তারা সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেই থাকবে!
-শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ
[নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও পেনসিলভেনিয়ায় বরকতময় হামলার ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত]
[ভিডিও ফরম্যাট- ১০৮০, ভিডিও সাইজ- ৭৯৮ মেগাবাইট]
http://www.mediafire.com/file/ucifjsobeygm65p/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Dubbing_1080%2529.mp4/file
[ভিডিও ফরম্যাট- ৭২০, ভিডিও সাইজ- ৩২৪ মেগাবাইট]
http://www.mediafire.com/file/aa3jfxfb8g2zmyq/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Dubbing_720%2529.mp4/file
[ভিডিও ফরম্যাট- ৩৬০, ভিডিও সাইজ- ২১২ মেগাবাইট]
https://archive.org/details/Barta_dubbing_video
http://www.mediafire.com/file/ts24zt8xq85rygf/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Dubbing_360%2529.mp4/file
[ভিডিও ফরম্যাট- মোবাইল, ভিডিও সাইজ- ৭৬.৯ মেগাবাইট]
https://archive.org/details/sorbodatumaderbiruddejoddhokortethakbedubbingmobilequality
http://www.mediafire.com/file/diqx24phhokmvbi/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Dubbing_Mobile_Quality%2529.mp4/file
[ভিডিও ফরম্যাট- ১০৮০, ভিডিও সাইজ- ৭২১ মেগাবাইট]
https://archive.org/details/Bangla_subtitle_video1080
http://www.mediafire.com/file/53cnzp564r1mhu0/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Subtitle_1080%2529.mp4/file
সাবটাইটেল ভিডিও ডাউনলোড লিংক
[ভিডিও ফরম্যাট- ৭২০, ভিডিও সাইজ- ৩৩৯ মেগাবাইট]
https://archive.org/details/sorbodatumaderbiruddejoddhokortethakbesubtitle720
http://www.mediafire.com/file/99x36cpp2fxraha/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Subtitle_720%2529.mp4/file
সাবটাইটেল ভিডিও ডাউনলোড লিংক
[ভিডিও ফরম্যাট- ৩৬০, ভিডিও সাইজ- ২০৮ মেগাবাইট]
https://archive.org/details/subtitle_video_201909
http://www.mediafire.com/file/1l1lmzbpi9nnhla/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528subtitle_360%2529.mp4/file
সাবটাইটেল ভিডিও ডাউনলোড লিংক
[ভিডিও ফরম্যাট- মোবাইল, ভিডিও সাইজ- ৭৬.৮ মেগাবাইট]
https://archive.org/details/Subtitle_Video
http://www.mediafire.com/file/zg88mlejtbedgwy/sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe_%2528Subtitle_Mobile_Quality%2529.mp4/file
ডাবিং অডিও ডাউনলোড লিংক
[অডিও সাইজ- ৩১ মেগাবাইট]
http://www.mediafire.com/file/5bt8yen2mpri142/tara_sorboda_tumader_birudde_joddho_korte_thakbe.mp3/file
——–
[শুধুমাত্র শাইখের বক্তব্যের অনুবাদ]
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
https://archive.org/details/continue_fighting_only_shaikh_word
https://jmp.sh/v/4lxwdRy0zb9XK6el3f5V
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
https://archive.org/details/continue_fighting_only_shaikh_pdf
https://jmp.sh/v/iLG0V63Guu7E7GOajCpb
[পূর্ণ ভিডিওচিত্রের অনুবাদ]
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন
https://jmp.sh/v/Jc6u60tCD1cKR6JzqqGF
পিডিএফ ডাউনলোড করুন
https://jmp.sh/v/A4x2AyuxtBug6qyozoBl
——————
[পূর্ণ ভিডিওচিত্রের অনুবাদ]
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“সর্বত্র অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও পেনসিলভেনিয়ায় আমাদের মোবারক হামলার এখন আঠারো বছর চলছে। আমেরিকা প্রতিনিয়তই ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে তার বস্তুবাদী খৃস্ট-জায়নিস্ট শত্রুতা প্রকাশ করে যাচ্ছে। ট্রাম্প বায়তুল মাকদিসে আমেরিকার দূতাবাস স্থানান্তরিত করার ঘোষণার পর এবার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের সাথে যুক্ত করার ঘোষণা দিল। এর মাধ্যমে সে আবারো প্রকাশ করল; আমেরিকার আসল চেহারা এবং মুসলমানদের প্রতি মার্কিন জাতির প্রকৃত শত্রুতা”।
ডোনাল্ড ট্রাম্প
“ইসরাইল তার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বহু দিন থেকেই লড়াই করে আসছে। যা তার মৌলিক অধিকার। আমি গোলান মালভূমিকে এই মুহুর্তে ইসরাইলের অধীন ঘোষণা করছি। ইসরাইল সবসময় আমাদের বন্ধু এবং মৈত্রীতে আবদ্ধ ছিলো ও আছে। ইসরাইল আমাদের অনুপ্রেরণাও। আমেরিকা এবং ইসরাইল সবসময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে। আমি আরো যে কথাটি বলতে চাই, নেতানিয়াহু যেমন ইসরাইলকে ভালোবাসেন, আশা করি তিনি আমেরিকাকেও তেমন ভালোবাসেন। গোলান মালভূমিতে ইসরাইল-ই নেতৃত্ব করবে। এখন আমি সম্মানিত প্রেসিডেন্টকে কিছু কথা বলার জন্য আহ্বান করছি। ধন্যবাদ”।
নেতানিয়াহু
