সম্মানিত উপস্তিতি,
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে, কেন আমরা আল কায়েদাকে বাছাই করলাম পৃথিবীতে অনেক জিহাদি সংগঠন রয়েছে।এছাড়াও পৃথিবীতে অনেক ইসলামিক সংগঠন রয়েছে। এত সংগঠন থেকে কেন আমরা আল কায়েদাকে বাছাই করলাম। তাই আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে।" কেন আমরা আল কায়েদাকে বাছাই করলাম "। আমরা ইচ্ছা করলে অন্য কোন সংগঠনকে বাছাই করতে পারতাম বা অন্য কোন সংগঠন এর মধ্যে অন্তরভুক্ত হতে পারতাম। কিন্তু কেন আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে জিহাদি তাঞ্জিম হিসেবে বাছাই করলাম। এটাই হচ্ছে আজকের আলোচ্য বিষয়। যে কারনে আমরা আল কায়েদায় যোগ দিয়েছি এবং আল কায়েদাকে আমাদের তাঞ্জিম হিসেবে গ্রহন করলাম।
এক নাম্বার কারণঃ কেননা তারা জিহাদের পথকে বাছাই করেছে,জিহাদের এই পথে চলা শুরু করেছে যেহেতু তারা জিহাদের এই পথে চলা শুরু করেছে সেহেতু আমরা তাদেরকে গ্রহন করেছি।আমারা দেখি সমগ্র বিশ্বে আজ মুসলিম উম্মাহ নির্যাতিত ও নীপীড়িত ইরাক,আফগানিস্তান,কাশ্মীর,চেচনিয়া,বসনিয়াস পুরো বিশ্বে যখন মুসলিম উম্মাহকে গণহারে হত্যা করা হচ্ছে, মুসলিম মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে । প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর শানে যখন কটূক্তি করা হচ্ছে, আল্লাহর কুরআনকে আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে পৃথিবীর এক একটি সংগঠন এক একটি কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে । আজকে যারা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করছে তারা বলছে, পৃথিবীতে নির্যাতিত মুসলিম উম্মার মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে ।আবার আজকে যারা খানকা ইসলামে নফসের ধারা কাজ করছে তারা বলছে, মুসলিম উম্মাহ এই নির্যাতিত থেকে মুক্তি পাবে নফসের মাধ্যমে ।আবার আজকে যারা দারস ও তাশদীদ এর মাধ্যমে কাজ করছে মাদ্রাসা গুলোতে তারা বলছে,দারস তাশদীদ এর মাধ্যমে যখন একটা আদর্শ সমাজ গঠন করা যাবে তখন মুসলিম উম্মাহ এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে। এইভাবে যারা রাজনৈতিক ময়দানে কাজ করছে তারা বলছে ইসলামিক আন্দোলনগুলো আজকে গনতন্তের আন্ডারে রাজনৈতিকভাবে কাজ করছে তারা বলছে, মুসলিম উম্মাহ এই গনতান্তিক ইসলামিক রাজনৈতিক এর মাধ্যমে নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে। অতচ আল্লাহ সুবাহানল্লাহ তালা কুরআন পাকে ইরশাদ করেন ’
আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।(সুরা নিসা _৭৫) |
|
আল্লাহ তালা যখন বলছে, তোমাদেরর কি হল তোমরা কেন আল্লার রাস্তায়ে লড়াই করছ না ঠিক এই মুহূর্তে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়েছে তাঞ্জিম আল কায়েদা। তারা আল্লাহ সুবাহানল্লাহ তালার এই ডাকে সাড়া দিয়ে মজলুম উম্মাহকে রক্ষা করার জন্য জিহাদের পথে নেমেছে এই জন্যই তারা জিহাদের পথকে গ্রহন করেছে। আর আজকে যারা বলছে বিভিন্ন উপায়ে দ্বীন কায়েম হবে। অথচ আল্লাহতালা তার কালামে পরিষ্কারভাবে বলছে " তাদের বিরুধ্যে লড়াই করতে থাকো যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয় এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণ ভাবে কায়েম হয়" । তো দ্বীন পরিপূর্ণ রূপে কায়েম হবে কিসের মাধ্যমে? কিতালের মাধ্যমে,জিহাদের মাধ্যমে। আল্লাহ তালা বলছেন,তোমরা তাদের বিরুধ্যে লড়াই কর। (সুরা আনফালের ৩৯নং)আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলেছেন,কিতালেই হচ্ছে একমাত্র দ্বীন কায়েমের পথ। এভাবেই এই উম্মাহ যে কঠিন পরিস্তিতে রয়েছে এই কঠিন পরিস্তিতি থেকে রক্ষা পাওার জন্য রাসুল (সাঃ)বলেন, “ যখন তোমরা ইনা জাতীয় ও সুধি ব্যাবসা সাথে জড়িত হবে এবং তোমরা গরুর লেজ ধরবে তোমরা তোমাদের চাষাবাদ ফসল এগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যাবা ফলে জিহাদকে ছেড়ে দিবে, তখন আল্লাহ তালা তোমাদের উপর জুলুম ও লাঞ্ছনাকে চাপিয়ে দিবে। আর এই লাঞ্ছনা অপদস্ততা তোমাদের থেকে ততক্ষণ পর্যন্ত উঠিয়ে নিবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসো" । (আবু দাউদ)
মুহাদিসিন কিরাম বলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা জিহাদ ও কিতালের দিকে ফিরে না আসো এবং জিহাদকে আকড়ে না ধরো ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের উপর থেকে উপর জুলুম,লাঞ্ছনা অপদস্ততা উঠিয়ে নেওয়া হবে না। আবু দাউদ এই হাদিসের মধ্যে বোঝা যাচ্ছে যখন মুসলিম উম্মাহ জিহাদকে ছেড়ে দিবে তখন তাদের উপর লাঞ্ছনাকে চাপিয়ে দেওয়া হবে। এই লাঞ্ছনা ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের উপর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে না যতক্ষণ না তারা জিহাদের দিকে ফিরে না আসে। তাহলে রাসুলের এই কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই উম্মাহর মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে, এই