JustPaste.it

কাবুলের নর্থগেট হোটেলে

বিদেশী ক্রুসেডরদের ঘাঁটিতে ইস্তিশহাদি হামলা

 

download

pdf
https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZljzfZfp48sRwefv8EOdXSt7xyguCI1Rly

http://www.pdf-archive.com/2016/08/03/taliban1-kabul/
http://document.li/e2HF

http://up.top4top.net/downloadf-215lbtd1-pdf.html
http://up.top4top.net/downloadf-215u1mx1-pdf.html
http://up.top4top.net/downloadf-215byms1-pdf.html

http://www.up-00.com/?Iny9
http://www.up-00.com/?pny9
http://www.up-00.com/?rny9

word
https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZEjzfZF92srTfAVf5B1tMqztvKQ00E2zdX

http://up.top4top.net/downloadf-215hh001-docx.html
http://up.top4top.net/downloadf-215s4de1-docx.html
http://up.top4top.net/downloadf-215jn921-docx.html

http://www.up-00.com/?yny9
http://www.up-00.com/?Dny9
http://www.up-00.com/?Ony9

 

{ লিখিত রুপ}

 

বিস্তারিত সর্বশেষ বিবরণঃ কাবুল নর্থগেট হোটেলে ইস্তিশহাদি হামলা, অসংখ্য হতাহত

হামলার শুরু

ইমারাতে ইসলামীর মুজাহিদদের পরিচালিত অপারেশন উমারি এর ধারাবাহিকতায় এবার চার জন বীর মুজাহিদ কাবুল নর্থগেট হোটেলে ইস্তিশহাদি হামলা পরিচালনা করেছেন। এই হোটেলটি দখলদারদের গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক ও গোয়েন্দাকেন্দ্র হিসেবে গণনা করা হত।

ইস্তিশহাদি মুজাহিদগণঃ

এই নায়কোচিত অপারেশনে চার জন ইস্তিশহাদি মুজাহিদ অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁরা হলেনঃ

১/ মুহাম্মাদ আম্বিয়া- তিনি কান্দাহার প্রদেশের পাশমল জেলার অধিবাসী।

২/ শামসুল্লাহ- তিনি হেলমান্দ প্রদেশের নহর সিরাজ জেলার অধিবাসী।

৩/ আব্দুর রশিদ

৪/ নেয়ামতুল্লাহ- জাবুল প্রদেশের আতগর জেলার অধিবাসী।

অপারেশনের শুরুতে ট্রাক চালক মুজাহিদ ভাই তাঁর  বিস্ফোরক ভর্তি  ট্রাককে হোটেলের প্রধান গেটের সামনে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। তিনি সেখানে পৌঁছেই ট্রাকটির বিস্ফোরণ ঘটান। ফলে মুজাহিদদের সফলভাবে অপারেশন পরিচালনার জন্য সকল প্রতিবন্ধকতা দুরিভুত হয়ে যায়।

বিস্ফোরণের পর পর হালকা ও ভারি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত তিন জন ইস্তিশহাদি মুজাহিদ হ্যান্ডগ্রেনেড, অগ্নিউদ্গিরনকারী বোমা ও বিস্ফোরক নিয়ে হোটেলের ভিতরে ঢুকে পড়েন। ও নিরাপদ পজিশন গ্রহণ করে নবাগত বিদেশি দখলদারদের উপর হামলা শুরু করেন।

হামলার বিস্তারিত বিবরণঃ

বিস্ফোরণটি ছিল প্রচণ্ড ধ্বংসাত্মক ও ভীতিকর। এই বিস্ফোরণের ফলে মুজাহিদদের পথ থেকে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যায়। অনেক বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্রামস্থল ও  ডাইনিং রুমসমূহ, অস্ত্রাগার ও খাদ্যগুদামঘর ও কনফারেন্স হল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এবং অনেক দখলদার এই ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে।

অপারেশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে হোটেলের ভিতরে কেউ নিরাপদ থাকেনি, এই পর্যায়টি সকাল  পাঁচটা পর্যন্ত চলমান ছিল। বিদেশি দখলদাদের সকলেই নিহত ও আহত হয়ে গিয়েছে।

তৃতীয় পর্যায়ে যা দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চালু ছিল-  তিন জন মুজাহিদ তাঁদের সুনিপুণ কৌশল অনুযায়ী হোটেলের ভিতরের সকলকে হতাহত করার পর বাহিরে যারা ছিল, তাঁদের উপরও তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেন। এবং হোটেলের নিরাপত্তায় আগত দখলদার সৈন্য, তাঁদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের উচ্ছিষ্টভোগী পুলিশ সদস্যদের উপর দুর্দান্ত হামলা শুরু করেন। শত্রুদের অসংখ্য লোককে নিহত ও আহত করেন।  শত্রুরা ঘটনাস্থল থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে হতাহতদের সরিয়ে নিয়ে যায়।   .

শত্রুদের ক্ষয়ক্ষতিঃ

এই বীরোচিত অপারেশন অসংখ্য দখলদার হত্যার দ্বারা পরিসমাপ্ত হয়েছে। মুজাহিদদের কাছে নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, এই হোটেলে অনেক বিদেশি দখলদার রয়েছে। তাদের অধিকাংশকে হত্যা করা হয় আর বাকিরা আহত হয়। এই নিহত ও আহত ছাড়াও হোটেলের অধিকাংশ অংশ মাটির সাথে মিশে যায়। এবং অনেক সরঞ্জাম ও জিনিসপত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও শত্রুরা আর্থিকভাবে প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়।  

শত্রুদের  অস্বীকৃতি ও প্রোপাগান্ডাঃ

ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে শত্রুদের অস্বীকৃতি বা ক্ষয়ক্ষতির সামান্য কিছু স্বীকার করা নতুন কোন বিষয় নয়, বরং তাঁরা এবারো তাঁদের মিথ্যাবাদিতা, ধামাচাপা দেওয়া ও ধোঁকাবাজির দীর্ঘ ইতিহাসের দিকে প্রত্যাবর্তন করেছে।

আর মুজাহিদগণ যখন এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাড় হয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে কয়েক টন বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাকের বিস্ফোরণ ঘটালেন। অতঃপর দীর্ঘ সাত ঘণ্টাব্যাপী অপারেশন পরিচালিত হল। তা যে অল্প কিছু হতাহতের মাধ্যমেই শেষ হয়ে যাবেনা, সুস্থ মস্তিষ্কের সকল ব্যক্তি-ই এমনটি মনে করবে ও মেনে নিবে। আর অতীত অভিজ্ঞতা থেকেও এটা প্রমাণিত।

নিশ্চই ইস্তিশহাদি মুজাহিদদের পরিকল্পনা অত্যন্ত সঠিক ও সুচারু ছিল। তাঁদের নির্দেশিত টার্গেটও ধারাবাহিকভাবে সঠিক ও সুচারুরুপে সমাপ্ত হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় শত্রুদের ক্ষয়ক্ষতিও মুজাহিদগণ পূর্ব থেকে যেমনটি পরিকল্পনা করেছিলেন, সেটাই হয়েছে।

আর আমাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা অপারেশনের পরিকল্পনার শুরু থেকে নিয়ে হামলার শুরু পর্যন্ত পুরো হোটেলটি সুক্ষভাবে রেকি করেন। এবং হোটেলের আভ্যন্তরীণ ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাপ ও হোটেলে অবস্থানকারীদের সংখ্যার ব্যাপারে সকল তথ্য জমা করেন। এবং সকল দিকে লক্ষ্য করে উপযোগী অস্ত্রশস্ত্র নির্বাচন করেন। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যে, তাঁরা তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলভাবে অপারেশন বাস্তবায়ন করেন। আর হোটেলে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ দখলদারের কেউ-ই নিরাপদ থাকেনি। আর যে সকল আমেরিকান জীবিত আছে, তারা সারা জীবন পঙ্গু হয়ে-ই থাকবে। সকল প্রশংসা ও স্তুতি আল্লাহ তায়ালার জন্য।

অপারেশনের বার্তা ও ফলাফলের মুল্যায়নঃ .

আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যারা অশুভ লক্ষ্যে আফগানিস্তান দখল করতে এসেছিল, তারা এখন এটা বুঝতে পেরেছে যে তারা দখল করে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না কিন্তু তারা আফগানিস্তানে তাদের দখল দীর্ঘায়িত করতে চায়, যাতে বিশ্বের সামনে আমেরিকা মুখ রক্ষা করতে পারে। এবং তাদের ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতির সরল স্বীকারোক্তি ও লজ্জা থেকে রক্ষা পেতে পারে। ফলে তারা বর্তমান বিশ্বে আমেরিকার স্থিতিতে ধ্বস নামাকে রোধ করতে পারবে। (?)

কিন্তু আমেরিকা ও তার মিত্রদের জেনে রাখা উচিত, আফগানিস্তানে তারা অবস্থান যতই বিলম্বিত করবে আফগান মুজাহিদগণ নতুন নতুন জেহাদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন ও তা বাস্তবায়ন করবেন। যাতে নবাগত দখলকার বিদেশী শত্রুরা প্রচণ্ড ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, যেমনটি পূর্বে কর্মরত সৈন্যদের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

আজকের সফল কাবুল অপারেশন  একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে যে, ইনশা আল্লাহ আফগান জাতি প্রতিরোধ জিহাদ থেকে ক্লান্ত হবেনা। তারা আত্মত্যাগ থেকে পিছু হটবেনা। তাঁদের পরিকল্পনা দুর্বল হবেনা ও তাঁদের সুদৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিস্তেজ হবেনা। বরং তাঁদের শক্তি ও ক্ষিপ্রতা বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা সকল জেলা ও ব্যারাক বিজয় করবেন। তাঁরা দখলদার শত্রুদের অবস্থানস্থলকে মলিন করে দিবেন, তাদের ঘাটি ও মোর্চাসমুহকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করবেন। তাদের উপর শক্তিশালী হামলাসমূহ পরিচালনা করবেন।

নিশ্চই কাবুল অপারেশন দখলদারদের এই কথা বুঝিয়ে দেয় যে, তাদের অতিবাহিত প্রতিটি দিনের ও তাদের কৃত প্রতিটি অপরাধের মুল্য পরিশোধ করতে হবে, আর আমাদের ইস্তিশহাদি মুজাহিদ ভাইয়েরা এই অপারেশনগুলোতে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই অংশগ্রহণ করছেন। আর মুজাহিদিনে কেরাম ইমারাতে ইসলামীর আমীর শহীদ মোল্লা আখতার মনসুর রহিমাহুল্লাহর শাহাদাতের বদলা গ্রহণ করবেন। আর দখলদার শত্রুরা যতই নিপীড়ন, জুলুম ও সহিংসতা চালাবে, ততই উম্মাহর প্রতিশোধের আগুন প্রজ্জলিত হবে। এবং তাদের এমন শিক্ষা দিবে যে, তারা তা কখনই ভুলতে পারবেনা ইনশা আল্লাহ।

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হাফিজাহুল্লাহ )

কেন্দ্রীয় মুখপাত্র,

ইমারাতে ইসলামী আফগানিস্তান

 

২৭/১০/১৪৩৭ হিজরি

১১/৫/১৩৯৫ আফগানী

১/৮/১৬ ইংরেজি

 

 Your Brothers at



আপনাদের নেক দুয়ায় আমাদের ভুলবেননা!