“প্রিয় নেতা, প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প…
আপনারা প্রতিনিয়তই ইসরাইলকে অনেক সহায়তা করে আসছেন। আমাদের প্রতিরক্ষা বিষয়েও অনেক সহায়তা করেছেন। আমরা আপনাদের সহায়তা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। আপনারা সবসময়ই আমাদের পাশে ছিলেন সেদিন থেকে। আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
প্রিয় প্রেসিডেন্ট! বিগত কয়েক বছর যাবৎ ইসরাইল তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো নিয়ে বেশ ভালোই আছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে ইসরাইল আপনার চেয়ে ভালো বন্ধু আর কাউকে পায়নি। আপনারা বাইতুল মাকদিসকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দিয়েও আপনাদের বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছেন এবং আপনাদের দূতাবাস স্থাপন করেছেন। আপনারা তা বলেছেন এবং করেছেন।
প্রিয় বন্ধু! গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের কর্তৃত্বের পক্ষে রায় দেয়ার মধ্য দিয়ে আপনারা আজও পুনরায় বন্ধুত্বের প্রমাণ দিলেন। তাই সামরিক ও বেসামরিকভাবে আপনাদেরকেও সাহায্য করা আমাদের দায়িত্বে পরিণত হয়েছে।
প্রিয় নেতা! এজন্যই গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের নেতৃত্বাধীন ঘোষণা দেওয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে।
আমরা বুঝতে পারছি যে, গোলান মালভূমিতে এখন দুটি পক্ষ বিদ্যমান। একটি ইসরাইল আরেকটি আমেরিকা। প্রিয় নেতা, আমি সমগ্র ইসরাইলবাসীর পক্ষ থেকে আপনার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আপনাদের নেতৃত্ব, বন্ধুত্ব এবং আমাদের প্রতি আপনাদের সকল সহায়তায় আপনাদের কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। আমি আশা করি বর্তমানের চেয়েও আমাদের মাঝে আগামীতে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। ধন্যবাদ প্রিয় প্রেসিডেন্ট”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“আর ঐতিহাসিক বাস্তবতা হচ্ছে: অধিকাংশ জায়নিস্টরা নন-ইহুদী। যেমন, নাস্তিক নেপোলিয়ন, কুখ্যাত ‘বেলেফোর চুক্তির’ উদ্যোক্তা বেলফোর, উসমানী সম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সাইক্স-পিকট এগ্রিমেন্টের রচয়িতা মার্ক সাইক্স। বৃটিশ গোয়েন্দা লরেন্স; যে আরব বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী। আমেরিকার খৃস্ট-ধর্ম প্রচারকরা যারা; আরব জাতীয়তাবাদের প্রচারকদের সিরিয়ান বাইবেল কলেজে আশ্রয় দিয়েছিল। আমেরিকার অনেক নেতা। আর তাদের শেষেরজন হচ্ছে ট্রাম্প। এছাড়াও হাজার হাজার আছে। এরা সকলেই নন-ইহুদী জায়নিস্ট ছিল।
এই জায়নিস্টরাই সর্বত্র মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং সব জায়গা থেকে ইসরাইলের জন্য মুক্তিপণ দিচ্ছে। তাই এর ‘মাইনা’ হিসেবে আমরা সর্বত্রই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিবো”।
শাইখ আব্দুল আযীয রানতিসী রহ.
“ফিলিস্তিনের ভূমি ইসলামের নির্ধারিত ভূমি। তার এক ইঞ্চি মাটিতেও দখলদারদের অবস্থানের জন্য কখনই অনুমতি দেবো না। সর্বত্র আমরা তাদের সাথে লড়াই করব। যেকোন অবস্থায় তাদেরকে আঘাত করতে থাকবো। তাদেরকে জ্বালিয়ে দেবো। সম্মুখ থেকে তাদের মাথাগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিবো”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“ফিলিস্তিনে ও সর্বত্র অবস্থানরত আমার মুসলিম মুজাহিদ ভাইয়েরা!
এখন ফিলিস্তিনের অবস্থার দিকে একটু তাকিয়ে দেখুন। তার অধিকাংশ ভূমিই ইসরাইলের অধীনে। আর অবশিষ্ট সামান্য অংশটুকু তারা পশ্চিম তীর ও গাজাকে ভাগ করে দিয়েছে। এর মধ্যে দিফফা অংশকে সরাসরি ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা শাসন করছে। আর গাজা, সেটাতো তারা অবরোধ আরোপ করে শ্বাসরুদ্ধ করে রেখেছে। এরপরেও সেখানে মুজাহিদদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা (আল্লাহ তাঁদের উত্তম বিনিময় দান করুন) ইসরাইলের উপর বজ্রাঘাত হয়ে পতিত হচ্ছে। কিন্তু এর মোকাবেলায় ইসরাইল তাঁদের উপর ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে ঘাতক ও নিচু মানসিকতাসম্পন্ন সিসি সরকার গাজাকে অবরোধের মুখে ফেলে অপহরণ করছে। ইসরাইল ও বিশ্ব অপরাধী শক্তি এভাবেই ফিলিস্তীন জিহাদের টুটি চেপে ধরেছে এবং মুজাহিদদের জন্য একটি সংকীর্ণ শ্বাসরুদ্ধকর যুদ্ধের ময়দান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এ কারণে মুসলিম মুজাহিদদেরকে ইসরাইল ও বিশ্ব অপরাধী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সব জায়গায় স্থানান্তরিত করার মাধ্যমে এই অবরোধ ভেঙ্গে ফেলতে হবে”।
শাইখ খালেদ বাতারাফী হাফিযাহুল্লাহ
