো গুনাগুন বর্তমান জামানায় ৩টি সম্পদায়ের কাছে পুরোপুরি বিদ্যমান। ১) রাফেদি, ২) সাফাভী, ৩) নুসাইরি।
সবারই নির্দিষ্ট ভূখন্ড আছে, তারা তাদের পারস্পারিক সব কিছুতেই সমতা করে চলে। [ ৩ ] "তাদের দাঁত হবে নব উদ্বত" .حدثاء الأسنان،
এ বাক্যটি বুঝার জন্য তার পরবর্তী বাক্যের সাহায্য নিতে হবে।
তাহলো...سفهاء الأحلام..বিবেক বুদ্বির অপরিপক্বতা! অর্থাৎ কারো বয়সের অপরিপক্বতার কারনে বিবেক বুদ্বির অপরিপক্বতা হয়।
এখানে নব উদ্গত দাঁত বলতেই এমন জিনিসকে বুঝানো হয়েছে, যা এসব লোকেরা বিবেক বুদ্বিকে কাজে লাগায়না।
পবিএ কোরআনে অসংখ্য বার বলা হয়েছে "কোরআন বুঝে পড়তে, অনুধাবন করতে, ইত্যাদি"।
পবিএ কোরআনের উপর আমল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি, মূল্যবান, ও মুকুট, ও চুড়া হল, কোরআনের আইনকে জমিনে প্রতিষ্ঠার করা।এবং তার জন্য সম্পূর্ন দুনিয়াকে অন্তর থেকে ঘৃনা করে লাথি মারা। আর এটাই হল কোরানের উপর সত্যিকারর্থে আমল করা।
মহান আল্লাহ সুবঃ বলেন... যুদ্ধ করো যতক্ষন না জমীন থেকে সব ধরনের ফিতনা নির্মুল না হয়, এবং সংবিধান ও দ্বীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। (আল আনফাল)......
আর এটাকেই বলা হয় ক্বিতাল, বা জিহাদ। একমাএ আল্লাহ সুবঃ এর ভয়ে ভিতু হয়েই খিলাফাহর সৈনিকরাই জমিন থেকে ফিৎনার মূলোৎপাটন, ও কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করার ক্বিতাল করে, কোরআনের উপর পরিপূর্ন আমল করছেন।
এগুলো খুব সামান্য বুদ্বি বিবেক দিয়েই বুঝা যায়, তারপরেও যদি আপনি না বুঝেন তাহলে...سفهاء الأحلام.. ভিতরে।
আপনি যদি ভূল করে বা ইচ্ছা করে খিলাফাহর সৈনিকদের কোরআনের উপর আমলকারি মনে না করে জঘন্য কবিরা গুনায় লিপ্ত থাকেন তাহলে বিবেকের চোখ অন্ধ হয়ে গেলে যা হয় তাই হয়ে গেছে। কিন্তু ভয়াবহ আফসোসের কথা ভেবে দেখুন!!
কেয়ামতের দ্বিন আপনিই বলবেন! ........... অর্থাৎ "হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ করে তুল্লে, অথচ আমি দুনিয়াতে চক্ষু ওয়ালা ছিলাম" (সূরা ত্ব-হা)
তাহলে কি আপনি এখন বর্তমান সময়ের পবিএ কোরআনের উপর পরিপূর্ন আমল কারিদের উপর মিথ্যা, কাল্পনিক "খারেজী" তোহমোদ দিয়ে "হক্বুল ই'বাদ' নষ্ট করে ক্ষমার অযোগ্য গুনাহে লিপ্ত আছেন???
...حدثاء الأسنان، ..বাক্যের সাথে..سفهاء الأحلام
.. এর কতইনা সামন্জ্যস্য!!
রাসূল সাঃ এর কথা গুলো কতইনা সুন্দর!!
আমরা যদি সোজা কথায় হাদিসের এ কথাটি নিজেদের ভাষায় বলতে চায়,
তাহলে বলতে হবে "তোমার এখনো আক্কেল দাঁত উঠেনি, তুমি কিছুই বুঝনা"।
-----
আমার এই লিখা গুলো পড়ে হয়তো হাদিসের আলোকে, খিলাফাহকে "কাল্পনিক খারেজি" মিথ্যা তুহমোদ দেওয়াটা বিশাল কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত আছেন বলে আপনার মনে হচ্ছেনা! তবে হাদিসে রাসুল সাঃ এ খুজে দেখুন, কোন উলামায়ে ছুএর জালিয়তি বয়ানে নয়, খারেজির সামান্য চিহ্নও দাওলায় খুজে পান কিনা দেখুন!!
