JustPaste.it

বরকতময় ৯/১১ এর টুইনটাওয়ার হামলা কারা চালিয়েছিলো ?

আসুন আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব, তালিবানদের বক্তব্য এবং হামলার ৫ মাস পূর্বে দেওয়া একজন হামলাকারীর ভিডিও বার্তা থেকে তা জেনে নেই।  (শাইখ উসামা রাহিঃ, শাইখ যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বক্তব্য ও তালিবানদের একটি আর্টিকেলের তথ্য অনুযায়ী)

টুইটাওয়ার হামলা নিয়ে দুনিয়াজুড়ে অনেক গল্প-কাহিনী,বিশ্বাস-অবিশ্বাস,বৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক থিউরি তৈরি হয়েছে। টুইনটাওয়ারে কারা হামলা চালিয়েছে এ বিষয়ে দুনিয়ার মানুষ কয়েকভাগে বিভক্ত।

প্রথমভাগ, জিহাদ ও মুজাহিদদের ব্যাপারে সচেতন মুসলিমরা জানেন,এই হামলাটি আল-কায়েদার দুঃসাহসী কিছু মুজাহিদ আমেরিকা নামক যুগের ফির’আউনকে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করা এবং আমেরিকাসহ কুফফার দুনিয়ার নির্মম নিপীড়নে বিপর্যস্ত উম্মাহর সদস্যদেরকে প্রশান্তি প্রদানের জন্য এবং সর্বোপরি সর্ববৃহৎ কুফর শক্তির বিরুদ্ধে কিয়ামত পর্যন্ত চলমান জিহাদকে বেগবান করতেই বরকতময় এই হামলা।  আমেরিকাসহ সচেতন কুফফার বিশ্বও নিশ্চিত যে,এই হামলাটি আল-কায়েদাই চালিয়েছে।

দ্বিতীয়ভাগ, মুসলিম উম্মাহর অসচেতন ও ঘুমন্ত সদস্যরা এটিকে পশ্চিমা কুফফার কিংবা ইজরায়েলের ষড়যন্ত্রের ফল মনে করে। এই ভাগে সেসব কাফিররাও রয়েছে,যারা আমেরিকার বিভিন্ন পলিসির বিরোধিতা করে। আবার এমন কিছু কুফফারও রয়েছে,যারা সচেতনভাবে আল-কায়েদাকে এধরণের বরকতময় অপারেশনের কৃতিত্ব প্রদান করতে চায় না,তারাও এধরণের বস্তাপচা থিউরি আউড়ে থাকে।  

সবধরনের কনস্পাইরেসি থিউরির অসারতা জানতে মুজাহিদ সামির খান রাহিঃ এর লেখা এই কিতাবটি পড়ুন....... 

এছাড়া মুসলিম উম্মাহর এমন অবুঝ ও অচেতন সদস্যও রয়েছে,যারা স্বয়ং আল-কায়েদাকেই আমেরিকার তৈরি কিংবা তাদের দ্বারা পরিচালিত মনে করে। এই শ্রেণীর লোকদের কথা শুনলে মনে হয়, ৯/১১ এর আগে মুসলিম বিশ্ব খুব সুখে ছিলো ! মুসলিমদের তখন খুব ভালো একটি ইমেইজ ছিলো ! কিন্তু এই টুইনটাওয়ার হামলার মাধ্যমে মুসলিমদের সেই সুখ আমেরিকা কেড়ে নিলো !! সুতরাং এটি আমেরিকাই করেছে !!!