“আমাদের প্রকৃতপক্ষে যেটি করণীয়, যা ব্যতীত বাইতুল মাকদিস কখনই মুক্ত হবে না, ইহুদিদের নাপাকি থেকে কখনই পবিত্র হবে না, তা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। যে জিহাদ হবে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করার উদ্দেশে। যে জিহাদ হবে ইসলাম ও মুসলমানদের সাহায্যের লক্ষ্যে, ইসলামের পবিত্র ভূমিগুলো মুক্ত করার জন্যে। যে জিহাদ কোন সীমানা মানে না, কোন অঞ্চল মানে না, মুসলিমদের মাঝে বিভেদের জন্য বানানো কোন জাতীয়তা মানে না এবং কাফের জাতিসংঘের সম্মতি-অসম্মতিকে কোন পাত্তা দেয় না। যে জিহাদ জবরদখলকারীর মাঝে এবং তার সহযোগী, সমর্থনকারী, বন্ধু ও নিরাপত্তাদানকারীর মাঝে কোন পার্থক্য করে না। যে জিহাদে ফিলিস্তিনের মুসলিম এবং বিশ্বের গন্ডিতে অবস্থানকারী তাঁর আরব-অনারব ভাইয়েরা সমান। সেই জিহাদের মাধ্যমেই মুসলিম ভূমিগুলো মুক্ত হবে, সম্মানিত ভূমিগুলো পবিত্র হবে এবং মুসলিম ভূমি নিরাপত্তা পাবে।
সকল মুজাহিদ ও ইসলামী আন্দোলনের সদস্যদের কর্তব্য হল, সকল শ্রম-সাধনা ব্যয় করে ইহুদি ও আমেরিকার সামনে এক কাতারে অবস্থান করা। তাদের শক্তি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য এবং মুসলিম উম্মাহ থেকে তাদের শত্রুতা হটিয়ে দেওয়ার জন্য।
মুসলমানদের আলেমদের উচিৎ, আল্লাহকে ভয় করা, তাঁদের দায়িত্ব পালন করা, তাঁদের কাঁধে অর্পিত আমানত ও আল্লাহর পক্ষ হতে প্রতিশ্রুতি আদায় করা; মুসলিম উম্মাহকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিধি বর্ণনা করার মাধ্যমে।
আর ফিলিস্তিনের সমস্যা শুধু ফিলিস্তিনী বা আরবদের সমস্যা নয়। বরং তা প্রতিটি মুসলিমের সমস্যা।
সেই ব্যক্তিকে অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতার দোষে অভিযুক্ত করতে হবে, যে ঐ ঘোষণায় ট্রাম্পের সাথে অংশ নিয়েছে এবং তা সহজ করেছে। যেহেতু সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে এবং মুসলিম নিধনে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মুসলিমদের সমস্ত শক্তি ও তার যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ ও জমায়েত করতে হবে; এই ইহুদি ও তার সহযোগী আমেরিকানদের বিরুদ্ধে। যাদের পরাজয় ও পতনে ফিলিস্তিনে এই অন্যায় দখলদারীর সমাপ্তি ঘটাবে, ইনশা আল্লাহ”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“সুতরাং ফেদায়ী হামলার মুজাহিদ, যিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চান, তিনি যে কোন জায়গায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারেন। তাই শরীয়ার হুকুমের সাথে তার লক্ষ্যের মিল নিশ্চিত করবেন, যাদেরকে কষ্ট দেওয়া হারাম, তাঁদের কষ্ট না পাওয়ার সুপরিকল্পনা গ্রহণ করবেন এবং তাঁর কাজের ক্ষতির চেয়ে কল্যাণের পরিমাণটি বেশী বলে নিশ্চিত হবেন। এরপরই তিনি আল্লাহর উপর ভরসা করে স্বীয় টার্গেট পূর্ণ করবেন। সাথে সাথে এ বার্তা রেখে যাবেন যে, এ জিহাদী কর্ম হচ্ছে ফিলিস্তীন ও সমগ্র মুসলিম বিশ্বে তোমাদের অপরাধের বদলা।
এভাবেই আমরা শত্রুর মাথায় সমতার সমীকরণ করব এবং তাদের কৃতকর্মের হিসাব কষতে বাধ্য করব।
হে ফিলিস্তীন ও মুসলিম উম্মাহর মাঝে আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!
এসবই হচ্ছে সমগ্র বিশ্বে ইসরাইল ও তার বন্ধু আমেরিকা, বৃটেন, ফ্রান্স, রুশ ও ইউরোপিয়ানদের পাঁতানো টার্গেট। সুতরাং তারা যেমন আমাদের নিয়ে চক্রান্ত করছে এবং সব জায়গা থেকে আমাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হচ্ছে, আমাদেরকেও সব জায়গায় তাদের ধাওয়া করতে হবে স্থান ও সময়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে।
ফিলিস্তীন ও উম্মাহর হে মুজাহিদগণ! আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। সতর্ক থাকুন এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এই আশা করবেন না যে, কেউ আপনাকে সাহায্য করবে। আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। অক্ষম হবেন না।
কৌশল ও উপকরণে আপনারা আধুনিক ও সৃজনশীল হোন। শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ. ও তাঁর সাথীরা, (আল্লাহ তাঁদের শহীদদের উপর রহম করুন, তাঁদের বন্দিদের মুক্তি দান করুন এবং বাকিদের হেফাজত করুন) তাঁরা কিছু বিমানকে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের ন্যায় কাজে লাগিয়েছিলেন।
উস্তাদ মুহাম্মদ ইয়াসির রহ. যখন শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ. এর সাথে ‘তোরাবোরায়’ সাক্ষাত করলেন, শাইখ বললেন, ১১ই সেপ্টেম্বরের আগে সকলে ভাবতো যে, কোন বিমান অপহরণ করলে কোথায় অবতরণ করাবে? সে দিশাহারা হয়ে ভাবতো যে, বিমানবন্দরগুলো তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখবে এবং ধাওয়া করতে থাকবে!?
কিন্তু এখন? যে কেউ বিমান অপহরণ করে শত্রুর বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে কাজে লাগানোর সাহস রাখে।
ফিলিস্তীন ও প্রত্যেক ভূখন্ডে অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা!
