JustPaste.it

মীর সালমানের স্ট্যাটাসসমগ্র

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যা লিখি তার সব কিছু বিশ্বাস করি এমন নয়।

মানুষকে শেখাতে নয়, ভাবাতে লিখি।

  • মীর সালমান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সূচীপত্র

 

২০১৭ এর লেখাসমুহ – পৃষ্ঠা ০৫

মার্চ ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৩১

এপ্রিল ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৮৩

মে ২০১৯ – পৃষ্ঠা ১১১

জুন ২০১৯ – পৃষ্ঠা ২০৮

জুলাই ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৩৮৬

আগস্ট ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৫২০

সেপ্টেম্বর ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৬৬৪

অক্টোবর ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৮১৫

নভেম্বর ২০১৯ – পৃষ্ঠা ৯৩৮

ডিসেম্বর ২০১৯ – পৃষ্ঠা ১০১৬

জানুয়ারি ২০২০ - পৃষ্ঠা ১১০৭

 

 

 

 

 

 

মীর সালমানের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

 

মীর সালমান ফেসবুকের একটি ফেইক আইডি। বহুদিন ধরে ধারণা করা হত এবং অনেকেই ধারণা করত, বিশিষ্ট লেখক ডাঃ শামসুল আরেফীন শক্তির ফেইক আইডি হচ্ছে মীর সালমান। কিন্তু বহুবার বহুভাবে প্রমাণিত হয়েছে এটা ডাক্তার সাহেবের ফেইক আইডি না। মীর সালমান তার বিশ্লেষণাত্মক লেখার জন্য ফেসবুক জগতে পরিচিত। বিভিন্ন ইসলামী দলের পর্যালোচনা, তাদের ভুল ক্রুটির সমালোচনা ইত্যাদি হচ্ছে মীর সালমানের লেখার মূল বিষয়বস্তু। তার নিজের ভাষায়, তার নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নেই। তিনি সময় কাটাতে লিখে থাকেন। যদিও সময় কাটাতে লিখে থাকেন, কিন্তু তার লেখা একই সাথে বিখ্যাত ও কুখ্যাত। তার সমালোচকও কম নয়। এর কারণ তিনি সব দলের সমালোচনাই করে থাকেন। নির্দিষ্ট কোনো দল করেন না। তবে দেওবন্দী ঘরানার বলে দাবি করতে ভালোবাসেন।

তার লেখা চিন্তার খোঁড়াক যোগায়। কিন্তু তার মাঝে আপত্তিকর বিষয়ের সংখ্যাও কম নয়। বিশেষ করে আপত্তিকর কথা বার্তা বলার কারণে তিনি নিন্দিত। যেমন যৌনতা বিষয়ক আলাপ, খাস বাংলায় গালি ইত্যাদি তার লেখার একটি বৈশিষ্ট্য। একজন মুমিনের জন্য যা অশোভনীয়। কিন্তু মীর সালমান এর ব্যাখ্যা এভাবে দেন, তিনি যেহেতু ফেইক আইডি সেহেতু এসব গালি গালাজ তার বাস্তব চরিত্রকে উপস্থাপন করে না, বরং ফেসবুকের একটি ফেইক চরিত্রকে উপস্থাপন করে এবং শক্তিশালী করে।

মীর সালমানের লেখাগুলো একত্র করার একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে তার কিছু ভালো লেখা আছে, যা আমাদের জন্য খুব জরুরী, চিন্তাশীলদের চিন্তার খোঁড়াক যোগাবে। আর ভালোর সাথে আবর্জনা যুক্ত লেখাও প্রচুর, ফলে এমন লেখার সংখ্যাও অনেক যে লেখার মধ্যে একই সাথে ভালো জিনিস এবং আবর্জনা মিক্সড, ফলে ভালোটা নিতে হলে আবর্জনাও চলে আসছে। এখানেও একই অবস্থা হয়েছে। প্রচুর আবর্জনা চলে এসেছে। কিন্তু কিছু আবর্জনার কারণে অনেকগুলো ভালো বিষয় হারিয়ে যাক তা আমি চাই নি। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করি।

 

 

 

 

 

২০১৭ এর লেখাসমূহ

 

 

 

 

সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা ১

 

সাহাবায়ে কেরাম সত্যের মাপকাঠি কিনা এনিয়ে বিরাট বিতর্ক মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে আমাদের আলোরিত করে।

 

আমরা মনে করি, এবিতর্কের পূর্বে প্রথমে নিররাধরন করতে হবে সত্যের মাপকাঠি বলতে আমরা কি বুঝি? সত্যের মাপকাঠি বলতে যদি বোঝায় সত্য মাপার দাড়ি পাল্লা অর্থাৎ তাঁদের দিয়ে মাপা হবে কোন আমল, চিন্তা, দর্শন প্রভৃতি সত্য না মিথ্যা মানে ইসলামিক না অনৈসলামিক তবে খুব গভীর আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়, সুন্নি আকিদার জায়গা থেকে বলা যায়, সাহাবাদের ইজমা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি। তবে তাঁদের ব্যাক্তিগত রায়ের বা আমলের ব্যাপারে কি হবে? আমার মতে, তাঁদের ফতোয়া, তাফসির, আসার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। যদি তার বিপরীতে আয়াত বা হাদিস বা জমহুর সাহাবার ভিন্নমত না থাকে তবে তার গুরুত্ব বহুগুনে বেড়ে যায়। এমনকি তা ইজমার কাছাকাছি সম্মান পেতে পারে।

 

কিন্তু এর মানে যদি হয় তাঁদের প্রত্যেক আমল হকের উপর ছিল। তাঁরা কোন ভুল করেননি তা মানা যায়না। এমনকি আরো পরিস্কারভাবে বলা যায় সাহাবারা পাপও করেছেন। তাঁদের পাপ থেকে হয়ত তাঁরা তওবা করেছেন, হয়ত তাঁদের অন্য ভাল কাজের কারনে তাঁদের ক্ষমা করা হবে অথবা আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাঁদের ক্ষমা করবেন। কিন্তু তা দ্বারা তাঁদের প্রত্যেক কাজের বৈধতা প্রমান হয়না।

 

নবি আর নাবালক ছাড়া কেউ মাসুম এটা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা নয়। আর একথার মানেই হচ্ছে সাহাবারা মাসুম না। তাঁদের ব্যাক্তি পর্যায়ে পাপ হতে পারে, বরং হয়েছে। কিন্তু আহলে সুন্নাহর আকিদা হচ্ছে তা কোনভাবে আল্লাহ রব্বুল আলামিন ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু তার মানে এটা নয় আপনিও সে পাপ করার বৈধতা পেলেন।

 

কিন্তু সত্যের মাপকাঠি বলতে যদি বোঝানো হয়, সামগ্রিকভাবে তাঁরা শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন। এমনকি ব্যাক্তি হিসাবে তাঁরা প্রত্যেকে পরবর্তিদের চেয়ে উত্তম তবে হ্যাঁ এটাই আহলে সুন্নাহর চিন্তা। মূলত তাঁরা কোন দিক দিয়ে খুব উন্নত না হলে অন্যদিক দিয়ে সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। যেমন ওয়াহশি ইবনে হারব (রা) এর খুব উন্নত বৈশিষ্টের কথা ইতিহাসে খুব একটা আলোচিত না হলেও মুসায়লামাতুল কাযযাব হত্যার মাধ্যমে যে অবদান তিনি রেখেছেন তা হাজার বছর ধরে তার জন্য সদকায়ে জারিয়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সেসব মানুষদের বলছি যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধী। ভাই! বোন! আমি মেনে নিলাম

 

-রোহিঙ্গারা খারাপ যেমন তাঁরা মাদক ব্যবসা করে

-কোন মুসলিম দেশ তাঁদের নিবেনা

-আন্তর্জাতিক দুনিয়া তাঁদের জন্য মায়াকান্না করবে, বাংলাদেশকে আশ্রয় দিতে চাপ দেয় কিন্তু মায়ানমারকে বলেনা

-আরসা সন্ত্রাসী

-তাঁদের অনেকে জঙ্গি

-এদেরকে আমাদের মৌলবাদিরা ব্যবহার করার ঝুঁকি আছে

-তাঁরা বাঙ্গলাদেশের শ্রমবাজার নষ্ট করছে

-মায়ানমার তাঁদের কখনো ফেরত নেবেনা

-আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তত ভালনা

-৭১ সালে তাঁদের কেউ কেউ আমাদের বিরোধী ছিল

 

এখন বলেন এই লক্ষ লক্ষ মানুষ (বিশেষত নারী শিশু) আরাকানে থাকলে নিশ্চিত মারা যাবে। আমরা কি করব?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Asad Noor কোরানে এমন কিছু নাই যা মধ্য প্রাচ্চের ও আশেপাশের লোক জানতো না

Meer Salman আচ্ছা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কে তখনকার আরবরা কি জানত?

Asad Noor কোরানে finger print এর কথা সরাসরি বলা নাই

Asad Noor থাকলে reference দিন

Meer Salman সরাসরি কেন বলা থাকবে? কুরআন শরিফ কি মানুষকে বিজ্ঞান শেখাতে এসেছে? এখানে বিজ্ঞান এসেছে নিতান্তই প্রসঙ্গত। আচ্ছা তাও না হয় মানলাম। কিন্তু তা আপনার বিংশ বা উনবিংশ শতাব্দীর ভাষায় কেন বলতে হবে। লিঙ্ক দেওয়ার কিছু নাই গুগলের যুগে এসব চাইলেই পাওয়া যায়। মানবেন কিনা আপনার ব্যাপার। আমি আপনার সাথে বিতর্ক করতে চাইনা, অন্তত আজ। আপনার কমেন্টের নোটিফিকেশোন পেলাম তাই আমার ভিউ শেয়ার করলাম। তাও আপনার খেদমতে http://www.answering-christianity.com/fingertips.htm

The Noble Quran recognized that finger tips (finger prints) are unique!

Searchand find articles and topics quickly and…

ANSWERING-CHRISTIANITY.COM

 

Asad Noor কোরানে finger print এর কথা সরাসরি বলা নাই; মুমিনরা তেনা পেচায়ে বানায়

Meer Salman ত্যানা পেচানো মানে কি?

Asad Noor Finger tips একেক জনের টা একেক রকম এরকম কথা কোথায় বলা আছে ???

Meer Salman Does man think that WE Cannot assemble his bones? Nay, WE are able to put Together in perfect order The very tips of his fingers."

 

[AL-QUR'AN 75:3-4]

Unbelievers argue regarding resurrection taking place after bones of dead people have disintegrated in the earth and how each individual would be identified on the Day of Judgement. ALMIGHTY ALLAH answers that HE can not only assemble our bones but can also reconstruct perfectly our very fingertips. Why does the QUR'AN, while speaking about determination of the identity of the individual, speak specifically about fingertips? In 1880, fingerprinting became the scientific method of identification, after research done by Sir Francis Golt. No two persons in the world can ever have exactly the same fingerprint pattern. That is the reason why police forces worldwide use fingerprints to identify the criminal. 1400 years ago who could have known the uniqueness of each human's fingerprint? Surely it could have been none other than the CREATOR HIMSELF!

 

Asad Noor কোরানে এসব লিখা থাকলে কোরান পরেই সবাই বিজ্ঞানী হত

Asad Noor এসব তাকিয়া অনেক পুরোনো

Meer Salman কোরানের এটা উদ্দেশ্য না যে সপ্তম শতকের আরব বেদুইনদের বসিয়ে বিজ্ঞান ক্লাস নিবে। কুরআন জ্ঞান চর্চা করতে উৎসাহ দিয়েছে। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এগিয়েছে। মুসলমানরা একটা ইসলামি সভ্যতা গড়ে তুলেছে। এজন্য ইউরোপ ডার্ক এজ থেকে মুক্তি পেয়েছে মুসলমানদের মাধ্যমে। বিশেষত উন্দুলুসিয়ায় এবং ক্রুসেডের সময় তাঁরা অনেক কিছু শিখেছে মুসলমানদের কাছে। কোরান ভাই কিছু মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডা দেওয়ার জন্য নাযিল হয়নি। এটা প্রত্যক্ষভাবে একটা জাতিকে গঠন করতে চেয়েছে, পরোক্ষভাবে সবাইকে অনুপ্রানিত করেছে। এজন্য এর ভাষা এমন যাতে সপ্তম শতকের আরবরা বোঝে আবার একবিংশ শতাব্দীর চিন্তার সাথে তাল মিলাতে পারে। এটা আপনার কাছে তাকিয়া আমার কাছে মুজিজা। আর কিছু মনে করেননা Asad Noor ভাই, আমি পশ্চিমা মুসলিম, খ্রিস্টান, নাস্তিক, ইহুদিদের বক্তব্য মাঝে মাঝে শুনি, তাঁদের লেখা পড়ি। কিন্তু আপনারা বাংলাদেশি নাস্তিকরা বাংলাদেশি সাধারন মাদ্রাসা পড়ুয়া মোল্লাদের মতই অত্যন্ত স্বল্প শিক্ষিত। কোন কিছু চিন্তা করতে পারেননা। প্রচন্ড গোঁয়ার। আর কিছু মুখস্ত কথা স্বল্প শিক্ষিত হাফিজ সাহেবদের মত ডগমেটিকভাবে বলতে থাকেন। এমনিতে আমার বিতর্ক করতে আর ভালো লাগেনা। মাঝে মাঝে আলোচনা করি। কিন্তু আপনি যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে আলোচনা আপনি বোঝেননা আর আপনার উদ্দেশ্য যেকোনভাবে প্রমান করা মুসলমানরা অসৎ আর মূর্খ। এক কথায় সত্য অন্বেষণ না মুসলমানদের ছোট করাই আপনার একমাত্র উদ্দেশ্য। আর আপনার আলোচনায় তেমন কোন ইন্টেলেকচুয়াল ইলিমেন্টও পাচ্ছিনা। তাই ধন্যবাদ। শুভ রাত্রি

Asad Noor কোরানে কোনো বৈজ্ঞানিক কথা নেই , সব মুমিনদের তাকিয়া

Meer Salman Lol

Asad Noor আপনার দোষ দেই না , আমি নিজে ও কয়েক মাস আগে বিশ্বাস করতাম নেইল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে আজান শুনে মুসলিম হয়েছে

Asad Noor

Asad Noor Finger tip বা finger print এর কথা সরাসরি বলা নাই ,মুমিনরা তেনা পেঁচিয়ে বের করে

Asad Noor আর আরব বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানে অবদান রেখেছে সত্যি , তবে আরব আগ্রাসনের কারণে অন্নান্ন জাতি গবেষণার দিকে অর্থ দিতে পারে নাই ; জিজিয়ার চাপ

Asad Noor আরব সাম্রাজ্যবাদের আগে গ্রিক ও ভারতীয় সভ্যতা অনেক এগিয়ে ছিল ; আরব আগ্রাসনের কারণে পিছিয়ে যায়

Asad Noor ইসলামী খেলাফত অনেকদিন ছিল , ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে মুসলিম রা বিজ্ঞানে পিছিয়ে গেলো কেন ???

Asad Noor গত পাঁচশত বছরে মুসলিমরা বিজ্ঞানে কি অবদান রেখেছে ???

Asad Noor তেনা না পেঁচিয়ে সরাসরি কোন বৈজ্ঞানিক কথা কোরানে আছে ???

Meer Salman Asad Noor আপনার যা ইচ্ছা বিশ্বাস করতে পারেন। অশিক্ষিত মোল্লাদের ওয়াজ নসিহত যে সম্ভবত আপনার ইসলাম সম্পর্কে জানার সোর্স সেটা আমি আগেই অনুমান করেছি। আপনার ইসলাম বা নাস্তিকতা কোনটা নিয়েই পাঠ এত গভীর বলে মনে হচ্ছেনা। আপনার জায়গায় কোন ইউরোপীয় শিক্ষিত নাস্তিক এমনকি আমি থাকলে বিষয়টা নাস্তিকতার জায়গা থেকেই আরো ভালভাবে ডিফেন্ড করা যেত। আপনার ভাষা ইন্টেলেকচুয়াল নয় ইসলামোফোবিক।

Asad Noor যারা বিশ্বাস করে সূর্য কর্দমাক্ত জলাশয়ে অস্ত যায় , তাদের সাথে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করা অর্থহীন

Asad Noor By the way , I have been in international debate groups and read meaning of different verses of Qoran and Hadis

Rezaul Karim Rezaul Karim

Meer Salman Lol. হম্ম। বুঝলাম এজন্য Asad Noor ভাই যবন পাড়ায় এসেছেন আলোচনা করতে না, সারকাজম করতে।

Asad Noor এটা ঠিক বলেছেন , আস্তিকদের (সকল ধর্ম ) সাথে বিতর্ক সময় নষ্ট

Asad Noor আপনাকে আর কি বলবো , বাইবেলের 6000 বছর আগের মানুষ আসার ঘটনা ও খ্রীষ্টান রা তেনা পেঁচিয়ে মিলিয়ে ফেলে

Asad Noor সনাতনী দাদা রা বিবর্তন তত্ত্ব কেও অবতার তত্ত্বের সাথে মিলিয়ে নিয়েছে

Meer Salman দাদারা আর বাবা মানে ফাদাররা কি বলেন তা সম্পর্কে আপনার মত গভীর ধারনা না থাকলেও কিছু ধারনা আছে। কিন্তু আপনার মানতে কষ্ট হলেও সব বক্তব্যই যে অযৌক্তিক তা কিন্তু না, যেমন ধরেন বাবারা মানে তাঁদের একদল পলেমিকস বলেন, আসলে এটা বাইবেলের মূল আলোচ্য বিষয়না। বিধাতা এগুলো ডিসপিউটেড করেছেন যেন ধার্মিকরা মেকানিক না হয়ে ক্রিয়েটিভ এবং ডাইনামিক হয়। আপনি তার ব্যখ্যার সাথে একমত না হতে পারেন কিন্তু এধরনের আর্গুমেন্টকে শ্রদ্ধা না করতে জানলে আপনি যে ডগমেটিক একটিভিস্টের উপরে উঠতে পারেননি তা প্রেগমেটিক দিসকোর্সে অস্বীকার করার উপায় নেই।

Meer Salman Rezaul Karim না পারেননা। বা চাইলে করতে পারেন কিন্তু উত্তর পাবেননা। সারকাজম পাবেন।

Asad Noor কোনো ধর্মই পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত নয় ; কোনোদিন তো দেখলাম না কোরান , বাইবেল বা বেদ পরে কেও কিছু আবিষ্কার করেছে

Meer Salman কেন করবে? আপনি এডাম স্মিথ বা স্যামুয়েলসনের বই পড়ে কি ডাক্তারি করবেন। এরমানে কি তাঁদের বইয়ে ডাক্তারি নিয়ে কোন শব্দ নেই?

Asad Noor বিজ্ঞানীরা কোনো কিছু আবিষ্কার হবার পরে ধর্ম গ্রন্থে খুঁজে পাওয়া যায়

Asad Noor যেমন আঙুলের ছাপের বিষয় টা কোনো মুসলিম আগে বলে নাই

Asad Noor বিগব্যাং ও কোরান , বাইবেল ও বেদে পাওয়া গেলো আবিষ্কারের পরে

Meer Salman আবার বাইবেল কমপাইলেশনের ইতিহাস বিতর্কিত আর বেদ কমপাইলেশনের

কোন ইতিহাসি নাই। এগুলো এনসাইন্ট যুগের। এখন ধরেন যদি সেখানে কিছু থাকলে বলতেন এগুলো আগেই ছিল। কারন পরিস্কারভাবে বললে তখন থেকে এটা ব্যাপক প্রচার হত ও আলোচিত হত।

 

Meer Salman আর কুরুয়ানের ক্ষেত্রেও ইসলামি সোর্স ছাড়া সমকালিন অন্য সূত্র থেকে খুব বেশি কিছু জানা যায়না। ফলে যা তখন আবিস্কার হয়েছে তা কেন মানু এক হাজার বছর পর আবার আবিস্কার করবে?

Asad Noor গসপেল তথা নতুন বাইবেল অনেক পরিবর্তিত হয়েছে, এটা সত্যি ; তা হয়েছে কারণ খ্রীষ্টান দের নির্দিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না

Asad Noor বেদ, পুরাতন বাইবেল আর কোরান মোটামুটি অবিকৃত ছিল

Meer Salman Asad Noor ভাই আগেই বলেছি আপনি ডগমেটিক এবং মুখস্ত কথা বলেন। ধর্ম বই ধর্ম শেখাবে। জীবনের সম্পর্কে সার্বিক গাইড করবে। এটা বিজ্ঞানে খুটিনাটি, কিম্বা কাওরান বাজারের আলু পটলের দাম কেন ধর্ম গ্রন্থে থাকবে?

Asad Noor আমি মোটেও মুখস্ত করে বলি না , চিন্তা করে বলি

Asad Noor অনেক সিনিয়র নাস্তিকের সাথে দ্বিমত রয়েছে

Asad Noor বিজ্ঞানে খুঁটিনাটি নাই তবে আপনারা কেন কোরানে বিজ্ঞান খুজেঁন ???

Asad Noor কোরান, বাইবেল বা বেদে বিজ্ঞান আছে কিনা আমরা এই বিষয়ে মাথা ঘামাই না ; ধার্মিক রাই দাবি করে

Meer Salman Asad Noor ভাইরে বেদ কে সঙ্গরক্ষন করছে? পুরাতন নিয়মের ডেড সি স্ক্রল অন্তত ১০০০ বছর পরের। আপনি জানেন কিনা জানিনা এখন পর্যন্ত মোজেস বা মুসা (আ) কোন ঐতিহাসিক ফিগারনা। বাইবেলের প্রথম ঐতিহাসিক ফিগার ডেভিড। সুতরাং পুরাতন নিয়ম সঠিকভাবে সঙ্গরক্ষিত এটা বলতে পারেননা।

Asad Noor যেমন রবীন্দ্র সাহিত্যে বিজ্ঞান আছে বলে দাবি করা হয় না , কাজেই আমরা রবীন্দ্র সাহিত্যে বিজ্ঞান নিয়ে বিতর্কে যাই না

Md Nazrul Islam !

Asad Noor মুসা তথা মোজেস কাল্পনিক চরিত্র , সেটা জানি

Asad Noor মুসলিমরা যদি কোরানে বিজ্ঞান খোজ বন্ধ করও , এই নিয়ে বিতর্কের প্রয়োজন হবে না ; বেদের ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য

Meer Salman দেখেন আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এবিষয়টা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা পছন্দ করিনা। নিছক প্রাসঙ্গিকভাবে চলে আসলে বলি। কিন্তু এরপরো যখন বিজ্ঞানের নতুন কোন আবিষ্কার ধর্ম গ্রন্থের সাথে মিলে তখন আমরা আমাদের রবের কৃতজ্ঞতা এবং মহানতা আবিষ্কার করি। কারন বৈজ্ঞানিক মেথড কুরয়ানে বেশ এক্সপ্লিসিট। যদিও আমি বুঝি এই মেঠডের কিছু লিমিটেশনো আছে।

Like

  •  

Asad Noor পুরাতন বাইবেল মূলত ইহুদি জাতীর ইতিহাস যা কিছুটা কল্পনা নির্ভর ; মহাভারতের সাথে তুলনা করা যায়

Asad Noor আসলে আরবি , হিব্রু ও সংস্কৃত প্রাচীন ও কঠিন ভাষা; একাধিক অনুবাদ সম্ভব ; এই সুযোগ ধার্মিক রা নেয়

Meer Salman Asad Noor মহাভারতের চেয়ে ওল্ড টেস্টামেন্টের এর চরিত্রগুলো অধীক বাস্তব।

Asad Noor Md Nazrul Islam , প্রত্যেক ব্যাক্তির আঙুলের ছাপ ভিন্ন , এটা বলা আছে ??

 

Asad Noor আপনি মুসলিম বলে তা মনে করেন

Asad Noor তবে মহাভারতের অস্ত্র গুলি কাল্পনিক যেমন ব্রহ্মাস্ত্র , নারায়ণী অস্ত্র ,....

Meer Salman Asad Noor সেটাই কিন্তু পুরান নিয়ম পড়লে বোঝা যায় কল্পনার মাঝে বাস্তব চরিত্র খেলছে

Asad Noor আর mytheology হিসেবে বাইবেল, ইলিয়াড , ওডিসি , শাহনামার চেয়ে মহাভারত অতি উন্নত মানের

Meer Salman তবে মহাভারত রামায়ন পড়লে মনে হয় কোন রবীন্দ্র সাহিত্য

Meer Salman Asad Noor মানছি তবে তার বাস্তবতা আছে বলে নেক ক্ষেত্রেই মনে হয়না।

Asad Noor রামায়ণ ছেলেদের রূপকথার মত, সেটা স্বীকার করি

 

Asad Noor মহাভারত সাহিত্য হিসেবে উন্নত মানের আর বৈদিকসমাজ উন্নত মানের ছিল

Meer Salman আর ডাবল মিনিং নিয়ে বলছিলেন। ডগমেটিক চিন্তার বাইরে যদি ভাবেন তাহলে সেটা সাইন্তিফিক মেথেডলজির মধ্যে পরে মানে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সাথে ধর্ম গ্রন্থগুলো পরিবর্তিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

Asad Noor বাইবেল , কোরান ও হিন্দু পূরণের চরিত্র গুলি সঠীক কিনা এতো বছর পরে প্রমান করা কঠিন ; তবে তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থার ছাপ পাওয়া যায়

Asad Noor আমি মোটে ও ডগমাটিক নোই , বরং ধর্মগুলি বিশেষ করে আব্রাহামিক ধর্মগুলি অনেক dogmatic

Meer Salman Asad Noor তা পাওয়া যায়। সেটা আমার বিষয়না। আমি বলতে চেয়েছি গ্রন্থগুলোর সংরক্ষন অনেকক্ষেত্রে বিতর্কিত।

Asad Noor কোরান অনেক পরে আসার কারণে কম বিকৃত হয়েছে তা স্বীকার করি

Meer Salman Asad Noor সেটা আপনার দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা। কারন গত ১৬০০ বছর আব্রাহামিক ধর্মগুলো মানব সভ্যতায় যে অবদান রেখেছে তা আনপ্যারালাল।

Meer Salman এটা ডগমেটিক হলে এরা এত ডাইভার্স সিচুয়েশনে নিজেদের এডজাস্ট করতে পারতনা।

Meer Salman Asad Noor ভাই তবে আপনাকে ধন্যবাদ।

Asad Noor আব্রাহামিক ধর্মগুলি সাম্রাজ্যবাদী ; গত পনেরোশতক পৃথিবী প্রধান দুই ধর্মের অধীনে ছিল

Meer Salman আপনি বিতর্ক করতে রাজিনা অথচ এই স্লেচ্ছ যবনের সাথে এতক্ষন আলোচনা করলেন। আমি মুগ্ধ। আপনারা এমন আলোচনা না করে গালাগালি করেন কেন?

Asad Noor বিজ্ঞান গোবর্ষণে অর্থের প্রয়োজন , সাম্রাজ্যবাদীরা এই অর্থ বেশি ভোগ করে

Asad Noor মুসলিমরাই তো গালাগালি করে

Asad Noor আর মুসলিমদের কে স্লেচ্ছো , যোবন কে বলেছে বর্তমান সময়ে ??

Asad Noor ওকে, ভালো থাকবেন ; শুভ রাত্রি

Meer Salman সুযোগ পাইলে সবাই সাম্রাজ্যবাদি। পারসিকরা সাম্রাজ্যবাদি ছিল, এরিস্ট্রটল আর তার ছাত্র আলেকজেন্ডার সহ গ্রিকরা ছিল, রোমানরা প্যাগানরা সাম্রাজ্যবাদী ছিল এমনকি হিন্দুরাও। তাঁরা কাবা দখলের স্বপ্ন দেখে।

Meer Salman শুভ রাত্রি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সকল ইসলামোফোবদের অভিযোগ সকল মুসলমান সন্ত্রাসী না কিন্তু সকল সন্ত্রাসী মুসলমান। তা দেখে এদেশের নকলবাজ, নির্বোধ, মূর্খ নাস্তিকদের প্রশ্ন, সকল সন্ত্রাসী মুসলমান কেন?

 

বিংশ শতাব্দিতে অমুসলিম সভ্য দেশ গুলো মানুষ মেরেছে ৮,৭৫,০০,০০০ মানুষ। তাহলে সকল সন্ত্রাসী মুসলমান কেন? তাহলে সভ্যতা, মানবিকতা আর সন্ত্রাসের সংজ্ঞা কি?

 

সফলভাবে অন্যের সহায় সম্পদ লুট করতে পারলে তা সভ্যতা, লুট পাটের ফলে সৃষ্ট সংকট মানবিক সংকট, যার সম্পদ লুট করা হল তাকে তার লুন্ঠিত সম্পদের একটা অংশ দিয়ে ফেরত দিয়ে কামলা খাটানোর জন্য বাচিয়ে রাখাকে বলে মানবতা।

 

তাহলে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা কি?

মজলুম মানুষের অসভ্য অংশ কর্তৃক বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে সভ্যদের ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্ট করা হল সন্ত্রাস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যুদ্ধ করবেননা ভালকথা একট হুশ দেওয়া খুব কঠিন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহর কসম যেসব সুশীল রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধীতা করে এখন কুরবানির আদর্শ বুঝার আর মনের পশু কুরবানি করার কথা বলছে তাঁদের বাপ মা তুলে গালি দিয়ে মুখে জুতা মারতে ইচ্ছা করছে।

#শুয়োরের_বাচ্চা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইন্টারনেট বিশেষত সোশ্যাল সাইটগুলো এক শ্রেনীর ইতর প্রজাতির মানুষের আবাস হয়ে গেছে। এরা বিভিন্ন নিউজ সাইটগুলোতে গিয়ে নোংরা কথা বলে, বিভিন্ন জনপ্রিয় গ্রুপে গিয়ে অশ্লিল গালাগালি করে, অশালিন ভাষায় ধর্মীয় উস্কানিমূলক কথা বলে। এরা নিজেরা কোন কাজের কাজ করেনা কিন্তু অন্যদের অযথা ভুল ধরে। অনেক ক্ষেত্রে নিজেরা মূর্খ অথবা খুব কম জানে কিন্তু ভাব ধরে নিজেরা বিরাৎ জ্ঞানী।

 

এই শ্রেনীর একদল প্রানী আজকাল দেখছি অনন্ত জলিলের পেছনে লেগেছে। এতদিন তিনি একটা ভুল পথে ছিলেন। এখন তিনি আল্লাহর পথে আসা শুরু করেছেন এখন আপনার শুদ্ধাচার নিয়ে ওয়াজ শুরু হয়েছে। কেন আপনি কি আগে কোন দিন তার কাছে গিয়েছেন? দাওয়াত নিয়ে? সাথে আছে দেওবন্দি-আহলে হাদিস গুঁতোগুঁতি। ভদ্রলোক ফাজায়েলে আমল পড়েছেন, এতে মনে হচ্ছে তিনি নির্ঘাত মুশরিক হয়ে গেছেন। অন্তত তাকে একতা বছর সময় দিন। তারপর না হয় ত্যানা পেচাবেন। আজকাল বিষয়টা নিয়ে দুই গ্রুপই সমান ইতরামি শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে এই ইতরামি হ্যাপিকে নিয়ে হয়েছে। তার আগে জাকির নায়েককে নিয়ে। একটা বিশুদ্ধ একাডেমিক বিষয়কে তাঁরা পারা মহল্লার বিষয়ে পরিনত করেছে। এরা এত ইতর যে এই নিতান্ত শাখাগত বিষয় নিয়ে বিতর্ক তাঁরা তখনো করছে যখন একজন মুরতাদ হয়ে অত্যন্ত নির্বোধোচিত কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আজ সকালে লুতফর ফরাজি নামে একজন আলিম তার ভুলের যুক্তি খন্ডন করে আলোচনা শুরু করলে এক পন্ডিত আহলে হাদিস আর দেওবন্দি প্যাচাল শুরু করে।

 

ওয়াল্লাহি এরা যতটা মুসলমান তার চেয়ে অনেক বেশী তার নিজের গ্রুপের (দেওবন্দি, বেরেলভি, আহলে হাদিস) গ্রুপবাজ। ইমাম ইবনে তাইমিয়া শিয়াদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুতবপূর্ন অবদান রাখেন অথচ তিনি বলেন অমুসলিমদের চেয়ে অন্তত শিয়ারা ভাল। এটাই আহলে সুন্নাতের আলিম ও ইমামদের আখলাক ও আমল। অথচ এই বোধ এসব তথাকথিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতে ভাঁড়দের নেই।

 

সত্যি যদি আল্লাহর দ্বীনকে ভালবাসেন তবে গ্রুপবাজি বাদ দিন। আপনার প্রচেষ্টাকে কাফির, মুশরিক, যিন্দিক ও জালিমদের বিরুদ্ধে সংহত করেন। একাডেমিক বিষয় একাডেমিতেই সীমাবদ্ধ রাখেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামে ধর্ষন ও ধর্ষনের শাস্তি

 

সংজ্ঞাঃ

ইসলামে ধর্ষন মূলত দুইটি পাপের সমাষ্টি। এক. জিনা ও দুই. জুলুম। জোড়পূর্বক জেনা করাকে ধর্ষন বলে। কোনভাবেই আধুনিক নারিবাদি নির্বোধদের মর তথাকথিত বৈবাহিক জোড়পূর্বক সহবাসকে ধর্ষন হিসাবে দেখেনা। যদিও তথাকথিত ম্যারিটাল রেপকে অবশ্যই উৎসাহিতও করেনা। এবিষয়ে ভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচনা করা যাবে।

 

নির্যাতিত মহিলার সম্মান

পাশাপাশি সতীত্ব নিয়ে ইসলামী সমাজ বিশেষ কোন ট্যাবু তৈরি করেনা। এটা আল্লাহর হকের সাথে সম্পর্কিত। এখানে কেউ যদি কারও সাথে বৈধ যৌন সম্পর্ক করে তবে সেকোনভাবেই অন্য কোন ভার্জিন মেয়ের চেয়ে কম সম্মানিত বা বিয়ের বাজারে কম গুরুত্বপূর্ন নয়। আমাদের সমাজে এধরনের যে মানসিকতা আছে তা সুনিশ্চিত ইসলাম সমর্থিত না। হ্যাঁ রাসুল (সা) কোন এক সাহাবিকে কুমারী বিয়ে করতে বলেছিলেন। তবে তা কেবল মানসিক কারনে। কারন অনেক সময় অনেকে আগের স্বামীকে ভুলতে পারেনা। এর সাথে সতীত্বের কোন সম্পর্ক নাই। এজন্য সেই হাদীসে এভাবে বলা হয়েছে ‘তাহলে তুমি স্ত্রীর সাথে খেল তামাশা করতে পারতে’। সুতরাং ধর্ষনের ক্ষেত্রে যেহেতু নির্যাতিতের কোন দোষ নাই তার তার কোন পাপ বা অমর্যাদা ইসলামী সমাজে নাই।

 

ধর্ষন প্রতিরোধ

শাস্তির পূর্বে যেকোন বিষয় প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ন। ইসলাম ধর্ষন ঠেকাতে অনেক ব্যাবস্থা নিয়েছে যেমন সকলের মধ্যে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের চেষ্টা, আল্লাহর ভয় তৈরির চেষ্টা, স্বল্প বয়সে বিয়ে দিতে উৎসাহ, বৌ বা স্বামী না থাকলে পুনঃবিবাহ দিতে উৎসাহ। এছাড়া হিযাব, অর্থনৈতিক দায় থেকে মুক্তি, অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করা, সফরে পুরুষ সঙ্গী বাধ্যতামূলক করা প্রভৃতি ধর্ষন প্রতিরোধে ব্যপক অবদান রাখতে পারে। উল্লেখ্য ধর্ষন থেকে বাঁচতে সম্ভব হতে শিকার (Victim) এর জন্য ধর্ষককে খুন করা বৈধ। তবে হত্যার কারন কোর্টে প্রমান করার ব্যাপারটি মাথায় রাখা দরকার। কারন তাছাড়া হত্যার ব্যপারে মানুষ ব্ল্যাঙ্ক চেক পেয়ে যাবে।

 

ধর্ষনের শাস্তি

ইসলামে ধর্ষন প্রমান হলে এই দুইটি অপরাধের অর্থাৎ জেনা ও জবরদস্তি দুই প্রকার শাস্তি একসাথে হবে। সাধারনভাবে জেনার শাস্তিই ধর্ষনের শাস্তি। অর্থাৎ বিবাহিত হলে রজম মানে পাথর দ্বারা হত্যা অবিবাহিত হলে দোররা মাড়া।

এবিষয়ে একটি হাদিস শেয়ার করা যায়। ‘জৈনেক মহিলা নবীর ইবাদতের সময় কালে বাহিরে গেলে একজন মানুষ তাকে আক্রমণ করল এবং উপরে উঠে (ধর্ষণ করল) গেল। ঐ মহিলা চিল্লি দিল এবং সে পালালো এবং একজন মানুষ আসলে, ঐ মহিলা উত্তর করল ওমুক আমার উপর এই এই করেছে, এবং কিছু মুহাজির আসলেও ঐ মহিলা বলল, ওমুক আমার উপর এই এই করেছে। তারা খোজ করলেন এবং ধরলেন যাকে ভাবলে সে যৌন কাজ করেছে এবং উক্ত মহিলার নিকট আনা হল। ঐ মহিলা উত্তর দিলে, "হ্যা এই সে" তারা অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আল্লাহ পাকের রাসূল সাঃ এর নিকট নিয়ে আসলেন। যখন তিনি (রাসূল সাঃ) রায় দিতে গেলেন, ওমনি একজন মানুষ যে সত্যিই ঐ মহিলাকে অসম্মান করেছিল সে দাঁড়ালো এবং বলল, হে আল্লাহ পাকের রাসূল আমিই সেই ব্যাক্তি যে ঐকাজ এই মহিলার উপর করেছি। তিনি (রাসূল সাঃ) ঐ মহিলাকে বললেন তুমি চলে যাও, আল্লাহ (সুবাহানাতালা) তোমাকে মাফ করেছেন। কিন্তু তিনি তাকে(আবু দাঊদ বলেছেন, যাকে ভুল করে ধরা হয়ে ছিল তাকে) কিছু ভাল কথা বললেন, এবং যে ব্যাক্তি ঐ মহিলাকে অসম্মান করেছিল তিনি বললেন, তাকে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হল। তিনি আরো বললেন, সে এতই অনুশোচিত হয়েছে যে, যদি মদিনার মানুষ তওবা করে তবে সকলের তওবাই কবুল হবে’ ।

তবে অনেক আলিম এবং ফুকাহা অর্থাৎ ইসলামী আইন শাস্ত্রবিদ বলেছেন সেক্ষেত্রে নির্যাতিত ব্যক্তি মহিলা হলে সে মোহর পরিমান ক্ষতিপূরনও পাবে। অস্ত্রের মুখে ধর্ষন করলে ডাকাতির শাস্তি হবে। সেক্ষেত্রে ধর্ষনের ফলে সন্তান জন্ম হলে অনেক আলিমের মতে সন্তান পিতার সম্পদের উত্তরাধীকার বিবেচিত হবে। এবিষয়ে ইসলামী কোর্ট রায় দিবে।

আরো দেখতে পারেনঃ

https://islamqa.info/en/72338

https://islamqa.info/en/41682

Video thumb

 

#ইসলাম #ধর্ষন #নারী

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলাম কি বৈবাহিক ধর্ষন (Marital Rape) অনুমোদন করে? স্বামী কি তার স্ত্রীকে সহবাসে বাধ্য করতে পারে?

 

বৈবাহিক ধর্ষনের পশ্চিমা সংজ্ঞা (Liberal ideology) আর ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।

 

Western Liberal ideology অনুযায়ী Marital rape (or spousal rape) is the act of sexual intercourse with one's spouse without the consent of the other spouse. অর্থাৎ বৈবাহিক সঙ্গীর ইচ্ছা বা সম্মতি ব্যতিরেকে তার সাথে সহবাস করলে তাকে বৈবাহিক ধর্ষন (Marital Rape) বলে।(উইকিপিডিয়া)

 

কিন্তু ইসলামিক স্কলাররা কিছুটা বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যখ্যা করেছেন। তাঁদের মতে স্বামী যদি ঋতুস্রাবের সময় যৌনতায় জোর করে অথবা অস্বাভাবিক কোন যৌন আসনে সহবাস করতে বাধ্য করে বা ওড়াল সেক্সে বাধ্য করে কিম্বা রমজান মাসে যৌনতায় বাধ্য করে সেক্ষেত্রে তা বৈবাহিক সহবাস। আরো সোজা করে বললে যখন আল্লাহ সহবাস করতে নিষেধ করেছেন তখন ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সহবাস করলে তা অন্যায় এবং জোড় করে সহবাস করলে বৈবাহিক ধর্ষন বলে বিবেচিত হবে।

 

নারী বা পুরুষ যেই জোড় করুক তা ধর্ষন। তবে যেকোন ক্ষেত্রে সাধারনত ছেলেরা জোড়পূর্বক সহবাসে এগিয়ে থাকে সেজন্যে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন,

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [ সুরা বাকারা ২:২২২ ]

 

যদি স্বামী এসব ক্ষেত্রে জোড়পূর্বক সহবাস করতে বাধ্য করে তবে স্বামী ভয়াবহ রুপে পাপি হবে। এছাড়া স্বামীর যদি কোন সঙ্ক্রামক ব্যাধি থাকেঅথবা সহবাসের সময় মারধর করে তবে স্ত্রীর পূর্নাঙ্গ অধীকার আছে সহবাস না করার। এসকল অধীকার ক্ষুণ্ণ হলে স্ত্রী ইসলামি আদালতে মামলা করতে পারবে।

 

আলিমগন বলেন সহবাস হতে হবে স্বামী স্ত্রীর সুসম্পর্ক, ভালবাসা ও প্রেমের মধ্য দিয়ে। আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন,

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَآئِكُمْ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ عَلِمَ اللّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ فَالآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُواْ مَا كَتَبَ اللّهُ لَكُمْ وَكُلُواْ وَاشْرَبُواْ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّواْ الصِّيَامَ إِلَى الَّليْلِ وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ تِلْكَ حُدُودُ اللّهِ فَلاَ تَقْرَبُوهَا كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। [ সুরা বাকারা ২:১৮৭ ]

 

এখানে পরিস্কার বোঝা যায় দুজনের দুজনের প্রতি সহবাসের অধীকার আছে।

 

হাদীসে ফোরপ্লে অর্থাৎ সহবাস পূর্ববর্তি সেসকল কাজ যা সহবাসের জন্য নারী পুরুষের দেহকে প্রস্তুত করে তা ব্যাতিত সহবাস করতে নিষেধ করা হয়েছে। ফোরপ্লে ব্যাতিত সহবাসকে নিষ্ঠুর আচরণ বিবেচনা করা হয়েছে এবং একা পশুর আচরণ বলা হয়েছে।

বিয়ের পূর্বে স্বামী পছন্দ করার পূর্ন অধীকার স্বামীর আছে। তারপর কোন কারনে স্বামীর সাথে বনিবনা না হলে বা স্বামী পছন্দ না হলে স্বামীকে পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করতে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে।

 

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য এটা বৈধ নয় যে, তোমরা জোর করে মহিলাদের বিয়ে করে তাদের উত্তরাধিকারী হবে। তাদের কাছ থেকে মোহরানার অংশবিশেষ আদায়ের জন্যেও চাপ প্রয়োগ করা বৈধ নয়, যদি না তারা প্রকাশ্য ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে এবং তাদেরকে ভালো না লাগলেও তালাক দিও না। কারণ আল্লাহ যাতে ব্যাপক কল্যাণ ও মঙ্গল রেখেছেন তোমরা হয়তো তাই অপছন্দ করছো।" (৪:১৯)

 

এআয়াতে আল্লাহ পুরুষদের আহবান করে কথাগুলো বললেও মোহরানার অংশ ছাড়া বাকি আহকামগুলো মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

এরপরও যদি স্বামী পছন্দ না হয় তাহলে বিচ্ছেদের চেষ্টা করা যায়।

জয়নব (রা)ও যায়েদ (রা) এর তালাকের ব্যপারে রাসুল (সা) প্রথমে নিরুৎসাহিত করেন কিন্তু পরে অনুমোদন দেন। একইভাবে বারিরা (রা) তার স্বামীকে তালাক দিলেও রাসুল (সা) তাকে নিরৎসাহিত করেন কিন্তু তালাক দিতে বাধা দেননি।

 

তবে কোন বৈধ ও উপযুক্ত কারন ছাড়া স্বামীর সাথে নিয়মিত সহবাসে অস্বীকার করার কোন অধীকার স্ত্রীর নাই। সেক্ষেত্রে নারী অবশ্যই স্বামীর কথা শুনতে বাধ্য। হাদীসে বলা হয়েছে রান্না করার সময় স্বামী ডাকলেও তাকে সাড়া দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামীর না বলার কোন অধীকার নাই। স্বামী প্রয়োজনে শারীরিকভাবে জোড় খাটাতে পারে।

 

Western Liberal ideology বিশেষত liberal feminism অনুযায়ী নারী তার স্বামীর সাথে সহবাস করার ক্ষেত্রেও স্বাধীন। আশ্চর্য ব্যাপার তাঁরা বিয়ে ছাড়া কেউ স্বেচ্ছায় সহবাস করলেও তাঁদের কোন আপত্তি নাই, এমনকি বিবাহিত অবস্থায় কেউ যদি পরকিয়া (সহবাসসহ) করে তবু তাঁদের কোন আপত্তি নাই (যদিও বহুবিবাহে আপত্তি আছে) আবার বিয়ে করলেও কেবল স্বেচ্ছায় সহবাস করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বহুবিবাহ করা যাবে না আবার জোড়ও করা যাবেনা। কেন? সেক্ষেত্রে আমার সহবাস করার দরকার হলে কি করব? তাহলে তাঁদের চিন্তায় বিয়ে ছাড়া আর বিয়ে করার মধ্যে পার্থক্য কি? তাহলেতো বরং না করে সঙ্গম করা সবদিক থেকে সুবিধাজনক। কোন দায়িত্ব নাই শুধু ভোগ।

মূলত পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করাই এদের উদ্দেশ্য।

 

এরা মানব সমাজ ধ্বংস করে জানোয়ারের সমাজ চালু করতে চায়। আশ্চর্য, এরাই মানবতার কথা বেশি বলে।

জীবনান্দের ভাষায়,

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ,

যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;

যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই - প্রীতি নেই - করুণার আলোড়ন নেই

পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি

এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক ব'লে মনে হয়

মহত্‍‌ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা

শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ক্যারেন আর্মস্ট্রং এর একটা লেকচার শুনছিলাম। তার একটি বক্তব্যঃ

 

আধুনিকতার দুইটা গুরুতবপূর্ন ফিচার।

১) স্বাধীনতা এবং ২) উদ্ভাবন

 

মুসলিম বিশ্বে যারা আধুনিকতা প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন তাঁরা এই দুই নীতি অনুসরণ করতে পারেননি।

.

১) এখানে আধুনিকতা এসেছে ঔপনিবেশিকতার মাধ্যমে।

২) এখানে আধুনিকতা ছিল পাশ্চাত্যের অনুকরন। তাঁদের অনেকেই অন্ধভাবে পাশ্চাত্যের সেকুলার আদর্শ অন্ধভাবে অনুকরন করে মুসলিম জনসাধারনের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মার্চ, ২০১৯ এর লেখা সমুহ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশে কোন হুজুরকে বাতিলের আতঙ্ক বলতে শুনলে আমার অসম্ভব হাসি পায়। এজন্য আমাকে কি উলামাবিদ্বেষী মুরতাদ বলা হবে?

 

আমার মনে হয়, হক বলেন আর বাতিল; আতঙ্ক একজনই। বাকিরা বাতাস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মারেফুল কুরআন কিনতে চাইলাম ইউটিউবে গিয়ে দেখি শাইখ আবু বকর যাকারিয়া ১৪০ টা ভুল বের করছেন। এখন কি করব?

 

উত্তরঃ

 

কুরআন আল্লাহর কিন্তু তাফসির বান্দার বুঝ। হ্যাঁ এই বুঝের পেছনে অন্য কুরআনিক আয়াত, হাদিস এবং আরবি ভাষাজ্ঞান কাজ করে। কিন্তু তাফসিরে অনেক কিছু অকাট্য না বরং ইজতিহাদি। তাই কুরআনের ভুল নেই কিন্তু তাফসিরে ভুল থাকে। আজ পর্যন্ত কোন তাফসীরকেই শতভাগ সঠিক বলার সুযোগ নেই। আত তাবারি, ইবনে কাসির, আল কাশশাফ প্রভৃতি তাফসিরেও ভুল আছে।

 

তাফসিরের অনেক বড় অংশ ইজতিহাদি। এতে এখতেলাফের সুযোগ থাকে। আলিমদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ সর্বযুগেই ছিল। এটা শুধু এই উম্মাতের মাঝেনা বরং পূর্ববর্তী যুগের এবং পূর্ববর্তী উম্মাহর আলিমদের মাঝেও ছিল। মুফতি শফি রহ একজন মুহাক্কিক হানাফি দেওবন্দি আলিম। অন্যদিকে শাইখ আবু বকর জাকারিয়া কট্টর এবং উগ্রপন্থী আহলে হাদিস/ সালাফি আলিম। তিনি দেওবন্দিদের গোমড়াহ মনে করেন। যেহেতু দেওবন্দিদের উগ্রবিরোধী হওয়ায় তিনি মধ্যপন্থী মুহাক্কিক আলিম মুফতি শফি রহ এর সাথে ইনসাফ করতে পারেননি। তাই আপনি যদি ভারসাম্যপূর্ণ চিন্তা লালন করেন এবং কুরআনকে সঠিকভাবে বুঝতে চান তাহলে তাফসিরে মারিফুল কুরআন আপনার অবশ্যই পড়া উচিৎ।

 

তাহলে কি মারেফুল কুরআনে ভুল নেই? হ্যাঁ অবশ্যই আছে। আগেই বলেছি প্রত্যেক তাফসিরে কিছু কারণে ভুল থেকে যায়।

 

যেমনঃ

 

১) ব্যাক্তিগত প্রবনতা

২) মানবীয় দুর্বলতা

৩) সমকালীন যুগের হাওয়া

৪) ঐতিহ্যিক সীমাবদ্ধতা

 

এসব বিষয় মাথায় রেখে মারেফুল কুরআন পড়ুন। ভুলগুলো ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন। সেগুলো বাদ দিবেন।

আপাতত ভুল বাদ দেওয়ার কিছু কৌশল বলি।

 

১) যেখানে বলাছে ইস্রাইলি রেওয়াতে আছে সেখানে ইস্রাইলি রেওয়ায়েতটুকু বাদ দিবেন।

 

২) যেখানে সমকালীন রাজনীতি যেমন দ্বিজাতিতত্ত্ব, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ইত্যাদি ইস্যুতে আলোচনা আছে সেগুলো বাদ দিবেন। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন। ফলে এসকল বিষয়ে তার আলোচনায় পাকিস্তানের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে।

 

৩) যেখানে বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলেছেন সেগুলো বাদ দিবেন। বিজ্ঞান নিয়ে তার জ্ঞান হাস্যকর রকমের কম ছিল। তাছাড়া বিজ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল। তাই বিজ্ঞান দিয়ে কুরআনের কোন অংশ ব্যাখ্যা করা মারাত্মক রকমের বিপদজনক।

 

এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে তাফসিরটি পড়লে দারুণ উপকৃত হবেন।

 

ইনশাল্লাহ মারেফুল কুরআন অসাধারণ তাফসির মনে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিযানুর রহমান আযিহারি দাবা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আমি তার খুব বেশি বয়ান শুনিনি। তবে যেটুকু শুনেছি তা নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য করা যায়না। কিন্তু নিঃসন্দেহে তিনি তাহেরি, জিহাদি বা এমন অনেক বক্তার চেয়ে তুলনামূলক ভাল বয়ান করেন। আমি আপাতত তার ইন্টেলেক্ট বিচার করতে চাইনা। কিন্তু একটা কথা আছে। সেটা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে পরের প্যারা।

 

অনেকদিন আগে কোথাও কোন কাজে গিয়ে এক লোকাল চায়ের দোকানে বসে মিনিট ৫ বা আরও দুই এক মিনিট একটা সিনেমা দেখেছিলাম। সিনেমার নাম গরিবের বৌ। নায়িকা শাবানা। তার নায়ক কে মনে নেই। ভিলেনের নামও মনে নেই। তবে শাবানাকে ভিলেন অশিক্ষিত বললে শাবানা ইংরেজি বলে বোঝায় সে শিক্ষিত। যতদূর মনে পড়ে সেখানে গ্রামারে হালকা ভুল ছিলো। মাওলানা মিযানুর রহমান আযহারি দাবার ইংরেজি শুনলেই আমার শাবানার কথা মনে পড়ে। একই মানের ইংরেজি, একই স্টাইল, একই বাস্তবতা, একই মানস। হুজুররা অশিক্ষিত না। তারাও ইংরেজি জানেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনাকে হালের ইসলামি এপোলোজিস্টরা যা শেখাবেন না তা হচ্ছে, জিজিয়া এজন্য আদায় করা হতো না যে টাকাটা মূখ্য। বরং এর মাধ্যমে কাফিরদের সাথে চূড়ান্ত সংঘাত এড়িয়ে এবং মানুষিক প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ওভার দ্যা টাইম ভেঙে মানুষকে ইসলাম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করা। অন্যভাবে বললে, এখনই তাদের ধর্ম ছাড়তে বললে তারা ধর্মতো ছাড়বেই না উল্টো বিদ্রোহ করবে। তাই তাদের অধীনে রেখে সময় দিয়ে সহনীয় বানিয়ে ইসলাম গ্রহন করানোই জিজিয়ার উদ্দেশ্য। এখন যেভাবে যৌনশিক্ষার নামে ইসলামের সামাজিক অংশের উপর আঘাত হেনে মানুষের শালীনতা এবং পারিবারিক চরিত্র ভেঙে দেওয়া হবে। এভাবে মুসলমানদের দ্রুত পূর্ন মুরতাদে পরিনত করা হবে। তাই জিজিয়ার কারনে ইসলামকে লিবারেলিজম বা সেক্যুলার ডেমোক্রেসির অসহনশীল ভাবার কোন দরকার নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একমিনিট অন্ধকারে পুরো দেশ হবার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের এদিকে এক সেকেন্ডের জন্যও গেল না বিদ্যুৎ!!!

আজব দেশ মাইরি!!

কোনকিছুই ঠিকমতো হবে না। যখন বিদ্যুতের দরকার তখন থাকে না। এখন পাবলিক রাজিই ছিল যে বন্ধ করে দে, দিল না। এদিকে পত্রিকাওয়ালারা লিখে ফেলেছে, "এক মিনিট অন্ধকারে পুরো দেশ"। ওরে অন্ধকারের চামচিকার নাতিগণ, এখানেও ধোঁকা দিলি??!!!

আমাদের সময়টা কি আজব দেখেন। যেখানে যা দরকার তা নাই, অন্যকিছু আছে। কিংবা যে জিনিসের যে ব্যবহার তা নাই। সবজি না খেয়ে মুখে ঘষে, লবণওয়ালা টুথপেস্টে দাঁত মাঝে তবে লবণ দিয়ে মাজে না। ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টে সবচেয়ে আজব জিনিস হলো ফেয়ারনেস ক্রিম। এই ক্রীম ব্যবহার করতে হলে প্রথমে বিশ্বাস করতে হবে ফর্সা মানে সুন্দর, তারপর বিশ্বাস করতে হবে এই ক্রীম ফর্সা করে। বহুদিন ধরে কোম্পানীগুলো শিখিয়েছে। এখন তো ইউটিউবে রিহানা কিংবা জেনিফার লোপেজের ভিডিওতে সাদাদের ওয়াও, নাইস কমেন্ট দেখে চিরদাস বাঙ্গাল চোখ বড় বড় করে তাকায়। হয়তো মনে মনে বলে, যাহ্, খেলবো না, আমাকে বলেছিল সাদা সুন্দর!!!

এইডস সচেতনতার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কোটি কোটি টাকা ডোনেশন এনজিওগুলো নেয়। তারপর বিজ্ঞাপন দেয় কি কি করলে ছড়ায় না, এইডস রোগীর সাথে কিভাবে মানবিক ব্যবহার করতে হবে। আর এই প্রচারণায় অংশ নেয় ছেলে এবং মেয়ে একসাথে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে, পেটে পেট... না থাক।

স্যানিটেশনের গুরুত্ব বুঝাতে যে ক্যাম্পেইন তার খরচে সব পরিবারকে নিরাপদ টয়লেট বানিয়ে দেয়া যায়। খামোখা বাবা মায়ের ছোওওত আদরের মেয়ে মীনাকে কষ্ট দেয়।

প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধী বলা যাবে না, ঠিক আছে বলবো না। তাদেরকে জোর করে হলেও নরমাল মানুষের জায়গায় কাজ দিতে হবে কোটায়। অথচ দরকার ছিল এই জায়গায় নরমাল কাউকে দেয়া, আর এবনরমালকে বসিয়ে খাওয়ানো। এখন নরমালটা বেকার হয়ে ছিনতাই করছে। একি কথা মহিলাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কাঙ্গালিনী সুফিয়াকে দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো নারী শ্রমিকের কম বেতন বিষয়ে। আরে বাবা, এসব শারীরিক শ্রমের মজুরী কাজের পরিমাণের ওপর দিলে স্বাভাবিকভাবেই মহিলারা কম পায় তারা শারীরিকভাবে দূর্বল হবার কারণে।

দরকার হলো পুরুষদের ঠিকমতো কাজ দিয়ে তাদের বাধ্য করা যাতে পরিবারের মহিলাদের ভরনপোষণ ঠিকমতো দেয়। কিন্তু তা না করে মহিলাদের অমানবিকভাবে মাটি কাটতে লাগিয়ে দিল। তারা যেসব কাজের যোগ্য ঐসব কাজ থেকে সরিয়ে এনে তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় এমন কাজে লাগিয়ে দিল।

আজব!! কেউ কোন প্রশ্ন করে না।

 

তো এই আজব সময়ে জন্ম নেয়া আমাদের হাভাতে হাবলু একদিন অধিক খেয়ে পেট খারাপ করে ফেলল।

জিজ্ঞাসা করতেই বলল, আরে দাদা, বলবেন না, সকাল থেকে সেকি যাচ্ছে যাচ্ছে, নিতম্বতলে সেকি অম্বরধারা!!!

- কেন রে, কাঁচকলা ট্রাই করিসনি??

এএএএহহহ, করিনি আবার!! কচুও কাজ হয় না। বের করলে আবার শুরু হয়ে যায়।

থাক, আর মেট্রোনিডাজল ট্রাই করতে বললাম না। যেখানে কাঁচকলাই ঠাঁই পেল না, ছোট ট্যাবলেটে আর কি হবে?? 🙄🙄🙄

 

Ralph Rover

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোটবেলায় দেখতাম আসে পাশের লোকেরা নসিম হিজাজি, এনায়েতুল্লাহ আল তামাশের রচিত উপন্যাস পড়ে বিরাট ইতিহাসবেত্তা। অনেকে তা দিয়ে আসর জমাতো, অনেকে জুমার দিন বয়ানে বলতো, দুই একজন জজবাতি ওয়ায়েজ শীতকালীন মাহফিলেও সেসব বয়ান দিতেন। উল্লেখ্য এধরণের আলোচকদের মাঝে জামাতের রোকন থেকে কওমি দাওড়া ফারেগ সবাই ছিলেন।

 

আল হামদুলিল্লাহ টেক্সটবুকের মাধ্যমে জানতাম ইতিহাস আর ঐতিহাসিক উপন্যাসের পার্থক্য। তাই কখনো এমন ভুল হয়নি যদিও এধরণের উপন্যাস অনেক পড়েছি।

 

আজকাল ফেসবুকের আলোচক বা কোন কোন মধ্যম মানের পরিচিত লোকেরাও কারও কারও উপর এসব উপন্যাসের প্রভাব দেখে মজা লাগে।

 

আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আমার প্রাথমিক শিক্ষা উলামায়ে দেওবন্দের সেই সচেতন অংশের হাতে হয়েছিল যারা সহীহ এবং জালের পার্থক্য বুঝতেন। এমনকি আল বিদায়া ওয়ান নিহায়াহর ব্যাপারেও তারা আমাকে সতর্ক করেন যে এগুলো সকল বর্ননা অথেনটিক না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রোমান্টিক বিপ্লবী দেখলেই আমার মনে হয় এরা বড় বোকা।

 

তারা জানেনা সফল বিপ্লবীরা কেউ রোমান্টিক ছিলেননা, বাস্তববাদি ছিলেন। কঠোর নিষ্ঠুর বাস্তববাদি। হ্যাঁ ঐতিহাসিকরা তাদের জীবনী লেখার সময় রোমান্টিসাইজ করেছেন।

 

ধরনে সালাউদ্দিন আইয়্যুবি। তিনি হাজিদের হত্যা ও নিপিড়ন এবং রাসুলুল্লাহ সা কে গালি দেওয়ার কারনে এক সম্রাটকে হত্যা করার প্রতিজ্ঞা করেন। আল্লাহ তাকে সফল করেন। কিন্তু হয়তো তার অনেল প্রচেষ্টা এবং প্রতিজ্ঞা ব্যার্থ হয়েছে। তা হয়তো ইতিহাসে সংরক্ষিত হয়নি।

 

সালাউদ্দিন আইয়্যুবি রহ তার শেষ জীবনে ক্রুসেডরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অপারগতা বোধ করেন এবং চুক্তি করেন। চুক্তিতে তিনি মেনে নেন উপকূলবর্তী কিছু অঞ্চল ক্রুসেডরদের হাতে থাকবে। কিন্তু ক্লাসিক্যাল ইসলামী আইন অনুযায়ী সে অঞ্চলগুলো ছিল প্রাক্তন ইসলামি ভূখণ্ড। ঠিক যেমন আজও জেরুজালেম যতটা ইসলামি ভূখণ্ড ততটাই ইসলামি তেলাবিব, হাঙ্গেরি আর দক্ষিন ফ্রান্স। ইসলামি আইন অনুযায়ী এক বিঘত পরিমান ইসলামি ভূখণ্ড কাফেরদের দখলে থাকলে সারদুনিয়ায় মুসলমানদের উপর পর্যায়ক্রমে জিহাদ ফরযে আইন হয়। ফলে সুলতানের কোন অধিকার ছিলনা তেমন একটা চুক্তি করার। তবু তিনি করেছেন। উম্মাহ মেনে নিয়েছে। তার নামে বীরগাথা রচিত হয়েছে। এসকল বীরগাথা রচনা করেছেন উম্মাহর মহান আলিম, ফকিহ, মুজাহিদীনরা।

 

আল্লাহ সুলতান রহকে ক্ষমা এবং রহমতের চাদরে জড়িয়ে নিক। ইতিহাস বড় কঠিন, বড় নিষ্ঠুর এবং তারচেয়েও বড় বাস্তব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ধর্মমন্ত্রীকে এখন অনেকে গালাগালি করছে। কিন্তু আমি তার প্রতি সহানুভূতিশীল। সার্বিক ঘটনা প্রমান করে যে তিনি এখনো অন্তরে দেওবন্দিয়াত লালন করেন। কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতা তাকে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য করেছে। তাছাড়া অসংখ্য বড় বড় মুনকার থাকতে মিলাদ নিয়ে উতলা হওয়ার কিছু দেখিনা।

 

আমি আল্লাহর সাথে তার নিসবতের কথা জানিনা। তবে আমি মনে করি তার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান হওয়া উচিৎ মধ্যপন্থী। একদিকে তার চিন্তা এবং কর্ম রাজনৈতিক বাস্তবতার উপর নির্ভরশীল। তাই ইমান আকিদার ব্যাপারে তার উপর নির্ভর করা যায়না। কিন্তু নিজেদের লোককে লাঞ্চিত করা সঠিক রাজনৈতিক কৌশল না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গত ২ সপ্তার অবজারভেশন:

 

১.

কুফফার আশ্রিত মুসলিমরা মরে গেলে এটা 'ওদের' একটা আদর্শিক ইস্যু। যে সেক্যুলার লিবারেল হিউম্যানিজমকে পুঁজিবাদ ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চাচ্ছে, সেই আদর্শটা ছ্যাঁচা খায় ওদের ল্যাণ্ডে আশ্রিত মুসলিম মরলে। তাই দ্রুত কিছু শো-একশন দেখা যায়। পুরো দেশ ওড়না ফ্যাশন, দাঁড়িয়ে আজান শোনা, সংসদে কুরআন তিলওয়াত, খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখে আরবি সালাম-হাদিসের কোট... এগুলা দ্বারা ইসলাম জেতে না। জেতে ইসলামের বিপরীতে দাঁড় করানো 'সেকুলার হিউম্যানিজম'।

 

কারণ এরপরই প্রশ্ন আসবে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরবি সালাম দিলে খুশি হন, একই ধরনের আচরণ মুসলিম দেশের প্রধানমন্ত্রী তার দেশের সংখ্যালঘুদের সাথে করলে মুখ ব্যাকা করেন কেন। প্রশ্নটা তো ঠিকই আছে। দুই ক্ষেত্রেই সেক্যুলারিজম জিতেছে। আর সেক্যুলারিজমের জয়কে আমরা ন্যুজিল্যান্ডের মাটিতে ইসলামের জয় ভেবে ত্রাতা জেসিন্ডার ছবি শেয়ার দেয়াকেও মুবাহ বানায়ে ফেললাম। জিত ঠেকায় কে?

 

২.

আমরা যাতে এটাকে ইসলামের জয় না ভাবি, বা হামলাটার স্পষ্ট ক্রুসেডীয় এন্টি-ইসলাম চেতনা বন্দুকের শরীরে স্পষ্ট থাকলেও জিনিসটাকে জেনারেলাইজ করে না ফেলি, তজ্জন্য আরেকটা কাজ করা হল। ব্যাপারটাকে সবাই 'নিউজিল্যান্ড এটাক', বা 'স্ট্যান্ড উইথ নিউজিল্যান্ড' বলল। আমরাও বললাম। জাতীয়তার বা দেশসীমার সীমানায় এন্টি-ইসলাম চেতনাটাকে অস্বীকার করলাম। এটা উম্মাহ ইস্যু থাকল না, নিউজিল্যান্ড ইস্যু হয়ে গেল। হোয়াইট সুপ্রিমেসি বলে সেটাকে আরও আবছা করে দেয়া হল, আমরাও খুব ব্যবহার করলাম কথাটা।

 

৩.

মুসলিম ল্যান্ডে মুসলিম মরলে পুঁজিবাদের ওই আদর্শিক দায় নেই। তাই মিডিয়ারও দায় নেই। আমাদেরও লাগে না। একই সপ্তাহে সিরিয়ায় ৩০০০ প্লাস সিভিলিয়ান মুসলিমকে মারা হল। এটা কোন ব্যাপারই না আমাদের কাছে। কেননা এবার হিউম্যানিজম প্রবক্তারা নিজেরাই মেরেছে। ওরা কি আর এমনি মেরেছে? জঙ্গি বলেই তো মেরেছে। বিশ্বাস করেন, পশ্চিমের প্রতি আমাদের ভরসা নবীজীর চেয়েও বেশি, পশ্চিমা দর্শনের আর ওদের বেঁধে দেয়া ফরমেটের প্রতি আস্থা ইসলামের চেয়ে বেশি... আদর্শিক বিষয়ে। ইসলামকে আমরা আদর্শ হিসেবে নিইনি, এখনও।

 

৪.

এত বড় বড় স্ট্যাটাস লিখে কী লাভ? এত বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ? আমার নিজের লাভ। আমি নিজে কোন বিষয়েই পশ্চিমকে আদর্শ মানবো না। আমার হিউম্যনিজম ওরা ঠিক করে দেবে না, আমার নারীশিক্ষা-নারীপ্রগতি ওদের ঠিক করে দেয়াটা আমি মানিনা। কোন কনসেপ্টই ওদের দেয়াটা, ওদের গুলিয়ে খাওয়ানোটা আমাদের আদর্শ না। এটাকে কেন্দ্র করে কথা হবে না। এটা নিয়েই কথা হবে। কেন ওদের পাল্লাটা সমান না, এটা নিয়ে আগে বসো। ইসলাম যেটা বলেছে, ওটুকুই হিউম্যানিজম, তার বাইরেরটুকু ব্যবসা। ইসলাম যেটুকু বলেছে ওটুকুই নারীশিক্ষা-নারীপ্রগতি। তার বাইরেরটুকু পুঁজিবাদের মুনাফা। ব্যস। এটুকু অন্তরে বসানোর জন্যই এত বড় বড় সটেটাস।

 

দ্রষ্টব্যঃ কার্টেসি দেওয়ার কিছু নেই। এটা আমার রিয়েল আইডির লেখা পোস্ট। নাকি বলেন Shamsul Arefin Shakti ভাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার মা মূলত একটা দেওবন্দি বেরেলভি চিন্তার মাঝামাঝি একটা চিন্তাধারায় বেড়ে উঠেন। এখন তাকে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ এর বই পুস্তক কিনে দিয়েছি। ব্যাক্তিগতভাবে আমি শাইখকে প্রচন্ড পছন্দ করি। কিন্তু শাইখের সালাফি চিন্তাধারা কিছু জায়গায় আমাকে বেশ ঝামেলায় ফেলেছে। যেমন ধরেন শাইখ নাকি বলেছেন দুয়া শেষে কালিমা পড়ার রীতি সুন্নাহসম্মত না তাই ঠিকনা টাইপ কিছু একটা। এটা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার ব্যাক্তিগত রীতিতে বেশ মুশকিল। এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। আর আমি তাবিল করতে করতে অস্থির। ভাবছি সিলেবাস আরেকটু সফট করব। আসলে আমলি জায়গায় বিদয়াত নিয়ে আমি বেশ ফ্লেক্সিবল। কাকে দিয়ে শাইখকে রিপ্লেস করা যায় ভাবছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা মূলধারা ইমরান খানকে পছন্দ করে কেন?

 

তারা কি জানে, মাওলানা ফজলুর রহমান দিনেরাতে তাকে কতবার ইয়াহুদী নাসারার এজেন্ট বলে?

 

আজব ব্যাপার, মূলধারার ইজতিহাদগুলোতে ভ্যারিয়েশন হিউজ। কারও কাছে খলিফাতুল মুসলিমিন এরদোয়ান এর ওয়্যালি কারও কাছে ইহুদি নাসারার এজেন্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অসৎ হক্কানী(,সহীহ্) অপেক্ষা সৎ বিদআতী ভালো!

 

মেরে দিলাম

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাঙালি এক মূর্খ জাতী। হুজুররা ভিন গ্রহের প্রানী নয়। তারাও এই জাতির। তারা উপর তারা একই সাথে ক্যাথলিক পাদ্রী, ইসলামি বাহ্মন। এরা সকাল সন্ধ্যা মিথ্যা কথা বলে, সত্যের সাথে ইচ্ছামত মেশায়, কোন প্রমান ছাড়াই কেবল দলবাজির ভিত্তিতে যা ইচ্ছা তাই বলে। বাপ মরলে দাফনের পরিবর্তে লাস নিয়ে বানিজ্য করা ধান্ধা করে। কি করবে? ছোট লোক। সংসারতো চালাতে হবে। বাপতো ফিরে আসবেনা। এই ছোট লোকের জাত জল ঘোলা করে একটা গ্যাং কালচারে নিজেদের আধিপত্য এবং সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এদের সাথে আমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের ইনসাফের পাল্লার ওজনে তেমন সিগনিফিকেন্ট পার্থক্য নাই। বিভিন্ন জায়গায় খোজ পাচ্ছি সাআদ গ্রুপকে মসজিদ থেকে বের করে এখন সংসার থেকে বের করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে। অনেক জায়গায় চটে মুফতিরা ফতোয়া দিচ্ছে। তারা জেনেরিক ফতোয়া আর স্পেসিফিক প্রয়োগের পার্থক্য বোঝেনা। এজন্য কোথাও কোথাও শ্বশুররা নাকি মেয়ে ফেরত চাচ্ছেন। আজ আবার দেখলাম তাকি উসমানি নিয়ে। পাকিস্তানি পত্রিকাগুলো দেখলাম কোন সন্দেহভাজনের নাম বলেনি। কিন্তু মাওলানা মাসুদ উগ্রপন্থীদের দায়ী করেছেন। তিনি করতেই পারেন। তার ব্যাপারে জাহেরি শরিয়তে কোন আলোচনা ছেড়ে দিয়েছি। তাকে অনেক শক্ত তাবিল করে আমি সমর্থন করি। কিন্তু অবাক হয়েছি অনেক ইমরান খান ভক্ত দেওবন্দিও বিশেষ গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু কেউ কোন প্রমান বা নিউজ লিঙ্ক তাদের মতের পক্ষে দিতে দেখিনি। যখন তাকি উসমানির মতো মহান আলিম আক্রান্ত, একজন আলিমসহ দুইজন মুসলমান শহীদ তখন তারা বাঙালি ছোটলোকি ঐতিহ্যে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এসব ব্যবহার করতে থাকে। ২১ শে আগস্টের ঘটনার সময় এরা বিএনপির তাবেদার ছিল। তখন এরাই বলতো শেখ হাসিনা নাকি নিজেই সেই নাটক করেছেন। যাইহোক এই রামছাগলগুলো কোন যুক্তিযুক্তিতর্ক, একাডেমিয়া কিছু বোঝেনা। বর্তমান প্রজন্ম বুঝবে তা মনেও হয়না। তা না হলে তারা অন্য যে কারও আগে ইমরান খানের দিকে আঙুল তুলতো। কেন মহাশক্তিধর পাকিস্তানি গোয়েন্দারা মাওলানা সামিউল হকের খুনিদের ধরতে পারল না?

 

অবশ্য এসবের বড় কারণ হচ্ছে বাঙালি খাদ্যাভ্যাস। ইবনে খালেদুন বলেছেন জাতীয় চরিত্রের সাথে খাদ্যাভ্যাসের সম্পর্ক আছে। আমার মনে হয় আমরা ভাত ছেড়ে রুটি খাওয়া ধরতে পারলে সমস্যার কিছু উন্নতি হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সামনে মুসলমানদের যথেষ্ট খারাপ দিন আছে মনে হচ্ছে।

 

আমি না জেনে কোন মন্তব্য করতে পারিনা। কিন্তু সার্বিক অবস্থায় বেনিফিশিয়ারি এবং পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা বিবেচনা নিলে র এই হামলায় জড়িত থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। কারন পুলওয়ারা ইস্যুর পর তাকি উসমানিকে হত্যায় সফল হলে পাকিস্তানের ভেতরে অস্থিরতা বাধানোর জন্য এটা খুব কার্যকরি পদক্ষেপ হতে পারতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কোন সাআদপন্থী আলিমদের ঘৃনা করলেও ইলমের কারনে করেনা। তারাও মূলধারার মতো মাসলাকবাজি আর দলবাজির কারণে আলিমদের প্রতি বিদ্বেষ লালন করে। তাদের মতে সাআদ সাহেব অনেক বড় আলিম। ফলে এখানে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে উলামাবিদ্বেষ এর সাথে তাকফির প্রসঙ্গ টেনে এনে তাদের সংসারের ব্যাপারে মানে তাদের বিয়ে ফাসেদ নিয়ে কথা বলা ভয়ঙ্কর রকমের কু-উদ্দেশ্য প্রনোদিত শয়তানি। যেকোন রকম র‍্যাডীকেলিজম বা চরমপন্থাকে অবশ্যই এদেশে প্রতিহত করতে হবে। এগুলোকে টেনে যারা তাকফিরের আলোচনা তোলে তাদের শব্দগুলো সত্য হলেও উদ্দেশ্য চূড়ান্ত অসৎ।

 

কমিউনিস্টদের আকিদা নিয়ে যে শালা মূলধারা প্রশ্ন তুলবে তাকে জাস্ট মেন্টাল এসাইলামে পাঠাতে হবে। কিন্তু কমিউনিস্ট, আল্ট্রা সেক্যুলারদের বিয়ে নিয়ে এই মূল ধারাকে কোনদিন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়নি। এই মূলধারা কোনদিন আকিদা এবং তাকফির নিয়ে আলোচনা করেনা। সত্যি বলতে মূলধারার জমহূর আলেমগন আকিদা বলতে কিছু স্লোগানের বাইরে কিছু বোঝেও না। নিজেরা আলিম দাবি করলেও এরা অধীকাংশই চূড়ান্ত জাহিল। এই রামছাগলগুলো জানেও না যে দাওড়া পাশ করলে কেউ আলেম হয়না। আলেম হওয়ার পথ তৈরি হয়।

 

যাইহোক মূলকথা মুসলিম নারীদের স্বামীর সাথে সম্পর্ক অনন্য ধরনের। এই সম্পর্ক শারীরিক, মানুষিক, আধ্যাত্মিক। এখানে এইসব উদ্ভট তাকফির তত্ব আলোচনা করে যারা দীনদার নারীদের সাথে স্বামীদের মধ্যে পারিবারিক সংকট তৈরি করার পায়তারা করছে তাদেরকে তামকিন থাকলে তাযির বাবত ২৫ টা কাঁচা কঞ্চির বাড়ি দিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এলোমেলো সমালোচনা যেই করুক, বিরক্তিকর। এতে রেষারেষির জন্ম দেয়। কাজের কাজ হয়না।

 

আমরা জিহাদ মানি কিন্তু আমাদের মাদ্রাসায় জিহাদ চলবেনা। এই কথায় খারাপ কি আছে বুঝিনি। মাদ্রাসায় কি জিহাদ করা সম্ভব? জিহাদের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব? জিহাদের রিক্রুটমেন্ট এর জন্য দাওয়াত দেওয়া সম্ভব?

 

যদি দরসের সময় সঠিক পাঠ না দেওয়া হয়, মিথ্যাচার করা হয়, তাহরিফ করা হয় সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু মাদ্রাসাগুলো কোন পরিচ্ছন্ন প্রতিদন্দ্বিতার সম্ভাবনা ছাড়া কেন নিজের অস্তিত্ব ধ্বংস করবে? ফতোয়ায়ে আলমগীরী জিহাদ অধ্যায়ের শুরুটা পড়েন। কোন ফকিহ শক্তিকে ওযর হিসাবে মানেননি এমন নেই।

 

সমালোচনা হোন সুনির্দিষ্ট। যেটুকু ভুল সেটুকু। আবারও বলছি, অনেকটা ইয়াসির কাদির ভাষায়, নিরপেক্ষ বা নিস্ক্রিয় বিরোধীদের শক্ত বিরোধী বানানো আপনাদের দুনিয়া অথবা আখিরাত কোন ক্ষেত্রেই সম্ভবত উপকারী হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উলামায়ে কেরামের সমীপে আমার নিবেদন।

 

আমি উলামায়ে দেওবন্দকে ভালবাসি। তাবলিগের মেহেনত ছাড়া কোন দল কখনো করিনি। উলামায়ে দেওবন্দের স্নেহ সব সময় পেয়েছি। আপনাদের অধিকাংশ চিন্তার সাথে আমার মৌলিক কোন মতপার্থক্য নেই। আমি এব্যাপারেও একমত যে মাদ্রাসার এমন কোন কাজে জড়ানো উচিৎ না যা তাদের অস্তিত্বের জন্য সংকট তৈরি করবে।

 

কিন্তু এখন অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগ। এই যুগে আপনি কোন কিছু ধামাচাপা দিয়ে রাখতে পারবেননা। আমি অনেকবার সরাসরি বলেছি এদেশে যেকোন কাজ যা রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে তা থেকে দূরে থাকা উচিৎ। শাসকদের সাথে বিবাদে জড়ানো অনুচিত। তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষার জন্য ফরিদ উদ্দিন মাসুদ সাহেবকে ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু গোঁজামিল দিয়ে এসব সম্ভব না। মিথ্যা বলেও না। সোজাসাপটা বলে দিন, তোমরা যা চাচ্ছ তা করার সামর্থ্য আমাদের নাই। এই অপারগতা এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিন। তাহলে দিনের সংরক্ষণ হবে আবার ঝামেলাকে যুক্তিপূর্ণ উপায়ে মোকাবেলার পথ বের হবে।

 

আপনাদের গালাগালি করি, ভালবেসে করি। আপনাদের কল্যাণ চাই বলে করি। গোঁজামিল দিয়ে ডির‍্যাডিকেলাইজেশন হবেনা।

 

আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুবই আইন মেনে চলা নাগরিক। আমি কাউকে আইন ভেঙে বিয়েও করতে বলিনা। আমি বলি ভাই সিরিয়াসলি ট্রাই কর। এখন যে হালত ২১ বছরে বিয়ে করতে পারলে সেটাও গনিমত।

 

আমি যেকোনো রকমের রোমান্টিসিজমের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই রোমান্টিকতা মোকাবেলার পথ কি? সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া এটা রোমান্টিকতা। কিন্তু আপনি যখন এক জায়গায় গোঁজামিল দিবেন তখন সেই বিষয়টা নিয়ে আপনার ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করা হবে। তারপর আর আপনার ছাত্ররাও আপনার থাকবেনা।

 

অনেক কটু কথা বলি। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বলি। মুফতি শফি রহ এর ভাষায়, সুফিয়ানে কেরাম উল্টো ভাঁজ দেন সোজা ভাঁজ সোজা করতে। কিন্তু আল্লাহ জানেন আপনাদের চেয়ে বেশি ভালো আর কাউকে বাসিনা। আপনাদের সমস্যা আমার সমস্যা। আপনাদের সম্ভাবনা আমার সুখ। আর কটু কথায় কেউ কষ্ট পেলে মাফ করে দিবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লেখাটা পড়লাম। অত্যন্ত আবেগি লেখা। কিন্তু আবেগে লেখার মূল টপিক হারিয়ে গিয়েছে। বরং বলবো আবেগে তাঁকে সম্মানের পরিবর্তে অসম্মান করা হয়েছে। এটা এক মজার ব্যাপার। খ্রিস্টান, শিয়ারা যেকাজটা করে আরকি। ভালবেসে ক্ষতি করা। সাইদ রমাদান অনেক বড় আলিম। সন্দেহ নেই। কিন্তু এতো রেটরিকের ফাঁকে তাঁর চিন্তা নিয়ে তেমন কিছু নাই। তাঁর জীবন ও কর্মও রেটরিকের তুলনায় খুব হালকা। এভাবেই আমাদের অঙ্গনে ছেলে একাডেমিক রচনা স্টাইল থেকে অনেক পেছনে। আমি ভাইটিকে দাওয়াত দিব সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ) এর রচনা শৈলি থেকে শেখার জন্য।

 

আমরা আকাবিরদের ভালবাসি তাদের ভুলগুলোকে না। যেমন আমার বাবাকে ভালবাসার মানে তার শরীরে বাসা বাঁধা রোগ বা রোগজীবানুগুলোকে ভালবাসা না। যদিও সেগুলো তাঁর শরীরের অংশ হয়ে গিয়েছে। আমি মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদকে ইলমি খন্ডনের পক্ষে। মাওলানা সাআদ সাহেবকেও। কিন্তু তাদের উপর যেকোনো শারীরিক আক্রমনের তীব্র নিন্দা জানাই। সাইদ রমাদান বুতির ব্যাপারে তাঁকে হত্যার উপযুক্ততার ব্যাপারে সন্দিহান। আমি পুরোটা জানিনা যুদ্ধে তাঁর সংযুক্ততা কোন পর্যায়ের ছিল। তবে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত আপত্তিকর ছিল সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই কলঙ্কের জন্য তাঁর সারা জীবনের অবদানকে অস্বীকার করতে হবে তার কোন মানে নাই।

 

কোন মানুষকে বাশার এবং তার বাবা আসাদের মতো নিকৃষ্ট নুসাইরি কাফিরের সম্মান করা কিভাবে তাঁর মর্যাদার ব্যাপার হতে পারে বুঝিনি। নুসাইরিরা সুন্নিতো বটে এমনকি ইশনা আশারিয়া শিয়াদের মতেও কাফির। ফলে ইসলামি আকায়েদ ও ফিকহ অনুযায়ী (তাঁর ইজতিহাদি অভিমত) মুসলমান শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ অবৈধ মেনে নিলেও তিনি বাশার, আসাদ বা আলী বিন সুলায়মানকে তিনি সমর্থন করতে পারেননা।

 

আল্লাহ আমাদের আবেগকে ইনসাফ শিক্ষা দেওয়ার তৌফিক দান করুক।

 

আল্লাহ এই মহান আলিমকে ক্ষমা করুন। তাঁর ভুল ত্রুটি মাফ করুন।

 

আমিন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলী হাসান ওসামা ভাইয়ের প্রশ্ন

 

১) ভারতবর্ষে প্রায় ৭০০/৮০০ বছর কি ইসলামি শাসন ছিল নাকি মুসলমানদের শাসন ছিল? এই গণনাকৃত মেয়াদের মধ্যে তো সম্রাট আকবরের মতো আলাদা ধর্ম প্রণেতারও কয়েক যুগের শাসন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেটাকে কি মুসলমানদের শাসন বলা যায়? এই ৭০০/৮০০ বছর কি হদ-কিসাস, কিতাল ও ইসলামি বিচারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা জারি ছিল? অমুসলিমদের থেকে কি জিযয়া নেওয়া হতো? এত দীর্ঘকাল শাসন করার পরও এটা হিন্দুস্তানই বা কীভাবে রয়ে গেল!

 

উত্তরঃ ভারত বলতে আমরা কি বুঝি। সিন্ধু উমাইয়াদের যুগে মুসলমানদের দখলে এসেছে। সেখানে তখন পূর্ন শরিয়া প্রতিষ্ঠিত ছিল। দিল্লি দখল হয়েছে মুহাম্মদ ঘোরির মাধ্যমে। তিনি ১১৯২ সালে দিল্লিতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তারা আব্বাসি খেলাফতের অধীনে ওয়ালিয়্যে আম হিসাবে শাসন চালাতেন। অর্থাৎ এখানে ওয়ালি সার্বিকভাবে সালাত, জিহাদ এবং জিজিয়া, খারাজের কর্তৃত্ব লাভ করেন। এমন শাসনের ইজাজাহ দেওয়ার সুন্নাহ রাসুলুল্লাহ এর দ্বারাও ছিল। সম্ভবত ইয়ামেনে আলী (রা) এর ঊলায়্যাত তেমন ছিল। ফলে দূরবর্তী অঞ্চলে তারা কার্যত স্বাধীন ছিলেন। কিন্তু আধ্যাতিক বায়াত ছিল। এজন্য আমরা দেখি মুহাম্মদ বিন তুঘলক আব্বাসি খেলাফত ধ্বংস হলে হানাফি মাযহাব অনুযায়ী জুমার নামায স্থগিত করেন। (সূত্রঃ গোলাম আহমদ মর্তুজা) ভারত বর্ষ মোঘলদের আগে কঠোর হানাফি আইন শাসিত দেশ ছিল। লোদিরা ধর্মভীরু ও কট্টর হানাফি ছিল। (সূত্রঃ তারিখে দাওয়াত ওয়াল আযিমাত ৪র্থ খন্ড) আকবর প্রথম জিজিয়া তুলে দেয়। বাদশাহ আওরঙ্গজেব আলমগীর আবার জিজিয়া আরোপ করেন। এই সময় বাদ দিলে কিতাল, হদ, জিজিয়া সবই ছিল। তবে আওরঙ্গজেব আলমগীরের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাদশাহ আকবরের আগের সেই শান শওকত ফেরত আসেনি। (এই তথ্যও সম্ভবত নদভী রহ এর কোন লেখায় পেয়েছি)। ভারতবর্ষে এতোদিন শাসন করেও এতো অমুসলিম থাকার বেশ কিছু কারণ আছে।

 

১) হানাফি মাযহাব অনুযায়ী জিজিয়া নেওয়া। মজার ব্যাপার হানাফি মাযহাব আসার আগে সিন্ধু অঞ্চল বিজিত হয়েছিল। সেখানে প্রায় সবাই মুসলিম। জিজিয়া না নিয়ে প্রথম থেকে ইসলাম এর ব্যাপারে জোড় দিলে পরবর্তী পতনযুগের সমস্যা নাও হতে পারতো

 

২) এখানে অধীকাংশ ক্ষেত্রে যেসকল শাসক, আলিম এবং দাঈরা এসেছেন তারা সাধারণত তুলনামূলক অন্য ভূখণ্ডের আলিমদের চেয়ে কম যোগ্য ছিলেন। বিশেষত প্রথম যুগে। যারা মূল ভূখণ্ডে প্রতিদন্দ্বিতায় টিকতে পারতেননা তারাই এখানে আসতেন। আর তখনকার ভৌগোলিক দূরত্ব ও টেকনোলজিক্যাল লিমিটেশন মূল ভূখণ্ডের যোগ্যতা অর্জনের প্রতিবন্ধক ছিল।

 

৩) এদেশে শাসকরা দাওয়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগী ছিলেননা। বিজয় ও দাওয়াত সমান গুরুত্ব পাওয়া দরকার ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত দাওয়াত ছাড়া বিশাল ভারত জয়ের ফলে পুরো ভারতীয় সাম্রাজ্যের দখল ধরে রাখতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের সাথে অনেক আপোষ করতে হয়েছে।

 

৪) ইরান, তুরস্ক ও মাওরাউন্নাহার এর মুসলমানরা এদেশে জমা হয়। তারা যেমন পরস্পরকে সহায়তা করেছে তেমন তাদের আসাবিয়্যাহ প্রচুর গ্রুপিং ও অন্তর্দন্দ্বের কারণ হয়েছে। যা হিন্দুদের সুবিধা দিয়েছে। কারণ একদিকে তাদের সাথে জোট করে দলভারী করা, অন্যদিকে মুসলমানদের শক্তি ক্ষয় ভাল পরিনতি ডেকে আনেনি।

 

৫) মূল আরব ভূখণ্ড থেকে দূরে সঠিক আকিদা বিশ্বাসের অভাব মুসলমানদের মধ্যে, আল ওয়ালা ওয়াল বারার ধারণা পরিচ্ছন্ন না হওয়া দাওয়াতের জন্য ক্ষতিকর ছিল।

 

৬) মুসলমানরা এখানে কুরআন সুন্নাহর অনুবাদ করতে ব্যার্থ হওয়ায় বড় ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য প্রথম ফারসিতে কুরআন অনুবাদ করেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ্। হাদিসের অনুবাদও তার আগে হয়নি। আবার ফারসি ছিল রাজভাষা। স্থানীয় জনতার ভাষায় কাজ হতে অনেক সময় লেগেছে। অন্যদিকে যেসকল স্থানীয় ভাষায় রামায়ণ মহাভারত নিষিদ্ধ ছিল সেসকল ভাষায় মুসলিম শাসকদের অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় রামায়ণ মহাভারত অনুদিত হয়। ফলে স্থানীয় জনতা নিজেদের ধর্মের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে সক্ষম হয়।

 

৭) মুসলিম শাসকরা মুসলিম সমাজকে আশরাফ আতরাফে ভাগ করে রাখেন। বিদেশ থেকে আশা মুসলমানরা ছিল আশরাফ আর দেশিরা আতরাফ। অনেক আলিমও এব্যাপারে সমর্থন দেন। যেমন খুব সম্ভবত বিখ্যাত আলিম কাজি জিয়াউদ্দিন বারানি বলেন, স্থানীয় মুসলমানরা জরুরাতে দীন শিখবে কিন্তু শাসনতান্ত্রিক বিষয় শিখবে বিদেশি আশরাফ মুসলমানরা।

 

৮) শাসনতান্ত্রিক কাজে স্থানীয় হিন্দু উচ্চ বর্ণের প্রতি অতিনির্ভরতা। দেখা গিয়েছে, সম্রাট মুসলিম হলেও স্থানীয় রাজা, জমিদার হিন্দু ছিলেন। তারা এটুকু উপকার করেছেন যে, মুসলিম সুফিদের এবং আলিমদের লাখেরাজ সম্পদ দিতেন। যার আমদানি দিয়ে তারা দাওয়াতি কাজ করতেন। কিন্তু এই পৃষ্ঠপোষকতা ছিল অপ্রতুল।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহ সাক্ষী আমার জীবনে এক সেকেন্ডের জন্য মাওলানা সাআদ সাহেবের এতায়াতের আকাঙখা যাগেনি। মাওলানা সাআদ সাহেব ইস্যুতে মাওলানা হারুন ইযহারের বক্তব্যের সাথে আমি প্রতি বর্ণে একমত। শরয়ান, আকলান, উরফান তার এতায়াতের দায় আমাদের নাই।

 

কিন্তু আমি অন্তর থেকে এটাও বিশ্বাস করি মূলধারা এজন্য তার বিরোধীতা করেনা যে তার বিভ্রান্তিগুলো মারাত্মক। বরং তারা এজন্য বিরোধিতা করে যে মাওলানা সাআদ তাদের সিন্ডিকেট ভেঙে বেড়িয়ে গিয়েছেন, তাদের আকাবিরেরা তার পেছনে লেগেছে

 

অবশ্য আমাদের দেশে পিরের চেয়ে মুরিদ জবর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় - আলে সাউদের দখলে

আল আযহার - ফেরাউনের দখলে

দারুল উলুম - অন্তত প্রত্যক্ষ দখলহীন

 

এজন্যই দারুল উলুম সুন্নি ইলমের মারকাযগুলোর ভেতর বিশেষ মর্যাদার অধীকারি।

 

যদিও যুগের হাওয়া, প্রবল হিন্দুত্ব আর মডারেট বাতাস তাদের গায়েও লাগতে শুরু হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কওমী মাদ্রাসার ছেলেদের আল আযহারে পাঠানোর ব্যাপারে সতর্ক হন। অনেকেই সেখানে গিয়ে মডারেট হয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি কি জানেন অধিকাংশ মাদ্রাসার মূলধারা মানে মানে মুহাতামিম এরদোয়ানের মতো দুর্নীতিবাজ, সিসির মতো স্বৈরাচারী, বিন সালমানের মতো তাবেদার।

 

তাই আসুন মূলধারার বিরুদ্ধে চরমোনাই, সাদিয়ানি, জামাতি, মানহাযি সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে তুলি। এই ঐক্যের সবচেয়ে বড় সুবিধা পরস্পরকেও চিমটা চিমটি করা যাবে। তাছাড়া কাউকে আমির মানতে হবেনা। যুগপৎ আন্দোলন আর কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংগ্রামী ভাই ও বন্ধুগন, আপনারা জানেন আমি বর্তমানে মূলধারা বিরোধী জিহাদে সংগ্রামী ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। এই লড়াই সত্য ও ন্যায়ের। এই লড়াই আকাবির পূজার বিপরীতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার, এই লড়াই ধান্দাবাজদের বিরুদ্ধে মুখলিসদের ক্ষমতায়নের, এই লড়াই দলবাজদের বিরুদ্ধে দলিলবাজদের লড়াই। সংগ্রামী সাথিরা এই লড়াইয়ে আপনাদের অকুন্ঠ সমর্থনে আমি অভিভূত। আপনাদের ভালবাসা এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান চাবিকাঠি।

 

প্রিয় বন্ধু যেকোন লড়াইয়ে শত্রু চিহ্নিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যে আমাদের মূলধারা বিরোধী হক্কানি, নফসি, কলমি, ফেসবুকি জিহাদ তা সফল করতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে মূল ধারা কারা? মূলধারার সংগায়ন অর্থাৎ মূলধারা চিহ্নিত করা আমাদের লড়াইয়ে অর্ধেক কাজ এগিয়ে দিবে।

 

প্রিয় লড়াকু ফেসবুক মুজাহিদগন, আমি সারাজীবন যা দেখেছি তাতে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে মূলধারার দুইটি পিলার আছে। এই দুই পিলারই মূলধারার ভিত্তি। এখানেই মূলধারার রুহ। এই শালাদের দুর্বল করা গেলে মূলধারার অবস্থা ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যাবে। এরা হচ্ছে

 

১) মাদ্রাসা কমিটি ( এরা যেহেতু আলিম না এবং এলাকার পলিটিক্যাল ও মাতব্বর গোষ্ঠীরা হয়ে থাকে তাই এরা হচ্ছে মূলধারার সবচেয়ে জাউরা পিলার। এক একটা মানুষ না আস্ত শুয়োরের বাচ্চা)

 

২) মুহাতামিম (এই শালা বদ ভাল হলে বাইরের কমিটি অনেকক্ষেত্রে তেমন শয়তানি করার সুযোগ থাকেনা কিন্তু এরা আলিম হলেও বিভিন্ন ধান্দাবাজির সাথে জড়িত হওয়ায় প্রথম গ্রুপের আকাম কুকামে সহায়তা করে। জমহুর মুহাতামিমের অর্থনৈতিক চরিত্রে বড় সমস্যা আছে।)

 

দুইটা কাজ করা গেলে মূলধারাকে ল্যাংড়া লুলা বানিয়ে ফেলা যেত।

 

১) মূলধারার দুই ঠিকাদার গ্রুপ মানে কমিটি আর মুহাতামিমের কোন অর্থনৈতিক ক্ষমতা থাকবেনা।

 

২) মাদ্রাসাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টগুলো একই পরিবার দখল করতে পারবেনা। আল্লামা আহমদ শফি (দাবা) মুহাতামিম হলে তার ছেলে কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকতে পারবেনা)

 

শালার মূলধারাকে যদি এই দুইটা শর্ত দিয়ে বাধতে পারেন এরা এক্কেবারে লুলা হয়ে যেত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পত্রিকাগুলোর তলদেশে কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে লোকে এরদোয়ানের ধোকাবাজি ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে। আজ দুইটা নিউজের কমেন্ট পড়ে দেখলাম অনেকেই তাকে চাপাবাজ বলছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজব ব্যাপার এরদোয়ান নিয়ে সমালোচনা করলাম আমাকে টেম্পোরারিলি ব্লক করল। মা তুলে গালাগালি করলাম হিদায়াহ- Hidayah গ্রুপে ব্লক খুলে দিল।

 

শালারা মানুষ না মূলধারা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খালেদা জিয়া, নাওয়াজ শরিফ অসুস্থ্য এবং জেলখানায়।

 

কেমন সুখ সুখ অনুভব করছি। তাদের গাদ্দারির বিরুদ্ধে আমার রবের প্রতিশোধের মত লাগছে। তবে মারা যাবার আগে তারা মুসলমান হলে ভাল লাগতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এরদোয়ানের নাটক এমনিতেই বিরক্তিকর। তার উপর কাজের কাজ না করে ভোটের জন্য বাটপারি করে গপ্পে হাতী ঘোড়া মেরে তুরস্কের ক্ষতি করাটা আরও জঘন্য ব্যাপার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকেরই প্রশ্ন আমি কেন মূল ধারাকে দেখতে পারিনা?

 

উত্তরঃ কারণ মূলধারা প্রচুর মিথ্যা কথা বলে, সত্য মিথ্যা মিশিয়ে কথা বলে, গুরুত্বের অগ্রাধিকার বোঝেনা এবং চূড়ান্ত মাসলাকি আসাবিয়্যাহয় আক্রান্ত। এই বদ খাসলতগুলো কিন্তু নতুন না। এদেশে এসব কুখাসলত কওমী আঙিনায় প্রবেশ শুরু হয়েছে অন্তত প্রায় ৪০ বছর ধরে। তবে আগে তারা ছিল বিচ্ছিন্ন ধারা। আর এখন এইসব কুত্তাগুলা হয়েছে মূল ধারার ঠিকাদার, হক্কানির ডিলার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে চ্যাংড়া প্যাংড়া পোলাপান যখন আমাদের জজবাতি আর উলামায়ে দেওবন্দের ইতিহাস শেখাতে আসে তখন কেমন লাগে বলেন দেখি।

 

কথাটা জজবাতি ননজজবাতি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মূলধারা ভাইদের কাছে একটা প্রশ্ন?

 

কিতাবুল জিহাদ

লেখকঃ ইবনে মুবারক

অনুবাদঃ মারকাযুদ্দাওয়া

 

অসাধারণ একটা বই। ইবনে মুবারক কোন বিচ্ছিন্ন চিন্তার মানুষ না। আবু হানিফার ছাত্র, ইমাম বুখারির উস্তাদ। খলিফা হারুনুর রশিদের যুগে শ্রেষ্ঠ আলিমদের একজন। আহলে সুন্নাহর সকল মাসলাকের কাছে তিনি গ্রহনযোগ্য।

 

বইটি আর পুনর্মুদ্রণ হয়না কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা আমাকে পক্ষে বা বিপক্ষে ভাবেন তাদের ভাবাতে আপত্তি নাই। কিন্তু আমার কাছে কোন কিছু প্রত্যাশা না করার অনুরোধ করছি। বিরুদ্ধে যারা ভাবেন তাদের নিয়ে সমস্যা কম। বিরুদ্ধে লিখলে ভাবে যে বিরোধীরা বিরুদ্ধে লিখবেই। কিন্তু মুশকিল হয় যারা আমাকে পক্ষে ভাবেন তাদের নিয়ে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এসে এমন ভাব করেন, ভাই আপনার কাছে আশা করিনি।

 

আমার চিন্তা ভাবনাগুলো এখানে লিখি। ইলেকশান করবনা যে আপনার আশা মেটাতে হবে। ভালো না লাগলে লাইখ শেয়ার কমেন্ট করবেননা। আরও খারাপ লাগলে আনফ্রেন্ড করুন। আরও খারাপ লাগলে ব্লক করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রথমত হাইয়াতুল উলায়ার সদস্য আনাস মাদানি হয়েছেন কিভাবে? তিনি বড়? কত বড়? তার বয়স ঠিক কত? তিনিতো বললেন তিনি হারুন ইযহারের জুনিয়র।

 

 

লালখান বাজার মাদ্রাসাকে কেন হাইয়াতুল উলায়াহর সাথে যেতেই হবে বুঝতে পারছি না। এটা কি সনদের স্বীকৃতির জন্য?

 

সনদ ছাড়া কওমি উলামায়ে কেরামতো শত বছর চলেছেন, এটা কি এখন অত্যাবশ্যক?

 

অবশ্য আনাস মাদানি দাবি করেছেন, তার মাদ্রাসার ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে পারবেন।

 

ব্যাপারটা বুঝতে চাইছি। এটা কোন আবেগি বা সমালোচনামূলক পোস্ট না। লালখান সম্পর্কে জানেন এমন কেউ বুঝিয়ে বললে ভাল হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জিহাদী কিছু ছেলে আছে যারা একটু বেয়াদব টাইপের হয়ে থাকে। ওরা মনে করে যে, ওরা আর ওদের জিহাদী শাইখরাই শুধুমাত্র মুসলমান। আর বাকিরা সব কাফের। সুতরাং কাফেরের সাথে যেমন তেমন আচরন করা যায়। তাই হুজুরদের সাথে যেমন তেমন আচরন করে। যখন তখন বেয়াদবী করে বসে। অথচ বেয়াদব কখনো কোন কাজে লাগেনা। জিহাদের সব চেয়ে বড় হলো চেইন অব কমান্ড। যে চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখতে পারবেনা সে তো জিহাদ করতেই পারবেনা। তাকে দিয়ে জিহাদ হবে না। ফিতনা হবে।

 

হুজুররা মাদরাসা পরিচালনা করে তারা কত কষ্ট করে মাদরাসা পরিচালনা করে তা ছাত্ররা কিভাবে বুঝবে। মাদরাসার কাজ শুধু মাত্র তা’লিম দেওয়া। মাদরাসা তো আর জিহাদের প্রশিক্ষনের জন্য খোলা হয়নি। দেওবন্দ যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন উদ্দেশ্য ছিলো মুজাহিদ তৈরী করা। মুজাহিদ তৈরী মানে এই নয় যে, মাদরাসার মাধ্যেই জিহাদের প্রশিক্ষন, জিহাদী বায়ান দিতে হবে। মন মানষিকতা দ্বীনের প্রতি দরদী বানিয়ে দেওয়া যার মাধ্যমে অটোমেটিকলি সে জিহাদের প্রতি উদ্ভোদ্ধ হবে।

 

এখন যে অবস্থা তাতে তো সরকার বা বিদেশী সরকারগুলো মাদরাসা বন্ধ করে দিবে। ফলাফল তো আরো খারাপ হবে। মানুষ দ্বীন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। তখন জিহাদ করার জন্য তো লোকই খুজে পাওয়া যাবেনা। কোন হুজুরই জিহাদ করতে না করেনা। তবে সেটা মাদরাসায় করতে না করে । তোমার জিহাদ করতে মন চায় তুমি ময়দানে গিয়ে করো। তোমার এলাকায় গিয়ে করো। আমরা তো এলাকায় জিহাদ করার জন্য লোকই খুজে পাইনা। অথচ বড় বড় মাদরাসায় গিয়ে মাদরাসার ব্যবস্থাপনাকে বিপদে ফেলার জন্য জিহাদে জযবা একেবারে তাল গাছে গিয়ে উঠে।

 

তোমার শক্তি আছে সেটা তুমি কাজে লাগাও জিহাদের কাজে। তুমি আকাইম্মা শক্তি নষ্ট কেন করবে। কিছু করে জেলে গিয়ে নাক ডেকে ঘুমাবে আর প্রমাণ করবে যে, তুমি জিহাদী। এখন যেহুতু জিহাদের অবস্তা তৈরী হয়নি বা প্রস্তুতি ছলছে তাহলে সে কাজে মেহনত কর। যতদিন জেলে থাকবে ততদিন যদি তুমি এক একটা মানুষের পিছনে আদাবের সাথে জিহাদের দাওয়াতের মেহনত করে জিহাদী জযবা তৈরী করতে পারো তোমার তো আরো বেশী ফায়দা হবে। ইসলামের ফায়দা। সাধারন মানুষ তো বিজাতীয় সংবাদ দ্বারা জিহাদ বিরোধী অবস্থানে আছে তাদের পিছনে মেহনত করো। একজন সেনা অফিসারের পিছনে মেহনত করো। একজন মন্ত্রীর পিছনে মেহনত কর। একজন মন্ত্রী এমপি জিহাদে যত কাজে আসবে আমার তোমার পুরো জীবনও এত সার্ভিস দিতে পারবেনা।

 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাল্লাম টার্গেট করে করে কাজ করতেন। যাকে দিযে ইসলামের বেশী উপকার হবে তার পিছনে মেহনত বেশী করতেন। একারনেই তিনি হযরত ওমরের রা. জন্য দোআ করেছেন। হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ রা.কে লোভ দেখিয়েছেন।তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির পর ওমরার সময় বলেছেন: খালেদ বুদ্ধিমান লোক সে যদি আমাদের সাথে আসে আমরা তাকে উচ্চ মর্যাদার আসনে দিতাম। অথচ এই খালেদ বিন ওয়ালিদ রা. তখনো ইসলামের ঘোর শত্রু ছিলেন। মুসলমানদেরকে মারার জন্য সুজোগ খুজতেন। এর কিছুদিন পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করে নেন। তারপরে ইতিহাস তো সবাই জানে।

 

আমি নিজেই জিহাদের পক্ষে অনেক বয়ান করি, অনেক তাশকিল করি। কিন্ত আমি সবচেয়ে বেয়াদবির শিকার হয়েছি এই সকল নামদারী জযবাদারী মুজাহিদদের দ্বারা। এরা এত পরিমান বেয়াদব ও মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে যেটা বলে শেষ করা যাবেনা। এক ছাত্রকে অফিস রুমে নিয়ে মুহতামিম সাহেব বেয়াদবীর কারনে মারলো সে এটাকে হাইলাইট করার জন্য নিজের মাথাকে দেয়ালের সাথে টাক সাউন্ড করে লাগাতে শুরু করে যাতে ছাত্ররা মনে করে যে, মুহতামিম সাহেব ওকে দেয়ালের সাতে টেক লাগাচ্ছে। পরে অন্যান্য হুজুররা যারা ছিলেন তারা তাকে ধরে রাখে।

 

সর্বশেষ একটা কথা বলবো যে, আমরা যারা জিহাদের লাইনে তারা তা’লিমের লাইনের মানুষগুলোকে জিহাদের জন্য চাপ না দিই। যারা তা’লিমের কাজে ব্যস্ত আছি তারা জিহাদীদেরকে চাপ না দিই। বিরোধীতা না করি। সবাই সব কাজ না করলেও সবকাজে সপোর্ট দিয়ে যাই। ইসলাম আমাদেরকে এটাই শিক্ষা দিয়ে যায়। না হলে আমাদের মাজে ঐক্য থাকবেনা। যতক্ষন পর্যন্ত ঐক্য না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের সফলতা আসবেনা।

 

Mobarak Sayed

 

অসাধারণ লিখেছেন ভাই

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এগুলো নাটক হয়তো না। অনেকের ক্ষেত্রেই নাটক অবশ্যই না। কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে মযলুমের জন্য সহানুভূতি মানুষের ফিতরাত। প্রায়ই কুফর, ফিসক, জাহালত এই ফিতরত নষ্ট করে দেয়। প্রায়ই জুলুমের সঙ্গায় পার্থক্য থাকে। কিছু মানুষের স্বপ্ন কেবল খেয়ে, পড়ে, নামায রোযা করে মরে যাওয়া, কিছু মানুষের স্বপ্ন ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ। দুই দল মানুষের প্রতি এই আপাত সহানুভূতিশীল মানুষগুলোর আচরণ কি সমান হবে?

 

কাফিরদের বিয়ে করা বারণ কারণ আমরা শুধু শরীর না মনও চাই। মস্তিষ্ক এর গড়ন আলাদা হলে আকাশের রঙের মতো মন পল্টি মারতে সময় নেয়না। এই যে মানুষগুলো আজ আকুল হচ্ছে তার কারণ কি কেবলই ফিতরত। লিবারেল ধর্মে আঘাতের সাথে কি তার কোন সম্পর্ক নেই? ইয়াহুদী নাসারাদের দীনে কি ভাল কিছু নেই? সবই খারাপ? আবু লাহাবের হৃদয়ে কি প্রেম ছিলনা বা ফেরাউনের? তারা কি কখনো মুসা (আ) বা রসুলল্লাহ (সা) কে আদর করেনি?

 

যেসকল মুসলমান মুসলিম ভূমিগুলোতে প্রতিরোধ আন্দোলনের কারণে নিপীড়িত হচ্ছে তারা কি একই সহানুভূতি পাবে?

 

বিশ্বাসের অনেকগুলো স্তর আছে। আমি জানি আপনি আমাকে জানে মারবেন না কিন্তু আপনার কাছে আমার টাকা পয়সা নিরাপদ না। এই স্তর ভেদ না শিখলে আমরা বারবার প্রতারিত হব।

 

দাওয়াত দেন, কোমল আচরণ করুন, দুয়া করুন। কে নিষেধ করেছে। এই খুনি যে ৫০ জন বা ৬০ মানুষ মেরেছে বা শাম অথবা খোরাসানে বোমা মেরে হাজারো মুসলমান হত্যা করেছে যে পাইলট সে যে জান্নাতে আমার আপনার অনেক উঁচু মাকামে পৌছাবে না তা আমরা কিভাবে বুঝলাম?

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের হিদায়াতের দুয়া করাওতো অপরাধ না। নরেন্দ্র মোদিরও না। তবে তাদের জন্য হিদায়াতের দুয়া করতে কাউকে খুব একটা কাউকে দেখিনা।

 

মুসলমানদের শরীরের উপর হামলা করার চেয়ে তাদের রুহের উপর, তাদের ইমানের উপর হামলা অনেক বেশি বিপদজনক।

 

এই যে আপনার গদগদ আবেগ। এটা অর্জন করা দুনিয়ার যেকোন শাসকের ও রাজনীতিবিদের জন্য জন্য লোভনীয় বিষয়। দীন কায়েমের প্রশ্নে তারা সমর্থন দিলে তখন না হয় কিছুটা বিবেচনা করা যেত। অবশ্য শক্তিমান থাকা অবস্থায় তারা সেই সমর্থন অনেক জায়গায় দিয়েছে। কিন্তু কোন মানুষকে বিশ্বাস করার পূর্বে তার কাজের কারণ উপলব্ধি করাটা বিচক্ষণদের সিফত।

 

আসলে অনেক কথা আকুলি বিকুলি করছে। ইলহাম হচ্ছেনা। মগজ দিয়ে বেশি লেখা কষ্ট। তাই লেখা এলোমেলোই থেকে গেল।

 

তবে সোহবত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ বদলে যায়। যেমন আপনি বদলে গিয়েছেন। তারেক মেহেন্নার তীব্র শব্দগুলো হয়তো আবছা হয়ে গিয়েছে,

 

"আমি বন্দী কিন্তু আমার হৃদয় স্বাধীন অথচ কোটি কোটি স্বাধীন মানুষের হৃদয় গুলো দাস"।

 

কেনা জানে দাস হৃদয়ে মনিবের সামান্য করুনার আহলাদ বড় প্রচন্ড।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লালখান বাজার, আমার দেখা থেকে

 

ড. জামাল নজরুল ইসলামের প্রতি আগ্রহ আমাকে লালখান বাজার মাদরাসা অবধি নিয়ে যায়। মাদরাসার পাশেই ছিলো জামাল নজরুল স্যারের বাসা। তাঁর একান্ত স্নেহভাজন ও আত্মীয় মাওলানা হারুন ইযহার এ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। তিনি আল্লামা তাকি ওসমানির (দা.বা.) একান্ত শিষ্য। জামাল নজরুল স্যারের অপ্রকাশিত রচনা আর কি আছে, জানার আগ্রহে গত শুক্রবারে যাই লালখান বাজারে। মাওলানা হারুন ইযহারের শরণ নেয়া ছাড়া উপায় নেই। তিনি আমার একান্ত বন্ধু। সময় দিলেন, আতিথ্য করলেন। অনেক সময় ধরে অনেক বিষয়ে কথা হলো। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, চিন্তাশীলতা, কর্মবীরত্ব এবং দায়িত্বশীলতা ও চেতনাবোধের জায়গা থেকে এমন প্রবল আলোকসম্পন্ন আলেম কমই পাওয়া যায়।

 

তাঁর পিতার সাথেও দেখা হয়েছিলো কোন একদিন। রাজনীতি নিয়ে কী সব কথাবার্তা বললেন, কী নাকি স্বপ্ন দেখেছেন, সেটাই নাকি ঘটতে যাচ্ছে, রোহিঙ্গাসমস্যার সমাধান নাকি কেবল তিনিই বাতলাতে পারেন, এরদোয়ান ও শি জিনপিংয়ের সহায়তা পেলে সমাধান তাঁর জন্য ডালভাত.... ইত্যাদি। কারাগার থেকে আসার পর নাকি প্রায়ই তিনি যখন-তখন কথাবার্তায় হাতি-ঘোড়া মারেন। বুঝতে পারলাম, কারাগারে দেশবরেণ্য এ আলিমের চিন্তার স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করার কিছু উপাদান ছিলো।

 

মাদরাসার পরিচালক তিনি নামমাত্র। সব দায়িত্বই হারুন ভাইয়ের হাতে। দেখলাম একটি কর্মশীল নেতৃত্ব একটি প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে আধমরা অবস্থা থেকে পূণর্যৌবন দিচ্ছে। মাদরাসার বহু জায়গা দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা, কিছু ভবনও জোরপূর্বক দখলের শিকার, প্রশাসনের শ্যেনদৃষ্টি, মিডিয়ার অপপ্রচার, স্বগোত্রীয়দের অসহযোগিতা, অগণিত মামলা ও হয়রানির মধ্যে মাদরাসাটি উঠে দাঁড়াবার লড়াই করছে। এবং হারুন ইযহার একে জীবন্ত মাদরাসা করে তুলছেন, যেখানে জীবন্ত মাদরাসা বাংলাদেশে হাতেগোণা।

 

মাদরাসাটির কর্মসূচি কত বিচিত্র, দেখে আনন্দিত হলাম। মাদরাসাপরিচালিত একটি স্কুল চট্টগ্রামের প্রথমসারির স্কুলগুলোর অন্যতম। জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য সাত বছরের সিলেবাসে শরীয়ার গ্রাজুয়েশন দেয়া হচ্ছে, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা দ্বীনী তালিমের জন্য আসছে মাদরাসায়,ইসলামি অর্থনীতির উপর তাকি উসমানীর (দা,বা) নির্দেশনায় চট্টগ্রামে প্রথম স্বতন্ত্র ইন্সটিটিউট করে এ মাদরাসা, জুমআর আলোচনায় দেখলাম জীবন্ত এক চিত্র, একেবারে সময় ও প্রায়োগিক অনিবার্য আলোচনা, বাদ জুমআ উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর, সব কিছুই করছেন হারুন ইযহার।

 

একটি ডুবন্তজাহাজকে বুকে নিয়ে ঝড়,বজ্র ও হাঙ্গর-কুমিরের ঢেউয়ের মোকাবেলায় একজন হারুন ইযহার নিরন্দ্রঅন্ধকারে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন। তার এ লড়াই দেখে আমি আনন্দিত হই। যদিও কিছু বিষয় আমার ভালো লাগেনি। যেমন একটি লিফলেট, মাদরাসার এক মুফতি সাহেবের মুসলিমদের শ্রেণীবিন্যাসবিষয়ক এক লিফলেট। বিন্যাস নিয়ে তো আপত্তি আছেই, সর্বোপরি এগুলো ক্ষতিকর, খাল কেটে সমস্যা ডেকে আনার নামান্তর। জানলাম, হারুন ইযহার এ লিফলেটের পক্ষে নন।

এটাই স্বভাবিক। তিনি চিন্তাশীল এবং দায়িত্ববান। তাকে চ্যালেঞ্জের দাহিকায় পোড়াতে হয় নিজেকে।

 

নিজের সব কাজ ও পরিকল্পনার কথা বললেন। কিছু পরামর্শ

দিলাম। চিন্তার বিনিময় করলাম। তাঁর চিন্তার ব্যাপ্তি ও ধার দেখে প্রাণিত বোধ করলাম।

 

বললেন , ভাই, সব পথেই আমার ব্যেরিকেট। কত মামলা, হুলিয়া, হাজিরা দিতে হয়। হেফাজতের আন্দোলনই মূল কারণ। মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী আর আমি... এ দুজনকে যতভাবে পারা যায় হেনস্তা করা চলছেই। কিন্তু বাইরের সমস্যা যত প্রকট, তার চেয়ে গুরুতর ভেতরের সমস্যা।

কেউ একজন চায় আমি জেলে থাকি, আমার মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাক, সে মামলাগুলোকে উস্কে দেয়, সে মনে করে আমি না থাকলে জুনাইদ বাবুনগরীকে দুর্বল করা যাবে, তার মূল টার্গেট আমি নই, বাবুনগরী, তাকে সে খেদাতে চায়, কিন্তু পারছে না, তার জনপ্রিয়তার কারণে, পাবলিকের রুদ্ররোষের কারণে ....

 

বললাম, আপনারাই তো নিজেদের বিচ্ছিন্ন করছেন। তাবলিগ ইস্যুতে মাওলানা সাদ সাহেবের সাথী হলেন। এটা আত্মঘাতি ।

বললেন, আমরা নই, আমার বাবা। আমি কি পারি , এ কারণে উনাকে মাদরাসা থেকে সরিয়ে দিতে? এটা কি সম্ভব? উনার সারা জীবনের সাধনার ফসল এ মাদরাসা। এখন তো আছেন নামমাত্র। কোনো কিছুতেই তিনি নেই। একবারে সরানো আর তাকে মেরে ফেলা তো এককথাই। তার সাদপন্থী হওয়াকে আমরা প্রত্যাখান করেছি।

 

গতকাল শুনলাম তাঁর মাদরাসাকে হাইআ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কল দিয়ে জানতে চাইলাম তার কাছে- কী ব্যাপার? সমস্যা কোথায়?

বললেন, সমস্যা এক জায়গায়। বেফাক- হাইআর যেখানেই যোগাযোগ করছি, উচ্চপর্যায় থেকে পরামর্শ, আসছে- আপনি আনাস মাদানির সাথে সমস্যা মিটিয়ে ফেলুন। নতুবা সমাধানের কোনো পথ নেই।

 

মূসা আল হাফিজ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পরিস্কার কথা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ডাইকোটমি ভাঙতে হবে। আমি আমার স্বার্থে কাজ করতে চাই। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির স্বার্থে না।

 

একারণেই আমি চরমোনাই, এরশাদ বা নুরুর প্রতি সহানুভূতিশীল।

 

যারা উপর্যুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে পল্টিবাজির অভিযোগ আনেন তাদের চ্যালেঞ্জ করছি যে এসকল ব্যাক্তিদের চেয়ে অনেক বেশি অবস্থান পরিবর্তন শেখ হাসিনা কিম্বা খালেদা জিয়া করেছেন। এমনকি জামাতও যথেষ্ট পল্টিবাজি করেছে। সবকিছু বাদ দিলে ১৯৮৬ সালের নির্বাচন, ২০১৩ আন্দোলনে মার্কিন তাবেদারির নির্লজ্জ উদাহরণ তাদের আছে।

 

কিন্তু এসকল দলের বিরুদ্ধে পল্টিবাজির অভিযোগ আপনি করেননা। কেন?

 

কারণ আপনার রক্তে প্যাগানদের কিছু বৈশিষ্ট্য মিশে গিয়েছে। আপনারা শক্তের ভক্ত, নরমের জম। আপনারা অবচেতনে বিশ্বাস করেন জগতে শক্তিমানের কিছু বাড়তি অধিকার আছে। আপনারা বিশ্বাস করেন বড় দলের অবস্থানের সাপেক্ষে আপনার নৈতিকতা নির্ধারিত হবে।

 

এই যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন করলো কিন্তু এবার উপজেলা নির্বাচনে করলোনা।

 

কেন?

 

নিচের দুইটা কারণের একটা

 

১) ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বলদা সংগঠন। তারা জাতীয় নির্বাচনে চুরি হবে জানতো না।

 

২) যেহেতু বিএনপি ভোট বর্জন করেছে তাই ভোট বর্জন করেছে, এখন তারা নির্বাচন করলে জাত যাবে। লোকে আওয়ামী লীগের দালাল বলবে।

 

বাস্তবতা সবাই জানে। কারণ হচ্ছে ২ নম্বরটা। অর্থাৎ রাজনৈতিক পদক্ষেপের নৈতিকতা নির্ধারিত হবে বিএনপির অবস্থানের সাপেক্ষে।

 

এই জায়গায় আমি নুরুকে সমর্থন করি, এরশাদকেও। যদি কাঠামোগত বা আদর্শিক ভিত্তির জায়গায় তাদের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা এড়িয়ে যেতে হয় তবে তাদের অবস্থান পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করছি। সকালে হাসিনা মা বিকালে তারেক ভাইয়া বলার সকল রাজনৈতিক কৌশলের নৈতিক অধিকার তার আছে। এমনকি যদি তার ব্যাক্তিগত উচ্চাভিলাস এর একমাত্র কারণ হয় তবুও। কারণ অন্য কারও স্বার্থে নিজেকে বলি দেওয়ার চেয়ে নিজের স্বার্থে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবনতা মানবীয় প্রবৃত্তির সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বৌদ্ধিকভাবে অধিক যুক্তিসঙ্গত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আজ Sadid Malek ভাইয়ের প্রশংসা করবনা। তবে তার সাথে আমার গভীর সম্পর্ক বহুদিন ধরে। অনেকেই আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আমার কটু কটু কথা থেকে মিঠাটুকু ভোগ করে বাকিটুকু ফেলে দেন। এতে তা অন্যদের জন্য আর তেতো হয়ে উঠে। এমন মিঠাখোর মানুষের প্রশংসা আজ করবনা।

 

তবে তার সাথে দীর্ঘ বন্ধুত্বের দাবি অবশ্যই রাখব। তিনি হারুন ইযহারের প্রশংসা কম করে করতে বলেছেন কিন্তু আমি বেশি করে ফেলেছি। এখন কাফফারাসরূপ আমি এখন নিন্দা করব।

 

হারুন ইযহার একজন বোকা মানুষ। তার মতো প্রাজ্ঞ মানুষ একটা মাদ্রাসায় থাকতে হাইওয়ান উলালাদের থেকে সনদ নিতে হবে কেন? তিনি কি ঘাস খাওয়া শুরু করলেন যে যারা তার ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা তাদের কাছে তিনি তার ছাত্রদের পাঠাচ্ছেন পাতলামি শেখানোর জন্য।

 

আমি হারুন ইযহারের এমন বলদামির তীব্র নিন্দা জানাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এপ্রিল, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

 

খোমেনি এহসান ভাই আমাকে আনফ্রেন্ড করে দেন বেশ কিছুদিন আগে। তা তিনি করতেই পারেন। যেভাবে করেছিলেন, যে ইস্যুতে তাতে বিরক্ত হয়েছিলাম। কারণ সম্ভবত তাকে তখন বুঝতাম না। তার মতে আনফ্রেন্ড করা হচ্ছে কাউকে তাচ্ছিল্য করা। তিনি বেশ তুচ্ছ কারনেই তা করেন। তবে ল্যাংটার নাই বাটপারের ভয়। আমার সম্মান নাই। তাই সম্মান হারানোর ভয়ও নাই। তিনি আমাকে তাচ্ছিল্য করলেও ব্যাথিত হইনি। এখন তা প্রকাশ্যে বলতে খারাপ লাগছেনা। আবার পুনর্বার তার বন্ধু তালিকায় ঢোকার প্রত্যাশাও করিনা। কারণ সেজন্য কোন দায় রক্ষার আগ্রহ আমার নাই।

 

যাইহোক আজ অনেকদিন পরে তার কিছু লেখা পড়লাম। মানুষটার জন্য মুগ্ধতা বেড়েছে। অবশ্যই তার সাথে আমার ভিন্নমত আছে। তবে বিএনপি জামাতপন্থী যত বিশ্লেষক অনলাইন অফলাইনে দেখলাম তাদের মাঝে তাকেই সমাকালীন বাস্তবতার সবচেয়ে ভালো বিশ্লেষক মনে হয়েছে।

 

উল্লেখ্য তিনি জামাত না কিন্তু তীব্রভাবে জামাতপন্থী। এমনটাই তিনি দাবি করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারগণ যখন খুব ভালো ইসলামপন্থী হন, তখন তারা তাদের সাবজেক্টকে ইসলামাইজেশন করার পরিবর্তে আরবী ব্যাকরণ, ইসলামী বই লেখা, কোরআনের তাফসীর করা ইত্যাদিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে তাদের বিষয়ের ইসলামাইজেশন করা আর হয় না। নতুন প্রজন্ম সেখান থেকে কোন ইসলামী নির্দেশনা পান না।

- উস্তাদ ইউসুফ আল কারযাভী।

 

দেশে অসংখ্য আলেম আছে, তুমি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হও!

.

কলেজের (ইন্টারের) ১ম বর্ষে আমার এক ব্যাচমেট ছিল, সে মানবিক(আর্টস) গ্রুপে ছিল আর আমি বিজ্ঞানে। সে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ও হাফীযুল কুরআন ছিল; আরবী ভাষায় তার দক্ষতা আমাকে অবাক করে দিত! ছোট বেলা থেকেই সে কওমী মাদ্রাসায় ছিল, পরে জেনারেলে কীভাবে এন্ট্রি নিয়েছে তা আমার জানা নেই। আর কলেজে পড়ার পাশাপাশি সে মাদ্রাসায়ও পড়তো।

.

একদিন কথায় কথায় আমি বললাম, আমি জেনারেল কন্টিনিউ করবো না, শারীআতের ইলম অর্জনের জন্য অমুক অমুক যায়গায় পড়ছি, সামনে আরও পড়বো ইন শা আল্লাহ, জেনারেল ছেড়ে দিবো। তখন তার চোখ যেনো কপালে উঠে গেল! সে আমাকে বললো, এদেশে অসংখ্য আলেম আছে, আর আলেমের দরকার নেই, বরং তুমি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হও! তখন তার কথাটি শুনে আমার চোখ যেনো কপালে উঠে যায়!

.

এরপর থেকে সে আমাকে বারবার ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে বলতো আর আমি তাকে বলতাম তুমি ভালো আলিম হও, উম্মতের জন্য কিছু করার চেষ্টা করো।

.

তার ইচ্ছা ছিল সে সেনাবাহিনীতে যোগ দিবে, HSC এর পরে সে সেখানে চান্স পায় ও ট্রেইনিং এ চলে যায়। পরে সেখানে দুর্ঘটনায় পা ভেঙ্গে যায়, প্রায় ১ বছর হাঁসপাতালে থাকতে হয়। এরপর সে ঢাবিতে লয়ে ভর্তি হয়। শেষ যখন তার সাথে কথা হয় তখন সে বে-নামাযী(জুমুআহ টু জুমুআহ), ক্লিন শেভ, অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত!!

.

.

এ ঘটনায় আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কী আছে? আমাদের জন্য এটাই শিক্ষণীয় যে, আল্লাহ তাআলা হেদায়াত দেওয়ার পর এই হেদায়াত ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী দুআ করতে হবে।

.

আল্লাহ তা’আলা নিজেই আমাদের শিখিয়েছেনঃ

.

رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً

.

হে আমাদের রব, হিদায়াত দান করার পর আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুণ।

 

[সূরাহ আলে ইমরান, আয়াতঃ ৮]

.

মনে রাখবেন, যেই আল্লাহ অন্ধকার ও বন্ধ অন্তরে হেদায়াতের নূর দিতে পারেন, সেই আল্লাহ হেদায়াতের নূরে আলোকিত অন্তরকে পুনরায় অন্ধকারে পরিণত করে তাকে সিলও(মোহর) মেরে দিতে পারেন!

 

Mainuddin Ahmad

 

মন্তব্যঃ আল কারদাওয়ীর বক্তব্য বহু বছর আগে প্রথম যেদিন পড়ি সেদিন যে মানসিক প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো তা আজ তুলে ধরেছেন মাইনুদ্দিন ভাই। হয়তো গল্প বা নায়ক নায়িকা ভিন্ন তবে এসেন্স এক। আজ দুইটা একসাথে দেওয়ার লোভ সামলানো গেলোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু মানুষ কাজ করে আর কিছু মানুষ গপ্প মারে। আল জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ নিঃসন্দেহে এই দীনের চূড়া। কিন্তু এটা ব্যবহার করে যদি ফেসবুকে সেলিব্রিটি হওয়াই উদ্দেশ্য আছে তবে আপনার জন্য লজ্জা।

 

সোশ্যাল মিডিয়া বা মিডিয়ায় জিহাদের দাওয়াত দেওয়া মানে এটা হতে পারেনা যে অপ্রয়োজনে আপনি উম্মাহর সম্মানিত আলিম যিনি কোন মাসলাহাত, মাযুরিয়্যাত, ইজতিহাদ অথবা নফসানিয়্যাত এর কারণে ভুল করেছেন বা ভুল ফতোয়া দিয়েছেন তাদের নিয়ে চুলকা চুলকি খেলবেন।

 

যদি আল্লাহর জন্য লেখালেখি করেন তাহলে বলেন বিন বায মুরজিয়া তাকি উসমানি তাগুতের দালাল (যদি সত্য ধরে নেই) বলার মাধ্যমে জিহাদ বা মুজাহিদদের কি উপকার হয়েছে বলেন।

 

আলিমদের ইলমি বিচ্যুতির পর্যালোচনার আদব আছে। যদি তা মেইনটেইন করতে না পারেন তবে চুপ থাকেন। তা না পারলে নিদেনপক্ষে নিজেকে মুজাহিদদের কোন জামাতের সাথে আদর্শিক সম্পর্ক রাখার দাবি করবেননা। আপনার মতো বেয়াদবদের কারণে আলিমদের যতটা ক্ষতি হয় তার চেয়ে অনেক বেশি হয় মুজাহিদদের।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাফেজি (ইমামি) শিয়ারা নবিদের চেয়ে তাদের ইমামদের শ্রেষ্ঠ মনে করে। কথাটা অনেকে বিশ্বাস করতে চাননা। একটা শিয়া গ্রুপে প্রশ্নটি করেছিলাম। বেশি ধড়িবাজগুলো প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছে। কারণ সত্য বলা এদেশে তাদের প্রোপাগান্ডার জন্য বিপদজনক।

 

কিন্তু আবেগিরা তাদের উত্তর দিয়েছে। একজন শিয়াও পরিস্কারভাবে তাকিয়া করেও বলেনি মুসা (আ) অধিক মর্যাদাবান।

 

হাহা

 

শিয়া সুন্নি ঐক্য জিন্দাবাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শিয়াদের ব্যাপারে যারা আমার বক্তব্য বিদ্বেষমূলক মনে করেন তারা বেশি কিছু না জাস্ট শিয়াদের কোন গ্রুপ বা শিয়া আলিমদের লিটারেচার, বা কোন ইংরেজি শিয়া ব্লগ পড়লেই বুঝবেন আমি সতর্কতাসরূপ যা বলি তা কমই বলি।

 

তারা মিষ্টি কথা যা বলে তা সব রাজনৈতিক ধাপ্পাবাজি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেখ হাসিনার বক্তব্যের কোন হিডেন মানে আছে কিনা সেটা ভিন্ন কথা কিন্তু মিডিয়া যেভাবে নিউজ করেছে তার বক্তব্য মোটেই তা নয়। মিডিয়াগুলোর বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ।

 

এখানে শেখ হাসিনা যা বলেছেন তা আমি পূর্ণ সমর্থন করি। অন্তত আপত্তির কোন কিছু বুঝলাম না। আমাকে পারলে বুঝিয়ে দিন।

 

পাশাপাশি চলের পেছনে না দৌড়াতে অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

- মুয়াবিয়া অমক তমক হ্যান ত্যান করেছেন, বলেছেন

 

- জি

 

- আয়েশা, হাফসা অমক তমক হ্যান ত্যান করেছেন, বলেছেন

 

- জি

 

- আবু বকর, উমার অমক, তমক, হ্যান, ত্যান করেছেন, বলেছেন

 

-জি ভাই। আমরাতো তাদের কাউকে মাসুম বলিনা। তারা ভুল করতে পারেন। পাপও করতে পারেন। তো এখন কি হয়েছে?