উম্মাহ যদি জুলুম,নির্যাতন,নিপীড়ন এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে জিহাদ_ফি_সাবিলিল্লাহ । এই জন্যই আমরা দেখতে পাই তাঞ্জিম আল কায়েদা রাসুল (সাঃ) এই বাণী গুলোকে সরণ করেই জিহাদের পথে চলেছে। আমরা এই তাঞ্জিমে যোগ দেওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে, কেননা তারা এই জিহাদের পথকে গ্রহন করেছে এবং জিহাদের পথে চলছে। এ ছাড়াও কুরআনে প্রায় পাঁচশো আয়াতে এ শুদু মাত্র জিহাদের কথা রয়েছে। এভাবেই রাসুল (সাঃ) থেকে বর্ণিত অসংখ্য হাদিস রয়েছে যেগুলো জিহাদ সংক্রান্ত । কিতাবুল মাগাজি, কিতাবুল জিহাদ অধ্যায়ে গুলোতে মুহাদিসিন কিরাম জিহাদ সংক্রান্ত হাদিস গুলোকে উল্লেখ করেছেন। এই হাদিস গুলো অন্য যত সংগঠন রয়েছে পৃথিবীতে কেউ এর উপর আমল করছে না। শুধুমাত্র তাঞ্জিম আল কায়েদা এই হাদিস গুলোর উপর র্পুরনাঙ্গ আমল করছে । যেহেতু তারা জিহাদের পথে চলছে এই জন্যই আমরা তাদের মাঝে অন্তরভুক্ত হয়েছি।তার জন্যই আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমাদের তাঞ্জিম হিসেবে বেছে নিয়েছি ।
দুই নাম্বার কারণঃ আমরা আল কায়েদাকে নিজেদের দল হিসেবে বাছাই করলাম, এরাই হচ্ছে আত তায়েফাতুল মানসূরা। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের একটা দল সব সময় হকের উপর সাহায্য পাপ্ত থাকবে,কেউ যদি তাদেরকে অবহেলা করে অথবা বিরোধিতা করে কিন্তু কেউ তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কেয়ামত পর্যন্ত কেউ তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাই রাসুল (সাঃ) এই হাদিসের মধ্যে বলেছেন, হকের উপর একটা দল সাহায্য পাপ্ত থাকবে। তাই তায়েফাতুল মানসূরার বৈশিষ্ট্য গুলো অন্য হাদিসে ক্লিয়ার করে দিয়েছেন। তায়েফাতুল মানসূরার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল তারা হকের উপর থেকে লড়াই করবে। " রাসুল (সাঃ) বলেন অামার উম্মতের একটা দল সব সময় হকের উপর থেকে লড়াই করবে এবং তারা কেয়ামত পর্যন্ত বিজয় থাকবে"। (সহি মুসলিম)। এভাবে আরেকটা হাদিসে আসছে ," রাসুল (সাঃ) বলেন আমার উম্মতের একটা দল সব সময় হকের উপর লড়াই করতে থাকবে এবং তাদের বিরোধীদের উপর সব সময় বিজয়ী থাকবে । তাদের শেষ দল মাসিয়া দাজ্জাল এর সাথে লড়াই করবে " (মুস্তাদার হাকেম )। এই যে মুজাহিদের দলটা থাকবে তারা অবশেষে দাজ্জাল বিরুধ্যে লড়াই করবে। এই হাদিস গুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি, আত তায়েফাতুল মানসূরার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল তারা হকের উপর থেকে আল্লাহর রাহে লড়াই করবে এবং শেষ দল হিসেবে দাজ্জাল মাসিয়ার সাথে লড়াই করবে। ঠিক তেমন আল কায়েদার মুজাহিদরা হকের উপর থেকে লড়াই করছে। সুতারাং এরাই হচ্ছে এই জামানার আত_ তয়েফাতুল মানসুরা । তাদের মাধ্যমে আজ এই কিতালটা ধারাবাহিক আছে। আজকে যে আছে সেটার প্রমাণ শুদু এই তাঞ্জিমের মাধ্যমেই আছে। সুতারাং এরাই হচ্ছে আত তয়েফাতুল মানসুরা। সুতারাং এটা হচ্ছে সেকেন্ড কারণ তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমাদের তাঞ্জিম হিসেবে বাছাই করা।
তিন নাম্বার কারণঃ তারা হচ্ছে গুরাবা ।তারা হচ্ছে অপরচিত গুরাবা। রাসুল (সাঃ) বলেন ইসলাম শুরু হয়েছে অপরচিত বা গুরাবা অবস্তায়ে। এটা যেভাবে অপরচিত অবস্তায়ে শুরু হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই অচিরেই অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে শেষ হয়ে যাবে। আবারো এটা গরিব হয়ে যাবে যেভাবে এটার সূচনা হয়েছিল সুতরাং সু সংবাদ হচ্ছে গুরাবাদের জন্য। আল্লাহর রাসুল (সাঃ)জিজ্ঞাসা করা হল গুরাবা কারা," রাসুল (সাঃ) বলেন মানুষেরা যখন খারাব হয়ে যাবে তখন মানুষদেরকে ইসলা/সংস্কার যারা করবে তারাই হচ্ছে গুরাবা"। আজকে আমরা দেখি, যখন গনতন্ত, সমাজতন্ত,কম্যুনিজম এই সব বিভিন্ন মতবাদের মধ্যে যখন মানুষ হারিয়ে গেছে। মানুষ যখন নষ্ট গনতন্ত বাস্তবায়ন করতে ব্যস্ত তখন এই সংস্কার এর কাজ হাতে নিয়েছে তাঞ্জিম আল কায়েদা। ঠিক সেই সময় এই নষ্ট সমাজকে সংস্কার এর কাজ হাতে নিয়েছে তাঞ্জিম আল কায়েদা এবং তারা সারা বিশ্বে ইসলামিক শারিয়া বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ হাতে নিয়েছে। এরাই হচ্ছে যখন মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে তখন এদেরকে সংস্কার করার কাজ করে যাচ্ছে তাঞ্জিম আল কায়েদা। এভাবেই আরেকটা হাদিস হল রাসুল (সাঃ ) বলেন,”সুসংবাদ হচ্ছে গুরাবাদের জন্য,রাসুল (সাঃ)কে জিজ্ঞাস করা হল গুরাবা কারা? রাসুল (সাঃ) বলেন, গুরাবা হল বিভিন্ন গোত্র থেকে আসা কিছু লোকের সমষ্টি" আজকে আমরা আফগানিস্তানে দেখি তাহলে সেখানে আরব ,ইউরোপ,যুক্তরাষ্ট আরও বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে গিয়ে যুদ্ধ করছে। এই সব মুজাহিদ ভাইরা এক একট গোত্র থেকে জিহাদের ময়দানে শামিল হয়েছে । আজকে যদি আমরা সোমালিয়ার দিকে তাকাই তাহলে সেখানেও বিভিন্ন দেশ থেকে মুজাহিদ ভাইরা এসে এক্রতিত