আমাদেরকে যুদ্ধের প্রকৃতি বুঝতে হবে। নিঃসন্দেহে সর্বত্র মুসলমানদের বিরুদ্ধে এটা বিশ্ব ক্রুসেডীয় হামলা। এতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক যুদ্ধের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
শাইখ রানতিসী রহ. এর পত্র
“এটাকে সমর্থন ও জোরদার করতে ডা. আব্দুল আযিয আর রানতিসী রহ. লিখেছেন, ‘কেন আমেরিকা অবরোধ করবো না?’ এ শিরোনামে তিনি বলেছেন। এ বলে তাঁর কথা শুরু করেন, আল্লাহ প্রদত্ত ইনসাফ হচ্ছে, যা তিনি আমাদের সামনে বর্ণনা করেছেন, আমাদের শত্রুর সাথে ঠিক সেই পন্থায়ই আচারণ করব; যে পন্থায় তারা আমাদের সাথে আচরণ করে।
‘সুতরাং যে তোমাদের উপর জুলুম করেছে তোমরাও তার থেকে জুলুমের প্রতিশোধ নাও, যে ধরণের জুলুম সে তোমাদের উপর করেছে।’
এরপর তিনি অবরোধের প্রকার ভাগ করেছেন, আমেরিকার বিরুদ্ধে যা আমরা নিয়মিত করতে পারব। যেমন, অর্থনৈতিকভাবে অবরোধ, আতঙ্কগ্রস্ত করার মাধ্যমে অবরোধ, তথ্যগত অবরোধ ও ভ্রমণে অবরোধ।
তিনি আতঙ্কগ্রস্ত করার মাধ্যমে অবরোধ সম্পর্কে বলেন, যে সময়ে আমরিকা ফিলিস্তীন, আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিপাইন, শিশান, কাশ্মীর ও অন্যান্য স্থানে আমাদের নিরাপত্তা শেষ করেছে এবং যেসব স্থানে আমেরিকা আমাদেরকে আঘাত করছে, তা হয়তো সে নিজেই করেছে অথবা সেখানে আমাদের শত্রুকে নিযুক্ত করে, সব ধরণের সাহায্য দিয়েছে, যাতে সে শত্রু তার স্থলাভিষিক্ত হয়ে আমদেরকে আঘাত করে।
এই শত্রুতার জবাবে আমাদের কর্তব্য হবে, আমেরিকাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে অবরোধ করা। যে আমাদের নিরাপত্তা নষ্ট করেছে তাকে নিরাপদে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ হবে না। আমেরিকা যে মুসলিম ভূমিতেই প্রবেশ করেছে, সেখানেই তার কেন্দ্রীয় লক্ষ্য ছিল কোন না কোন শত্রুতার চর্চা করা।
এরাই মার্কিন শয়তানী বুদ্ধি-প্রসূত সর্বাধুনিক ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা চলিয়েছে; আমাদেরকে নির্মূল করতে। এরাই তো খোলাখুলিভাবে তাদের মিত্র বাহিনীকে উদ্বুদ্ধ করে আমাদের মুসলিম যুবকদের নিধন করতে। এরাই তো মুসলিমদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে ক্রমাগত যুদ্ধ চালাচ্ছে। এরাই মুসলিমদের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। এরাই মুসলিমদের লাঞ্ছিত করতে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করছে। এমনকি টিভির পর্দায়ও। যেমন ঘটেছে জায়নিস্ট-নাৎসী বন্দীশিবির গুয়ান্তামোতে। যেমনটা আজ ইরাকে ঘটছে। মুসলমানদের উপর মার্কিন আগ্রাসনের সীমা পরিসীমা অসংখ্য-অগণিত। এর জন্য এটাই যথেষ্ট, মার্কিন প্রচার মাধ্যম উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে প্রত্যেক মুসলিমকে সন্ত্রাস বানিয়েছে, বিশ্বের প্রত্যেকটি ভূখন্ডে।
তাহলে কী জন্য আমরা তাদের পিছু ধাওয়া করব না, যেমন তারা আমাদের পিছু ধাওয়া করছে? কেন আমরা তাদের ভীত-সন্ত্রস্ত করব না, যেমন তারা আমাদের ভীত-সন্ত্রস্ত করছে? অবশ্যই আমরা সেটা করতে সক্ষম।
আমাদের কি এতটুকু অধিকার নেই, আমাদের দেহকে বোমার আঘাত থেকে রক্ষা করব? অথচ আমরা ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র অর্জনে মরিয়া হয়ে আছি। যার মাধ্যমে তারা আমাদের শিশুদের হত্যা করছে।
তারপরও এই প্রাণহীন লোকেরা অনুভবই করতে পারেনি যে, আমাদের নিরাপত্তাতীনতায় তাদের নিরাপত্তার কল্পনা করাও অসম্ভব। যতক্ষণ না আমরা নিরাপত্তার স্বাদ গ্রহণ করি”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“যে মার্কিন শক্তি আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, উপসাগরীয় দেশসমূহ, জাজিরাতুল আরব ও পূর্ব আফ্রিকা জবর দখল করে আছে, সে মার্কিন শক্তিই ইসরাইলকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছে। পাকিস্তানের ঘুষখোর জেনারেলদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং তার ঘাঁটিগুলো তুরস্ক দখল করে আছে এবং (মিশরের) সিসি, (লিবিয়ার) জেনারেল হাফতার ও অন্যদেরকে সমর্থন করছে।
আমেরিকা খুবই সতর্ক যে, জিহাদ যেন বিশ্বময় বিস্তৃত হয়ে না যায় এবং তাদের দেশ ও পশ্চিমা দেশে স্থানান্তরিত না হয়। এ কারণে যখন তার দেশের কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হানা হল এবং আমেরিকা এ কর্ম পদ্ধতির ভয়াবহতার পরিধি বুঝতে পারল, এরপর মাদ্রিদ ও লন্ডনেও একই নীতির পূনরাবৃত্তি ঘটল, তখন আমেরিকা তার কথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করল।
আর পশ্চাদমুখী শাইখ এবং হাদিয়া-তোহফা ও বেতন ভোগী আলেমরা তার ডাকে সাড়া দিল। মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে বিভেদ ও সন্ত্রাসের নামে হুমকি ও নিন্দার হামলা শুরু হয়ে গেল। মুক্তি পাগল বন্দিদের নিয়ে দাম কষাকষি হতে লাগল। সকলেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গীতাসরে শামিল হল।
সুবহানাল্লাহ! এদের অনেকেই এখন সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত হচ্ছে। যখন মুজাহিদরা দেশীয় সরকারের জুলুমের মোকাবেলা করতে লাগলেন, তখন কিছু সমালোচক পন্ডিত বের হয়ে বলতে লাগল, এটা জিহাদ হবে না। জিহাদের জন্য আবশ্যক হল, উম্মাহ তার উপর এক হতে হবে। এরপর মুজাহিদরা যখন উম্মাহর নাম্বার ওয়ান শত্রুর দিকে বন্দুকের নলা ঘুরিয়ে দিল, তখন সমালোচক পন্ডিতরা বের হয়ে বলতে লাগল, এটা বিশ্বসন্ত্রাস।
বরং জেল ফেরতরা আমাদের সামনে এক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসল। তাতে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য একজন মানুষের আগে স্বীয় বিবেককে মুক্ত করতে হবে। যাই হোক, আনোয়ার সাদাতের প্রতি তাদের সহানুভূতি প্রকাশের পর (তাদের বিবেচনায় সে শহীদ) তারা দাবী করল, আমেরিকার গোলাম দেশীয় তাগুত শাসকদের সাথে ঐক্যমত ছাড়া আমেরিকার মোকাবেলা করা আমাদের ঠিক হবে না।
তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কি? আমরা কি জিহাদ ছেড়ে দেবো?!
