গ্লোবাল ইসলামিক মিডিয়া পরিবেশিত
আস-সাহাব মিডিয়া কতৃক পরিবেশিত বাংলা অনুবাদ
আল কুদসের বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন
শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরীর পক্ষ থেকে একটি বার্তা
(আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন)
প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুল,তাঁর পরিবার,তাঁর সঙ্গী এবং তাঁর অনুসারীদের উপর।
প্রত্যেক স্থানের মুসলিম ভাইয়েরা আপনাদের উপর আল্লাহর শান্তি, ক্ষমা ও রহমত বর্ষিত হোক। অতপরঃ
প্রত্যেক স্থানের মুসলিমরা আজ বরকতময় আল-আকসা মসজিদের উপর ইহুদিদের অবিরত আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিনের বিশেষত জেরুজালেমের সাধারণ মানুষের উপর সংঘটিত জুলুমের জন্য হতবাক এবং ব্যথিত। জেরুজালেমে আজ যা ঘটছে তা জিহাদের একটি নতুন রূপ। বরকতময় হোক মুজাহিদদের ঐসকল হাত যা ফিলিস্তিন এবং আল-আকসাকে ছুরি, গাড়ি, পাথর এবং তাঁদের কাছে যাকিছু আছে তাই দিয়ে প্রতিরোধ করছে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন ঐসকল শাহাদাত প্রত্যাশীদের উপর রহমত বর্ষিত করেন যারা ইহুদিদেরকে আঘাত করছে যদিও তাঁরা জানেন যে তাঁরা নিজেরাই ঐসকল ইহুদিদের হাতে নিহত হবেন। আল্লাহ তাঁদের শাহাদাতকে কবুল করুন, তাঁদেরকে উচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং তাঁদের এই আত্মত্যাগকে প্রত্যেক মুসলিমদের যারা তাদের বিশ্বাস, উম্মাহ এবং ধর্মীয় বিষয়ের জন্য উদ্যমী তাদের কাছে পথনির্দেশক স্বরূপ হয়।
আমার মুসলিম ভাইয়েরা যারা জেরুজালেমের স্বাধীনতার জন্য অধীর আগ্রহী, জেরুজালেম এবং আল-আকসা মুক্ত করার জন্য দুটি বিষয় প্রয়োজনীয়, আল্লাহই সর্বোত্তম জ্ঞাতাঃ
প্রথম বিষয়ঃ পশ্চিমাদেরকে আক্রমণ, নির্দিষ্টভাবে আমেরিকাকে তাদের নিজেদের দেশে এবং তাদের স্বার্থসমূহ যা সবজায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে তার উপর আক্রমণ করতে হবে। ইসরায়েলের সহযোগীদেরকে ইসলাম এবং মুসলিমদের উপর ইসরায়েলের অপরাধের জন্য অবশ্যই তাদের রক্ত এবং অর্থনীতির দ্বারা মূল্য দিতে হবে। আমাদেরকে ১১ সেপ্টেম্বরের মুজাহিদিনদের বরকতময় আক্রমণ, মাদ্রিদ, বালি, লন্ডন এবং প্যারিসে আক্রমণগুলো চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এবং রামজি ইউসুফ, মোহাম্মেদ আত্তা, শেহযাদ তানভির, নিদাল হাসান, উমর ফারুক, মোহাম্মেদ মিরাহ, সারানেভ ভাইদের পথ চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ মিশর এবং লেভান্তে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে তা উম্মাহকে ফিলিস্তিন স্বাধীন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এর জন্য প্রয়োজন ঐক্য, বিবাদ থামানো এবং মুজাহিদিনদের মধ্যকার লড়াইকে বন্ধ করা।
আমার মুসলিম ভাই ও সকল জায়গার সকল দলের মুজাহিদরা, কাশগড় থেকে তাঙ্গিয়ের, গজনী থেকে মোগাদিসু। ও জিহাদের লোকেরা, পুণ্যবান লোকেরা, ন্যায়পরায়ণ ও আদর্শবান সকল দলের মুজাহিদিনরা, আজকে আমরা আমেরিকান, ইউরোপিয়ান, রাশিয়ান, রাফেদি এবং নুসাইরীদের আগ্রাসনের সম্মুখীন হচ্ছি যা আমাদেরকে আব্বাসীয় খিলাফতের বিরুদ্ধে তাতারীদের সাথে রাফেদিদের জোট এবং উসমানীয় সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ফ্রেঞ্চদের সাথে তাদের জোটের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে শয়তানের জোটের আগ্রাসনের মোকাবেলায় আমাদেরকে পূর্ব তুর্কিমিনিস্তান থেকে মরক্কো পর্যন্ত একই সারিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এই উম্মাহ এবং এর ভূমির রক্ষার জন্য।
নিশ্চয় আমেরিকানরা, রাশিয়ানরা, ইরানীয়ানরা, আলাউতরা এবং হিযবুল্লাহ আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য করছে। তাই আমরা কি পারিনা আমাদের নিজেদের মধ্যকার লড়াই মিটিয়ে সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যয় করতে?