 

- কিন্তু তাও আপনারা তাদের শ্রদ্ধা করেন, ভুলগুলোকে ইজতিহাদি ভুল বলেন।

 

- ভাই আমরা সাহাবাদের শ্রদ্ধা করি রাসুলুল্লাহ সা এর সাথে তাদের সাহচর্য, ইমান এবং ইসলামের জন্য অবদানের কারণে। আমরা তাদের ভুলগুলোকেতো ঠিক বলিনা। আর গুনাহের কারণে কেউ কাফের হয় তাও মনে করিনা। আমরা তাদের জন্য আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করি যেভাবে যেকোনো মুসলমানদের জন্য করি। তাদের জন্য একটু বেশি করি। আমরা অন্য মুসলিমদের অপ্রয়োজনীয় গিবত অপছন্দ করি যেভাবে অন্য মুসলিমদের গিবাত অপছন্দ করি। তবে তাদের জন্য বেশি অপছন্দ করি। ইজতিহাদ এর ব্যাপারে কারও নিয়্যাততো দেখা যায়না। তাই দুইটা সম্ভাবনার ভেতর ভাল ধারণাই রাখি।

 

এখন ভাই একটা কথা বলি কিছু মনে করেননা।

 

- জি ভাই বলেন।

 

- আসলে আপনাদের সমস্যা এটা না। আপনারা ইমামতকে উসুলুদ্দিনের অংশ মনে করেন, ফুরু বা উসুলুল ফিকহ না। ফলে কেউ ইমামত অস্বীকার করলে তাকে কাফির মনে করেন। ব্যাপারটা হয়তো রাজনৈতিক কারণে নরম করে বলেন, নাসেবি বা এজিদি মুসলমান। দিনশেষে নাসেবি বা এজিদ কেউতো আপনাদের মতে মুসলমান না। এমন বক্তব্য আপনাদের হাদিস বইগুলোতেও আছে। তবে হ্যাঁ অন্য রকম কিছু হাদিসও আপনাদের বইয়ে থাকায় কিছুটা উদারতা বা রাজনৈতিক বিবেচনায় জাহালতের অযুহাতে সাধারণ মুসলমানদের ছাড় দেন। কথাটা তাকিয়্যা বা পলিটিকাল কারেক্টনেস এর কারণে খুব জোড়ে বলেননা। কিন্তু এটাই আপনার আকিদা, এটাই আপনার বিশ্বাস।

 

যতক্ষণ কেউ ইমামত এর আকিদা না মানবে ততক্ষণ সে আহলুল বাইতের প্রতি যতই ভালোবাসা রাখুক না কেন আপনি ত্যানা পেচাবেন। আহলে সুন্নাহর ইমামদের থেকে চেরি পিকিং করবেন, আহলে সুন্নাহর ইমামদের বই থেকে জাল হাদিস নিয়ে আসবেন, ইমামদের বক্তব্যকে বিকৃত করবেন, অপব্যাখ্যা করবেন। কিন্তু দিনশেষে তাকিয়্যা করবেন।

 

আপনার চাওয়াকে আমি দোষ দিচ্ছিনা। কারণ এটাই আপনার আকিদা এবং ফিকহের চরিত্র।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের কোন কোন ইসলামি সার্কেল খারেজিদেরকে শিয়াদের চেয়ে বেশি অপছন্দ করে। যেমন ধরেন এরদোয়ান। কিন্তু আমার মতে খারেজিরা শিয়াদের চেয়ে ভালো। কারণ হারুরিয়্যা বা আযারেকারা মেজর সাহাবাদের ভেতর আলী রা, মুগিরা বিন শোবা রা এর মতো হাতে গোনা কয়েকজনকে তাকফির করে। বাকি যেসব সাহাবাদের তাকফির করে তাদের অনেকেই তত বড় সাহাবা না। যেমন মুয়াবিয়া রা, আমর ইবনে আস রা প্রমুখ। নব্য খারেজিরাতো কোন সাহাবাকেই তাকফির করে না।

 

কিন্তু রাফেজিরা আলী রা, ফাতিমা রা এবং সামান্য কয়েকজন মাত্র সাহাবাকে ব্যাতিত সকল সাহাবাকে তাকফির করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিথ্যুক এবং ছাগলদের প্রতি আমি বিশেষ বিরক্ত হই। দুদিন ধরে কিছু দলকানা মাসলাকবাজ ছাগল আমাকে সাদপন্থী বলার চেষ্টা করছে।

 

আমি মোটেই সাআদ সাহেবের চিন্তার অনুসরণ করিনা। তার ইমারত মানারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। তবে সাআদবিরোধী আন্দোলনকে যারা শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিনত করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ আমি সাআদ সাহেবের এর চিন্তা এবং ইমারতের বিরুদ্ধে সকল প্রকার ইলমি সমালোচনা (যদি তা সত্য হয় এবং হারাম গিবত না হয়) সমর্থন করি। কিন্তু তারা শক্তি প্রয়োগ না করা পর্যন্ত শক্তি প্রয়োগের তীব্র নিন্দা জানাই।

 

এখন অনেকে বলবে যে, সাদিয়ানিরা টঙ্গীতে আক্রমণ করেছে। তবে আমার জানামতে কাকরাইল ছাড়া বাংলাদেশে যতো জায়গায় তাদের সাথে যেসকল সংঘাত হয়েছে তার কারণ হচ্ছে সাদবিরোধীরা সাআদপন্থীদের প্রতিহত করতে চেয়েছে। ফলে এসকল উস্কানির দায় অবশ্যই সাআদ বিরোধীদের নিতে হবে। সাআদপন্থীদের সাথে লড়াই হবে দালিলিক। কোনোভাবেই শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আয়েশা সিরিজ - ৮

 

আয়েশা রা তাঁর প্রিয় কিছু ছাত্রীকে বলেন দুনিয়ায় সকল নারীর উপর আল্লাহ আমাকে দশটা ফজিলত দান করেছেন। তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করলো সেগুলো কি? তখন আয়েশা রা সেগুলো বর্ননা করেন। তিনি বলেন,

 

১) আমি ছাড়া কোন কুমারী নারীকে রাসুলুল্লাহ সা বিয়ে করেননি।

 

২) রাসুলুল্লাহ সা এর সকল স্ত্রীর মাঝে কেবল আমার বাবা মা দুজনেই মুহাজির।

 

অর্থাৎ হিজরত অনেক বড় সোয়াবের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা) এর অন্যান্য স্ত্রীদের কারও পিতামাতার একজন মুহাজির। কারও পিতামাতা কেউ মুহাজির না। কিন্তু তাঁর পিতামাতা দুজনেই সাহাবাদের শ্রেষ্ঠ মাকাম মুহাজির।

 

৩) আমার চারিত্রিক পবিত্রতা নিয়ে কুরআনে আয়াত নাযিল হয়েছে।

 

বিষয়টি তাঁর জন্য অনন্য। এই ফাজায়েল অন্যান্য স্ত্রী দূরে থাক খাদিজা (রা) এর পর্যন্ত ছিলোনা। হ্যাঁ খাদিজা (রা) এর এমন ফাজায়েল ছিলো যা আয়েশা (রা) এর ছিলোনা। তবে এই ফজিলত আয়েশা (রা) এর জন্য খাস।

 

৪) রাসুলুল্লাহ সা এর সামনে জিবরাইল আমার ছবি তুলে ধরেন।

 

৫) আমি এবং রাসুলুল্লাহ সা এক পাত্রে গোসল করতাম। তিনি কাজটা আর কোন স্ত্রীর সাথে করতেননা।

 

এব্যাপারে অন্য এক মহিলা অনেক বছর পরে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি কি আমার স্বামীর সাথে একপাত্রে গোসল করতে পারবো? তখন আয়েশা রা জবাব দেন আমি এবং রাসুলুল্লাহ (সা) করেছি। হাদিসটা বুখারিতে আছে। তাছাড়া সহিহ ইবনে হিব্বানে আরও সুন্দর একটা বাক্য আছে। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখতাম এবং তিনি আমাকে দেখতেন। অর্থাৎ এখানে একই কন্টেনার থেকে মানে তাদের মাঝে সতর ছিলোনা।

 

৬) রাসুলুল্লাহ সা আমার ঘরে সালাত আদায় করতেন যখন রাসুলুল্লাহ সা এবং কিবলার মাঝে আমি থাকতাম।

 

সহীহ বুখারিতে আছে রাসুলুল্লাহ সা তাহাজ্জুদের সময় সিজদাহ্ দেওয়ার জন্য আয়েশা রা এর পায়ে খোঁচা দিতেন। তারপর আয়েশা রা ঘুরে শুতেন। তখন রাসুলুল্লাহ সা সিজদাহ্ দিতেন।

 

৭) রাসুলুল্লাহ (সা) যখন আমার সাথে থাকতেন কেবল তখনই ওহি আসতো। অন্য কোন স্ত্রীর সাথে থাকাকালীন সময়ে ওহি নাযিল হতোনা।

 

৮) রাসুলুল্লাহ সা আমার ভাগের দিনে মারা যান।

 

রাসুলুল্লাহ (সা) যখন অসুস্থ হন তখন তিনি অন্যান্য স্ত্রীদের কাছে অনুমতি নিয়ে নেন যে তিনি আয়েশা (রা) এর ঘরে থাকবেন। তারপরে তিনি আয়েশা রা এর ঘরেই কদিন ছিলেন। তারপর যেদিন মারা যান সেদিন ছিলো আয়েশা (রা) এর ভাগের দিন।

 

৯) রাসুলুল্লাহ সা যখন মারা যান তখন তার মাথা আমার বুক এবং গলার মাঝে ছিলো। রাসুলুল্লাহ সা কে আমার ঘরে দাফন করা হয়েছে।

 

আয়েশা (রা) তখন তাকে কোলের ভেতর রেখেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা) ঘামছিলেন। তিনি মুছে দিচ্ছিলেন। যেটা যেকোনো প্রেমময়ী স্ত্রী করে থাকে। এভাবে যখন রাসুলুল্লাহ সা মারা যান তখন তিনি আয়েশা রা এর বুকে। এটা নিসন্দেহে অনেক বড় ব্যাপার।

 

অন্য এক হাদিসে আছে, আয়েশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ সা যখন মারা যান তখন তার আর আমার থুতু মিলিত হয়েছিলো। রাসুলুল্লাহ সা তখন ডেথবেডে। আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর তখন তাদের ঘরে আসেন। তিনি মেশওয়াক করছিলেন। তাকে দেখে রাসুলুল্লাহ (সা) দুর্বলতাবশত বলতে পারছিলেন না। তবে আয়েশা রা তাঁর ইঙ্গিত বুঝতে পারেন। তিনি মিশওয়াক নিয়ে তা নতুন পিসে পরিনত করেন। তারপর চাবিয়ে নরম করে দেন। তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) তা অত্যন্ত শক্তি দিয়ে তা চাবাতে চেষ্টা করেন। রাসুলুল্লাহ (সা) ফেরেশতাদের সাথে মিলিত হওয়ার আগে মিশওয়াক করে নিতে চাচ্ছিলেন। যাইহোক ফলে শেষ সময়ে তাদের দুজনের থুতু মিলিত হয়।

 

১০) আমি তার খলিল এবং খলিফার মেয়ে।

 

আবু বকর (রা) ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর খলিল এবং খলিফা।

 

(শেখ ইয়াসির ক্বাদির উম্মাহাতুল মুমিনিন সিরিজ অবলম্বনে)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের ভুল অবশ্যই আছে। তার ইলমি পর্যালোচনাও হওয়া উচিৎ। তবে তার উপর মানুষ বড় বেশি তোহমৎ দেয়। ভালো লাগেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা সবাই নিজের জানাটাকে জ্ঞানের শেষ সীমা মনে করি। আমরা বুঝিনা হকপন্থীদেরও ভুল হয়। বাতিলপন্থীরা হক কথা বলে, হক কাজ করে। নিরংকুশ হক বা নিরংকুশ বাতিল বলে খুব কম বিষয় আছে। শিয়ারা যেমন সাহাবাদের খালি দোষই দেখে, কোন ফজিলত দেখেনা, কোন ত্যাগ এবং কুরবানির গল্প ভাবেনা। আমরাও তেমন। শত্রুর প্রতি ইনসাফ বড় সহজ কাজ না।

 

এদেশে আলিমদের মাঝে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি খতিব সাহেব (রহ)কে। কারণ তার উদারতার, সাহসীকতা, প্রজ্ঞা, ইলম এবং আমলের কারণে। কোন ইসলামি দল যদি বাংলাদেশ রাষ্ট্র চালাতে চায় তবে তাকে অবশ্যই অবশ্যই খতিব সাহেব রহ এর মানহায থেকে শিখতে হবে।

 

মজার ব্যাপার কেউ তাকে রাজ দরবারে যাতায়াতকারি বললে অস্বীকার করতে পারবোনা। তারপরও মনে করি তার যাওয়ায় দোষ ছিলোনা। লোকে বলবে স্বজনপ্রীতি। কি বলবো? হয়তো হ্যাঁ। তবে সেটা আমার ইজতিহাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা বেফাকের মুরব্বিদের ব্যার্থতার কারণে সমালোচনা সহ্য করতে পারেনা, যারা আহমদ শফি (হাফি) এর কোন সিদ্ধান্তের (যদিও বাস্তবতা হচ্ছে তিনি সম্ভবত কোন সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নেওয়ার বয়স অতিক্রম করেছেন) ইঙ্গিতেও সমালোচনা করা যাবেনা দাবি করে, হাফেজ্জি হুযুর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলে তার ব্যার্থতার সমালোচনা করলে তারা দেশের মানুষকে কিভাবে দমন করতো ভাবতেই কলিজা শুকিয়ে আসে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাদিয়ানিদের সাথে আচরণ প্রমান করে দেওবন্দি মূলধারার দলগুলো ক্ষমতায় গেলে ভিন্নমতের ইসলামি দলগুলোর সাথে লেনিন, স্ট্যালিন, মাও যে দং এর মতো আচরন করা হবে।

 

চরমোনাইয়ের লোকেরা যেভাবে আহলে হাদিসদের মসজিদ ভেঙেছে তাতে প্রমান করে তারা ক্ষমতায় গেলে ভিন্ন চিন্তার মুসলমানদের কোন মসজিদ নিরাপদ না। মসজিদে জেরার বলে সব ভেঙে ফেলবে।

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদকে যেভাবে আগেরবার জেএমবি বানিয়ে নিপীড়ন চালানো হয়েছে তা প্রমান করে তারা এদেশে অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর জন্য নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ ভার্শনে পরিনত হবে।

 

তাই ফেরকাবাজ ইসলামি দলগুলো কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। তাই গনভিত্তিক ইসলামি দল আর কল্যান রাষ্ট্রের মুখোরোচক পশ্চিমা তোষণ কথাবার্তার পূর্বে আপনার আকিদা এবং ফিকহকে সহনশীল করে গড়ে তুলুন।

 

খারেজিরা যখন আলী রা কে কাফের বলতো তখনো তিনি তাদের দমন করেননি। তাদের বিরুদ্ধে কেবল তখনই সামরিক ব্যবস্থা নিয়েছেন যখন তারা তরবারি তুলেছে। সাইয়্যেদিনা উসমান রা কত কঠিন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছেন। একবার ভাবুন। তারপর বলেন কেন আপনাকে আমি সমর্থন করবো?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার বন্ধু তালিকায় ইসলামি আন্দোলনের (জামাত, জমিয়ত, ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত মজলিস,আন্দোলন অনেক দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ আছেন বলেই আমার ধারণা।

 

তাদের কাছে দুইটা প্রশ্ন।

 

১) আপনারা ক্ষমতায় গেলে ভিন্ন চিন্তার মুসলমানরা কি সম্মানজনকভাবে থাকতে পারবে। ধরেন দেওবন্দিরা ক্ষমতায় গেলে সাদিয়ানি, জামাত, আহলে হাদিস, বেরেলভিদের সাথে কেমন আচরণ করা হবে? বা জামাতিরা ক্ষমতায় গেলে যারা মাওলানা মাওদুদি রহ এর সাহাবা সংক্রান্ত আকিদাসহ বিভিন্ন আকিদার কারণে উস্তাদ মাওদুদি রহ কে গোমরাহ মনে করে তাদের সাথে কেমন ব্যাবহার করা হবে।

 

২) আপনারা ক্ষমতায় গেলে শাসক হবে মুরব্বি। তখন দেশ চালাতে গেলে সমস্যাতো হবেই, ভুলও হবে। আমরা কি মুরব্বিদের গালাগালি, সমালোচনা করতে পারবো যেমন শেখ হাসিনার সমালোচনা করি। সত্য সমালোচনা করলে কি সহ্য করবেন না র‍্যাব, পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের মতো আকাবিরের সাথে বেয়াদবি করার জন্য শায়েস্তা করা হবে? তখনো কি রাজাকারের মতো বেয়াদব বা ইসলামের দুশমন ট্যাগ দেওয়া হবে? পার্থিব রাজনৈতিক ভুল বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার আমার থাকবে কিনা?

 

আকাবিরদের রাজনৈতিক সমালোচনা করলে আবেগি যুক্তি দিয়ে আমাদেরকে ইসলামবিরোধীদের জুজু এবং জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দেওয়া হবে কিনা?

 

আশা করি আমার করা রাজনৈতিক প্রশ্ন দুইটির জবাব তারা দিবেন যারা ইসলামের নামে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এজন্যই বলি যারা দায়েশের ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র তত্ব পুরো উড়িয়ে দেয় তারা বোকা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার যদি যোগ্যতা থাকতো তাহলে আমি হিজরি প্রথম দুই শতকের আহলে বাইতের প্রসিদ্ধ ইমামদের নিয়ে একটা বড় কাজ করতাম।

 

যেহেতু নাই তাই আমি নাম সংগ্রহ করবো এবং খুব ছোট ছোট নোট যুক্ত করতে চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

 

কেউ কি আমার স্বপ্ন পূরনে কাজ করবেন?

 

অবশ্যই আহলে সুন্নাহর পথ ও পদ্ধতিতে। অভিশপ্ত রাফেজিদের থেকে আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন।

 

আমিন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা দাওয়াতকে ছোট করে দেখেন তারা বোঝার চেষ্টা করেন সম্রাট আকবর ছিলেন কাফির। জাহাঙ্গীর ফাসিক মুসলমান। শাজাহান আরেকটু ভালো। বাদশাহ আলমগীর জিন্দা পির। শাহ আলম শিয়া।

 

দাওয়াতকে ছোট মনে করেননা। তবে দাওয়াত অবশ্যই তাযকিয়ার সাথে হতে হবে। দাওয়াত স্টাবলিশমেন্টের কাছেও হতে হবে। দাঈ হবে পবিত্র চরিত্রের এবং পরকালমুখি। পাশাপাশি তিনি যাকে দাওয়াত দিবেন তার কাছে বৈধ অবৈধ কোন কিছু প্রত্যাশা করবেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতের নতুন দলের কর্মী সংগ্রহের ফোকাস পয়েন্ট যদি জামাত হয় তাহলে ক্রেডিবিলিটি বা সমাজের বৃহত্তর অংশকে আপিল করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া জামাতের পাবলিক বেজ এমনিতেই খুবই ছোট। বর্তমানে বড়জোর ৫-৬ শতাংশ। ফলে বড়জোর আরেকটা মজলিস, আরেকটা জমিয়ত। হয়তো তাও না। যদি সমাজের সকল সেগমেন্ট টার্গেট করা হয় তবে তা দিনশেষে জগাখিচুরি হবে। তারচেয়ে বড় কথা আওয়ামী লীগ বাটাম ফাটিয়ে ফেলবে। ফলে তাদের মূল টার্গেট হওয়ার কথা বিএনপির পপুলার বেজ। তাছাড়া মঞ্জু সাহেবের পুরা গ্রুপ্টা বিএনপির মতো ধান্দাবাজ। তাই সেটা ভালো যাবে

 

সমস্যা হচ্ছে খালেদা জিয়া যত সেক্সি মঞ্জু সাহেব বা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তা নয়। তারেক জিয়াকে অনেকেই পছন্দ করে না তবে মঞ্জু সাহেব তার মতো ড্যাশিং না। এমন একটা দল গড়তে গেলে যে আগ্রাসন, যে সাহস লাগে মঞ্জু সাহেবের তা নেই। খোদ এরদোয়ান যে ধরনের সেক্সি বক্তব্য দিতে পারেন মঞ্জু তা পারেননা।

 

ফলে দৃশ্যত মঞ্জু- আব্দুর রাজ্জাক গং কার্যত জামাতের জন্য কিছু ন্যুইসেন্স তৈরি করে একজন আহমদ আব্দুল কাদেরের চেয়ে বেশি কিছু হতে পারবেন বলে মনে হয়না। ফরিদ আহমদ রেজা অবশ্য তাদের সাথে আছেন। যিনি এজীবনে সুশীল ভাব ধরার অতিরিক্ত কিছুই করতে পারেননি। এই বুড়ো বয়সে মাহমুদুর রহমান মান্না, কামাল হোসেনরা কি এমন করতে পেরেছেন তাতো সবাই দেখলো।

 

তাই আমি মনে করিনা জামাতের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার আছে। দলীয় ফোরামে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ম্যাসেজ দিলেই এই পুরো উদ্যোগ যৌন উত্তেজনার মতো খুব অল্প দিনেই নেতিয়ে পড়বে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনাকে হালের ইসলামি এপোলোজিস্টরা যা শেখাবেন না তা হচ্ছে, জিজিয়া এজন্য আদায় করা হতো না যে টাকাটা মূখ্য। বরং এর মাধ্যমে কাফিরদের সাথে চূড়ান্ত সংঘাত এড়িয়ে এবং মানুষিক প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ওভার দ্যা টাইম ভেঙে মানুষকে ইসলাম গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করা। অন্যভাবে বললে, এখনই তাদের ধর্ম ছাড়তে বললে তারা ধর্মতো ছাড়বেই না উল্টো বিদ্রোহ করবে। তাই তাদের অধীনে রেখে সময় দিয়ে সহনীয় বানিয়ে ইসলাম গ্রহন করানোই জিজিয়ার উদ্দেশ্য। এখন যেভাবে যৌনশিক্ষার নামে ইসলামের সামাজিক অংশের উপর আঘাত হেনে মানুষের শালীনতা এবং পারিবারিক চরিত্র ভেঙে দেওয়া হবে। এভাবে মুসলমানদের দ্রুত পূর্ন মুরতাদে পরিনত করা হবে। তাই জিজিয়ার কারনে ইসলামকে লিবারেলিজম বা সেক্যুলার ডেমোক্রেসির অসহনশীল ভাবার কোন দরকার নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মে, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

ফাজায়েলে আমির মুয়াবিয়া (রা) - ৪

 

মুয়াবিয়া (রা) অত্যন্ত কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন। উমার ফারুক (রা) সম্পর্কে তার গভীর শ্রদ্ধা ছিলো। তিনি বংশগত কারনে বা আবেগের বশবর্তী হয়ে কাউকে শত্রু বানাতে তিনি মোটেই আগ্রহী ছিলেননা।

 

বুশর বিন আরতাত নামে একজন নাসেবি ছিলো। আলী (রা) উসমান হত্যাকারীদের সাথে জড়িত এই উদ্ভট গুজব তিনি শামে ছড়িয়ে ছিলেন। আলী (রা) এর সমর্থকদের কাউকে কাউকে তিনি হত্যা করেন। তিনি মুয়াবিয়া (রা) এর রাজনৈতিক সমর্থকদের একজন ছিলেন। একদিন বুশর বিন আরতাত, মুয়াবিয়া এবং যায়েদ বিন উমার (রা) একসাথে বসে ছিলেন। যায়েদ বিন উমার ছিলেন উমার (রা) এবং উম্মে কুলসুম এর সন্তান। উম্মে কুলসুম ছিলেন আলী এবং ফাতিমা (রা) এর কন্যা। যাইহোক হঠাৎ বুশর যায়েদ বিন উমার (রহ) এর সামনে আলী (রা) এর নিন্দা করেন। যায়েদকে নিন্দার্থে বলে আবু তোরাবের সন্তান। অর্থাৎ আলী (রা) কে নিন্দার্থে আবু তোরাব বলে। এতে যায়েদ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তিনি বলেন তুমি কি চাও তোমার মা সন্তান হারা হোক। তারপর বুশরকে তিনি মার দেন এবং ধ্বস্তাধস্তি হয়। মুয়াবিয়া (রা) এর হস্ত্রক্ষেপে ঝগড়া থামে। মুয়াবিয়া (রা) বুশরকে বকে দিয়ে বলেন, তুমি উমারের সন্তানের সামনে তার নানাকে এসব কি বলো?

 

উল্লেখ্য তৎকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বুশরকে দলে রাখায় মুয়াবিয়া (রা) কে দোষ দেওয়া যায়না। আলী (রা)ও বাধ্য হয়েছিলে উসমান (রা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা অনেককে তার দলে রাখতে যাদের অনেকে পরে খারেজিতে পরিনত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফাজায়েলে আমির মুয়াবিয়া রা - ৫

 

আলী রা নিঃসন্দেহে মুয়াবিয়া রা এর চেয়ে হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ। তবু কেন মুয়াবিয়া রা এর বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে পারলেননা?

 

প্রশ্নটা আমি বহুবার ভেবেছি। শেষ পর্যন্ত যেটা কারণ যেটা পেলাম তা হচ্ছে তার ইরাকি বিশেষত কুফার শিয়ারা ছিল রাজ্যের অপদার্থ এবং বিশ্বাস ঘাতক।

 

বিশ্বাস না হলে সুন্নি বই থাক নাহযুল বালাগাহ পড়ুন। আলী বিন আবু তালিব তার ইরাকি শিয়াদের বলেন, মুয়াবিয়া যদি তাদের তাদের একজনের বিরুদ্ধে তোমাদের ১০/১০০ (দুইটার একটা। আমি সংখ্যাটা ভুলে গিয়েছি) জনকে বিনিময় করে তাহলে আমি তা তাতে সন্তুষ্ট।

 

খারেজিরাও তার শিয়াদের থেকেই বের হয়েছে এবং তারাও ইরাকি।

 

হাসান আল বাসরি বলেন আমি মিম্বরে আলী (রা) কে কুফাবাসির জন্য বদদুয়া করতে দেখেছি। তিনি বলেন, আলী রা তাদের জন্য এমন এক শাসক চাপয়ে দেওয়ার জন্য বদদুয়া করেন যার অমক অমক বদগুন থাকবে। হাসান বাসরি বলেন এই প্রত্যেক বদগুন আমি হাজ্জাজের ভেতর দেখেছি।

 

শাম বিজয়ের পরে এক মারাত্মক প্লেগ হয়। এতে আবু উবায়দাহ ইবনে জাররাহ মারা যান। তারপর আরেকজন শাসক হন। (তার নাম ভুলে গিয়েছি)। তিনিও দ্রুত মারা যান। তারপর আমির মুয়াবিয়া রা সেখানে শাসক নিযুক্ত হন। শামের প্লেগ দ্রুত অনেক প্রবীণ সাহাবার শাহাদতের কারণ ছিলো। শাসন ক্ষমতা নেওয়ার পর শামবাসির মাঝে তাবলীগ, তালিম এবং তাযকিয়ায় মুয়াবিয়া রা এর বড় অবদান ছিলো। ফলে শামিরা যোগ্য ও দীনদার জাতীতে পরিনত হয় যারা বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সীমান্তে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। নিঃসন্দেহে মুয়াবিয়া রা ২০ বছরে শামিদের শৃঙ্খলা এবং কুরবানি শিখিয়েছিলেন। কিন্তু ইরাকি শিয়ারা এতো অযোগ্য ছিলো যে, মুয়াবিয়া রা এর চেয়ে হাজারগুন যোগ্য উস্তাদ পেয়েও তারা কিছুই শিখেনি গাদ্দারি ছাড়া।

 

এব্যাপারে একটা মজার গল্প বলে শেষ করবো যা মোল্লা বাকির মাজলিসিও উল্লেখ করেছেন। হুসাইন রা কে হত্যার পর আলী বিন হুসাইন জয়নুল আবেদিন রহ যখন কুফায় প্রবেশ করলেন তখন দেখলেন লোকেরা মাতম করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন এদের কি হয়েছে? বলা হলো হুসাইন রা এর শাহাদাত এর দুঃখে তারা কাঁদছে। জয়নুল আবেদিন রহ বলেন এরাইতো হুসাইনকে হত্যাকারী।

 

 

 

 

 

 

 

 

খলিফাদের শাসনকালের জন্য মেয়াদ নির্ধারণ - ১

 

শাসকের মেয়াদ একটা ব্যবস্থাপনাগত বিষয় হলেও বিষয়টিতে মুসলমানদের উরুফি ইজমা আছে। তাছাড়া এই বিষয়ে হাদিস এবং সুন্নাহর দলিলও আছে।

 

ইসলামের ঐতিহ্য হচ্ছে খলিফা বড় কোন অপরাধ না করলে এবং জ্ঞান বুদ্ধি না হারালে মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত খলিফা থাকবেন। রাসুলুল্লাহ (সা) এর সময় থেকে সুলতান আব্দুল মাজিদ পর্যন্ত সকল খুলাফার ক্ষেত্রে এটাই রীতি ছিলো। হ্যাঁ প্রাসাদ ষড়যন্ত্র বা বিদ্রোহের মাধ্যমে কেউ কেউ পদচ্যুত হয়েছিলেন। কিন্তু কখনো খলিফার মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার সাংবিধানিক নজির ইসলামের ইতিহাসে নাই।

 

এব্যাপারে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বিবেচ্য।

 

১) রাসুলুল্লাহ (সা) সালাত আদায়কারী মুসলিম শাসক জালিম হলেও বিদ্রোহ করতে নিষেধ করেছেন।

 

২) উসমান (রা) জীবন দিয়েছেন খিলাফত ছাড়েননি। কারণ বিষয়টি খিলাফতের স্থায়িত্ব এবং শক্তিমত্তার সাথে জড়িত।

 

৩) আলী (রা) সিফফিনের পরে রিকনসিলিয়েশন এর জন্য কেউ খলিফার মেয়াদ নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়নি।

 

৪) হাসান (রা) এর সাথে মুয়াবিয়া (রা) এর চুক্তিতে বলা ছিলো মুয়াবিয়া (রা) মারা গেলে হাসান (রা) খলিফা হবেন। এখানেও সন্ধিতে কেউ ভাবেও নাই যে সীমিত সময়ের জন্য খিলাফত।

 

৫) যেসব ফুকাহা জালিম শাসকের সাথে বিদ্রোহ করাকে জায়েজ বলেছেন বা সামর্থ্য থাকলে ওয়াজিব বলেছেন তাদেরও শাসকের ক্ষমতা চ্যুতির শর্ত জুলুম, কুফর। মেয়াদপূর্তি না।

 

এক কথায় শাসকের মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব একান্তই নতুন একটা বিষয় যা উম্মাহর সম্মান, মর্যাদা এবং বিজয়ের যুগে হাজার বছরে কেউ প্রস্তাব করেনি। তবে খারেজিদের মাঝে এমন প্রস্তাব থাকতে পারে যা আমার জানা নেই। কিন্তু আমার জানা মতে আহলে সুন্নাহর কেউ এমন প্রস্তাব করেননি।

 

যাইহোক পতন যুগে জাতির ভীমরতি ধরা আল্লাহর সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত। কলোনিয়াল যুগে মুসলমানরা পশ্চিমা কাফেরদের কাছ থেকে অনেক কিছু আমদানি করছে। অনেকে নিজেকে খোলাখুলিভাবে মুতাজিলা বলছে। তারা এনলাইটমেন্টের যুগে খ্রিস্টান রিফর্মেশন এর মতো ইসলামি রিফর্মেশন চান। তারপর ওয়ার অন টেররের যুগে নতুন বোতলে পুরান মদ কিন্তু ঝাঁঝ আরও বেশি। মদের নাম মডারেশন। তবে সেটা বললে মুসলিম বিশ্বে ক্রেডিবিলিটি নিয়ে ঝাঁমেলা হবে। তাই তারা কাজটার মডারেশন না বলে ভারসাম্য ফিকহ বা মধ্যপন্থী ফিকহ অন্য কথায় আল ফিকহ আল ওয়াসাতিয়্যাহ নাম রাখলো। তারা ইসলামি ফিকহের ইতিহাসে বহু শতাব্দি পরে ব্যবহৃত পরিভাষা মাকাসিদুস শারিয়্যাহকে ইচ্ছামত ধর্ষণ করে নফসানিয়্যাতের ফিকহের প্রচলন করলো। তারপর ইসলামের প্রত্যেক হুকুম, শিয়ার এবং ঐতিহ্যকে পাশ্চাত্যের কাছে সহনীয় করার জন্য ইসলামের ফাঁক ফোকর খুঁজে বের করা শুরু করলো।

 

নফসপছন্দ ইসলাম তৈরির ধারাবাহিকতায় মডারেট ফিকাহ বা ভারসাম্য ফিকাহর প্রবক্তা ইউসুফ আল কারদাওয়ী খলিফার শাসনকাল নিয়ে এই প্রস্তাব করেন যে খলিফার মেয়াদকাল নির্ধারণ করে দেওয়া হবে এতে করে স্বৈরাচারী এবং দুর্নীতিবাজ শাসকগোষ্ঠী হাঁটু গেড়ে বসতে পারবেনা। কিন্তু কেউ যদি ইউরোপের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ইতিহাসের সাথে পরিচিত থাকেন তবে তিনি বুঝতে পারবেন যে বিষয়টি মূলত ইউরোপীয় রাজনৈতিক বিবর্তনের তাসাব্বুহ যাতে ইসলামি রেটরিক এবং ইসলামি ফিকহের ফাঁকফোকর ব্যবহার করা হয়েছে ঠিক যেমন অসৎ মক্কেলের উদ্দেশ্য সাধনে পয়সার বিনিময়ে উকিলরা করে থাকেন।

 

চলবে...

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চাপাবাজি ওরফে রাজনৈতিক বক্তব্য - ১

 

মজলিশে শুরার জরুরী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ তাদের অধিকার আদায়ের সংগঠন হিসেবে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ওপর আস্থাশীল।

 

মন্তব্যঃ ওহ রিয়েলি?

 

দেশের শিক্ষার্থীদের কত শতাংশ আস্থা রাখে? ১০ শতাংশ? ৫ শতাংশ? ২.৫ শতাংশ?

 

হাহা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি কিছু বললে আপনারা বলবেন আমি হুযুরদের দোষ ধরি। কিন্তু নিচের আলোচনা পড়ে বলেন কি কইতে মন চায়?

 

আমাদের কওমি অঙ্গনে কিছু হুযুর আছে যাদের জীবনে অন্যতম প্রধান মিশন হচ্ছে, উস্তাদ মাওদুদি রহ এর ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোর ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করা। তো উস্তাদ রহ এর ভুলগুলোর মাঝে শীর্ষ স্থানীয় হচ্ছে আদালতে সাহাবা বিষয়ক আলোচনা। তো এটা নিয়ে তারা সত্যের মাপকাঠি, আদালতে সাহাবা, মিয়ায়ে হক ইত্যাদি কঠিন কঠিন শব্দ পোস্টারে লেখে। মাইকে চিল্লায়ে চিল্লায়ে বলে। কিন্তু এদেশের মানুষ তাওহীদ নিয়েই পরিস্কার ধারণা রাখেনা। সাহাবার সঙ্গা জানা মানুষ আরও কম। ফলে এসব আলোচনা দিনশেষে হুযুররা ছাড়া কেউ শোনেও না। কোন বিভ্রান্ত ব্যাক্তির ইসলাহতো দূরের কথা।

 

যাইহোক আরবি উর্দুগুলো বাদ দিয়ে বাংলায় আসি। হুযুররা সত্যের মাপকাঠি বলতে কি বুঝায় মানে সত্যের মাপকাঠির সঙ্গা তারা আজ পর্যন্ত জামাতিদের শেখাতে পারেননি। আম জনতাকেও না। সত্যের মাপকাঠি না শিখিয়ে সাহাবারা সত্যের মাপকাঠি বলার মানে কি?

 

আমি যতটা বুঝেছি জামাতিদের ধারণা হুযুররা যখন বলে সাহাবারা সত্যের মাপকাঠি তখন তার মানে হচ্ছে সাহাবারা নবীদের মতো দলিল। তারা কোন পাপ করেননি। বড়জোড় কিছু ভুল ইজতিহাদ করেছেন। এমন অস্বচ্ছ ধারণা যাদের তাদের কি বোঝান আপনারা? ব্যাপারটা শতকিয়া না শিখিয়ে ক্যালকুলাস শেখানোর মতো হলো না?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্নঃ আমাদের আক্বীদা মতে রাসুল (আ) রা মাসুম তাহলে আমরা বদরের যুদ্ধবন্দী দের ঘটনাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করি? মাসুম অর্থ কি? তাদের সাথে সাহাবাদের পাপ বা ভুল ত্রুটি ইস্যুতে পার্থক্য কি?

 

উত্তরঃ

নবিরা মানুষ। তারা ইজতিহাদে ভুল করেন। প্রায় প্রত্যেক নবির ভুল ইজতিহাদ আছে। যেমন মুসা (আ) কিবতি ব্যাক্তিকে অনিচ্ছায় হত্যা করেন। ইউনুস (আ) আল্লাহর অনুমতি ব্যাতিত হিজরত করেন। রাসুলুল্লাহ (সা) বদরের ঘটনা ছাড়াও কুরাঈশ নেতৃত্বকে আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা) কে উপস্থিত মাসলাহাতের কারনে কম গুরুত্ব দেওয়া ভুল ইজতিহাদ ছিলো। এটা হচ্ছে আল্লাহর সাথে তাদের পার্থক্য। আল্লাহ রব্বুল আলামিনের দ্বারা কোন ভুলও সম্ভব না। তিনি আকাশ এবং পৃথিবীর রব। কোন অলসতা, নিদ্রা, ভুল, ত্রুটি থেকে তিনি পবিত্র। নবীরা মাসুম মানে তারা কোন পাপ করেননি। ইসলামে ইজতিহাদ ভুল করলেও এক সোয়াব। কিন্তু নবীদের সুউচ্চ মর্যাদার সাথে ইজতিহাদি ভুলও বেমানান। তাই তারা ভুল করলে আল্লাহ দ্রুত সংশোধন করে দেন। কারণ তারা ভুলের উপর থাকলে পুরা মানব জাতী গোমরাহ হয়ে যাবে। তাহলে আর হিদায়াত বলে কিছু থাকবেনা। ফলে তাদের প্রত্যেক আমল নির্দিধায় আমরা গ্রহণ করতে পারি কারণ তারা ইজতিহাদি ভুল করলেও আল্লাহ দ্রুত এবং পরিচ্ছন্নভাবে তা বলে দেন। এভাবে তাদের জীবন এবং শিক্ষা পাপতো বটেই, এমনকি ইজতিহাদি ভুল থেকেও মুক্ত হয়ে যায়।

 

অন্যদিকে সাহাবারা পাপ করেছেন কিন্তু মাগফুর। অর্থাৎ ক্ষমাপ্রাপ্ত। সেটা তাদের তাওবার কারনে অথবা তাদের অন্য ভালো কাজের কারণে অথবা আল্লাহর রব্বুল আলামিন রহমানুর রাহিম গাফুর সাত্তার নিজ অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেওয়ার মাধ্যমে। রাসুলুল্লাহ (সা) এর অনুপস্থিতিতে তারা ভুল করতে পারেন। ফলে তাদের ব্যাক্তিগত আমল, ইজতিহাদ এবং কর্মপদ্ধতি যা রাসুলুল্লাহ (সা) দ্বারা সত্যায়িত না তা শরিয়াতের অকাট্য অংশের অন্তর্ভুক্ত না যদিনা তাতে ইজমা সংঘটিত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোটবেলায় অনেক বোকা ছিলাম। মূর্খও। জানতাম হুজুররা মঞ্চে যা বলে সত্যই তা হবে। বড় হয়ে জানলাম না হুজুরদের বক্তব্যও দুই রকম।

 

১) সত্য বক্তব্য

২) রাজনৈতিক বক্তব্য

 

ব্যাপারটা বুঝতে হলে জামাত, জমিয়ত, চরমোনাই যেকোনো দলের কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য ইউটিউবে শুনুন। বেশিনা যেকোনো দলের তিন ঘন্টার বক্তব্য শুনুন। তারপর খোঁজ নিয়ে দেখেন তারা যে গরম বয়ান দিয়েছেন সেতুলনায় কারও গুপাঙ্গের কেশও ফেলেছেন কিনা?

 

হাহাহাহা

 

এসব বিষয় জানার পরে মুখলিস কর্মীরা ইসলামি আন্দোলনের ধান্দাবাজ দায়িত্বশীল হন। অবশ্য ধান্দা খারাপ না। হিন্দিতে ধান্দা মানে ব্যবসা।

 

টিনএজ বয়স না কাটালে ধান্দায় ভালো করা যায়না। যাইহোক কিছু তামাশা দেখাবো।

 

আলে সাউদের চামচাদের কাজ আরকি। ভাই যেই হন আবেগে নিজেদের ইন্টারনাল গ্রুপে আমাকে এড না করাই ভালো।

 

আমাকে টানতে পারবেননা। আমি খুব ভারী।

 

 

 

 

 

 

ভাইলোগ আপনারা অনেক কিছু আমার কাছে প্রত্যাশা করেননা। আমি এখানে লেখালেখি শুরুতে ওয়াদা করেছিলাম আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ হবেনা।

 

আমি জানি কারদাওয়ীকে মোকাবেলা করার সামর্থ্য আমার নাই। কিন্তু আমি একটা শোরগোল বাধাতে চাই যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে লোকটা বিতর্কিত সে দলিল না।

 

কারদাওয়ীকে গালাগালির পেছনে আমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা আছে। কিছু মানুষ মডারেট ইসলাম নিয়ে আমার কাছে কথা বলতে আসে। তারপর দলিল দেয়। তারপর আমি যখন কারদাওয়ীর ব্যাপারে বলি সে দলিল না। তার প্রচুর সমস্যা তখন লোকেরা আমার সাথে ইতরামি শুরু করে। বলে তুমি তার চেয়ে বড় আলেম? বেশি বুঝো? এরপর যখন কারদাওয়ীকে কুত্তা, জিন্দিক বলে গালাগালি শুরু করি তখন তারা ব্যাকফুটে গিয়ে বলে সে মানুষ। তার কিছু ভুল হতে পারে। তাই বলে এমন করে গালি দিবা? এভাবে আলোচনা অন্যদিকে যায়। তারা আমার সাথে মডারেট আলোচনার ভিত্তিই হারিয়ে ফেলে। কারণ আমি জানি মৌলিকভাবে তাদের কাছে কোন দলিল নেই কারদাওয়ীরগুলো ছাড়া। এরা এতো শিক্ষিতও না।

 

এভাবে আমার আদর্শিক শত্রুরা পরাজিত হয়। ইবনে খালেদুনের মতে যেভাবে দুর্বিনীত অসভ্য মানুষ সভ্যদের পরাজিত করে। আর বাস্তবতাও তাই। আমি সভ্যতা দেখালে তারা অসভ্য হয়ে উঠে।

 

এটা একটা লড়াই। চিন্তার লড়াই। আমি জানি আমি কিছুই না। তবে আমি এটুকু ছড়াতে চাই যে কারদাওয়ী অত্যন্ত বিতর্কিত মানুষ।

 

 

 

 

 

 

রমজান মাসে সফরে দিনে সহবাস ব্যাপারটা কেমন?

 

না মানে ধরেন টংয়ে খাওয়ার মতো পর্দা টাঙায়ে।

 

 

 

 

 

আপনি যখন শাইখ ইউসুফ আল কারদাওয়ীর প্রশংসা করেন, তার নিন্দা শুনলেই জ্বলে উঠেন আর শাইখ ফরিদ উদ্দিন মাসুদ (হাফি) এর বিরুদ্ধে খোঁচাখুঁচি করেন তখন আপনাকে জাস্ট শুয়োরের বাচ্চা লাগে।

 

শাইখ ফরিদ শাহবাগে গেছে? হাহাহা। আপনারা শাইখ আমেরিকান আর্মিতে চাকরি করা মুসলমানদের আফগান মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েজ ফতোয়া দিয়েছে।

 

কুত্তা কারদাওয়ী আলিম, শাইখ ফরিদ (হাফি) আলিম না? নাকি শাইখের বড় দোষ তিনি জামাতি না?

 

শাইখ যা করেছেন খুব কম করেছেন। তাকে আপনারা জঙ্গি বলে জেলে ঢুকাইছেন। প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার তার আছে।

 

 

 

 

 

 

 

আসেন খেলি

 

কারজাভিকে গালাগালি করা খারাপ কারণ তিনি আলিম।

 

শাইখ রবি বিন হাদি আল মাদখালিকে গালাগালি সোয়াবের কাজ? মতি বিহারি?

 

তারা আলিম না?

 

হাহাহাহাহ

 

খেলবেনতো আসেন খেলি?

 

মুসলমানদের গালি দেওয়া ফিসক। গুড।

 

MBS কে গালি দিলে সোয়াব হবে? নাকি তাকফির করেন?

 

আমি এবং আমার গ্রুপ মুসলমান, বাকি সবাই কাফির।

 

মানে মুসলমানদের হকগুলো যেমন জীবন, সম্মান এবং সম্পদের পবিত্রতা কেবল আমার গ্রুপ্রের জন্য।

 

অন্য গ্রুপগুলো বড়জোর যিম্মির সম্মান পেতে পারে। তাও চো***। দেশ আমার দখলে না বলে।

 

দখল থাকলে কোন শালা অপোজিট গ্রুপকে জান্নাত, দুনিয়া কোথাও ঢুকতে দিতাম না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আহলুল বিদয়াহ এবং আহলুল কুফর এক না। কারজাভি অবশ্যই আহলে সুন্নাহ না, তবে কাফিরও না। তাকে বা তার মতো কাউকে যেমন শাহ আব্দুল হান্নান তাকফির বা হত্যা অবশ্যই হারাম।

 

আমার আগের পোস্টের সুযোগে কোনো কোনো তাকফিরি তাকে তাকফির করেছে। কিন্তু তাদের অবস্থান অবশ্যই ভুল। পোস্টটি ফতোয়া ছিলোনা, গালাগালি ছিলো। যেকোন মুসলমানের রক্ত অবশ্যই হারাম যদিও সে আহলুল বিদয়াহ হয়।

 

যারা তাকি উসমানির কিছু বক্তব্য দিয়ে কারজাভিকে জায়েজ করতে চান তাদের বুঝতে হবে আল আহকামুস সুলতানিয়া ইস্যুতে তাকে পাঠের সময় আমরা অত্যন্ত সতর্ক থাকি। কারণ তার ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেননা মানে পাকিস্তানপন্থী। পাকিস্তান হচ্ছে ইসলামি জমহুরিয়াত। কালিমা পড়া ফাসিক মুসলমান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি বিশ্বাস করি মুসলিম বিশ্বে যে মডারেশন হচ্ছে তার গোড়া হচ্ছে শাইখ ইউসুফ আল কারজাভি। আরব ও পশ্চিমা মডারেট চিন্তা পুরা ছাকনি ছাড়া বাংলাদেশে ঢুকানোতে যাদের বড় অবদান শাহ আব্দুল হান্নান এবং তার বিআইআইটি প্রধান। কোন আবরণ ছাড়া। খোলেমেলা মডারেট ইসলাম।

 

উপমহাদেশে কওমি দেওবন্দিদের মাঝেও এসব মডারেট কুচিন্তা ঢুকেছে। তবে এই কাজ হয়েছে শাইখ কারজাভির মাধ্যমে। ইখওয়ান এর প্রতি দেওবন্দিদের সুধারণার সুযোগ নিয়ে।

 

সত্য বলতে আমার ধারণা সে আজকের যুগে ইসলামের পল। সে এমন এক ইসলাম চালু করেছে যা আগে কখনো তেমন ছিলোনা। আর সে যেভাবে দেওবন্দিদের প্রভাবিত করেছে তা নিয়ে বললে পাকিস্তান ভারতের বড় বড় আকাবির ফেঁসে যাবে। তবে আমি মনে করি বড় বড় আকাবিরদের ইলমি স্ক্যান্ডালগুলোর খন্ডন হওয়া উচিৎ।

 

এসব নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথা। সত্য হচ্ছে, কারজাভিকে আমি দুই চোখে দেখতে পারিনা। তবে এটাও সত্য তার মতো বুড়ো শয়তানকে এখন মেরেই লাভ কি? মডারেট ইসলামকে একটা শহীদ উপহার দেওয়া ছাড়া। তার প্রতি আমার ঘৃনা প্রায় মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি আমার ঘৃনার কাছাকাছি।

 

তবে এগুলো বোঝানোর জন্য কাল কারজাভি এবং হান্ননানের বিরুদ্ধে পোস্ট দেইনি। কালকে যখন এই দুই বুড়ো শয়তানকে গালি দিয়েছি আপনি যেমন বিরক্ত হয়েছি তেমন আপনারা যখন আমার সাথে কমেন্ট এবং ইনবক্সে তর্ক করেন এবং অপ্রাসঙ্গিক বা ভুলভাল কথাবার্তা বলেন, আমি যা বলিনি তা আমার নামে চাপান তখন আমি এমন বা আরও বেশি বিরক্ত হই।

 

আপনারা কতটা বলদ ভেবে দেখেন। আমি পোস্টে কোথাও কোন যুক্তিই দেইনি। কথাবার্তা ছিলো ভারসাম্যহীন উন্মাদের মতো। বেপরোয়া গালাগালি, বিদ্রুপ ছাড়া কিছুই ছিলোনা। সেখানে আপনারা এসে আমাকে জ্ঞান দিয়েছেন, তর্ক করেছেন, বক্তব্যের যৌক্তিকতা বুঝতে চেয়েছেন।

 

এসবই প্রমান করে আপনাদের কান্ডজ্ঞান। আপনাদের বাস্তবতা উপলব্ধির সক্ষমতা।

 

বিশ্বাস করেন আমি খুব খুশি হতাম যদি যুক্তির সূত্রগুলো সংযোগে ব্যার্থরা আমাকে গনহারে আনফ্রেন্ড করে দিতেন। অন্তত ৫০ জন।

 

 

 

 

 

 

 

আলে সাউদ যদি শাইখ সালমান আল আওদাকে ফাঁসি না দিয়ে কুত্তা কারদাওয়ীকে দিতো তাহলে কুত্তা সালমানকে একদিনের জন্য মানুষ বলতাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

ধরেন আল্লাহর নাম আমি দূর্গা রেখে দিলাম।

 

আমরা চার পাঁচজন আল্লাহকে দূর্গা বলা শুরু করলাম। তাহলে ৫ বছর পর বিভিন্ন তাবিলে দূর্গাপূজা হালাল হয়ে যাবে। আর আমি যদি মুসলিম শাসক বা আকাবির বা সালাফ বা ইসলামি আন্দোলনের দায়িত্বশীল হই তাহলেতো কথাই নাই।

 

তারপর কে কোন দূর্গাপূজায় যাচ্ছে? ভীড়ে কে কোন মেয়ের পাছা হাতিয়ে দিচ্ছে তার কোন হিসাব নিকাশ পাবেননা।

 

লজিক লেভেল জামাতি, ইখওয়ানি, জনন আকাঙ্ক্ষা দেওভন্ড ইসলামি আন্দোলন মডেল।

 

আপডেট ভার্শন সেক্যুলারিজম এর কত ব্যাখ্যা হয় তার আপনি কি বুঝবেন? আপনি জানেন কারদাওয়ী, ঘানুশি, রামাদান, এরদোয়ান কি ভাবছে?

 

আপনি হচ্ছে কুয়ার ব্যাঙ।

 

 

 

 

 

 

 

প্রত্যেক গ্রুপের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। জগতে সকল প্রানীই শিক্ষনীয়। মাদখালিদের কাছেও অনেক কিছু শেখার আছে। যেমন মাদখালিরা বলে থাকে, আহলুল বিদয়াহর সাথে তর্ক করতে সালাফরা নিষেধ করেছেন। আমি চিন্তা করে দেখলাম ঠিকইতো। সাধারণভাবে আহলে বিদয়াহর সাথে মিশলে কাজের কাজ হয় কম কিন্তু নিজের মাঝে শুবুহাত ঢোকে। তবে আহলুল বিদয়াহর সাথে যদি তর্ক করা নিষেধ হয় তবে নিশ্চয়ই কুকুর, শুকুর এবং বানর ছানাদের সাথেও তর্ক করতে নাই।

 

শাইখ রবি বিন হাদি আল মাদখালি থেকে শাইখ আসিম আল হাকিম হয়ে আমাদের মতি বিহারি, আবু বকর জাকারিয়া, ইমাম হোসেন হয়ে ব্রিটেনের শামসি, দাওয়াহ ম্যান সবাই দেখতে মানুষ হলেও কেউ আহলে বিদয়াহ না। কারণ শরিয়াত মানুষের জন্য প্রযোজ্য কুকুরের জন্য না। কুকুর ভেউ ভেউ করতে পারে বিদয়াত করতে পারেনা।

 

যাইহোক কোন মানুষের যদি একটা আদর্শ থাকে তখন আপনি তার সাথে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু কুকুর যার উসুল হচ্ছে প্রভু ভক্তি তাদের সাথে কি আলোচনা করবেন? শাইখ রবি থেকে সকল মাদখালি কিন্তু শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নিষিদ্ধতার ব্যাপারেও তাদের অবস্থান নিয়েও কনসিসটেন্ট না। তাদের কনসিস্টেন্সি কেবল আলে সাউদের পা চাটার ব্যাপারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাওহীদ ইসলামের সবচেয়ে মৌলিক আকিদা। তাই কেউ এর খেলাফ হাদিস বা আসার আনলে আমাদের বক্তব্য

 

১) আকিদা প্রমানিত হতে মুতাওয়াতির হাদিস দরকার। কোন জয়িফ বা খবরে আহাদ না। তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সা এর শেষ বক্তব্য দলিল।

 

২) তাওহীদের খেলাফ হাদিস বা আসার আসলে তা সাজ।

 

৩) স্বপ্ন শরীয়তের দলিল না।

 

৪) সাহাবাদের আমল মৌলিক দলিল না, বরং সহায়ক ব্যাখ্যা। তবে তারা মাসুম না। আবু বকর, উমার, উসমান, আলী বা উম্মাহাতুল মুমিনিন কেউ মাসুম না। মাসুম শুধু নবীরা।

 

৫) রাসুলুল্লাহ জীবিত না মৃত তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে এক হাদিসে আছে আমার কবরে এসে কেউ সালাম দিলে আমি তার জবাব দেই। তবে কেউ রাসুলুল্লাহ সা এর কাছেও সাহায্য চায় তবে তার কাছে হুজ্জত প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে তা শিরক। না মানলে হিন্দুদের মতো মুশরিক।

 

"আমরা শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই শুধু তারই ইবাদত করি"। - সুরাতুল ফাতিহা

 

৬) স্বপ্ন বা ইলহামের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সা কাউকে কোন পরামর্শ দেওয়া কাউকে আল্লাহর মতো সাহায্য করা বোঝায় না। এটা কোন ফিজিক্যাল বা বস্তুগত সহায়তা না।

 

 

 

 

 

 

 

 

মাহমুদ মাদানি আর আমার শাইখ মাওলানা মাসুদ আপন মায়ের পেটের খালাত ভাই। তারা যা বলেন তা শরিয়ত দিয়ে মাপতে গেলেই ভেজাল। ইশক দিয়ে মাপতে হবে।

 

কিন্তু ছোটবেলার মানুষিক রোগী না হলে, মোদিকে মাহমুদ মাদানির অভিনন্দন জানানো আর বাংলাদেশ জামাতে ইসলামি এর অভিনন্দন জানানো সমান ভাবাও মুশকিল হওয়া উচিৎ।

 

মাহমুদ মাদানির কাজটাকে আপনি ভারতীয় জামাতে ইসলামির সাথে মেলাতে পারেন। সেখানে আলোচনার জায়গা আছে।

 

উল্লেখ্য এটা একটা উরুফি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিষয়ক পোস্ট। এখানে কুরআন হাদিস খুঁজে লাভ নাই। কারণ এখানে সেসব ভেবে লেখা হয় নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি দেওবন্দিদের ফেরেশতাদের জামাত বলিনা। একথাও বলিনা যে তারা সারাজীবন হকপন্থী থাকবে। তবে একথা অবশ্যই দাবি করি যে, দীনের এমন কোন ময়দান নাই যেখানে শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ রহ থেকে আজ পর্যন্ত উলামায়ে দেওবন্দ গুরুত্বপূর্ণ কোন খেদমত করেননি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অখণ্ড ভারত বা পাকিস্তানের যৌক্তিকতা নিয়ে আমি আজও সন্দিহান। আদর্শিকভাবে উস্তাদ মাওদুদি রহ এর শুরুর দিকের অবস্থায় আমার কাছে অধিক হক মনে হয়। মুসলমান খিলাফত ছাড়া আর কিছুর দাওয়াত দিতে পারেনা। মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি রহ নিজেও খিলাফত আন্দোলনের জন্য যে কুরবানি করেছেন তা সমকালীন ইতিহাসে অনেক উঁচু মর্যাদার স্থান দখল করে আছে। এমনকি তিনি ত্রিশের দশকে বাদশাহ আব্দুল আযিযকে খেলাফত ঘোষণা করতেও অনুরোধ করেন এবং ভারত থেকে বায়াত সংগ্রহের আশ্বাস দেন। সূত্রঃ মাওলানা ভাসানি, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।

 

হক আর বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করা সহজ তবে অপেক্ষাকৃত ভাল এবং অপেক্ষাকৃত কম মন্দের পার্থক্য নিরূপণ সর্বদা সহজ না। সমস্যা হচ্ছে আদর্শবাদ আর সময়ের মাসলাহাত বিবেচনায় সিদ্ধান্ত সর্বদা সরল রৈখিক না। তৎকালীন মাসলাহাত বিবেচনায় আমি অখণ্ড ভারতের পক্ষে কিছু যুক্তি উপস্থাপন মানে পাকিস্তান ধারণার অকাট বিরুদ্ধে তা নয়। আমি ব্যাক্তিগতভাবে থানভি বা মাদানি মাসলাক না। বরং মূল শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ রহ এর খান্দানের মাসলাক অনুসরণ করি আমার বুঝ অনুযায়ী। সেখানে থানভী মাদানি দুই গুরুত্বপূর্ণ শাখা। আমি মাদানি রহ এর কাজের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে যখন পাকিস্তানের সীমাবদ্ধতার কথা বলি, তখন তার মানে এটা না যে পাকিস্তানের দ্বারা কোন কল্যান অর্জিত হয়নি। তর্ক আমি শিখেছিলাম। তাই তর্ক আগাতে পারতাম। কিন্তু গোঁড়ামি এবং প্রতিক্রিয়াশীলতা আমাদের বিপদগ্রস্ত করে। এক খাদ থেকে আরেক খাদে ফেলে। আমি যদি দাবি করি পাকিস্তানের দ্বারা কল্যান হয়নি তবে থানভি রহ এর ব্যাপারে নিন্দা করার জায়গা তৈরি করা। আমার শত্রু আপনি একা না। অত গুরুত্ব আমি আপনাকে দেইনা যে আপনার কারণে আমি সত্যকে কলুষিত করবো। চিন্তার একজন মুজতাহিদ হিসাবে আমার চিন্তা লালন করেনা এমন সবাই আমার সম্ভাব্য শত্রু। এমনকি আমি নিজেও। কারণ হয়তো চিন্তার দুনিয়ায় কোন বদ্ধমূল ধারণার শিকল আমাকে আগাতে দিবেনা।

 

যাইহোক আমার কথা হচ্ছে, আপনি যদি সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক ডগমাসর্বস্ব আলাপের উর্ধ্বে উঠতে পারেন তাহলে মাওলানা মাদানির রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো কিনা, তাতে মুসলমানদের লাভ হয়েছে না ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে। তবে তার সিদ্ধান্তের পেছনে উম্মাহর কল্যাণের কোন যৌক্তিক সম্ভাবনা তার কাছেও ছিলোনা, শুধু তিনি কংগ্রেসী মোল্লা, জাতীয়তাবাদী আলিম, গোষ্ঠীগত বা পারিবারিক স্বার্থে, সংকীর্ণ মানষিকতার কারণে তিনি তার তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে যারা মনে করেন তারা মাওলানা মাদানি রহ এর সাথে নিকৃষ্ট জুলুম করেছেন বলেই মনে করি। কারণ তা তার সারাজীবন এর ইলম, আমল, আখলাক, কুরবানি এবং যুহদের সাথে যায়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি প্রথম ইসলামের দাওয়াত পেয়েছি সেমি বেরেলভি ১০০ শতাংশ অরাজনৈতিক একটি সুফি ধারার কাছ থেকে। তারপর বিদয়াত প্রত্যাখ্যান এবং সুন্নাহর আনুগত্যের দাওয়াত পেয়েছি দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনত থেকে।

 

আমি যদি এসব অরাজনৈতিক ধারা থেকে দাওয়াত না পেতাম তাহলে সম্ভবত মেধাবি পড়ুয়া নাস্তিক হতাম। কারণ কোন রাজনৈতিক ইসলামি গোষ্ঠীর পক্ষে আমাকে দাওয়াত দেওয়া সম্ভব হতো না।

 

জামাত ও অন্যান্য রাজনৈতিক ইসলামপন্থী ভাইদের কাছে প্রশ্ন, ভাই আমি খুব বড় কোন লাঠুরাম হইনি। একজন পাপাচারী, জাহিল মানুষ। তবু ইমানহারা নই এটুকু দাবি অবশ্যই করবো। এখন আমার ক্ষেত্রে তাবলীগের অবদান আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির ও গ্রান্ড স্কিমের জন্য উপকারী হয়েছে না ক্ষতিকর?

 

প্লিজ উত্তর না দিয়ে যাবেননা। হাহা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

- রাজনীতি অবশ্যই পূর্ন দীন না। আবার রাজনীতি ব্যাতিত ইসলাম কখনোই পুরো ইসলাম না। রাজনীতি অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর একটি। এই অংশ অস্বীকার করলে মানুষ অবশ্যই কাফির হয়ে যাবে। আবার এই অংশ ছাড়াও একজন মুসলমান আল্লাহর দরবারে কবুল হতে পারেন, মাগফেরাত পেতে পারেন। কিন্তু রাজনীতিতে মুসলমানদের দখল না থাকলে কোন মুসলমান দিনশেষে মুসলমান থাকতে পারবেনা। সুনিশ্চিতভাবে পুরো উম্মাহ কাফের হয়ে যাবে।

 

- ভাই এসব কিসব প্যাঁচ গোচ ঘোলাটে আলাপ মারেন। এসব বয়ান দিয়ে কি বোঝাতে চান?

 

- সোজাকথা মুসলমানদের কোন জামাত আল জামাত না। রাজনীতি বাস্তবতা অনুযায়ী ফরজে কিফায়া। তাই কোন জামাত রাজনীতির হক আদায় করলে অন্যান্য জামাত তা এড়িয়ে গিয়েও আল্লাহর কাছে দায়মুক্তি পেতে পারে। তাছাড়া প্রত্যক্ষ রাজনীতি না করেও মুসলিম এবং ইসলামিক রাজনৈতিক প্রকল্পে অবদান রাখা সম্ভব। তবে যারা প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক প্রকল্পে অবদান রাখছে উপযুক্ত মাসলাহাত ছাড়া প্রকাশ্যে তাদের ছিদ্রান্বেষণ এবং নিন্দা করা হারাম।

 

সংক্ষেপে আপনাকে একটা উম্মাহর অংশ হিসাবে মাসলাহাত অনুযায়ী ডিভিশন অব লেবারের ফর্মুলায় কাজ করতে হবে। অন্য ডিপার্টমেন্ট এর সীমাবদ্ধতা বুঝতে হবে। তাদের জন্য সহানুভূতি রাখতে হবে। সম্ভব হলে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু নিজের ডিপার্টমেন্টকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। তার মানে এটা না যে অন্য ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করে আপনার ডিপার্টমেন্টে এফোর্ট দিতে হবে। সেই ডিপার্টমেন্ট মাঠের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করবে যদিও হয়তো সেই কাজ আপনার ডিপার্টমেন্টের জন্য কিছু সমস্যা তৈরি করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই আমার তাবলীগ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করে নাই বলে খারাপ কিন্তু আপনার দল যদি ধরে নেই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েছে তথাপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তেল মেরে চলে।

 

যুদ্ধ করলে আমেরিকার সাথেই করা উচিৎ। আমেরিকাকে ছেড়ে দিয়ে ইজরায়েল বিরোধী লড়াই হচ্ছে শিকড়, কান্ড রেখে মগডাল কাটার রাজনীতি।

 

আপনারা রাজনৈতিক মাসলাহাত এর দোহাই দিয়ে মোদিকে অভিনন্দন জানাবেন, আমেরিকার কাছে মডারেট সার্টিফিকেট আনবেন আর আমরা দীনী মাসলাহাত বিবেচনায় কৌশলী আচরণ ও কর্মপন্থা নিতে পারবোনা কেন ভাই।

 

ইজরায়েল নিয়ে আবেগ ব্যবসা করবেন না। বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও সামরিক লড়াইয়ে কে কতটা আপোষের চোরাবালিতে আটকেছে আমরা খুব ভালো করে জানি। ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে একটি আমেরিকান প্রদেশের অতিরিক্ত কিছু না।

 

সাপের মাথা ছেড়ে লেজ নিয়ে খোঁচাখুঁচি বেকুবরাই করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা জগৎ যতটা চিনি জগৎ তার চেয়ে অনেক বড়। ইসলাম কেবল রাজনীতি না। আরও বেশি কিছু। ব্যাপারটা না রাফেজিরা বোঝে আর না জামাতিরা।

 

শাইখুল ইসলাম হযরত আল্লামা মীর সালমান (হাফি)

 

তিনি মানে মীর সালমান (হাফি) মাঝে মাঝে এতো অসাধারণ কথা বলেন আমি ভেবে অবাক হয়ে যাই।

 

উস্তাদ মাওদুদি রহ এর কালিমার ব্যাখ্যা নিয়ে উলামায়ে দেওবন্দের সমালোচনা আমার দৃষ্টিতে কিছুটা বেশি কঠোর মনে হয়েছে। কারণ উস্তাদ রহ উলুহিয়াতের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা আমার মতে অসম্পূর্ণ হলেও ভুল ছিলোনা। যুগের তাকাযায় তাওহীদের যে দিকটায় জোড় দিয়েছিলেন তাও প্রয়োজন ছিলো মনে করি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার ইজতিহাদ এবং ফিকিরের নতিজা যা হবে বলে উলামায়ে দেওবন্দ আশঙ্কা করেছিলেন ফলাফল সেদিকেই গিয়েছে। ফলে একাডেমিক বিশ্লেষণে উলামায়ে কেরামের অনেকের বিশ্লেষণে মারাত্মক দুর্বলতা থাকলেও নতিজার বিচারে তারা অধিক প্রজ্ঞাবান প্রমাণিত হয়েছেন। কার্যত রাজনীতিকেই দীন মনে করার ফিতান অনেকের মাঝে সংক্রমিত হয়েছে। ফিতনা এতো দূর বিস্তৃত হয়েছে যে ইরানি চিন্তাবিদ আলী শরিয়তির কারবালা বিষয়ক বই যা "জাগো সাক্ষ্যা দাও" নামে অনুদিত হয়েছে, অনেক জামাতি ভাইকে বইটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখেছি। আমি স্বীকার করি বইটির সাহিত্য মান উচ্চাঙ্গের। তথাপি শিয়া সাহাবা বিদ্বেষ বইটিতে খুবই শৈল্পিক। এখানে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা কেও সমালোচনা করা হয়েছে তবে ইমামত সংক্রান্ত আকিদার ক্যাচালে নয় বরং রাজনৈতিক নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে।

 

যাইহোক প্রাসঙ্গিকতাবশত টপিকটি নিয়ে কিছু কথা বললাম। কমেন্টকারি সম্ভবত জামাতি না। রাফেজি।

 

ইলাহ নিয়ে একটা পুরানো লেখার লিংক কমেন্ট

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি টোকাই কুলের একজন গন্যমান্য ফেসবুক প্রতিনিধি। ভদ্রলোকরা জিততে চেয়েছিল, জিতে চলে গিয়েছেন। ডাস্টবিন আমাদের টোকাইদের দখলে আছে। সেটা ভদ্র লোকেরা নিতে পারেননি।

 

সকালে এক পোস্ট দিয়েছিলাম। টোকাইদের স্ট্যান্ডার্ডে সস্তা অবৌদ্ধিক পোস্ট। ১৫৯ রিএকশন মানে লাইক, লাভ, হাহা ইত্যাদি।

 

ভদ্রপাড়ার সাদি ভাই সস্তা ভাঙা মাটির থালা লোকজ বা ফোক মার্কেটে তুলেছিলেন। ৫২৩ লাইক।

 

ডাস্টবিনের চেয়ে বেশি কিছু দখলের স্বপ্ন দেখিনি। রাজত্বের দখল রাজবংশ বেশিদিন রাখতে পারেনা, ডাস্টবিনের দখল টোকাইরা রাখে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৭০ বছর পরে একটা নির্বাচনের ফল হুসাইন আহমদ মাদানি রহ কে গালাগালির জন্য উপযুক্ত কারণ হতে পারেনা।

 

হুসাইন আহমদ মাদানি আলিমুল গায়েব না। নবী না। তবে আওলিয়াতো অবশ্যই। বিশ্বাস না হলে সিলেট এবং আসামে যে পথ দিয়ে তিনি হেঁটেছেন সেই পথের ধারের মানুষের দীনের সাথে আজ পর্যন্ত সম্পর্ক দেখুন।

 

হুসাইন আহমদ মাদানি মাসুম ছিলেননা। তার ভুল ছিলো পাপ ছিলো। তবে কয়েকটি কথা বিবেচ্য

 

১) ধরি পাকিস্তান তৈরি সঠিক ছিলো। তবু ২০ কোটি মুসলমান ভারতে নিজেদের অধিকার দাবি করার জন্য এমন কেউ দরকার ছিলো যিনি অখন্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন।

 

২) তিনি যে প্রদেশের মানুষ সেখানে সকল মুসলমান হিজরত করা সম্ভব ছিলোনা।

 

৩) ভারতব্যাপি মসজিদ মাদ্রাসাগুলো এবং মুসলিম সম্পদগুলোর দখল ছেড়ে দেওয়া খোদ পাকিস্তানের জন্যেও লাভজনক ছিলোনা।

 

৪) শরিয়া বাস্তবায়নের যে স্বপ্ন আপনারা দেখিয়েছিলেন তা পূরন করেননি। মাদানি রহ নিয়ে বড় বোলচাল দেওয়ার আগে বাংলাদের ইসলামি আন্দোলনের উপর নিপীড়ন, ওয়াজিরিস্তান, সোয়াত, জামেয়া হাফসা এগুলো আমরা অবশ্যই স্মরণ করতে হবে।

 

৫) ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান কি দায়িত্ব পালন করেছে? অথচ মুসলিম লীগের নেতাদের এটা একটা প্রতিশ্রুতি ছিলো ভারতীয় মুসলমানদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা রাজনৈতিক চাপ দিবে। পাকিস্তানতো বটেই বাংলাদেশও এই দায়িত্ব এড়াতে পারেনা। ভাসানি, সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিব মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। নিজেরা ভাগ পেয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি ধরাধরি করে অন্যকে পাওনা দিবেননা তা হতে পারেনা। ভারতের মাটিতে আলাদা মানচিত্র নিয়ে থাকবেন অথচ জাতীরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে অযুহাত দিয়ে স্বার্থপরের মতো পল্টি মারবেন আর মহান উলামাদের ইখলাসপূর্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গোষ্ঠীর পিন্ডি চটকাবেন আর আমরা আপনাকে অসভ্য, মূর্খ এবং ছোটলোক ভাববোনা তা হতে পারেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ সালমান আল আওদাহ ৯০ এর দশকের শুরুতেই এক জনপ্রিয় এবং সংগ্রামী আলিমের নাম। তিনি বর্তমানে মজলুম সন্দেহ নাই। তিনি ৯০ এর মাঝামাঝি না হলেও শেষ থেকেই আপোষের চোরাবালিতে পড়েছেন সন্দেহ নাই। তবে জীবন রেটরিক না, রোমান্টিক না। এখানে পা পিছলায়। আল্লাহ তার দোষ শত্রু ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাঁকে দুনিয়া আখিরাতে সম্মানিত করুক। আমিন।

 

তার জীবন, সংগ্রাম এবং বিচ্যুতিগুলো নিয়ে কেউ কিছু জানালে ভালো হয়। আরো ভালো হয় এবিষয়ে কোন লেখা শেয়ার করলে। সবচেয়ে ভালো হয় কেউ কিছু একটু সময় লাগিয়ে আরবি বিভিন্ন পুস্তক, আর্টিকেল এবং নিউজ মিশিয়ে লিখলে। তার ব্যাপারে একটা ভাল বুকলেট বর্তমানে বইয়ের বাজারে কাটতি পাবে বিশ্বাস করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হাদিসে আছে, "দাজ্জালের সাক্ষাৎ কামনা করোনা"।

 

সহীহ হাদীস,

لا تمنوا لقاء العدو، وسلوا الله العافية، وإذا لقيتم فاثبتوا

তোমরা শত্রুর সাথে যুদ্ধ কামনা করো না, আল্লাহর কাছে আফিয়াত চাও। তবে যদি শত্রুর মুখোমুখি হয়ে যাও, তাহলে অটল থাক।

 

এখানে লোকেরা খুশি গাজওয়াতুল হিন্দ দ্রুতই হবে। তারা দলে দলে যোগ দিয়ে মোদিকে শিকল পড়য়ে ইসা আ এর কাছে নিয়ে যাবে। গনিমত হিসাবে থাকছে ইয়ামি গৌতম, শ্রদ্ধা কাপুর। শাহাদতে পিঁপড়ার কামর। তারপর হুর।

 

তাই তারা দুয়া করছে আল্লাহ গাজওয়াতুল হিন্দ লাগিয়ে দাও।

 

ভাইরে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি আর যুদ্ধের জন্য দুয়া করা এক জিনিস না। ফিতনা বা পরীক্ষার জন্য দুয়া করার শিক্ষা এই দীন আপনাকে দেয়না। মুসলমানদের উপর গযবের দুয়া করাও বৈধ না। গাযওয়াতুল হিন্দ কোন তামাশা হবেনা। আর যে আশা করছেন যে এর মাধ্যমে উম্মাহ জাগবে তাও সঠিক না। বরং আরও হীনমন্য হবে। গভীরভাবে বিভিন্ন জাতির ইতিহাস পড়েন বুঝতে পারবেন আপনারা ব্যাপারটা যেভাবে ভাবছেন ঘটনাগুলো মোটেই তেমন হবে না।

 

আপনারা যা বলেছেন এগুলো জিহাদের জজবা না, স্বল্প বয়সী রোমান্টিকতা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছবিটা খুব প্রচার পেয়েছে।

 

কথা অনেকটাই সত্য। আলে সাউদকে আমি হাজ্জাজের চেয়ে হাজার গুন খারাপ মনে করি। তারা শুধু খারাপই না। অলস, অথর্ব, নির্ধোধ এবং হঠকারী। তারা তাদের সম্ভাব্য অনেক মিত্র যাদের নিদেনপক্ষে নিরপেক্ষ রাখা যেতো তাদের তারা ছাগলের মতো শত্রু বানিয়েছে। ইরানের হাত শক্তিশালী হওয়ায় তাদের দায় এবং ব্যার্থতা সীমাহীন।

 

অন্যদিকে ১৯৭৯ সালে ইরান বিপ্লবের পর থেকে ইরানের রাজনীতি, কুটনীতি এবং প্রযুক্তিগত সাফল্যে আমি মুগ্ধ। তারা অনেক অসাধারণ কিছু অর্জন করেছে।

 

তবে এই কারণে কি আমরা ইরান সমর্থন করতে পারি?

 

তাহলে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জায়ানিজম সমর্থন করতাম।

 

 

 

 

 

 

 

আমি যত গ্রুপের মানুষের সাথে জীবনে মিশেছি, গভীরভাবে মিশেছি কেউ কখনো আমায় শত্রু ভাবেনি। একথা শুধু ইসলামি গ্রুপের ক্ষেত্রে না বরং আওয়ামী লীগ, বিএনপির ক্ষেত্রেও সত্য। অথচ সবাইকেই যথেষ্ট গালাগালি করেছি।

 

আমি ভেবে দেখেছি কারণটা কি? আমার কাছে মনে হয়েছে একটাই কারণ। আমি কখনো সজ্ঞানে ইনসাফ বিচ্যুত হইনি। হয়েতো হয়েছি তবে তা আমার অজ্ঞতা, অযোগ্যতার কারণে। মুনাফিকির কারণে না। সাথে আরেকটা কাজ করেছি। তাদের অবস্থানটা তাদের জায়গা থেকে বোঝার চেষ্টা করেছি। ফলে সবাই আমাকে তাদের হৃদয়ের খুব কাছাকাছি পেয়েছে।

 

আমি খুব অনুভব করি আমাদের দাঈরা যদি এই ব্যাপারটা অনুসরণ করতেন তাহলে এদেশে ইসলাম অনেক দূর এগিয়ে যেতো ইনশাআল্লাহ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১) পাকিস্তানের বিশাল অংশ জনগোষ্ঠী ছিলো মুহাজির। তারা স্থানীয় না। খোদ জিন্নাহ মুহাজির। এই যে মুহাজিরদের নতুন আবাস গ্রহণ তার জন্য স্থানীয় হিন্দুরা অনেক ক্ষেত্রেই নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং উৎখাতের শিকার হয়। এখানে ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন সুনিশ্চিতভাবেই ছোট ছিলোনা। উল্লেখ্য পাকিস্তান আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও গণ্যমান্য নেতৃত্ব ব্রিটিশদের চাটা গোষ্ঠীর ছিলেন।

 

২) ভারতের প্রচুর মানুষ রিফিউজি। খোদ জ্যোতি বসু থেকে নায়িকা শ্রাবন্তি ততকালীন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই যে রিফিউজিদের নতুন আবাস গ্রহণ তার জন্য স্থানীয় মুসলমানরা অনেক ক্ষেত্রেই নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং উৎখাতের শিকার হয়। অবশ্যই এসকল দাঙ্গা হাঙ্গামায় ব্রিটিশ পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো যেমন ইজরায়েলের ক্ষেত্রে ইহুদিদের কর্তৃক আরব নিপীড়নে অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল ব্রিটিশ অনুমোদন ছিলো। কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশরাই।

 

৩) আলে সাউদ নজদ থেকে এসে হেজাজ দখল করেছে। স্থানীয় আরবরা তাদের দ্বারা পরাজিত হয়। আব্দুল আযিয ব্রিটিশ সমর্থন লাভ করেন। স্থানীয় অনেকেই নিপীড়নের স্বীকার হন। এমনকি ব্রিটিশ সন্তুষ্টির আকাঙ্ক্ষায় তার সৌদি ভূখণ্ড জয়ের সারথি সালাফি আন্দোলনের ইখওয়ান গোষ্ঠীকেও তিনি নিষ্ঠুরভাবে দমন করেন।

 

৪) হাসেমি শরিফরা হিজাজ থেকে এসে ব্রিটিশ দয়ায় জর্ডানের বাদশা। তারা অটোম্যানদের গাদ্দারির পুরস্কার হিসাবে হিজাজ, ইরাক এবং জর্ডান পায়। যদিও আভ্যন্তরীণ এবং ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রের মিথস্ক্রীয়ার ফলে জর্ডান ছাড়া আর বাকি ভূখণ্ড তাদের হাতছাড়া হয়। দিনশেষে তারাও ব্রিটিশ দাক্ষিণ্যে সৃষ্টি হওয়া পোস্ট ওয়ার্ল্ড ওয়ার ওয়ান একটি কৃত্তিম রাষ্ট্র।

 

৫) আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উৎখাত করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। রেড ইন্ডিয়ানদের গণহত্যাতো খুবই মশহুর। আমেরিকাকে বলা হয় ল্যান্ড অব ইমিগ্রান্ট।

 

প্রাচীন সকল সাম্রাজ্য তার বৈধতার সন্ধান করে কোনো না কোন ঐশ্বী সত্ত্বার অনুমোদন এর ভেতর। কারও বৈধতা উৎস ছিলো আল্লাহ, কারো যিশু কারও প্যাগান দেবদেবী।

 

আধুনিক জাতীরাষ্ট্রগুলোর ভিত্তি হচ্ছে কলোনিয়াল পাওয়ারগুলো অনটেবিল আন্ডারটেবিল সেটলমেন্ট। এই সেটেলমেন্টের জন্য হয়তো অনেককেই আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে কিন্তু ইহুদিদেরও নিজস্ব অনেক সংগ্রাম আছে। তারা দশকের পর দশক লবিং করেছে, দেনদরবার করেছে, লড়াই করেছে, বিভিন্ন সন্ত্রাসী দল করেছে। তাদের সংগ্রামের নিজস্ব ডাইনামিকস হয়তো আছে। কিন্তু লড়াই তারা করেছে। ব্রিটিশদের এবং পশ্চিমাদের সাথে সেটেলমেন্ট সত্ত্বেও এসকল অথোরিটির সাথেও তাদের পলিটিক্যাল কনফ্লিক্ট হয়েছে।

 

ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইটালি, রাশিয়া, আমেরিকার ইচ্ছায় তাদের সাথে নেগোসিয়েশনের ভিত্তিতে জাতী রাষ্ট্রগুলো বৈধতা পেয়েছে কারণ কলোনিয়াল পাওয়ারগুলো এসব জাতী রাষ্ট্রগুলোকে ক্লায়েন্ট স্টেট হওয়ার শর্তে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের স্বীকৃতি এসকল রাষ্ট্রের বৈধতার ভিত্তি কারন কলোনিয়াল প্রভুরা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে ক্লায়েন্ট রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে নিরংকুশ শক্তিশালী।

 

ফলে আমরা বলতে পারি ঈশ্বর বা দেবতা নয় শক্তিই আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের ভিত্তি। ইহুদিদের তা আছে।

 

তাই তাওহীদের ভিত্তিকে অস্বীকার করলে একটি সেক্যুলার নেশন স্টেট হিসাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বা উপরে উল্লেখিত রাষ্ট্রগুলোর মতো রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে কিভাবে ইজরায়েলের বৈধতা কিছুমাত্র কম তা আসলেই আমার বোধগম্য না।

 

এবার আমাকে মোসাদ এজেন্ট ট্যাগান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যদি পাকিস্তান, ভারত, মিশর, সিরিয়া, সৌদি আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈধ রাস্ট্র হয় তাহলে ইজরায়েল অবৈধ কেন?

 

 

 

 

 

 

 

আমার ইজরায়েল এর বৈধতা বিষয়ক পোস্ট নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক বক্তব্য

 

পোস্টটি এসংক্রান্ত চূড়ান্ত বক্তব্য না তবে চিন্তার জড়তা কাটিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে ভাবনার দাওয়াত।

 

১) আমার বক্তব্য ছিলো তাত্ত্বিক জায়গায়। কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রে সাফল্যটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেকোন যুক্তি এবং কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে যতবেশি নিট লাভ আনতে পারবেন বা নীট ক্ষতি কমাতে পারবেন সেটাই করনীয়। এখানে কাল্পনিক আদর্শবাদের দাওয়াত আমি দেই না। তবে অন্তত আপনার কর্মীদের কাছে যেন আপনার আন্দোলনের আদর্শিক এবং দার্শনিক ভিত্তি পরিচ্ছন্ন থাকে।

 

২) আমি ইজরায়েলের পক্ষে যে বক্তব্যগুলো দিয়েছি সেগুলো মূলত ইজরায়েল তার নিজের বৈধতার পক্ষে যে যুক্তিগুলো দেয় তার খণ্ডাংশ। আমাদের দেশে ইসলামপন্থীরা বোধগম্য কারণে ফিলিস্তিনপন্থী। আর পিএলওর বাম ব্যাকগ্রাউন্ড এবং সোভিয়েত সংযোগের কারনে কমিউনিস্ট এবং সেক্যুলারদের মধ্যেও ইজরায়েল বিরোধী শক্ত মনোভাব থাকায় আমাদের ইজরায়েল ন্যারেটিভ মোটেই চ্যালেঞ্জের মুখে পরেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মতো এই চেতনাও জ্ঞান এবং যুক্তির পরিবর্তে আবেগ এবং উন্মাদনায় দাঁড়িয়ে আছে। আমি সেই জায়গায় ধাক্কা দিতে চেয়েছি। কারণ বুদ্ধিবৃত্তির এমন জায়গা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের কোন উপকার করা যাবেনা। উল্লেখ্য অনেকে ভাবেন বাংলাদেশ থেকে ইজরায়েল বা ইরানবিরোধী বোলচাল মেরে লাভ কি? না তেমন লাভ বাংলাদেশ থেকে মেরে লাভ নাই। কিন্তু প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটি ছোট না। এসংক্রান্ত সচেতনতা অবশ্যই আমাদের উম্মাহর স্বার্থ সংরক্ষণে সামান্য হলেও অবদান রাখতে পারে।

 

৩) বিভিন্ন দেশে ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন এর ধরন, কারণ এবং চরিত্র বিভিন্ন হয়ে থাকে। প্রত্যেক দেশের রাজনীতির আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। আমরা সব সময় বিদেশি বিভিন্ন মডেল যেমন মার্কিন, ব্রিটিশ, রাশান, ইরান, তালেবান, টার্কি ইত্যাদি বিভিন্ন মডেল কপি পেস্ট করতে চাই। রিয়েল লাইফ এভাবে ফাংশন করেনা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন প্রক্রিয়ার ভিন্ন ভিন্ন ডাইনামিকস আছে। ইজরায়েলের জন্য ইহুদিদের আন্দোলন সংগ্রামের সতন্ত্র ডাইনামিকস আছে। পাকিস্তান ভারতের সমস্যার ভয়াবহতা অনেককে মাইগ্রেট করতে বাধ্য করেছে, অনেকে টিকেছে। তেমন বিভিন্ন প্রলোভন এবং সমস্যা ফিলিস্তিনিদের অনেককে তাদের নিবাস থেকে সড়তে বাধ্য করেছে, অনেকে টিকেছে। হ্যাঁ মাত্রায় পার্থক্য থাকতে পারে। তবে উপমহাদেশে স্কেলটা ছোট ছিলোনা।

 

কোনো দেশ কারও আদি নিবাস হলেই সেখানে অন্যরা আসতে পারবেনা এটা দাবি করা যায়না। মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে। পৃথিবীর অসংখ্য দেশ এবং সালতানাত অভিবাসিদের দখলে যাওয়ার উদাহরণ আছে।

 

ইজরায়েলবিরোধী লড়াইয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে পাশ্চাত্যের টার্মে খেললে ইজরায়েল অন্তত একটা সুবিধা অবশ্যই পায়। সেটা হচ্ছে এসকল বুদ্ধিবৃত্তিক টার্ম পশ্চিমা বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয় এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটগুলোতে তৈরি হয় এবং তারপর পশ্চিমা মিডিয়ায় প্রচার হয় যা আমাদের মিডিয়া কপি করে। তাছাড়া এসকল ডেফিনেশন প্রোমোট করা এবং যৌক্তিকভাবে উপস্থাপনের সকল সামর্থ্য তাদের আছে। আর এই প্রত্যেকটি ডোমেইন নিয়ন্ত্রণ করেন সাধারণত ইহুদিগন অথবা তাদের সমর্থকগন।

 

৪) আমরা ইজরায়েলের দাবিটা বুঝিনা। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্মুলের দাবি করেনি। অন্তত তাত্বিকভাবে। তাদের দেশে প্রচুর আরব মুসলিম আছে। যারা অনেক আরব দেশের চেয়ে পশ্চিমা টার্মে অধিক নাগরিক অধিকার এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা পান। অন্তত ইজরায়েলের সংবিধান তা দেয়। ইজরায়েল চায় একটি ইহুদি কর্তৃত্বের রাষ্ট্র যেখানে চাইলে আরবরাও বসবাস করতে পারে। তবে তা এক ধরনের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন হিসাবে অন্তত রাজনৈতিক সংখ্যালঘুদের মতো। এই দাবি আরবরা না মানায় তারা নৈতিক অনৈতিক চাপ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় অনেক কিছু করছে। তার মানে এটা না যে তারা গ্রেটার ইজরায়েল চায়না। তবে তারা হাইলি প্রাগমেটিক এবং নিজেদের সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতন।

 

৫) ফিলিস্তিন লড়াইয়ে দীনের ভিত্তিকে অনেকে অস্বীকার করতে চান। ফাতাহ একটা সেক্যুলার সংগঠন। হামাসের সেক্যুলারাইজেশন এবং মডার্নাইজেশনের জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে। সুলতানের কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু অনেক আলিম নামধারীরাও এমন বক্তব্য দিয়েছেন। শাইখ ইউসুফ আল কারদাওয়ী বলেন, ফিলিস্তিনে আমরা ধর্মের জন্য না ভূখন্ডের জন্য লড়ছি। কিন্তু আমার বক্তব্যে হচ্ছে শহীদ আব্দুল আযিয আল রানতিসি রহ এর বক্তব্য। "ফিলিস্তিন মুসলমানদের ঈমানের অংশ, খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব ঘোষনা দিয়ে গেছেন এটা মুসলমানদের জন্যই। এরপরও কেউ এটা বিক্রি করে দিতে পারেনা কিংবা ছেড়ে দিতে পারেনা।"

 

ফিলিস্তিন আন্দোলনের ভিত্তি হতে হবে অবশ্যই ইসলাম, ইসলাম এবং ইসলাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু ইবলিস আসছে হুথিরা মক্কায় কি মারছে তার হিসাব কষতে। এগুলো হচ্ছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আবেগ নিয়ে ব্যবসা। সত্য হচ্ছে কাবা একটা স্ট্রাকচারের চেয়ে বেশি কিছু না।

 

আজ শাম, ইরাক এবং ইয়ামান রাফেজিদের কাছে যাওয়ার একমাত্র দায় আলে সাউদের কুকুরদের। তারাই নিজেদের রাজত্ব টেকাতে প্রতিদিন এমন হাজার কুকর্ম করেছে যা মধ্যপ্রাচ্যে রাফেজিদের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাহর প্রতিরোধ ভেঙে ফেলেছে। অবশ্য গাদ্দারি গল্পটা নতুন না। গাদ্দারি তাদের রক্তে, শিরায়, উপশিরায়। আমরা ভুলিনি আব্দুল আযিয বিন সাউদের ব্রিটিশ তাবেদারি, ইজরায়েলের প্রতি গোপন সমর্থন, অটোম্যান পতনের পরেই নজদি ইখওয়ানিদের সাথে আব্দুল আযিযের বিশ্বাস ঘাতকতা।

 

আল্লাহর কসম একজন মুসলমানের জীবন এমন হাজার কাবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যারা শাম, ইরাক, ইয়ামান এমনকি খোদ হেজাজে কাফিরদের তাবেদারি করে মুসলমানদের হারাম রক্ত প্রবাহিত করেছে তাদের মুখে হারামের পবিত্রতার গল্প শুনলে আমার থুতু মারতে ইচ্ছা হয়।

 

আমি হাজ্জাজ হলে তোদের কাবা ভেঙে ফেলতাম যেন কাবা কোন মুসলমানের রক্তকে হালাল করার সিল হিসাবে ব্যবহৃত হতে না পারে।

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে একটা ব্যাপারে খুব তৃপ্তি পাই। কাউকে খুশি করার দায় অনুভব করিনা। যা ইচ্ছা লেখি। কোন এজেন্ডা নাই। তাই কোন কিছু গোপন করার দায় নাই। কোন দলের স্বার্থ দেখতে হয় না। দলের আকাবিররা কে কি বললো তা নিয়েও আমার কোনো চিন্তা নাই। হক বাতিল হেদায়েত গোমরাহি নিয়েও ভাবি না। এখানে হেদায়েত না স্বাধীনতা চর্চা করি।

 

আমার ঘোষনা আমি গোমরাহ। ফলে হকের বা সহীহর ডিলাররা এপাড়ায় হাঙ্গামা করার কিছু নাই।

 

যা উচিৎ ভাবি লেখি। পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে লিখি। বলছিনা সব ঠিক লেখি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা লেখি ঠিক মনে করেই লেখি।

 

যাদের পক্ষে যায় প্রশংসা করে যাদের বিরুদ্ধে যায় নিন্দা করে।

 

আমার কাছে দুইটাই সমান।

 

 

 

 

 

 

 

আমি ভুল হলে স্বীকার করতে পছন্দ করি।

 

Teehzeeb Islam ভাইকে আমি রাফেজি ইসনা আশারিয়া ফেরকার মনে করি। তবে তিনি মাঝে মাঝে আলে সাউদের পক্ষে লেখেন। আমি ভেবেছিলাম তিনি তাকিয়্যা করেন। তাই তাকে আমি মোটেই পাত্তা দিতে ইচ্ছুক ছিলামনা।

 

তবে এখন আমি নতুন উপলব্ধিতে পৌছেছি। তিনি সম্ভবত এই ব্যাপারে তাকিয়্যা করেননি। তিনি সম্ভবত ইরাকি শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের সমর্থক। বর্তমানে মুক্তাদা আল সদরের সাথে আলে সাউদের সম্পর্ক বেশ ভালো যাচ্ছে যদিও ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় তিনি ইরানে পালাতে বাধ্য হন। ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় সামান্য হলেও শিয়াদের মাঝে কেবল তিনিই প্রতিরোধের প্রয়াস চালান। এখন তিনি ইরাকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধিতার স্লোগান দিচ্ছেন।

 

তার সম্পর্কে জানতে আগ্রহ বোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

মধ্যযুগে ইউরোপে খ্রিস্টান ধর্ম রিফর্মেশন বা সংস্কারের মাধ্যমে সেক্যুলারিজম শক্ত ভিত্তি পেয়েছে। কলোনিয়াল যুগ থেকেই ইসলামের সংস্কারে পশ্চিমা দুনিয়া এক ফ্যাকাল্টি খুলেছে ওরিয়েন্টালিজম। স্যার সাইয়্যেদ আহমদ, মুফতি আব্দুহু, জিয়াগোক আলপ প্রভৃতি ব্যাক্তিরা মুসলিম বিশ্বে সেই প্রজেক্টেরই ফল। তবে সোভিয়েত পতনের পরে ওয়ার অন টেররের যুগে এই গতি এখন সর্বচ্চো। পাশ্চাত্যের শক্ত দাবি ইসলামের রিফর্মেশন দরকার। এজন্য র‍্যান্ড ইন্সটিটিউট এর মতো অসংখ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাশ্চাত্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তেমন একটা প্রতিষ্ঠান কুইলিয়াম ফাউন্ডেশন।

 

কুইলিয়াম ফাউন্ডেশন হচ্ছে একটা ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান যার উদ্দেশ্য মুসলমানদের মাঝে চরমপন্থা রোধ করা এবং ইসলামের একটি উদার মানবতাবাদি বা লিবারেল হিউম্যানিজমের ব্যাখ্যা তৈরি করা। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মাজিদ নেওয়াজ। সে এক সময় হিযবুত তাহরি নামক একটি সংগঠন করতো। তারপর সম্ভবত মিশর অথবা পাকিস্তান (আমি ভুলে গিয়েছি। তার ভিডিওতে দেখেছিলাম) জেলে যায়৷ তারপর তার দাবি অনুযায়ী হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন গুলো তার বিরুদ্ধে টর্চারের নিন্দা জানায়। ফলে সে লিবারেলিজমের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে যায়। যাইহোক সে মুক্তি লাভের পরে মুরতাদের পরিনত হয় এবং ব্রিটেনে কুইলিয়াম ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। তারা একটা লিবারেল ইসলাম বা মডার্নিস্ট ইসলাম এর রূপরেখা তৈরির চেষ্টা করে যা পাশ্চাত্যের মূল্যবোধ ধারণ করে। সে হিজাব, আল আহকামুস সুলতানিয়্যা এমনকি জান্নাত জাহান্নাম সবকিছু কুরআন হাদিসের দলিল দিয়েই অস্বীকার করে।

 

ইমাম তাওহীদী বাড়ি অস্ট্রেলিয়া। সেও একই রকম পশ্চিমা ইসলাম প্রমোট করে। তবে নিজেকে সিরাজি শিয়া দাবি করে। তারা খোমেনিপন্থী না। প্রচুর তাকিয়্যা করে। সুন্নি ইসলামকে ডেমোনাইজ করে। সুন্নি ইসলাম পাশ্চাত্য বিরোধী দাবি করে। সুন্নি খলিফাদের জিহাদ, হুদুদসহ তাদের শরিয়ার বাস্তবায়নের নিন্দা করে। কিন্তু শিয়া ইমামদের নিন্দা করেনা। তবে সে মাসলাকগত কারণে খোমেনির বিরোধী। এজন্য সে ইরানি ধাঁচের রাজনৈতিক ইসলামেরও বিরোধী। সম্ভবত একারণেই সাধারণ শিয়ারা তাকে পছন্দ করেনা। এখন সে শিয়া ধর্ম ছেড়েছে না তাকিয়্যা করে বলা শক্ত। আমার ধারণা সে শিয়াদের সিরাজি স্ট্র‍্যান্ডকে ভালোবাসে। কাফেরদের সাথে নিয়ে সুন্নি দমন করতে চায়। আর পাশ্চাত্যে সুন্নি মুসলমানরাই ইসলামি দাওয়াতে বেশি সক্রিয়। এজন্য কাফেরদের কাছে প্রিয় হতে দরকারি কথা বলে যা সাধারণ শিয়ারা বোঝেনা।

 

মুফাসসিল ব্রিটেন ছিলো। কুইলিয়ামের সাথে তার সম্পর্ক ছিলো কিনা জানিনা। তাছাড়া তাওহীদীর সাথে তার সুসম্পর্ক ছিলো। কিন্তু সে যা বলা শুরু করেছে তাতে কুইলিয়াম ফাউন্ডেশন এবং ইমাম তাওহীদীর চিন্তার প্রভাব স্পষ্ট। তবে সে আমাদের বাংলাদেশি কনটেক্সটে উপযোগী করে তার ন্যারেটিভ তৈরি করছে। তারেই রূপ আগের রূপের চেয়ে ভয়ংকর। সম্ভবত সে এবার ভিন্ন স্ট্যাইলে ইসলামের সংস্কার আন্দোলনে নামতে চাইছে।

 

তাই তার ব্যাপারে সতর্কতা এবং প্রতিরোধমূলক সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

 

লিংক কমেন্টে

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশে মাদখালি আলিমদের জিজ্ঞেস করুন সিসির বিরোধিতা করায় যদি কেউ খারেজি হয় তাহলে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (রহ) বাঙালি মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় পাকিস্থানের কায়েমী স্বার্থবাদী শক্তির বিরোধিতায় ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন সংগ্রাম করায় কি খারেজি ছিলেন?

 

 

 

 

 

 

 

ইরান -আমেরিকার কোন যুধ্ব ইরানের মাটিতে হবে না। ইরান -আমেরিকা যুধ্ব হবে শামের মাটিতে। বিপ্লবী গার্ড বিপুল সেনা ধর্মীয় নেতার বাই'আত নিয়ে শামে গেছে, লুবনান এর হিজবুল্লাহ সেইখানে রয়েছে, ইরাকের হিজবুল্লাহ ও হাসদ আস শাবি র মিলিশিয়া রা রয়েছে, আফগানিস্তান এর জয়নাবিয়ুন এর মিলিশিয়া রা রয়েছে, পাকিস্তানের ফাতিমিয়ুন ব্রিগেডের মিলিশিয়া রা রয়েছে। মোটকথা সকল শিয়া মিলিশিয়া এখন শামে অবস্থান করছে। হুতিরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে নিজেদের সেটেল করে নিবে।

 

ইরাক,ইয়েমেন,শামের বাহিনী এক হবে।

 

মুহাম্মাদ সালাহ ভাইয়ের বক্তব্য থেকে সম্পাদিত।

 

সাসানিদ বা পারস্য সাম্রাজ্যের পুনরুজ্জীবিন এর জন্য শিয়া সাম্রাজ্যের রুপরেখার একটা সংক্ষিপ্ত ব্লু প্রিন্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

মাদখালি কারা?

 

মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গোমরাহ আলিম যার নাম শাইখ রবি বিন হাদি আল মাদখালি। তিনি সৌদি শাসকদের পা চাটা দরবারি আলিম। তিনি আলে সাউদের গোলামি করাকে সুন্নাহ আর বিদয়াহর পার্থক্যকারি মনে করেন। তাছাড়া খারেজি দায়েশের তাকফিরের মতো এরা নিজের দলের বাইরে সবাইকে তাবদি করে। এই দুনিয়ালোভী দরবারি আলিমের অনুসারিদের মাদখালি বলে।

 

বাংলাদেশে মাওলানা মতিউর রহমান মাদানি, শাইখ আবু বকর জাকারিয়া, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এবং তার পুত্র আব্দুল্লাহ প্রমুখ মাদখালি ফেরকার অনুসারী।

 

সংক্ষেপে কথা হচ্ছে মাদখালিদের প্রধান চিহ্ন দুইটি। যথাঃ

১) নিজেদের ছাড়া সবাইকে তাবদি করা। তাদের মতে দেওবন্দি, বেরেলভি, জামাত, ইখওয়ানসহ যারাই তাদের গোমরাহ ফেরকার অনুগত না সবাই মুবতাদি বা বিদয়াতি।

 

২) শাসকের বিরুদ্ধে (মুখে যদিও মুসলিম শাসক বলবে কিন্তু কার্যত তাদের এই নীতি আলে সাউদের নীতির সাথে পরিবর্তনশীল হয়ে থাকে) বিদ্রোহকে নিছক হারাম না বরং খুরুজ বলবে এবং বিদ্রোহীকে খারেজি। এমনকি প্রকাশ্যে শাসকের সমালোচনাকারিদেরও তাদের ফিরকার মূল ফতোয়া অনুযায়ী খারেজি বলা হবে। তাদের মতে শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনারা ফেসবুকে যা লেখেন তাও খুরুজ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলে সাউদের ব্যাপারে আমার অভিমত আমি বলতে চাইনা। তবে একথা নিশ্চিত সালমান বা তার ছেলের পেছনে সালাত আদায়ের চেয়ে সালাত একাকি এমনকি কাযা পড়াও আমার বেশি পছন্দ।

 

বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলতে চাইনা। তবে আলে সাউদকে আমি হেজাজের শাসকই মনে করিনা। হেজাজের উপর তাদের নিরংকুশ তামকিন আছে তাও বিশ্বাস করিনা।

 

উল্লেখ্য আমি মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের পেছনেও সালাতে রাজি। কেন বলবোনা।

 

আমার ওয়ালে আমার যা ইচ্ছা আমি তা লিখবো। পছন্দ না হলে ব্লক মারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সালাফি আন্দোলনের সবচেয়ে কালো দুইটা উপজাত নিঃসন্দেহে দায়েশ এবং মাদখালি। আমার একটা তামাশার প্রশ্ন প্রায়ই মনে আসে,

 

ধরেন হিডেন ক্যামেরা নিয়ে একজন মাদখালি শায়েখের কাছে যদি কয়েক বছর আগে (যখন দায়েশে তামকিন ছিলো এমন ভূখণ্ডের সীমানা ছিলো জর্ডান বা ব্রেটেনের সমান) প্রশ্ন করা হতো যে দায়েশের শাসনাধীন এলাকায় বসবাসকারী মুসলমানদের কি দায়েশের আনুগত্য করা উচিৎ তাহলে সে শায়েখ কি উত্তর দিতেন?

 

সেটা ভিডিও করে ভাইরাল করতে পারলে তারা যে পরিমান অপমানিত হতেন তা ভাবতেই দারুণ ফিলিংস পাই।

 

রাফেজিদের প্রতি বারা আমার পরিচ্ছন্ন। তবে তারা যখন বলে এই মাদখালিরা আলে সাউদের রাজতন্ত্র রক্ষার জন্য ইয়াজিদের প্রশংসা করে তখন ওয়াল্লাহি তারা সত্য বলে।

 

আমি অবাক হয়ে যাই যখন এই শয়তানগুলো কেউ কেউ বলে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হুসাইন রা এর ভুল ইজতিহাদ ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহ পাক দুনিয়া একটা নেজামের ভিত্তিতে চালান। যে নেজামে শাসকরা দীন বিকৃত করে। এজন্য তারা কখনো আলিমদের ভাড়া করে, আবার কখনো দরবারি আলিম পয়দা করে। দুনিয়ায় সকল ধর্ম শাসক এবং আলিমরা মিলে বিকৃত করেছে। আমি আলিম বলতে কেবল ইজাজতসহ আলিমদের কথা বলছি না। বরং যারা নিজেরা পড়ে ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তারাও এর শামিল।

 

দুনিয়ায় সকল ধর্মের মতো ইসলামও সুনিশ্চিতভাবে বিকৃত করা হয়েছে। হ্যাঁ আল্লাহর ওয়াদা থাকায় অনেকে তা সংরক্ষণ করেছেন। কিন্তু ইসলামের জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী রূপ এস্টাবলিশমেন্টের তৈরি যা হকের ভিত্তির উপর প্রচুর বাতিল মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

 

পাকিস্তানে শিয়ারা অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে সেখানে যারা রাজনৈতিকভাবে এস্টাবলিশমেন্টের ভেতর জায়গা চেয়েছে তারা দীনুল হকের রাজপথের পরিবর্তে কম বেশি চোড়াগলিতে প্রবেশ করেছে।

 

উস্তাদ মাওদুদি রহ এর ধানাই পানাই মার্কা কথার পেছনে নিঃসন্দেহে এই শিয়াদের ভূমিকা আছে। তার সাথে শিয়া আলিমদের যোগাযোগ ছিলো। তিনি নিঃসন্দেহে তাদের সহানুভূতি ও সমর্থন চেয়েছিলেন। নাওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ তাদের সমর্থন চেয়েছে। পিপিপির প্রতিষ্ঠাতার খান্দান শিয়া। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতার শিয়া ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো।দেওবন্দিদের কেউ কেউ তাদের প্রতি উদারতার দাওয়াত দেয়।

 

জাভেদ আহমদ গামেদি যিনি বুখারীর হাদিসগুলোও তার আকল মতো না হলে প্রত্যাখ্যান করেন তিনিও শিয়াদের প্রতি বৌদ্ধিকভাবেও সহানুভূতিশীল।

 

যাইহোক পাকিস্তানের একজন জনপ্রিয় লেকচারার আছে যার ইউটিউব ভিউ লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়। তার নাম ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আলী মির্যা। সে বিভিন্ন ইস্যুতে কেবলই কিতাব এবং সুন্নাত অনুসরণের দাওয়াত দেয়। দেওবন্দি, বেরেলভি, আহলে হাদিস আলিমদের কঠোর সমালোচনা করে। কিন্তু রাফেজিদের পক্ষে যতটা সম্ভব সহানুভূতির দাওয়াত দেয়। তাদের তাকিয়্যাগুলো সমর্থন করে। তাদের কেবল গুনগুলোই খুঁজে বের করে। তার এসংক্রান্ত ধারণা মোটেই তার দাবিকৃত উস্তাদ ড ইসরার আহমদ এর না। এটা তিনি পেয়েছেন সুন্নি ব্যাক গ্রাউন্ডের নরম শিয়া বুদ্ধিজীবী মাওলানা ইসহাক খান থেকে।

 

কেন?

 

কারণ এখানে আকিদার চেয়ে রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক স্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ। এরা অনেকেই আইএসআই এর ভাড়া করা। অনেকে সরকারি এজেন্ডা অনুযায়ী দলিল সাজান। ফলে সত্যান্বেষীদের জন্য সতর্ক থাকা উচিৎ তার ইলমের উৎস এবং উৎসের স্বার্থ ও এজেন্ডার ব্যাপারে।

 

আমি পাকিস্তানের রাষ্ট্র এবং সরকারের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত প্রত্যেক ব্যাক্তির কাছ থেকে ফতোয়া নেওয়ার সময় এব্যাপারে সতর্কতা জরুরি মনে করি যে বিষয়টি পাকিস্থান রাষ্ট্র বা কোন সরকারের স্বার্থ জড়িত কিনা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের ইসলামপন্থীরা পরস্পর প্রচুর ভুল অভিযোগ করে। আমার মনে হয় যদি তারা নিয়মিত মেলামেশা করতেন তাহলে তাদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি অনেক কমে আসতো।

 

এজন্য খুব ঘটা করে কিছু করতে হবে তানা। শুধু কোথায় চা পান মুড়ি চানাচুর আয়োজন করে ভিন্ন গ্রুপের ইসলামিস্টদের দাওয়াত দিন।

 

তাহলে তারা বুঝতে পারবে তারা অন্যদের ব্যাপারে যে অভিযোগ করছে তা সত্য কিনা?

 

আমি জানি এতে ঐক্য হবেনা। তবে পারস্পরিক মিথ্যা অভিযোগ কমবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা হামাসকে ইরানের প্রক্সি বলতে চায় তারা ইরানের বন্ধু অথবা আলে সাউদ কিম্বা ইজরায়েলের। তারা কোনোভাবেই হামাসের বন্ধু না।

 

আমরা চলার পথে অনেকের সাহায্য বা সেবা নেই। পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিকে এলায়েন্স হতে পারে। এজন্য কেউ কারও প্রক্সি হতে পারেনা। হামাস যদি ইরানের প্রক্সি হতো তাহলে শামে বাশারের পক্ষে থাকতো।

 

হামাসের প্রতি ইরানের চেয়ে তুরস্ক বা কাতারের সহযোগিতা কোনোভাবেই ইরানের চেয়ে কম না। মুরসি যখন মিশরের ক্ষমতায় ছিলেন তখনকার মিশরের কথা না হয় বাদ দিলাম।

 

কিন্তু সুন্নি দুনিয়ায় মার্কেটিং পলিসির অংশ হিসাবে ইরান ঢোল বাজায় বেশি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলিমদের উচিৎ ওয়ায়েজ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড গঠন করা। তাদের তালিম দেওয়া। কোন ওয়ায়েজ খারাপ কিছু বললে তার বিরুদ্ধে ফতোয়া ইস্যু করা। তাকে অয়ায়েজ হিসাবে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা।

 

এসব কি ওয়াজ। হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের নাকি হাদিস অনুযায়ী চয়েস করা হয়েছে। যতসব পাগল, বাটপার, জোকার, মূর্খ, কুকুর, শুকুরের আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে ওয়াজের ময়দান।

 

উলামারা যদি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগ না নেন তাহলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তামাম উলামাদের প্রতি আস্থার সংকটে ভুগতে পারে। তাছাড়া সরকার যখন নিয়মিত হস্ত্রক্ষেপ শুরু করবে তখন এসব ফালতু বিষয়কে অযুহাত হিসাবে গ্রহণ করবে যা জনসমর্থন পাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জীবনে একটা শখ ছিলো। ইরান আমেরিকা পরস্পর বিরোধী যেসব চাপা মারে তার বাস্তবায়নের জন্য একটা ফুল স্কেল যুদ্ধ হোক।

 

দেখি খেলা কেমন হয়

 

 

 

 

 

 

 

 

আহলে সুন্নাহ যেমন বিভিন্ন মাযহাবের তাকলিদ করে তেমন শিয়ারা মৃত মুজতাহিদের তাকলিদ করেনা বলে দাবি করে। তারা যেসব জীবিত মুজতাহিদের তাকলিদ করেন তাদেরকে বহু বচনে মারাজি, এক বচনে মারজা বলে।

 

আগেই বলেছি আখবারি শিয়ারা কোনো পাপি ব্যাক্তির তাকলিদ করেনা। শুধু মাসুম ব্যাক্তিদের অনুসরণ করে। তাই মারজা উসুলি ইসনা আশারিয়া শিয়াদের সংস্কৃতি।

 

তারা যেসকল তথাকথিত মুজতাহিদের তথা মারজা অনুসরণ করেন তাদের গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ বা আয়াতুল্লাহ আল উজমা বলে। আয়াতুল্লাহ পরিভাষা অবশ্য আধুনিক। আগে তারা আল্লামা পরিভাষা ব্যবহার করতেন। যেমন আল্লামা হিল্লি, আল্লামা মাজলিশি।

 

ইরাকের নাজাফ এবং ইরানের কোম শহরে অধিকাংশ মারজার ঠিকানা। তাছাড়া কারবালা, ইসপাহানেও বেশ কিছু মারজা আছেন।

 

২০১৭ সালে ৮৬ জন মারাজি ছিলেন। তাদের মাঝে প্রধান প্রধান কয়েকজন হচ্ছে, তেহরানের আলী খামেনি, নাজাফে আলী আল সিস্তানি, কোমের হোসেন ওয়াহিদ খোরাসানি, নাসের মাকারেম সিরাজি, সাদিক হোসেন সিরাজি প্রমুখ প্রধান।

 

শিয়ারাও দাবি করেন ফিকাহয় তাকলিদ আছে কিন্তু আকিদায় কোন তাকলিদ নাই। তাই তারা শুধু ফিকাহর ক্ষেত্রে মারজাদের অনুসরণ করেন।

 

 

 

 

 

 

 

আপনার কন্যাকে সবর করতে শেখান। আনুগত্য শেখান। বিদ্রোহ, বিপ্লব, জিদ সংসারে ভালো কিছু আনেনা।

 

মেয়েরা একটা অর্থহীন কথা বলে যা তাদের জন্য তাদের স্বামীর বিরক্তি ছাড়া কিছুই আনেনা। কথাটি হচ্ছে, আমি বলে তোমার সংসার করি। অন্য কেউ হলে করতোনা।

 

কথাটা প্রায়ই হাস্যকর রকমের ভুল তবে প্রায় প্রত্যেক মেয়ে এমন বলে।

 

এই নাশোকরি দ্বারা তাদের বিরম্বনা বাড়েতে পারে এবং স্বামীর হৃদয়ের সাথে দূরত্ব তৈরি করতে পারে। এটা কল্যানকর না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাতারিরা মুসলমানদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট দুশমন ছিলো। তারপর তারা মুসলমান হয়। কিভাবে কে তাদের এতো দ্রুত ইসলামে নিয়ে আসে তা অজ্ঞাত।

 

সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ তার বেশ কিছু রচনায় সেই অজ্ঞাত দাঈদের জন্য দুয়া করেন। তাদের ইখলাসের প্রশংসা করেন। পড়ে দুয়া করেছিলাম আল্লাহ পাক আমাকে সেই সব দাঈদের মতো বানিয়ো যাকে কেউ চিনবেনা কিন্তু উম্মতের কল্যান হবে। আমি পাপাচারী মানুষ। আল্লাহ কেবল পবিত্র জিনিস কবুল করে থাকেন। জানিনা আল্লাহ পাক আমাকে কখনো তার পথে কবুল করবেন কিনা। আমার দ্বারা খিদমত নিবেন কিনা। তবে কারও ইখলাস থাকলে আল্লাহ নিশ্চয়ই তার দ্বারা কাজ নিবেন।

 

প্ল্যাগিয়ারিজম ব্যাপারটা পছন্দ না। তবে ধারণাটা আধুনিক। এর জায়েজ নাজায়েজ সীমানা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আমি নিজে যথাসাধ্য চেষ্টা করি এড়িয়ে চলতে। মৌলিক হুকুম যাইহোক উরুফ বলে একটা ব্যাপারের স্বীকৃতি শরিয়াত দেয়। অন্য যেকেউ অন্য কারও ব্যাপারে এমন করতে আমি নিরুৎসাহিত করি। কিন্তু আমার লেখা কেউ কোন রকম বিকৃত না করে কার্টিসিসহ বা ছাড়া পোস্ট করতে পারেন। অথবা আপনার কোন পোর্টাল জার্নালে প্রকাশ করতে পারেন।

 

আমার আপত্তি নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

রাসুলুল্লাহ (সা) কে অন্য কারণের পরিবর্তে আল্লাহর জন্য ভালোবাসার অর্থ কি?

 

রাসুলুল্লাহ (সা)কে আবু তালিব অনেক ভালোবাসতেন। কিন্তু তার ভালোবাসা কাজে আসেনি কারণ আল্লাহর মধ্যস্থতা ছিলোনা। শোয়াবে আবু তালিবে বনু হাশিমের অনেকে গোত্রপ্রীতির কারণে ইমান ছাড়াও কষ্ট করেছেন।

 

প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের যুগে এর অর্থ কি?

 

আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে মানুষ বিভিন্ন কারনে রাসুলুল্লাহ সা কে ভালোবাসে।

যেমনঃ

 

* বাবা মা মুসলমান। তাই মুসলমানদের নবীকে ভালোবাসে।

 

* মাইকেল আফলাক এবং বাথ পার্টির লোকেরা ভালোবাসতো কারণ রাসুলুল্লাহ সা আরব ছিলেন।

 

* রাসুলুল্লাহ সা সম্পর্কে কিছু মানুষ দেবত্ব আরোপ টাইপ গল্প শুনে। যেমন তিনি সর্বত্র হাজির নাজির। নিজের ইচ্ছায় মুসলমানদের কল্যাণ অকল্যাণ করতে পারেন।

 

* রাসুলুল্লাহ (সা) একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তার অনেক মানবীয় গুন ছিলো।

 

* মাইকেল হার্টস পার্টি। রাসুলুল্লাহ সা সবচেয়ে সফল ছিলেন।

 

* নামাযের বৈজ্ঞানিক ফজিলত পার্টি। রাসুলুল্লাহ সা কে অনুসরণ পার্থিব সুখ, শান্তি ও সাফল্য লাভের উপায়।

 

আপনি যদি তাওহীদ এবং শানে ইলাহি বুঝে থাকেন তবে আপনার জন্য এগুলোর কোনোটাই রাসুলুল্লাহ (সা) কে ভালোবাসার প্রধান কারণ না।

 

রাসুলুল্লাহ (সা)কে ভালোবাসার প্রকৃত কারণ হচ্ছে আকাশ এবং পৃথিবীর রব তাকে ভালোবাসতে বলেছেন। আল্লাহ যদি রাসুলুল্লাহ (সা)কে ঘৃনা করতে বলতেন আর ফেরাউনকে ভালোবাসতে বলতেন তাহলে আমরা তাই করতাম। কিন্তু যেহেতু আল্লাহ ফেরাউনকে ঘৃনা করতে বলেছেন তাই আমরা ফেরাউনকে ঘৃনা করি আর রাসুলুল্লাহ (সা) কে ভালোবাসি।

 

রাসুলুল্লাহ সা কে ভালোবাসি আমাদের পরিবার, আমাদের নিজের সত্ত্বার চেয়ে বেশি। কারণ এটাই আমাদের রবের চাওয়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

পাশ্চাত্যে মুসলমানদের নিয়ে একটা ন্যারেটিভ আছে যে, মুসলমানরা আল্লাহর চেয়ে রাসুলুল্লাহ সা এর সম্মান নিয়ে বেশি সেনসিটিভ। আমার পর্যবেক্ষণেও কথাটার বাস্তবতা আছে। এখানে কেউ কথাটা সরাসরি স্বীকার করবেনা। কিন্তু মুসলমানদের বিরাট অংশের আচরণ তা প্রমান করে।

 

আমি পরিস্কার বিশ্বাস করি, রাসুলুল্লাহ সা কে আল্লাহর চেয়ে বেশি ভালোবাসাতো অবশ্যই কুফর। এমনকি সমান ভালোবাসাও শিরক।

 

সমস্যা হচ্ছে বাইরে থেকে এটা বোঝার বুদ্ধি নাই। তাই কেউ এবিষয়ে আপনার উপর ফতুয়া দিতে পারবেনা। কিন্তু আপনার নিজের অন্তরকে জিজ্ঞেস করুন

 

১) আপনি আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ সা এর মাঝে কাকে বেশি ভালোবাসেন?

২) রাসুলুল্লাহ সা কে কি আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন না ভালোবাসার সতন্ত্র কারন আছে?

 

আদমকে সিজদাহ করা ছিলো আল্লাহকে মান্য করা। ফেরেশতারা আদমকে সিজদাহ করলেও তাদের হৃদয় তাদের রবের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়ামানে আলে সাউদ এর দায়ঃ

 

ইয়ামেনে হুথিদের যায়েদি থেকে ইসনা আশারিয়া বানানোর অনেকটা দায় আলে সাউদের বলে মনে করি।

 

ইয়ামানে রাফেজিদের প্রক্সি পরাজিত না হওয়ার প্রধান কারণ আহলে সুন্নাহকে একত্রিত করতে আলে সাউদের ব্যার্থতা। সিরিয়ায় ইরান সেটা পেরেছে।

 

অবশ্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ভ্যারিয়েবল আলে সাউদের এই আচরণের পেছনে কাজ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা সমর্থন ধরে রাখার দায়। ইয়ামানে আহলে সুন্নাহর অনেক অংশকে সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই মেনে নেবেনা। কারণ তারা আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ।

 

কিন্তু এমন কোন শিয়া ফ্র‍্যাকশন নাই যারা আমেরিকার গ্লোবাল এম্পায়ারের জন্য রিয়েল থ্রেট।

 

 

 

 

 

 

 

ইসনা আশারিয়া শিয়ারা দুই ভাগে বিভক্ত

 

১) আখবারি

তারা মনে করে কুরআন এবং হাদিস ছাড়া অন্যকিছু ফিকাহর উদ্দেশ্য না। তারা কেবল মাসুম ইমামদের তাকলিদে রাজি। অন্যদের না। তারা ফিকাহ প্রত্যাখ্যান করেন। তারা ইমাম মাহদি আসার আগে রাজনীতিতে সরাসরি না জড়িয়ে শুধু তাদের পরামর্শ দেওয়ার পক্ষে। তারা শিয়াদের মাঝে সংখ্যালঘু।

 

২) উসুলি

তারা মনে করে কুরআন, হাদিস, ইজমা এবং আকল প্রভৃতির ভিত্তিতে ফিকাহ গুরুত্বপূর্ণ। তারা তাকলিদে বিশ্বাস করেন। শিয়াদের অধীকাংশই উসুলি।

 

 

 

 

 

 

আমরা যেমন ইসলামি নারিবাদের বিরুদ্ধে তেমন ইসলামি পুরুষতন্ত্রেরও বিরুদ্ধে। অথচ আমাদের ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চগুলো বহুদিন ধরে স্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রভাবে ইসলামি পুরুষতন্ত্র টাইপ একটা কিছু প্রচার করেছে।

 

এখন বাস্তবতায় পরিবর্তন আসিলেও অন্তত ৯০ এর দশক পর্যন্ত পুত্রবধুরা এদেশে একচেটিয়াভাবে নির্যাতিত ছিলো। কিন্তু সারাজীবন ওয়ায়েজগুলো শ্বাশুড়ির হক বলে গিয়েছে, পুত্রবধুদের না। এটা বিশেষত সেসব ওয়ায়েজদের খাসলত যারা চটুল কথা বলে জনপ্রিয়তা চায়। আমাদের আমির হামজা বা বগুড়ার বজলার রশিদ টাইপ কিছু জনপ্রিয় বক্তা কি পরিমান নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে থাকেন তা অকল্পনীয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সন্তানের প্রতি মায়ের হক থাকলেও পুত্রবধূ যা করে তা মূলত ইহসান।

 

অথচ এই সরল সত্য কথা না বলতে পারায়, ছেলের বাড়ি টাইপ অহমিকায় আঘাত করতে পারায় সামাজিকভাবেও জালিমদের বিরুদ্ধে ইসলাম যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারতো তা সম্ভব হয়নি। এদেশে মেয়েদের নষ্ট করার যে কুফুরি ষড়যন্ত্র তাতে এদেশের ছেলের বাড়ি টাইপ অহমিকা যথেষ্ট ইন্ধন যুগিয়েছে।

 

অনেক পরিবার কেবল এজন্য মেয়েদের মূলধারার সেক্যুলার পড়াশোনায় শিক্ষিত এবং চাকরি বাকরিতে উৎসাহিত করেছে যে এতে শ্বশুর বাড়িতে দাম পাওয়া যায়।

 

দিনশেষে কে চায় আদর্শ দেখাতে গিয়ে জীবনভড় নিজে বা আদরের কন্যাকে নির্যাতিত হতে দেখতে?

 

 

 

 

 

 

 

যারা শামের শিশুদের রক্ত এবং ইয়ামানি শিশুদের রক্ত আলাদা করে তাদের কর্মকান্ডের ভিত্তি কখনো দীন বা ইনসাফ না। মাসলাকবাজি এবং দালালি-গোলামি ছাড়া তাদের কাছে আর কিছুই নাই।

 

 

 

 

 

 

 

রোযার মাসে আপনারা আমাকে গালাগালি করতে নিষেধ করেন।

আলিমদের গালাগালি করতেও নিষেধ করেন কিন্তু কুত্তার বাচ্চা মত্যে ভারতীকে যদি ল্যাংটা করে গুলিস্তানে কাঁচা কঞ্চি দিয়ে পিটায়ে শিশ্নে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় তবু কাযি জালিম বিবেচিত হবেনা বলাই যায়। (মতি বিহারির হানাফীরা ৫ ভাগে বিভক্ত হয়েছে বক্তব্য প্রসঙ্গে)

 

 

 

 

 

 

 

 

রাফেজিদের ধর্মে মুকাদ্দাস নগরী হচ্ছে কুফা। মজার ব্যাপার হচ্ছে আলী, হাসান, হুসাইন রা এর সাথে কুফাবাসি গাদ্দারি করার পরে আর কোন ইমাম কুফায় যাননি। মুখতার আস সাকাফি যখন কারবালা হত্যার বদলা নিচ্ছিলো তখনও আহলে বাইতের ইমামগন তাদের সাথে যোগ দেননি। বহু বছর পরে ইমাম যায়েদ সেখানে গেলে তারা তার সাথেও গাদ্দারি করে। সহজ কথা কুফাবাসির সাথে আহলে বাইতের সুসম্পর্কের কোন প্রমান আমরা পাইনা।

 

আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে রাফেজিরা সারাদিন বনু উমাইয়ার গোষ্ঠী উদ্ধার করে আর মুখতারের বীরগাথা গায়। বনু উমাইয়ার রাজত্বের অনেক আগেই পতন হতো যদি মুখতার ইবনে যুবাইর (রা) এর সাথে গাদ্দারি না করতো এবং পরবর্তীতে নবুওয়্যাত দাবি না করতো।

 

 

 

 

 

 

অবশ্যই উস্তাদ মাওদুদি রহ এর লেখা অধিক বিস্তৃত তবে সাইয়্যেদ কুতুব অধিক পরিশুদ্ধ।

 

উস্তাদ মাওদুদি সময়ের সাথে সাথে আপোষের চোড়াগলিতে কিছুটা কিছুটা করে বিচ্যুত হয়েছেন (এমনকি তার মুয়াবিয়া রা বিষয়ক আলোচনাটিও ওরিয়েন্টালিস্ট মোকাবেলায় অবচেতন আপোষ মনে করি।) কিন্তু কুতুব সময়ের সাথে গোমরাহি থেকে পরিশুদ্ধ হয়েছেন।

 

হ্যাঁ উস্তাদ মাওদুদি রহ সাইয়্যেদ কুতুবের উপর প্রচুর প্রভাব রেখেছেন। কিন্তু কুতুব রহ কিছু বিষয় ছেঁকে নিয়েছেন।

 

এভাবে অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু কথা হচ্ছে উস্তাদ মাওদুদি রহ কে এক সময় অবজ্ঞা করতাম কিন্তু তার রচনা বিস্তৃত অধ্যয়নের পরে তাকে গভীর শ্রদ্ধা করি। কারণ তার সমালোচকরা বিভিন্ন মাসলাহার দোহাই দিয়ে এসত্য বলতে ভুলে গিয়েছেন বা তাদের অনেকের অজানা ছিলো যে তাঁর লেখায় বিচ্যুতির চেয়ে কল্যাণ অনেক বেশি। প্রত্যেক আলিমের উচিৎ তার লেখা থেকে উপকৃত হওয়ার।

 

শ্রদ্ধা করা আর পূজা দেওয়ার পার্থক্য আছে। কাউকে শ্রদ্ধা করলে তার বিচ্যুতি নিয়ে বলা যাবেনা এদাবি ইলমি দুনিয়ায় হাস্যকর।

 

হ্যাঁ মুজাদ্দিদ ব্যাপারটা ইজতিহাদি। কে কখন মুজাদ্দিদ তা নিয়ে এখতেলাফ থাকতেই পারে। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ কে আমরা তার যুগের মুজাদ্দিদ ভাবি। কিন্তু অনেক আলিম তাকে কাফির মনে করে।

 

আপনি জোড় করে উস্তাদ রহ কে মুজাদ্দিদ মানাতে পারবেননা। কেউ নিজে না মানলে জোর করে এটা সম্ভব না। আর মুজাদ্দিদ বলিনি বলে শ্রদ্ধা করিনা কথাতো এমনও না। জারুল্লাহ জামাখশারি, ইবনে আরাবি, মির্যা মাজহার জানে জানা, হাফিজ যামেন শহীদ রহ কে আমরা মুজাদ্দিদ বলিনা। তাই বলে কি তাদের কম শ্রদ্ধা করি? আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা বিভিন্ন কথার অপ্রয়োজনীয় ইনফারেন্স টানি। যেমন এখন অনেকে বলতে শুরু করবে আপনি মাওদুদি রহকে মাজহার জানেজানা বা ইবনে আরাবির সমান ভাবেন? আরে ভাই ভাবি কি ভাবিনা সেটার চেয়ে বড় কথা এই বিষয়ে তারা সমান যে তাদের কাউকে মুজাদ্দিদ ভাবিনা তবু শ্রদ্ধা করি। এভাবে বিভিন্ন কথাকে নিজের উপর জোর করে টেনে নিয়ে ঝগড়া করলে ঝগড়া করতে পারবেন কিন্তু তাতে আপনার বা আপনার গোষ্ঠীর যে খুব লাভ হবে তা বলা যায়না।

 

দাঈদের অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় তর্ক এড়াতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মনে করেন হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এর সাথে এখতেলাফ উলামায়ে দেওবন্দের মওদুদি বিরোধিতার একমাত্র কারণ তারা কি জানেন জাতীয়তাবাদ নিয়ে মাদানি (রহ) এর কঠোর সমালোচনা মওদুদি রহ করেছেন এবং এসংক্রান্ত কিতাবও রচনা করেছেন। অথচ এই বই নিয়ে দেওবন্দিদের কোন সমালোচনা নাই। এমনকি মাদানি মাসলাকের লোকেরাও খুব একটা সমালোচনা করেছেন তেমনটা চোখে পড়েনি। যদি থাকে তবে তা একান্তই বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

 

মাদানি রহ তাহাজ্জুদের জামাত করতেন। দেওবন্দিরা তা প্রত্যাখ্যান করে। দেওবন্দ (চিন্তা) একটা সমুদ্র। কূয়ার হৃদয় নিয়ে তাকে বিবেচনা করতে পারবেননা। সামান্য বিচ্যুতি সত্ত্বেও খোদ মওদুদি (রহ) দেওবন্দি। কয়েকটি মাসয়ালা ছাড়া এতো পড়াশোনা করে দেওবন্দি চিন্তার বাইরে খুব একটা যেতে পারেননি। দলবাজি, মাসলাকবাজি করতে চাইলে হাজার বছর করতে পারেন। কিন্তু একাডেমিয়াতে তার কোন মর্যাদা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বর্তমানে তাবলিগের কোন ধারাই হযরতজি (রহ) এর ইলম,আদব, হিকমাতের উপর পূর্ন রূপে নাই।

 

বিশ্বাস না হলে পড়ুন সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ এর "দ্বীনী দাওয়াত"। এটি হযরতজির জীবনী। কোন জাহেলিয়াত নাই শুধু ইলম এবং হিকমত।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ এর সাথে এব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ একমত যে রাফেজিদের আলিমরা কাফির, আওয়াম মুসলমান।

 

ইমাম সাধারণত আলিমরা হয়। আর আলিমরা কাফির। তাদের পেছনে সালাত হারাম শুধু না কুফরি কারণ বিসমিল্লাহ বলে মদ খাওয়া আমাদের মাযহাবে কুফুরি।

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকে চুরির করা জিনিস অল্প টাকায় ক্রয় করে। আবার যুক্তি দেন আমি না কিনলে অন্য কেউ কিনবে।

 

কাজটা হারাম।

 

আপনি কোন মাসলাহাত বা যুক্তি দিয়ে চুরি চামারিতে সহযোগিতা বা পুরো প্রক্রিয়ার কোন অংশে যুক্ত হতে পারবেননা।

 

 

 

 

 

 

 

রাফেজিরা ইমাম বুখারি মুসলিমসহ আহলে সুন্নাহর মহান উলামাদের নামে কুৎসা রটায়। তারা নাকি দরবারি।

 

যাইহোক তাদের খাতামুল মুহাদ্দিসিন এর গোমড় ইনশাআল্লাহ ফাঁস করা হবে।

 

 

 

 

ইরানে প্রায় ৮০০০ ইমাম জাদার মাযার আছে। অর্থাৎ তারা কোন না কোন ইমামের বংশধর বলে দাবি করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই বিদয়াতি মাযারে কি হয় আমরা জানি।

 

তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে সেখানে অনেক মাযারে আপনি নাকি কার্ড পাঞ্চ করে মাযারকে টাকা দিতে পারবেন।

 

 

 

 

 

 

এদেশে মাযহাব লা মাযহাব যে কাইজ্জ্যা তার অর্ধেক শক্তি যদি শিয়া, কাদিয়ানী এবং বিভিন্ন জিন্দিক গ্রুপের পেছনে দাওয়াতে ব্যয় হতো তাহলে ইসলাম অনেক বেশি এগিয়ে যেতো।

 

মুসলমানদের ঐক্য কিছুটা হলেও সম্ভব যখন তারা দুশমনের মুখোমুখি দাঁড়ায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বর্তমানে যারা ইংরেজি ভাষায় কাফিরদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করে এবং বিতর্ক করে তাদের মাঝে আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে মেধাবি এবং যোগ্য হচ্ছে আদনান রশিদ। তিনি আহলুল হাদিস। কিন্তু কোন গোঁড়ামি নাই। সুফিদের প্রতি সম্মান দেখান। রাফেজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ইমাম আবু হানিফাকে ডিফেন্ড করেন।

 

সত্য বলতে আমাদের সমকালীন অনেক হানাফি দেওবন্দি শাইখদের চেয়ে তার মতো আহলে হাদিস হওয়া আমার কাছে অনেক প্রিয়।

 

মজার ব্যাপার হচ্ছে তিনি এক সময় ড্রাগ ডিলার ছিলেন। পরে তাওবা করেন। ইসলাম নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। তার বড় বড় হাদিসের শাইখের সনদ আছে। যদিও দেখলে আলিম মনে হয় না। এটা দাওয়াতি কাজে ব্রিটিশ পরিবেশে কাজ করার ফলাফল। তার অনেক আলাপ প্রায়ই মডারেট মনে হতে পারে। যদিও আমি তাকে মডারেট মনে করিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

কোনো ঠোঁটে একবার চুমু দেওয়ার আকাঙ্খাকে বলে লালসা, কোন ঠোঁটে এক জীবন চুমু দেওয়ার আকাঙ্খাকে বলে প্রেম।

 

আচ্ছা কোন ঠোঁটে এক চুমুতে জীবন পাড়ি দেওয়ার বাসনাকে কি বলে?

 

আল্লাহুম্মামারযুকনা শাহাদাতা ফি সাবিলিk

 

ছোটবেলায় ইফতারের আগে বলতাম। এখন বলিনা। ভয় করে, যদি কবুল হয়ে যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

ইমাম বুখারি যদি মারওয়ানের কাছ থেকে হাদিস বর্ননাকারি হওয়ায় নাসেবি হন তাহলে ইমাম জয়নুল আবেদিন রহ নিজেও নাসেবি। কারণ তিনিও মারওয়ান থেকে হুদায়বিয়া নিয়ে হাদিয়া বর্ণনা করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা আলে সাউদ নাকি শিয়া বিরোধী তাহলে সন্ত্রাসী তালিকায় খামেনি, খোমেনি নাই কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বোকাগুলা বলে ১৮ বছর হলে প্রেম করতে হবে

ধুরু প্রেমের বয়সতো শেষ হয়ে ১৫ তেই

বুদ্ধি হলে তখন কি আর প্রেম থাকে

তখনতো খালি হিসাব

 

 

 

 

 

 

 

ওয়াল্লাহি ওয়াল্লাহি ওয়াল্লাহি

শিয়ারা হচ্ছে আল্লাহর জমিনে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মিথ্যুক একটা জাতী। যারা নির্লজ্জ এবং বেহায়ার মতো মিথ্যা বলে, হাদিস বানায়, হাদিসের অর্থ বিকৃতি করে।

 

নাপাক খোমেনি কাফেরের আওলাদগুলা সাহাবাদের বিরুদ্ধে দিনরাত মিথ্যা বলে তাদের জন্য ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, মিথ্যাচার, চরিত্রহনন না করাটাই অস্বাভাবিক।

 

কিছু জঘন্য রাফেজির বাচ্চা, (হয়তো আওলাদে মুতা) শাইখ হাসান শেমরানি (হাফি) কে খারেজি দায়েশ সমর্থক আধ পাগলা ব্রিটিশ একটিভিস্ট আনজাম চৌধুরীর সহযোগী ট্যাগানোর চেষ্টা করে।

 

আল্লাহর কসম এই মিথ্যুক রাফেজির বাচ্চার প্রমান হচ্ছে দুইজন এর ছবি আছে। বাজারে গেলে কতজনের সাথে আপনার ছবি উঠানো সম্ভব। এই রাফেজি কুকুরটার মা, বোন, বৌ কি বাজারে যায়না? যাইহোক সন্ত্রাসী রাফেজি হাস আল শাবি গোষ্ঠীর বাংলাদেশি এজেন্ট এসব তথ্য সন্ত্রাস চালাবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য এদের জবাব দেওয়া প্রায়ই অগুরুত্বপূর্ণ মনে করি।

 

আল হামদুলিল্লাহ শাইখ হাসান শেমরানি একজন শিয়া থেকে কনভার্টেড সুন্নি আলেম যার সাথে খারেজি দায়েশের প্রতি সহানুভূতি রাখে এমন কারও কোন সম্পর্ক নাই। যারা সত্য জানতে চান তারা মনোযোগসহ ভিডিওটি দেখুন। বিশেষত ২০ মিনিট থেকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার এক পোড়া কপাল। আল্লাহ কিছু বুঝ দিয়েছেন। তাই কিছু অপ্রিয় কথা আমাকেই বলতে হয়। কারণ অন্যরা বলেননা।।

 

শাসকদের কাছে যাওয়া আলিমদের জন্য বিপদজনক। অন্যদিকে আলিমদের কাছে শাসকদের যাওয়া শাসকদের জন্য কল্যানকর। উম্মাহর মহান উলামায়ে কেরাম ব্যাপারটিতে বিভিন্নভাবে আচরণ করেছেন। কেউ বর্জন করেছেন। কেউ কোন মাসলাহাত সামনে রেখে গিয়েছেন। কেউ ইমান বাঁচাতে পেরেছেন কেউ পারেননি।

 

রাবেতা বা এধরণের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন, শাসকদের ইফতার মাহফিল যা শাসকদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে বা পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয় তা বর্জন করা অন্তত নিজের ইমান এবং ইখলাসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে সেখানে যদি যেতেই হয় তবে নিয়্যাতকে পরিশুদ্ধ করুন।

 

শাসকদের কাছে যাওয়া যদি আপনার সুযোগ মনে হয় তবে আপনার জন্য ভীতির কারণ। যদি দায় মনে হয় তবে যেতে পারেন। সেখানে যান টয়লেটের যাওয়ার মতো করে। অপারগ অবস্থায় গিয়ে দ্রুত চলে আসুন। সর্বদা আল্লাহর যিকির করুন এবং শাসকদের ফিতনা থেকে নিজে এবং নিজের ইমান বাঁচাতে আল্লাহর কাছে দুয়া করুন। নিজের ইমান শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ এর মতো করে গড়ুন। যেখানে তিনি শাসকের মুখের উপর বলতে পারেন যে, আমার কাছে তোমার এবং তাতারদের মিলিত সাম্রাজ্যের চেয়ে আমার জুতার মূল্য আমার কাছে বেশি।

 

আপনি যখন কোন রাষ্ট্রশক্তির দাওয়াতকে এবং সেখানে সম্মান অর্জনকে নিজের জন্য সৌভাগ্য মনে করেন তখন আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে উঠি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জালিম মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফার অভিমত,

 

ইমাম আবু হানিফা রহ এর মতে, জালিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বৈধ তবে দুইটি শর্তে

 

১) পরবর্তী শাসক পূর্ববর্তী শাসকের চেয়ে ভালো হওয়ার দৃঢ় সম্ভাবনা।

 

২) বিদ্রোহ সফল হওয়ার সম্ভাবনা।

 

উল্লেখ্য ইমাম আবু হানিফা রহ এর এই মত ছিলো শরিয়া দিয়ে শাসনকারী জালিম শাসকের ব্যাপারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আকিদা, ফিকাহ এবং ইতিহাসের মনোযোগী ছাত্র না হন এবং এসংক্রান্ত বিষয়য়াদি সম্মানিত উলামায়ে কেরাম এর সোহবতে না বুঝে নেন তাহলে কিছু বিষয় বোঝানো খুবই মুশকিল। সারাদিন তর্ক করতে পারবেন কিন্তু মাসয়ালা অনুধাবন করতে পারবেননা।

 

যেমন ধরেন শরিয়া দিয়ে শাসনকারী জালিম শাসক কথাটা বোঝানো আসলেই মুশকিল।

 

আমি অবাক হয়েছি এজায়গায় আল্লামা ইকবাল বা ইসরার আহমদ এর মতো মানুষেরও পা পিছলাইসে।

 

একারণে মজার ব্যাপার হচ্ছে অনেকে বনু উমাইয়াকে খলিফা মানেনা, তারাই এরদোয়ান এর প্রেমে দিবারাত্রি অটোমান খিলাফতের স্বপ্ন দেখে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইখওয়ানের দুইটা ধারা আছে।

যথাঃ

১) মুখলিস ধারাঃ উস্তাদ হাসান আল বান্না, আব্দুল কাদির আওদাহ, সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহ, শাইখ আযযাম, শাইখ আহমদ ইয়াসিন, আব্দুল আযিয রানতিসি, হালে আলী সাল্লাবি। এই তালিকায় প্রত্যেক নামের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং মমতা আছে। এই তালিকার প্রত্যেক শহীদের আলোচনা প্রথম চুমুর মতো রক্তে আজও শিহরণ তোলে। আল্লাহর কাছে দুয়া আল্লাহ যেন তাদের সাথে আমাদের হাশর এবং জান্নাত নসিব করেন। এই ধারার ইখওয়ান এর উপর আমার পূর্ন আস্থা আছে। অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই কিছু ক্ষেত্রে ইলমি এখতেলাফ থাকতে পারে।

 

২) মডারেট ধারাঃ শাইখ কারদাওয়ী, তারিক রামাদান, ড তারিক আল সুয়াইদান, রশিদ আল ঘানুশি প্রমুখের একটা ধারা আছে। একজন মুসলমানকে যতটা অপছন্দ করা যায় আমি তাদের তা করি। ইনশাআল্লাহ তাদের রিফিউট করতে আমার সাধ্যমতো কাজ করে যাবো। আপনারা যারা তাদের ভক্ত তারাই ঠিক করবেন আমার রিফিউটেশন কি শালিন না অশালীন হবে? আমি আমার সাধ্যমতো শালিন থাকার চেষ্টা করার পরে আপনি যখন আমাকে মাদখালি ট্যাগাবেন তার প্রতিক্রিয়া অবশ্যই শালীন হবে না। ইটের বদলা পাটকেল, ঢিলের বদলা বুলেট পাবেন ইনশাআল্লাহ। এধারার সাথে আমার কোন রুহানি তায়াল্লুক নাই।

 

তার মানে এমন দাবি আমি করছিনা যে দুই ধারার মাঝে যোগাযোগ বন্ধ ছিল বা আছে।

 

অফটপিক মজলিশে কাদের ভাই গ্রুপে শুধু কাদের ভাই না আরও অনেকেরই জামাতি খাসলত আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

-ভাই আপনি ভালো লেখেন

- জি। কেন এটাই আপনার গ্রুপের অবস্থান নাকি?

- জি ভাই

 

*****

- ভাই আপনার কাছে এটা আশা করি নাই।

- কেন ভাই আপনার দলের দুই রানের চিপায় লাগছে?

- ভাই গিবত, শেকায়েত ভালো না। ব্লা, ব্লা, ব্লা....

 

*****

 

আল হামদুলিল্লাহ আপনাদের প্রশংসা এবং নিন্দা এখন সমান লাগে।

 

*****

 

মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ব্যাপারে এখনো অনেক কথা বলা বাকি। কিন্তু আপনাদের মতো ইতর ভদ্রলোক যারা দলীয় স্বার্থের বাইরে একটা শব্দ শোনার ধৈর্য নাই তারা এখনই ফালাইতেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জিন্দিকের সংগায়ন কি?

 

আমি জানি, যারা কুফরকে ইসলাম মনে করে। যেমনঃ জিকরি, বাতেনি, কাদিয়ানী প্রভৃতি।

 

তাদের তাওবার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মাযহাবের এখতেলাফ আছে দেখেছিলাম।

 

সম্ভবত শাইখ ইউসুফ লুধিয়ানভি (রহ) এর মত এটাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মনে হয় অনেকেই ইমাম সালাহ উদ দ্বীন আইয়্যুবীর কিছু বিষয়ে জানেন না, যিনি মুসলমানদের কাছে একজন বীর যোদ্ধা হিসাবে বিখ্যাত, কিন্তু উনার ব্যাপারেও কিছু বিষয় আছে যা মানুষ জানে না। এর মধ্যের একটি হল, তিনি ফাতেমী খিলাফতের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন যখন তারা মিশরে ক্ষমতাসীন ছিল। যারা ফাতেমীদের বিষয়ে জানেন না তাদের জ্ঞাতার্থে বলা যায়, এরা ছিল ১২ ইমামে বিশ্বাসী শিয়াদের একটি চরমপন্থী অংশ। (শাইখ বা অনুবাদক এখানে ভুল করে করেছেন। ফাতেমিরা ইসমাইলি) তারা এতো উদ্ভট ছিল যে তারা আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর প্রতি মাত্রাতিরিক্ত সম্মান এবং তাদের অন্যান্য ইমামদের পূজা করতে গিয়ে তাদের সব মসজিদের কিবলা মক্কা থেকে ফিরিয়ে ইরাকের কারবালার দিকে করে ফেলে।

আজও যদি কেউ উত্তর আফ্রিকা এবং সিরিয়ার কিছু অংশে যায় তবে সেখানে তাদের মসজিদগুলো দেখতে পাবে। যদিও সালাহ উদ দ্বীন আইয়্যুবী (রাহিমাহুল্লাহ) তাদের একটা অংশের হয়ে কাজ করছিলেন কিন্তু তিনি তাদের সবাইকে কাফের বলেননি। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এ কারণে কেউ তাকে কাফের বলেনি। ইহা এই কারণ হল, তিনি ব্যাখ্যা করছিলেন যে তিনি প্রশাসনের মধ্যে ঢুকে সেখান থেকে একে পরিবর্তনের চেষ্টা চালাবেন। ইহা উনার তাওয়ীল ছিল যা অনেক আলেম কর্তৃক আলোচিত হয় কিন্তু এজন্য তাকে কাফের ঘোষনা দেয়া হয়নি।

প্রকৃতপক্ষে মরক্কো, আলজেরিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য অংশে কিছু আলেম ছিলেন যারা ফাতেমীদের সমর্থক হওয়ার ভান করতেন যাতে তারা উক্ত ব্যবস্থার ভিতরে ঢুকে যেতে পারেন, ফাতেমীদের কটাক্ষ করতে পারেন এবং জনগণকে সচেতন করে এদের মাধ্যমে তাদেরকে সরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু কেউই এসব আলেমদের কাফের বলেননি, তাদেরকে বিশ্বাসঘাতকও বলা হয় না। কারণ তাদের তাওয়ীল ছিল এমন এক ব্যাপার যা সবার কাছে জানা ছিল কিন্তু গ্রহণীয় ছিল না।

 

তাকফিরের ব্যাপারে সতর্ক হোন—আবু হামজা আল মাশরি

 

-----------------------------------------------------

 

আমাদের সময়ে তুরস্কে ও মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ও শাসক রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি কেবল জনতার কাছে জনপ্রিয় নয় বিপুল পরিমান উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামি আন্দোলনের কর্মিদের কাছেও জনপ্রিয়। কিন্তু তার অসংখ্য কথা ও কাজ প্রকাশ্য কুফুরি। আর ইসলাম ফতোয়ার ক্ষেত্রে এক উসুল হচ্ছে ফতোয়া জাহেরের উপর হয়। আর এরদোগান ইসলামী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মি ছিলেন। মহিউদ্দিন খান (র) এর সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল। তখন তিনি প্রকাশ্যে শরিয়া চাইতেন। তাহলে তার উপর জাহালতের ওজর খাটেনা। তাই তাকে কিছু আলিম তাকফির করে থাকেন। তাকে যারা তাকফির করে তাদের সম্পর্কে এসকল আলিমদের ধারনা এরা হয় মুরজিয়া অথবা তাকফির বুঝেনা আবেগে কথা বলে। এরদোগানের অনেক বক্তব্য ও আমল কুফুরে আকবর তা আমি স্বীকার করি। আমি নিজেকে মুরজিয়া মনে করিনা। আর এক্ষেত্রে ফতোয়ায় আবেগ চলেনা তাও স্বীকার করি। তাহলে যদিও এরদোগানকে জালিম মনে করি তবু কেন তাকে তাকফির করিনা?