তারা ‘নিরীহ মানুষ হত্যা’ নামে মিথ্যা সাইনবোর্ড ব্যবহার করল। তারা বলল, তোমরা টুইন টাওয়ারে নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছ। অথচ আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা আগেই এসব সংশয় নিরসন করেছি। কিন্তু সংশয় পোষণকারীর অপবাদ থেকে পরিত্রাণের জন্য বলছি, যেহেতু তোমরা ধারণা করছ যে (অথচ তা ভুল ধারণা) আমরা টুইন টাওয়ারে নিরহ লোকদের হত্যা করেছি। তাহলে কি পেন্টাগনেও নিরাপরাধ লোক ছিল? নাকি আঘাত করা হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তির কেন্দ্রে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রধান সামরিক অপরাধীদের লক্ষ্য করে?
কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউজ অভিমুখী বিমানটি কি নিরপরাধ লোকদের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলো?
আচ্ছা! তোমরা যখন চাচ্ছ, জিহাদ শুধু সামরিক ঘাঁটিকেই টার্গেট করে হবে। তাহলে এই যে আমেরিকার সামরিক শক্তি, পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃত হয়ে আছে। বরং তার ঘাঁটি, ফেতনা ফাসাদ ও নষ্টামী দ্বারা তোমাদের দেশ ভরে দিয়েছে। তো এসো, সেখানে হামলা করো। তোমাদের সংশয়মুক্ত নিখুঁত জিহাদ আমাদের দেখাও।
এই যে বৃটেন, ফ্রান্স ও ন্যাটোর মিত্র শক্তি সমগ্র বিশ্ব এবং বিশেষকরে মুসলিম বিশ্বকে ভরপুর করে দিয়েছে। তো ইসরাইলকে তাদের সমর্থন ও ফিলিস্তীনে তাদের অপরাধের বদলা হিসেবে তাদের উপর হামলা করে বসো।
এই তো ফ্রান্সের শক্তি মালি জবর দখল করে আছে। মরুভূমি ও তীরবর্তী অঞ্চলে তারা মুসলমানদের হামলা করছে। তাহলে কেন না জানার ভান করছ? সেখানকার মুসলিম ভাইদের তাদের বলির জন্য ছেড়ে দিচ্ছ? এটা কি মুসলিমদের সম্মানের উপর সীমা লঙ্ঘনকারী ক্রুসেডীয় শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়? এখন কোথায় তোমরা?”
শাইখ আবু উবায়দাহ ইউসুফ আল-আন্নাবী হাফিযাহুল্লাহ
“মালিতে আমাদের মুসলিম জাতি এক বহিরাগত বিদ্বেষী ক্রুসেড বাহিনীর জবর দখলের জুলুম ভোগ করছে। যাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে নতুন চেহারায় পুরোনো শত্রু ক্রুসেডার ফ্রান্স। আর নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যথাসাধ্য তার সকল এজেন্ট ও প্রতিনিধিদের একত্রিত করেছে। শরীয়া ও যুক্তির আলোকে এদের প্রত্যেকেই আমাদের বৈধ টার্গেট। তাদের দেশ বা আমাদের দেশে যেখানেই তারা থাক না কেন। যতক্ষণ না তারা আমাদের ভূমি ও মালিতে শয়তান ফ্রান্সের মৈত্রী থেকে বের হবে”।
শাইখ মুহাম্মাদ কুফা হাফিযাহুল্লাহ
“আমি আমার এই ভাষণটি, জামায়াত নুসরত আল-ইসলাম ওয়াল মুসলিমীনের ভাইদের পক্ষ থেকে সম্বোধন করছি… এবং এই জামাতের আমীর শাইখ আইয়াদ আগ ঘালি’র পক্ষ থেকে..
যিনি আজ ভাইদের সাথে সাক্ষাতের জন্য এসেছেন এবং তার আগমনে যেন আমরা আল্লাহ তা‘আলার সেই আদেশটি স্মরণ করতে পারি। যাতে তিনি আমাদেরকে তাকওয়া ও দ্বীনের কাজে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন।
যেমনিভাবে আমরা মুসলমানদেরকে আল্লাহর পথে জিহাদ করার আহ্বান জানাই, যাতে আল্লাহর বাণী সর্বোচ্চ হয়, আল্লাহর কিতাব সবার উর্ধ্বে হয় এবং ইসলামের পতাকা উঁচু হয়…
এই কথাগুলো সমস্ত মুসলমানদেরকে সম্বোধন করে বলছি।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, জিহাদই ইসলামের সর্বোচ্চ চূড়া, যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন।
আমার ভাইয়েরা, আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন, এই কথাগুলি মনে রাখবেন। আপনার দ্বীনকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসুন, কারণ ইসলাম এবং মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করা হচ্ছে, তাদেরকে ধ্বংস করা হচ্ছে এবং পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আমি ‘ফুলান জনগোষ্ঠীকে’ আহ্বান করছি; আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন¬ সেনেগাল, মালি, নাইজার, বুর্কিনা ফাসো, আইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজেরিয়া বা ক্যামেরুনে..
আলহামদুলিল্লাহ, এখানে জিহাদ চলছে এবং এর শিখা ছড়িয়ে পড়ছে, যেমন মহান আল্লাহ আমাদের আদেশ করেছেন এবং তিনি আমাদের উপর ফরজ করেছেন:
كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ
“তোমাদের উপর ক্বিতাল ফরজ করা হয়েছে; যদিও তোমরা তা অপছন্দ করো”। [সূরা বাকারাহ : ২১৬]”
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এই যে আমেরিকা ও তার মিত্রশক্তি সোমালিয়া ও পূর্ব আফ্রিকার মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। সেখানে মুসলিমদের সহযোগিতা না করে, তাঁদেরকে রক্ষার্থে জিহাদ ছেড়ে তোমরা কোথায় বসে আছো? এটা কি মুসলিম ভূমি ও মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে ক্রুসেড যুদ্ধ নয়? এ ব্যাপারে তোমাদের অবস্থান কোথায়?