হয়ে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছে আর হিজরত করার বৈশিষ্ট্য (গুন) হচ্ছে এই যুগের গুরাবা। এভাবেই সিরিয়াতে জাবাতাল নুসরা ভাইরা বিভিন্ন দেশ থেকে হিজরত করে এখানে আসছে সুতরাং এরাই হচ্ছে বিভিন্ন গোত্র থেকে আসা কিছু লোক। রাসুল (সাঃ) বলেন, “ সুসংবাদ হচ্ছে গুরাবাদের জন্য। রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল গুরাবা কারা তিনি বলেন, অনেক মানুষের মধ্যে কিছু সংখ্যক ভাল লোক অর্থাৎ তাদের অনুসারীদের চাইতে তাদের বীরুধী লোক হবে বেশি " । সুতারাং আজকে আমরা দেখছি তাঞ্জিম আল কায়েদার তাদের অনুসারীদের চাইতে তাদের বীরুধী অনেক বেশি এই যে তাদের বিরোধিতা হচ্ছে সুতারাং এগুলোই তাদের তাদের গুরাবা হওয়ার বৈশিষ্ট্য। তাই এই যুগের গুরাবা হচ্ছে তাঞ্জিম আল কায়েদা। এই যে তারা গুরাবা তাই আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছি । এই জন্যই আমরা তাদের অনুসরণ করা শুরু করেছি কারণ তারাই হচ্ছে হকের উপর ।
চার নাম্বার কারণঃ চার নাম্বার কারণ হচ্ছে কেননা তারা মিল্লাতে ইব্রাহিমের অনুসরণ শুরু করেছে। এই জন্য আমরা আমাদের দল হিসেবে তাঞ্জিম আল কায়েদাকে বাছাই করেছি । আল্লাহ সুবাহানল্লাহ তালা কুরআনে অনেক জাইগায়ে মিল্লাতে ইব্রাহিমের অনুসরণ করতে বলা বলছে। আল্লাহ তালা ইরশাদ করেন, “ অতঃপর আপনার নিকট ওহি করলাম আপনি একনিসটভাবে মিল্লাতে ইব্রাহিমের অনুসরণ করুন ইব্রাহিম কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা"। (সুরা নাহল ১২৩) । আল্লাহ তালা অন্য আয়াতে বলেন" তোমরা একনিষটভাবে মিল্লাতে ইব্রাহিমের অনুসরণ করুন।ইব্রাহিম কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।(সুরা ইব্রাহিম ৯০)। আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেন শুদুমাত্র বোকারাই মিল্লাতে ইব্রাহিম থেকে বিমুখ থাকে" (সুরা বাকারহ ১২৯) যারা মিল্লাতের ইব্রাহিম থেকে বিমুখ থাকে এবং তাদের অনুসরণ করে না আল্লাহ তাদের কে বলছেন নির্বোধ । যাদের কোন বুদ্ধি,জ্ঞান,বিবেক নাই এরাই মিল্লাত থেকে বিমুখ থাকে। আল্লাহ তালা মিল্লাত এর অনুসরণ করতে বলা হয়েছে আর মিল্লাতে ইব্রাহিমটা কি? মিল্লাতে ইব্রাহিমটা হল, কাফেরদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা এটাই হচ্ছে মিল্লাতে ইব্রাহিম । আল্লাহ তালা ইরশাদ করেন,”তোমাদের জন্য ইব্রাহিম (আঃ) এর জীবনেই রয়েছে উত্তম আদর্শ এবং তাদের সাথে যারা ছিল তাদেরও রয়েছে উত্তম আদর্শ তোমাদের জন্য“(সুরা মুমতাহিনা ৪)। উত্তম আদর্শটা কি ? যখন তারা তাদের জাতীকে বলেছিল, আমরা তোমাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করলাম, আল্লাহকে বাধ দিয়ে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদের থেকে আমরা সম্পর্ক ছিন্ন করলাম আমরা তোমাদের মানি না আমাদের ও তোমাদের মাঝে চির শত্রুতা । যতক্ষণ না তোমার এক আল্লাহর পতি ইমান আনবে। তাই ইব্রাহিম (আঃ)যেভাবে তার জাতি থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ঠিক সেই ভাবেই তাঞ্জিম আল কায়েদা ইসলামের শত্রুদের থেকে সম্পর্কও ছিন্ন করেছে তার এই মিল্লাতেরই অনুসরণ করছে। তারা এই জাতিকে বলেছে, আমরা তোদের মানি না, তোদের এই কুফরি বিধান থেকেও আমরা মুখ ফিরিয়ে নিলাম। তোদের মাঝে ও আমাদের মাঝে শুরু হল চির শত্রুতা। যতক্ষণ না তোরা এক আল্লাহর বিধানের দিকে ফিরে আসছ। এই ক্ষেতরে তাঞ্জিম আল কায়েদা তাহ পূর্ণভাবে অনুসরণ করেছে। এই জন্যই আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমাদের তাঞ্জিম হিসেবে বাছাই করলাম । কেননা তারা মিল্লাতে ইব্রাহিমের অনুসরণ করেছে। আর এটাই হচ্ছে চার নাম্বার কারণ।
পাঁচ নাম্বার কারণঃ কেননা তাদের মধ্যে আল ওয়ালা ওয়াল বার এর আকিদা রয়েছে। আল্লাহর ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যই শত্রুতা পোষণ করা করা। এই আকিদাটাই তাদের মধ্যে রয়েছে । যেমন আমরা দেখতে পাই আল ওয়ালা তারা কিভাবে মুমিনদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। তারা মুমিনদের জন্য নিজেদের জান উঝার করে দিচ্ছে। সেই কায়েদাতুল জিহাদের যিনি আমির ছিল তিনি উছামা বিন লাদেন (রঃ) তিনি সুদূর আরব থেকে সব কিছু ত্যাগ করে চলে এসেছেন আফগানিস্তানে মা বোনদের ইজ্জত রক্ষা করার জন্য এবং তিনি জিহাদের ভূমিতে তার জীবন অতিবাহিত করেছেন। সুতারাং এটাই ছিল ওয়ালা মুমিনদের জন্য ভালবাসা । আজকে যে ফিলিস্তিনে গণহারে মুসলিমদের উপর নির্যাতন চলছে এর জন্য তাঞ্জিম আল কায়েদাতুল জিহাদের আমীর উছামা (রহঃ) তিনি ফিলিস্তিনি ভাইদেরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,নিশ্চয় তোমাদের রক্তই হল আমাদের রক্ত, নিশ্চয় তোমাদের সন্তানের রক্তই আমাদের সন্তানের রক্ত সুতারাং যেনে রাখো; রক্তের বদলে রক্ত, ধ্বংসের বদলে ধ্বংস আর যেনে রাখো আমরা তোমাদের ব্যাপারে কোন অবহেলা করবো না। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা আব্দুল মুত্তালিব মত শাহাদা বরণ করতে পারি যেই শাহাদাত বরণ করে ছিল আব্দুল মুত্তালিব।