 

এরদোগান এক সময় শরিয়া চাইতেন এবং প্রকাশ্যে। কিন্তু একসময় তার দেশের অবস্থা তাকে এবং তার মতো অনেককে ভাবতে বাধ্য করে যে সামনের দরজা দিয়ে আর কিছু করা যাবেনা এখন যা করতে হবে তা পেছন দরজা দিয়েই করতে হবে। তারা বলেন আমরা ইসলামি পোশাক খুলে সেক্যুলার পোশাক পরছি। তারা মিথ্যাবাদিতাকে তাদের পোশাক ও মানহায হিসাবে গ্রহন করেন। এক্ষেত্রে তাদের কিছু দলিল আছে। যেমন ফেরাউনের দরবারে ইমানদার, আম্মার (রা) এর ঘটনা, আহযাবের সময় রাসুল (সা) এর পরামর্শে এক নও মুসলিম মিথ্যা বলে কাফিরদের জোট ভাঙা, কাব বিন আশরাফ হত্যায় কুফুরি বাক্য বলার অনুমতি প্রভৃতি। ইতিহাসের জায়গায় শাইখ আবু হামজা ফাতেমি যুগে সালাউদ্দিন আইয়্যুবি (র) ও কিছু আলিমের ব্যাপারে যা বলেছেন তা একটা গুরুত্বপূর্ন বিবেচনা। সমকালীন আলিমদের অনেকে এই মিথ্যাবাদিতার মানহাযের প্রচারক। এসকল কারনে এরদোগান যা বলেন আর যা করেন তাই তার মত, একথা ভাবার যুক্তিসঙ্গত প্রতিবন্ধক আছে। এজন্য আমরা দেখি তার অনেক অনুসারি তাকে নিয়ে গর্ব করে বলে তিনি ইসলামের পক্ষে গ্লোরিয়াস হিপোক্রেট। আর একথা সত্য তুলনামূলকভাবে তার যেকোন বাস্তব প্রতিপক্ষের চেয়ে তিনি ইসলামের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার কাজ করছেন। তার যেসব কাজ কুফরে আকবর যেমন ন্যাটোকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহায়তা করা সেক্ষেত্রে কি বলা যায়? এর প্রথম উত্তর প্রথমত তাদের আকিদায় একটা ইরজা আছে। অর্থাৎ তারা আমলকে কুফুরি মনে করেনা। পাশাপাশি তাদের বক্তব্য এছাড়া তাদের উপায় নেই। তারা ক্ষমতায় না টিকলে যারা আসবে তারা এসব কুকর্ম অব্যাহত রাখবে। সাথে আরো ক্ষতিকর কাজ করবে। তুরস্কতো দায়েশের মত খারেজিদের বিরুদ্ধেও প্রথমে সামরিক অভিযান চালাতে চায়নি। পরে বাধ্য হয়েছে। তাদের এসব ওযর ঢোপে টিকবে কিনা সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ কিন্তু এসব ওযর তারা বিশেষত এরদোগানের কাছের সার্কেলের অনেকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেন। ফলে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়। অর্থাৎ তুরস্কের বাস্তবতা এবং ইতিহাস এক ধরনের সংশয় তৈরি করে যা কোনভাবেই অস্বীকার করা যায়না।ফলে এরদোগানকে তাকফির করার প্রতিবন্ধক হিসাবে এক ধরনের যুক্তিসঙ্গত সংশয় তৈরি হয় । একারনেই বিপুল পরিমান আলিম তার সীমাহীন কুফুরি বাক্যকে ওযরের আওতায় আনেন। আর যেকোন সংশয় নিয়ে আমি কাউকে তাকফির করতে পারিনা। তাহলে তাকে জালিম বলি কেন? সেটা অন্যদিন বলব ইনশাল্লাহ।

 

শেষকথা আমার কাছে এরদোগানের তাকফিরের বিষয়টি হুসাইন মানসুর হাল্লায বা ইবনে আরাবির মত। আমি তাদের তাকফির করিনা। যারা করেছেন তাদের তাকফির ভুল ইজতিহাদ মনে করি কিন্তু আমি এটাও মনে করি যে, তাদের তাকফির করা অথবা না করার পক্ষে যুক্তিসঙ্গত দলিল আছে তাই তাদের তাকফির করা বা না করার কারনে কাউকে খারেজি বা মুরজিয়া বলা ঠিক হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মডারেট ইসলামের প্রচার প্রসার দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরছে। কিন্তু কি অনলাইন কি অফলাইন বিষয়টি নিয়ে মুসলমানদের তেমন উল্লেখযোগ্য কাজ নাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনলাইনে যে হাউ কাউ টুকু শোনা যায় তাও শুধু একটা গ্রুপ করে। মডারেট ইসলাম এর বিরোধীদের শতকরা ৮০ শতাংশ জজবাতি বা মানহাযিরা। আরও ১০-১৫ শতাংশ হচ্ছে গনতন্ত্রবিরোধী ইসলামি রাজনৈতিক বিভিন্ন গোষ্ঠী। আমার মতো নির্দলীয় কিন্তু মডারেট ইসলামবিরোধী লোক কোনোভাবেই ৫% এর বেশিনা।

 

এই মানহাযিরা বা রাজনৈতিক ইসলামি গোষ্ঠীরা যে মডারেট ইসলামের বিরোধীতা করেন তারও কারণ মূলত ইমাম আওলাকির ব্যাটল অব হার্টস এন্ড মাইন্ড বিষয়ক একটি বক্তব্য। ফলে এই বিরোধীতাও মূলত জিহাদ এবং আল আহকামুস সুলতানিয়া বিষয়েই সাধারণত সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু মডারেট ইসলাম একটি পূর্ন আলাদা সুগঠিত ফেরকায় পরিনত হচ্ছে যারা আলাদা উসুল, আলাদা স্লোগান, আলাদা আকিদা, আলাদা ফিকাহ আছে। মোটকথা আহলে সুন্নাহর বাইরে একটা পূর্ন ফেরকায় রুপান্তরিত হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক ও সামরিক পরাজয়ের যুগে আল আহকামুস সুলতানিয়া বিষয়ে আলোচনা সাধারণত তাত্ত্বিক পরিসরে সীমাবদ্ধ হতে বাধ্য। কিন্তু তার বাইরেও যে বিস্তৃত ক্ষেত্র মজুদ আছে যেখানে মডারেট ইসলামের প্রায়োগিক ক্ষেত্র আছে এবং তা খন্ডনেরও প্রায়োগিক ময়দান আছে তা নিয়ে কাজ নাই বললেই চলে। অথচ সেসব ময়দানেও কাজ হওয়া দরকার এবং কাজ করা অপেক্ষাকৃত সহজ।

 

এমন অবস্থায় উম্মাহর মুখলিস আলিম এবং তালিবে ইলমদের দায়িত্ব একাডেমিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মডারেট ইসলাম মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়া। আমার মতে তার শ্রেষ্ঠ উপায় তাহরিকে দেওবন্দের তাজদিদ যারা কলোনিয়াল খ্রিষ্টবাদ এবং ওরিয়েন্টালিজমের বিরুদ্ধে সীসাঢালা প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। মডারেট ইসলামের সেন্ট্রাল স্লোগানগুলোর একটি যেহেতু ইজতিহাদ (যদিও কাজ মূলত ইজতিহাদের নামে নিজেদের প্রয়োজন মতো সাজ মতগুলো জমা করা) তাই এই ময়দানের লড়াকুদের অবশ্যই ইসলাম এবং পাশ্চাত্য জ্ঞান বিজ্ঞানে ইজতিহাদি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আহমাদুল্লাহ সাহেব এবং চরমোনাই পির সাহেবের বক্তব্য শুনলাম।

 

আমাদের দেশে উলামায়ে কেরামের মাঝে যারা মাঠে ময়দানে কাজ করেন সাধারণত তারা আল আজহার, মদিনা বা দেওবন্দ পড়ুয়া যাই হন একাডেমিক কথা বলেননা বা একাডেমিক আচরণ করতে পারেননা। হয়তো এটা তাদের ইলমের ঘাটতি হয়তো মাঠে এভাবেই সাফল্য আসে বলে কারণ তাদের অডিয়েন্স বিশুদ্ধ জাহিল।

 

আহমাদুল্লাহ সাহেব বা ফয়জুল করিম সাহেবকে ব্যাতিক্রম ভাবার দরকার নাই। তারা প্রচুর সুইপিং স্টেটমেন্ট দেন। সাধারণত জনপ্রিয় রেটরিক বলে উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়াস চালান। জনসাধারণকে ক্রিটিক্যালি সত্য শেখাতে তাদের খুব বেশি ইচ্ছা আছে বলে মনে হয়না। ফলে সবকিছুতে ইহুদি নাসার ষড়যন্ত্র আবিস্কার করে দায় সাড়েন।

 

ফলে তারা হেযবুত তাওহীদ বা দায়েশের ব্যাপারে জ্ঞানগতভাবে শুদ্ধ আলোচনা করবেন এমন প্রত্যাশা করেন তাহলে আপনিই বোকা।

 

দায়েশের ব্যাপারে বাস্তবতা হচ্ছে, দায়েশ মূলত ইরাকি মুজাহিদ এবং বাথ পার্টির শংকর যাতে পরবর্তীতে ইরান, বাশার, ইজরায়েল, আমেরিকাসহ বহু দেশের গোয়েন্দা অনুপ্রবেশের যুক্তিসঙ্গত অভিযোগ আছে।

 

হেযবুত তাওহীদ মূলত ব্রিটিশ ভারতের খাকসার আন্দোলনের বিবর্তিত রূপ। দাজ্জাল সংক্রান্ত উদ্ভট ধারণার জনক তারা নয়। এবিষয় ইহুদি ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহনকারি বিখ্যাত বুদ্ধিজীবী মুহাম্মদ আসাদ (রহ) প্রথম এই উদ্ভট আলোচনাকে জনপ্রিয় করেন। তার কিছু বিচ্যুতি ছিলো। তবে কেউ তাকে মুনাফিক বলেনি। আমার মনে নাই ইকবাল অথবা মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মাঝে একজন এবিষয়ে কাছাকাছি বিচ্যুতির স্বীকার হয়েছেন। ফলে তাদের জন্মের দায় ইহুদি নাসারাদের উপর চাপানো হাস্যকর।

 

আধুনিক সন্ত্রাসবাদের সূতিকাগার হচ্ছে ফরাসি বিপ্লব।

 

আধুনিক ধারার আত্মঘাতি হামলা বহু আগে মুসলিম বিশ্বে হাসান বিন সাব্বাহর হাশিশিনরা করেছে। তাছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেমন রাশিয়া, জার্মানিসহ অনেক দেশ এসব মিলিটারি টেকনিক যুগে যুগে ব্যবহার করেছে। ফলে আত্মঘাতী হামলা উদ্ভাবনের দায় ইহুদিদের উপর চাপানো কোন ইলমি বা একাডেমিক কাজ না। তবে চরমোনাই পিরের মতো কোন অর্ধশিক্ষিত মানুষের কাছে তার চেয়ে বেশি কিছু আশা করাও ঠিক না।

 

যাইহোক আমার কাছে মনে হয়েছে মাওলানা ফয়জুল করিম বা আহমাদুল্লাহ সাহেবের বক্তব্য ছিলো দায়েশের কুকর্মের দায় এড়ানোর জন্য কনভিন্সিং রাজনৈতিক বক্তব্য। এসব বিষয়কে সুপার ক্রিটিক্যালি নেওয়া প্রায়ই প্রজ্ঞাপ্রসূত না। তার উপর এমন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কেউ যদি চরমোনাই পিরকে হিজবুত তৌহিদ এর সমজাতীয় বলে ধারণা করে তবে তা একটা অপরিমিত ও হঠকারী বক্তব্য বলেই মনে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জুন, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

শাসকদের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা কাউকে তাদের ক্ষমতার জন্য হুমকি মনে না করলে কাউকে নিয়ে সাধারণত খুব মাথা ঘামায় না। ফলে অন্য অনেকেই গনতন্ত্রবিরোধী কথা বললে তাদের সমস্যা হয়। কিন্তু মাদখালিরা এর বিরুদ্ধে কথা বললেও কেউ আপত্তি করেনা। সারা দুনিয়াতে কেউ না।

 

আপনি যদি ইসলামি উলুমের বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে চান তাহলে নিজের ক্ষমতার ক্যান্ডিডেট হতে পারবেননা। যদিনা কোনো কারনে আপনি প্রচন্ড ক্ষমতাধর হন।

 

এজন্য আমি বিশ্বাস করি, তালিম, তাবলিগ, তাসাউফের যারা ইমাম হবেন তাদের জন্য সমকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতায় পাওয়ার স্ট্রাগল থেকে সড়ে গিয়ে কাজ করা উচিৎ। অবশ্যই দাওয়াত মানে কেবল নফল এবং ফুরু নিয়ে বাড়াবাড়ি না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাথেও পত্রিকাটা মাওলানা মাসুদের।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা মুজাদ্দিদে আলফে সানি (রহ) এর মানহায আমার মানহায তা কি আমি নতুন করে বললাম? অনেকের কথায় মনে হয় আমি পল্টি মেরেছি। আমার মানহাযই সুনিশ্চিতভাবে একমাত্র ঠিক তা বলিনি। তবে নিজের মানহাযকে পৃথিবীর কেউ ভুল ভাবেনা। কিন্তু তবু তা ভুল হতেই পারে। কিন্তু আপনারা ইদানিং এই কথায় কেন কেউ কেউ ভুত দেখছেন?

 

আমিতো শুরু থেকেই বলেছি মুজাদ্দেদিয়া তরিকাই আমার মানহায।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইমাম আবু হানিফাকে গালাগালি করলে খারাপ লাগে কেন?

 

ক) আপনার মাযহাবের ইমাম বলে

খ) একজন হকপন্থী আলিমকে গালাগালি করা হয়েছে বলে

 

উত্তর যদি খ হয় সকল হকপন্থী আলিমকে সমালোচনা করা হলেই আপনার খারাপ লাগবে।

 

আপনার দলের নামে মিথ্যা বলা হলে খারাপ লাগে কেন?

 

ক) আপনার দল বলে

খ) মিথ্যা তোহমত

 

খ হলে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা বললেই খারাপ লাগবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ইসলামি আন্দোলনের ছক্কা ফক্কা ধারাকে কখনো আত্মস্থ করতে চাইনি। হ্যাঁ তাদের উপস্থিত আবেগকে অসম্মানও করিনা। তবে সে পথ আমার না।

 

আমার কাছে কোন পথ শুধু কুরআন হাদিস দিয়ে প্রমান করলে হবেনা। এটাও বলতে হবে তার ভবিষ্যৎ কি? তার রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো কি? রিস্ক মিনিমাইজিংয়ের মেকানিজম কি? আপনার এই তাহরিক সাসটেইনেবল কিনা?

 

হ্যাঁ ইতিহাস ঘেঁটে অনেক বেপরোয়া শর্টে ছক্কা দেখানো যায়। তবে কোনো কোচ আপনাকে তেমন পরামর্শ দেবেননা। এজন্য তাদের মন্দ বলা যায়না। আবেগে তাদের অস্বীকার করা উচিৎ না।

 

. আবার সব মাঠও এক রকম না। এটাও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।

 

আমি খুব উচ্চাভিলাষী না।

 

আমি রাজপ্রাসাদ চাইনা। প্রয়োজনে কুড়ে ঘরে থাকবো। প্রয়োজনে আমার লক্ষ্য অত্যন্ত ছোট করবো। ধীরে ধীরে খেলবো। কিন্তু আমি চাই খেলায় টিকে থাকতে।

 

Slow but steady wins the race.

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার আগের পোস্টের ভিত্তিতে কারও কারও মনে হয়েছে আমি জাদু অস্বীকার করেছি। কারও মনে হয়েছে ঝাড়ফুঁক করে টাকা নেওয়ার বৈধতা অস্বীকার করেছি। তাই এটা তার ব্যাখ্যামূলক পোস্ট।

 

আমি মোটেই ঝাড়ফুঁক করে টাকা নেওয়ার বৈধতা অস্বীকার করিনি। আমি জানি এর বৈধতাসূচক হাদিস আছে। আমি শুধু বলেছি, ব্যাক্তিগতভাবে ফাতিহা তেলাওয়াত করেই আমার এবং আমার পরিবারের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে গিয়েছে। প্রফেশনাল রাকি দরকার হয় নাই

 

যাদুর ব্যাপারে পরিবারে অনেক মহিলা দেখেছি যারা তাদের প্রত্যেক সমস্যার কারণ মনে করেন তিনি যে মহিলাকে পছন্দ করেননা তার যাদুকে। অনেক মানুষকে দেখি আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে ব্যাখ্যা করেন যাদুর প্রকাশ হিসাবে। অর্থাৎ তাদের মতে আন্তর্জাতিক সকল ঘটনা প্রবাহের ভিত্তি বস্তুগত উপাদানগুলো নয়, বরং যাদু। আমার এব্যাপারে সন্দেহ আছে। তবে আমার উল্লেখিত সূক্ষ কৌশলগত বিষয়াদি এবং প্রতারণা বা প্রতারণাপূর্ন বক্তব্য যদি যাদু হয় তাহলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এই উপপাদ্য মেনে নেওয়া যায়। নয়তো যাদুর প্রভাব আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তুলনামূলক দাবিকৃত পরিমানের চেয়ে সীমাবদ্ধ। আরও সোজাকথা হচ্ছে বারমুডা ট্রায়েঙ্গেল এবং আইনস্টাইনকে দাজ্জালের বুদ্ধি দেওয়া সংক্রান্ত বিশ্লেষণের উপর আমার আস্থা নাই।

 

তাছাড়াও কিছু শুবুহাত নিয়ে বলেছি। এসকল শুবুহাত আপনার কাছে নতুন মনে হলেও আহলে ইলম জানেন এসব শুবুহাত ইলমি দুনিয়ায় আছে। আমি বলছিনা জমহুর উলামায়ে কেরাম এই শুবুহাতকে সমর্থন করেছেন। আমার এসকল শুবুহাত মূলত নিছক শুবুহাত না প্রশ্নও। এজন্য আমি বার বার বলেছি যাদুর হাকিকত সম্পর্কে আমি জানিনা। আমি আশা করেছিলাম কেউ ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করবেন।

 

আমার ভাষাগত দুর্বলতার কারণে অনেকেই ইনবক্সে প্রশ্ন করেছেন। আমার মনে হলো এখানে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করাই উত্তম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৭১ এর জামাত আর ২০১৯ এর জামাত একনা। - ওলি

 

আমিও তাই বলি।

 

কিন্তু জামাতি ভাইদের কাছে ওলি ভালো আমি খারাপ।

 

যাইহোক ওলি এবং তার কথা সমর্থনকারীদের বক্তব্যের মোর‍্যাল অব দ্যা স্টোরি হচ্ছে এখন জামায়াতে ইসলামী ভালো কিন্তু ৭১ সালে খারাপ ছিলো।

 

১৯৭১ সালে মাওলানা মাওদুদি রহ এবং অধ্যাপক গোলাম আযম জীবিত ছিলেন।

 

আস সালামু আলাইকুম

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যাদু নিয়ে অনেক কথা আলোচিত হচ্ছে। আমি বিষয়টি মোটেই বুঝিনা না। আল্লাহ এবং তার রাসুলুল্লাহ (সা) যা বলেছেন তাই চূড়ান্ত। শুনলাম এবং মেনে নিলাম। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। আমি কখনো তাবিয পড়িনা। বাচ্চাদেরও দেই না। বরং নিষেধ করি। ঝাড়ফুঁকের ব্যাপারেও কখনো প্রফেশনালি করাইনা। হ্যাঁ নিজের অসুখ বিসুখে ফাতিহা খুব কাজে দেয়। মাঝে প্রচন্ড অসুখে যখন কোনো কারনে উপস্থিতভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি বা ওষুধ কাজ করেনি বা করতে সময় লাগবে মনে হয়েছে তখন ফাতিহা কাজ করেছে। নিজের ক্ষেত্রে এবং স্ত্রী সন্তানের ক্ষেত্রেও। মনে হয়নি হুযুর ডাকতে হবে ঝাড়ফুঁকের জন্য।

 

যাদু নিয়ে অনেকের অনেক আলোচনা আমার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই কিছুটা অতিরঞ্জিত মনে হয়। ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মতো সব বিপদ আপদে যাদু আবিষ্কার করাকে আমার যথেষ্ট উদ্ভট লাগে। আমার মনে হয়, যাদু নিয়ে যত আলাপ যাদু কি তা নিয়ে তত আলাপ নাই। আমার প্রচন্ড কৌতুহলী মন যাদু শিখতে চেষ্টা করেনি কারণ হাদিসে যাদু শিখতেও নিষেধ আছে। অনেকে বলেন, যাদু শিখলে নাকি অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় যাদু হয়ে যায়। যাদু জানা মানুষের দৃষ্টি নাকি বিষাক্ত।

 

যাদু কি? জানিনা। সাধারণত যাদু বলে যা আমার টিভিতে দেখি তা বিভিন্ন কৌশল। সূক্ষ কৌশলে আমাদের দৃষ্টিকে বোকা বানিয়ে মানুষ কেটে আবার জোড়া লাগানো হয়। এধরণের যাদু সবার বোধগম্য। এধরণের যাদু কি হাদিস বর্নিত সিহর। আমি নিশ্চিত না। তবে ফেরাউনের যাদুকরদের সাপের ব্যাপারে অনেকে বলেছেন সেগুলো আসল সাপ না। বরং কৌশলী ব্যাপার। কিন্তু মুসা (আ) এর সাপ নাকি আসল সাপ। কারণ তা মুজিজা। ইসলামের মূলধারা এই ব্যাখ্যা মানে কিনা জানিনা তবে যাদু চর্চাকারীদের দমন করার প্রশ্ন আসলে এই শ্রেনীকে কি করা হবে তা আলোচ্য। কারণ তারাই প্রকাশ্যে যাদু চর্চা করে। তাদের কাজের মাঝেও আছে প্রতারণা। এছাড়া অন্যান্য যেসব যাদুবিদ্যার গল্প শুনি নিশ্চয়ই তাতেও আছে কৌশল, মন্ত্র, ম্যাসেজ এবং প্রতারণা। এসকল যাদুর রাজনৈতিক ব্যবহার হয় কিনা বা আদৌ সম্ভব কিনা জানিনা। তবে হ্যাঁ কিছু বিষয় আছে যা খুব সুক্ষ ম্যাথ এবং ম্যানয়ভা। যেমন ধরেন সাবলিমিনাল ম্যাসেজ সত্য। বিভিন্ন মাধ্যমে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা দেওয়া হয় তা প্রমানিত। হাদিসে আছে, বক্তব্যের মাঝে যাদুর অংশ থাকে। সাবলিমিনাল ম্যাসেজের মাধ্যমে মানুষের মন এবং শরীরে প্রভাব ফেলা সম্ভব। স্মার্টফোন, টিভি, ইন্টারনেট এগুলোতেও অনেল সুক্ষ বিষয় আছে। মাইক্রো ওয়েভ সিগন্যালগুলো মানুষ এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে।

 

আবার শক্তি ভাই "কষ্টি পাথর" বইটিতে আলোচনা করেছেন শব্দ, দৃষ্টি, আবেগ, অনুভূতি, সুর আমাদের শরীরে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। শাইখ হামজা ইউসুফসহ অনেকে মানুষের শরীরের সুরের প্রভাব আলোচনা করেছেন। ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত শুনে আমার অনেক সময় ধরে মোহাবিষ্ট লেগেছে মূলত সুরের কারণে।

 

হিপ্নোটাইজিং ব্যাপারটাও বাস্তব। আমি নিজেই দেখেছি। আমি নিজে সোজা দাঁড়িয়ে থেকেছি। একজন আমার শরীর স্পর্শ না করে হাতের সামনের দিকে তার হাত তার নিজের দিকে টেনেছেন। তাতেই আমার হাত কিছুটা উঠে এসেছে। আমিও জানিনা। তবে আমার হাত স্পর্শ না করেই তিনি আমার হাত নড়িয়েছেন মানে কাঁধ থেকে রিল্যাক্সভাবে ঝুলে থাকা হাতকে তিনি উপরে তুলেছেন কোনো স্পর্শ ছাড়াই। তিনি বলেছেন যারা ভালো করে হিপ্নোটাইজ করতে পারে তারা নাকি পুরো শরীরই স্পর্শ না করে তুলে ফেলতে পারে। আজকাল হিপ্নোটাইজ বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল বা সাইকো ফিজিক্যাল ট্রিটমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়।

 

আমেরিকার ৯৯% আন্দোলনের ১% সম্পর্কে বিবরণ, আন্তর্জাতিক স্ট্যাবলিশমেন্টের লোকসংখ্যার স্বল্পতা সব মিলিয়ে একথা পরিস্কার যে খুব সামান্য পরিমান মানুষ দুনিয়াকে অত্যন্ত সূক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।কিন্তু সবকিছুতে দাজ্জাল, যাদু, ইলুমিনাতি, ম্যাসন, ইহুদি, নাসারা এবং তাদের যাদু আবিস্কার করা আমার কাছে অযৌক্তিক এবং ভারসাম্যহীন বিশ্লেষণ মনে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সবাই জ্ঞান করছে, আমি এখন প্র‍্যাগমেটিজম করবো।

 

* বিয়ের আগে লোকাল থানায় এসআইকে দিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন করিয়ে নিন। এজন্য প্রয়োজনে তাকে ২০ হাজার টাকা উপহার দিন।

 

* সমস্যা থাকলে আগের বয়ফ্রেন্ডদের থেকে ছাড়পত্র নিন। ঝামেলা থাকলে অন্য মাল দেখুন। চেহারা একটু খারাপ হলেও এতো ঝামেলার চেয়ে ভালো। বেশি দরকার মনে করলে দূরে কোথাও চলে যান অথবা কদিন খেয়ে যার মাল তাকে ফেরত দিন।

 

* আমি সেখানে থাকলে আমিও বাঁচাতে যেতাম না। অযথা এই পাঁচ ছয়জন সশস্ত্র মাস্তানের সাথে নিরস্ত্র অবস্থায় ক্যাচালের দরকার কি মেয়েটার খুনিটার প্রতি আস্থা ছিলো। তাই তাকে জড়িয়ে ধরে থামানোর চেষ্টা করেছে। যাদের আস্থা ছিলোনা যায়নি। তবে খুনিগুলো ভালো। প্রেয়সীর অসম্মান করেনি।

 

* ভিডিও করে ভাল হয়েছে। এখন এজাতী চটি পড়ে চটেনা, পর্ণ লাগে। ভিডিও না থাকলে বিচারও হতোনা।

 

*মেয়েরা দ্রুত ভালোবাসতে জানে আবার দ্রুত ভুলেও যেতে পারে। কিন্তু আসলেই কি ভুলে যায়? কবিগরু বলেন রাতের সকল তারাই থাকে দিনের আলোর মাঝখানে। মেয়েটা কদিনেই তার স্বামীর জন্য জীবন বাজি রেখেছে। কিন্তু খুনিটাকে কি শুধু সারাজীবন ঘৃনাই করবে? এই উন্মত্ত প্রেমকে কি মনের কোনায় কোথাও একটুও ভালোবাসবেনা? সত্যিই কি সব ভুলে যাবে? চোখে চোখ, হাতে হাত, ঠোঁটে... নাহ না বলি। ধরেন ঠোঁটে নাম, ভেবে কামার্ত হওয়ার স্মৃতি। সব ভুলে যাবে এই রক্তের স্রোতে?

 

যা কিছু মুখে বলবে তাই কি সব? বুকের মাঝের অনুভূতিরা সব মিথ্যা?

 

প্র‍্যাগমেটিজম করতে চেয়েছিলাম। আবেগ এলো কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বড়রাই যখন বসে আছে তখন ছোটরা একত্র হবার সুযোগটা কই?

 

এগুলো দায় এড়ানো কথা। আমি অসম্ভব কথা বলিনা। নিজের আপনা এবং চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুপাতো ভাইয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধ হন। তাদের ঐক্যের দরকার বোঝান। নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। তাদের জন্য ছাড় দিন। প্রয়োজনে দান খয়রাত ছেড়ে দিয়ে আত্মীয় স্বজনদের উপহার দিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নেতৃত্ব কি?

 

নেতৃত্ব হচ্ছে যখন কিছু মানুষ আপনাকে মানে। একটা কমিউনিটি আপনাকে মানে। ভয়ে, লোভে অথবা শ্রদ্ধায়। তখন আপনি নেতা। আপনার কাজ আপনার কমিউনিটিকে যোগ্য, শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করা।

 

পৃথিবীতে যে কেউ টিকে থাকতে হলে তাকে সংঘবদ্ধভাবে টিকে থাকতে হয়। এভাবেই মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে। টিকে থেকেছে। এভাবেই প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সমাজ ছিলো গোত্রভিত্তিক। গোত্র মানুষ কেন বানাতো? কারণ এটাই তাদের শক্তি যোগাতো। তাদেরকে ঐক্যবিদ্ধ করতো। শিকার, যুদ্ধ ও জীবিকা অর্জনের হাতিয়ার ছিলো গোত্র। কিন্তু আধুনিক পুঁজিতন্ত্র গোত্র ভেঙে ফেলেছে। ফলে মানুষ এখন সেই অভাব পূরন করে দল দিয়ে। কিন্তু দলের বাঁধন আলগা। কিন্তু গোত্রের সম্পর্ক রক্তের। তাই তা ছিলো দৃঢ়। ইসলাম এই গোত্রীয় প্রভাবকে ইসলামের পক্ষে ব্যবহার করতে চেয়েছে। তাই বলা হয়েছে, ইমাম হবে কুরাঈশ। শুধু তাই না দিয়্যাত হত্যাকারী দিতে না পারলে গোত্র আদায়েরও বিধান আছে।

 

কোনো এলাকায় আপনারা যদি চাচাতো ভাই বোনসহ ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন তাহলে এলাকার ছিঁচকে মাস্তানরা আপনাকে অত্যাচার করবেনা। যদি কিছু বন্ধু বান্ধব থাকে তাহলে এলাকার নেতারা সমীহ করবে। যদি কোনো এলাকাবাসী অত্যন্ত শক্তভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে সরকারও তাদের সমীহ করে।

 

ভারতীয় মুসলমান বলেন আর বাংলাদেশ কিম্বা বার্মা। নিজেদের মধ্যে গোত্রীয় সংঘবদ্ধতা তৈরি করতে না পারলে প্রচুর মূল্য দিতে হবে। কিছুই করার নাই। রিফাত বলেন বা তাবরেজ যদি তারা ঐক্যবদ্ধ হতো, তাদের ১০ জন মানুষ থাকতো তাহলে চিত্র ভিন্ন হতো। ভারতে ৫০,০০০ মুসলমান যদি ইসলামের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ হতে পারে, একসাথে বাঁচে, একসাথে মরে তাহলে বিজেপিও তাদের সমীহ করবে। ভারতীয় মুসলমানরা মাওলানা মাওদুদি রহ এর দারুল ইসলাম মডেল অধ্যয়ন এবং বিবেচনা করে দেখতে পারেন। কারণ তারা দেশবিভাগের আগে দারুল ইসলামের মুসলমানদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন।

 

ইহুদীরা পৃথিবীতে কম। তবু প্রভাবশালী। কারণ তারা অন্যদের দিয়ে নিজেদের কাজ করিয়ে নিতে পারে। মোহাম্মদ বিন সালমান যা করছে তা কোটি ইহুদি করতে পারতোনা। মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে হিন্দুদের একটা অংশ বা মিয়ানমারে বৌদ্ধ বা সামরিক জান্তাদের একটা অংশকে কিনতে পারতো। সেটা তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন হতো।

 

আমরা এক জংলী সময়ে বাস করছি। এখানে জঙ্গলের আইন চলে। কি হওয়া উচিৎ? ন্যায় কি প্রশ্নগুলো হাস্যকর। এই প্রশ্ন শুধু তারাই করে যারা নির্বোধ। ফলে শিকারী সুযোগ পেলে শিকার করবে। এটাই আইন। শিকারিকে ভাবতে হবে কিভাবে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। স্বার্থপর শিকার যারা শুধু নিজেরা বাঁচতে চায় তারা কেউ বাঁচবেনা।

 

আমাদের পরিবারগুলোতে সামান্য আধাহাত জায়গা, অথবা কয়েক হাজার বা লক্ষ টাকা বা ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ভাই ভাই আলাদা হচ্ছে। মারামারি করছে। ঝগড়া করছে। কিন্তু বিভিন্নভাবে দুশমন কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুট করছে। অথচ পরিবারগুলো সংগঠিত থাকলেও সাধারণ মুসলমানরা আরও শক্তিশালী হতো। মাদ্রাসাগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসার সিলেবাসে হাত দিতে পারতোনা।

 

মুসলমানদের টিকে থাকতে হলেও অন্তত সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিকভাবে সম্ভবত সম্ভব না। খুব বড় দলের দরকার নাই। এলাকায় ২০ জন যুবক ঐক্যবদ্ধ হন। নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে পরস্পরকে সহায়তা করুন।

 

অন্তত শত্রুর নিপিড়নের মুখে এতোটা অসহায় হতে হবে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সত্যি বলতে নির্যাতনের ছবি আর গল্প বলা এবং কেউ প্রতিশোধ নিলে শান্তি গান গাওয়া দুনিয়ার সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয়।

 

এতো মুসলমান দরকার নাই। ৫০ কোটি মরে যাক, ৫০ কোটি নাস্তিক, খ্রিস্টান, হিন্দু যা ইচ্ছা হোক। বাকি ৫০ কোটি দিয়ে পরে যা হওয়ার হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেওবন্দ একটা শিক্ষা ধারা না বরং একটা চিন্তা আন্দোলন।

 

শিবিরের কেউ বা আলিয়ার কেউ এখান থেকে পরীক্ষা দিক আপত্তি নাই তবে তারা সনদের আগে যেন দেওবন্দি চিন্তা নেয় তা নিশ্চিত করুন।

 

যারা কওমি মাদ্রাসাগুলো নিছক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানাতে চাচ্ছেন তাদের প্রতিহত করা জরুরি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

'আমার আব্বা আম্মা' মাওলানা মাওদুদি রহ এর কন্যা হুমায়রা মাওদুদির লেখা সংক্ষিপ্ত একটা বই। বইটি ২০০৩ সালের পরেএখা। এখানে তিনি তার বাবা মায়ের সম্পর্কে লিখেছেন। বইটি অত্যন্ত সুপাঠ্য। এক বসায় আপনি পড়ে শেষ করতে পারবেন।

 

বইটি তার বাবা মায়ের অনেক একান্ত পারিবারিক আলোচনা এসেছে। তবে পুরো লেখা রাজনৈতিক বাস্তবতা ও প্রয়োজন মাথায় রেখে লেখা হয়েছে। এমন যেকোনো বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে যা তাঁর পিতা বা জামায়াতের ভাবমূর্তির জন্য খারাপ হতে পারে। বিষয়টি অবশ্যই খারাপ না। কারণ তিনি কন্যা এবং জামাতের রোকন ছিলেন, নিরপেক্ষ বিশ্লেষক না

 

বইটি মাওলানা মাওদুদি রহ এর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে এসেছে। মাওলানা একটি সুফি পরিবার থেকে এসেছেন। মাওলানার স্ত্রীও। তাদের পরিবারে সুফি কবিতার চল ছিলো। এই প্রভাব লেখিকার উপরেও পড়েছে।

 

মাওলানা অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত এবং স্বচ্ছল পরিবারের মানুষ ছিলেন। তাদের পরিবারে নারীরা কাজ করতো না। তবে রাজনৈতিক কারণে তাদের মাঝে মাঝে দারিদ্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

 

মাওলানা ছিলেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। প্রচুর পড়ালেখা এবং অধ্যয়ন করতেন। তার স্ত্রী এজন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন দিতেন। তবে সন্তানদের তরবিয়াতে তার যথেষ্ট সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি। মাওলানার স্ত্রী সেদিকটা দেখার চেষ্টা করেন। তার যে পুত্র বখে গিয়েছিলো তার বখে যাওয়ার কারণ সম্ভবত এটাই। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তিনি তার সন্তানদের ফর্মাল ইসলামি এডুকেশন দেওয়ার চেষ্টা করেননি। সবাই সরকারি মূলধারায় পড়েছে। এমনকি মেয়েরাও।

 

মাওলানা সাধারণভাবে উদার, দয়ালু, সাহসী এবং ক্ষমাশীল ছিলেন। তিনি তার ফাঁসির রায় দেওয়া বিচারককেও ক্ষমা করে দেন।

 

তিনি তার জীবদ্দশায় বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ এর কাছে সম্মানিত এবং গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট এর ব্যাপারে তিনি দৃঢ় ছিলেন। ফলে তার রাজনৈতিক প্রজেক্টের ক্ষতি হবে এমন কোনো রাজ পৃষ্ঠপোষকতা তিনি বুঝে শুনে নেননি। বাদশাহ ফয়সাল এর সদিচ্ছা সত্ত্বেও তিনিও সংকীর্ণ আলে সাউদ রাজ পরিবারের স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে পারেননি।

 

মাওলানা মাওদুদি রহ এর অনেক সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে অথবা এমনভাবে এড্রেস করা হয়েছে যেন তার বিরোধীরাই দায়ী। ১৯৭১ ইস্যুতে একেবারেই হালকা স্পর্শ করা হয়েছে। অথচ বিষয়টিতে মাওলানার কর্ম তৎপরতা তার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। তা আলোচিত হয়নি। ১৯৬৫, জিয়া এবং আফগান জিহাদ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি আলোচিত হয়নি। তার ধর্মীয় সমালোচকদের ব্যাপারেও কঠোর শব্দ প্রয়োগ করে পাইকারিভাবে বলা হয়েছে ধর্মীয় নেতার লেবাস পরা ধর্ম ব্যাবসায়ী আলেম পির মাশায়েখ গোষ্ঠী। বিষয়টি কন্যা হিসাবে স্বাভাবিক হলেও বইটিকে একপেশে করেছে।

 

সামগ্রিকভাবে বইটি ভালো এবং অবশ্য পাঠ্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহ পাক মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (হাফি) এত সাথে জান্নাতে আমাদের একত্রিত করুন। আল্লাহ পাক তার দ্বারা দীনের অনেক বড় খেদমত নিয়েছেন। তার যদি হাজার পাপ থাকে তবে নিশ্চয়ই স্বাধীনতা বিরোধী, রগকাটা, পেট্রোল সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের উগ্র সন্ত্রাসীদের দমনে যে অবদান রেখেছেন সেই নেকি দিয়ে ইনশাআল্লাহ তা পুরোন হয়ে যাবে। হযরত জামাত শিবির দমন করে মুসলমানদের নিরাপত্তায় বিশাল অবদান রাখেন।

 

আমরা অনেকেই তাকে বুঝিনা। আরেকদিন একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে ইসলামে গুপ্তচরের বিধান কি? এখন তো খলিফা নেই। এদেশে কোন ইসলামি ইমারতও নাই। আমরা যদি মাওলানা আসাদ মাদানি সন্তান এবং খলিফাদের প্রতি সুধারণা না রাখি তবে কার ব্যাপারে রাখবো।

 

আল্লাহ শাইখের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করুক। জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীদের দমনের কারণে তার প্রচেষ্টার কারণে তাকে ক্ষমা করুক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতিরা গনতন্ত্র বিরোধী আলোচকদেরকে "গনতন্ত্র বনাম রাজতন্ত্র" বিতর্ক বা "গনতন্ত্র বনাম জিহাদ" বিতর্কে ঢোকাতে চায়। এভাবে তারা গনতন্ত্র বিরোধীদের কোনঠাসা করতে চায়। অথচ আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি এখনও কওমিদের ৯০ শতাংশ মানুষ (যাদের মাঝে গনতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তারাও আছেন) গনতন্ত্রের আকিদাকে কুফর মনে করেন, শতকরা ৯৯.৯৯৯৯৯ শতাংশ মানুষ পাশ্চাত্য গনতন্ত্রের চেয়ে মুয়াবিয়া (রা) এর খিলাফতকে উত্তম মনে করেন।

 

বিষয়টি জামাতিদের নিছক অজ্ঞতা নয়, বরং এর সাথে আছে সীমাহীন অসৎ চরিত্র এবং মডারেট আকিদার প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কেন আমি দুদিন ধরে জামাতের সমালোচনা করছি?

 

আমি উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর লেখার মুগ্ধ পাঠক। জামাত তার সূচনা যুগে এমন এক দল লেখক এবং চিন্তাবিদ জমা করতে পেরেছিলো যা প্লেটো-এরিস্টটলের আসরের চেয়ে শক্তিশালী ছিলো। কান্ট-হেগেল-মার্ক্স এর সমকালীন দার্শনিক পরিষদের সমপর্যায়ে ছিলো। ভেবে দেখুন, মাওলানা মাওদুদি, মানযির আহসান গিলানি, মনযুর আহমদ নোমানি, সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী, ড ইসরার আহমদ, মাওলানা আব্দুর রহিম, নঈম সিদ্দিকী, আমিন আহসান ইসলাহি, গোলাম আযম প্রমুখ মিলিয়ে কি একটা কম্বিনেশন হতে পারে?

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন জামাতের একটা বন্ধ্যাযুগ যাচ্ছে। জামাতিরা কত নির্বোধ তা বুঝতে পারবেন তাদের বিভিন্ন আচরণে। বিএনপি তাদের ভুলেও পাত্তা দেয়না। কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। গনতন্ত্র নিয়ে যে ডিসকোর্স সেখানেও কারও সাথে প্রোপারলি এংগেজ হতে পারেনা। তারা এলোমেলোভাবে যা বলছে এগুলো তাদের নিজেদেরও আদর্শ না। তারা যা বলে খোদ মাওলানা মাওদুদি রহ এর চিন্তা এবং ফিকির থেকেও তা আলাদা। যেমন অনেক মানহাযি অনলাইনে যা বলে তা তারা যাদের অনুসারী দাবি করে তাদেরও আদর্শ না। ভাসাভাসা অধ্যয়ন বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন শব্দ মুখস্ত করা ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে তা আউরানোই তাদের কাজ। তারা চিন্তা এবং মেধার যোগ্যতার চেয়ে তেলতেলে কথা, টোটকা উৎকোচ, আর যুথবদ্ধ গোঁড়ামি এবং শক্তি প্রদর্শন দিয়ে কর্মী- সমর্থক যোগাড়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

 

আমি অনেক আজেবাজে কথা বললেও মাঝে মাঝে কিছু দরকারী কথা বলি। অনেকেই তাতে বৈপরীত্যে পেলেও তাতে আছে অখণ্ড ভাব। আপাত পরস্পরবিরোধী এসব আলাপকে সমন্বয়ের যোগ্যতা অর্জন করেছি বহু বছরের অধ্যয়নে। আপনি যদি সতর্কভাবে চিন্তা করে লেখাগুলো পড়েন তবে দেখবেন যে আমার চিন্তাগুলো কারও ফটোকপি না। চিন্তাগুলো থেকে আপনি আবিস্কার করতে পারবেন এদেশে দীন অবিকৃত রেখেও দীন টেকানোর উপায়। অন্তত আপনার ইসলামী লক্ষ্য অর্জনের কৌশলগত দিককে ধারালো করতে কিছু দরকারি ধারণা নিতে পারেন আমার কাছে। এখানে কেউ যদি আপনাকে দিয়ে নিজের প্রোপাগান্ডা অবজেক্টিভ অর্জন করতে চায় তবে তা তার দিক থেকে ঠিক আছে কিন্তু আমি মেনে নিতে পারিনা। আমার নিজের ফিকির এবং মানহায বাদ দিয়ে অন্যের ভাড়া খাটা অর্থহীন। বিশেষত যখন বিষয়টি হয় হাস্যকর রকমের দুর্বল, ভাসাভাসি এবং সংকীর্ণ দলীয় মতাদর্শের প্রচার সংক্রান্ত।

 

কদিন ধরে মনে হচ্ছিল কিছু জামাতি আমাকে খুব কৌশলে তাদের প্রয়োজনীয় প্রচারে ব্যবহার করছিলেন। তারা আমার আলোচনার টপিক নির্ধারণকেও প্রভাবিত করছিলেন। তাছাড়া আমার একসেস পয়েন্টগুলোতে নিজেদের মতাদর্শ প্রচার করতে চাচ্ছিলেন। আমি একটা সময় পর্যন্ত মেনে নিয়েছি। হঠাৎ মনে হলো তারা হঠাৎ করে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। শহীদ মুরসি (রহ) এর জন্য আবেগকে নিজেদের সংকীর্ণ দলীয় প্রচার, প্রোপাগান্ডায় ব্যবহার করছে। মানুষকে এই আবেগ কাজে লাগিয়ে দমন করতে চেষ্টা করছে। পাইকারিভাবে সকল সালাফিদের গালাগালি করছে। গনতান্ত্রিক দর্শনের বিরোধিতাকে রাজতন্ত্র বনাম গনতন্ত্র ডাইকোটমিতে এনে চিপাচাপায় কিছু মানুষ মুয়াবিয়া (রা) কেও এক হাত নিচ্ছে। মুয়াবিয়া (রা) বিরোধী অজামাতি কাউকে কাউকেও এসুযোগে প্রোমোট করতে দেখিলাম দুই একজনকে। তার উপর যাদের রাজতন্ত্রের গোলাম বলে ট্যাগিয়ে নৈতিকভাবে দুর্বল করা গেলোনা তাদেরকে জিহাদি ট্যাগানো হলো। কিছু উগ্রপন্থী ছেলে মুরসি (রহ) তাকফির করলে কৌশলে সে দায় গনতন্ত্রবিরোধী সবার উপর চাপানোর চেষ্টা করলো কেউ কেউ। সালাফি আন নুর পার্টির অনেক দোষ থাকলেও তাদেরকেও অবজ্ঞা করা হয়েছি ইখওয়ান ক্ষমতায় থাকতে একথা কেউ বললোনা। রাবা স্কয়ারে গনহত্যার নিন্দাও আন নুর পার্টি করেছিলো যদিও তারা সিসি অভ্যুত্থান এর সময় থেকে তার পাশে ছিলো। ব্যাপারটা শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিলোনা। বিভিন্ন অরাজনৈতিক তাসাউফপন্থী তাহরিক নিয়েও কেউ কেউ সমালোচনা শুরু করলো যে, ইখওয়ান এবং জামাতিরা হকের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা) এর আদর্শে সংগ্রাম করছে আর এসকল তাসাউফপন্থীরা তাসবিহজীবি। তারা লড়াই সংগ্রাম বাদ দিয়ে আয়েশি জীবন যাপন করছে। এভাবে গনতন্ত্র নিয়ে দার্শনিক আকিদার পর্যালোচনাকে কুটতর্ক বানানো হলো। চূড়ান্ত দুর্বল অবস্থা সত্ত্বেও এমন সব হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করলো যা বাস্তবায়নের সামর্থ্যও তাদের নাই কিন্তু ছোটলোকি করার খায়েশ আছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এই কাজগুলো মানে আক্রমণাত্মক প্রোপাগাণ্ডার প্রক্রিয়াতে এমন কিছু কাজ করছিলো যার কিছু দায় আমার ঘাড়েও আসছিলো। আর এসব সহ্য করার বিনিময়ে আমাকে দেওয়া হচ্ছিল কিছু তৈল। কিন্তু আমি অসহিষ্ণু, গোঁয়ার লোকদের পছন্দ করিনা এবং পছন্দ করিনা তেল।

 

আমার কাছ থেকে কিছু শেখেন আর না শেখেন নিজের দলের সমালোচনা সহ্য করা শিখতেই হবে। তাই আমি চিন্তা করে দেখলাম জামাতের ছেলেরা এতো অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে কেন? আমি অসহিষ্ণু ছেলেদের এড়িয়ে চলতে চাই। এজন্য আমি পরিস্কার বলেছি মুরসিকে কেউ আকারে ইঙ্গিতে তাকফির করলেও তাকে ব্লক করা হবে। আবার আমি নিজে কাউকে ব্লক করতে পছন্দ করিনা। তাই ভেবে দেখলাম সমালোচনা করাটাই ভালো উপায়। এতে অবশ্য কিছু মানুষ ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল শুরু করতে চাইলেন। হু কেয়ারস?

তাছাড়া আমি যেখানে দেওবন্দিদেরকেই ছেড়ে দেইনা সেখানে তেলতেলে কথা শুনে জামাতিদের ছাড়বো কেন?

 

ফলাফল আলহামদুলিল্লাহ হাতে নাতে। কিছু ভদ্রলোক ইতোমধ্যে ব্লক মেরেছেন। অনেকে আনফ্রেন্ড করেছেন। তারচেয়ে বড় ব্যাপার চাকরি দিয়ে রিক্রুট করার চাকরিটাও গিয়েছে। বেশ শান্তি পেয়েছি।

 

ভাইয়া আমার সাথে এসব হবেনা। কৌশলে দেওবন্দি সালাফি ক্যাচাল কাজে লাগিয়ে আমাকে ইখওয়ান এর পক্ষে সালাফিদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাবেন, মুরসিপন্থী আবেগকে গিয়ার আপ করাবেন আর জামাতি চাটনি বিক্রয় করবেন, এতো সহজ না। আমি খেলা জানি। আপনাদের দলীয় কৌশলগুলোও মোটামুটি বেশ গভীর থেকেই জানি। আমাকে এক অর্থে চুতিয়া বলতে পারেন।

 

মোর‍্যাল অব দ্যা স্টোরি,

 

১) আমাকে রিক্রুট করার চেষ্টা করবেননা বা আমাকে ব্যবহার করে নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করবেননা। করলেই বাঁশ খাবেন।

 

২) আমার সাথে থাকলে সমালোচনা সহ্য করার দম থাকতে হবে।

 

কিছু পরামর্শ

 

ক) অসৎ তর্ক করবেননা। যদি আপনার বক্তব্য সৎ হয় এবং এসেন্স থাকে আমি আপনার কাছে শিখবো।

 

খ) যদি না জানেন তবে বিনয়ী হন। না জেনে জ্ঞানির ভাব ধরা উচিৎ না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সকালে বলেছিলাম জামাতিরা এরদোয়ান পছন্দ করে। কিন্তু মুয়াবিয়া (রা) কে অপছন্দ করে। বাস্তবতা হচ্ছে তারা অনেকে আমেরিকার গনতন্ত্রও মুয়াবিয়া (রা) এর খেলাফতের চেয়ে বেশি পছন্দ করে।

 

কিছু চিত্র কমেন্টে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পোস্টটি কেবল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য

 

আমি সাইফুল্লাহ মাদানি বা উলামায়ে আহলুল হাদিসের সাথে একমত যে গণতন্ত্র বা জিহাদ না বরং ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি হতে হবে দাওয়াত।

 

তাহলে তাদের সাথে আমাদর ভিন্নমত কোথায়?

 

১) তারা ব্যাপারটাকে ইউনিভার্সালাইজ করেন কিন্তু আমি মনে করি বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য ঠিক। সকল জায়গাতেই ঠিক এমন না।

 

২) দাওয়াত হবে তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাতসহ ইসলামের মৌলিক, অপরিহার্য এবং অকাট্য বিষয়গুলোর। রফয়ে ইয়াদাইন এবং আল্লাহর সিফাতের সূক্ষ ব্যাখ্যা নিয়ে হট্টগোলের না।

 

৩) মুসলমানদের বেপরোয়া তাবদি করা একটি জঘন্য বিদয়াত।

 

৪) বাংলাদেশে আলে সাউদের আনুগত্যের দাওয়াত দেওয়াকে আমি অন্যায় মনে করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উস্তাদ মাওদুদি রহ নিঃসন্দেহে একজন বড় মাপের চিন্তাবিদ ছিলেন। তার লেখার গভীরতা প্রশংসনীয়। আমি মনে করি, আমাদের প্রাজ্ঞ উলামাদের অবশ্যই তার রচনাবলি অধ্যয়ন করা এবং তা থেকে উপকৃত হওয়া উচিৎ। অন্তত ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তার রচনাগুলি থেকে তালেবে ইলমরাও উপকৃত হওয়া সম্ভব। হ্যাঁ ১৯৪৫ সালের পরের রচনাবলি তালেবে ইলমগন পড়ার সময় উপযুক্ত শাইখের তত্ত্বাবধানে থেকে পড়া উচিৎ।

 

উস্তাদের একটা বিখ্যাত রচনা আছে। আল জিহাদ ফিল ইসলাম। তিনি মাওলানা মুহাম্মদ আলী জাওহারের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বইটি রচনা করেন। আল্লামা ইকবাল বইটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। সবচেয়ে বড় কথা বইটি প্রথম ছাপা হয় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পত্রিকায়। ফলে বইটি একটি বিশুদ্ধ দেওবন্দি সম্পদ। আমরা যদি উস্তাদ মাওদুদি (রহ) কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করি তথাপি আমাদের মাথায় রাখতে হবে ইমাম বুখারি (রহ) মারওয়ানের প্রথম জীবনে বর্নিত হাদিস গ্রহণ করেন এবং শেষ জীবনে তাকে সিকাহ বিবেচনা করেননি।

 

এভাবে উস্তাদ (রহ) এর রচনাগুলো থেকে উপকারীগুলো বাছাই করা এবং তা দ্বারা আধুনিক জাহেলিয়াতের মোকাবেলায় দাঁড়ানো আমাদের জন্য উপকারী হবে বলেই বিশ্বাস করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আকিদা এবং রাজনীতির পার্থক্য এক দল ভাই মোটেই বোঝেননা। একটা বিষয় হচ্ছে কি কি অপরাধে কুফর হয় তা বর্ননা করা। আপনি যদি নাম উল্লেখ না করে জেনেরিক বলেন যে, এই এই কাজ ইমান ভঙ্গকারী তাহলে সম্ভবত খুব কম মানুষ আপত্তি করবে। এখানে নাম ধরে ধরে অমক তমক কাফের বলার ফায়েদা নাই। ফলে দরকার নাই। কিন্তু কোনো কারনে যদি বিশেষ শাসকের সমালোচনা করতে চান তাহলে তার রাজনৈতিক সমালোচনা করা উচিৎ।

 

এদেশে যাদেরকে এরদোয়ান এর সমালোচনা করতে দেখি তাদের অধিকাংশই আবেগী এবং কোনো মতবাদে গোঁড়াভাবে দীক্ষিত।

 

রাজনীতিকে যারা রাজনীতির পরিবর্তে আকিদা বা থিওলজি দিয়ে মোকাবেলা করতে চায় তারা কখনো রাজনীতিতে সফল হতে পারেনা।

 

বনু উমাইয়ার বিরুদ্ধে আহলে বাইতের দুইটি শাখা লড়াই করেছে। আলাউয়িরা ব্যার্থ হয়েছে, আব্বাসিরা সফল। কারণ একটাই আব্বাসিরা রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করেছে। আলাউয়িরা তা পারেনি।

 

সাধারণত যারা রাজনীতিতে থিওলজি নির্ভর হয়ে পরে তারা অচিরেই একটা জনবিচ্ছিন্ন কাল্টে রূপান্তরিত হয়।

 

হ্যাঁ জনসাধারণের আবেগের অংশকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা ভিন্ন বিষয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদকে আমি অনেকের মতো দেখিনা। এটা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। খোদ তার পক্ষে অনেকেই আমাকে নিয়ে আশ্চর্য। তারা মনে করেন ট্রল। কিন্তু আসলেই তাকে ট্রল করিনা। পছন্দ করি। কেন ব্যাখ্যা করে বোঝানো প্রায় অসম্ভব। তাই কাউকে বোঝাতে চাইনা। হ্যাঁ তার কাজের প্রক্রিয়াগুলো কেমন জানি। কিন্তু ফলাফল মন্দের ভালো। তিনটি বিষয় আমি তাকে মূল্যায়ন করার সময় মনে রাখি।

 

১) এদেশে অনেক সম্মানিত, গণ্যমান্য আল্লামা এবং ইসলামি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আছে যারা একেকজন ফরিদুদ্দিন মাসুদ কিন্তু তাদের সাথে মাওলানা মাসুদের পার্থক্য হচ্ছে তারা জাহিল এবং তিনি আলিম। ফলে বড় বড় আল্লামারা আপোষ করার সময় তাদের আপোষ আকিদা হয়ে যায় কিন্তু মাওলানা মাসুদ এর আকিদা অন্তত অন্তরে পরিবর্তন হয়না।

 

২) মাওলানা জামাত দমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। জামাত ক্ষমতায় থাকলে জামাত এবং জামাতের কাছে পরাজিত, নমনীয়, পরজীবি ইসলামপন্থীরা যেমন মজলিশের একটা গ্রুপ, জমিয়তের কেউ কেউ ছাড়া অন্যান্য ইসলামপন্থীরা হাড়ে হাড়ে টের পেতো আজকের নমনীয়, আপোষকামী, দয়াদ্র, মজলুম জামাত কেমন নেকড়ের মতো হিংস্র হতে পারে। তবে তারা অন্যান্য ইসলামপন্থী বিশেষত বোকা কওমিদের এমনভাবে শায়েস্তা করতো যে তাদের যাঁতায় পেষা হলেও উহ করার সামর্থ্য থাকতো না। জাতী কি ভুলে গিয়েছে মুফতি আমিনি (রহ) এর জামাতের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো, যখন জামাত ক্ষমতার অংশীদার ছিলো। তারা চায় অন্যান্য ইসলামপন্থীরা তাদের পায়ের কাছে দয়ার আশায় পরে থাক। সামান্য এদিক সেদিক হলেই চামড়া তুলে নিবে।

 

বিশ্বাস না হলে এই স্ট্যাটাসের কমেন্ট সেকশান দেখুন।

 

৩) মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) না থাকলে আওয়ামী হিংস্রতা কি জিনিস আমাদের কওমি হুযুররা হারে হারে টের পেতেন। আপোষ তিনি কাউকে ঘাড় ধরে করাননি। অনেকেই করতে চেয়েছে। তিনি শুধু পথ শিখিয়ে দিয়েছেন। কানেকশানগুলো মেইনটেইন করেছেন।

 

তাছাড়া আওয়ামী দালালি খারাপ বিএনপি দালালি ভালো একথা বিএনপি জামাতের দালালরাই বলে। বিএনপি জামাত আমেরিকার সাথে আপোষ করতে পারবে আর কওমিরা অস্তিত্বের সংকট মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের সাথে আপোষ করতে পারবেনা এমন উদ্ভট চিন্তা করার ছেলে মানুষি অনেক আগেই কাটিয়ে এসেছি।

 

সব মিলিয়ে যত পরিনত হচ্ছি লোকটার উপর শ্রদ্ধা বাড়ছে। তিনি একজন ধৈর্যশীল শীতল মস্তিষ্কের প্রাজ্ঞ আলিম যিনি ইসলাম এবং উলামায়ে ইসলামের স্বার্থে যেকোন গালাগালি সহ্য করতে আপত্তি করেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাচ্চাদের এমনভাবে গড়ে তোলো যেনো তারা দারিদ্র্য এবং ঐশ্বর্য উভয়টিতেই মানিয়ে চলতে পারে। একবেলা পোলাও কোরমা খাওয়ালে অন্যবেলা ডাল রুটি বা ভর্তা ভাত খাওয়াও। বাচ্চাদের একই রকম খাবার খাওয়াবেনা। এতে ওরা যা খাইতে চাইবে তাই খাওয়াতে হবে। বাবা মা সন্তানের অভ্যাস এবং চরিত্র নষ্ট করে ফেলে। কিন্তু বাস্তবতা কারও তোয়াক্কা করেনা। বাস্তবতা বড় নির্মম। বড় ছোট কাউকেই ছাড়েনা।

 

সংগৃহীত

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাওহীদের ক্ষেত্রে আমি নিজে সালাফিদের তাওহীদ এর মূলনীতি এবং শিরকের সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে মেনে চলি। একারণে আমার সন্তান কখনো কোন অবস্থায় তাবিয পড়বে তা মেনে নেইনি।

 

অন্যদের উপর তা প্রয়োগ, তার ভিত্তিতে তাকফির, তাবদি এবং কঠোরতা করার যে আক্ষরিকতাবাদি প্রয়াস তা পছন্দ করিনা। এতে দাওয়াত কম হয় বিবাদ বেশি হয়। একটা ঝগড়াটে মানসিকতায় সর্বদা আচ্ছন্ন থাকতে হয় এবং মানুষের সাথে কঠোরতার কারণে মানুষ ভয় এবং বিরক্তিতে দাঈয়ের কাছ থেকে পালিয়ে যায়।

 

আল্লাহ পাক মুসা (আ) কে ফেরাউনের কাছে পাঠানোর সময় কোমলতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলেন তিনি কঠোর হলে মানুষ দূরে সড়ে যেতো।

 

অথচ সালাফি মুয়াহহিদদের অনেকের দাওয়াত শুরুই হয় মানুষের সাথে নিষ্ঠুর কঠোরতা দিয়ে। আর কুরআন, সুন্নাহ এবং সিরাহতে যেহেতু কঠোরতা এবং কোমলতা সবকিছুরই উদাহরণ আছে ফলে তারা কোনো মাসলাহাত এবং বাস্তবতা উপলব্ধি ছাড়াই কঠোরতাগুলো আমদানি করবে। আমি এধরণের চিন্তাকে দাওয়াহর জন্য পরিশোধনের পরামর্শ দেই।

 

উল্লেখ্য এই রোগ শুধু সালাফিদের নয় বরং কম বেশি প্রত্যেক জামাতের মাঝেই ভিন্ন মাসলাকের মুসলমানদের সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে সালাফিদের অনেক বড় অংশ এই কাজ দল নিরপেক্ষ সাধারণ মানুষের সাথেও করে থাকেন। এটা তারা শুধু স্বভাবগত কারণে করেন তা নয়, বরং তাদের মাসলাহাত অস্বীকার প্রবন আক্ষরিকতাবাদি প্রবণতাও এজন্য দায়ী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গনতন্ত্র বনাম জিহাদ বা সশস্ত্র কোনো পন্থার তর্কটাতে আগ্রহ হারিয়েছি। কারণ কেউ ব্যাপারটা একাডেমিক বা পলিসি লেভেলে কথা বলছেনা। দলীয় জায়গা থেকে বলছে। ডগম্যাটিক গোঁড়ামি এবং দলীয় আনুগত্যের বাইরে এসে এখন পর্যন্ত কাউকে আলোচনা করতে দেখিনি।

 

আমি গনতন্ত্র বনাম জিহাদ ডাইকোটোমিতে বিশ্বাস করিনা। দাওয়াত আমার মানহায। আমি বিশ্বাস করি দাওয়াত উপযুক্তভাবে দিতে পারলে ফায়দা হতো। আমি বিশ্বাস করি তাসাউফ এবং তাবলিগের মাধ্যমে ইসলামি আন্দোলন অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমার মডেল মুসা (আ) এবং তার অপভ্রংশ মুজাদ্দিদে আলফে সানি।

 

তাছাড়া পৃথিবীর সর্বত্র সর্বদা সবাই একইভাবে কাজ করবে এটা হচ্ছে হাতুড়ে ডাক্তারের কাজ। সকল রোগের চিকিৎসা গ্যাসের ওষুধ আর প্যারাসিটামল টাইপ বক্তব্য।

 

আমি ব্যাপারটা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাই। তবে শর্ত হচ্ছে খোলা মন নিয়ে দলীয় চিন্তা ছেড়ে দিয়ে নিজের অবস্থান অন্তত এই আলোচনায় পূনর্পর্যালোচনা করার মতো মানস নিয়ে আসতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শামসুল হক ফরিদপুরি (রহ) এর মতে, স্বামীর সন্তুষ্টি ও মনোরঞ্জনের জন্য স্বামীর সামনে নাচ জায়েজ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পোলাপানের জন্য সতর্কবার্তা

 

অতি উত্তেজনা বাসর ঘর নষ্ট করতে পারে।

 

ইরেকশনাল ডিজফাংশন এর কারণ হতে পারে অতি আগ্রহ। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। কিছুদিনের মাঝে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

 

তবে এজন্য ওষুধের দরকার নাই। দরকার টেনশান না করা এবং পারফরম্যান্স এংজাইটিতে না ভোগা।

 

তবে আজকাল সমস্যাটা অনেকেরই হয়। অবশ্য প্রধান একটা কারণ হচ্ছে সফট এবং হার্ড পর্ন। ফলে সহবাসের অভিজ্ঞতার প্রথম প্রথম এমন ইরেকশনাল ডিজফাংশন হতে পারে। তাই বাসর আপনার কল্পনার মতো সুন্দর নাও হতে পারে। কিন্তু এসব ইস্যুতে পরামর্শ করাও অনেকের জন্য মুশকিল হয়ে যায় লজ্জায়। বৌকে বোঝানো আরেক মুশকিল।সেক্ষেত্রে তাকে আস্বস্ত করার জন্য চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। যদিও খুব একটা দরকার নাই।

 

আরও গুরুত্বপূর্ণ দুইটা কথা হচ্ছে

 

১) এনাল সেক্স হারাম

২) ওরাল মাকরুহে তাহরিমি তবে ফ্লুইড মুখ দিয়ে স্পর্শ করা হারাম। অন্তত হানাফি মাযহাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিলাদ নিয়ে দুইটা কথা

 

১) আমি মিলাদ পড়িনা। কিয়াম দূরে থাক। তবে জিলাপি খুব পছন্দ করি। মানে মিলাদের জিলাপি।

 

২) কেউ যদি এমন না মনে করে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে ফিজিক্যালি উপস্থিত হন, এবং দরুদ যদি অশুদ্ধভাবে না পড়ে তবে আমি ব্যাপারটাকে ইজতিহাদি মনে করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সালাম একটা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যেটাকে আমরা সামাজিক অহংকারের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের দেশে ইসলামি রাজনৈতিক শক্তিগুলো খুবই বদ্ধ। এখানে রাজনীতি এবং আকিদাকে আলাদা রাখা যায়নি।

 

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে জামাত। যেহেতু উস্তাদ মাওদুদি (রহ) একজন লেখক এবং চিন্তাবিদ ছিলেন ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার চিন্তা জামাতিদের উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করে।

 

জমিয়তের সবগুলো গোঁড়া দেওবন্দি। দাঁড়ি কমা ছাড়া।

 

খেলাফত মজলিস মোটা দাগে দেওবন্দি। বড়জোড় কিছু জামাতি দলছুট তাদের চিন্তার তাকিয়া করে দেওবন্দি সেজে থাকেন।

 

খেলাফত আন্দোলন দেওবন্দি।

 

চরমোনাই গ্রুপ দেওবন্দি মানে গোঁড়া সুফি ধারার দেওবন্দি।

 

কিন্তু এভাবে কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন সাফল্য পেতে পারেনা।

 

এখানে কোনো রাজনৈতিক দলকে সাফল্য পেতে হলে দলটিকে অবশ্যই এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যেনো দেওবন্দি, জামাতি, আহলে হাদিস, আকিদা ঠিক রেখে বিদয়াত করে এমন বিভিন্ন সেমিবেরেলভি গ্রুপ যেমন ফুরফুরা, সারসিনা, জৈনপুরী, সারসিনা প্রভৃতি সকল ধারাকে একোমোডেট করতে পারবে।

 

কাজটা প্রচলিত কোনো ইসলামি গ্রুপের পক্ষে সম্ভব না। জামাত হয়তো পারতো কিন্তু তাদেরও বড় সমস্যা মাওলানা মাওদুদি (রহ) এর লেখক সত্ত্বা। তিনি লেখক না হলে সম্ভব ছিলো।

 

এদেশে এটা সম্ভব ছিলো। কেউ কেউ করেছেও। ছোট উদাহরণ দেই। সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ)। তিনি আহলে হাদিস, দেওবন্দি, ফুরফুরা, জৌনপুরী, ফুলতলি সবার আকাবির। উল্লেখিত সকল ধারার লোক তার দলে ছিলো। জামাতি টাইপ কিছু তখন উপমহাদেশে ছিলোনা। তবে জামাতের ইকামতে দীনের ধারণাও তার জামাতে ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই দুইদিন ধরে দলবাজ জামাতি আর মূর্খ কওমি গোষ্ঠী লাগাতার মাদখালিদের জন্য পুরো সালাফি আন্দোলোনকেই গালাগালি করছেন।

 

ব্যাপার না করেন। ভালো লাগে।

 

কিন্তু একটা ছোট আলাপ ছিলো।

 

আপনি জানেন কি ইখওয়ান যখন মিশরের ক্ষমতায় ছিলো তখন সালাফি নুর পার্টিকে পাত্তাই দিতো না। সেক্যুলারদের যেভাবে এপিজ করতে চাইতো তা কিন্তু সালাফি নুর পার্টিকে করতো না।

 

তাদের যুক্তি ছিলো তারা আল্টা কনজার্ভেটিভ। তাদের সাথে জোট করে কাজ করলে পশ্চিমে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তারপর অনেক ইতিহাস। আজ এপর্যন্তই থাক। বাকিটা আবার পরে।

 

তবে কথা হচ্ছে মাদখালিরা একাই চুতিয়া না ইখওয়ানও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহ পাক আমাদের এই বর্বর ইসলামপন্থী নামের অসভ্য, ইতর, দলকানা, লোকদের উগ্রতা থেকে আমাদেরকে হিফাজত করুক।

 

মুরসি (রহ) এর শাহাদাতে শুধু তারাই খুশি হয়নি যারা তাকে ঘৃণা করে, তারাও খুশি হয়েছে যারা তার জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ইমোশোনাল গেম খেলে নিজেদের কুকর্মগুলোকে লেজিটেমিসি দিচ্ছে এবং বিরোধীদের এক হাত দেখে নিচ্ছে।

 

আগে প্রায়ই শুনতাম লাশ নিয়ে মিছিল করলে নাকি আন্দোলনে সুবিধা হয়। বিশেষত এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নাকি এমন কাজ প্রায়ই হতো। সেম সাইড মানুষ মেরে পলিটিক্যাল ব্ল্যাকমেইলিং।

 

এই ছোটোলোকের জাত এর চেয়ে আমাদের সমকালীন শাসকরা খারাপ না। এই ছোটলোকরা বিরোধীদের উপর জুলুম সামান্য কমাবে এমন সম্ভাবনা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সোজাকথা হচ্ছে আকিদার ক্ষেত্রে আমি এক ধরনের ইসলামি সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস করি। অর্থাৎ রাষ্ট্র বা কোন ইসলামি রাজনৈতিক দল সুন্নি বা জায়েদি বা ইবাদিদের মাঝে কোন আকিদার সংঘাত রাজনৈতিক বা সামরিক শক্তি দিয়ে নিরসন করবেনা। বিবাদ মিমাংসিত হবে ইলমি আলোচনার ভিত্তিতে।

 

অর্থাৎ রাষ্ট্র তার কোনো নাগরিককে বলতে পারবেনা যে আপনাকে আশয়ারি, মাতুরিদি, সালাফি, সুফি, দেওবন্দি, বেরেলভি, জামাতি, যায়েদি, ইবাদি একটা কিছু হতেই হবে।

 

ব্লাসফেমি আইন শুধু ইরতিদাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে।

 

হ্যাঁ উলামাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া ভিন্ন বিষয়। পাশাপাশি খলিফা বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অভিন্ন চিন্তার হতে পারে।

 

একই কথা রাজনৈতিক তাহরিকগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

 

ফিকহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে একটা নিতে হয়। কিছু করার থাকেনা। কিন্তু নাগরিকদের বাধ্য করতে পারবেনা। আমি মিলাদ পড়লে আপনি বাধা দিতে পারবেননা। আপনি মাযহাব না মানলে আমি আপনাকে আমিন জোড়ে বলতে বাধা দিতে পারবোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুনিয়া বড়ই বিচিত্র।

 

মধ্যপন্থা সঙ্গায়ন করা সহজ না। তার আগে প্রশ্ন করতে হবে পথের দুই পাশ কোথায় থেকে ধরা হয়েছে?

 

৩ আর ৫ এর মধ্যে ৪ মধ্যম পথ, ৩ ছাড়াছাড়ি ৫ বাড়াবাড়ি।

 

আবার ৪ এবং ৬ এর মধ্যে মধ্যমপন্থা হচ্ছে ৫।

 

হাযিমি নামে এক গ্রুপ আছে যাদের মতে দায়েশ কাফের কারণ তারা যথেষ্ট তাকফির করেনা।

 

মজার না ব্যাপারটা?

 

হাহাহাহাহাহা

 

মজার কিন্তু

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আমি করলেই দোষ।

 

আজিব ব্যাপার।

 

মাওলানা আব্দুল মালিক (দাবা) যা বললেন এটাই আমার কথা। কিন্তু লোকে আমাকে বলে এতায়াতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাল এক ইস্যু নিয়ে অনেক প্যাচাল পারছি। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপাতত এসব নিয়ে পরে থাকতে চাইনা।

 

আপনারা জানেন আমি আমার ওয়ালের হিটলার। আমি সকল মত পথের লোকজনের সাথে মত বিনিময় করি। কাউকে অচ্ছুৎ ভাবিনা। সামান্য কিছু গোষ্ঠী ছাড়া। এধরণের গোষ্ঠীর মাঝে একটা হচ্ছে দায়েশমার্কা তাকফিরিরা। তাদেরকে আমি নমশূদ্র মনে করি বা তার চেয়ে নিচে। তাদের আমার সাথে আলোচনার টেবিলে বসারও কোন সুযোগ নাই। আমি মুরজিয়াদের চেয়ে খারেজিদের বেশি অপছন্দ করি। আমি মাদখালি এমনকি হুথিদের চাইতে দায়েশকে বেশি অপছন্দ করি।

 

ফলে মুরসিকে যারা তাকফির করেন তাদের সাথে আমার কোনো আলাপ নাই। সমালোচনার কথা বলছিনা। সারাদিন সমালোচনা করেন। কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আবার বলছি যারা তাকফির করেন তারা আমার থেকে দুরত্ব বজায়ে রাখুন।

 

কোনো প্রশ্নের সঠিক জবাব পাবেননা।

 

কমেন্ট করলে ডিলিট করা হবে।

 

যারা বারবার বলার পরেও আমাকে নিজের দলের ভেবে কষ্ট পেয়েছেন তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা।

 

আমি এখানে কেবল আমার প্রতিনিধি। আর কারও না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাশাপাশি রেখে বোঝেন মুরসির তাকফিরকারিরা কোন গ্রুপ?

 

ওয়াল্লাহি এরাই উপযুক্ত পরিবেশে দায়েশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কি বুঝলাম? তাকফিরের নেশা ভয়ংকর।

 

যারা জেহাদের কথা বলে তাদের মধ্যে একটা গোষ্ঠী উগ্র হয়ে উঠছে।

 

ইরাকেও দায়েশের জন্মের আগেই চরমপন্থা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছে। তবু বিভিন্ন মাসলাহাতের কারনে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলাফল দায়েশ।

 

জিহাদের দাওয়াত দিবেন ভালো কথা। কিন্তু চরমপন্থা ঠেকান। নয়তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আপনাদের।

 

ফেসবুকে গলাবাজি করতে পারবেন কিন্তু এদেশের জনগণ কখনো এমন চরমপন্থীদের মেনে নিবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

 

লানতুল্লাহি আলাল কাফির সিসি।

 

শহীদ ইনশাআল্লাহ মুরসি রহমতুল্লাহি আলাইহি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুরসির (রহ) এর অনেক কথা, কাজ ভুল মনে করি। তার কর্মপদ্ধতিকে আকিদা এবং ফিকহের জায়গায় সঠিক ভাবিনা। তার কৌশলক খুব ভালো ছিলো মনে করিনা। তাকে ঠিক ততোটা যোগ্যও মনে হয়না। তিনি সর্বদা হাফহার্টেড খেলেছেন। না তিনি স্ট্যাবলিশমেন্টের সাথে এরদোয়ান বা রশিদ ঘানুশির মতো আপোষ করেছেন আর না খোমেনির মতো স্ট্যাবলিশমেন্টকে ভাংতে চেষ্টা করেছেন। এখানেই আমার শাইখ মহান রাষ্ট্রবিজ্ঞানি ম্যাকিয়াভেলি দর্শন গুরুত্বপূর্ণ। তাকে আমি অসম্ভব সমীহ করি তার দ্যা প্রিন্স বইটির জন্য। এই বইটি না পড়ে আজকের যুগে রাজনীতি করলে অবশ্যই ধরা খাবেন। যেমন এদেশে ইসলামপন্থীরা ধরা খায়। এদের শক্তি বাড়লে আরও বেশি ডলা খাবে। যাইহোক শাইখে সিয়াসাহ ম্যাকিয়াভেলি বলেন কাউকে শাস্তি দিতে হলে এমনভাবে দাও যেন প্রতিশোধ নেওয়ার শক্তি না থাকে। কাজটি মুরসি (রহ) না করলেও সিসি কিন্তু ঠিকই করেছেন। কিন্তু মুরসি (রহ) মিডিয়া, অর্থনীতি, সেনাবাহিনী প্রভৃতি কোথায় স্টাবলিশমেন্টকে পরাস্ত করতে এবং ভেঙে ফেলতে পারেননি। ইখওয়ান এমন একটা বিপ্লবের জন্য কখনো প্রস্তুত ছিলোনা। হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখে বিপ্লব দরজায়। তারা গুছিয়ে তাকে ঘরে বসাতে পারেনি। কারণ গত ৩০ - ৪০ বছরে তারা বিপ্লবের স্বপ্ন পুরোই বাদ দিয়েছিলো। আর এসব কিছুর পরে মুরসিকে একটা সহজ সরল মুখলিস মানুষ মনে হয়। এধরনের মানুষ সুফি হতে পারেন, ইউনিভার্সিটির প্রফেসর বা ভিসি হতে পারেন কিন্তু রাজনীতি সম্ভব না। রাজনীতি করিতে গেলে চুতিয়াপনা করেন বা না করেন তা বুঝতে হয়। কিন্তু তিনি তা বুঝতেননা। যারা মিশরিয় রাজনীতি ফলো করেন তারা জানেন যে খাইরাত আল শাতের এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন কারনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদন্দ্বিতা না করায় ক্লিন ইমেজের মুরসিকে ধরে এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে মিশরিয় বাস্টার্ড সেনাবাহিনীর সাথে খেলা সম্ভব না। তবে আল্লাহ পাক রহমানুর রাহিম। তিনি মানুষের হৃদয় দেখেন। রাজনৈতিকভাবে অদক্ষ কিন্তু পরিচ্ছন্ন হৃদয়কে তিনি অবজ্ঞা করেননা। আমরাও আমাদের ইমানদার ভাইদের ভালোবাসি। আমরা তার জন্য দুয়া করি আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন এবং তার শাহাদাত কবুল করুন।

 

কোন মুসলমান মজলুম অবস্থায় জালিমদের দ্বারা নিহত হলে তিনি শহীদ। তিনি ফাসিক বা বিদয়াতি হলেও।

 

তিনি হাকিকি না হুকুমি শহীদ তা ভিন্ন আলোচনা।

 

আমরা জাহিরের উপর সাধারণভাবে কথা বলি। তবে হাইপার বিশুদ্ধতাবাদ রাসুলুল্লাহ (সা) এর পরে খুব সামান্য ব্যাক্তির জন্য এই শব্দ ব্যবহারের সুযোগ রাখবে। কারণ কারও অন্তর দেখা ওহি বন্ধ হওয়ার পরে সম্ভব না।

 

উম্মাহ এভাবেই সব সময় বলেছে। যেমন কারবালায় শুধু হুসাইন না বরং নিহত সবাইকেই উম্মাহর আলিমরা শহীদ বলেন। কিন্তু হাদিসের ভিত্তিকে কেবল হুসাইন (রা)কে নিশ্চিতভাবে শহীদ বলা যায়। আবু হানিফা (রহ) এর ব্যাপারে অনেকেই এই শব্দ ব্যবহার করেছেন। নুরুদ্দিন জঙ্গি (রহ) কে অগণিত আলিম শহীদ বলেছেন। সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ এবং সাইয়্যেদ ইসমাইল শহীদ (রহ) এর ব্যাপারে দেওবন্দি এবং আহলুল হাদিস উলামায়ে কেরাম এর ভেতর নামের সাথে শহীদ বলাটা উরুফ হয়ে গিয়েছে। সাইয়্যেদ কুতুব (রহ) এর নামের সাথে শহীদ বলা জমহুর দেওবন্দি, জামাতি, ইখওয়ানিদের ভেতর উরুফ।

 

শহীদ শব্দটা হাজি বা রোযাদারের মতো। তাদের আমল কবুল হয়েছে কিনা আমরা জানিনা কিন্তু জাহেরের উপর আমরা রোযাদার বা হাজি বলি।

 

ইসলামপন্থী বিশুদ্ধতাবাদিদের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে তারা সাধারণ মানুষের সাথে সাধারণভাবে কথা না বলে পান্ডিত্যের ভাষায় এবং ব্যাকরণের খুঁটিনাটি নিয়ে। তারা এতো ছিদ্রান্বেষী হয়ে থাকেন যে তাদের পক্ষের একটা বক্তব্যও তারা একারনে রদ করবেন যে তাতে একটা কমা বা ঈ, ঈ এদিক সেদিক পরে গিয়েছে। ফলে জনসাধারণ তাদের আচরণকে নিজেদের সাথে রিলেট করতে পারেনা। তারা গণবিচ্ছিন্নই থেকে যান।

 

যেমন ধরেন, আমরা কেবল তারই ইবাদত করি, তারই সাহায্য চাই। (আল ফাতিহা)

 

এখন কেউ আরেকজনকে বললো ভাই প্লিজ এই চালের বস্তা টানতে একটু সাহায্য করো। না হলে আমি বিপদে পড়ে যাবো। একথা বলার কারনে কি কেউ মুশরিক হবে? মোটেই না।

 

আমরা যখন মুরসি (রহ)কে শহীদ বলি সাধারণ উরুফ হিসাবে বলি ইয়াকিনের ভিত্তিতে না।

 

আমরা মনে করি, উমার (রা) এর উক্তি যে, কাউকে শহীদ বলোনা কারণ জানোনা যে তার অন্তরে কি আছে বা বিভিন্ন ফুকাহার এধরণের যেসকল বক্তব্য পাওয়া যায় তা ইয়াকিনের নিষিদ্ধতার ব্যাপারে, উরুফি বক্তব্যের ব্যাপারে না।

 

এধরণের বিশুদ্ধতাবাদ মেনে নিলে কাউকে মুমিনও বা মুসলমান বলা যাবেনা কারণ হয়তো তার অন্তরে নিফাক আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলাম ও সমাজবিজ্ঞান - ৫

 

আপনার চিন্তা যত বড়ই হোক তাকে যদি কাজে না লাগানো যায় তবে কান্টের দর্শন আর হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসের মধ্যে পার্থক্য নাই।

 

হাজার বার ফিলিস্তিন আর আল আকসার কথা ভাবার চেয়ে একবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কথা ভাবা উত্তম। আপনার বাড়ি যদি চট্রগ্রাম বিভাগ না হয় এবং আপনি যদি আহামরি কাবিল না হন তবে হাজারবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কথা ভাবার চেয়ে বাড়ির পাশে যে মাদ্রাসার উস্তাদদের বেতন দেওয়া যায়নি বা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে রান্না হয়নি তার কথা ভাবা উত্তম।

 

আমরা যখন ভাবি নেশন স্টেট মানিনা তখন আমরা ফিজিক্যাল বর্ডার অস্বীকার করিনা কারণ তা অর্থহীন। আমি হৃদয়ের বর্ডার অস্বীকার করতে বলি। আপনার বাস্তব বাধ্যবাধকতার সীমা উপলব্ধি করে আপনি যখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাঙালি মুসলমানদের মতো সম্মান দিবেন, তাদের এমাটিতে বেঁচে থাকার অধিকার আছে বলে নিজে মানুষিক স্বীকৃতি দিবেন তখন আপনি জাতীয়তাবাদ অস্বীকার করলেন। আপনি যখন নোয়াখালীর বাইরের কেউ হয়ে নোয়াখাইল্যা বলে গালি দিলেননা তখন আপনি জাতীয়তাবাদ অস্বীকার করলেন। আপনি যখন নোয়াখালীর কেউ হয়ে অন্য এলাকার মুসলমানদের নিজের এলাকার মুশরিকদের চেয়ে ভালোবাসবেন, নিজের এলাকার ফাসিক ফুজ্জারদের চেয়ে অন্য এলাকার মুত্তাকিদের সুযোগ সুবিধায় অগ্রাধিকার দিবেন তখন আপনি জাতীয়তাবাদ অস্বীকার করলেন।

 

হাওয়াই আদর্শবাদ মানুষকে অলস এবং অকর্মন্যতে পরিনত করে। আমাদের অনেক ভাই বড় বড় আদর্শ শেখেন কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে রিলেট করতে পারেননা। তাহলে লাভ কি হলো? দিনশেষে বিয়ে শাদি হয়ে গেলে সরাসরি বা মনে মনে বলবেন সেসব ছিলো বাল্যের আবেগ। তাই যা কিছুই শিখেন আগে শিখেন আপনার কনটেক্সটে আপনি তাকে কিভাবে রিলেট করবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা যখন জামাতের সমালোচনা করি তারা তখন আবেগে কান্নাকাটি শুরু করেন যে তাদের কারণে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে লাখো ছাত্র হিদায়াত পেয়েছে।

 

আরে ভাই আমরা বলিনা যে এদেশে ইসলামে আপনাদের কোন অবদান নাই। অবশ্যই আছে। আপনাদের সকলের প্রয়াস মিলিয়েই বাঙালি মুসলমান।

 

কিন্তু তাত্ত্বিক বয়ান, আর 'খেলায় জেতা বড় কথা না অংশগ্রহণটাই বড়' মার্কা কথাবার্তা বাদ দিয়ে রাজনীতিতে আপনাদের নিট অবদান কি এটা আমরা বুঝতে চাই।

 

আপনি যা বলছেন তা তাবলীগও করেছে। তাদের কারণেও লাখো জাহিল, ফাসিক, ফুজ্জার ইসলামে এসেছে। এগুলো দাওয়াত এর ফাজায়েল। সেটা যারাই করবে তাদের দ্বারা খেদমত হবে। আপনারাও বিভিন্ন প্রকাশনাসহ দাওয়াতের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এটা প্রচলিত রাজনীতি না করেও করা যেত। বরং জোট আর যুগপৎ না খেললে শক্তি অর্জনের পূর্বেই সংঘাতের আপদ মাথায় আসতো না।

 

জামাতের ভাইয়েরা আপনাদের দল দূরে থাক মূল চিন্তারও আমি শত্রু না। আমি শুধু চাই আপনাদের ভুলগুলোর সংশোধন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুহাম্মাদ আশ শাওকানি (রহ) (১৭৫৯-১৮৩৯) ইয়ামানে এক যায়েদি পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পুরো নাম মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ আশ শাওকানি। তিনি পরবর্তিতে যায়েদি মত পরিত্যাগ করে আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভূক্ত হন। তিনি কঠোর পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাহ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। মাত্র দশ বছরে কিতাবুল্লাহ এবং অনেক হাদিস হিফয করেন। আরবি সাহিত্য এবং ইতিহাসে তাঁর গভীর পান্ডিত্য ছিল। তিনি বিপুল পরিমান ইলম অর্জন করার পর মাত্র ত্রিশ বছরে নিজেকে মুজতাহিদে মুতলাক দাবি করেন। তবে এতো অল্প বয়সে স্বাধীন ইজতিহাদ করতে গিয়ে তিনি কিছু ভুলও করেন। যেমন তিনি যৌবনে কিছু তাকফির করেছিলেন। পরিনত বয়সে সেসকল তাকফিরকে ভুল বলেন এবং তাওবা করেন।

 

ইমাম শাওকানি (রহ) এর বাবা ছিলেন যায়েদি কাজি উল কুযাত। তিনিও অত্যন্ত পরহেজগার ছিলেন। তার মৃত্যুর পরে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সম্পদ ছিলোনা। তবে তাকে সালতানাতের শাসকরা সমীহ করতেন। তার মৃত্যুর পরে ইমাম শাওকানিকে তারা কাজিউল কুযাত হওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু ভাবার জন্য সাতদিন সময় নেন। তারপর ইয়ামানের উলামায়ে কেরামের কাছে পরামর্শ নেন তার কি করা উচিৎ? তারা তাকে আহলে সুন্নাহর খেদমতের জন্য এই পদ গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন। অতঃপর তিনি এই পদ গ্রহণ করেন এবং আজীবন আহলে সুন্নাহর খেদমত করেন। এসময় তার বয়স ছিলো ৩৬ বছর। তিনি কাযি উল কুযাত হওয়ার পরে আজীবন এপদে বহাল ছিলেন। এসময়ে তিনি তিনজন শাসকের শাসন পান। আল মানসুর, তার পুত্র মুতাওয়াক্কিল, তার পুত্র আল মাহদি। এসময় তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী জীবন যাপন করেন। কোন শাসকের অনুপস্থিতিতে বায়াত গ্রহণ, বিভিন্ন শাসককে পত্র লেখা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজও তিনি করতেন। তবে তিনি কখনো ইয়ামানের বাহিরে যাননি। পড়াশোনার জন্য তার বাবা তাকে অন্য কোথায় যেতে দেননি। তার মতে ইয়ামানে যথেষ্ট ইলম এবং উলামা আছেন। এমনকি হজের জন্যেও তিনি ইয়ামানের বাইরে যাননি। ইমাম শাওকানি শাসকদের সর্বদা সৎ পরামর্শ দিতেন। আলে সাউদ ইয়ামেন আক্রমণ করলে তিনি তাদের পরামর্শ দেন তারা যেন হারাম ট্যাক্সগুলো তুলে নেয়। তাহলেই আল্লাহর সহায়তা পাওয়া সম্ভব।

 

তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিমতঃ

 

তিনি সুফিদের বিভিন্ন বিদয়াতের বিরোধীতা করতেন। তিনি কবরের উপর গম্বুয নির্মানের তীব্র বিরোধী ছিলেন। তবে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সম্মানের তাওয়াসসুল বৈধ মনে করতেন। কবর জিয়ারত এবং সেখানে দাঁড়িয়ে দুয়া বৈধ মনে করতেন। তবে কবরবাসির কাছে দুয়া হারাম মনে করতেন।

 

তাছাড়া তিনি তাকলিদের বিরোধীতা করতেন। তিনি মনে করতেন মুজতাহিদের জন্য তাকলিদ হারাম। এমনকি শিরক কুফরও মনে করতেন। তিনি বলতেন সুন্নাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন বই পাওয়া এখন সহজ হয়ে গিয়েছে। ফলে আগের চেয়ে ইজতিহাদ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। তাকলিদের সঙ্গায়নের ব্যাপারে তাঁর মত হচ্ছে, দলিলের ভিত্তিতে কারও কাছে থেকে কোন কিছু জেনে নেওয়া এবং অনুসরণ তাকলিদ নয়।

 

তবে এখানে তার পরিবেশকে বিবেচনায় রাখতে হবে। ইয়ামেন হাজার বছর ধরে একটি যায়েদি রাষ্ট্র ছিলো। এজন্য তাকে স্থানীয় যায়েদিদের দ্বারা অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। তারই এক যায়েদি উস্তাদ তার বিরুদ্ধে উস্কানি দিতে থাকেন। ফলে তার বাড়িতে উশৃংখল জনতা পাথর ছুড়তে শুরু করে। সেসময় তার বাসায় নারী এবং শিশুরাও ছিলো। কিন্তু ইমাম শাওকানি তাকওয়া এবং বিচক্ষণতার উপর তৎকালীন শাসকের গভীর আস্থা ছিলো। তিনি ইমাম শাওকানিকে রক্ষা করেন এবং বিশৃঙ্খলাকারীদের শাস্তি দেন। এমন অবস্থায় একটি যায়েদি রাষ্ট্রে অন্য মাযহাবের অনুগত হওয়া বিপদজনক হতে পারতো। ফলে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাকে নিজেকে মুজতাহিদে মুতলাক দাবি করতে অনুপ্রানিত করে থাকতে পারে।

 

সুনিশ্চিতভাবে আরবের নজদি সালাফি আন্দোলন এবং উপমহাদেশের আহলে হাদীস আন্দোলনের জন্মের ইতিহাস আলাদা। নজদি আন্দোলন শুরু করেন শাইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ) অন্যদিকে উপমহাদেশে আহলে হাদিস আন্দোলনের কর্নধার হচ্ছেন সৈয়দ নজির হুসাইন(রহ), নবাব সিদ্দিক হাসান খান ভূপালী (রহ) এবং মৌলভি মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভি(রহ)। কিন্তু তাদের চিন্তার উৎস আমার গবেষনায় ইমাম শাওকানি (রহ)। যদিও অনেকে এই দুই দাওয়াতকে মিশিয়ে ফেলতে চান তথাপি চিন্তার মিল সত্ত্বেও উপমহাদেশে আহলে হাদিস আন্দোলনের সূচনাকারিরা বারবার নজদি দাওয়াতের সাথে নিজেদের সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করেছে। তবে শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব মারা গেলে ইমাম শাওকানি (রহ) দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। সিলসিলাগতভাবে আহলে হাদীস আন্দোলনের সূচনাকারীদের সাথে বরং শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ উল্লাহ খান্দান এবং জামাতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর দাওয়াত এবং তাজদিদের নিসবত অধিক গভীর।

 

উপমহাদেশে আহলে হাদীস আন্দোলনের পথিকৃৎ নবাব সিদ্দিক হাসান খান (রহ) নিজের বিপুল পরিমান সহায় সম্পদ ব্যয় করেন ইমাম আশ শাওক্বানির কিতাবাদি আমদানি এবং ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের জন্য। ফলে ইমাম আশ শাওকানির চিন্তা আহলে হাদিস আন্দোলনের পথিকৃৎদের ভেতর গভিরভাবে রেখাপাত করে। তবে সিদ্দিক হাসান খান (রহ) এর পূর্বেই ইমাম আশ শাওকানির চিন্তার পৌছেছিল। জামাতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর ভেতরেও কেউ কেউ তাঁর চিন্তায় প্রভাবিত হয়েছিলেন। এমনকি সাইয়্যেদ ইসমাইল শহীদের উপর তাঁর প্রভাব ছিল বলে অনেকে মনে করেন।

 

তিনি আকিদায় কালাম শাস্ত্রের প্রয়োগে আস্থাবান ছিলেননা। তিনি সালাফ অর্থাৎ রাসুল, সাহাবা এবং তাবেঈদের অনুসরণে জোড় দেন। তবে কখনো কখনো তাবিল করতেন। তিনি "কোনো কিছুই তার মতো না" আয়াতটিকে এসংক্রান্ত ব্যাখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ উসুল হিসাবে নেন।

 

তিনি মনে করতেন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তালাক দিলে তালাক হয়না। কারণ তাকে নেশার জন্য বেত্রাঘাতের শাস্তিতো দেওয়াই হবে। তবে এক অপরাধে দুইবার শাস্তি দেওয়া যায়না। তাই তাকে বেত্রাঘাতের পরে স্ত্রীর সাথে বিচ্ছিন্নতার শাস্তি দেওয়া যাবেনা।

 

"জাজিরাতুল আরব থেকে ইয়াহুদী নাসারাদের বের করে দাও"। হাদিসটির ব্যাখ্যায় তিনি জাজিরাতুল আরব বলতে কেবল হেজাজ নয় বরং পুরো আরব উপদ্বীপই মনে করতেন। তিনি ইয়ামানি হিন্দু এবং ইয়াহুদীদের বের করে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। তবে তা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি মনে করতেন, তাদের খুব সম্মানজনক পেশায় নিয়োগ না দেওয়া উচিৎ।

 

কাফিরদের শিশু সন্তান যার বাবা মা মারা গিয়েছে তাকে কিভাবে বড় করা হবে তা নিয়ে তিনি একটা বই লিখেন। তার মতে, তাকে মুসলমান হিসাবে বড় করতে হবে।

 

তিনি প্রায় ২৭৮ টি পুস্তক রচনা করেন।

 

তাঁর কিছু বিখ্যাত রচনাঃ

 

১) নাইল আল আওতার (ফিকহ বিষয়ক হাদীসের সংগ্রহ)। এটা মূলত আল মুনতাকা আল আকবার নামক এক পুস্তকের ব্যাখ্যা। আল মুনতাখাল আকবার রচনা করেন ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এর দাদা বিখ্যাত হাম্বলি আলিম মাজদুদ্দিন ইবনে তাইমিয়া।

 

২) ফাতহুল কাদির (তাফসির)। এখানে তাফসিরের ক্ষেত্রে তিনি ইস্রাইলি রেওয়ায়েত প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি মুতাজিলা ইমাম জামাখশারি (রহ)কেও এখানে খন্ডন করেন। বইটি মূলত ইমাম কুরতুবি সারাংশ। এতে তিনি তাফসিরের জন্য হাদিস এনেছেন। পাশাপাশি তার স্বাধীন ইজতিহাদও প্রয়োগ করেছেন।

 

৩) তুহফাতুল জাকেরিন (জিকির বিষয়ক কিছু হাদীসের ব্যাখ্যা)

 

৪) আল ফাওয়াইদ আল মাজমুয়া ফিল আহাদিস উল মাজমুয়া

(জাল হাদীসের সংগ্রহ)

 

৫) আল বাদরুত তালি। বইটি দুই খন্ডে রচিত। এখানে তিনি হিজরি সপ্তম শতক থেকে তার সময় পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ উলামায়ে কেরামের জীবনী সংকলন করেন। ইমাম আয যাহাবি যেখান থেকে তার সিয়ার আলা মিন নুবালায় তার পূর্ববর্তীদের আলোচনা করেছেন। তিনি তার পরের উলামাদের নিয়ে আলোচনা করেন।

 

৬) ইরশাদ উল ফুহুল (উসুলুল ফিকহের উপর একটা বই)

 

৭) আল ফাতহুল রাব্বানি। সেখানে তার ফতোয়া সংকলন করা হয়।

 

৮) আল সায়াল আল জারার ( একজন যায়েদি ইমামের লেখার খন্ডন)

 

এছাড়াও তাঁর বিপুল পরিমান রচনা ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার কয়েকশত বছর আগে ইউরোপে প্রিন্টিং প্রেস আবিস্কার হলেও তৎকালীন ইয়ামেনে প্রিন্টিং প্রেস ছিলোনা। মুসলমানদের পিছিয়ে পরার দুর্ভাগ্যজনক এক অধ্যায় সেটা। সেসময় ইয়ামেনে প্রিন্টিং প্রেস থাকলে হয়তো তার আরও অনেক পুস্তক রক্ষা পেতো এবং উম্মাহ আরও অনেক বেশি উপকৃত হতে পারতো। বলা হয়ে থাকে তার ৭০ এরও উপরে লেখা পুস্তক হারিয়ে গিয়েছে। মাত্র ২০০ বছর আগের মানু হওয়া সত্ত্বেও অনেকে অবশ্য তার এতো বিপুল পরিমান পুস্তক হারিয়ে যাওয়া কারণ হিসাবে দায়ী করেছেন ইয়ামেনের ভৌগোলিক এবং ঐতিহ্যগত ঐতিহাসিক অবস্থানকে। ইয়ামেন মুসলিম বিশ্বের এক পাশে হওয়ায় ইয়ামানি উলামায়ে কেরামের রচনা খুব বেশি প্রচারিত হয়নি। অন্যান্য ভুখন্ড থেকে ইলমের অন্বেষনে যাতায়াতকারী তালিবে ইলমের সংখ্যা খুবই কম। ইমাম শাওকানি তার বিভিন্ন রচনাতেও এবিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন যে, ইয়ামানের বড় বড় আলিম যারা বাগদাদ, দামেস্ক বা হিজাজে থাকলে খুবই বিখ্যাত হতে পারতেন তাদের উন্নত ইলমি কাজগুলো গুরুত্ব পায়নি। তবে আমার মনে হয়, এতে ইয়ামানি আলিমদেরও দায় আছে। তারা তাদের কাজ সংরক্ষণ এবং অন্যান্য ভুখন্ডে প্রচারে যথেষ্ট উদ্যোগ নেননি। আমাদের দেশেও এই অবস্থা। মুসলিম বিশ্বের মানচিত্রে বেশ নিচের দিকে আছি। ইয়ামানিদের ভাষাতো আরবি। আমাদের বাংলা। তাই আমাদের উলামাদের কাজগুলো তেমন প্রচার হয়নি। আমাদের অলসতার কারণে অনুবাদ করাও হয়নি অনেক কাজ।

 

ইমাম শাওকানি (রহ) এতো বিপুল পরিমান রচনার পরও দুঃখ করতেন যে এই বিচার সংক্রান্ত কাজ তার জ্ঞান চর্চার জন্য প্রচুর সময় এবং সুযোগ নষ্ট করেছে। তবে তিনি তার বিচারক পদটিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভাবতেন কারণ এর মাধ্যমে তিনি হুক্কামদের সুপরামর্শ দিতে পারতেন এবং আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকারে অবদান রাখতে পারতেন।

 

ইমাম শাওকানি রহ শুধু বড় আলিমই ছিলেননা। বড় যাহিদও ছিলেন। অর্থ সম্পদ নিয়ে তার আগ্রহ ছিলো অনেক কম। তিনি বলতেন, বলতেন আমি কোন বিনিময় ছাড়া ইলম শিখেছি। কাউকে ইলম শেখানোর বিনিময়ে আমি কিছু নেবোনা।

 

উম্মাহর জন্য ইমাম শাওকানির অনেক দরদ ছিলো। ইয়ামেন তখনও স্বাধীন ছিলো কিন্তু মিশরে তার জীবদ্দশায় ফ্রান্স অভিযান চালায়। ইমাম শাওকানির তাতে অত্যন্ত কষ্ট পান। তার মতে তা ছিলো তাতারিদের পরে উম্মাহর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।

 

তিনি সানায় ১৮৩৯ সালে মারা যান। তখন তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। তাকে সানায় দাফন করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খলিফাদের শাসনকালের জন্য মেয়াদ নির্ধারণ- ২

 

ইসলামে অযথা শাসকদের উৎখাত করা বা অপসারণ করা হয়না। যেসকল কারণে শাসক পরিবর্তন করা বাধ্যতামূলক হয় মোটামুটি তা হচ্ছে যেকারণে কেউ সালাতের ইমামতির অনুপযুক্ত হয়। যেমনঃ

 

১) কাফির হলে

২) পাগল হলে

৩) বার্ধক্য বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অপারগ হলে

৪) খলিফা নিজেই অনিচ্ছুক হলে

৫) মারা গেলে প্রভৃতি।

 

ইসলামে পাঁচ বছর পর পর শাসক পরিবর্তনের রীতি নাই। কারণ একটা শাসন ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকতে হলে শাসক স্থায়ী হতে হয়। আধুনিক যুগে যেসকল গণতন্ত্রে শাসক একটা নির্ধারিত মেয়াদ পরপর পরিবর্তন হয় সেখানে হয় শাসকরা বিভিন্ন অসৎ উপায়ে নিজেদের পুনঃনির্বাচিত করার ব্যবস্থা করে নয়তো রাষ্ট্রের এমন কর্তৃপক্ষ বিদ্যমান থাকে যারা স্থায়ী ক্ষমতা উপভোগ করে যেমনঃ ডিপস্টেটের বিভিন্ন পক্ষ যেমন সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্র। তবে আরও ডিপে থাকে বৃহৎ আন্তর্জাতিক পুঁজিপতি গোষ্ঠী। যারা রাষ্টের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে পাকিস্তানের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলেন আর আমেরিকার মতো পরাশক্তি বলেন শেষ পর্যন্ত শাসন নীতিমালা ও প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়না। বৃহৎ কোন সংস্থা বা কর্পোরেশন এর স্বার্থই পুরোন হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার পরিবার অন্তত দেড়শত বছর অত্যন্ত প্রভাবশালী যা বাহিরে মানুষ খুব একটা জানেও না। অর্থাৎ কোনো না কোনো কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রে স্ট্যাটাস ক্যু মেইনটেইন করতে হয়। নয়তো রাষ্ট্রে দেখা দেয় নৈরাজ্য। যদি শাসক স্থিতিশীল হয় তবে অন্তত জবাবদিহির জায়গা পরিচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু বর্তমানে যারা পর্দার আড়ালে দেশ চালায় তাদের কোন দায় নাই। তাদের তেমন জবাবদিহিও থাকেনা। কিন্তু শাসক স্থায়ী হলে তারা সময়ের সাথে অভিজ্ঞ হয়ে উঠতো এবং এসকল কর্তৃপক্ষ জবাবদিহি করতে বাধ্য হতো।

 

শাসক জালিম হলে কি হবে? যখন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ইসলামের দাউলা এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকবে তখন শাসকরা জালিম হতে ভয় পাবে। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতার জন্য তারা বিচ্যুতির স্বীকার হলেও প্রচুর ভালো কাজ করে তা পুষিয়ে দিতে চেষ্টা করবে। শাসন ক্ষমতা অত্যন্ত জটিল বিষয়। এখানে প্রায়ই জুলুম হয়ে যায়। তাছাড়া দৃষ্টিভঙ্গীগত মত বিরোধতো সাধারণ ব্যাপার। ফলে সামান্য অনিয়ম হলেই বিদ্রোহ করতে হবে এমন না। তবে জণগণ স্বাধীনভাবে শাসকের অনিয়মের জন্য শাসককে সতর্ক করে দিবে। কিন্তু জুলুম ব্যাপক বিস্তৃত হলে শাসককে অপসারণ করবে আহলুল হাল ওয়াল আকদ৷ আহলুল হাল ওয়াল আকদ হচ্ছে ক্ষমতাবান ব্যাক্তিরা। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও শাসক পরিবর্তন করে ডিপ স্টেটের এস্টাবলিশমেন্ট। জনগন ভোট ইত্যাদি ফালতু বকোয়াস। কিন্তু তারা তা করে নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে। কিন্তু ইসলামি সমাজে আহলুল হাল ওয়াল আকদ হবে আল্লাহ ভীরু লোকেরা। ফলে তারা নিজের স্বার্থে শাসকের বিরোধিতা না করে আল্লাহর দীন এবং মুসলমানদের স্বার্থে শাসক অপসারণ করবে।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এমন কোন ২০ বছর বয়সী ছাত্র আছে কি যে স্বপ্ন দেখেনি যে পড়তে পড়তে সহবাস করে আবার পড়তে বসবে।

 

হায় খুব কম ছাত্র এমন সুযোগ পায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জালিম বাদশাহ যদি সালাত আদায় করে তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হাদিসে নিষেধ আছে। এখন এই হাদিসের ব্যাখ্যা কি? যার যার বুঝ তার তার তরমুজ। কিন্তু জালিম বাদশাহকে তার জুলুমে সহায়তা করা যাবে এমন কোন বক্তব্য কুরআন, হাদিস, সালাফদের আমল এমনকি মুতায়াখরিনদের কওল কোথাও নাই। একথা ঠিক কিছু সালাফ যেমন জালিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন তেমন কিছু সালাফ বিরত থেকেছেন। কিন্তু এমন কোন নযির আছে কি যেখানে কোন ন্যায়পরায়ণ সালাফ কোন জালিম বাদশাহ বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারি আহলে সুন্নাহর কারও বিরুদ্ধে সহায়তা করেছে?

 

তাহলে আলে সাউদের কুকুর মাদখালিরা মিশরে সিসির গনহত্যা বা লিবিয়ায় হাফতারের নৃশংস হত্যাকান্ড কিসের ভিত্তিতে সমর্থন করে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার ৯ মাস আগের একটা লেখাঃ

 

ইসলাম আজ ভেতরে বাহিরে আক্রান্ত, এটা পুরোনো খবর। আজকাল বহু আলোচিত একটি প্রসঙ্গ মডারেট ইসলামের আক্রমন। আমি মনে করি এটি নিজে রাজনৈতিক এবং এর প্রচার কোশল সামরিক হওয়া সত্বেও একে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে চ্যালেঞ্জ করার সামর্থ্য আমাদের অত্যন্ত সীমিত। এছাড়া খুব কম মানুষ এমন ইমানি জোড় রাখেন যারা তাদের এমন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রয়োজনীয় কুরবানি করতে প্রস্তুত । তবে সাংস্কৃতিক ও একাডেমিকভাবে চ্যালেঞ্জ করাটা তুলনামূলক অনেক সহজ। এজন্য কিছু প্রস্তাবনা বিবেচনা করা যেতে পারে।

 

প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছেঃ

 

১) প্রিকলোনিয়াল যুগের আলিমদের লেখা বেশি করে পড়তে হবে। তাফসির, হাদীস, সিরাহ এবং ইসলামী সাহিত্য সর্বক্ষেত্রে প্রিকলোনিয়াল কাজগুলোর অনুবাদ, প্রচার, প্রসার করার ব্যাবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে এগুলো তাখরিজসহ বের করা যেতে পারে।

 

২) একদল আলিম ও ইসলামি ইন্টেলেকচুয়াল গড়ে তুলতে হবে যারা পাশ্চাত্যের দর্শন, রাজনীতি ও চিন্তাকে যৌক্তিকভাবে প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন। তারা ইসলামকে পূর্নাঙ্গ বলে তুলে ধরবেন এবং ইসলাম ও পাশ্চাত্য দর্শনের সঙ্গম ও মিশ্রনের বিরোধীতা করবেন। যেমনঃ ইসলামি সমাজতন্ত্র, ইসলামি নারিবাদ প্রভৃতি। তারা ইসলামের এমন ব্যাখ্যা বর্জন করবেন যা প্রিকলোনিয়াল যুগে খুবই বিরল। যেমনঃ পুরুষ হুরের অস্তিত্ব, দাড়ি কাটার বৈধতা, নারি নেতৃত্ব, গে রাইটস প্রভৃতি। একই সাথে আলিম ও সচেতন মুসলমানদেরকে পাশ্চাত্যের চিন্তক ও মডারেট মুসলিমদের ধনাত্মক অবদানকে আত্মস্থ করতে হবে। যেন সাধারন মুসলমান তাদের ইলমের উপকারি অংশ আহরন করতে তাদের কাছে যেতে বাধ্য না হয়।

 

৩) পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ইসলামি শিক্ষার প্রসারের চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে মডারেট ইসলামের ব্যাপারে সচেতন আলিমদের বক্তব্য ও যুক্তিগুলো মুসলিম সমাজে প্রচারের ব্যাবস্থা করা। মডারেট আলিমদের আলোচনা শোনার ব্যাপারে সাধারন মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করা। তবে এক্ষেত্রে আদবের সাথে কাজটি করতে হবে এবং তার যুক্তি তাঁকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে আপনার যুক্তি সঠিকভাবে বোঝাতে ব্যার্থ হলে উল্টো আপনি গোঁড়া কাঠমোল্লা হিসাবে বিবেচিত হবেন।

 

৪) আল ওয়ালা ওয়াল বাড়াকে ছোটবেলা থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্তত সামাজিক পরিসরে গেঁথে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা। এর আওতায় বৈধ ক্ষেত্রেও অপ্রয়োজনে অমুসলিমদের সঙ্গ বর্জনে উৎসাহিত করতে হবে। ক্রয়, বিক্রয় ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সুযোগ থাকলে মুসলমানদের অগ্রাধীকার দেওয়া।

 

৫) হিযাবের ব্যাপারে কঠিন অবস্থান নেওয়া। নিকাবকে বাধ্যতামূলক মনে করা এবং প্রচার করা। যদি একে ইখতেলাফি বিষয় হিসাবে আমরা একাডেমিকভাবে মেনেও নেই তথাপি ইখতেলাফি বিষয়ে কোন একটি মত প্রচারে দোষ আছে বলে মনে করিনা বিশেষত এটা যখন ফিতনা ফ্যাসাদের যুগ এবং নিকাব তাকওয়ার অধীক নিকটবর্তি।

 

৬) যত দ্রুত সম্ভব বিবাহের ব্যাবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবক ও তরুনদের উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে সামাজিক আচারগুলোকে বাদ দিতে উৎসাহিত করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে ওলিমা বাধ্যতামূলক কিছুনা। এর জন্য বিয়ে পেছানোর কিছুনাই। যারা প্রেম করে তাদের বিয়ের মাসলা বোঝাতে হবে এবং বিয়েতে উৎসাহিত করতে হবে। বোঝাতে হবে বিয়ে কত সহজ। শুধু ইজাব আর কবুল। মেয়েকে বোঝাতে হবে এত যখন ভালবাস মোহর কমিয়ে হলেও বিয়ে কর। দরকারে আপাতত আলাদা থাক তবু বিয়ে করে প্রেম কর। যারা বিয়ে করতে চায় সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। সম্ভব হলে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করুন। এমনকি বিবাহে উৎসাহিত ব্যাক্তি প্রেমজনিত কারনে বিবাহে উৎসাহিত হলেও।

 

৭) বিলাসিতা পরিহার করা ও কষ্ট সহিষ্ণুতার অনুশীলন করা।

 

৮) টিভি ও মূলধারার পত্র পত্রিকা বর্জন করা। খবর বা এধরনের কোন কিছুর জন্য তুলনামূলক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাল। কারন এখানে তথ্যের প্রবাহ একমুখী না। ফলে ডমিন্যান্ট ন্যারেটিভকে কিছুটাও চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ এখানে আছে।

 

৯) পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করা। গিফট কালচার বা মিষ্টি কালচারকে নিরুৎসাহিত করা। কারন অনেক সময় যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় এসকল খাতে খরচের ভয়ে। বিভিন্ন আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াকে অন্য পর্যটনের উপর প্রাধান্য দিন। নিজের পরিবারের জন্য সময় দিন এবং পরিবারের সদস্যদেরকে পরস্পরের জন্য ত্যাগ করতে শেখান। আমাদের এখানে যতদিন পরিবার প্রথা শক্তিশালীভাবে আছে লিবারেলইজম কখনো এখানে শক্ত ঘাটি গাড়তে পারবেনা। যেটুকু পারছে সেটুকু পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হচ্ছে বা যেখানে দুর্বল হচ্ছে সেখানে লিবারেলিজম বাসা বাধছে।

 

১০) মুসলিম দেশগুলোতে সরকারি সিলেবাসে (বিশেষত ইসলাম বিষয়ক রচনাবলিতে) যেসব অরিয়েন্টালিস্ট প্রভাবিত টেক্সট আছে তার যুক্তিপূর্ন এবং সংক্ষিপ্ত খন্ডন অনলাইন অফলাইনে বছরের শুরুতে (একাডেমিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসেই) ব্যাপক প্রচার করতে হবে যেন অন্তত সংশ্লিষ্ট ছাত্ররা তাদের টেক্সটের ভুল বুঝতে পারে। একাজের জন্য জন্য আলিম ও ইন্টেলেকচুয়ালদের একটা বেসরকারি বোর্ড থাকতে পারে।

 

১১) দাওয়াতের ক্ষেত্রে শিশু ও কিশোরদের বিশেষ অগ্রাধীকার দিন। পরিবার ও আত্মীয়দের অগ্রাধীকার দিন। এটি ফল অধীক উপকারি ও দীর্ঘমেয়াদি এবং সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি।

 

১২) সাধারনভাবে সমকালীন রাজনৈতিক খুচড়া ক্যাচাল ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন। তবে সেসকল দলের নেতা কর্মিদের না। তাদেরকে দাওয়াত দিন। তাদের সাথে সম্পর্ক রাখুন ধর্মীয়, পারিবারিক, সামাজিক কারনে। এমনকি প্রয়োজনে বাণিজ্যিক বা অর্থনৈতিক কারনে যদিও এসব ক্ষেত্রে এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল হয়। কিন্তু কোনভাবেই রাজনোইতিক সম্পর্কে যাবেননা।

 

১৩) মাযহাব মানার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রতিরোধ করতে হবে। অর্থাৎ এক এক সময় একেক মাযহাব মানতে দেওয়া যাবেনা। এটা মডারেটদের খুব প্রিয় মানহায। বিয়ের সময় হানাফি তালাকের সময় সালাফি। আমি সালাফি বা আহলে হাদিসকেও একটা বৈধ মাযহাব হিসাবে স্বীকার করি যেমন মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানভি বা মাওলানা তারেক মাসুদ মনে করেন। কিন্তু ইচ্ছা মত কোথাও থেকে হস্ত্রমৈথুন জায়েজ করবেন কোথাও থেকে বর্গা দেওয়া জায়েজ করবেন এটা মানা যাবেনা। আপনার আমল হতে হবে শৃঙ্খলার ভেতর নফসের পছন্দমত না। তা না হলে নতুন নতুন মুজতাহিদরা যা ইচ্ছা তা বলবে আর কোন আলিমের সাজ মত তুলে ধরবে। অথবা কোন দলিলের অপপ্রয়োগ অথবা ভুল প্রয়োগ করে নিজের নফসের চাহিদা অনুযায়ী নিজের মাযহাব মানহায গড়ে নিবে। আর দলিলতো শিয়া, কাদিয়ানি, বাহাই ইয়াহুদি খ্রিস্টান সবারই নিজের মত করে কিছুনা কিছু আছে।

 

১৪) একাজগুলো অবশ্যই এমনভাবে করতে হবে যেন কাজগুলো সমাজে বসবাস করেই আমরা কাজগুলো করতে পারি। কোন রকম বিচ্ছিন্নতা বা চরমপন্থার ট্যাগ যেন কেউ না দিতে পারে। এক্ষেত্রে আলিমদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তাদেরকে আপনি যতই অপদার্থ মনে করেননা কেন একটা কথা মনে রাখতে হবে তারা সমাজের তুলনামূলক ইসলামি অংশ। তাদেরকে অগ্রাহ্য করলে সমাজের বাকি অংশতো আরো খারাপ। ফলে তাদের সাথে দূরত্ব নিশ্চিত আজহোক অথবা কাল আপনাকে জনবিচ্ছিন্ন চরমপন্থীতে পরিনত করবে। তাদের সাথে সম্পর্ক রাখুন এতে তাদের চিন্তায় ধার বাড়বে এবং আপনি চরমপন্থা থেকে মুক্ত থাকবেন ইনশাল্লাহ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মডারেট ইসলাম এর অকাট বিরোধিতা আদর্শটিকে পরাজিত করতে পারবেনা। কারণ আদর্শটির প্রয়োজনীয়তা এবং প্রাসঙ্গিকতা আছে। একটি আদর্শ এর চাষ ও বিকাশের যে বাস্তব উপযোগী পরিবেশ প্রয়োজন তা পূর্ণরূপে বিদ্যমান। ব্যাপারটি বুঝতে হলে আমাদের কিছু বিষয় বুঝতে হবে।

 

মডারেট ইসলাম কি?

 

পাশ্চাত্যের কলোনিয়াল এবং নিওকলোনিয়াল আধিপত্যের যুগে রাজনৈতিক, সামরিক, জ্ঞানগতভাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে পরাজিত মুসলমান মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বলতার কারণে দার্শনিক এবং আদর্শিকভাবে আপোষ করতে চায়। তাছাড়া ইহজাগতিক লালসার কারণে সে ইসলামের সকল বিধান মানতে রাজিনা। পাশাপাশি বংশীয় ও ঐতিহ্যগতভাবে পাওয়া ধর্মকে ছাড়তে রাজিনা। অথবা ইসলামের কোন এক সৌন্দর্য এর প্রতি মুগ্ধতাবশত ধর্মীয় ইসলাম ছেড়ে দিতে রাজিনা। ফলে ইহজাগতিক ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে ইসলাম মানার জন্য ইসলামকে প্রয়োজন মতো কেটে ছেঁটে কাস্টমাইজ করার দর্শন হচ্ছে মডারেট ইসলাম। যেহেতু মুসলমানরা তাদের জাগতিক স্বার্থ কুরবানি করতে রাজিনা, আবার তারা মুরতাদ হয়ে যাক তাও কাম্য না তাই তাদের এই দুই বিষয়ে সমন্বয় করে একটা স্পেস দেওয়ার কৃতিত্ব মডারেট ইসলামের।

 

যেমন ধরেন শ্রমজীবী মানুষ কি রোযা রাখবে? এই প্রশ্নের সমাধান করা আজকের দারুল কুফরগুলোতে সহজ না। কারদাওয়ী বললেন ফিদিয়া দাও। একটা মেয়ে চাকরি করতে চায়। কারদাওয়ী বললেন শালিনতা বজায়ে রেখে করো। কিন্তু সেখানে তাদের বিপরীত লিঙ্গের লোকদের সাথে মিশতে হয়। ফলে স্বাভাবিক মানবিক কারণেই বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি যৌন আকাঙ্খা তৈরি হতে পারে। মডারেট মুসলিমরা বলবেন, মুসলমানদের সাথে মেশার একটা স্পেস করে দিতে হবে যেন প্রেম যদি করতেই হয় তাহলে তা যেনো মুসলমানদের সাথে করা সম্ভব হয়। ইসলাম অনুযায়ী কোন নারী বা পুরুষ মুসলমান হলে কাফের কাপলের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ে ভেঙে যায়। বিষয়টি অনেকের ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে বাধা। ফলে তারপর যৌন সম্পর্ক জিনা। কিন্তু কুফর জিনার চেয়ে খারাপ। তাই তারা ফতোয়া দিবেন বিয়ে ভাংতে হবেনা। এগুলো বাস্তব প্রয়োজন। এগুলো আপনি এতো সহজে প্রত্যাখ্যান করতে পারবেননা।

 

এখন করনীয় কি?

সোজাকথা রাজনৈতিক এবং সামরিক বিজয় অর্জন করতে হবে। তাছাড়া নফসপছন্দ মডারেট ইসলাম প্রতিরোধ সম্ভব না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিজয় অর্জনের ব্যাপারটি রাতারাতি সম্ভব না। তাছাড়া সর্বত্র এই মুহূর্তে লড়াইয়ের সামর্থ মুসলমানদের নাই।

 

তাহলে বর্তমানে তত্ত্বীয়ভাবে আমাদের করনীয় কি? আমার মতে ড আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ এর নেংটি থিওরি লড়াইয়ের একটা জায়গা দিবে। একজন প্রশ্ন করেছিলো এক মুষ্ঠির নিচে দাঁড়ি রাখা আর দাঁড়ি শেভ করা কি সমান? তিনি জবাবে বলেছিলেন, ছেলেদের সতর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। এখন হাফ প্যান্ট পরলেও ফরজ ছাড়া হয় আবার নেংটি পরলেও হয়। তবে হাফ প্যান্ট নেংটির চেয়ে ভালো। দাঁড়ি না রাখার চেয়ে ট্রিমড দাঁড়ি ভালো। আমি শাইখে যুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে বলি নেংটি ল্যাংটা থাকার চেয়ে ভালো।

 

যাইহোক আমাদের অবস্থান হওয়া উচিৎ হারামের মধ্যে এই ব্যাপারটা কম খারাপ বলে দেওয়া। সাথে এটা নিশ্চিত করা যে, তবুও এটা হারাম। প্রত্যেক হারামের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। মডারেটদের সাথে আমাদের মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, তারা মাসলাহাতের দোহাই দিয়ে এসব বিষয়কে মুবাহ বানাচ্ছে। শুধু তাই না, "সহজ করো কঠিন করোনা" "মধ্যপন্থা" ইত্যাদির দোহাই দিয়ে তারা এসকল হাফ প্যান্ট বা লেংটি মার্কা হারামকে মুস্তাহাব বা ওয়াজিব পর্যায়েও মাঝে মাঝে পৌঁছে দেয়।

 

আমরা এগুলোকে প্রত্যাখ্যান করি। আমরা বলি যে, দীন সঠিকভাবে পালন করতে আপনাকে অবশ্যই কুরবানির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এজন্যই সাহাবা এবং তাবেঈগন কুরবানি করেছিলেন। আপনি লেংটি পরার চেয়ে হাফ প্যান্ট পরা ভালো কিন্তু হাফ প্যান্টও হারাম তাই তা আপনাকে জান্নাতের গ্যারান্টি দেয়না। জান্নাতে যেতে হলে আপনাকে কুরবানি শিখতে হবে। পাশাপাশি নিজের বর্তমান অবস্থার জন্য অনুতপ্ত হন এবং রবের রহমত এবং ক্ষমা ভিক্ষা করুন।

 

সত্য বলতে এই জায়গায় আমি মডারেট মুসলিমদের গবেষণা থেকেও উপকৃত হওয়ার এবং তাদেরকে আপনার মিশনে একোমোডেট করার জায়গা আছে বলে মনে করি।

 

অর্থাৎ আপনাকে স্বীকৃতি দিতে হবে হাফ প্যান্ট লেংটির চেয়ে ভালো এবং হারাম। এভাবে আপনি মডারেট ইসলাম মোকাবেলার একটা প্র‍্যাক্টিকেল গ্রাউন্ড পাবেন। সাথে সেই প্রশ্নের বাস্তব উত্তর পাবেন যে, মডারেট শাইখদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরে আপনার প্রস্তাব কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল হামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক শাইখকে আমাদের মাঝে এক বিরাট নেয়ামত হিসাবে দিয়েছেন।

 

হেযবুত তাওহীদ এর লোকজনের সাথে অনেক আগে কথা হয়েছিলো। মুসলমান মনে হয়নি। তাকফির করিনি কারণ আমি আলিম না।

 

যাইহোক এরপর আমাদের জন্য বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেলো।

 

(শাইখ বাবুনগরী কর্তৃক হেজবুত তওহিদকে কাফের ঘোষণা প্রসঙ্গে)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মূর্খতা সাধারণত জামাতিদের কাপর না চামড়া।

 

ধরেন আহমদ শফি জিহাদ এবং আল আহকামুস সুলতাইয়্যা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বিমুখ বিদায়াতি সুফি। কিন্তু এই বিদাতি ধারা কিন্তু পুরোনো। রাজনীতি বিমুখ সুফি ধারা, এমনি দরবারি উলামা এবং সুফি ধারাও অত্যন্ত প্রাচীন গোমরাহি। অন্যদিকে মডারেট ইসলাম হচ্ছে একটা কলোনিয়াল কন্সট্রাক্ট। ফলে কারদাওয়ী মডারেট বললে আহমদ শফিকেও মডারেট বলতে হবে ব্যাপারটা হাস্যকর যদিও আমরা মেনে নেই তিনি বেদাতি দরবারি সুফি।

 

ঐযে এক ভাই বলেছিলো একাডেমিয়া আর জামাতি অক্সিমরণ।

 

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা আমি উস্তাদ মাওদুদি রহ এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জামাত নেতৃত্বকে দেওবন্দি ভাবি তবে জামাতকে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মজার ব্যাপার পির মুরিদিকে সমকালীন জামাতিরা যেভাবে প্রত্যাখ্যান করে আর উস্তাদ মাওদুদি রহ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করতেন তা পুরাই আলাদা। অবশ্য আল্লামা সাইদি সাহেব পির মুরিদি প্রত্যাখ্যান করেননি। তিনি শুধু এর মাঝে থাকা শিরক বিদয়াত প্রত্যাখ্যানের দাওয়াত দিয়েছেন। যাইহোক উস্তাদ মাওদুদি রহ এর অবস্থান,

 

"মিষ্টি ভালো জিনিস হলেও যেমন ডায়বেটিস এর কারনে তা বর্জনীয় তেমন তাসাউফে শিরক বিদায়াতের আধিক্য এবং রুপক পরিভাষা থেকে ভুল বোঝার আশঙ্কা থেকে তিনি তাসাউফ এড়িয়ে চলতে ইচ্ছুক ছিলেন। তথাপি তিনি ইবনে আরাবিকেও তাকফির করতেননা"।

 

অর্থাৎ উস্তাদ রহ আসলান পির মুরিদি অস্বীকার করেননি। বরং মাসলাহাতের কারনে এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি তাসাউফ ব্যাপারটা ভালো করে বুঝতেন। অনেকে বলেছেন তিনি জামাতে তাসাউফের কিছু বিষয় ভিন্নভাবে আত্মস্থ করেছেন। যেমন বায়াত। এজন্য জামাতে কেউ যখন কোন দায়িত্বশীলের হাতে বায়াত নেন তখন তাকে তারা মাশায়েখদের মতো শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু হালের জামাতি অনেকের কাছে তাসাউফের প্রকৃত হালত পরিস্কার না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফজলুল করিম রহ মডারেট ছিলেননা। মাওলানা ফয়জুল করিম দিন দিন মডারেট হচ্ছে।

 

বিষয়টি প্রথম পরিস্কারভাবে জাতীর সামনে ভিন্ন শব্দে বলার কৃতিত্ব আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ (হাফি) এর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আমার প্লাটফর্মে যা ইচ্ছা লেখি। ইচ্ছা হলে জবাবদিহি করি। না হলে করিনা। আমার নিজের গ্রুপ একটা। আহলে বাইত। পাশ্চাত্যবাদ আমার না। শক্তি ভাইয়ের। তিনি আমাকে এডমিন বানিয়েছেন। আমি দায়িত্ব পালন করি। আমার নিজের পরিসরের বাইরে গিয়ে সাধারণত অন্যের গ্রুপে পাতলামি না করতে চেষ্টা করি। অন্তত পোস্টে। কমেন্ট থ্রেড ভিন্ন ইস্যু। কেউ আমাকে ভালোবেসে কোন গ্রুপে একটা সম্মানজনক একসেস দিলেই তা আমার হয়না এই বোধ আমার আছে। আমি আমার পরিসরে কোন সেলিব্রেটিকে সেলিব্রিটি হিসাবে ৫ পয়সা বাড়তি মূল্য দেই না। এটা এখন অনেক সেলিব্রিটি বোঝেন। ফলে আমাকে তারা সেভাবেই ট্রিট করেন। যারা তা করতে চাননা তারা আমাকে আনফ্রেন্ড করেন। এতে আমার দুঃখ লাগেনা। এই সেদিন কারদাওয়ীকে গালি দিয়েছি বলে এক সেলিব্রিটি আনফ্রেন্ড করেছেন। ব্যাক্তিগতভাবে তিনি আমার পছন্দের। তবে তার আনফ্রেন্ড করায় ভালো লেগেছে। নিজের কাছে প্রমান করতে পেরেছি আমার কাছে আমার মত গুরুত্বপূর্ণ। সেলিব্রেটিরা না।

 

প্রত্যেক গ্রুপের কিছু লিখিত অলিখিত ধারা আছে। আমি চেষ্টা করি সে ধারা মেনে চলতে। যখন কোন গ্রুপে হুসাইন আহমদ মাদানি রহ, তাকি উসমানি, মাদখালি উলামাদের সমালোচনা হতে পারে, যখন কোন গ্রুপে মুয়াবিয়া রা এর সমালোচনা চলতে পারে তখন কুত্তা কারদাওয়ী কোন চ্যাটের বাল যে তাকে দুইটা কথা বললে কাদা ছোড়াছুড়ি হবে? কেউ যখন দাবি করে কুত্তা কারদাওয়ীর সমালোচনা করার আগে দেওবন্দিদের সমালোচনা করতে হবে তখন তাকে আমার নিম্নমানের ইতর শ্রেণীর মূর্খ মনে হয়। দেওবন্দিদের বড় বড় আব্বাদের আমি কি ভাষায় নিন্দা করেছি তা সম্পর্কে আমার গত ৭ মাসের পাঠক জানে। তবে আপনাদের মতো বলদাদের কাছে নিজেকে প্রমান করার জন্য আমাদের আকাবির আসলাফদের দিকে ইঙ্গিতেও সামান্য অসম্মানজনক শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনা। কারণ আপনারা তত গুরুত্বপূর্ণ না। অনেকদিন ধরেই পড়ছিতো। আপনাদের কোন মৌলিক মানসম্মত সৃষ্ট নাই।

 

দুঃখিত আমি কালও জামাতিদের হকের সবচেয়ে নিকটবর্তী মনে করতাম না, আজও করিনা। এদেশে ইসলাম গ্রুপ হিসাবে যারা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে তাদের মাঝে জামাতিদের সবচেয়ে বেশি মডারেট প্রবণতা আছে। তবে হ্যাঁ আমি জামাতকে আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত বলেই বিশ্বাস করি।

 

শিয়া নিয়ে বলা যাবেনা, মডারেট ইসলাম নিয়ে বলা যাবেনা। তো কি নিয়ে কথা বলবো? শেখ হাসিনা নিয়ে। আমি তাকে বাংলাদেশের বর্তমান সম্ভাব্য নেতাদের মাঝে সবচেয়ে যোগ্য নেতা মনে করি। তার সাথে আমার কোন শত্রুতা নাই। জানেনইতো আমি ঐতিহ্যগতভাবে আমি শুকরিয়া মাহফিল, ইমামতি, দাওয়াত নিয়ে থাকা ইংরেজি হারাম বলে রাজনীতি হারাম বলা আনস্মার্ট ক্ষেত তাগুতের পা চাটা গ্রুপের মানুষ। চরমোনাই ভক্ত, মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের গুনমুগ্ধ ব্যাক্তি।

 

জামাতি এজেন্ডা আমার এজেন্ডা এক না। যদি জামাতি এজেন্ডার বাইরে কথা বলাই কাদা ছোড়াছুড়ি হয় তবে আমাকে কাদা ছুড়তেই হবে। মাত্রাতিরিক্ত বিনয় বা ঔদ্ধত্য কোনোটাই না দেখিয়ে বলতে পারি, আমার টাইমলাইনে আমি তা করতে সক্ষম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওয়াল্লাহি সিসির কাফির

ওয়াল্লাহি সিসি তাগুত

ওয়াল্লাহি সিসির বাহিনী তাগুতের বাহিনী

ওয়াল্লাহি সিসির সমর্থকরা হয় মুনাফিক নয় মহাউন্মাদ

 

হারামকে পেছনে রেখে ক্যামেরা আকৃতি মূর্তির পূজাকারি সিসিকে দেখে বিন সুলুলের সন্তান আলে সাউদ এর উপাসক এবং প্রাসাদ পূজারী মুশরিক রবি বিন হাদি আল মাদখালির মুরিদ এবং মুকাল্লিদরা বিভ্রান্ত হতে পারে কিন্তু তাওহীদবাদিরা এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মুসলমানরা না।

 

মুমিনরা হিকমাহশূন্য হয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কথা পরিস্কার

 

১) পরিবার বিয়ে না দিলে তারা এমন ডলা খাওয়াই উচিৎ।

২) প্রেম করে ব্রেকাপ করা গেলে বিয়ে করে তালাক দেওয়া যাবে। প্রেম করে মানুষ এখন যৌন সম্পর্ক করে। তাহলে বিয়ে করে যৌন সম্পর্ক করে তালাক দিলে কি সমস্যা? হাসান (রা) অন্তত ৫০ জন নারীকে বিয়ে করেন এবং তালাক দেন।

৩) পরিবার অথবা সমাজের ছাগলামির কারণে কচি বয়সে যৌনতার সুখ ও স্বাদ উপভোগ মিস করা ঠিক হবেনা।

৪) যৌনতা নিয়ে রক্ষণশীল না ইসলামিক হন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আসেন খেলার নিয়ম শেখাই

 

- সিসি কাফের

- কিভাবে?

-. আল্লাহর জমিনে যারা আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য আইন দিয়ে খেলে তারা কাফের

- ইস্তেহলাল ছাড়া এটা ছোট কুফর

- কিভাবে বুঝবেন সে ইস্তেহলাল করে কিনা?

- মুখে বলতে হবে।

- সে বহুবার ইসলামি আইন, রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলেছে। ইসলামি রাজনৈতিক চিন্তাকে অবাস্তব বলেছে। ইসলামি বিভিন্ন বিধানের বিরোধিতা করেছে। ইসলামি নামের সংবিধানও বাতিল করেছে... তার বিরোধিতা নিছক ব্রাদারহুডের বিরোধিতা ছিলোনা।

- নাহ তাকে স্পষ্ট শব্দে ইস্তেহলাল করতে হবে।

- আচ্ছা। তাহলে খেলা আপনার লাইনেই হবে। সিসিকে কাফির বলেছি। বড় কাফির না ছোট কাফির তা কি বলেছি? এতো অস্থির কেন?

 

যাইহোক এখানে রচনা লেখায় কেউ আমাকে মাল দিবেনা। তাই সংক্ষিপ্ত কথা মাদখালির শিরক আমি বড় শিরক বলিনি। ছোট শিরক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লেবাননে যেকোনো সমস্যা হলেই আমরা তিনটা বিষয়কে দায়ী করতাম।

 

যথাঃ ওহাবিজম, জায়ানিজম এবং ইমপেরিয়ালিজম।

 

ফলে আমাদের ক্রিটিকাল এনালাইসিস এর ক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যায়। এমন না যে এই তিন ইজম এর কোন অপরাধ নেই। তবে এই তিন ইজম ছাড়াও আরো অনেক কিছু আমাদের সমস্যার জন্য দায়ী ছিল।

 

--------এক্স আরব ন্যাশনালিস্ট লেবানিজ ইসলামিক স্কলার হানি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার এক বন্ধু আর এক বান্ধবী প্রায় ৮ বছর প্রেম করে। বন্ধু মেসে থাকতো। বান্ধবী বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অযুহাতে ছয় মাসে একবার বন্ধুর মেসে রাতেও থাকতো। শেষে তারা বিয়ে করে। মজার ব্যাপার বিয়ে ৮ মাস টিকেনি। ডিভোর্স হয়েছে। সেই বান্ধবীও পরে বেশ ভালো একটা ছেলেকে বিয়ে করেছে। তবে বন্ধু অযোগ্য ছিলোনা।

 

কি এমন সমস্যা হতো যদি তারা প্রথম সহবাসের আগে বিয়ে করে ৮ বছর চুপিচুপি সংসার করে ডিভোর্স করতো?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কনডম আমি মুবাহ মনে করি। আমার মতে এটি আযলের মতো। অনুগ্রহ করে আযলের বিরুদ্ধ মতগুলো বলার দরকার নাই। আমি জানি আছে। এমনকি হাদিসও আছে। তবে সে ব্যাপারে জবাবও আছে।

 

দ্রুত বিয়ে করুন। প্রয়োজনে অধিক দায়িত্ব এড়াতে কনডম ব্যাবহার করতে পারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মনে করে খেলাফত প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত উম্মাহ নুনু দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবে, নিশ্চিত থাকেন উম্মাহ তাদের খেলাফতে মুতে দিবে।

 

এই বক্তব্যকে যারা আক্ষরিক অর্থে বুঝবে তারা খেলাফত কেন একটা উষ্ণ খাট চালানোর যোগ্যতাও রাখেনা।

 

বক্তব্য আর বাস্তবতা আলাদা।

 

কোন রাজনৈতিক আন্দোলন রোমান্টিসিজম দ্বারা অর্জিত হয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার মনে হয় প্রত্যেক মসজিদে মৌলিক আকায়িদ, তাহারাত এবং জরুরি ফিকাহ নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। এজন্য জুমআর খুতবাকে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য বেফাক, হাইয়া এবং হেফাজত সহায়তা করতে পারে।

 

আজ একটা মারাত্মক তথ্য জানাই। এদেশে অসংখ্য মানুষ তাহারাতের একটা খুব সাধারণ এবং মৌলিক মাসয়ালা জানেননা।

 

হাদিসে আছে, কেউ যদি তার স্ত্রীর দুই রানের ফাঁকে জিহাদ করে তবে তার উপর গোসল ফরজ বীর্যপাত হোক বা না হোক।

 

ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন খতনার জায়গাটুকু প্রবেশ করলেই গোসল ফরজ হয়।

 

অথচ অনেক মানুষের ধারণা বীর্যপাত না হলে সহবাস করলেও গোসল ফরজ হয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই গরমে অনেকেই এসি লাগাচ্ছেন। বাসায় বাবা মা রেখে যখন লোকেরা এসি লাগিয়ে বৌ নিয়ে শুয়ে থাকে তখন তা দেখতে কেমন জানি লাগে?

 

অবশ্য বলার কিছু নাই। যার যার পার্সোনাল ব্যাপার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিয়ে জন্ম জন্মান্তরের বাঁধন না পরস্পরকে শারিরীকভাবে ভোগ করা ধর্মীয় ও সামাজিক চুক্তি। যদি নিজে যেকোনোভাবে সংযম রক্ষা করতে পারেন তাহলে করুন। কিন্তু সংগম যদি করতেই হয় তবে বিয়ে করুন রেজিষ্ট্রেশন সম্ভব না হলে দুজন মুসলিম পুরুষের সামনে ইজাব, কবুল করুন। মোহরানা ২০-৩০ হাজার রাখুন। মেয়ে খোলার অধিকার নিয়ে রাখুন। প্রয়োজন হলে ডিভোর্স করে বাবা মায়ের পছন্দে আবার বিয়ে করতে পারবেন।

 

বিয়ে যখন ছেলে মেয়েরা করবে তখনতো বিয়ে টিকবে আশা করেই বিয়ে করবে। কারণ সাধারণত গভির আবেগে পরেই মানুষ প্রেমিক প্রেমিকার সাথে মিলিত হয়। এমন আবেগে মনে হয় শুধু হাতে হাত রেখে অনন্তকাল কাটানো যায়। মুতা হচ্ছে বিয়ের সময় বিয়ের মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া। আর এখানে ডিভোর্সের কোন নিশ্চয়তা নাই। তাই এটা মুতা না। তবে দৈবক্রমে বাধ্য হলে বিকল্প পথ খোলা রাখাও দরকার। এর মাঝে পরিবারকে বোঝানো সম্ভব হলে বা বিকল্প পথে সংসার টেকানো গেলে ভালো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

- আস সালামু আলাইকুম। ভাই রোজা আছেন?