শাইখ আব্দুর রহমান মাহাদ ওয়ারসুমি হাফিযাহুল্লাহ
“সোমালিয়ার মুসলিমদের উপর কাফেরদের নৃশংসতা এবং অপরাধ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং তোমাদের সবার নিকট স্পষ্ট।
আমি আল্লাহর নামে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, কাফেররা তোমাদের ঘরেই তোমাদেরকে গোলাম বানিয়ে রেখেছে, তোমাদের সম্মানিতদের হত্যা করছে এবং জলে-স্থলে তোমাদের সম্পদ লুঠতরাজ করছে দেখার পরেও কিভাবে তুমি স্থির হয়ে আছো?
তোমরা সবাই ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট আবি আহমাদ এবং সোমালিয়া সংকটের সমাধানে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিবৃতি শুনেছো যেন খৃষ্টানরা সোমালিয়া শাসন করতে পারে।
কোথায় তোমাদের মর্যাদা এবং আত্মসম্মান?
আগ্রাসী কাফেররা তোমাদের মা এবং বোনদের সাথে সীমালঙ্ঘন করেছে। তারা আল্লাহর কিতাব আল কুরআনকে আগুনে পুড়িয়েছে। তারা সম্মানিতদের হত্যা করেছে এবং তাদের আর্মড ভেহিক্যাল দিয়ে পিষ্ঠ করেছে।
কোথায় তোমাদের মর্যাদা!? কেন তুমি কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ না!? এমন ভয়ানক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কেন এখনো জেগে উঠছো না!?
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন
وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا ﴿٧٥﴾
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا ﴿٧٦﴾
“আর তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করছো না অথচ দূর্বল পুরুষ, নারী, শিশুদের পক্ষে; যারা বলছে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে বের করে দেন। যার অধিবাসীরা জালিম।
আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক ও সাহায্যকারী প্রেরণ করেন। যারা পূর্ণ ঈমানদার তারা তো আল্লাহর পথে জিহাদ করে, আর যারা কাফের তারা শয়তানের পথে সংগ্রাম করে, অতএব, (হে মু‘মিনগণ!) তোমরা শয়তানের সহচরদের বিরূদ্ধে জিহাদ কর, বস্তুতঃ; শয়তানের প্রচেষ্টা দূর্বলই হয়ে থাকে। (সূরা আন-নিসা, ৭৫-৭৬)”
শাইখ আলী মাহমুদ রাজী হাফিযাহুল্লাহ
“আল্লাহ্ তা‘আলার অনুগ্রহে, কাফেররা পরাজিত হয়েছে এবং তারা ভবিষ্যতেও পরাজিত হতে থাকবে। খুব শীঘ্রই তারা সোমালিয়া থেকে বিতাড়িত হবে এবং মুসলমানরাই তাদের ভূমিতে বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ।
একই সময়ে, কাফেররা বিতাড়িত হওয়ার পরে একদল লোক থাকবে যারা চিরকাল লাঞ্ছনার জীবন যাপন করবে এবং ইতিহাসে তাদের নাম কলঙ্কিত হয়ে থাকবে।
অতীতে, উপনিবেশ সময়কালে, সোমালিয়ার মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত ছিল এবং একইভাবে বর্তমান সময়েও, মানুষ সেই আগের মত তিন দলে বিভক্ত।
প্রথম দল হলো: তাঁরা যারা আগ্রাসী কাফেরদের বিরূদ্ধে জিহাদ করে উপনিবেশবাদীদের বিতাড়িত করে এবং তাদের জীবন ও সম্পদ দ্বারা মুজাহিদদেরকে সহায়তা করে।
দ্বিতীয় দল হলো: যারা পিছনে পড়ে থাকে এবং কোন গ্রহণযোগ্য কারন ছাড়াই জিহাদ করে না। তারা খুবই কাপুরুষ যে, তারা অপদস্থতার জীবনকে গ্রহণ করে নিয়েছে।
তৃতীয় দল হলো: “ফারমাযো” এর ন্যায় যে উপনিবেশবাদীদেরকে হয়ে কাজ করে
এবং তাদেরকে মুসলিমদের বিরূদ্ধে যুদ্ধে এবং তাদের দেশ দখলে সহায়তা দেয়, বর্তমানেও তাদেরকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ঘৃনাভরে দেখা হয়।
তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যেকেই নিজেকে প্রশ্ন করবে, সে কোন দলকে সঙ্গ দেবে?
ইতিহাসে তার ব্যাপারে কি লেখা থাকবে এবং পৃথিবীতে তারা কিভাবে স্মরণীয় হবে?
তাদের আমলনামায় কি লেখা থাকবে, যখন তারা আগামীকাল তাদের পরওয়ারদিগারের সাথে রোজ কিয়ামতের দিন সাক্ষাত করবে?”
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“এই যে অপরাধী রাশিয়া মুসলিম ককেশাশ ও মধ্য এশিয়াকে জবর দখল করে আছে। আহত সিরিয়ায় মুসলিমদের রক্ত ঝরাচ্ছে। ইসরাইলকে সমর্থন ও নিরাপত্তা দিচ্ছে। দুনিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলে তার ছড়িয়ে থাকা সামরিক শক্তি দেখে আপনারা কোথায় বসে আছেন?