যেহেতু তিনি এই কথা বলেছিলেন সেই অনুযায়ী তিনি তার কথা বাস্তবায়ন করেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দেখেছি তিনি শাহাদাহ বরণ করার আগ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভাইদের জন্য কাজ করে গেছেন । যেই সকল ভাই আফগানিস্তানে অবস্তান করতেছেন তারাও বলে যদিও আমরা আফগানিস্তানে অবস্তান করতেছি কিন্তু আমাদের চোখ গুলো ফিলিস্তিনি ভাইদের দিকে। ইনশাল্লাহ আমরা বাইতুল মোকাদাসকে মুক্ত করে ছাড়ব। তাহছারা যেই সকল ভাইরা সিরিয়াতে অবস্তান করতেছেন তারও কিছুদিন আগে গোলান মালভূমি পর্যন্ত পোঁছে গেছেন এবং যেখানে ইসরাইলি বর্ডার সেখানেও তারা পোঁছে গেছেন । তাদের নিয়ত আছে ইনশাল্লাহ তারা বাইতুল মোকাদাসকে আবারো বিজয় করবে ।এভাবে ইয়েমেনের যেই ভাইরা যুদ্ধ করতেছেন জাযিরাতুল আরবে তারাও বলে থাকেন,"হে আকসা আমরা আসতেছি" এভাবেই ভ্রাতৃত্ববোধ যে বিষয়টা তা শাইখদের মাধ্যমে তা প্রকাশ পেয়েছে আমাদের। শাইখ উছামা বিন লাদেন (রহঃ)আরেকটা কথা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে ছিল। মুমিনদের পতি এই ভালবাসা থেকেই তো যুদ্ধ শুরু করেছেন। তাঞ্জিম আলা কায়েদার যে মূল কাজ হল, যারা নির্যাতিত মজলুম তাদেরকে সাহায্য করা এভাবেই আমার দেখতে পাই আল কয়েদাতুল জিহাদ নতুন যে শাখা ঘোষণা করা হয়েছে আইমান আল জাওাহিরি এর নতুন নাম দিয়েছেন আল কয়েদাতুল জিহাদ। "হিন্দুস্তানের কয়েদাতুল জিহাদ" শাইখ আইমান আল জাওাহিরি যেই নতুন নাম ঘোষণা দিয়েছিলেন সেখানে তিনি বলেছিলেন তাঞ্জিম আল কায়েদার ভাইরা উপমহাদেশের হিন্দুস্তানের ভাইদের কে ভুলে জান নাই । তারা ভুলে যায় নাই বাংলাদেশের ৫ই মে সেই শাপলা চত্বরের গণহত্যা । তারা ভুলে জায় নাই আহমেদাবাদ ও আসাম ও মায়ানন্মারের সেই বর্বর গণহত্যা তারা ভুলে যায় নাই কোন ঘটনা এই জন্যই তা রা এই মজলুম মুসলিমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । তারা উপমহাদেশে ইসলামিক খিলাফাহ কায়েম করার জন্য তাঞ্জিম আল কায়েদা নাম ঘোষণা করেছে" হিন্দুস্তানের কায়েদাতুল জিহাদ" । আলহামদুলিল্লাহ ,তারা মজলুমদেরকে হেল্প করার জন্য ,মুসলিমদের সাথে ভ্রাতৃত্ববোধ ইস্তাপন করার জন্যই এই কাজ করছেন। দুনিয়াবি বা অন্য কোন কারণে না শুদুমাত্র এই উপমহাদেশে মজলুম মুসলিমদেরকে হেল্প করার জন্যই উপমহাদেশে আগমন তাঞ্জিম আল কায়েদার। তাদের মাঝে এই অনুভূতি রয়েছে সমস্ত মুসলমানরা হচ্ছে একটা দেহ যদি দেহের কোন অংশ বেথা অনুভূতি হয় তাহলে দেহের পুরো অংশই বেথা অনুভব হয়। আসলে আল ওয়ালা যে আল্লাহর জন্যই ভালবাসা সেটা তাদের রয়েছে। এই জন্যই তারা মুমিনরা হচ্ছে ভাই ভাই এবং সকল মুসলমানেকে এক করতে পেরেছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল কায়েদা পতিটি বিশ্বে তাদের শাখা ঘোষণা করেছেন এবং তারা চাচ্ছে সেখান থেকে বিশ্বব্যাপী একটা জিহাদ এবং বিশ্বব্যাপী একটা খিলাফাহ । এই উম্মত হবে একটা তাদের খিলাফাও হবে একটা এবং তাদের খলিফা ও হবে একজন। তাদের মাঝে রয়েছে আল্লাহর জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যই শত্রুতা সৃষ্টি করার গুণাবলি রয়েছ। আজকে তারা সম্পূর্ণ বিশ্বে কাফেরদের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করেছে। কারণ আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, “ হে ইমানদারগণ তোমরা ইহুদী ও নাসারাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করিও না তারা পরস্পর একে অপরের বন্ধু নিরছয় আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে কখনো হেদায়াত দেন না।(সুরা মায়েদা৪১ )। এই জন্যই আল্লাহ সুবাহানল্লাহ তালার ডাকে সাড়া দিয়ে সারা বিশ্বের কাফেরদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সুতারাং তাদের মাঝে যেহেতু আল ওয়ালা ওয়াল বারাহ আকিদাহ রয়েছে তাই আমরা তাদেরকে আমাদের তাঞ্জিম আল কায়েদাকে হিসেবে গ্রহন করেছি অন্য কোন তাঞ্জিমকে আমাদের তাঞ্জিম হিসেবে গ্রহন করি নাই।
ছয় নাম্বার কারনঃ যেই কারণে আমরা তাঞ্জিম আলা কায়েদাকে আমদের দল হিসেবে বাছাই করেছি । কারণ তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আল্লাহর শত্রুকে ভীত সংহত করে রাখতেছে এই জন্যই আমরা নিজেদের দল হিসেবে বাছাই করেছি । আল্লাহতালা ইরশাদ করেন তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি অর্জন কর,প্রস্তুতি গ্রহন কর এবং তোমাদের ঘোড়াগুলোকে প্রস্তুত করে রাখো এর মাধ্যমে তোমরা আল্লহর শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভীত সংহত করে রাখতে পারবে।(সূরা আনফাল ৬০) ।যেহেতু জিহাদ আমাদের উপর একটা ফরয দায়িত্ব সেহেতু জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ফরয কারণ একটা উসুল রয়েছে যে জিনিসটার কারণে একটা ওয়াজিব পালন করা যাচ্ছে না সেটা পালন করা একটা ওয়াজিব ।সুতারাং ইদাদটা ও একটা জিহাদের অংশ । আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন " যদি তারা জিহাদের যেত তাহলে জিহাদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিত “ ( সূরা মায়েদা ৪৬ ) ।