- ওয়া আলাইকুমুস সালাম। না ভাই আমার হায়েজ চলে।

- ধুরু ভাই কি বলেন? মজা করেন কেন?

- কি আর বলবো?রোযার দিন রোযা থাকবোনা কেন?

- না মানে আজকে তো ঈদ! অনেকেই পালন করে তাই জিজ্ঞাসা। আরব দেশেতো ঈদ।

- না ভাই আমি আমার এলাকার মুসলমানদের সাথে আছি। আমার বাড়ির পাশের মসজিদে যেদিন তারাবি সেদিন সেহরি, সেদিন রোযা। আমার বাড়ির পাশের ঈদগাহে যেদিন ঈদ সেদিন আমার ঈদ। আমার কথা পরিস্কার, এদেশে মুসলমানরা আরও ৭ দিন পরে ঈদ করলে আমি তাই করবো। মুসলমানদের মাঝে ক্যাচাল লাগানো আমার পছন্দ না।

- ক্যামনে

- কেমনে ট্যামনে নাই। মুসলমানদের মাঝে ক্যাচাল লাগানোর চেয়ে রোযার মাস ৭ দিন পরে শুরু করা ভালো।

- সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে?

- হুম। এদেশে সত্য থেকে দরকার মতো সবাই বিচ্যুত হয়। খালি মাযহাব, মাসলাক আর গ্রুপ বাঁচাতে সবাই সত্য পূজারী হয়ে উঠে।

- কিভাবে?

- সে অনেক আলাপ। এখন মুড নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নব্য মুতাজিলাগুলো প্রাচীনগুলোর চেয়ে বহুগুণ শয়তান কিন্তু নব্য খারেজিদের চেয়ে প্রাচীন খাওয়ারিজ বেশি শয়তান।

 

অথচ নব্য খারেজিদের নিয়ে অনেক আলাপ কিন্তু নব্য মুতাজিলাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাজ প্রায় নেই বললেই চলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মেয়েরা সমস্যার সমাধান চায়না। তারা চায় সহানুভূতি এবং ভালোবাসা। সেটা পেলে তারা সাংসারিক বড় বড় সমস্যায় সবর করে তৃপ্তি পায়। কিন্তু ছেলেরা যখন সেই সহানুভূতি না দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চায় তখন তারা মেয়েদের দুই দিক থেকে বঞ্চিত করে।

 

১) সহানুভূতি এবং ভালোবাসা

২) তৃপ্তি

 

এই দুই বঞ্চনাই স্বামী স্ত্রীর সংঘাতকে সংসারে চিরন্তন করেছে।

 

 

 

 

 

 

যায়েদি শিয়া - ১

 

ইমাম যায়েদ হচ্ছে ইমাম আলী বিন হুসাইন জয়নুল আবেদিন রহ এর সন্তান। তিনি ৮০ হিজরিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বড় আলিম, আবিদ, ক্বারি। প্রচুর তিলাওয়াত ও দান খয়রাত করতেন। তিনি বনু উমাইয়ার খলিফা হিশাম বিন আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। তিনি মনে করতেন জালিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা মুসলমানদের দায়িত্ব। এজন্য তিনি কুফায় গমন করেন এবং আলী রা এর শিয়াদের একত্রিত করেন। কুফার শিয়ারা তাকে সমর্থনের আশ্বাস দিলেও তিনি আবু বকর রা এবং উমার রা কে অভিশাপ দিতে অস্বীকার করলে তারা তাকে পরিত্যাগ করে। ফলে তিনি দুর্বল হয়ে যান। তথাপি আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকারের জিহাদে নেমে তিনি পিছপা হননি এবং বিদ্রোহ থেকে পিছু হটেননি। তিনি বনু উমাইয়ার বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন। তারপর বনু উমাইয়া তার লাশ অবমাননা করে। যাইহোক এই বিদ্রোহে তাকে তার ভাই মুহাম্মদ আল বাকির (রহ) সহায়তা না করলেও ইমাম আবু হানিফা (রহ) তাকে নৈতিক এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ব্যাপারটি থেকেই পরিস্কার বোঝা যায় আবু হানিফা (রহ) কে রাফেজিরা যখন নাসেবি বলে তখন মিথ্যা বলে। অন্যদিকে আহলে সুন্নাহর যেসব ইমামগন বিদ্রোহ করেননি তাদেরও বৈধ ওযর ছিলো যেমন মুহাম্মদ আল বাকিরের অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সমর্থন না করার ওযর ছিলো। ব্যাপারটি থেকে আরও একটা বিষয় জানা যায়। জায়েদিদের মতো অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব। যায়েদিদের মতে ইমাম মাসুম না তবে তাকে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে। ইমাম আল বাকিরের সমর্থকরা পালটা যুক্তি দিয়ে বলেন তাহলে ইমাম জয়নুল আবেদিনওতো ইমাম না। হাজার বছর ধরে এটাই তাদের প্রধান দাওয়াত। ইমাম যায়েদের এটাই প্রধান আদর্শ ছিলো। ফলে মাদখালিরা যখন দাবি করে যে, মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কেবল খারেজিদেরই বৈশিষ্ট্য তখন তারা ইসলামের আকিদা, ফিকাহ ও রাজনীতির ইতিহাসও ভালো করে জানেনা। আহলে সুন্নাহর অনেক ইমামের মত তুলে রেখেও বলা যায় যায়েদিরাও অত্যাচারী মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বাধ্যতামূলক মনে করেন। যাইহোক ইমাম যায়েদের পরে তার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ইমাম ইয়াহিয়া (রহ)। তিনিও অকৃতকার্য হন এবং শাহাদাত বরণ করেন। তার পরে তার বংশের আরও দুইজন শাহাদাত বরণ করেন। যায়েদিরা পরবর্তীতে বেশ কিছু ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। এসকল ভাগের ভেতর প্রধান তিন ভাগ হচ্ছে

 

১) সালেহিয়্যা

২) সুলায়মানিয়্যা

৩) জারুদিয়্যা

 

বর্তমানে জারুদিয়্যা ব্যাতিত অন্য শাখাগুলো মোটামুটি হারিয়েই গিয়েছে। বর্তমানে হুথি বিদ্রোহীরা জারুদিয়্যা সম্প্রদায়ের। হুথিদের বর্তমান ইমাম আব্দুল মালিক। আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বদরুদ্দীন আল হুসাইন। তিনি ইরানে অধ্যয়ন করে শিয়াদের চরমপন্থী আদর্শে উৎসাহিত হন। তাছাড়া ঐতিহাসিকভাবে ইয়ামানে যায়েদি শিয়াগন সাধারণত অত্যন্ত শান্তি শৃঙ্খলা প্রিয়।

 

ইয়ামানে যায়েদি শাসন প্রতিষ্ঠা হয় ২৮০ হিজরিতে। এখানে প্রথম যায়েদি শাসক আল হাদি ইয়াহিয়া বিন হুসাইন। তারপর প্রায় ১১০০ বছর তা টিকে থাকে। যায়েদি শাসন শেষ হয় ১৯৬২ সালে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যায়েদি শিয়া - ২

 

যায়েদিরা ইসনা আশারিয়াদের চেয়েও শিয়াদের প্রাচীন ফেরকা।

 

যায়েদিরা আলী (রা) কে সকল সাহাবার উপর প্রাধান্য দেন। তবে অন্যান্য সাহাবাদের খেলাফতকে বৈধ মনে করেন। তারা মনে করেন যোগ্যতর ব্যাক্তির উপস্থিতিতে যোগ্য ব্যাক্তির খিলাফত বৈধ। আলী (রা) এর বায়াতের মাধ্যমে খুলাফায়ে সালাসা খিলাফত বৈধতা পেয়েছে।

 

যায়েদিদের ইমাম মাসুম না। তবে তারা ফাতিমা (রা) এর বংশের ইমামতির হকদার মনে করে। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার পরে সন্তানই ইমাম হতে হবে মনে করেনা। ফাতেমি বংশের কেউ হলেই হলো।

 

যায়েদিরা আকিদার ক্ষেত্রে মুতাজিলাদের বিভিন্ন আকিদা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। যেমন তারা আখিরাতে ইমানদারদের আল্লাহর দর্শন অস্বীকার করে। তারা আল্লাহর দিকে তাকিয়ে থাকাকে তাবিল করে। তাছাড়া তারা মনে করে যেসব মুসলমান তাওবা ছাড়া কবিরা গুনাহ করে মারা যায় তারা মুসলমানও না কাফিরও না। এমন বেশ কিছু মাসয়ালায় তারা বিভ্রান্তির স্বীকার। তবে তারা মুতাজিলাদের দ্বারা প্রভাবিত হলেও পূর্ণ মুতাজিলাও না। তাছাড়া তারা আল্লাহর সিফাতের ব্যাপারে আশয়ারিদের মতো তাওয়িল করে।

 

সালাতে মালেকিদের মতো হাত বাঁধেনা। তারা ফিকহের ক্ষেত্রে মাজমু আল ফতোয়া নামে একটা ফতোয়া সংকলন অনুসরণ করে। এটি ইমাম যায়েদের ফতোয়া বলে দাবি করা হয়। তাদের ফিকহের সাথে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর ফিকহের সাজুয্য আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সত্যি বলতে যেকারণে আমাদের যুগে উলামাদের উপর আমার আস্থা উঠে গিয়েছে তার প্রধানতম একটা কারণ চাঁদ দেখার মাসয়ালা। আমাদের দেশিয় উলামারা অনেক কথা নিয়ে ভান করেন পেটে রেখেছেন। কিন্তু আসলে সাধারণ উলামারা তা মোটেই জানতোনা। চো*** পরে মাসয়ালা আবিস্কার করে তারপর বিরাট বোলচাল মারবে।

 

যখন লোকেরা গ্লোবাল চাঁদ দেখার দাবি করলো তখন উলামারা কিছু ভুংভাং মারলো যে,

 

১) চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা বিষয়ক আলোচনা টেনে আনলো।

২) গ্লোবাল চাঁদ অনুসরণ কেন অসম্ভব তা ব্যাখ্যা করলো।

 

তারপর আমরা যখন বললাম গ্লোবাল করতে চাইনা কিন্তু চাঁদ দেখা যেনো উদয় স্থলের ভিত্তিতে অনুসরণ করা হয় তখন তারা এক নতুন চ্যাঁটের আলাপ আনতে বাধ্য হলো। শাসকের সিদ্ধান্ত। সেটা অনুসরণ করতে হবে। কোন শাসক? সেক্যুলার জাতী রাষ্ট্রের সেক্যুলার শাসকের সিদ্ধান্ত। তাও তারা চাঁদ দেখবে সেই ব্রিটিশ আব্বাদের আঁকিয়ে দেওয়া হিজিবিজি সীমানা অনুযায়ী যারা এঅঞ্চলের উলামা এবং মুসলমানদের অনেকের পূর্ব প্রজন্মের মেয়েদের ধরে জোড় করে করে দিয়েছিলো। এভাবেই গোলাম জাতী পয়দা করে খেয়ে দেয়ে ছোবরা করে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। যাইহোক যেহেতু তারা আমাদের পূর্বপুরুষদের পু*** মেরে আমাদের চাঁদ আঁকিয়েছে তাই সেই চাঁদ দেখে দিনের বেলা আমাদের স্ত্রী সহবাস করার অনুমতি মিলবে।

 

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ। কাল সরকারে চাঁদ দেখা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আমি মনে করিনা সরকারের সামান্যতম ভুল ছিলো। অনেক বোকাচোদা খোঁচা মেরে বলেছে বংগবন্ধু স্যাটেলাইট কি করে? আরে ভাই স্যাটেলাইট দিয়ে চাঁদ দেখলে আরেকদিন আগে ঈদ করা যেতো। কাল কোন ব্যার্থতা থেকে থাকলে এই জনপদের উলামাদের ফিকহি অযোগ্যতার দায় ছিলো, সরকারের না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার মুজতাহিদ হওয়ার গল্প।

 

যেকারণে আমি মাওলানা আব্দুল মালিকের তাকলিদ করিনা।

 

ফিকহ অব রেডক্লিফ লাইন

 

পূর্ব - পাকিস্তান ( বর্তমান বাংলাদেশ) এবং ইন্ডিয়ার মাঝে ম্যাপের উপর হিন্দু - মুসলিম জনসংখ্যা বিবেচনা করে লাইন টেনে বর্ডার নির্ধারণ করে দেন বৃটিশ আইনজীবী স্যার রেডক্লিফ। এটা রেডক্লিফ লাইন নামে পরিচিত।যদিও তিনি স্বশরীরে কোনো দিন এ এলাকায় আসেন নি।

 

এই লাইনের দুই পাশে লাগোয়া দুইটি গ্রাম ধরা যাক। একটা ভারতে আর আরেকটা বাংলাদেশে। এখন ভারতের গ্রাম থেকে চাঁদ দেখা গেলে সেটা সারা ভারতের ঈদের জন্য রেফারেন্স হবে কিন্তু পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের গ্রামের জন্য না। একই কথা বাংলাদেশী গ্রাম থেকে চাঁদ দেখলেও....

তারমানে টেকনাফের চাঁদ তেতুলিয়ার ঈদের রেফারেন্স, কিন্তু কলকাতার চাঁদ যশোরের ঈদের রেফারেন্স না।

 

তাহলে দেখুন আধুনিক ইসলামী ফিকহে স্যার রেডক্লিফের কি বিশাল অবদান....

 

Hasan mahmud

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খুলাফায়ে রাশেদিন এবং মাহদিয়িন এর অনুসরণ এর মানে এমন না যে তারা শরিয়াত প্রনেতার মর্যাদা পাবেন। রাসুলুল্লাহ (সা) এর পরে কারও অধিকার নাই ইসলামে অতিরিক্ত কোনো কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করে। খুলাফায়ে রাশেদুনের যে কাজগুলো নতুন মনে করা হয় তা মূলত

 

১) রাসুলুল্লাহ (সা) এর এমন আমল যে সংক্রান্ত হাদিস আমাদের কাছে পৌঁছেনি।

 

২) রাসুলুল্লাহ (সা) এর শিক্ষা অনুযায়ী শরিয়াতের কোন বিধান ব্যখ্যা করা বা সম্ভাব্য একাধিক ব্যাখ্যার মাঝে কোন একটিকে তাদের সামনে বিদ্যমান দলিল অনুযায়ী তারযিহ দেওয়া।

 

৩) তাদের ব্যাক্তিগত ইজতিহাদ এবং কোন উপস্থিত মাসলাহাতের ভিত্তিতে কোন বিষয়, গ্রহণ বা বর্জন করা।

 

৪) ব্যবস্থাপনাগত বিষয়।

 

ফলে মহিলাদের সালাতের জামাতে উপস্থিত হওয়াকে যারা চিরন্তন হারাম বা মাকরুহ মনে করে তারা উসুলুদ্দিনের বাস্তবতা সম্পর্কে অজ্ঞ।

 

উল্লেখ্য মহিলাদের সালাতে উপস্থিত হওয়া নিয়ে আমার আগের অভিমত অপরিবর্তিত আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেসব মাসয়ালা আমাকে মুজতাহিদ বানিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটা মাসয়ালা হচ্ছে চাঁদ দেখার প্রকৃতি ও অর্থ। আমি বুঝতে পেরেছি আমাদের মতো মানুষ যারা শরিয়াত ও মারিফাতের হাকিকত উপলব্ধি করে মুজতাহিদের মাকামে পৌছে গিয়েছে তাদের জন্য শরিয়াত দরকার নাই। শরিয়াত হচ্ছে মূর্খ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে মানব সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার হাতিয়ার। রাষ্ট্রকে অবজ্ঞা করলে শৃঙ্খলা ভেঙে পরতে পারে। ফলে পুরোহিতের জন্য তরবারির চেয়ে বেশি দেখা মানা। আমাদের শরিয়াতের দরকার নাই কারণ আমাদের বিবেকই শরিয়াত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইলমি দুনিয়ায় যেকোনো মতকে তারজিহ দেওয়া সহজ কাজ। কঠিন হচ্ছে বিপরীতমুখি দলিলগুলোর সমন্বয়। কিন্তু আপনি যদি মেধাবী হন তবে আহলুল বিদয়াহ বা আহলে বাতিল হয়েও আপনি কাজটা করতে পারবেন।

 

কিন্তু একজন পরিপক্ব ফকিহর কাজ সাজ মতগুলোকে সফলভাবে বাছাই করে বাদ দিতে পারা, অতঃপর বিশুদ্ধ মতকে তারজিহ দেওয়া এবং বিরুদ্ধ দলিলকে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরসন করা অথবা ইজতিহাদের ভিত্তিতে এমন মধ্যম পথ খুঁজে বের করা যা কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ এবং জমহুর ফকিহর মতকে অস্বীকার না করেও নিজের জন্য স্বতন্ত্র গ্রহণযোগ্য পথ তৈরি করতে পারা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াজিদকে কেবল তারাই ভালোবাসে এবং সম্মান করে যাদের আকিদা খারাপ এবং বিদয়াতি।

 

ইবনে হাজার আসকালানি (রহ)

ইমতাআ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ধরেন আজ যদি চাঁদ না দেখা যায় তবু যদি আমার জনপদের মুসলমানরা যেকোনো কারণেই হোক কাল ঈদ পালন করে তাহলে আমিও করবো। মুসলমানদের ঐক্য বজায়ে থাক। কতো পাপইতো করি। একটা রোযা না হয়ই কমই থাকলাম।

 

উল্লেখ্য আমি যদি চাঁদপুরের সেই গ্রামের বাসিন্দা হতাম তাহলে আজ ঈদ করতাম।

 

যদি সেই গ্রামে আমার শ্বশুর বাড়ি হতো আর এই ঈদ সেই বাড়ি করতে হতো তাহলেও আমি আজই করে ফেলতাম।

 

এমনকি যদি সেই গ্রামে মাসনা করি তাও ভাগ মতো পরলে করবো।

 

এটাই আমার মাযহাব। আমি আহলে জনপদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইখওয়ান সমর্থক জামাতি এবং মানহাযিদের কারণে এদেশে মাদখালিরা ঘৃণিত অত্যাচারী শাসকদের বিশেষত আলে সাউদের তাবেদারির জন্য। কিন্তু তাদের বড় অপরাধ এটা না। তাদের আরও বড় অপরাধ সামান্য কারণে তাবদি করা।

 

সত্যিকারের হার্ডকোর মাদখালিরা দুনিয়ার কোথাও কাফেরদের জন্য কোন রিয়েল চ্যালেঞ্জ না, বরং মুসলমানদের জন্য বিরাট ন্যুইসেন্স। ব্রিটেনে হাইড পার্কেও সবচেয়ে অসাধারণ দাঈদের বিরক্ত করাও মাদখালি ছেলেগুলোর প্রধান কাজ। তারা কিন্তু মোটেই কাফেরদের বিরুদ্ধে কোন সলিড ইন্টেলেকচুয়াল চ্যালেঞ্জ নয়। এমন না যে তারা আপোষ করেনা বলে ইন্টেলেকচুয়াল চ্যালেঞ্জ করতে মুশকিল হয়। বরং তারা যোগ্যতায় কম, সেমি প্রতিবন্ধী এবং তাদের ফোকাস পয়েন্ট হচ্ছে মুসলিম দাঈদের বিরক্ত করা।

 

এরা এক জঘন্য ফেরকায় রুপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশেও তাদের মুরিদদের কথায় কথা তাবদি করার অত্যন্ত বাজে প্রবনতা আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি মডারেট ইসলামবিরোধী মানে এমন না যে আমি পাশ্চাত্য থেকে শেখার বিরুদ্ধে। বরং জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, সংস্কৃতি সভ্যতার একজন গুনমুগ্ধ পাঠক। আমি বিশ্বাস করি পাশ্চাত্য থেকে না শিখে আর কোন ইসলামি বিপ্লব হবেনা। আমি বিশ্বাস করি পাশ্চাত্যের ভূখন্ডে ইসলামের উন্নত ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিদ্যমান। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যুগে পাশ্চাত্যের থেকে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি শেখা শুধু নফল বা সুন্নাহ না বরং ফরজে কিফায়া। ব্যাপারটি রাসুলুল্লাহ (সা) এর ব্যাক্তিগত আমল দ্বারাও প্রমানিত। তিনি রোমানদের চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে নিয়েছিলেন। পারসিকদের মিলিটারি স্ট্র‍্যাটিজি থেকে শিখেছেন।

 

পাশ্চাত্য থেকে আমরা শুধু টেকনোলজি শিখবো তাই নয় বরং আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে শেখার। যেমন কমিউনিজম, সোশ্যালিজম এর খন্ডনে ক্যাপিটালিস্ট বুদ্ধিজীবীদের উন্নত কাজ আছে। আবার ক্যাপিটালিস্টদের খন্ডনে কমিউনিস্টদের। এথিজম খন্ডনে খ্রিস্টানদের। খ্রিস্টানদের খন্ডনে তাদের সংশয়বাদিদের। এই পুরো প্রক্রিয়া থেকে অনেক বিষয় শেখা সম্ভব। কারণ তাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো যে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যবহার করতে পারে তা আমাদের নাই। আবার তারা যেভাবে ম্যান পাওয়ার তৈরি করতে পারে আমরা তা পারিনা। তাই তাদের গবেষণা থেকে আমরা উপকৃত হতে পারি।

 

তাছাড়া গবেষণা পদ্ধতি শেখার জন্য তারা ভালো। তারা এবিষয়ে দারুণ উন্নতি করেছে। তাদের ইতিহাস বিচার পদ্ধতি অসাধারণ। তবে এই পদ্ধতিগুলোর শ্রেষ্ঠ মান বিবেচনায় কুরআন এবং সুন্নাহ উত্তীর্ণ। ফলে এই পদ্ধতি কাফেরদের বিরুদ্ধেতো বটেই এমনকি বিভিন্ন বাতিল ফেরকা যেমন রাফেজিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা সম্ভব।

 

কিন্তু সবকিছুর জন্য প্রয়োজন প্রচুর মুজতাহিদ যারা বাছাই করতে পারবেন যে আমরা কতটুকু আমরা নিবো এবং কতটা বর্জন করবো? আমাদের এতো বিপুল পরিমান মুজতাহিদ দরকার যেমন তাবেঈদের যুগে ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ব্যাক্তিগতভাবে মুকাল্লিদ হলেও রুচিগত দিক থেকে তাকলিদবিরোধী ইজতিহাদপন্থী মানুষ।

 

প্রশ্ন হচ্ছে কথাটি দিয়ে আমি কি বোঝাতে চাই?

 

প্রথমত এটা খুব বেসিক কথা ইজতিহাদ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক, মতি মাদানি বা মোযফফর বিন মু্হসিনের মতো অঘামঘা লোকেরা করবেনা। একাজের জন্য যারা যোগ্য তারাই করবে। তবে ইজতিহাদ মানে নফল নিয়ে ধ্বস্তাধস্তি না। এদেশে সব হানাফি যদি গুঁই সাপ খায়, বুকে হাত বাধে বা হাত বাঁধাই ছেড়ে দেয়, আমিন চিল্লাইয়া মিছিল দেয় আমার কোন আপত্তি নাই। এসব নিয়ে যেসব হুযুর বেশি গুতাগুতি করে তারা আপাদমস্তক বিরক্তিকর প্রানী মনে হয়। আমি ইজতিহাদপন্থী মানে উলামাদের এক জামাত নতুন বিষয় এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন প্রয়োজন সম্পর্কে সালাফ অর্থাৎ সাহাবা এবং বিশিষ্ট তাবেঈদের উসুল ও মানহায অনুযায়ী ফতোয়া দিতে সক্ষম হবেন। তবে তার মাথায় অবশ্যই থাকতে হবে তার ইজতিহাদ মুসলমানদেরকে কাফেরদের পরাক্রমের বিরুদ্ধে মুসলমানদের লড়াকু মানস তৈরিতে অবদান রাখবে পরাজিত আপোষকামি মানস তৈরিতে না। কারণ সাহাবা তাবেঈগন পরাজিত মানুষিকতার ছিলেননা।

 

ব্যবহারিক উদাহরণ দেই, মুসলমানরা প্রিন্টিং প্রেস, রেললাইন, বিদ্যুৎকে বহুদিন হারাম বলেছে। আর এখন অযোগ্য মুজতাহিদরা ব্যাংক, গণতন্ত্র, দেশপ্রেম সব হালাল, ফরজ করে ফেলছে। কিন্তু একজন মুজতাহিদ এমন যোগ্য হবেন যিনি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ কিভাবে শারিয়া অনুযায়ী ব্যবহার করা যায় তার পথ খুঁজবেন। বিভিন্ন মতাদর্শের কোন অংশ ক্যামোফ্লেজিং, কোন অংশ হারাম তা চিহ্নিত করবেন। তিনি পার্লামেন্ট আর শুরার পার্থক্য করবেন। তিনি জাতীয়তাবাদ এর হালাল এবং হারাম অংশের পার্থক্য চিহ্নিত করবেন যেমন ইবনে খালেদুন আসাবিয়্যাহ হালাল হারাম সীমানা চিহ্নিত করেছেন।

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুসলমানদের মাঝে মুজতাহিদ সেজেছে তারিক রামাদান, রশিদ আল ঘানুশি, কারদাওয়ীর মতো পরাজিত মানুষিকতার লোক, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, আবু বকর জাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আলী মির্জার মত ঝগড়াটে লোক আর মুফতি আবু লাইথ, জাভেদ আহমদ গামিদিরর মতো ভাঁড়েরা যাদের মুকাল্লিদ হওয়ারও যোগ্যতা নাই।

 

সত্য বলতে উস্তাদ মাওদুদি রহকে আমি এই জায়গায় অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। তিনি সত্যিকারের ইজতিহাদি মেজাজ নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে এসেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি পর্যাপ্ত ফর্মাল ট্রেনিং এর অভাবে এবং ক্রমশ তাড়াহুড়োপ্রিয় পপুলার রাজনীতির কারণে ব্যার্থ হয়েছেন। তবু আধুনিক জাহেলিয়্যাতের মোকাবেলায় তার সাহিত্য বড় অবদান রাখতে পারে। এজন্য তার রচনাবলিকে ঝেড়েমুছে, টীকাটিপ্পনী দিয়ে, মেদ কেটে ফেলে নতুন করে আমাদের উলামা এবং তোলাবাদের মধ্যে আনা যুগের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন মনে করি। এই ঝাড়ামোছার একটা মডেল আপনি পাবেন উস্তাদ সাইয়্যেদ কুতুব রহ এর রচনাতে। দুই জনের রচনা পাশাপাশি রেখে পড়লে বুঝবেন সাইয়্যেদ কুতুব রহ মূলত উস্তাদ মাওদুদি রহ এর ভুলগুলো বাদ দিয়ে তার চিন্তাকেই এগিয়ে নিতে চেষ্টা করেছেন। বলবোনা তিনি শতভাগ সফল হয়েছেন। তবে অনেকটা অবশ্যই হয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

বড় মাছের মাথা গোটা রান্না করার দরকার নাই। অযথা নষ্ট হয়। মুড়ি ঘন্ট করেন। স্বাদও ভালো। ঝাল মসলা সুষমভাবে ঢোকে। আবার মাথার কোন অংশ নষ্ট হয় না।

 

আমার বৌ খুব ভাল মুড়ি ঘন্ট করতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি যখন তাকলিদের বিরোধিতা করি তখন মূলত গত ২০০ বছরে কলোনিয়াল প্রভুদের কাছে মানুষিকভাবে পরাজিত এবং তার আগের ১৫০ বছরের বুদ্ধিবৃত্তিক জড়তায় আক্রান্ত উলামাদের পরিবর্তে ইসলামের প্রতি গভীরভাবে আত্মবিশ্বাসী (ইসলামি সুপ্রিমেসিস্ট) সাহাবা এবং তাবেঈদের ডাইনামিক ফিকহি উসুলের অনুসরণের কথা বলি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্ভবত মারকাযের এখন ভাবার সময় এসেছে যে, মারকায কি উৎপাদন করতে চায়? মাওলানা আব্দুল মালিক না মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি?

 

অবশ্য খোদ মাওলানা আব্দুল মালিককে নিজেকেও ভাবতে হবে তিনি কিভাবে ইতিহাসে পরিচিত হতে চান? মাওলানা আব্দুল মালিক না মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি?

 

ইতিহাস সাধারণত মানুষের শেষ আমল অনুযায়ী মানুষকে মূল্যায়ন করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই যে মাজহুল রাবির রেওয়ায়েতের উপর ভর করে ভুইঞা ভাই আর সানজির ভাই আজ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ঝাল মেটালেন। তা তারা মেটাতেই পারেন। আমি নিজেও অনেকবার বলেছি আলী হাসান ওসামার অনেক বক্তব্যের সাথে আমার ভিন্নমত আছে, তার এটিচিউড আমার একেবারেই পছন্দ না। তবে ঝাল মেটানোর প্রক্রিয়াটা আমার কাছে সুযোগ সন্ধানী মনে হয়েছে।

 

এবার আসি কিছু ধানাই পানাই ছাড়া সড়াসড়ি কথায় আলী হাসান ওসামা বা তার মতো অনেকে বেঁচে থাকলে বদলাবে এটার সম্ভাবনা ৯০% বলে আমি মনে করি। সেটা কি শুধু তারাই?

 

ভুইঞা ভাই, সানজির ভাইরাও কি চেঞ্জ হয়নি? বাবা মা বড় হয়ে বলে আমি ভুল করেছি প্রেম করা সময় নষ্ট করে। বাচ্চারা মানবে কেন? তাদেরও যৌবন জালা আছে। তারাও রোমান্টিকতা চায়। জৈবিক অথবা রাজনৈতিক রোমান্টিকতা। ওসব জ্ঞানি জ্ঞানি বয়ান দিয়ে যাবেনা।

 

আরেকটা সরাসরি কথা, সিয়ানের পেছনে কওমি একটা সার্কেলের অপ্রয়োজনীয়, অবিবেচক চুলকানি আছে। মূল্য বেশি রাখা কেন হারাম তারা বলবেন না। দীনী বইয়ের ব্যবসা কেন খারাপ তাও আল্লাহই জানেন। তাছাড়া ছিদ্রান্বেষী একটা প্রয়াস সর্বদা থাকে। অনেকে বলে সংঘাতটা বাণিজ্যিক। পাল্টা অপু ভাই, আরিফ আজাদ, মাসুদ শরিফ ভাইদের একটা সার্কেল আছে। অপু ভদ্র মানুষ। তার সাথে আমার দেখা হয়েছিল অনেক ক বছর আগে। তিনি আমাকে চিনবেননা। তবে আমি চিনি। মাথা থেকে পা পর্যন্ত ভদ্রলোক। কারও অন্তর আমি দেখিনি। কিন্তু তার সার্কেলের সাথে সম্পর্ক রাখে অনেকেই ততটা সংযমি না। তাদের অবস্থানের পেছনেও বিভিন্ন ব্যাখ্যার গুজব বাজারে চলে।

 

তবে ফেসবুকে বা রাজনীতিতে আমরা যেসব মতাদর্শিক দন্দ্ব দেখি তার অনেক কিছু পেছনে আদর্শ ছাড়াও বাণিজ্যিক, গোষ্ঠীগত পার্থিব স্বার্থ আছে। একারণে কারও কোন দীনী মোড়কে জজবাতি অথবা প্রজ্ঞাময় কথায় প্রভাবিত হওয়ার আগে বহু কিছু ভাবি বহুদিন হলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেকেউ ব্লক মারলে আমার ভালো লাগে। এক ধরনের মজা পাই।

 

তবে সানজির ভাইয়ের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় শেখার আছে। তাকফিরিরা কেবল আকিদার কারণে তাকফিরি না। বরং তাদের মানসের গঠনটাই চরমপন্থী। ফলে তারা তাদের আচরণে এই ভারসাম্যহীন চরমপন্থা ছাড়তে পারেননা।

 

এব্যাপারে মেহেদি হাসান মাজিদ নেওয়াজের ব্যাপারে চমৎকার বলেছিলেন। মেহেদি বলেন, মাজিদ সব সময় চরমপন্থী। আগে (যখন হিযবুত তাহরি) করতো তখন এক রকম চরমপন্থী ছিলো এখন আরেক রকম।

 

ফলে সানজির ভাই এক সময় ভয়ংকর তাকফিরি ছিলেন। এখন যতই সুশীল বয়ান দিননা কেন তার চরিত্রে চরমপন্থার পরিবর্তন হয়নি।

 

আপনার আশে পাশে কাউকে তাকফিরি হয়ে উঠতে দেখলে তার আকিদা সংশোধনের প্রয়াসের পূর্বে প্রথমে তার মানুষিক চিকিৎসা করান।

 

 

 

 

 

 

 

 

বাচ্চা কাচ্চা মানুষ করা এক অর্থহীন কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশ পালন ব্যাতিত এই কাজের কোনো মানে নাই। প্রত্যেক বাবা মা জানে সন্তান মানুষ করার কষ্ট। কিন্তু বাচ্চারা বড় হতে থাকে। বাবা মায়ের দাবি কমতে থাকে। বিয়ে শাদির মাধ্যমে দাবির পরিসমাপ্তি ঘটে। ছেলে হোক, মেয়ে হোক বিয়ের পরে কোন দাবি করা হচ্ছে চূড়ান্ত অসম্মানিত হওয়ার পথ।

 

হৈমন্তীর বাবার ভাষায়, অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার দাবি করার মতো বিরম্বনা আর নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামি ফিকাহ বলেন আর আকিদা বলেন কিম্বা ইতিহাস। এগুলোর একটা বড় দুর্বলতা আছে। এগুলো হচ্ছে বিরাট ডিপার্টমেন্ট স্টোরের মতো যেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় উদাহরণ ও উপমা খুঁজে পাবেন। কন্টেক্সচুয়াল না করে আপোষহীন জজবাতি হতে চাইলে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কুরাঈশদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, জাফর তৈয়্যার (রা) এর নাজ্জাসির সামনে সত্য উপস্থাপনকে দলিল বানিয়ে কড়াকড়ি করে তাবলিগী বাবার কল্লা কেটে আল ওয়ালা ওয়াল বারার নযির স্থাপন করা যাবে। আবার আপোষের দরকার হলে হুদায়বিয়াকে দলিল বানিয়ে বৌকে হুক্কামদের কাছে মাঝে মাঝে পাঠানোকে সুন্নাত বানিয়ে ফেলা যায়।।

 

কিছু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের প্রশ্ন জজবাতিরা কেন বয়স বাড়লে মূলধারায় যায়? মজার ব্যাপার এই প্রশ্নকারীরা নিজেরাই অনেকে এককালে জজবাতি ছিলো। যাইহোক ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হবে যদি আপনি বাস্তব উদাহরণ দেখেন। ছাত্রদল, ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিতরা অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ তারা বিয়ে হলে আর জজবাতি থাকা কঠিন হয়ে যায়। ফলে আন্দোলন সংগ্রাম তথা মারামারি পিটাপিটি সম্ভব হয়না।

 

আসলে কামনার চোখে স্ত্রীলোকের নগ্ন শরির উপভোগ একটা দারুণ ব্যাপার। তখন অদেখা হুরের জন্য যুবতি স্তন মুষ্টির মাঝে আনার লোভ ছাড়া মুশকিল হয়ে যায়। ফলে আপোষের পথ খুঁজতে হয়। দলিলও পাওয়া যায়। হুদায়বিয়ার সন্ধি। এভাবেই মানুষ নিজের অবস্থানকে সমর্থন করতে দলিল তৈরি করে। কারণ চিরন্তন পাপবোধ নিয়ে থাকা মুশকিল হয়। কিন্তু পরের ব্যাচে যখন ছোট ভাই বা সন্তানরা জজবাতি হয় ততদিনে ওয়াহান ভড়া হৃদয় আখিরাত নিয়ে কনফিউজড। সাথে বিভিন্ন মাসলাহাতের অযুহাত দেওয়াতো সম্ভব থাকেই।

 

এই যে গল্প এর মানে এটা না যে জজবাতিরা ইলমি ভুল করেনা। ইমাম আশ শাওক্বানি রহ যৌবনে অনেককে তাকফির করেছেন। পরিনত বয়সে তাকফির করেছেন। যৌবনের জজবা তাদের ইলমের উপর গালিব ছিলো। তবে একথাও সত্য বুড়ো মূলধারা যা বলে সব ইলম থেকে বলেনা। অনেক কিছুই তারাও বলেন নারীস্তন ও যোনির লোভ এবং বীর্য ফুটিয়ে বের করা বাচ্চাদের প্রতি পার্থিব মোহ এর কারণে। মুফতি রফি উসমানী সোভিয়েত বিরোধী জিহাদের সময় একটা নিছক জিহাদি ট্যুরে আফগানিস্তানে একটা অপারেশনে যাওয়ার সময় নিজের মনের ভাব তার এক লেখায় ফুটিয়ে তুলেন এভাবে,

 

যদিও সারাজীবন জিহাদের ফাজায়েলের অসংখ্য আয়াত হাদিস পড়েছি, অনেকবার শাহাদতের দুয়া করেছি কিন্তু তখন নিজের ইমানি দুর্বলতা বুঝতে পারছিলাম। সন্তানদের ভবিষ্যৎ, বাসা ভাড়া ইত্যাদি অনেক দুশ্চিন্তা মনে আসছিলো।

 

অর্থাৎ তারাও যা বলেন তা নিছক ইলম এবং হিকমাহ থেকে বলেন তা নয় তাদের ইলমের উপর কাপুরুষতা গালিব হয়।

 

 

 

 

 

 

 

এই যে ধরেন চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে কদিন ধরে কওমিদের সমালোচনা করলাম সেটা কিন্তু আমাদের জামাতিরা ভাইরা দেখেননি। এর পরে যখন কোন কারণে তাদের সমালোচনা করবো তখন তারা আমার সমালোচনাকে টিপিক্যাল কওমিদের বিদ্বেষ বলে উড়িয়ে দিবেন। বলবেন, কেন দেওবন্দিদের সমালোচনা করিনা। এভাবেই সবাই সব কিছু দলীয় লেন্সে দেখে।

 

আমারও কিছু মনে হয় না। সমালোচনা সবারই করি। তেড়ে শুধু তারাই আসে যাদের গোষ্ঠী স্বার্থে লাগে। তখন উম্মাহর ঐক্য, ইনসাফ, আখিরাতে জবাবদিহি নিয়ে কথা উঠে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই কেউ বিশ্বাস করেন বা না করেন মারকাযুদ্দাওয়া যখন তেমন কেউ চিনতো না তখনও মারকায আমার সবচেয়ে পছন্দের প্রতিষ্ঠান ছিলো। এখনো। আমি একটা কথা লিখেছিলাম। আমার ইন্ট্রোতেও তেমন কিছু আছে। আমি যা লিখি সব কিছুই আমার মত না তবে বিশ্লেষণের সময় সেটাও একটা দিক যার ব্যাখ্যা থাকা উচিৎ। তাই আমি অনেক শক্ত কথা বলি। তবে আমি যেহেতু মাজহুল, তার উপর এমন অনেক কিছু করি যা মোটেই সঠিক না তাই আশা করি আমার মতো ব্যাক্তির বক্তব্যে মারকাযের কোন ক্ষতি হবেনা। তবে কোন মুফাক্কির ব্যাক্তি চাইলে সতর্ক হতে পারবেন।

 

এসব কথার পরে আমি মারকাযের ব্যাপারে আমার আশংকার কথা বলতে চাই।

 

মারকায শুরুর দিকে কেবলই ইলমি জায়গায় নজর দিতো। ফলে তার বিচ্যুতি ছিলো খুব কম। কিন্তু ক্রমশ আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার, দাওয়াত প্রভৃতির নামে রাষ্ট্র ও জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রয়াস তাকে কালাল্লাহ, কালা রাসুলের পবিত্র বাগান থেকে জাহেলি সমাজের দুর্গন্ধযুক্ত কর্দমায় পা ঢুকাচ্ছে। যেখানে কাজ করলে গায়ে কাদামাটি লাগবেই। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান দরকার ছিলো যারা তাদের নযরকে ইলমের দিকে রাখবে যেন ফিরকা, মাসলাক প্রভৃতির উপরে উঠে প্রতিষ্ঠানটির ইলমি যোগ্যতায় আস্থা রাখতে পারে।

 

আমি ব্যাক্তিগতভাবে তাবলীগ জামাতের সিয়াসত, জিহাদ অথবা আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকারে যুক্ত হওয়ার শক্ত বিরোধী। একইভাবে মারকাযুদ্দাওয়া ইলমি ময়দানের বাইরে যাওয়ার বিরুদ্ধে। কারণ ইতিহাস সম্পর্কে আমার পড়াশোনা এবং সমসাময়িক বাস্তবতা সম্পর্কে আমার উপলব্ধি অনুযায়ী তা এধরনের তাহরিক বা প্রতিষ্ঠানের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

 

তাকাব্বুরি একটা খারাপ জিনিস। শুধু আখিরাতের জন্য না দুনিয়ার জন্যেও খারাপ। তাকাব্বুরি জামাতে ইসলামির ধ্বংসের একমাত্র কারণ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে চরমোনাই এবং মারকাযের ভেতর জিনিসটা একটু একটু করে ঢুকছে বলেই আমার পর্যবেক্ষণ। সতর্ক হওয়া উচিৎ।

 

বলতে পারেন, আপনি কে? এতো বুঝেন তাহলে বড় বড় বক্তৃতা দিচ্ছেন কেন। আপনার মাঝেই তাকাব্বুরি ভড়া। ভাই আমি কিছুই না সেটা আমি জানি। জানি বলেই যা ইচ্ছা বলি।জানি এতে ক্ষতি হবে না। এটা অহংকার না। আর যদি হয়ও তবে তেলাপোকায় একটা পাখি আর আমিও একটা মানুষ। এমন ছোট খাট মানুষকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নাই। দিলে ততটুকু দেন যতটুকু গুরুত্ব একজন মুচিকে দিয়ে কুকুর বালেগ হওয়ার মাসয়ালা শেখা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানার জন্য প্রশ্ন?

 

আব্দুল আযিয বিন সাউদের পূর্বে হাম্বলী নয় এবং ইবনে তাইমিয়া রহ এর ছাত্র নয় এমন কোন বড় আলিম আছেন কি যিনি আকিদায় আশয়ারি বা মাতুরিদি নয় বরং আসারি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াজিদকে আমি কখনো তাকফির করিনি, লানত করিনি। তার নিন্দাবানী সকাল সন্ধ্যা তিলাওয়াত করতে হবে এমনটাও মনে করিনা। তবে কেউ ঘুড়িয়ে ফিরিয়েও তার প্রশংসা করলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

 

নিঃসন্দেহে ইসলামের ইতিহাসে অসংখ্য ফাসাদের জন্মদাতা সে। তার বিরুদ্ধে ইবনে আলী বা ইবনে যুবায়ের এর বিদ্রোহ অবশ্যই কেবল বৈধ না বরং আযিমাত। তার ব্যাপারে যেসব সাহাবা চুপ ছিলেন তা কোন ওযর বা মাসলাহাতের কারনে। যেমন আলী বিন হুসাইন জয়নুল আবেদিন রহ কারবালার পরে ইয়াজিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায়ে রেখে চলতেন। তবু তা সাধারণত রুখসাতের উপর আমল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এটা হচ্ছে মাদখালিদের সাথে উলামায়ে দেওবন্দ এবং মারকাযুদ্দাওয়ার পার্থক্য। (আল কাউসারে প্রকাশিত কারবালা বিষয়ক লেখা)

 

তবে একটা বিষয় নিয়ে কনফিউজড। সেটা হচ্ছে, ইবনে তাইমিয়া রহ এতো শক্তভাবে ইয়াজিদ বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও মাদখালিদের একটা অংশ ইয়াজিদকে পছন্দ করে কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হুসাইন (রা) কুফায় কুতকুত খেলতে যাচ্ছিলেন। ইয়াজিদ (রহ) তাকে পচ্চা দিতে বলেছিলো। কিন্তু ইবনে জিয়াদ আর শিমার গোলোযোগ বাধিয়েছে।

 

তাই ইখওয়ানিরা খারেজি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াজিদকে আমি কখনো তাকফির করিনি, লানত করিনি। তার নিন্দাবানী সকাল সন্ধ্যা তিলাওয়াত করতে হবে এমনটাও মনে করিনা। তবে কেউ ঘুড়িয়ে ফিরিয়েও তার প্রশংসা করলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।

 

নিঃসন্দেহে ইসলামের ইতিহাসে অসংখ্য ফাসাদের জন্মদাতা সে। তার বিরুদ্ধে ইবনে আলী বা ইবনে যুবায়ের এর বিদ্রোহ অবশ্যই কেবল বৈধ না বরং আযিমাত। তার ব্যাপারে যেসব সাহাবা চুপ ছিলেন তা কোন ওযর বা মাসলাহাতের কারনে। যেমন আলী বিন হুসাইন জয়নুল আবেদিন রহ কারবালার পরে ইয়াজিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায়ে রেখে চলতেন। তবু তা সাধারণত রুখসাতের উপর আমল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি খারাপ হতে পারি তবে বংশ খারাপ না। উলামায়ে কেরামের সোহবত পেয়েছিলাম। তাই ছবি কেটে দিলাম। তা না হলে এরদোয়ান ভক্ত উলামায়ে কেরামকে আজ হাত মারতে হতো। অবশ্য গরমের দিন হাত মারলে সমস্যা নাই। গোসল করে নিতে পারেন।

 

পুরো ছবি দেখতে জামাতি পত্রিকা নয়া দিগন্তে যান। (ফুটবলার ওজিলের বিয়েতে এরদোয়ান, ওজিলের স্ত্রীর ইউরোপীয় পোশাক পরিধান)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অপরদিকে উম্মাহর প্রেমে ওজিলের বৌ উপরের কাপড় মানে লেবাস খুলে ফেলেছে। তাই তারও উপরের দিলে লেবাস নাই।

 

হাহাহাহাহহা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হাফেজ্জি হুযুর (রহ) এর তাওবার রাজনীতির মানে কি?

 

দেওবন্দিরা রাজনীতি শুরু করেছে ১৯০৯ সালের আশেপাশে। তাদের দলের নাম ছিলো জময়াতুল আনসার। উদ্দেশ্য ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র জিহাদের জন্য সর্বভারতীয় বিশেষত আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংগঠন গড়ে তোলা। তারপর সময়ের ব্যবধানে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য গঠিত হয় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। তাছাড়া উলামায়ে দেওবন্দ এর অনেকে খেলাফত আন্দোলন এবং কংগ্রেসে অংশ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে মুসলিম লীগেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তাছাড়া খোদ জামাতের প্রতিষ্ঠাকালীন শুরার অধিকাংশ নেতা দেওবন্দি ছিলেন। । দেশবিভাগ নিয়ে বিতর্কে দল ভাগ হয়ে গঠিত হয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। পাকিস্তান জন্মের পর জমিয়ত আবার ভাগ হয়ে জন্ম হয় নেজামে ইসলাম পার্টি। দলটি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যুক্তফ্রন্টের শরীক ছিলো নেজামে ইসলাম। ১৯৫৬ সালের ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রনয়নে তাদের অবদান ছিলো। আইয়্যুব বিরোধী আন্দোলনে দেওবন্দি অংশ গ্রহণ ছিলো। ফলে যারা বলে দেওবন্দিরা রাজনীতি হারাম ফতোয়া দিয়ে ঘরে বসে ছিলো তারা কোন রাজনৈতিক দলের মূর্খ ও অলস কর্মী। তাদের পড়াশোনা খুব কম। তাহলে কোন কওমি আলিম রাজনীতি হারাম বলেননি? হ্যাঁ বলেছেন। অবশ্যই বলেছেন। কোন রাজনীতি। গনতান্ত্রিক রাজনীতি। অনেকেই এটাকে হারাম বলেছেন। কিছু আলিম কিছু মাসলাহাত সামনে রেখেও কাজ করেছেন। আপনি যদি অশিক্ষিত না হন তাহলে আপনার জানা উচিৎ মাওলানা মাওদুদি রহ নিজেও বহুদিন গনতন্ত্র হারাম, কুফর বলে নির্বাচন বর্জন করেছেন। তিনি কেবল পাকিস্থান হওয়ার পর অনেক দ্বিধা নিয়ে গনতন্ত্রে পা দেন। এতে জমিয়তে তোলাবা পাকিস্থানের প্রথম সভাপতি ড ইসরার আহমদ জামাত ছাড়েন। প্রথম দিকে গনতান্ত্রিক নির্বাচনে ঢুকলেও জামাত অনেক শর্ত শরায়েত মেনে সাবধানে আলগাভাবে নির্বাচন করতো। ল্যাংটা হয়ে গনতান্ত্রিক হতে জামাতের সময় লেগেছে বহু বছর।

 

যাইহোক আমি এধরণের রাজনীতির সমর্থক না। তবে প্রাসঙ্গিকভাবে কথা হচ্ছে গনতান্ত্রিক রাজনীতিতেও দেওবন্দিদের প্রবেশ জামাতিদের আগে।

 

হাফেজ্জি হুযুরের তাওবার রাজনীতির মানে এটা ছিলোনা যে তারা এতোদিন রাজনীতি হারাম বলেছেন, এখন হালাল বলছেন। বরং দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সীমাহীন পাপাচারে মানুষ এবং রাষ্ট্র যখন দিশেহারা তখন হাফেজ্জি হুযুর রহ সবাইকে নিজেদের পাপাচার থেকে তাওবা করে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় ঝাঁপিয়ে পরার দাওয়াত দেন। আমি মনে করি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়া তার ভুল ইজতিহাদ ছিলো। এর পরিবর্তে দাওয়াতের রাজনীতিই কল্যাণকর ছিলো। কিন্তু কলম তুলে নেওয়া হয়েছে, তকদির লেখা হয়ে গিয়েছে। তকদিরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। আল্লাহ যা লিখে রেখেছিলেন হাফেজ্জি হুযুর রহ সে অনুযায়ী পা পিছলিয়েছেন। তবে তার মাকসাদ ছিলো খিলাফাত। এজন্য তিনি তার দলের নাম রাখেন খেলাফত আন্দোলন। তিনি অনেক বড় আলিম ছিলেন। ফলে খেলাফতের মানে নিশ্চয়ই তার অজানা ছিলোনা। ফলে যারা বলে অরাজনৈতিক জীবন থেকে তাওবা করে হাফেজ্জি হুযুরের নেতৃত্বে উলামায়ে দেওবন্দ রাজনীতিতে এসেছে তারা অজ্ঞ অথবা মিথ্যাচারে লিপ্ত। তার তাওবার ডাক ছিলো জাতীর প্রতি নেতা হিসাবে সামষ্টিক এবং মাশায়িখ হিসাবে ব্যাক্তিগত তাওবার ডাক। এর ভিত্তিতে উলামায়ে কেরামকে ছোট চোখে দেখার কোনো সুযোগ নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা হিন্দুদের থেকে পিছিয়ে পরার কারণ হিসাবে উলামাদের দায়ী করেন তাদের জন্য কয়েকটি কথা।

 

১) ফোর্ট উইলিয়াম যখন প্রতিষ্ঠা পায় তখন ইংরেজ কোন বৈশ্বিক পরাশক্তি হয়ে উঠেনি। তখনো ওয়াটার লু হয়নি।

 

২) ইংরেজি তখনও লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা না।

 

৩) মুসলমানদের আলাদা ভাষা, সংস্কৃতি সভ্যতা ছিলো যা বিজয়ী ছিলো। কিন্তু হিন্দুরা আগেও প্রজা ছিলো। পরেও প্রজা। তাদের জন্য ব্যাপারটা নিছক প্রভু পরিবর্তন।

 

৪) ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত বিদ্রোহের ৯০ শতাংশ করেছে মুসলমান।

 

৫) ব্রিটিশ এবং মুসলমান পরস্পর পরস্পরকে সন্দেহ করতো।

 

৬) ১৮৫৭ তে উপমহাদেশে যুদ্ধ হারলেও বৈশ্বিকভাবে তখনও উসমানি খেলাফত ছিলো। দেওবন্দিদের অনেক আকাবির উসমানিদের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখতেন। যেমন মাওলানা কাসিম নানুতুভি, শাইখুল হিন্দের পরিবার প্রমুখ

 

৭) ইংরেজি শেখা মানে কেবল ভাষা শেখা না। তাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, দর্শন শেখা।

 

৮) ইংরেজ দর্শন শেখা, বোঝা এবং মোকাবেলার আর্থিক, রাজনৈতিক সামর্থ্য মুসলমানদের ছিলোনা।

 

৯) মুসলমানদের পিছিয়ে পরা মানে কেবল ইংরেজি শেখা না, বরং ইংরেজ সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন। সেটা এক দুই জেনারেশনে হওয়া সহজ না। বিশ্বরাজনীতি সেভাবে চলেন।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাঝে মাঝে বুঝিনা কেন এতোদিনেও অনেকেরই আমাকে বুঝতে কষ্ট হয়। আমি কারদাওয়ীকে গালাগালি করি। কিন্তু তার যেসকল বই এদেশে প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি যেসকল আর্টিকেল (আমার জানামতে) অনুদিত হয়েছে সবগুলো আমি পড়েছি। আমি মাদখালিদের গালাগালি করি, কিন্তু রাজনৈতিক কর্মপন্থাগতভাবে মাদখালিদের কাছাকাছি। অর্থাৎ বাংলাদেশে আমি যেকোন রকম বিদ্রোহ, সামরিক বেসামরিক অভ্যুত্থান অথবা সহিংস কর্মপদ্ধতির বিরুদ্ধে। আমি দেওবন্দি তবে উস্তাদ মাওদুদি রহ এর লেখা থেকে উপকৃত হতে চেষ্টা করি। আমি ইয়াসির কাদিকে মডারেট মনে করি কিন্তু তার প্রায় সকল লেকচার শুনি। আমি তাবলিগের এমনকি ফাজায়েলে আমলের উৎসাহী সমর্থক কিন্তু তাদের বসে বসে হাদিস বানানোর বিরুদ্ধে। আমি আহলে হাদিসদের ফিকাহয় আগ্রহী না কিন্তু তাদের দলগতভাবে কেউ গোমরাহ বললে বিরক্ত হই। আবার মাওলানা ওলিপুরি সাহেবের মাহফিল থাকলে মশার কামড় খেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরো বয়ান শুনতে হলেও শুনি, মিস করিনা। মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের মাহফিলে গিয়েছি। অত্যন্ত আদবের সাথে সালাম দিয়ে এসেছি। আমি নজদির তাওহীদ আর রুমির ইশক একসাথে ভালোবাসি।

 

ভাই আমি আমার হাতের কাছে ইসলামি, অনৈসলামিক যত চিন্তা পেয়েছি সব পড়েছি। ফলে সব জায়গা থেকেই শিখেছি।

 

হ্যাঁ আমি আমার ভিত্তি ধরি উলামায়ে দেওবন্দের জমহুরের চিন্তা। যদিও কর্মপন্থাগত মতবিরোধ কখনো কখনো থাকে। যেমন সাআদ সাহেব বিরোধী বক্তব্য ঠিক মনে করি, মারামারি ভুল মনে করি। অবশ্য উপমহাদেশের বাস্তবতা চিন্তা করলে দেখবেন এটাই উলামায়ে দেওবন্দের জমহুরের অভিমত। পাশাপাশি সকল মত পথের মানুষের কাছ থেকেই সমৃদ্ধ হতে চেষ্টা করি।

 

ফলে আমাকে যখন আপনি স্টেরিওটাইপিং করতে চাইবেন তখন প্রচুর ভুলের সম্ভাবনা নিয়েই করবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি একথা স্বীকার করি উস্তাদ মাওদুদি রহ এর লেখা না পড়েই দেওবন্দিরা অনেকেই উস্তাদ রহ এর সমালোচনা করে থাকেন। কিন্তু পালটা প্রশ্ন যে জামাতি ভাইরা উলামায়ে দেওবন্দের ইলম নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তারা বেশি না মাওলানা আশরাফ আলী থানভি রহ, তাকি উসমানি, মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী রহ প্রভৃতি উলামাদের কয়টা বই পড়েছেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা সেনা অভ্যুত্থান দিয়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের জন্য বড় শিক্ষা হচ্ছে বাদশাহ ফারুক বিরোধী ইখওয়ান সমর্থিত জেনারেল নজিব- জামাল নাসের অভ্যুত্থান এবং তুরস্কে ন্যাটো এর পার্শিয়াল ব্যাকড গুলেনিস্ট অভ্যুত্থান।

 

এধরণের প্রয়াস সর্বদাই অনিশ্চিত এবং ঝুঁকিপূর্ন। পরাশক্তির সমর্থন ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। হলেও টিকেনা। সফল হলেও পাল্টা অভ্যুত্থান ও প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে ব্যার্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যারা সমর্থন নিয়ে বিপ্লব করবে তারা পল্টি খাওয়া খুব সম্ভব। যেমন জামাল নাসের খেয়েছে।

 

যেকোনো অভ্যুত্থানে ব্যার্থ হওয়ার মূল্য খুব চড়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সৌদি আরবের নাগরিক আলে সাউদ মেরেছে। আপনার সমস্যা কি?

 

বয়ানে সহীহ শাইখ

 

(প্রসং সালিহ আল মুনাজ্জিদের শাহাদাতের গুজব)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানার জন্য প্রশ্ন করছি, কেউ উত্তর না দিয়ে যাবেননা প্লিগ।

 

একজন আমাকে বলেছেন দেওবন্দিরা ভারতের, জামাত আমেরিকার এবং হামাস ইজরায়েলের এজেন্ট। তারপর জানতে চেয়েছেন,

 

***MBS এর কোন কাজটা কোরান, হাদিস এর বিপক্ষে গিয়েছে ? প্রমান দেখাতে পারবেন ?

 

ভাইয়েরা প্রশ্নের কি উত্তর হতে পারে? একটু হেল্প করেন। আমি আমার ঐটা খুঁজে পাচ্ছিনা। বৌ কি সাথে রেখে দিয়েছে নাকি। আল্লাহই জানে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাসনা, সুলাসা নিয়ে অনেক আলাপ। সাহাবাদের সুন্নাহ আছে বলে দাবি শক্ত। তবে আমাদের দেশে এটার চল কমে গিয়েছে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, আইনগত, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক বহু কারনে।

 

তবে আমার একটা ব্যাপার কিছুদিন হলে চিন্তায় এসেছে। জায়েজ না জায়েজ আলোচনা ভিন্ন। কারন তার পরিধি অনেক বড় এবং তা বাস্তবতা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অনুসরণীয়। তবে যারা এই সাংস্কৃতিক সংস্কার চান তার সাহাবাদের সুন্নাহকে আরও গভীর এবং সংবেদনশীলভাবে পর্যালোচনা করতে পারেন।

 

কোন কুমাড়ির নারীর জন্য সাধারণত স্বামী শেয়ার করা বেশি মাত্রায় মুশকিল। কিন্তু আপনি যদি সন্তানসহ কোন নারীকে বিয়ে করে এবং ভদ্রমহিলার এক বা একাধিক সন্তান থাকে, পাশাপাশি বিয়ের আগে আপনার সাংস্কৃতিক লড়াই সম্পর্কে অবহিত করেন তবে বিষয়টি তত জটিল থাকেনা। কারণ কোন মহিলার বাচ্চা কাচ্চা থাকলে সে যতটা অকুপাইড থাকে তাতে স্বামী নিয়ে মনোযোগ কিছু হলেও হ্রাস পায়। তাছাড়া পূর্ববর্তী বিয়ের সন্তানের জন্য স্পেস বের করতে পারা তার জন্য বাড়তি সুবিধা হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলিমদের কাছে প্রশ্ন

 

অনেকে বলে থাকেন ইমাম আবু হানিফা (রহ) হাদিস জানতেননা। এটা শুধু অঘা মঘারা বলেননি। ইবনে খালেদুনের মতো জায়ান্টরাও বলেছেন। তাদের এমন অভিমতের কারণ যাইহোক কিন্তু তার ভুল করেছেন।

 

কিন্তু আমি যেব্যাপারটা বুঝতে আগ্রহী তা হচ্ছে হাদিস না জেনে কিভাবে ফতোয়া দেওয়া যায়? অর্থাৎ ফিকহে আবু হানিফা রহ এর অনন্য অবস্থান সত্ত্বেও কিভাবে বলা যায় যে তিনি হাদিস জানতেননা।

 

এখানে আসলে হাদিস না জানা বলতে তারা কি বোঝাতে চেয়েছেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সালিহ আল মুনাজ্জিদ বেঁচে আছে এমন কোন প্রমাণ এখনো পেলাম না।

 

আসেন তবু ধরে নেই বেঁচে আছেন। সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে বলে পোস্ট সড়িয়েছি। কিন্তু তিনি গ্রেফতার হওয়া অস্বীকার করেছিলেন। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন?

 

তিনিতো খারেজি। খারেজি মারাতো ভাল কাজ। তাহলে এতো হাউ কাউ কেন? সৌদি নাগরিক আলে সাউদতো মারতেই পারে। তাই না ভাই?

 

যদি তিনি খারেজি না হন তবে আপনার আব্বা জালিম MBS এর নিন্দা করেননা কেন?

 

মুসলিম শাসকের সমালোচনা করা খারেজিদের কাজ। তিনি আপনার হুক্কাম? চিপায় চাপায় এদেশীয় হুক্কামদের সমালোচনা করতে প্রায়ই শোনা যায়? আপনি মিঞা রিয়েল খারেজি। যেখানে থাকেন সেই ভুখন্ডের হুক্কামদের প্রতি এতায়াত নাই।

 

আলে সাউদ কি আসলে হেজাজের হুক্কাম? না ট্রাম্পের ওয়ালি? অবশ্য হ্যাঁ ওয়ালিও হুক্কামের অংশ। তাহলে কি আপনাদের আসলান উলিল আমর ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কুশনার।

 

অগনিত সালাফ শাসকদের সামনে এবং পেছনে শাসকদের নিন্দা করেছেন। আচ্ছা আপনাদের এই বিদয়াতি উসুল কে শিখিয়েছে যে শাসকদের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা খুরুজ? ভাঁড়বাহারি? জি না। আপনারা তার উসুলকেও রেপ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খারেজিরা শুধু অস্ত্র দিয়েই বিদ্রোহ করেনা বরং জিহ্বা দিয়েও জনগণকে বিদ্রোহের উস্কানি দেয়। কোন বৈশিষ্ট্য থাকলেই কেউ কোনো কিছু হয়ে যায়না। গরুরও চার ঠ্যাং, ছাগলেরও। তাই চার ঠ্যাং গরুর বৈশিষ্ট্য হলে সকল চার ঠ্যাংওয়ালা গরু না, ছাগল ভেড়াও হতে পারে। নুনু থাকলেই পুরুষ হয়না। কাপুরষদেরও নুনু থাকে যেমন আপনাদের আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার মনে হয় তালবে ইলমদের শুরুতে একাধিক মাযহাব বা মাসলাক থেকে শেখা উচিৎ না। হ্যাঁ গোঁড়া এবং মাসলাকবাজ চিন্তার ভারসাম্যহীন উগ্র শায়েখদেরও শুরুতে বর্জন করা উচিৎ। তবে শুরুতে একটা মাযহাব, একটা মাসলাক ভাল করে শেখা উচিৎ। পাশাপাশি শাইখের কথায় ভিন্ন চিন্তার ইসলামি ব্যাক্তিত্বদের সমালোচনায় শক্তি খরচ থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিৎ।

 

শুরুতে অনেক চিন্তা শেখা চিন্তার জগতে জট লাগাতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উলামাদের দেওবন্দের যারা উস্তাদ মাওদুদি রহ এর নামে মিথ্যাচার করেন তাদের তাওবা করা উচিৎ। তার যতটুকু ভুল ততটুকুতো জারাহ তাদিলের স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বলতে হবে। কিন্তু এটা অস্বীকার করা যায়না যে আলিমদের অনেকেই তার নামে অনেক বানোয়াট কথা বলেছেন। অনেক ক্ষেত্রে তার অপরাধের মাত্রার চেয়ে বেশি বলেছেন। এসব বিষয়ে আল্লাহ, জাহান্নাম এবং হাশরকে ভয় পাওয়া উচিৎ।

 

নিকাব নিয়ে উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর অভিমত।

 

সুরা নুর আয়াত ৩১

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি হাজারবার বলেছি আমি সাআদ সাহেবের বিরুদ্ধে কিন্তু তার পক্ষের লোকেদের বিরুদ্ধে যেকোনো রকম সহিংস আচরণেরও বিরুদ্ধে।

 

এখন দাবি করা হচ্ছে নিহত ব্যাক্তির ইস্যুটা পারিবারিক ক্যাচাল। হতে পারে। আমি জানিনা। আমার নিজের তদন্ত করা হয়নি। প্রতিদিন পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট হচ্ছে। সময় নিলাম ঘটনার মোটিফ বুঝতে। সাআদপন্থীরা দুঃখিত, সাআদ বিরোধীরা নির্বিকার। তাদের মাঝে না দেখা যাচ্ছে দুঃখ আর না দেখা যাচ্ছে ক্ষোভ।

 

মেনে নিলাম। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে সেটা নিয়ে লোকেরা চুপ কেন? তাদের মাঝে সন্ত্রাসবাদবিরোধী নিন্দার মতো এসব আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছেনা কেন? কারণ যাইহোক কাউকে পুড়িয়ে মারা যায়না। উগ্রতা মাঠে আছে। তা নিয়মিত মারধরের কাছাকাছি পৌছাচ্ছে। কিন্তু দায়িত্বশীলরা যেমন সাআদপন্থীদের বিরুদ্ধে সতর্ক করছেন তেমন উগ্রপন্থার বিরুদ্ধেও করা উচিৎ। নয়তো দ্রুতই আরও বাজে ঘটনা ঘটতে থাকবে। কিন্তু উল্টো ইহুদি এজেন্ট, ইজরায়েল কানেকশন ইত্যাদি গালগল্প বাজারে ছড়িয়ে উত্তেজনা বাড়ানো হচ্ছে।

 

আমি দুঃখিত এধরণের ইস্যুতে আমি সাধারণত সাআদপন্থীদের মতো উলামাদেরও সিকাহ রাবি মনে করিনা। তারা নিয়মিত মিথ্যা কথা বলেন এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রটান। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের পাথেও হত্যাকান্ডের জন্য তাবলীগের বিরোধকে দায়ী করেছে। আমি জানি তারা সিকাহ না। কিন্তু সাআদবিরোধী বা চরমোনাইপন্থী পত্রিকাগুলো এই হত্যাকান্ড নিয়ে সোচ্চার না।তাদের নিন্দা চোখে পড়েনি। মাওলানা মামুনুল হক বা অন্যান্য আলিমদের আমরা দেখিনি এধরনের সহিংস কর্মকান্ডের নিন্দা করতে এবং সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে জোড়দার সতর্ক করতে।

 

আমার সাথে সকল ধরনের ইসলাম্পন্থীদের ভাব বিনিময় হয়। আমি এতায়াতিদের কাছ থেকে নিয়মিত অভিযোগ পাই তাদের মারধর, মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া, বিভিন্ন রকম হুমকি এমনকি হত্যার হুমকি এমনকি হত্যাপ্রচেষ্টার। আমি জানি অপরপক্ষও ভদ্রলোক না। ওয়াসিফ এহতেশাম গং অত্যন্ত নিম্নমানের ইতর। কিন্তু মাঠে সাআদপন্থীরা ততটা শক্তিশালী না। ফলে তারা যে শয়তানি, ইতরামি, কুত্তামি করে তা প্রশাসনের সহযোগিতায় করতে চেষ্টা করে। কিন্তু ভিন্ন চিন্তার বলে কাউকে অর্থাৎ শুরাপন্থী বলে কোন জামাতকে তারা গ্রাম গঞ্জের মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে, কাউকে হত্যার চেষ্টা করেছে এমন শুনিনি।

 

আমাকে গালাগালি করুন। আমাকে কওমি বিদ্বেষী বলুন। ফেসবুকে আমার রাফেজি বন্ধুদের মতো আমার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। আপত্তি নাই। কিন্তু আগে এই হত্যার নিন্দা করুন, হত্যাকান্ডের কারণ যাইহোক। পরিস্কার করে বলুন আমরা সাআদ সাহেবের বিচ্যুতিগুলোর বিরুদ্ধে কিন্তু যে কোন রকম সহিংসতার তীব্র বিরুদ্ধে। যারা কোনো রকম সহিংসতা করবে তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(আপনি শিয়া, খারেজি, জামাতি, জমিয়তি যা ইচ্ছা হতে পারেন। আপনার উত্তর প্রত্যাশা করছি। বিশেষত যারা আমার লেখা নিয়মিত পড়েন। তাদের অনুরোধ করবো অবশ্যই আপনার অভিমত শেয়ার করতে।)

 

এখন বলেন আপনি কি তাবলীগের চলমান দন্দ্বে সাআদপন্থী বা বিরোধী কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে অপর পক্ষের সহিংসতা বা শক্তি প্রয়োগ সমর্থন করেন?

 

ক) হ্যাঁ

খ) না

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(১)

 

এক তরফা ভালোবেসেও একটা সুখ পাওয়া যায় যতদিন গার্লফ্রেন্ডের আরেকটা বয়ফ্রেন্ড না জোটে।

 

(২)

 

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের কথাটা অর্থহীন। ধর্ষণ করতে প্রলোভন দেখাতে হয়না। সহবাস করতে দেখাতে হয়। কিন্তু বিয়ের পরওতো ডিভোর্স হয়। তাহলে সহবাস হয়ে গেলে গার্লফ্রেন্ড ছাড়া যাবেনা কেন?

 

(৩)

 

আমি তোমাকে প্রেমিক হিসাবে না বন্ধু হিসাবে চাই মানে দুইটার একটা অথবা দুইটাই

 

ক) শুতে চাইনা তবে বাকি সুবিধাগুলো চাই

খ) শুলে ঝামেলা। তবে হাতানো যায়। তোমার অর্থনৈতিক ভবিষ্যতে আস্থা রাখা যাচ্ছেনা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের উপর সম্ভবত লোকেরা প্রথম ঠিক মতো ক্ষেপেছিলো তার ইলমি বিচ্যুতির কারণে নয়। বরং তিনি বলেছিলেন মাওলানা আব্দুল মালিক আরবি জানেনা, একারণে।

 

বেশ উদ্ভট লেগেছিল আমারও।

 

আক কাউসার একবার লিখেছিলো, শাইখ আলবানি আরবি জানতেননা।

 

উস্তাদ মাওদুদি রহ এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তিনি আরবি জানতেননা।

 

আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী (রহ) নাকি বলেছিলেন, ইবনে তাইমিয়া রহ ভালো আরবি জানতেননা।

 

আবু হানিফা (রহ) এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তিনি ভালো আরবি জানতেননা।

 

এসব অভিযোগ শুনে যার যার ভক্তবৃন্দ তুলকালাম বাধিয়ে দিয়ে থাকেন।

 

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সকল অভিযোগ কম বেশি সত্য।

 

আসলে কোন ভাষা সম্পূর্ণ জানা সহজ না। ধরেন বাংলাই আমরা কয়জন পুরো জানি। সাধারণ মানুষ বাদ দেন। বাংলার প্রফেসর কয়জন দাবি করতে পারবে যে তিনি বাংলা পুরো জানেন।

 

আরবি জানা মানে শুধু আরবিতে আয়েল্টস দিয়ে ৮ বা ৯ পাওয়া নয়। আরবি জানা মানে সকল আরবি শব্দ জানা। সকল গ্রামার জানা। আরব কবিদের কবিতার উপর খুব ভালো দখল থাকা। (বিস্তারিত এড়িয়ে বলছি শুধু ভোকাবুলারি জানলে হবেনা। পাশাপাশি কবিতাও জানতে হবে নয়তো ফিকহ ইস্তিম্বাতে সমস্যা হয়।) রাসুলুল্লাহ (সা) এর সমকালীন আরবদের বিভিন্ন ডাইলেক্ট সম্পর্কেও জানতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন গোত্রের সংস্কৃতি, বিভিন্ন এলাকার ভূগোল, আবহাওয়া এবং জলবায়ু সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে। কারণ হয়তো কোন শব্দের একটা জাহেরি অর্থ আছে কিন্তু কোন এলাকার কোন সংস্কৃতির কারণে তা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।

 

যাইহোক এক কথায় বিশাল ব্যাপার। একারণেই সাহাবা তাবেঈদের যুগে মুজতাহিদ হওয়া যতটা সহজ ছিলো এখন ততটা সহজ না।কারণ তারা সেই বাস্তবতায় বাস করতেন। ফলে তাদের জন্য রাসুলুল্লাহ সা এবং সাহাবাদের আরবি বোঝা অনেক সহজ ছিলো। বেশ কিছু কারণের মধ্যে এটাও একটা কারন যে আমাদের সময়ে আইম্মায়ে আরবাআ এর মতো মুজতাহিদ হওয়া প্রায় অসম্ভব এর কাছাকাছি। যাইহোক মূল টপিকে ফিরি। অনেক আলিম বলেছেন, নবি ছাড়া কেউ আরবি পুরো জানতো না। মজার ব্যাপার হচ্ছে একটা হাদিসও আছে অনেকটা এমন,

 

"আমি শ্রেষ্ঠ আরব"

মানে তিনি সবচেয়ে ভালো আরবি পারতেন।

 

কি বুঝলেন? আসলে কেউ আরবি পুরো জানেনা। কেউ বেশি জানে, কেউ কম। কেউ এক অংশ জানে, কেউ আরেক অংশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের অপরাধ কি?

 

ক) স্রোতের বিপরীতে চলা? মানে সিন্ডিকেটের সাথে না চলা?

খ) ইসলামি চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিক চিন্তা করা?

 

-০-

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(সৌদির হালাল নাইটক্লাব) অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। যে এর বিরুদ্ধে কথা বলবে সে সহিহ জাহান্নামের সহিহ কুকুর।

 

সহিহ ইমাম মাহদির কাছে প্রস্তাব হচ্ছে ইরান থেকে গনিমতের মাল নিয়ে এসে মুতা'আ সিস্টেমে সহিহ ইসলামি বেশ্যালয় (সহিহ চোদনখানা) খোলা যায় কিনা বিবেচনা করতে।

 

প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি কিন্তু ইরানের সাথে ঐক্য করতে বলিনি।

 

সংযুক্তিঃ যৌবনে হজ করুন। নিশ্চয়ই খাদেমুল হারমাইন হাজি সাহেবদের খেদমতে জেদ্দায় রূপসী মাল (মাগি বলাটা আধুনিক বাংলায় খারাপ শোনা যাবে। খাদিমুল হারমাইনের উপহারকে খারাপ বলে গাহান্নামে যেতে চাই না।) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন। ইহরাম খুলে হজ শেষ করে জেদ্দায় এসেছে ভাল দেখে দুই চারটাকে চেখে চলে আসতে পারবেন। আপনারা খাবেন আর জাহান্নামের কুত্তারা চেয়ে চেয়ে দেখবে।

 

হাহাহা

 

এটা জেদ্দা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্যঃ লেখার সবকিছুর সাথে একমত না। একটা অংশ জঘন্য ছিলো। মানে আবেগ ছাড়া কোন এসেন্স ছিলোনা। তাই সেই অংশ আমার দরকার নাই। কেটে দিয়েছি। তবে ফেসবুককে বই হিসাবে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ইহুদিরা চোজেন পিপল অব গড। তাদের এজেন্ট হওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। জোকার বেগ একটা সুন্দর বই বের করেছেন। এটা পড়ে শেখার আছে অনেক কিছু।

 

শেষকথা

১) এখনও এখানে যা আছে তার সবকিছুতে একমত তা নয় তবে সংগ্রহে রাখলাম।

 

২) কাদাছুড়াছুড়ির ধারা খারাপ জায়গায় যেতে বাধ্য। জানিনা কে আগে কাদা মারা শুরু করলো।

 

তবে মারকায সম্ভবত অচিরেই অন্যান্য ধারার কাছে গ্রহনযোগ্যতা হারিয়ে কওমি একটি উপধারার প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে। যেমন বসুন্ধরা, জামিয়া রাহমানিয়া, লালবাগ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।

 

আমি এতে খুশি না। কারণ মারকায এখনো অনেক উন্নত প্রতিষ্ঠান। তবে একথা সত্য এই প্রতিষ্ঠান থেকেও গড়পড়তা মানের আলিম বের হওয়া শুরু হয়েছে। কাজ বড় হলে অবশ্য এগুলো হয়।

 

সমস্যা হচ্ছে মারকাযের সেই বিনয়ী অবস্থানটা কমে একটা মুরব্বি ভাব চলে আসছে। তারাও পূর্বের পরিশ্রমী অধ্যাবসয়ী বিনয়ী সর্বজনীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা হারাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কট্টরপন্থীরা বলবে বাতিলের সাথে আপোষ নাই। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় মুনাফিক ইত্যাদি। তবে এভাবেই আপন যুগের বড় বড় ইসলামি আন্দোলন ইসলামি উপধারা বা ফেরকায় রুপান্তরিত হয়। অবশ্য সকল ফেরকাই পুরোটা খারাপ তা নয়।

 

মন্তব্য নিচে ছিলো। উপরে আনলাম। লোকে আমার লেখা না পড়েই কমেন্ট মারছে।

 

_-----------------------++++++++++---+----++---------------

 

একটি অনধিকারচর্চা

 

লিখেছেন মুহাম্মাদ সালমান

 

 

ইমাম বুখারি ইমাম আবু হানিফা সম্বন্ধে 'কালা বা'দুন নাস' বাক্য ব্যবহার করেছেন। ইমাম আবু হানিফা ছিলেন তার সালাফ। এতদসত্ত্বেও তিনি তার প্রতি এতটা তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছেন। ইমাম বুখারির শাগরেদ, অনুরাগী ও অনুসারীর অভাব নেই। যাদের কাছে তার কথা একেবারে ওহির সমতুল্য না হলেও অনেকটা কাছাকাছিই। ইমাম বুখারি কাউকে তাচ্ছিল্য করলে তাকে মাজরুহ হিসেবে গণ্য করার লোকের অভাব নেই। এতকিছুর পরও ইমাম আবু হানিফার মান কমে যায়নি।

 

শাইখ জাহিদ কাউসারিসহ কতজনই তো ইমাম ইবনু তাইমিয়াকে জাহিল তথা অজ্ঞ বলেছেন। কেউ-বা তাকে মক্তবের বাচ্চা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এসব কিছুর পরও তিনি শাইখুল ইসলামই রয়ে গেছেন।

 

চলে যাই আরও পেছনে। সায়্যিদুনা উমর রা. হাতিব ইবনু আবি বালতাআ রা.-কে মুনাফিক বললেন। কিন্তু রাসুলের ঘোষণানুসারে তিনি ক্ষমাপ্রাপ্ত হিসেবে আখ্যায়িত হলেন।

 

মাওলানা যুবায়ের হোসাইন সাহেব অর্ধযুগের চাইতেও অধিক সময় মারকাযুদ দাওয়াহয় শিক্ষকতা করেছেন। এখন যারা উলুমুল হাদিস বিভাগে শিক্ষক হিসেবে রয়েছে বা দারুত তাসনিফে কর্মরত রয়েছে, তাদের অনেকেই তার সরাসরি ছাত্র। তিনি নিজে মারকাযের প্রথম দিকের ছাত্র এবং এরপর দীর্ঘকালের শিক্ষক। সে সময় তিনি কিছু তাসনিফি কাজও করেছেন। আহলে হাদিসদের বিরুদ্ধে রচনা ও পুস্তিকা লিখেছেন। তখন সেগুলো সর্বমহলেই গৃহীত হলো। তাতে বড়দের ভূমিকা ও অভিমতও পাওয়া গেল। এরপর এককালে তিনি স্বেচ্ছায় মারকায ছেড়ে চলে গেলেন। এমনিও যেকোনো স্বাধীনচেতা মানুষ মারকাযে থাকতে না পারারই কথা। এমনকি প্রসিদ্ধ লেখক শরীফ মুহাম্মাদ মহোদয়ের মতো দীর্ঘকাল নীরবে সয়ে গেলেও একপর্যায়ে চুপিসারে সরে আসা ছাড়া জো নেই। মারকায তো দূরের কথা; আল-কাউসারের প্রথম দিককার লেখকদেরই বা কেন এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না! যাইনুল আবিদিন সাহেব হোক বা মাওলানা খন্দকার মানসুর আহমেদ সাহেব হোক, আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী হোক বা অন্য যে-কেউই হোক - তাদের হাতে কলম তো এখনো রয়েছে। অন্য সব পত্রিকায় লিখছেনও। কেন তবে এখান থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিলেন! আল-কাউসার কেন একটি 'পারিবারিক' পত্রিকায় রূপান্তরিত হলো! এর পেছনে কোনো কারণ কার্যকর তো রয়েছেই। তবে এখানে সেই কেঁচো খুঁড়তে চাচ্ছি না।

 

মারকায সব বিবেচনায়ই আলহামদুলিল্লাহ এখন প্রতিষ্ঠিত। তার খেদমতও বিস্তৃত। আমি মারকাযের কেউ নই। মারকাযও আমার কেউ নয়। এরপরও আমি মারকাযকে শ্রদ্ধা করি। নিজেকে তার পায়ের ধুলার সমানও মনে করি না। মনে করার কারণও নেই। এসব কিছুর পর মারকাযের মিথ্যা বা ধোঁকার আশ্রয় নেওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। প্রতি মাসে আল-কাউসারের ৭/৮ পৃষ্ঠা জুড়ে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে কখনো এক-দুটো প্রশ্ন ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে তার জবাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাকিগুলো নিজেরা বানিয়ে বিভিন্ন মানুষের নাম ও কল্পিত ঠিকানা লিখে চালিয়ে দেওয়া হয়। এককালে আমরাও ভাবতাম, কত মানুষ আল-কাউসারে প্রশ্ন পাঠায়! পরে দেখা গেল, এগুলো সবই ভুয়া। ছাত্ররা ফাতওয়া লেখার অনুশীলন করার জন্য নিজেরাই প্রশ্ন বানায়, এরপর নিজেরাই তার উত্তর লিখে দায়িত্বশীল শিক্ষকদের দেখায়। উস্তাদদের নির্দেশেই তারা এরূপ করে থাকে। প্রতিটি খসড়ায় প্রশ্নকারী হিসেবে একজনের নাম ও ঠিকানা সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর মাস শেষে সব ছাত্রের অনুশীলনীগুলো একত্রিত করে পত্রিকায় সেভাবেই ছেপে দেওয়া হয়। যারা ছাপার কাজ করে, তারাও জানে, এগুলো কাল্পনিক প্রশ্নকর্তার বানানো প্রশ্নের বাস্তব উত্তর। এরপর সেই অনুশীলনীগুলো হয়ে যার মারকাযের ফাতওয়া বিভাগের ফাতওয়া। যেই ছাত্র হাতেকলমে প্রশ্ন বানিয়ে এরপর জবাব লিখল, তার আর অধিকার থাকে না সেটাকে নিজের দিকে সম্পর্কিত করার। এককথায়, সম্পাদক হয়ে যায় লেখক আর লেখক হয়ে যায় থার্ড পার্সন। অবশেষে বছর শেষে সেগুলোর মূলকপিও জমা নিয়ে নেওয়া হয়।

 

যাহোক, প্রশ্নোত্তর প্রকাশ করা নিয়ে কথা নয়। কথা হলো, জাল নিসবত নিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, যে প্রশ্নটি 'ছাগলনাইয়া, কুমিল্লার আশিকুর রহমান'-এর নামে প্রকাশিত হলো, সেই প্রশ্নটি তো সে করেনি। সেই এলাকায় এই নামের যতজন আছে, তাদের কেউই এ সম্বন্ধে অবগত নয়। মানুষ বিষয়টা যাচাই করে না দেখে এতকাল এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। অন্যথায় এরকম গলদ নিসবত করার আদৌ কি কোনো তাৎপর্য রয়েছে! আমি জানি না, শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বৈধ কি না। তবে ইনসাফের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে এক ধরনের জালিয়াতিই মনে হয়; যা আদৌ প্রয়োজন ছিল না। এরপরও বছরের পর বছর ধরে সকলের জ্ঞাতসারে তা-ই করা হচ্ছে।

 

মাওলানা যুবায়ের হোসাইন সাহেব দীর্ঘকাল পর্যন্ত মারকাযের সহকারী বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। সেকালে উলুমুল হাদিস বিভাগে এত বেশি শিক্ষকের ছড়াছড়ি ছিল না। লাগাতার অনেক বছর পর্যন্ত ছাত্ররা তার কাছ থেকে জ্ঞান শিখেছে। তখন এ নিয়ে কেউ আপত্তি তোলেনি। এখন এসে শোনা যাচ্ছে, 'তিনি উসুল বোঝেন না। কুরআন-হাদিস থেকে মাসআলা উদঘাটন করতে পারেন না।' ইত্যাদি। সুবহানাল্লাহ! এমন অযোগ্য মানুষ দিয়েই তবে মারকাযের সোনালি যুগে কাজ চালানো হয়েছে? যিনি ফুরু তথা শাখা-প্রশাখা বুঝলেও উসুল তথা মূলই বোঝেন না, তিনি তো একজন প্রতিবন্ধী ছাড়া কিছু নন। তবে কি এই প্রতিবন্ধীকেই সহকারী বিভাগীয় প্রধান হিসেবে রেখে সেখান থেকে প্রতিবন্ধী প্রজনন করা হয়েছে? আর এখনো বা তার হাতেগড়া ছাত্ররাই কীভাবে সেখানকার শিক্ষক হতে পারছে! আর প্রশ্ন তো আসে, মারকায কি আদতে মুহাক্কিক তৈরি করে, নাকি অন্ধ ফ্যানবয় তৈরি করে। কারণ, তাহকিক ভিন্ন হলে ব্যক্তিকে শত্রু বানিয়ে ফেলা হয় আর তাকে অন্ধ অনুসরণ করলে তাকে আদর-সোহাগ করে সেখানে রেখে দেওয়া হয়, এটা তো বড়ই অসুন্দর নীতি।

 

এককালে দেখতাম, এ অঞ্চলের বড়রা মারকাযের মুরুব্বিদেরকে গোনায়ই ধরছে না। চট্টগ্রামের আলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি তো মোটামুটি অনেকেরই জানা। ঢাকার আলিমদেরও প্রথমদিকে এ ক্ষেত্রে অবস্থান ভিন্ন ছিল না। হ্যাঁ, এখন হয়তো অনেকের অবস্থা পাল্টেছে। উদাহরণস্বরূপ, মুফতি মানসুরুল হক (হাফিজাহুল্লাহ) আমিনুত তালিম হজরতের ব্যাপারে কত সময়ই কত ধরনের কড়া শব্দ ব্যবহার করেছেন। একই আচরণ করেছেন আরও অনেকেই। এখানে সেগুলোর স্মৃতিচারণ উদ্দেশ্য নয়। শুধু বলতে চাচ্ছি, যে আচরণটা আগের বড়রা এখনকার বড়দের সঙ্গে করেছিলেন এবং যে তিক্ত অভিজ্ঞতা পারি দিয়ে তারা আজকের অবস্থানে এসেছেন, দিনশেষে তারাও কি পরবর্তীদের সঙ্গে একই আচরণ করবেন? তাহলে এই সিলসিলা কি কিয়ামত অবধি চলতেই থাকবে? কেউ যদি মারকাযের কোনো বিভাগে কর্মরত থেকে যায় কিংবা তার অধীনে পরিচালিত মাদরাসা আলি ইবনু আবি তালিবে মক্তব বিভাগেও পড়ায়, তবে সে যুগের আল্লামা আর কেউ যদি মুফতি দেলোয়ার সাহেব, মাওলানা যুবায়ের সাহেব বা মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ সাহেবের মতো সেখান থেকে বাধ্য হয়ে চলে আসে তাহলে সে হবে তুচ্ছ - এমন নীতি আসলেই অসার ও হাস্যকর।

 

পুনশ্চ : কেউ কাউকে জাহিল বললেই যদি সে জাহিল হয়ে যায় তাহলে ফরীদ উদ্দীন মাসউদও তো মাওলানা আবদুল মালে সাহেবকে জাহিল বলেছে; যেমন মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব বলেছেন তাওহিদবাদী আলিমকে। এমন হলে দিনশেষে তো সবাইই জাহিল হয়ে যাবে। আলিম আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

 

লেখকঃ @মুহাম্মদ সালমান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যুদ্ধ এবং রাজনীতিতে আবেগ খুব খারাপ জিনিস। নৈতিকতা আরও খারাপ। হিটলার মুসেলিনি বনাম ট্রুম্যান চার্চিল স্ট্যালিনের যুদ্ধে কোন পক্ষকে সমর্থনে নৈতিকতার কিছু নাই। আছে রাজনৈতিক স্বার্থ। হ্যাঁ হিটলারকে এটুকু সমর্থন জানানো যায় যে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোকে ভালো হার্ডটাইম সে দিতে পেরেছে। ফলে কলোনিগুলো সামান্য উপকৃত হয়েছে। অনেকে আপাতভাবে স্বাধীন হয়েছে। কলোনিগুলো থেকে অনেকে যুদ্ধে নিহতদের ভ্যাকুয়াম পূরনের সুযোগ পেয়েছে ফলে শুধু প্রভুদের সম্পত্তিই না বরং প্রভুদের স্ত্রী কন্য ভগিনিদেরকেও অনেকে বিয়ে করার সুযোগ পেয়েছে।

 

আলে সাউদ মিত্র হিসাবে জঘন্য। নরবরে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে লড়াই করার চেয়ে ভিত্তি নির্মান বা লড়াই এড়িয়ে যাওয়া অবশ্যই উত্তম। ঘুঁনে ধরা ফার্নিচার বাসায় রেখে কাজের চেয়ে অকাজ হয় বেশি। ঘুন পরে ঘর ময়লা হয়। ঝাঁকুনি বা ভাড়ে খাট ভেঙে পরে যাওয়ারও ঝুঁকি আছে। তাই এসব ঘুঁনে ধরা খাট সড়িয়ে মেঁঝেতে ঘুমানো ভালো।

 

আলে সাউদ এবং হুথি লড়াইয়ে তামাশা দেখাই আমার পছন্দের। ইরান বা আলে সাউদ কাউকেই সমর্থন করার কোন আগ্রহ আমার নাই। তবে হুথিরা আলে সাউদের ঘরের সাথে। ফলে তারা আলে সাউদকে যতো কষ্ট দিতে পারবে মিশর, লিবিয়া, তিউনিসিয়া এমনকি খোদ সিরিয়াতেও আলে সাউদের কুকর্মের সক্ষমতা কমে আসবে। জানেনতো আলে সাউদের ব্যাপারে বাশারের সাথে আঁতাত, বিদ্রোহীদের হত্যায় গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা প্রভৃতি গুরুতর অভিযোগ আছে। এমনকি সৌদিপন্থী ইসলামি ফ্রন্টের যাহরান আলুশ হত্যায়ও সৌদি সহযোগিতা আছে বলা হয়ে থাকে।

 

এমন মিত্র যে আপনাকে যেকোনো মুহুর্তে বিক্রি করে দেবে তার চেয়ে একজন কনসিস্টেন্ট শত্রু অনেক ভালো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের কওমি ধারার মানুষদের সমস্যা যদি কেবল একটি ধারা সাথে হতো তাহলে কথা বলতাম না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তারা চূড়ান্ত অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন। কোন সমালোচনা নিতে পারেননা।

 

মাওলানা আব্দুল মালেক যা বলেন আমিও তাই বলেছি। শুধু আপনাদের দলীয় এবং মাসলাকি স্বার্থকে অবজ্ঞা করে সরাসরি হাফেজ রাজন হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং তাবলীগের বিরোধকে উগ্রপন্থার দিকে নিতে নিষেধ করেছি। তাতেই আমাকে কেউ সাদিয়ানি, কেউ মওদুদিবাদি, কেউ জারজ বললেন।

 

সত্য হচ্ছে আপনারা কোন সমালোচনা নিতে পারেননা। এভাবে দুনিয়া চলেনা। আপনারা চান আপনাদেরকে মানুষ সেভাবে মানুক যেভাবে সাহাবারা নবি মানতো। অথচ এটা সম্ভব না।

 

বাকি কেউ জামাতি, কেউ চরমোনাই, কেউ মানহাযি, কেউ সাদিয়ানি ইত্যাদি পাইকারি ট্যাগ লাগাতে থাকেন। দেখেন সারা দুনিয়াকে এমবারগো দেওয়ার মানে হচ্ছে কেবল নিজেই এমবারগোতে পরা।

 

তবে অন্যদের এক ঘরে করতে করতে নিজেরা এক ঘরে হওয়ার সমস্যা কি শুধু কওমীদের। তাদের ঘরানাতো তাও বড়। কিন্তু মানহাযি ভাইরা কি করছেন? নিজেরা ছাড়া আপনাদের মিত্র কে? বৈশ্বিক খিলাফতের দাওয়াত দিয়ে নিজেরা ছাড়া কাউকে মিত্র বানাতে পারছেননা। শুধু শত্রুই বাড়িয়ে চলেছেন। আমির মুয়াবিয়া (রা) শামের খ্রিস্টানদের মুসলমানদের প্রতিরক্ষায় সাথে নিতে পেরেছেন। আলী (রা) এর দলে উসমানের হত্যাকারীদের অনেকেই ছিলো। কিন্তু আপনারা নিজেদের উগ্র, গোঁয়ার, অনমনীয়, রুঢ় দাওয়াতের মাধ্যমে ক্রমশ শত্রু ও বিরোধীদের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছেন। আপিনাদের দাওয়াতের আগে মাসুদ সাহেবের ফতোয়া সত্ত্বেও আপনাদের আন্তর্জাতিক কাজ নিয়ে মানুষের মাঝে সুধারণা বেশি ছিলো। কিন্তু আপনাদের দাওয়াত অনেক মাঝে থাকা মানুষকে আপনাদের শত্রু বানিয়েছে।

 

সত্য বলতে আপনাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞাশূন্য দাওয়াত থেকে আমি অনুমান করতে পারি এই ভূখণ্ডে আপনাদের ভবিষ্যৎ তেমন উজ্জ্বল না। আপনারা যদি আপনাদের কাটখোট্টা আকিদার সাথে ফিকহের কোমলতা এবং রাজনৈতিক মেধার সমন্বয় করতে না পারেন তবে আপনাদের ভবিষ্যৎ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টিগুলার মতো হবে। তর্কে জিতবেন কিন্তু আজীবন গনবিচ্ছিন্নই থাকবেন।

 

সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে এলায়েন্স করতে শিখতে হবে। এলায়েন্স করতে হলে ছাড় দিতে শিখতে হবে।

 

সাহাবা এবং তাবেঈদের মাঝে অনেকেই তাকওয়াবান হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতিতে অগুরুত্বপূর্ণ।

 

আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কি করতে চান? রাজনীতি আমির মুয়াবিয়া (রা) এর জন্য আবু জড় আল গিফারি (রা) এর জন্য না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই

 

১) তাবলীগের ইজতেমা কেন এমপি উদ্বোধন করবে? আমি মনে করি ইমাম মাহদিরও উচিৎ না ইজতেমা উদ্বোধন করা। এটা অরাজনৈতিক থাকা উচিৎ।

 

২) আমি এভাবে জোড়পূর্বক ইজতেমা প্রতিহত করার তীব্র নিন্দা জানাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কওমির আম্মু কথাটা স্টিলম্যান না বরং স্ট্রম্যান।

 

রুহুল আমি পুরাতন লীগার। তিনি কওমি মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ আইকন না। সেখানে বাকি যারা ছিলেন তারা নিশ্চুপ থাকা ইজমা বোঝায় না। কারণ সেখানে শুধু দিনার আর দিরহাম না (তরবারি যদি নাও থেকে থাকে) দোড়রা অবশ্যই ছিলো। মিহনাহর যুগে খুব কম উলামা আহমাদের মতো সহ্য করর হিম্মত রাখতো। আজকের যুগে সবাই সেটা নিতে পারার কথা না।

 

ট্রল, স্যাটায়ার করার জন্য অনেক শব্দ পাবেন কিন্তু আম্মু ব্যাপারটা আসলেই স্ট্রম্যান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চার মাযহাবের এক মাযহাব মানা ওয়াজিব। এব্যাপারে উম্মাতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ মুহাদ্দিস দেহলভি (রহ)

 

সংযুক্তিঃ স্মৃতি থেকে লিখেছিলাম। এটা হচ্ছে শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ রহ এর ভাষ্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা তাকি উসমানি, মাওলানা আব্দুল মালিকসহ উলামায়ে দেওবন্দ নিকাব ফরজ মনে করেন। আমি এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ দেওবন্দি আলিম এর নাম জানিনা যিনি নিকাব মুস্তাহাব মনে করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু ক্ষনের জন্য ধরে নেই যে, নিকাব মুস্তাহাব তথাপি কিছু শর্ত আছে। সেগুলো উল্লেখ না করা অবশ্যই খেয়ানত এবং নফসানিয়্যাত

 

১) ফিতনার আশংকা প্রবল হলে অবশ্যই তখন মাসলাহাতের কারণেই নিকাব মুস্তাহাব দূরে থাক মুবাহ এমনকি মাকরুহ হলেও সেই মুহূর্তে ওয়াজিব হতে পারে। যারা সারাদিন মাকাসিদুস শারিয়াহ নিয়ে অনেক কথাবার্তা বলেন তারা এখানে এসে মাকাসিদুস শারিয়াহ ভুলে যান।

 

ফিতনার আশঙ্কা প্রবল হওয়ার কিছু সুরত দেখি

 

ক) কোন মেয়ে খুব সুন্দর হলে ছেলেদের জন্য ব্যাপারটা মারাত্মক হতে পারে। উল্লেখ্য একজন পুরুষ অত্যন্ত সুন্দর হওয়ায় মদিনার নারীদের জন্য ফিতনার আশঙ্কায় উমার (রা) তাকে মদিনার বাইরে পাঠিয়ে দেন। অবশ্যই এর দ্বারা ওয়াজিব হারাম টাইপ কিছু প্রমান হয়না। তবে ফিতনা থেকে বাঁচা ফরজ।

 

খ) কোথাও কোন মেয়ের প্রেমিক কেউ উপস্থিত থাকলে। হতে পারে তার চেহারাই প্রেমিকের বুকে আগুন জালিয়ে দিচ্ছে।

 

গ) কোথায় লম্পট লোকেদের আধিক্য বেড়ে গেলে এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে গেলে।

 

২) নিকাব না পরার অনুমতি যদি আমরা দেইও তবু সাজগোজ, হাসাহাসি, পুরুষদের সাথে মোহনীয়ভাবে কথা বলার অনুমতি ইসলাম দেয়না।

 

৩) ইসলাম অবশ্যই অপ্রয়োজনে মেয়েদের বাড়ির বাহিরে যেতে নিরুৎসাহিত করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম (রহ) আজীবন ইখওয়ান ছিলেন। মৃত্যু পর্যন্ত ইখওয়ানকে ভালোবাসতেন। ইখওয়ান এর শাইখদের সাথে সম্পর্ক রাখতেন। তিনি শুধু শাইখ হাসানুল বান্না, সাইয়্যেদ কুতুবের ভক্ত ছিলেননা, শাইখ হাসান হুদায়বিকেও গভীরভাবে সম্মান করতেন। এমনকি কারদাওয়ীকেও। শর্ত সাপেক্ষে বিশেষ বাস্তবতার নির্বাচন এবং পার্লামেন্টে যাওয়া এবং পার্লামেন্টে ইসলামের পক্ষে কাজ করাকে বৈধ মনে করতেন। জামাতুত তাকফির ওয়াল হিজরা মিশরে ইখওয়ান এবং মুসলমানদের তাকফির শুরু করলে তিনি তার তীব্র নিন্দা করেন। হামাস প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি খুব খুশি হন। উল্লেখ্য তিনি ফিলিস্তিনি। তিনি সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর অভিমতকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। শাইখ বদিউজ্জামান নুরসি (রহ) এবং তাবলিগ জামাতের প্রয়াসের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তাদের সমর্থন করতেও পরামর্শ দিতেন।

 

তার ছাত্রদের মধ্যে বিন লাদেনও একজন। কিন্তু বিন লাদেনতো মুহাম্মদ কুতুবেরও ছাত্র।

 

প্রশ্ন হচ্ছে দেওবন্দিরা শাইখ আযযামকে যতটা মনে রাখলো ইখওয়ান এবং জামাত ততোটা রাখলো না কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামি দাওয়াতকে গনমুখী করার জন্য মাদ্রাসাগুলোকে খানকা বানানো বিশেষ জরুরী।

 

প্রাচীন সুফিদের মতো লঙ্গরখানা খোলা গেলে আম জনতার সাথে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব।

 

বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে সাফল্য পাওয়ার পেছনে দুর্যোগ আক্রান্ত জনপদে লঙ্গরখানা সেবা দেওয়ার একটা অবদান ছিলো। অথচ এটা কিন্তু বিশুদ্ধ ইসলামি সুফি কালচার যার ভিত্তিতে উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সাথে স্থানীয় দরিদ্র ও অসহায় জনতার মেলবন্ধন তৈরি হয়েছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামে গুপ্তচরের ফিকহ জাতীয় কোন কিতাব আছে?

 

গুপ্তচরদের মদ, নারী থেকে অনেক কিছু দরকার হতে পারে।

 

আবার নারী ব্যবহার করা পৃথিবীর যেকোন গুপ্তচর বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শুধু জামাতি ভাইদের বলছি,

 

দলীয় চিন্তা থেকে না ভেবে সামগ্রিক ইসলাম বিবেচনা করুন। অনুগ্রহ করে তর্ক করা বা জেতার মানুষিকতা কিছুক্ষণ বাদ দিন। মাঠে ঘুরে বিভিন্ন চিন্তার মানুষের সাথে কথা বলে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

 

দুইটি বিষয় মাথায় রাখুন,

 

১) মওদুদি রহ বা জামাতের বিরোধিতা করা কুফর না, রাসুলুল্লাহ সা এর বিরোধিতা করা কুফর। কেউ যদি অপবাদ দেয় তবে তা হারাম। কুফর না।

 

২) তাকফির এবং তাবদির প্রতিবন্ধকতা আছে। কেউ কুফর করলেই কাফির হয়না, যেকোনো শিরক করলেই মুশরিক না, বিদয়াত করলেই মুবতাদি না।

 

এখন ভাবুন।

 

কেবল অন্য ইসলামি দল না ১৬ কোটি মানুষের কথা বিবেচনা করুন। ধরেন জামাত ইসলামি দলগুলোর ভেতর সবচেয়ে ভালো। চরমোনাই সবচেয়ে খারাপ।

 

তবু কি আপনার মনে হয়না চরমোনাই পিরের দল যারা করেন তারা অন্তত ইমান, আকিদা, আমলের জায়গায় এদেশের অন্তত ১৩ কোটি মানুষের চেয়ে ভালো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গত শতাব্দীতে দুইটি বিখ্যাত আন্দোলন তাদের দাওয়াত এবং তাজদীদের ভিত্তি স্থাপন করে তাওহীদ আল হাকিমিয়্যার উপর। জামাত দুইটি হচ্ছে জামাত এবং ইখওয়ান। তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাহকে দীন এবং তাওহীদের মূল হিসাবে প্রথম অত্যন্ত শক্তিশালী থিসিস পেশ করেন উস্তাদ মাওদুদি (রহ)। উপনিবেশ এবং খিলাফত পতনের অভিজ্ঞতায় উম্মাহর আত্মমর্যাদাবান অংশের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ইসলামের ভিত্তিতে স্বশাসনের যে আকাঙখা তার তাত্ত্বিক বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে উস্তাদ মাওদুদি (রহ)। যদিও তার ধারণা প্রাথমিক হওয়ায় তাতে সীমাবদ্ধতা ছিলো। আল ইখওয়ান প্রায় একই সময়ে প্রায় একই ধরনের দাওয়াত শুরু করে। তবে তাদের দাওয়াত হাকিমিয়্যার বাইরের পরিসীমাকেও এড্রেস করতে সক্ষম হয়। সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহ পাশ্চাত্য জাহেলিয়াতের অবস্থা দেখেন এবং উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর লেখাও পাঠ করেন। উস্তাদ (রহ) এর লেখার বিরাট অংশ দলমত নির্বিশেষে সকল মহলে প্রশংসিত। খোদ তার কঠোর সমালোচক দেওবন্দিরাও তার অগনিত কাজকে অত্যন্ত উন্নত মানের কাজ মনে করে থাকে। সাইয়্যেদ কুতুব উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর কথার কিছু সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করলেও তার আলোচনা হাকিমিয়্যার সীমা অতিক্রম করেনি। ফলে অনেকেই তাকেও হাকিমিয়্যার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারী মনে করেছেন। কিন্তু আমি তা মনে করিনা। পুরো দীন নিয়ে কাজ করা কারও জন্যই সহজ না। দীনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বিভিন্নজন সময়ের প্রয়োজনে বেশি গুরুত্ব দিবেন সেটাই বাস্তবতা। এজন্যই কেউ আবু হানিফা, কেউ ইমাম বুখারি, কেউ সালাউদ্দিন আইয়্যুবি। যাইহোক ইখওয়ান ৭০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে আপোষের পথে হাঁটা শুরু করে। এমন অবস্থায় পূর্ববর্তী আলিমদের সমালোচনাগুলোকে ইখওয়ানের বিভিন্ন স্প্লিন্টার গ্রুপগুলো নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে গোঁজামিল দিতে ব্যবহারের চেষ্টা করে। অনেকক্ষেত্রে সমালোচনাকে বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে, অনেকক্ষেত্রে সমালোচনার দুর্বল অংশ আত্মস্থ করা হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে থিসিস এবং এন্টিথিসিসকে সমন্বয়ের ভিত্তি রাখা হয়েছে ইলম, হিকমাহ এবং পূর্ববর্তী উম্মাহর আদর্শের পরিবর্তে কাপুরুষতা, সুযোগসন্ধানী মানুষিকতা এবং ওয়াহানের উপর। ফলে নতুন সিনথিসিস ইসলামের বিশুদ্ধতার দিকে না হেঁটে মডারেট ইসলামের পরাজিত এবং বিকৃত চিন্তার দিকে হেঁটেছে। এধরণের সিনথিসির দ্বারা এদেশেও অনেকে প্রভাবিত হয়েছেন। এধরণের যেসকল চিন্তক উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এবং সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ (রহ) এর চিন্তার যেসব জায়গা নিয়ে আপত্তি তোলে তার প্রধান একটি অংশ হচ্ছে তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাহ। সাইয়্যেদ কুতুব (রহ) এর চিন্তা মূলত উস্তাদ (রহ) এর চিন্তার যথেষ্ট পরিশুদ্ধ রূপ। তবে উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এই ধারনার ভিত্তি স্থাপন করেছেন এবং অপেক্ষাকৃত অধিক সমালোচিত হয়েছেন তাই তার সমালোচনা হয়েছে বেশি। মডারেট গোষ্ঠী সেসকল সমালোচনাকে অপব্যবহারের প্রয়াস চালাচ্ছে। তাই এখানে আমি উস্তাদ (রহ) এর মূল ভুলগুলো ও তার সমালোচনা নিয়ে পর্যালোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

 

১) ইসলামি রাষ্ট্র ধারণা নিয়ে অনেকে সত্য মিথ্যা মিশ্রিত থিসিস উপস্থাপন করছেন। উস্তাদ মাওদুদি রহ টেকনিক্যালি ওরিয়েন্টালিস্টদের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে তাদের দ্বারাই কিছুটা পরাজিত হয়ে ইসলামি রাষ্ট্রকে ৩০ বছরে সীমিত করেছেন। এটা তার ভুল ছিলো। ইসলামি খিলাফত নির্ভর করে দুইটি মৌলিক শর্তের উপর।

 

ক) আল্লাহর সার্বভৌমত্ব

খ) মুসলমানদের তামকিন

 

সেই হিসাবে খেলাফতে রাশেদা থেকে উসমানি খেলাফত পর্যন্ত ইসলামি রাষ্ট্র ধরতে হবে। হ্যাঁ আমরা খিলাফতকে মোটা দাগে ভাগ করি।

 

১) খেলাফতে রাশেদা

২) খেলাফতে আম যা সালতানাত হিসাবেও পরিচিত হয়েছে বিভিন্ন সময়।

 

আমরা এধরণের বিভিন্ন ইমারত বা সালতানাত যা খলিফার নিয়ন্ত্রণহীন হলেও উপরোক্ত শর্ত পূরণ করেছে তাকে ইসলামি দাউলা হিসাবে স্বীকার করি।

 

এসকল রাষ্ট্রকে পাপাচারের আধিক্যের কারণে আমরা অনৈসলামিক রাষ্ট্র বলিনা।

 

তবে পাকিস্তান বা এমন নিওকলোনিয়াল স্যাটেলাইট জাতীরাষ্ট্রগুলোকে ইসলামি দাউলা মনে করতে পারিনা। কারণ এসব দেশে আল্লাহর স্বার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত না। সৌদি আরবকে আমরা ইসলামি দাউলা মনে করিনা কারণ একই। অনেকে আল্লাহর স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে বিতর্ক করতে চাইলে আমরা তর্ক এড়িয়ে বলতে পারি সেখানে তামকিন মুসলমানদের না বরং পশ্চিমাদের। তাই OIC ভুক্ত এসব জাতীরাষ্ট্রগুলো হচ্ছে মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র। মুসলমানদের জন্য এসব দেশের বাস্তবতা হচ্ছে দারুল কুফরে থাকা মুসলিম কাফেলা বা মুসলিম বসতির মতো।

 

ফলে যারা উস্তাদ (রহ) এর সমালোচনা করে জাতীরাষ্ট্রগুলোকে ইসলামি রাষ্ট্র বলেন তারা মূলত নির্বোধ, প্রায়ই অর্ধশিক্ষিত। অনেকেই অসৎ। কারও কারও ব্যাপারে সুধারণাবশত বড়জোর বলা যায় যে, তিনি প্রতারক কলোনিয়াল এজেন্টদের মুখোরোচক কিছু বাক্য এবং ফ্রেজে প্রতারিত হয়েছেন। অথবা কোনো কারনে মাযুর।

 

২) হাকিমিয়্যা নিয়ে উলুহিয়্যার সাথে সম্পর্ক নিয়ে আমি পুর্বেও লিখেছিলাম। লিংক কমেন্টে। এখানেও উস্তাদ মাওদুদি (রহ) প্রচুর ভুল করেছেন। সেজন্য সমালোচিতও হয়েছেন।

 

তার আলোচনায় তাওহীদের ভিত্তি ও সেন্ট্রাল পয়েন্টে এসেছে হাকিমিয়্যা। শুধুই তাই না কার্যত তার চিন্তার ফলাফল এটাই হয়েছে যে পাঠকের মনে হয়েছে, হাকিমিয়্যাহই তাওহীদের ৯৫ শতাংশ কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই তেমন না। বরং আল হাকিমিয়্যা তাওহীদের ভিত্তি বা প্রধান অংশ না বরং উলুহিয়্যা এবং রবুবিয়্যাহ হচ্ছে এর প্রাণ। কিন্তু তাওহীদ আল হাকিমিয়্যা উলুহিয়্যা এবং রবুবিয়্যার অনিবার্য পরিনতি। তাওহীদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই বিচ্যুতি জামাত কর্মীদের মানস জগতে অনেক সমস্যা তৈরি করেছে। তারা ইসলামের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠার লড়াইকে ইসলামের একমাত্র না হলেও ৯৫ শতাংশ মনে করে থাকেন। আকিদার সংশোধন, আত্মশুদ্ধি প্রভৃতিকে তারা অস্বীকার করেননা। তবে তাদের মতে এগুলো একটি ইসলামি রাষ্ট প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে প্রস্তুতি এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরে তার স্থিতি রক্ষার উপকরণ মাত্র। সালাত, সাওম প্রভৃতি মাকছাদের পরিবর্তে আসবাবে পরিনত হয়।

 

এই থিসিসের বাস্তব ফলাফলগত সমস্যা দাঁড়ায় তখন যখন কোথাও আপাতত ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না হয় বা তার জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের প্রয়োজন হয়। তখন ইসলামের অন্যান্য কাজগুলোকে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে থাকে। আকিদার পরিশুদ্ধি গুরুত্ব পায়না। অরাজনৈতিক আত্মশুদ্ধি নিয়ে উপহাস করা হয়। নফলগুলো আবেদন হারায়। দাসত্ব ছাড়া আল্লাহর সাথে অন্য সম্পর্কগুলো হারিয়ে যায়। তারপর ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বা রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অনেক হুকুম আহকামে ছাড় দেওয়া শুধু না ছাড় দেওয়ার দার্শনিক যৌক্তিকতাকে নিজেদের ফিকহি এডাপশনের অংশে পরিণত করা হয়। এই কমপ্রোমাইজ শুধু ফিকাহয় না বরং আকিদাতেও করা শুরু হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এতো কিছু করেও কুলানো না গেলে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রয়োজনে তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাকেই অপ্রয়োজনীয় ঘোষনা করা হয়। কারণ তাদের আকিদায় আগেই আল্লাহর সাথে তায়াল্লুকের চেয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্র ক্ষমতা বড় হয়ে গিয়েছে। ফলে যেখানে তাদের রাজনীতি অথবা ইসলাম একটা ছাড়তেই হবে সেখানে তারা আগে ইসলাম ছাড়ে। রাজনৈতিক স্বার্থে তারা যেকোনো খারাপ কাজ করতে থাকে। এজন্য বিভিন্ন তাবিলও অবশ্য করে। মাওলানা মানযুর নোমানির ভাষায়, অন্যরা যেকাজ হারাম মনে করে করে তারা সেসব খারাপ কাজ সোয়াবের নিয়্যাতে করে।

 

অর্থাৎ এই হাইপোথিসিসের অনুসারীরা সাধারণত যেকোনো বিরুপ পরিস্থিতিতে ইসলামের যেকোনো বিধান ছেড়ে দিতে রাজি কিন্তু রাজনীতি ছাড়তে রাজি হবেনা।

 

এছাড়াও ইসলামের অন্যান্য অংশকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ বা রাজনৈতিক সামর্থ্য অর্জনে দীর্ঘ অরাজনৈতিক প্রস্তুতি নেওয়া তাদের আকিদার কারণে অসম্ভব হয়ে উঠে। যারা তেমন কৌশল অবলম্বন করেন তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাও এমন চিন্তার ব্যাক্তিবর্গের দ্বারা হরহামেশাই সংঘটিত হয়।

 

তবে সমালোচকদের অনেকেরই বিচ্যুতি হচ্ছে তারা তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাকে যদি অস্বীকার নাও করে থাকেন তবে অগুরুত্বপূর্ণ বানিয়ে ফেলেন। তারা তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাকে বড়জোড় শুধু মুস্তাহাব বানিয়ে ফেলেছেন। আজকাল অবশ্য কেউ কেউ তাওহীদ আল হাকিমিয়্যা বিদয়াত বলার মতো অজ্ঞতা এবং কুফুরি বাক্যও উচ্চারণ করছেন।

 

উস্তাদ মাওদুদি (রহ) গত শতাব্দীতে আল আহকামুস সুলতানিয়া বিষয়ক প্রধান ইসলামি চিন্তাবিদদের একজন। তাকে অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা দরকার। তবে তার চিন্তার ইলমি সমালোচনাকে কোন কায়েমি স্বার্থবাদি অসাধু অথবা স্বল্প শিক্ষিত সরল গোষ্ঠী মুসলমানদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে এবং তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাকে অস্বীকার করতে ব্যবহার করতে না পারে সেব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কলরব বলেন, চরমোনাই বলেন।

 

সমালোচনা করেন, তবে বাতিলের খাতায় ফেলেননা।

 

মাঠে ঘুড়ে দেখেন। তারা তুলনামূলক অনেক ভালো। তাদের বাতিল করে দিলে হক হারিকেন দিয়ে খুঁজতে হবে।

 

এভাবে ইসলামি আন্দোলন শক্তি পাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মার্কেট ধরা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আপাতত মার্কেট খারাপ না। চিনি নিয়ে একটা ফালতু পোস্টে প্রায় ৮০ এর উপরে রেসপন্স পাচ্ছি।

 

ব্যাবসার কিছু টেকনিক আছে। সকল গ্রুপ থেকে লাইক যোগাড় করা সহজ না।

 

একটা জিনিস খুব উপভোগ করি। কেউ আমাকে নিজের গ্রুপ মনে করেনা। সম্ভবত দেওবন্দিদের অনেকেও না। তারাও আমাকে কেউ ছুপা সাদিয়ানি, ছুপা জামাতি ভাবে। অবশ্য শাইখ মাসুদের দালাল হিসাবে অনেক মহলে আমি চিহ্নিত। কিন্তু কেউ আমাকে ফেলে দিতেও রাজিনা। যাদের গালাগালি করি তারা সাধারণত আমাকে ব্লক করতে রাজি হন না। অনেক আজে বাজে কথা বলি। অন্য কেউ বললে কিছু মানুষ হয়তো তাকফির করতো। কিন্তু আমাকে করেনা। যেসব আজে বাজে কথা বলি তারপরও কিছু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ আমার লেখা পড়েন।

 

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি পর্যবেক্ষণ করছি যে যদিও আমি চাই না বিগিনাররা আমার লেখা না পড়ুক তবুও অনেকেই পড়ছে। অনেকেই অনেক সাধারণ জিনিস জানেননা। যেমন ধরেন অনেকের ধারণা মাযহাব মানা মানে চোখ বন্ধ করে মাযহাব মানা। আবার কিছু মানুষের ধারণা কুরআন হাদিস অনুযায়ী ইজতিহাদ যার ইচ্ছা সে করতে পারে। অনেকের ধারণা সহীহ হাদিস হলেই হয়। কারও ধারণা এখতেলাফ থাকলেই প্রত্যেক টম ডিক এন্ড যেকোনো মত বেছে নেওয়ার অধিকার পেতে পারে। এগুলো কেবল একটা সেক্টরে বললাম। জ্ঞানের সকল শাখায় মানুষের জমহুরের অবস্থা এমনই। আবার অনেকে এক ইস্যু ভালো বোঝে আরেক ইস্যু ভালো বোঝেনা। ফলে সবাইকেই আমি লেখা পড়ার একসেস দেই। কিন্তু আমার লেখার সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে লেখায় প্রচুর তাউরিয়া থাকে। অনেক বক্তব্য অসম্পূর্ণ থাকে।

 

ফলে ভাই আপনাদের অনুরোধ আমার বক্তব্যের জাহেরি শব্দ দেখে কোনো সিদ্ধান্তে না পৌছানোর অনুরোধ করছি। কমেন্টে জিজ্ঞেস করুন। দরকার পরলে ইনবক্সে জিজ্ঞেস করুন

 

আমি ইনশাআল্লাহ

১) ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা করবোনা

২) জানিনা বলতে দ্বিধা করবোনা

৩) জানলে চেষ্টা করবো জানাতে

৪) কোন কারণে ব্যাখ্যা করতে অনিচ্ছুক হলে বলবো পোস্ট ইগনোর করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চিনি বেশি খেলে ডায়বেটিস হয় এটি একটা ভুল ধারণা।

 

তবে ডায়বেটিস হওয়ার পর চিনি বেশি খেলে ক্ষতি হয়।

 

ডিসক্লেইমারঃ এটা একটা হেলথ টিপস। রাজনীতির সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বেশ কয়েকদিন থেকে দেখছি বিএনপির কোন বাটপার এমপি সংসদে কি বলেছে তা নিয়ে ধন্য ধন্য পরে গিয়েছে।

 

আমি বামপন্থীদের কাছেও অনেক কিছু শিখেছি। তার মধ্যে একটা হচ্ছে, রাজনীতিতে যারা ধর্মের ব্যবহার করে তারা অনেকেই ধর্ম ব্যবসায়ী। তৃতীয় বিশ্বের অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে শোষনের বড় হাতিয়ার ধর্ম। কারণ ধর্ম ব্যবহার করে এসকল মূর্খদের সহজেই বোকা বানানো যায়।

 

সেই লোকের বক্তব্যে প্রচুর রাজনৈতিক, সাংবিধানিক এবং ধর্মীয় ভুল ছিলো। কিন্তু তা পর্যালোচনার সামান্য ইচ্ছা আমার নাই। কারণ সেখানে সে ভদ্রলোক যদি বিদায় হজ্জের ভাষণ বা আবু বকর (রা) এর খিলাফতের উদ্বোধনী ভাষনও পড়ে শোনাতো তবু তার প্রশংসা করতাম না, প্রশংসাকারীদের বলদ ভাবতাম।

 

ইসলামের জায়গা না হয় বাদই দিলাম। নির্বাচন নিয়ে এতো কথা বলার পরে শপথ নিয়ে রাজ্যের নিন্দা এক ভাষণে প্রশংসায় রূপ নিলো। ফলে কি হলো মানুষ কিন্তু একটা প্রাণবন্ত সংসদ পেলো।

 

বেশি কথা বলতে চাইনা। এখন আইন কানুন অনেক চড়া। বিএনপির এমপি বলে বললাম। অন্য কেউ হলে চুপ থাকতাম।

 

মহামতি কার্ল মার্ক্সের মতে, ধর্ম হচ্ছে আফিম শাসকরা ধর্মের আফিম খাইয়ে জনগণকে শোষণ করে। আমি কার্ল মার্ক্সকে অসম্ভব পছন্দ করি। তাই তার কথার সাথে একমত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এরদোয়ান মুরিদদের বলছি, আপনাদের সুলতান নিয়ে আপনারা থাকেন আমার কোন আপত্তি নাই। পুরা তুরস্ক সে নিয়ে নিক, শাম বেঁচে দিক, সোমালিয়া দালালি করুক, রাজ প্রাসাদ বানাক, হেকমতের নামে গায়িকাদের হাগ দিক কোনো কিছুতেই আপত্তি নাই

 

কিন্তু

 

কুত্তার বাচ্চা যেনো আমার হালিমার গায়ে হাত না দেয়।

 

হাত কাইট্টা ফেলবো কইতাছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইমাম আশ শাওকানির পূর্বে হাজার বছরে জাহেরিরা ব্যাতিত একজন আলিমের নাম বলুন যিনি কোন মাযহাব মানতেননা।

 

উল্লেখ্য ইমাম ইবনে তাইমিয়া, মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব হাম্বলি ছিলেন।

 

ইমাম শাওকানি প্রথমে যায়েদি ছিলেন এবং যায়েদি রাষ্ট্রের কাযি উল কুযাত ছিলেন। ফলে তিনি অন্য মাযহাবের হতে পারতেননা। তিনি নিজেকে মুজতাহিদে মুতলাক দাবি করেন। এব্যাপারে ইজমা আছে মুজতাহিদের জন্য মাযহাব মানা ওয়াজিব না। বিরাট অংশের মতে তাহকিক করার সময় সুযোগ থাকলে যায়েয না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জুলাই, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

হেজাজে ইজরায়েলের দুতাবাস খোলা নিয়ে অনেকে চিন্তিত। কিন্তু একজন মোসাদ এজেন্ট হিসাবে অন্য কাফেরদের চেয়ে ইহুদিদের প্রতি আমার বাড়তি বিদ্বেষ নাই।

 

MBS হেজাজে থাকতে পারলে ইহুদিরা বা ইজরায়েলের দুতাবাস থাকলে কি সমস্যা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যাদের মেয়েরা লেখাপড়ায় তেমন ভালো না তারা কেন বিয়ে না দিয়ে মেয়েকে MA বা BA পড়ান বুঝিনা।

 

আমি কাউকে ছোট করতে চাচ্ছিনা। তবে বাস্তবতা হচ্ছে বিরল ব্যাতিক্রম ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করে বা ডিগ্রি পাশ করে কোনো মেয়ে পেশাগত ক্ষেত্রে আহামরি কিছু করতে পারেনা। তাহলে বাবা মা এমন মেয়েদের ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পরেই বিয়ে দেয়না কেন? অন্তত ১৮-১৯ বছরের মেয়ে সেক্সুয়ালি মাচ মোর এট্রাকটিভ। বলে ভালো একটা বিয়ে দেওয়া সহজ হয়। এটাও একটা ক্যারিয়ার।

 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সাবজেক্ট বা ডিগ্রি পড়ার ক্ষেত্রে সময় নষ্টও হয় তুলনামূলক অনেক বেশি। পারিবারিক বোঝাপড়া থাকলে এই ফাঁকে খুব সহজে একটা মেয়ে সংসার করতে পারে। বেশি দরকার মনে করলে দুই তিন বছর কনডম ব্যাবহার করলে পড়াশোনা অনেকটা এগিয়ে যায়। কারণ সাধারণত পড়া শেষ করে বুড়ো বয়সে বিয়ে করেও ফ্যামিলি প্ল্যানিং করে দুই তিন বছর পর বাচ্চা নেওয়া একটা ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। তাতে আজকাল প্রচুর মেয়ে ২৮-৩০ বছর বা আরও পরে মা হয়। কিন্তু ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে বিয়ে করে বাচ্চা নিতে চার পাঁচ বছর দেরি করলেও ২৩-২৪ বছরে বাচ্চা নেওয়া যায়। পাশাপাশি অনেক রকম সংকট থেকে উদ্ধার হওয়া যায়।

 

অভিভাবকরাও অনেক উটকো ঝামেলা থেকে মুক্তি পান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সামান্যতম সহিংসতার বিরুদ্ধে। সমসাময়িক বাংলাদেশে এসব অর্থহীন। তাছাড়া বিগত ২৫-৩০ বছরে ইসলামপন্থীরা কোনো সহিংসতাকে সঠিকভাবে ম্যানেজ করতে অক্ষম তা প্রমানিত। বিভিন্ন কারণে আমি রাজনীতিতে আপাতত গান্ধিবাদী। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সক্ষমতা, যোগ্যতা এবং সীমাবদ্ধতা আমি জানি। তাদের বাগাড়ম্বরের লক্ষ্য উদ্দেশ্য আমি বুঝি। কিন্তু আমার ছোট একটা প্রশ্ন ছিলো।

 

দূতাবাস ঘেড়াও কর্মসূচি যা হওয়ার কথা ছিলো তা হয়েছে। এখন শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ফলোআপ কি হবে? নাকি আল্লাহ দেখেছে আমরা হাত পা ছুঁড়ে স্লোগান দিয়েছি। অতএব দায়িত্ব শেষ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আহলে হাদিস নামে পরিচিত গোষ্ঠীটি এদেশে যেসব বড় ধরনের ভুল ধারণা প্রচলন করেছে তার মাঝে একটা হচ্ছে জয়িফ হাদিস মানেই পরিত্যাজ্য।

 

তাদের প্রচারণা প্রোপাগান্ডার ফলে একদল মানুষ জয়িফ হাদিস এবং মওযু হাদিসের কার্যত কোনো পার্থক্যই করেনা।

 

এই সাজ মতটি মূলত জনপ্রিয় করেছেন শাইখ আলবানি (রহ)। হ্যাঁ তার পূর্বেও এই মত কারও কারও ছিলো তবে জমহুর মুহাদ্দিসিন এবং ফকিহ জয়িফ এবং মওযু হাদিস এর পার্থক্য উপলব্ধি করতেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গতকাল থেকে ইসলামি আন্দোলনের গনমিছিল সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস না দেখানোতে অনেকে ভাবছেন আমি এর বিরুদ্ধে। আসলে তা নয়। আমি প্রোগ্রামটিকে পুরো ফায়দাশূন্য মনে করিনা। এর কিছু উপকার আছে। তার মাঝে একটা হচ্ছে সাধারণ ঢাকাবাসির সচেতনতা লেভেল বৃদ্ধি পাওয়া। তাছাড়া কর্মীদের চাঙ্গা রাখায় এধরণের প্রোগ্রামে কাজ হয়।

 

তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এসব প্রোগ্রাম করে দলের কর্মীদের মাঝে একটা আত্মতুষ্টি তৈরি হয় যে দায়িত্ব আদায় করে ফেলেছি। কিন্তু না করতে পারার ব্যাথাও একটা দরকারি সম্পদ। তাছাড়া এসব মাঠের কর্মসূচি বর্তমানে এবং আসন্ন দিনগুলোতে খুব ফায়দা দিবেনা। তাই ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের উচিৎ মানব সম্পদ উন্নয়নে আরও গুরুত্ব দেওয়া। সাধারণভাবে মুসলমানদের অর্থনৈতিক এবং একাডেমিক সামর্থ্য তৈরি করা। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের ব্যাপারে কিভাবে ভারত নির্ভরতা কাটিয়ে উঠা যায় তা নিয়ে সাংগঠনিকভাবে কাজ করা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা সোজা কথা বলি। মতাদর্শগত দিকগুলোর উর্ধ্বে উঠে আমি বাস্তব জায়গা থেকে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের উপর কবে আস্থা হারিয়েছি?

 

আটরশিপন্থী খতিব বিরোধী আন্দোলনের সময়। তখন আমি নিশ্চিত হই যে তাদের সকল বড় বড় হুমকি ধামকি আসলে ফাপর যার কোনো এসেন্স নাই। এরপরে কোনোদিন তাদের রাজনৈতিক বক্তব্যকে সিরিয়াসলি নেইনি।

 

হ্যাঁ তাদের ইসলাহি এবং দাওয়াতি কার্যক্রমকে আমি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। তাদের ব্যাপারে অনেকে অনেক কথা বললেও তাদের কেবল আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত মনে করিনা বরং আহলে সুন্নাহর উন্নত এক অংশ মাসলাকে দেওবন্দের অন্তর্ভুক্ত মনে করি যদিও সমালোচনা ও ভিন্নমত আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আগামীকাল ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের গনমিছিল দুতাবাসের বহুদূরে থামিয়ে দেওয়া হবে। প্রোগ্রাম সফল করতে দেওয়া হলে একজন স্বারকলিপি দিয়ে আসবে। ফলাফল উম্মাহ তৃপ্তি পাবে তারা কিছু করলো। এই কিছু করা গেলো তেমন ঝামেলা ছাড়া। আল্লাহও খুশ বান্দা ট্রাই করেছে, বান্দাও খুশ তারা আল্লাহকে খুশ করার ট্রাই করলো।

 

আমি অবশ্য যাবোনা। আমার রোদ্র সহ্য হয়না। আমার মনে হয় কালকের মিছিলের হুযুরেরা সবাই একটা করে গাছ লাগালে রাস্তায় হাঁটার পরিবেশ তৈরি হতো। আচ্ছা আমিতো আল্লাহর বান্দা। আমি আরাম পেলে আল্লাহ তাদের সোয়াব দিতেননা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রথম বিয়ের বাসরে যে ফিলিংস পাওয়া যায় সেই একই রকম ফিলিংস কি মাসনার বাসরেও পাওয়া যায়?