বিশ্বব্যাপী ইসলামের প্রকাশ্য দুশমন ইহুদী-খ্রিস্টান এবং তাদের দোসরদের সার্বিক আগ্রাসন ও প্রভাব প্রতিপত্তি এবং মুসলিমদের ঈমানী দূর্বলতার ফলে মুসলিম মানসে এমন এক পরাজিত মানসিকতা জেঁকে বসেছে যে, মুজাহিদরা  টুইনটাওয়ারে হামলা করতে পারে,অনেকে এটি বিশ্বাসই করতে চাইছে না। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থা অনেকাংশে তাতারীদের আগ্রাসনের সময়কার অবস্থার অনুরুপ। তাতারীদের সর্বগ্রাসী হামলায় তছনছ হয়ে যাওয়া মুসলিম বিশ্বে এমন পরাজিত মানসিকতা তৈরি হয়েছিলো যে, তাতারীরা কখনো পরাজিত হতে পারে,এটা ভাবতেও কষ্ট হতো তৎকালীন অধিকাংশ মুসলিমদের।

বাস্তবে পরাজয় যতটা ক্ষতিকর,পরাজিত মানসিকতা তার চেয়ে অসংখ্য গুণ বেশী ক্ষতিকর।

পরাজিত মানসিকতার এই শ্রেণীটিকে যদি প্রশ্ন করা হয়, ২০০১ সালে না হয় টুইনটাওয়ারে হামলা হলো, কিন্তু ১৯৪৮ সালে আমাদের ফিলিস্তিনকে আমেরিকা-ব্রিটেন-জাতিসংঘ মিলে ইহুদীদের হাতে তুলে দেয়। ফলশ্রুতিতে লক্ষাধিক মুসলিমকে ইহুদী যায়নবাদী সন্ত্রাসীরা হত্যা করে এবং কয়েক মিলিয়ন মুসলিম নিজ ভিটাবাড়ী ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সেসময় কী কোনো উসামা বিন লাদেন কিংবা আল-কায়েদা ছিলো ?!? উসামা বিন লাদেনের জন্ম হলো ১৯৫৭ সালে। নাকি জন্মের ৯ বছর আগ থেকেই তিনি আমেরিকার বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে মুসলিমদের বিপদের কারণ হয়েছিলেন ????

কাশ্মীর। আমাদের মুসলিমদের ভূমি। গাভী পূজারী মালউনরা ১৯৪৭ সালে আমাদের কাশ্মীরকে দখল করে নেয়। তখন কী  উসামা বিন লাদেন কিংবা আল-কায়েদা নামে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিলো ???

চেচনিয়া। আমাদের মুসলিম ভূমি। প্রায় ২শ বছর ধরে সেই জারদের সময় থেকে আগ্রাসন ও গণহত্যার শিকার হয়ে আসছে। ২শ বছর আগে কোন উসামা বিন লাদেন,কোন আইমান আল-যাওয়াহিরী কিংবা কোন মোল্লা উমর (রাহিমাহুমুল্লাহ) ছিলেন ???

যুগ যুগ ধরে আরাকানে কেনো মুসলিমদেরকে গণহত্যার মাধ্যমে নির্মূল করা হচ্ছে ?? এখানে কোনো আল-কায়েদা কিংবা উসামা বিন লাদেন ছিলো ???

এভাবে নব্বইয়ের দশকের বসনিয়া,থাইল্যান্ডের পাত্তানী-নারাথিওয়াতসহ দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিমদের দুর্দশার জন্য কোন আল-কায়েদা কিংবা উসামা বিন লাদেন দায়ী ছিলো ???

আমি আজ পর্যন্ত কোনো নাস্তিক,মুরতাদ,ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী,পরাজিত মানসিকতাসম্পন্ন নামধারী মুসলিম, বিভ্রান্ত ও অচেতন মুসলিম এবং শান্তিবাদী-গান্ধীবাদী মুসলিমদের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর পাইনি। না অফলাইনে,না অনলাইনে !!  এসব প্রশ্ন করলে আমি তাদেরকে জ্বিনে ধরা রোগীদের মতো বিড়বিড় করতে দেখেছি।

কুফফার ও তাদের দ্বারা প্রভাবিত উক্তরুপ থিউরির আবর্জনার নিচে যারা চাপা পড়ে যায়নি এবং এখনো সত্যান্বেষণ করেন তাদের জন্য কিছু অকাট্য প্রমাণ পেশ করছি।

আল-কায়েদা আমেরিকার তৈরি এধরণের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি লোকদের বুঝার জন্য অনেকদিন আগে একটি পোস্ট লিখেছিলাম। আল্লাহ্‌ তা’আলার সুযোগ দান করলে আবার নতুন করে এ ব্যাপারে বড়সড় একটি লেখা লেখার ইচ্ছা আছে।