হাসান আল-বসরি থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর শপথ, আল-হাসান বিন আলির মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে পর্বতের মত বিশাল সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ছিল। ‘আমর বিন আল-আস বলেছিলেন(মুয়াবিয়াকে), “নিশ্চয় আমি এমন সেনবাহিনী দেখছি যারা তাদের প্রতিপক্ষকে হত্যা না করে পিছনে ফিরবেনা”। মুয়াবিয়া যিনি আসলে ঐদুজন শ্রেষ্ঠ মানুষের একজন ছিলেন, যিনি তাকে বলেছিলেন, “ও ‘আমর! যদি এরা তাদেরকে হত্যা করে এবং তারা এদেরকে হত্যা করে, তাহলে মানুষের সেবা করার জন্য আমার সাথে কে থাকবে, তাদের স্ত্রীদের জন্য আমার সাথে কে থাকবে, তাদের সন্তানদের জন্য আমার সাথে কে থাকবে?” তাই মুয়াবিয়া ‘আব্দি শামস গোত্রের থেকে আব্দুর রহমান বিন সামুরা এবং আবদুল্লাহ বিন খুরাইজ নামের দুইজন কুরাইশ লোককে আল-হাসানের নিকট এই বলে পাঠালেন, “এই লোকটির(আল-হাসান) নিকট যাও, তাঁর সাথে কথা বল এবং তাঁকে শান্তিপূর্ণ মধ্যস্ততার আবেদন জানাও”। আল-হাসান(আল-বাসরি) বলেছিলেনঃ আমি আবু বকরকে বলতে শুনেছি, “আমি আল্লাহর রাসুলকে(ﷺ) মিম্বরে দেখেছি এবং আল-হাসান বিন ‘আলি তাঁর পাশে ছিল। রাসুল(ﷺ) একবার লোকদের দিকে আরেকবার আল-হাসান বিন ‘আলির দিকে তাকিয়ে বলছেন ‘আমার এই সন্তানটি হল সাঈয়িদ(মহান) এবং আল্লাহ তার দ্বারা মুসলিমদের দুটি বড়দলের মধ্যে শান্তি স্থাপন করুন”।
মুসলিম ভূমিসমূহের আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লেভান্তের রণক্ষেত্রটি আসলে খুবই জটিল। আর আল্লাহর ইচ্ছায়, ঐখানের মুজাহিদিনদের ঐক্য এবং তাওহীদের ভিত্তিতে জড়ো হওয়াই হচ্ছে এই বিজয়ের দ্বার। তাই পুরো মুসলিম উম্মাহ বিশেষ করে মুজাহিদিনদের ঐক্যের ব্যাপারে প্রকাশ্য ঘোষণার জন্য সক্রিয় হতে হবে যাতে মুজাহিদিনদের প্রচেষ্টাগুলো একে অন্যের সাথে লড়াই করে বিফলে না যায় যখন পশ্চিমা ক্রুসেডাররা এবং রাশিয়া, সাফাবি, নুসাইরি এবং সেকুলারদের সাথে তাঁদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
এটা কি ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিক নয় যে, মুজাহিদিনরা একে অন্যের সাথে না লড়ে তাঁদের সমস্ত প্রচেষ্টা আগ্রাসী শয়তানের সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করবে যারা মুসলিম উম্মাহর উপর আক্রমণ করছে যা ইরাক এবং লেভান্তকে আক্রান্ত করেছে?