আমরা দেখি কায়েদাতুল জিহাদ আল কায়েদা আল্লাহর শত্রু ও মুসলমানের শত্রুকে ভীত সংহত করে রাখে। তারা বিভিন্ন সময় আমেরিকান এর উপর আক্রমণ চালায় যাতে তারা ভীত সংহত হয় থাকে। ৯/১১ কেন হয়েছে শুদু মাত্র আল্লাহর শত্রু ও আমাদের শত্রুকে ভীত সংহত করে রাখার জন্য মূলত এর জন্যই হয়েছিল ৯/১১। তাঞ্জিম আল কায়েদাতুল জিহাদের একজন শাইখ একটা কলামে বলেছিলেন ভীত সংহত করাই ইসলামের অন্তর্ভুক্ত এবং যে অস্বীকার করল সে কুফরি করল। কাফেরদের অন্তরে ত্রাস সৃষ্টি করা এটাও ইসলামের অন্তর্ভুক্ত কারণ আল্লাহ তালা বলেন " আমার আয়াত গুলোকে শুদু মাত্র কাফেরাই অস্বীকার করে। “ (সূরা আনকাবুত ৪৭ ) সুতারাং যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করল সে কুফরি করলো আর কাফেরাই শুদু আয়াত আল্লাহর আয়াত অস্বীকার করে থাকে। কেননা তারা আল্লাহর শত্রুকে ভীত সংহত করে রাখছেন না। এই কারণ গুলোর কারণেই আমরা আল কায়েদাতুল জিহাদ আল কায়েদাকে আমাদের দল হিসেবে বাছাই করেছি ।
সাত নাম্বার কারণঃ যেই কারণে আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমাদের দল হিসেবে বাছাই করেছি। কেননা তারা সঠিক মুহাক্কিক আলেমদের দেখানো পথ অনুযায়ী তাদের জিহাদী কার্যক্রম চালায়। এই জন্যই আমরা আমাদের দল হিসেবে তাদেরকে গ্রহন করেছি। আমারা দেখতে পাই তাঞ্জিম আল কায়েদাতুল জিহাদের মধ্যে যত শাইখ উলামা ছিল যেমন শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহঃ) যিনি আল কায়েদা জিহাদের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর ইল্মের মাকাম অনেক উঁচু তাঁর চার মাযাবের উপর ডিগ্রি ছিল এছারও তিনি ইল্মে ছিলেন অনেক পারদর্শী। আরব অনারব সব জায়গায় তাঁর কথা ছিল সমাদিত।এই যে মহান একজন শাইখ তিনি জিহাদের ময়দানে চলে এসেছেন তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী আফগান জিহাদ হয়েছে। সুতারাং এই থেকে বোঝা যায় তারা মুহাক্কিক আলেমদের কিভাবে তাদের পথ অনুসরণ করে। তাহছারা শাইখ আব্দুলাল্লাহ আযম (রহঃ) তাঁর শাহাদাহ এর পর অনেক বড় বড় উলামা ছিলেন যেমন শাইখ ইয়া ইয়া আল লিব্বি তিনি একজন বিচক্ষণ আলেম ছিলেন , শাইখ আতিউল্লাহ (রহঃ)আলেম ছিলেন এরূপভাবে শাইখ আইমান আল আউলাকি (রহঃ) যাকে আরব অনারব সবাই চিনে। তিনিও ছিলেন বিচক্ষণ একজন আলেম। আনওয়ার আল আউলাকি(রহঃ) যিনি ইয়েমেনের আল কায়েদার দায়িত্বে ছিলেন। শাইখ আব্দুল্লাহ আযম (রহঃ) যখন কোন ফতওয়া দিতেন তখন চারটি মাজহাবের আলোকে দিতেন; ফিকে হানাফি, ফিকে শাফি,ফিকে হাম্বলি এবং ফিকে মালিকি এই চারটি মাজহাবের আঙ্গিকে তিনি ফতওয়া দিতেন । তাঁর ফিকাহ " মুসলিম ভূমি পতি রক্ষা " সর্ব জায়গায় সমাদিত হয়েছে। তিনি কাফেরদেকে পতিহত করার জন্য একটা ফতওয়া দিয়েছেন "মুসলিম ভূমি পতি রক্ষা" এই ফতওয়াটা দেখে মক্কার শাইখ বিন বায বলেছিলেন এত সুন্দর ফতওয়া তুমি লিখছ । এই জন্যই তাঞ্জিম্ম আল কায়েদা সব সময় বড় বড় আলেমদের দেখানো পথে চলে এভাবে সিরিয়াতে শারিয়া বিভাগের দায়িত্বে যিনি আছেন শেখ সামি আল ওয়ারাইদি তিনি সিরিয়ার একজন বড় উঁচু মানের আলেম সেখানে আরও দায়িত্বে রয়েছেন সুলাইমান আল মুহাজির তিনি আলহামদুলিল্লাহ তাঁর আলোচনা শুনলে বোঝতে পারবেন তিনি কত বড় একজন আলেম। এভাবে বর্তমানে ইয়েমানে শারিয়া বোর্ডের শাইখ ইব্রাহিম আল মুবাইশ তিনি একজন বিচক্ষন আলেম । এভাবে খুরাসানের একজন আলেম মাওলানা আসেম উমর (হাঃ) উনার ইল্মি মাকাম অনেক আমরা উনার কিতাব পড়লেই বোঝতে পারবো উনার ব্যাপারে উনার লিখা " দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধও দাজ্জাল" , " ইমাম মাহাদির দোস্ত ও দুশমন" " দুটি জীবন আদর্শের যুদ্ধ" তাহছার তাঁর আরো অনেক কিতাব আছে যা থেকে তাঁর ইল্মি মাকাম জানা যায় এবং তিনি পাকিস্তানের মধ্যে একজন বিখ্যাত আলেম এছাড়া বর্তমানে উপমহাদেশের(ভারত,বাংলাদেশ,মায়ানমার)আলেম। যুগে যুগে যারা আল কায়েদার মধ্যে ইল্ম দিয়ে সাহায্য করেছেন তারা সবাই ছিলেন বিচক্ষণ। তাঞ্জিম আল কায়েদা সব সময় আলেমদের দেখানো পথ ধারাই চলে থাকে। যেহেতু তারা মুহাক্কিক আলেমদের কথা অনুযায়ী চলে তাই আমরা আমাদের দল হিসেব তাঞ্জিম কায়েদাকে আমাদের দল হিসেব বাছাই করলাম।