 **** টুইনটাওয়ার হামলার ব্যাপারে শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ বলেন.................

“১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনা ফিলিস্তিন,ইরাক,সোমালিয়া,দক্ষিণ সুদান  এবং অনুরুপ অন্যান্য স্থানে যেমনঃ কাশ্মীর ও আসামে আমাদের সন্তানদের উপর বিরামহীন অবিচার ও জুলুমের প্রতিক্রিয়া মাত্র। এটি মূলতঃ উম্মাহকে বিশেষভাবে উদ্দেশ্য করে (পরিচালিত)। সুতরাং মানুষের উচিৎ তাদের নিদ্রা থেকে জেগে উঠা এবং এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় খুজে বের করা,যা আজ পুরো মানবতাকে হুমকির সম্মুখীন করছে।

আর যারা এই অপারেশনের সমালোচনা করছে,তারা এটিকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখেছে। তারা অতীত ঘটনার সাথে এর যোগসূত্র স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা সেসব কারণের দিকে দৃষ্টি দেয়নি,যা এই ফলাফল নিয়ে এসেছে। সুতরাং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ক্ষুদ্র। তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি না শরয়ী বিধানের অনুকূল আর না বিবেক নির্ভর চিন্তাধারা। তারা শুধু আমেরিকা ও মিডিয়াকে এই অপারেশনের নিন্দা জানাতে দেখেছে। আর তাই তারাও তাদের সাথে নিন্দায় শরীক হয়েছে। তাদের উদাহরণ হচ্ছে সেই উদাহরণের মতো, এক নেকড়ে একটি মেষশাবককে দেখলো। নেকড়ে মেষশাবককে বললো, গতবছর যারা আমার পানি ঘোলা করেছিলে তুমি তাদের একজন ছিলে ? মেষশাবক উত্তর  দিলোঃ না, আমি ছিলাম না।  নেকড়ে জোর দিয়ে বললো, অবশ্যই তুমি তাতে ছিলে। মেষশাবক বললো, আচ্ছা, আমিতো এবছর জন্মগ্রহণ করেছি !

নেকড়ে এবার বলো, তাহলে তা অবশ্যই তোমার মা ছিলো। অতঃপর নেকড়ে মেষশাবকটিকে খেয়ে ফেললো।  আর সেই দূর্বল মা তার সন্তানটিকে নেকড়ের দাঁতের মাঝখানে টুকরো টুকরো হতে দেখে  কী করতো ! মাতৃত্বের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সে নেকড়ের উপর হামলা করলো। নেকড়ে আদৌ আক্রান্তই হয়নি তথাপিও সে এই বলে চিৎকার করতে লাগলো, ‘দেখো ! এই যে সন্ত্রাসী !’ এবার তোতাপাখিরা এসে নেকড়ে যা বললো,তা বারবার আওড়াতে লাগলো আর বলতে লাগলো, হ্যাঁ, আমরা এই নেকড়ের উপর মা মেষের হামলার নিন্দা জানাই।  তোমরা সেসময় কোথায় ছিলে, যখন এই ভেড়া/মেষের বাচ্চাকে নেকড়ে খেয়েছিলো !

সুতরাং এই বরকতময় ও সফল হামলা আমাদের ফিলিস্তিন, ইরাক ও অন্যান্য ভূমিতে  যা ঘটেছে,তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাল্টা আঘাত । ”

শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর উপরোক্ত বক্তব্যের লিংক....(ইংরেজি সাব-টাইটেলসহ)    

https://bit.ly/2kn3d0V 

 

**** টুইনটাওয়ার হামলার ব্যাপারে শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিঃ (শাইখ উসামা রাহিঃ এর উপস্থিতিতে) বলেন.................