তাহলে এই কথা গুলো কাদের সাথে মিলে??
তা জানার জন্য অবশ্যই হাদিসের পরের অংশ গুলোর আরো বিশ্লষনের প্রয়োজন আছে...
চলবে..
2/5 পর্ব সমাপ্ত
খারিজীদের আলামতে রাসুল সা. এর মুযীযাহপূর্ণ ভবিষ্যত বাণীর বিস্ময়কর হাদিসের ৩/৫ পর্ব ----------------
ABDUL WHIDE·MONDAY, JUNE 6, 2016126 Reads
আমার এই লিখা গুলো পড়ে হয়তো হাদিসের আলোকে, খিলাফাহকে "কাল্পনিক খারেজি" মিথ্যা তুহমোদ দেওয়াটা বিশাল কবিরাহ গুনাহে লিপ্ত আছেন বলে আপনার মনে হচ্ছেনা! / তবে হাদিসে রাসুল সাঃ এ খুজে দেখুন, কোন উলামায়ে ছুএর জালিয়তি বয়ানে নয়, খারেজির সামান্য চিহ্নও দাওলায় খুজে পান কিনা দেখুন!! তাহলে এই কথা গুলো কাদের সাথে মিলে?? তা জানার জন্য অবশ্যই হাদিসের পরের অংশ গুলোর আরো বিশ্লষনের প্রয়োজন আছে...
** يقولون من خير قول البرية،
"তাদের মুখের কথা মিষ্টি ও শ্রুতিমধুর হবে, ভালো ভালো কথা বলবে”
"তাদের মুখের কথা এত মিষ্টি ও শ্রুতিমধুর হবে" যে, কেউ তাদের সাথে না মিশে কোন দিন কল্পনাও করতে পারবেনা। (যারা মক্কা মদীনায় অনেক বছর ধরে আছেন, তারা বলবে পৃথিবীর সবচেয়ে খুবই নম্র ও ভদ্র ভাষী রাফেদী ইরানীরা।)।।
তাদের এবাদাত যে কেউ না দেখেছে কল্পনাও করতে পারবেনা কি রকম, কতইনা খুশু আর খুফু,
তাদের এবাদতের মজলিশে কান্নার রোল পড়ে যায়।।
আল্লাহর রাসূল সঃ, ও আহলে বাইতকেও কতইনা (মিথ্যা ও সম্পূর্ন ধোঁকাবাজি) ভালোবাসে।
**এই অধম বান্দা ২০০১/২০০২/২০০৩ সালের তিনটি বছর, এদের জামাতের সাথে সম্পৃক্ত থাকা কালিন অনেক কিছুই দেখেছি!! ভাংগা ভাংগা কিছু ফারসি বুঝতাম,তাদের শ্লোক গুলো শুনতাম, তাদের সাথে একই মজলিসে বসে আল্লাহ ও রসূলের ভালোবাসায় অঝোর ধারায় কাঁদতাম!,
বাইতুল্লাহ শরিফের তওয়াফের অধিকাংশ মাঠ তাদের দখলেই থাকত, বা'দে মাগরিব ও এশা। এবার সরাসরি দেখুন তাদের এবাদাত, যেখানে আমি শরিক থাকতাম প্রায়ই সময়!......
https://www.youtube.com/watch?v=brzbkZw8d40 *** يقرؤون القرآن তারা খুব ভালো কুরআন তিলাওয়াতকারী হবে ****
---------------
তাদের কোরআন তেলোয়াত!! আল্লাহর ক্বসম! আপনি এর আগে আর শুনেননি, দেখুন...
https://www.youtube.com/watch?v=WFw7WJ2vVPI
https://www.youtube.com/watch?v=-wHqCjLclQs
বয়সেও ছোট নব উদ্গত দাঁতের অস্বাভাবিক সুন্দর তেলোয়াত! দেখুন...
https://www.youtube.com/watch?v=2w2FcLneOVA ** কারি আব্দুল বাসেত ফেল এদের বাচ্চাদের তেলোয়াতের সামনে। >>>
>> https://www.youtube.com/watch?v=N2KoCmezg8k এই হাদিসটিতে কেউ যদি মু'যিজা খুঁজে না পায়, তাহলে সে বিবেক বুদ্বিহীন অন্ধ। -----------------
يقرؤون القرآن لا يتجاوز حناجرهم
"তারা কোরআন তেলোয়াত করবে কিন্তু কন্ঠনালির নিচে নামবেনা"
তাদের মুরুব্বিদের তেলোয়াত শুনলে মনে হবে আমরা এখনো কোরআন তেলোয়াতই করতে জানিনা।
অথচ হায়! কি তিলাওয়াত করছে যদি একটু অনুধাবন করতো!! বিবেক বুদ্ধির অপরিপক্ক হতোনা!!
লিংক.. https://www.youtube.com/watch?v=_acWafRy9Ns (অসাধারন সুন্দর তিলাওয়াত! চোখের পানি ধরে রাখা যায়না।।।)
দেখুন গনতান্ত্রিক মন্দিরে তথা কুফুরি সংসদে তেলোয়াত করছে, কিন্তু এই মন্দিরের সবই হল, কুফর আর শিরকে সাজনো। অর্থাৎ তেলোয়াত করবে ঠিকই কিন্তু আল্লাহ সুবঃ এর বলে দেওয়া পদ্বতিতে জমিনে এর শাসন বাস্তবায়নের জন্য কোন প্রচেষ্টাই করবেনা! এরা আল্লাহ সুবঃ এর সাথে, কত বড় খেয়ানতকারী ও বিস্বাশ ঘাতকতাকারি এই সব জালিম তেলোয়াত কারি গুলো!!!
এটাকেই বলে, "তারা কোরআন তেলোয়াত করবে কিন্তু কন্ঠনালির নিচে নামবেনা"
দেখুন, https://www.youtube.com/watch?v=TiCdffDMu9g
মন দিয়ে শুনুন আর রসূল সঃ এর এই হাদিসটি গবেষনা করুন, যদি মুমিন হয়ে থাকেন তাহলে এটিই বুঝার জন্য যথেষ্ঠ। ছাদেক্বুল মছদুক্ব সাঃ ১৪০০+ বছর আগে কিভাবে এত কনফার্মেড কথাগুলু কনফিডেন্টলী বলতে পারেন! এটা মুজিযা নয়কি? সামনের আলোচনায় পবিত্র হাদিসের মুল বিষয়ে আলোচনা আসতেছে আসল মুজেযাতো সেখানেই রয়ে গেল, আল্লাহু আকবার! তার আগে আমরা কাফির মুশরিকদের দিকে একটু নজর দেই! তারাও নাকি ভবিষ্যতের কথা বলে দিবে!! LOL!
কাফির বিজ্ঞানিরা ১৯৮০ সাল থেকে ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে গবেষনা করতেছে শুধু মাএ ২৪ ঘন্টা আগে কি ঘটবে তা জানার জন্য।আজ ৩৬ বছর হলো তারা তার কোন কুল কিনার একনো তারা খুঁজে পাইনি। তাই তারা ভবিষ্যতের ম্যাসেজ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আজ পর্যন্ত তারা ভবিষ্যতের ব্যাপারে প্রেস ব্রিফিং করে, অথবা টিভি প্রোগ্রাম করে একটি কথাও বলতে পারেনি।।
শুধু কল্পনা ও স্বপ্নের জগত ফিল্মে কিছু দুর্বল ম্যাসেজ দেয়ার চেস্টা করেছে, The Time Machine এ ভবিষ্যতের ম্যাসেজ থেকে অতিতের ম্যাসেজ বেশি প্রাধান্য পেয়েছে,,
1824,... 300 years need to be back....
I am from the past, সংক্ষিপ্তভাবে দুই মিনিটের হাইলাইট দেখুন>>
https://www.youtube.com/watch?v=90T7iLuzFgg
Hot Tub Time Machine এ পুরাটাই পাগলামী।
** তাদের কাল্পনিক ভবিষ্যতের সবগুলোর দুর্বল প্রচেস্টা শুধু মানবজাতীর অর্থ সম্পদ নস্টঠ করেছে, যে যত পারে এর জন্য বড় বাডজেট দিয়েছে।। লক্ষ কোটি ডলার ও সময় অপচয় করে কমপেক্ট স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়েছে।। আর নির্বোধ পাবলিকেরাও তা গোমরাহীভাবে আনন্দের সহিত গ্রহন করছে, এক ক্লীকে পড়ুন..... http://gadgets.ndtv.com/…/20-cool-movie-gadgets-we-wish-wer… সবাই মিলে সব কিছু ব্যায় করেও ভবিষ্যতের ম্যাসেজ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে....