ইমাম ইবনে কাসির(আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন) আমাদের আমির মুয়াবিয়া(আল্লাহ তাঁকে এ ব্যাপারে কবুল করুন) সম্মন্ধে আলী এবং মুয়াবিয়ার মধ্যকার মতানৈক্যের সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যেঃ আলী এবং মুয়াবিয়া কারো হাতেই পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জিত হয়নি। রোমের রাজা মুয়াবিয়ার হাতে তার অপমান এবং সৈন্যদের পরাজয়ের পর তাঁর(মুয়াবিয়া) উপর ঈর্ষান্বিত হয়েছিল। তাই যখন রোমের রাজা দেখল যে মুয়াবিয়া আলীর সাথে লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন সে বড় ধরনের সৈন্যদল প্রস্তুত করে কিছু ভূমির দিকে অগ্রসর হল। তাই মুয়াবিয়া তার কাছে চিঠি লিখলঃ আল্লাহর কসম, তুমি যদি তোমার যাত্রা না থামাও এবং তোমার ভূমিতে ফিরে না যাও তাহলে, ও অভিশপ্ত একজন, আমি এবং চাচাত ভাই মিলে তোমার বিরুদ্ধে আসব, তোমার সকল ভূমি থেকে তোমাকে বের করে দিব এবং এই বিস্তৃত পৃথিবীকে তোমার জন্য সংকীর্ণ করে দিব। রোমের রাজা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নিবৃত্ত হয়েছিল এবং সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল।
ও সকল দলের সকল ফ্রন্টের মুজাহিদিনরা! রোমের রাজা তার সৈন্য নিয়ে মুসলিমদের এলাকার দিকে অগ্রসর হলে দেখুন আমাদের আমির মুয়াবিয়া (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হোন) কিভাবে এই ভয়ানক হুমকির মোকাবিলা করেছেন। আর দশ বছর ধরে আমরা ইসলামের শত্রুদের দখলে রয়েছি আর জিহাদি দলগুলো এই দখলের ফলে উত্থান ঘটেছে। তা স্বত্তেও মুসলিমদের নিজেদের মধ্যকার বিরোধ ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের নিকট কি উদাহরণ স্বরুপ সাহাবারা(আল্লাহ তাঁদের উপর সন্তুষ্ট হোন) নেই?
