JustPaste.it

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


সারমাদা অঞ্চলে শরনার্থী শিবিরে আসাদ বাহিনীর হামলা

অমানবিক বর্বোরচিত ও ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধ।


গত ৫ই মে কুখ্যাত আসাদ বাহিনী ও তাদের সমর্থক রাফেজী মিলিশিয়াদের যৌথবাহিনী সীমাহীন বর্বরতার পরিচয় দিয়ে নিরপরাধ শরনার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় ।


তিনটি শিবিরের সমন্বয়ে গঠিত এই শরনার্থী এলাকাটিতে প্রায় ৪০০ পরিবারের বসবাস। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এলাকাটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেশ দূরে তথা ইদলিব প্রদেশের দক্ষিন সারমাদা থেকে প্রায় তিন কি :মি: দূরত্বে অবস্থিত। এই বর্বর হামলায় নারী শিশু মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত ও আরো ৭০ জন বেসামরিক লোক আহত হয়।


উল্লেখ্য যে, এই শিবিরগুলোতে দক্ষিন হালাব হামা ও হিমসের শরনার্থীরাও অবস্থান করছিল । এই হামলা আরেকবার প্রমাণ করলো যে, এই পাপিষ্ঠ নেযাম এবং এর সমর্থকদের কাছে মনুষত্ব ও মানবতা বলতে কিছু নেই। তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর সবচে জঘন্য অপরাধ করার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে ।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো নীরবে এসব ধ্বংসলীলা অবলোকন করে যাচ্ছে । মাঝে মাঝে তারা নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য কিছু প্রহসনমূলক দায়সারা বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন(?) করে যাচ্ছে। এ হামলা থেকে আমরা সুস্পষ্ট জানতে পারি যে, এই নেযাম বেসামরিক নাগরিকদেরকেই টার্গেট করে করে হত্যা করছে। স্বাধীনতাকামী মুজাহিদদের সাথে মোকাবেলায় টিকতে না পেরে তারা এখন জনসাধারণের উপর নির্বিচারে হত্যার জঘন্য নীতি গ্রহণ করেছে।


আমরা হারাকাতু আহরার আশশামের পক্ষ থেকে এই বর্বোরচিত হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং তাকে ভয়াবহ যুদ্ধ অপরাধ বলে আখ্যা দিচ্ছে।
আমরা বলি এই হামলা সুষ্পষ্ট প্রমাণ বহন করে যে, এই নেযাম এবং তার সমর্থকরা বাস্তবে কোন রাজনৈতিক সমাধানে যাবার জন্য প্রস্তুত নয়। এবং তাদেরকে বহাল রেখে কোন সমাধানে পৈাছাঁও সম্ভব নয়।


যে নেযাম তার জনগনের সাথে এমন পৈচাশিক আচরণ করতে পারে তাদেরকে নির্দয়ভাবে আহত করতে পারে, তাদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থলে হামলা চালাতে পারে তারা কখনো জাতির ভবিষ্যতের ব্যাপারে কল্যাণকর হতে পারেনা, তারা জঘন্য অপরাধী, মানবতার দুশমন, পাশবিকতা চর্চাকারী । এক্ষত্রে যারা তাদের সহযোগী তারা এই অমানবিক অপরাধের শামিল ।

 

হারাকাতু আহরার আশশাম আল ইসলামিয়্যাহ
রাজনৈতিক বিভাগ


২৮/রজব ১৪৩৭ হি.
৫/৫/২০১৬ খ্রি.


পরিবেশনা 

 

 

আপনাদের নেক দুয়ায় আমাদের ভুলবেন না!