JustPaste.it

বন্দিদের সাথে জাতিসংঘ ও ন্যাটো সেনাদের অমানবিক আচরণ; মজলুম বন্দিদের আত্মিয়দের পক্ষ থেকে খোলা চিঠি ।


আফগানিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার আগ্রাসনের পর থেকে তাবেদার আফগান সরকার এবং তার সমর্থকরা একটি বিরাট সংখ্যক আফগান জনসাধারণকে বন্ধি করে। যাদের অপরাধ হল- তাদের বাবা, ভাই, বা কোন আত্মীয় এই মোবারক জিহাদে অংশগ্রহণ করেছে।


বন্ধি করার পর থেকে জেলের অভ্যন্তরে তাদের উপর সব ধরণের অমানবিক আচরণ চালানো হচ্ছে। আগ্রাসনের পর হতে আজ পর্যন্ত এই বন্দিদের সাথে সীমাহীন কঠোরতা, টর্চার সেলের অমানুষিক নির্যাতন এবং গুপ্তহত্যাসহ তাদের সাথে সব ধরণের সীমালংঘনমূলক আচরণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমগুলো নিয়মিতই যুদ্ধের রিপোর্ট প্রচার করে যাচ্ছে। কিন্তু এই নির্যাতিত লোকগুলো কারো রিপোর্টে আসেনা। কাবুল সরকার দিন দিন তার নির্যাতনের পরিধি বাড়িয়ে যাচ্ছে । কিন্তু মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলগুলো এসব অপরাধমুলক আচরণ দেখেও সব মুখ বুজে সয়ে যাচ্ছে। এবং তাদের এসব অপরাধের নীরব সাপোর্টার হয়ে আছে। ফলে তাগুত গোষ্ঠি তাদের নির্যাতন দিন দিন নবায়ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং অসহায়দের প্রতি সহনীয় আচরণ এটা সবার কাছেই একটি কাম্য বিষয়। কিন্তু এই মানবরুপি পশুগুলো তাদের কর্মকান্ডে বরাবরই এর বিপরীত করে যাচ্ছে।

আমরা জাতিসংঘ এবং ন্যাটো বাহিনীর দায়িত্বশীলদের বলে দিতে চাই, তোমরা কাবুল প্রশাসন এবং মার্কিন সেনাদের এই পশুসুলভ আচরন বন্ধের পদক্ষেপ নাও এবং অন্যায়ভাবে বন্ধি করে রাখা লোকদের মুক্তির ব্যাবস্থা করো। এখনো কাবুল জেলে এমন অনেক লোক বন্ধি যাদের শাস্তির মেয়াদ এতদিনে শেষ কিংবা তারা শুরু থেকেই নিরপরাধ বন্ধি। অনুরুপ এমন বন্ধির সংখ্যাও কম নয় যারা স্বল্প বয়সী এবং কঠিন রোগে আক্রান্ত। অনুরুপ কাবুল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলুমবাজ এমন অনেক কমান্ডারদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাদের নিজস্ব টর্চার সেল রয়েছে এবং তারা দূর্বল কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্র, শিক্ষক এবং সাধারণ দিনমজুরদের গ্রেফতার করে তাদেরকে বছরের পর পর বছর গোপন সেলে নির্যাতন চালাতে থাকে। এরপর হয়তো ভারী মানের অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় অন্যথায় তাদেরকে গুপ্ত হত্যা করে ফেলে। জেল খানা থেকে যাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয় তাদের শরীরে নির্যাতনের চিত্র অনেক দূর থেকে অনুভুত হয়। কাবুল প্রশাসন এবং আমেরিকান স্পেশাল ফোর্স এর হত্যা, নির্যাতন, গুম ইত্যাদি অপকর্মের দস্তাবেজ তাদের কাছে আছে। এক্ষেত্রে তাদের কর্মকান্ডগুলো হুবহু হিটলারের নাযিগ্রুপের কর্মকান্ডের মতই।

বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন তাদের কাছে নিজেদের বন্ধিদের সাথে মানবিক আচরণের দাবী জানায়। কিছু নিরুপায় মানুষের সাথে এমন অমানবিক আচরণ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা এই আচরণকে মানবতার বিরুদ্ধে কিছু অমানুষদের ওপেন চ্যালেঞ্জ মনে করছি। এত কিছুর পরও আন্তর্জাতিক মহলের স্বার্থপূর্ণ নীরবতা আমাদেরকে বিমর্ষ করছে। ন্যাটো এবং মার্কিন আগ্রাসী শক্তিই এই জুলুমবাজ কুখ্যাত কাবুল সরকারকে জন্ম দিয়েছে। তাদের সমর্থণ এবং ক্ষমতা বলেই তারা অসহায় আফগান জনগনের সাথে পশুসুলভ আচরণ করে যাচ্ছে। এই নির্যাতনের দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে। আমরা অচিরেই তাদের কাছে এই অমানবিক নির্যাতন বন্ধের দাবী জানাই এবং পূর্বের নির্যাতনগুলোর যৌক্তিকতা বর্ণনার দাবী জানাই।

আমরা আফগান সরকার ও তার মিত্র শক্তিগুলোকে বলে দিচ্ছি যে, তোমাদের রাজেনৈতিক স্বার্থে জন সাধারণের মৌলিক অধিকার খর্ব করার সুযোগ আমরা তোমাদেরকে দিবোনা। কাপুরুষ আফগান সরকারের ধারণা, যদি তারা সাধারণ জনগনের উপর নির্বিচারে হামলা অব্যাহত রাখে তাহলে জনগন তাদের স্বাধীনতার আন্দোলন ছেড়ে দেবে এবং তারা এই অপরাধী সরকারকেই মেনে নেবে। কিন্তু তারা বিগত ১৫ বছরের ইতিহাস ভুলে গেছে যে , আফগান জাতিকে নির্যাতনের মুখে তাদের ন্যায্য দাবী থেকে হটানো সম্ভব নয়। যদি নির্যাতনের মাধ্যমে তাদেরকে দমানো যেত তাহলে সোভিয়েত ই্উনিয়নের নির্যাতনে কিছু একটা হবার ছিল। তাদের অকথ্য অবর্ণনীয় নির্যাতনের সামনে যে জাতি হাল ছাড়েনি পৃথিবীর আর কোন নির্যাতন তাদেরকে কখনো দমাতে পারবেনা ইনশা আল্লাহ ! এ বিষয়টি কাবুল সরকার ও তার সহযোগীদের ভালো করেই জানা থাকার কথা। কিন্তু এই কুলাঙ্গারগুলো তা সত্ত্বেও নিজেদের সফলতার!
জন্য এখনো দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে।


পহেলা শাবান ১৪৩৭ হি.
৮ই মে ২০১৬ খ্রি.

 

পরিবেশনা


আপনাদের নেক দুয়ায় আমাদের ভুলবেননা!