এক্ষেত্রে ইনডিয়ার মালাউনরা একধাপ এগিয়ে আছে... রাকেশ রৌশন খুবই নির্লজ্যভাবে ভবিষ্যতের মেসেজ দিয়েছে।। আর জন্য চয়ন করেছে নামধারী এক কুলাঙ্গার মুসলিমকে,, যে নিজেকে এক পর্যায়ে ইশ্বর হওয়ার দাবি করে...
মাত্র দুই মিনিটে দেখুন.>>> http://www.dailymotion.com/video/x31zz9h
যেখানে এক পর্যায়ে ভবিষ্যত পরিবর্তন করারও ঘোষনা দেয় কুলাঙ্গার নাসিরউদদীন শাহ.. তারপরে কি হল দেখুন>>> https://www.youtube.com/watch?v=ATIigOSzTdw তাই এসব কুল কিনার করতে না পেরে তারা কখনো কখনো মাতাল হয়ে, সিমালংঘন করছে। আর মুশরিকরা নিশ্চই সীমালংঘন কারিই। কতইনা দূর্বল তাদের চিন্তাধারা।
** সারা দুনিয়ার সব সৃষ্টি একএিত হয়ে এ রকম কোন ইউনিট বানাতে পারেবনা।যেটা বলে দিতে আপনি আগামি কাল কি করবেন? আমি এ হাদিসটিকে সুপার মু'যিযা হিসাবে গন্য করেছি কেননা মহান আল্লাহ সুবঃ রসূল সঃ কে, যে পাঁচটি বিষেশ গুন দান করেছেন এটিও একটি।কথার শব্দ হবে কম কিন্তু তাৎপর্য হবে মহাসাগর।
প্রায় ১৫০০ শত বছর আগের কয়েকটি কথার সত্যতা,
সময়ের বর্ণনা,
অবস্থান,
লোকেশন,
সম্প্রদায়,
গুনাগুন
এটিচ্যুট, বিহেভিয়্যর, কথা বার্তার ধরন, চাল চলন..
শারিরীক গঠন ইত্যাদি কিভাবে হুবহু মিলে যায়!!! তা সত্যিই কি মু'যিযা নয়!!
ওনার (সাঃ) বলে যাওয়া প্রত্যেকটি আলামত, নিদর্শন, আজ প্রায় ১৫০০ বছর পরে কিভাবে মিলে যায় অক্ষরে অক্ষরে! শব্দে শব্দে..।মানব ও জীনসহ সকল সৃস্টি জগতকে জিজ্ঞ্যাসা করুন,, এ রকম কেউ একটি কথার লাইন বলতে পারবে কিনা? যেখানে দাবি করা হবে, অমুখ সময় অমুখ স্হানে এ ধরনের কিছু লোক আসবে!!...
না, এটা অসম্ভব।। তখন হাদিসটা কি সুপার পাওয়ার মু'যিযা বলতে পারিনা?
---- এবার আমরা হাদিসের মূল আলোচনায় ফিরে যাচ্ছি। তাহলোঃ---. يقتلون أهل الإسلام ويدعون أهل الأوثان মুলত এ অংশটিই হাদিসের মুল বিষয়বস্তু ও আলোচনার সারামর্ম এবং মুজিযাহ..
এবার পবিএ হাদিসে তাদের আসল রুপের কথা বলা হচ্ছে.... অর্থাৎ, "মুসলিমদের হত্যা করবে এমন মুশরিকদের ছেড়ে দিবে"। এ বাক্যে দুটির মধ্যে প্রথমে আমরা দেখতে পাই স্লকের মিল ও বালাগাতের কারুকাজ, যার গভিরে গেলে নিঃসন্দেহে মু'যিজা। প্রথম বাক্য ১৬ টি হরফ.... দ্বিতীয় বাক্যে একই ছন্দে ১৬ টি হরফ।...... পৃথিবীর মানুষের মধ্যে হতে কে পারবে এত সৌন্দর্যোমন্ডিত করে ও গভির তাৎপর্য পূর্ন কথা গুলো বলতে। স্লোকের সমতা ঠিক রেখে হুবহু করে দৃঢ়তা সহকারে বলতে! আর আল্লাহর ইচ্ছায়, যার বাস্তবায়ন হবেই হবে।
يقتلون أهل الإسلام " তারা মুসলিমদের হত্যা করবে"
রসুল সঃ এর মু'যিযা কোথায় খেয়াল করুন! মুসলিমদের হত্যা করতেছে- ইহুদি, খৃষ্টান, মালাউন হিন্দুর জাত, বৌদ্ব সহ সবগুলো কুফুরি জোট। তাহলে এখন এরা কি খারেজি?? খুব সহজ উওর হলো, না!
কেন না? সেটা হাদিসের উপরের অংশেই আছে। কারন তারা কোরআন পড়বে, হাদিস পড়বে, কালিমা পড়বে ইত্যাদি।আর খারেজি মানেই তো ইসলাম থেকে দ্রুততার সাথে বের হয়ে যাওয়া।তীর যেভাবে বের হয়ে যায়।
এবার আমরা দেখবো মুসলিম দাবিদাররা, কুরআনের তেলোয়াত কারিরা, কালিমা পড়নে ওয়ালারা কিভাবে মুসলিমদের পাইকারি ভাবে নৃশংস ভাবে হত্যা করে চলেছে।
বিঃদ্রঃ, এটা সেই সম্প্রদায় যার আলোচনা ইতি পূর্বে করা হয়েছে।যাদের সামনে আমাদের এবাদাতকে তুচ্ছ মনে করি।যাদের তেলোয়াত শুনে চোখে পানি ফেলি। শত শত লিংক থেকে আমি শুধু ইরাক ও শামের দুটি একটি লিংক দিব, যা দেখে কোন মুসলিমের সহ্য করা অত্যন্ত কষ্ট হবে! ...
আবু বকর ও উমার নাম রাখার অপরাধের শাস্তি>>>
https://www.youtube.com/watch?v=yzZrpMeZvlM *** কাঠ ও পাথর পুজা (মাজার) না করার কারনে মুসলিমদের মৃত্যুদন্ড. >>> https://www.youtube.com/watch?v=qLCOx8K7gdU
*** মুসলিমদের এলাকায় ঢুকে কিভাবে হত্যা করতেছে, শামে, তাদের অপরাধ তাদের শিরকি কালিমা পাঠ না করা!! লিংক... https://www.youtube.com/watch?v=w9xesraA9KM ##** খারেজি চেনার ব্যাপারে কোন গবেষনা করার প্রয়োজন নেই। শুধু মাএ এই ভিডিওটি দেখলেই সব উওর পেয়ে যাবেন। https://www.youtube.com/watch?v=2EN8B51f92s এখানে তাদের ইমাম সরাসরি নির্দেষ দিচ্ছে সুন্নি মুসলিমদের হত্যা করতে, যেখানেই পাওয়া যায়। > "মুশরিকদের ছেড়ে দেয়.... ويدعون أهل الأوثان ......." এ বাক্যটি বুঝতে হলে প্রথমে 'আওছান' শব্দের অর্থ বুঝতে হবে। মুলত এই الأوثان শব্দের মধ্যেই রয়েছে বিস্ময়কর মুজিযাহ.. 3/5 পর্ব শেষ।
চলবে...
খারিজীদের আলামতে রাসুল সা. এর মুযীযাহপূর্ণ ভবিষ্যত বাণীরবিস্ময়কর হাদিসের ৪/৫ পর্ব টাইটেল, "তারা কাঠ ও পাথর পূজারীদের ছেড়ে ...
ABDUL WHIDE·FRIDAY, JUNE 17, 201626 Reads
আওছানঃ এর শাব্দিক ব্যাখ্যাঃ- আওছানঃ- এমন কিছু জড়বস্তুর এবাদাত করা,যেমন কাঠ, পাথর, পিতল রুপা, ও অন্যন্য কিছুর পুজা করা। -------------- ০ ---------------- পবিএ ক্বুরআনের ভাষায় 'আওছান' فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ সূরা হজ্জ-৩০#.......... "সুতরাং তোমরা মুর্তি আকৃতি পুঁজা থেকে বেচে থাকো"
** সূরা আ'নকাবূতের ২৫ নং আয়াতে মহান আল্লহ সুবঃ বলেন,. وَقَالَ إِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا.... আর ইব্রাহীম বললেন, নিস্চয়ই তোমরা আল্লাহ ব্যাতিত কিছু কাঠ পাথরকে উপাস্য রূপে গ্রহন করেছ!! إِنَّمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا وَتَخْلُقُونَ إِفْكًا.. একই সুরার 17 নং আয়াতে বলা হচ্ছে,,
নিস্চয়ই তোমরা আল্লাহ ব্যাতিত কিছু কাঠ পাথরের উপাসনা করছো, যা তোমরা নিজেরাই মিথ্যাভাবে বানিয়ে নিয়েছ! / সূরা হজ্জের ৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা তাফসিরে জালালাঈনে এসেছে..وابتعِدوا عن القذارة التي هي الأوثان অর্থাৎ, অপবিএতা থেকে দূরে থাকো, এটাই হলো আওছান। কাঠ, পাথর, পিতল রুপা, এগুলো পবিত্র, আর যখন এসব জড় পদার্থকে মহান রাব্বুল আলামীনের এর সাথে পার্টিসিফ্যাট করা হবে তখন এগুলো অপবিত্র।। কেননা মহান রব অতিই পূত পবিত্র।
সূরা আ'নকাবূতের ব্যাখ্যাও তাফসিরে জালালাঈনে এসেছে.وهو حجارة كانت تعبد. অর্থাৎ, যে পাথরের এবাদাত করা হয়।
****** তাফসিরে ইবনে কাসিরে এসেছে, পার্থিব জিবনে পারস্পারিক বন্ধুর বন্ধুত্বের খাতিরে মহান আল্লাহ সুবঃ এর পরিবর্তে মূর্তি গুলোকে উপাস্য রুপে গ্রহন করা।
আওছান কি ?এর উপাসনা কিভাবে করা হয়, আরো বিস্তারিত জানতে ক্লীক করুন, আরবী লিংক.. http://www.nabulsi.com/blue/ar/art.php…
তাফসীরে তাবারীতে এটাকে শয়তানের উপাসনা ও অপবিত্রতা বলা হয়েছে, যেমন, فاتقوا عبادة الأوثان, وطاعة الشيطان في عبادتها فإنها رجس
লক্ষনিয়.আওছান, الأوثان.মানে মুর্তি। আবার. الاصنام..আছনাম...মানেও মুর্তি। এখানে রসূল সঃ আহলুল আছনাম না বলে আহলুল আওছান কেন বলেছেন?! ------- এখানে রসূল সঃ আওছান বলেছেন, আছনাম বলেননি - যদি আহলুল আছনাম বলতেন এ সম্প্রদায়ের গুনাগুন হিন্দু মুশরিকদের উপর গিয়ে পড়ে। তখন হাদিসের সাথে ভবিষ্যত বানির লোকেশন, সম্প্রদায় ও আমল গুলো মিলেনা।। [যার কিছু ব্যাখ্যা يأتي في آخر الزمان قوم এ অংশে ইতিপুর্বে করা হয়েছে]
/////////////// অত্র হাদিসের লোকেশন আরো পরিস্কার করার জন্য আরো কয়েকটি হাদিসের রেফারেন্স দেয়া বিশেষ প্রয়োজন মনে করছি।।
১. # রাসূলে পাক (সাঃ) বলেছেনঃ "পূর্বদিক হতে একদল লোকের আত্মপ্রকাশ হবে তারা কুরআন পড়বে, কিন্তু হায়, কুরআন তাদের গলা অতিক্রম করবে না। এই দলটির আগমন হতে থাকবে কিয়ামত অবধি এবং শেষ পর্যন্ত তাদের দজ্জালের সাথে উত্থান হবে। (আদ্দারুস সুন্নিয়াহ পৃঃ ৫০)
///
২. # ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলাল্লাহ্ صلى الله عليه وسلم বলেছেনঃ (অচিরেই) একটি দলের উদ্ভব হবে যারা কুরআন তিলাওয়াত করবে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নিম্নভাগ অতিক্রম করবে না। যখনই এ দলটি বের হবে, তখনই তাদের খতম করা হবে। ইবন ‘উমার (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলাল্লাহ্ صلى الله عليه وسلم-কে বলেতে শুনেছি, যখনই দলটি প্রকাশ পাবে তখনই খতম করা হবে। কথাটি তিনি বিশের অধিকবার বলেছেন। এমনিভাবে তাদের থেকে দাজ্জাল আবির্ভূত হবে। (সুনানে ইবন মাজাহ, হাদিস#১৭৪)