অপরাধীদের শক্তিশালী করার পরিবর্তে আসুন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করুন”।
শাইখ সামী আল উরাইবী হাফিযাহুল্লাহ
“কেননা, তা সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব। এ কথা ইসলামের আলেমগণ বলেছেন এবং তার উপর একমত পোষণ করেছেন। তাঁরা এ কথাও বলেছেন, আক্রমণকারী শত্রুকে প্রতিহত করা, যে দ্বীন দুনিয়া দুটোই নষ্ট করে, তা সবচেয়ে বড় ওয়াজিব। অতএব, হে উম্মাহর সন্তানেরা! আল্লাহ আপনাদের উপর দ্বীনকে সাহায্য করার যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা আদায় করুন। কারণ আমাদের উপর আল্লাহর সাহায্য, আমাদের দ্বীনকে সাহায্য কারার উপর নির্ভরশীল।
আর আমরা জানি, উম্মাহর সন্তানদের একটা বড় অংশ, প্রত্যেকেই নিজের বুঝ ও বিবেক বুদ্ধি অনুসারে, বিভিন্ন ক্ষেত্র, হরেক রকমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন পরিবর্তন, চেতনা ও এজেন্সির দলে যোগ দিচ্ছে। কারণ উম্মাহর তাগুতরা এ উম্মাহর এমন কোন কল্যাণ বাকি রাখেনি যার উপর হাত দেয়নি এবং তা নষ্ট করেনি। সর্বপ্রথম উম্মাহর যে দ্বীনি বিষয়ে তারা হাত দিয়েছে, তা হচ্ছে শরীয়াহর শাসন। দ্বীনি বিষয়ে তারা উম্মাহর সাথে যুদ্ধে নেমেছে এবং তাঁদেরকে রবের শাসন ব্যবস্থায় ফেতনায় ফেলেছে। তারা তাঁদের চিন্তা-চেতনায় আঘাত করেছে এবং বিভিন্ন অন্যায়, ফেতনা ফাসাদ ও পাপচার ছড়িয়ে দিয়েছে। তারা সম্পদ ও অধিকারে হামলা করেছে এবং রাহাজানি করে, তা কেড়ে নিয়েছে। উম্মাহর সন্তানদের অধিকার বঞ্চিত করে রেখেছে।
সুতরাং তারা কল্যাণের কোন ক্ষেত্র বাদ রাখেনি যা নষ্ট করেনি।
এ সবের একটি উদ্দেশ্য, যদিও তা শাখাগত উদ্দেশ্য, কিন্তু তা শরীয়াহসম্মত উদ্দেশ্য। আমরা এ উদ্দেশ্য পোষণকারী যে কাউকে বারণ করব, যদি সে একে পুঁজি করে সংঘাত ও বিকৃত দলের সাথে মিলতে চায়।
যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ সনদে এসেছে, তিনি বলেন, যে নিজের সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হবে সে শহীদ। যে পরিবারকে রক্ষার্থে নিহত হবে সে শহীদ। যে নিজের দ্বীন বাঁচাতে নিহত হবে সে শহীদ। এবং যে নিজের জান বাঁচাতে গিয়ে নিহত হবে সে শহীদ। অপর এক বিশুদ্ধ বর্ণনায় আছে, যে জুলুমের শিকার হয়ে নিহত হবে সে শহীদ।
কিন্তু এ উদ্দেশ্য লালনকারীদের মানসিক উন্নতি সাধন করতে হবে, যেন তারা তাদের লালিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে। সে বিশাল লক্ষ্য হল: জিহাদ এবং পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর দ্বীনের প্রতিষ্ঠা”।
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“এই যে হিন্দু শক্তি মুসলিম কাশ্মীরকে জবর দখল করে আছে। এর মোকাবেলা এবং কাশ্মীর মুজাহিদদের সহযোগিতা ছেড়ে আপনারা কোথায় গেলেন?”
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“আমি আপনাদেরকে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে চলমান এক হৃদয়স্পর্শী জুলুমের কথা বলবো। তা হলো: কাশ্মীরের অসহায় মুসলমানদের অবস্থার কথা। তাদের উপর চলমান এই জুলুম হিন্দুত্ববাদী ভারত এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রতারক পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। তাদের এই বিষয়টি আমাদের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের উচিৎ তাদের দুঃখ অনুভব করা এবং আমাদের সর্বোচ্চ সাধ্যানুযায়ী সেখানের মুসামিদেরকে পাশে দাঁড়ানো। তাদের ব্যাথা মানে আমাদের ব্যাথা, তাদের ক্ষত মানে আমাদের ক্ষত, তাদের উপর সীমালঙ্ঘন করা মানে আমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করা, তাদের সম্মানহানী করা মানে আমাদের সম্মানহানী করা।
কাশ্মীর আমাদের হৃদয়ের একটি আঘাত। হায়! এই হৃদয়ে এমন কতইনা আঘাত আছে। আমাদের এই বিষয়ে জোর তাগিদ দেওয়া উচিৎ যে, কাশ্মীরের সাথে শত্রুতা মানে পুরো উম্মতের সাথে শত্রুতা করা। যেমনিভাবে পৃথিবীর কোন অঞ্চলের উপর আক্রমণ করা মানে কাশ্মীরের উপর আক্রমণ করা। নিশ্চয় আমরা এক উম্মাহ। আমাদেরকে জাতীয়তার ভিন্নতার কারণে কেউ পৃথক করতে পারবে না। দেশের ভিন্নতার কারণে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
إِنَّ هَـٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ
“নিশ্চয়ই ইহা তোমাদের জাতি। একই জাতি। আর আমি হচ্ছি তোমাদের রব। সুতরাং আমারই এবাদত কর।”[সূরা আম্বিয়া : ৯২]
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
إِنَّ الْمُؤْمِنَ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا وَشَبَّكَ أَصَابِعَهُ
এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য প্রাচীরের ইটের মত। যার একটি অপরটিকে শক্ত করে ধরে রাখে। একথা বলে তিনি তার দুই হাতের আঙ্গলগুলোকে পরস্পর জড়িয়ে রেখেছেন”। (সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৪৬৫)
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“এই যে চীনাশক্তি পূর্ব তুর্কিস্তানে জবর দখল করে আছে। সেখানের জিহাদ ও তুর্কিস্তানের মুজাহিদদের সহযোগিতা ছেড়ে আপনারা কোথায়?”