 

মেয়েদেরও কারও ২য় বিয়ের অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করতে পারেন।

 

পোস্টটা মাসনা সুলাসা রুবায়া গ্রুপে দিয়েছিলাম। তারা ডিলিট করে দিলো।

 

প্রশ্নঃ

 

১) ফিলিংস বিষয়ক উপরের প্রশ্ন।

২) তারা পোস্টটা ডিলিট করলো কেন? এমন সুড়সুড়িতো তাদের পোস্টগুলোতে প্রায়ই থাকে।

 

লাইক, কমেন্ট, শেয়ার দিয়ে সাথে থাকুন এবং মাঝে মাঝে এমন সুড়সুড়ি পেতে আমাকে সি ফার্স করে রাখুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পরিবর্তিত সময়ের পায়ের আওয়াজ যারা খুব ধীরে পায় তারা বিলুপ্ত হওয়া উচিৎ। বাস্তবতা হচ্ছে কোন দাবি আদায়ে আন্দোলন এখন আর সাধারণত খুব বেশি কার্যকর হবেনা। আন্দোলনের যুগ শেষ৷ হ্যাঁ জনসচেতনতা তৈরিতে কখনো অবদান রাখতে পারে।

 

চাঁদপুরি হুজুরের গেফতারের কারণ যদি নিছক সেই ভাইরাল পোষ্টই হয়ে থাকে তবে তা নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আন্দোলন দাবি করা অর্থহীন। তবে এধরণের ইস্যুতে ইসলামি দলগুলোর করনীয় অবশ্যই আছে। আর তা হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা এবং প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে যোগাযোগের ভিত্তিতে তাঁর মুক্তির চেষ্টা করা।

 

কিছু হলে এভাবেই হবে নয়তো আবেগি আস্ফালন হুজুরের বিরম্বনা সামান্য কমাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিভিন্ন ফিতনায় পাকিস্তান সরকার সর্বদাই পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। পাকিস্তানে মুনকিরে হাদিস ফিতনার কর্ণধার অনেকেই আইয়্যুব সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। মুসলমানদের পারিবারিক আইনে ইসলামি ধারার সাথে কুফর মেশানোও পাকিস্তান ভারতের চেয়ে অনেকগুন অগ্রগামী। আজও জাভেদ আহমেদ গামিদির মতো মুলহিদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা যায় ইমরান খানের মতো কবরে সিজদাহ দানকারি মুশরিকদের।

 

পাকিস্তানের আইএসআই ইসলামের শত্রুতায় যেসব কাজ করে তার মাঝে একটা হচ্ছে একদল ইসলামি বুদ্ধিজীবী পালা যারা ওরিয়েন্টালিস্টদের মতো ইসলামকে পড়াশোনা করে বিকৃত ইসলাম তুলে ধরবে। এজন্য পাকিস্তানের বিশাল আয়োজন সর্বদাই ছিলো। এই কাজে জামাতি অনেকের ব্রিটেনে মাটির নিচে মাদ্রাসার গালগপ্প না পাকিস্তানের জমিনে প্রকাশ্যে অনেককে পাওয়া যায়। তারা মোসাদ বা র না আইএসআই এজেন্ট। এসব ইসলামের দুশমনদের অন্যতম ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আলী মির্জা। সে এমন একটা ইসলামের বিস্তার ঘটাতে চেষ্টা করছে যা পাকিস্তানের বিদ্যমান স্ট্যাটাস ক্যু এর জন্য সহায়ক। এজন্য তার দাওয়াতে আপনি পাবেন শাতিমের জন্য উদারতা, ইকদামি লড়াইকে খোলাফায়ে রাশেদার পরে মানসুখ দাবি করা, খোলাফায়ে রাশেদিনের পরে খুলাফাদের খেলাফত অস্বীকার করা, শিয়াদের প্রতি সহনশীলতা তৈরির দাওয়াত, বদরি এবং বাইয়াতে রিদওয়ানের সাহাবা মুগিরা বিন শোবার নামে বিশেদগার এবং শিয়া তোষনে তার নামে মসজিদ, মাদ্রাসা তৈরির নিন্দা করা, উলামায়ে দেওবন্দ, উলামায়ে রেজাখানি, উলামায়ে আহলে হাদিসের নিন্দা করা কিন্তু শিয়াদের নাম ধরে নিন্দা করা থেকে এড়িয়ে যাওয়া, মাওলানা ইসহাক খান নামে একজন প্রোশিয়া আলিমকে প্রোমোট করা, সাহাবা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে ইমরান খানকে সমর্থন জানানপ প্রভৃতি কাজ সে করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। পাকিস্তানের উলামায়ে কেরামের কেউ কেউ তাকে নিয়ে সচেতন হয়েছেন তবে সতর্কতার মাত্রা অত্যন্ত কম। সে কখনো বড় কোনো দল গড়তে পারবেনা, গড়বেওনা। কিন্তু মুসলমানদের অন্তরে শুবুহাত ঢুকাবে। এভাবে পাকিস্তানের জালিম শাসকদের বিরুদ্ধে উলামায়ে পাকিস্তানের প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল করতে চেষ্টা করবে। রাষ্ট্রের মাঝে সুন্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে।

 

পাকিস্তানে স্পষ্ট ভাষায় তাকে অনেকে আইএসআই এজেন্ট বলে অভিযোগ করেন। সে নিজেও তার এক বক্তব্যে অভিযোগের অস্তিত্ব স্বীকার করেছে তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোনো আন্ডার কাভার এজেন্ট নিজেকে এজেন্ট বলেনা। তার প্রত্যেক কাজ পাকিস্তান রাষ্ট্র এবং এজেন্সিদের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

 

বাংলাদেশে তার অডিয়েন্স আছে। অনেকে তার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। আলে গাজী সাহেবও তার দ্বারা প্রভাবিত। সম্ভবত তার সাহাবাবিদ্বেষী অবস্থান তৈরিতে এই ব্যাক্তির প্রভাব আছে। হ্যাঁ তার বক্তব্যে দলিল আছে তবে সেই দলিলের গভীরতা কম এবং ব্যাবহার বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তাড়িত। তাই তার ব্যাপারে বাংলাদেশি মুসলমানদের সতর্ক হওয়া উচিৎ। বিশেষত উলামায়ে কেরামের প্রস্তুতি থাকা দরকার। কারণ তার তৈরি করা শুবুহাত এদেশে ছড়াবে। তার জবাব তৈরি রাখুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেশে এখন দুই রকম মেয়ে দেখা যায়। বোরকাওয়ালা এবং ওড়না ছাড়া। কাল একটা মেয়ে দেখলাম। বয়স আনুমানিক ১৫-১৬। সাথে ছেলেটা ভাই না বন্ধু জানিনা। তবে মেয়েটা অসম্ভব সুন্দর। ওড়না ছিলোনা। সাধারণত এভাবে কারও দিকে ২য় বার তাকানো হয়না। কিন্তু তাকাতে হলো। মেয়েটার জন্য দুঃখ হলো। তার তকদিরে নির্ধারিত স্বামীর জন্যেও। তারা এই ভড়া বসন্তে ফুলবাগানে কুতকুত খেলার সুযোগ পাচ্ছেনা। তখন পাবে যে বয়সে শোয়েব আক্তার ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গাজওয়াতুল হিন্দের টাইমলাইন নিয়ে হাদিসকে জয়িফ বললেই কিছু ছেলে হাউকাউ শুরু করে। বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর। যারা হাদিসের কিছুই বোঝেনা তারা পলিটিক্যাল উদ্দেশ্যে মুহাদ্দিসদের জোড় করে হাদিসের মান নির্ধারন করানো একটা জঘন্য ব্যাপার। বিশেষত যারা হাদিসের কিছুই বোঝেনা তারা যখন মুহাদ্দিসদের সাথে হাদিসের মান নিয়ে তর্ক করে তখন তা কেবল রাজনৈতিক মতাদর্শগত কারণেই করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা সাইদির মতো দরবারি আলিম আপনার প্রিয় হলে মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ আমার প্রিয় হলে কি সমস্যা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের রাজনৈতিক চিন্তার প্রধান সমস্যা ১৭৫৭ কে মূল্যায়ন করতে না পারা। ১৯৭১ বা ১৯৪৭ কোনোটাই ১৭৫৭ ক্ষতিপূরণ ছিলোনা। সেই ক্ষত কখনো পূরণ হয়নি। চিকিৎসাহীন ক্ষত যে বিপদগুলো ঘটাতে পারে তার সবটুকুই আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে। আমি উলামাদের প্রতি ধর্মীয় ব্যাপারে আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। তবে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণে তারা সাধারণত দুর্বল। এটা ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রেও সত্য। এমনকি মূলধারার আওয়ামী লীগ, বিএনপির ক্ষেত্রেও।

 

১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা মূলত কলোনিয়াল কাঠামোর রিস্ট্র‍্যাকচারিংয়ের চেয়ে বেশি কিছু ছিলোনা। এই ফাঁদে কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, থানভি, মাদানি, কৃষক প্রজা পার্টি সবাই ফেঁসে গিয়েছিলো। ভারতবর্ষের শেষ স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিলো রেশমি রুমাল আন্দোলন। তারপরে সবকিছু ছিলো কলোনিয়াল প্রভুদের সাথে আভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া।

 

ব্রিটিশরা বাংলা, বিহার, উড়িশ্যা বিজয়ের ১৫ বছরের ভেতর সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত সংখ্যা ১ কোটি মানুষ মেরে ফেলে। এতে বাংলা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সকল প্রতিরোধ চূড়ান্ত দুর্বল হয়। তারপর লাখেরাজ জায়গির বাতিল করা হয়, নতুন শিক্ষাধারা চালু হয়, ফৌজদারি, দেওয়ানি আইন পরিবর্তন করা হয়। এমনকি স্থানীয় জনগণের ধর্ম প্রভাবিত পারিবারিক আইনে বিশেষত হিন্দু আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। নতুন ধারার অবকাঠামো নির্মান করা। ব্রিটিশ স্ট্রাকচার এবং মোঘল স্ট্রাকচারের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। এতো কিছু করেও অন্তত ১৮৫৭ পর্যন্ত আযাদির চেতনাকে পুরো দমন করা যায়নি। ১৮৫৭ এর পরে প্রাশাসনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। CRPC, CPC, police, BDR সবকিছু নতুন করে বানানো হয়। এককথায় আমূল স্পংস্কারের প্রয়াস ছিলো সর্বত্র। এই আগ্রাসনের মুখে সবাই নতুন বাস্তবতায় নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করেছে। এমনকি উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর মতো মানুষও যে এন্টিওরিয়েন্টালিস্ট সংগ্রাম করেছেন তারও উপসংহার এই কলোনিয়াল রিস্ট্র‍্যাকচার অনিবার্য। একে ভেঙে পুরানো ধারায় ফেরত যাওয়া যাবেনা। এই কাঠামোকে নিজের মতো করে সংস্কার করতে হবে। আধুনিক জামাতিরা যাকে বলে যুগের সাথে তাল মেলানো। এই সর্বগ্রাসী কলোনাইজেশন অমাবস্যার অন্ধকারে মাদ্রাসাগুলো এবং তাসাউফের সিলসিলাগুলো পুরানো ধারা ধরে রাখতে চেষ্টা করে। তারা প্রিকলোনিয়াল যুগের সনদে নিজেদের নিসবত করে, মাদ্রাসা শিক্ষার নামে যথাসাধ্য একটা ডিকলোনাইজড একটা শিক্ষাধারা টিকিয়ে রাখে যেখানে প্রিকলোনিয়াল বই পুস্তক পড়ানো হয়। পোষাক পরিচ্ছদে কলোনাইজেশন এড়াতে চেষ্টা করে। এখনো ইংরেজি বা ফ্রেঞ্চ এর চেয়ে আরবিকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে। এমনকি বহুদিন পর্যন্ত এই ধারার লোকেরা ইউনানি হারবাল হেকিমি চিকিৎসাকে গুরুত্ব দিতো। ফলে এই ধারা একটা ডিকলোনাইজড ধারা টেকাতে চেষ্টা করে। এই পুরো লড়াইকে অনেকে প্রাচীনপন্থা, সেকেলে, অনাধুনিক বলে প্রচার চালায় কিন্তু কিছু ভুল ভ্রান্তি সত্ত্বেও এই ধারার মাঝেই আজাদি চেতনার অবশেষ বিদ্যমান। জ্ঞানপাপি এবং বৌদ্ধিকভাবে পরাজিতরা ভুলে যায় রেনেসাঁস হচ্ছে প্রাচীন গ্রীক রোমান জ্ঞান বিজ্ঞানের পুনরুজ্জীবন। তারা যেভাবে মুসলিম সুলতানি আমলকে নাক সিটকায় সেভাবে কিন্তু সকরেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল বা স্পার্টাকাসের দাস বিদ্রোহ নিয়ে নাক সিটকায় না। সেই চেতনাকে আধুনিক ইউরোপের পরিশীলিতভাবে বাস্তবায়নে প্রয়াস আজও বিদ্যমান।

 

একটা লড়াইয়ে কোনো জরাজীর্ণ প্রাসাদ ভাঙার আগে আমাদের একটা মডেল দরকার যে আমরা কি এই অবকাঠামো ভেঙে কি বানাতে চাই। ১৯৪৭ সালে যা অর্জন হয়েছিলো বড়জোড় তা লক্ষ্য পর্যন্ত পৌছানোর একটা মঞ্জিল হতে পারে, লক্ষ্য নয়। তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ছিলো সুলতানি আমলে ফেরত যাওয়া। ইসলামি তাহরিকের অনেক ভক্তবৃন্দ দাবি করতে পারেন যে ব্যাপারটা তেমনই ছিলো। আমি বলবো না তা ছিলোনা। তারা তাদের রাজনৈতিক দাবি দাওয়ার সময় এসব কথা পরিস্কার করে বলতেননা। ফলে জনমানসে সুলতানি আমল না বরং একটা নিও কলোনিয়াল রিপাবলিক পাকিস্তানের স্বপ্ন তৈরি হয়েছে। তারা মানুষকে রাজনৈতিকভাবে ডিকলোনাইজেশনের দাবি এবং প্রকৃতি বোঝাতে ব্যার্থ হয়েছেন।

 

পাকিস্তানে ডিকলোনাইজেশনের রুপ কেমন হতে পারতো? আমরা স্বীকার করি পাকিস্তানের মতো দরিদ্র রাষ্ট্র চাইলেই কলোনাইজেশন থেকে মুক্তি পেতে পারতোনা। তবে তারা যা করতে পারতো তা হচ্ছে

 

১) বিভিন্ন পরিভাষার ডিকলোনাইজেশন।

যেমন

ক. প্রেসিডেন্টকে সুলতান বা আমির বলা

খ. পুলিশকে কোতোয়াল বলা

গ. রিপাবলিককে সালতানাত বলা। যেমন টিপু সুলতানের সালতানাতে খোদাদাদ

 

তাছাড়া এধরণের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভেঙে দিয়ে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো দরকার ছিলো। যেমন স্বাধীনতার পরে প্রথমে নতুন একটা ফৌজ গঠন করে পূর্বের সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী ভেঙে দিয়ে তাদের অন্যকাজে নিয়োগ করা। অন্তত তাদেরকে নতুন বাহিনীতে ভিন্ন নেতৃত্বের অধীনে নিয়ে আসা দরকার ছিল।

 

২) আইনগুলোকে পুরো বাতিল করে নতুন আইন তৈরি করা। একান্ত প্রয়োজনে বাংলাদেশ যেভাবে নতুন সংবিধান বানিয়েছিলো তেমন পুরানো সকল আইন যেমন ইসলামি, সুলতানি এবং ব্রিটিশ আমলের আমলে আইন সামনে রেখে নতুন পরিভাষা এবং শিরোনামে আল্লাহর স্বার্বভৌমত্বের অধীনে আইন প্রণয়ন করা।

 

৩) পোশাক পরিচ্ছদে সুলতানি আমলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা

 

৪) ব্রিটিশ নামকরণগুলো যথাসম্ভব মুছে ফেলা। যেমন ভিক্টোরিয়া পার্ককে বাহাদুর শাহ জাফর পার্কে পরিনত করা হয়।

 

৫) শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলামিকরণ করা। পাশাপাশি সুলতানি আমলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শাসন কাঠামো, সমাজ সম্পর্কে জাতীকে সাধারণভাবে জানানোর ব্যবস্থা করা।

 

৬) ওয়াকফ সম্পদগুলো পুনরুদ্ধার করা। বিশেষত জমিদারি বিলুপ্ত করার সময় এই চেষ্টা করা যেতো।

 

এভাবে আরও অনেক কিছুতে ব্রিটিশ প্রভাব এবং ঐতিহ্য মুছে সুলতানি আমলের মডেলে ফিরে যাওয়া হতে পারতো স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে রাজনৈতিকভাবে জনমানস ভুলে যাওয়ায় এবং অসম্ভব মনে করায় ডিকলোনাইজেশন প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন যেসকল সমস্যা যেমন, বস্তুবাদ, ভোগবাদ, ঔপনিবেশিক প্রভুদের গোলামি, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, শেয়ারবাজার লুটপাট, সাম্প্রদায়িক সংঘাত ইত্যাদি সব কিছুই কলোনাইজেশনের ফলাফল।

 

তাই ডিকলোনাইজেশন ছাড়া আমাদের অন্য সকল রাজনৈতিক আলাপ অর্থহীন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাদখালি এবং দেওখালিদের কাছে প্রশ্ন।

 

শাসকদের জন্য আল্লাহ কি আলাদা মিযান বানাবেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর সমালোচনা দেওবন্দি জমহুর দলিলের কারণে করেনা। বরং যেহেতু দেওবন্দিদের জমহুরের চেয়ে হুজুর অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান তাই তিনি তাদের সিন্ডিকেট মেইনটেইন করেননা। এজন্য হিংসায় তারা মাওলানার বিরোধিতা করে। হযরতের হক কথাও তারা সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু তারা প্রমান করতে পারবেনা মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের চেয়ে ইমরান খান বা এরদোয়ান কোনো দিক দিয়ে উত্তম। বাস্তবতা হচ্ছে ইমরান খান মাওলানার জুতা টানার যোগ্য না।

 

তারা যদি আকাবির পূজা মুক্ত হয়ে হযরতের মূল্যায়ন করে তবে দেখতে পাবে দেওবন্দিদের মাঝে হাজার হাজার না লাখ লাখ ফরিদুদ্দিন মাসুদ আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হিদায়াহ গ্রুপের মতো গোঁড়া আকাবির পূজারি ক্যাথেলিক পাদ্রিমার্কা কয়টা গ্রুপ দেওবন্দিদের আছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যে মুহাম্মদ বিন সালমান, ইমরান খানকে ঘৃনা করেনা তার আকিদায় সমস্যা আছে।

 

আবার বলি তার সমস্যা শুধু আমলি না আকিদায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুফতি তারেক মাসুদের রাজনৈতিক বক্তব্য অনুসরণ অত্যন্ত বিপদজনক। এক্ষেত্রে তিনি হানাফি না মাদখালিদের মূলনীতি অনুসরণ করেন। জনসাধারণকে পাকিস্তানের কুকুরদের আনুগত্য করা ফরজ বলেন, ইমরান খানের প্রশংসা করেন, লাল মসজিদের গনহত্যা অস্বীকার করেন, হানাফি দাবি করে বনু উমাইয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হারাম বলেন এবং তার উপর কিয়াস করে পারভেজ মোশাররফের আনুগত্য করতে বলেন, শিয়াদের সাথে বসে সম্প্রিতির কথা বলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা উর্দু বোঝেন তারা মাওলানা তারিক জামিল বা মুফতি তারিক মাসুদ এর বয়ান শোনার চেয়ে মাওলানা মানযুর মঙ্গলের বক্তব্য শুনতে পারেন। মাওলানা তারিক জামিল এবং মুফতি তারেক মাসুদের কিছু দরবারি প্রবনতা আছে। এছাড়া মাওলানা তারিক জামিল প্রায়ই কিছু ভুল কথা বলেন। তবে মুফতি তারেক মাসুদ অরাজনৈতিক এবং পাকিস্তান সরকারের স্বার্থের সাথে সম্পর্কহীন বিষয়গুলোতে ভালো। কিন্তু মাওলানা মানযুর মঙ্গলের বক্তব্য শাসকদের চাটুকারিতা নিমগ্ন না। হ্যাঁ কিছু জায়গায় তাকে সুর নরম করতে হয়। তবে সেটাও শেখা দরকার। অনলাইনে চরমপন্থী দাঈদের জনবিচ্ছিন্ন উগ্র দাওয়াতের পরিবর্তে শাইখের জনসম্পৃক্ত হক দাওয়াত দেওয়ার তরিকা অনুসরণ করা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমানবিক হামলার হুমকি প্রমান করে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ফেরাউন অফিশিয়ালি কনভেনশনাল যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করলো। তারা আরও স্বীকার করলো তারা কনভেনশনাল যুদ্ধে আফগানিস্তানে কখনো জিততে পারবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পারমানবিক বোমা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। কিন্তু এই বোমা দিয়ে যুদ্ধ জেতা সম্ভব না। এর মাধ্যমে কোনো যুদ্ধ জেতা যায়নি। ২য় বিশ্বযুদ্ধে এই বোমা না মারলেও জাপান হারতো। সোভিয়েত ইউনিয়ন এই বোমা বিপুল পরিমান থেকেও আফগানিস্তান দখল করে রাখতে পারেনি। হেরেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে হেরেছে। কেন এভাবে পারমানবিক বোমা যুদ্ধের ফলাফল নির্মানে অকেজো হয়ে যায়? কারণ পারমানবিক বোমা অনেকগুলো পক্ষের কাছেই আছে। এই বোমার ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কারণে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পরে। ফলে যে সম্পদ লুটের জন্য যুদ্ধ সেই সম্পদই নষ্ট হয়ে যায়। অন্যান্য পক্ষ জড়িয়ে যায়। পারমানবিক বোমা মেরে আফগানিস্তান ধ্বংস করা মানেই জেহাদ ধ্বংস হওয়া না। কারণ সাম্রাজ্যবাদের মতো ইসলাম এবং জিহাদেরও বিশ্বায়ন হয়েছে। ফলে এধরণের কাজ বরং জেহাদের যৌক্তিকতায় বাতাস দেবে। পাশাপাশি যেকোনো দেশ চূড়ান্ত আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার শিকার হবে। বাজার ভেঙে পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কও।

 

ফলে পারমাণবিক বোমার প্রভাব মনস্তাত্ত্বিক, সামরিক নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মিন্নি নিয়ে বাজে কথা বলছে তাদের অনেকের বোন এবং বউয়ের ইতিহাস আমরা জানি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ঈমানের সম্পর্ক যেহনিয়তের সাথে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, দাওয়াত ইসলামের একটি শাখা। দাওয়াতের মাধ্যমে জযবা তৈরি হয়। জযবা কখনো স্থায়ী হয় না। জযবা সবসময় কল্যাণ নিয়েও আসে না। তাই তালিমের প্রয়োজন। কারণ তালিমের মাধ্যমে যেহনিয়ত তৈরি হয়। আর ঈমানের সম্পর্ক যেহনিয়তের সাথে, জযবার সাথে নয়।

 

আমি সিরিয়াসলি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক মসজিদে তালিম হওয়া উচিৎ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গতকাল বিবর্তনবাদ নিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী দুইটি পরিচ্ছন্ন ভুল কথা বলেছেন।

 

১) ডারউইন এর মতে, মানুষের পূর্বপুরুষ বানর। কিন্তু ডারউইন তা বলেননি। ডারউইন এর মতে, মানুষ এবং বানরের কমন এনসেস্ট্রি আছে।

 

২) আদম (আ) কতদিন আগের মানুষ সংক্রান্ত বক্তব্যটি বাইবেল তথা ইস্রাইলি রেওয়ায়েত প্রভাবিত। ইসলামে আদম (আ) কত দিন আগের মানুষ তা নিয়ে কিছু বলা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার পাঠকদের মাঝে কারও হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একসেস থাকলে দয়া করে আমার এই কথাটি তাদের কাছে পৌঁছে দিন।

 

"বিবর্তনবাদ সরকার কখনো বই পুস্তক থেকে বাদ দিবেনা। এটা করার জন্য সরকার উৎখাত করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে। বিজ্ঞান বিষয়ক সার্কেলে তত্ত্বটি অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এটি বাতিল করার জন্য আন্দোলন করলে অচিরেই বিভিন্ন কারণে আপনারা রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হবেন।

 

তাই আপনারা দাবি করুন, ফিলোসোফি অব সাইন্স যেন সেই ক্লাসে থেকেই পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা যে ক্লাস থেকে সিরিয়াস লেভেলে বিজ্ঞান পড়ানো শুরু করা হয়"।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্নঃ গোফ চাঁছা কি জায়েজ?

 

উত্তরঃ গোফ সম্পূর্ণ চাছা মুছলাহ। তবে কোনো যন্ত্র দিয়ে ছেঁটে ফেলা জায়েজ।

 

শাইখ আসিম আল হাকিম

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্নঃ আমার স্বামী ফ্রান্সে থাকে আমি পাকিস্তানে। আমার জন্য কি শ্বশুর বাড়ি থাকা উচিৎ হবে? সেখানে অনেক গায়ের মাহরাম থাকে। আমি আমার মায়ের বাসায় থাকতে চাই।

 

উত্তরঃ আপনার স্বামী ছাড়া শ্বশুর বাড়ি থাকা উচিৎ হবেনা। বিশেষত যখন সেখানে গায়ের মাহরামরা থাকে। আপনি আপনার বাবা মায়ের সাথে থাকুন।

 

শাইখ আসিম আল হাকিম অবলম্বনে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যৌবনে বিপ্লবীরা বয়স হলে রক্ষণশীল হয়ে যান। ঢং করে বললে জজবাতিরা মূলধারায় যান। এসব নিয়ে রক্ষণশীল সতর্ক ব্যাক্তিগন জজবাতিদের কটাক্ষ করে বলেন, কত দেখলাম? বয়স হলে এসব থাকবেনা। তার চেয়ে মজার ব্যাপার সাবেক জজবাতি বর্তমানে রক্ষণশীল ব্যাক্তিরা এমন ভাব ধরেন যেন তিনি জন্ম থেকেই মূলধারায় আছেন। অবশ্য এমন ভাব ধরার কিছু রাজনৈতিক, সামাজিক পারিপার্শ্বিক কারণও আছে।

 

বয়সের সাথে সাথে এই যে পরিবর্তন হয় এর কারণ কি? অনেকে বলেন বয়স বাড়লে বুঝ পোক্ত হয়। দলিলের সাথে সাথে প্রজ্ঞা অর্জন হয়। কিন্তু শুধুই কি তাই? আমি ব্যাপারটা নিয়ে ভেবেছি। ব্যাপারটা আরও অনেক কিছু। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কারণ বিভিন্ন রকম হতে পারে।

 

যেমন অনেক ক্ষেত্রে বয়সের সাথে সাথে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। বিপ্লবী চিন্তা আর পরিবারের বোঝা এক সাথে টানা বেশ শক্ত। এর সাথে আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় যুক্ত হয়ে অন্তরে জন্ম হয় ওয়াহান। কিন্তু মানুষ নিজেকে সব সময় অপরাধী ভেবে চলতে পারেনা। ফলে তখন শুরু হয় নিজের অবস্থানকে সমর্থন করার দলিল, প্রমান, যুক্তি অন্বেষা। স্বাভাবিকভাবেই অন্য সকল নীতিবিদ্যার মতো কুরআন, হাদিস, ফিকহের একটা স্থিতিস্থাপকতা আছে। প্রয়োজন মতো সব কিছুর পক্ষে দলিল পাওয়া যায়। ফলে তখন বলা সহজ হয় দীনের বুঝ পরিপক্ব হয়েছে।

 

এই হাইপোথিসিস কি এমন হওয়ার একমাত্র কারণ। অর্থাৎ সকল বিপ্লবী কি বিপ্লব ছেড়েছে ওয়াহানের কারনে। ফাহমের কোনো অবদান নাই? আমার তা মনে হয়না। যেসব বিপ্লবীদের বিপ্লব চিন্তা রোমান্টিক এবং উপযুক্ত শাইখের তত্ত্বাবধান ছাড়া হয়েছে তারা এক সময় বুঝ অর্জন করায় পরিশীলিত হতে পারে। অনেকে নিজের বাড়াবাড়িতে বিরক্ত হয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে ভুল ভাবতে পারে।

 

গল্পটা এখানেই শেষ না। কারণ আরও থাকতে পারে। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রত্যেক প্রতিষ্ঠাতা মূলত বিপ্লবী ছিলেন। কারামত আলী জৌনপুরি সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর মুরিদ এবং খলিফা। অথচ তারা প্রত্যেকে ব্রিটিশদের নিরংকুশ আনুগত্য মেনে নেন। কি কারণে তারা এমন করলেন?

 

তাদের সবার ঘাড়ে ওয়াহানের দোষ চাপাবো? অথবা বলবো আগে আক্কেল ছিলোনা, পরে হয়েছে। আসলে আমার মনে হয় তাদের পরিবর্তিত আমলের কারণ পরিবর্তিত বাস্তবতা।

 

এইসব কিছুর পাশাপাশি আরও একটা ব্যাপার আছে মনে করি। বিপ্লবীদের যারা বৈপ্লবিক কাজের সাথে সত্যিই জড়িত ছিলো তারা অনেকেই ১৮৫৭ এর সিপাহী বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন, জেল খেটেছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। বাকিরা ভেবেছেন আপাতত আমাদের লড়াইয়ের শক্তি নাই। আমরা যা করার করেছি। এখন আমরা কালো তালিকায়। তাই বৈপ্লবিক কাজের অনিবার্য পরিনতি ধ্বংস। তাই বিপ্লব ছেড়ে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ করি। ভবিষ্যতে অন্য কেউ আবার আজাদি আন্দোলন করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাহাস মুনাজারা হচ্ছে বটতলার পুঁথি, কাওয়ালি, মারেফতি গান ইত্যাদির মতো নিম্নরুচির মানুষদের কাজ। এসবে সাধারণত কাজের কাজ হয় না। কিন্তু কাইজ্জা ক্যাচাল হয়।

 

ছোটকাল থেকে অমক তমকের দাঁত ভাঙা জবাব দিয়েই যাচ্ছে। হাহাহা। কোনো এক নাস্তিকের লেখায় একটা সার্কাস্টিক বাক্য পড়েছিলাম। নাস্তিকটার নাম মনে নাই। বাক্যটি ছিলো, আস্তিকের দাঁতভাঙা জবাবে নাস্তিকের ঠ্যাং ভেঙে গেলো। বাস্তবতা হচ্ছে, বাহাস, মুনাযারার দাঁত ভাঙা জবাবে কারও দাঁত ভাঙেনা, ঠ্যাংই ভাঙে।

 

হামযা জর্জিসের সাম্প্রতিক বয়ানগুলো শুনুন। রাসুলুল্লাহ (সা) এর হাদিস পড়ুন। কেউ হকের উপর থেকে মুমিন ভাইয়ের সাথে তর্ক ছেড়ে দিলে জান্নাতে একটা ঘড় পাবেন।

 

দাওয়াতের ক্ষেত্রে দুটো জিনিস অত্যন্ত দরকারি।

 

১) ইখলাস

২) বিনয়

 

বিতর্কের সময় শয়তানের সবচেয়ে বড় ধোঁকাগুলোর একটা হচ্ছে আলাপে ইগো ঢুকিয়ে দেয়। আল্লাহর সন্তুষ্টির চেয়ে জেতার জিদ অন্তরে প্রবল হয়ে যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

"গাদ্দার প্রিয়াসাহা'র" অপরাধ যদি তার স্বামী কিংবা ছেলে মেয়েদের উপর না বর্তায়! তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের উপর কেন বর্তাবে?? কেন পিতা যুদ্ধাপরাধী হওয়ার কারণে, তার স্ত্রী সন্তান চাকরী হারাবে??

 

- Md Mizan Rahman

 

কারও বাবা কেবল জামাত না যুদ্ধাপরাধী হলেও আপনি তাকে শাস্তি দিতে পারেননা। বাবার অপরাধে পুত্র কন্যাকে শাস্তি দেওয়া এক ধরনের রেসিজম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একজন মুফতি বা কাজি ফতোয়া দিয়ে ছেড়ে দিতে পারে কিন্তু একজন দাঈ বা একজন রাজনীতিবিদ না। যুদ্ধ এবং কুটনীতি আলাদা জিনিস।

 

কিছু মানুষ পাবেন যারা আপনাকে ফতোয়া দিয়েই দায় শোধ। পরিনতি নিয়ে কথা বলবেনা। আমার কথা পরিস্কার পরিনতি বিবেচনাহীন ফতোয়া ডাস্টবিনে ফেলে দিন।

 

আপনি যদি দাঈ অথবা রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হন তাহলে ফতোয়ার সাথে ফতোয়ার উপর আমলের পরিনতি সম্পর্কেও আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। হ্যাঁ আমি স্বীকার করি কখনো বলতে হতে পারে যে মরে যাও। কিন্তু সেটা পরিস্কার করে বলতে হবে।

 

কুরআন হাদিস দেখে ইচ্ছা মতো একটা ফতোয়া দিয়ে দিবেন আর বলবেন পরিনতির চিন্তা করিনা। এটা কোনো ভাল থিংকারের কাজ না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ধরেন আপনার প্রেমিকা চোখের সামনে আপনার সাথে প্রতারণা করছে। একটু একটু করে দূরে সড়ে যাচ্ছে। সে আপনার নীড়ের চেয়ে অন্য কোনো ডালে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। আপনি জানেন। তবে সে স্বীকার করছেনা।তারপর চুপিচুপি আপনিই সড়ে গেলেন। চলে গেলেন অনেকটা দূরে। তার নাগালের বাইরে।

 

কিছুদিন পরে যদি সে যদি বলে কোথায় ছিলা? কিভাবে পারলে আমায় অপেক্ষায় রাখতে? অনেক খুঁজেছি তোমায়। অথবা বহুদিন পরে যখন দুজনের চুলগুলোই পেকে গিয়েছে, চামড়া কুচকি লেগেছে তখন কোনো এক অবসরে আড্ডায় বললো ভুল হয়েছিলো। এই ছিলো নিয়তিতে।

 

কি জবাব দিবেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু খুচরা আলাপ

 

(১)

 

তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাহ বিদয়াত হলে তাওহীদও বিদয়াত। কুরআন হাদিসে তাওহীদ শব্দটি নাই। কুরআনে যেমন আহাদ আছে তেমন হাকিম আছে।

 

(২)

 

শাইখ আবু বকর জাকারিয়ার কাছে এর চেয়ে ভালো কি আশা করেছিলেন?

 

(৩)

 

সাইয়্যেদ কুতুব রহ পাশ্চাত্য প্রভাবাধীন কলোনাইজড মুসলিম সমাজকে জাহেলিয়াতের সমাজ বলায় অনেকেই তাকফিরি গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করেন। কি মনে হয়? এই সমাজ মুসলিম সমাজ?

 

(৪)

 

জিজিয়া নিয়ে অনেক আলাপ হয়। আমি জিজিয়া দিতে চাই। একটা ইসলামি রাষ্ট্রে কাফেররা জিজিয়া দিয়ে যতটা সুবিধা পায় ততটুকু সুবিধা আমাকে দিলেই চলবে।

 

(৫)

 

যারা ক্রসফায়ার সমর্থন করেন গণপিটুনির বিরোধিতা করার কোনো অধিকার তাদের আছে কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিদয়াতের জনপ্রিয় সঙ্গাগুলোর একটা হচ্ছে খাইরুল কুরুনে ছিলোনা এমন কোনো কিছু দীনের অন্তর্ভুক্ত করা।

 

এই সঙ্গায় আমার আপত্তি আছে। এই সঙ্গায়ন মেনে নেওয়ার অর্থ হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সা) এর পরেও দীনের মধ্যে সংযোজনের অধিকার স্বীকার করা।

 

খোলাফায়ে রাশেদিন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা) ইসলামের কোনো মূলনীতি অনুযায়ী ব্যবস্থাপনাগত কোনো কিছু চালু করতে পারেন বা ব্যাখ্যা করতে পারেন। রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাহচর্যের কারনে রাসুলুল্লাহ (সা) সম্পর্কে তাদের উপলব্ধি বেশি ছিলো। ফলে তাদের বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য। আমি এটাও মনে করিনা যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর কোনো বিশিষ্ট সাহাবা বিদয়াত করেছেন। কিন্তু আমরা মৌলিকভাবে সাহাবাদের দীনের মাঝে কোনো মৌলিক কিছু সংযোজনের কর্তৃত্ব ছিলো তা মানতে পারিনা।

 

তাছাড়া খাইরুল কুরুনেই বিদয়াতিদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। খারেজি, নাসেবি, রাফেজিদের অস্তিত্ব খাইরুল কুরুনে ছিলো। ওয়াসিল ইবনে আতা হাসান আল বাসরির ছাত্র ছিলেন।

 

ফলে যারা বলেন খাইরুল কুরুন হচ্ছে বিদয়াতের সীমানা তাদের কথার সর্বোচ্চ অর্থ করা যায় সেযুগে বিদয়াতের প্রাধান্য ছিলো সর্বনিম্ন।

 

আমার এই ধারণায় ভুল থাকলে সংশোধন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিন্নি খরচের খাতায়। তাকে নিয়ে বলার কিছু নাই। যারা তার রূপ কল্পনা করে হাত মারতে চেয়েছিলেন তারা বুঝে নিয়ে অর্গাজম বোধ করুন।

 

আমি শুধু আপুদের বলবো যে হুজুর যে ফতোয়া দিক মুখ খোলার দরকার নাই। ঘরের মধ্যে পরে থাকো। **** দলের ক্যাডারদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাও।

 

ছোট ভাইরা হুজুররা যাই বলুক সম্ভব হলে পড়াশোনা করে এদেশ থেকে বের হয়ে যাও। দেশের ভবিষ্যৎ ভালোনা। আমার সুযোগ থাকলে ইজরায়েল, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া যেখানে সুযোগ পেতাম চলে যেতাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা রাষ্ট্র কেন শক্তিশালী?

 

কারণ এখানে অনেক মানুষের শক্তি একত্রিত হয়। আপনারা দশজন একত্রিত হন। অনেকটা শক্তি হবে। ১০০ একত্রিত হন। আরও শক্তি হবে। এক লক্ষ মানুষ সিরিয়াসলি একত্রিত হলে তারা অনেকটা শক্তি পাবে।

 

জামাতের কাছ থেকে অন্যদের শেখার আছে অনেক কিছু। এখনো তাদের কারও মামলা হলে দল সাধ্য মতো সহায়তা করে। কেউ আহত, নিহত হলে বা জেলে থাকলে তার পরিবার যেন অন্তত ডাল ভাত, শাক ভাত খেতে পারে তা দেখার চেষ্টা করে।

 

ফলে তারা এখনো নিজেদের একটা অবস্থান সুপ্তাবস্থায় ধরে রাখতে পারছে। তাদের নির্যাতিত নেতা কর্মীদের পরিবার ভেসে যাচ্ছেনা। তাদের উন্নতি না হোক ফুটপাতে ভিক্ষা করতে হচ্ছেনা। কিন্তু বিএনপির নেতা কর্মীদের অনেকে কত মানবেতর জীবন যাপন করছে তা তাদের কাছে না গেলে আপনি কল্পনাও করতে পারবেননা।

 

এই ঐক্যবদ্ধতা উম্মাহ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে এবং আপাতত যথাসাধ্য সংঘাত এড়াতে পারলে তা অনেক কল্যাণকর হবে।

 

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে উত্তেজনা পরিহার করুন। একটা কিছু তা যত খারাপ হোক আবেগ তাড়িত হয়ে কোনো কিছু করবেননা। রোহিঙ্গা ইস্যু বা ইসকন ইস্যু বা আরও সেনসিটিভ কিছু হলেও যাই করুন হিসাব নিকাশ করে করুন। আবেগে ভেসে যাবেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অন্যদের দোষ থাকলে তা বলা উচিৎ। কিন্তু সেই অযুহাতে যারা নিষ্ক্রিয় থেকে কেবল নিয়তি দায় দেয় ধ্বংসই তাদের পরিনতি।

 

এদেশে চাকরিতে হিন্দুরা এগিয়ে কেন তা নিয়ে অনেকের অভিযোগ। হ্যাঁ আমি জানি তারা অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় আছে। কিন্তু মুসলমানদের নিজেদের অযোগ্যতার দায় নাই তা নয়।

 

মুসলিম ছেলেরা সেলফি আর প্রেম নিয়ে অস্থির। অনেক বড় আলিমের আলিম পুত্র কমিউনিটি সেন্টারে একগাদা খরচ করে বিয়ে শাদি করে। অনেক ছেলে মেয়ের বাবা মা অভিভাবক হিসাবে দুর্বল এবং বিলাসি খায়েশ পূরণে মত্ত। তাদের সন্তানদের মাঝে উচ্চাভিলাস তৈরির পরিবর্তে তারা শান্তিপূর্ণ ছাপোষা জীবনে সুন্দরী বউ খাওয়ার খায়েশ তৈরি করেন। অনেক দীনদার ভদ্রলোক হজ্জের পরে বছর সুযোগ পেলে ব্যাংকের সুদের টাকায় ওমরা করে আসেন।

 

মুবাহ সব কিছু সব সময় হালাল না। জিহাদ ফরজে আইন হওয়ার একটা অর্থ হচ্ছে জিহাদের সক্ষমতা না থাকলেও উম্মাহর কল্যাণের জন্য জিহাদের মতো কুরবানি করা। তখন সাধারণ সময়ে যেসকল ভোগ হালাল তা উম্মাহর কল্যানের জন্য হারাম হয়ে যায়। যেমন ধরেন ইলিশ মাছ হালাল। আপনার প্রতিবেশি যখন দরিদ্র। সে যখন অভাবে তার ইমান বেঁচে দিতে বাধ্য হচ্ছে তখন হাজার টাকা কেজি ইলিশ শুয়োরে মাংসের মত হারাম। যখন আপনার আত্মীয়রা অভাবে খ্রিস্টান হতে বাধ্য হচ্ছে তখন উমরাহ করা মদ খাওয়ার মতো হারাম।

 

আপনি যদি মুসলমানদের মাঝে উম্মাহ চেতনা জাগ্রত না করতে পারেন তবে তারা অচিরেই ধ্বংস হবে। মুসলমানরা চাইলে এখনো অনেক কিছু করা সম্ভব। কুরবানি, অধ্যাবসায় এবং তাওয়াক্কুল থাকলে এখনো সম্মান এবং মর্যাদার জীবন সম্ভব। আমি অনেক মেধাবী শিবিরের ছেলেদের দেখেছি। তারা অনেক সরকারি বাধা সত্ত্বেও ভালো কিছু করেছে। কেউ কোনো না কোনোভাবে সরকারি চাকরিতেই ঢুকেছে। অনেকে ব্যবসা বাণিজ্যে ভালো করছে। অনেকে দেশের বাইরে কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছে।

 

আপনি নিজে কাজ করুন। অভিযোগ কোনো সমস্যার সমাধান করবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিন্নির গল্পটা ক্রমশ ৯০ এর হিন্দী এবং বাংলা সিনেমা হয়ে উঠছে।

 

পার্থক্য হচ্ছে প্রতিশোধ নেওয়া হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি যখন দেশে কেউ জনপ্রিয় না।

 

প্রায় সবাই ছোট ছোট বিভিন্ন পকেটে সমাদৃত, অন্যত্র নিন্দিত, ধিকৃত। এটা রাজনীতিবিদ, আলিম, বুদ্ধিজীবী সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

এটা হচ্ছে চূড়ান্ত মাত্রায় বিভক্ত একটা জাতির চিহ্ন।

 

একটা জাতীকে আক্রমণ করার জন্য এটাই ভালো সময়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বঙ্গদেশে আহলে হাদিসদের একটা ব্যাপার আমার কাছে খুবই আজব লাগে। তারা বিন বায, শাইখ উসাইমিন, শাইখ ফাওযান, ইবনে ওয়াহাব, ইবনে তাইমিয়া প্রভৃতি শাইখদের অত্যন্ত ব্যাপকভাবে অনুসরণের দাওয়াত দেন। এই যে সর্বশেষ শাইখ আবু বকর জাকারিয়া আহমদ মুসা জিবরিলের বিশেদগার করে যাদের অনুসরণের দাওয়াত দিলেন তারা এরাই। আর এই প্রত্যেক শাইখ হাম্বলি।

 

তাহলে তারা গায়ের হাম্বলি কিভাবে?

 

তারা কি মাযহাব বিষয়টি বোঝেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জেহাদে কাফেরদের সামরিক সহায়তা নেওয়া যাবে কিনা বিষয়টি এখতেলাফি। জিজিয়া দেওয়ার ফলে কাফেররা মুসলিম সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু খলিফা বা আমির চাইলে মুসলমানরা যুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য। যেসব কারণে জিহাদ ফরজে আইন হয় তার মাঝে একটা হচ্ছে খলিফার নির্দেশ।

 

তবে ঐচ্ছিকভাবে অমুসলিমরা মুসলিম সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তাদের সহায়তা নেওয়া যাবে কিনা বিষয়টি এখতেলাফি। ফুকাহাদের একদল বলেছেন হ্যাঁ জায়েজ। তারা এসম্পর্কে বিভিন্ন দলিল রাসুলুল্লাহ (সা) এর সিরাত থেকে দিয়ে থাকেন। ভিন্নদল বলেন না বিষয়টি মানসুখ। স্বাভাবিকভাবেই তাদেরও দলিল আছে। তাদের মতে কাফিররা মুসলিম সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পূর্বে ইমান আনতে হবে।

 

ঐতিহাসিকভাবে উলামায়ে হিন্দ শতশত বছর ধরে বৈধতার মতটি অনুসরণ করেন। বাস্তবতা হচ্ছে তারা এই মত না মানলে মুসলমানদের জন্য ভারত শাসন অসম্ভব হয়ে যেতো। হানাফি মাযহাবের সাথে এমতটিই সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সালাফিদের একদল অবৈধতার মতটি উপমহাদেশে আমদানি করেছে। ব্যাপারটা কেবল সেখানেই থামেনি। দেওবন্দিদের অনেকেও সেই মতে প্রভাবিত হয়েছে। যারা ফিকাহর ক্ষেত্রে বৈধতার মত মানেন তারাও বিভিন্ন ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার ফলে আবেগগতভাবে অবৈধতার মতের দিকে সহানুভূতিশীল হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সালাফি চিন্তা প্রভাবিত এই অভিমতের আমদানি উপমহাদেশে মুসলমানদের জন্য কল্যানকর হয়নি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুয়াবিয়া (রা) এর সেনাবাহিনীতে কালব গোত্রের জ্যাকোবাইট খ্রিস্টানদের আধিক্য ছিলো। বায়জান্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে খেলাফতে ইসলামিয়ার প্রতিরক্ষায় বড় শক্তির উৎস ছিলো এসব সৈনিকরা। প্লেগের কারণে বহু শামবাসির সাথে মুসলিম নেতৃত্ব ও জনশক্তি অনেকে শহীদ হয়ে যান। সেসময় এসকল খ্রিস্টানদের সমর্থন না পেলে খেলাফত শামে টেকানো হয়তো অসম্ভব হয়ে যেতো।

 

উল্লেখ্য মুয়াবিয়া (রা) এর স্ত্রী ইয়াজিদের মা কালব গোত্রের জ্যাকোবাইট খ্রিস্টান আহলে কিতাব ছিলেন।

 

=খাইরুল কুরুনের দলিল

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উগ্র এবং দালাল হিন্দু নেতৃত্ব এবং হিন্দু জনসাধারণের মাঝে পার্থক্য করতে হবে।

 

গভীর রাতে শাইখুল হিন্দ (রহ) তার দরিদ্র হিন্দু মেহমানের পা টিপে দিয়েছেন। সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগীর, টিপু সুলতানের মতো ওলি আল্লাহ বাদশাহদের সেনাবাহিনী এবং সরকারে হিন্দুদের উপস্থিতি ছিলো। এটাই হাজার বছরে ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি। হিন্দুদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো ইসলামি আন্দোলন এদেশে সফল হওয়া সম্ভব হবে না।

 

হাজার বছর ধরে হিন্দুরা মুসলমানদের প্রজা হিসাবে কাজ করেছে। কিন্তু এখন কেন ইসলামি সংগঠনগুলোতে হিন্দুরা নেই?

 

আজ কেন হিন্দুদের সাথে মুসলিমরা রাজনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করতে পারছেনা। সেক্যুলার মুসলমানরা প্রায়ই পারছে। নেপালি হিন্দুরা ভারত বিরোধী। আসামসহ সাত বোন রাজ্যের হিন্দুরা ভারত বিরোধী।

 

সব দোষ হিন্দুদের না। মুসলমান নেতৃত্বরো অনেক দোষ আছে। অনেক ব্যার্থতা আছে। এটা স্বীকার করা উচিৎ। তার সমাধানের উপায় খোঁজা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের উচিৎ আন্দোলনের পাশাপাশি ইসকনসহ বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজনীতিতে কোন শত্রু বা মিত্র থাকতে নাই। রাজনীতিতে থাকে স্বার্থ। সেখানে আওয়ামী লীগকে শত্রু বা মিত্র ভাবার দরকার নাই।

 

আমাদের রাষ্ট্র এবং সরকার, এমনকি দলগুলোকে আমি যথেষ্ট দক্ষ ও যোগ্য ভাবিনা।

 

মুসলমানদের কমিউনিটি পর্যায়ে হিন্দুদের সাথা আলোচনা হওয়া উচিৎ। যেকোনো দাঙ্গা বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এদেশের মুসলমান এবং হিন্দু দুই দলের জন্যই ক্ষতিকর।

 

আলিমরা মুসলিম কমিউনিটির নেতৃত্ব দিতে চাইলে হিন্দু সংগঠনগুলোর সাথে সংলাপে বসুন। ইসকন এবং অন্যান্য কট্টর হিন্দুত্ববাদিদের সাথেও। এজন্য মাঠের আন্দোলন বন্ধ করতে বলছিনা। তবে আলোচনা লাভজনক হতে পারে। ভারতে এমন কাজ অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় কিছু উপকারী ফল দিয়েছে।

 

যুগপৎ আন্দোলন এবং আলোচনার মডেল আশা করি উপকারী হবে। অন্তত ক্ষতির কিছু নাই। দুইটি কমিউনিটি পরস্পরকে জানতে পারবে। তালেবান আমেরিকা আলোচনায় ক্ষতিতো হয়নি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু নির্বোধ আবেগি দাঈ আমাদের আশে পাশে পয়দা হয়েছে। যারা কার্যত মাসলাহাত এবং হিকমাহ অস্বীকার করে। অথচ এগুলো ইসলামি ফিকহের চিরন্তন ঐতিহ্যের অংশ।

 

হালাল বা হারাম ঘোষণা আমরা শরিয়ার নীতিমালার বাহিরে অবশ্যই করতে পারিনা। কিন্তু মুবাহ বা বৈধ বিষয়গুলোর মাঝে মাসলাহাত বিবেচনায় কোনো কিছুর বিরোধিতা করার অধিকার যারা অস্বীকার করে তাদেরকে চরমপন্থী মনে করি।

 

হ্যাঁ মাসলাহাত কোনটা তা নিয়ে এখতেলাফ হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নগর পুরিলে দেবালয় রক্ষা পায়না। এদেশে মুসলমানদের ভাগ্য পুরলে হিন্দুরা বাঁচবেনা। রক্তের নেশা বড় মারাত্মক। সবাই সুশিলপনায় অনেক কথা বলবেনা।

 

তবে বাশারের দেশে লাখো সুন্নি মারা যাক তবে নুসাইরি শিশুরাও মরেছে। যুদ্ধে গড়িবের জান যায় কিন্তু বড়লোকের সব যায়। ভারত যদি ভাবে এদেশে কাইজ্জা লাগিয়ে সে আলুপোড়া খাবে তবে আলু পোড়ার ভাগ চাওয়ার অনেকেই আছে।

 

রক্ত, ধ্বংস, ধর্ষণ দুই দিকেই হবে। ব্যাপারটা সাহস নিয়ে হিন্দুদের বোঝান।

 

দুর্বলতা দিয়ে ভিক্ষা পাওয়া যায়, প্রেম না।

 

"সর্বহারাদের জন্য হারানো কিছুই নেই, জয় করার জন্য আছে একটা পৃথিবী"। কমিউনিস্ট মেনুফেস্টোর শেষ লাইন।

 

আগুন লাগলে ঘর না হোক ব্যবসা পুরবে হিন্দু আর সেক্যুলার এস্টাবলিশমেন্টের। মৌলবাদী জঙ্গিদের পোড়ার কিছু বাকি নাই। জঙ্গিরা দাসির ফতোয়ায় ধর্ষণের সুযোগ খুজবে। টোকাই লোকেরা তাদের সাথে যোগ দিবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেককে আজকাল ব্লক মারতে ইচ্ছা হয়। তবে ব্লক মারলে তারা আমার লেখা থেকে উপকৃত হওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।

 

তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কারও কমেন্ট পছন্দ না হলে ডিলিট করবো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উলামায়ে আহলে সুন্নাহর সমস্যা হচ্ছে তাদের সকল রকম ফিতনার বিরুদ্ধে লড়তে হয়। কাফিরদের দুশমনি, আহলুল বিদয়াহর বিদয়াতের বিরুদ্ধে লড়াই, সাহাবাবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে লড়াই, নিজেদের আমলি তাযকিয়া এবং বিভিন্ন রকম পাপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই, দীনি ইলমের তাহরিফের বিরুদ্ধে লড়াই।

 

উপমহাদেশে উলামায়ে দেওবন্দ আহলে সুন্নাহর সবচেয়ে বড় জামাত। তাদের অসংখ্য খেদমত আঞ্জাম দিতে হয়। কিন্তু আহলে বাতিল এবং আহলে বিদয়াতের লড়াই সাধারণত এক বা দুই দলের বিরুদ্ধে হয়ে থাকে।

 

বেরেলভিদের লড়াই কিন্তু হিন্দু, খ্রিস্টান, শিয়া, সাহাবাবিদ্বেষী বিভিন্ন গোষ্ঠির বিরুদ্ধে না। তাদের লড়াই শুধু ওহাবিদের বিরুদ্ধে। শিয়াদের লড়াই আহলে সুন্নাহকে ইয়াজিদ এর অনুসারী বলে অপবাদ দিয়ে তাদের লড়াই। আপনি দেখবেন শিয়ারা কখনো রেটরিকের বাইরে আমেরিকার সাথে আমরিক লড়াই করেনি। আমেরিকার সাথে লড়াই করেছে আহলে সুন্নাহর দেওবন্দি সালাফি ভাইয়েরা। খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে দাওয়াতি কাজ কার? সেটাও দেওবন্দি সালাফিদের। জামাতিদের এদেশে মূল শত্রুতা আওয়ামী লীগের সাথে। এর বাইরে অন্যান্য বাতিল মোকাবেলায় তাদের মনোযোগ খুবই কম।

 

এভাবে অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এতো ফ্রন্টে লড়াই করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে অন্যান্য দল একটা কাজ নিয়ে পরে থেকে উলামায়ে আহলে সুন্নাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তারা এটা পারেনা, সেটা করেনা। আসলে আপনি যা করছেন তারা তাও করে। কিন্তু আপনি যেহেতু কেবল একটা নিয়েই পরে আছেন কিন্তু তারা অনেক কিছু নিয়ে তাই আপনার পছন্দের টপিকে আপনার আকাঙখা মতো হয়তো হয়না কিন্তু এমন বহুমুখী লড়াই এর চেষ্টা করে দেখুন। তাদের সমস্যা বুঝতে পারবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দাওয়াত ও তাজদিদি আন্দোলনে দাঈদের কুরবানি শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শত্রু মিত্র নির্বিশেষে দাঈদের চারিত্রিক পবিত্রতা এবং কুরবানি যতটা প্রভাব ফেলে ততটা প্রভাব জ্ঞান ও তত্ত্ব ফেলতে পারেনা।

 

একথা সত্য দেশের বর্তমান বাস্তবতায় সরকারের সাথে আলিমদের একটা অংশের লিয়াজোঁ রক্ষা করা দরকার। কিন্তু বিভিন্ন চাতুর্যপূর্ণ কথা এবং হিকমতের বয়ান দিয়ে জনসাধারণের মাঝে দীনের ভিত্তিকে দৃঢ় করা সম্ভব না। শাসকদের সাথে কেবল সুসম্পর্ক রক্ষা করে আয়েশি বৌদ্ধিক দাওয়াতে তরুণরা দলে দলে পতঙ্গের মতো কখনো ঝাঁপ দিবেনা। তারা ত্যাগি ব্যাক্তিত্ব চায়। এজন্য জুনায়েদ বাবুনগরী জনপ্রিয়। কিন্তু এই আপোষহীন সংগ্রামী ধারার পরিসর বড় ছোট হয়ে এসেছে।

 

যদি আকলসম্পন্ন হঠকারিতাবর্জিত কুরবানি এই উম্মাতের তরুণদের শেখানো না যায়, যদি ভোগই তাদের একমাত্র আদর্শ হয়ে উঠে তবে ইসলাম এবং উম্মাহর ভবিষ্যতের জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ এর তাহরিক নিয়ে একদল মানুষ মনে করে তিনি ইসলামি জজবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারত ছেড়ে আফগানিস্তানে ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করেন। সেখানে গাদ্দারির স্বীকার হয়ে ভারতে ফিরতি পথে অত্যাচারী শিখদের সাথে জজবাতি লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেছেন। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এটা তার বিশাল তাজদিদি আন্দোলনের একটা অধ্যায় মাত্র। প্রথমত এই আন্দোলন ছিলো মুজাদ্দিদে আলফে সানি এবং শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ রহ এর আন্দোলনের সনদ প্রাপ্ত এবং বৃহত্তর কর্মসূচির অংশ। অতঃপর খোদ সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ এর তাজদিদি কর্মকাণ্ড নিছক জিহাদে সীমাবদ্ধ ছিলোনা। তালিম, তাযকিয়া, দাওয়াত, জিহাদ, ইসলাহ, আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকার প্রভৃতি বহু কর্মকান্ডের সংমিশ্রণ। উপমহাদেশে সুন্নাহর সাথে সামান্য সম্পর্ক আছে এমন প্রত্যেক সিলসিলা নিজেদের নিসবত তার সাথে জুড়ার চেষ্টা করেছে। তার দাওয়াত বাংলা থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত অধিবাসিদের আলোড়িত করেছে। ফলে তাকে বিচ্ছিন্ন জিহাদি ভাবা এক মারাত্মক ভুল।

 

সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) ছিলেন সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) অধঃস্তন বংশধর। আমি সাইয়্যেদ নদভী (রহ) এর জামাতে ইসলামিতে যোগদান, তাবলিগ জামাত করা, ইখওয়ান এর সাথে নিসবত ভারত এবং আরবে খিদমত ইত্যাদি সম্পর্কে যা জেনেছি এবং তার লেখা নিয়ে যা পড়েছি তাতে আমার মনে হয়েছে নদভী (রহ) এর মানহায ছিলো মুজাদ্দিদে আলফে সানি রহ এর তাহরিকের সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর ধারার কর্মকান্ড। তার সারাজীবনের কর্মকান্ড এবং উম্মাহর জন্য দরদ ও ব্যাথ্যা তাকে এমন কিছু অন্বেষায় উদ্বুদ্ধ করেছে। তবে সম্ভবত তিনি এমন নকশা কোন তাহরিকেই পূর্নরূপে পাননি। সেজন্য তিনি ব্যাথিতও ছিলেন।

 

আমি মনে করি সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ এর আন্দোলন এখনো প্রত্যেক তাজদিদি আন্দোলনের জন্য শিক্ষনীয় এবং প্রাসঙ্গিক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি কেন জামাত বিরোধী?

 

১) মুয়াবিয়া বিদ্বেষ

২) মডারেট ইসলামের পক্ষে প্রোপাগান্ডা

 

বিশেষত এক নম্বর দেখলেই আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। অনেকবার তাদের প্রতি উদার হতে চেয়েছি। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় তারা মুয়াবিয়া (রা) এর চেয়ে উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর মর্যাদার প্রচারক। স্পষ্ট শব্দে না তাকিয়্যাসহ। আকিদার ব্যাপারে অন্তহীন মূর্খতা তাদের পোষাক না চামড়ায় পরিনত হয়েছে।

 

আলে গাজির মতো একটা মানুষিক ভারসাম্যহীন সেমি বেরেলভি, প্রাক্তন দেওবন্দিকে তারা কেন পছন্দ করে? কেন তারা আলে গাজিকে প্রচার করে? প্লাটফর্ম দেয়?

 

একটামাত্র কারণ। সে মুয়াবিয়া বিদ্বেষী।

 

আমার জামাতবিরোধী পোস্টের ৯০ শতাংশ পোস্টের ট্রিগার কোনো না কোনো জামাতির বাচ্চা জামাতির সাহাবাবিদ্বেষ বিশেষত মুয়াবিয়াবিদ্বেষী অবস্থান।

 

তারা সাহাবাদের ঘৃনা করবে আর আমরা তাদের ভালোবাসবো তা হতে পারেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা বাকশালকে ক্রুসেডারদের চেয়ে খারাপ মনে করে তাদেরকে আমরা বেকুব মনে করি।

 

জামাত ক্রুশেডরদের সাথে আঁতাতকারি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতিদের হাহুতাশ এবং গালাগালি একটা দারুন বিনোদন। তারা আদর্শিক পছন্দ না বরং বেকায়দায় বলে কওমিদের ঘাড়ে উঠে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে অন্যকথায় কওমিদের প্যারাসাইটের মতো চুষে ফোকলা করে দিতে দাওরা দেওয়ার ধান্দা করছিলো। যেমন হেফাজতের ঘড়ে চড়ে তাদের দল বাঁচাতে এবং আওয়ামী লীগ ঠেকাতে চেয়েছিলো।

 

আমরা আওয়ামী লীগ নয় বরং আদর্শিক কারণে জামাত বিরোধী। তবে আওয়ামী লীগ এক তাদের কোপের উপর রাখছে বলে তারা এসব ভন্ডামি করছে। কৌশলগতভাবে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে রাখুন। বিশেষত যারা খুব আদর্শিক হিসাবে নিজেদের বিবেচনা করেন।

 

যত হকপন্থীই হোক জামাত কোনো জিহাদি জামাতের দায় নিয়েনা কৌশলগত কারণে। আমাদেরও দরকার নাই জামাতিদের দায় নেওয়ার।

 

জামাতিদের গালাগালিতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। কারণ ওবায়দুল কাদেরের বুদ্ধি শুনে বিএনপি চালানো আর জামাতিদের কথা শুনে কওমি মাদ্রাসা চালানো এক কথা।

 

কোনো যদি কিন্তু সুশীলপনা ছাড়া আমরা জামাতবিরোধী। আমরা আমাদের আঙিনায় সাহাবা বিদ্বেষমূলক আকিদার চাষ মেনে নেবোনা। হ্যাঁ রাজনৈতিক, সামাজিক এবং মানবীয় ক্ষেত্রে তাদের সাথে উদারতা দেখাতে হবে। তাদের যেকোনো ব্যাক্তিগত, পারিবারিক সমস্যায় মুসলমান ভাই হিসাবে পাশে দাঁড়াতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ব্রাহ্মন্যবাদীদের জ়মিন ভূ-ভারতে ক্বওমীরাও ইসলামী-ব্রাহ্মন৷ তাই উনাদের মন্দিরে অছ্যুতদের স্থান নাই৷

#ইসলামী_বর্ণপ্রথা

 

- আবু সামিহা ভাই

 

মন্তব্যঃ ভুল ব্যাখ্যা। বর্ণ প্রথা একটা জন্মগত অমোচনীয় বিষয়। কিন্তু দেওবন্দিয়াত জন্মগত নয় মতাদর্শগত। কিছু এসপেক্টে আপনি ক্যাথেলিক পাদ্রীদের সাথে তুলনা করতে পারতেন। সেতটা তুলনামূলক সঠিক হতো। তবু অবশ্যই এসপেক্ট উল্লেখপূর্বক।

 

হ্যাঁ আপনি যে বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন তা নিয়ে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে জামাত না করে যেমন রোকন হওয়া যায়না, ভ্যাটিকান না মেনে যেমন ক্যাথেলিক কার্ডিনাল হওয়া যায়না তেমন দেওবন্দি মতাদর্শ না মেনে কওমি সনদ পাওয়া যাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাতে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম হাইয়ার শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তকে সতর্ক সমর্থন জানিয়ে। পোস্ট ডিলিট করেছি কারণ এই শাস্তির বিভিন্ন টেকনিক্যাল দিক আরও ভালো করে জানা দরকার বলে।

 

তবে একটা কথা পরিস্কার। স্বীকৃতির সময় সরকারি হস্ত্রক্ষেপের বিরোধিতা করা হয়েছিলো এবং স্বাধীনতার শর্তে স্বীকৃতি নেওয়া হয়েছিলো যেনো কওমি মাদ্রাসাগুলো তার নিজস্ব ঐতিহ্য এবং মতাদর্শের উপর টিকে থাকতে পারে।

 

কওমি বা দেওবন্দি মতাদর্শ কি?

 

এক কথায় আকিদার ক্ষেত্রে শিরক বিদয়াত বিরোধী সুফি হানাফি চিন্তাই দেওবন্দি চিন্তা।

 

কওমি মাদ্রাসা রাস্ট্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থা না বরং অনৈসলামিক সমাজে ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নিজস্ব মতাদর্শে দীক্ষিত করা শিক্ষা ব্যবস্থা।

 

যতদিন না সাহাবা ইস্যুর পরিচ্ছন্ন সমাধান হবে, যতদিন না অরাজনৈতিক ক্ষেত্রগুলোতেও তারা তাদের প্রকাশ্য মডারেট অবস্থান পরিত্যাগ করবে, যতদিন না তারা দেওবন্দি ড্রেসকোড গ্রহন করবে, যতদিন না তাদের পরীক্ষার্থী হানাফি মাযহাবের মুকাল্লিদ হিসাবে নিজেদের অবস্থা পরিস্কার করবে এবং সুন্নাহভিত্তিক তাসাউফকে স্বীকার না করবে ততদিন পর্যন্ত অবশ্যই তাদেরকে কওমি অঙ্গনে প্রতিরোধ করতে হবে।

 

কওমি মাদ্রাসাগুলো হচ্ছে দেওবন্দি চিন্তার প্রাণকেন্দ্র। এগুলোই দেওবন্দিয়াতের দূর্গ। এখানে ছাত্র শিক্ষকদের অবশ্যই মাসলাকান দেওবন্দি হতে হবে। উদারতা দেখানোর অনেক জায়গা আছে। সেসব জায়গায় উদারতা দেখানোর উচিৎ। তবে অবশ্যই বেডরুমে না। সেখানে আমাদের বিবি থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার মনে হয় দুদক চেয়ারম্যান এর বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

 

অনেক সময় একজন ব্যাক্তি অনেক কাজ করেন বিশ্বাসের ভিত্তিতে। ধরেন আপনার সাইনিং অথোরিটি আছে। আপনি বিষয়টি খতিয়ে দেখারও দায়িত্ব বহন করেন। কিন্তু আপনি আপনার অধিনস্ত কারও ব্যাপারে আস্থাবান হয়ে ফাইল সাইন করলেন। এতে যদিও আপনি দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেলেন তথাপি আপনার দোষ নাই। এটা তদন্ত করলে সার্কামসটেনসিয়াল এভিডেন্সের ভিত্তিতে বোঝা যায়।

 

এধরণের কেসে সহানুভূতিশীল হওয়ার একটা দিক নির্দেশনা তার বক্তব্যের অর্থ মনে করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসকনও নাকি ইহুদিদের সংগঠন। অথচ লোকে আমাকে মোসাদ এজেন্ট মানতে চায়না। ইহুদি ছাড়া দুনিয়ায় আর কে এজেন্ট নিয়োগ দেয়?

 

শালা বোকা**** হুজুরের গুষ্টি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাঙালি হাজার বছর ধরে গোলামের জাত। অশিক্ষিত, হিংসুটে, ইতর প্রজাতির। কাল মেয়েটার পক্ষে আইনজীবী না থাকা অনেকের চোখ খোলার জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সবাই আছে কল্পনায় মেয়েকে কাপর খুললে কেমন লাগে ভেবে হাত মারার ধান্দায়।

 

নয়নের মা অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর একজন লোভী ও ছোটলোক মহিলা। তার মাঝে মহৎ গুনাবলির ছিটেফোঁটাও নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জঙ্গিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেননা।

 

মাদক ব্যাবসায়ীদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না।

 

আজ মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলোনা।

 

এগুলোই আইনের শাসন।

 

প্রত্যেক মানুষ আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখে। আইনজীবী আপনাকে আইন অনুযায়ী অবিচার থেকে রক্ষা করেন, আইন থেকে বাঁচাননা।

 

ফলে যারা আইনজীবী ছাড়া আইন চালাতে চান তারা জঙ্গলের আইন প্রতিষ্ঠা করতে চান।

 

নারীর রূপ আর ক্ষমতাবানের ক্ষমতা চিরকাল থাকেনা।

 

আল্লাহর পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন।

 

অপেক্ষা করুন আল্লাহ নির্ধারিত সময় আসার জন্য। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদের শাস্তিদানে কঠোর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মনসুর হাল্লায (র) নিয়ে আমার মতামত

 

মনসুর হাল্লায আমাদের সুফি ট্র্যাডিশনে বেশ সম্মানিত একজন ব্যাক্তি। আবার সালাফি ধাঁচের আলিমগন তাঁকে তাকফির করেন। তার দ্বারা প্রকাশিত কিছু উক্তি কুফুরি হওয়ার ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেন। তিনি কি ওলি ছিলেন না মুলহিদ, মুরতাদ।

 

ইবনে কাসির (র) তার 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া'তে তার মুলহিদ হওয়ার ব্যাপারটিকে প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে তার সমর্থক আলিমদের অনেকে এসব বর্ননার অনেক সনদকে অনির্ভরযোগ্য বলেছেন। জালালুদ্দিন রুমি (র) তার মসনবিতে মনসুর হাল্লাযকে সমর্থন করেছেন এবং তার বিরুদ্ধবাদিদের দুনিয়াদার রূপে চিত্রিত করেছেন। ব্যাপারটিকে নিয়ে আমি বেশ চিন্তা করে কিছু উপলব্ধি অর্জন করেছি। আপনাকে এরসাথে একমত হতে হবেনা। তবে এটা আমার বিশ্লেষন।

 

মনসুর হাল্লায মূলত একজন আবিদ ছিলেন। আলিমও ছিলেন তবে মুহাক্কিক ধরনের না। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু মানুষকে দেখি যারা মেধাবী কিন্তু একরোখা। যা বুঝে তাই। তিনিও সম্ভবত শুরুতেও তেমন ছিলেন। তারা সুফি সাধনায় অত্যন্ত কঠোরতা করতেন। তিনি সম্ভবত ভারতেও এসেছিলেন। এখানে তিনি অন্য ধর্মের সাধকদের সাথেও পরিচিত হন। ভারতে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের সাধকরা সাধনার ক্ষেত্রে অনেকেই বেশ বাড়াবাড়িতে অভ্যস্ত ছিল। মনসুর হাল্লায তার স্বভাবগত কারনে এসবে আগ্রহ বোধ করেন এবং এগুলো তার মতো করে পর্যবেক্ষন ও অধ্যয়ন করেন। এতে তিনি কম বেশি প্রভাবিত হন এবং এসকল অভিজ্ঞতাকে তিনি তার নিজের ইজতিহাদ অনুযায়ি ইসলামের সাথে সমন্বয়ের চেষ্টা করেন। তার নতুন উপলব্ধির অনেক কিছু তার পুরোনো শায়েখ, সুফি সহচর, সহপাঠী এবং সমকালীন আলিমদের উপলব্ধির সাথে সাজুয্যপূর্ন ছিলনা। শুরুতেই তাযে পূর্নাঙ্গ কুফর ছিল তা নাও হতে পারে। কিন্তু কিছু বিদয়াত সম্ভবত ততদিনে তিনি শুরু করেছেন। এসকল সাধনা এবং উপযুক্ত শায়েখের অভাব তার মধ্যে তার পূর্বের মানসিক একরোখা ভাব বাড়িয়ে দেয় এবং এক পর্যায়ে তা তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীনে পরিনত করে। আপনাদের যাদের বিভিন্ন রকম পাগল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন যে, সব পাগল যে একই রকম তা নয়। তাদের মধ্যে অনেকে বেশ বুঝমান হয়। লোকে তাদের ভাবের পাগল বলে কিন্তু আসলেই তারা পাগল। আবার পাগল সব সময় পাগল থাকে তাও নয় মানে সবসময় তার পাগলামির প্রকাশ নাও ঘটতে পারে। তার পূর্বের একরোখা চরিত্র আর পরবর্তিকালীন মানসিক বৈকল্য একসাথে মিলে বিশেষ ক্ষেত্রে তিনি মারাত্মক সব কথা বলা শুরু করেন। কিন্তু যেহেতু তিনি তার পূর্বের সাধনার অভ্যাসবশত নামাজ, রোযা পালন করতেন কিন্তু হেয়ালিপূর্ন কিন্তু আপাত যুক্তিসঙ্গত কিছু সুফি রেটরিক ব্যাবহার করতেন তাই শত্রু মিত্র সবাই বিভ্রান্ত হয়েছে। ফলে সবাই নিজ নিজ পূর্ব ধারনা ও প্রবনতা অনুযায়ী তাঁকে ব্যাখ্যা করেছে।

 

এখন তার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান কি? মুশকিল হচ্ছে তার সম্পর্কে আমাদের কাছে যা পৌছেছে তার সনদ অনেক ক্ষেত্রেই অকাট্য নয়। তার পুর্নাঙ্গ চিত্র আমাদের সামনে নাই। কিন্তু মুসলমানদের অনেকে তার সময় থেকে তাঁকে সমর্থন করেছে। আবার তাঁকে হত্যার ফতোয়া তার পূর্বের শায়েখদের অনেকেই দিয়েছেন তাই তার ব্যাপারে চুপ থাকাই নিরাপদ কারন এবিষয়ে আল্লাহ আমাদের জিজ্ঞেস করবেননা।

 

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তাঁকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মল্লযুদ্ধ এখনো চলছে। এর ভিত্তিতে কিছু আলিমকে গোমরাহ বলা হচ্ছে। তাই আমার কিছু পর্যবেক্ষন শেয়ার করতে চাই। সিদ্ধান্ত আপনার।

 

- তিনি শুরুতে আবেদ ও আলিম ছিলেন।

- পাগলকে তাকফির করা যায় না।

-পাগল হওয়া কোন ইবাদত না তাই একে আওলিয়াদের বৈশিষ্ট বলার সুযোগ নাই।

-তিনি পাগল হওয়ার আগে পর্যন্ত আলিম ও আবিদ ছিলেন। তাই তার পাগল হওয়াকে কেউ যদি মৃত্যু ধরে আগের অবস্থা বিবেচনায় ওলি বলে তাহলে তার কথায় যুক্তি আছে।

- তার আবেগি কথাগুলো হাল, ইলহাদ না সিজোফ্রেনিক প্রবনতা তার বিচার করার কোন উপায় আমাদের হাতে নাই।

- পাগলদের বিভিন্ন প্রতিভা থাকতে পারে পাগল হওয়ার পরেও। তার আবেগের উচ্ছাস কাব্য ও সুফি অভিজ্ঞতায় ব্যাবহার করায় দোষ থাকা উচিৎ না। তবে অবশ্যই তার বক্তব্যের এমন কোন ব্যাখ্যা করা যাবেনা যা ভুল আক্বিদার দিকে নিয়ে যায়।

 

---শেষকথা অকাট্য সনদের অনুপস্থিতিতে তার ওলি হওয়া বা কাফির হওয়া কোনটাতেই আমাদের নিশ্চিত না হওয়া উচিৎ।

 

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এব্যাপারে আমার জানামতে উলামায়ে দেওবন্দের ইজমা আছে যে, ভিডিও বা ডিএনএ টেস্ট জেনার প্রমান হিসাবে যথেষ্ট না।

 

জেনার প্রমান চারজন সাক্ষী অথবা স্বীকারোক্তি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিন্নির জন্য সহানুভূতি বোধ করছি যদিও তার হিজাব নিয়ে পরিচ্ছন্ন সমস্যা আছে।

 

অন্যদের কিছু বলার নেই। ইমানদারদের জন্য দুইটা পরামর্শ।

 

১) আল্লাহ আপনাকে এখানে বিচারক বানাননি। অনুমান ভিত্তিক কথা যেন কারও উপর কোনো রকম জুলুমের দরজা খুলে না দেয়।

 

২) আপনি মেয়েটার স্বামী না। মেয়েটার চরিত্র নিয়ে কথা বলতে চাইলে কুরআনের শর্ত জেনে নিন। চারজন প্রত্যক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য।

 

এর চেয়ে বেশি মোরাল পুলিশিং ইসলামে হারাম। শর্ত পূরণে ব্যার্থ হলে অপবাদের হদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আকিদা সম্পর্কে অন্তত মাঝারি মানের পড়াশোনা আছে এমন কোনো জামাতপন্থী ফেসবুকারের আইডি লিঙ্ক দেওয়া যাবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেশে মানুষ কত অসভ্য।

 

তারা মিন্নির বিচার চায়না, ফাঁসি চায়, ডিম থেরাপি চায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার নয়ন বন্ডের মাকেও ভালো মনে হয়নি। একজন অশিক্ষিত থার্ড ক্লাস প্রতিহিংসা পরায়ণ মহিলা মনে হয়েছে।

 

তিনি এমন মা যিনি তার সন্তানকে ন্যুনতম সুশিক্ষা দিতে ব্যার্থ হয়ে এখন নির্বোধের মতো তার সন্তানের দায় অন্য কারও ঘাড়ে চাপাতে উঠে পরে লেগেছেন। ভাবখানা এমন, আমার সন্তান খারাপ কাজ করতে পারেনা পাশের বাসার মেয়েই তাকে খারাপ বানিয়েছে।

 

পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সবকিছুতে নারীদের দোষ বড় করে দেখার প্রবনতা আছে। এই নষ্ট সমাজে নারীরাও হারাম উপায়ে শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য প্ররোচিত হচ্ছে। কিন্তু একটা মেয়েকে যতটা দায় নিতে হয় পুরুষদের ততটা দায় নিতে হয়না। লোকনিন্দাও না। ভাবখানা এমন ষাড় গাই পেলে চড়ে বসবেই। তাতে তার দায় বড় না। কিন্তু এটা ইনসাফ না।

 

এখন পর্যন্ত মেয়েটাকে খুনি মনে হওয়ার মতো কিছু পাওয়া গিয়েছে বলে মনে হয়নি। তবে হ্যাঁ তার চরিত্রে সমস্যা ছিলো। তবে এমন হওয়ার পেছনেও অনেক রকম ফ্যাক্টর কাজ করে থাকতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মেয়েদের সেলিব্রেটি আর টিচার প্রেমের কারণ কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জিয়াউর রহমান অর্থনৈতিক দিক থেকে সৎ ছিলেন। পরিশ্রমী ছিলেন। পাশাপাশি অত্যন্ত চতুর ছিলেন। তিনি রাজনীতির স্পন্দন বুঝতেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী সরকারের সীমাহীন ব্যার্থতার কারনে তিনি বুঝতে পারেন তার ভিন্ন প্রভু দরকার। সোভিয়েত ইউনিয়ন না বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছত্রছায়ায় তিনি ক্ষমতায় টিকতে পারবেন তা উপলব্ধি করেন। ব্যার্থদের অনেকের ইসলামবিরোধী রেটরিক ও ভারতমুখিতার কারণে তিনি ইসলাম এবং ভারতবিরোধী রেটরিক ব্যবহার করেন অত্যন্ত সফলভাবে। তিনি সংবিধানে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ঢুকান। কিন্তু সংবিধানের কার্যকর ও প্রভাব তৈরি করে এমন কোনো অনুচ্ছেদের ইসলামিকরন করেননি। তার এই আস্থা কার্যত এরশাদের রাস্ট্রধর্মের মতো দোয়েল, ইলিশ মার্কা আস্থা। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের ব্যানারে ইসলামি দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দেন। বাস্তবতা হচ্ছে তিনি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দেন। তার বহুদলীয় রাজনীতি মূলত মার্কিন ব্লকের দালালির রাজনীতি ছিলো। জামাত ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন ব্লকের দল। গত ৮০ বছরে তাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বা কর্মসূচী মার্কিন বিরোধী ছিলোনা। শুধু জামাত বা উপমহাদেশের কোনো গনতান্ত্রিক ইসলামি রাজনৈতিক দল কখনো মার্কিন বিরোধী অবস্থান নেয়নি জমিয়তের কিছু ফ্র‍্যাকশন ছাড়া। তাছাড়া জিয়া যে ধরনের রাজনীতির সুযোগ ইসলামি দলগুলোকে দিয়েছিলেন তা মূলত ইসলামি রেটরিকে বুর্জোয়া রাজনৈতিক দল করার অধিকার। অনেকেই জানেননা ইসলামি আদর্শের প্রতিভূ জিয়া যেমন আওয়ামী সেক্যুলার রাজনীতিকে ব্যালেন্স করার জন্য মুসলিম লীগ, জামাত এর মতো দলের সাবেক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন ব্যানারে কাজের সুযোগ দিয়েছেন তেমন ইসলামি আইটেমগুলোকে ব্যালেন্স করার জন্য কেবল চীনপন্থী কমিউনিস্টদেরই না পাশাপাশি ভারতপন্থী কমিউনিস্ট এবং আওয়ামী লীগকেও সুযোগ দিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছিলেন তিনিই।

 

মেজর জিয়াকে আমরা ইনসাফপূর্নভাবে মূল্যায়ন করলে বলতে হবে তিনি মূলত বাংলাদেশি জাতিয়তাবাদি নেতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের কল্যাণ চাইতেন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান হওয়ায় বাংলাদেশের জাগতিক উন্নয়ন হলে মুসলমানদের লাভ হয়। কিন্তু এখানে ইসলাম নিতান্তই প্রাসঙ্গিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায় যতটুকু প্রয়োজন ছিলো ততটুকুই। তার চেয়ে বেশি কিছু ছিলোনা। উন্নয়নের সংগায়ন পাশ্চাত্য কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছিলো, কিতাবুল্লাহ বা সুন্নাহ দ্বারা নয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফিকাহয় ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং উম্মাহর স্বার্থ আলাদা মনে করি। রুখসাত যদি উম্মাহর জন্য আযিমাতের চেয়ে কল্যাণকর হয় তবে রুখসাতই আযিমাত।

 

তবে অনেক বড় বড় ইসলামি ব্যাক্তত্ব উম্মাহর স্বার্থের নামে নিজের আখের গুছিয়েছেন বা পিঠ বাঁচিয়েছেন। মানুষের হৃদয়গুলো আল্লাহর দুই আঙুলের ফাঁকে। আল্লাহ হৃদয়ের খবর জানেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু বড় আলিম বিবর্তনবাদ পড়াতে নিষেধ করেছেন। আমি তাদের নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করি। কারণ বিবর্তনবাদকে এদেশে দর্শনের অংশ নয় বরং জীববিজ্ঞানের অংশ হিসাবে পড়ানো হচ্ছে। বিবর্তনবাদ এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুত ও উন্নয়নে কাজে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তত্ত্বটির কিছু এসপেক্ট কাজ করে। এক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে কোনো তত্ত্ব আপাতভাবে ফাংশন করা মানেই তা সামগ্রিকভানে নির্ভুল প্রমান হওয়া নয়। অতীতে বিভিন্ন তত্ত্বের ক্ষেত্রে এমন নযির আছে যে তা ফাংশন করেছে কিন্তু পরবর্তীতে তা ভুল প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু আপাতভাবে ভুল করে করে মানুষ শেখে। এটাই বিজ্ঞানের ইতিহাস। মানুষের কাছ থেকে ভুল করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হলে মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞানের গতিপথ বদ্ধ নদীর মতো হয়ে যাবে। নদীর স্রোত বন্ধ হয়ে গেলে অচিরেই সে নদী মরে যায়। জ্ঞান বিজ্ঞানের যাত্রাও শুদ্ধতার জিদে হারিয়ে যাবে। বিজ্ঞানকে কল্যানকর কাজে লাগানো ধর্মের কাজ, বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় বাধা দেওয়া নয়।

 

তাই আমাদের দাবি হওয়া উচিৎ বিবর্তনবাদ বাদ দেওয়া নয়, বরং ফিলোসোফি অব সাইন্স আমাদের কারিকুলামের অংশ করা হোক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এরশাদের দ্বারা যারা নির্যাতিত হয়েছেন তারা যদি তার মৃত্যুতে আল হামদুলিল্লাহ পড়েন তবে কি তার পাপ হবে? প্রত্যেক শাসকের দ্বারা যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের কারও মৃত্যুতে মজলুম তার রবের শুকরিয়া আদায় করলে তা কি অসামাজিক, অনৈসলামিক? যারা বলে আল্লাহ দুনিয়ার পাওনা পাইনি, আখিরাতের দাবি ছাড়লামনা তাদের এই দাবি কি হারাম?

 

রাজত্ব আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। এই আলাপ না করে জালিমদের জন্য দুয়া মানুষকে জুলুমের সামর্থ্য অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষ ভাবে ক্ষমতাবানের জন্য দুয়া এবং মৃত্যুর পরে দুয়া দুইটাই।

 

আজ যদি এরশাদ রাজত্বের দায়িত্ব ছাড়া এক সুফি আলিম হতেন যার জীবন কেবল তার রবের জন্য উৎসর্গিত হতো যাকে তার আদর্শিক দৃঢ়তার জন্য জনতা নেতৃত্বের সুযোগ দেয়নি এমন কেউ হতো তবে তিনি কয়জনের দুয়া পেতেন?

 

আমি জানি আমাদের শাসকরা ইসলাম, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র কোনোপন্থীই না। তৃতীয় বিশ্বের কোনো স্যাটেলাইট দেশের শাসক ক্ষমতা ছাড়া আর কোনো আদর্শের পূজা করেনা। সে কেবল তার কলোনিয়াল প্রভুদের গোলাম। তবু এমন লগ্নে সমকালীন ক্ষমতাবানদের কাছে যদি দাওয়াতের ভাষায় বলতে না পারি যে জালিমের জন্য এসব আনুষ্ঠানিক দুয়া রবের দরবারে অর্থহীন যতক্ষণ না মজলুমের হক আদায় করা হবে, যদি বলতে না পারি দ্রুতই তোমাদের রাজত্ব রাজত্বের মালিক ছিনিয়ে নিবেন, যদি বলতে না পারি ফেরাউনের জন্য রাজত্ব রহমত না আল্লাহর গজব তবে কিভাবে আল্লাহর আমাদের শাসকদের হৃদয়গুলোকে পরিবর্তন করে দিবেন? তারাতো জনসাধারণের প্রতারণাপূর্ন কথায় কজন আলিমকে হজে পাঠিয়ে হাজার মুসলিমের রক্তের দায় মুছে ফেলেছেন ভেবে পার্থিব জীবনের মরিচিকার গোলকধাঁধায় পরে যাবেন। ফলে অচিরেই তাদেরও পার্থিব জীবন শেষ হবে। তারা সেই সংবাদকে প্রত্যেক্ষ করবে যে ভয়ংকর আজাবের সুসংবাদ আমাদের রব তার কিতাবে দিয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মেজর জিয়া কি ইসলামপন্থী শাসক ছিলেন?

 

ইসলামের জন্য তিনি কি করেছেন?

 

আমি শহীদ তিতুমীরের পরে এই বাংলাদেশে ইসলামপন্থী কোনো শাসকের নাম জানিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শহীদ মুরসি (রহ) এর শাহাদতে শোকাহত হয়েও বাধ্য হয়ে যারা তার রাজনীতির বিরোধিতা করেছেন তাদেরকে যারা বলেছিলেন, এখন শোক প্রকাশের সময় নিন্দার না তারাই আবার এরশাদের জন্য শোক প্রকাশ করছেন যদি কিন্তুসহ।

 

উল্লেখ্য অন্তত এক সপ্তাহ আগে খোমেনি এহসান ভাই বলেছিলেন এরশাদ মারা গিয়েছেন, বিশেষ কারণে পরে প্রকাশ করা হবে। আমি তখনই তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। তাই এতো পরে বাসি খবরে কোনো ফিলিংস নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি যদিও ভেদে মারেফাত পড়িনি তবে সার্বিকভাবে বইটির বিভিন্ন আলোচনা, পর্যালোচনা, সমালোচনা পড়ে, বিশেষত মুমিনের হাতিয়ার পড়ে মনে হয়েছে বইটি ডাস্টবিনে না ফেলে চরমোনাই খানকাহর কোনো অধিকার নাই 'খেলাফত এবং মুলুকিয়াত' বইটি নিয়ে সামান্য টুঁ শব্দ করার।

 

মানুষের ভুলতো ধরাই যায় তবে নিজের ভুল স্বীকার করে তাওবা করে ইসলাহ হওয়া সহজ না।

 

আবারও বলি ভেদে মারেফাত পড়িনি। তবে মুমিনের হাতিয়ার যে লিখেছে ইসলামি কোর্ট থাকলে বইটি লেখকের উপর তাযির বাবত চাবুক পিটিয়ে তার পিঠের ছাল তুলে ফেলা হতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভেদে মারেফাত নিয়ে আমি যে শক্ত সমালোচনা শুনেছি তা সত্ত্বেও বলবো তার জন্য ওযর দাঁড় করানো যায়। ওযর দাঁড় করানো যায় বাঙালি মুসলমানের কঠিন সময়ের ভিন্ন বাস্তবতার। কিন্তু মুমিনের হাতিয়ারের কোনো ক্ষমা নাই। এই বইয়ের ভিত্তি দলবাজি আর মাসলাকপরস্তি। সত্যি যদি কোনোদিন চরমোনাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয় এসব ফালতু বইয়ের জন্য তাদের কড়া মূল্য দিয়ে হবে। যেমন মাওলানা মাওদুদি (রহ) এর খেলাফত মূলুকিয়াত এবং তার ফলোয়াপ ঘাওড়ামির কারণে জামাতকে দিতে হয়েছে?

 

তবে প্রশ্ন হচ্ছে এসব উদ্ভট কথাবার্তার সমালোচনা শুধু জামাত, আহলে হাদিস আর মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানিরা করবেন কেন? সাআদ ইস্যুতে যে জজবা প্রবল এই ইস্যুতে তা এতো দুর্বল কেন? এই ভেড়ার পালের হুজুগ প্রবনতার অর্থ কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাওবাতুন নাসুহার আজিব তাফসিরের ভিত্তিও নাকি 'ভেদে মারেফাত'। বইটা আসলেই চরমোনাই পিরের পুরো আন্দোলনের জন্য একটা গজব হয়ে গিয়েছে। এই বইটা যদি জামাতের কোনো আমির লিখতো তাহলে দেওবন্দিরা তার কি হাল করতো আল্লাহই জানে। আমার মনে হয় ধানাই পানাই না করে এই বই থেকে হাত ধুয়ে ফেলাই চরমোনাই পিরের পুরো আন্দোলনের জন্য কল্যানকর হবে।

 

তবে লেখকের জন্য আমার হৃদয় সহানুভূতি শুন্য না। নিঃসন্দেহে মাওলানা ইসহাক (রহ) আহলে দিল মানুষ ছিলেন। কিন্তু সে যুগ ছিলো মূর্খতার। বাঙালি মুসলমানের ধর্মীয় চিন্তার ভিত্তি ছিলো পুঁথি সাহিত্য। ফলে সেই যুগে সীমিত জ্ঞান এবং উম্মাহর জন্য অগাধ দায় ও প্রেম নিয়ে সনদ বিচারে অক্ষম এক আল্লাহ প্রেমিকের লেখা উদ্ভট কথার সংকলন বইটি।

 

আল্লাহ তাকে তার অপারগতার জন্য ক্ষমা করুন এবং ইশকের জন্য আপন করে নিন। কিন্তু এই বই ছুঁড়ে ফেলতে সময় ক্ষেপন চরমোনাই পিরের পুরো তাহরিকের জন্যই জঘন্য একটা ব্যাপার হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার পাঠক তালিকায় অনেক কওমি আছেন যাদের সাথে দায়িত্বশীল উলামায়ে কেরামের সম্পর্ক আছে। তাদের সাথে আলাপে আগ্রহী।

 

ক) মাদ্রাসাগুলোতে ফালসাফা এবং মানতিক পড়ানো হয়। কোথাও কি জাদিদ ফালসাফা এবং মানতিক পড়ানো হয়?

 

খ) ফিকহ এবং হাদিস নিয়ে উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান এদেশে আছে। কেউ কি পাশ্চাত্যবাদ নিয়ে এমন ফ্যাকাল্টি খোলার কথা চিন্তা করবেন?

 

গ) ফিরাকে বাতিলা নিয়ে মাদ্রাসাগুলোতে পড়ানো হয়। এখন এসকল বিষয়ের ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা কতটা কঠিন?

 

যেমন ধরেন খ্রিস্টানদের বিভিন্ন ডিনোমিনেশন নিয়ে অধ্যয়ন, শিখ বা বৌদ্ধ ধর্ম, সেক্যুলার হিউম্যানিজম, কমিউনিজম এবং তার বিভিন্ন ধারা উপধারা প্রভৃতি।

 

ঘ) মাদ্রাসাগুলোতে কি রিসার্চ মেথডলজি নিয়ে একটা কোর্স চালু করা সম্ভব? ধরেন এজন্য দীনদার মুসলমানদের সহায়তা নেওয়া হবে। সেখানে খুব কিছুনা, শুধু প্রাথমিক কিছু ধারণা দেওয়া হলো।

 

কোর্স ম্যাটেরিয়ালে থাকবে রিসার্চের বিভিন্ন ধরন (যেমন কুয়ালিটেটিভ, কুয়ান্টিটেটিভ রিসার্চ), কোয়েশ্চেনিয়ার, সোর্স ভেরিফিকেশন, ডিফারেন্ট স্ফেয়ার অব সোর্স ( প্রাইমারি ডেটা, সেকেন্ডারি, টারশিয়ারি সোর্স), বেসিক পরিসংখ্যান যেমন স্যাম্পল এবং স্যাম্পলের বিভিন্ন রকম এরর ইত্যাদি।

 

বর্তমানে মাদ্রাসার ছাত্রের সংখ্যা বেড়েছে। আমি বিশ্বাস করি দীনের দাওয়াত এবং প্রতিরক্ষায় কিছু মানুষ এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন। তাই

আমি অনুরোধ করবো যারা আমাকে ফালতু ভাবেন তারাও এব্যাপারে আলোচনাটি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সম্ভব হলে মুরব্বি পর্যায়ে উলামায়ে কেরামের কাছে আমার বক্তব্যটুকু পৌছানোর জন্য অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সরকারীভাবে হজে যাওয়ার বিপক্ষে। বাকি যাদের নিয়ে মস্কারী করছেন তাদের হজ্জে যাওয়ার জন্য সরকারী টাকা লাগে না। তারা আকাংখা ব্যক্ত করলেই তাদের অধিকাংশকে হজ্জে নিয়ে যেতে তাদের হাজারো ভক্ত আছেন। কেন এবং কি কারনে তারা সরকারী খরচে হজে গিয়েছেন সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। এই হজ্জ সফরে অংশ নেওয়া একজন প্রখ্যাত আলিমের ছেলের কাছে জানলাম সরকার হজে যাওয়ার জন্য বারবার বলায় তিনি যাচ্ছেন। নয়তো তার শরীর হজ্জ করারও উপযোগী নয়। এনাদের অধিকাংশ মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। সো আকলমন্দকে লিয়ে ইশারায় কাফী। আর যারা হিংসায় আঙুল কামড়াচ্ছেন তারা কামড়াতে থাকেন।

 

প্রতিষ্ঠান বাচাতে সরকারী ফান্ডে টাকা পয়সা দেওয়ার কিচ্ছা পুরানা হয়ে যায়নি। অহেতুক বিতর্ক না বাড়িয়ে সকলকে ভাই পরিজন মনে করে কাজ করুন।

 

- আরিফুল ইসলাম

 

বস স্ট্রাইকস হার্ড

 

অনেক চেষ্টা করেও এমন কিছু লিখতে পারিনি কদিনে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কেন জামাত শিবির এতো বিপুল পরিমান সমর্থক অনেকে এই পিএইচডি কন্টেইনারের প্রতিরক্ষায় এতো উগ্রতা দেখাচ্ছে?

 

অনেক ভেবে চিন্তে দেখলাম দলবাজি ছাড়াও আরও কারণ আছে।

 

কওমিরা পিএইচডি কি জিনিস তা জানেনা। তাই তারা চুপ। Ariful Islam ভাই ভাল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দাওরা নিয়ে শিবিরেরা ছেলেরা না বুঝেও অনেক কথা বলেছে। কওমিদের ধন্যবাদ যে তারা না বুঝে কথা বলছেনা।

 

যাইহোক বাস্তবতা হচ্ছে শিবিরের ছেলেরাও পিএইচডি কি জিনিস তা অনেকেই ভালো করে বোঝেনা। বিশেষত যারা বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে উগ্র আচরণ করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরাও ছোটবেলা বিভিন্ন এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার সময় বন্ধুদের এসাইনমেন্ট কপি করতাম। সেগুলো পিএচডি কনটেইনার না। তাই তার বিশেষ গুরুত্ব ছিলোনা। স্যাররা হুমকি ধামকি দিতেন কপি করলে মার্ক্সস দিবেননা। কিন্তু দিনশেষে সমস্যা হতোনা। নম্বর ভালোই আসতো। স্যার হয়তো পড়তেননা। সবাই প্রায় কাছাকাছি নম্বর পেতো। লেখার বিন্যাস ভালো হলে, ছাত্র ভালো হলে নম্বর বেশি। ব্যাক বেঞ্চার হলে নম্বর কম। হ্যাঁ আমি নিজেও বিভিন্ন বাংলা বই থেকে কন্টেন্ট সংগ্রহ করে ইংরেজিতে অনুবাদ করে এসাইনমেন্ট জমা দিয়েছি। সেগুলোতে প্রিপজিশনে ভুল ছিলো। বানানও ভুল ছিলো। যেহেতু খুব তাড়াহুড়ো করে জমা দিতে হয়েছে। তবে সেই সময় এতো হাস্যকর ভুল হয়নি। কোনোভাবেই পিএইচডি থিসিসের সাথে ক্লাশ এসাইনমেন্ট বা প্রজেক্ট প্রোপোজালগুলো তুলনীয় না। তবে সততার প্রশ্ন তুললে একই ধরনের ওফেন্স বটে।

 

শিবির সভাপতি সভাপতি না হয়ে একজন সাধারণ কর্মী বা ছোটোখাটো নেতা হলে কথা উঠতো না। কিন্তু আমি যে জায়গায় ন্যুইসেন্স বোধ করছি তা হচ্ছে শিবিরের গান্ডু সমর্থকদের সমর্থন করা স্ট্যাইল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সস্তায় পিএইচডি করার জন্য বাংলাদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভালো?

 

কত টাকা লাগবে?

 

কন্টেইনার লাগবে না। কন্টেইনার ছাড়া দিলেই চলবে। কন্টেইনার এর দাম মাইনাস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহ পাক তার রাসুলকে বলেন, আপনার ব্যবহার কঠোর হলে মানুষ আপনার কাছ থেকে দূরে সড়ে যেতো।

 

অনলাইন হোক বা অফলাইন, দাওয়াতের ক্ষেত্রে নিজের ব্যবহার কোমল করুন। দাওয়াতের আগে দাওয়াতের অবজেক্টকে ভালোবাসুন। আপনার আন্তরিক ভালোবাসা যেন আপনার দাওয়াহ অবজেক্ট অনুভব করতে পারেন। তিনি যেন বুঝতে পারেন আপনার ভালোবাসা উদ্দেশ্যমূলক না বরং আন্তরিক, গভীর, নিখাদ।

 

ভালোবাসার অনেক দাম। আমি মানুষকে অনেক গালাগালি করি, বাজে ব্যবহার করি তবু অনেকে আমার আইডি ছেড়ে যেতে পারেননা। অনেকে ব্লক করে আনব্লক করে, আনফ্রেন্ড করে ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠান। একটাই কারন বলে আমি বিশ্বাস করি। তারা জানেনমুখে যাই বলি না কেন তাদের জন্য আমার অন্তরে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই নেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যাইহোক ইহুদি নাসার ষড়যন্ত্র পাওয়া গেলো। শিবির প্রেসডেন্টের বক্তব্য এখনো পাইনি তবে শিবিরের পোলাপান যেসব যুক্তি দেখাচ্ছে তাতে নিশ্চিত তিনি পরিমনির সাথে বায়তুল মোকাররমে ধরা খেলে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে গনিমত প্রমাণ করে দিবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গনতন্ত্র কুফর কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় গনতান্ত্রিক নির্বাচনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা বা মুসলমানদের কল্যাণের অযুহাতে সাধারণভাবে অংশগ্রহণ হারাম। তবে সুনির্দিষ্ট শারঈ কারণ থাকলে প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধতার আওতায় আনে। যেমন প্রয়োজন শুয়োর খাওয়াকে যায়েয করে তবে ততটুকু যতটুকু প্রয়োজন এবং অকেজো না। এজন্য মাওলানা সামিউল হকের নির্বাচন করাকে যায়েয মনে করি শাহিনুর পাশা চৌধুরী বা দেলোয়ার সাকির নির্বাচন করাকে হারাম মনে করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাবলিক ভয়েস রাবি হিসাবে কতটা নির্ভরযোগ্য?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশের মানহাযিরা কি চায়?

 

একটা আকাইদ এবং ফিকহের নতুন এক মাসলাক চালু করতে নাকি উম্মাহর উৎকৃষ্ট অংশ নয় বরং উম্মাহর সন্তান হিসাবে তার প্রতিরক্ষায় দাঁড়াতে।

 

তারা এদেশে সাধারণত হক কথা বলায় যতটা নির্ভীক তা সম্ভবত তাদের নেতারাও না।

 

আমাদের মতো সুফি হানাফি মাটিতে তারা তাদের সালাফি পথ এবং পন্থার শক্ত শিকড় গাড়তে পারবেন তা বিশ্বাস করিনা।

 

একটা গাড়ি চালানোর আগে তার ব্রেক ঠিক করা প্রয়োজন। যারা থামতে জানেনা তাদের দ্বারা কোনো পলিটিক্যাল প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হতে পারেনা। সর্বোচ্চ সুধারণা রেখে কথা বললেও বলা যায় রাজনীতিতে আবু জর (রা) এর চেয়ে মুয়াবিয়া (রা) বেশি উপকারী যদিও ইমান এবং তাকওয়ায় আবু জর শ্রেষ্ঠ।

 

আমার দীর্ঘ পড়াশোনা এবং অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হয়েছে তাদের বর্তমান প্রজন্ম ব্যার্থ হবে। অবশ্য বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় তারা সফল না হওয়াই সম্ভবত ভালো। তারা এই দেশকে শামও বানাতে পারবেনা। ছেলেদের যে টেম্পারমেন্ট ফেসবুকে দেখা যায় এটা তাদের মাঠের বাস্তবতা হলে বলা যায় তারা এদেশকে শাম না বরং পূর্ব তুর্কিস্তান বা আরাকান বানাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Md Rifat Chowdhury ভাই দাবি করেছেন শিবির সভাপতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব লিখছেন। আমি আসলে এটা চাচ্ছিলাম। আমি খোঁচাতে চেষ্টা করছিলাম যেন তাদের বক্তব্য আসে। যাইহোক আমরা ইনসাফ পরিত্যাগ করতে পারিনা। তাই জবাব যখন লেখা হচ্ছে তখন আর আমার পোস্টগুলোর দরকার নাই।

 

সেগুলো সড়িয়ে ফেলা হলো। প্রত্যেক ব্যাক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মূল বক্তব্যের সাথে পুরো একমত। তবে আমি হলে কিছু শব্দ চয়ন সামান্য ভিন্ন হতো। কিছু মানুষ ফেসবুকে দাওয়াতি কাজ করার দ্বারা কেবল নিজের দলের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই সেই জ্ঞান যার বড়াইয়ে আমাদের অনেক ভাইয়ের পা মাটিতে পরেনা।

 

যদিও সেক্যুলার তবে প্ল্যাগিয়ারিজম সত্ত্বেও সামিয়ার থিসিস পেপারের মান এতো খারাপ ছিলোন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে ইসলামের খেদমত - ২

 

এ ময়দানে যারা কাজ করেন তাদের কিছু বুঝতে হবে সবকিছুর জবাব এখনই দিতে হবে এমন কোনো কথা নাই। পৃথিবীতে অকাট্য এবং চিরন্তন কোনো যুক্তি নাই। এটা যুক্তি শাস্ত্রের এক বিরাট দুর্বলতা। আমার নিজের অস্তিত্ব আদৌ আছে কিনা তাও একটা বিতর্কিত বিষয়। অস্তিত্ব থাকার বিরুদ্ধে অনেক যুক্তি আছে যার অকাট্য খন্ডন হাজার বছরে সম্ভব হয়নি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ নিয়ে বিতর্ক আছে। কোটি কোটি কাফির এই বক্তব্যে একমত না। কোটি কোটি মুসলমানের দাওয়াতেও মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়নি। তাই কাউকে গালাগালি, মারামারি, ধরাধরি, কান্নাকাটি করে আজই বোঝাতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনি শুধু আপনার বক্তব্য চিন্তার বাজারে ছেড়ে দিন। বিভিন্ন মিথস্ক্রিয়ায় এমন কিছু মানুষও আপনার চিন্তাকে কেটেছেঁটে গ্রহণ করবে যারা আপনার বিরোধী। ধৈর্যহারা না হয়ে বারবার বলতে থাকুন। অনেক সময় মানুষ বাহ্যত বিরোধিতা সত্ত্বেও বুঝতে পারবে। এমনও হবে যে মুখে সে আপনাকে গালি দিচ্ছে কিন্তু অন্তরে তার মাঝে কিছু পরিবর্তন আসছে। কথাগুলো অনলাইন এবং অফলাইন উভয় দাওয়াতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে বিরুদ্ধবাদী কারও পেছনে লেগে থেকে আপনার মূল্যবান সময় অপচয় না করে সিংহভাগ সময় আপনার পক্ষের এবং নিরপেক্ষ লোকদের দিতে চেষ্টা করুন।

 

মনে রাখবেন সাধারণত দলীয় ভোটে না বরং ফ্লোটিং ভোটেই সরকার পরিবর্তন হয়। এমনকি এখনো বাংলাদেশে সরকারবিরোধী ভোটগুলোর বড় অংশ ফ্লোটিং। যারা আজ আওয়ামী বিরোধী বিএনপি ক্ষমতায় আসার দেড় দুই বছরে তারা অর্ধেক আওয়ামী লীগপন্থীতে পরিনত হবে। দলীয় লোকেরা গোঁড়া হয়। তাদের সাথে শত্রুতা কমানোই সাফল্য। তাদের রিক্রুট উপস্থিতভাবে প্রায় অসম্ভব। হ্যাঁ দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কে জীবনের বাস্তবতায় বর্তমান প্রেমে ফাটল ধরলে আলাপ ভিন্ন। সেক্ষেত্রে আপনার সুযোগ নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। কিন্তু তবুও অনেক সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ তার সাথে বেশি মিশলে তার সাথে আপনার কোনো মৌলিক মত পার্থক্য উঠে আসলে সে আবেগে আপনাকে আবার অস্বীকার করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কারদাওয়ী আর মাসুদের মাঝে পার্থক্য কি?

 

জাহেরিভাবে দুজনেই মডারেট ইসলামের ধারক। পশ্চিমাদের সাথে ইসলামের আপোষের রাস্তা খোঁজাই তাদের কাজ। নিপীড়ক শাসকদের গোলামি, প্রচুর ইলমকে ইসলাম বিকৃতিতে ব্যবহার, কদাচিত জেল খাটা সবকিছুতেই সাযুজ্য আছে। হ্যাঁ কারদাওয়ীর মতো মাসুদ অরাজনৈতিক ক্ষেত্রে দীন বিকৃত করেননি। তার কুকীর্তি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ।

 

তবু একজনের এতো ভক্তবৃন্দ, আরেকজন নিন্দিত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পির, মাশায়েখ বলেন, আকাবির বলেন আর বড় বড় মুজাহিদে জামান, মুজাদ্দিদে জামান বলেন তাদের গুনাবলির ব্যাপারে আমি তাদের ছাত্র এবং ভক্তবৃন্দের প্রশংসাকে মোটেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করিনা। কারণ এসকল লোকেরা তাদের পূজনীয় শায়েখের ব্যাপারে এতো বাড়িয়ে বাড়িয়ে মিথ্যা প্রশংসা করে যে কোনো সুস্থ, শিক্ষিত মানুষ শুনলে চূড়ান্ত মাত্রায় বিরক্ত হবে এবং অসুস্থ বোধ করবে।

 

একারণে কারামত বর্ণনার ক্ষেত্রে সনদ বিবেচনা জরুরি মনে করি।

 

আমি তাদের যোগ্যতা মাপি দুইটি জিনিস দিয়ে

 

১) তাদের নিজেদের অর্জন এবং অবদান

২) তাদের ছাত্রদের মান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হেযবুত তাওহীদ মোকাবেলায় দেওবন্দিদের চেয়ে বেশি অবদান কে রাখছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফররুখ আহমদ তখন পাকিস্তান বেতারে চাকরি করতেন। খুব ছোট চাকরি। অল পাকিস্তান বেতারের চিফ পূর্ব পাকিস্তানে এলেন। ফররুখের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি আমার সাথে কি হিসাবে দেখা করতে চান? কর্মচারী হিসাবে হলে আমার মতো ছোট কর্মচারীর সাথে তার কোনো দরকার থাকতে পারে না। যদি কবি হিসাবে দেখা করতে চান তাহলে এখানে না বাসায়। যাইহোক কবির বাসা খুব উন্নত ছিলোনা। কবি গরিব মানুষ ছিলেন। তারপর রেডিও পাকিস্তানের সেই উর্ধতন কর্মকর্তা তার বাসায় যান। যাওয়ার পরে তাকে প্রস্তাব করেন সরকারি খরচে হজে পাঠানোর জন্য। কবি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমার উপর হজ ফরজ না।

 

কবি তাসাউফের অনেক উঁচু মাকামে ছিলেন। সরকারি হজ প্রত্যাখ্যানের এই মাকামে পৌঁছানো অনেক বড় উলামায়ে কেরামের জন্য কঠিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামি পতিতালয় খোলা এবং পতিতালয়ে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া এক নয়। অনেকেই পার্থক্যটা বুঝতে পারিনা।

 

বিভিন্ন শর্ত শরায়েত লাগিয়ে, হিলা করে আপনি পতিতালয়ের কিছু এসপেক্টের হারাম কমাতে পারবেন। মেয়েরা সালাত, সাওম, কুরআন তেলাওয়াত, তাহারাতের ব্যাপারে সতর্ক হলে সেগুলোও উন্নয়ন। কারণ দিনশেষে জিনা হারাম, কুফর না।

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের মডারেট ইসলামি দলগুলো এক কথা বোঝেনা। তারা যদি অনৈসলামিক দলগুলোকে দাওয়াত দেয় তবে সেটা হবে পতিতালয়ে ইসলামের দাওয়াত কিন্তু তারা যখন নিজেরাই মডারেট ইসলাম চর্চার কেন্দ্রে পরিনত হয় তখন তা হয় হারাম পতিতালয়ের বিরুদ্ধে হালাল পতিতালয় খোলা।

 

আজ দুইটা এসপেক্ট নিয়ে কথা বলি।

 

১) নিকাব উত্তম হওয়া নিয়ে সন্দেহ না। বিশেষ প্রয়োজন যেমন আদালতে সাক্ষ্য বা চিকিৎসা কিম্বা বানিজ্যিক চুক্তিতে চেনার সুবিধার জন্য প্রয়োজনে নেকাব খোলার বৈধতা নিয়ে ফকিহদের পরিচ্ছন্ন মত আছে। কিন্তু সমস্যা হয় যখন ইসলামপন্থীরা নিজেদের স্ত্রী, কন্যাকে সাধারণভাবে নেকাব ছাড়িয়ে দেয় অমক তমকের কথা বলে। হ্যাঁ তারা যদি সেক্যুলার কর্মজীবী মহিলাদের এই সুযোগ দিয়ে তাদের শালিনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন তবে হয়তো মেনে নেওয়া যায় কিন্তু নিজেরা এসব করা নয়।

 

২) মিউজিক হালাল করার ব্যাপারে কিছু আলিমের বিচ্ছিন্ন মত আছে। আমরা চাইনা ইসলামপন্থীরা তা চর্চা করুক। হ্যাঁ সেক্যুলার শিল্পীদের বলা যায় ভাই তোমরা যদি সঙ্গীত চর্চা করোই তবে তোমাদের গানগুলো থেকে অশালীন এবং অনৈসলামিক কথাগুলো পরিত্যাগ করো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখুল হিন্দ (রহ) মাদ্রাসার চাঁদার ব্যাপারে পরামর্শ দিতেন গড়িবদের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য। কারণ গড়িবদের ইখলাস বেশি থাকে। তাদের কাছে চাঁদা নেওয়ার ফলে লজ্জার কিছু থাকেনা। কিন্তু পয়সাওয়ালা লোকেরা বড়ই অহংকারী এবং কৃপন হয়।

 

আজকাল মাদ্রসাগুলো এবং ইসলামি আন্দোলনগুলো অনেক বেশি পয়সাওয়ালাদের পয়সার পেছনে পড়েছে। ফলে রুহানিয়াত এবং আম জনসাধারণের সাথে নিসবত দুইটাই কমেছে। আল্লাহ পাক আমাদের মহান আকাবিরদের পূজার পরিবর্তে অনুসরণের তৌফিক দান করুন।

 

আমিন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ইসলামপন্থীদের জন্য কখনো লাভজনক হয়নি। সেটা আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন হোক অথবা এরশাদ বিরোধী আন্দোলন কিম্বা খালেদা বিরোধী। এসময় তারা দাওয়াত, তালিম এবং খেদমতে খালক নিয়ে সময় দিলে তাদের গণভিত্তি তৈরি হতো। মনে রাখবেন গণতন্ত্রের জন্য আওয়ামী বিরোধী লড়াইও একটা ফালতু কাজ।

 

১ম বিশ্বযুদ্ধে ইয়াং টার্কের চাপে খলিফা জিহাদ ঘোষণা না দিলে ২য় বিশ্বযুদ্ধ এড়াতে পারলে হয়তো ওসমানী খেলাফত আজও টিকতো তুরস্ক, ল্যাভান্ট এবং আরব জাজিরার সীমানা জুড়ে। ইজরায়েল বিরোধী প্রত্যেক যুদ্ধে লাভবান ইজরায়েল। হারার জন্য যুদ্ধ অর্থহীন। গাদ্দার মিত্র নিয়ে যুদ্ধ যে ঘোষণা করে সেই সবচেয়ে বড় বেকুব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিনা ভোটে এমপি শুধু আওয়ামী লীগ না জামায়াতেরও হয়েছিল।

 

"ইসলামি রাজনীতির ব্যবচ্ছেদ" বইটি থেকে,

 

 

১৯৭১ সালের শেষের দিকে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের বেশ কিছু আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এসব আসনে অনুষ্ঠিত হয় ভোটারবিহীন উপনির্বাচন। ঠিক ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মতো। সেখানে ৭৮টি জাতীয় পরিষদের আসনের মধ্যে ১৮টি এবং ১৭৫ টি প্রাদেশিক আসনের মধ্যে সমন্বিত প্রার্থী তালিকায় জামায়াতের ছিল ৪২ জন। সাংবাদিক মাহমুদ হাসানের বইয়ে দেখা যায়, ৯ নভেম্বর জাতীয় পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয় ফলাফল। সে ফলাফলে জাতীয় পরিষদের ৭৮টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ৫৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জন জামায়াত, ১২ জন পিডিপি, ২০ জন মুসলিম লীগ, ৬ জন নেজামে ইসলামী, ও ৫ জন পিপিপির প্রার্থী।

 

বইয়ের নাম : ইসলামি রাজনীতির ব্যবচ্ছেদ

 

পৃষ্ঠা : ২৫৬

 

গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স

 

collected from Mariz Mahfuz

 

আমি সর্বদাই বলি গনতন্ত্র উদ্ধার করার দায় আমাদের নাই। আমাদের সীমিত শক্তি ইসলামের দাওয়াত ও তাবলিগে ব্যয় করা উচিৎ। কিছু অর্ধশিক্ষিত, বোকা মানুষ অপ্রয়োজনীয় দায় আমাদের ঘাড়ে চাপাতে চায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে ইসলামি খেদমত - ১

 

ফেসবুকে আমি বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট করি। আমার লেখা থেকে অনেকে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হলেও অনেকে উপকৃত হন। এমনকি আমার অশ্লীল পোস্ট থেকেও অনেক ছেলে উপকৃত হয়েছেন। কারণ কিছু কথা মানুষের জানা দরকার যা জানার মতো সুযোগ সুবিধা কোথাও নাই। যাইহোক ফেসবুকে ইসলামের খেদমত সাসটেইনেবল উপায়ে কিভাবে করা যায় ব্যাপারটা আমি ভেবেছি। তার কিছু কিছু চিন্তা আমি শেয়ার করতে চেষ্টা করবো।

 

ফেসবুকে বাংলাদেশের বাস্তবতায় দুইটি প্রধান খেদমত করা সম্ভব

 

১) তালিম

২) দাওয়াত

 

তালিমঃ

এখন অনেকে অনলাইন স্কুল চালাচ্ছে। কিন্তু সেটা দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। প্রতিদিনের টোটকা মাসলা মাসায়েল জানার জন্যেও অনেকে বিভিন্ন গ্রুপে যায়। কিন্তু সবাই সব গ্রুপ চেনে না। ফলে এক্ষেত্রে অনেক মাসলা মাসায়েল শেখানোর জন্য নিয়মিত ছোট ছোট মাসলা মাসায়েল পোস্ট করা যায়। তাছাড়া কুরআন, হাদিস, তাফসীর, ইতিহাস, ফিকাহ প্রভৃতি নিয়ে আলাপ করা যায়। আলাপ হতে পারে জাদিদ ফালসাফা এবং মানতেকে বিভিন্ন বিষয়ে।

 

ফেসবুকে বড় পোস্ট মানুষ পড়তে চায়না। পনের থেকে ত্রিশ বা চল্লিশ লাইনে হলে ভালো। প্রয়োজনে পর্ব করে দিন।

 

তালিমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কেবল নিজ দলীয় এবং নিরপেক্ষ লোকদের তালিম দিন। ভিন্ন মতাবলম্বীদের তালিম দিতে গেলে অপ্রয়োজনে সময় নষ্ট হবে। এর আগে এক পোস্টে দেখিয়েছি কিভাবে বিভিন্ন মানুষ গোড়ামি এবং দলবাজির কারণে আপনার বক্তব্য নিবেনা। ফলে যারা নিবেনা তাদের দিতে গিয়ে ধ্বস্তাধস্তিতে সময়, শ্রম এবং শক্তির অপচয় হবে। কিন্তু নিজের মতাদর্শের মানুষের সাথে একাজে দ্রুত তাদের যোগ্যতা বাড়ানো যাবে। একারণেই আমি সাধারণত বিশুদ্ধ ইসলামি টপিক নিয়ে লেখি যেন অনৈসলামিক ধারার লোকেরা আমার পাঠক না হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানি এ মাহফিল ভেঙে যাবে

সাকির জৌলুশ মুছে যাবে

হয়তো তারও আগে চাহনির মায়া

কুহেলিকায় হারাবে অন্য মুসাফির

শুরার পেয়ালা চলে যাবে অন্য হাতে

জানি বর্ষণ থেমে যাবে

ফাগুন চলে যাবে

ফুলেরা ঝড়ে যাবে

ভ্রমরেরা উড়ে যাবে

কিন্তু এব্যাথ্যা কেবলই আমার

নিশ্বাসে নিশ্বাসে

হৃদয়ের স্পন্দনে

প্রেম যেখানে জীবন মৃত্যু মিলে মিশে একাকার

এব্যাথার ঐশ্বর্যে মহীয়ান

 

সখি তোমায় ভুলে যাব

তোমার জন্য এই কনকনে ব্যাথা না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যখন এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলাম তখন দেখি সবার শরীর এবং ব্যাগ সার্চ করছে। আমার দাড়ি টুপি দেখে আর সার্চ করলোনা। বললো ছেলেটা ভালো সার্চ করার দরকার নাই। ইসলামি মানুষিকতার ছেলে। তারা আমাকে অত্যন্ত সম্মান করলো কিন্তু কেউ আমাকে চিনতো না। আমিও পুরো পরীক্ষায় কারও কাছ থেকে ১ নম্বরও শিখে নেইনি। আল হামদুলিল্লাহ তখনকার বিবেচনায় বেশ ভালো রেজাল্ট ছিলো।

 

আজকাল দাড়ি টুপি সেই সম্মান হারিয়ে ফেলেছে। দায় কার?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি নিয়মিত পত্রিকা পড়ি অন্তত ১৯৯৬ সাল থেকে। প্রথমে ইনকিলাব পড়তাম। তারপর জনকন্ঠ এবং প্রথম আলো। মোট তিনটা পত্রিকা। পাশাপাশি প্রায়ই স্থানীয় কিছু পত্রিকা যা সকল দৈনিক থেকে বেছে সব আকর্ষণীয় নিউজগুলো দিতো। হয়তো সামান্য এডিট করে। সেখানে জাতীয়, আন্তর্জাতিক, ধর্ষণ, পরকিয়া, খেলাধুলা, বিনোদন সব কিছু পড়তাম গভীর মনোযোগ দিয়ে। জনকন্ঠের বিনোদন পাতা সেযুগের হিসাবে অবশ্য পর্ণই ছিলো। ক্লিভেজ দেখাতো খুব ডিপ পর্যন্ত।

 

যাইহোক প্রচুর পত্রিকা পড়ার কারণে তালেবান চিনি সেই সময় থেকেই। তখনও আমি আপাদমস্তক সেক্যুলার। আমার দৃষ্টিতে জামাতের সবচেয়ে বড় দোষ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা। হুযুরদের টুপির নিচে শয়তানি। দেওবন্দি, জামাতি কাউকেই চিনিনা। বেরেলভি প্রভাব ছিলো বেশ কিছুটা। সাদ্দাম তখন মুসলিম উম্মাহর মহানায়ক। আমরা জানতাম তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর বংশধর। আমরা আশা করতাম তিনি কারামত দিয়ে আমেরিকাকে ধ্বংস করবেন। বিশেষত বড় পির আব্দুল কাদির জিলানি (রহ) এর মাযারে হামলা করলে আমেরিকার রক্ষা নাই। লাদেনকে চিনি সম্ভবত ১৯৯৮ সালে আমেরিকান ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পরে। তালেবান সামান্য পছন্দ করতাম। কারণ ক্রিকেটে পাকিস্তান সাপোর্ট করতাম। ফলে পাকিস্তানকেও ভালোবাসতাম। আমাদের ধারণা ছিলো আফগানিস্তান তালেবানের দখলে থাকা মানে পাকিস্তান আফগানিস্তা মিলে বিশাল শক্তি। ব্যাপারটা হাস্যকর হলেও এমন মনে হতো। যে শক্তিশালী পাকিস্তানের সাথে ভারত সারাজীবন ক্রিকেটে হারবে। ফলে আফগানিস্তান এবং তালেবান নিয়ে আজকাল বড় বড় বিশেষজ্ঞরা যা জানেন তা ছিলো আমাদের জন্য ছিলো দৈনিক পত্রিকার সংবাদ। এখন আপনারা যেসব বয়ান শুনেন তার বড় অংশের বয়ান নির্মান শুরু হয়েছে ২০০৩ সাল থেকে।

 

অনেক বড় বড় পন্ডিত হাস্যকর রকমের ভুল কথা বলেন। ইতিহাস কত দ্রুত পরিবর্তন হয়? হ্যাঁ এখন অবশ্য তালেবানের আধিপত্যের যুগে মাঝখানের কিছু স্টোরি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দাড়ি ইমান এবং কুফরের পার্থক্য না। তবে ইসলামের নিদর্শনগুলোর একটা। হ্যাঁ কোনো কোনো মাযহাবের কোনো কোনো ইমাম এব্যাপারে রুখসত হিসাবে কাটার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু সেটা একান্তই দুর্বল এবং বিরল মত। তবে হানাফি মাযহাবের ইজমা এক মুষ্ঠি পরিমান দাড়ি রাখা ওয়াজিব। তাই সাধারণ মুসলমানরা কোনো কারনে দাঁড়ি কাটলে চুপ থাকা যায় কিন্তু কোনো দেওবন্দি আলিম দাড়ি কাটবে তা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য না।

 

জামাতিদের থেকে সতর্ক থাকুন। তারা দীর্ঘকাল ধরে দেওবন্দিদের এবং সাধারণ মুসলমানদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যে দাড়ি মুস্তাহাব, তত গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। এজন্য তারা ইকবাল, সাইয়্যেদ কুতুব ইত্যাদি বিভিন্ন হাস্যকর যুক্তি টেনে আনছে। আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এবং সাহাবাদের পরে কাউকে দলিল মানিনা। ফলে মৃত মুসলমানদের ব্যাপারে আপনার খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকলেও তাদের অনুসরণ করিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা দেওবন্দিদের নিছক একটা ধর্মীয় শিক্ষাধারা মনে করেন তারা মারাত্মক বিভ্রান্তিতে আছেন। সিপাহী বিপ্লবে পরাজিত পুরাতন ইসলামী ধারা রাজনৈতিকভাবে মাথা তোলার কৌশলের নাম হচ্ছে দেওবন্দি আন্দোলন। যেমন আহলে বাইতের ফাতেমিরা বহুকাল ধরে রাজনৈতিক স্বপ্ন দেখতেন কিন্তু আলী বিন হুসাইনের যুগে তারা পুরো অরাজনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করেন। আলী বিন হুসাইন (রা) এর সাথে ইয়াজিদেরও গভীর সুসম্পর্ক ছিলো।

 

এজন্য আপনি দেখুন তাবলিগ, তালেবান, জমিয়ত, বিভিন্ন পির মাশায়েখ সবাই নিজেদের দেওবন্দি মনে করে যদিও তাদের কর্মপন্থায় বড় পার্থক্য আছে। এমনকি সকল ধারা আজও দারুল উলুমকে গভীর শ্রদ্ধা করে। দারুল উলুমের জন্মের মাত্র ৫০ বছরের ভেতর সর্বভারতীয় এবং আফগান রাজনীতিতে দেওবন্দিরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, আওয়ামী লীগ, জামাত কেউ তাদের রাজনৈতিক গুরুত্বকে অস্বীকার করতে পারেনি। তারা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত কৌশলী বলে তাদের রাজনীতি আপনি বোঝেননা। ভারতীয় দেওবন্দ ৪৭ পরবর্তী যুগে একটা নিরিহ ভেজিটেরিয়ান মুভমেন্টের আকার ধারণ করে। অথচ আফগান জিহাদের যুগ থেকে খোদ দারুল উলুমে হাজারো মুজাহিদ পড়াশোনা করেছেন। অল ইন্ডিয়ান পার্সোনাল মুসলিম ল বোর্ডের নেতৃত্ব সাধারণত তাদের হাতেই ছিলো।

 

দেওবন্দিদের ভিক্ষা করা নিয়ে আপন পর অনেকেই সমালোচনা করে। অথচ এই ভিক্ষা দেওবন্দিদের অনন্ত রাজনৈতিক শক্তির উৎস। এর মাধ্যমে তারা মুসলিম জনসাধারণের সাথে সম্পর্কিত হয়। ভিক্ষার কারণে তাদের বিনয়ী হতে হয়। একারণেই তারা প্রায়ই আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকারে স্ট্র‍্যাটিজিক্যাল অভাররিচ থেকে বেঁচে থাকে। জামাতের আত্মনির্ভরশীলতা তাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়েছে।

 

অনেক কিছু বলা যায়। তবে মূল কথা হচ্ছে যারা দেওবন্দি চিন্তা ও মাদ্রাসাগুলোকে নিছক ভাববাদি আন্দোলন হিসাবে মনে করেন তারা এই আন্দোলনের গতি প্রকৃতি মোটেই বুঝতে পারেননি। হাজারো সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আন্দোলনটি আজও সামগ্রিক ইসলাম কায়েমের আন্দোলন হিসাবে সামষ্টিকভাবে আফগানিস্তান থেকে চিটাগাং পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ইউরোপ, পশ্চিমের অন্যান্য অংশ এবং আফ্রিকার বড় বড় প্রজেক্টগুলো যদি আমরা বাদও দেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি হরতাল দিলে সিপিবি সমর্থন করতো?

 

কাল একটা দিয়ে দেখেন।

 

আমি সব সময় বিশ্বাস করি হাফেজ্জি হুযুরের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল নষ্ট রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ।

 

পরগাছা হুযুরদের কোনো আক্কেল নাই। তাদেরকে রাজনীতিতে আমার চেয়ে বুঝদার কোনোদিন ভাবিনা।

 

মাইক হাতের কাছে পেয়ে চিল্লাইলেই বাতিলের আতঙ্ক হওয়া যায়না।

 

বেক্কলের জাত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপোষ বা আপোষহীনতা রাজনীতিতে অন্তস্বারশূন্য রেটরিকের অতিরিক্ত কিছু না। মূলকথা হচ্ছে ফলাফল।

 

একজন মুসলমান হিসাবে আমার কাছে বিবেচ্য দীন এবং উম্মাহর কল্যাণ। যেভাবে লাভ হবে সেটাই করা উচিৎ। রোমান্টিক রেটরিকের কাছে নিজের আবেগ এবং যুক্তিকে বন্ধক রাখার কিছু নেই।

 

ডিসক্লেইমারঃ অনেকেই দীন এবং উম্মাহর স্বার্থের কথা বলে ব্যাক্তিগত এবং দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের প্রয়াস করে। অথচ ব্যাক্তি দীন না, দল বা মাসলাক উম্মাহ না। সবাইকে ফাঁকি দেওয়া যায় আল্লাহকে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চরমপন্থা নিয়ে অনেক আলাপ। এর বিরুদ্ধে এখন সবাই। আলিমদের অনেকের বক্তব্য গত ৩০ বছরে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন হয়েছে। এধরণের ধানাই পানাই সত্য প্রিয় যুবকদের আলিমদের প্রতি হতাশ করে। ফলে হকপন্থী যুবকরাও ক্ষোভ এবং হতাশায় চরমপন্থার দিকে আকৃষ্ট হয়। জঙ্গিবাদ বলেন আর চরমপন্থা তার শিকড় আরও শক্তিশালী হয়েছে। ছাত্রদের অনেকেও উস্তাদদের প্রতি আস্থা হারিয়ে তথাকথিত জজবাতি বেয়াদব হয়েছে।

 

আমি মনে করি যতদিন এই সমস্যা মোকাবেলায় আলিমরা সৎ না হবেন, সত্য বলার যোগ্যতা অর্জন না করবেন, নিজেদের ব্যার্থতা ঢেকে হামবড়া ভাব নিয়ে আমি আকাবির টাইপ চাপাবাজি করে বেড়াবেন ততদিন পর্যন্ত এই সমস্যার কোনো সমাধান নাই।

 

মুসলিম বিশ্বের নিপীড়ক প্রশাসকদের বিরুদ্ধে আমরা বিদ্রোহ করা বিরুদ্ধে। একটাই কারন। মুফতি আমিনি এবং মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের ভাষায়, কারন হচ্ছে যাহেরি শক্তি না থাকায় ফিতনা ফ্যাসাদ এবং মুসলমানদের ক্ষতির আশংকা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিতুমীরকে আমি এই ভূখণ্ডে আল্লাহর শ্রেষ্ঠ ওলিদের একজন মনে করি। সংগঠক হিসাবে নিঃসন্দেহে আমাদের বোকা ইসলামপন্থীদের চেয়ে তিনি হাজারগুন শ্রেষ্ঠ। তবে রাষ্ট্রনায়ক ও সেনানায়ক হিসাবে তিনি আমার কাছে মোটেই খুব প্রাজ্ঞ বলে বিবেচিত না।

 

শহীদ টিপুর শাহাদাতের অন্তত দুই দশক পরে রাজনীতিতে এসে তিনি কুটনৈতিক দক্ষতা, সামরিকবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং আধুনিক যুদ্ধবিদ্যা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে ব্যার্থ হন।

 

শহীদ তিতুমীর (রহ) রাজনৈতিকভাবে কোনো বৈদেশিক মিত্র সংগ্রহে ব্যার্থ হন। তার বাহিনী ব্রিটিশ ফায়ার পাওয়ারের সামনে কোন বিবেচনায় বাঁশেরকেল্লা নিয়ে লড়াইয়ে নামলো তার সামান্যতম যৌক্তিকতা আমার মাথায় ঢোকেনা। তিতুমীর রহ এর জন্য যেটা সবচেয়ে সঠিক হতে পারতো তা হচ্ছে নিয়মিত গেরিলা লড়াই চালিয়ে যাওয়া। বর্ষাকালে তিনি গেরিলা লড়াই চালালে অধিক সুবিধা পেতে পারতেন।

 

তবে তিতুমীর ইস্যুতে সবচেয়ে বড় ব্লান্ডার হচ্ছে আমাদের বোকা দেওবন্দিগুলো কেন তার মতো বড় আকাবিরকে নিজেদের আকাবির হিসাবে ব্রান্ডিং করেনা সেটা আমার মাথায় মোটেই ঢোকেনা। তিতুমীর (রহ) সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ এর মুরিদ ছিলেন। তার ইসলামি আন্দোলনও ছিলো সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিরক এবং বিদয়াতের বিরুদ্ধে আপামর জনতাকে নিয়ে দাওয়াতি ও জিহাদি আন্দোলন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুককে যারা দাওয়াত বা প্রোপাগান্ডা পারপাস ব্যবহার করতে চান তাদের অনেক কিছু ভাবা দরকার। কারণ বাহ্যত এখানে জামাতিরা জামাতি চিন্তা ছাড়েনা। তাদের মতে ৭১ বলে কিছু নাই সব মিডিয়ার সৃষ্টি। আমেরিকান স্ট্যাবলিশমেন্টের আনুগত্য করাই দীন। কওমি আকাবির পূজারিরা বড় হুজুর হারাম শরীফে বিড়ি টানলে ইনিয়ে বিনিয়ে প্রথমে বলবে হিকমা। তা ঢোপে না টিকলে বড়দের সাথে বেয়াদবি করায় জাহান্নামে যে সাপ আপনাকে সকাল সন্ধ্যা কামড় দিবে তার দাঁতের মাপ নিয়ে ওয়াজ করবে। আলে সাউদ যদি হারাম শরীফের ভেতরে বসে হুইস্কি খায় তাহলে শাইখে মাদখালিরা আপনাকে প্রথমে বোঝাবে এটা কুফর না। তারপরও কুত্তা বিন শুয়োরকে কিছু বললে আপনি একসাথে কিভাবে খারেজি এবং শিয়া তার সহীহ দলিল পাবেন। এদিকে মানহাযিরা যদি তাকি উসমানিকেও তাকফির করে আপনি তাদের সাথে একমত না হলে আপনার মাঝে ইরজা আছে। আরও দুই এক কথা বললে এটা প্রমান করে ছেড়ে দিবে যে আপনি তাগুতের প্রতি কোমল, মুজাহিদদের প্রতি কঠোর। যেহেতু তাগুতকে বিভিন্ন কারণে সংশোধন করা যাচ্ছেনা তাই তারা নিজেরাও সংশোধিত হবেননা, আপনি তা চাইলে আপনিও খারাপ। এভাবেও তারাও এক চরম গোঁড়া, উগ্র কাল্টে পরিনত হচ্ছে।

 

আমার পর্যবেক্ষণ ফেসবুকে দায়ীদের দাওয়াত প্রায়ই কাউন্টার প্রোডাক্টিভ। জামাতিদের গালাগালি শুনে মানুষ বিরক্ত। কওমিপন্থী অনেকের হাস্যকর কথায় মানুষ দেওবন্দি আন্দোলনকেই একটা জাহিল লোকদের কাজকারবার ভাবে। মাদখালিরা সহীহ শব্দটাকেই একটা ট্রল বানিয়ে ফেলেছে। মানহাযিরা ক্রমশ গনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এদেশে অনেক মানুষ আছে যারা তালেবান এবং আল কায়েদা ভালোবাসে কিন্তু এসকল অকাল কুশ্মান্ডদের প্রচন্দ অপছন্দ করে। ফলে ফেসবুক দাওয়াত মোটামুটি বিচ্ছিন্ন কিছু প্রভাব রাখলেও সার্বিকভাবে ফেল করেছে।

 

আবার কিছু উপদেশ বা পরামর্শ পছন্দ হলেও লোকে মানবে তাও না।

 

প্রশ্ন হচ্ছে এই অন্তহীন দলবাজি, মাসলাকবাজি, গোঁড়া প্রোপাগান্ডার চেয়ে তর্ক প্রিয় ইসলামপন্থীদের মাঝে মিনিংফুল দাওয়াহর পদ্ধতি কি হতে পারে ভেবে দেখা এবং গবেষণা করা দরকার। এখানে কি নিছক এক্টিভিজম সম্ভব নাকি দাওয়াহও সম্বব? হলে কতটা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাহমুদ মাদানি ভারতীয় মুসলমানদের যা বলেছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছেন, মব ভায়োলেন্স এর শিকার হলে প্রথমে পালানোর চেষ্টা করবেন না পারলে প্রতিরোধ করবেন মানে পালটা মার দিবেন। মাহমুদ মাদানির মতো ল এবাইডেন্ট কোনো মুসলমান পূর্বে কখনো ভারতে এই ভাষায় কথা বলেছেন বলে জানিনা।

 

আমি মনে করি তার এই বক্তব্য ভারতীয় মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা। আর তা হচ্ছে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা যা ভারতীয় আইনসঙ্গত এবং চিরন্তন মানবীয় অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। এই মুহূর্তে ভারতীয় মুসলমানদের এই অধিকার নিজ দায়িত্বে রক্ষা করতে হবে। যদিও ভারতীয় রাষ্ট্রের সেটা দেওয়ার কথা ছিলো তবে রাষ্ট্রটি তা দেবেনা। ফলে ভারতীয় মুসলমানদের নিজেদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং প্রস্তুতিও নিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এক হাদিসে স্ত্রীর দুই রানের ফাঁকে জিহাদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই যে জিহাদ এটার জন্যেও শরীরচর্চার দরকার আছে।

 

কিছু বোকা লোকের জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় জঙ্গিবাদের সাইন হিসাবে শরীর চর্চাকে পরিহার করলে বা কর্পোরেট স্বার্থে ক্রিকেট নিজে না খেলে মানুষের খেলা বিশ্বকাপ দেখে সময় নষ্ট করে নিজের স্ট্যামিনা বৃদ্ধিতে সময় না দিলে স্ত্রীর সাথে খাটের জিহাদেও পারফর্মেন্স খুব খারাপ হবে।

 

বিশ্বাস না হলে সার্ভে করে দেখেন শ্রমজীবী মানুষের বৌ বরের মার খেয়েও কেন সংসার ছাড়েনা?

 

নিয়মিত শরীর চর্চা করুন, স্ট্যামিনা বাড়ান, খাটে ভালো পার্ফর্মেন্স করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিএনপির সময় স্বীকৃতি আটকে যাওয়ার প্রধান কারণ কখনোই জামাত না। মুফতি আব্দুর রহমান (রহ), এবং বেফাকের প্রতিদন্দ্বি বোর্ডগুলোর বেফাকের অধীনে স্বীকৃতির আপত্তি। তারা সবাই আলাদা আলাদা স্বীকৃতি চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য মুফতি আব্দুর রহমান রহ ছিলেন বগুড়ার জামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রীক উত্তরাঞ্চলীয় বোর্ডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। বেফাকের দাবি ছিলো বেফাকের অধীনে স্বীকৃতি দিতে হবে।

 

এক কথায় আমাদের জায়গা থেকে আমরা জানতাম মুফতি আব্দুর রহমান রহ প্রধানত দায়ী ছিলেন। জামাত বড়জোর পার্শ্ব কারণ হিসাবে থাকলেও থাকতে পারে। তাও তাদের সুযোগ নেওয়ার সুযোগ থাকতে পারতোনা যদিনা এসকল গৃহবিবাদ থাকতো।

 

সবকিছুতে জামাতকে নন্দঘোষ বানানো একটা জুলুম, একটা জাহালত। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের ভাষায় বাংলাদেশের আলিমদের মাঝে জাহালতের গালাবা দেখা দিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এধরণের টোটকা আলাপ চায়ের টঙে বা ঘরোয়া আলাপে কাঁচা কওমিদের সাথে বিজয় দিবে কিন্তু জামাতের কোনো মৌলিক স্বার্থ অর্জনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

 

হ্যাঁ অবশ্যই মেধাবী ছাড়া শিবিরের সভাপতি হওয়া কঠিন। তাছাড়া এখন তাদের রাজনৈতিক আকাম, ফালতু কাম, মারামারি, ধরাধরিতে সময় নষ্ট হচ্ছেনা। ফলে পড়াশোনার সুযোগ আছে। সাংগঠনিকভাবে তারা চাচ্ছেন ক্লিন ইমেজের পড়ুয়া ছেলেরা এখানে থাক।

 

তবে যারা ভাবেন আউট স্ট্যান্ডিং কাউকে দিয়ে উদাহরণ বানিয়ে নিয়ম তৈরি করবেন তারা সাধারণত ছাগলামিতে উপমা সদৃশ হয়ে থাকেন। অসংখ্য ছেলেরা মেইনস্ট্রিম সেক্যুলার ইন্সটিটিউশনে ষোলো বছর পড়ে ভালো ইংরেজি জানেনা। এমনকি ভালো বাংলাও জানেনা।

 

কিছু কথা খুবই উস্কানিমূলক এবং আপত্তিকর ছিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি কখনো দুয়ার বন্ধ করার পক্ষে না। আমি আওয়ামী লীগের মতো মনে করিনা যে কারও বাবা দূরে থাক সে নিজেও যদি কোনোকালে শিবির করে তবে এই অপরাধে সে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যেতে পারবেনা। বরং আমার কথা হচ্ছে জামাতের কোনো ব্যাক্তি নিজেকে সংশোধন করে যোগ্য হয়ে উঠলে হাটহাজারির প্রধান মুফতির পদ পাওয়া উচিৎ। আবুল হাসান আশয়ারি তার জীবনের বিশাল অংশ মুতাজিলা ছিলেন।

 

যদি পূর্ন সংশোধন নাও সম্ভব হয় তবুও যদি জামাত শিবিরের প্রত্যেক ছেলে কওমি মাদ্রাসায় পড়তে চায় তবে আমি সুযোগ দিতে আগ্রহী। কারণ এভাবেই অন্যদেরকেও অধিকতর ইসলামিকরণ করা সম্ভব।

 

তবে শর্ত হচ্ছে, নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে। কওমি মাদ্রাসাকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হলে তা হবে আহলুল ইলমের ১৩০০- ১৩৫০ বছরের ঐতিহ্যের খেলাফ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শিবির সভাপতি মাদ্রাসায় এসেছেন। পরীক্ষা দিয়েছেন।এজন্য তাকে অভিনন্দন। আমি ব্যাক্তিগতভাবে দল মত নির্বিশেষে যেকাউকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ দানে আগ্রহী। এটা আপনার দাওয়াত এবং ফিকর বোঝানোর অনন্য সুযোগ। আপনি এব্যাপারে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে আপনার ব্যাপারে করুণা।আপনি রাষ্ট্র পেলে ভিন্নমতের লোকজনকে দেশ থেকে বের করে দেবেন।

 

আমার প্রশ্ন হচ্ছে সোহবত ছাড়া যে কেউ শুধু বই পুস্তক পড়ে সনদ নিতে পারলে তা উলামায়ে দেওবন্দের ভবিষ্যতের জন্য তা মারাত্মক হবে।

 

আমি আশা করবো শিবির সভাপতি যে মাদ্রাসা থেকে পাশ করেছেন সেই মাদ্রাসা কাফফারা সরূপ অন্তত একজন উস্তাদকে নিয়োগ দিবে যিনি সভাপতি সাহেবের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এর ভিত্তিতে যথেষ্ট সোহবত দিবেন।

 

তারা বিপদে আছে বলে এমন গুরুত্বপূর্ণ শক্তির নেতৃত্বের ইসলাহর জন্য কাজ করার গুরুত্বকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক দেওবন্দ থেকে দাওড়া পাশ করেছেন। তিনি আহলে হাদিস। এমন আরও কেউ কেউ আছেন। তেমন জামাত শিবিরের কেউ কওমিতে পড়তে চাইলে তাতে অন্তত আমার আপত্তি নাই। কিন্তু কওমি মাদ্রাসার পড়াশোনা মূলত একটা সিলসিলাভিত্তিক পড়াশোনা। অনেকেই যেটাকে আকাবির পূজা বলে গালাগালি করি আসলান তার ভেতরও একটা সৌন্দর্য ছিলো। যদিও তাতে বাড়াবাড়ি করা হয়। সেই সৌন্দর্য হচ্ছে ছাত্রদের আদব শেখানো, ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ককে গভীর শ্রদ্ধা, আবেগ ও ভালোবাসার সম্পর্কে রূপান্তর।

 

কিন্তু এখানে তিনি যেভাবে পাশ করলেন তাতে কওমির সংস্কৃতি, আলিমদের সোহবত কিছুই পেলেননা। ফলে সম্ভবত তার কাছে অনেক ভুল বার্তা যাবে। সাথে তিনি ভাববেন তিনি দেওবন্দিদের বুঝে গিয়েছেন। তার মতো কারো এধরণের ভুল উপলব্ধি অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু পর্যবেক্ষণ ও প্রশ্ন

 

* শিবিরের সভাপতি হাইয়ার পরীক্ষা দেওয়া শিবিরের দিক থেকে স্মার্ট মুভ

 

* ছেলেটার দাঁড়ি এক মুঠ মনে হয়নি

 

* ছেলেটা কি নিয়মিত ক্লাশ করেছে? যদি করে থাকে তাহলে ভালো। তবে দেওবন্দি চেতনা কি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে? যদি ক্লাশ না করে তাহলে পরীক্ষা কিভাবে দিলো?

 

* যতটা জানতাম দেওবন্দি সিস্টেমে শুধু সার্টিফিকেট কোন ইস্যু ছিলোনা। ইলমের পাশাপাশি ফিকির এবং তাযকিয়া গুরুত্বপূর্ণ। দাঁড়ির ব্যাপারটা মানতে পারছিনা। এমন দাঁড়ি নিয়ে কওমি মাদ্রাসায় ক্লাস এবং পরীক্ষা দেওয়া যায় সেটাই জানতাম না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাষ্ট্রের কোন বিভাগ যখন বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত হয় তখন মূলত সেই বিভাগকে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থাহীন বলেই অভিযোগ করা হয়।

 

জনগণ আসলে কাউকেই বিশ্বাস করেনা। নিজেকেও না। স্বার্থপরতা এবং ভোগবাদের যুগে তাকওয়া এবং নৈতিকতা সলিড টার্মে পাওয়া মুশকিল। তারা বিচার না তালগাছ চায়।

 

তালগাছ চাওয়ার সংস্কৃতির সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নিরীহ মানুষেরা তালগাছ পায়না। নিজের হলেও না, পরের হলেও না। সালিশ হলেও না, সালিশ ছাড়াও না।

 

তবু সালিশ হোক। চেষ্টা করার সান্ত্বনা অন্তত থাকুক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি প্যারাডক্সিকাল সাজিদের ভক্ত না। এবিষয়ে আমার লেখাও আছে। আমি গার্ডিয়ানেরও ভক্ত না। তাদের অনেক বই নিয়েই অনেক অভিযোগ। বিশেষত ডেস্টিনি ডিজরাপ্টেড একটা ভয়ংকর ব্লান্ডার, একটা মহাপাপ। তবে শাহাদাত হোসেন সাহেব আজ বইটির যে সমালোচনা লিখেছেন তাতে মনে হয়েছে গার্ডিয়ানের নুর মোহাম্মদ সাহেবের সাথে তার "বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান" নিয়ে বিরোধের জেরে লেখা হয়েছে যা বিদ্বেষপূর্ন, হিংসাত্মক কুযুক্তিতে ভরপুর যার প্রত্যেক প্যারায় প্যারায় কেবল অহংকার ছাড়া কিছুই নাই।

 

সম্ভবত তিনি আমার সমালোচনাকে সহজভাবে নেবেননা। তবে সত্য বলতেই হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনার পছন্দের জাস্ট ফ্রেন্ড মেয়েটা যদি আপনাকে বলে, আমি অনেক প্র‍্যাক্টিকাল তাহলে বুঝবেন তিনি আপনার মতো ভ্রমরের গান শুনতে চান কিন্তু আপনাকে মধু দিতে চান না। তিনি আপনাকে যথেষ্ট এলিট ভাবেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি মোসাদের এজেন্ট হওয়ার সবচেয়ে বড় প্রমান আমি মোটেই ইসলামপন্থীদের ঐক্য বা জোট চাইনা। যেকোনো সাংগঠনিক ঐক্যের বিরুদ্ধে।

 

যেকোনো একটা দল সবাইকে জয় করলে বা সবাই একটা দলে এসে ঢুকলে আলোচনা ভিন্ন। তবে স্কচটেপ দিয়ে জোট করলে পরে সামান্য ধাক্কাতেই লোকেরা আলাদা হয়ে যায়। মাঝখানে আলাদা হওয়ার সময় কিছু চামড়া স্কচটেপের আঠার সাথে উঠে গোশত খাল ছাড়া হয়ে যায়।

 

তাছাড়া আপনারা সকল রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ইসলামি দল মিলে জোট করলেও কোনো তরিকাতেই এদেশে ক্ষমতায় যেতে পারবেননা। ক্ষামোখা কি দরকার? যার যার জায়গা থেকে দাওয়াত, তালিম এবং তাসাউফের কাজ করতে থাকেন। জোট ফোট বাদ দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যদিও রাজনীতি নিয়ে আমার আগ্রহ কম তথাপি একটা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ইসলামপন্থীদের বলা জরুরি মনে করছি। জাস্ট শেখার জন্য।

 

এরশাদ পল্টিবাজ হিসাবে বহুল পরিচিত। তবে গত তিন দশকে তার রাজনীতির ভালো দিক হচ্ছে তিনি তার নিজের এবং নিজের দলের জন্য রাজনীতি করেছেন। তিনি আদর্শিক মানুষ না। তার রাজনৈতিক আদর্শ হচ্ছে আত্মস্বার্থ রক্ষা করা। তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদন্দ্বিরাও যথেষ্ট পল্টি মেরেছে। তবে যেহেতু রাজনীতিতে শক্তিশালী তাই তাদের নিয়ে সেভাবে আলাপ হয়নি। রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডাকারিরা এটা সফলভাবে প্রচার করতে পেরেছে যে বড় দলগুলোর স্বার্থ দেখাই ছোট দলগুলোর কাজ। ফলে বড় দলগুলোর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকে যেখানে স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রয়োজনে গৃহীত সিদ্ধান্ত মনে করা হয় তখন এরশাদের সিদ্ধান্তকে পল্টিবাজি মনে করা হয়। কিন্তু একথা সত্য যে, এরশাদ ভাড়া খেটেছেন। নিজেকে বিক্রয় করেননি। এভাবে এরশাদ আপাত বাস্তবতায় গত তিন দশকে নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে পেরেছেন।

 

একজন আলিম এবং জাহিল কখনো সমান হতে পারেনা। তবু বোঝানোর সুবিধার জন্য বলছি। মাওলানা ফজলুর রহমান কিন্তু প্রচুর রাজনৈতিক পক্ষ পরিবর্তন করেছেন। এতে তার লস হয়নি। নাচতে নেমে ঘোমটা দেওয়া অর্থহীন, হাস্যকর। বেশ্যার সতিত্ব বা পবিত্রতা বোধ তার ধান্দাকে ধ্বংস করবে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রবেশ করে ইসলামপন্থী দলগুলো নিজেদের উপর যে নৈতিক দায় আরোপ করে আদর্শিক রোমান্টিসিজম অনুভব করে তা নিঃসন্দেহে প্রমান করে যে তারা ইসলামের ফুরু বোঝেন, উসুল না। রাজনীতিতে হুযুরদের কাজকর্ম দেখলেতো আমার সর্বদাই ক্লাউন শো মনে হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আগস্ট, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহর কাছে জবাবদিহি কি শুধু দেওবন্দিদের বিরুদ্ধে জবানদরাজি করলে করতে হবে নাকি যেকারও মানে যেকোনো গ্রুপের উলামা এবং আবেদ মুসলমানদের বিরুদ্ধে করলেই করতে হবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মহররম মাস আমাদের বিজয়ের মাস। আমাদের আনন্দের মাস। আশুরা আমাদের আনন্দের দিন। অবশ্যই যেকোনো সাহাবার চেয়ে মুসা (আ) এর তুলনা তেমন যেমন দুপরের সূর্যের সাথে সমস্ত তারকারাজির এমনকি তিনি যদি আবু বকর (রা) বা হুসাইন (রা) হন তবুও। মুসা (আ) এর প্রতি আমাদের দখল আমরা ছাড়তে পারিনা দুনিয়া এবং তার মাঝে যা কিছু আছে তার কোনো কিছুর বিনিময়েই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অসাধারণ একটা কাজ। এজন্য ভারতীয় জমিয়ত এর চাকর হওয়ার যোগ্যতাও বাংলাদেশি জমিয়তের নাই। স্মরণ করে দেখুন আমি ইসকনসহ হিন্দুত্ববাদিদের সাথে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আসেন গোড়া আপোষহীন দলবাজ মাসলাকবাজ দেওবন্দিদের একটা তালিকা করি।

 

১) তরুন জমিয়তি (আসলেই কি তাকে তরুণ বলা যায়। কথাতো মুরব্বিদের মতো)

 

২) বিশিষ্ট পুস্তক ব্যাবসায়ী। (পুস্তক ব্যাবসা খারাপ কিছুনা। হালাল রিযক অবশ্যই সম্মানজনক)

 

৩) দোস্ত

 

৪) .....

