JustPaste.it

বাংলাদেশে আল কায়দার সদস্য আর সমর্থকদের প্রতি মুবাহালাহর আহ্বান

 

বর্তমান জামানার জিহাদের ইহুদীরা জিহাদ আর মুজাহিদ এই দুই শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে ফেলেছে। তাই তো তারা মুরতাদদের মুমিন বলে তো বলে, তার ওপর আবার মুজাহিদও বলে। আমরা পূর্বেও ব্যাখ্যা করেছি, ঈমান আনার পূর্ব শর্ত হলো তাগ্বুতকে অস্বীকার করা,  যে ব্যাপারে পুরো উম্মাহর মধ্যে চুল পরিমাণ দ্বিমত নেই। কিন্তু জিহাদের ইহুদীরা মানুষকে খুশি করার জন্য এমন মুরতাদদের মুজাহিদ বলে থাকে যারা প্রকাশ্যে তাগ্বুতের সাথে হাত মিলিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। একটি মূলনীতি সবাইকে মনে রাখতে হবে, তাগ্বুতকে বর্জন করা একটি স্বতন্ত্র ওয়াজিব।

(১) কিন্তু জিহাদের ইহুদীদের মায়ের পেটের ভাই আহরার আশ শাম হলো তাগ্বুত এরদোগানের গোলাম। তারা আল বাব শহরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যুদ্ধ করছে। দুই মাস ধরে এই যুদ্ধে দাওলাতুল ইসলামের যোদ্ধা ছাড়াও ৫০০ এর অধিক সাধারণ মুসলিম হতাহত হয়েছেন। মসজিদ, বাড়ি ঘর, হাসপাতাল এমনকি রুটির কারখানায়ও বোমা হামলা বাকি থাকেনি।

 

capture.png
ছবি:  আহরার আশ শাম তাদের অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে আল বাব শহরে তুরস্কের বাহিনীর মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত তাদের যোদ্ধাদের ছবি প্রকাশ করে


(২) ফাইলাকুশ শাম সাউদীর তাগ্বুত সালমানকে সাহায্য করার জন্য সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব করে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়েছে এবং তাকে খাদিমুল হারামাইন বলে সম্মান করে।  এই মুরতাদ দল কাতারের তাগ্বুত হামদ আস সানি -আল্লাহ তাকে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে জায়গা দিন- মারা যাওয়ার পর তার জন্য দোয়া করে বিবৃতি দিয়েছে। তাদের বিবৃতির শুরুতে তারা এই তাগ্বুতের জন্য নিম্নোক্ত আয়াতটি লিখেছে, "হে প্রশান্ত মন, তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।" (সুরা ফাজর) নাউজুবিল্লাহ।

 

  ছবি: কাতারের তাগ্বুত হামদ আস সানির জন্য মাগফিরাত কামনা করে ফাইলাক আশ শামের বিবৃতি


(৩) তার উপর তারা মানুষকে আগডুম বাগডুম বুঝ দেয় যে, তালিবানরা নাকি শুধু কৌশলগত সুবিধার জন্য কাতারে অফিস খুলেছে; আসলে কাতারের তাগ্বুতের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহ মিথ্যাবাদীদের মুখকে যেন জাহান্নামের আগুনে ঝলসে দেন। তালিবানরা কাতারে তাদের অফিস খোলা উপলক্ষ্যে বার্তায় লিখেছিল, "আমরা ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমাদের 'ভ্রাতৃপ্রতিম' রাষ্ট্র কাতার ও কাতারের মহামান্য আমীর শায়খ হামদ ইবনুল খালিফাহ আস সানীকে - আল্লাহ তাকে হেফাজত করুন- তার দেশ কাতারে আমাদের অফিস খোলার জন্য রাজি হওয়ার এবং সুযোগ সুবিধা প্রদান করার জন্য।" (আরও বিস্তারিত পড়ুন "জাওয়াহিরী, নাযারী আর হারারীর আল কায়দা" নামক আর্টিক্যালে) পত্রের নিচে মোল্লা উমর রাহি. এর নাম উল্লেখ করা হয়। তার আগের একটি বার্তায়ও এই তাগ্বুতের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে পুরস্কারের জন্য দোয়া করে বার্তা দেয় তালিবান।  এই তাগ্বুত রাষ্ট্র থেকে ক্রুসেডার বিমান আকাশে উড়ে গিয়ে মুসলিম নারী শিশুদের হত্যা করে।

 