শাইখ আব্দুল হক হাফিযাহুল্লাহ
“হে কোরআনের পাঠকবৃন্দ! ওহে দ্বীনের রক্ষক! আমাদের পূর্বসূরিদের রক্তের বিনিময়ে তুর্কিস্তান অঞ্চলটি মুসলমানদের হাতে আসে। মুসলমানদের এই ভূমিতে কাফেরদের প্রবেশ জিহাদ ফরয হওয়ার জন্য যথেষ্ট। জিহাদ এমন একটি ইবাদত, যা মুসলমানরা জামাআতবদ্ধভাবে আদায় করে থাকে। তাই তুর্কিস্থানের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য হলো: তার দ্বীন, ঈমান ও আক্বিদার হেফাজতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
انفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
তোমরা হালকাভাবে ও ভারীভাবে বের হও এবং নিজেদের জান ও মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর। উহাই তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জেনে থাকো।[সূরা তাওবা : ৪১]
হে তুর্কিস্তানের নওজোয়ানরা! তোমরা তুর্কিস্তানের মাজলুমদের আর্তচিৎকার ভুলে যেওনা এবং সেসব শিশুদের কথাও ভুলে যেওনা, যাদেরকে তাদের ধর্ম থেকে অনেক দূরে রাখা হয়েছে এবং তাদেরকে এই নির্যাতন থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ জিহাদকে ভুলে যেওনা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّـهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ
“তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর। তিনি তোমাদের হাত দ্বারা তাদেরকে শাস্তি দিবেন। তিনি তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করবেন এবং মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি ঢেলে দিবেন।”[সূরা তাওবা: ১৪)
শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
“এই যে ইসরাইলী দূতাবাস ও সংস্থগুলো সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছে। আসুন, এগুলোকে ধ্বংস করুন। নিজেদের মাঝে টুইন টাওয়ার নিয়ে ঝগড়ায় ব্যস্ত না থেকে।
সাথে আমেরিকার তথাকথিত সন্ত্রাস বিরোধী হামলায় একই পন্থায় ইরানও অংশ নিয়েছে। ফলে সে বাঁশিতে ফু দিয়ে বলে, এটা ইসরাইল-আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এটা তাদের প্রত্যেক বিরোধীদের সাথে আচারণ। এমনকি তারা যখন নির্বাচন নিয়ে মতানৈক্য করে তখন একে অপরকে দোষারোপ করে।
ইরান তো আমেরিকারই অংশীদার আফগান যুদ্ধে, ইরাক যুদ্ধে ও সিরিয়া আক্রমণে। সুতরাং সিরিয়ায় শিয়া মিলিশিয়া নিজের কর্মক্ষেত্রের জন্য আমেরিকার নির্ধারণ, বণ্টন, অনুমোদন ও নির্দেশে লড়াই করছে।
দুঃখজনক ও হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, শিয়া মিলিশিয়ারা যখন ইরাকে কথিত ইবরাহিম খলিফার দলের বিরুদ্ধে আকাশ নিরপত্তায়, আমেরিকান কামান দিয়ে এবং আমেরিকান গোয়েন্দার নেতৃত্বে ও পলিসিতে লড়াই করত। তখন তারা যুদ্ধের ময়দান থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বের হত। তখন আমেরিকান বিমান তাদের উপরে থাকত। কিন্তু তারা গর্ব করে বলত, আমরা একাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করব।
তো উদ্দেশ্য হল, আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমানে ইরান আমেরিকার সাথে সমঝোতায় আছে। আবার অন্য সাইটে আমেরিকা তার সাথে মতবিরোধ করে। তাই আমেরিকা কখনো তার সাথে মতৈক্যের অপেক্ষায় থাকে। কখনো অনৈক্য বেশী পরিমাণে হয় এবং এক সময় ছিনতাই অপহরণ পর্যন্ত গড়ায়।
ইরান একান্ত প্রত্যাশী, যেন আহলুস সুন্নাহর সাহায্যের বাস্তবতা এবং তাঁদের আসল শত্রু আমেরিকার সামর্থনের বাস্তবতা প্রকাশ না হয়। পাশাপাশি সে আরো প্রত্যাশা করে, যাতে এটা প্রকাশ না পায় যে, ক্রুসেডযুদ্ধে আহলুস সুন্নাহর মুজাহিদরাই মুসলিম উম্মাহর মূল যোদ্ধা। আল্লাহর অনুগ্রহে, যেমন ছিলেন তাঁদের দীর্ঘ ইতিহাসে সাহাবীদের যুগসহ ও রোম পারস্য বিজয় থেকে আজ পর্যন্ত। যদি সাহাবীদের জিহাদ না হতো তবে পারস্যবাসী অগ্নি-পূজক থেকে যেত।
কিন্তু সাহাবায়ে কেরামই তাদের সামনে ইসলামের আলো নিয়ে এসেছেন। তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে বের করে এনেছেন। যেমন রিবয়ী ইবনে আমের রাযি. রোস্তমকে বলেছিলেন, ‘আল্লাহ আমাদেরকে প্রেরণ করেছেন, যেন তিনি যাকে চান তাকে আমরা বান্দার দাসত্ব থেকে আল্লাহর দাসত্বে বের করে আনতে পারি, দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে তার প্রশস্ততার দিকে এবং বিভিন্ন ধর্মের জুলুম থেকে ইসলামের ন্যায়পরায়নতার দিকে আনতে পারি।’
কিন্তু ইসলাম প্রত্যাখানের অপরাধে তারা শাস্তি ভোগ করেছিল, যেহেতু তারা অস্বীকার করেছিল। কতই না মন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা।
সর্বত্র অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা!
আমেরিকা শক্তির ভাষা ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। যে যুদ্ধে আহত হবে, সে তার সাথে আলোচনা ও সমঝোতা করতে চেষ্টা করবে। আর যে তার কাছে আসা যাওয়া করবে তাকে সে ধ্বংস না করে ছাড়বে না।
এই তো ইমারতে ইসলামিয়া আঘাতে আঘাতে তাকে নাজেহাল করে ছেড়েছে। ফলে সে আফগানিস্তান থেকে বের হওয়ার জন্য তাঁর সাথে আলোচনার চেষ্টা করেছে।
অপরদিকে অন্যরা তার সামনে আসা যাওয়া করছে, আর সে তাদেরকে লাশ, চাবুক ও বেত উপহার দিচ্ছে। তাদেরকে বন্দী করছে, তাড়িয়ে দিচ্ছে এবং তাদের পিছু নিচ্ছে।
এটা তো বৃটিশদের সাথে শরিফ হোসাইনের কাহিনী। অতএব, হে চক্ষুষ্মানেরা! শিক্ষা গ্রহণ করুন।
وآخر دعوانً أن الحمد لله رب العالمين، وصلى الله على سيدنً محمد وآله وصحبه وسلم
والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته