JustPaste.it

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


আশরাফ ঘানি সরকারের আরেকটি যুদ্ধ অপরাধ। মাজলুম কয়েদিদের ব্যাপারে নতুন করে ফাসিঁর রায়। ইমারাতে ইসলামিয়ার বিবৃতি।


আফগান পুতুল সরকারের প্রধান আশরাফ ঘানি পার্লামেন্টের এক বক্তৃতায় বলেন, মুজাহিদ বন্দিদের উপর নতুন করে ফাসিঁর নির্দেশ জারি করা হবে। তার এই অযৌক্তিক ঘোষণার কারণে জ্ঞানী মহলের সবাই হতবাক। নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে অনেককে। একবার শাস্তির ফায়সালা হয়ে যাওয়া বন্দিদের নিয়ে নতুন করে তদন্ত করার কি প্রয়োজন দেখা দিল? নতুন করে তারা আবার কোথায় অপরাধে জড়াবার সুযোগ পেল ।


আশরাফ ঘানির এই বক্তৃতা একদিক থেকে যেমন তার দূর্বলতা প্রকাশ করে যে, তার কাপুরুষ বাহিনী মুজাহিদদের হামলায় পর্যুদস্ত হয়ে কিছু করতে না পারায় সে অসহায় বন্দিদের উপর তার প্রতিশোধ নিচ্ছে।


অপর দিকে এটাও প্রমাণ করে যে, তার প্রশাসনের কাছে মানবতা, আইন-কানুন আর নীতি বলতে কিছুই নেই। কারণ অসহায় বন্দিদেরকে এমন আদালতের পক্ষ থেকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে, পৃথিবীতে যারা অযোগ্য নীতিহীন ও জুডিশিয়াল ক্রেপশন এর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে । এমন বন্দিদের ব্যাপারেই ফাসিঁর রায় দেওয়া হয়েছে যারা আর্থিক দূর্বলতা ও অসহায়ত্বের কারণে কাবুল রিজিয়াম এর জজ ও উকিলদেরকে ঘুষ দিতে পারেনি । ফলে তাদেরকে নিজেদের আর্থিক দৈণ্যের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে । স্বাধীনতাকামী ও অক্ষম বন্দিদের ব্যাপারে তাদের এই নীতিহীন রায় একমাত্র যুদ্ধ-অপরাধের মাঝেই গণ্য করা যায়। উল্লেখ্য যে, তাদের উপর নতুন করে এমন অবস্থায় ফাসিঁর রায় দেওয়া হচ্ছে যখন তারা সরকারের হাতে বন্দি; নতুন করে সরকারের বিরুদ্ধে কিছু করার সক্ষমতা তাদের নেই ।

বিবেকবান মহলের কাছে প্রশ্ন, তাহলে নতুন কোন অপরাধের ভিত্তিতে তাদের উপর এই রায় জারি করা হচেছ । আমরা কৃতদাস সরকার ও তার সমর্থকদের বলে দিতে চাই- তোমাদের এই রায় তোমাদের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর পরিণতি বয়ে আনবে ।

যদি শত্রুপক্ষ এই রায় বহাল রাখে তাহলে ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদগণ নিপীড়িত আফগান জনগণের পক্ষে হয়ে জুলুম বন্ধের পথে নিজেদের সর্ব শক্তি ব্যয় করবে। আফগান জুডিশিয়াল প্রতিষ্ঠান আরেকবার তাদের কৃত অপরাধের চড়া মূল্য দিতে হবে । তাদের কর্মোকর্তা ও সমর্থক যারা এই রায়ের দাবী জানাচ্ছে, তাদের সবার ব্যাপারে মুজাহিদগণ একই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ব্যক্তিগত এবং দলগতভাবে তাদেরকে টার্গেট বানিয়ে হামলা চালাবে।

অধিকন্তু এর কারণে ফারইয়াব থেকে হেলমান্দ এবং বদখশান থেকে খোস্ত পর্যন্ত মুজাহিদদের হাতে বন্দি মার্কিন নাগরিক, আফগান সরকারের সেনা সদস্য, সরকারী কর্মকর্তা এবং মিলিশিয়াদের সাথেও মুজাহিদগণ কঠোর আচরণ করতে বাধ্য হবেন। ইমারাতে ইসলামিয়ার মুজাহিদগণ তাদের বন্দিদের সাথে সবসময় ইসলামি আইন মোতাবেক ন্যায়নিষ্ঠ ও কোমল আচরণ করে আসছে । কিন্ত যদি সরকার পক্ষ মুজাহিদ সমর্থ্কদের সাথে বর্বোরচিত আচরণ করে তাহলে মুজাহিদগণও এর জবাবে ইসলামী আইন অনুসারে অনুরুপ আচরণ করতে বাধ্য হবে।


ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক সকল নৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান যেমন, মানবাধিকার সংগঠন, স্বাধীন প্রচারমাধ্যম ও রেডক্রস সহ অন্যান্য নিরপেক্ষ সংগঠন এই জুলুমী রায়ের ব্যাপারে নিরপেক্ষ মতামত ব্যাক্ত করতে যেন একটুও কুন্ঠাবোধ না করে ।

ইমারতে ইসলামিয়াহ আফগানিস্তান


২২/রজব/১৪৩৭ হি.
২৯/এপ্রিল/২০১৬ খ্রি.


পরিবেশনা

আপনার নেক দুয়ায় আমাদের ভুলবেন না!