“নিশ্চয়ই এই মহান বিজয় সত্যিকারভাবে শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তা’আলার অনুগ্রহেই অর্জিত হয়েছে। এটি আমাদের দক্ষতা কিংবা যোগ্যতার মাধ্যমে অর্জিত হয়নি। নিশ্চয়ই এটি আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কিছু নয়। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার রহমতের জন্য তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা বাছাই করেন। আল্লাহ্‌  সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর বান্দাদের অন্তর দেখেন। অতঃপর তিনি তাঁর অনুগ্রহ,রহমত ও করুণার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই করেন। 

এই ১৯ জন ভাই যারা বের হলেন এবং আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের রুহসমূহকে পেশ করলেন।আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদেরকে সেই বিজয় দ্বারা অনুগ্রহ করলেন আমরা আজ যে বিজয় নিয়ে আনন্দ করছি। এই ভাইদের অবস্থার প্রতি লক্ষ্যকারী ব্যক্তি  দেখতে পাবেন যে, এই ১৯ জনের শক্তি এবং আমেরিকার শক্তির মধ্যে কোনো তুলনা হয় না।  আর এই ১৯ জন ব্যক্তির শক্তি এবং আমেরিকার ক্ষতির মধ্যে কোনো সামঞ্জস্যও দেখতে পাবে না।

কিন্তু আল্লাহ্‌ সুবঃ ওয়া তা’আলার আশ্রয় কামনা, আল্লাহ্‌ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা এবং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের জন্য তিনি আপনার জন্য বিজয়ের এমন দরজা খুলে দিবেন, যা আপনি জানেন না। আল্লাহ্‌ সুবঃ ওয়া তা’আলা আপনাকে দিক-নির্দেশনা দান করবেন,আপনার জন্য সহজ করে দিবেন, আপনাকে শক্তিশালী  করবেন এবং আপনাকে মদদ(সাহায্য) করবেন বরং তিনি আপনার মনে এমন দিক-নির্দেশনা,সম্পদ,দক্ষতা  এবং শক্তি দান করবেন,যার অস্তিত্ব আপনি আগে ভাবতেও পারেননি।  ”

শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর উপরোক্ত বক্তব্যের লিংক....(ইংরেজি সাব-টাইটেলসহ)

https://bit.ly/2kroIxE

 

 

**** টুইনটাওয়ারে হামলাকারী ১৯ জন দুঃসাহসী মুজাহিদের ব্যাপারে তালিবানদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দু’জন মুজাহিদ আলিমের লেখা একটি আর্টিকেলে বলা হয়...........

“শহীদী অভিযানের সত্যতা হল যে তা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে । একজন মুজাহিদ তার শরীরে বেঁধে বা গাড়িতে করে বিস্ফোরক নিয়ে তা বিপুল সংখ্যক শত্রুর মাঝে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, আর ফলে একটি মাত্র প্রাণের বদলে শত্রুর বিপুল ক্ষতি সাধিত হয় । যে আমেরিকানরা ২০০১ এর পর থেকে নিরীহ আফগানদের উপর শক্তি/দাপট দেখিয়ে আসছিল, তাদেরকেই এখন দেখা যায়, আলোচনায় বসার চেষ্টা করতে, এই যুদ্ধ থেকে বের হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে । ৯/১১ এর প্রভাব এর সাক্ষ্য দেয় ! ১৯ জন দৃঢ়চিত্ত মানুষ একটি অসাধারন প্রচেষ্টায় ইতিহাসের স্রোতের দিক পরিবর্তনে সক্ষম হয় । এটা মূলত কাফিরদের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে এবং বছরের পর বছর ধরে পরিকল্পিত তাদের পৃথিবীব্যাপী উপনিবেশ স্থাপন প্রচেষ্টা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।”

ইস্তেশহাদী/ফিদায়ী হামলা নিয়ে তালিবানদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই আর্টিকেলের বাংলা অনুবাদের লিংক........     https://justpaste.it/fidayi_attack 

.

 

১১ সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ার হামলা নিয়ে সকল কনস্পাইরেসি থিউরিকে চিরদিনের জন্য কবর দিতে আল-কায়েদার পক্ষ থেকে একটি বিশেষ পরিবেশনা...........  হামলার ৫ মাস পূর্বে একজন হামলাকারীর অছিয়তের ৩৫ মিনিটের ভিডিও।  (ইংরেজি সাব-টাইটেলসহ)

 .

