JustPaste.it

05 muslim-ummahr-proti

মুসলিম উম্মাহর প্রতি আল কায়েদার বার্তা

শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি হাফিজাহুল্লাহ

 

শায়খের কলাম

 

এক. আল্লাহ তাআলার একত্ববাদের প্রতি আহবান করা। শুধু তারই ইবাদত করা, শাসন তার শরীয়ত অনুযায়ী করা, একমাত্র তার কাছেই চাওয়া, আচার-অনুষ্ঠান তার বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করা।

দুই. ইসলামী শরীয়তের দিকে আহবান করা। অন্য সকল বিশ্বাস, আইন ও রীতিনীতিকে প্রত্যাখ্যান করা। চাই তা গণতন্ত্র হোক, যা কিনা জনগণের হাতে শাসনকে অর্পন করে। অথবা আন্তর্জাতিক কোন সংগঠন হোক, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো মিলে প্রতিষ্ঠা করে, যার নাম দেয়া হয়-জাতিসংঘ।

তিন. উম্মাহকে তাওহীদের কালিমার অধিনে ঐক্যবদ্ধ করা। কুরআনুল কারীম, সুন্নাতে মুতাহ্হারাহ, খোলাফায়ে রাশেদার জীবনী, সাহাবায়ে কেরাম রাযি., তৃতীয় শতকের পুণ্যময় মানুষগুলোর জীবন যা স্পষ্ট করে গেছে। যার সম্পর্কে রাসূল সা. বলেন- ‘সর্বোত্তম মানুষ হলো আমার যুগের মানুষ তারপরে তৎপরবর্তীরা তারপর তৎপরবর্তীরা।’

চার. মুসলিম জাতির মাঝে জিহাদের আমলকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা। যেন, তারা তাদের ভূমিগুলোকে দেশীয় কুফ্ফার ও তাদের প্রতিনিধিদের হাত থেকে মুক্ত করতে পারে। মুসলিম ভূমিতে কাফেরদের অনুপ্রবেশ ও দখল করার সুযোগদানকারী সকল চুক্তি-সমঝোতা, আন্তর্জাতিক সমাধানকে বর্জন করা। যেমন- ইজরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিন দখল, রাশিয়া কর্তৃক মধ্য এশিয়া ও ককেশাস দখল, ভারত কর্তৃক কাশ্মীর দখল, স্পেন কর্তৃক সিউটা ও মিলিলিয়া দখল, চীন কর্তৃক পূর্ব তুর্কিস্তান দখল। আর উম্মাতের মুজাহিদদেরকে আমরা প্রত্যেক জিহাদী ময়দানের পরিস্থিতি ও এর কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য রেখে এ যুগের মিথ্যা প্রভু আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে প্রত্যেকের সাধ্যানুযায়ী জিহাদ করার আহবান করছি।

পাঁচ. তার সাথে সাথে মুসলিম বন্দীদের মুক্তির জন্য সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।

ছয়. অবিরতভাবে মুসলিমদের ধন-সম্পদের উপর যে লুটপাট চলছে তা বন্ধ করা।

সাত. সম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রে দূর্নিতিবাজ শাসকের বিরুদ্ধে মুসলিম জাতিকে সাহায্য করা। ইসলামী শরীয়ত ও হুকুমের অধীনে জীবন পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা মুসলিম উম্মাহকে বুঝানো। তাদেরকে পূর্বসূরীদের অনুসরণের প্রতি উৎসাহ দেয়া, যাতে করে ইসলামী-বিশ্ব দালাল শাসক হতে মুক্তি লাভ করে।

আট. মুজাহিদদের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির প্রতি আহবান করা। তাদেরকে ক্রুসেডার, স্যেকুলার, সাফাভী, বৌদ্ধ, হিন্দুদের বিরুদ্ধে পরস্পর সাহায্য, সুসংগঠিত ও একতাবদ্ধ হওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা।

নয়. নবুয়াতের আদলে খেলাফাহ প্রতিষ্ঠা করা। যা মুসলমানদের পছন্দ ও সন্তুষ্টির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে। যা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে, পারস্পরিক বোঝাপোড়া প্রসারিত করবে, ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাবে, অধিকার ফিরিয়ে দিবে, অত্যাচারিতদের সাহায্য করবে। যেখানে কোন গোত্রপ্রীতি, দেশভক্তি থাকবেনা। থাকবেনা কোন সীমানা, যা দখলদাররা আমাদের উপর বেধে দিয়েছে। প্রতিটি মুসলিম ভূমি নিরাপদ থাকবে। ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে, যা তাদেরকে সমতার বন্ধনে আবদ্ধ করবে।

দশ. মুসলিমদের কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকবে। শরীয়তে যা কিছু হারাম করা হয়েছে, সেগুলো থেকে বিরত থাকবে, সীমালঙ্গন করা থেকে বিরত থাকবে চাই তা বোমা হামলা, হত্যা কিবা জবর দখল করা, অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করার দ্বারা হোক।

এগার. অত্যাচারীর ও সীমালঙ্গনকারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিত, দূর্বলদের সাহায্য করা চাই সে মুসলিম হোক অথবা কাফের হোক। যারা নির্যাতিতদের সাহায্য করে তাদের উৎসাহ দেয়া ও সাহায্য করা, যদিও সে অমুসলিম হয়। যদি এগুলো অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে তা আমাদের জন্যে গৌরবের ও সম্মানের বিষয়। কেয়ামত দিবসের জন্যে আমাদের গচ্ছিত সম্পদ।

পরিশেষে, সকল প্রসংশা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তাআলার জন্যে। আমাদের নেতা মুহাম্মদ ﷺ এর উপর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক। শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক তার পরিবার ও সাহাবাদের উপর। আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

 আল বালাগ

ম্যাগাজিন ইস্যু-২