প্রত্যেক অঞ্চলের এবং দেশের, প্রত্যেক জোটের এবং দলের - আমার মুসলিম মুজাহিদ ভাইয়েরা, ইতিহাসে লেভান্ত এবং মিশর হচ্ছে জেরুজালেমের দ্বার। এটা অনেক ব্যাপক এবং বিস্তৃত ময়দান।
এটি একটি সশস্ত্র সংগ্রামের ময়দান যা নাস্তিক শাসন এবং ক্রুসেডার-শিয়া জোট যারা তাদেরকে সাহায্য করে তা রুখে দিবে। এটি এমন ময়দান যা উম্মাহকে অবশ্যই তার মানুষ, অর্থ, সহায়, অভিজ্ঞতা এবং দোয়া দিয়ে সাপোর্ট করতে হবে।
এটি এমন ময়দান যা দাওয়ার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে যে ইসলামে নির্দেশিত জিহাদ হচ্ছে আল্লাহর বাণীকে সমুন্নত করার জন্য কোন স্বৈরচারী জাতীয়তাবোধকে বিজয়ী করার জন্য নয়। আল্লাহ সুবঃ বলেনঃ { লড়াই করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত নাহয় আর দ্বীন শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত হয় } এবং রাসুল (সাঃ) বলেছেন (সেই শ্রেষ্ঠ যে আল্লাহর বাণীর জন্য আল্লাহর লড়াই করে এবং আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে)
এটি এমন ময়দান যেখানে রাজনৈতিকভাবে সংগ্রাম করে উম্মাহকে বুঝাতে হবে যে আমাদের কর্মকাণ্ড আমরা যার দিকে আহ্বান করি তার বিপরীত নয়। না এটি মুসলিমদেরকে মুজাহিদিনদের নিকট অপিরিচিত করে তোলে। আর এজন্য আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুসলিমদেরকে বুঝাতে হবে যে আমরা শরীয়াহ দ্বারা বিচার ফয়সালা করার জন্য ব্যাকুল, আমরা আমাদের ওয়াদা রক্ষা করি এবং আমরা মুসলিমদের পবিত্রতার উপর আগ্রাসন করিনা। আমরা তাকফিরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিনা, আমরা আমাদের লোকদের নিকট দয়ালু এবং আমরা মুসলিমদেরকে দমন করার জন্য উপায় খুঁজিনা। বরং আমরা চাই যে উম্মাহ আলোচনা এবং গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে তার ইমাম নির্ধারণ করে যাতে করে নবুয়তের আদলে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় যা সৎপথ প্রাপ্ত খলিফাদের(আল্লাহ তাঁদের উপর সন্তুষ্ট হোন) সুন্নাহ অনুসারে।
এটি এমন ময়দানও যেখানে রাজনৈতিকভাবে সংগ্রাম করে আমাদেরকে মানুষের কাছে প্রকাশ করতে হবে যে এমন কিছু দল আছে যারা কিছু ইসলামিক কাজের সাথে জড়িত যেমন মুসলিম ব্রাদারহুড, সিসিস্ট-সালাফী এবং ঘানুশিস যা এই দ্বীন এবং দুনিয়াকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এর মাধ্যমে নিজেদেরকে ইসলামের শত্রু এবং উম্মাহর শত্রু স্বৈরচারি সেনাবাহিনী এবং দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতিবিদদের সহযোগিতায় নিয়োজিত করছে। তারা তাদের বিকৃত ভাবমূর্তিকে অলংকৃত করছে এবং তার দায়মুক্তি দিচ্ছে। তাদের কারণে সিসি, মোহাম্মেদ ইব্রাহিম, মোহাম্মেদ বেজি, কাইদ এসবেসির মত অপরাধীরা মুসলিমদের ঘাড়ের উপর চেপে বসেছে। তারা নিজেদেরকে ইসরায়েলের সাথে বশ্যতামূলক চুক্তিতে আবদ্ধ করেছে। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে ক্ষমতায় যেতে হলে তাদেরকে সেকুলার সংবিধান এবং ইসরায়েলের বশ্যতা মেনে নিতে হবে।
জিহাদ এবং তাওহীদের ন্যায়পরায়ণ লোকেরা, ফিলিস্তিনকে এইসকল শয়তানী মতাদর্শ থেকে বাচাতে হলে সেখানে আমাদের লোকজনকে তাওহীদের মূলনীতির উপর একত্রিত করতে হবে। তাদের উচিৎ তাদেরকে জিহাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো যাতে আল্লাহর বাণী সমুন্নত হয় এবং ফিলিস্তিনকে বিক্রয় করা বর্জিত হয়। তাদেরকে অন্যান্য আইন কানুন এবং সংবিধান বাদ দিয়ে আল্লাহর শরীয়াহ আঁকড়ে ধরতে আহ্বান জানাতে হবে। তাদেরকে ঐসকল দুর্নীতিকে বর্জনের জন্য প্ররোচিত করতে হবে যা দ্বীন ও দুনিয়াকে ধ্বংস করে দেয়। মিশর, তিউনিসিয়া এবং আলজেরিয়া তাদের জন্য উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
ও ফিলিস্তিনের মুজাহিদিনরা! তোমরা কি সন্তুষ্ট হবে যদি তোমাদের জিহাদের ফলাফল একটি স্বৈরচারি সরকার হবে যা শরীয়াহকে প্রত্যাখ্যান করবে ও ইসলামকে পরিহার করবে? যা মুসলিমদের উপর কুফফারদের আইন কানুন চাপিয়ে দিবে? আর কিভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করার এই লড়াই স্বৈরচারিদের ফিলিস্তিনকে বিক্রয়ের বৈধতার স্বীকৃতির সাথে একমত হবে? তুমি কি এজন্য নিজেকে উৎসর্গ করছ যাতে ফিলিস্তিন বিক্রি হয়ে যায়? এটা এমনকি কোন দেশপ্রেমিক এবং জাতীয়তাবাদীদের নিকটও গ্রহণযোগ্য নয় যারা তাদের ভূমি এবং মাটির জন্য লড়াই করে তাহলে কি করে এটি মুজাহিদদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে?!
