বিসমিহী তাআলা
আফগান রণাঙ্গনের পূর্ব জোনে ৩৬০ জন মুজাহিদ শহীদ এবং আহত হওয়ার দাবী ভিত্তিহীন:
গত ৭ই মে শনিবার কাবুল সরকারের সিকিউরিটি প্রশাসক ন্যাটো কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক মজলিসে এ কথার দাবী করে যে, তাদের পরিচালিত ‘শুফুক’ নামী অপারেশনে পূর্বাঞ্চলে এ পর্যন্ত ৩৬০ জন মুজাহিদ শহীদ এবং আহত হয়েছেন।
আমরা শত্রæর এই প্রপাগাণ্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এ কথা স্পষ্টরূপে বলে দিতে চাই, দেশের কোনো এলাকাতেই তাদের পরিচালিত নাম সর্ব¯^ ‘শুফুক’ অপারেশনের কোনো গরমী আমরা অনুভব করিনি এবং তাদের কথিত অপারেশনে আমাদের বিন্দু মাত্র ক্ষতিসাধিত হয় নি।
রজবের ৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া আমাদের ‘উমরী অপারেশন’ দেশ ব্যাপী দুশমনকে এতটাই অস্থির, পেরেশান এবং অসহায় করে তুলেছে যে, সব জায়গায় তারা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হচ্ছে; কোনো স্থানেই তারা আক্রমণাত্তক অবস্থানে নেই। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা সৈন্য প্রত্যাহারে বাধ্য হচ্ছে। বড় বড় এলাকা মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে আসছে। প্রতিদিন অগনিত সৈনিক, পুলিশ এবং মিলিশিয়া সন্ত্রাসী মারা পড়তেছে। এক কদম সামনে অগ্রসর হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করলেও তারা আমেরিকান জঙ্গী বিমানের সাহায্য কামনা করতে বাধ্য হচ্ছে।
মূলত এসব অপপ্রচার দ্বারা আফগানের মুরতাদ ফৌজ তাদের প্রভু আগ্রাসী আমেরিকার কাছে নিজেদের কর্মতৎপরতা জাহের করছে। ভিত্তিহীন সব অপারেশনের গল্প শুনিয়ে নাম সর্ব¯^ জেনারেল ও মিলিশিয়া কমাণ্ডাররা আমেরিকান পুরুস্কার ও কিছু ডলার নিজেদের পকেটে ঢুকাচ্ছে। আর সৈনিক ও পুলিশের নামে অন্যের ছেলেদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
বদখশান থেকে ফারিয়াব, রুঝগান থেকে কুনার এবং পাকতিকা থেকে হেলমান্দ পর্যন্ত দৈর্ঘ-প্রস্থে দেশের সর্বস্থানে তীব্র গতিতে শত্রæদের উপর ‘উমরী অপারেশনের’ এ্যাকশন চলছে। মুজাহিদগণ দুশমনের সব কিছু ছিনিয়ে নিচ্ছেন। মুজাহিদগণপ্রচণ্ড আক্রমণাত্তক অবস্থানে আছেন। দুশমন ধীরে ধীরে নিস্তেজ ও নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে। অচিরেই তারা ধ্বংসের অতল গহŸরে হারিয়ে যাবে, অতীতের পাতায় বিলীন হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
মুখপাত্র
যবীহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান
কর্তৃক প্রকাশিত।
৩০ রজব ১৪৩৭ হিজরী, ৭ই মে ২০১৬ ইং।