 

এই তালিকায় আপনিও যোগ করুন। আমরা তাদের কাছে দেওবন্দিয়াত শিখি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অন্ধ দলবাজি কবে থেকে দেওবন্দিয়াতের অংশ হল?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইফতেখার জামিলের বক্তব্য নিয়ে ঘাউড়া জমিয়তি মার্কা পোলাপান যা বলছে তার মানে হচ্ছে সত্যের চেয়ে মাসলাকবাজিতে আমাদের দায় বেশি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্নঃ মাদ্রাসায় সমকামিতা নিয়ে ওয়েস্টার্ন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ায় বক্তব্য দেওয়া কে কিভাবে দেখেন ?? জামিল ভাইয়ের বোঝা উচিত ছিল উনার কথা বলার অপকার বই উপকার নেই ।হুজুররা নিশ্চই AFP র সংবাদ দেখে তাদের ফালতু নীতি বদলাবে না।

 

উত্তরঃ

 

১) বদলাতে পারে। কারণ এতে যে হাঙ্গামা হবে তাতে হুজুররা ধাক্কা খাবে।

 

২) হুজুররা আল্লাহ বা মুসলমানদের চেয়ে কাফের স্ট্যাবলিশমেন্টকে প্রায় অন্য সকলের মতোই বেশি ভয় করে।

 

৩) একজন না বললে আরেকজন বলবে। এভাবে মুখ টিপে ধরে শেষ রক্ষা হবেনা। নিজের দোষ এবং সীমাবদ্ধতা না কাটিয়ে মীর জাফরকে দায় দেওয়া একটা দুঃখবিলাসের অতিরিক্ত কিছুনা। একজন না বললে আরেকজন বলবে। না বলে বলানো হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এসকল স্যারেরা আপনাদের পেয়ারের নবাব সলিমুল্লাহর প্রতিষ্ঠিত মারকাযুল ইলম জামিয়াতু দাকা এবং এর আওলাদরাই কিন্তু এসব ষাড়দের জন্ম দিয়েছে। পূর্ব বাংলায় বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সাংস্কৃতিক কলোনাইজেশন এবং ডিইসলামাইজেশনে জামিয়াতু দাকা যে অসাধারণ অবদান রেখেছে তার কি আদৌ কোনো তুলনা আছে?

 

উত্তর জানা নাই

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বুঝলামনা আপনারা আজ বুঝলেন স্যাররা শাড়ির ফাঁকে কি দেখেন?

 

যারা বলেন মেয়েদের মানুষ ভাবো। হুজুররা তাদের তেঁতুল ভাবে তারাই কি বলেনা অফিসে নারী থাকলে পুরুষ স্টাফদের স্নার্টনেস এবং প্রোডাক্টিভিটি ভালো হয়।

 

যাইহোক চটি পড়েন না হয় কাজের আলাপ করেন। আপনাদের আলাপ শুনে আগ্রহ নিয়ে পড়তে গেলাম৷ তবে তেমন ফিলিংস পেলাম না। মনে হয় এখন আমার ডোজ বেশি লাগে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সমকামিতা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ককে আমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। নিঃসন্দেহে যারা কওমি মাদ্রাসাকে পছন্দ করেননা তারা সুযোগ নিতে চেষ্টা করছেন এবং এমন মোক্ষম সুযোগ না গ্রহণ করাটাই তাদের জায়গা থেকে তাদের জন্য অন্যায় হতো। তবে নিঃসন্দেহে অনেক মজলুম ছেলেদের ক্ষোভও আছে। সেটা অস্বীকার করার উপায় নাই। একথা হাস্যকর রকমের ফালতু আলাপ যে আমি বা আমার নিকট কোনো স্বজন নির্যাতিত হওয়ার পরে আমি চুপ থাকবো। কওমি মাদ্রাসার ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য ফেসবুকেও নিরব থাকবো যেখানে প্রতিশোধ নেওয়ার মতো উপযুক্ত অন্য কোন প্লাটফর্ম নাই। বাস্তবতা হচ্ছে অনেক ছেলে যারা ফেসবুকে সোচ্চার তারা নিজেরা নির্যাতিত হয়েছে এবং লজ্জায় অন্যদের নামে বলে থাকে। তাদের ক্ষোভ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো ভাবমূর্তির গীত দিয়ে ভোলানো যাবেনা। কওমি মাদ্রাসায় সমকামিতার শিকার কত শতাংশ তা বলা মুশকিল হলেও সংখ্যাটা অন্তত এতটুকু যাতে প্রত্যেক কওমি সংশ্লিষ্ট মানুষ দুই চারজন এমন নির্যাতিত ব্যাক্তিকে চিনেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিষয়টিকে সাধারণ পদস্খলন হিসাবে দেখে শুধু চাকরি খাওয়া হয়। তারপর আরেক মাদ্রাসায় গিয়ে উস্তাদ পরিবেশ নোংড়া করেন। অনেক ক্ষেত্রে গান্ধিজীর স্টাইলে, বুড়া মাত দেখো, বুড়া মাত শুনো, বুড়া মাত শোচো স্টাইলে সিচুয়েশনে হ্যান্ডেল করা হয়। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে ভাবমূর্তির গীত বড় অসুন্দর। সকল মূর্তির পূজাই খারাপ। এযুগের জনপ্রিয় মূর্তি হচ্ছে ভাবমূর্তি। এই মূর্তিও ভাঙা উচিৎ।

 

আমার পরিস্কার কথা কওমি শীর্ষ আলিমদের অনেক কিছু এব্যাপারে করার আছে। আমার এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব

 

১) আবাসিক মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রদের পাশাপাশি উস্তাদের আবাসনের ব্যাবস্থার প্রতি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব দিতে হবে।

 

২) সারাদেশে কওমি শিক্ষকদের তালিকা করতে হবে। তা ডিজিটালাইজ করতে হবে। এই তালিকা অনলাইনে এভেইলেবল হবে। এমন অভিযোগ কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রমানিত হলে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। তিনি আর কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতে পারবেননা। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কওমি মাদ্রাসা বোর্ড সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থানিবে।

 

৩) এমন অভিযোগ প্রমানিত হলে শুধু চাকুরিচ্যুত নয় বরং তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে হবে।

 

আশা করি বিদ্যমান আলোচনা ও চাপ শীর্ষ আলিমদের আমার প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করতে প্রভাব রাখবে বলে আশা করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজব ব্যাপার

 

জামাতিদের ইতিহাস পড়ায় কে? তাদের অনেকেই জানেনা যে মাওলানা মাওদুদি (রহ) পাকিস্তান আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে তাদের অবদান শুধু রাজনৈতিক না, সামরিকও ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানিনা এই মাটির কি দোষ? আল্লাহ এই মাটিকে উর্বর করেছেন। একে নদী এবং সবুজ দিয়ে পূর্ণ করেছেন। এখানে কোন প্রয়াস ছাড়া দুনিয়ার সবচেয়ে সুস্বাদু ফলগুলোর মাঝে কিছু ফল এখানে উৎপাদিত হয়। কিন্তু কেন জানি এমাটির মানব সন্তানগুলো সবচেয়ে অথর্ব। আমি যদি নির্বাচনি রাজনীতিতে জড়িত এমন কোনো দল করতাম তাহলে জমিয়ত করতাম। সত্য বলতে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি জমিয়তের উপর আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। কারণ তাদের সংগ্রামের ঐতিহ্য এবং অর্জন।

 

কিন্তু বাংলাদেশের জমিয়ত। না থাক। আর না বলি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

র‍্যান্ড বা মুভের কাছে যাওয়াটা আমি সমস্যা মনে করছিনা। বরং যাওয়া উচিৎ। যেখানে মানুষ আছে সেখানেই যাওয়া উচিৎ। ওকাজের মেলা, ফেসবুক, গুলিস্তান, লাসভেগাস যেখানে মানুষ পাওয়া যায় সেখানেই যাওয়া উচিৎ।

 

সমস্যা হচ্ছে যারা যাচ্ছেন তারা অধিকাংশ অযোগ্য, স্বল্পশিক্ষিত এবং মানুসিকভাবে সম্পূর্ণ পরাজিত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা সেক্যুলার, লিবারেল কোন NGO এর দাওয়াতে বিভিন্ন সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক প্রভৃতিতে যাচ্ছেন তাদেরকে আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনারা নিদেনপক্ষে সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর 'মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কি হারালো'? বইটি পড়ে যান।

 

বইটি আপনাকে সিভিলাইজেশনাল কনফ্লিক্টে কনফিডেন্স দিবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার ধারণা আমি অত্যন্ত মেধাবি। লোকেরা যা বছরের পর বছর ব্যায় করেও শিখেনা আমি তা প্রায়ই সামান্য সময়েই শিখে ফেলি।

 

আমি যখন সেক্যুলার ছিলাম তখন পাকিস্তান সমর্থন করতাম। দুইটি কারণ সক্রিয় ছিলো।

 

১) মুসলিম জাতীয়তাবাদ

২) ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় ব্যালেন্স অব পাওয়ার হিসাবে সহায়তার আশাবাদ

 

কিন্তু ইসলামপন্থী হওয়ার কিছুদিন পরেই পাকিস্তানের ব্যাপারে আমি হতাশ হয়ে যাই। পাকিস্তানকে রাষ্ট্রকে অন্তর থেকে ঘৃনা করি ১৯৯৯ সাল থেকে। তখন থেকেই বুঝে গেলাম এসব শাসকেরা সে নাওয়াজ, মোশাররফ বা ইমরান খান যেই হোক উম্মাহর আস্থার জায়গা না। তারা কখনো উম্মাহর জন্য কাফেরদের বিরুদ্ধে তরবারি দূরে থাক ঢালও না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খুব সরাসরি একটা কথা বলি।

 

মডারেটরদের শত্রু বানানো ঐতিহাসিক কৌশলগত ভুল। তারা রোগ না রোগের উপসর্গ, শত্রু না বরং শত্রু অনেকগুলো অস্ত্রের একটি, তার শিকড় না, এমনকি ফলও না বরং পাতা। তারা সাপের মাথা না লেজ।

 

সম্ভবত মডারেটবিরোধীরাও সাপের মাথার সাথে লড়াইয়ে ভয় পায়। বাস্তবতা হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক ফ্রন্টে র‍্যাডিকেলদের চাইতে মডারেটরা সাপের মাথার মোকাবেলায় অধিক অধিক অগ্রসর। অন্তত তাদের প্রয়াস অনেক বেশি শত্রুমুখি যদিও মোকাবেলায় তারা প্রায়ই পরাজিত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুক প্রচুর সময় খেয়ে ফেলছে। এসেছিলাম অবসরে টাইমপাস করতে। কিন্তু দিনদিন সেটা নেশায় পরিনত হয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে আমি বিরক্ত।

 

ছোটবেলা থেকেই মানে নারীর প্রতি আকর্ষণ ব্যাপারটা বুঝেছি তখন থেকেই আমার নারী লাভের আকাঙ্খা ছিলো প্রবল। তবে সাহসে কুলাতো না তাই নারীসঙ্গ সেভাবে পাওয়া সম্ভব হয়নি৷ তাই যখন বিবি পেলাম তখন থেকেই সে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

 

আমি বিপ্লবী না, ছাপোষা মানুষ। দেশপ্রেমিক না বউ প্রেমিক মানুষ৷ জীবনে তাবলিগ জামাত ছাড়া আর কোনো দলের সাথে কাজ করিনি। হুজুররা সেটার দফারফা করেছেন তা ভিন্ন আলাপ কিন্তু বউ পাওয়ার পরে তাবলিগে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি। এখন ফেসবুকের কারণে প্রেম ভালোবাসার সময় কমে যাচ্ছে ব্যাপারটা বিরক্তিকর। দেশ জাহান্নামে যাক আমি আর আমার বউ সুখে থাকলেই হয়।

 

যাইহোক আমার যা বলার ছিলো তা প্রায় বলা হয়ে গিয়েছে। যা কিছু মাথায় অবশিষ্ট তা বলতেই হবে এমন কোনো কথা নাই। আমার লেখা সংরক্ষণ করার দায় দরকার কোনোটাই আমার নাই। যা বলেছি তা হয়তো কিছু ছেলে ভেবেছে। কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে। কোনো না কোনোভাবে হয়তো তাদের জীবনে, তাদের বৌদ্ধিক অন্বেষায় কাজে লাগবে। কিন্তু আমি নিজে ফেসবুকে এসে ভোতা হয়ে যাচ্ছি। স্ত্রী সাথে প্রেম ভালোবাসায় ঝামেলা হচ্ছে। এই বয়সে বউ হারানো বিপদ। এদেশে আরেক ভালো মেয়ে জোটাতে ভেজাল আছে। তাও ভেবেছি ফেসবুক ছেড়ে দেব।

 

এতো কথা বলার দরকার ছিলোনা। তবে গতবার ফেসবুক ডিএক্টিভ করলে আমাকে পছন্দ করে, অথবা আমাকে ক্লাউন মনে করে এমন কিছু মানুষ আমাকে বেশ খুঁজেছেন। তাদের প্রতি দায়ে কথাগুলো বলা।

 

এখন থেকে মাঝে মাঝে ডিএক্টিভ করে রাখবো। তাতেও নেশা না কমলে একাউন্টটি ডিলিট করবো। মনে রাখুন আপনাদের যেকারো চাইতে আমি আমার বউকে বেশি ভালোবাসি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে সবচেয়ে বিব্রতকর গালিটা হচ্ছে আমি নাকি সেলিব্রিটি (অনেকের মতে পাতি)।

 

অনেকে কোনো কন্টেন্ট ক্রিয়েট না করেও শুধু পোস্ট শেয়ার করে তাদের আমার চেয়ে অনেক বেশি ফ্রেন্ড এবং ফলোয়ার আছে।

 

আমি আমার আওকাত জানি বন্ধু। সত্যিই আমার কোনো লক্ষ্য উদ্দেশ্য নাই। এটা আমার রাফ খাতা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মসজিদগুলো মেয়েদের জন্য খুলে না দিলে মেয়েদের পরকিয়া ঠেকানো অসম্ভব।

 

আশ্চর্য লাগলেও সত্য হচ্ছে পরকিয়ায় জড়িত নারীর সংখ্যা আমার গবেষনায় পুরুষের চেয়ে বেশি। বিবাহিত মেয়েরা অনেকেই সাধারণত অবিবাহিত ছেলেদের সাথেও টাইমপাস করে। কিন্তু ছেলেরা পরকিয়া করে বিয়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন মেয়ের সাথে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মহিলাদের মসজিদে যাওয়া ও সালাতের জামাত অংশ গ্রহণের ব্যাপারে আমার মত

 

মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার কোন নিষেধাজ্ঞা হাদীসে নেই। কিন্তু হাদিসে মেয়েদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামের বিধান হচ্ছে, মেয়েদের জন্য সামনের কাতারের চেয়ে পেছনের কাতার উত্তম, মসজিদের চেয়ে বাসার বারান্দা উত্তম। বাসার বারান্দার চেয়ে ঘর উত্তম। আর ঘরের সবচেয়ে নিভৃত কোন সবচেয়ে বেশি উত্তম। তবু রাসুলুল্লাহ (সা) মেয়েদের মসজিদে যেতে অনুমতি দিয়েছেন এবং যেতে বাধা দিতে নিষেধ করেছেন। এমনকি মেয়েদের সুবিধার জন্য কিরাত ছোট করেছেন। সাহাবারা মসজিদে গিয়েছেন। আবু বকর, উমার এই রীতি অব্যাহত রাখেন। সাহাবাদের অনেকে চাইতেননা তাদের স্ত্রীলোকেরা মসজিদে যাক। তবু রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিষেধাজ্ঞার কারনে তারা বাধা দিতে পারতেননা। খোদ আয়িশা (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বেঁচে থাকলে এবং মেয়েদের অবস্থা দেখলে মেয়েদের মসজিদে যেতে নিষেধ করতেন। কিন্তু কি আর করার রাসুলুল্লাহ বেঁচে ছিলেননা। তাই কারও জন্যেই ব্যাপারটা হারাম করার অধিকার বা সুযোগ নাই। উম্মাহাতুল মুমিনিনদেরও না। তাই আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রা) মেয়েদের মসজিদে যাবার অনুমতি ব্যাক্ত করে হাদিস বর্ননা করলে তার এক সন্তান আপত্তি জানায়। হাদিসের উপর নিজের মত ব্যাক্ত করার তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং সেই সন্তানের সাথে কথা বন্ধ করে দেন। এব্যাপারে ফাজায়েলে হামলে হেকায়েতে সাহাবা পড়লেও অনেক কিছু জানতে পারবেন।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এমন একটা অপছন্দনীয় ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা) কেন অনুমতি দিলেন?

 

আলিমগন বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলেছেন। তবে সবগুলো কম্পাইল করে যা বুঝেছি তা হচ্ছে,

 

১) রাসুলুল্লাহর সোহবতের দ্বারা মহিলা সাহাবাদের উপকৃত হবার সুযোগ দেওয়া।

 

২) ইলমে দীন শিক্ষা দেওয়া

 

৩) মুসলিম কমিউনিটি বিল্ড আপ করা

 

কিন্তু রাসুল (সা) এরপর সোহবত ব্যাপারটি থাকেনি। মুসলিম সাম্রাজ্য শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। তালিমের বিভিন্ন উপার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন সাম্রাজ্যে ইসলামের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। উলামায়ে কেরামে শান সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। সাম্রাজ্যের সংস্কৃতি ইসলামি ছিল। প্রত্যেক মুসলিম নারির সাথে কোন না কোন আলমের রুহানি নিসবত ছিল ( হয় প্রত্যক্ষ না হয় মাহরাম আত্মীয় এর মাধ্যমে)। ফলে মেয়েরা ইমান আকিদা রক্ষার জন্য মসজিদে না গিয়েও তাদের দীনি প্রয়োজন মেটাতে পেরেছেন। কিন্তু মুসলিম সাম্রাজ্যে উসমান (রা) এর শেষযুগ থেকেই রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার শিকার হয়। মানুষের ইমান ও নৈতিকতা নিম্নগামী হতে শুরু করে। বিশেষত অনারব মুসলিম নারিদের। সেকালে মসজিদের হলরুম ছিল একটা। ফলে একরুমে নারী-পুরুষের মেলামেশা হিজাবের জন্য হুমকি তৈরি করে। ফলে ফকিহদের অনেকে মেয়েদের মসজিদে যেতে নিষেধ করেন। একদিকে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া কম সোয়াব এবং বাসায় নামাজ পড়া উত্তম হওয়ার হাদিস অন্যদিকে মেয়েদের ফিতনায় পড়ার সম্ভাবনার কারনে অনেক ফকিহ ব্যাপারটিকে মাকরুহে তাহরিমা বলেছেন। এমন ফতোয়ার কারন সোজা কথায় আমরা রিফ্রেজ করে বলতে পারি

 

১) নিরাপত্তা

২) হিযাব

৩) বাসায় সালাত উত্তম

 

আমি সাধারণভাবে এই ফতোয়া সমর্থন করি। তবে যেহেতু এটা ওহী না তাই চিরন্তন বিধান মনে করিনা।

 

বর্তমানে আমরা এক ভয়ংকর সময়ে দাঁড়িয়ে আছি। মানুষের দীনি গায়রত এতো কম কখনো হয়নি। অসংখ্য মুসলমান হিজাবকে কার্যত অপ্রয়োজনীয় বা বেশি হলে মুস্তাহাব মনে করে। অনেক মুসলমান ফরয হারাম দূরে থাক জাহেলি সমাজে থেকে ইমান কুফরের পার্থক্যই ভুলে যাচ্ছে। মুসলিম নারীরা এখন দুশ্চরিত্র নারী এবং পুরুষের সাথে মিশে আরও বখে যাচ্ছে। পোস্ট কলোনিয়াল জাতিরাষ্ট্র মুসলমানদের ইসলাম শেখাতে আগ্রহী না বরং জাহেলিয়াত শেখাতে আগ্রহী। তাই আমার মতে মুসলমানদের সবচেয়ে অগ্রাধিকারযোগ্য বিষয় হচ্ছে নিজেদের ইমান ও আকিদার হেফাজত করা। কোন কারনে দুইটি ফরযের একটি আমল করার সুযোগ থাকলে তখন ফকিহগন একটি বিষয়কে অগ্রাধিকারের দিয়ে থাকেন। আমার মনে হয় হিযাব এবং ইমান আকিদার মাঝে অগ্রাধিকারের বিষয় হচ্ছে ইমান ও আকিদার সংরক্ষণ। তাছাড়া মনে রাখতে হবে কার্যত মেয়েরা হিযাব পালনে উদাসীন এবং মসজিদ ছাড়া সর্বত্র তারা যাচ্ছে। উলামায়ে কেরামের অভিমত যাইহোক তা প্রতিরোধ করা যাচ্ছেনা। এমনকি আহমদ শফির অত্যন্ত যুক্তি সংগত কথাও আলিমদের অনেকে কনফিডেন্টলি ডিফেন্ড না করে আমতা আমতা করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আল্লামা আহমদ শফির বক্তব্যের ব্যাখ্যা ছাড়াও কথাটা লজ্জিত হবার মতো খারাপ কিছু ছিলনা। যাইহোক আমার মতে মুসলমানদের ইমান আকিদা হেফাজতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন উপায় হচ্ছে ইলম অর্জন এবং দীনদারদের সোহবত। তবে একথা মাথায় রাখতে হবে প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধতা দেয় তবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু। এসকল দিক বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশে মেয়েদের মসজিদে যাওয়া ও জামাতের ব্যাপারে আমার মত ও পরামর্শ

 

১) মেয়েরা যেহেতু আজকাল সর্বত্র যাওয়া আসা করে তাই বাজার, শপিং কমপ্লেক্স, বাস, ট্রেইন স্টেশন মসজিদগুলোতে মেয়েদের নামাযের জায়গা রাখতে হবে।

 

২) জুমায় ছেলেদের জন্যই পর্যাপ্ত জায়গা হয়না তাই জুমার জামাতে মেয়েদের আসার দরকার নাই।

 

৩) ফজর এবং ইশার সালাতে মেয়েদের যাবার দরকার নেই। তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা নিরাপত্তাহীনতার মতো কোন বিষয় থাকলে অবশ্যই মসজিদে যাবেনা। ঝড়-বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও মসজিদে যাবেনা।

 

৪) মেয়েরা কেবল সেই সকল মসজিদে যাবে যেখানে মেয়েদের জন্য একটি তলা ছেড়ে দেওয়া যায় এবং সেই স্পেসে যাবার জন্য ভিন্ন দরজা বা পথ থাকবে।

 

৫) মসজিদে অবশ্যই হিযাবসহ যাবে। আমি হিযাব বলতে নিকাবসহ বুঝি। মানে আমার মতে নিকাব ফরয। পাশাপাশি তারা কোন পারফিউম ব্যবহার করতে পারবেনা।

 

৬) মেয়েদের জন্য মসজিদে নিয়মিত তালিমের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে চিরকুটের মাধ্যমে প্রশ্ন উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। কোন আলিম মসজিদের লাউড স্পিকার ব্যবহার করে উত্তর দিবেন।

 

১-৬ শর্ত পালন করে মেয়েদের মসজিদে যেতে দিতে হবে। কিন্তু যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা) মেয়েদের বাসায় সালাতে উৎসাহিত করেছেন তাই মেয়েদের মসজিদে যেতে উৎসাহ দেওয়া যাবেনা। একে আন্দোলনে পরিণত করা যাবেনা। শুধু সুযোগটা রাখতে হবে।এতে অনেকগুলো উপকার হবে।

 

যেমনঃ

১) মুসলিম মেয়েরা নিজেদের আকিদা ও আমল সংশোধন করতে পারবে।

 

২) ইমানি চেতনা বাড়বে

 

৩) উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক বাড়বে

 

৪) প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম মেয়েদের ফাসিকদের উপর নির্ভরতা এবং তাদের ক্ষতিকর প্রভাব কমবে।

 

৫) পারস্পরিক সম্পর্ক মুসলিম মেয়েদের কার্যত হালাল বিনোদনের স্পেস দেবে। এতে করে সময় কাটাতে টিভি সিরিয়ল, ছেলেদের সাথে আড্ডা প্রভৃতি হারাম কাজে টাইম স্পেন্ড কমানো সহজ হবে।

 

৬) মুসলিম প্র‍্যাক্টিসিং বোনেরা দাওয়াতি কাজের সুযোগ পাবে। তাছাড়া প্রেমে ছ্যাঁকা জনিত ভেঙে পড়া মেয়েদের কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে এই সকল ফিতনা থেকে বের করে আনা সহজ হবে। উল্লেখ্য প্রায়ই ছেলে মেয়েরা একটা ছ্যাঁকা খেলে তা ভুলতে আরেকটি প্রেম করে। কিন্তু দীনি জজবা ঢোকানো গেলে দীন প্রেমিক প্রেমিকার ভাল বিকল্প হতে পারে।

 

এগুলো ছাড়াও আরেকটি বিষয় আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। অনেক সময় কোন কারনে মসজিদে যেতে না পারলে বাসায় ছেলেরা মিলে জামাত করা হয়। আমি মনে করি মাহরাম মেয়েদের এসকল জামাতে নেওয়া উচিৎ। কারন অনেক সময়ে মেয়েরা অলসতাবশত সালাত ছেড়ে দেয়।

 

১৬ জানুয়ারি ২০১৯

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১) পৃথিবীর যেকোনো জাতীতে প্রচুর শয়তান ধরনের লোক আছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যেও আছে। একটা দুইটা ভিডিও, রিপোর্ট বা প্রমান কারও বিরুদ্ধে জাতীগত বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য যথেষ্ট হতে পারেনা।

 

২) তারা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত এবং অশিক্ষিত। তাদের কি যথেষ্ট শিক্ষা দিক্ষা দেওয়া হয়েছ?

 

৩) কারা তাদের নিয়ে শত শত কোটি টাকার ব্যবসা করেছে?

 

৪) কারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইসলামপন্থী এনজিওগুলোর কার্যক্রম চালানো প্রায় অসম্ভব বানিয়েছে।

 

৫) ইয়াবা ব্যবসা রোহিঙ্গারা কি একাই করে নাকি বাঙালিদের সহযোগিতা আছে নাকি গডফাদাররা বাঙালি?

 

৬) কাশ্মির ইস্যু নিয়ে ব্যবসা করা দরকার করেন। এক সময় রোহিঙ্গা নিয়ে করা দরকার ছিলো করেছেন। আঁতাতের রাজনীতিতে সরকারকে বলে কয়ে সরকারবিরোধী বিবৃতি দেওয়া খারাপ না। চালান ব্যাবসা।

 

৭) সমাবেশ করার কারণে রোহিঙ্গাবিরোধী কথাবার্তা যারা বলছেন তারা জানেননা যে সেখানে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়েছে।

 

৮) ট্রাম্পের কাছে গিয়েছিল মিয়ানমারের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিপক্ষে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এখন সেইসব দেওবন্দি প্রতিক্রিয়া দেখবো যারা সারাদিন শাইখ আবু বকর জাকারিয়া সাহেবের পিন্ডি চটকিয়ে আহলে হাদিস আন্দোলনের ব্রিটিশ ইতিহাস নিয়ে টানাটানি করেছে।

 

মিসবাহ নিয়ে কি বলে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চরমোনাই আলারা যে কতো নিচ, ছোটলোক, শুয়োরের বাচ্চা হতে পারে তা আজকের আগে কল্পনাও করিনি। মিসবাহ শয়তানটাকে তারা সমর্থন দিচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূজা যদি করতেই হয় আকাবির পূজার চেয়ে নফস পূজা ভালো।

 

আখিরাত না পাই দুনিয়াতো পাই। কিন্তু আকাবিরেরা মাটির মূর্তির চেয়ে সামান্য শক্তিশালী। তাদের চেয়ে প্রাসাদ শক্তিশালী। অবশ্য তারাও সাবকন্ট্রাক্টে প্রাসাদ পূজা করেন।

 

হাহাহাহাহা

 

এজরা বিলগিস তুমি কোথায়?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি শাইখ হারুন ইজহারকে পছন্দ করি। কারণ তার এবং আমার সমাজ পরিবর্তনের মডেল এক। সেটা হচ্ছে মুজাদ্দিদে আলফে সানি। তাকে চেনার আগে থেকেই এটা আমার মডেল। কিন্তু মুজাদ্দিদে আলফে সানি (রহ)কে আমি খালি চোখে চিনিনা। বরং সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর লেন্সে 'তারিখে দাওয়াত ওয়াল আযিমাত' ৪র্থ খন্ডের মাধ্যমে চিনি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, শাইখ হারুন ইজহারও মুজাদ্দিদ (রহ) কে চেনার জন্য বইটিকে রেফার করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের সমকালীন আলিমদের মাঝে আমার উপর সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর প্রভাব অত্যন্ত বেশি মনে করি। তিনি দেওবন্দি, সালাফি এবং ইখওয়ানিদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতেন। কারও গোঁড়া মুকাল্লিদ ছিলেননা। ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা চিন্তা সম্পর্কে অত্যন্ত অভিজ্ঞ কিন্তু তাদের সাংস্কৃতিক প্রভাব থেকে সবচেয়ে মুক্ত ছিলেন। তার বই পুস্তক ইতিহাস জুড়ে এবং আমাদের যুগে ইসলাম কিভাবে প্রতিফলিত হতে পারে তার অত্যন্ত রক্ষণশীল বয়ান তুলে ধরেন কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাস্তববাদী। তিনি আলে সাউদের সাথে সম্মানজনক সুসম্পর্ক রক্ষা করেন। রাবেতার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার পান। সেই অর্থ আফগান মুজাহিদদের দান করে দেন। এভাবে আকাবিরে দেওবন্দের আদর্শ অনুযায়ী শাসকদের অনুগ্রহের উপর তার অমুখাপেক্ষীতা প্রকাশ পায়। আবার তিনি শাইখ আযযামকে ডগমেটিক গোঁড়ামির উর্ধ্বে উঠে বাস্তবিবাদি দৃষ্টিভঙ্গির দাওয়াত দেন। শাইখ আযযাম তার নসিহত গ্রহণও করেছিলেন। ভারত সরকারের সাথেও তার সুসম্পর্ক ছিলো। তিনি জেনারেল জিয়াউল হককে ভারতের সাথে রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি অল ইন্ডিয়ান মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেখানে মুসলিম আইন সংশোধনের প্রয়াস চালানো চেষ্টা চালালে তিনি রাজিব গান্ধীকে সরাসরি হুমকি দেন আমরা দেশের চেয়ে ইসলামকে অধিক ভালোবাসি। আমরা দেশদ্রোহী হতে পারি কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে যেতে পারবোনা। শাসকদের সাথে সুসম্পর্ককে তিনি দীনের খেদমতে ব্যয় করেন কিন্তু কখনো তাদের অনুগ্রহ নেননি। আমার জানামতে তার পেটে কখনো হারাম প্রবেশ করেনি। কিন্তু এতো কিছুর পরে তিনি প্রত্যেক জালিম শাসক সে নাসের হোক অথবা কামাল পাশা, তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। কারও মুখোরোচক কথায় বাটপার শাসকদের দ্বারা প্রতারিত হননি। কিছু মতভিন্নতা সত্ত্বেও তিনি ইখওয়ানকে মুসলিম রাজনৈতিক জাগরণের তরী ভাবতেন। তাবলিগ জামাতের কাছে তার প্রত্যাশা ছিলো। তিনি এই মেহেনতের একজন মুরব্বি ছিলেন। জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। আজন্ম স্বপ্ন দেখেছেন এক চিলতে দারুল ইসলামের। কিন্তু কখনো কোনো গনতান্ত্রিক ইসলামি দলে ছিলেননা। আবার কোনো জনবিচ্ছিন্ন সশস্ত্র আন্দোলনেও তিনি যুক্ত হননি।

 

তিনি উসুলে জজবাতি কিন্তু জীবনে বাস্তববাদী। তিনি মূলধারায় বিচরণ করা একজন জজবাতি ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন সাহাবাদের নকশা এযুগে বাস্তবায়ন সম্ভব। তার স্বপ্নের মডেল উপস্থাপনে তিনি অত্যন্ত আবেগের সাথে রচনা করেন সিরাতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ)।

 

তাকে না বুঝলে আমাকে বোঝা সম্ভব না। হ্যাঁ তার অনুসরণের যোগ্যতা আমার নাই।

 

কিন্তু "ইউসুফের মূল্য দেওয়ার মতো অর্থ সম্পদ আমার নাই কিন্তু প্রেমের সাওদাবাজিতে আমিও নাম লেখাতে চাই"।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই কাশ্মির নিয়ে আচুদামি না করে রোহিঙ্গা নিয়ে যে আবলামো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাদের সমর্থন দেন।

 

সব শালা সেফ ডিস্টেন্সে বীর পুরুষ, বিয়ের আগে চার বউ মারায়, বিয়ের পর একটাই পারেনা তাই বউ পরকিয়া করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা ইসলামি ফিকির এবং তাহরিক নিয়ে কাজ করেন তাদের আমি অনুরোধ করবো সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর "মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কি হারালো" এবং "সংগ্রামী সাধকদের ইতিহাস" সাত খন্ড পড়ুন। প্রত্যেক লাইন কোনো ভালো আলিমের তত্ত্বাবধানে পড়ুন।

 

যদি এটা না পড়া থাকে তবে নিজের কাজ করুন। অন্যের সমালোচনা করার দরকার নাই। সে যোগ্যতা এখনো আপনার হয়নি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিবাহপূর্ব প্রেম দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন রকম সমস্যার কারণ।

 

১) যদি একই ব্যাক্তিকে বিয়ে করেন তবে সঙ্গীকে পাওয়ার জন্য দেওয়া অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি এবং শো অফ সঙ্গীর প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেয়। প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির পার্থক্য দাম্পত্য সমস্যা তৈরিতে অবদান রাখে। মানুষ নিজেকে প্রতারিত ভাবে।

 

২) বিভিন্ন ব্যাক্তির বিভিন্ন গুন থাকেই। এখন আপনি যাকেই বিয়ে করবেন তার কমতি আগে চোখে পড়বে। যাকে হারিয়েছেন তার মাঝে সেই গুন থাকলে তা মিস করবেন।

 

৩) বিয়ে থাকলেও অনেক সময় সমস্যা হয়। এজন্যই কুমারী বিয়ে সুবিধাজনক। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে সঙ্গী সুবিধা অসুবিধা দুইটাই প্রায় পুরোটা জ্ঞাত হয়। ফলে মোহ কাটার মতো উপাদানও থাকে।

 

৪) পরকিয়াগুলোর অনেক বড় অংশ মানুষ করে পূর্ববর্তী প্রেমিক প্রেমিকার সাথে। অনেক সময় জাস্ট ফ্রেন্ড হিসাবে মেইনটেইন করা শুরু করেও শেষ পর্যন্ত তা একটু একটু করে বিছানা পর্যন্ত চলে যেতে পারে। বিশেষত একজনের উদ্দেশ্য যদি সামান্য খারাপ হয় তবেতো কথাই নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকেই এটা নিয়ে সংশয়গ্রস্থ যে আমি একজন অমানহাযি এবং অজিহাদি ইসলামপন্থী হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাশ্মির পলিসির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাহীন কিভাবে?

 

আপনারা ড ইসরার আহমদ (রহ) এর চিন্তা এবং কর্মপন্থা দেখুন। তিনি জেহাদি ছিলেননা। তবে তার অবস্থান মুফতি শফি (রহ) এর পরিবারের মতো পাকিস্তানপন্থী ছিলোনা।

 

তিনি তত্ত্বীয়ভাবে অধিকতর সঠিক বক্তব্য দিয়েছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের অনেক বিপদের কারণঃ

 

১) আপ ভালোতো জগৎ ভালো। আমি ভালো মানুষ তাই যেখানে যাই, যা কিছু করি আমার পা পিছলাবেনা।

 

২) আমার ভাইয়েরা ভালো। সম্পত্তির বাটোয়ারায় আমার সন্তানদের ঠকাবেনা।

 

৩) আমার সন্তান ভালো। তারা নষ্ট হবেনা।

 

৪) আমার বউ ভালো।.....

 

উৎসর্গঃ Sadid Malek

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই আমাকে দালাল, কাপুরুষ যা ইচ্ছা তা বলেন কিন্তু আলিমদের উস্কানিতে রক্তের উপযুক্ত বিনিময়ের সম্ভাবনা নিশ্চিত না করে নিজের রক্তকে অন্য কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের স্বার্থে কেউ জিহাদে যাবে তা মানা যায়না। একটা ছেলে ইউনিভার্সিটি ছেড়ে জিহাদে যাবে। তারপর কদিন পরে শহীদ অথবা কালোতালিকাভুক্ত হবে। জীবনটা নষ্ট হবে, পরিবার মূল্য দিবে, মাঝখান থেকে ইমরান খানের মতো শাসকেরা তাদের রক্তকে ওয়াশিংটন, লন্ডন, মস্কোতে বেচে দিবে। এটা মানা যায়না।

 

এদেশে আলিমরা এবং ইসলামপন্থী বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত। কেউ সৌদিপন্থী, কেউ তুরস্ক, কেউ ইরান, কেউ পাকিস্তানপন্থী। ফলে তাদের ফতোয়ায় উম্মাহর স্বার্থ মানে তার পছন্দের দেশের বা গোষ্ঠীর স্বার্থ। সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

 

পরিস্কার কথা কোনো জাতীরাষ্ট্রের কাঠামোর অধীনে যদি লড়াই করতে হয় তবে তা করতে হবে তার আনুষ্ঠানিক সেনাবাহিনীর অধীনে। কাজ হতে হবে ফর্মাল অর্থাৎ আইনসঙ্গত কাঠামোর অধীনে। কোনোভাবেই কোনো মিলিশিয়া বাহিনীর অধীনে না।

 

আমাদের দেশের একটা উদাহরণ বলি। ১৯৭১ সালে মুফতি শফি (রহ), মাওলানা মাওদুদি (রহ) এর মতো পন্ডিতরা জিহাদ এবং শাহাদতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাদের ফতোয়া এবং উৎসাহে লোকেরা রাজাকার, আল বদর, আল শামসের মতো দলে যুক্ত হন। কিন্তু যুদ্ধের পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফর্মাল সদস্যরা কেউ এজন্য তেমন চড়া মূল্য না দিলেও ইসলামপন্থী মিলিশিয়াদের চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র এবং সরকার তার সেনাবাহিনীর অপকর্ম সত্ত্বেও তাদের বিচার থেকে বাঁচিয়েছে কিন্তু মিলিশিয়াদের জন্য কিছুই করেনি। এমনকি আজ যখন জামাত নেতৃবিন্দের বিচার হলো তাদের জন্য তারা তেমন কিছুই করেনি। ভুট্টো সেক্যুলার ছিলেন। পিপির সেক্যুলার গোষ্ঠীর অনেকে এসব বিচার পরোক্ষভাবে সমর্থনও করেছে। সেসব ইসলামপন্থী মিলিশিয়াদের কেউ মনেও রাখেনি। তাদের কুরবানিকে কেউ শ্রদ্ধাও করেনি।

 

তাই নিজের হাঁটুতে জোড় না থাকলে দাওয়াত ও তাবলীগ করুন। ভাড়াটে জিহাদি হওয়া থেকে বেঁচে থাকা এবং সতর্ক হওয়া নিজের এবং নিজের পরিবারের স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১)

 

তাকি উসমানি প্রকাশ্যে মুসলমানদের হুককামের বিরুদ্ধে টুইট করেছেন। মাদখালিদের মতে বারবাহারির উসুলে তিনি কি খারেজি?

 

২)

 

কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন মাওলানা মতিউর রহমান মাদানি সবার সমালোচনা করেন। আমিও করি। আমাদের মাঝে পার্থক্য কি?

 

আমাদের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে তিনি প্রায় সবাইকে তাবদি করেন কিন্তু আমি দেওবন্দি, সালাফি, জামাতি, ইখওয়ান প্রভৃতি কাউকেই সহজে তাবদি করিনা। এমনকি অনেকে বেরেলভি ঘেঁষা গ্রুপগুলোকেও না। আমি তাদের সবার সমালোচনা করলেও তাদের আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত বিশ্বাস করি।

 

সবচেয়ে বড় কথা আমার মাসনার জন্য উল্লেখিত যেকোনো ঘরানার সুন্দরী মেয়ে আগ্রহী হলে আমি রাজি। আল হামদুলিল্লাহ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাস্তবতা হচ্ছে মূলধারা, ভুলধারা, চুলধারা, মূলাধরা গ্রুপগুলো আমার কর্মপন্থা বোঝেই না।

 

তারা কিছুই বোঝেনা শুধু পাদ্রীপূজা ছাড়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শালা ক্যাথলিক গ্রুপ আবার আমার পোস্ট ডিলিট মারছে।

 

যাইহোক মুফতি রফি উসমানি (দাবা) এর পরামর্শে ইমরান খানের নেতৃত্বে জিহাদের স্বপ্নদোষ বাদ দিয়ে দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনতে বেশি করে সময় দেন।

 

আলেমদের কথায় আবেগে ভেসে যাওয়ার কিছু নাই। বিশেষত বাংলাদেশে বসে ছেলেরা এসব আজগুবি বিষয়ে এতো উতলা কেন? তার চেয়ে একটা মুসলমান গড়িব বাচ্চাকে বাংলা, ইংরেজি, আরবি এলফ্যাবেট শেখান বেশি কাজে দিবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসুদ সাহেব (দাবা) এর নাম শুনলেই একদল লোক হিস্টিরিয়া রোগীর মতো ছ্যাত করে উঠে কেন?

 

কেউ পয়েন্ট বাই পয়েন্ট কথা না বলে মুখস্ত কথা বলে।

 

আমার মতে তিনি শাইখে আকবর মুহিউদ্দিন ইবনে আরাবির (রহ) মতো বিবেচ্য।

 

যাকে অপছন্দ করেন তার প্রতি ইনসাফ করতে না পারলে ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠা করলে কেমন বিচার বিভাগ হবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কারা অধিক গোঁড়া এবং মাসলাকবাজ হয়?

 

উত্তরঃ নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো গোঁড়ামি এবং মাসলাকবাজির প্রধান কারণ হয়ে থাকে সাধারণত।

 

১) সফর কম।

২) একক ঘরানার বই পুস্তক অধিক পড়াশোনা করা

৩) চাটুকার পরিবেষ্টিত থাকা

৪) কাফেরদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কম জানা

৫) হাল দুনিয়ার খোঁজ খবর সম্পর্কে প্রাগৈতিহাসিক ধারণা রাখা।

 

আপনি সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ), আল্লামা তাকি উসমানি (দাবা) এমনকি খোদ আমাদের মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) কে মাসলাকবাজি করতে সাধারণত দেখবেননা। হ্যাঁ মাওলানা মাসুদ হয়তো জামাতের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করেন কিন্তু আহলে হাদিস বা বিদয়াতিদের বিরুদ্ধে তাকে কখনো পাতলামি করতে দেখবেননা। তাই আমার ধারণা তার জামাত বিরোধিতা প্রধানত রাজনৈতিক, মাসলাকি না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হাঁটু থেকে নাভী পর্যন্ত পুরুষের সতর। এটুকু বাবা মা বা সন্তানদের সামনেও খোলা রাখা জায়েজ নাই। এটা পুরুষের হিজাব।

 

কিন্তু আজকাল প্যান্টগুলো নাভীর বেশ নিচে বানানো। বিভিন্ন কারণে টি-শার্ট বা শার্ট বা উপরে পড়া অন্য কোন কাপর উঠানোর ফলে নাভীর নিচের অংশে সতর খুলে যায় যা প্রদর্শন করা সুস্পষ্ট হারাম।

 

এই হারামের ব্যাপারে সাধারণত দীনদাররাও সচেতন না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাসরে ঢোকার সময় কাপর চেঞ্জ করে ফ্রেশ হওয়ার সময় সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে হালকা কাপর পড়ে নিন।

 

জামাই বউ দুজনেই

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা অনার্স মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে বিয়ে করেছেন। আবার আশা করেন তার কোনো অতীত থাকবেনা।

 

ভাইরে মেয়ে বিয়ে করেছেন। ম্যাচিউর হন। হয় ওয়েস্টার্ন খেলেন (মেনে নেন) আর না হয় ইস্টার্ন (স্বল্প বয়সী বিয়ে)।

 

হাফ হার্টেড খেলার একটাই পরিনতি। আউট। দিন আসন্ন। স্ত্রীর পরকিয়া ক্ষমা করেই আপনাকে সংসার করতে হবে।

 

এটাই এই জাহেলি উন্নয়ন এবং ভোগবাদের সামাজিক ফলাফল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি বেশ সহানুভূতির সাথে চরমোনাইয়ের জিকির নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের কথা শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে চরমোনাইপন্থীরা এই বিষয়ে একই সাথে জামাতি এবং বিদয়াতপন্থীদের মতো আচরণ করছে। তারা অনেকেই নিছক মুবাহ না বরং সুন্নাহ নিদেনপক্ষে মুস্তাহাব মনে করেন। খুব বিশ্রীভাবে আকাবিরের দোহাই পাড়েন। নন-বেরেলভি মিলাদপন্থীদের মতো জোড়াতালি দেওয়া দলিল দেন। কিন্তু সবচেয়ে দূষনীয় হচ্ছে এই সংক্রান্ত বিরোধ তারা জামাতিদের শক্তিশালী সময়ের মতো জংলি শক্তিমত্তা দিয়ে সমাধান করতে চান। আমার এতমিনান এসে গিয়েছে যে ইবনে ওলিপুরির বক্তব্যকে সংকটে পরিনত করার প্রধান দায় চরমোনাইপন্থীদের। তারা বিষয়টিকে শুরু থেকেই ইলমি এখতেলাফ হিসাবে এড়িয়ে গেলে কখনো এই সংকট তৈরি হতোনা। আজকাল তারা ক্রমশ অহংকারী হয়ে উঠছে। সাথে আছে ঐতিহ্যগত আসাবিয়্যাহ।

 

যাইহোক এসংক্রান্ত আমি যেসব সহানুভূতিশীল কথা বলেছি তা মানসুখ। তাদের জিকিরের মজলিস বিদয়াত কারণ যতটা না মাসয়ালা তার চেয়ে বেশি তাদের নিয়্যাত।

 

পাশাপাশি এটাও সত্য এই বিদয়াত সত্ত্বেও তারা আহলে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত। তুলনামূলক অনেক গ্রুপের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন। তাদের মাঝে সংখ্যা গড়িষ্ঠতার অহংকার দূর করে দিক। তাদের দিনের খেদমত করার তৌফিক দিক। এই ধরনের ছোট বিষয়গুলোর পরিবর্তে আমাদেরকে আরও গুরুত্বপূর্ণ এবং কল্যাণকর বিষয়ে নজর দেওয়ার তৌফিক দিক। মাঠের বিষয় আর মাদ্রাসার বিষয়ের পার্থক্য বোঝার তৌফিক দিক। এধরণের বিষয় মাদ্রাসায় আলোচ্য, ওয়াজ মাহফিলের স্টেজে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এতায়াত করো আল্লাহ, রাসুল এবং তোমাদের মাঝে যারা উলিল আমর তাদের।

 

যারা আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর এতায়াত করেনা তারা কাফের। এমনকি উলিল আমরের এতায়াতের ফরজিয়াত অস্বীকারকারীও কাফের।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আকিদাগতভাবে আহলে হাদিস, সালাফি এবং এতায়াতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা মানজুর মেঙ্গল একবার বলেছিলেন, আমাদের পাঠানদের আত্মমর্যাদাবোধ সাহাবাদের চেয়ে বেশি। এজন্য অনেকে বিয়ের পর নিজের বাসায় কন্যার সাথে বাসর করতে দেয়না। তারা বলে, এতো বড় অপমান মানা যায়না যে আমার বাসায় আমার মেয়ের সাথে.....

 

বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশে আমাদের অনেকের লজ্জাও এই কিসিমের। বানিয়ে বলছিনা। চোখের দেখা। মেয়ে প্রেম করেছে। বাসার সবাই জানে। তখন লজ্জা করেনি। বিয়ে করেছে তাও সবাই জানে। কিন্তু সহবাস করার পরে গোসল করতে গড়িমসি করে। সবাই দেখলে কি ভাববে?

 

স্ত্রীর সাথে সহবাস করার পর কে কি ভাবলো তাতে কি যায় আসে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সহবাসের পরে গোসল করতে হয় সবাই জানে কিন্তু সহবাসের আগে গোসল করাও অত্যন্ত দরকারি তা অনেকেই জানেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (হাফি) এর পাথেও পত্রিকায় চরমোনাই পিরদের যথেষ্ট সমর্থন দেওয়া হয় কিন্তু চরমোনাইপন্থীরা অন্তত প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা করে কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একমাত্র বিএনপি জামাতের দালাল পাকিস্তানি পেতাত্মারাই মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) কে সাবেক মানহাযি বলে। বাস্তবতা হচ্ছে তিনি সারাজীবন চিকন ও ঠান্ডা বুদ্ধির মানুষ। শয়তান বিএনপি জামাত তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিপীড়ন করেছে৷ তাকে তোহমত দিয়েছে। তার অপরাধ তিনি বিএনপির মতো চোরদের সাথে আঁতাত করেননি। উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর ফিকিরের তীব্র বিরোধী। তাছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আপনার মাথা যদি ধান্দাবাজ অথবা বেকুবদের কাছে বন্ধক না দিয়ে থাকেন তাহলে বলেন বিএনপিতো কারাগারে বন্দি করে নিপীড়নও করেছে। কি প্রমান তার বিরুদ্ধে দিতে পেরেছে?

 

আসাদ মাদানি (রহ) এর খলিফা মুলহিদ এটা আমি বিশ্বাস করিনা। সকল মানুষের কর্মপন্থা সবাই বোঝেনা। আবার মানুষ সব কাজ ঠিকও করেনা। আজগুবি হুজুগ হচ্ছে তিনি জিহাদ বিরোধী ফতোয়া দিয়েছেন। স্পেসিফিক বলেন সেই জিহাদবিরোধী ফতোয়ায় ঠিক কি জিহাদ বিরোধী কথা তিনি বলেছেন? এক লাখের ফতোয়া পাপ হলে আঠারো শতর ফতোয়া পূন্য কেন? এই ফতোয়াও তার নিজের উদ্যোগ না, বরং মাওলানা মাহমুদ মাদানির পরামর্শ অনুযায়ী দেওয়া।

 

তিনি তাবলিগের কেচালে সহিংসতা ও উশৃংখলতার বিরুদ্ধে হওয়ায় এবং মাওলানা আব্দুল মালিকের আরবি জানা ইস্যুতে একটা বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় কিছু মারকাযপন্থী ছেলেপুলে শাইখকে এতায়াতি ট্যাগ দিয়ে বেয়াদবি করে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি জামাত বিএনপির দালালদের সুরে সুর মিলিয়ে বলছে শাইখ নাকি সাবেক মানহাযি। মিথ্যুক একেকটা।

 

আর একটা কথা বলি। মিলিয়ে দেখেন। সেনাবাহিনীর জেনারেলরা যে যে দেশে প্রশিক্ষণ নেয় তাদের সেদেশপন্থী হিসাবে প্রায়ই আবিস্কৃত হন। আলিমদের মাঝেও এই প্রবনতা আছে। মাওলানা আব্দুল মালিক (হাফি) মাওলানা তাকি উসমানির ছাত্র ছিলেন। মুফতি শফি (রহ) পাকিস্তান আন্দোলনের যুগ থেকেই পাকিস্তানপন্থী। এমনকি তার তাফসীরে মারেফুল কুরআন অসাধারণ একটা তাফসির হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানপন্থী হওয়ার দুর্বলতায় আক্রান্ত। তিনি কুরআন থেকে দ্বিজাতিতত্ত্ব বের করে পাকিস্তান দেখান। এধরণের তাওয়াসসুব আলিমদের মাঝে থাকে। আপনি যদি আলিমদের ইতিহাস জানেন তা হলে বুঝবেন এটা স্বাভাবিক। একারণে কোনো আলিম থেকে উপকৃত হতে অস্বীকৃতি জানালে দুনিয়ায় কোনো গ্রহণযোগ্য আলিম পাওয়া যাবেনা। একেকজনের একেক রকম তাওয়াসসুব পাওয়া যাবে। কিন্তু তার এই তাওয়াসসুব তার সন্তানদের মাঝেও ছড়িয়েছে। মাওলানা আব্দুল মালিক এবং মারকাযের ইলমি হাইসিয়্যাত এবং খিদমতের কারণে মারকাযপন্থীরা পাকিস্তানের প্রতি দুর্বল। নিঃসন্দেহে মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ পাকিস্তানপন্থী না। একারণেও তারা তার বিরুদ্ধে জনমনে বিরূপ ধারণা ছড়াচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এটা ভালো ব্যাপার যে অনেক মানহাযি ভাই নিজেদের মেজাজ সংস্কারের নসিহত করছেন। আশা করবো তারা কাজটি অব্যাহত রাখবেন। যারা প্রান্তিক চিন্তা করে তাদের চিন্তায় নিয়ন্ত্রণ আসবে।

 

তবে আমি আর একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। সেটা হচ্ছে শাইখ মাকদিসি এবং শাইখ রহমানির অন্ধ তাকলিদের পরিবর্তে তাদেরকে ক্রিটিক্যালি পর্যালোচনা করা। আমি আবার রিফ্রেজ এবং রিপিট করি। তাদের বর্জন করতে বলছিনা। তবে তাদেরকে ক্রিটিক্যালি পর্যালোচনা করুন। মূলধারার আলিমদের অভিমতের ভিত্তিতে না তবে তাদের পর্যালোচনা মাথায় রেখে। প্রাচীন উলামাদের অভিমতগুলো দেখুন। তার ভিত্তিতে তার প্রত্যেক বক্তব্যকে পুনঃবিচার করুন। তারপর যেটুকু নেওয়ার নিন যেটুকু বর্জন করার করুন।

 

ব্যাপারটি আমি একটা উদাহরণ দেই। চরমোনাই পিরের সাথে আমার শতভাগ একমত কেন ৮০ ভাগ একমত হওয়ার সুযোগ নাই। আমাকে যারা ফলো করছেন তারা বুঝবেন। তাদের এই জিকিরের মজলিশেও আমার আগ্রহ নাই। তবে আমি তাদের সাথে মিশেছি। তাদের মুরিদদের সাথে আলাপ করেছি। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনপ্রিয় পিরদের ভেতর তাদের চেয়ে বিশুদ্ধ আকিদা, সুন্নাহপ্রীতি এবং বিদয়াতবিরোধীতা আমি কারও মাঝে দেখিনি। হ্যাঁ স্বল্প সংখ্যক মুরিদ আছে এমন পিরদের মাঝে কিছু ব্যাতিক্রম থাকতে পারে। অর্থাৎ তাদের অভিযুক্ত বইগুলোতে যেসকল আকিদার কথা আছে আল্লাহর কসম আমি তাদের একজনের মাঝে সেসব আকিদা দেখিনি। হ্যাঁ দলবাজি করার জন্য সেগুলোর তাওয়িল (যা অনেক সময় উদ্ভটও হয়) তারা করেন সেটা আলাদা বিষয়। এখন কথা হচ্ছে এই যে বৈষ্ণব আর লালনের দেশে আকিদার এই পরিশুদ্ধিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নাই।

 

চরমোনাই পিরের চাইতে অধিক গোমরাহ পিরের কোন অভাব এদেশে নাই। মাইজভান্ডারি, আটরশি, দেওয়ানবাগি, কুতুববাগি, সুরেশ্বরীসহ হাজারো মুলহিদ পির ও মাশায়েখ বিদ্যমান। তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এই জোশ এবং জজবা দেখা যায়না। তাদের ভাষায় কারণ তারাতো বাতিল কিন্তু এরা হক্কানি দাবি করে। আরে ভাই আল্লাহর দুনিয়ায় কে নিজেকে বাতিল মনে করে? এটা শামীম আফজাল মার্কা যুক্তি। শাতিমে রাসুলুল্লাহ (সা)গুলো যা বলছে সে শয়তানি বোঝা যায়। কিন্তু মওদুদি জামাত নেক সুরতে ধোকা দেয়। তাই তারা বেশি খারাপ। বাস্তবতা হচ্ছে মুলহিদ পিরের মুরিদান, ভক্ত ও অনুচরদের সাথে আমাদের প্রতিদিন উঠাবসা করতে হয়। তারা আমাদের অফিস আদালত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করে। তাদের সাথে আমাদের আত্মীয়তা হয়। সাধারণত অতিপরহেজগার পরিবার ছাড়া কেউ ছেলে মেয়ে আকিদা মাসলাকের খোঁজ নেয়না। তাদের জবেহ আমাদের খেতে হয়। আমরা গোড়স্থানেও প্রতিবেশি। তাহলে শুধু চরমোনাই নিয়ে কেন বলবেন? আমি চরমোনাইয়ের চেয়ে হকপন্থীদের সমালোচনা করি। কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি যদি এদেশেত শাসন ক্ষমতা চান তাহলে এই লোকেরা আপনার প্রজা হবে। তাদের আকিদা, মাসলাকের পরিশুদ্ধিও আপনার দায়িত্ব। তাই যার আকিদা যত খারাপ তার বিরুদ্ধে তত শক্ত অবস্থান নিতে হবে। যেসব চিন্তার মানুষ বেশি তাদেরকে অবশ্যই এড্রেস করতে হবে।

 

আমার দৃষ্টিতে মানহাযি ভাইদের চরমোনাই বিরোধিতার কারণ রহমানি সাহেবের অবস্থান। কথা হচ্ছে আমি তার নিন্দা করছিনা। তার কুরবানি স্বীকার করছি। কিন্তু বিভিন্ন কারনে কোনো আলিমের কাছে বিশেষ বিষয় অধিক গুরুত্ব পায়। বড় বড় তাবেঈ এবং তাবে তাবেঈদের ভেতর তাওয়াসসুব ছিলো। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি চান। আপনি কি একটা কাল্ট টাইপ গ্যাং তৈরি করতে চান নাকি রাজা হতে চান? যদি রাজা হতে চান তাহলে আপনার দৃষ্টিকে প্রসারিত করুন। সকল প্রজার দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করুন। নিজেরা কাল্ট বিল্ট করে উম্মাহর নেতৃত্বের দাবি হাস্যকর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওরিয়া মাকবুল জান পাকিস্তানের সাবেক আমলা। এখন ইসলামপন্থী বিশ্লেষক এবং গবেষক। তিনি এক সময় মার্কসবাদী ছিলেন। তিনি নিজেই বলেন তিনি এক সময় এগনস্টিক বা অজ্ঞেয়বাদী ছিলেন। তারপর মাওলানা মাওদুদি (রহ) এর কিতাব পড়ে ইমান আনেন। তিনি মাওলানা মাওদুদি, নঈম সিদ্দিকী, গোলাম আযমের চিন্তার সমঝদার পাঠক এবং গুণগ্রাহীদের একজন। তিনি বলেন,

 

আজকের দুনিয়ায় আজব এক ফ্যাশান বিতর্ক চালু হয়েছে, (একথা বলা যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর অল্প পরেই) খেলাফত ধ্বংস হয়ে মূলুকিয়াত চালু হয়েছিলো। বাদশাহী বাদ দিলে ইসলামের থাকে কি? ইবনে সিনা, খাওরিজমি, বাগদাদ, সিসিলি, কর্ডোভা কিছুই থাকেনা। আসল বিষয় হচ্ছে খেলাফতের একটা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিত্বমূলক খলিফা নিয়োগ বন্ধ হয়েছিল। বাকি খেলাফতের সকল প্রতিষ্ঠান মুসলমানদের মাঝে ১৩০০ বছর টিকেছিলো। কেউ সুদ নেওয়া শুরু করেনি। অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা টিকে ছিলো। শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলামি ছিলো। ওয়েলফেয়ার নেজাম একই ছিলো। বিচার ব্যাবস্থাও একই ছিলো। ফৌজদারি আইনের একটি ধারা পরিবর্তিত হয়নি। আপনার সকল প্রতিষ্ঠান টিকে ছিলো। তারপরও আপনি বলছেন, খেলাফত ছিলোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিবর্তনবাদ ভুল হতে পারে কিন্তু তা বৈজ্ঞানিক। সৃষ্টিতত্ত্ব ঠিক হতে পারে কিন্তু তা অবৈজ্ঞানিক। সৃষ্টিতত্ত্ব বিজ্ঞান হতে পারেনা। এটা মূলত ইহুদি এবং খ্রিস্টান বিজ্ঞানিদের প্রোমোট করা অপবিজ্ঞান। বিজ্ঞান ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় এমন কোনো কিছু বিজ্ঞানের আলোচ্য না। বিজ্ঞানের দর্শন পড়ে দেখেন।

 

সৃষ্টিতত্ত্বের মতো অপবিজ্ঞান চর্চা অর্থহীন। তার চেয়ে নিজে বুঝুন, অন্যকে বোঝান বিজ্ঞান অসীম ক্ষমতাবান কিছুনা। এটার সীমাবদ্ধতা আছে। মরিচ ভাল হলে তা দিয়ে মাছ রান্না হয় পায়েস না। বিজ্ঞান সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্যতা রাখেনা।

 

বিবর্তনবাদ বিজ্ঞানের নিয়মে তৈরি হওয়া তত্ত্ব বা থিওরি। আজ পর্যন্ত যাদের বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে পাবলিকলি বলতে দেখেছি তারা মূলত বলেছেন মতাদর্শগত কারণে, বিজ্ঞান চর্চার তাগিদে না।

 

এ-সংক্রান্ত উদ্ভট কথাবার্তার কারণ বিজ্ঞানকে কুরআনের মতো অপরিবর্তনীয় সত্য মনে করা।

 

অবশ্য একথার মানে এটা নয় যে এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা নাই। অসংখ্য তত্ত্বের মতো এর সীমাবদ্ধতা আছে। ভুল প্রমানিত হতেই পারে যেভাবে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিবর্তনবাদ নিয়ে ডেনিয়েল হাকিকাতজুর লেখাটা পড়লাম। মাওলানা আব্দুর রহিম থেকে হাকিকাতজু পর্যন্ত এবিষয়ে যত মানুষের বক্তব্য পড়লাম (যাদের সংখ্যা ২০ এর নিচেনা) তাদের মাঝে ইয়াসির কাদির বক্তব্যটা আমার কাছে সবচেয়ে স্মার্ট লেগেছে।

 

বাকিদের মাঝে মতাদর্শগত গোঁড়ামি অথবা পরাজিত মানুষিকতা প্রবল।

 

উল্লেখ্য হামজা জর্জিস, সুব্বুর আহমাদের অভিমতও একই। তবে এই অভিমত অবশ্য আমাকে আমার এক বন্ধু অন্তত ১০ বছর আগে বলেছিলো। সে জামাতি ঘরানা থেকে উঠে আসা জ্ঞানী মানুষ।

 

একটা বাস্তবতা আপনাকে মানতেই হবে। ইয়াসির কাদি, হামজা ইউসুফদের মতো মডারেট স্কলাররা আধুনিক অনেক বিষয়ে ট্রাডিশনাল স্কলারশিপের চাইতে অধিক যোগ্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি একটা জায়গায় ব্যাতিক্রম। বিষয়টি আমার ভালো লাগে।

 

কিছু মানুষ হাহা রিয়েক্ট নিয়ে খুব রেগে যায়। কোথায় যেন এক হাহা রিয়েক্ট নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি শুরু করেছিলো।

 

আমার কিন্তু হাহাহা রিয়েক্টে কখনো রাগ হয়নি। বরং মাঝে পোস্ট দিয়ে আশা করি এই পোস্টে সবাই হাহা দিবে। কিন্তু তাও কিছু মানুষ লাইক বা লাভ রিয়েক্ট দেয়।

 

হাহাহহাহা

 

মানুষ ফেসবুকের রিয়েক্টশন নিয়ে এতো উত্তেজিত হয় কেন? সম্ভবত এদের বিয়ে হয়নি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আকাবিরদের জীবন থেকে আমরা শিখতে না পারলে তাদের শ্রদ্ধা করা অর্থহীন। আর শেখার জন্য দরকার পর্যালোচনা। আমি মনে আমাদের আধুনিক ইসলামি রাজনীতিকে সফল করতে প্রশ্নগুলোর উত্তর দরকার।

 

১) শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ (রহ) এর দাওয়াতে আহমদ শাহ আবদালি (রহ) মারাঠাদের পরাজিত করার পরেও কেন ভারতে ইসলামের ইনসাফকে প্রতিষ্ঠা করা গেলোনা?

 

২) শহীদ টিপু সুলতান (রহ) এর পরাজয় এবং ব্যার্থতার কারণ কি? গাদ্দারি বলবেননা। কারণ এটা থাকবেই। কেন ইংরেজদের মাঝে গাদ্দার তৈরি হলোনা?

 

৩) সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর আন্দোলনের ব্যার্থতার কারণ কি? তারা আর কি করতে পারতেন বা কি করা উচিৎ হয়নি?

 

৪) তিতুমীর (রহ) এর ব্যার্থতার কারণ কি?

 

৫) ১৮৫৭ এর জঙ্গে আজাদি কেন ব্যার্থ হলো?

 

৬) রেশমি রুমাল আন্দোলনে আসলে শাইখুল হিন্দ বা তাহরিকের অন্যান নেতৃবৃন্দ কি ভুল করেছিলেন?

 

৭) রেশমি রুমাল আন্দোলনের পরে কেন তাহরিকে আজাদি হিন্দুস্তানের নেতৃত্ব পুরোপুরি হিন্দুদের হাতে গেল? আমাদের আকাবিররা কেন এই মুহূর্তে ব্যার্থ হলেন? তাদের কি করা উচিৎ ছিলো?

 

কারও প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে শেয়ার করতে অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানহাযি ভাইদের উদ্দেশ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা।

 

আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকার কোন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া না। আপনাকে অবশ্যই ফলাফল ওরিয়েন্টেড হতে হবে। শত্রু মিত্র চিনতে হবে।

 

চরমোনাই পির এবং তাদের সকল পুরাতন নেতাকর্মীরা তালেবান এমনকি আরব শাহযাদাকেও অন্তর থেকে ভালোবাসে। আপনি তাদের বাঁশ মুজাহিদ বলতে পারেন। তাদের জিহাদের পরিভাষার তাহরিফ নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু তারা আবেগগতভাবে আপনাদের নেতৃত্বকে ভালোবাসে। হাবিবুর রহমান মিসবাহর মতো মানুষও এমন বিপদজনক সময়েও তাদের প্রোমোট করেন। নাইন ইলেভেনের পরের দুনিয়া বা বাংলাদেশে সতেরই আগস্টের পরে এটা অনেক বড় কিছু।

 

নিজের ভালো পাগলে বোঝে। শত্রু মিত্র চিনুন। মিত্রকে সংশোধন করতে হয় ভালোবেসে। ঝগড়া করেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানহাযিদের চরমোনাই পিরের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখা উচিৎ।

 

সাইদ আহমেদ পালনপুরি (হাফি) এর বিপুল পরিমান ফতোয়া চরমোনাই গ্রুপের বিরুদ্ধে যায়। ফতোয়াগুলোর ভাষাও শক্ত। অন্য কেউ যদি তার তুলনায় অর্ধেক মাসলায়া এমন কড়া ভাষায় ফতোয়া দিতো তাহলে তারা তার উপর যে-ধরনের গ্যাং এটাক, মব লিঞ্চিং করতো, কুৎসা রটাতো তা অকল্পনীয়। কিন্তু তারা উস্তাদ সাইদ আহমেদ পালনপুরি নিয়ে আজ পর্যন্ত একটা বাজে শব্দ পুরো দলের কেউ বলেনি।

 

এই সহনশীলতা তাদের জন্য দারুণ উপকারী হয়েছে। এখানে মানহাযি অনেকেই এই সহনশীলতা ধরে রাখতে পারতোনা। আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকারের ব্যানারে তাদের ইগো ঘোষণা দিতো আমাদের ইট মারলে পাটকেল খাবে।

 

হক আমরা বলবোই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ৪৭ কে ঘৃনা করি।

 

হাহাহাহাহা

 

আপনি করেননা? আপনি স্বাধীন হয়েছেন?

 

হাহাহাহাহা

 

আমি রাণীর রাজত্বে ফেরত যেতে চাই। সম্ভব না হলে আমাকে ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার সিটিজেনশিপ দিলেও চলবে।

 

আপনি না গেলে থাকেন আর ডেঙ্গুর গুজব শোনেন। একদিন দেশকে ভালোবেসে ডেঙ্গুতে জীবন দিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি প্রায়ই বলি ৪৭ এদেশের ইতিহাসে এক জঘন্য সাল। রানীর শাসন নিঃসন্দেহে বিরল ব্যাতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ শাসকের শাসনের চেয়ে উত্তম ছিলো।

 

যাইহোক সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য। ৪৭ এর আগে কোনো দেশের কোন ঋন ছিলোনা। কাশ্মীরে রক্তপাত ছিলোনা। বিনা ভিসায় কলকাতা, মুম্বাই, থেকে সোয়াত পর্যন্ত বেড়ানো যেতো। দেশে সাধারণভাবে আইনের শাসন ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনারা যে রাজনীতি করেন তাকে দল করা না বলে কোন্দল করা বললে খুব ভুল বলা হবে? রাগ হচ্ছে?

 

হাহাহহা

 

খোকাবাবু বিছানায় এখনো প্রস্রাব করে বলায় ইজ্জতে লেগেছে।

 

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিৎ। তা না হলে মোল্লারা বিজেপির মতো ক্ষমতা দখল করে ফেলতে পারে আসন্ন ৪০৩১ সালের ভেতরেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওরিয়া মকবুল জানের মতে ডিপ স্টেট লেভেলে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাকিস্তান, ভারতের ডিপ স্টেট এবং আন্তর্জাতিক স্টাবলিশমেন্ট এব্যাপারে আগ্রহী। তার অনুমান ২০২০ এর নভেম্বর নাগাদ কিছু একটা হবে।

 

তার মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ শেষ হলে জিহাদের উপমহাদেশিয় কেন্দ্র হবে কাশ্মির। কাশ্মিরিরা আর আজাদ কাশ্মির চায়না। আজাদ হিন্দুস্থান চায়। বুরহান ওয়ানি, জাকির মুসাদের স্লোগান এবং জনপ্রিয়তা তার প্রমান। তিনি মনে করেন হুরিয়াতের প্রভাব দুর্বল হয়ে আসছে। বিজেপির নীতির কারণে ইনসারজেন্সি সারা ভারতেও ছড়াতে পারে। এসকল ঘটনা প্রবাহে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ থাকবেনা। তাই এই আসন্ন জিহাদ ঠেকাতে একটা সেটেলমেন্টের চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে হবে।

 

তার ধারণা ৩৭০ বাতিল করার পেছনে আন্তর্জাতিক ইঙ্গিত আছে। আন্তর্জাতিক স্টাবলিশমেন্ট চায় সিচুয়েশন গরম হোক এবং নিউক্লিয়ার ওয়ারের গুঞ্জন উঠুক। তাহলে হস্ত্রক্ষেপের সুযোগ তৈরি হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা মজার কথা বলি। প্রচারেই প্রসার। নেগেটিভ মার্কেটিংও একটা মার্কেটিং। ধরেন আমেরিকা এবং ওয়েস্টার্ন মিডিয়া লাদেনের যে প্রচার প্রচারণা করে দিয়েছে তা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে সে করতে পারতোনা।

 

এখন লোকেরা যদি চরমোনাই পিরকে গালাগালি না করে মাইজভান্ডারি বা দেওয়ানবাগী নিয়ে গালাগালি করতো তাহলে তাদের প্রচারণা হতো। কিন্তু এখন চরমোনাইয়ের আলোচনা সমালোচনা প্রচারণা হচ্ছে।

 

আবার তাদের সমালোচনা করে কামরুল ইসলাম ইবনে ওলিপুরি রাতারাতি তারকা।

 

দিনশেষে লাভ দেওবন্দিদেরই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১) ইজতেমাই যিকর কেউ সুন্নাহ মনে করলে তা বিদয়াত, মুবাহ মনে করলে বিদয়াত না।

 

যদিও সরাসরি সম্পর্কিত না। তবে সাহাবারা জিহাদের ময়দানে সমন্বিত তাকবির দিতেন।

 

২) মাযযুব হাল আধ্যাত্মিকতার কোনো আলা মাকাম না। সাহাবাদের মাযযুব হাল হতো না কারণ তারা আলা মাকামে পৌঁছে গিয়েছিলেন। মাযযুব হাল অর্জন করানো শরিয়াতের লক্ষ্যও না। তবে এটা অনিচ্ছাকৃত হলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিন তালাক নিয়ে কিছু কথা - ৪

 

সেক্যুলার ও ইসলামোফোবিক লোকেরা প্রায়ই আবেগি কথাবার্তাকে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ বলে চালাতে চায়। তিন তালাকের পর তথাকথিত হালালা নিয়ে তাদের প্রসিদ্ধ রেটরিক,

 

"স্বামীর রাগ হয়েছে, তিন তালাক সে দিয়েছে তাই শাস্তি পেতে হলে তাকেই পেতে হবে। হালালা তাকে করতে হবে। স্ত্রী কেন হালালার শাস্তি পাবে"?

 

১) হালালাকে তারা যেভাবে দেখায় সেটা ইসলামে বৈধ না। সামাজিক কুপ্রথা। বৈধ হালালা অর্থাৎ স্বাভাবিক নিয়মে বিয়ে তালাক হবে তারপর চাইলে বিয়ে করা যাবে বিষয়টিও ইসলামে অপছন্দনীয় এবং অভিশপ্ত একটা কাজ। সোজাকথা এমন স্বামীর কাছে ইসলাম একটা মেয়ে মোটেই পাঠাতে আগ্রহী না যে তাকে চূড়ান্ত অপমান করেছে।

 

২) নারীবাদী সেক্যুলার দৃষ্টিতে বিয়ে, তালাক, পরিবার সবই অর্থহীন। তাদের সাথে এবিষয়ে আলাপ অর্থহীন। তাদের উদ্দেশ্য ছুঁতো খুঁজে ইসলামের বদনাম করা। এধরণের মানুষের সাথে আলাপের ভিত্তি আগে ঠিক করা উচিৎ।

 

৩) অন্য একজন পুরুষের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে মেয়েটা। পুরুষের এমন শর্ত হলেতো সে বড় আনন্দে হালালা করতো। হাহাহা। আজব এক রেটরিক, পুরুষকে হালালা করে শাস্তি দিবে।

 

৪) নতুন বিয়ে করে মোহরানা নতুনভাবে দেওয়া পুরুষের শাস্তি। নিজের স্ত্রীকে অন্যের খাটে পাঠানো কত বড় শাস্তি এই রাম ছাগলগুলো তা মোটেই বোঝেনা। এরা আজগুবি হাস্যকর কথা বিভিন্ন সংস্কৃতির অপচর্চা থেকে চেরি পিকিং করে জোড়াতালি দিয়ে একটা বয়ান দাঁড় করিয়ে নিজেদের অগ্রসর মানুষ দাবি করে।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাওহীদের পোশাক পড়া শিরক প্রবণ মুসলমানদের সাথে কেমন আচরণ করতে হয় তা মুসা (আ) আমাদের শিখিয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হবে তা রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের শিখিয়েছেন।

 

এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাম আর কাশ্মিরের ছবি দিয়ে ইমোশনাল কথা বলে মা, বোন, বউ, কন্যা নিয়ে ভয় ভীতি দেখানো, ইমোশনাল ব্ল্যাক মেইলিং হচ্ছে ভুল আর্গুমেন্ট। আমার বিদ্রোহের কারণে আমার মা, বউ বাঁচবেনা। অন্যের কি হবে মানে ৩০ বছর ৫০ বছর পরে কোনো ইমপ্যাক্ট হলেও হতে পারে।

 

আজগুবি রোমান্টিক কথাবার্তায় প্রভাবিত হওয়ার বয়স কখনো হয়নি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইবনে ওলিপুরির বয়ানের ক্ষেত্রে জিকির জোড়ে আস্তে নিয়ে কথা পছন্দ হয়নি। তবে ভেদে মারেফাত নিয়ে তার বক্তব্য অসত্য না। হ্যাঁ এই মুহুর্তে তা নিয়ে আলোচনার দরকার ছিলো কিনা তা ভিন্ন আলোচনা।

 

তবে বইটি পরিত্যাগ করে চরমোনাইপন্থীদের এই অযাচিত বিতর্ক সমাপ্ত করা উচিৎ। তাদের শক্তি যত বাড়বে বইটা তত বিব্রতকর হয়ে উঠবে।

 

বিশ্বাস করেন বা না করেন এমনকি আওয়ামী লীগ পর্যন্ত এই বই নিয়ে আগামীতে জল ঘোলা করতে চেষ্টা করবে যদি তারা চরমোনাইপন্থীদের চ্যালেঞ্জ মনে করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ নিয়ে অনেক অতি মুত্তাকি ভাইয়েরা ওয়াজ নসিহত করেন যারা সাধারণত জীবনে ভুল করেও কোনো গড়িব মানুষকে একটা লুঙ্গি কিনে দেননি।

 

যাইহোক প্রথমত মানুষ লোক লজ্জার ভয়ে হলেও মিসকিনের অংশ খয়রাত করেন।

 

তারপর নিজের জন্য যে মাংস মানুষ ফ্রিজে রাখে তার একটা অংশ বাসার কাজের লোক এবং অতিথিরা পায়। মূল্যস্ফীতির বাজারে অনেকের জন্য অতিথি একটা বোঝা হয়ে গিয়েছে। সেখানে অতিথি সংস্কৃতি রক্ষায় এর একটা অবদান আছে বইকি। এমনিতেই হয়তো অচিরেই দাদাদের, খেয়ে এসেছেন না যেয়ে খাবেন টাইপ একটা ব্যাপার ঘটা শুরু হবে। তাতে এই মাংস অন্তত চৌত্র মাসে এক পশলা বৃষ্টি।

 

শুধু গড়িব মানুষ না মধ্যবিত্তরাও মাংসের স্বাদ ভুলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কিন্তু অন্যখাতে অপব্যায় কিন্তু কমছেনা। বিড়ি সিগারেটের খরচও না। এই মাংস খাতে খরচ জীবনে কিছু হলেও ভারসাম্য আনছে।

নিছক সমাজতাত্ত্বিক দিক থেকেও ধর্মের প্রধান একটা অবদান আমাদের ব্যাক্তি ও সমাজ জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ধর্ষণ ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের নতুন করে চিন্তা করা দরকার।

 

একটা মেয়ে ধর্ষিত হলে সে মজলুম। এমনকি কেউ বেপর্দা হয়ে ঘোরা হারাম হলেও ধর্ষণ তার প্রাপ্য না। এটা বেপর্দা হওয়ার শরিয়তি শাস্তি না।

 

সমস্যা হচ্ছে ধর্ষিত হওয়া লজ্জার এবং অনেক বড় দায়। কিন্তু এটা একটা দুর্ঘটনার মতো বিবেচিত হওয়া উচিৎ। অন্তত শারীরিক অন্যান্য অঙ্গে ডাকাত কর্তৃক আঘাতের অতিরিক্ত না। শরীরের ক্ষত সারার সাথে সাথে মনের দাগ মুছে যাওয়া দরকার। কিন্তু তা হয়না।

 

একটা মেয়ে ধর্ষিত হলে সে দুইটি বিপদে থাকেঃ

 

১) তার নিজস্ব মানসিক ট্রমা। নিজেকে অপবিত্র বোধ করা। পাশাপাশি পুরুষ বিদ্বেষ এবং সকল পুরুষকে খারাপ ভাবার প্রবণতাও তৈরি হয় অনেকের মাঝে।

 

২) সামাজিক প্রতিবন্ধকতা

 

কিন্তু একটা মেয়ের যদি সড়ক দুর্ঘটনায় কোন ক্ষতি হয় তবে কিন্তু এই সমস্যা হয়না।

 

ধর্ষণের মনস্তত্ত্বকে নিয়ে আরও ভাবা দরকার কারণ রাজনৈতিক বিরোধ এবং যুদ্ধে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে জনপ্রিয়। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক সংস্কারের মাধ্যমে ধর্ষণের মানসিক এবং সামাজিক ট্যাবু কাটাতে পারলে হয়তো অস্ত্র হিসাবে এটাকে ভোঁতা বানানো যাবে। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোন সেনাবাহিনী এমন অস্ত্র ব্যবহারে তার সদস্যদের উৎসাহিত করবেনা।

 

কাশ্মীরবিরোধ, ৪৬ সালের দাঙ্গার স্মৃতি এবং উপমহাদেশে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তাপের আবহে এগুলো নিয়ে সামাজিক সংস্কারে এখনই আলাপ শুরু হওয়া উচিৎ। ইসলামের দিক নির্দেশনাও খোঁজা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একপাল গান্ডুদের মাধ্যমে জানলাম এদেশে সবচেয়ে বড় তাগুত মনসুর হাল্লাযের দালালেরা। ইসলাম এবং মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু তথা সাপের মাথা আমেরিকা না, ব্রিটেন না, ভারতও না। ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু চরমোনাই পির। তাদের খন্ডন এবং দমন করা গেলে ইসলাম তরতর করে এগিয়ে যাবে। আমিরুল মুমিনিন মোল্লা হাইবাতুল্লাহর তামকিন অখণ্ড ভারত মাতার উপর প্রতিষ্ঠিত হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা সত্য কথা বলি। মাথায় রাখেন। বই পুস্তকে পাবেননা। কারণ বই পুস্তক এতো তেতো সত্য বলতে পারেনা।

 

পৃথিবীর কোনো ধর্ম বা মতাদর্শ দালিলিক বিশুদ্ধতার এবং শ্রেষ্ঠত্বের কারনে জনপ্রিয় হয়নি। এমনকি ইসলামও না। ধর্ম বা মতাদর্শগুলো জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান প্রধান উপায় ছিলো

 

১) রাজনৈতিক ও সামরিক

২) অর্থনৈতিক (একে আপনি ইসলামের বাস্তবতায় মুয়াল্লাফাতুল কুলুব, যাকাত, জিজিয়া দিয়ে বুঝতে পারবেন)

৩) চতুল গালগল্প যেমন জাল হাদিস, বানোয়াট কারামত বর্ননা, উদ্ভট কিসসা কাহিনী (ধরেন তাজকেরাতুল আউলিয়া, ভেদে মারেফাত টাইপ, ইসলামের বৈজ্ঞানিক প্রমান টাইপ), ফ্যালাসিপূর্ন যুক্তি।

৪) আখলাক

 

সাধারণ মানুষ এসব কারণেই যেকোনো মতাদর্শ গ্রহন করে। তাবলিগ একারণেই জনপ্রিয়। পিরেরাও একারণেই জনপ্রিয়। এমনকি আহলে হাদিসদের জনপ্রিয় দাঈরা উদ্ভট ভুলভাল আলাপ বেশি করেন। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়া জামাতের দাওয়াত কখনো এতো প্রসারিত হতোনা।

 

ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা হচ্ছে সে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ইন্টেলেকচুয়াল ডোমেইনে প্রমান করেছে।

 

যাইহোক আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি তা হচ্ছে পৃথিবীর যেকোনো মতাদর্শ নিয়ে আলাপের ক্ষেত্রে আলাপের উদ্দেশ্য বোঝা জরুরি। অর্থাৎ প্রোপাগান্ডা এবং একাডেমিয়ার ভাষা আলাদা।

 

ইসলামের উদাহরণ দিলাম কারণ হুযুরদের পবিত্রতাবোধ চুলকানো। তা না হলে হিন্দুত্ববাদ, খ্রিস্টবাদ, কমিউনিজম, আওয়ামী লীগ, বিএনপি সবাইকে নিয়েই বলা যেতো।

 

সংযুক্তিঃ

 

আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে প্রোপাগান্ডা লিটারেচারকে একাডেমিক স্কেলে মাপা যাবেনা। মাপলে খুতখুত করতেই থাকবেন। দাঈদের গোমরাহ মনে হবে। আবার বিশুদ্ধ ও একাডেমিকভাবে প্রক্রিয়ায় দাওয়াত দিলে রিক্রুট কম হবে। সাধারণত অধিকাংশ মানুষ বুঝবেইনা। কারণ মানুষ অধিকাংশ গভীর বৌদ্ধিক যোগ্যতা রাখেনা।

 

তাই যারা দাঈ হবে তাদের মূল টার্গেট হবে দাওয়াতের লক্ষ্যের সাথে তার অবস্থা অনুযায়ী কথা বলা। প্রয়োজনে তাবলিগের বা সুফিদের মতো বানোয়াট কিসসা-কাহিনি বলা, বা লোভ দেখানো বা সামর্থ্য থাকলে বস্তুগত বা আধ্যাত্মিক ভয় দেখানো। যেমন ধরেন ভুতের ভয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেলোয়ার সাকি ভাই, বিএনপির নেতাকর্মীদের দাওয়াত দিয়েছেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দিতে। ভাল উদ্যোগ। আমার পরামর্শ

 

১) প্রত্যেক এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা করুন।

 

২) তাদের প্রত্যেকের সাথে ওয়ান টু ওয়ান এবং গ্রুপ টু ওয়ান যোগাযোগ করে দাওয়াত দিন।

 

৩) তাদের অনেকেই মামলা, জেল, জুলুমে বিধ্বস্ত। তাদের কিভাবে জাগতিকভাবে সাহায্য করা যায় তার প্রতিশ্রুতি দিন। তবে সেটা অবশ্যই চতুরতার সাথে। অর্থাৎ দৃষ্টিকটু হবেনা আবার ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সাথে কোনো কার্যকর সহযোগিতার শর্তে। এমনকি তা বার্ষিক মাহফিলে যাওয়ার শর্তেও হতে পারে। কারণ সকলকে সাহায্য করার মতো আর্থিক সক্ষমতা ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নাই।

 

৪) তারা দলে আসলে দ্রুত তাদের কোনো না কোনো দায়িত্ব দিন যোগ্যতা অনুযায়ী।

 

৫) দলের রাজনৈতিক সক্ষমতা বাড়ানোর আগে সামাজিক সম্পর্ক ও শক্তি বৃদ্ধি করেন। নয়তো বিপদে পড়বেন।

 

৬) অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ান। তবে সেটা সরাসরি সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান না বরং ব্যাক্তি মালিকানার প্রতিষ্ঠান। তাও আয়ভিত্তিক হওয়ার চেয়ে মুসলমানদের শক্তি সামর্থ্য কেন্দ্রীক। যেমন প্রচুর ইসলামি স্কুল করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কেন আমি নিজেকে আকাবির মনে করি?

 

রিচুয়াল নিয়ে অন্যদের আকাবির ভাবতে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু আকাবির মানা নিয়ে সমস্যা হয় মূলত রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে। আপনি যদি গত ৭০ বছর ধরে উলামাদের রাজনীতি দেখেন তাহলে দেখবেন মুখে যে যাই বলুক আকাবিররা কেউ নিজেকে ছাড়া অন্যকে মানতো না। তবে কর্মীরা অন্ধভাবে অনুসরণ করতো এবং করে। আপনি তাদের বিরোধিতা করলে যেহেতু আপনি মানুষ, আপনার ভুল আছে তাই সেই ভুলকে যতটা কঠোরভাবে বর্ননা করা যায় তা করা হবে। কিন্তু এমন ভুল ভালো করে খুঁজে দেখেন। কথিত আকাবিরদেরও অনেক মারাত্মক ভুল পাওয়া যাবে। যেহেতু তারা সিন্ডিকেট মেনে চলেন তাই কেউ যদি সিন্ডিকেটের উলামাদের বিরুদ্ধে বললে উলামাদের মর্যাদা বিষয়ক মাসলা মাসায়েল বের হবে কিন্তু আমল আখলাকে উত্তম হওয়া সত্ত্বেও মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর ক্ষেত্রে এসব কথা কেউ মনে রাখবেনা। মূলকথা হচ্ছে সিন্ডিকেটের বাইরে যাওয়া যাবেনা।

 

এখন আমি চিন্তা করে দেখলাম এসব সিন্ডিকেট মুখে যাই বলুক তাদের রাজনীতি কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর বাইরেনা। তাই আমি চিন্তা করেছি অযথা উলামাদের কমিশন না দিয়ে আমি আওয়ামী লীগের ডাইরেক্ট দালালি করবো। দরকার হলে দালালি সনদ ছোট করতে আরএসএস বা জায়ানিস্ট মুভমেন্টের দালালি করবো। তাহলে ধরেন আপনি মাদখালি হলেও মাহদির সমপর্যায়ে পাবেন আমাকে। মাহদির পির ভাই বা এজেন্ট ভাই। এতে করে রেওয়ায়েত ছোট হওয়ায় আমি আকাবিরদের চেয়ে বড় আকাবির হয়ে যাচ্ছি।

 

নামাজে হাত বাঁধা নিয়ে আমি চিন্তিত না। ইচ্ছা হলে ঘাড়ে হাত বেঁধে নামাজ পড়েন। ওসব বিষয়ে হুজুররা আকাবির হোক। আমার আগ্রহ নাই। এক্ষেত্রে আমি আকাবিরের পোস্ট ছেড়ে দেওয়ায় উদার হচ্ছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওরিয়েন্টালিস্ট প্রোপাগাণ্ডার ফলে প্রতারিত এক মুনকিরে হাদিস সাম্প্রতিককালে হাদিস এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন শুবুহাত ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আল্লাহ তাকে হিদায়াত দিক অথবা ধ্বংস করুক। আপনি বক্তব্যগুলো শুনুন। ইনশাআল্লাহ অধিকাংশ সন্দেহ কেটে যাবে।

 

উস্তাদ আদনান রশিদ

Part:1

Video thumb

 

Part:2

Video thumb

 

Part:3

Video thumb

 

Part:4

Video thumb

 

মাওলানা মানজুর মেঙ্গল

Video thumb

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি জাকির নায়েক (হাফি) কে চিনি তিনি যখন বিদাতি কিউটিভিতে স্পিচ দিতেন। তখনও পিস টিভি প্রতিষ্ঠাই হয়নি। তখন পড়াশোনা অনেক কম ছিলো। তাই অনেক বেশি জ্ঞানি মনে হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাকে আমার আর ততটা জ্ঞানী মনে হয়নি। ইসলাম এবং সেক্যুলার ডিসিপ্লিন দুই দিকেই কিছু ভুল বক্তব্য তিনি মাঝে মধ্যে দিয়েছেন। তার বক্তব্যগুলো মূলত আইআরএফের রিসার্চ আউটকাম মুখস্ত বলা। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে রেফারেন্স মুখস্ত বলায় অবাক লাগেনি। কিন্তু যেকারণে তাকে সব সময় অসম্ভব ভালোবেসেছি তা হচ্ছে ইসলামের মূলধারায় চলা, মাসলাকবাজ মোল্লাদের মূলধারায় না। তার টপিক সিলেকশন ছিলো মূলত ইসলাম এবং কুফরের দন্দ্ব নিয়ে। মাযহাব এবং ফিকাহ নিয়ে তার বক্তব্য তার মোট বক্তব্যের ৫% এর অনেক নিচে। তিনি নিজে আহলে হাদিস ঘরানার কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা তাকে কখনো আচ্ছন্ন করেনি। তিনি হানাফি তালেবানকে যেভাবে ডিফেন্ড করেন এভাবে অনেক দেওবন্দিরাও প্রকাশ্যে করেনা। মাযহাব নিয়ে তার যে অসতর্ক বক্তব্য বিতর্ক তৈরি কতে তাও তিনি বলেছেন সরলতাবশত, মাসলাকবাজি থেকে না।এজন্য দ্রুতই উলামায়ে কেরাম তাকে ফিকাহর বিষয়ে সতর্ক হতে বললে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং এবিষয়ে নিজেকে সংশোধনের ওয়াদা করেন।

 

জাকির নায়েক একজন সহজ সরল, বিনয়ী, নিরহংকার দাঈ। তার ১০০০ ভুল ধরা যাবে কিন্তু ইসলামের জন্য তার কমিটমেন্ট মাসলাকবাজ কাঠমোল্লারা কখনো মূল্যায়ন করতে পারবেনা।

 

সংযুক্তি দ্রষ্টব্যঃ কমেন্টে তর্কের খাতিরে যা বলেছি তা আক্ষরিক অর্থে নেওয়ার দরকার নাই। বিভ্রান্তি এড়াতে কমেন্ট সেকশন এভোয়েড করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খোমেনি এহসানরা ইসলামপন্থী না, সুফিপন্থীতো অবশ্যই না। তারা চীনপন্থী। চীনের স্বার্থে যেমন ইসলাম দরকার তেমন ইসলামপন্থী। এজন্য জাকির নায়েকে তার চুলকানি।

 

তারা আল্লাহর স্বার্বভৌমত্ব না চীনের গোলামি চায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাঙালি ফেবু মানহাযিদের একটা সাধারণ প্রবনতা আমার খুব জঘন্য লাগে। তারা অনেকেই মডারেটদের বিরোধিতায় অন্য এক ধরনের বাড়াবাড়ি এবং বিকৃতি প্রোমোট করেন। তারা এই কুকর্ম সরাসরি বলবেননা কিন্তু তাদের কথাগুলো আপনাকে সব সময় এধরনের সাবলিমিনাল ম্যাসেজ দিবে।

 

তারা ফিকাহয় হিকমাহ, মাসলাহা, মাকাসিদুশ শারিয়াহ, উরুফ বিষয়গুলোকে কার্যত অস্বীকার করেন। এগুলোকে ঢালাওভাবে মডারেশন এবং কাপুরুষতা টাইপ একটা ইম্প্রেশন দেন। নাক সিটকান। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাদের লেখালেখির প্রভাব প্রতিক্রিয়ার সাথে এই বিষয়গুলোর সম্পর্ক নেই বললেই চলে।

 

বাস্তবতা হচ্ছে মডারেটরা এই বিষয়গুলোর অপব্যাবহার করলেও সুনিশ্চিতভাবে এই বিষয়গুলো আমাদের দীনের অংশ। মাথা ব্যাথা হলে যারা আমাদের মাথা কাটতে চায় তাদের বন্ধু বলা মুশকিল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৪৭ ভারতের স্বাধীনতার বছর না, স্বাধীনতার দাবিকে প্রতারিত করার বছর।

 

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজনীতির সবচেয়ে জঘন্য ব্যার্থতা হচ্ছে তারা ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে নয়া উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে তার এক শতাংশ করতে পারেনি।

 

উপরন্তু তারা স্বাধীনতার প্রতারণাপূর্ণ দাবি মেনে সেই স্বাধীনতার গৌড়বের অংশ দাবি করেছে। তারা ব্রিটিশ গোলাম কংগ্রেসের সাথে মৈত্রী করে সংগ্রামের দায় এড়িয়ে বিজয়ের হালুয়ার ভাগ চেয়েছে। এই সুযোগে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের তাবেদার বিজেপির উত্থান হয়েছে।

 

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ নয়া উপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে পারলে জমিয়তের নেতৃত্বে ভারতীয় জনতার সিংহভাগ মজলুম হিন্দু ও মুসলমানদের যে ঐক্য গড়ে উঠতো তারা ব্রাহ্মণ্যবাদি আরএসএস এবং নয়া ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারতো। অথর্ব কংগ্রেসের উপর নির্ভর করতে হতোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভারত কি এই দিনে আসলেই স্বাধীন হয়েছিলো? মাউন্ট ব্যাটেন কি ক্ষমতা ছেড়েছিলো? ব্রিটিশ আইন, প্রশাসন কি বদলাতে পেরেছে? অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক নিপীড়ন থেকে কি ভারতবাসি মুক্তি পেয়েছেন? চূড়ান্ত শোষণ, নিপীড়ন থেকে ভারতবাসি কি মুক্তি পেয়েছে? পশ্চিমা নয়া উপনিবেশিক আগ্রাসন, পশ্চিমা সংস্কৃতি থেকে ভারতবাসি আজাদ হয়েছে?

 

কেন অসূর্যস্পশ্যা ভারতবাসির কন্যা পাওলি দামরা পশ্চিমা ধাঁচে ফিল্মে নগ্ন হয়ে পোজ দেয়। কেন বলিউড, টালিউডসহ সকল ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউডের অনুকরণ অনুসরণ করে?

 

ঔপনিবেশিক ভারতের সামাজিক বিভাজন কি দূর হয়েছে?

 

ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়, লাখো ইনসান ভুখা

 

বিলাদুল হিন্দের আজাদি চাই

 

হিন্দুস্থানের প্রত্যেক আবাদির স্বাধীনতার সংগ্রাম একজন মুসলমান হিসাবে আমাদের ইমানি দায়িত্ব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রিয়াসতে মদিনার আমিরুল মুমিনিন হযরত ইমরান খান (লুচ্চা) ওরফে লুচ্চা ইমরান জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেনা কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উস্তাদ মাওদুদি রহ এর জাতীয়তাবাদ বিষয়ক অনন্য একটা কিতাব আছে। বইটি তিনি হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এর কিছু বক্তব্যের জবাবে লিখেন। বইটিতে তিনি জাতীয়তাবাদকে অত্যন্ত স্বার্থকভাবে খন্ডন করেন। তারপর বলেন হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) জাতীয়তাবাদের একটা বৈধ রুপ ব্যাখ্যা করে হারাম জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করছেন। কারণ তিনি ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের যে হালাল অবস্থা দেখাচ্ছেন তা কংগ্রেসের চর্চিত জাতীয়তাবাদ না। মজার ব্যাপার হচ্ছে একই যুক্তি জামাতের গনতন্ত্র চর্চার ব্যাপারেও দেখানো যায়। তারা গনতন্ত্রের একটা বৈধ সংগা দিয়ে অবৈধটা চর্চা করে। দিনশেষে সেক্যুলার রাষ্ট্রের গণতন্ত্র জামাতের ডগমেটিক ইসলামি গনতন্ত্র থেকে ভিন্ন। কিন্তু তারা যখন গনতন্ত্র বৈধ প্রমান করতে চায় তখন তাদের কথিত ইসলামি গণতন্ত্র এর দলিলাদি দেখায় কিন্তু চর্চা করে পাশ্চাত্য গণতন্ত্র।

 

যাইহোক বইটিকে অনেকেই পাকিস্তান আন্দোলনে মাওলানা মাওদুদি রহ এর অবদান হিসাবে প্রচার প্রোপাগান্ডা চালায়। কিন্তু তিনি এই বইয়ে যে মুসলিম এক জাতি তত্ত্ব তুলে ধরেন সেটার অর্থ দ্বারায় সারা দুনিয়ার মুসলমান এক জাতি। কিন্তু সেক্যুলার মুসলিম লীগের মুসলিম জাতী ছিলো ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে লুটপাট এবং চাকরি ব্যবসা হাতানো তালুকদারি লাভের স্বপ। যারা উস্তাদ (রহ) সম্পর্কে জানেন তারা জানেন তিনি কংগ্রেসের হিন্দু ভারত এবং মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানের ধারণার পরিবর্তে একটি ইসলামি খেলাফতের ভিত্তিভূমি গড়ার জন্য আদর্শিক দাওয়াত দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি জোড়াতালি দেওয়া সমাধানের পরিবর্তে দীর্ঘ আদর্শিক সংগ্রামের মাধ্যমে একটা পূর্নাঙ্গ সমাধানের স্বপ্ন দেখেন যদিও তার সেই অনন্য সুন্দর প্রস্তাবের উপর তিনি টিকে থাকতে পারেননি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার সাথে বিতর্ককারিদের অনেকেই আমার সাথে এলোমেলো তর্ক করেন। অনেকে স্টেরিওটাইপিং করেন। এটার কারণে তারা আমার সাথে ভুলভাল তর্ক করেন। কিন্তু আমি একজন স্বাধীন চিন্তক। কারও মুকাল্লিদ না।

 

লোকেদের সবচেয়ে বড় কনফিউশান আমি বাস্তব এবং কল্পনা বা আদর্শিক জগৎ আলাদা করি। আমার বাস্তব জীবনকে বাস্তবভাবে মোকাবেলা করতে চাই। কিন্তু আদর্শিক বিশুদ্ধতাকে প্রত্যেক মুসলমানের অন্তরে গেঁথে দিতে চাই।

 

নবীদের যুগে উম্মাতের উপর দারুল হারবে শরিয়াত থাকতো না। তারা মদ খেতে, জেনা করতে পারতো। নবিরা স্বাধীন হওয়ার পরে শরিয়াত দেওয়া হতো। কিন্তু এখন শরিয়াত পূর্ণাঙ্গ। আমাদের পক্ষে এটা বলার সুযোগ নাই যে খেলাফত প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা শরিয়াত স্থগিত রাখবো বা শরিয়াতকে কাস্টমাইজ করার। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় এটা কখনো সম্ভব না যে উম্মাহর জমহুর শরিয়া অনুযায়ী জীবন যাপন করবে। তাহলে করনীয় কি? করনীয় হচ্ছে, লোকে সুদ খাবে, ঘুষ দিবে, জেনা করবে এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া। কিন্তু এটুকু নিশ্চিত করা যে উম্মাহর প্রত্যেক সদস্য কাজগুলোকে হারাম মনে করবে।

 

প্রশ্ন হতে পারে এই আমলশূন্য মুরজিয়া মার্কা আকিদা দিয়ে কি হবে? উত্তর হচ্ছে, নিঃসন্দেহে বাইবেলে জেরুজালেমের উপর ইহুদিদের কর্তৃত্বের কথা স্বীকৃত। কিন্তু অন্তত আড়াই হাজার বছর জেরুজালেমে ইহুদিদের ছিলোনা। আজ তারা জেরুজালেম দখল করেছে। রামায়ণের মতো কয়েক হাজার বছরের পুরাতন সাহিত্য একটা হাজার বছরের পতিত জাতীকে রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখায়। আমার কোন তাড়াহুড়া নাই যে আগামী ৫০/১০০/৫০০ বছরে ইসলামি বিপ্লব হতে হবে। বিপ্লব কিলিয়ে কাঁঠাল পাকা করার আইটেম না। উপযুক্ত সময়েই অর্থাৎ আল্লাহর নির্ধারিত কালেই তা হবে। কেউ তা ঠেকাতে পারবেনা।

 

কিন্তু সেই স্বপ্ন এবং কাঠামো আমাদের স্মৃতিতে ধরে রাখতে চাই যেন আমাদের ১০০ তম উত্তর পুরুষ একটা প্রচন্ড ইসলামি বিপ্লব করতে পারে যা এমন এক ইসলামি রাষ্ট্র নির্মান করবে যার আয়তন আলাস্কা থেকে নিউজিল্যান্ড, চিলি থেকে সাইবেরিয়া পর্যন্ত হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা যদি বিরাট সুকর্ম হয় তবে দেওবন্দিদের অবদান অন্যদের চেয়ে খুব ছোট না। পশ্চিম পাকিস্তানে পতাকা উত্তোলন করেন মাইলানা শাব্বির আহমদ উসমানি, পূর্ব পাকিস্তানে মাওলানা জাফর আহমদ উসমানি। কোনো রাষ্ট্র বিনা কারণে কাউকে এতো বড় সুযোগ দেয়না। তাই এটুকু থেকেই অনেক কিছু বোঝা যায়।

 

তাছাড়া আল্লামা ইকবাল ছিলেন আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি (রহ) এর বন্ধু এবং ছাত্র। জিন্নাহ মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহমাতুল্লাহি আলাইহির উপর গভীর আস্থা রাখতেন। সিলেট পূর্ব পাকিস্তানে যুক্ত হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মাওলানা ভাসানী। তিনিও দেওবন্দি।

 

তাছাড়া কাদিয়ানি, বেরেলভি, আহলে হাদিস উলামাদের এমনকি মুসলিম কমিউনিস্টদের পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো। তাই কেউ একটা তাত্ত্বিক বই লিখে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছে, দুনিয়াটা এতো সহজ না।

 

তবে দুঃখিত পাকিস্তানকে আমি খুব বড় অর্জন ভাবতে পারছিনা। হ্যাঁ যদি জাতীর মানসে এর সঠিক মাকাম ধরে রাখা যেতো তবে বিষয়টিকে একটা ভালো অর্জন বলা যেতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৪৭ নিয়ে আদিখ্যেতা দেখায় মূলত জামাত এবং মুসলিম লীগের পেতাত্মারা। কওমি অনেকেও দেখায়। সেটা তাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের অযোগ্যতা হেতু অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায়।

 

আমি ৪৭ কে অপছন্দ করতাম না যদি সবাই এটা মাথায় রাখতো যে এটা আজাদ হিন্দুস্থানের লঞ্চিং প্যাড। বরং লোকেরা এটাকেই চূড়ান্ত আজাদি ভাবা শুরু করে।

 

আমি দেওবন্দিদের জিজ্ঞেস করছি, টিপু সুলতান থেকে শুরু করে শাইখুল হিন্দ পর্যন্ত কেউ কি পাকিস্তান ভারতের মতো স্যাটেলাইট রাষ্ট্রের স্বপ্নে লড়েছিলেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিতুমীর আর নবাব সলিমুল্লাহ পথ আলাদা। একটা আজাদির আর একটা গোলামির মাঝে সাম্প্রদায়িক স্বার্থ রক্ষার। আমি মানহাজের পার্থক্য নিয়ে বলছিনা। সেটা সময়ের প্রয়োজনে আলাদা হতেই পারে। আমি ফিকিরের পার্থক্যের কথা বলছি।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে আহ্লাদিত হওয়ার কিছু নাই। এটা কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের ঢাকাইয়া ভার্শন। চিন্তার কলোনাইজেশনের ঢাকাইয়া সেন্টার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডিকলোনাইজেশনই এদেশের রাজনীতির রোডম্যাপের প্রথম অধ্যায়। যারা ব্রাহ্মন্যবাদের বাড় বাড়ন্তে ৪৭ এর চেতনায় পথ খুঁজছেন তারা একটা মরিচিকাময় গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খাচ্ছেন। আপনাদের লড়াইয়ের ন্যুনতম জায়গা হচ্ছে ১৮৫৭ এর জঙ্গে আজাদির চেতনা। সেখানে সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের নেতৃত্বে ব্রিটিশ কলোনিয়াল পাওয়ার এবং তার দেশীয় হিন্দু মুসলিম দালালদের বিরুদ্ধে ন্যায়পন্থী হিন্দু মুসলমান ঐক্যবদ্ধ ডিকলোনাইজেশনের জন্য লড়াই করে। সে লড়াইয়ে সুলতানি শরিয়া শাসনের আশ্বাস ছিলো। হিন্দুধর্মের অনুসারীদের ধর্মপালনের স্বাধীনতার স্বীকৃতি ছিলো। কাউকে জোড় করে বা প্রতারণার মাধ্যমে গরু বা শুয়োর না খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি ছিলো। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ অর্থপূর্ণ প্রয়াস রেশমি রুমাল আন্দোলনও চরিত্রগতভাবে ইসলামি আদর্শে উদ্বুদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের ছিলো। এটাই জাতীয় মুক্তির পথ।

 

আজাদি সবার আগে আসতে হবে আপনার চিন্তায় নয়তো ফেরাউনের রাজত্ব থেকে মুক্তির পরে আরও অথর্ব তাগুত বাছুরের পূজা শুরু করবেন। যারা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ৪৭ এর সংকীর্ণ পাকি সাম্প্রদায়িক চেতনা দিয়ে লড়তে চায় তাদেরকে বুঝতে হবে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। এই চেতনা রাজনৈতিক ধান্দাবাজি বা কোন শক্তির তাবেদারির চেতনা না বরং আমাদের আকিদার অংশ। আমাদের তাওহীদ আল হাকিমিয়্যাহ এবং আল ওয়ালা ওয়াল বারার আকিদার অংশ হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,ডিকলোনাইজেশনের সংগ্রাম। এই আকিদা আমরা শিখেছি শাহ ওয়ালিউল্লাহ্ রহ এর খান্দান থেকে, শহীদ টিপু থেকে তিতুমীর এর লড়াই, ৫৭ এর জঙ্গে আজাদি থেকে শাইখুল হিন্দের রেশমি রুমাল আন্দোলন পর্যন্ত প্রতিরোধের ইতিহাস থেকে। এসকল তাহরিকের একটাও সাম্প্রদায়িক চেতনার ছিলোনা। শহীদ টিপু (রহ) হিন্দু মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে আগ্রাসী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ব্রাহ্মন্যবাদি মারাঠাদের বিরুদ্ধে সমানতালে লড়েছেন। তিতুমীর বাঙালি হিন্দু মুসলমান ঐক্যবদ্ধভাবে ব্রিটিশ শক্তি এবং হিন্দু জমিদারের সাথে লড়াই করেন।

 

আমরা ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে সালনাতে খোদাদাদের চেয়ে কম কোনো কিছুকে আজাদি হিসাবে মানবোনা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেকোনো যুদ্ধে প্রথমে নির্ধারণ করা দরকার জয় এবং পরাজয়। আজ তালেবান আমেরিকা চুক্তিতে আমেরিকার কিছু দাবি হয়তো তালেবানকে মানতে হবে। কিন্তু তালেবান যদি আফগান সংবিধান মেনে নেয় তবে আমি খোলাখুলিভাবে তালেবানদের পরাজিত, আদর্শচ্যুত এবং বিভ্রান্ত মনে করবো।

 

৪৭ সালে দেওবন্দি, বেরেলভি, আহলে হাদিস, কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি সবাই পরাজিত হয়েছে। কারণ তারা ব্রিটিশ সেটেলমেন্ট মেনে নিয়েছে। তারা যদি জনসাধারণের কাছে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারতেন যে এটা আজাদি নয়, আজাদির লড়াইয়ে একটি ধাপ মাত্র তাহলে মানুষ ৪৭ এর পরে জাতীয়তাবাদি আন্দোলন সংগ্রামের পরিবর্তে আজাদি আন্দোলন করতো। এক্ষেত্রে আমি RSS এর রাজনীতির প্রশংসা করি। তারা কখনো কলোনিয়াল সেটেলমেন্ট মেনে নেননি। নিজেদের এজেন্ডায় অটল থেকেছেন। শ্যামাপ্রসাদ কারাগারে জীবন দেন। নাথুরাম গডসে গান্ধীকে হত্যা করেন কলোনিয়াল সেটেলমেন্টের অংশ হিসাবে মুসলমানদের সাথে আপোষরফার দায়ে।

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুসলমানরা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। তাদের মাঝে আমরা RSS এর প্রতিরোধ দেখিনি। জামাত এই প্রতিজ্ঞায় কাজ শুরু করলে সামান্য কয় বছরেই তারাও পরাজয় মেনে নেয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৪৭ স্বাধীনতা নয় কলোনিয়াল দাসত্বে ভারতবাসীর চূড়ান্ত পরাজয়ের অফিসিয়াল স্বীকৃতির বছর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভারতবর্ষে হিন্দুদের একটা অংশের সহায়তা ছাড়া কোনো ইসলামি আন্দোলন সফল হতে পারবেনা। সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগীর (রহ) আফগানিস্তানের প্রশাসক নিয়োগ করেন এক হিন্দুকে। হিন্দুত্ববাদি দারার সাথে লড়াইয়ের সময়েও প্রচুর হিন্দু তার বাহিনীতে ছিলেন। টিপু সুলতানের একজন গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পূর্ণায়া পন্ডিত ছিলেন হিন্দু। নবাব সিরাজুদ্দৌলার বাহিনীতেও হিন্দুরা ছিলো যাদের অনেকে বিশ্বস্ত ছিলো।

 

রাজনীতি মানেই ক্ষমতা অর্জন এবং সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে আদর্শিক লক্ষ্য অর্জন আদর্শিক রাজনীতির কাজ।

 

বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো যদি শক্তিশালী রাজনীতি করতে চায় তবে তাদের অবশ্যই হিন্দুদের একটা অংশের সমর্থন লাগবে। এই সমর্থনের অনেক রকম উপকারিতার সাথে এটাও একটা যে কোন বিরোধী শক্তির আক্রমনের মুখে শুধু মুসলমানদের প্রতিরোধ এবং নিপীড়নের মুখোমুখি দাঁড় না করিয়ে সম্মিলিত শক্তিকে দাঁড় করানো যাবে।

 

প্রশ্ন হচ্ছে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? বর্তমান বাস্তবতায় এমন সমর্থন পাওয়া সম্ভব কিনা। আমি বিশ্বাস করি সম্ভব। প্রথমত ইসলামের দাওয়াত যদি আপনি বাড়াতে পারেন তবে তাদের মাঝে ইসলামের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষও বাড়বে। অতঃপর আপনি যদি রাজনৈতিক সমর্থন চান তবে আপনাকে তাদের সাথে রাজনৈতিক আলাপে আপনার বসতে হবে। যেমন ধরেন হিন্দুদের অনেকেও তাদের নেতৃত্বের প্রতি বিরক্ত। আপনি তাকে বিকল্প নেতৃত্ব হতে পৃষ্ঠপোষকতা দিলে সে আপনাকে সমর্থন জানাবে। অনেকে দরিদ্র মেধাবী হিন্দুর সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে আপনি সমর্থন যোগাড় করতে পারবেন। অনেক যোগ্য ব্যাক্তির নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা থাকে। আপনি তাকে নেতৃত্ব দিলে সে আপনার জন্যেও কাজ করবে। তাকে যতটুকু বিশ্বাস করতে পারবেন ততটা দায়িত্ব দিতে পারেন। আপনাকে সমাজের বাস্তব সমস্যাগুলো বিশ্লেষণের যোগ্য হতে হবে। অভিন্ন চাওয়াগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য দলে প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তত একটা কমিটি গঠন করা যেতে পারে। তাদের কাজ হবে হিন্দুদের সাথে যোগাযোগ, তাদের উপলব্ধি করা, তাদের ডাইনামিকস বোঝা, তাদের সমস্যা সুবিধা পর্যালোচনা করা। প্রাথমিক সাফল্য পেলে প্রথম দিকের হিন্দু রিক্রুট আরও রিক্রুটিংএ সহায়তা করতে পারবে। তবে সকল পদক্ষেপের পূর্বে আপনাকে বুঝতে হবে সাফল্য রাতারাতি আসেনা। সাফল্য আসে অধ্যবসায়, পরিশ্রম এবং যোগ্যতার সমন্বয়ে আল্লাহর রহমতে।

 

আমি মনে করি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের এই পরামর্শগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মনের পশু আমরা ছোটবেলাতেই কেটেছি। তারা কাটেনি? বলেনকি? নাকি গোড়া থেকে কাটতে বলছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রোযা এবং কুরবানি আমার কাছে দুইটি বিশেষ কারণে স্পেশাল।

 

১) রমজান মাসে পাবলিক স্পেসে কেউ সিগারেট খেলে তাকে কড়া ঝাড়ি মারা যায়।

 

২) কুরবানি গোশত খেতে বিশেষ তৃপ্তি পাই। কোন হালাল হারাম, জবেহ সহিহ বাতিল টাইপ সংশয় ছাড়াই গোশত খাই। আল হামদুলিল্লাহ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একজন দরিদ্র মহিলা যার স্বামী তাকে ঠকিয়ে পরিত্যাগ করেছে। কন্যা মায়ের কাছে রেখে তিনি শহরে মানুষের বাড়ি কাজ করেন। আজ বাড়ি যাননি। কারণ কুরবানির গোশত নিয়ে যাবেন। মেয়েটা কেঁদে ফেলেছে মা গোশত লাগবেনা তুমি আসো। তবু তিনি বাড়ি যাননি কারণ তার পক্ষে তার কন্যাকে সারা বছর মিলিয়েও আজকের সমপরিমাণ গোশত খাওয়ানো সম্ভবনা।

 

গড়িব মানুষগুলোকে গোশত খাওয়ার এই সুযোগ জানোয়ার প্রেমের দাবিদার গ্রিল চাবানো শহুরে সেক্যুলার মানবতাবাদি জানোয়ারগুলো কুরবানি ছাড়া কখনোই দিতে পারতোনা।

 

আজব এক যুগে আমরা বাস করি। এ-যুগে শব্দের খেলা টাকা দিয়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বানানো হয়। ফলে মানুষের জন্য দরদহীন শুয়োরগুলো নাকি মানবতাবাদি।

 

দেখেন দেখি অবস্থাটা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি চাইলে আজ সুশীল এবং উগ্র হিন্দুদের চরম অপমান করতে পারি। কিন্তু যেহেতু আমি জানি চলমান জুলুম হিন্দুত্ববাদিরা না বরং ব্রাহ্মন্যবাদিরা করছে তাই আমি মজলুম হিন্দুদের সাথে সংহতি বজায়ে রাখতে হিন্দুদের ধর্মীয়ভাবে অপমান এবং বিদ্রুপ করছিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি মূল্যায়ন

 

খোমেনি এহসান ভাই জামাতপন্থীদের মাঝে কিছুটা ব্যাতিক্রম। তার লেখার হাত ভালো। তার পাঠক মূলত জামাত ঘরানার লোকেরাই। কারণ জামাতের প্রতি তার সমর্থন দ্ব্যার্থহীন এবং নিরংকুশ। তিনি জামাতকেই উম্মাহর নেতৃত্ব ভাবেন। তবে জামাতের পক্ষের কেউ জামাতের সমালোচনা তার মতো করে করেনা। এতো শক্ত বিশ্লেষণে জামাতের বিরুদ্ধে জামাতি কারও লেখা সাধারণ ব্যাপার না।

 

তিনি আসলে কি চাচ্ছেন?

 

তিনি চাচ্ছেন জামাত গত ৭০-৮০ বছরের মার্কিনপন্থী রাজনীতি পরিত্যাগ করে চীনপন্থী রাজনীতি করুক।

 

ফলে তিনি যখন মার্কিনপন্থী রাজনীতির বিরোধিতা করেন তখন আলোচনা শক্তিশালী হয়ে থাকে। কিন্তু যখন সমাধান নিয়ে কথা বলেন তখন তা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলা অন্তস্বারশূন্য রেটরিকের অতিরিক্ত কিছু হয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ঈদের বাড়ি যাতায়াত উপলক্ষ্যে হিজাবি মেয়েরা বেগানা পুরুষ কর্তৃক যতটা ডলা খায় সম্ভবত তারা সারা বছরেও তা খায়না।

 

জন আকাঙ্ক্ষা গ্রুপ বা ইসলামি মূল্যবোধের সরকার যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন শরিক ইসলামি দলটি ট্রেনে মহিলা বগির ব্যবস্থা করার প্রয়াস চালালেননা কেন?

 

পপুলার রাজনীতি এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের স্লোগানের দিনে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো তাদের বিদ্যমান কর্মসূচির পাশাপাশি নারীদের মাঝে জনপ্রিয়তার রাজনীতির অংশ হিসাবে তাদের নিরাপদ ট্রান্সপোর্ট দাবি নিয়ে কোন ভূমিকা রাখবেন কিনা বিবেচনা করতে পারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সবকিছু বাদ দিলে ৪৭ এর বড় এক দোষ সাম্প্রদায়িকতা। সংঘাত জালিম এবং মজলুমের। হিন্দু মুসলমানের না। লড়াইটা হিন্দুদের সাথে না, এমনকি ব্রাহ্মণদের সাথেও না। সংঘাত হচ্ছে ব্রাহ্মণ্যবাদের সাথে।

 

সাম্প্রদায়িক রেটরিক ব্যবহার করে দেশীয় জনতার মাঝে বিভক্তি তৈরি করা আমাদের কাজ না।

 

আল ওয়ালা ওয়াল বারার আকিদা আন্ধা গরুর আকিদা না।

 

যেসকল কাফির মুমিনদের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন করে ও জুলুম করে এবং যারা তা থেকে বিরত থাকে তারা সমান নয়।

 

মুসলমানদের পাশাপাশি মজলুম এবং ইনসাফপ্রিয় হিন্দুদের পাশে দাঁড়ান। তাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণের জন্য প্রয়াস চালান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এসরা বিলজিকের একটা বিকেলের জন্য ১০০ স্বদেশের বিক্রয়মূল্য বড় কম। প্রেম দিয়ে বাকিটা পূরণ করতে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি ২১+ পোস্ট।

এদেশের আইনে ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১।

 

স্ত্রীর সাথে বেশি বেশি সহবাস করুন। আমার জানামতে যাদের স্ত্রী সহবাস বেশি হয় তাদের সংসার অনেক সুখের হয়। আবার যাদের সংসার সুখের তাদের সহবাস বেশি হয়। সম্পর্কে উঠানামার সাথে সহবাসের পরিমান এবং মানের ধনাত্মক সম্পর্ক আছে।

 

দ্রষ্টব্যঃ কিভাবে মানুষের এতো পার্সোনাল ব্যাপার জানি জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে উদ্ধৃতিসর্বস্ব এবং বিবৃতি নির্ভর যেসকল বিশ্লেষণ মূলধারা এবং মানহাযি ছাগলের বাচ্চারা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে এদের কারও উদ্দেশ্য দীনের খেদমত না। তাদের উদ্দেশ্য নিজের ইগো সন্তুষ্ট করা। আমি যে সঠিক অন্যরা ভুল এটা চোখে আঙুল দিয়ে লোকের চোখ নষ্ট করে আত্মপ্রচার।

 

ফেসবুকে তর্কবাজ শুয়োরেরা জীবনের প্রসস্ততা জানেনা। থিওলজি, থিওলজিকাল ডেভেলপমেন্ট হিস্ট্রি, পলিটিক্স, থিওলজিকাল পলিটিক্স ইত্যাদির ডাইনামিকস, ইন্টার কোরিলেশন, ভার্সেটাইল কারেক্টার সম্পর্কে উপযুক্ত বোধ অর্জন না করে মানহাযি আর মূলধারা মারামারি করছে।

 

গিউলিবল এন্ড কাওয়ার্ড মূলধারা এবং বাস্তব জীবনে আয়েশি তাত্ত্বিকভাবে বেপরোয়া, একরোখা ফেবু জিহাদি মানহাযিরা কেউ আলোচনা এসেন্সে না ঢুকে বিটিং এড়াউন্ড দ্যা বুশে ব্যাস্ত। তারা অন্যদের দিয়ে নিজেরা গৌরব করে। কিন্তু সাধারণত নিজের কাজের বেলায় ঠনঠনাঠন।

 

যেকোনো ধারায় যারা সিরিয়াসলি কাজ করছে তাদের পক্ষে ফেবুতে গুটিবাজি করার সময় নাই। মূলধারার আকাবিরেরা যেসব কাজ বাধ্য হয়ে করেন অথবা নিছক টাচ করে ছেড়ে দেন তাদের অনুগত ফেবু মুগাহিদরা ( এরাও মানহাযিবিরোধী মুগাহিদ) তেমন টাচ করা মেয়েকে ছেনে ঘেটে চেটে পুটে বাচ্চা বের করে ফেলে। অতিরিক্ত খেদমত আকাবিরদের ভুলভাল তথ্য দিয়ে আকাবিরদের মান নষ্ট করা এবং সমস্যাকে জটিলতর করা। বাস্তবে তারাও তেমন উল্লেখযোগ্য খেদমত খুব বেশি করেছে তা নয়। কিন্তু ঐযে আকাবিরের নাম বেচে খাওয়ার কাজটা দিনরাত করে যায়।

 

আবার মানিহাযি ভেড়ার পালদের কাজ হচ্ছে মহান মুজাহিদিনদের নাম বেচে নিজের ইগো স্যাটিসফাই করা। আমি নিশ্চিত করে বলছি এবং দায়িত্ব নিয়ে বলছি সেসকল মুজাহিদরা আকিদা এবং ফিকাহ সম্পর্কে যে ধারনাই রাখুক মানহাযে কখনো ফেবু মানহাযিদের মতো না। তাদের কাজ কখনো মুসলমানদের ছিদ্রান্বেষণ ছিলোনা, এখনো নাই। তারা জেনেরিক সদুপদেশ দেন কিন্তু নাম ধরে ধরে মুসলমানদের অপমান করার মানহায আমি তাদের মাঝে কখনো দেখিনি। আওলাকি (রহ) এর শত শত ঘন্টা লেকচার আছে। ইয়ামেন সুফিদের ঘাটি। অনেকে যায়েদি প্রভাবিত। তার লেকচারে কয়দিন দেখেছেন সুফিদের নাম ধরে ধরে গিবত (আপনাদের ভাষায় আমর বিল মারুফ নাহী আনিল মুনকার) করতে। অথচ বাঙালি মুগাহিদদের প্রধান কাজ চরমোনাই, অমক তমকের পেছনে লেগে থাকা। কথা ছিলো সাপের মাথায় আঘাতের। শুয়োরের পাল তাত্ত্বিকভাবেও মাথায় দূরে থাক মাজাতেও উপস্থিতি নেহায়েত কম। সাপের লেজ নিয়ে চুলকানোতেই তারা ব্যাস্ত। একথা বললে বলবে তারা জালায়। আরে ভাই তারাতো সবসময় জালাবেই। এটাই লেজের কাজ। কিন্তু আপনার কাজ মাথাকে অজনপ্রিয় করা।

 

পৃথিবীতে কোনো দলের সব মানুষ একই রকম ভাবেনা। একই রকম স্বপ্ন দেখেনা। এটাই আল্লাহর সৃষ্টির সুন্নাহ। আবার একটা বিবৃতি বিভিন্ন কারণে মানুষ বিভিন্ন সময় দেয়। সত্য, মিথ্যা এবং তাউরিয়া মিশিয়ে রাজনীতি করতে হয়। কিন্তু অসৎ এবং বেকুব লোকেরা সামগ্রিক বিবেচনায় পরিবর্তে কাটাকাটা বিবৃতির মানুষ এবং দলের মূল্যায়ন করে। আজ অমকে এটা বলেছে, কাল তমকে সেটা বলেছে এসব বলে মূলধারা আর মানহাযি শুয়োর গুলো যখন কার মানহায কি তা নিয়ে ঘোত ঘোত করে তখন তাদের জন্য করুনা ছাড়া কিছুই থাকেনা।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এটা সাধারণ বক্তব্য। অনেক বিশেষ ব্যাক্তি এসব দোষ থেকে অনেকটা মুক্ত। এআলোচনা তাদের নিয়ে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উপমহাদেশে জমহুর উলামায়ে দেওবন্দসহ জমহুর মুসলমানদের রাজনৈতিক বিশ্লেষণে সবচেয়ে বড় অযোগ্যতা কি?

 

উত্তরঃ ৪৭ সালকে শরিয়তের বিচারে সামান্যতম গুরুত্ব দেওয়া। শরিয়তের বিচারে শেষ শাসনতান্ত্রিক পার্থক্যকারী সাল হচ্ছে ১৮৫৭। শেষ আজাদির লড়াই রেশমি রুমাল আন্দোলন।

 

এটাই আমার রাজনৈতিক আকিদা। এটা অস্বীকারকারিকে আমি রাজনৈতিক ফতোয়া দানে অযোগ্য ভাবি।

 

হ্যাঁ যারা মাসলাহাত বিবেচনায় ব্রিটিশ ইন্ডিয়াকে দারুল আমান বা দারুল আহাদ বা দারুল ইসলাম মানতেন তারা এখনো মানতে পারেন। তারা ব্রিটিশ শাসনামলে যা যা বৈধ এবং যা যা অবৈধ ভাবতেন তা তারা এখনো ভাবতে পারেন।

 

আমার ভিন্নমত থাকলেও আমি ব্যাপারগুলোকে বৈধ ফিকহি এখতেলাফ হিসাবে দেখবো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(১)

যদি প্রেমে পরেন তাহলে বিবেচনা করা উচিৎ আদৌ সম্পর্ক তৈরির সম্ভাবনা আছে কিনা। অনেকে বলে যা হয় হোক। বলে দাও। কিন্তু এটা বাজে পরামর্শ। কারণ প্রেয়সীর উত্তর না হলে কষ্ট অনেক বেড়ে যাবে যদি আপনি মুখ ফুটে বলে ফেলেন। কারণ তখন ইগোর প্রশ্ন এসে যায়। হারা জেতার প্রশ্ন আসে।

 

(২)

প্রেমে পড়লে প্রেমিক প্রেয়সীর দাসে পরিনত হয় যদিও সে প্রেমিক বাদশাহ হয় এবং প্রেয়সী ভিখারিনী। কিন্তু খোদার কসম বাদশাহীর চেয়ে সেই দাসত্বের সুখ বেশি।

 

(৩)

 

প্রেমের জালা আছে। তবে ঐটুকুই সুখ। বাকিটা সেক্স।

 

(৪)

 

যার নজর প্রেয়সীর থেকে অন্য কারও দিকে সে প্রেমিক না। কিন্তু এটা তত্ত্বীয় আলাপ। বলা যায় সেই মুহূর্তে। অনেকটা কবিরা গুনাহকালে মানুষের ইমান থাকে না হাদিসের মতো। আসলে ঘটনা দুইটা একই। প্রেমিকের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুড়ে যাওয়াই কবিরা গুনাহ।

 

(৫)

 

সিনেমায় প্রেয়সী ধোকা দিলে নায়ক নিজের যোগ্যতায় বড় হয়ে প্রেমিকার বা তার বরের বস হয়। বাস্তবে এমন হয় কিনা জানিনা তবে প্রতারক বলে বিবেচিত প্রেমিকার বয় ফ্রেন্ড এবং বরের চেয়ে নিজেকে বেশি যোগ্যরুপে গড়ে তোলা দারুন প্রতিশোধ। এই প্রতিশোধ আরও নিষ্ঠুর করা যায় যদি সে প্রতারিত হয় এবং আপনি নিজেকে বিশ্বস্ত প্রমানিত করতে পারেন। সেটা এভাবে যে আপনি আপনার পার্টনারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন এবং সাবেক প্রেয়সীর প্রতি বিদ্বেষপ্রবণ না হন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভারতে এক সময় হিন্দুদের মাঝ থেকে বৌদ্ধদের জন্ম হয়। তারপর হিন্দুরা বৌদ্ধদের দমন নিপীড়ন চালাতে শুরু করে। বাংলায় বিখ্যাত পাল সাম্রাজ্য ছিলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তারা ৪০০ বছর বাংলা শাসন করে। তাদের হটিয়ে ক্ষমতায় আসে হিন্দু সেন রাজারা। হিন্দুরা বৌদ্ধদের উপর অনেক নিপীড়ন চালাতো। ফলে তারা অনেকেই চীন, তিব্বত এবং মায়ানমার কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চলে যেতে বাধ্য হয়। বাকিরা মুসলমানদের আশ্রয়ে টিকে থাকে এবং ইসলামে দীক্ষিত হয়। বাংলা মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার বড় একটা কারণ হিন্দু নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বৌদ্ধদের ইসলাম গ্রহন। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ বৌদ্ধ নিদর্শন এবং এতে কৌশলে সেসকল নিপীড়নের বিবরণ আছে। হিন্দুরা তাদের উপর জুলুম নিপীড়ন এবং বিতারণের পাশাপাশি আত্মীকরণের জন্য গৌতম বুদ্ধকে ভগবানের ১০ অবতারের এক অবতার রূপে স্বীকৃতি দেয়। যেমন মুসলিম অনেক মাযারকে হিন্দুরা স্বীকৃতি দেয়। হুসাইন (রা) এর অনেক অনুসারী হিন্দু আছে। তাদের হুসাইনি ব্রাহ্মণ বলে। কিন্তু এধরণের ঘর ওয়াপসি প্যাকেজে আত্মস্থ হিন্দুরা কখনোই চূড়ান্ত উচ্চ মর্যাদা পায়না। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার এক লেখায় দেখিয়েছেন উত্তর ভারতের ব্রাহ্মণদের মর্যাদা তাদের কাস্ট সিস্টেমে বাঙালি ব্রাহ্মনদের চেয়ে বেশি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দার বিতর্ক নিয়ে অনেক আলাপ হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক হাওয়ার দিক বলছে প্রথমে র‍্যাডিকেল, তারপর মূলধারা, তারপর সেক্যুলার ও অহিন্দু উপমহাদেশীয়রা সর্বশেষ নিম্নবর্নের হিন্দুরা পুটকি মারা খাবে। আমরা উপমহাদেশ জুড়ে যে উগ্র রাজনৈতিক আদর্শের জাগরণ দেখছি তা হিন্দুত্ববাদ নয়, ব্রাহ্মণ্যবাদ। এই বিতর্কে সুশীলতা মারায়ে লাভ হবে এটুকু যে মারা খাওয়ার সিরিয়ালে নিজের নাম কিছুটা পেছানো এই আশায় যে সিরিয়াল আশার আগেই হয়তো পটল তোলা সম্ভব হবে।

 

আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি, দেওবন্দি বেরেলভি এবং হরিজন সম্প্রদায়ের বাদ যাবেনা একটা শিশুও। হাহাহাহাহা

 

মুসলমানদের পূর্বে ভারতীয় বৌদ্ধদের ইতিহাস স্মরণ করুন বৎস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাশ্মীর সমস্যা সমাধান দারুল উলুম বা তাকি উসমানিরা দিবেনা। তাদের সেই সাধ্য নেই। মুদির দোকানে জুতা বিক্রয় করা হয়না। তারা সমাজে এবং রাষ্ট্রে বাস করেন সেই কাঠামো মেনে। তারা এমন এক বাস্তবতায় বসবাস করেন যেখানে তারা যে পরাধীন তা বলাও অপরাধ। চরমপন্থার লক্ষ্মণ। আপনি বলতে পারেন আল্লাহর চেয়ে অমক তমককে কেন ভয়? কেন আসহাবুল উখদুদের আদর্শ তারা অনুসরণ করছেননা।

 

তার উত্তর হচ্ছে,

 

১) আসহাবুল উখদুদের অবস্থান আযিমাত, ওয়াজিব না। তাদের ইমানও আসহাবুল উখদুদের মতো না।

 

২) আসহাবুল উখদুদের সংঘাত ছিলো ইমানের চুড়ান্ত মৌলিক জায়গায়। অনেকেই হাকিমিয়্যার মৌলিকত্ব তার চেয়ে সামান্য কিছুটা কম মনে করেন।

 

৩) আপনার দাবিতে মতাদর্শগত গোঁড়ামি আছে। ইসলামে আসহাবুল উখদুদ যেমন ছিলো, তেমন ফেরাউনের দরবারে ইমান গোপনকারিও ছিলো।

 

যেকোনো সমস্যার মতো কাশ্মীর বিতর্কেও সবাই দলীয় মতাদর্শ এবং গোঁড়ামির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং মন্তব্য করছে। তারপর সেই বক্তব্যে কেউ ইমান আর কেউ হেকমতের জুব্বা পরাচ্ছে।

 

যারা ইমরান খানকে চিনেনি তারা রাজনৈতিকভাবে বেকুব। তারা কোনো রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রোডম্যাপ বাতলানোর অযোগ্য। তবে ইমরান খান কাল এক বস্তা গার্বেজের ভেতর একটা দামি কথা বলেছেন। এজন্যই বলা হয় যেখানেই দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন। ইমরান খান বলেন,

 

পথ দুইটা

 

১) বাহাদুর শাহ জাফরের আত্মসমর্পনের পথ

২) টিপু সুলতানের শাহাদতের পথ।

 

যারা প্রত্যেক সিদ্ধান্ত গ্রহনে বাধ্য হয় তারা অপদার্থ। ধর্ষণ অনিবার্য হলে হয় আত্মহত্যা করুন নয়তো উপস্থিত সময়ে উপভোগ করুন। যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা জানেন যৌনতা উপভোগ করা যায়। ভিন্ন পুরুষের সাথে ভিন্ন স্বাদও পাওয়া যায়।

 

কাশ্মীরবাসির জন্য দুইটি পথ

 

১) মোল্লা উমার (রহ) এর পথ

২) মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর পথ

 

এর বাইরে গেলে তারা কিছুই অর্জন করতে পারবেনা। কাশ্মিরবাসিকে বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক আইন হচ্ছে বকোয়াস। দুনিয়াতে জঙ্গলের আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন কি হওয়া উচিৎ তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা কিসে কার লাভ ক্ষতি কেমন? পাকিস্তানের সাথে মিত্রতা হচ্ছে মীর জাফরের উপর নির্ভর করে যুদ্ধে যাওয়ার মতো। তারা লড়াই করতে চাইলে তাদেরকে নিয়মতান্ত্রিক মুক্তিযুদ্ধ বাদ দিয়ে সর্বাত্মক লড়াই করতে হবে। তাদের বিবেচনা হতে দীর্ঘ মেয়াদি সামরিক এবং রাজনৈতিক লাভ ক্ষতি, কোনো আন্তর্জাতিক নৈতিকতার মাননা। যুদ্ধ শুধু কাশ্মীর বা ভারত না বৈশ্বিক বানাতে হবে। এতে তাদের কুরবানি চড়া হবে তবে দুশমনের ক্ষতি হবে। কিন্তু তা না পারলে অর্থাৎ কুরবানির পরিবর্তে সুশীলতা চাইলে, পাকিস্তান নির্ভর মুক্তিযুদ্ধ চাইলে তাদের যুদ্ধ বাদ দিয়ে মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর মডেলে আপোষ করতে হবে। তাতে স্বাধীনতা প্রজেক্ট পরিত্যক্ত হবে কিন্তু রক্তপাত থেকে বাঁচা যাবে। তুলনামূলকভাবে কাশ্মীরবাসির উন্নতি হবে যেমন শিখদের হয়েছে। মোটকথা যুদ্ধ অথবা শান্তি পাকিস্তান বাদ দিয়ে হতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার অবস্থান থেকে সঠিক। পাকিস্তান কাউকে সহায়তা করার আকাঙ্খা রাখেনা। ফলে অযথা এসেন্সলেস চাপাবাজি অর্থহীন। যেসব নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এই ইস্যুতে তার সমালোচনা করছেন তারা প্রায় সকলেই তার জায়গায় থাকলে একই রকম বয়ান দিতেন।

 

রাজনীতি অন্তস্বারশূন্য নৈতিকতা, বিবৃতিবাজি এবং রোমান্টিকতার জায়গা না। স্বার্থ আদায়ের জায়গা। আগ বাড়িয়ে ভারতের সাথে সম্পর্ক তিনি কেন নষ্ট করবেন? তিনি বিপ্লবী রাজনীতি করেননা, নিয়মতন্ত্র করেন। ভারতের সাথে সম্পর্ক নিয়মতন্ত্রে ফরজ।

 

 

 

 

 

 

 

 

কোন ব্যাক্তি তাওবা করলে আল্লাহ এতোটা খুশি হন যে কেউ মরুভূমিতে তার উট হারিয়ে ফেলে যাতে তার খাদ্য এবং পানীয় আছে। এখন তার বাঁচা মরা নির্ভর করছে সেই উটপ্রাপ্তির উপর। তারপর হঠাৎ সেই উট পাওয়া গেল। সে খুশিতে বলে উঠলো, সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর আমি যার রব যে আমার বান্দা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিবৃতি দেখে মানহাজ বোঝা যে একটা ভুল পন্থা তা বুঝতে কয়দিন লাগবে আপনাদের!