আট নাম্বার কারণ: যুদ্ধ বিগড়ত অঞ্চলগুলোতে রাসুল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী হাদিস অনুযায়ী সেগুলো তাদের সাথে মিলে যায়। তারাই হচ্ছে বর্তমানের হক দল ।এর জন্যই আমরা তাদেরকে আমাদের দল হিসেব তাদেরকে গ্রহন করলাম। যেমন রাসুল ( সাঃ )১৪০০ বছর আগে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিল তাহ মূলত আমাদের জন্য। আমরা যে যুগে অবস্তান করছি এই যুগেই সেই ভবিষ্যৎবাণী গুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। রাসুল (সাঃ) বলেন" অচিরেই তোমাদের মাঝে অনেক গুলো বাহিনী বের হবে, একটা বের হবে শাম; এটা সিরিয়া, জর্ডান,ইরাক ও ইয়ামান এবং ফিলিস্তিনির কিছু অংশ মিলেই হল শাম। আর শামের প্রাণ কেন্দ হচ্ছে সিরিয়া। থেকে “ (মুসনাদে আহমেদ)। আমরা যদি আজকে বিশ্বের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখব এর ভবিষ্যৎবাণী গুলো আমাদের যুগে বাস্তবায়ন হচ্ছে। যেমন শাম থেকে একটা বাহিনী বের হবে আজকের শাম হচ্ছে সিরিয়া যদি সিরিয়ার দিকে তাকাই তাহলে সেখানে জাবাতুল নুসরা সকল দল গুলো নিয়ে কাজ করার সম্বরণয় করতে চাচ্ছে। আর জাবাতুল নুসরা হল আল কায়েদার একটা শাখা ।আর এই যে ভবিষ্যৎবাণীগুলো বাস্তবায়ান হচ্ছে সেগুলো আল কায়েদার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইরাক থেকেও একটা বাহিনী বের হবে আজকে যারা ইরাকে জিহাদ করছে তারাও আল কায়েদার একটা সংগঠন যার প্রধান ছিলেন আবু মুসা আল যারকাবি (রাহঃ)। যখন ইরাকে আল কায়েদা প্রতিষ্ঠাতাহয় তখন এর প্রধান ছিলেন তিনি। তারপর আসে আবু হামজা আল মুহাজিরি এরপর আসে আবু বকর আল বাগদাদি যারা জিহাদের ময়দানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঠিক তেমনি ভাবে ইয়ামান থেকে একটি বাহিনী বের হবে বর্তমানে যেই দলটা জিহাদ করে যাচ্ছে ইয়ামানে তারাও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা তারাও আল কায়েদার একটি অঙ্গসংগঠন । তাদেরকে বলা হয় AQAP " আল কায়েদা ইন এরাবিক পেনিনসুলা" ।এটা বর্তমানে ইয়ামান থেকে পরিচালিত হয়। ইবনে হাওয়ালা নামে একজন সাহাবা রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞাস করলেন,” হে আল্লাহর রাসুল যখন তিনটা বাহিনী বের হবে তখন আমি কোনটাতে যোগ দিব তখন রাসুল ( সাঃ) বলেন , আমি তোমাদেরকে বলব শামের সিরিয়া বাহিনীতে যোগ দেও । কেউ যদি শামের বাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করে সে যেন ইয়ামান বাহিনীতে যোগ দেয় "। এইযে তিনটা বাহিনী বের হওয়ার কথা এই বাহিনীগুলো আল কায়েদার নেতৃত্বে রয়েছে। সুতারাং বোঝা যাচ্ছে ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সাঃ) যে হাদিস গুলো উল্লেখ করেছেন তাহ আল কায়েদার মাধ্যমেই বাস্তবায়ন হয়েছে। ইয়ামান থেকে যেই বাহিনীটা বের হবে তাহ কোন অঞ্চল থেকে বের হবে তাহ অন্য একটা হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়। রাসুল(সাঃ) বলেন ১২ হাজারের একটা কাফেলা বের হবে তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কে সাহায্য করবে আমার মাঝে এবং তাদের মাঝে তারাই হবে সেরা (মুসনাদে আহমেদ) । আজকে যে আরব পেনিনসুলা সেই শাখাটা আরব উপদ্বীপে তাহ মূলত পরিচালনা হচ্ছে ইয়েমান থেকে। ইয়েমান আরব আদিল জায়গা থেকে যেটা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এভাবেই রাসুল (সাঃ) এর ১৪০০ বছর আগের কথা বাস্তবায়ন হচ্ছে এখন তাঞ্জিম আল কায়েদার এর মাধ্যমে। এভাবে রাসুল (সাঃ) এর সকল হাদিস প্রমাণিত হচ্ছে তাঞ্জিম আল কায়েদাতুল জিহাদ আল কায়েদার মাধ্যমে। আর কিছু হাদিস আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন খুরাসান এর ব্যাপারে " খুরাসান থেকে কালো পতাকা বাহী একটা দল আত্মপ্রকাশ করবে কেউ তাদেরকে পতিহত করতে পারবে না" ।(মুসনাদে আহমেদ )। আমরা দেখি খুরাসান থেকে যে দলটা আত্মপ্রকাশ করেছিল তাহ মোল্লা মুহাম্মাদ এর নেতৃত্বে তালেবান ও শাইখ উসামার নেতৃত্বে আল কায়েদা। তারাইতো খুরাসান থেকে আত্মপ্রকাশ করেছিল। আলহামদুলিল্লাহ বিশ্বের সকল শক্তি এক করেও পারে নাই তাদের মনোবল ভাঙ্গতে ঠিক তাই রাসুল (সাঃ) বলেছেন কেউ তাদের পতিহত করতে পারবে না। ঠিক আমাদের এই হিন্দুস্তানের জন্য একটা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন দুইটা দল যাদেরকে আল্লাহতালা জাহানামের আগুণ থেকে মুক্তির গ্যারান্টি দিচ্ছে একটা দল যারা হিন্দুস্তানে লড়াই করবে আরেকটা দল যারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আঃ )এর সাথে থেকে দাজ্জালের সাথে লড়াই করবে। আসলে সাড়া বিশ্বে কাজ সেই মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। সোমালিয়াতে কাজ করছে আসা সাহাব আল কায়েদার আন্ডারে মালীতে কাজ করছে আনসার আদ দ্বীন ,সিরিয়াতে কাজ করে যাচ্ছে জাবাতুন নুসরা ,ইয়ামেনে আনসার আল শারিয়া , পাকিস্তানে তেহেরিক ই তালেবান । হিন্দুস্তানে কোন কাজ করা হচ্ছে না তাই বর্তমানে আল কায়েদার আমীর আইমান আল জাওাহিরি(হাঃ) তিনি উপমহাদেশে কাজ করার জন্য একটি দল গোষনা করেন "কায়েদাতুল জিহাদ হিন্দুস্তান" ।