আজকে তোমাদের কিছু নেতা তোমাদেরকে সেই একই অন্ধকার পথে নিয়ে যাচ্ছে যেই পথে গিয়ে মিশর ও তিউনিসিয়ার ভাইয়েরা পথভ্রষ্ট হয়েছে। তারা তোমাদেরকে এই বিশ্বাস করাতে চায় যে, যদি তোমরা তাওহীদের বাণী ও আল্লাহর শরীয়াহ পরিত্যাগ না কর এবং নিজেদেরকে অবিশ্বাস, সেকুলারিজম এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত করতে না পার তাহলে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে পারবেনা। আর এতে এমন একটি জাতীয় রাষ্ট্র কায়েম হবে যেখানে মুজাহিদরা বিক্রীত ফিলিস্তিনির মত হবে আর একজন মুওয়াহিদ যে শরীয়াহর জন্য লড়াই করছে সে একজন সেকুলারের সমান হবে যে তা ত্যাগ করেছে। আর তোমরা তোমাদের স্বাধীনতা পাবেনা যদিনা তোমরা বিক্রীত ফিলিস্তিনের বৈধতা না দাও, তাদেরকে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী এবং কতৃপক্ষ হিসেবে ধরে না নাও। তাই এই অন্ধকার পথ ফিলিস্তিনকে পুনরুদ্ধার করবেনা বরং এটি তাওহীদের বাণীকে বিক্রীত ফিলিস্তিনের সাথে আপোষ করাবে যার অর্থ হল দ্বীন ও দুনিয়ার ক্ষতি।
সকল জায়গার আমার মুসলিম এবং মুজাহিদ ভাইয়েরা, জেরুজালেম আপনাদের কাঁধের উপর আমানত আর এটাকে মুক্ত করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে ইসরায়েলের সাহায্যকারীদেরকে তাদের রক্ত এবং তাদের অর্থনীতি দিয়ে উম্মাহর উপর তাদের আগ্রাসনের মূল্য দিতে হবে। এটা আমাদের উপর আবশ্যক যে ইসরায়েলের প্রতিবেশী ভূমিগুলোর মধ্যে ইসলামিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটি একটি বহুমুখী রণক্ষেত্র। মুজাহিদিনদের মধ্যে মতানৈক্য হল তাদের প্রাণশক্তি আর তা বিজয়কে ব্যাহত করছে। এটা আমাদের উপর আবশ্যক যে আকিকগড় থেকে তানগিয়ের ককেশাসের চূড়া থেকে মধ্য-আফ্রিকা পর্যন্ত আমাদের শত্রুদের মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এবং আমাদের শেষ বিনতি এই যে, প্রশংসা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্ব জাহানের রব এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নেতা মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সাথীদের উপর এবং আল্লাহর শান্তি ক্ষমা এবং রহমত আপনাদের উপর বর্ষিত হোক।