 

দোস্ত Sadid Malek

 

আকাবির পূজারী ইসলামি ক্যাথেলিক হলেও দোস্ত একটা সঠিক কথা বলেছেন। শেখার ও বোঝার চেষ্টা করেন।

 

নয়তো কখনো সঠিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করতে পারবেননা।

 

কথাটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা বলে সুষমা স্বরাজকে জাহান্নামি বলা যাবেনা। এটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত তারা মডারেট। তাদের ইসলাম মডারেট ইসলাম। তাদের চিনে রাখুন।

 

আল্লাহর কসম সে জাহান্নামে যাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইমরান খানের ভাষণ শুনলাম। পাকিস্তান জামাতের অবস্থান কি জানিনা তবে বাংলাদেশে জামাতিদের অনেকে কেন ইমরান খানের ভক্ত বুঝতে পারলাম। ইমরান খানের আজকের ভাষন ছিলো জাস্ট মির্যা ফখরুলের ভাষন। ভারত যা করেছে তা কাল হঠাৎ করে করেনি। আমি নিজে অন্তত ১৫ দিন আগে জানতাম। হ্যাঁ তারিখ জানতাম না। পাকিস্তান যদি বলে আমরা জানতাম না তাহলে ব্যাপার খুবই হাস্যকর হবে। এখন পর্যন্ত ইমরান খান সুন্দর সুন্দর বয়ান দিচ্ছে। কিন্তু কোন স্টেপ সে এখনো নেয়নি। জাস্ট লাইক মির্যা ফখরুলের গত নির্বাচন।

 

জামাত মির্যা ফখরুলকে বিশেষ পছন্দ করে তাই ইমরান খানকেও পছন্দ হওয়ারই কথা। সত্য হচ্ছে তারা আকিদা যেমন ভালো জানেনা তেমন রাজনীতিও না। তারা ভালো ক্লার্ক হতে পারবে। মিডিওকার অফিসয়াল জবগুলোও ভালো পারবে। কিন্তু পলিসি মেকিং টাইপ বিষয়গুলোতে তারা এক একটা তামাশা। এক একটা কৌতুক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতি মানেই বিনোদন। আর তাদের মাঝে যারা সংস্কারপন্থী তারা আরও এক কাঠি সরেস মাল। তারা রাজনীতি বুঝে রাজনীতির মায়েরে বাপ করে দিয়েছে। বিগত ৮০ বছরে যাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অর্জন নেই, আছে তেলতেলে বাঁশে বানর উঠার চর্বিত চর্বন গল্প তারা অন্যদের রাজনৈতিক সবক দিতে চায় তখন ব্যাপারটা হাস্যকর হয়ে যায়। দিনশেষে ফেল করা ছাত্রকে কে মাস্টার মানতে চায়? আমরা অবশ্য অস্বীকার করিনা যে উম্মাহর দাওয়াত ও তাজদিদের কাজে তাদেরও একটা অংশ আছে। কিন্তু এই অংশ তারা রাজনীতি ছাড়াই নিঃসন্দেহে অর্জন করতে পারতো।

 

জামাতের ভেতরের সংস্কারপন্থীদের চেয়ে ক্রিনশটে সমালোচিত ব্যাক্তির অধ্যয়ন কম নয়। আমি তার সম্পর্কে যেটুকু খোঁজ পেয়েছি তাতে তিনি যতটা বই পড়েছেন অত বইয়ের নামও এসব রাজনৈতিক বোদ্ধারা পড়েছেন বলে কখনো মনে হয়নি। কোনো মৌলিক চিন্তা নাই। শুধু এরদোয়ান আর ঘানুশিকে টুকলি করা লোকেরা যখন বলে আপনারা ঘরে যান আমরা রাজনীতি করবো তখন মাননীয় স্পিকার... বলা ছাড়া আর কিছুই বলার থাকেনা।

 

এই মুহূর্তে আমরা যারা ইমরান খানকে মুনাফিক বলছি তারা কেউ দাবি করছিনা যে পাকিস্তানকে একটা ফুল স্কেল যুদ্ধে যেতে হবে। আমরা জানি তার বিপদগুলো। কিন্তু আমরা এটাও জানি কাশ্মিরের আভ্যন্তরীণ আন্দোলনগুলোকে পাকিস্তান কিভাবে বারবার নিজের স্বার্থে (দেশেরও না, বরং স্ট্যাবলিশমেন্টের লোকদের ব্যাক্তিগত স্বার্থে) স্যাবোটেজ করেছে। কিভাবে সবসময় পশ্চিমা চাপে তাহরিকগুলোর শ্বাসরোধ করেছে, তাদের মাঝে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে আন্দোলনে বিভক্তি তৈরি করেছে, কিভাবে পাকিস্তানের প্রতি অনুগত নয় এমন তাহরিকের নেতা কর্মীদের গোয়েন্দা তথ্যা ভারতীয়দের হাতে তুলে দিয়েছে।

 

গাদ্দারির তালিকা অনেক লম্বা। যা বললাম তা মাত্র কিয়দাংশ। সবকিছু বলা সম্ভবত প্রয়োজন বা দরকারও নাই। কিন্তু ছোটবেলা থেকে জামাতিদের (সংস্কারপন্থী, ঐতিহ্যপন্থী উভয় গ্রুপের) কম বুঝে বেশি বোঝার ভান করার যে অভ্যাস দেখেছি তাতে সামান্য পরিবর্তন আসেনি। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে কোনো গেঁয়ো ব্যাক্তি শহরে এসে জাতে উঠার তালে লুঙ্গি আর ব্লেজার ইন করে পড়লে যেমন হয় আরকি। তাদের এসকল আধ খিচরা অভ্যাস বাদ দিতে না পারলে এই ভূখণ্ডের রাজনৈতিক প্রত্যাশায় তাদের যে সম্ভাবনা এখনো অবশিষ্ট আছে তা বাস্তবায়ন হওয়া মুশকিল হবে।

 

একজন মুসলমান হিসাবে তা আমাদের জন্য সুখকর না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুশফিকুর রহমান মিনার ভাইয়ের সাথে আসিফ মহিউদ্দিনের আলাপের শেষ পার্ট শুনলাম। আলাপ ভালো ছিলো। তিনি এক জায়গায় ছাড়া কোথাও আলোচনায় খেই হারাননি। নম্র, ভদ্র এবং যৌক্তিক আলাপ ছিলো। আত্মবিশ্বাস ছিলো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইসলামের পক্ষে যারা আলোচনা তর্ক বিতর্ক করেন তাদের ৯৮ শতাংশের মতো (জাকির নায়েকসহ) ইসলাম নিয়ে পরিচ্ছন্ন মিথ্যা কথা বলেননি। কাফেরদের কাছে ভালো হতে গিয়ে ইসলাম বিকৃত করেননি।

 

তবে আমার মতে আলোচনায় একটা বিষয়ে একটু ঘাটতি ছিলো। সেটা হচ্ছে আগ্রাসন। তিনি আরেকটু কনফিডেন্টভাবে কিছু যুক্তিকে জোড় দিয়ে বলতে পারতেন।

 

তিনি মূল্যবোধের স্ট্যান্ডার্ডের জায়গায় (বিষয়গুলো তিনি টাচ করেছেন তবে কিছুটা হালকাভাবে) আরেকটু আগ্রাসী হলে বলতাম ছিদ্রহীন আলাপ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইউরোপ আমেরিকার মতো বাংলাদেশেও হালাল ফুডের ব্যাবসার ভবিষ্যৎ ভালো।

 

ইমানদার মুসলমানরা ট্রাই করতে পারেন। হালাল ট্রেডমার্ক লাগবে কেবিসির শুয়োরের চর্বি ধরা খাওয়ার পরে এই বিজনেসের প্রসপেক্ট নিঃসন্দেহে অনেক বেড়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উঠতি লেখকদের একটা মৌলিক সমস্যা তারা যা লেখে তাই প্রকাশ করতে অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু এটা কাজের সঠিক পদ্ধতি না। এমন মানস আপনার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। আপনাকে প্রকাশক এবং বাণিজ্যের দাসে পরিনত করে। তখন লেখালেখি হয়ে দাঁড়ায় ফরামায়েশী। ফরমায়েশী লেখায় মৌলিক এবং সৃষ্টিশীল কাজ করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।

 

মানুষ হচ্ছে ভেড়ার পালের মতো হুজুগে। বাণিজ্যদাস লেখকদের উচিৎ বাংলা সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা বা ফুটপাতে পাপর বেঁচা।

 

নতুন লেখকদের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে সকল লেখা প্রকাশিত হওয়া জরুরি না। অনেক প্রোডাকশন হাউজ অনেক টাকা খরচ করে সিনেমা বানিয়ে তা রিলিজ করেনা। অনেক অপ্রকাশিত প্রাচীন পান্ডুলিপি আছে যা আজ প্রকাশিত হচ্ছে। চর্যাপদ হাজার বছর পরে প্রকাশিত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গোয়ালঘরে আবিস্কৃত হয়েছিলো। কাঁচ যতই চকচকে হোক তা কাঁচ। হিরা যতই কাদামাটি মাখা হোক হাজার বছর পরেও তা হিরা।

 

মৌলিক এবং মানুষের জন্য উপকারী কাজ করুন। বাণিজ্য করার জন্য অনেক কিছু আছে। লেখালেখি পেশা হিসাবে দুই চারজন ব্যাতিক্রম মানুষ ব্যাতিত খুব বেশি আয় রোজগার দেয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সর্বদাই এদেশে ইসলামপন্থীদের বোকা ভাবি। তারা আমাকে ফাউল ভাবেন। এধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়।

 

আল্লাহর দুনিয়ায় কোনো রাজত্ব চিরন্তন না। রুমির সময়ের সকল রাজার চেয়ে মসনবি বড়। ইবনে তাইমিয়া রহ মুসলিম বিশ্বে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা অর্জনে সময় লাগে প্রায় চারশত বছর। ইতিহাসের ডকুমেন্টেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি ঠিকমতো ডকুমেন্টশন করতে পারেন তাহলে বড় বড় জালিম কুকুরদের পচে যাওয়া যৌনাঙ্গ কবরের পোকারা খেয়ে হজম করার পরে বীরেরা তাদের রাজত্ব ফিরে পাবে।

 

কিন্তু আমাদের বলদেরা হাহুতাশ করবে, কান্নাকাটি করবে। কান্নাকাটি করতে পয়সা, পরিশ্রম কোনোটাই লাগেনা। কিন্তু ডকুমেন্টেশন করবেনা। খালি আকাবির আকাবির না করে তাদের চলে যাওয়ার আগেই তাদের সাথে বসে তাদের জীবনী অন্তত ১০০ পাতা লিখে ফেলুন। ইনশাআল্লাহ ইতিহাসে আপনিও টিকে যাবেন আকাবিরদের সাথে। যদিও আপনার তেমন কোনো বড় কুরবানি নাই। বাহাউদ্দীন শাদ্দাদকে আজ কেই বা চিনতো যদি তিনি সুলতান সালাউদ্দিন আইয়্যুবি (রহ) এর জীবনী না লিখতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এনায়েতুল্লাহ আব্বাসি সম্পর্কে জানতে চাই। যদিও তিনি প্রচুর ভুল কথা বলেন কিন্তু প্রচুর সাহসী হক কথাও বলেন। সামান্য কারণে মানুষকে তাকফির করেন আবার সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ কে বলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলিম।

 

তাই তার সম্পর্কে কারও জানা থাকলে জানাতে অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা এক বউ চালাতে অস্থির হয়ে যাই কিন্তু সাহাবাদের প্রায় প্রত্যেকের তিন চারটা বউ ছিলো। তাদের মাঝে মানে সেসব মহিলা সাহাবাদের মাঝে যৌন হতাশা এতো ছিলোনা। অথচ মিরপুর মতিঝিল বাস জার্নির জ্যাম অনেক মহিলার পরকিয়ার জাস্টিফিকেশান।

 

আমি কারণ ভেবে দেখেছি।

 

কারণ হচ্ছে আধুনিক মেয়েদের অলসতা, অবসর, টেকনোলজি, যৌন বিনোদন মাধ্যম এবং লম্পট পুরুষের আধিক্য।

 

পাশাপাশি আরেকটি বড় কারণ তাদের বিপুল পরিমান সন্তান। যখন কোনো মেয়ের বিভিন্ন স্বামীর ঘরের তিন চারটা বা ছয় সাতটা বাচ্চা থাকে তখন স্বামীর প্রয়োজন তার অনেকটাই হ্রাস পায়। তাদের পরিবেশে একজন স্বামী থেকে কিছুটা ছুটি পাওয়া বরং তাদের অনেক কিছু ম্যানেজ করতে সহায়তা করতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতিরা যতই নিজেদের বুদ্ধিমান ভাবুক তারাও অন্যদের মতোই বোকা। তা না হলে গোলাম মাওলা রনি মতো একটা ধান্দাবাজ তাদের বোকা বানাতে পারতোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দফ এবং প্রাকৃতিক ছাড়া সকল রকম বাদ্যযন্ত্র উদ্ভুত মিউজিক হারাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জাফর ইকবাল যে রাজাকার পরিবারের সদস্য তার একটা পরিচ্ছন্ন প্রমান হচ্ছে তিনি কোমলমতি শিশুদের মনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহের বিষ ঢুকাচ্ছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আমার ইসলামপন্থী ভাইদের বলবো আহলে হাদিস, মওদুদি মতবাদ, সাদিয়ানি ফ্যাতনা অনেক পড়েছেন এজন্য ধইন্যবাদ। এখন হিন্দু ধর্ম, ইতিহাস এবং সংস্কৃতি নিয়ে পড়েন। কাজে লাগবে।

 

আপাতত পড়ার নূন্যতম তালিকাঃ

 

হিন্দু ধর্মগ্রন্থঃ রামায়ণ, মহাভারত, মনুসংহিতা এবং গীতা সম্পর্কে জানুন।

 

হিন্দু দেবদেবীঃ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা,কালী, লক্ষী এবং স্বরস্বতি সম্পর্কে জানুন।

 

দলঃ কংগ্রেস, হিন্দু মহাসভা, আরএসএস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ, শিবসেনা, ইস্কন নিয়ে এবং এসবের প্রতিষ্ঠাতা এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব নিয়ে পড়ুন।

 

ইতিহাসঃ প্রাচীন হিন্দু রাজত্ব, মারাঠা আন্দোলন থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ ইতিহাস।

 

নিঃসন্দেহে এই অধ্যয়ন আগামি দিনে হিন্দুদের সাথে যেকোনো সংলাপে কাজে আসবে। ভারতীয় জমিয়ত এই যোগ্যতা কিছুটা অর্জন করেছে। মুফতি মাহমুদ মাদানি এই ইস্যুতে কিছু পড়াশোনা করেছেন বোঝা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিন তালাক নিয়ে কিছু কথা - ৩

 

তিনতালাকের পরে স্ত্রীকে ফেরত নিতে গেলে স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ এবং সংগমের বিধান নিয়ে সেক্যুলার এবং এন্টিইসলামিক গ্রুপগুলো প্রচুর সমালোচনা করে। সেক্যুলারদের আজিব ধারার সমালোচনা আমি শুনেছি। এমনও শুনেছি যে তিন তালাক দিয়ে অপরাধ করেছে স্বামী তাই হিল্লা বিয়ে দিতে হলে দিতে হবে স্বামীর। স্ত্রীকে কেন হিল্লা বিয়ের শাস্তি? হাহাহা। বোঝেন ঠেলা। এমন শর্ত থাকলে পুরুষ মানুষ কি করতে পারে। নির্জনে কোনো নারীর সাথে পায়জামা খোলার স্বপ্ন ভাবলেই একটা ছেলের কি অবস্থা হতে পারে?

 

যাইহোক মূল কথায় আসি।

 

ইসলামে বিয়ে কোনো জন্ম জন্মান্তরের বাঁধন না। এখানে বিয়ে হতে পারে, তালাকও। তবে বিয়ে আর তালাক হাসি তামাশার বিষয় না। তালাকের বিধান ইসলামে অপছন্দনীয় হলেও বিভিন্ন কারণে বিধানটি রাখা হয়েছে। তালাকের পথ না থাকলে মানুষ সংসার থেকে মুক্তি পেতে সঙ্গীকে চরম অবস্থায় হত্যা করতো, পরকিয়া করতো অথবা সারাজীবন একটা দুর্বহ, দুর্বিষহ জীবন যাপন করতো। এজন্য ইসলামে তালাকের বিধান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার মানে এটা না যে ইচ্ছা হলো তালাক দিবেন ইচ্ছা হলো আবার ফেরত নেবেন। এটা হলে অনেক রকম ফিতনার দাড় খুলে যায়। তখন মানুষ সামান্য কারণে বিচ্ছিন্ন হবে আবার পারিপার্শ্বিক চাপে বা লোভে আবার সংযুক্ত হবে। এভাবে তারা কখনো কোনো স্থিতিশীল একটা সম্পর্কে পৌছাতে পারবেনা। এজন্য ইসলাম সর্বচ্চো তিনবার তালাক দেওয়ার সুযোগ রেখেছে। কাউকে তিন তালাক দেওয়ার অর্থ তাকে নিজের জীবন থেকে হত্যা করা। মৃত মানুষকে যেমন জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়না তেমন তিন তালাক দেওয়া স্ত্রীকে সহজে ফিরিয়ে আনা যায়না। তাই তালাক বিয়ের সার্কেলকে খেলাধূলা বানানোর বিরুদ্ধে এক বড় বাধার প্রাচীর স্ত্রীর অন্যত্র বিয়ের শর্ত। উল্লেখ্য ইসলামে তালাকের অধিকার পুরুষের যদিনা খোলা করা থাকে।

 

এমন অবস্থায় যে রাগের মাথায় স্ত্রীকে তিন তালাক দিতে পারে তার কি গ্যারান্টি আছে যে সে তার স্ত্রীকে রাগের মাথায় হত্যা করবেনা? তাছাড়া একটা মানুষ কোনো নারীকে বারবার বলছে তোমাকে তালাক। অর্থাৎ তুমি আমার কাছ থেকে চলে যাও। আবার নিজের স্বার্থে ফেরত নিবে ব্যাপারটি একটা নারীর জন্য চূড়ান্ত অপমানজনক। এমন অপমানজনক জীবন একজন নারী যাপন করুক তা ইসলাম চায়না। তাই নারীকে এমন বিপদজনক, অপমানজনক অশান্তির সংসার থেকে নারীকে বাঁচাতে কঠিন শর্ত আরোপ করেছে। পাশাপাশি ভিন্ন বিয়ের শর্তারোপ করেছে যেন ঠান্ডা মাথায় ভিন্ন অপশন তার হাতে থাকে। আগের পুরুষের প্রতি যৌনতা এবং শারিরীক আবেগ কাটিয়ে উঠে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কারণ অন্য কারও সাথে সহবাসের সুযোগ তার আবেগকে অনেকটা হালকা করে দিবে।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিন তালাক নিয়ে কিছু কথা - ২

 

ইসলামের তালাকের বিধান যদি কেউ বোঝে তাহলে সহজেই বুঝবে যে তিন তালাক হচ্ছে মূলত তিনবার সুযোগ দানের জন্য। ফলে আপনার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে তিন তালাক দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। এক তালাকই যথেষ্ট।

 

বাস্তবতা হচ্ছে বিয়ে এবং তালাক নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের দেশে প্রচুর। আমাদের মিম্বারগুলোকে গালগল্প এবং কাদা ছোড়াছুড়িতে অপচয় না করে জীবন ঘনিষ্ঠ আলাপ হলে মুসল্লিদের সাথে মসজিদের এবং উলামায়ে কেরামের সম্পর্ক বাড়তো বলে মনে করি। ওয়াজ মাহফিল এবং জুময়ার খুতবায় বিয়ে এবং তালাক নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিৎ। চাইলে কিছু বিবাহ কোর্স চালু করা যায়। সেখানে বিবাহ সম্পর্কে মাসলা মাসায়েল, যৌন স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান দেওয়া যায়।

 

পাশাপাশি উলামায়ে কেরাম এর উচিৎ ছোট ছোট বুকলেট করে প্রত্যেক বিয়ের সময় দম্পতিকে বিয়ে বিষয়ক মাসলা মাসায়েল জানানো। কিছুটা সারসংক্ষেপ ছেলে মেয়েকে একত্রিত করে বোঝানো।

 

তাহলে ইনশাআল্লাহ অনেক ফিতনা হ্রাস পেতো।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিন তালাক নিয়ে কিছু কথা -১

 

একসাথে তিন তালাক দেওয়া বিদয়াত। তবে তালাক হয়ে যাবে। যেমন মদ খাওয়া হারাম কিন্তু খেলে মানুষ মাতাল হয় বা আত্মহত্যা হারাম তবে বিষ খেলে মরে যাবে। এটাই চার মাযহাবের ইজমা। হ্যাঁ শিয়া এবং ইবনে তাইমিয়া (রহ) এর দ্বারা প্রভাবিতরা মনে করেন একসাথে হাজারটা তালাক দিলে তালাক একটাই হবে। তবে তারাও মনে করেন ভিন্ন ভিন্ন মজলিশে তিন তালাক দিলে তালাক তিনটাই হবে। তিন তালাক দেওয়ার পরে অন্য কারও সাথে বিবাহ, সঙ্গম অতঃপর তালাক এবং ইদ্দত পালনের পরে পুনরায় পূর্বের স্বামীকে বিয়ে করা যায়। তবে কাজটি অভিশপ্ত। এখন তালাক দেওয়ার নিয়্যাত রেখে বিয়ে করা যাবে কিনা তা নিয়ে এখতেলাফ আছে। হানাফিরা কাজটা অত্যন্ত জঘন্য মনে করলেও কাজটির আইনগত বৈধতা স্বীকার করে। ইবনে তাইমিয়া (রহ) ব্যাপারটিকে মুতার মতো হারাম মনে করেন।

 

চলবে

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই। অন্তত কওমি আঙিনায়। ছাত্রদের জন্য পড়াশোনা করাই বড় রাজনীতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইব্রাহিম (আ)কে আগুন থেকে বাঁচতে দেখেও একজনও ইমান আনলো না। কি আশ্চর্য? আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। আমাদেরও সময়েও বড় বড় কারামত দেখে কেউ ইমান আনেনা। লোকে জিজ্ঞেস করে কি এমন কারামত আমরা আজকের যুগে দেখলাম? হায় কিছু পাগড়িওয়ালা রাশিয়াকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। আমেরিকাকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেছে। এর চেয়ে বড় কারামত আর কি হতে পারে? কিন্তু মানুষ মোল্লাদের কথা শোনেনা।

 

মাওলানা মানযুর মেঙ্গল

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতিরা যতই চাপাবাজি করুক ইতিহাসের এই পয়েন্টে তারা বাংলাদেশের মূল ইসলামি শক্তি বা মূল ইসলামি রাজনৈতিক শক্তি না। কারণ যাইহোক তারা রাজনীতি থেকে বহিস্কৃত দুর্বল রাজনৈতিক শক্তিতে পরিনত হয়েছে। তারা রাজনীতিকে প্রভাবিত করার সক্ষমতা রাখেননা। তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দাওয়াতি কাজ বলতে গেলে ৬০-৭০ ভাগ কমে গিয়েছে। নেতৃত্ব দুর্বল, অদক্ষ, অদূরদর্শী এবং স্থবির। শিবিরের নেতৃত্বে পর্যন্ত নকলবাজরা চলে এসেছে।

 

তাই দেশের বৃহৎ ইসলামি রাজনৈতিক আন্দোলন, মূল ইসলামি শক্তি এধরণের বাগাড়ম্বরপূর্ণ হাস্যকর ফ্রেজগুলো বাদ দেওয়া উচিৎ। মাঝে মাঝে ভাবি তারা উলামায়ে হিন্দের ঐতিহ্যগত উপনিবেশবিরোধী ধারাকে নিয়ে যখন বিভিন্ন রকম তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে অথচ বেশি না ১৮৫৭ এর মতো একটা গনহত্যার শিকার হলে তারা কতটা খাদে পড়বে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়ে মাঝে মাঝে বেশ দুঃখ লাগে। তাদের প্রচুর জনবল আছে। কর্মীরা ত্যাগি এবং আবেগি। কিন্তু দলটিতে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব আছে।

 

তারা যদি তাদের কর্মীদের যোগ্যতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে পারতো তাহলে উম্মাহ অনেক বেশি উপকৃত হতে পারতো।

 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে উম্মাহর কিছু বাজে দোষ আছে। তারা একটা সমাবেশ বা একটা লংমার্চে যে খরচ করতে রাজি তা কোনো গঠনমূলক কাজে রাজিনা।

 

আপাতত তারা ঢাকায় শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত ডে কেয়ার বানালে একটা দূরদর্শী কাজ হতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মডারেট ইসলামের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পাশ্চাত্য দর্শনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ইসলাম। মনে রাখতে হবে সকল গোমরাহিকে মডারেট ইসলাম বলার সুযোগ নাই। বরং এটা একটা পরিভাষা। তাই ইহুদীর দালালের মতো সকল গোমরাহিকে মডারেট ইসলাম বলার সুযোগ নাই।

 

মডারেট ইসলামের উম্মাতেরা "সহজ করো" হাদিসটি ভুল কন্টেক্সটে ভুল ভাবে ব্যবহার করে। আপাতত উসুলি আলোচনায় না ঢুকে বলা যায় মডারেট ইসলামের বিভিন্ন বিধানকে ফিকহি বিরল এবং বিচ্ছিন্ন মত এবং ভিন্ন ভিন্ন মাযহাব থেকে ইনকনসিসটেন্ট উসুলের ভিত্তিতে (একমাত্র কনসিসটেন্ট উসুল পাশ্চাত্যের মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া) চেরি পিকড দলিল দিয়ে তাদের যে সব মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা কেবল ফিকহি দৃষ্টিকোন থেকে মূল্যায়ন করলে একটা ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

 

মডারেট ইসলামকে অরাজনৈতিক মুখোশে রাজনৈতিক চেতনায় অর্থাৎ ডিকলোনাইজেশন এর চেতনায় মোকাবিলা করতে হবে।

 

এজন্য আমাদের দেশের বাস্তবতায় সন্তানরা একটা উপযুক্ত তালিম অর্জনের পূর্বে জামাতিদের থেকে দূরে রাখা জরুরি। মনে রাখতে হবে মডারেট ইসলামের মোকাবেলায় জামাতিরা আওয়ামি লীগের চেয়ে বড় হুমকি এবং বড় চ্যালেঞ্জ। আমি আমার জীবনে একজন জামাতি দেখিনি যিনি চেতনাগতভাবে এই বিষে আক্রান্ত হননি। কিন্তু অনেক আওয়ামী লীগার দেখেছি যার আকিদা ঠিক আছে কিন্তু পার্থিব স্বার্থে দুই নাম্বারি করে। তাই জামাতিদের পার্থিব সহানুভূতি দেখান কিন্তু সন্তানদের তাদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন। কারণ তাদের ব্রেইন ওয়াশ করে মডারেট ইসলামে তারা দীক্ষিত করতে পারে।

 

রাজনৈতিক এবং সামরিক মডারেট ইসলাম প্রতিহত করা বেশ কঠিন। মডারেট ইসলাম ঠেকাতে কিছু অরাজনৈতিক র‍্যাডিকেল ফিকাহ প্রচার করেন।

 

১) দাড়ি ওয়াজিব

২) নিকাব ফরজ

৩) একদিনের বেশি সফরে মেয়েদের মাহরাম অভিভাবক লাগবে

৪) তিন তালাকে তিন তালাক

৫) মিউজিক হারাম

৬) একক মাজহাব মানা ওয়াজিব

৭) অহংকার ছাড়াও টাকনুর নিচে কাপড় হারাম

৮) চাঁদ অবশ্যই দেখতে হবে। জোতির্বিদ্যার হিসাব দিয়ে মানা যাবেনা।

৯) মেয়েদের বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের না হওয়া উচিৎ

 

এই তালিকায় আপনি আরও যোগ করতে পারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গোঁড়া, কূপমণ্ডূক, সেকেলে, পশ্চাৎপদ প্রভৃতি ট্যাগকে ব্যাখ্যা করে আনন্দে মেনে নেন। এসকল উপাধি নিয়ে গর্ব করুন। এতে ট্যাগ দানকারিদের অস্ত্র ভোতা হয়ে যাবে।

 

গোঁড়ামি মডারেট ইসলাম মোকাবেলায় অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

 

মুসলমানদের শক্তি অর্জনের সাথে সম্পর্কিত না এমন প্রত্যেক বিষয়ে ব্যাকডেটেড ফতোয়া গোঁড়াভাবে ফলো করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ওলিপুরির বিরুদ্ধে আহলে হাদিসরা একটা মিথ্যা তোহমত দেয় যে তিনি হুলুল এবং ইত্তেহাদে বিশ্বাসী। অথচ এটা পরিচ্ছন্ন কুফর। ওলিপুরি তার উগ্র মাসলাকবাজি রোগে আক্রান্ত হলেও আল হামদুলিল্লাহ শিরক এবং কুফর থেকে পবিত্র।

 

তাকে হুলুলে বিশ্বাসী বলার মাধ্যমে এসব আহলে হাদিস দাবিকারি গায়ের মুকাল্লিদগন জাহেলিয়াতের পরিচয় দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশে মূর্খ ওলিপুরির কিছু মূর্খ মুরিদ আর ইসলামি চটি আদর্শ নারীর কিছু গাধা পাঠক আছে যারা দাওরা পাশ করেও কিছুই বোঝেনা। জাকির নায়েক ইস্যুতে খোদ দারুল উলুম এবং উলামায়ে পাকিস্তানের বড় বড় উলামায়ে কেরামের বর্তমান অবস্থানও জানেনা।

 

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে যেকোনো জালিম বা ফাসিক যেকোনো কারনে কিছু করলেই এরা শিয়ালের মতো হুক্কাহুয়া করতে শুরু করতে চায় অথচ তাদের চিৎকার ভেড়ার ম্যাতকারের মতো লাগে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা এদেশে এক পাল বোকা ইসলামপন্থী মাহাথিরের ভক্ত। এরদোয়ানের যতই দোষ থাক নিঃসন্দেহে ইসলামের জন্য তার কিছু ভালো অবদানও আছে। কিন্তু মাহাথিরকে কেন তারা পছন্দ করে?

 

ব্যাপারটা বুঝতে চাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

খেলাফতের আলাপ বাদ দিলে গনতান্ত্রিক শাসনের চেয়ে রাজতান্ত্রিক শাসনই উত্তম। এধরণের শাসনের দক্ষতা, স্থায়িত্ব এবং স্থিতিশীলতা ভালো হয়। অনেকে আলে সাউদের প্রতি ক্ষোভকে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু দুনিয়ার রাজনৈতিক সাফল্যের ইতিহাস মূলত রাজতন্ত্রের ইতিহাস। রাজতান্ত্রিক দেশগুলোর গল্প বাদ দিলেও খোদ গনতান্ত্রিক দেশগুলোর রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রায়ই রাজনৈতিক দলগুলো পরিবারতান্ত্রিক। অন্যদিকে বৃহৎ গনতন্ত্রের রাজনৈতিক দলগুলো বড় কর্পোরেট হাউজের নিয়ন্ত্রণে চলে তার মালিকানা পরিবারতান্ত্রিক। কিন্তু এধরণের রাজনীতিতে কর্পোরেট হাউজগুলো গনতন্ত্রের নামে দায় চাপায় রাজনৈতিক দলগুলোর উপর। মাঝখান থেকে কর্পোরেট হাউজের মালিক পরিবার সকল অপকর্মের দায়মুক্তি পায়।

 

আলে সাউদের সমস্যা রাজতন্ত্রের না, স্বার্বভৌমত্বের।

 

ফলে আমি চরমোনাই পির সাহেবের দল ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্ব পরিবারতান্ত্রিক হওয়াকে পূর্ন সমর্থন করি। যারা এর বিরুদ্ধে বলে তারা অধিকাংশই রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দর্শন ও ইতিহাস না বুঝে হুজুগে কথা বলে অথবা রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহ পাক মুমিনদের ব্যাপারে বলেন, তারা মুমিনদের ব্যাপারে কোমল কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর। যারা নিজের চেয়ে শত্রুকে অধিক সম্মান করে তারা যোদ্ধা হতে পারেনা। যারা লিভারপুলের বাসিন্দাদের ফকিরাপুলের বাসিন্দাদের থেকে বেশি ভালোবাসে তারা কিভাবে ইসলামি আন্দোলন করতে পারে?

 

ইমরান খান যা বলেছে তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী বক্তব্য শীতল মাথায় বিশ্বসভায় (!) আল্লামা মাসুদ পৌছে দিয়েছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসুদের ফতোয়ায় একটা বাক্য দেখান যাতে ইমরান খান (হাদা) একমত না। একটা অভিমত দেখান যা ইসলামের বিরুদ্ধে হওয়ায় ইমরান খানও সেই মতের বিরুদ্ধে।

 

কুয়ার ব্যাঙ সাগড়ে পরলে যা হয় তাই শাইখের এসব সমালোচকদের অবস্থা। শাইখের ফতোয়া জাতিসংঘে পৌছেছে এবং ইসলামোফোবিয়ার মোকাবিলায় তুলনামূলক অধিক কার্যকর। বিশ্বব্যাপী অনেকেই বলেছে তিনি পিস এবং রিজনের ইসলামি কন্ঠস্বর। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কিছুদিন আগে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আমেরিকার অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‍্যান্ড ইন্সটিটিউটের সাথে তার সম্পর্ক। কিন্তু এসকল বোকারা বলে তিনি আন্তর্জাতিক (!) লেভেল কিছু করতে পারেননি।

 

আমি প্রায়ই অনেক ভণিতা করি। কিন্তু অত্যন্ত সরাসরি একটা কথা বলি। আল্লাহর কসম ইমরান খানের টুপির চেয়ে মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের জুতা আমার কাছে মর্যাদাবান। কিভাবে এই দুই ব্যাক্তির তুলনা হতে পারে। একজন আলিম, মুহাদ্দিস, ফকিহ, সুফি, মুসল্লি, তাহাজ্জুদগুজার ব্যাক্তি যিনি জীবনে কখনো মদ খাননি, কখনো লাম্পট্য করেননি, নেশা ভাঙ খাননি তিনি কিভাবে ইমরান খানের মতো ইবনে উবাই ইবনে সুলুল এর সাথে তুল্য হতে পারে?

 

যারা মাওলানা মাসুদকে মুলহিদ এবং ইমরান খানকে মুজাহিদদে মিল্লাত বলে তাদের আকলের উপর করুণা। তারাই জজবাতি, তারাই মিসকিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়াটা উপকারী হয়েছে। আমাদের যেসব ভাইয়েরা দাজ্জালের যুগে ফুড সিকিউরিটি নিয়ে সতর্ক করে আমরা প্রায়ই তাদের নিয়ে উপহাস করি। পেঁয়াজ ছাড়াও বাঁচা যায়। তবে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কতা।

 

যারা আয়েশি জীবনে ভারত বিরোধী লড়াই সংগ্রাম নিয়ে বড় বড় আলাপ পারেন তাদের জন্যেও নিজেদের সক্ষমতার সংবেদনশীলতা নিয়ে ভাবার দরকার আছে।

 

ভাইরে আল্লাহ পাক দুনিয়ায় আমাদের সুখ করতে পাঠাননি। পরীক্ষার হলে ঘুমানো একটা জঘন্য ব্যাপার। যারা ঘুমায় তাদের কড়া মূল্য দিতে হবে।

 

আমি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে তবে সচেতনতার পক্ষে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখুল হিন্দ (রহ) এর পরে গত ১০০ বছরে যারা উপমহাদেশে মূলধারায় রাজনীতি করেছেন তাদের মাঝে রাজনীতিবিদ হিসাবে আমার সবচেয়ে পছন্দের রাজনীতিবিদ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (রহ)।

 

তাকে পছন্দ করি তার ডাইনামিক অসাম্প্রদায়িক ইসলামি রাজনীতির কারণে। অবশ্যই তার সকল কৌশলের সাথে একমত না। তবে ৭০ বছর পরে ভুল ধরাটা যত সহজ, নিশ্চয়ই রাজনীতির মাঠে খেলোয়াড় হিসাবে এতো জটিল খেলায় ভুলগুলো উপলব্ধি করা ততটা সহজ না।

 

দাওয়াতের মাঠে সবচেয়ে প্রিয় হজরতজি (রহ)।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মনে করেন ইমরান খানের মত এই রকম একটা বক্তৃতা জাতীর জনকের কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাই দিলেন। তখন আপনার কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে ?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাল একজন ইনবক্সে প্রশ্ন করেছেন, ইমরান খানকে কি আসলেই ঘৃণা করেন? নাকি মূর্তি ভাঙ্গেন?

 

আমি উত্তরে বললাম আসলেই ঘৃনা করি।

 

তিনি জিজ্ঞেস করলেন কেন?

 

আমি উত্তরে বললাম তার অতীত এবং বর্তমানের কারণে।

 

তিনি বললেন তার অতীত খারাপ কিন্তু বর্তমানও....?

 

আমি বললাম আমি তেমনই মনে করি।

 

তিনি জানতে চাইলেন কারণগুলো কি কি? অনুরোধ করলেন সময় থাকলে জানাতে।

 

আমি তাকে যা বললাম তা সামান্য সম্পাদনা করে এখানে শেয়ার করলাম,

 

১) ইমরান খান এক ধরনের ইসলামি বক্তব্য দেন। হয়তো ইসলামে বিশ্বাসও করেন কিন্তু তার ইসলাম মূলত ওরিয়েন্টালিস্টদের চোখে দেখা ইসলাম। তার রিয়াসতে মদিনার মদিনা মূলত রাসুলুল্লাহ (সা) এর মদিনা না বরং স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর শাসন ব্যবস্থা। (আপনি তার বুকলিস্ট চেক করুন। আমি নিশ্চিত ইসলাম সম্পর্কে তার অধ্যয়ন করা বইগুলোর লেখক ক্লাসিক্যাল আলিমগন নয়)

 

২) সে মূলত পাকিস্তান আর্মির পুতুল। কিন্তু পাকিস্তান আর্মি আর্মি হিসাবে পাপগুলো করলে সে পরিমান লেজিটেমিসি পাওয়া যায় তার চেয়ে একটা সিভিল ফেস অনেক কাজের। এধরণের পাপেট নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়া ইসলামি আন্দোলনের জন্য কল্যাণকর হবেনা।

 

৩) সে জাভেদ আহমেদ গামেদির ভক্ত। আর বাস্তবতা হচ্ছে তার চিন্তা ও বক্তব্যে জাভেদ আহমেদ গামেদির চিন্তার সাথে মিল পাওয়া যায়।

 

৪) তার সাথে কাদিয়ানীদের সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। তিনি বিভিন্ন সময় কাদিয়ানীদের বিভিন্ন ব্যাক্তির খোলাখুলি প্রশংসা করেন। তার দলের কেউ কেউ কাদিয়ানী খলিফার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং সমর্থন প্রত্যাশা করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট মুক্তির প্রত্যাশায় কাদিয়ানিদের সাথে গোপন আঁতাতের গুরুতর অভিযোগ আছে।

 

৫) আসিয়া বিবি কেস নিয়ে অনেক আলাপ করা যায়। কিন্তু আমি কেসের ডিটেইলসে যাবোনা। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে আসিয়া বিবি কেসের চূড়ান্ত রায় পূর্ববর্তী সকল রায়ের সাথে সাংঘর্ষিক। এমনকি পূর্ববর্তী খুল্লাম খুল্লা সেক্যুলার শাসকদের আমলেও এই কেসে ভিন্ন রায় হয়েছিলো। পূর্ববর্তী সেক্যুলার মন্ত্রী এবং বুদ্ধিজীবীরা আইন নিয়ে অভিযোগ করেছিলো বিচার নিয়ে নয়। ফলে এই রায় হয়েছিলো পশ্চিমা প্রভুদের ইচ্ছায়। তারপর খাদিম হোসেন রিজভীর সাথে ওয়াদা করা হয়েছিলো আসিয়া বিবি দেশ ত্যাগ করতে পারবেনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসিয়া বিবি পাকিস্তান ত্যাগ করে। আন্দোলন প্রত্যাহার করার পরে খাদিম হোসেন রিজভীর মতো পঙ্গু আলিমকে গ্রেফতার এবং নির্যাতন করা হয়।

 

৬) আইএমএফের কাছে আত্মসমর্পণ। অথচ সে এটা নিয়ে ক্ষমতায় আসার আগে অনেক বড় বড় বয়ান ঝেড়েছে। পরে নির্লজ্জের মতো ইউ টার্ন নিয়ে দাতা সংস্থাগুলোর কাছে স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব বন্ধক রাখার পায়তারা করছেন।

 

৭) আফগানিস্তান ইস্যু এবং কাশ্মির ইস্যুতে পারভেজ মোশাররফের চেয়ে সামান্য আলাদা কোনো কিছু করতে ব্যার্থতা। তিনি যখন বিরোধী রাজনীতি করতেন তখন ওয়ার অন টেররে মোশাররফ এবং তার পরবর্তী শাসকদের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তার আমলেও পাকিস্তান এই আমেরিকান লড়াই থেকে সড়ে আসেনি। এখনো ন্যাটোর সাপ্লাই বন্ধ হয়নি। কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর কাজ করার সুযোগ মেলেনি। গুম, খুন বন্ধ হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইন্টিলিজেন্স শেয়ারিং বন্ধ হয়নি। এমনকি এখনো তিনি আফগান প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থন না জানালেও আশরাফ ঘানি সরকারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি এবং নিজের লিবারেল ইমেজ তৈরিতেই অধিক ব্যাস্ত।

 

৮) নিয়মিত আলিমদের গুপ্তহত্যা। কিন্তু কোনো গুপ্ত হত্যার অপরাধীকে ধরতে ব্যার্থতা। বিশেষত মাওলানা সামিউল হক ইস্যু। আসিয়া বিবি কেসের রায়ের পরে খাদিম হোসেন রিজভীর প্রতি তিনি সমর্থন ও সহানুভূতি জানালে তিনি নিহত হন। আজ পর্যন্ত তার হত্যাকারীদের সম্পর্কে জানা যায়নি। তাকি উসমানির উপর আক্রমণকারীদের নামও জানিনা। কিন্তু কাফেরদের কারও ক্ষতি হলে বাস্তবতা ভিন্ন হতো। যেমন ডেনিয়েল পার্ল হত্যাকারীদের পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স ঠিক খুঁজে বের করেছে।

 

৯) তিনি একজন জাত চাপাবাজ। নিয়মিত চাপা মারেন। কিন্তু কাজের বেলায় ঠনঠনাঠনঠন। এই যে কাশ্মির নিয়ে সে এখন বীরত্ব দেখাচ্ছে কিন্তু চলমান হাঙ্গামার ইতিহাস বেশ পুরাতন। সে হৈচৈ করছে বিজেপির আইন পাশের পরে। কিন্তু এটা মোদির নির্বাচনি মেনিফেস্টো ছিলো। প্রস্তুতিও ছিলো দীর্ঘ। কিন্তু তা প্রতিহত করতে ইমরান খান তেমন কিছুই করেনি। অথচ এধরণের ঘটনা ঘটে গেলে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। যাইহোক বাস্তবতা হচ্ছে চাপাবাজির বাইরে সে মোশাররফের কাশ্মির পলিসিই বহাল রেখেছে। কার্যকর কিছুই করেনি। আর করবেও না।

 

১০) পাকিস্তানের ইসলামি শক্তিগুলো যাদের মাঝে জমিয়ত এবং জামাতে ইসলামিও আছে তারাও তাকে পছন্দ করেনা বিষয়টি অনুমান করার জন্য পর্যাপ্ত বক্তব্য না হলেও একটা দারুন হিন্টস।

 

এমন আরও অনেক কিছুই আছে।

 

যাইহোক তারপরে ভদ্রলোক আর কিছু জিজ্ঞেস করেননি। প্রতিক্রিয়াও জানাননি।

 

*******************************************

 

শেষে একটা কথা। আমি মাওলানা ফজলুর রহমানের সরকার পতন আন্দোলনের সমর্থক না। নাওয়াজ শরীফ, ভুট্টো সবার চরিত্রই এক৷ অযথা হাঙ্গামা করে ইসলামপন্থীদের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়া কোনো ভালো কাজ হবেনা।

 

আমার দাওয়াত শুধু এটাই যে,

 

১) ভুল নারীর প্রেমে পড়েননা। তার চেয়ে বেশ্যার বাড়িতে কাজ সেড়ে আশা ভালো। মূল্য কম দিতে হয়। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে বেশ্যার কাছে কাজ সেড়ে আসা আর বেশ্যার প্রেমে পড়া ভিন্ন টপিক।

 

২) উম্মাহর সমস্যার প্যারাসিটামল সমাধান না স্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান খুঁজতে হবে। প্রয়োজনে দীর্ঘ এবং পরিশ্রমসাধ্য সাধনা করতে হবে।

 

৩) স্বপ্নের কিবলা ঠিক করেন। কোথায় যেতে চান? মদিনা নাকি অসলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের মতো অর্থোডক্স মুসলমানদের না বরং আপনাদের পছন্দের স্মার্ট ইয়াসির কাদি ভাইয়ের লেকচার শুনুন।

 

আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলুল রাসুলুল্লাহ (সা) এর প্রশংসায় অধিকাংশ সাহাবার চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন।

 

আচ্ছা বাগদাদিওতো অনেক কিউট কিউট ইসলামি কথাবার্তা বলতো। পাত্তা দেননি কেন? জাতিসংঘে না বলে মসজিদে বলেছে বলে? হাহাহা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হাদিস দীন না ইতিহাস৷ আমাদের নবীর ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। কিন্তু তা ওহিও না, ইলহামও না ইতিহাস। - জাভেদ আহমেদ গামেদি।

 

জামানার নয়া সুলতান ইমরান খানের প্রিয় স্কলার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি যেকারণে ইসলামি দল এবং তাদের সমর্থকদের পছন্দ করিনা তা হচ্ছে তারা ছাগল। ইমরান্যে ভালো হলে পারভেজ মোশাররফ খারাপ কেন? ন্যাটোর সাপ্লাই বন্ধ হয়েছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগ নয় এমন গোষ্ঠীগুলোর প্রধান কাজ দুইটি।

 

১) ক্ষমতায় না গিয়ে কিভাবে জনকল্যাণে কাজ করা যায় সেই উপায় খুঁজে বের করা এবং সেই উপায়ে কাজ করা।

 

২) সরকারকে আস্বস্ত করা নিকট ভবিষ্যতে তাদের সাথে আমাদের রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

 

আসলে ক্ষমতায় না গিয়েও জনকল্যাণে করার মতো অনেক কিছু আছে। আড়াই হাজার বছর ধরে ইহুদিরা ক্ষমিতায় না গিয়ে, বারবার প্রচন্ড নিপীড়ন এবং গণনির্বাসনে গিয়েও নিজেদের শক্তিশালী গোষ্ঠী হিসাবে ধরে রেখেছে।

 

শাইখ হারুন ইজহারের মুজাদ্দিদে আলফে সানি মডেল এবং সামাজিক শক্তি আলাপ ধারণাগত রেটরিক হিসাবে অত্যন্ত ভালো। তার পাবলিক মবিলাইজেশন বা সশস্ত্র সংঘাত এড়ানোর ঘোষণাও দারুণ ছিলো। কিন্তু এই ম্যাক্রো ধারণাগুলো মাইক্রো ইমপ্লিমেন্টেশনে মনে হচ্ছে তিনি সঠিক পরিকল্পনা নিতে ব্যার্থ হচ্ছেন। রাহমানি সাহেব নিঃসন্দেহে ভালো আলিম ছিলেন। কিন্তু কোথাও পড়েছিলাম কিছু আহলে হাদিস ছেলের প্রভাবে তার ভেতর তাওয়াসসুব পয়দা হয়েছিলো৷ ফলে তিনি আহলে জাহিরের প্রবণতা ধারণ করেন, শাখাগত মাসলাগত বিতর্কে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষেত্রে ভিন্নমতাবলম্বীদের ক্ষেত্রে আদাবুল এখতেলাফ ধরে রাখতে পারেননি। যাইহোক আমি শাইখ হারুনের কিছু বক্তব্য শুনলাম। তাকেও মনে হলো তিনি তার কোনো অগভীর চিন্তার অধিকারী সহচরের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন। এমন হয়। মানুষ সর্বদা নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে পারেনা। সে তার সহচরদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। উহুদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ছিলোনা।

 

শাইখ হারুন ইজহারের বাড়ি চট্টগ্রাম। বাংলাদেশে আহলুল বিদয়াহর তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কট্টর ধারা চট্টগ্রামে প্রভাবশালী। তারা শাইখের পরিবারের সাথে প্রায়ই বিভিন্ন জুলুম করে থাকে। ফলে হয়তো এব্যাপারে ভারসাম্য ধরে রাখা শক্ত। তবে তিনি সুফিবাদ ব্যাপারটা শ্রেনীবিন্যাস না করে সড়াসড়ি বিদয়াতি চিন্তার হিসাবে বলে ফেললেন তা ইনসাফ না। বিশেষত মুজাদ্দিদে আলফে সানি (রহ), শাইখ বদিউজ্জামান নুরসি (রহ) এর মডেলকে আদর্শ ঘোষণা করে সুফিবাদকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান অত্যন্ত হাস্যকর।

 

সুফিবাদ প্রত্যাখ্যান করে এমন আলাপ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আরেকটা বড় বিভ্রান্তি অনেকের আছে। জানিনা এটা শাইখেরও আছে কিনা। আমরা গনতন্ত্র প্রোমোট করছিনা। নির্বাচন, সশস্ত্র সংঘাত বা পাবলিক মোবিলাইজেশনে জনসমর্থন অত্যন্ত দরকারি। কিন্তু মুজাদ্দিদ (রহ) এর মডেলে বা অন্য কোনো টপ ডাউন এপ্রোচে অনেকে জনসমর্থন অপেক্ষাকৃত অগুরুত্বপূর্ণ ভাবেন। কিন্তু এই ধারণা সঠিক না। বৃহৎ জনসমর্থন শাসক এবং স্ট্যাবলিশমেন্টের অন্তরে প্রভাব তৈরি করে। যা দাওয়াতকে কার্যকর ও ফলদায়ক করতে দারুণ কাজে লাগে। তাছাড়া যেকোনো টপ ডাউন এপ্রোচকে সফল করতে জনমত অত্যন্ত দরকারি। ইতিহাস তেমনই বলে।

 

বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে সুফি সিলসিলা এবং তরিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব আছে। আহলুল হাদিস বা আহলে জাহিরের অন্যান্য ধারা দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে এই সুফিবাদকে পূর্ন প্রত্যাখ্যান অবশ্যই যেকোনো সংস্কার আন্দোলনের চূড়ান্ত সাফল্য অর্জনকে অসম্ভব করে তুলবে। এদেশে তাসাউফকে পরিশুদ্ধ করতে চাইলে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) কে অনুসরণ করতে পারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইনসাফ মুসলমানদের চাদর। ইমরান খান উইঘুর নিয়ে বলেননি। ঠিক করেছেন। বলা উচিৎ না। এই ব্যাপারে তার অবস্থান সঠিক। আবেগে কথা বলে লাভ নাই। বলেই কি লাভ হতো। কিন্তু চীনের সাথে সম্পর্ক পাকিস্তানের জন্য জরুরি। আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা ভালো জিনিস না। হুদায়বিয়ার পরে মক্কার মুসলমানদের জন্য কিছু করা থেকে হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা) এর উপস্থিতভাবে তেমন কিছু করার ছিলোনা। একসাথে সবাইকে শত্রু বানানো অসম্ভব এবং অবাস্তব জজবাতি কথাবার্তা। উইঘুর মুসলমানদের উচিৎ হিজরতের চেষ্টা করা। যেখানে সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আফগানিস্তান এবং কাশ্মির ইস্যুতে তার ভূমিকা কি? খোদ পাকিস্তানে তার কার্যক্রম কি? কাদিয়ানী ইস্যুতে তার ভূমিকা কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাবা যায় তারা লুচ্চা ইমরানের জন্য ওযর তালাশ করবে অথচ যিনি তার জীবনে প্রায় প্রতিদিন এমন দুই চারটি ভাষন দিয়েছেন, জীবনটা ইসলামের জন্য উৎসর্গ করেছেন সেই আল্লামা আহমদ শফি (দাবা) এর জন্য কোনো ওযর নাই।

 

যাইহোক ১৯৭১ সালে পরাজয়ের পরে মদারু আগাখানি ইয়াহিয়া খানের ভাষণটা শুনেছেন? শুনেন। ওয়াজ কিন্তু ব্যাটায় সেদিনও খারাপ করেনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উম্মাহর জন্য ইমরান খানের চেয়ে মোস্তফা কামাল পাশার অবদান হাজার কোটিগুন বেশি ছিলো। গ্যালিপোলির যুদ্ধ কোনো সাধারণ যুদ্ধ ছিলোনা। নিঃসন্দেহে গত ৩০০ বছরের ইতিহাসে এমন বিজয় হাতেগোনা। কামাল গ্যালিপোলির বিজেতা। তাহলে তার জনপ্রিয়তা কেন তখন বেড়েছিলো তা সহজেই অনুমেয়।

 

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হলো সবাই জানে। পাকিস্তানের সমাজকে পাশ্চাত্যিকরণের এজেন্ডা ইমরানের দ্বারা যেভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে তা অকল্পনীয়। আল্লাহ হেফাজত করুক। একবার অনুমান করেন যদি জাভেদ আহমেদ গামেদি যদি রাষ্ট্রপতি হতেন তাহলে ইমরানের ভাষনের চেয়ে তার ভাষণ আলাদা হতো। ইমরান তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। এখন মুসলমানরা কি তাহলে গামেদিরও ভক্ত হয়ে যাবে? এতো নির্বুদ্ধিতার ঔষধ কি?

 

আমি জানি আমার বক্তব্য অত্যন্ত তেতো লাগছে। আফিমে আসক্তদের জন্য যারা আফিম খেতে নিষেধ করে তাদের চেয়ে বড় শত্রু জগতে কেউ নাই। আমার নিজেরও আজকাল যুগপৎ অদ্ভুত এবং কষ্টদায়ক লাগে যে আপনাদের সাথে আমি কদাচিৎ একমত হতে পারি। কিন্তু কোনো ইস্যুতে অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে শুধু সার্ফেস লেভেলে রেসপন্ড করার চরিত্র এই উম্মাহকে কোথায় নিয়ে যাবে? প্রত্যেক বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে নাচা উম্মাহকে বাঁচানোর উপায় কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভারত এবং পাকিস্তানের যতই শত্রুতা হোক একটা জায়গা দারুন মিল। জনগণকে বোকা বানানো খুব সহজ। রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ব্যার্থতা ধর্মীয় বাগাড়ম্বর দিয়ে ঢেকে দেওয়া যায় খুব সহজে। জনগণ ধার্মিক না তবে ধর্মান্ধ। এখানে এসে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করি আল্লামা কাল মার্ক্সকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লাহর কসম করে বলছি যদি আখিরাতের বিষয় সম্পর্কিত না হতো তাহলে আমি কখনো মুসলমান থাকতামনা। এই মুসলমানদের মতো এতো বড় বোকা**** জাতী জগতে কে আছে? কোথায় আছে? জাতিসংঘে বড় বড় লিডারদের মুখের উপর কে পেদে এসেছে তা নিয়ে সবাই আভেগে কাইন্দালাইছে। ইবনে উবাই ইবনে সুলুলদের বিশ্বাস করার জন্য এই বলদা উম্মাহর অযুহাতের অভাব নাই। ভেড়া*** জাত কান্দো। বেশি বেশি কান্দো।

 

বেশ্যা বোরখা পড়ে খদ্দের ধরতে এলে এরা রাবেয়া বাসরির চেয়ে বড় অলি বানিয়ে দিবে।

 

আমাদের কাছে আছিয়া বিবি টাটকা স্মৃতি। খাদিম হুসাইন রিজভির মতো পঙ্গু আশিকে রাসুলের সাথে গাদ্দারি এবং নিপীড়নও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি বুঝিনা আমার পুরাতন এবং সমঝদার পাঠকরা কেন এখনো আমার পোস্ট পড়ে বিভ্রান্ত হন?

 

কারও কারও ধারণা আমি নুরুর সমালোচনা করেছি। কিন্তু তাদের ধারণা সত্য না। আমি বলতে চেয়েছি, তথাকথিত ইসলামি রাজনীতির নুরুর চেয়ে অধিক কিছু করার সক্ষমতা নাই। তাই তথাকথিত ইসলামি রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা বর্তমান বাস্তবতায় নাই। এদেশে এস্টাবলিশমেন্ট জেনারেলি ইসলামোফোবিক। এটাই বাস্তবতা। গোঁয়ার্তুমি করে বাস্তবতা না মানলে হৈচৈ করা হবে। কিন্তু সংকট নিরসণ হবেনা। তাই সেটাই করা উচিৎ যা করলে লাভ হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লোকটা আমাদের সকল ইসলামপন্থী এবং হুজুরের চেয়ে বুদ্ধিমান।

 

‘জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার চেয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করা বেশি ফলদায়ক’

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আবু বকর (রা) এবং আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা) এর ব্যাপারে বলা হতো তারা যখন প্রস্তুতি নিতেন তখন মনে হতো আল্লাহর উপর তাদের কোনো ভরসা নাই। কিন্তু প্রস্তুতি শেষ হলে মনে হতো ফলাফলের জন্য তারা কেবল আল্লাহতেই ভরসা করেন, প্রস্তুতির উপর তাদের সামান্যতম ভরসা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডাকসুর সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানানো ইসলামপন্থী কি আমি একাই?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তথাকথিত ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর বাগাড়ম্বরপূর্ণ , বকোয়াসসর্বস্ব এবং ফিউটাইল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো দেখতে দেখতে ক্লান্ত। জামাত, জমিয়ত, খেলাফত বা চরমোনাইয়ের ভোটের মিছিলে হৈচৈ করার চেয়ে ভান্ডারী দরবার শরীফে সামা মাহফিলে বা মেহলভি তরিকার সুফিদের ঘূর্ণিনাচের মজমায় ইশকের সবক নেওয়াটাও অর্থপূর্ণ মনে হয়। অন্তত এগুলো অ-ঔপনিবেশিক।

 

বোকা*** হুযুরদের পরিত্যাগ করার অন্যতম কারণ 'জানি কিছু হবেনা কিন্তু আল্লাহ দেখলো' এমন আজগুবি ছ্যাকা ডায়লগ দিয়ে আমাদের সাথে আবেগের ব্যবসা করে নিজেরা লিডার হওয়ার, পোস্টারে নাম যাওয়ার আর মঞ্চে সামনের সাড়িতে সিট পাওয়ার ধান্দা।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সামান্যতম প্রতিবাদ করতে আমি রাজিনা যতক্ষণ না আমাকে লাভের হিসাবে বুঝিয়ে দিবেন। আপনার খায়েশ না হয় আন্ধা জজবার যৌন সুখ মেটানোর দায় আমার না।

 

কি এক বালের শব্দ শিখছে আন্দোলন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার আবেগি ভুট পাগলা সংগ্রামী জাতী চান্স পাইলেই ভুট দেয় আর সংগ্রাম করে। যেখানে চান্স পায় সেখানেই ভুট দেয়। আগে দেশে ভুট ছিলো দিতো। এখন পত্রিকা, ফেসবুকে দেয়। তারা চান্স পাইলে সংগ্রামও করে। সংগ্রাম মানে মিছিল আর বক্তৃতা। আজকাল বিপ্লবের আহ্বান। কোনো যদি কিন্তু ছাড়া আমি এমন অনেক কিছু পছন্দ করিনা যা আজ ২৫০ বছর ধরে এদেশে মুসলমানদের জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। অনেক হারাম উরুফে পরিনত হওয়ায় উলামারা তা হালাল মেনে নিয়েছেন। জনতার ঘৃনার অনুভূতি আসক্তিতে বদলে গিয়েছে। এসব পালটে দেওয়ার স্বপ্ন দেখা মানুষ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু আমি এখনও আকিদার জায়গা থেকে তা প্রত্যাখ্যান করি। ফলে লোকেরা কেউ কেউ আমাকে কল্পনাবিলাসী বলে অনুমান করেন। অথচ আমি এমন কোনো সমালোচনা করিনা যার বাস্তব সমাধান বলিনা।

 

ডাকসু নিয়ে যা হয়েছে তা হওয়ারই ছিলো। কালকের সিদ্ধান্তের টার্গেট ইসলামি ছাত্র শিবির না। ইসলামি ছাত্র আন্দোলন। এই সিদ্ধান্তের কারণ অবশ্যই কোনো যদি কিন্তু ছাড়া ইসলামোফোবিয়া। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচারদের অনেকেরই সমাজ বৈজ্ঞানিক ইস্যুতে বুদ্ধিবৃত্তিক যোগ্যতা আমার চেয়ে কম। আমি হাওয়ায় গিট্টু দিয়ে বলছিনা। তাদের সাথে মিশেই জানি। কিন্তু এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। আমি যেকারণে তথাকথিত ইসলামি রাজনীতি নিয়ে বিরূপ আর তাদের কারণ অবশ্যই ভিন্ন তা না বোঝার কিছু নাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সমাধান কি?

 

১) বাস্তবতা হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ অংশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরা দীর্ঘ কলোনিয়াল শাসনের কারণে মুসলিম সমাজের বড় একটা অংশ মুরতাদ হয়ে গিয়েছে। আমরা রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক স্বার্থে প্রকাশ্যে তাকফির প্রচার না করলেও আমাদের সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই ইমান আকিদার বিষয়গুলো এবং ইমান ভঙ্গের কারণগুলো শেখাতে হবে।

 

২) প্রচুর দাওয়াতি কাজ করতে হবে। বেসিক ইসলামি দাওয়াত। এজন্য আলাদা সংগঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আলাদা আলাদা দাওয়াতি সংগঠন হবে যারা কোনো দলের লেজুড় হবেনা। কিন্তু তাদেরকে সবাই পেছন থেকে কৌশলগত সহযোগিতা করবে।

 

যেমন

ক. অর্থনৈতিক সহায়তা

খ. প্রয়োজনীয় দাওয়াতি সাহিত্য নির্মান

গ. প্রাজ্ঞ আলিমদের আলাদা মজলিস করা যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসতে পারে।

 

এধরণের সংগঠন বর্তমান বাস্তবতায় হতে হবে বিশুদ্ধ ধর্মীয় সংগঠন হতে হবে। যেনো কোনো জানোয়ারের বাচ্চা নিষিদ্ধ করলেই হাইকোর্টে রিট করা যায়।

দরকারি কাজ না করে ফেসবুকে আন্দোলন সংগ্রাম করে সরকার, ডাকসু বা বাম নাস্তিক বুদ্ধিজীবীকুলের একটা ***ও ছিড়তে পারবেননা। গত ৬-৭ বছরে আন্দোলনতো কম করলেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডাকসুর সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাচ্ছি। নুরুর ভোটারদের অভিনন্দন। আজ আমার স্বপ্নের প্রথম ধাপ পূর্ণ হলো। আশা করি আগামীতে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নির্বাচনি নিবন্ধন বাতিল করা হবে।

 

এদেশে কোনো ইসলামি রাজনীতি নাই। ইসলামের সাইনবোর্ডে রাজনীতি আছে। অনেকটা হালাল পতিতালয়ের মতো।

 

কথা পরিস্কার। হয় তাবলীগ করুন নয়তো ছাত্রলীগ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আসলেই বুঝতে পারছিনা হুযুররা ঢাবিতে রাজনীতি করে কি করবে?

 

তাদের দুইটার একটা করা উচিৎ

 

১) তাদের দাওয়াতি এবং তালিমি সংগঠন করা উচিৎ

 

২) ছাত্রলীগ করা উচিৎ

 

কারন ইসলামি সংগঠনের কেউ ডাকসুর নেতা নির্বারিত হয়ে মেয়েদের সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন। ভাবেন দেখি অবস্থাটা। বাকি মিছিল করে পোস্টার মেরে তামাশা করা ছাড়া আর কিছু হবেনা।

 

এসব বাদ দিয়ে বাচ্চারা ঘুমিয়ে পড়ো। সকাল সকাল উঠে পড়তে বসতে হবে। হাফেজ্জি হুযুর বলেন, ছাত্র জীবনে পড়াশোনাই রাজনীতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসলিম অধ্যুষিত জাতিরাষ্ট্রগুলোর শাসকদের অনুরোধ করছি, পায়ে ধরে অনুরোধে করছি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা ধর্ম নিয়ে কথা বলেননা। আপনারা সেক্যুলার হয়ে যান। এই ইসলামি চ্যানেল খোলার চেয়ে আপনারা আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ডে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেন। খুশি হবো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসলমানদের রাষ্ট্রগুলো কিছু করবেনা। কারণ এস্টাবলিশমেন্টের চরিত্রই এমন। তারা কেউ স্বাধীন না। সদিচ্ছাও বিরল। তাই তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা অর্থহীন। তাই উম্মাহর সদস্যদের ব্যাক্তিভিত্তিক কাজ করতে হবে। আমাদের সেগুলো করা উচিৎ যা আমরা করতে পারি। এজন্য আমার কিছু প্রস্তাব

 

১) হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরি করতে হবে। এটা থিওলজিকাল এবং সেক্যুলার উভয় ডোমেইনেই।

 

২) উম্মাহর প্রত্যেক সদস্যকে অপচয় কমাতে হবে।

 

৩) সীমিত সম্পদ উম্মাহর এগজিস্টেন্সিয়াল স্ট্রাগলে ব্যয় করতে হবে।

 

৪) বিয়ে, জন্মদিন, খতনায় খরচ না করে শিক্ষাখাতে খরচ করতে হবে।

 

৫) শিক্ষার ক্ষেত্রে দরকারি এবং প্রভাবশালী জ্ঞান বেশি অর্জন করতে হবে।

 

৬) খাবারের ক্ষেত্রে মুখোচরক এবং দামি খাবারের পরিবর্তে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এরদোয়ান, মাহাথির এবং ইমরান সম্পর্কে আমার ধারণা

 

মুসলিম জাতীরাষ্ট্রগুলোর শাসকদের মাঝে এরদোয়ান শ্রেষ্ঠ। আমি তাকে ফাসিক মুসলিম শাসক মনে করি। তিনি চিন্তাগতভাবে মূলত ইখওয়ান এর মডারেট অংশ। উম্মাহর জন্য ব্যাথা আছে। চূড়ান্ত বাস্তববাদি। উম্মাহপ্রীতির চেয়ে শাসন ক্ষমতা অধিক গুরুত্ব পায়। তুরস্কের দুষিত আবহাওয়ার কারণে ব্যাক্তিগত ইসলাহর সীমাবদ্ধতা আছে। জাহেলি পরিবেশে থেকে পরিপূর্ণ ইসলামি চরিত্র অর্জন নবি ছাড়া অন্যদের জন্য প্রায় অসম্ভব। কিন্তু বাস্তব কারণে তাকে তুরস্কের জাহিল অংশের সাথেই আজীবন সময় কাটাতে হয়। তবে তার ইসলামি রেটরিকের অনেক বড় অংশ নিছক তাকওয়া ও ইশক উৎসরিত না। বরং পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ধান্দাবাজিও জড়িত। তিনি নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রেখে উম্মাহর জন্য আসলেই কিছু করতে চান তবে নিজের ক্ষমতা সামান্য ঝুঁকিতে ফেলে কোনো কাজ করার সম্ভাবনা নাই।

 

মাহাথির হচ্ছে বড়জোড় একজন জিন্নাহ। তিনি মালয়েশিয়ান জাতীয়তাবাদী শাসক যিনি বাস্তব কারণে চীনের সাথে ভারসাম্য রক্ষায় মার্কিন বলয়ের রাজনীতিবিদ৷ মালয় মুসলমানদের প্রতিনিধি হিসেবে ইসলাম নিয়ে কথা বলেন তবে চরমপন্থী মাকাসিদবাদি ভাষায়। উম্মাহ নিয়ে বক্তব্য রাজনৈতিক প্রয়োজন অনুযায়ী। তবে বিদ্যমান বাস্তবতায় মালয় মুসলমানদের জাগতিক উন্নয়নের জন্য তার রাজনীতি ভালো। আত্মরক্ষার রাজনীতি।

 

ইমরান খান - আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলুল

এমনকি রেটরিকের রিয়াসতে মদিনার মদিনা হেজাজে না স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় অবস্থিত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মনে করে আফগানিস্তানে আমেরিকাকে তালেবান হারিয়েছে তারা বদ্ধ উন্মাদ। যখন দুনিয়া প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে মানবেতিহাসের উচ্চতম চূড়ায় তখন চূড়ান্ত পশ্চাৎপদ এক গেঁয়ো পাহাড়ি শক্তি ৪৮ টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত নেটোর নেতৃত্ব দানকারী আমেরিকাকে হারানো এক অসম্ভব গাল গপ্প। আমেরিকাকে হারিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ। সুনিশ্চিতভাবে সেখানে ফেরেশতারা যুদ্ধে অংশ নেয়। এই বস্তুবাদের দুনিয়ায় বস্তুর উর্ধ্বে ইমানের শক্তিকে প্রমান করতে আল্লাহ আমেরিকাকে পরাজিত করেছেন।

 

যারা ভাবে ভূগোল আমেরিকাকে হারিয়েছে তারা জানেনা যে আফগানিস্তান ছাড়া পৃথিবীতে অনেক পাথুরে জমিন আছে অথচ সেসব পাথুরে ভূখণ্ডের অধিবাসিরা আমেরিকার গোলামদেরও সিজদাহ দেয়। যারা ভাবে আফগান সংস্কৃতি এবং সাহস আমেরিকাকে হারিয়েছে তারা জানেনা যে সাহসের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস জগতে অনেকের ছিলো কিন্তু তারা সকলেই ইউনিপোলার দুনিয়ায় আমেরিকার সামনে ঠিক মাথা ঝুকিয়ে দিয়েছে। এইতো গাদ্দাফি সারাজীবন বড় বড় বয়ান দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সহযোগী। মহাবীর রুস্তমের ইরান, ডেথ টু আমেরিকার স্লোগানদাতা ইরান সাহস করেনি লিপ সার্ভিসের অতিরিক্ত মার্কিনিদের মুখোমুখি দাঁড়াতে। বরং ঠিক লেজ গুটিয়ে আফগানিস্তান এবং ইরাকে হয়েছে মার্কিন সহযোগী। এসম্পর্কে বুঝতে পড়তে পারেন বুশের ভাষায় আফগানিস্তানের লরেন্স অব আরাবিয়া রেয়ান সি ক্রোকারের লেখা নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধ Talk to Iran, It works. যারা ভাবে পাকিস্তানের সহায়তায় বা ডাবল গেমে আমেরিকা হারছে তারা জানেনা পাকিস্তান নিজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চোখ তুলে দেখতেও ভয় পায়।

 

আফগানিস্তানে মার্কিন খরচ মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় সমস্যা না। ভিয়েতনাম যুদ্ধে ডলার ছাপিয়ে এই সমস্যার মোকাবেলা করা হয়েছে। আবারও তা করতেই পারে। আমাদের সহিহ আরব ভাইরাতো আছেনই তেল বেঁচে মুসলমান হত্যার পয়সা পূরণ করে দিতে। কিন্তু তাদের দয়ায় পেট্রো-ডলারের দাপট এতো সহজে কমতো না। সম্মুখ সমরে ১৮ বছরে যে কয়জন সেনা মারা গিয়েছে ভিয়েতনাম যুদ্ধে তা মাসে মারা যেতো। অথচ বিপুল পরিমান আফগান মারা গিয়েছে। আজও আমেরিকান এরিয়াল পাওয়ারের সামনে দাঁড়ানো দুস্বপ্নেও তালেবানের পক্ষে সম্ভব না। এযুদ্ধে জিততে যা করা সম্ভব সবই তারা করেছে। এমনকি পারমানবিক বোমার পরে সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা মাদার অব অল বোম্ব পর্যন্ত ব্যাবহার করেছে। এমন যুদ্ধে তালেবানের পক্ষে কিভাবে সম্ভব যুদ্ধজয় করা?

 

কিন্তু আল্লাহ চাননা সবাই কাফের হয়ে যাক। তিনি প্রমান করতে চাব এরিস্টটলের খোদা না ইব্রাহিম, মুসা এবং মুহাম্মদ (সা) এর খোদা সত্য। আল্লাহ প্রমান করতে চাইলেন তিনি দুনিয়া তৈরি করে ঘুমিয়ে যাননি। তিনি নিজে আকাশ এবং দুনিয়া চালান। তাই আফগানিস্তানের মাটিতে যুদ্ধ শুরু করেন। সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত সারাদুনিয়ার সকল কাফিরদের বিরুদ্ধে খালি পা এবং ছেঁড়া জামা পরা মূর্খ পাহাড়িদের বিজয়ী দেখানোর যুদ্ধ। নিজেকে সর্বশক্তিমান প্রমানের যুদ্ধ। এজন্য যখন তালেবানের বুলেট ব্যার্থ হতো তখন আসমানের ফেরেশতারা সফলভাবে অস্ত্র চালাতো। এজন্য যুদ্ধে মার্কিন মৃত ফৌজের সংখ্যা অত্যন্ত সামান্য। কিন্তু প্রতিদিন ২২ জন মার্কিন সৈন্য আত্মহত্যা করে। ৭ লাখ আমেরিকান আর্মি পাগল হয়ে গিয়েছে, বরং উন্মাদ হয়ে গিয়েছে। শুধু তাদের চিকিৎসার খরচ ৬১ বিলিয়ন ডলার। এসকল মানুষিক ভারসাম্যহীন সৈন্যদের অনেককে স্ত্রী, পুত্রকন্যা এমনি বাবা মা পর্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। ফেরেশতাদের আক্রমণে বিপর্যস্ত, অকেজো এবং আমেরিকার জন্য দায়ে পরিনত সৈন্যের সংখ্যা অকল্পনীয়। এতো বিপুল পরিমান সৈন্য তালেবানরা আগামী ৩০০ বছরেও মারতে পারবেনা।

 

তাহলে কিভাবে বলা যায় তালেবান জিতেছে। জিতেছে ইমান, তাহাজ্জুদ এবং মজলুমের দুয়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইবলিস গাছে ধরেনা। জানোয়ারেরা ইসলামের লেবাস পড়ে আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের আকিদা নষ্ট করতে।

 

ওরিয়েন্টালিস্ট এবং উস্তাদ (রহ) এর পাঠকদের মাঝে এমন জানোয়ারের সংখ্যা অনেক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা প্রশ্ন এসেছে তালেবান মারামারি ধরাধরি না করে তাহাজ্জুদ এবং জিকির করলে জয় পেতো কিনা।

 

এই প্রশ্নের জবাবে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারের একটা কথা বলা যায়। কারণ হিটলারও যা বলেছে সবই খারাপ বলেনি। ভাল মন্দ মিলেই মানুষ।

 

সে বলেছিলো, আল্লাহ পবিত্র এবং ভালো জিনিস কবুল করেন। আমার জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি তিলাওয়াত, জিকির, নফল সালাতে যারা মনোযোগী তারা এই ময়দানে টিকে থাকে বাকিরা ঝড়ে যায়।

 

হাওলা জানতে চেয়ে লজ্জা দিবেননা। মনে নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মনে করেন গনতন্ত্র ইখওয়ান এবং আলে সাউদের মিলনের বাধা তারা খুব হাস্যকর রকমের ভুল কথা বলেন। ইখওয়ান অত্যন্ত ফ্লেক্সিবল। গনতন্ত্র তাদের মূল সমস্যা না। রাজতন্ত্র সত্ত্বেও ইখওয়ান সাউদির চমৎকার সম্পর্কের ইতিহাস আছে। বাদশাহ ফারুক হাসান আল বান্নার শাহাদাতের কারণ হলেও তাদের মাঝেও ভালো সম্পর্কের অর্থাৎ অন্তত ওয়ার্কিং রিলেশানশিপ বলতে যা বোঝায় তার ইতিহাস আছে। কাতারের ইতিহাস অত্যন্ত সাম্প্রতিক। মূল সমস্যা জায়ানিজমের কাছে মার্কিন মধ্যস্থতা ছাড়াই আলে সাউদের পূর্ণ আত্নসমর্পণ। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সালমান আল আওদা, সফর আল হাওয়ালি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিন লাদেন আলে সাউদের মার্কিন মিত্রতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে ইখওয়ান-সৌদি সম্পর্ক খারাপ হওয়া সূচনা হয়। নয়তো সিরিয়াতে ৮০ এর দশকে ইখওয়ান হাফিজ আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে তখনও আলে সাউদ ইখওয়ানের পক্ষে ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল হামদুলিল্লাহ। এভাবেই মুনাফিকরা দুনিয়া এবং আখিরাতে কাফেরদের চেয়েও বেশি অপমানিত হবে। (ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলে সাউদের সংকট ও সমাধান

 

আলে সাউদ ইসলাম এবং তাওহীদের আবেগ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এলেও কখনো তারা ইসলামের প্রতি দায়বদ্ধ ছিলোনা। তাদের ১ম এবং ২য় প্রায়োরিটি ছিলো আলে সাউদের ক্ষমতা এবং পশ্চিমের সন্তুষ্টি। যারা আলে সাউদের অপেক্ষাকৃত উত্তম শাসক তাদের জন্য তৃতীয় প্রায়োরিটি ছিলো ইসলাম এবং উম্মাহ। আল্লাহ ভালো জানেন হয়তো বাদশাহ ফয়সাল (রহ) এর শেষ কয়টা দিন সামান্য ব্যাতিক্রম হলেও হতে পারে নাও হতে পারে। তবে তার শাসনের সিংহভাগ সময়ে তিনি পশ্চিমের ক্রিয়ানক হিসাবে কাজ করেছেন তা অস্বীকার করা যায়না।

 

যাইহোক সাম্প্রতিককালে আলে সাউদ অত্যন্ত একা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইখওয়ান এবং আল কায়েদা ছাড়া আর কারও বিরুদ্ধে সহায়তা করতে রাজিনা। এমনকি হুথিদের বিরুদ্ধেও না। বাহ্যত ইজরায়েল, আমেরিকার কাছে সম্মানটুকু ইসলাম দমনের কাজে কামলা খাটার দৈনিক ভাতা। তেলতো তারা ফ্রিই দেয়। এটা তাদের বিশেষ অতিরিক্ত সহায়তা করছেনা রক্ষিতার সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া।

 

বাস্তবতা হচ্ছে ইরানের সামনে আলে সাউদের কোনো প্রতিরক্ষা নাই। সত্য বলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ গত দুই শতাব্দিতে সবচেয়ে দুর্বল এখন। তারা ঐক্যবদ্ধ মুসলিম উম্মাহর মোকাবেলা করার সামর্থ্য রাখেনা।

 

সত্য বলতে আলে সাউদের জন্য এখন সাফল্যের পথ একটাই। ইখওয়ানের সাথে বন্ধুত্ব এবং সিরিয়া, ইয়ামেনে সকল ইরানবিরোধী সুন্নি যোদ্ধাদের সাথে অনাক্রমণ নীতি ও পরোক্ষ সহায়তা নীতি অবলম্বন করতে হবে। ইরাকে সুন্নিদের সহায়তা ছাড়াও শিয়াদের অন্তত একটা গ্রুপকে ইরানপন্থী গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা। ইখওয়ান এবং এরদোয়ান সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ভালো সহায়তা করতে পারবে।

 

সমস্যা হচ্ছে শয়তান এদের চোখে ঠুলি পড়িয়েছে। তারা কিছুই দেখেনা। তবে এটা আলে সাউদের নিজেকে দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখার একমাত্র উপায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নেশাগ্রস্ত মানুষকে নেশা করতে নিষেধ করলে সে আপনাকে মারতে চাইবে। জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক দুনিয়া, ইমরান, এরদোয়ান, গড়িবের মাহদি, কোমিনিদের বিরুদ্ধে বললেও নেশাগস্থ উম্মাতের প্রতিক্রিয়া একই হয়। তারা আপনার টুটি চেপে ধরে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাহমুদ মাদানি (হাফি) কে আমি যখন গালাগালি করলাম তারা আমাকে উলামাবিদ্বেষী, উলামায়ে দেওবন্দবিরোধী বললো। আজ তারা তাকে দীনে ইলাহির প্রণয়নকারী, মুলহিদ ইত্যাদি অনেক কিছু বলে। অথচ আমি আজও তাকে ওলিআল্লাহ মনে করি। তার জন্য তাবিলের বস্তা নিয়ে বসে আছি।

 

হাহাহাহাহা

 

ওদের কাছে আমার দেওবন্দিয়াতের সার্টিফিকেট দিয়ে আমি কি করবো? আমিতো মসজিদ, মাদ্রাসায় চাকরি চাইনা। আমি জমিয়ত, খেলাফত, চরমোনাইয়ের এর ইলেকশানও করবোনা।

 

আমার সমালোচনা এবং গালাগালি করার মানে কাউকে বাতিল বলা না। অন্য কিছু। যারা তা বোঝেনা তারা ভক্তি ভড়ে আমাকে পড়া হারাম। গোমরাহ হবে। ঘৃনায় পড়তে পারেন।

 

নিঃসন্দেহে নবুওয়্যাত এবং সিদ্দিকদের মাকামের পরে শ্রেষ্ঠ মাকাম শাহাদতের মাকাম। নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ শহীদ সে যে আল্লাহর রাস্তার কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে অতঃপর তাকে এবং তার ঘোড়াকে হত্যা করা হয়। আল্লাহর কসম এর চেয়ে উঁচু মর্যাদার শাহাদাত সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। তবে এই নিচে শাহাদাতের অনেক দরজা আছে। কিছু শাহাদাত আছে অসম্পূর্ণ। যেমন কারও হাত, পা আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়। হাদিস এবং ফিকাহ অনুযায়ী এসব অঙ্গ জাহান্নামে পুড়বেনা।

 

আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এধরণের অপূর্ণাঙ্গ শাহাদাতকে উপলব্ধি করেছি সে-সম্পর্কে ইসলামি সাহিত্যে আলাপ হয়েছে বেশ কম। সেটা হচ্ছে আল্লাহর দীনের জন্য নিজের সম্মানের শাহাদাত। আমার ধারণা মাহমুদ মাদানিদের সম্মান সেই ধরনের শহীদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাআদ সাহেবের ব্যাপারে যে অভিযোগগুলো নিয়ে এখন হাঙ্গামা হচ্ছে তা নিয়ে আমার আগ্রহ সামান্য। আমি ইসলামপন্থী যখন হই তখন থেকেই দাওয়াতে তাবলিগের সংস্পর্শে ছিলাম। একই সময়ে এলাকার মাদ্রাসাগুলোর সাথে গভীর এবং নিবিড় সম্পর্ক ছিলো। আমি আমার সহপাঠীদের সাথে থাকার চেয়ে উলামায়ে কেরামের সোহবতে থাকতে পছন্দ করতাম। আজ আমাকে অনেকেই অপছন্দ করে। তাদের অভিযোগ আমার গালাগালি নিয়ে, উলামায়ে কেরামের প্রতি আদবের অভাব নিয়ে। কিন্তু আকিদা, ফেকাহর একটা মাসয়ালা নিয়ে আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে বলতে পারেনি তোমার অভিমত উলামায়ে দেওবন্দের কেউ কখনো পোষণ করেননি। সাধারণত আমার সমালোচকরাও আমার আকিদা এবং ফিকাহ নিয়ে সেভাবে কখনো আপত্তিও করেনি। এটা উলামায়ে কেরামের সাথে দীর্ঘ নিসবত ছাড়া সম্ভব না। সাআদ সাহেবের মতো একজন উলামায়ে কেরামের এতো বছর তরবিয়্যাত পেয়েও এতো বিভ্রান্তিকর কথা বলেন কিন্তু আমি আলিম না হয়ে আমার আকিদা এবং ফিকাহর এই গ্রহণযোগ্যতা উলামায়ে কেরামের মেহেনত মুজাহাদার ফসল।

 

সাধারণভাবে সাআদ সাহেবের এই কেচাল শুরু হওয়ার আগে তাবলীগ করলেও তাকে সেভাবে চিনতাম না। শুধু নাম জানতাম। তাবলীগ শুরু করার দুই বছরের ভেতর জানতে পারলাম এই তাবলীগ হযরতজির তাবলীগ না। মিম্বরে বসে হাদিস বানানো, জিহাদের তাহরিফ, শুধু তাবলিগকে দীন মনে করে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাথী প্রকাশ্যে ইসলামি সিয়াসত অস্বীকার প্রভৃতি দেখেছি। আমার আলিম উস্তাদগন এসব নিয়ে মাদ্রাসায় আসর বা মাগরিব পড়ে ব্যাক্তিগত আড্ডায় আলোচনা করতেন। সেই আলোচনা কখনো ইলমি হতো কখনো উপহাসমূলক। সবচেয়ে বেশি সমালোচনার একটা টপিক ছিলো চিহ্নিত সেক্যুলার রাজনৈতিক দলের সাথে তাদের দায়িত্বশীলদের গভীর সম্পর্ক। ফলে তাবলীগের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বেশ ভালো জানতাম। কিন্তু আকাবিরদের আমানত হিসাবে বাইরে এটা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করতাম সতর্কভাবে। তবে সকল বিরক্তি সত্ত্বেও যেকারণে তাবলীগ পছন্দ করতাম তা হচ্ছে অনেক সেক্যুলার সংগঠন করা মানুষকে দেখেছি নিজের সন্তানকে মাদ্রাসায় দিতে। এসব ছেলেরা অনেকেই ইমান, আকিদা, আমল, আখলাক সবকিছুতে অসাধারণ হয়ে যেতো। ফলে তাবলিগ ছিলো কওমি মাদ্রাসার সহযোগী শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র। সাথে নিজের আমলের জজবা বাড়ানোর একটা প্লাটফর্ম।

 

সাআদ, ওয়াসিফ, এরতেজা প্রভৃতির বিতর্ক শুরুর পরে শুরুতে আগ্রহ বোধ করিনি। কারণ তাবলিগ মানেই কম বেশি বিভ্রান্তি। মুশফিক স্যারকে পর্যন্ত বলতে শুনেছি জিহাদ হচ্ছে মারামারি, ফেতনা, ফ্যাসাদ। এসব হওয়ারই কথা। হজরতজির সাথে মুফতি শফি (রহ) এর আলাপ আগেই জানতাম। তাই সমস্যা কি তা বুঝতে কষ্ট হয়নি। আমি কিছু মাদ্রাসাকে অনেকবার বলেছি মাসে অন্তত একবার বৃহস্পতিবার ছাত্রদের নিয়ে তাবলিগে যাওয়া উচিৎ। আমি যদিও আলিম না তথাপি স্নেহবশত তারা আমার কথায় দুই এক মাস এমন করেন। এটা আনুমানিক ২০০১-০২ হবে। কিন্তু কেউ এটা মাদ্রাসার কারিকুলাম হিসাবে নিতে রাজি হয়নি। ফলে কিছুদিন পরে এসব প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়। যাইহোক ফলে সাআদ বিতর্ক শুরু হলে আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগেনি। বেশ্যার সতিত্ব নিয়ে ঝগড়া করা আর গত ১৫-২০ বছরে তাবলিগের সহিত্ব নিয়ে ক্যাচাল একই কথা। তাও কিছুদিন পরে মারামারি শুরু হলে সাআদ ইস্যুতে খোঁজ খবর করলাম। আমার বন্ধুদের মাঝে খুব ক্লোজ কিছু বন্ধু ছিলো সাআদপন্থী। তাদের জিজ্ঞেস করলাম। কিছু বললোনা। দুয়া করতে বললো। বাকিরা যারা বললো তারা আকাবির পূজা মার্কা বোলচাল দিলো। সাদের বাপ কি? দাদা কি? কার খলিফা? ইত্যাদি। বিরক্তিকর প্যাচাল। তার পর আরও খুঁজে আরেকটু গভীরে গেলাম। এবার আরও বিরক্ত হলাম। কেন? কারণ তাদের মতে গুজরাটিরা ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে কেচাল করে এই সমস্যা তৈরি করেছে। আচ্ছা। তারপর তারা রুজুর বয়ান দেয় আবার হাস্যকরভাবে সাআদ সাহেবের পক্ষে দলিলও দেয়। এসব ধানাই পানাই আমার কখনো পছন্দ না। তাদের বললাম আচ্ছা সবই মানলাম কিন্তু আমার এটা সেটা অভিযোগের ব্যাপারে আপনার মত কি? আপনারা জানেন আমি ছাই দিয়ে ধরতে জানি। তারা তখন চিপায় পরে বলে এই সমস্যা ২৫-৩০ বছর ধরে আছে। তাহলে কি হলো? সংস্কার চাইলে সেগুলোরও সংস্কার হবেনা কেন?

 

যাইহোক সার্বিক অবস্থা মিলিয়ে সাআদ সাহেবকে নিয়ে আমি আশাবাদি হওয়ার তেমন কিছু পাইনি। তার সম্পর্কে সুধারণা করলে বলা যায় তিনি পৈত্রিক ব্যবসা শক্ত হাতে ধরে আরও শক্তিশালী করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেন। এজন্য বাবার অথর্ব পার্টনারদের বহিস্কার করেন। তারপর কোম্পানি প্রচার প্রসারে সচেষ্ট। এতে কর্মচারীরা খুশি। তার সংস্কারে বড়জোড় তাবলীগ সাংগঠনিকভাবে শক্ত হতে পারতো কিন্তু তাতে উম্মাহর কোনো লাভ হতোনা। যেমন মুহাম্মদ বিন সালমান এর প্রচেষ্টায় আলে সাউদের সমৃদ্ধি হওয়ায় মাদখালিরা উৎফুল্ল হতে পারে তবে উম্মাহর বিশেষ কোনো লাভ নাই। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুজনেরই আপাত চাপাবাজী সত্ত্বেও ভিশন ২০৩০-৪০ সামনে রেখে হঠকারি কর্মকান্ডে পৈত্রিক ব্যবসা আরও বিপর্যস্ত হয়েছে।

 

তিনজন ব্যাক্তি একত্রিত হলে আমির নিয়োগের কথা ইসলামে আছে। এজন্য প্রত্যেক পরামর্শ সভাতেও তাবলীগে আমির নিযুক্ত করা হয়। এর বাইরে বৈশ্বিক আমির নিয়োগের কোনো ব্যবস্থাপনাগত প্রয়োজন থাকতে পারে কিন্তু শারঈ কোনো প্রয়োজন নাই। পরিস্কারভাবে আমি বুঝি বৈশ্বিক এতায়াত কেবল খেলাফত বা ইমারতের আমিরের হতে পারে। অন্যদেরগুলোর কোনো শারঈ বাধ্যবাধকতা নাই। যার ইচ্ছা মানবে যার ইচ্ছা না। হৃদয়ের উপর জোড় চলেনা। তবে কোনো অরাজনৈতিক ব্যাক্তিকে ইমারতের বায়াত দেওয়ার পাগলামি চিন্তা আমার জীবনেও আসেনি।

 

ভেবেছিলাম কথাগুলো গুছিয়ে লেখবো। কিন্তু হলোনা। অনেক কথা না বলাই থেকে গেলো। তাছাড়া রাত অনেক হয়েছে। ফজরের ব্যাপারটা প্রতিদিনই রাতজাগার বদঅভ্যাসে কষ্টকর হয়। সকালে ঘুম আরেকটা বদ অভ্যাস। এসব কুঅভ্যাস ছাড়া দরকার। ছাড়বো ইনশাল্লাহ। বাকি কথা হয়তো এলোমেলোভাবেই পরে বলা যাবে।

 

তবে যেকথা বলার জন্য এতো প্যাচাল তা হচ্ছে পুরা তাবলিগ গোমরাহ হয়ে গিয়েছে। আমরা শাইখুল হিন্দের মুরিদ হযরতজি ইলিয়াস (রহ) এর তাবলীগ চাই। সাআদ, আহমদ লাট, তারেক জামিল, অয়াসিফুর, জুবায়ের সাহেব কারও তাবলীগে আমার আগ্রহ নাই।

 

আমি সমাধান জানিনা এমন আবেগি সমালোচনা করিনা। আমার কথা হচ্ছে হজরতজির তাবলিগ চালু করা খুব সহজ। আবার নতুন করে হজরতজির চিন্তা সামনে রেখে তাবলিগ শুরু করতে হবে৷ শুধু একজন আবার শুরু করবে। ফিতনা সব যুগেই ছিলো, আছে, থাকবে। কিন্তু কাজ করতে থাকলে আবার এমন একটা কাজ বিস্তৃত হবে দিগন্তের সীমানা জুড়ে ইনশাআল্লাহ। হৈ হৈ পার্টি কাইজ্জা করুক দুপক্ষেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে জমিয়তে আহরারের মাওলানা মাযহার আলী আজহার কাফেরে আজম বলেছিলেন। তিনি বলেন,

 

“Ik Kafira kay peechay Islam ko chora, Yeh Quaid-e-Azam hai kay Kafir-e-Azam”.

 

কথাটি পড়ে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু বলা হয় এটা নাকি হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) বলেছেন। বললে তার জায়গা থেকে ভুল বলেছেন তাও না। কারণ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছিলেন ইসমাইলিয়া শিয়া বংশদ্ভূত। অনেকে বলেন তিনি আগাখানি শিয়া। আগাখানিরাসহ ইসমাইলিয়ারা প্রচুর শিরকি আকিদা রাখে। তাছাড়া তারা সালাতকে ফরজ মনে করেনা। হ্যাঁ অনেকেই দাবি করেছেন জিন্নাহ সাব্বির আহমদ উসমানী (রহ) এর দাওয়াতে তাওবা করেছিলেন। সেটা সত্য হলেও সেখবর মাদানি (রহ) এর কাছে না পৌছানো অসম্ভব না।

 

কিন্তু কথা হচ্ছে, আসলেই হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) তা বলেছিলেন? আমি কোনো নির্ভরযোগ্য সনদ পাইনি। কথাটি সত্য হলে দেওবন্দিদের লুকানোর কিছু নাই। কারণ তারা জিন্নাহর ফ্যান না। তাছাড়া মাদানি (রহ) পাকিস্তানের বাসিন্দা হননি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা সবাই উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর কিতাব সাধারণ মানুষকে পড়তে নিরুৎসাহিত করি। কিন্তু সাধারণত কেউ যে গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা মানুষকে বলেনা তা হচ্ছে, আত তাবারি, ইবনে আছির, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, তাবাকাত ইত্যাদিও সাধারণ মানুষের পড়া উচিৎ না। এগুলো সাধারণ মানুষের জন্য লেখা কিতাব না। মহান উলামারা এসব কিতাব লিখেছেন উলামা এবং তোলাবাদের জন্য। ছাত্ররা এসব কিতাব উস্তাদের তত্ত্বাবধানে পড়তো। এসকল কিতাবের অসংখ্য বক্তব্যের সনদে ঝামেলা আছে। তারা সাধারণত ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য দুর্বল রেওয়াতও তাদের কিতাবে সংরক্ষণ করতেন।

 

তাছাড়া কুরআন এবং হাদিসের মতো আসারে সাহাবা, আসারে তাবেঈ এবং মুসলমানদের সম্পর্কে যেসব বিবরণ আছে তা অনেক সময় দুর্বোধ্য। যার বিশদ ব্যাখ্যা হয়তো অন্য কিতাবে আছে। ফলে তার প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা না জানার কারণে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে।

 

সর্বশেষ কথা হচ্ছে সাহাবা এবং তাবেঈরা মাসুম না। তারা তাদের জীবনে কিছু ভুল এবং পাপ করেছেন। সেই বর্ণনা বাস্তব ও বৈধ কারণে তাদের কিতাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো কিভাবে ডিল করতে হবে তা সব সময় কিতাবে থাকেনা।

 

এভাবে আরও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা পুস্তকগুলোর আছে। এসকল সীমাবদ্ধতা সহজেই কাটিয়ে উঠা সম্ভব যদি আহলে ইলমের সোহবতে থাকা যায়। তাদের তত্ত্বাবধানে কিতাবগুলো পড়া হয়। আর সেযুগে এটাই হতো।

 

আজ ব্যাপক প্রকাশনা এবং অনলাইনের যুগে সেই প্রক্রিয়া ছাড়া যথেচ্ছা পড়াশোনা অনেক ফিতনা ফ্যাসাদের কারণ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেসবুকে এসে যাদের সাথে আমার অত্যন্ত আন্তরিক সম্পর্ক হয়েছে তাদের মাঝে একজন Abul Kalam Azad ভাই। তিনি আজ আল উস্তাদ আল মাওদুদি (রহ) এর ব্যাপারে একটা পোস্ট করেছেন। পোস্টের ভাষা সাধারণভাবে খুব ভালো। তিনি চেষ্টা করেছেন ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা করতে। তবে তার পোস্ট নিয়ে আমার কিছু অবজার্ভেশন আছে। সেগুলো এখানে তুলে ধরবো। চাইলে পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে বলতে পারতাম। কিন্তু বেপরোয়া কথাবার্তা বলাই এই আইডির সৌন্দর্য।

 

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এই ইস্যুতে গত দুই দিনে অনেকে লিখেছে। তাই আমার একথা মনে করার কারণ নাই যে তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন। বিশেষত তার সাথে আমার যে চমৎকার সম্পর্ক তাতে তিনি আমাকে সরাসরি বলতেন। তবু আলোচনার সুবিধার্থে ধরে নিচ্ছি আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা। লেখাটিতে অনেক ভালো পয়েন্ট আছে। তবে আমি শুধু নিন্দা করবো।

 

১) তিনি স্বীকার করেছেন মওদুদি (রহ) এর কলম হাজ্জাজের মতো। আমিও তাই বলি। হাজ্জাজের খেদমত কিন্তু অনেক।

 

২) তিনি বলেছেন কেউ কেউ বলে খারাপটুকু বাদ দিয়ে ভালোটুকু নিতে হবে। তাদের বক্তব্য নাকি দীনে ইলাহি মার্কা। আমার কথাটা লেগেছে। এজন্য আমি এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করি। দীনে ইলাহির ইস্যুটা আলাদা। আমরা মূলত তার কল্যাণকর অংশ নিতে চাই। চিন্তার সেই অংশ যা আকাবিরে দেওবন্দের চিন্তার সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। তবে কাজটা করবে গবেষকরা। অঘা মঘারা না।

 

৩) আমি আকাবিরে দেওবন্দের এই ইস্যুতে সমালোচনা বেশ ভালো করে পড়েছি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ), মনজুর নোমানি, তাকি উসমানি, মুফতি শফি এর সমালোচনার ভাষা এবং মানের সাথে ওলিপুরি, চামচাবাদি, নুরুল হক জকিগঞ্জির ভাষা এবং মানের পার্থক্য রাতদিন।

 

৪) যেসব আলিমরা তার ন্যায্য সমালোচনার সাথে সাথে মিথ্যা কথা ঢুকিয়ে দিয়েছেন তারা অবশ্যই গান্ডু। আমি কখনো ন্যায়সঙ্গত সমালোচনার বিরুদ্ধে না। আমি উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর ত্রুটি বিচ্যুতির সমালোচনা নিয়মিত করি। সাহাবাদের সম্মান রক্ষায় রাফেজিদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। জামাতিদের বিরুদ্ধেও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুইদিন ধরে দেওবন্দি এবং জামাতিদের সিরাতুল মুসতাকিম থেকে সড়িয়ে গোমরাহ করার চেষ্টা করিচ্চি। এভাবে সারা বছর বিভিন্ন গ্রুপকে বিভ্রান্ত করি।

 

প্রশ্ন হচ্ছে গত এক বছরে কয়জন গোমরাহ হলেন আমার পাল্লায় পরে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতি ভাইদের কাছে একটা প্রশ্ন। আপনারা দেওবন্দিদের সমালোচনার জবাবে প্রায়ই বলেন উস্তাদ মাওদুদি রহ নবি না। মানুষ হিসাবে তার ভুল আছে তবে.....

 

ভাই উস্তাদ (রহ) এর পাঁচটা ভুল বলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ কেন আজাদ হলেন বোঝার চেষ্টা করেন। তিনি ইসলাম থেকে না উলামাদের গোলামী থেকে আজাদ হওয়ার কথা বলেছেন।

 

আমিও আজাদ। আমি উলামাদের গোলামিতে নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইখওয়ানি অনেকের মারাত্মক ভুল সত্ত্বেও উলামায়ে দেওবন্দ উদারতা দেখান। এমনকি সাধারণত বেরেলভিদের সমালোচনা সত্ত্বেও তাদের প্রতি সুধারণা রাখা, কোমলতা প্রদর্শনের চেষ্টা আকাবিরে দেওবন্দের অনেকের মাঝে ছিলো। কিন্তু সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ), মাওলানা মানযুর নোমানি, ইউসুফ বিন্নুরি (রহ) ছাড়া খুব কম ব্যাক্তি উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর সাথে তেমন উদারতা দেখিয়েছেন।

 

কেন?

 

মওদুদি (রহ) এর যে তীব্র সমালোচনা এদেশে হয়েছে তা পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি অথচ দুনিয়ার সকল গুরুত্বপূর্ন ভাষায় তার অনুবাদ হয়েছে।

 

কেন?

 

বাতিলের স্তরভেদ আছে। অবশ্যই জামাত আর ভান্ডারি একনা। দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, আটরশি আর জামাতি সমান না। কিন্তু অন্তত আমাদের দেশে উলামারা যখন জামাতকে গালাগালি করেন তখন এই পার্থক্য বোঝা যায়না কেন? কেন তাদের সমালোচনা শুনলে মনে হয় ফেরাকে বাতিলগুলো একই মাপের বাতিল?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লোকেরা কয়েকদিন পরেপরে ভুত দেখে। আমার অবস্থান আগেও যা ছিলো এখনো তাই। কিন্তু তারা ভাবে নতুন কথা বললাম।

 

উলামায়ে দেওবন্দের শিক্ষিত অংশ উস্তাদ মাওদুদি (রহ) সম্পর্কে যেধারণা রাখে আমিও সেধারণাই রাখি। ইসমতে আম্বিয়া, আদালতে সাহাবা, তাসাউফ, মাহদিতে সন্দেহ পোষণ, দাড়ি সকল বিষয়ে আমার অবস্থান উলামায়ে দেওবন্দের অবস্থানের মতোই। কিন্তু আমি জামাখশারি, ইবনে আরাবি, আবু বকর জাসসাস প্রমুখের গল্প জানি। আমি জানি একজন লেখকের মারাত্মক বিচ্যুতি সত্ত্বেও আমরা তার থেকে অনেকের উপকারী ইলম অর্জন করতে পারি।

 

সেটা অন্যদের থেকে পারলে মাওদুদি রহ থেকেও পারা উচিৎ। তাফসিরে কাশশাফের চিন্তা মুতাজিলা। সেটা যদি টেক্সট হতে পারে তবে তাফহিমুল কুরআন হতে সমস্যা কি?

 

হ্যাঁ মূর্খ দেওবন্দি যারা শত্রুতার জন্য শত্রুতা করে তাদের ব্যাপার ভিন্ন।। আবুল আলা হচ্ছে আল্লাহর বাপ। নবিরা জালিমের বিরুদ্ধে যুগে যুগে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়িয়েছেন বলার দ্বারা তার উদ্দেশ্য আইয়্যুব বিরোধী সংগ্রামে ফায়দা হাসিল করতে চেয়েছেন। এই টাইপ আখাম্বা ছ্যাচড়া সমালোচনা যেসব মূর্খ দেওবন্দিরা করে তাদের সাথে আমার মওদুদি চিন্তার কোন সম্পর্ক নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানুষ বিচিত্র। তাদের বুঝও। উস্তাদ মাওদুদি (রহ) বলেছেন তার তাফসির তাফহিমুল কুরআন আলিমদের জন্য না বরং আওয়ামের প্রাথমিক বুঝ অর্জনের জন্য। তবে আমি মনে করি তাফসিরটি থেকে আওয়ামের চেয়ে আলিমদের উপকার বেশি হবে। প্রত্যেক দাওড়া পাশ ছেলের তাফসিরটি পড়া উচিৎ। তবে অবশ্যই ভালো উস্তাদের তত্ত্বাবধানে।

 

আওয়ামের জন্য মারিফুল কুরআন উত্তম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উস্তাদ মাওদুদি রহ কে উপমহাদেশের বাইরে কোথাও ব্যাপকভাবে বর্জন করা হয়নি। হ্যাঁ তাঁর ইলমি বিচ্যুতিকে আলাদাভাবে খন্ডন করা হয়েছে কিন্তু তা কোথাও দেওবন্দিদের মতো এলার্জি লেভেলে পৌছায়নি। মাদখালিদের ব্যাপার ভিন্ন। কারণ তাদের উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর বিরোধিতার কোনো আদর্শিক কারন নাই। একটাই কারন। তা হচ্ছে আলে সাউদের **** চাটা। কিন্তু দেওবন্দিরা এমন উদ্ভট বিরাগ কেন দেখালো? আমি সার্বিক বিবেচনায় নিশ্চিত এর কারণ কেবলই দালিলিক নয়। পাশাপাশি গ্রুপবাজ চেতনাও কার্যকর। আমি জামাতি বেক্কলদের মতো বলিনা যে তাদের মওদুদি বিরোধিতার কারণ ভারত বিভাগ রাজনীতি। এটা হাস্যকর কথা। বরং কারণ হচ্ছে দেওবন্দিদের বলয় থেকে বের হয়ে দেওবন্দি চিন্তার খেলাফ কথা বলা। তার ব্যাকগ্রাউন্ড অদেওবন্দি হলে দেওবন্দিরা কখনো তাকে নিয়ে এতো হাউ কাউ করতোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হযরজি ইলিয়াস (রহ) বলতেন দুনিয়াতে কষ্ট করতেই হবে। দীনের জন্য কষ্ট না করলে দুনিয়ার জন্য করতে হবে। এখন আপনার সিদ্ধান্ত আপনি কিসের জন্য কষ্ট করবেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইবনে তাইমিয়া (রহ) ছিলেন কাদেরিয়া তরিকার পির। তিনি শাইখ আব্দুল কাদির জিলানি (রহ) এর খিরকা পেয়েছিলেন। তাদের মাঝে সনদের দূরত্ব ছিলো মাত্র দুইজন। ইবনে তাইমিয়া (রহ) জিলানি রহ এর ফতহুল গায়েবের ভাষ্যও রচনা করছেন। আধুনিক সালাফি শাইখগন যেমন শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জদ আব্দুল কাদির জিলানি (রহ) এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

 

শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব নজদি (রহ)ও তাসাউফ অস্বীকার করেননি। হ্যাঁ বিদয়াতিদের বিদয়াত প্রত্যাখ্যান করেছেন।

 

ফরায়েজি আন্দোলন সুফি ধারার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

টিপু সুলতান (রহ) সুফি ছিলেন।

 

গালিব স্যার আহলে হাদিস আন্দোলনের ইতিহাস লিখেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শাহ ওয়ালিউল্লাহ্, সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ তাদের আদর্শিক পূর্বপুরুষ। তাদের পির মুরিদি সর্বভারতীয় এবং বিখ্যাত।

 

শহীদ তিতুমীর সুফি ছিলেন।

 

ইমাম শামিল (রহ) ককেশাস পর্বতমালায় সুফি সিলসিলায় তাহরিক পরিচালনা করেন।

 

উমার মুখতার (রহ) এবং সানুসি তরিকা ছিলো সুফি তাহরিক।

 

আফ্রিকা কলোনিয়াল শক্তিবিরোধী জিহাদ পরিচালনাকারী তাহরিকগুলো সুফি তাহরিক।

 

শাইখ হাসানুল বান্না (রহ) বলেন, শিরকমুক্ত বিশুদ্ধ তাসাউফ ইসলামের প্রাণ।

 

তাহলে শিরক বিদয়াতমুক্ত তাসাউফ চর্চায় সমস্যা কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি হারুন ইযহার সাহেবকে অত্যন্ত পছন্দ করি এটা অনেকেই জানেন। তার লেখা আমার পছন্দ। বিশেষত মুজাদ্দিদে আলফে সানি (রহ) এর দাওয়াতি মডেল তার মডেল হওয়ায়। কিন্তু আমি মনে করি তাসাউফের চর্চা ছাড়া তার তাহরিক বড় জোড় বুদ্ধিজীবীদের তাহরিক রয়ে যাবে।

 

আমি মনে করি, তার উচিৎ তাসাউফ চর্চা করা। মুজাদ্দিদে আলফে সানি (রহ) এর তাসাউফে কিছু বিদয়াত আছে মনে করলে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর মডেলে পির মুরিদি করা উচিৎ। দরকার হলে তিনি সিরাতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) আর একবার পড়ে নিতে পারেন। বিশেষত আরেকদিন একটা ভিডিও দেখলাম তিনি বায়াতের আলাপ করছেন। এই বায়াতের মডেল ব্যপক গণভিত্তি দেওয়ার উপায় পির মুরিদি।

 

শাইখের কাছে আমার লেখাটা পৌছানোর অনুরোধ করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দি (রহ) এর আব্বা মাওলানা যুলফিকার আলী বলেন, সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর দেওবন্দ এবং শাহরানপুর সফর ছিলো অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। তিনি ছিলেন নুর। যেদিকে গিয়েছেন নুরে ভড়ে গিয়েছে। দেওবন্দ এবং শাহরান পুরের প্রায় সকল গ্রামে তিনি গিয়েছেন। দুইটি গ্রামে যাননি। সেখানে আজও অভাব অনটন অনেক। শাহরানপুরের একটা গ্রামে তিনি যাননি সেখানে আজও মানুষের হৃদয় শক্ত। তারা দীন থেকে দূরে।

 

আমি প্রায়ই অবাক হই এদেশে সকল হকপন্থী সিলসিলা তার উত্তরাধিকার দাবি করে। তাকে অস্বীকার করে হকপন্থী হওয়া অসম্ভব। অথচ তিনি নবী না, সাহাবা না। হ্যাঁ তিনি আলে মুহাম্মাদ (সা)। তিনি আহলে বাইতের চেরাগ এবং পতাকাবাহী। নবুওয়্যাতের নুরে তিনি ছিলেন ভরপুর। তার রুহের তাজাল্লি বড় বড় পাপির হৃদয় থেকে গুনাহর অন্ধকার পরিস্কার করে ইমানের আলো জালিয়েছে।

 

আমরা কেন তাকে নিয়ে পড়িনা। তাকে নিয়ে পড়া ইসলামি আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের জন্য বাধ্যতামূলক মনে করি। আমি জামাতে ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, জমিয়ত এবং খেলাফতে মজলিশের ভাইদের অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের সিলেবাসে সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর 'তারিখে দাওয়াত ওয়াল আযিমাত' সিরিজ যেনো অন্তর্ভুক্ত করেন। অন্তত ৬ ও ৭ নম্বর খন্ড।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ঘটনা কি?

 

ক্যাথেলিকদের পাচ্ছিনা।

 

তাদের গীর্জা বন্ধ হলো নাকি পোপের বিরুদ্ধে বলায় আমাকে বহিষ্কার করা হলো।

 

কেউ জানাতে পারবেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের রাজনৈতিক মোল্লারাও এতো ইতর, এতো ছোটলোক, এতো পশ্চাৎপদ, এতো উগ্র পুরুষতান্ত্রিক তা অকল্পনীয়। এদের হাতে আল্লাহ কেন নেতৃত্ব দিবেন। এরা ক্ষমতা পেলে আজকের ক্ষমতাসীনদের মতোই জালিম হয়ে উঠবে। এদের ইতরামির একটা ছোট্ট চিত্র। এজন্যই এরা যখন আকাবির পূজার মন্ত্র পড়ে তখন সে মন্ত্রও অত্যন্ত নিম্নমানের হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার মার্কেট জায়েজ কিনা তা নিয়ে শক্ত বিতর্ক আছে। যারা এটা পুরো হারাম বলেন তাদের যুক্তি মূলত দুইটা। ১) স্পেকুলেশন এবং ২) কেনা বেচা বৈধ হয়না কারণ কোনো রিয়েল এসেট কেনা বেচা হয়না। আমি খুব ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস এড়িয়ে

শেয়ার মার্কেট নিয়ে একটা কথা অনেককে বলেছি।

 

সেটা হচ্ছে শেয়ার সারাবছর কেনা বেচা বন্ধ করতে হবে। মানে সারা বছর কেনাবেচা হবে প্রাইমেরি ভ্যালু অনুযায়ী। শেয়ারটি ফ্লোটিং প্রাইসে বিক্রয় হবে কেবল বছরে একবার। এনুয়াল ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন এর পরে। স্টেক হোল্ডারদের সামনে কম্পানি তার একাউন্ট এবং স্টক ডিটেইলস শো করতে বাধ্য থাকবে। দেখবেন কত সহজে শেয়ার মার্কেটের বাটপারি বিশ্বব্যাপী বন্ধ হয়ে যাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাকে কি শেখাবেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

আমার মা নিউজ পড়ে, শুনে, দেখে ইমরান খানের ভক্ত। কখনো তর্ক করিনা। তিনি সিসির ভক্ত হলেও ভিন্ন কিছু বোঝাতাম না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাল থেকে এতো আক্রমণাত্মক কথা বললাম কিন্তু কোনো পূজারি প্রতিমা রক্ষা করতে একটা দরকারি কথা বললোনা।

 

তাদের একটাই জবাব। দেবির লীলা বোঝা দায়।

 

কেউ একথাও বললো না কেন একলাখ এবং আঠারোশত আলাদা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফেরাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে কাজ হলে মুসা (আ) হাজার হাজার বনী ইসরাইলের বিক্ষোভ ঘোষণা করতেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোটবেলা থেকে শুনছি দারুল উলুম দেওবন্দের লক্ষ্য ছিলো মুজাহিদ তৈরি করা। এখন সমস্যা হচ্ছে শুধু সেনাবাহিনী আর পুরোহিত দিয়ে রাষ্ট্র চলেনা। বিপ্লবের একটা অংশ ভাঙা, অন্য অংশ গড়া। গড়ার কাজের জন্য সেনাবাহিনী আর পুরোহিত ছাড়া আরও যেসব পেশাজীবি দরকার তাদের তৈরি করতে দারুল উলুমের কোনো পরিকল্পনা ছিলোনা। এই অভাব সময়ের সাথে সাথে তাদের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে দিয়েছে। তারা আপোষ করতে বাধ্য হয়েছে।

 

সত্য হচ্ছে শামেলির পরে ৫০ বছরে দারুল উলুমের অনেকেই ব্রিটিশ কর্তৃত্ব মেনে নিয়েছে। অযথা নিজেদের বৃহৎ পরিকল্পনার বাইরে দেশের মূলধারার সেক্যুলার শিক্ষাকে বাইরে রাখার জন্য দেওবন্দিদের এবং উপমহাদেশিয় ইসলামি আন্দোলনকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে তাবলিগ জামাত প্রতিষ্ঠার আগে ব্রিটিশ কারিকুলামে শিক্ষিতদের নিয়ে দেওবন্দিদের তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিলোনা। আবার তাবলীগ জামাতও পূর্ন প্রয়াস না। করার আছে আরও অনেক কিছু। এসবে অবহেলার কড়া মূল্য আমাদের দিতে হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিশ্ববিখ্যাত আলিম আল্লামা কার্ল মার্ক্সের যেকথাটা আমাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করে তা হচ্ছে, ধর্ম আফিম।

আসলেইতো পোপ আর রাজা মিলে মুসলমানদের উপর সর্বত্র জুলুম চালানো হচ্ছে।

 

আপনার কাছে যদি টাকা এবং তরবারি থাকে তাহলে আপনি চাইলেই বেশ্যার শরীরের মতো ফতোয়াও কিনতে পারবেন। ফতোয়া কিনতে পারবেন আল আযহার, মদিনা, দারুল উলুম যেকোনো জায়গা থেকে। তারপর তাতে সমর্থন দিবে কাবার ইমাম, ইমাম আল কারদাওয়ী, হামজা ইউসুফ আর তাকি উসমানির মতো মহান উলামারা। এভাবে জনতাকে ধর্ম দিয়ে ঠুলি পড়িয়ে শোষণ নিপিড়ন চালানো হবে। শোষকদের পরানো হবে পবিত্রতার তকমা। শোষিতরা পাবে সবরের উপদেশ।

 

আব্রাহাম লিংকন যখন দাস ব্যবসা বন্ধ করেন তা কেবল মানবতার কারণে না। আমেরিকার উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মাঝে কিছু পার্থক্য ছিলো। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারনে উত্তরে উত্তর আমেরিকায় দাসের প্রয়োজন অত্যন্ত কমে গিয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণের অর্থনীতি ছিলো পশ্চাৎপদ এবং দাস নির্ভর। আব্রাহাম লিংকন ছিলেন উত্তরের মানুষ। তার এই সিদ্ধান্ত ছিলো সেকালে গৃহযুদ্ধের ট্রিগার ছিলো। যাইহোক দক্ষিনের লোকেরা যখন উত্তরের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দক্ষিণের দাসরাও লড়াইয়ে অংশ নেয়। আটলান্টিক স্লেভ ট্রেড এবং উত্তর আমেরিকান দাসদের গল্প যারা জানেন তারা জানেন যে দাসদের উপর ভয়াবহ নিপীড়নের কারণে একজন দাসের দাসজীবনে গড় আয়ু ছিলো চার বছর। তারা অতি দ্রুতই মারা যেতো। তবু তারা উত্তরের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কারণ পাদ্রীরা বাইবেল খাইয়ে বোঝাতো মনিবের আনুগত্যে জান্নাত যেভাবে আমাদের আলেমরা আমাদের লুচ্চা ইমরান, মুরতাদ সিসি এবং মুনাফিক বিন সালমানের আনুগত্যের সবক দেয়। দাসরা আনুগত্যের মাধ্যমে সহজে এবং দ্রুত জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ যারা দাসমুক্তির মাধ্যমে নষ্ট করেছিলো দাসরা বাইবেলধারি পাদ্রীদের ফতোয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নামে। এভাবেই ধর্ম যুগে যুগে শোষিতের বিরুদ্ধে শোষকের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

 

মার্ক্স মারা যান ১৮৪৩ সালে। আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ হয় ১৮৬১-৬৫। লাল সালাম কমরেড।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাসুলুল্লাহ (সা) এর আদত সুন্নাহ কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। বিশুদ্ধ মত হচ্ছে না।

 

অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ (সা) যেসব কাজ মানবীয় কাজের অংশ হিসাবে করেছেন তা সুন্নাহ নাও হতে পারে। যেমন তিনি উটে চরেছেন বলেই তা সুন্নাহ না, মুবাহ। তিনি কি খেতেন তা মূলত তার সাংস্কৃতিক বাস্তবতার অংশ। ভাতের পরিবর্তে রুটি বা খেজুর খাওয়া শুরু করতে হবে এমন কোনো কথা নাই।

 

একইভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে তার যুগের চাহিদা জ্ঞান বিজ্ঞান অনুযায়ী তিনি সাধারণত চিকিৎসা করতেন। তার চিকিৎসা নিয়ে ইমাম ইবনে কাইয়্যুম (রহ) 'তিব্বে নববি' রচনা করেন। নিঃসন্দেহে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সকল কিছুই বরকতময়। কিন্তু তাই বলে বিশেষ বিশেষ চিকিৎসাকে শরিয়তি চিকিৎসা ঘোষণা দিয়ে সেই চিকিৎসাকে আধুনিক চিকিৎসার উপর অগ্রাধিকার দিতেই হবে বলে আমি মনে করিনা।

 

আমার ব্যাক্তিগতভাবে তাবিযে এলার্জি। ঝাড়ফুঁক করাই বা করি কিন্তু কমার্শিয়ালি না। পাশাপাশি চিকিৎসা অবশ্যই করাই। হিজামা করাইনি। অবশ্যই কেউ করালে আপত্তি নাই। কারও এবনরমাল আচরণ দেখলে জিনের আগে সাইক্রেটিস্টের কথা আগে মনে হয়।

 

এধরণের ক্ষেত্রে খেজুর গাছের পরাগায়ন নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সেই হাদিসের বক্তব্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক মনে করি, 'তোমরা তোমাদের দুনিয়ার ব্যাপারে অধিক ভালো জানো'।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হুজুরদের টুপি, জায়নামাজ, তসবি, মেসওয়াক, আতর আর মধু ব্যাবসায় এতো আগ্রহ কেন?

 

আজকাল নতুন আইটেম হিজামা আর রুকিয়্যা। রুকিয়্যা অবশ্য আগেও ছিলো। এখন ডেকোরেশন স্মার্ট হচ্ছে।

 

কিন্তু এসব দিয়ে সভ্যতার সংঘাতে বিজয়ী হওয়া যায় না, সভ্যতা বিনির্মান হয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর। যুগের তালে নেচে যুগের বাতাস খাওয়া যেতে পারে কিন্তু ইতিহাসের দায় পূরণ বড় সম্ভব না।

 

তাকি উসমানি নিঃসন্দেহে একজন মহান আলিম। কিন্তু আকাবির পূজার শিকল দিয়ে মানুষের মুখ ইতিহাসে বেঁধে রাখা সম্ভব হবেনা।

 

নবাব সিদ্দিক হাসান খান (রহ) ব্রিটিশদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েও যেমন আজও ব্রিটিশ তাবেদারির কলঙ্ক থেকে বাঁচতে পারেননি তেমন তাকি উসমানি (হাফি) সমস্ত কীর্তি তাকে পয়গামে পাকিস্তানে সাক্ষরের কলঙ্ক থেকে বাঁচাতে পারবেনা।

 

আচ্ছা এক লক্ষ খারাপ আঠারশো ভালো কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উম্মাহ কেন ইমরান খানের মতো বেশ্যাদের বারবার সতী ভেবে ধোকা খায়? আসলে দোষ ইমরানের একার না। উম্মাহর সদস্যদের নিজেদের চরিত্রও খুব আহামরি না। তার উপর নেশাগ্রস্ত। তারা আরও নিকোটিন চায়। ঝাড়বাতির আলো চায়। সংগীতের ঝংকার চায়। ঝুমুরের শব্দ চায়। আরও গরম বক্তৃতা চায়। এগুলো তার কাছে হেরোইনের ফিলিংসের চেয়ে বেশি কিছু না। তারা উম্মাহর পুনঃজাগরণের জন্য যে কুরবানি দরকার তা দিতে রাজিনা। ফলে ইমরান, এরদোয়ান কোন ছাড় ওবামার মতো বংশীয় পতিতাদের নিয়েও তারা হস্ত্রমৈথুনের স্বপ্ন দেখে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই বোঝার চেষ্টা করেন।

 

আমার পরামর্শ হচ্ছে, একাডেমিক জায়গায় র‍্যাডিকেল মিলিট্যান্ট টেররিস্টদের মতো গোড়া এবং আনকম্প্রোমাইজিং হতে হবে।

 

রাজনীতিতে এরশাদের মতো পল্টিবাজ হতে হবে তবে দীনের স্বার্থে, ব্যাক্তির স্বার্থে না।

 

প্রেক্ষাপটঃ বাংলাদেশ & ভারত

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বহু বহু বছর আগের কথা। জমিয়তি একটা বুকলেট পড়েছিলাম। মাওলানা ফজলুর রহমানের একটা বক্তব্য ছিলো। আমি ইবনে মোবারক, ইমাম তিরমিযি বা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি না। তাই লবজি রেওয়ায়েত করা সম্ভব না। রেওয়ায়েত বিল মানা বলতে পারেন। আমি এমনিতেই মাযহুল। তবে নিউ টেস্টামেন্টের চারজন লেখকই মাযহুল। তাই কথাগুলো আপনাকে চিন্তা করতে সহায়তা করতে পারে। মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন,

 

"লোকেরা তালেবান নিয়ে কথা বলে। কিন্তু তারা জানেনা তালেবান আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন, চোখের শীতলতা, আত্মার প্রশান্তি। তালেবানের বিজয়ে আমাদের উচ্ছ্বাস ছিলো অনন্য। আমাদের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব ছিলো আমরা তাদের সহযোগিতার জন্য করেছি। তাদের বিজয়ে আমাদেরও অবদান ছিলো। আমরা আমাদের সাধ্যের সবটুকু করতে চেষ্টা করেছি। তাদের সহায়তার জন্য মুহতারামা বেনযির ভুট্টোকে বোঝাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। মুহতারামা বেনযির ভুট্টো তালেবানদের সহায়তায় অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু এসব কিছু এমনি এমনি হয়নি। এজন্য আমাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অনেক আলোচনা, সংলাপ করতে হয়েছে। কিন্তু আলোচনার মানে হচ্ছে, কিছু নিয়ে কিছু দেওয়া। এটা হয়না যে আপনি আলোচনা করবেন আর শুধুই নেবেন কিন্তু ছাড় দিবেননা। কিছু নেওয়ার জন্য কিছু আপোষ করতেই হয়। সমস্যা হচ্ছে, যখন আমরা কিছু ছাড় দেই তখন আমাদের অনেক সরল ভাই আমাদের দোষারোপ করেন। আমাদের নিন্দা করেন। কিন্তু এই ছাড় না দিলে আমাদের অর্জনগুলোও আমরা করতে পারতাম না'।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্যারালাল ইউনিভার্স বলে একটা তত্ত্ব আছে। সংক্ষেপে, আমাদের চোখের সামনেই কিন্তু দৃষ্টি আড়ালে একই রকম একটা জগৎ আছে। বিস্তারিতঃ google. com

 

ঢাকায় ক্যাসিনো 'আবিষ্কারের' কাহিনী পড়ে দেশবাসী আকাশ থেকে পড়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে আমরা চোখের সামনে যে সমাজ দেখি, এরই সাথে তাল মিলিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত 'বোধ-জীবনাচার' নিয়ে আরেকটা সমাজ আছে। বিশেষত ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

 

এই কারণে আমি কখনো ৯০% মুসলিমের দেশ বলে বাগাড়ম্বর করি না। এরমানে এই না যে, মুসলিমের সংখ্যা কম। বরং এরা আল্লাহ্ তা'আলার করুণায় জান্নাতে যেতে পারবে বলে আশাকরতেই পারি বাহ্যিক অবস্থা অনুসারে।

 

এরমানে হলো এই যে, এদেশে বড় কোনধরণের মহামারী বা হযরত মাহদীর আবির্ভাব ইত্যাদি ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে কোনদিন ইসলাম প্রাধান্য পাবে না। গজওয়ায়ে হিন্দ কেবল ফেইসবুকেই চলবে, বাস্তবে দশ মিনিটে শাপলা চত্তর খালি হবে কিংবা হলি আর্টিজানের মত নিরস্ত্র সাধারণ বিদেশীদের খুন করে ইসলাম(!) কায়েম করা হবে।

 

সমাধান হতে পারে একটা এই, একেবারে শূন্য থেকে শতাব্দীব্যাপী কর্মপরিকল্পনা ও ব্যক্তিসত্তা নির্মানে নিয়োজিত হতে হবে।

 

আচ্ছা, হলি আর্টিজানে জঙ্গীদের নানান কাণ্ডকাহিনী পড়েছেন, তারা কী দিয়ে সেহরি খেয়েছে সেই বর্ণনা আছে কিন্তু এশার নামায জামাতে পড়েছে বা তারাবিহর নামায পড়েছে বা তাহাজ্জুদ বা ফজরের নামায, এই যে ইসলাম একেবারে নূন্যতম মৌলিক আচারগুলো, সেগুলোর কোন বিবরণ পড়েছেন কিবা শুনেছেন কোথাও?

 

যারওয়াত উদ্দীন সামনূন

 

লেখাটা পড়ুন।

 

এবার তাকে এবং তার খান্দানসহ মুলহিদ বলে গালাগালি করুন।

 

এখানে লেখাটি অনেক কিছু বলে যা লেখার বাক্যগুলো বলেনা কিন্তু এক একটা শব্দ অনেক বাক্য একসাথে বলে। সেই না বলেও পরিস্কার করে বলা বাক্যগুলো যেদিন পড়তে পারবেন সেদিন আমার চিন্তাও বুঝতে পারবেন।

 

নিবেদক

একজন ফ্রডের দালাল

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ঠান্ডা, জড়, পেটের সমস্যা, ব্যাথা, কাটা, পোড়া ইত্যাদির প্রাথমিক ঔষধগুলো জানা উচিৎ এবং বাসায় রাখা উচিৎ। বিশেষত বাচ্চাদের ঔষধ বাসায় অবশ্যই রাখা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজব ব্যাপার হচ্ছে, লোকেরা শেখ হাসিনার দালালি করার অপরাধে আহমদ শফি (হাফি)কে যতবার গালি দেয় ততবার শেখ হাসিনাকে গালি দেয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরেকটা বিতর্কিত কথা বলি।

 

কারবালার রক্ত পবিত্র। যতটা হুসাইন ইবনে আলীর কারণে তার চেয়ে আলী বিন হুসাইনের কারণে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আওয়ামী লীগ নিয়ে আমার কোনো সহানুভূতি নাই কিন্তু তারে রিপ্লেস করে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য আমি আমার পকেটের পাঁচ টাকা খরচ করতে রাজিনা। বরং বিদ্যমান বাস্তবতায় আওয়ামী লীগকে তেলপট্টি মেরে নিজের আখের গোছানো আমার জন্য সুবিধাজনক। তারা ক্ষমতা থেকে গেলে তাদের আর তেল মারবোনা।

 

আমি কি চাই আমার কাছে পরিস্কার। সব আলাপ বাদ দিলেও বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গোশত রুটি মধু ঘি সব খাবে বিএনপি নেতারা। তাই ক্ষমতায় আসতে চাইলে কুত্তা কামাল, ধান্দা ফখরুল, চাপা রিজভি, মাল.... দেরকেই রক্ত এবং কুরবানি দিতে হবে। হুযুররা দিবেনা। হেফাজতের রক্তের উপর ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বিএনপি, জামাত এবং তাদের চ্যালা চামুন্ডাদের ছাড়তে হবে।

 

আমি আল্লামা আহমদ শফি (দাবা) এর বক্তব্যে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। রাজনীতিতে কাফেরদের ধোকা দেওয়া অবশ্যই বৈধ। বিশেষত তা যদি দারুল ইসলাম না হয়। বোকা জজবাতিরা সহজ কথা বোঝেনা যে দারুল হরবে বসে দারুল হরবকে দারুল হরব বলা যায়না। বিশেষত মুফতি যদি গুরুত্বপূর্ণ কেউ হন।

 

তার বক্তব্যকে ইতিহাস চর্চা বা নৈতিকতা চর্চা নয় বরং রাজনৈতিক স্বার্থে দেওয়া একটা কৌশলী বক্তব্য হিসাবে দেখতে হবে। হুযুরদের বোকা*** ভাবা বাদ দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্ব পাঞ্জাব থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত ইসলামি আন্দোলনে ইশতেহার

 

১) শাসকদের সাথে সংঘাত যথাসাধ্য এড়িয়ে চলা।

২) তাযকিয়া

৩) ইলম এবং ফিকির

৪) ব্যাপক দাওয়াত

৫) খেদমতে খালক ও ইকরামুল মুসলিমিন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ফ্যাসিবাদের পরিচয় নিয়ে অনেকে সংশয়ে আছেন। ফ্যাসিস্ট একটা গালিতে পরিনত হয়েছে। অগণতান্ত্রিক শাসকদের গালাগালি করার জন্য ফ্যাসিস্ট শব্দটি ব্যবহার ফ্যাশানে পরিনত হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ মূলত একটা আদর্শ। ইটালির মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট পার্টির আদর্শই ফ্যাসিবাদ। ফ্যাসিবাদে একটি উগ্র জাতীয়তাবাদি আদর্শ। সাধারণত প্রবল জনপ্রিয় একটি দলের অধিনে প্রচন্ড উগ্র দেশপ্রেমের ভিত্তিতে শাসনের নিমিত্তে একজন জনপ্রিয় এক নায়কের অধীনে পরিচালিত শাসন ব্যবস্থা হচ্ছে ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা। এই শাসন ব্যবস্থায় দেশের অভ্যন্তরীণ ভিন্নমত জাতীয় স্বার্থে নৃশংসভাবে দমন করা হয়। সকল নাগরিক দেশের স্বার্থে যেকোনো কুরবানি করতে বাধ্য। ফ্যাসিবাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য জাতীয় সমৃদ্ধির জন্য পররাজ্যে আগ্রাসন। মুসোলিনি উমার মুখতার (রহ) এর লিবিয়ার তার সাম্রাজ্যবাদী লিপ্সা পূরণে আক্রমণ করেছিলো। তাদের এই উগ্র এবং প্রচন্ড লিপ্সা তাদেরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিতে প্ররোচিত করে যা তাদের চূড়ান্ত পতন ঘটায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিউনিসিয়া থেকে আমরা কি শিখলাম? আন নাহদা নির্বাচনী রাজনীতি ছেড়ে তালিম, তাযকিয়া এবং ইকরামুল মুসলিমিন তথা সমাজসেবায় মনোযোগ দিলে কি ক্ষতি হবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিশরে সিসিবিরোধী বিক্ষোভ আপাতত সমর্থন করতে পারছিনা। তবে যেহেতু পল্টি মারায় আমার কুখ্যাতি আছে তাই পরে মারলেও মারতে পারি।

 

আপাতত কথা হচ্ছে অপরিকল্পিত বিদ্রোহ আমি পছন্দ করিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নবুওয়্যাতের মাকামের উপর কোনো মাকাম নাই। শাহাদতের মাকাম নবুওয়াতের মাকামের নিচের মাকাম।

 

আবু বকর (রা), উমার (রা), উসমান (রা), আলী (রা), হাসান (রা) এবং হুসাইন (রা) এর সমন্বিত মাকামের অবস্থা মুসা (আ) এর মাকামের সামনে তেমন যেমন দুপুরের সূর্যের প্রখরতায় তারকারাজির আলোকপ্রভার হয়ে থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্ভবত এতোদিনে এটা প্রমানিত হয়েছে যে প্রিয়া সাহা ইস্যুতে শেখা হাসিনার অবস্থান সঠিক এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ ছিলো। তার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা কেবল তার জন্য শাপে বর হতো। রাজনীতি একটা জটিল শিল্প। আবেগ যুদ্ধে কাজে লাগে রাজনীতিতে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা ব্যাপার আমার খুব ভালো লাগছে। তাহেরি হুজুরের পক্ষে দেওবন্দিরা কথা বলছে। যদিও তাহেরি এমন এক গ্রুপের মানুষ যারা সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) থেকে শুরু করে বড় বড় আকাবিরে দেওবন্দকে তাকফির করে।

 

আমি বিশ্বাস করি এই উদারতাই আকাবিরে দেওবন্দের সিফাত ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কওমি মাদ্রাসায় সমকামিতার অভিযোগ নিয়ে আমি বলেছিলাম নেহাল আর ইফতেখার জামিলরা এক না। এই সমস্যার অস্তিত্ব যত ক্ষুদ্রই হোক অভিযোগ বিদ্যমান যার বাস্তবতা আছে। এএফপির দরকার হলে ইফতেখার জামিল না বললে আরেক জন বলতো। আরেকজন না বললে অন্য আরেকজন বলতো। শকুনের চোখ মাদ্রাসায় পড়েছে। অস্বীকার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা। তাই আমার এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিলোঃ

 

১) আবাসিক মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রদের পাশাপাশি উস্তাদের আবাসনের ব্যাবস্থার প্রতি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব দিতে হবে।

 

২) সারাদেশে কওমি শিক্ষকদের তালিকা করতে হবে। তা ডিজিটালাইজ করতে হবে। এই তালিকা অনলাইনে এভেইলেবল হবে। এমন অভিযোগ কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রমানিত হলে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে হবে। তিনি আর কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতে পারবেননা। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কওমি মাদ্রাসা বোর্ড সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থানিবে।

 

৩) এমন অভিযোগ প্রমানিত হলে শুধু চাকুরিচ্যুত নয় বরং তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে হবে।

 

কাজগুলো করলে বলা যেতো, যদিও ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন। তবে আমরা অভিযোগগুলোকে কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছি। কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। কিছু প্রচেষ্টা চলমান। প্রয়োজনীয় অর্থায়ন দরকার।

 

এমন একটা অবস্থান থেকে কথা বললে সবাই সততা অনুভব করতো। পাশাপাশি অন্যদের হস্ত্রক্ষেপের সুযোগ বন্ধ হতো।

 

কিন্তু আমাকে আমার দোস্তসহ অনেকেই ভুল বুঝে উলটা পালটা যুক্তি দিয়েছে। আমি যা বলেছি তা এড্রেস করায় তাদের আগ্রহী দেখিনি।

 

যাইহোক আমি ভালো না। ইহুদি নাসারার এজেন্ট। মোসাদ অফিসার। মাদ্রাসার ভালো চাওয়ার কথা না। কিন্তু অভিযোগটা দুশমন আনছে। সামনে আরও প্রবলভাবে আনবে।

 

এখন আপনারা কি করতে চান?

 

জাস্ট অস্বীকার?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাধারণভাবে মেইনস্ট্রিম সেক্যুলার ধারার সাথে মাদ্রাসার পাপাচারের তুলনা দিতে চাইলে অবশ্যই সেক্যুলার ইন্সটিটিউটগুলো এগিয়ে থাকবে। কারণ সেগুলো বানানোই হয়েছে পাপ করা এবং পাপ শেখানোর জন্য।

 

কিন্তু মাদ্রাসার জন্ম পাপ দমন করার জন্য। আমি অবশ্যই স্বীকার করি জাহেলি সমাজে পাপাচার থেকে কেউ মুক্ত থাকতে পারবেনা। এটা আপনাদের সারে তিন হাত শরীরে ইসলাম প্রতিষ্ঠা না করে জমিনে করার বিরোধিতার যুক্তিকেও খন্ডন করে। জমিনে দীন না থাকলে শরীরে দীন রাখা সহজ না।

 

তবে মাদ্রাসাগুলো ব্যাতিক্রম ছাড়া সমস্যাটিকে মোকাবেলায় যথেষ্ট উদ্যোগ নিতে ব্যার্থ হচ্ছে। যারা ফেসবুকে এসে সমস্যা অস্বীকার করছে তারা অন্তত ৯০ ভাগ অস্বীকার করছে একারনে যে ঘরের খবর তারা বাহিরে বলতে নারাজ। তারা আসাবিয়্যাহ তাড়িত হয়ে ভাবমূর্তি রক্ষায় এসব বলছে। কিন্তু আপনি তাদের সাথে একান্তে বসুন। তারা অবশ্যই স্বীকার করবেন যে অনেক মাদ্রাসাতেই সতর্কতার জন্য যা কিছু করনীয় তার পুরোটা করা হচ্ছেনা।

 

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ হচ্ছে আমাদেরকে এবং নেহালদের যারা এক করতে চাচ্ছেন তারা নিজেদের মাসলাকবাজি ছোটলোকির কারনেই করছেন। সে যেদিন ইসলামের বাইরে চলে গেলো সেদিন মূলত জজবাতি ছেলেগুলোই চেঁচামেচি করেছে। আপনারা অনেকে নিরব ছিলেন, অনেকে জজবাতিদের হালকা সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু আজ মাসলাকের উপর আঘাত আসায় যে শোরগোল করছেন তা তখন করেননি। বলেছেন আর একটু সুযোগ দেওয়া হোক। আর একটু দেখি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা মাদ্রাসার দুশমন আর আমরা এখনো আমাদের সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়াতে চাই। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে এবিষয়ে কঠোর অবস্থান চাই। নয়তো আমার সন্তান যেদিন ভিক্টিম হবে সেদিন আপনারা ইসলাম এবং মাদ্রাসার স্বার্থে চেপে যেতে বলবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উমার মুখতার, ইমাম শামিল, ভারতীয় সুফি মুজাহিদগন সবাই কেন একচেটিয়াভাবে কলোনিয়াল পাওয়ারগুলোর কাছে হেরে গেলো?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুইজন ব্যাক্তিকে নিয়ে ভালো দুইটা বই আসা দরকার। কারণ তারা আজকের যুগে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। তাদের মোকাবেলা করতে না শিখলে আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেননা।

 

১) ফেরাউন

২) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলুল

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি যতই মডারেট বলে গালাগালি করেন সিনেমার একটা দাম আছে।

 

ওমর মুখতার (রহ) কে এতো মানুষ চিনে কিভাবে? সিনেমা দেখে।

 

সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) কে কেন লোকে চেনেনা? কারণ সিনেমা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কে বড় জোকার?