ছবি: কাতারের দোহায় তালিবানদের অফিসের নিরাপত্তা দিচ্ছে এক তাগ্বুত পুলিশ


এই হলো আল কায়দার মুরতাদ মিত্রদের জঘন্য ও প্রকাশ্য রিদ্দার চিত্র। এখন জিহাদের ইহুদীরা হয়তো দাবী করবে যে, আহরারুশ শাম আর ফাইলাকুশ শামের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই, যদিও তারা তালিবানদের সাথে তাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করতে পারবে না। কারণ তালিবানদের হাতে তাদের বাইয়াহ রয়েছে। সেই হিসাবে তালিবানদের যে কোন কুফরি তাদের ঘাড়ে সরাসরি পতিত হবে, যদি না তারা তা থেকে প্রকাশ্যে বারা' করে, কিন্তু তারা কখনই এটা করবে না। আহরারুশ শাম আর ফাইলাকুশ শামের মত মুরতাদ দলকে আল কায়দা মুসলিম মনে করে এবং তাদের এই প্রকাশ্য রিদ্দাকে তারা "হালকা পাতলা ভুল" মনে করে। এর দলীল আল কায়দার অফিসিয়াল ম্যাগাজিন আর রিসালাহ এর প্রথম সংখ্যার ৫-৬ পৃষ্টায় আছে। ৫ নাম্বার পৃষ্টায় নির্লজ্জের মত মুরতাদ জাওলানীর বক্তব্য বড় করে ছাপানো হয়েছে। “জাইশুল ফাতহ এর সকল দল মুসলিম। যদিও তারা কিছু বিষয়ে আমাদের সাথে মত পার্থক্য করে। দলগুলোর কোন কোনটির ‘কিছু’ ভুল আছে, কিন্তু যুদ্ধের তীব্রতার দরুণ আমরা সেটাকে এড়িয়ে যাই করি।” ৬ নাম্বার পেজে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে এই জাইশুল ফাতহ কারা। সেখানে পরিস্কার করে আহরারুশ শাম আর ফাইলাক আশ শামের নাম লেখা আছে।

 

 

ছবি: আর রিসালাহ #১ এর ৫ নাম্বার পৃষ্ঠা

 

 

ছবি: আর রিসালাহ #১ এর ৬ নাম্বার পৃষ্ঠা



মুসলিমদের সাথে তাগ্বুত ও মুরতাদদের বন্ধুত্ব হতে পারে না। আমরা একসাথে মুহাম্মাদ সা. এর উম্মত আর আবু জাহেল-ফেরাউনের উম্মত হতে পারবো না।

এই নোটে যা যা উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে কোন কিছুই মনগড়া বা বানিয়ে লেখা হয়নি। সব কিছুর দলীল দেয়া হয়েছে। এই দলীলগুলোর ভিত্তিতে আমরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি আল কায়দা আর তাদের মিত্ররা আল্লাহর দুশমন তাগ্বুতদের মিত্র। মুজাহিদিনরা আসমানের নিচে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, আল্লাহ তাদের হিফাজত করুন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, "যারা ইমান এনেছে তারা ক্বিতাল করে আল্লাহর রাস্তায় আর যারা কুফরি করেছে তারা লড়াই করে তাগ্বুতের রাস্তায়।" অর্থাৎ বোঝা গেল, মুজাহিদ হতে হলে ক্বিতাল করতে হবে আল্লাহর রাস্তায়। যারাই আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুরতাদদের পক্ষ নেবে তারাই তাদের অংশ। আল্লাহ বলেন, “তোমাদের মধ্যে যারাই তাদের সাথে মিত্রতা করবে তারা তাদেরই একজন।” এই মিত্র যে শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে করতে হবে তা নয়, এই মিত্রতা হতে পারে মিডিয়ায় মুরতাদদের পক্ষ হয়ে আল্লাহর শরীয়ত কায়েমকারী মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মাধ্যমেও।

 

আল্লাহর ওপর ঈমান আনার পর এবং তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সা. এর আনিত দ্বীনের ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আমি (বাক্বিয়্যাহ মিডিয়া স্ট্রাইক পেজের এডমিন) আল্লাহকে সাক্ষী রেখে আল কায়দার বাংলাদেশের সকল সিনিয়র সদস্য, বিশেষ করে যারা মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করছে তাদের সঙ্গে মুবাহালার আহ্বান জানাচ্ছি এই মর্মে যে, আল কায়দা শামে মুরতাদদের পকক্ষাবলম্বন করে নিজেরা রিদ্দায় পতিত হয়েছে।

হে আল্লাহ! আমরা যদি জেনে বুঝে দলান্ধ হয়ে কোন মিথ্যা বলে থাকি তাহলে আমাদের ওপর আপনার লা'নত বর্ষণ করুন। পক্ষান্তরে যারা আমাদের বিরোধিতা করে তারা যদি মিথ্যা বলে থাকে তাহলে তাদের ওপর আপনার লানত বর্ষণ করুন!

হে আল্লাহ! আমরা যদি জেনে-বুঝে দলান্ধ হয়ে কোন মিথ্যা বলে থাকি তাহলে আমাদের ওপর আপনার লানত বর্ষণ করুন। পক্ষান্তরে যারা আমাদের বিরোধিতা করে তারা যদি মিথ্যা বলে থাকে তাহলে তাদের ওপর আপনার লানত বর্ষণ করুন!

হে আল্লাহ! আমরা যদি জেনে-বুঝে দলান্ধ হয়ে কোন মিথ্যা বলে থাকি তাহলে আমাদের ওপর আপনার লানত বর্ষণ করুন। পক্ষান্তরে যারা আমাদের বিরোধিতা করে তারা যদি মিথ্যা বলে থাকে তাহলে তাদের ওপর আপনার লানত বর্ষণ করুন! আমীন।

 

বাক্বিয়্যাহ মিডিয়া স্ট্রাইক

ফেসবুক লিংক: https://www.facebook.com/BaqiyyahMS