** রাসুল স. বলেছেন , ইসফাহান থেকে দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ হবে , তার সাতে ৭০০০০ অনুসারী থাকবে.. (আহমেদ )
ইসফাহান হলো ইরানে .. এবং ইরাকের খারেজিদের নাটের গুরু ইরান. তার সাথে একটি ভূ-খন্ড, মাঝখানে কোন সমুদ্র বা প্রাচীর নেই। তাহলে বুজা যায় খারেজিদের সাথে দজ্জাল ও ১ টি ভু খনদের সম্পর্ক রয়েছে .. যা কোনো ভাবেই আহলুল অস্নাম তথা ভারতের সাথে সম্পৃক্ত হয়না .. সংগত কারনে আরো অনেক পার্থক্য রয়েছে,আওছান ও আছনামের মাঝে। আওছান মানে এমন মুর্তি, যার মানুষ কিংবা প্রানির আকৃতি হয়না। তা জড় পদার্থকে বুঝায়,কিন্তু তার উপাসনা করা হয়! আর ঠিক হুবহু ১০০ % তাই চলছে রাফেদিদের ভূমিতে।
** যারা সৌদিতে আছেন, তাদের দেখেছেন, তারা নামাজের সিজদার জায়গায় ১ টি পাথর রাখে,
(আমি নিজে দেখেছি) লিংকে দেখুন...http://www.dd-sunnah.net/forum/show... ....
এই কবরের মধ্যেই রয়েছে কাঠ, পাথর, পিতল সহ সমস্ত জড় পদার্থ।তাই তারাই আওছানের অন্তরভুক্ত। আর বাংলাদেশেও আছে এই মুশরিক আওছান। তবে এখানে ভুখন্ড ও কাউমের শর্ত পাউআ যায়না,, অপর দিকে যেকোন প্রানি বা মানুষের আকৃতির মুর্তিকে আছনাম বলা হয়। তাই রাফেদি মুশরিক আর হিন্দু মালাউন মুশরিকদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আওছান ও আছনামের আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন... লিংক... http://vb.tafsir.net/tafsir41271/... ------ এবার আমরা আরো একটু বিস্তারিত ভাবে বুঝি। ..........এবং তারা আওছানি মুসরিকদের ছেড়ে দেয়। এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ন, এই অংশটি না বুঝলে হাদিসের মূল আলোচনার কিছুই বুঝা যাবেনা। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, রসূল সঃ এর কথাটি, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়, ভু-খন্ড, ও সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। এবার আসি মূল আলোচনায়ঃ- ইরান , ইরাক্ব ও শাম মূলত একটি ভূ-খন্ড।মাঝখানে কোন সমুদ্র বা প্রাচীর নেই। এখানে মোট তিনটি সম্প্রদায়। ১) আহলুল ইসলাম। ২) আহলুল আওছান। ৩)খাওয়ারিজ। ------ বর্তমান ইরান ইরাক ও শামের ব্যাপারে আমরা এই তিনটি সম্প্রদায় নিয়ে আলোচনা করব ইংশাআল্লহ। আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি গত তিন পর্বে, সেই সম্প্রদায় সম্পর্কে মোটমোটি বিস্তারিত। আর সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছিল যে তারাই খাওয়ারিজ। আরেকটু সাজিয়ে নেই.. .. يأتي في آخر الزمان....শেষ জামানা অর্থাৎ বর্তমান সময় ... قوم...ইরান ইরাক ও শামের একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়। .... : حدثاء الأسنان، سفهاء الأحلام، يقولون من خير قول البرية..আলামত --উক্ত সম্প্রদায়ের চিহ্ন। .... أهل الإسلام.. সুন্নি। ... أهل الأوثان.. মাজার ও ক্ববর পূঁজক। .. يقرؤون القرآن لا يتجاوز حناجرهم...গুনাগুন
.. يقتلون أهل الإسلام . ويدعون أهل الأوثان.