এটি আল কায়েদার অন্য একটি উপমহাদেশীয় শাখা । আল্লাহ রাসুল (সাঃ) এর হাদিসের বাস্তবায়ন যে গাযওয়ে হিন্দ বাস্তবায়ন করা এই বিষয়টা খেয়াল রেখে তিনি হিন্দুস্তানে জিহাদের উদ্দেশ্য ডাক দিলেন। রাসুল (সাঃ) এর হাদিস অনুযায়ী হিন্দুস্তানে যে বাহিনী জিহাদ করবে তার জন্যই তিনি সেই বাহিনীটা তৈরির জন্য হিন্দুস্তানে আল কায়েদাতুল জিহাদ ডাকের মাধ্যমে তা আত্মপ্রকাশ হয়ছে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মূলত এই সব অঞ্চলের মুজাহিদেরকে এক করে জালিমের জুলুম থেকে মুসলিমকে মুক্ত করে এই উপমহাদেশে ইসলামিক শারিয়া বাস্তবায়ন করা । তাই আল কায়েদা চাচ্ছে তাদের মাধ্যমেই যেন হিন্দুস্তানে কালো পতাকাবাহী দল আত্মপ্রকাশ করে । আমরাই হব গাযওয়াতুল হিন্দের "মুকাদামতুল জেইস" কারণ এই গাযওয়াতুল হিন্দ এমন একটা যুদ্ধ যেই যুদ্ধের জন্য সাহাবাকারামগণ ও এই যুদ্ধ করার কথা প্রকাশ করেছেন আবু হুরাইরা (রাঃ ) বলেন আমি যদি ওই সময় থাকি আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে ওই যুরধে যোগ দিবো এতে যদি আমি শহীদ হয়ে যাই তাহলে আমি হব সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ আর আমি আবু হুরাইরা যদি ওই যুদ্ধ থেকে গাজী হয়ে ফিরতে পারি তাহলে আমি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তটির গ্যারান্টি নিলাম। আবু হুরাইরার মত সাহাবি এই গাওয়াতে যুদ্ধ করার জন্য প্রকাশ করেছেন কিন্তু আমরা হিন্দুস্তানে বসে বসে আছি আমরা কি পারি না এই হিন্দুস্তানে মুজাহিনদের সাথে এক হয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) হাদিসকে বাস্তবায়ন করতে। আলহামদুলিল্লাহ এই জন্যই তাঞ্জিম আল কায়েদা হিন্দুস্তানে দল ঘোষণা করেছেন যাতে এমনটা না হয় কাফেলা আমাদের সামনে দিয়ে যাচ্ছে ।কিন্তু আমরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারলাম না। সতর্ক থাকা উচিত যাতে কাফেলা আমাদের থেকে ছুটে না যায়।আমরা সকলেই যেন গাযওয়া হিন্দে বাহিনীর সাথে অংশগ্রহণ করতে পারি এর জন্য আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে তফিক দান করুন।
নয় নাম্বার কারনঃ যেই কারণে আমরা আল কায়েদাকে আমাদের দল হিসেবে বাছাই করেছি।কেননা তারা মুস্তাহাবের পূর্বে ওয়াজিব এর উপর আমল করতে শুরু করেছে এবং মুস্তাহাবের উপর ওয়াজিবকে প্রাধান্য দিয়েছে । আজকে যখন সারা বিশ্বে মুস্তাহাব এবং নফল বিষয় নিয়ে মারামারি করছে তখন তাদের ফরয এর ব্যাপারে কোন খবরই নেই জিহাদ যে একটা ফরয ইবাদাত তা তারা ভুলেই গেছে। রাসুল (সাঃ) বলেন,” ইসলামের ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি ;কালিমা,সালাত,সাওম,যাকাত ও হজ্ব এই পাঁচটি হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তি আর এগুলোর ছাদ হচ্ছে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ।একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে তাহ বোঝানো যাক মনে করুন একটি বিল্ডিং দাড় করার জন্য কিছু পিলার দরকার এই পিলার গুলো হল নামায,রোজা,হজ্ব, যাকাত আর এগুলোর ছাদ হচ্ছে জিহাদ ফি সাবিহিলিল্লাহ। তাই ইসলামের ছাদ হচ্ছে জিহাদ ছাদ ছাড়া যেমন বিল্ডিং হয় না ঠিক তেমনি জিহাদ ছাড়া ইসলাম টিকে থাকবেনা।তাই আল কায়েদা বিল্ডিং এর ছাদ নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। যদি বিল্ডিং এর ছাদ না থাকে তাহলে বাইরের সব ময়লা ভিতরে এসে পরবে।তাই বুঝতে পারলাম আল কায়েদা ইসলামের সব চেয়ে উঁচু মাকাম এর জন্য চেষ্টা করছে।
দশ নাম্বার কারণঃআমরা যেই কারনে আল কায়েদাকে গ্রহন করলাম তার মধ্যে অন্যতম হল এই তাঞ্জিম উম্মাহর বীরদেরকে স্মরণকরিয়ে দেয় । যেমন খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ)উম্মাহর বীর,সালাউদ্দিন আইয়ুবি, তারেক বিন জিহাদ,মুহাম্মাদ বিন কাশিম এরাই হল উম্মার বড় বড় বীর। আজকে যেই সংঘটনেরই হোক তারা কি খালিদ বিন ওয়ালিদের কাজ করতেছে?তারা কি সালা উদ্দিন আইয়ুবি এর কাজ করতেছে? তারা কি তারেক বিন জিহাদের কাজ করতেছে ? তারা কি মুহাম্মাদ বিন কাশিম এর কাজ করতেছে? কখন না কারণ রাস্তায়ে মিসিল করা দেওয়ালে ব্যানার ফেস্টুন ছবি লাগানো এগুলো কি খালিদ বিন ওয়ালিদের কাজ ?খালিদ বিন ওয়ালিদের কাজতো ছিল খোলা তরবারি নিয়ে জালিমের বিরুধ্যে ঝাঁপিয়ে পরা এবং কাফিরদের শিরছেদ করা। এগুলো কি তারেক বিন জিহাদের কাজ ? তারেক বিন জিহাদতো ছিল স্পেনর নির্যাতিত মুসলিমদেরকে জুলুম থেকে রক্ষা করার জন্য সেই সুদূর আরব থেকে ছুটে গিয়েছিল। স্পেনে জিহাদের মাধ্যমে বিজয় করে ছিল। এখন কেউ যদি তারেক বিন জিহাদের পথ বাধ দিয়ে অন্য কোন পথ অনুসরণ করে তাহলে সে কি তারেক বিন জিহাদের পথ অনুসরণ করল? এগুলো কি সালাউদ্দিন আইয়ুবীর কাজ ? কে ছিল এই সালাউদ্দিন আইয়ুবি তিনি তো বাইতুল মোকাদাসকে কাফেরদের থেকে বাইতুল মোকাদাসকে মুক্ত করে ছিলেন ।তাহছারাও তিনি আরও অনেক ভূখণ্ড মুক্ত করে ছিলেন কাফেরদের থেকে এগুলো তিনি জিহাদের মাধ্যমে করেছিলেন। ঠিক তেমনি মুহাম্মাদ বিন কাশিম জিহাদের জন্য হিন্দুস্তানে এসেছিলেন এখন কেউ যদি মুহাম্মাদ বিন কাশিম এর অনুসারী দাবি করলো কিন্তু সে সেই অনুযায়ী কাজ করল না তাহলে সে মিথ্যা দাবি করল। এই খালিদ বিন ওয়ালিদ(রাঃ),সালাউদ্দিন আইয়ুবি, তারেক বিন জিহাদ,মুহাম্মাদ বিন কাশিম এই সকল বীরদের কথা শুদুমাত্র মুজাহিদরাই স্মরণ রেখেছে। তাই আলেমরা আমাদেরকে বার বার এই সকল বীরদের কথা স্মরণ করিয়ে বলে তোমাদেরকে তাদের মত হতে হবে এবং আবারো ভারত ততা হিন্দুস্তান বিজয় করতে হবে।