 

 ১১ সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ার হামলাটি যে আল-কায়েদা করেছে, সে কথা আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ থেকে শুরু করে আল-কায়েদার অনেক নেতারাই বার বার বলেছেন। কিন্তু তারপরও একশ্রেণির মানুষ টুইনটাওয়ার হামলাকে অমুকের ষড়যন্ত্র,তমুকের চক্রান্ত বলে নিজেকে প্রবোধ দিতে চান এবং বেহুদা তর্ক করেন।

 

সেসব তর্কের অবসান ঘটাতে এবং সংশয়বাদীদের সংশয় নিরসন করতে ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ার হামলার ১৬ তম বছরে (২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর) আল-কায়েদার অফিসিয়াল কেন্দ্রীয় মিডিয়া আস-সাহাব এর পক্ষ থেকে  টুইনটাওয়ার হামলায় মুসলিম উম্মাহর ১৯ জন বীরের একজনের প্রায় ৩5 মিনিটের ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।

 

টুইনটাওয়ার হামলায় অংশগ্রহণকারী ১৯ জন বীরের একজন হচ্ছেন ভাই মুহান্নাদ আশ-শিহরী রাহিঃ টুইনটাওয়ারে হামলার প্রায় ৫ মাস পূর্বে ১৪২২ হিজরীর ২৪ মুহাররম (১৮ এপ্রিল,২০০১) আফগানিস্তানের কান্দাহারে মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে অছিয়ত হিসেবে একটি ভিডিও বার্তা দেন। উক্ত ভিডিও বার্তায় তিনি মুসলিম উম্মাহর তৎকালীন বাস্তবতা, বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন এবং কুফফার-মুরতাদদের বিভিন্ন চক্রান্ত নিয়ে কথা বলেন। অতঃপর তিনি মুসলিম বিশ্বকে ক্রুসেডার আমেরিকা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে এক চূড়ান্ত জিহাদে অবতীর্ণ হওয়ার আহবান জানান।

অছিয়ত বার্তায় বিশেষভাবে মুসলিম বিশ্বের আলিমদেরকে তাওহীদের সপক্ষে এই শ্বাসত জিহাদে শরীক হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান। 

উক্ত অছিয়ত বার্তায় টুইনটাওয়ারে হামলাকারী ভাই মুহান্নাদ আশ-শিহরী রাহিঃ আমেরিকার বিরুদ্ধে যে একটি প্রলয়ঙ্করী হামলা আসছে তার ইশারা-ইঙ্গিত দেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

ভিডিওর ৩৩মিনিট ২৮ সেকেন্ডের পর আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে উম্মাহর এই সিংহ বলেন...........

“ওহে আমেরিকা ! পলায়নের জায়গা কোথায় ! তোমাদের পিছনে রয়েছে সমুদ্র, আর সামনে রয়েছি আমরা। পলায়নের কোনো জায়গা নেই। ইসলাম কবুল করো, আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তোমাদের ও পরবর্তীদের উত্তম বিনিময় দান করবেন। অন্যথায় আমাদের অপেক্ষায় থাকো, আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় আমরা তোমাদের দিকে আসছি তোমাদের শির বিচ্ছিন্ন করার জন্য, তোমাদের গর্দান ছিন্নভিন্ন করার জন্য এবং তোমাকে তোমার উপরেই নিক্ষেপ করার জন্য। (ওহে আমেরিকা !) তুমি তা (ধ্বংসযজ্ঞ) থেকে মুক্তি চাইবে কিন্তু তা থেকে কোনো মুক্তি নেই। মৃত্যু ছাড়া তোমার জন্য কোনো সমাধান নেই ! শুধু মৃত্যু ! 