কার্জোবলী /
প্রথম থেকে এতটুকু বিশ্লেসনে আমরা তিন শ্রেনীর অভিনেতা পাইতেছি .. তা হলো
১) আহলুল ইসলাম। ২) আহলুল আওছান। ৩)খাওয়ারিজ।
১ টি বিশেষ সুত্র এই তিন শ্রেনীর মধ্যে সবাই হক না ... আবার সবাই বাতিল ও নয় .. এ ক্ষেত্রে কোনো যুক্তি তর্ক ছাড়াই আমাদের কে আহলুল ইসলামকে হক ধরে নিতে হবে. এখন হাদিসের আলোকে পকৃত খারিজী নির্ণয় করতে বেশি সময় লাগবেনা , কেননা এখানে সুত্র দেয়ায় আছে .. তাহলো “আহলুল আওছান।“ -
-
সুত্র ১. আহলুল ইসলামদের কে মুহাদ্দিস গণ আহলুস সুন্নাহ বলেছেন সংক্ষেপে সুন্নি , আর বর্তমানে এই বৃহত্তর ভু খন্ডে সুন্নি কারা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা / -
-
সুত্র ২. সুন্নিরা কাঠ , পাথর , তামা পিতল পূজার (কবর মাজার এর উপাসনা) উস্সেদ করবে, আর অপের্দিকে খারেজিরা এগুলোকে ছেড়ে দিবে ..
সুত্র ৩. খারেজিরা সেখানকার সুন্নিদের হত্যা করবে (ইতিপূর্বে প্রমান করা হয়েছে), অপরদিকে সুন্নিরা খারেজিদের কে আদ জাতির মত হত্যা করবে (পরের নোট এ বিস্তারিত আলোচনা আসতেছে , ইন সা আল্লাহ ) -
-
সুত্র ৪. ইরান , ইরাক , সাম, এগুলো মদিনার পূর্ব দিকে , এখান থেকে যদি ফিত্নাহ , সয়তানের সিং , ও খারেজির উত্পত্তি ঘটে , তাহলে তা অবশ্যই আহলুল ইসলাম তথা সুন্নি থেকে নয়, উপরের সব আলোচনা থেকে রাফেদী , সাফাভি ও নুসায়্রী থেকে . যাদেরকে আম ভাবে শিয়া বলা হয় .
-
সুত্র ৫. খারেজি যদি শিয়া থেকে হয় , তাহলে , আসাদ হবে সুফিঞানী ফিত্নাহ (সাম)
**মুক. সদর , খুমেনি দাজ্জালের সাথী..
*** মালিকি, হায়দারী হবে শয়তানের সিং ,,
এসব বাদ দিলে থাকে খালিফাহ আবু বকর বাগদাদী, কোরায়শী হুসাইনী .
-
সুত্র ৬ . আর খালিফাহ আবু বকর বাগদাদী, কোরায়শী হুসাইনীকে যদি কেও শিয়া প্রমান করতে না পারেন, সাদারণ সুত্র অনুযায়ী তিনি সুন্নি থেকে অর্তাথ আহলুল ইসলাম থেকে , ..
সুত্র ৭.যখন আমরা উল্লেখিত ভু খন্ডে শিয়া ও সুন্নি কারা চিনতে পারলাম, এবার শিয়া ও সুন্নিদের মাজখানে রয়েছে আহলুল আওসান , এই আহলুল আওসান কে যারা ছেড়ে দিবে তারাই খারেজি.. প্রিয় পাঠক, যদি আপনার কাছে পরিস্কার হয় যে খারেজি শিয়াদের থেকেই , যেহেতু বিষয়টি সেন্সেতিভে , তাহলে মনে রাখবেন , সব শিয়া খারেজি না , কিন্তু সব খারেজি ই শিয়া.. (এই বিষয়ে আরেক সিরিজে আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ ) ---------
সর্বশেষ-- .... فإن أنا أدركتهم لأقتلنهم قتل عاد...... "অতপর আমি যদি তাদের পেতাম তাহলে আ'দ জাতির মত হত্যা করতাম"।।
----------------------- আগামি পর্বে এ হাদিসের, এ অংশের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব ইংশাআল্লহ। খুবই গুরুত্বপূর্ন তথ্য আসবে ইংশাআল্লহ। ...
৫/৪ পর্ব সমাপ্ত—চলবে
////////////////////////////////////////
৫/৪ পর্ব শীঘ্রই ইনশা আল্লাহ।।