এগার নাম্বার কারণঃআল কায়েদা হচ্ছে বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি থেকে মুক্ত।দেখবেন পৃথীবিতে অনেক দল আছে যারা বেশি বারাবাড়ি করে ও বেশি ছাড়াছাড়ি করে থাকে। এক দল বলে থাকে গণতন্ত্র কুফরি না তারা মুরজিয়ার মত আকিদাহ পোষণ করে একটা মানুষ যখন লা ইলাহ ইল্লালা পাঠ করে তখন সে আর কখনো ইসলাম থেকে বের হয় না। আরেকটা দল রয়েছে যারা খাওায়া রিজিদের আকিদাহ পোষণ করে থাকে তারা বলে কবিরা গোনাহ করলে সে কাফের হয়ে যায়। এই দুইটা গ্রুপ একদল বারাবারি করছে আরেকটা দল ছাড়াছাড়ি করছে। কিন্তু তাঞ্জিম আল কায়েদা এই দুইটা থেকে আলাদা তারা মাঝামাঝি অবস্তায়ে আছে। আল কায়েদা বাড়াবাড়িতেও নেই ছাড়াছাড়িতেও নেই। আজকে আমরা দেখি শামের এবং ইরাকের কিছু গ্রুপ আছে যারা মুসলিমদের রক্তপাত করেছে বাড়াবাড়ি করার কারণে। আবার কিছু লোক আছে যারা গনতন্তের ভিতর দিয়ে ইসলাম কায়েম করতে চায় তারা আবার ছাড়াছাড়ি করতেছে কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আল কায়েদা এই দুই এর মাঝে অবস্তান করছে এই কারণেই আমরা আমাদের দল হিসেবে আল কায়েদাকে বাছাই করেছি। আল কায়েদার আরেকটা গুন হল তাদের মধ্যে দাম্বিকতা হিংসা এগুলো থেকে তারা মুক্ত। শাইখ উছামা বিন লাদেন (রঃ)ছিলেন আরবের ব্যক্তি এবং তিনি ছিলেন দাম্বিকতা থেকে মুক্ত । আবার আফগান শাইখ মোল্লা মুহাম্মাদ উমর ( রঃ) ছিলেন আফগানিস্তানের শাইখ তার কাছে শাইখ উছামা বিন লাদেন (রঃ) বাইয়াত দিয়েছিলেন।যদি উছামার বিন লাদেন (রঃ) দাম্বিকতা থাকতো তাহলে কখনো কি তিনি বাইয়াত দিতেন? আবার সোমালিয়ার মুজাহিদরা আমীর হিসেব মোল্লা মুহাম্মাদকে আমীর মানে ।জাজিরাতুল আরব ইয়ামেনে মুজাহিদরা তারাও আমীর হিসেবে মোল্লা মুহাম্মদকে মানে শামের ভাইরা তারাও মোল্লা মুহাম্মাদকে আমীর হিসেবে মানে। বাংলাদেশেও যেই সকল ভাইরা আছে তারাও মোল্লা মুহাম্মাদকে আমীর হিসেবে মানে কারণ আমরা দাম্বিকতা ও হিংসা থেকে মুক্ত তাঞ্জিম আল কায়েদাও এই দাম্বিকতা থেকে মুক্ত । কিছুদিন আগে শাইখ আইমান আল জাওাহিরি (হাঃ) তিনি বলেছেন আমি আমার বাইয়াতকে নবয়ান করতেছি এবং আমি আমার বাইয়াতটা মোল্লা মুহাম্মাদ উমর এর হাতে।বিশ্বের অনেক দল মোল্লা মুহাম্মাদকে মানতে পারে নাই কারণ তাদের মধ্যে দাম্বিকতা আছে ফলে তারা বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেছে শুদু তাই নয় তারা মুসলিমদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য সরজন্ত করতেছে। আলহামদুলিল্লাহ তাঞ্জিম আল কায়েদা কখনো এই কাজ করবে না তাদের আমীর শাইখ উছামা বিন লাদেন (রঃ)যার কাছে বাইয়াত দিয়ে গেছেন আজও তারা সেই আমীরের বাইয়াত এর উপর আছে। তাই বলা যায় আল কায়েদা এই সব দাম্বিক্তা,অহংকারী থেকে মুক্ত ।
বার নাম্বার কারণঃ যেই কারণে আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমাদের মানহাজ হিসেবে গ্রহন করেছি কারণ মুজাহিদরা যেই দলে আছে আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে এখান থেকে হেদায়াত এর পথ দেখাবে। এই ব্যাপারে আল্লাহ ওয়াদাবধ্য ।আল্লাহ তালা বলেন, “ যারা আল্লাহর পথে লড়াই করবে আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করে" (সূরা আন কাবুত ৬৯ )। আজকে আল কায়েদা জিহাদ করে তাই অবশ্যই আল্লাহ তালা তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে। এই আয়াতের ব্যাখ্যায়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রঃ)বলেন হেদায়াত এর জন্য জিহাদটা আবশ্যক," কেউ যদি হেদায়াত পেতে চায় সে যেন জিহাদে অংশগ্রহণ করে আর এই জিহাদটা ইল্মের সকল রাস্তাগুলো বেষ্টন করে রেখেছে " ।সুতারাং কেউ যদি বলে আমি সব ইল্ম অর্জন করে রাখছি কিন্তু সে জিহাদ করে না তাহলে সে সঠিক পথ পাবে না আল্লাহ অঙ্গীকারবধ্য যে জিহাদ করবে আল্লাহ তাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখাবে। ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল (রঃ ) ও অাব্দুল্লাহ মুবারক(রঃ) বলেন " যখন দেখবা মানুষ(দুইটা দল)কোন একটা বিষয় নিয়ে যগড়াতে(ইখতেলাপে) লিপ্ত রয়েছে তখন তাদেরকে অনুসরণ কর যারা যুদ্ধ প্রথম সারিতে রয়েছে। তারা যেভাবে আমল করছে তোমরাও সেভাবে আমল কর কারণ হকটা সব সময় মুজাহিদের সাতেই রয়েছে আর মুজাহিদরা যেটা বলে সেটাই সঠিক" / সুতারাং এখানে ধরতে হবে মুজাহিদের কথা আর যেহেতু আল্লাহ মুজাহিদরকে হেদায়াত দিবেন সেহেতু আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমাদের দল হিসেবে বাছাই করেছি। আলহামদুলিল্লাহ,তাঞ্জিম আল কায়েদা ওই সংগঠন যারা পরিপূর্ণভাবে হকের উপর আছে এবং দ্বীনটাকে তারা আকড়ে ধরে আছে এবং সারা বিশ্বে জিহাদের মাধ্যমে মজলুম মুসলিমকে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং তারা জিহাদের মাধ্যমে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করে যাচ্ছে।। সুতারাং এই কারণ গুলোর কারণেই আমরা তাঞ্জিম আল কায়েদাকে আমদের দল হিসেবে বাছাই করে নিয়েছি। আল্লাহ আমাদেরকে সব সময় এই তাঞ্জিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকার এবং বাতিলের আতংক হয়ে থাকার তফিক দান করুক ….........আমিন।