+

আমরা দীর্ঘসময় ধরে তোমার অপরুপ ভূমির অপেক্ষায় আছি। সেখানে রয়েছে ঝর্ণাধারা , বৃক্ষরাজি, সুরম্য প্রাসাদ এবং হৃদসমূহ। আমরা শপথ নিয়েছি তোমার ভূমিতে আমাদের পদার্পনের। আর আমরা তোমার ভূমিতে হুরদের সাথে আলিঙ্গনের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছি। তোমাদের রক্ত আমাদের কাছে সুস্বাদু এবং তোমাদের গোশত  আমাদের কাছে সস্তা। আমরা এতো কঠিন তৃষ্ণার্ত যে তোমাদের রক্ত ব্যতীত আমাদের পিঁপাসা নিবারণ হবে না এবং তোমাদের গোশত ব্যতীত আমাদের ক্ষুধা মিটবে না। আল্লাহ তা’আলার সিদ্ধান্তের কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। খেয়াল রেখো ! তোমরা আমাদের ভূমিতে যুদ্ধ করছো। আর আমরা আমরা আনুগত্য ও সম্মানের জাতি। আমরা দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমাকে তোমাদের ভূমিতে দেখার জন্য। আমরা তোমাদেরকে সর্বাধিক মূল্যবান উপহার দিব,যা তোমাদের অবস্থানের সাথে মানানসই। কফিনের পর কফিন, লাশের পর লাশ, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এই উপহার পেয়ে তৃপ্ত না হও। আর তা তোমাদেরকে শীঘ্রই ব্যাপক আনন্দিত করবে ! আমি আশা করি তোমরা এই সন্তুষ্টি ও আনন্দ ধরে রাখবে !

 নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত সময় হচ্ছে প্রভাত। আর প্রভাত কি খুব নিকটে নয় !  অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান ব্যক্তির জন্য আগামীকাল অতি নিকটে। ওয়া আখিরু দা’ওয়ানা আনিল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল ‘আলামীন। ওয়া সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লামা ওয়া বারাকা ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ। ”

;;

সেই অছিয়ত বার্তার ভিডিও ডাউনলোড লিংক.....

হাই কোয়ালিটি....(৮০৮ এমবি) https://isdarat.cloud/index.php/s/TaKXac3cpJWuGZo

লো কোয়ালিটি..... (৫৭ এমবি)......

https://drive.google.com/file/d/1Kiwk-6lnW6gXgDt3lwWZ90aLcsMmbTKA 

ভিডিও বার্তাটির আরবী টেক্সটের লিংক....  https://drive.google.com/open?id=1FUjGXYFSFTGEM6PxF3gLMS-yXKYUIEcI

ভিডিও বার্তাটির ইংরেজি অনুবাদের লিংক....  https://drive.google.com/open?id=1E42E0RNNgIDpAM-Jk5Ys-KXt92TykR7y

টুইনটাওয়ার হামলায় অংশগ্রহণকারী ১৯ জন বীর সেনানীর পরিচয় জানুন উইকিপিডিয়া থেকে..... 

https://bit.ly/2eUXF5H

.

আর ভাই মুহান্নাদ আশ-শিহরী রাহিঃ এর পরিচয় জানুন........

https://en.wikipedia.org/wiki/Mohand_al-Shehri

 

আল-কায়েদা সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এবং তালিবান মুজাহিদদের অফিসিয়াল বক্তব্যের মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত টুইনটাওয়ারের বরকতময় হামলা গ্লোবাল জিহাদ পরিচালনাকারী আত-ত্বয়িফাতুল মানসূরাহ বা আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত দল আল-কায়েদাই চালিয়েছে। কোনো হামলা না চালিয়ে তার দ্বায়ভার/কৃতিত্ব আল-কায়েদার শীর্ষ নেতৃত্ব স্বীকার করবেন এটি কোনো বুদ্ধিমান কাফিরও বিশ্বাস করবে না আশা করি।

আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদের সকলকে এই বরকতময় অভিযানের বরকত বুঝে তার আলোকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া তাউফীক্ব দান করুন। আমীন।  

------------------------------- 

জিহাদ ও  দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে নিচের মূল পেইজের লিংকে ক্লিক করুন। 

মূল পেইজের লিংক....   https://justpaste.it/Abdullah_Hasan