 

১) ইমরান খান

২) মির্যা ফখরুল

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাআদপন্থী ছেলেগুলোর কারও কারও মাঝে অত্যন্ত ভয়ংকর প্রবণতা দেখছি। তেমন মুহাক্কিক আলিম না হয়েও নবীদের নিয়ে পর্যালোচনা করা। আমি স্পেসিফিক বলছিনা কারণ শয়তান ওয়াস ওয়াসা তৈরি করবে।

 

তাদের মাঝে এমন প্রবণতা তৈরি হয়েছে যে, আলাপ আলোচনায় তারা হুট করে বলে ফেলবে অমক নবীর এই কাজের চেয়ে তমক নবীর সেই কাজ ভালো। আমি জায়েজ নাজায়েজ বিতর্কে না ঢুকেও বলা যায় নবীদের আজমত, তাদের শান এবং পবিত্রতা নিয়ে অন্তরে ভয় থাকা উচিৎ। পর্যালোচনা করার জন্য জগতে অনেকেই আছে। নবীরা অনেক ভারী। তাদের মাপতে গেলে দাঁড়িপাল্লাই ভেঙে যাবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ব্যাপারটা নিয়ে যথেষ্ট ভেবেছি। মুসলমানদের জন্য পদ্মা সেতুর চেয়ে একটা আন্তর্জাতিক মানের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির দরকার অনেক বেশি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি মডারেট বলে গালাগালি করতে পারেন। সে আপনার স্বাধীনতা। কিন্তু আমি ইয়াসির কাদি এবং হামজা ইউসুফের চেয়ে নলেজেবল ইংরেজি ইসলামিক স্পিকার চিনিনা। বাংলাতেও কোনো পাবলিক স্পিকার তাদের চেয়ে প্রাজ্ঞ আমি দেখিনি। সাইদি, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, চরমোনাইপন্থী বা জমিয়তি জনপ্রিয় বক্তারা তাদের হাঁটুর কাছে ইলম রাখেন। তাদের একজন মালেকি সুফি ব্যাকগ্রাউন্ডের মডারেট। অন্যজন সালাফি ব্যাকগ্রাউন্ডের। মজার ব্যাপার হচ্ছে তাদের দুজনেই এক কালে কড়া জজবাতি ছিলেন।

 

ইয়াসির কাদি উম্মাহাতুল মুমিনিন সিরিজে উম্মে হাবিবা (রা) এর প্রথম স্বামী ওবায়দুল্লাহ বিন জাহাসের মুরতাদ হওয়া প্রসঙ্গে রিদ্দার শাস্তি নিয়ে আলোচনায় তিনি আর গোপন করেননি যে এসব নিয়ে আলোচনা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ তিনি আগে পেছনে প্রটেকশন লাগিয়ে আগে যেভাবে সত্য বলতেন তাও ১০ বা ২০ সেকেন্ডের ক্লিপের অত্যাচারে তার জন্য সমস্যা তৈরি করছে। তাই এব্যাপার তিনি আরও সতর্ক। আরও মডারেট। অন্যদিকে হামজা ইউসুফ আজকাল আমিরাতের সমর্থক এবং সিরিয়ান রেভ্যুলুশানের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিচ্ছে।

 

সত্য বলতে মডারেট আলিমরা অধিক মেধাবী এবং জ্ঞানগত যোগ্যতা প্রগাঢ় এবং সুক্ষ। আপনার কাছে ইলমের দরকার তাদের নাই। তাই ফেসবুকে বা বাস্তব জীবনে তর্ক করে তাদের কোনো কিছুই বোঝাতে পারবেননা। কারণ তাদের সমস্যা দলিল না। তাদের সমস্যা হচ্ছে মাথার উপর ঝুলে থাকা তরবারি। এই তরবারির আতঙ্ক তাদের ম্যাকবেথের পাপবোধে অধিক হত্যাকাণ্ড চালানোর মতো আরও আরও অধিক মডারেট বানাবে। কিতাবুল্লাহ এবং সুন্নাহর কোনো দলিল তাদের থামাতে পারবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকেকেই মাহমুদ মাদানি (দাবা) এর সমালোচনা করতে দেখলাম। কিন্তু এসব সমালোচনার দুই পয়সা মূল্য নাই। কারণ সকল সমালোচনা আবেগি। কেবল আমি এবং Harun Izhar সাহেবকে দেখলাম করনীয় নিয়ে পরামর্শ দিতে। অবশ্য আমাদের পরামর্শ ভিন্ন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) না বরং তার রাজনৈতিক কৌশলের সমালোচনা করেছি।

 

প্রশ্ন হচ্ছে জামাতপন্থীরাও তার রাজনৈতিক কর্মপন্থার সমালোচনা করে, আমিও করি। তাহলে আমাদের পার্থক্য কি?

 

জামাত ৪৭ এর পূর্বের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে। আমি জানিনা দেশভাগ হয়ে ভালো হলো নাকি নাহলে ভালো হতো তবে তার রাজনীতি সঠিক হওয়া নিয়ে আল্লাহ জানেন আমার অন্তরে সন্দেহ নাই।

 

হ্যাঁ আমি মনে করি মুসলমানদের নিজস্ব রাজনীতি দরকার ছিলো। কিন্তু উপস্থিত সময়ের তাকাযা পূরণে তার কর্মপন্থার যথার্থতা দুপুর বারোটার মেঘমুক্ত সূর্যের মতো পরিস্কার।

 

কিন্তু ৪৭ এর পরে নিজস্ব রাজনীতি গড়ার প্রজেক্ট নিতে ব্যার্থ হওয়ার গুরুত্ব অনেক। কংগ্রেস নির্ভর নিরাপত্তা কখনোই সাসটেইনেবল ছিলোনা।

 

আমার প্রস্তাব পরিস্কার। সামান্য সংখ্যক ইহুদিদের বিশ্বব্যাপী যে প্রভাব আছে তা বিপুল সংখ্যক মুসলমানদের নাই। কিন্তু মুসলমানরা উপযুক্ত পরিকল্পনা নিতে পারলে সেটা সম্ভব। তবে শর্ত হচ্ছে অন্যদের দিয়ে নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কৌশল প্রণয়ন এবং যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সবার সমালোচনা করি। তবে আমি সমাধান বলে দেই। বাস্তব সমাধান, রোমান্টিক না।

 

আমার কোন দল নাই। দল করার সম্ভাবনা নাই। আমার লেখা আমি সংরক্ষণ করিনা। ফেসবুক একাউন্ট বাতিল করে দিলে সকল লেখা দাফন হয়ে যাবে। আইডিটা মারা যাবে। কেউ তেমন কিছু দাবি করবেনা। আবার মারা গেলে কেউ আপনাকে জানাবেও না।

 

আমি ফেসবুকে বিপ্লব করতে আসিনি। আমি জানি আমি চাইলেও ফেসবুকে বিপ্লব হয়না। আমার সকল পান্ডিত্যপূর্ন পোস্টের চেয়ে গ্রামের ভাঙা মসজিদের নাহু পড়া ইমাম সাহেব ইসলামি আন্দোলনে অনেক বড় খিদমত করছেন।

 

আমার সর্বোচ্চ প্রত্যাশা হচ্ছে বাঙালি মুসলিম চিন্তা পুকুরে ঢিল ছোড়া। বড়জোর মাটির ভাঙা পাতিলের খাপড়া দিয়ে ব্যাঙ খেলা। আমার সফলতা হচ্ছে যারা ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করেন আমি চাইলে তাদের কাছে আমার বক্তব্য পৌঁছাতে পারি। এতোটা সাফল্যের স্বপ্ন আমার ছিলোনা। তবু এসে গিয়েছে। বাস্তবিকই ফেসবুক আমার কাছে রাফ খাতার মতো।

 

তাই আপনাদের আকাবির পূজা নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নাই। আপনাদের আকাবিরদের ট্যাক্স দিয়ে চলার দায় আমার নাই।

 

আবেগি কথা বাদ দিলে মাহমুদ মাদানি (হাফি)কে গালি দিয়ে লাভ নাই। কারণ তার এই বক্তব্য মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এর ৪৭ পরবর্তী ভুল রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার অনিবার্য পরিণতি। অবশ্যই তাতে একজন আলিম এবং ইসলামি আন্দোলনের মহান সিপাহসালার হিসাবে মাদানি (রহ) এর মর্যাদা সামান্য কমেনা। আল্লাহ এবং ফেরেশতা ছাড়া কেউ ভুলের উর্ধ্বে না। আমরা তার জাহের অনুযায়ী অনুমান করতে পারি তার রাজনৈতিক কর্মপন্থা স্বীয় ইজতিহাদ অনুযায়ী উম্মাহর সর্বোচ্চ কল্যাণের জন্যেই গৃহীত হয়েছিল।

 

যাইহোক আমরা শুধু ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্যই আলোচনাটি করি। নয়তো তারা অতীত। মাটিতে পড়ে যাওয়া দুধের জন্য দুঃখ করা অর্থহীন। তাদের ভুল নিয়ে অবসেসড হওয়ারও কিছু নাই। আমাদের আগামীর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। হিন্দু জনগোষ্ঠীকে আমাদের রাজনৈতিক প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে তাদের মাঝে কাজ করার জন্য তাদের সমাজ থেকে কিছু মেধাবী ছেলেকে মুয়াল্লাফাতুল কুলুব ফান্ড থেকে অর্থায়ন করতে হবে।

 

শেষে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলি, মরক্কো থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত রাজনীতি এবং পূর্ব পাঞ্জাব থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত (বা চাইলে নিউজিল্যান্ড পর্যন্তও বলতে পারেন) রাজনীতি আলাদা। ফলে এই দুই অঞ্চলের রাজনৈতিক ফতোয়াও আলাদা। রাজনৈতিক কৌশলও আলাদা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাইরে ভাই আপনারা মাল এক একেকটা। মনের দুঃখে একটা কথা বললাম। আপনার ফেকাহ, দর্শন, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, বিশ্বরাজনীতি, মডারেট, মধ্যযুগীয় সব একাকার করে ফেললেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাদখালি ভাইলোগ প্রায়ই বলেন, ইয়াজিদ, মোহাম্মদ বিন সালমান এবং মুসলমানদের হুক্কাদের সম্পর্কে আমাদের কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করা হবে না

 

তো ভাই শাইখদের জিজ্ঞাসা করেনতো আল্লাহ কি আমাদের ইবনে আরাবি, সাইয়্যেদ কুতুব আর বিন লাদেন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনার গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড যদি বাস্তবতাবোধ সম্পূর্ণ না হয় তবে তাকে ডিচ করুন। অবশ্যই স্বার্থপরতা আর বাস্তবতাবোধ এক কথা না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমিতো গালাগালি করতে চাইনা। কিন্তু আপনাদের কারণে না করেও পারিনা। আপনারা এতো বোকা, এতো বোকা, এতো বোকা যে,....

 

আমি হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) রাজনৈতিক কর্মপন্থার সমালোচনা করলে আপনারা বলেন আমি তাকে অপবাদ দিলাম এসব কোন মাপের আকাবির পূজা।

 

মাদানি, থানভী বা তাকি উসমানি কেউ নবী না। তাদের রাজনীতির সমালোচনা করা যাবেনা কেন? আকাবিরের পূজারি ক্যাথেলিকরা আমার সাথে কি?

 

বঙ্গবন্ধু, আবুল মনসুর আহমদ, মাওলানা আযাদ থেকে শুরু করে অগণিত মানুষের লেখা পড়েছি। আমি নিশ্চিত না যে ৪৭ এ দেশভাগ হয়ে ভালো হয়েছে নাকি না হলে ভালো হতো। তবে আমি বুঝি দেশ ভাগ হওয়া না হওয়া আলিমদের হাতে ছিলোনা। তাই গাছেরটা খাওয়া এবং তলারটা কুড়ানোর জন্য থানভী এবং মাদানি দুইজনের কর্মপন্থাই সঠিক ছিলো। তবে তা ছিলো সাময়িক কর্মসূচি হিসাবে। কিন্তু আলিমদের কারও কোনো নিজস্ব কর্মসূচি ছিলোনা। কংগ্রেস আর মুসলিম লীগের পেছনে ঘোরার রাজনীতি একটা দুর্বল রাজনীতি। দীর্ঘ মেয়াদে তা অনেক মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির কারণ হয়েছে। অবশ্য ভারতবাসীর উপর পূর্ন কর্তৃত্ব আলিমরা আরও পঞ্চাশ বছর আগেই হারিয়ে ফেলেছেন।

 

যাইহোক আমার বক্তব্য হচ্ছে হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এর রাজনৈতিক জীবনের তিনটা পার্ট।

 

১) শাইখুল হিন্দের তত্ত্বাবধানে। এটা তার জীবনের শ্রেষ্ঠ গৌরবময় অংশ।

 

২) অখণ্ড ভারতপন্থী রাজনৈতিক অবস্থান যা ৪৭ পর্যন্ত বজায়ে ছিলো। আমি জানিনা তার বিশ্লেষণ ঠিক না ভুল তবে তার ব্যাক্তিগত অবস্থান উম্মাহর জন্য কল্যাণকর হয়েছে।

 

৩) ৪৭ পরবর্তী রাজনীতি। আমি মনে করি এসময়ে তিনি সর্বভারতীয় অসাম্প্রদায়িক সংগ্রামী রাজনীতির পরিবর্তে কংগ্রেসের সাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতীয় মুসলমানদের রক্ষার রাজনীতি শুরু করেন যা আমি ভুল রাজনীতি মনে করি।

 

ভারতীয় রাজনীতিতে হিন্দুদের বাদ দিয়ে কোনো কিছু সম্ভব না। সম্রাট আলমগীর আফগানিস্তানের মতো গোড়া হানাফি প্রদেশে হিন্দু শাসক নিয়োগ করেন, মির্জা মাজহার জাঁনেজানা হিন্দুধর্মের উপর অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন। তাদেরকে সাথে নিয়েই ভারতীয় সমাজ এবং রাজনীতিতে অবদান রাখতে হবে।

 

অনেকে বলেন ভারতীয় মুসলমানদের সংখ্যা কম। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তাদের সংখ্যা ইহুদিদের চেয়ে বেশি। ভারতীয়রা ডেমোক্রেসি, কমিউনিজম নিতে পারলে ইসলামও রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে নিতে পারবে। সেই ইতিহাসও তাদের আছে। শতশত বছরের সে ইতিহাস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লামা মাহমুদ মাদানিরটা হিকমত কিন্তু নবাব সিদ্দিক হাসান খান (রহ) ব্রিটিশ দালাল।

 

আচ্ছা। বুঝলাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনারা জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত। আমার ধারণা আগামী ১০ বছরে এমন অবস্থা হবে যে ঢাকায় অনেক এলাকায় বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া পাবেননা। বাসাগুলো খালি পড়ে থাকবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(১)

 

মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি, শাইখ বিন বায, শাইখ উসাইমিন, মাওলানা মাওদুদি কেউ নবী বা সাহাবা না।

 

(২)

 

আপনারা অনেকেই আমার পোস্ট ভালো করে না পড়েই আমাকে তোষামোদ করেন অথবা গালাগালি করেন।

 

(৩)

 

আপনারা কেন কংগ্রেস-মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ-বিএনপি, গনতন্ত্র-রাজতন্ত্র, নির্বাচন-জিহাদ ইত্যাদি ডাইকোটমি ভাঙতে পারেননা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাহমুদ মাদানি সমালোচনা আমি হুজুগে পার্টির তালে করিনা। আমি পরিস্কারভাবে মনে করি এই ভুল রাজনীতির সূচনাকারী হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ)। জমিয়তের গত ৭০ বছরের রাজনীতিই ভুল। জমিয়ত গত ৭০ বছরে ভারতীয় রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো অবদান রাখেনি। তারা আগের দেড়শো বছরের উলামায়ে হিন্দের কুরবানির ইতিহাস বেঁচে খেয়েছে। এই ৭০ বছর ধরে তাদের রাজনীতি ছিলো ভারতীয় হিন্দুদের বিশেষত কংগ্রেসের পা চেটে মুসলমানদের বিশেষত দেওবন্দিদের জন্য সামান্য নিরাপত্তা আর ক্ষুদ কুঁড়ার ব্যবস্থা করা।

 

গত ১০০ বছরে তথাকথিত মূলধারার ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো মূলত ইসলামি রাজনীতি করেনা। তারা করছে মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। কিন্তু ভারতবর্ষের হাজার বছরের রাজনৈতিক কাঠামো হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক। এদেশে ইসলামি আন্দোলনের প্রধান কাজ হওয়া উচিৎ ছিল ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে সর্বভারতীয় গণমানুষের অধিকার আন্দোলনের রাজনীতি। আমি ভারত, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের সরকারগুলোকে গণমানুষের প্রতিনিধি ভাবিনা। এখানে বুর্জোয়া গনতান্ত্রিক রাজনীতির চিরায়ত কূটকৌশলের মাধ্যমে জনতাকে বোকা বানানো হয়। জমিয়তের উচিৎ ছিলো নয়া উপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় গনঐক্য গড়ে তোলা। কারণ শাসকরা মোটেই বিশ্বস্ত না। কিন্তু তারা সবসময় একটা সাম্প্রদায়িক দেওবন্দি রাজনীতি করেছে। তার পরিনতি আজকে আরএসএসের কাছে এই অসহায় আত্মসমর্পণ।

 

'তোমরা নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করোনা' আয়াতটির তাফসিরে আবু আইয়্যুব আনসারি (রা) বলেন জিহাদ ছেড়ে দেওয়াই মূলত ধ্বংস। দেওবন্দের বুনিয়াদি চেতনা জিহাদ ছেড়ে দেওয়াই তাদের আজকের জিল্লতির কারণ। তারা সংগ্রাম এবং বৃহত্তর সর্বভারতীয় ঐক্য গড়ার লড়াই পরিত্যাগ করায় অযোগ্য এবং ছুপা সাম্প্রদায়িক কংগ্রেসের প্রশ্রয়ে গড়ে উঠেছে বিজেপি, আরএসএস। কিন্তু তারা যদি কৃষকের আত্মহত্যা নিয়ে রাজনীতি করতো, টয়লেট নিয়ে রাজনীতি করতো, নয়া উপনিবেশিক শোষণ নিপিড়নের ভিত্তিতে হিন্দু মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতো তবে আজ তাদের এই অবস্থায় আসতে হতোনা।

 

মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে একবার কংগ্রেস মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে নির্বাচন করতে বললে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন তিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদ হতে চাননা। তিনি হিন্দু মুসলমানের মিলিত নেতা হতে চান। আমাদের সময়ে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি মুসলমান এবং দলিত সম্প্রদায়ের ঐক্যের কথা বলেন। তিনি এই দুই সম্প্রদায়ের উন্নয়নের রাজনীতি করেন। এটা তুলনামূলকভাবে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জমিয়তের সাম্প্রদায়িক পা চাটার রাজনীতির চেয়ে অনেক ভালো। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ বা মাহমুদ মাদানি রাজনীতি মুসলমানদের উপস্থিত সামান্য সুবিধা দিলেও এই রাজনীতি দীর্ঘ মেয়াদের কোনো সুবিধা মুসলমানদের দেবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি অনেকবার বলেছি আমি কারও না আমি আমার। আমি মতাদর্শগতভাবে দেওবন্দি কিন্তু গোষ্ঠীগতভাবে না। আমি ডির‍্যাডিকেলাইজেশন চাই তবে সেটা ভারত আর আমেরিকার বুদ্ধিতে না।

 

অনেকে মানহাযিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে। আমি তাদের বক্তব্যের অর্থাৎ মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কখনো একবারও দাবি করিনি আমি মানহাযি। বরং সর্বদা অস্বীকার করেছি। কিন্তু যেহেতু আমার অনেক বক্তব্য মানহাযিদের পক্ষে গিয়েছে তাই তারা ধরে নিয়েছে আমি তাদের পক্ষে কিন্তু কৌশলগত কারণে বলিনা। কিন্তু যখনই আমার কথা তাদের গান্ডুপনার বিরুদ্ধে গিয়েছে তখনই তারা কাকের পালের মতো কাকা করে গান্ডুপনায় আকাশ ভড়িয়ে তুলিছে।

 

বাস্তবতা হচ্ছে ফেবু মানহাযিদের এক বড় অংশ একই রকম দলবাজ, মাসলাকবাজ। এখন মূলধারার রামছাগলগুলোর মতো আমার ব্যাপারে এমন সব কথা চাপাচ্ছে যা আমি বলিনি অথবা বলেছি একটা তারা বুঝেছে আরেকটা তারপর সেটা খন্ডন করছে।

 

তারা এক রোমান্স ও ফ্যান্টাসির দুনিয়ায় থাকে। বাস্তবতা সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই। তাদের মূল ম্যাথোডোলজি ছিলো সাপের মাথার বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য না। তারা কাজে নাই কিন্তু কথায় ষোল আনার উপর আঠারো আনা। কথা শুনলে মনে হবে একেকটা নবী রাসুল না হয় ফেরেশতা। গান্ডুগুলো সাধারণত মূলধারার চেয়ে সরকারের সমালোচনা তুলনামূলক অনেক কম করে। পার্থক্য শুধু তাকফির এবং গুটিকয়েক মাসলা। কারণ জানে কেস খেলে কোথায় ভড়ে দেবে। তাদের সকল কার্যক্রমের টার্গেট সরকার এবং জীবনের চাপে চ্যাপ্টা হওয়া ভীরু উলামারা। এরা এতো গোঁড়া যে তাদের মতাদর্শ থেকে সামান্য বিচ্যুত হলেই আপনি ট্যাগ খাবেন মুরজিয়া এবং মডারেট। মাদখালি স্টাইলে বেপরোয়া তাবদি তাদের চরিত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাসলাহা, উরুফ, মন্দের ভালো ইত্যাদি বললেই আপনাকে তারা কোনো না কোনোভাবে তাবদি করার ধান্দা করা শুরু করবে। তাদের নিজেদের গ্রুপেরও সবচেয়ে কট্টর চিন্তক মাকদিসিকে এই সুফিবাদি নরম মাটির দেশে আমদানি করে সকল প্রথাগত আকিদা এবং ফিকাহকে খেলে দেওয়ার আপ্রান প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তারা অসম্ভব ঝগড়াটে এবং তর্কবাজ। কিন্তু সামান্য কয়েকটি টপিকের বাইরে তাদের আলোচনার সামর্থ্য অত্যন্ত সীমিত। কমন সেন্স অত্যন্ত কম। এই চূড়ান্ত বেয়াদব ছেলে ছোকরাগুলো জাস্ট টেক্সট পড়ে তার জাহেরি অর্থের উপর কথার বলবে। কিন্তু বিপরীত দলিলগুলো সমন্বয়ের যোগ্যতা দূরে থাক চেষ্টাও তাদের নাই।

 

জানিনা তাদের মাঠের ছেলে মানে কাজের ছেলেরা কেমন কিন্তু ফেবুর ছেলেগুলো দিয়ে সৃষ্টি বা ধ্বংস কোনো কিছুই হবেনা অলস তর্কবিলাস ছাড়া। কারণ তারা বিপদজনক কোনো কিছু করার যোগ্যতা রাখেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সত্য বলতে আমরা এমন এক সময়ে এসে পৌঁছেছি যখন ইসলাম আর জীবন এক সাথে রক্ষা করা সম্ভব না। জীবন দিয়েও ইসলাম রক্ষা হবে বলা শক্ত। সেদিন আরএসএসের সাথে জমিয়তের বৈঠক কোনো সাধারণ বৈঠক ছিলোনা। সেটা ছিলো ডেকে এনে ধমক দেওয়া। কান ধরে নির্দেশ দেওয়া। তা প্রতিরোধের কোনো ক্ষমতা জমিয়তের ছিলোনা। মেরুদণ্ড বা শিং কোনোটাই তাদের নাই। দুইটাই ৪৭ সালেই ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু মনে হয়না এই আত্মসমর্পণে শেষ রক্ষা হবে।

 

প্রায়ই মনে হয় আহমদ শাহ আবদালি মারাঠাদের না হারালে যা হতো আজ তা হওয়ার সময় চলে এসেছে। সম্ভবত রানীর শাসনই ভালো ছিলো। তালেবানের যুদ্ধ একারণেই চুক্তির চেয়ে সুবিধাজনক। কারণ যেসব শর্তে চুক্তি করার আকাঙ্খা মার্কিন বাহিনী বহন করে তার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। অন্তত মরার আগে লড়াই করার সুখতো পাওয়া যাচ্ছে। শাইখুল হিন্দের পথ থেকে সড়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে যেকোনো মূল্যে ব্রিটিশ তাড়ানো ভারতীয় মুসলমানদের জন্য কল্যাণের হয়নি। চুক্তি কেবল তখনই করা উচিৎ যখন নিজস্ব মৌলিক স্বার্থের ন্যুনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বেপরোয়া কাজ করার নাম আযিমাত না। দীনের জন্য যা কল্যাণকর তা করতে জীবন, সম্পদ এবং সম্মান কুরবানি দেওয়ার নাম আযিমাত। কিছু জজবাতি ছেলে পুলে বিভিন্ন গ্রুপে আছে যারা মেয়েদের মতো মনে করে পরিনতি বিবেচনা না করে যা ইচ্ছা তা বলার নাম আযিমাত। অবশ্যই কাপুরুষতা এবং হিকমাহর মাঝে পার্থক্য আপনাকে বুঝতে হবে এবং সেই পার্থক্য রেখাকে সম্মান জানাতে হবে। ব্যাক্তিগত লাভ ক্ষতি এবং দীনের ক্ষেত্রে লাভক্ষতির পার্থক্য উপলব্ধি করতে হবে।

 

রোমান্টিক চিন্তা লালনকারী কিছু ছেলে যাদের ফিকহের প্রাথমিক সমঝ নাই তারা যখন রাজনীতি নিয়ে কথা বলে তখন তা হয় এক মহাবিপর্যয়ের কারণ। এধরণের বেপরোয়া আবেগি ছেলেরা অচিরেই হামযা ইউসুফদের মতো অতি মডারেট হওয়া শুরু করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে তাই দেখছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হারুন ইয়াহিয়ার একটা বই আছে। বইটা বিশেষত বইটার নাম আমার খুবই পছন্দের।

 

রোমান্টিসিজম এ্যা উইপন অব স্যাটান

 

তিনি বইটিতে দেখিয়েছেন কিভাবে যৌন এবং রাজনৈতিক উভয় প্রকার রোমান্টিসিজম কিভাবে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে গ্লোরিয়াস লিগেসি তৈরিতে কমিউনিস্ট রোমান্টিক রেভ্যুলেশনারীরা রাজপথে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে বীরত্ব দেখায়।

 

বাস্তবতা হচ্ছে কমিউনিস্ট রেভ্যুলেশনারী কাজকর্ম গত শতাব্দীতে মাওলানা মাওদুদি, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধী, সাইয়্যেদ কুতুব থেকে শুরু করে আরও অনেককে কম বেশি প্রভাবিত করেছিলো। তাদের অনুসারীরা সেটাকে রোমান্টিক পর্যায়ে নামিয়ে দেশে দেশে ফিতনা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

 

আমি হুসাইন (রা) এর তাহরিককে রোমান্টিক মুভমেন্ট বা মানবীয়তার উর্ধ্বে কোন দেবতার লীলা হিসাবে দেখতে চাইনা। আমি কদিন আগে হুসাইন (রা) এর তাহরিক নিয়ে আলী শরীয়াতির অসাধারণ সাহিত্য সৌন্দর্যমন্ডিত রেটরিক প্রত্যাখান করেছি। আমি হুসাইন (রা) এর আন্দোলনকে বাস্তব রাজনৈতিক মডেল মনে করি যা আপনাকে ঝুঁকি নিতে শেখায় কিন্তু আত্মহত্যা করতে না।

 

এজন্যই ফুকাহাদের জজবাতি হলে চলেনা। তাদের হতে হবে শীতল মস্তিষ্কের অধিকারী। আর রাজনৈতিক নেতৃত্বকে হতে আরও ধুরুন্ধর যারা এসব শীতল মস্তিস্কের ফুকাহাদেরকেও ধারণ করতে পারেন আবার বিপ্লবী দায়িত্বও আদায় করতে পারেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি মনে করি হেজাজে বসে আলে সাউদের সমালোচনা অবশ্যই আলিমদের পরিত্যাগ করা উচিৎ। তারা যদি আযিমাত এখতিয়ার করতে চান তবে হিজরত করে মাদখালি প্রোপাগাণ্ডার ভিত্তি ভেঙে ফেলা উচিৎ। যদি রুখসাত চান তবে সবর করা উচিৎ। কিন্তু এসব আধ খিচরা আচরণ সাহিবে হাল সুফিদের পাগলামির অতিরিক্ত কোনো কিছু মনে হচ্ছেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াজিদকে নিয়ে দুই রকম চরমপন্থার বিস্তার হচ্ছে। এক দল বলে জান্নাতি অন্যদল কাফের। দুইটা বক্তব্যই আবেগি এবং জাহেরি। তারা কেউ তাদের বক্তব্যের পরিনাম জানেনা। এজন্য তারা অনেকে সনদ পর্যালোচনার ধার ধারেনা। ইয়াজিদের বক্তব্যগুলোর সনদের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে প্রায়ই। পাশাপাশি শিয়া, সুন্নি, খারেজি সবার ইয়াজিদবিদ্বেষ তার ব্যাপারে ইনসাফ কঠিন করে তোলে। অন্য দিকে নাসেবি এবং মাদখালিদের বিবেকহীন কথাবার্তা আরেক গজব।

 

ইয়াজিদের ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে সে জঘন্য জালিম এবং প্রকাশ্য ফাসিক। কেউ দাবি করতে পারেন, সে কাফের না হলেও হয়তো মুনাফিক। কিন্তু সেদাবি সত্য হলেও তার কুফরের ব্যাপারে কোনো মুতাওয়াতির রেওয়ায়েত নাই। বেশ কিছু সাহাবা এবং বিপুল পরিমান তাবেঈ তার বায়াত নেয়। ইবনে জুবায়ের বা ইবনে আশয়াছ সঙ্গীরা আরও আগেই তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতো যদি ইয়াজিদের কুফর তার ফিসকের মতো প্রকাশ্য ও ব্যাপক হতো। তাই অকাট্য সনদ ছাড়া মুসলমানদের তাকফির করা আহলে সুন্নাহর রীতি হতে পারেনা। যারা করেছেন তা তাদের আবেগী বিচ্যুতি। অন্যদিকে যারা তাকে জান্নাতি বানাতে চায় এবং তার প্রশংসায় আগ্রহী সেই মাদখালি কুকুরদের সাথে আলোচনাও অর্থহীন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজকাল এরদোয়ানকে কেমন জানি বেশ্যার মতো বাজারে মনে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যখন কারও সমালোচনা করেন তখন তালে তাল না মেরে কেন কার বিরুদ্ধে তা ঝেড়ে কাশুন। ধরেন ষাড়ের সমালোচনা করছেন। কেন করছেন?

 

১) তিনি চেতনার নামে ভন্ডামি করেন।

২) তিনি আওয়ামী লীগ।

৩) তিনি ইসলামবিরোধী বলে।

 

শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন গংদের এই জায়গায় আমি অত্যন্ত পছন্দ করি। তারা যখন আপনাকে অপছন্দ করে তখন সরাসরি বলে দেয় যে তারা আপনাকে অপছন্দ করে কারণ আপনি ইসলামপন্থী। রাজনৈতিক কৌশলগত কারনে সাধারণত তারা প্রতিশব্দ হিসাবে মৌলবাদী শব্দটা ব্যাবহার করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের ইসলামপন্থীদের হাইপার সেনসিটিভিটি একটা মারাত্মক সমস্যা। দেখলেই কেমন ছোটলোক ছোটলোক লাগে।

 

লিবিয়া প্রবাসি Mozammel Hossain Toha ভাই লিবিয়ার বাস্তবতা এবং গত দশ বছরে তার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। অবশ্যই তার বিশ্লেষণে তার মতামতের প্রভাব থাকে। তবে বিশেষণ, প্রশংসা এবং নিন্দার অংশ বাদ দিলে মোটামুটি ঘটনা প্রবাহের একটা ভালো বিবরণ পাওয়া যায়।

 

এখন ছোটলোক ইসলামপন্থীরা নিজের সমর্থিত গ্রুপের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য গেলো সেটাই বড় করে দেখছে। বক্তব্যের অবজেক্টিভিটি নিয়ে তারা চিন্তিত না।

 

এই তর্কবাজ ঝগড়াটে ইসলামপন্থীরা সারাজীবন বিভিন্ন গ্রুপের স্তাবক সমর্থক হয়েই থাকবে। মুসলমানদের জন্য সফল পলিসি মেকিংয়ের মতো শীতল মস্তিষ্ক এবং চিকন বুদ্ধি তারা কখনো অর্জন করতে পারবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমেরিকা এই মুহুর্তে আফগানিস্তান না ছাড়া কট্টরপন্থী গেরিলা সংগঠন তালেবানের জন্য একদিক থেকে সুবিধাজনক। আফগানিস্তানের অবকাঠামো এবং প্রশাসন চালানোর মতো বিপুল ফান্ড গেরিলা গোষ্ঠীটির জন্য সংগ্রহ করা কঠিন হতে পারে। ফলে তাদের জনপ্রিয়তা হুমকির মাঝে পড়তে পারে। কিন্তু বর্তমানে আফগানিস্তানের খরচ আমেরিকার। কিন্তু শাসন এবং কর্তৃত্ব অধিকাংশ ক্ষেত্রে গেরিলা গোষ্ঠিটির। পাশাপাশি তারা আমেরিকান প্রজেক্টগুলো থেকে ট্যাক্স এবং কমিশন আদায় করে। এমনকি বিদ্যুৎ বিল থেকেও। ফলে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করলে গেরিলা গোষ্ঠীটি মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি মুসলিম বিশ্বের শাসকদের পছন্দ করিনা। কিন্তু কখনো তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দাওয়াতও দেইনা। কিন্তু আমার দাওয়াত হচ্ছে রাষ্ট্র কাঠামোর বাইরে মুসলমানদের যতটুকু সম্ভব নিজস্ব আয়োজন এবং ব্যবস্থাপনা থাকবে। যেমন খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে আমি শাসকদের বিশ্বাস করিনা। তাহলে করনীয় কি? আমার মতে খাদ্য উৎপাদনে মুসলমানদের নিজস্ব পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমি মুসলমানদের গাছ লাগানোর দাওয়াত দেই। তাদের বলি যথাসম্ভব ফলগাছ লাগান, মাছ চাষ করুন। সমস্যা হচ্ছে মুসলমানরা অত্যন্ত স্বার্থপর হয়ে গিয়েছে। ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র্য এর চেতনা তাদের গোষ্ঠী চিন্তা করতে দেয়না।

 

গাছ লাগানোর দাওয়াত অনেকেই কবুল করেননি কারণ সরকারি রাস্তায় গাছ লাগালে মানুষ খেয়ে ফেলবে। এমনকি অনেকে বাবার জায়গায় গাছ লাগায়না কারণ জায়গাটা কোন ভাইয়ের ভাগে পড়বে তা তারা জানেনা। আমি তাদের বলেছি, ভাই সোয়াবতো হবে। তাদের নিরব প্রতিক্রিয়ার অর্থ ছিলো সোয়াবের জন্য একটা চারার মূল্য কুরবানি করতে তারা রাজিনা যদিও একটা চারার মূল্য এক প্যাকেট সিগারেটের চেয়ে কম।

 

এই উম্মাহ বেঁচে থাকলেই কি মরে গেলেই কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমেরিকা যেভাবে চুক্তি করতে চায় সেভাবে চুক্তি করলে উনিশ বছর আগে যুদ্ধ শুরুই হতোনা। তাহলে এই সংলাপ সংলাপ নাটক করে মজলুমদের লাভ কি হলো? কিছুটা আন্তর্জাতিক লেজিটিমেসি অর্জন হলো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মজবুত হলো। আমেরিকার বাইরে অন্য কিছু শক্তির সাথে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরির পথ তৈরি হলো। সাথে প্রচুর পিয়ার ক্যাম্পেইন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসা (আ) আল্লাহর নবি ছিলেন। ফলে তার ইলমের প্রধান উৎস ওহী। তবে এছাড়া তিনি গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ধারা থেকে জ্ঞান অর্জন করেন।

 

১) ফিরাউনের রাজপ্রাসাদে রাজকীয় শিষ্টাচার সংক্রান্ত জ্ঞান।

 

২) শুয়াইব (আ) এর কাছে সাধারণ জনসাধারণের জীবনযাত্রা সংক্রান্ত বিষয় এবং ইসলামি ধর্মীয় বিধানাবলি সংক্রান্ত ইলম

 

আজকের যুগেও ধর্মীয় এবং জাগতিক বিষয়ে সর্বোচ্চ ইলম অর্জন ছাড়া ফেরাউনের সাথে রাজনীতি করা সম্ভব না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তালেবানের সাথে আমেরিকার শান্তি আলোচনা বন্ধ হলো কেন?

 

১) ভারতীয়রা ইজরায়েল লবি ব্যবহার করে শান্তি আলোচনা ও চুক্তি বন্ধ করালো। কারণ আফগানিস্তানে যুদ্ধ থামলে ভারতে শুরু হবে।

 

২) তালেবানরা ইসলামি জমহুরিয়াত মানবেনা। তারা ইসলামি ইমারাহর ব্যাপারে অনড়। কিন্তু ধারণাটা বিদ্যমান বিশ্বব্যাবস্থায় ডমিন্যান্ট পলিটিক্যাল আইডিওলজির সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

 

৩) আমেরিকা চায় সে চলে গেলেও তার মিত্রদের আফগানিস্তানের ভবিষ্যতে অংশিদারিত্ব থাকুক। তালেবান তাতে মোটেই রাজিনা।

 

৪) আমেরিকার একটা স্ট্র‍্যাটিজিক অবস্থান আফগানিস্তানে দরকার। বিশেষত সিআইএর জন্য। তাহলে তারা চীন, রাশিয়া, মধ্য এশিয়ান দেশগুলো এবং পাকিস্তানকে নজরদারি করতে পারবে৷ পাশাপাশি আফগানিস্তানে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। সেখানকার খনিজ সম্পদের ভাগ যেনো তারা পায়।

 

এজন্য সামান্য সংখ্যক সৈন্য তারা আফগানিস্তানে রাখতে চায়। এই উদ্দেশ্য তারা তালেবানকে আলোচনার নামে বোকা বানাতে চেয়েছিলো যেমন ইয়াসির আরাফাতকে বোকা বানানো হয়।

 

কিন্তু তালেবানের অনমনীয় আচরণের কারণে মার্কিনিদের সকল দুরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্র ব্যার্থ হয়। তাই এখন আলোচনায় চাপ বাড়াতে তারা এসব করছে।

 

দ্রষ্টব্যঃ যারা ভাবেন দুই পাঁচটা আর্মি মরায় ট্রাম্প আলোচনা বাতিল করেছে তারা ফিডার খান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কারবালার শিয়া সুন্নি বিশ্লেষণের এক গুরুত্বপূর্ণ মতপার্থক্য হচ্ছে শিয়াদের মতে, হুসাইন (রা) যখন কুফার উদ্দেশ্যে হিজাজ ছাড়েন তখন তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি শহীদ হবেন। কিন্তু তিনি উম্মাতকে জাগাতে এবং উম্মাহর প্রতিরোধে রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক দলিল হিসাবে নিজের শাহাদাতকে তিনি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ইরানি শিয়া চিন্তাবিদ আলী শরিয়তির বিখ্যাত বই "জাগো সাক্ষ্য দাও" বইটিতে অত্যন্ত শক্তিশালী রেটরিকে প্রচন্ড প্রাণবন্তভাবে ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়। তবে সুন্নি দৃষ্টিভঙ্গী ভিন্ন। সুন্নিদের মতে, হুসাইন (রা) গাদ্দার কুফি শিয়াদের আশ্বাসের ভিত্তিতেই হিজাজ ছেড়েছেন। তাদের আশ্বাসের সত্যতা যাচাইয়ে তিনি তার চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকিলকে কুফায় পাঠান। মুসলিম বিন আকিল (রহ) তাকে আস্বস্ত করলে তিনি কুফায় যাত্রা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে মুসলিম (রহ) যখন বার্তা পাঠান যে কুফার শিয়া আবার গাদ্দারি করেছে তখন তিনি কুফা যাত্রা পরিত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনা প্রবাহ তাকে এমন জায়গায় আটকে ফেলে যে তিনি আর সড়ে আসতে পারেননি। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে অনেক বই আছে। ইয়াস্যার কাদির বক্তব্যটাও শুনতে পারেন।

 

এখানে আবু হানিফা (রহ) যিনি আহলে বাইতের ইমাম জাফর আস সাদিকের ছাত্র এবং আহলে বাইতের ইমাম যায়েদের বিদ্রোহের সহযোগী ছিলেন তার ফিকহি মত গুরুত্বপূর্ণ। ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মতে বিদ্রোহের জন্য শর্ত হচ্ছে,

 

'বিদ্রোহের ইমামের ইজতিহাদ অনুযায়ী বিদ্রোহে সাফল্যের সম্ভাবনা থাকতে হবে'।

 

হ্যাঁ একথা সত্য যে হুসাইন (রা) ঝুঁকি সম্পর্কে জানতেন। উম্মাহ এবং খেলাফতের কল্যাণে তিনি ঝুঁকি নিয়েছেন। তবে সে সফর সাফল্যের সম্ভাবনাশুন্য ছিলোনা।

 

আমার কাছে এটাই যৌক্তিক মনে হয়েছে। যারা শিয়া ন্যারেটিভ প্রচার করছেন তারা মূলত হুসাইন (রা) এর একটা রোমান্টিক চিত্র আঁকছেন যার উদ্দেশ্য তার উপর দেবত্ব আরোপ, তাঁকে উম্মাহর জন্য উপকারীপন্থায় অনুসরণ না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গত কদিনে কারবালা নিয়ে শতশত পোস্ট দেখলাম কিন্তু মুসা (আ) এর রাজনৈতিক সংগ্রাম নিয়ে একটা পোস্টও দেখলাম না। কারণ কি?

 

সবাই ফেরাউনকে ভয় পাচ্ছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসলমানদের কর্তৃত্ব ফেরাউনের হাতে ইয়াজিদের হাতে না। তাই আজ কারবালার চেয়েও আশুরা অধিক প্রাসঙ্গিক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আশুরার ধর্মীয় দিক বাদ দিলেও খোদ রাজনৈতিক বিবেচনায় জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশল হিসাবে মুসা (আ) এর কেস স্টাডি কারবালার চেয়ে অধিক সফল, বিস্তৃত এবং আজকের দুনিয়ায় অধিক প্রাসঙ্গিক।

 

মুসা (আ) এবং ফেরাউনকে নিয়ে আজকের দিনে রাজনৈতিকভাবে বিশ্লেষণের যে গুরুত্ব ছিলো তা কেন হলোনা?

 

আহলে বাইতের ইতিহাস শুহাদায়ে কেরামের ইতিহাস। হুসাইন (রা) এর আগে পরে এই পরিবারে শহীদদের সংখ্যা অগনিত। আমির হামজা, জাফর তৈয়ার, আলী, হাসান, হুসাইন (রা), যায়েদ, নাফসে জাকিয়্যা, ইব্রাহিম (রহ) প্রভৃতি এই পরিবারের মহান শুহাদাদের তালিকায় সামান্য কয়েকজন মাত্র। কিন্তু কারবালার আলোচনা কেন মুসা (আ) এর রাজনৈতিক সংগ্রামের আলোচনাকে ছাপিয়ে গেল? শিয়াদের মতে তাদের ইমামদের মর্যাদা রাসুলুল্লাহ (সা) ব্যাতিত সকল নবীদের চেয়ে বেশি। হুসাইন (রা) তাদের তৃতীয় ইমাম হলেও তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অন্য একটা কারণে। পারসিক রাজকন্যা ছিলো তার দাসী যার সাথে সহবাসের ফলে জন্ম নেন ইমাম আলী বিন হুসাইন জায়নুল আবেদিন (রহ)। এভাবে পারসিক রাজরক্ত মুসলমানদের মাঝে টিকে থাকে। তাই দেখা যায় কারবালার সাধারণ আলোচনা সুন্নিরা করলেও খুঁটিনাটি সংলাপ, রোমান্টিক করুন রস, অলৌকিক কিসসা-কাহিনি ইত্যাদি বর্ণনার আদি রাবিরা মূলত শিয়া। তাদের বর্ণনাই সুন্নিদের বইয়ে ঢুকে পড়েছে। সম্ভবত একারণেই এই দীনে মুসা (আ) এর আলোচনা এতো গৌণ হয়ে গিয়েছে।

 

জালিমের বিরুদ্ধে মুসা (আ) এর রাজনৈতিক সংগ্রামকে আমাদের অবশ্যই আজকের দিনে নতুন করে পাঠ করতে হবে। অবশ্যই হুসাইন (রা) কে আমি বাদ দিতে বলছিনা। তবে আজকের দিনে আরেক বড় তামাশা হচ্ছে সকল ইয়াজিদ আজ সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারী করবে যে, আমাদের হুসাইনের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে কিন্তু যারা হুসাইনের আদর্শের উপর আছে তারা জঙ্গি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের লোক সাহিত্যে দারুন এক গল্প কাজল রেখার গল্প।

 

মোটামুটি গল্পটা এমন যে রাজপুত্র নায়ককে কোন যাদুকর নায়ককে যাদু করে কোথায় রেখে দেয়। তার সারা শরীরে সূঁচ ফুটিয়ে রাখে। নায়িকা অনেক কষ্ট করে ডাইনির চোখ ফাঁকি দিয়ে নায়কের সকল সূচ খুলে ফেলে। তারপর দুই চোখে দুইটি সূচ থাকে। তা তুলে ফেলে পায়ের কাছে সোনার কাঠি মাথার কাছে আর মাথার কাছে রূপার কাঠি পায়ের কাছে রাখলে রাজপুত্র সুস্থ হয়ে যাবে। এমন সময় এক দাসি পেয়ে রেখা দাসিকে রাজপুত্রকে সুস্থ করার ভেদ বলে গোসল করতে যায়। দাসী বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেই রাজপুত্রের চোখের সূচ খুলে কাঠি অদল বদল করে সুস্থ করে তোলে। তারপর তাকে উল্টো বুঝিয়ে বিয়ে করে আর নায়িকাকে দাসী বানায়। অবশ্য গল্পের শেষে নায়ক সত্য বুঝতে পারে। নায়িকা তার সম্মান ফিরে পায়। দাসী পরিত্যক্ত হয়।

 

রূপকথা আসলে বাস্তবের রূপক প্রতিচ্ছবি। আমাদের সমাজেও সুখের ভাগ নেওয়ার লোকের অভাব নাই। বিজয়ের ভাগ নেওয়ারও। মনের ভালোবাসা মনে থাকুক। কিন্তু বান্দির বাচ্চাদের সাথে জয়ীর ক্যাম্পে থেকে জয় সেলিব্রেট করার কোনো আগ্রহ আমার নাই। দিনশেষে বান্দির বাচ্চারা বান্দির বাচ্চা।

 

৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ঃ০৭

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা সাইয়্যেদ কুতুব (রহ) কে হত্যা করে হুসাইন (রা) কে শ্রদ্ধার দাবি করে তারা হুসাইনের ভক্ত না হুসাইনের পৌত্তলিক পূজারী। হুসাইন (রা) এর রুহের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নাই। যারা লাল মসজিদের সাথে গাদ্দারি মেনে নিয়েছিলো তারা আহলে সুন্নাহ না তারা কুফার ভন্ড শিয়ার দল। সালমান আল আওদাহ, সফর আল হাওয়ালিই আজকের হুসাইন। মুহাম্মদ বিন সালমান, মুহাম্মদ বিন জায়েদের সমর্থকরাই ইয়াজিদ, শিমার, ইবনে জিয়াদ, উমার বিন সাআদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এজিদের বংশধরদের গালাগালি করাটা রেসিস্ট কাজ। এজিদের বংশ খারাপ না। তার ছেলে এবং খেলাফতের উত্তরাধিকার মুয়াবিয়া (রহ) আহলে বাইতকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। কারবালার ঘটনায় তিনি প্রচন্ড কষ্ট পান। প্রচুর কান্নাকাটি করেন। তার ইচ্ছা ছিলো আহলে বাইতের অনুকূলে খেলাফত ছেড়ে দেওয়া। তিনি ব্যাক্তিগতভাবে অত্যন্ত তাকওয়াবান মানুষ ছিলেন। তবে তিনি দুর্বল এবং অসুস্থ ছিলেন। বাবার মৃত্যুর সামান্য কয়েকদিন পরেই মারা যান।

 

আমাদের অবশ্যই বাবার অপরাধে সন্তানদের গালাগালি করা ছাড়তে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(১)

 

ইয়াজিদের জন্য আমার কখনো সহানুভূতি ছিলোনা। সে একজন জঘন্য জালিম শাসক। তার ব্যাপারে সামান্য সহানুভূতি যারা দেখান তাদের প্রতি চূড়ান্ত বিরক্ত হই। হ্যাঁ তাকে কাফির বলিনা। সে ছিলো এক নিকৃষ্ট খলিফা। তবু সে অন্তত জাহেরিভাবে সিসি, মুহাম্মদ বিন সালমান বা মুহাম্মদ বিন জায়েদের চেয়ে উত্তম। অবশ্য যদি সে মুনাফিক হয়ে থাকে অর্থাৎ তার অন্তরে কুফর থাকে তবে ভিন্ন আলোচনা। কারণ ওহীর দরজা বন্ধ হওয়ার পরে কারও নিফাক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া মুশকিল।

 

(২)

 

হুসাইন (রা) নিঃসন্দেহে জান্নাতি এবং হকের উপর প্রতিষ্ঠিত। তার শাহাদাত প্রাসাদপূজারী মাদখালিদের বিরুদ্ধে ইসলামের এক অকাট্য দলিল। তার কুরবানি ছাড়া দরবারি আলিমরা সত্যের জন্য লড়াকু সকল বিদ্রোহীকে খারেজি বানিয়ে দিতো। কিন্তু এই দীন রাসুলুল্লাহ (সা) এর দ্বারা সম্পূর্ণ। হুসাইন (রা) এর রাজনৈতিক বিরোধিতা কুফর না যেমন তার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান তার বাবার রাজনৈতিক বিরোধিতা কুফর না। এমনকি আবু বকর (রা) এর রাজনৈতিক বিরোধিতা কুফর না। সাআদ বিন উবাদা (রা) কাফির না। এমনকি আবু বকর (রা) এর বিরুদ্ধে যাদের বিদ্রোহের কারণ শুধু এটুকু যে তারা যাকাত দিবে কিন্তু খলিফাকে না তারাও কাফির না।

 

(৩)

 

১০ মহররম আমাদের কাছে ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ আশুরা। কারণ মুসা (আ)। কারবালা একটা গুরুত্বপূর্ণ আসার। তবে কুরবানির এমন গৌড়ব এই উম্মাহর আরও আছে। কারবালা উদযাপনের বাধ্যবাধকতা থাকলে উমার, উসমান, আলী (রা) এর শাহাদাত উদযাপনের বাধ্যবাধকতাও থাকে। এমন বাধ্যবাধকতার তালিকা এতো লম্বা হবে যে তখন আমাদের দিবস উদযাপনই প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়াবে। এসব কি জঘন্য আলাপ আজকাল কোনোকোনো রাজনৈতিক ইসলামপন্থী করছে যে তাজিয়া শিয়া সুন্নির বিষয়না। এটা নাকি বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি।

 

(৪)

 

হাররার ঘটনা কারবালার চেয়ে কম জঘন্য না। কারবালার চেয়ে হাররায় ইয়াজিদের অপরাধ আরও জঘন্য এবং অকাট্যভাবে প্রমানিত। দারুল হিজরা মদিনাকে তার আগে বা পরে এভাবে কখনো অপমানিত, লাঞ্ছিত করা হয়েছে কিনা জানিনা। যারা কারবালার আলোচনা কারবালাতেই সমাপ্ত করে, হাররার শুহাদাদের স্বরণ ব্যাতিরেকে তাদেরকে আমার জ্ঞাতে অজ্ঞাতে শিয়া প্রভাবিত মনে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাহলে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং তার ফলোআপ নিয়ে আবেগি ছেলে বাচ্চাদের পোস্ট কোথায়?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কলোনিয়ালিজম আমাদের যে মিথ্যা কথা শিখিয়েছে তার মাঝে একটি হচ্ছে আব্বাসি খেলাফত প্রতিষ্ঠা ১০০ বছর পরে ইসলামের স্বর্ণযুগ বা আরবদের স্বর্নযুগ। বাস্তবতা হচ্ছে ইসলামের স্বর্নযুগ হিজরি প্রথম শতক। এসময়েই ইসলামি সভ্যতা তার চূড়ায় পৌছায়। সাম্রাজ্য বিস্তার এসময়ের পরে অত্যন্ত সামান্যই। দাওয়াত ও তাবলিগে এমন সাফল্য পরবর্তীতে আর কেউ পায়নি। ইসলামের পতনের সূচনা হয়েছে আব্বাসিদের যুগে। ইবনে সিনা সেই পতনে বাতাস দিয়েছেন। ইসলামের দাওয়াত ও তাবলিগে তার বিশেষ কোনো অবদান নাই।

 

এই উম্মাতের মুক্তির পথ আবু বকর, উমারের অনুসরণে, ইবনে সিনা, আল ফারাবি, আল কিন্দির অনুসরণে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি মানেন আর না মানেন ইবনে সিনার চেয়ে এই উম্মাতের উপর হাজ্জাজের খেদমত অনেক বেশি। তারা দুজনেই হাফিজ। দুজনেই আবিদ। দুই জনের দ্বারাই উম্মাতের অনেক ক্ষতি হয়। তবে হাজ্জাজের চেয়ে ইবনে সিনার ক্ষতিকর প্রভাব অনেক বেশি। আজও হাজ্জাজের খেদমতের সুফল অবশিষ্ট। কিন্তু ইবনে সিনা ফুরিয়ে গিয়েছেন। হাজ্জাজ জালিম হতে পারে কিন্ত তার রক্ত, মাংস, হাড্ডির শিকড় উম্মাহর মাঝেই। কিন্তু ইবনে সিনার শেকড় পশ্চিমে মানে গ্রীসে। এরিস্টটলকে ব্যাখ্যা করা ছাড়া দর্শনে তার কোনো বিশেষ মৌলিক অবদান আছে কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জনআকাঙ্ক্ষার আদর্শ এবং কর্মকাণ্ড সমর্থন করা না করা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু প্র‍্যাগমেটিক জায়গা থেকেও কথা হচ্ছে তারা ভালো কিছু করতে চাইলে তাদের অবশ্যই জামাতি বলয় থেকে বের হতে হবে। ইসলামি রাজনীতির পক্ষে বা বিপক্ষে বলা বাদ দিতে হবে। তাদের বুঝতে হবে তারা যখন বলে আমরা ইসলামি রাষ্ট্র চাইনা তখনও মূলত তারা জামাতের ছায়া অতিক্রম করার রাজনীতি করে। তাদের প্রস্তাবনা মাঠে আনতে হবে। তাদের অডিয়েন্স টার্গেট হতে হবে বিএনপি এবং আওয়ামী কর্মীরা। কারণ সর্বোচ্চ ৭-৮% এর একটা দলকেন্দ্রীক রাজনীতি তাদের ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার অতিরিক্ত কিছু বানাবেনা।

 

মঞ্জু সাহেবকে সবার আগে ভুলতে হবে তিনি এবং তার নেতৃবৃন্দ জামাত ব্যাকগ্রাউন্ডের । যাকে তাকে ট্যাগ করে শুধু এটাই প্রমানিত হবে যে সেই বলয়ের বাইরে এ্যাপিল করার যোগ্যতা তার এবং তাদের নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাদখালিদের সমস্যা আছে জানা কথা। তাই বলে ইবনে সিনার আকিদাতে সমস্যা এটা বললেও ট্রল করতে হবে?

 

এগুলো আসাবিয়্যাহ, হকপছন্দি না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১)

 

ইমাম আহমাদ বা যেকোনো ইমাম বা তালেবান বা আমাদের সময়ের কোনো ব্যাক্তির বিশেষ একটা উক্তি দিয়ে তাকে মাপা বা তার অভিমত বোঝা মুশকিল। কাউকে মাপতে হয় তার সামগ্রিক কর্মপন্থা দিয়ে। নয়তো মানুষ বিভিন্ন রকম বক্তব্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে দিয়ে থাকেন যা তার চিন্তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না। নয়তো ইমাম আহমাদের কোনো একটা বিচ্ছিন্ন বক্তব্য দিয়ে তাকে কোনো কোনো মতলববাজ আকারে ইঙ্গিতে তাফদিলি শিয়া বা সেমি বেরেলভি সুফি গোমরাহদের মানহাযে দেখানো সম্ভব।

 

কথাটা সকল ইসলামপন্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

২)

 

দুঃখজনক হলেও কারবালা নিয়ে মুসলিম সমাজে কাজের চেয়ে অকাজ বেশি হয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয় মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিভিন্ন রকম ফিতনার দাড় খুলে দেয়। হুসাইন (রা) এর শাহাদতের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে মানুষ তার সংগ্রামের ঐতিহ্য ও আদর্শের পরিবর্তে তাকে গুপ্ত ষড়যন্ত্রের প্রতিক বানিয়েছে এবং তার উপর দেবত্ব আরোপ করেছে।

 

৩)

 

আহমদ ছফা বাঙালি মুসলমান নিয়ে দেখিয়েছেন কারবালা নিয়ে উদ্ভট মিথ্যাচার, কুসংস্কার, বানোয়াট কিসসা-কাহিনি এবং সীমাহীন শিরক বিদয়াত বাঙালি মুসলমানদের পুঁথি সাহিত্য এবং লোকজ উপাদানের অন্তহীন অবসেসন। পাশ্চাত্যকে এসব আজগুবি গাঞ্জুটে শিয়া বিষ দিয়ে মোকাবেলা করা স্বপ্ন যারা দেখছেন তাদের জন্য সুবুদ্ধির দুয়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাদখালি ভাইদের কাছে আমার দুইটা প্রশ্ন আছে। কেউ সম্ভব হলে উত্তর দুইটা কালেক্ট করে দিবেন।

 

১) খারেজিরা যদি ক্ষমতা দখল করে তবে কি তার আনুগত্য করতেই হবে?

 

২) খারেজি শাসক যদি আলে সাউদের বাদশাহদের ধরে এনে **** মারে তবে কি কাজটার প্রকাশ্যে সমালোচনা করা খুরুজ?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা দিরিলিস এরতুগালের ভক্ত তারা সিরাতে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) বা তারিখে দাওয়াত ওয়াল আযিমাত ৬ ও ৭ পড়তে পারেন। দিরিলিস এরতুগালের মতো সিরিয়াল বানানোর জন্য দারুন একটা বই। সামান্য ভাষা সম্পাদনা করলেই স্ক্রিপ্ট দাঁড়িয়ে যাবে।

 

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) খেদমতে খালকে বিস্ময়কর গুরুত্ব দিতেন। ফলে তিনি সর্বদাই যেখানে যেতেন সেখানে জনপ্রিয় হয়ে যেতেন। আমাদের ইসলামি তাহরিকগুলোর জন্য এটা একটা অত্যন্ত দরকারি শিক্ষা।

 

শাইখ শুধু ইনসানি হুকুক নিয়ে সচেতন ছিলেন তাই নয় বরং জানোয়ারের হক নিয়েও অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। অথচ সেসময় আটলান্টিক স্লেভ ট্রেডে পশ্চিমা সাহেবরা আফ্রিকান দাসদের হক নিয়ে চিন্তা করতো না। মানবাধিকারের কোনো চার্টার সাক্ষরিত হয়নি, পরিবেশ আন্দোলন বা পশু অধিকার আন্দোলন নিয়ে সাহেবরা কেউ চিন্তাও শুরু করেননি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুঃখিত একজন অর্থনীতিবিদ বা অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে ভালো চোখে দেখতে পারছিনা। তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাদকে পূর্নরূপে প্রতিষ্ঠা করেন। ধনী গড়িব বৈষম্য বৃদ্ধিতে তার বড় অবদান আছে। ভ্যাট একটা নিপীড়নমূলক কর কারণ এটা ফকিরের কাছ থেকেও আদায় করা হয়। তিনি অর্থনীতি বা পরিবার কোনো কিছুকেই দুর্নীতি মুক্ত রাখতে সফল হননি। ভ্যাট চালু করা ব্যাতিত অর্থনীতিকে কাঠামোগতভাবে শক্তিশালী করার জন্য তেমন কি করেছেন জানিনা। তবে নয়া উপনিবেশিক পূঁজির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাতেও খুব সফল হননি। বরং বিলাসি দ্রব্যে আমদানি কর কমাতে আমরা বারবার দেখেছি। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিতেও তাকে দেখেছি। জামাতিদের অনেকে তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন। কিন্তু তিনি ইসলামি ব্যাংক ধারণা সম্পর্কেও প্রসন্ন ছিলেননা। ইসলামি ব্যাংক শরিয়াতের বিচারে বৈধ না অবৈধ সে আলাপে যাচ্ছিনা কারণ তিনি এর বিরোধিতা করার কারণ ভিন্ন এবং এমন বিশ্লেষণের ফিকহি যোগ্যতা তার ছিলোনা।

 

তবে প্রত্যেক মৃত মুসলমানের মাগফেরাত কামনা করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের প্রত্যেক পাপ আমাদের সারাজীবন ধাওয়া করে। সম্ভবত তাওবা করলেও।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার খুব পছন্দের প্রতিষ্ঠান না। মুসলমানদের আদৌ কোন কল্যাণ হয়েছে কিনা জানিনা তবে ইসলামের উপকার হয়নি। প্রথম দিকের ভিসিরা ছিলেন ইংরেজ। তার পরে প্রায় নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকরা সাধারণত বাম বা সেক্যুলার চিন্তাধারায় বিশ্বাসী।

 

যাইহোক কিন্তু তৎকালীন বাস্তবতায় এর বিকল্প কি ছিলো? আলিয়া মাদ্রাসা একটা না ঘরকা না ঘাটকা প্রকল্প। তারপরও যেটুকু অবদান রেখেছে তা মূলত ইসলাম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আধুনিক সমাজ সম্পর্কে ভাসাভাসা জানা ছিলো তাদের বৈশিষ্ট্য। যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সামর্থ্য এই প্রতিষ্ঠানের কখনো ছিলোনা। দারুল উলুম দেওবন্দ আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান এর ক্ষেত্রে মোটামুটি অজ্ঞই ছিলো তা সামাজিক বিজ্ঞান হোক অথবা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। এই দুর্বলতা মাওলানা তাকি উসমানিও স্বীকার করেছেন। কিন্তু এই সমস্যা মোকাবেলার সামর্থ্য তাদের ছিলোনা। তাদের মৌলিক সমস্যা ছিলো দুইটি

 

১) তাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা

২) এমন প্রজেক্ট ব্রিটিশ সরকারকে তাদের ব্যাপারে আরও সন্দেহ প্রবণ করে তুলতো।

 

পাশাপাশি দেওবন্দিরা শাসকদের সাথে দুরত্ব বজায়ে রাখার নীতির কারণে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি চাকুরে উৎপাদন সম্ভব ছিলোনা। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিলো ব্রিটিশ কাঠামোতে সরকারি চাকরি বাগানোর ধান্দার অংশ।

 

এমন বাস্তবতায় আসলে কি করা যেতো? আমি চিন্তা করে দেখেছি সেসময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিলো ইজতিহাদ। সেটা আমিন জোড়ে বলা বা রফয়ে ইয়াদাইন বিষয়ক ঝগড়াটে ইজতিহাদ না। বরং মাওলানা মাওদুদি এবং সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর মতো জীবন এবং জগৎ সম্পর্কে মৌলিক প্রস্তাবনা দেওয়ার ধারাটা দরকারি ছিলো।

 

কাজটা শুরুতে ছিলো। দারুল উলুম দেওবন্দ এর প্রথম মুহাতামিম বা প্রিন্সিপাল মাওলানা ইয়াকুব (রহ) এর পিতা মাওলানা মামলুক আলী ইংরেজ কলেজের উস্তাদ ছিলেন। দিল্লির বিখ্যাত রহিমিয়া মাদ্রাসার আলিমদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। তার ইলম এবং আমলের কারণে উলামায়ে কেরাম তাকে গভীর শ্রদ্ধা করতেন। স্যার সাইয়্যেদ আহমদ ছিলেন তার ছাত্রের ছাত্র। তিনি ইসলাম এবং জাদিদ সাইন্স বা আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানে মোটামুটি সমান পারদর্শী ছিলেন। ফলে তখন ইংরেজ কলেজে পড়েও অনেক দীনদার মুসলমান তাদের দীন ধরে রাখতে তার কাছে সহায়তা পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকে যদি এখানে ইজতিহাদি যোগ্যতা সম্পূর্ণ উলামায়ে কেরাম থাকতেন তাহলে হয়তো প্রতিষ্ঠানটি থেকে এভাবে একচেটিয়াভাবে সেক্যুলারদের আধিপত্য এক শতাব্দি যাবত বিরাজ করতোনা।

 

কাজটা কিছুটা দেরিতে হলেও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় বা পোস্ট ফ্রেঞ্চ অকুপেশন আল আযহারে হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বুঝলামনা শহীদ মিনারে নামায পড়ায় কি সমস্যা?

 

আল্লাহ কি সারাদুনিয়াকে মসজিদ বানাননি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার একটা স্বপ্ন হচ্ছে সারাদেশে রাস্তার পাশে সরকারি জায়গাগুলোতে আম, কাঁঠাল, বড়ই, কলা প্রভৃতি ফল গাছ লাগানো হবে৷

 

এটা গ্রিন মুভমেন্টের একটা অংশ হতে পারে। পাশাপাশি ফলজ গাছ হওয়া জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।

 

সবচেয়ে বড় কথা সদকায়ে জারিয়া।

 

আমাদের ইসলামপন্থী ভাইদের অনুরোধ আপনারা প্রত্যেকে মাসে অন্তত একটা গাছ লাগান। ফলজ গাছ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গত সাড়ে চৌদ্দশত বছরে বংশ বিবেচনায় বনু হাসিমের চেয়ে ইসলামের খেদমতে অন্য কোনো খানদান এগিয়ে থাকা দূরে থাক কাছাকাছি বলেও আমার জানা নাই। বিশেষত তাদের মাঝে যারা সাইয়্যিদ অর্থাৎ আলী (রা) এবং ফাতিমা (রা) অধঃস্তনরা। সব যুগেই ইসলামের খেদমতে তাদের বড় অবদান ছিলো। তবে সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহ) এর পরে সাইয়্যেদদের মাঝে আর এমন কোনো ব্যাক্তি কে চিনিনা যিনি ইসলামের তাজদিদে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে বুযুর্গদের বক্তব্যের কতটুকু দীন এবং কতটুকু ব্যাক্তিগত মতামত।

 

যেমন ধরেন উমার বিন আব্দুল আযিয যখন হাদিস এবং ফিকাহ বর্ননা করেন তখন তা দীন কিন্তু যখন বলেন 'অন্যান্য জাতীর সকল জালিমকে একত্রিত করলে এবং আমরা তাদের মোকাবেলায় হাজ্জাজকে দাঁড় করিয়ে দিলে আমরা বিজয়ী হবো' তখন তার ব্যাক্তিগত রাজনৈতিক অভিমত। এটা ইসলামের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ভাষ্য না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আসুন আকিদা শিখি

 

কারবালা বদর, উহুদ, খন্দক, হুনাইন না।

 

বদর, উহুদ, খন্দক, হুনাইনে যারা হকের বিরুদ্ধে ছিলো তারা কাফের কিন্তু কারবালায় যারা হকের বিরুদ্ধে ছিলো তারা ফাসিক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসির মাযহাব গ্রহন করা কি বৈধ?

 

হ্যাঁ যদি তা মুস্তাহাব পর্যায়ে মাসলা মাসায়েল হয়। কিন্তু হারাম এবং ফরজের পার্থক্যের ক্ষেত্রে বৈধ না।

 

তবে বিশেষ কারণে সুবিধা অনুযায়ী অন্য মাযহাব থেকে নেওয়ার প্রমান প্রাচীন উলামাদের থেকে আছে।

 

(অনেক আগে পড়া। এমুহূর্তে পরিস্কার মনে নাই। তাই মাসয়ালা বলছিনা। তবে কাজি ইউসুফ পাক নাপাকের মাসয়ালায় বিশেষ কারনে মালেকি মাযহাবের উপর আমল করেন। ইমাম শাফেয়ী ইমাম আবু হানিফার এলাকা ইমাম আবু হানিফার সম্মানে একটা মাসয়ালায় হানাফি মাযহাব অনুযায়ী আমল করেন।)

 

তাছাড়া প্রয়োজন নিষিদ্ধ বস্তুকে বৈধতা দেয় উসুলের আওতায় উম্মাহর পরিচ্ছন্ন মাসলাহাত থাকলে তা বৈধ হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে হয় নিজেকে ফকিহ হতে হবে অথবা কোনো ফকিহর অনুমোদন নিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াজিদের খেলাফত কেন সাহাবা এবং তাবেঈদের অনেকেই মেনে নিলেন?

 

১) কেউ কেউ ভুল ইজতিহাদবশত বায়াত দিয়েছেন এবং সমর্থন করেছেন।

 

২) অনেকেই রক্তপাত এড়াতে এবং মুসলমানদের অধিক ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বায়াত দেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্ভবত এতোদিনে এটা প্রমানিত হয়েছে যে প্রিয়া সাহা ইস্যুতে শেখা হাসিনার অবস্থান সঠিক এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ ছিলো। তার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা কেবল তার জন্য শাপে বর হতো। রাজনীতি একটা জটিল শিল্প। আবেগ যুদ্ধে কাজে লাগে রাজনীতিতে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিউনিসিয়া থেকে আমরা কি শিখলাম? আন নাহদা নির্বাচনী রাজনীতি ছেড়ে তালিম, তাযকিয়া এবং ইকরামুল মুসলিমিন তথা সমাজসেবায় মনোযোগ দিলে কি ক্ষতি হবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অক্টোবর, ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই ছাত্রলীগ নিয়ে বলার কিছু নাই। তারা ফেরেশতা।

 

কিন্তু যে জিনিসটা আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই বুঝতামনা সেটা হচ্ছে কেন হলে থাকতেই হবে? হলে থাকার সুবিধা আছে। কিন্তু তা দাসত্বের সমস্যা থেকে বড় না। ছাত্রদলও কিছু সমস্যা করতো কিন্তু তার স্কেল এতো বড় ছিলোনা। কিন্তু দাসত্ব ছিলো।

 

প্রশ্ন হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলোতে যদি দাসত্বের তালিম নিতে হয় তবে স্বাধীনতার সুখ কবে পাবেন? হলে থাকার চেয়ে টিনশেড ঝুপড়িতে থাকাও শান্তির। যাদের মেরুদণ্ড এই তারুণ্যেই ভাঙা বুড়ো বয়সে তারা সন্ত্রাসীদের গোলামি করে টিকে থাকা ছাড়া আর কি করবে?

 

 

 

 

 

 

 

যারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য চায় তারা মুসলমানদের মেরে ফেলতে চায়। কারণ মুসলমানরা কেবল কবরস্থানেই ঐক্যবদ্ধ। সেখানে কেউ কারও সাথে ঝগড়া করেনা। অত্যন্ত মিলেমিশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, আহলে হাদিস, চরমোনাই, বেরেলভি, দেওবন্দি সহাবস্থান করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে

কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।

 

আমাদের এক বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা কথায় বিশ্বাসী কাজে না। কে নিন্দা জানালো? কে প্রশংসা করলো? কে কত সুন্দর ভাষন দিলো? কি কি বিবৃতি দিলো এগুলোই দিনশেষে বড় হিসাব কাজ না।

 

ইমরান খান নিয়ে অনেককে অনেক উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখেছি। তারা কথাতেই খুশি। কারণ কথাই কেউ বলে না। এখন তারাই চরমোনাই পিরদের কথায় সন্তুষ্ট না। কাজ দেখতে চায়।

 

আমি জানি তাদের বা কারও রাজনীতিতে বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে বেশি কিছু একটা কাজই করার আছে। কৌশলে দল ভারী করা। চরমোনাই পির সুনিশ্চিতভাবে এই কাজে সফল।

 

আমি বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের চেয়ে তালিম, তাযকিয়া এবং দাওয়াতি কাজে সর্বদাই অধিক আগ্রহী। শাহ জালাল (রহ) এর রাজনৈতিক আধিপত্য গিয়েছে বহু আগে। কিন্তু তার আধ্যাত্মিক আধিপত্য আজও টিকে আছে। আল হামদুলিল্লাহ আজও রাজনৈতিক নেতারা তার আধ্যাত্মিকতার রাজনৈতিক গুরুত্ব অস্বীকার করেননা।

 

মানুষ আদমের সন্তান। আদম (আ) ভুল করেছিলেন। তার সন্তানরাও ভুল করে। আল্লাহ পাক ভুল করা মুমিনদেরও ইনশাআল্লাহ সম্মানিত করবেন। চরমোনাইপন্থীরা ফেরেশতা না। তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন অন্যদের আছে। তবে নিঃসন্দেহে তাযকিয়া, তালিম এবং দাওয়াতের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান তারা রাখছেন। রাজনীতিতে তারা যা করছেন তা হচ্ছে বোনাস।

 

আজ ধরে নেই চরমোনাইপন্থীরা সরকার এবং আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে, আপোষ করে টিকে আছে। সমস্যা কি? আপনি চান তারা আঁতাত না করে অন্যদের মতো চাপে পড়ুক? তাতে কার লাভ হবে? এমনকি উপস্থিত দুইদিন পত্রিকা এবং ফেসবুক গরম করা ব্যাতিত খোদ বিএনপিরও কি বাড়তি কোনো লাভ হবে?

 

আপনাদের এসব স্থুল অভিযোগ এবং উসকানিমূলক কথাবার্তার কারণ কি? হুজুগে নির্বুদ্ধিতা এবং অপরিনামদর্শীতা নাকি হিংসা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি চরমোনাই পির এবং তার তাহরিক ফেসবুকের লেখা পড়ে পছন্দ করিনা। তাদের ভালোবাসি ফেসবুকের জন্মের অনেক আগে থেকে। তখন থেকে যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সকল ইসলামি দল বিএনপির সাথে জোট করে। হ্যাঁ তখনও তারা জোটে যায়নি। অনেকেই বিশেষত জামাতপন্থীরা বলাবলি করছিলো তারা আওয়ামী লীগের দালাল। কওমি মাদ্রাসার অনেকেই তাকে বাঁকা চোখে দেখতো। তখন শাইখুল হাদিস (রহ) জেলে। তার এক ছাত্রের (যিনি নিজে ভালো আলেম ছিলেন এবং মজলিস করতেন। পাশাপাশি জামাতের প্রতিও কোমল ছিলেন) সাথে আলাপ হলো। হুজুর বললেন চরমোনাই পির হযরত মাওলানা ফজলুল করিম সাহেব বুযুর্গ মানুষ। রাজনীতি বোঝেননা। তাকওয়া এবং পরহেজগারি এখতিয়ার করেন। যারা তাকে দালাল বলে তারা না জেনেই কথা বলে নয়তো মিথ্যা কথা বলে। তিনি শাইখ (রহ)কে আবু যর আল গেফারি (রা) এর সাথে তুলনা করেন। পাশাপাশি জোট করার পক্ষে মুসলমানদের নিরাপত্তার মাসলাহাত তুলে ধরেন। তার কিছুদিন পরে আমি মাওলানা ফজলুল করিম (রহ) এর পবিত্র মুখে কিছু দরকারি কথা শুনেছিলাম। আল্লাহ পাক তাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। শাইখুল হাদিস (রহ) তার মাত্র কয়েক বছর পরে আওয়ামী লীগের সাথে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডাস্ট্যান্ডিং সাইন করেন। মেমোরেন্ডামের ধারাগুলো ভালো ছিলো। কিন্তু কখনো বাস্তবায়ন হওয়ার কোনো কারণ ছিলোনা। বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে নিয়ে তার ছাত্ররা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা খেলাধূলা শুরু করে।

 

আমি কখনো প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য কোন রাজনৈতিক দলে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু একজন ভালো পাঠক হিসাবে অনেক কিছুর মতো রাজনীতি নিয়ে আমার পাঠ আছে। আমি জীবনে যত বই পুস্তক পড়েছি আমাদের দেশে খুব কম মানুষের তত বইয়ের নাম পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। ফলে যে কারও ধর্মীয়, দার্শনিক, সমাজতাত্বিক রাজনৈতিক বিচার আমি করতে পারি। কিন্তু আল্লাহ জানেন শাইখুল হাদিস (রহ) এর সেই ছাত্রের মুখে মাওলানা ফজলুল করিম (রহ) এর প্রতি আমার ভালোবাসা কখনো কমেনি।

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্নঃ স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কি মোবাইলে ভিডিও করা যাবে?

 

উত্তরঃ না। কারণ

 

১) অসতর্কতাবশত অন্য কারও হাতে যেতে পারে।

২) তাকদিরের ফায়সালার কারণে বিচ্ছেদ হলে পরস্পরকে দেখা হারাম হয়ে যায়৷ তখন শয়তান ওয়াস ওয়াসা দিতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

মদিনায় রাষ্ট্র প্রথম দিনেই মদিনা রাষ্ট্র হয়নি। যখন বদরের জিহাদ হয় তখন মাত্র ৩১৩ জন জিহাদে অংশ গ্রহণ করেছে। বাকিরা লড়াই করতে ভয়ে পেয়েছে। উহুদের দিন তীরন্দাজদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছিলেন এই পজিশন ছাড়বেনা। কিন্তু যখন তারা লুটপাটের সুযোগ পেল তখন সেই জায়গা ছেড়ে তারা চলে গেলো। তারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর কথা শোনেনি।

 

আমিরুল মুমিনিন ইমরান খান (হাফি)

 

কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আমি করলে দোষ। ইমরান খান ভালো কিন্তু উস্তাদ মাওদুদি (রহ) খারাপ।

 

 

 

 

 

 

 

 

১)

 

যারা সারাদিন অমক তমককে আমেরিকা ইজরায়েলের এজেন্ট বলে গালাগালি করে আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কপচায় তারাই কেন জানি আমেরিকা ইজরায়েলের ইচ্ছা ছাড়া কোনো মানবাধিকার নিয়েই অশ্রু ফেলেনা। কুর্দি তুরস্ক সংঘাত নিয়ে প্যাচাল এড়িয়ে গিয়ে বলা যায় সমস্যাটা ১০০ বছরের পুরাতন। সমস্যার স্রস্টা ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি। তাদের উপর সবচেয়ে নৃশংস নিপীড়ন চালায় কামাল পাশা। অতঃপর সাদ্দাম। দুজনেই কড়া সেক্যুলার ছিলো। কিন্তু কামালের নিন্দাবাদ আজও খুব শোনা যাচ্ছেনা। সাদ্দামের নিন্দা শুরু হয় ২০০৩ এর পরে। কুর্দিদের প্রতি বিশেষত তুর্কি কুর্দিদের প্রতি সবচেয়ে দয়ালু তুর্কি শাসক সম্ভবত এরদোয়ান। পিকেকের সাথে চুক্তি করে তাদের মূলধারায় সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি প্রচুর পদক্ষেপ নেন। সিরিয়ায় গণজাগরণের পরে দায়েশের অভ্যুত্থান হলে আমেরিকা এবং পাশ্চাত্যের প্রলোভনে পড়ে পিকেকে পিওয়াইডি পু*** মারা দেওয়ার বায়না দিয়েছে। তাই তাদের রক্তের জন্য কোনো দরদ বোধ করছিনা। হ্যাঁ এসব ছ্যাচ্চর টেররিস্ট গ্রুপের বাইরে কুর্দি জনগণের দুর্দশার জন্য আমি গভীর দুঃখ বোধ করছি। তবে হিজরা বুদ্ধিজীবী কুল যারা যাকে তাকে আমেরিকা ইজরায়েলের দালাল বলে কিন্তু কুর্দিদের প্রতি মানবতা মারায় মাত্র গত পাঁচ সাত বছর ধরে তাদেরও পু*** মারার ব্যবস্থা করা গেলে বাড়তি বিনোদন হতো। কারণ তারা কুর্দি অধিকার নিয়ে কেবল তখন সচেতন হয়েছে যখন পাশ্চাত্যের দরকার হয়েছে। কিন্তু তারাই এখনো আইরিশ সংকট, স্পেন সংকট নিয়ে এখনো ততো উদ্বিগ্ন না। ফিলিস্তিন মোটামুটি লস্ট কেস। তালিকা অনেক বড়। তবে এই শালারা অতি ধুরন্ধর ও টাউট। যেদিকে বৃষ্টি হয় সেদিকে ছাতা ধরে ফলে শালাদের টাইট দেওয়া মুশকিল।

 

২) এরদোয়ান একটা বিশিষ্ট নাটকবাজ মানুষ। এতো কাহিনী না মাড়ায়ে ন্যাটোর বেজ বন্ধ করে দিক আর শরনার্থী ইউরোপে ছেড়ে দিক। ব্যাপক কিসসা কাহিনী শুরু হয়ে যাবে। এই দেনদরবার অবশ্য তুরস্ক অনেক আগেই করতে পারতো। কিন্তু ইইউয়ের সাথে পিরিত করে তখন তুরস্কের পরিবর্তে ইউরোপের স্বার্থ রক্ষা করেছে এমন এক প্রতারণাপূর্ণ চুক্তি সেকালে এরদোয়ান সাইন করে আজকের মারা খাওয়ার পথ তৈরি করেছিলো।

 

৩)

 

তুরস্ক কুর্দি সংকট নিয়ে ফেসবুকিং করার চেয়ে স্ত্রী সঙ্গম, মুরগী চাষ অথবা পেপে গাছ লাগানো অধিক লাভজনক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আমাদের ফেবু জেহাদিদের পছন্দ করিনা তার প্রধান একটা কারণ তাদের বলদামি মার্কা কথাবার্তা। তারা রাজনীতি রাজনৈতিক নিয়মে না বরং নীতি শাস্ত্রের নিয়মে এবং আকিদা ও ফেকাহর কিতাব পড়ে তার আক্ষরিক বাস্তবায়নে উতলা হয়। দায়েশ নয় এমন ফেবু জেহাদিদেরও ধারণা এরদোয়ান এর চেয়ে দায়েশ ভালো। হাহাহা। অথচ সিরিয়ান রেভ্যুলুশন যেটুকু সফল হয়েছে এবং প্রতিরোধ গড়েছে তা এরদোয়ান ছাড়া কখনো সম্ভব ছিলোনা। অন্যদিকে যদি একটা গ্রুপ এই বিপ্লব ব্যার্থ হওয়ার জন্য দায়ী হয় তা হচ্ছে দায়েশ।

 

তবে এটাও সত্য এরদোয়ান এর আচরণ কেবল ইসলামের প্রতি দুর্বল কমিটমেন্টই প্রমাণ করেনা বরং রাজনৈতিক দুরদর্শিতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত লোয়ার মিডিওকার হিসাবে তাকে প্রমাণ করে। আল আহকামুস সুলতানিয়্যা বিষয়ে আমার অন্যতম পির ও মুর্শিদ আল্লামা ম্যাকিয়াভেলি বলেন, রাজনীতিতে ঝুঁকি নিতেই হবে। ঝুঁকি না নেওয়া বড় ঝুঁকির কারণ। খারেজি দায়েশের কুকুররা যখন বেশ বাড় বেড়েছিলো তখন আমেরিকা তুরস্ককে বলেছিলো দায়েশ দমন অভিযানে সিরিয়ায় অভিযান চালাতে। কিন্তু তখন তুরস্ক রাজি হয়নি। অথচ তখন তাদের উচিৎ ছিলো সেই সুযোগে শামে ঢোকা এবং মার্কিন সমর্থনে একই সাথে দায়েশ ও বাশারকে পরাজিত করা। কিন্তু তা না করে তারা ধানাই পানাই করে। দাভুতগ্লু তখন বলে আমরা আমেরিকার মার্সেনারি না। আমরা ঢুকবো না আবার খেলাও ছাড়বোনা। সত্য হচ্ছে তুরস্ক শুরুতে দায়েশের বিরুদ্ধে যথেষ্ট শক্ত ছিলোনা। এই যে তাই তাই খেলা সেটাই এখন গলায় আটকে গিয়েছে। আধ খিচরা খেলা খুব খারাপ। ইরান কিন্তু বেশ গুছিয়ে খেলেছে সব জায়গায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াসির কাদির অন্যতম বিতর্কিত একটি আলাপ। কিন্তু তার আশয়ারি, মাতুরিদি, আছারি সংক্রান্ত আলাপ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে অন্তত গত ১০ বছর ধরে এটাই আমার মত। এসংক্রান্ত আলাপের সার হচ্ছে,

 

আশয়ারি, মাতুরিদি, আসারি আকিদা কোনো অকাট্য ঐশি আকিদা নয় বরং এগুলো হচ্ছে সাহাবাদের অস্পষ্ট বক্তব্যকে পরবর্তীকালীন আলিমদের নিজেদের বুঝ অনুযায়ী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ফল। ফলে আকিদার নামে এসব ডিপ ফিলোসোফিক্যাল আলাপের উপর জান্নাত জাহান্নাম নির্ভরশীল না৷ বরং ইমানের মৌলিক ছয়টি বিষয়ে ইমান রাখা, সাহাবাদের ন্যায়পরায়ণতায় আস্থা রাখা, ইখলাস, তাকওয়া এবং তাযকিয়ার উপর জান্নাত জাহান্নাম নির্ভরশীল। তার মানে এটা না যে, উলামাদের প্রত্যাখ্যান করে কুরআন, হাদিস থেকে প্রত্যেক টম ডিক অ্যান্ড হ্যারি আকিদা এবং ফেকাহ শিখবে। তবে সমস্যা হয় তখন যখন নিজের উস্তাদ এবং মাশায়েখদের শেখানো আকিদাকে কুরআন আর সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিষয়াবলির মতো অকাট্য হক বলে মনে করা হয় এবং তার ভিত্তিতে অন্যদের যথেচ্ছা তাবদি করা।

 

Moral of the story explanations of creed given by Ashari, Athari, Maturidi schools of thought are not clearcut devine revelation rather human construct developed by later century scholars.

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াসির কাদি আজকাল বেশ বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায়। এই পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উম্মাহ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন বাস্তবতা, নতুন গবেষণা, নতুন উপলব্ধি সর্বদাই বিপদজনক এবং ভ্রান্তির সম্ভাবনাময়। কিন্তু ভুলের ভয়ে গবেষণা বন্ধ করা হচ্ছে দুর্ঘটনার ভয়ে বাসায় বসে থাকার মতো। পথে বের হলে দুর্ঘটনা হবেই। তবু পথে বের হতেই হবে। অতিসতর্কতাবশত উসমানিরা নিজেদের প্রযুক্তিগত এবং জ্ঞানগতভাবে পিছিয়ে পড়ায় উম্মাহকে কড়া মূল্য দিতে হয়েছে।

 

ইয়াসির কাদির মতো উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর ব্যাপারেও আমার একই অভিমত। মানুষের ভুল করার অধিকার আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। স্যার সাইয়্যেদ আহমদ এর দশ হাজার সমালোচনা করতে পারেন, ইচ্ছা হলে তাকে খুব সহজে মুরতাদ প্রমান করা যাবে কিন্তু তিনি উম্মাহর প্রয়োজন পূরণে বড় কাজ করেছেন। কারণ যাইহোক কেবল দারুল উলুম দেওবন্দ দিয়ে ব্রিটিশ মুসলমানদের রক্ষা করা যেতোনা৷ খোদ দেওবন্দিরা এই বিভাজন মেনে নিয়েছিলেন যে তারা কেবল আলিম তৈরি করবেন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবি তৈরিতে অবদান রাখা পরিবর্তিত বাস্তবতায় তাদের জন্য সম্ভব না।

 

মুসলমানদের কোনো অংশ এমনকি উলামারা উম্মাহর পূর্ণাঙ্গ রাহবরি করার যোগ্যতা রাখেননা। প্রত্যেক অংশের সুনিশ্চিত ভুল এবং সীমাবদ্ধতা ঐতিহাসিকভাবে প্রমানিত। ফলে কোন একক গোষ্ঠীর আনুগত্যের দাবি প্রত্যাখ্যান করছি।

 

আমাদের উম্মাহ হিসাবে অগ্রগতির জন্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, উস্তাদ মাওদুদি, ইয়াসির কাদির মতো মেধাবি গবেষক দরকার যারা প্রচুর কাজের জিনিস আবিস্কার করবেন, আবার প্রচুর রক্ষণশীল উলামা দরকার যারা তাদের ভুলগুলো চিহ্নিত করবেন। এভাবে ইসলামের বিশুদ্ধতা রক্ষা পাবে।

 

আমি সিমপ্লিসিটির জন্য কেবল প্রগতি এবং বিশুদ্ধতার মাত্রা আলাপ করলাম। তবে রাজনৈতিক কৌশল, বিপ্লব, সংস্কার প্রভৃতি মাত্রার ক্ষেত্রেও এই আলাপ প্রযোজ্য। যেমন উম্মাহ রাজনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে কুফফারদের থেকে পিছিয়ে আছে। এখন ওয়াজ করে পরাজিত মানস ঠেকানো যাবেনা। তাছাড়া পরাজিত হওয়ার পর বিজয়ের ভাণ ধরা বা বিজয়ীর মতো ঘাওরামি করা উম্মাহর অস্তিত্ব ধ্বংস করতে পারে। আবার কিছু মানুষ স্টাটাস ক্যু না ভাঙলেতো পৃথিবী কখনো প্রগতির পথে যাবেনা। ইসলামের পুনর্জাগরণ সম্ভব হবেনা।

 

আমার দৃঢ় বিশ্বাস এধরনের ডাইলেক্টিক্যাল প্রসেস এবং ম্যাথোডলজিই উম্মাহর আগামী পথ চলার ব্লু-প্রিন্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশে একদল চরমপন্থী ফেসবুকার আছে যারা এরদোয়ানকে তাকফির না করলে মুরজিয়া বলে। এদের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ তারা হয়তো সকলেই এখনো খারেজি না। কিন্তু তাদের মেজাজ খারেজি।

 

উপযুক্ত পরিবেশে তাদের মাঝে দায়েশ টাইপ বিচ্যুতি ঘটা খুবই সম্ভব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা উলামায়ে আহলুল হাদিসকে ব্রিটিশ দালালির অপরাধে গালাগালি করেছি। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে আমার উপলব্ধি সাধারণ ভারতীয় মুসলমানদের চেয়ে ভিন্ন। আমি মনে করি শহীদ টিপুর পরে ইংরেজবিরোধী সকল বিদ্রোহ অর্থহীন এবং আত্মঘাতি ছিলো। উদাহরণসরূপ দুইটা স্যাম্পল নিয়ে আলাপ করি। এক তিতুমীর এবং দুই ১৮৫৭ এর জঙ্গে আজাদি।

 

তিতুমীর অনেক বড় ওলি ছিলেন সন্দেহ নাই। কিন্তু তার বাঁশেরকেল্লা একটা বাজে আইডিয়া ছিলো। ফায়ার আর্মসের সামনে এই বিদ্রোহ একটা চূড়ান্ত ভুল ছিলো। অথচ তিনি যদি সংঘাত এড়াতে পারতেন তবে তার অর্গানাইজড ফোর্স ইসলামের অনেক খেদমত করতে পারতো। যেমন তার পির ভাই কারামত আলী জৈনপুরী (রহ) করেছিলেন। কারামত আলী জৈনপুরী ব্রিটিশদের সাথে সকল সংঘাত এড়িয়ে যান। শহীদ তিতুও তার ফোর্সকে আধুনিকায়ন করার প্রয়াস চালাতে পারতেন।

 

১৮৫৭ সালে বিদ্রোহ শুরু করেন মূলত মঙ্গল পান্ডে নামের হিন্দু বংশোদ্ভূত একজন। কিন্তু মুসলমানরা এক দুর্বল বৃদ্ধ মুসলমান রাজার অধিনে অসংগতিভাবে বিদ্রোহ করে কি অর্জন করেছে? তারা যদি বিদ্রোহ এড়িয়ে যেতেন তাহলে দিল্লীতে আজও মুসলমানরা শক্তিশালী থাকতে পারতো। যেভাবে হায়দ্রাবাদের নিজাম ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তার ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন। যদি আরেকটু ধুর্ত হতেন তবে তারপরেও আরও প্রভাব বজায়ে রাখা সম্ভব হতে পারতো। খোদ মাওলানা মাওদুদি রহ পর্যন্ত বলেছেন, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় হায়দ্রাবাদের মুসলমানদের অবস্থা ভালো ছিলো। কিন্তু বিদ্রোহের ফলে দিল্লির রহিমিয়া মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার একর ওয়াকফ সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়।মুসলমানদের প্রতিরোধ দমন করতে কাদিয়ানি চিন্তার জন্ম দেওয়া হয়েছে। ১৮৫৭ এর পরে দালাল স্যার সাইয়্যেদ আহমদ, নবাব সলিমুল্লাহ প্রমুখ দালালরা মুসলমানদের শক্তির উৎস হয়ে উঠেন। আমার ধারণা হিন্দুদের মতো দালালি এবং পাশাপাশি সীমিত আন্দোলন করলে ব্রিটিশদের সাথে মিলেমিশে ভারত শাসন করা না গেলেও আরও অনেক বেশি প্রভাব বজায়ে রাখা যেতো।

 

এধরণের আলাপ অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আলজেরিরার স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্ত দিয়ে কি লাভ হয়েছে? কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করেছে।

 

যাইহোক আমার মনে হয় রাজনীতি ভাবাবেগের বিষয় না। হ্যাঁ যুদ্ধের ফুটসোলজার বা অশ্বারোহীদের যারা মারামারি করে তাদেরকে কুরবানি দেওয়ার জন্য তাদের জজবা চ্যাতানো দরকার হতে পারে তবে পলিসি মেকারদের অবশ্যই ফলাফল বিবেচনা করে ঠান্ডা মাথায় রণকৌশল প্রণয়ন করা উচিৎ। এক মাস, দুই মাস পাঁচ বছর, দশ বছর না অন্তত একটা চল্লিশ বছর মেয়াদি প্ল্যান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভোলার ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি

 

১) এক কোটি মানুষ দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনতে আল্লাহর রাস্তায় বের হন।

 

২) সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশে বসবাসরত প্রত্যেক আদম সন্তানের কাছে আগামী একমাসের ভেতর ইসলামের দাওয়াত পৌঁছান।

 

৩) প্রত্যেক মসজিদ মাদ্রাসায় সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা) এর উপর মাহফিল করেন। আজগুবি কিসসা কাহিনীর বয়ান না। বরং মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে তিন দিনের সিরাত ক্লাশ চালু করুন।

 

৪) অন্তত এক কোটি মানুষ যেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিশুদ্ধ সিরাত শেখে তা নিশ্চিত করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি রাগ ক্ষোভকে অনিয়ন্ত্রিত না করে প্রত্যেকে নিজেদের টাইমলাইনে হাদিস, সিরাত অথবা আসার পোস্ট করুন।

 

আমি শুরু করছি।

 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 

‘আলক্বামাহ ইব্‌নু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

 

আমি ‘উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।

 

সহিহ বুখারী

 

 

 

 

 

 

 

একটা নেতা মূলত একজন ব্যবস্থাপক। তার কাজ হচ্ছে সার্বিক কাজগুলো তত্ত্বাবধান করা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া৷ তবে একজন ব্যবস্থাপক মূলত চাকুরে হওয়া বাঁধাধরা নিয়মে কাজ করেন। কিন্তু নেতা হয়ে উঠেন ইনোভেটিভ এবং ভিশনারি, মিশনারি।

 

আমি বর্তমান বাংলাদেশে শাসকদের একটা ফুল দিয়েও ঢিল মারার বিরুদ্ধে। কিন্তু ইসলামি নেতৃবৃন্দের চূড়ান্ত নপুংসক কার্যক্রমে বিরক্ত। আমি হেফাজত নেতৃত্বের ঘোষিত কর্মসূচির এই দিককে সমর্থন করি যে তারা শাসকদের সাথে এখন পর্যন্ত সংঘাত এড়িয়ে যেতে সতর্ক কিন্তু তাদের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘৃনা ভড়ে প্রত্যাখ্যান করি কারণ তা নিছক প্রানশূন্য আনুষ্ঠানিকতা যা মূলত এবং কার্যত নিস্ক্রিয়তার মানহায।

 

কওমি মাদ্রাসার জন্ম হয়েছিল একটা তাহরিক হিসাবে, কোনো পেশাজীবি নির্মানের সূতিকাগার হিসাবে না। দারুল উলুম ১৮৬৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কখনো কোন সহিংস আন্দোলনে জড়িত হয়নি। তবে তারা অসংখ্য হৃদয়ে প্রেমে আগুন জ্বালিয়েছে। উপমহাদেশ জুড়ে লাখো কোটি বিপ্লবী তাদের লিগেসি খুঁজে পায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে। একটা অহিংস কর্মসূচি তাহরিক হয়ে উঠে যখন তা আচার সর্বস্বতা কাটিয়ে প্রেমের উত্তাপে প্রাণবন্ত হয়। এজন্য মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ) এর মতো বিশুদ্ধ অরাজনৈতিক সুফিকে সমকালীন শাসকরা রাজনৈতিক হুমকি হিসাবে বিবেচনা করতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে তাহরিকে দেওবন্দ নিভু নিভু। কতক বেসরকারি ইসলামি স্কুল যা ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসা শিক্ষকের মতো পেশাজীবি উৎপাদন করে তা টিকে আছে।

 

আমি জানি এখনো এদেশে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে তাহরিকে দেওবন্দের ছাইয়ের নিচে ইমানের জলন্ত কয়লা আছে। এগুলো থেকে দাবানল তৈরি করতে দরকার কিছু মানুষ যারা কয়লায় অক্সিজেন সাপ্লাই করবে, কিছু মুয়াজ্জিন যারা ইশকের আজান দিবে, কিছু নেতা যারা মানুষকে উদ্দিপ্ত করবে।

 

একজন নেতার প্রধান কাজ বিরাট পোস্টার আর মঞ্চে মাইক ফাটিয়ে বক্তব্য দেওয়া না। একজন নেতা দরকার যিনি সারা বাংলাদেশে মাদ্রাসাগুলোতে সফর করে তাদের মাঝে দাওয়াতি প্রেরণা তৈরি করবেন, আকাবিরে দেওবন্দের অন্তর জ্বালার অনুভূতি বয়ান করবেন, পেশাজীবিতা বাইরে ইমানি দায়িত্বের বিষয়টি বুঝিয়ে দিবেন। তিনি সবাইকে নিজেদের সামান্য সম্পদকে বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে পরস্পর শেয়ার করে বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করবেন। পাশাপাশি সকল হঠকারিতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য উম্মাহকে পরামর্শ দিবেন।

 

সুনিশ্চিতভাবে সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো থেকে হাটহাজারি কর্তৃপক্ষ নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে নিজেদের মাদ্রাসাকে নিজেদের রাজ্যের মতো উপভোগ করার সংকীর্ণ গণ্ডিতে আটকে গিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১৯৬২ সালে রেঙ্গুনে ল দাওয়াতের গুরুত্ব নিয়ে সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ এর একটা ভাষন নিয়ে অনেকেই রোহিঙ্গাদের তুলোধুনো করেছেন। কিন্তু তারা কি দাওয়াতের মেহেনত করেছেন?

 

ভাইয়েরা দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনতে সময় লাগানোকে মাদ্রাসার কারিকুলামের অংশে পরিনত করুন। প্রতিমাসে অন্তত তিনদিন ছাত্র শিক্ষক এই মেহেনতে সময় দিন।

 

আবেগে ভেসে কিছুই অর্জন হবেনা ভাইয়েরা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকবার বলেছি বাঘের হুংকার, সিংহের গর্জন, জ্বালাময়ী বয়ান বাদ দিন। উস্কানিমূলক কথাবার্তা বন্ধ করেন। দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনতে মনোযোগ দিন।

 

 

 

 

 

 

 

অসভ্য, বর্বর, স্বল্পশিক্ষিত, সাইদিকে চাঁদে দেখা বাঁশেরকেল্লার মতো গুজব ছড়ানো জামাতিরা হিংসায় জলে পুড়ে মাওলানা ফজলুর রহমান সাহেবের ব্যাপারে আজগুবি মিথ্যাচার ও কুৎসা রটাচ্ছে। অথচ পাকিস্তান জামাতসহ সকলবিরোধী দল ইমরানের বিরুদ্ধে মার্চ সমর্থন করেছে। এমনকি নির্বাচনের আগে ইমরানের সাথে থাকা জমিয়তের মাওলানা সামিউল হক গ্রুপের বর্তমান প্রধান মাওলানা হামিদুল হক পর্যন্ত ইমরান খানের ব্যার্থতার নিন্দা করেছেন যদিও তিনি ইমরানের বিরুদ্ধে মার্চের আগে ইমরানকে আরও ছয়মাস সময় দেওয়ার পক্ষে। এভাবে ইমরানকে রাজনীতিতে একঘরে করে ফেলা অনেক বড় সাফল্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মোর‍্যাল অব দ্যা স্টোরি ইমরান খানের জামাত হচ্ছে পাকিস্তানের গুরাবা আত তাইফাতুল মানসুরা এবং আহিলে সুন্নাহ ও আহলে হকের একমাত্র নিশান বরদার।

 

তাই মাওলানা ফজলুর রহমান যে ভারতের দালাল তা ইমরান খান এবং তার দেশি বিদেশি চ্যালা চামচাড়া ছাড়া জগতে কেউ জানেনা। পাকিস্তানের সকল বিরোধীদল র এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। ভাবা যায় ব্যাপারটা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশের মানুষ ক্রিকেট না খেললে কি হবে? আমি অবশ্য ক্রিকেট খেলার পক্ষে কিন্তু পুঁজির দালালি করে টিভিগুলোর টিআরপি বাড়ানোর বিরুদ্ধে।

 

তবে সাকিব আমার সমস্যা না। আমার সমস্যা হচ্ছে রেলস্টেশন, ফুটপাত, পার্কে শুয়ে থাকা হাজার হাজার ভাসমান মানুষ, মিডলইস্ট, নর্থ আফ্রিকা, ভূমধ্যসাগর, ভারত মহাসাগরে জীবন বিপন্ন করা প্রবাসিরা যাদের কষ্টের রেমিট্যান্স দিয়ে স্পোর্টস বোর্ডগুলো চলে।

 

কেউ ক্রিকেট খেলা দেখে মজা লুটার চেয়ে দেশে মাটিতে পান বেঁচে ছাপড়া ঘরে বউয়ের সাথে মজা লুটা অনেক বড় প্রয়োজন।

 

 

 

 

 

 

 

ইমরান খানের হাজার দোষের মাঝে একটা গুন হচ্ছে তিনি সম্ভবত অর্থনৈতিক দিক থেকে সৎ। এই একটি দিকের কারণে আজও লাখো পাকিস্তানি তাকে পছন্দ করে। তার বড় দুর্বলতা হচ্ছে তিনি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিএনপির মতো অন্যান্য দল ভেঙে ধান্দাবাজদের একত্রিত করেছেন। কিন্তু যেভাবেই হোক তিনি ত্রিশ বছরের কম সময়ে ক্ষমতায় এসেছেন।

 

আমার আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে জমিয়ত এবং জামাত। মুসলিম লীগ ছাড়া পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরাতন দল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। তারপর জামাত। কেন তারা রাজনীতিতে এতোটা ব্যার্থ যে সারাদেশে জামানত রক্ষা করার মতো প্রার্থী তারা দাঁড় করাতে পারেনা।

 

আমার মনে হয় এসব টেড ইউনিয়ন গোছের দলের পাশাপাশি দাওয়াত এবং তালিমের মাধ্যমে মানুষ গঠন করে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোতে অংশগ্রহণ উত্তম। আমার মতে যারা প্রচলিত রাজনীতি করতে চান তাদের জন্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ, মাওলানা আতাউর রহমান খান ভালো মডেল। আমাদের ধর্ম মন্ত্রীর মতো ত্রিশজন কওমি আলিম মন্ত্রী আমাদের থাকলে সম্ভবত রাজনীতি আরও কল্যাণকর হতে পারতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের লড়াই রাজনৈতিক না সাংস্কৃতিক।

 

 

 

 

 

 

এদেশে ইসলাম পরাজিত হয়েছে ১৭৫৭ সালে পলাশির আমবাগানে। শেষ প্রতিরোধ অফিসিয়ালি ধ্বংস হয়েছে ১৮৫৭ সালে ভিক্টোরিয়া পার্কে। মাঝখানে কোটি কোটি বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু ১৭৬৯-৭০ সালে ইংরেজ বেনিয়াদের লুটপাটের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে মারা গিয়েছেন এককোটির উপরে বাঙালি।

 

১৮৫৭ এর পরে ইসলামি রাজনীতি এদেশে অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কখনো উঠেনি। মুসলমানরা আপোষ করে টিকে আছে। আবেগে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারেন কিন্তু পৃথিবীর সকল আইনের উৎস হচ্ছে শক্তি। স্বার্বভৌম শাসকের আদেশই আইন। আবেগে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ব্রিটিশরা যে স্ট্যাটাস ক্যু প্রতিষ্ঠা করে তা কখনো ভাঙেনি। মুসলমানরাও কখনো সিরিয়াসলি নতুন লড়াই শুরু করতে পারেনি। সম্ভব হয়নি। তাই মূলধারায় সবাইকেই কারও না কারও দালালি করতে হয়েছে। পার্থক্য হচ্ছে কে কোথায় কার দালালি করলো।

 

তাই আমি এস্টাবলিশমেন্টের রাজনৈতিক আনুগত্য মেনে নিয়েছি। আমাকে দালাল বললে আমি দালাল। কিন্তু আমার দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় টিকিয়ে রাখার জন্য এস্টাবলিশমেন্টের সাথে দেনদরবার করে আপোষ এবং লিয়াজোঁ বজায়ে রাখাই আমার রাজনীতি।

 

 

 

 

 

 

 

মনিপুরিরা মোটামুটি সবাই খ্রিস্টান কনভার্ট। আপনাদের সমর্থন বা বুদ্ধি তাদের ততোটা দরকার নাই। তাদের উপর ততটা নিপীড়ন চালানো ততটা সহজ হবেনা। তাদের সাহায্য করার অনেকেই আছে।

 

 

 

 

 

ফেসবুকিং করি আর মাঝে মাঝে আবিস্কার করি আমাকে অনেকেই আনফ্রেন্ড করেছেন। হাহা। হতেই পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা অনেকেই আমাকে মোটামুটি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন আনফ্রেন্ড করবেননা। আমাকে আনফ্রেন্ড করা মানুষের সংখ্যা অন্তত ১০০ বা তার উপরে হবে। তাদের মাঝে ফ্রেন্ড ফলোয়ার মিলে ৫০০০ পাঠক আছে এমন মানুষের সংখ্যা অন্তত ত্রিশ।

 

আমার খারাপ লাগেনা। তবে ভাবি দুনিয়াতে মানুষ কত সহজেই মুগ্ধ হয়, প্রশংসা করে, ক্ষুব্ধ হয়। এই হালকা সম্পর্কের চাপেই আমরা সত্যকে কেটেছেঁটে জুতোর মাপে বানাই। জুতোকে পায়ের মাপে কাটাটা আজকের যুগে দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফজলুর রহমানকে অবশ্যই সাপোর্ট করি। তবে তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন তা স্বপ্নেও ভাবিনা। এমনকি তার দলকে কোনো ইসলামি রাজনৈতিক দলও মনে করিনা। তাকে সাপোর্ট করি কারণ খেলা দেখতে গেলে একটা দল সাপোর্ট করতে হয়। তাই সাপোর্ট করি। যদিও জানি ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে তবুও খেলা দেখার স্বার্থে একটা ঘোড়াকে নিয়ে হৈ হুল্লোড় আরকি।

 

অবশ্য কাফের অক্ষয় কুমারের চেয়ে মুসলমান শাহরুখ খানের পক্ষে থাকাটা ভালো। ঘোড়ার রেস্র আমি আমাদের খোয়ারের ঘোড়া মাওলানা ফজলুর রহমানের পক্ষে।

 

 

 

 

 

 

 

শত্রু মিত্র নির্বিশেষে পাকিস্তানে মোটামুটি সবাই একমত যে মাওলানা ফজলুর রহমান সবচেয়ে বুদ্ধিমান/ ধুরন্ধর রাজনৈতিক নেতাদের একজন। তিনি একটি ধর্মীয় ভাবাদর্শের দলের নেতা না হয়ে সেক্যুলার দলের নেতা হলে তিনি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী হতেন।

 

এদেশে অনেক বোকার দাবি ইমরান খানকে সহায়তা করাই তার কাজ হওয়া উচিৎ। রাজনীতিতে নায়ক ভিলেন হতে সময় লাগেনা। ইমরান খানের মতো নাওয়াজ শরীফও একদিন নায়ক ছিলেন। নাওয়াজ শরীফ ছিলেন মুসলিম জাতিয়তাবাদি ইসলামপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। এক সময় নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন আমিরুল মুমিনিন। ইমরানের মতো চাপাবাজির পাশাপাশি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ তার অনবদ্য অবদান। কিন্তু আজ তাকে অনেকেই পছন্দ করতে পারছেননা। আমিও করিনা। গাযি মুমতায কাদরি (রহ) এর শাহাদাত নাওয়াজের আমলে তা ভুলতে পারিনা। পারভেজ মোশাররফের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড মোছার চেষ্টা জারদারি, নাওয়াজ, ইমরান কেউ করেনি, করছেনা, করবেনা। এখানে ইসলাম হচ্ছে স্লোগান। রাজনীতি এবং ক্ষমতাই আসল। এটা মাওলানার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

 

ইয়ে হাল তেরা চাল হ্যায়

মকসদ তেরা মাল(পাওয়ার) হ্যায়

 

এই পাওয়ার পলিটিক্সে হুজুরদের রাজনৈতিক দৃশ্য থেকে মুছে ফেলার এক আয়োজন ছিলো গতবছর সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া নির্বাচনে। এরদোয়ান, হাসিনা বা মোদির মতো ইমরান হয়ে উঠছেন চেক এন্ড ব্যালেন্সহীন একজন নেতা হিসাবে। এটা হলে রাজনীতিতে ক্যাটালিস্ট বা প্রভাবক হওয়ার যে সক্ষমতা হুযুরদের আছে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই ইমরানের জনপ্রিয়তা কমানো দরকার ছিলো। মাওলানা ফজলুর রহমান তা বোঝেন।

 

বিরোধী রাজনৈতিক দল সবাই বিপদে ছিলো। মাওলানা সুযোগ নিতে ভুল করার মতো বোকা না। তিনি কৌশলে সকল বিরোধী রাজনৈতিক গ্রুপের ভাষা হয়ে উঠেছেন। পাঞ্জাবে মাওলানার অবস্থান ছিলো খুবই দুর্বল। পাঞ্জার মুসলিম লীগের ঘাটি। সেখানে তিনি বিশাল বিশাল প্রোগ্রাম করলেন মুসলিম লীগের পৃষ্ঠপোষকতায়। মাওলানা সম্ভবত এসব আন্দোলনে পিপিপি এবং মুসলিম লীগ উভয়ের কাছ থেকে পয়সাও পেয়েছেন। রাজনীতিতে ইসলামপন্থীরা পিছিয়ে পড়ার বড় একটা কারণ টাকার অভাব। এই সুযোগে কইয়ের তেলে কই ভাজার সুযোগ মাওলানা হারাবেন কেন?

 

সবাই এখানে যার যার রাজনীতি করে, রাজনৈতিক স্বার্থ দেখে। আমি মাসলাকান দেওবন্দি। দেওবন্দিদের লাভ হচ্ছে তাই মাওলানার পক্ষে। এখানে ইসলাম, খেলাফত, আসসিয়াসাতুশ শারিয়ার কিছু নাই। এ্যাজ সিম্পল এ্যাজ দ্যাট। কিন্তু এদেশে কিছু বোকা মানুষ মনে করে হুযুরদের কাজ হচ্ছে রোযা রাখা, কুরবানি দেওয়া আর সেক্যুলার ন্যাশনালিস্ট ধারার বিএনপি, সাকিবাল হাসান, ইমরান খানদের মতো ড্যাশিং স্মার্ট লুক গাইদের কাজ হচ্ছে হুযুরদের কুরবানির গোশত দিয়ে ইফতার করা। এসবই নাকি প্র‍্যাগমেটিজম।

 

এসব আজগুবি ধান্দাবাজি বাদ দেন। হুযুররাও বুঝে গিয়েছে ইসলাম আপাতত দুনিয়ায় একটা নিষিদ্ধ দীন। তারা এখন আর জান্নাতের জন্য না বরং ইফতারের ভাগের জন্য রাজনীতি করে। ফলে কুরবানির বয়ান দিয়ে প্যান্ট শার্ট পূজা আর ভাড়া খাটা ধান্দাবাজি দিয়ে তাদের প্যাগমেটিজম এবং ইসলামি আন্দোলন শেখানো যাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরেকটা বিতর্কিত কথা বলি। এটা মাথায় না রাখলে প্রত্যেক হিসাবে ভুল করবেন। এই যে আদম শুমারী রিপোর্ট দেখে বক্তৃতার মঞ্চে মাইক ফাটিয়ে বলেন ৯০% মুসলমানের দেশে....

 

আপনি যদি মধ্যমপন্থী মুর্জিয়া হন তবু বিভিন্ন রকম তাবিল করে ওযর দেখিয়েও যদি একটা ইনকুইজিশন করে জনগণের আকিদা চেক করেন তবে মুসলমানদের সংখ্যা এদেশে কোনোভাবেই ৬০-৭০ % এর বেশি না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি বেরেলভিদের কাফের মনে করিনা। তাছাড়া বেরেলভিদের অনেকেই বিভিন্ন ওযর পাবেন বলে আশা করি। ফলে হয়তো তাদের বিদয়াত সত্ত্বেও অনেকে আহলুস সুন্নাহ হিসাবে আল্লাহর দরবারে বিবেচিত হবেন। কিন্তু এখানে আহলুস সুন্নাহ আর আহলুল বিদয়াহর আলোচনা হচ্ছেনা। এখানে ইমাম এবং কুফরের আলোচনা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা নেতা মূলত একজন ব্যবস্থাপক। তার কাজ হচ্ছে সার্বিক কাজগুলো তত্ত্বাবধান করা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া৷ তবে একজন ব্যবস্থাপক মূলত চাকুরে হওয়া বাঁধাধরা নিয়মে কাজ করেন। কিন্তু নেতা হয়ে উঠেন ইনোভেটিভ এবং ভিশনারি, মিশনারি।

 

আমি বর্তমান বাংলাদেশে শাসকদের একটা ফুল দিয়েও ঢিল মারার বিরুদ্ধে। কিন্তু ইসলামি নেতৃবৃন্দের চূড়ান্ত নপুংসক কার্যক্রমে বিরক্ত। আমি হেফাজত নেতৃত্বের ঘোষিত কর্মসূচির এই দিককে সমর্থন করি যে তারা শাসকদের সাথে এখন পর্যন্ত সংঘাত এড়িয়ে যেতে সতর্ক কিন্তু তাদের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘৃনা ভড়ে প্রত্যাখ্যান করি কারণ তা নিছক প্রানশূন্য আনুষ্ঠানিকতা যা মূলত এবং কার্যত নিস্ক্রিয়তার মানহায।

 

কওমি মাদ্রাসার জন্ম হয়েছিল একটা তাহরিক হিসাবে, কোনো পেশাজীবি নির্মানের সূতিকাগার হিসাবে না। দারুল উলুম ১৮৬৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কখনো কোন সহিংস আন্দোলনে জড়িত হয়নি। তবে তারা অসংখ্য হৃদয়ে প্রেমে আগুন জ্বালিয়েছে। উপমহাদেশ জুড়ে লাখো কোটি বিপ্লবী তাদের লিগেসি খুঁজে পায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে। একটা অহিংস কর্মসূচি তাহরিক হয়ে উঠে যখন তা আচার সর্বস্বতা কাটিয়ে প্রেমের উত্তাপে প্রাণবন্ত হয়। এজন্য মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহ) এর মতো বিশুদ্ধ অরাজনৈতিক সুফিকে সমকালীন শাসকরা রাজনৈতিক হুমকি হিসাবে বিবেচনা করতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে তাহরিকে দেওবন্দ নিভু নিভু। কতক বেসরকারি ইসলামি স্কুল যা ইমাম, মুয়াজ্জিন এবং মাদ্রাসা শিক্ষকের মতো পেশাজীবি উৎপাদন করে তা টিকে আছে।

 

আমি জানি এখনো এদেশে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে তাহরিকে দেওবন্দের ছাইয়ের নিচে ইমানের জলন্ত কয়লা আছে। এগুলো থেকে দাবানল তৈরি করতে দরকার কিছু মানুষ যারা কয়লায় অক্সিজেন সাপ্লাই করবে, কিছু মুয়াজ্জিন যারা ইশকের আজান দিবে, কিছু নেতা যারা মানুষকে উদ্দিপ্ত করবে।

 

একজন নেতার প্রধান কাজ বিরাট পোস্টার আর মঞ্চে মাইক ফাটিয়ে বক্তব্য দেওয়া না। একজন নেতা দরকার যিনি সারা বাংলাদেশে মাদ্রাসাগুলোতে সফর করে তাদের মাঝে দাওয়াতি প্রেরণা তৈরি করবেন, আকাবিরে দেওবন্দের অন্তর জ্বালার অনুভূতি বয়ান করবেন, পেশাজীবিতা বাইরে ইমানি দায়িত্বের বিষয়টি বুঝিয়ে দিবেন। তিনি সবাইকে নিজেদের সামান্য সম্পদকে বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে পরস্পর শেয়ার করে বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করবেন। পাশাপাশি সকল হঠকারিতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য উম্মাহকে পরামর্শ দিবেন।

 

সুনিশ্চিতভাবে সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো থেকে হাটহাজারি কর্তৃপক্ষ নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে নিজেদের মাদ্রাসাকে নিজেদের রাজ্যের মতো উপভোগ করার সংকীর্ণ গণ্ডিতে আটকে গিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভিডিও ইস্যুতে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আমি বিষয়টি দোষ অদোষের জায়গা থেকে আলাপযোগ্য মনে করছিনা। আমার আলাপ হচ্ছে রাজনৈতিক লাভক্ষতির। দুঃখিত আমি জজবাতি না। প্র‍্যাগমেটিক। সিরিয়া এবং লিবিয়ায় জজবাতিরা বিপ্লব ধ্বংস করেছে। এদেশেও জজবাতিরা শাহাদাত এবং জান্নাতের ওয়াজ করবে কিন্তু মাঝে ধ্বংস হবে আবেগি মুসলমান, ব্যবসা করবে কিছু ধান্দাবাজ লোক।

 

ফেসবুক আসলে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না। এখানে মানুষ কেউ খুব বেশি কিছু শেখে না। যা শেখে তা দ্রুত ভুলে যায়। আমার কিছু পাঠক আছে যারা পড়ার আগেই একটা লাইক মারে। এমন অনেকেই খুব বয়ান মারছে, রাজনৈতিক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছে, গালাগালি করছে কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সা) এর সিরাত নিয়ে আলাপ নাই। হাদিস, তাফসির নিয়ে আলোচনা নাই। দাওয়াত নাই। আছে শুধু আওয়ামী বিদ্বেষ। তারা এসবই করে। কদিন আগে আবরার নিয়েও এসব করেছে। এই বলদ জাতীর সাথে আমি নাই। তারা রাসুলের মুহাব্বাতে না হুল্লোড়ের উচ্ছ্বাসে এসব করছে।

 

আমার এই ইস্যুতে যা বলার ছিলো বলা শেষ। এই টপিকে আর কোনো কিছু বলবোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গুলিস্তায় মোটামুটি এমন একটা শের আছে যে, হাতীর সাথে যারা বিড়ালের যুদ্ধ লাগায় তারা বিড়ালকে হত্যা করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইস্যুটা সেনসিটিভ। তবে এদেশের নির্বোধ আবেগি জনতা এবং রোমান্টিক বিপ্লবীদের চিন্তা ভাবনার জন্য ভিডিওটি ভালো

 

আমি এসব রোমান্সের সাথে কখনো ছিলাম না। আজও নাই। এই বেকুবরাই সারাদিন উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছে। কিন্তু কোন আপদ বিপদ আসলে তারা কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোল করবেনা। তখন আবার উলামায়ে কেরামকে গালাগালি করবে। পাশাপাশি রক্তপাত দেখিয়ে বলবে দেখো তাগুত কত খারাপ তারা এসব করছে বলে আরও সহিংসতার উস্কানি দেওয়া হবে। ফলে আরও রক্তপাত হবে। কিন্তু দিনশেষে সুনিশ্চিতভাবে এসবের বাহ্যত কোন ফল আসবেনা। তখন শাহাদাত এবং ফি সাবিলিল্লাহ কুরবানির বয়ান মারানো হবে।

 

গত ২৫ বছরে হুজুরদের প্রচুর আবেগ দেখেছি। দুঃখিত আমি ফলাফলের হিসাব ছাড়া তাদের তালে নাচতে রাজিনা। কোন আবেগি সুরেই আমাকে নাচানো যাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেশে পুলিশ ফেরেশতা। তাদের নিয়ে আলাপ অর্থহীন। কিন্তু যারা মানুষের আবেগ উস্কে আত্মহত্যা করার ব্যবস্থা করছে তাদের থেকে সাবধান থাকা জরুরি।

 

খুব পরিস্কার কথা, রাস্তায় আন্দোলন চাইনা। কারণ তাতে শুধু মুসলমানদের রক্তপাত হবে। আর কিছুই হবে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি রাগ ক্ষোভকে অনিয়ন্ত্রিত না করে প্রত্যেকে নিজেদের টাইমলাইনে হাদিস, সিরাত অথবা আসার পোস্ট করুন।

 

আমি শুরু করছি।

 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 

‘আলক্বামাহ ইব্‌নু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

 

আমি ‘উমর ইব্‌নুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়ত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশ্যেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।

 

সহিহ বুখারী

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভোলার ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি

 

১) এক কোটি মানুষ দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনতে আল্লাহর রাস্তায় বের হন।

 

২) সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উপায়ে বাংলাদেশে বসবাসরত প্রত্যেক আদম সন্তানের কাছে আগামী একমাসের ভেতর ইসলামের দাওয়াত পৌঁছান।

 

৩) প্রত্যেক মসজিদ মাদ্রাসায় সিরাতে রাসুলুল্লাহ (সা) এর উপর মাহফিল করেন। আজগুবি কিসসা কাহিনীর বয়ান না। বরং মুহাক্কিক উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে তিন দিনের সিরাত ক্লাশ চালু করুন।

 

৪) অন্তত এক কোটি মানুষ যেন রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিশুদ্ধ সিরাত শেখে তা নিশ্চিত করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা উলামায়ে আহলুল হাদিসকে ব্রিটিশ দালালির অপরাধে গালাগালি করেছি। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে আমার উপলব্ধি সাধারণ ভারতীয় মুসলমানদের চেয়ে ভিন্ন। আমি মনে করি শহীদ টিপুর পরে ইংরেজবিরোধী সকল বিদ্রোহ অর্থহীন এবং আত্মঘাতি ছিলো। উদাহরণসরূপ দুইটা স্যাম্পল নিয়ে আলাপ করি। এক তিতুমীর এবং দুই ১৮৫৭ এর জঙ্গে আজাদি।

 

তিতুমীর অনেক বড় ওলি ছিলেন সন্দেহ নাই। কিন্তু তার বাঁশেরকেল্লা একটা বাজে আইডিয়া ছিলো। ফায়ার আর্মসের সামনে এই বিদ্রোহ একটা চূড়ান্ত ভুল ছিলো। অথচ তিনি যদি সংঘাত এড়াতে পারতেন তবে তার অর্গানাইজড ফোর্স ইসলামের অনেক খেদমত করতে পারতো। যেমন তার পির ভাই কারামত আলী জৈনপুরী (রহ) করেছিলেন। কারামত আলী জৈনপুরী ব্রিটিশদের সাথে সকল সংঘাত এড়িয়ে যান। শহীদ তিতুও তার ফোর্সকে আধুনিকায়ন করার প্রয়াস চালাতে পারতেন।

 

১৮৫৭ সালে বিদ্রোহ শুরু করেন মূলত মঙ্গল পান্ডে নামের হিন্দু বংশোদ্ভূত একজন। কিন্তু মুসলমানরা এক দুর্বল বৃদ্ধ মুসলমান রাজার অধিনে অসংগতিভাবে বিদ্রোহ করে কি অর্জন করেছে? তারা যদি বিদ্রোহ এড়িয়ে যেতেন তাহলে দিল্লীতে আজও মুসলমানরা শক্তিশালী থাকতে পারতো। যেভাবে হায়দ্রাবাদের নিজাম ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তার ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন। যদি আরেকটু ধুর্ত হতেন তবে তারপরেও আরও প্রভাব বজায়ে রাখা সম্ভব হতে পারতো। খোদ মাওলানা মাওদুদি রহ পর্যন্ত বলেছেন, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় হায়দ্রাবাদের মুসলমানদের অবস্থা ভালো ছিলো। কিন্তু বিদ্রোহের ফলে দিল্লির রহিমিয়া মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার একর ওয়াকফ সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়।মুসলমানদের প্রতিরোধ দমন করতে কাদিয়ানি চিন্তার জন্ম দেওয়া হয়েছে। ১৮৫৭ এর পরে দালাল স্যার সাইয়্যেদ আহমদ, নবাব সলিমুল্লাহ প্রমুখ দালালরা মুসলমানদের শক্তির উৎস হয়ে উঠেন। আমার ধারণা হিন্দুদের মতো দালালি এবং পাশাপাশি সীমিত আন্দোলন করলে ব্রিটিশদের সাথে মিলেমিশে ভারত শাসন করা না গেলেও আরও অনেক বেশি প্রভাব বজায়ে রাখা যেতো।

 

এধরণের আলাপ অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আলজেরিরার স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্ত দিয়ে কি লাভ হয়েছে? কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করেছে।

 

যাইহোক আমার মনে হয় রাজনীতি ভাবাবেগের বিষয় না। হ্যাঁ যুদ্ধের ফুটসোলজার বা অশ্বারোহীদের যারা মারামারি করে তাদেরকে কুরবানি দেওয়ার জন্য তাদের জজবা চ্যাতানো দরকার হতে পারে তবে পলিসি মেকারদের অবশ্যই ফলাফল বিবেচনা করে ঠান্ডা মাথায় রণকৌশল প্রণয়ন করা উচিৎ। এক মাস, দুই মাস পাঁচ বছর, দশ বছর না অন্তত একটা চল্লিশ বছর মেয়াদি প্ল্যান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশে একদল চরমপন্থী ফেসবুকার আছে যারা এরদোয়ানকে তাকফির না করলে মুরজিয়া বলে। এদের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিৎ। কারণ তারা হয়তো সকলেই এখনো খারেজি না। কিন্তু তাদের মেজাজ খারেজি।

 

উপযুক্ত পরিবেশে তাদের মাঝে দায়েশ টাইপ বিচ্যুতি ঘটা খুবই সম্ভব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াসির কাদি আজকাল বেশ বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবী দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায়। এই পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উম্মাহ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন বাস্তবতা, নতুন গবেষণা, নতুন উপলব্ধি সর্বদাই বিপদজনক এবং ভ্রান্তির সম্ভাবনাময়। কিন্তু ভুলের ভয়ে গবেষণা বন্ধ করা হচ্ছে দুর্ঘটনার ভয়ে বাসায় বসে থাকার মতো। পথে বের হলে দুর্ঘটনা হবেই। তবু পথে বের হতেই হবে। অতিসতর্কতাবশত উসমানিরা নিজেদের প্রযুক্তিগত এবং জ্ঞানগতভাবে পিছিয়ে পড়ায় উম্মাহকে কড়া মূল্য দিতে হয়েছে।

 

ইয়াসির কাদির মতো উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এর ব্যাপারেও আমার একই অভিমত। মানুষের ভুল করার অধিকার আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। স্যার সাইয়্যেদ আহমদ এর দশ হাজার সমালোচনা করতে পারেন, ইচ্ছা হলে তাকে খুব সহজে মুরতাদ প্রমান করা যাবে কিন্তু তিনি উম্মাহর প্রয়োজন পূরণে বড় কাজ করেছেন। কারণ যাইহোক কেবল দারুল উলুম দেওবন্দ দিয়ে ব্রিটিশ মুসলমানদের রক্ষা করা যেতোনা৷ খোদ দেওবন্দিরা এই বিভাজন মেনে নিয়েছিলেন যে তারা কেবল আলিম তৈরি করবেন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবি তৈরিতে অবদান রাখা পরিবর্তিত বাস্তবতায় তাদের জন্য সম্ভব না।

 

মুসলমানদের কোনো অংশ এমনকি উলামারা উম্মাহর পূর্ণাঙ্গ রাহবরি করার যোগ্যতা রাখেননা। প্রত্যেক অংশের সুনিশ্চিত ভুল এবং সীমাবদ্ধতা ঐতিহাসিকভাবে প্রমানিত। ফলে কোন একক গোষ্ঠীর আনুগত্যের দাবি প্রত্যাখ্যান করছি।

 

আমাদের উম্মাহ হিসাবে অগ্রগতির জন্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, উস্তাদ মাওদুদি, ইয়াসির কাদির মতো মেধাবি গবেষক দরকার যারা প্রচুর কাজের জিনিস আবিস্কার করবেন, আবার প্রচুর রক্ষণশীল উলামা দরকার যারা তাদের ভুলগুলো চিহ্নিত করবেন। এভাবে ইসলামের বিশুদ্ধতা রক্ষা পাবে।

 

আমি সিমপ্লিসিটির জন্য কেবল প্রগতি এবং বিশুদ্ধতার মাত্রা আলাপ করলাম। তবে রাজনৈতিক কৌশল, বিপ্লব, সংস্কার প্রভৃতি মাত্রার ক্ষেত্রেও এই আলাপ প্রযোজ্য। যেমন উম্মাহ রাজনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে কুফফারদের থেকে পিছিয়ে আছে। এখন ওয়াজ করে পরাজিত মানস ঠেকানো যাবেনা। তাছাড়া পরাজিত হওয়ার পর বিজয়ের ভাণ ধরা বা বিজয়ীর মতো ঘাওরামি করা উম্মাহর অস্তিত্ব ধ্বংস করতে পারে। আবার কিছু মানুষ স্টাটাস ক্যু না ভাঙলেতো পৃথিবী কখনো প্রগতির পথে যাবেনা। ইসলামের পুনর্জাগরণ সম্ভব হবেনা।

 

আমার দৃঢ় বিশ্বাস এধরনের ডাইলেক্টিক্যাল প্রসেস এবং ম্যাথোডলজিই উম্মাহর আগামী পথ চলার ব্লু-প্রিন্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Monir Ahmed Monir - ইয়াসির কাদীর বিশেষ বিশেষত্ব বা অবদান টা কী ?

 

Meer Salman - আপনি তার সিরাহ সিরিজ, সাহাবা সিরিজ শুনুন। আপনি বুঝতে পারবেন তিনি পশ্চিমাদের কাছে দায়বদ্ধ থেকেও ওরিয়েন্টালিস্ট আর্গুমেন্টগুলোকে কত সুন্দরভাবে রিবাটল করেছেন।

এমনকি তাঁর ইভ্যুলিউশন নিয়ে আলাপটাও ১০০ ভাগ ছিদ্রমুক্ত না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলাপ বলে মনে করি।

 

Shah Md Ibrahim Quadir Shofol - Meer Salman আপনার বেশি পছন্দের উনার বক্তব্যের লিঙ্ক থাকলে দেন। কয়েকটা বিষয়ে শুরুতেই মজা পাই নাই দেখে আর ফলো করি নাই। আবার ইদানিং ব্যস্ততাও বেশি।

 

Meer Salman - ১) আপনার রুচি ভিন্ন হতে পারে

২) অগনিত লেকচারে অত্যন্ত উপকারী আলোচনা আছে। পাশাপাশি ভুলভাল কথাও আছে।

 

Kamrul Hossan - ওগুলা ছেঁকে নেয়াটাও বেশ ঝক্কির। সবাই পারেনা। দুধের সাথে মুতও খাইয়ালায়!!

জানাশুনাদের গাইডেন্স এভেইলেবল থাকলে ভাল হতো নতুনদের/আনএক্সপার্টদের জন্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইব্রাহীম ইবনে আ'লী  - নজদী রহঃ সম্পর্কে উনি (ইয়াসির কাদী) যা বলেছেন সেখানে, সেটা কি সত্য?

 

Meer Salman - পুরোটা একমত না।

 

ইব্রাহীম ইবনে আ'লী - কোন জায়গায় শোধরানো দরকার?

 

Meer Salman - আমি মনে করিনা তিনি সবাইকে তাকফির করতেন। তবে এব্যাপারে একমত যে তিনি চরমপন্থায় আক্রান্ত ছিলেন। তাছাড়া ডাচ, ব্রিটিশদের ছেড়ে অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ভালো আইডিয়া ছিলোনা।

 

ইব্রাহীম ইবনে আ'লী - আরেকটা কথা, দায়েশের চেইন থাকফিরি তত্ত্বটা কি নজদী রহঃ থেকে নেয়া?

 

Meer Salman - আমি যতটা পড়েছি তা অসত্য মনে হয়েছে। কারণ উসুলগতভাবে চেইন তাকফির ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে ইজমা আছে। কিন্তু প্রয়োগে চেইন তাকফির শর্ত শরায়েত ছাড়া খুরুজ। বিষয়টি জটিল। কিন্তু শাইখ ইবনে ওহাবের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রয়োজনকে অপব্যাখ্যা করে তাকে চেইন তাকফিরি বলা এক জঘন্য কাজ।

 

Md Abdullah Al Noman  - Nozdi to potvrosto

 

Meer Salman  - Md Abdullah Al Noman, I do acknowledge that he made big mistakes but don’t consider him as davient.

 

 

 

Ammar Mohammad - you've seen the last episode of The End Of Times? there he provides an example of how scholars have been actually re-interpreting certain verses in light of new historical events associated with the birth of Israel ,interpretations that are are completely contrary to the interpretations almost every classical scholars gave.

 

Meer Salman - Ammar Mohammad, yeah I have seen. I also acknowledge sometimes it might be allowed to reinterpret certain issues. But under many conditions. Usul of tafsir, fiqh and Hadith explains those conditions. But he is leaning slowly but certainly to mild progressive Islam.

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইয়াসির কাদির অন্যতম বিতর্কিত একটি আলাপ। কিন্তু তার আশয়ারি, মাতুরিদি, আছারি সংক্রান্ত আলাপ ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে অন্তত গত ১০ বছর ধরে এটাই আমার মত। এসংক্রান্ত আলাপের সার হচ্ছে,

 

আশয়ারি, মাতুরিদি, আসারি আকিদা কোনো অকাট্য ঐশি আকিদা নয় বরং এগুলো হচ্ছে সাহাবাদের অস্পষ্ট বক্তব্যকে পরবর্তীকালীন আলিমদের নিজেদের বুঝ অনুযায়ী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের ফল। ফলে আকিদার নামে এসব ডিপ ফিলোসোফিক্যাল আলাপের উপর জান্নাত জাহান্নাম নির্ভরশীল না৷ বরং ইমানের মৌলিক ছয়টি বিষয়ে ইমান রাখা, সাহাবাদের ন্যায়পরায়ণতায় আস্থা রাখা, ইখলাস, তাকওয়া এবং তাযকিয়ার উপর জান্নাত জাহান্নাম নির্ভরশীল। তার মানে এটা না যে, উলামাদের প্রত্যাখ্যান করে কুরআন, হাদিস থেকে প্রত্যেক টম ডিক অ্যান্ড হ্যারি আকিদা এবং ফেকাহ শিখবে। তবে সমস্যা হয় তখন যখন নিজের উস্তাদ এবং মাশায়েখদের শেখানো আকিদাকে কুরআন আর সুন্নাহর সুস্পষ্ট বিষয়াবলির মতো অকাট্য হক বলে মনে করা হয় এবং তার ভিত্তিতে অন্যদের যথেচ্ছা তাবদি করা।

 

Moral of the story explanations of creed given by Ashari, Athari, Maturidi schools of thought are not clearcut devine revelation rather human construct developed by later century scholars.

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Catalonia protests: Masked demonstrators clash with police

 

কুর্দিস্তানের জন্য কাঁদা শেষ হলে এবার কাঁদার নতুন ইস্যু।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আমাদের ফেবু জেহাদিদের পছন্দ করিনা তার প্রধান একটা কারণ তাদের বলদামি মার্কা কথাবার্তা। তারা রাজনীতি রাজনৈতিক নিয়মে না বরং নীতি শাস্ত্রের নিয়মে এবং আকিদা ও ফেকাহর কিতাব পড়ে তার আক্ষরিক বাস্তবায়নে উতলা হয়। দায়েশ নয় এমন ফেবু জেহাদিদেরও ধারণা এরদোয়ান এর চেয়ে দায়েশ ভালো। হাহাহা। অথচ সিরিয়ান রেভ্যুলুশন যেটুকু সফল হয়েছে এবং প্রতিরোধ গড়েছে তা এরদোয়ান ছাড়া কখনো সম্ভব ছিলোনা। অন্যদিকে যদি একটা গ্রুপ এই বিপ্লব ব্যার্থ হওয়ার জন্য দায়ী হয় তা হচ্ছে দায়েশ।

 

তবে এটাও সত্য এরদোয়ান এর আচরণ কেবল ইসলামের প্রতি দুর্বল কমিটমেন্টই প্রমাণ করেনা বরং রাজনৈতিক দুরদর্শিতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত লোয়ার মিডিওকার হিসাবে তাকে প্রমাণ করে। আল আহকামুস সুলতানিয়্যা বিষয়ে আমার অন্যতম পির ও মুর্শিদ আল্লামা ম্যাকিয়াভেলি বলেন, রাজনীতিতে ঝুঁকি নিতেই হবে। ঝুঁকি না নেওয়া বড় ঝুঁকির কারণ। খারেজি দায়েশের কুকুররা যখন বেশ বাড় বেড়েছিলো তখন আমেরিকা তুরস্ককে বলেছিলো দায়েশ দমন অভিযানে সিরিয়ায় অভিযান চালাতে। কিন্তু তখন তুরস্ক রাজি হয়নি। অথচ তখন তাদের উচিৎ ছিলো সেই সুযোগে শামে ঢোকা এবং মার্কিন সমর্থনে একই সাথে দায়েশ ও বাশারকে পরাজিত করা। কিন্তু তা না করে তারা ধানাই পানাই করে। দাভুতগ্লু তখন বলে আমরা আমেরিকার মার্সেনারি না। আমরা ঢুকবো না আবার খেলাও ছাড়বোনা। সত্য হচ্ছে তুরস্ক শুরুতে দায়েশের বিরুদ্ধে যথেষ্ট শক্ত ছিলোনা। এই যে তাই তাই খেলা সেটাই এখন গলায় আটকে গিয়েছে। আধ খিচরা খেলা খুব খারাপ। ইরান কিন্তু বেশ গুছিয়ে খেলেছে সব জায়গায়।

 

 

Redwan Kabir Shuvro - এখন এটা বলে তুর্কিদের ব্লেইম দেওয়া হচ্ছে। অথচ তুরস্কের নিরব দর্শকের ভূমিকা নেবার কারণ হলো দায়েশ YPG কে সিরিয়া থেকে উৎখাত করছিল। তুরস্ক বুঝেছিল, দায়েশ বাড়লে আমেরিকা নিজ খরচে যুদ্ধ করবে। কিন্তু YPG বাড়লে তাতে খোদ আমেরিকায় বাগড়া দেবে।

এজন্য তুরস্ক দর্শকের ভুমিকায় ছিল। যেটি এখন প্রমাণ পেয়েছে।

 

Meer Salman  - Redwan Kabir Shuvro, সমস্যা হচ্ছে এটাই এরদোয়ান এর উম্মাহ চেতনার পরিবর্তে চূড়ান্ত স্বার্থপর তুর্কি জাতীয়তাবাদী চিন্তার প্রমান।

তার নজর কেবল দায়েশ ও YPG এর উপর আটকে গিয়েছিলো। কিন্তু সিরিয়ান মুসলমানদের বাশারের কাছ থেকে দ্রুত মুক্ত করার দায় সে ভুলে গিয়েছিলো। শরণার্থী সমস্যা এবং আমেরিকান আহ্বান মিলিয়ে তুরস্কের জন্য ইরানের মতো সিরিয়ায় ঢোকার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু সে কেবল শ্যালো টার্কি স্বার্থ দেখতে গিয়ে সিরিয়ান মুসলমানদের কসাই বাশারের হাত থেকে বাঁচানোর সুযোগ হাতছাড়া করে।

 

Mahmudul Hasan  - Redwan Kabir Shuvro, #TTP সহ অন্য মুজাহিদিন দের নিয়োন্ত্রিত অঞ্চল এ হামলা করে সেগুলা কাফেরদেরকে দেওয়া

শরীয়ার জন্য জিহাদরত দলের মুজাহিদিনদেরকে শহীদ করা

এগুলাকে কিভাবে দেখা উচিৎ

 

Redwan Kabir Shuvro - আমি এসব কোন দলের সদস্য নই। আর তাদের আইডিওলজির সাথেও একমত না।

 

 

Mahmudul Hasan - দায়েশ এর সদস্য দেরকে

#অজ্ঞতার ওজর

#মন থেকে মুসলিম হত্যাকে যায়েজ মনে করে কিনা ( অজ্ঞতাবসত ভূলের কারনেও অনেক মুমিন কে দায়েশ মারে)

নাকি সব ওজর শুধু ক্ষমতাবানদের জন্য

 

Meer Salman - Mahmudul Hasan, রাজনীতিতে ওযর কোনো ইস্যু না। ইস্যু কাজের ফলাফল।

 

Mahmudul Hasan - Meer Salman, তাহলে আপনাদের উচিৎ

নরমালি দাওলা বলা

খারেজী দাওলা বলা না

 

Mahmudul Hasan - Meer Salman, কাজের ফলাফল

বাশার আসাদের পুনঃজাগরনের জন্য খলিফা কাকার #ইনসারলিংক ঘাটি উপহার দেওয়া

হক্কপন্থি জিহাদি দলগুলার উপর বোম্বাস্টিং করা

 

Meer Salman - Mahmudul Hasan, এগুলো কোনোটাই অস্বীকার করছিনা। তবে এগুলো অনেক কিছু তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। এবং শেষ পর্যন্ত আজতক সে তার ক্ষমতা ধরে রেখেছে।

 

এরদোয়ান এর তাবৎ কুকর্ম সত্ত্বেও কথা হচ্ছে সিরিয়ান রেভ্যুলেশনে সকল আসাদবিরোধী ফোর্সের শক্তির সাপ্লাই বৈধ বা অবৈধভাবে তুরস্ক হয়েই শামে ঢুকেছে। এরদোয়ান ছাড়া সিরিয়ান রিবেল প্রতিরোধ অকল্পনীয় ছিলো। হ্যাঁ সে কাজটা অন্তত বাহ্যত তুর্কি স্বার্থে করেছে। উম্মাহর সদস্য হিসাবে ফাংশন করতে ব্যার্থ হয়েছে। অনেক দায় তার আছে। তবে দায়েশ শুধু ক্ষতিই করেছে কিন্তু সে অনেক উপকারও করেছে।

 

Meer Salman - Mahmudul Hasan, অবশ্যই খারেজি দাওলা বলবো। কারণ তাদের আকিদা।

 

Meer Salman - যেমন ইরান রাফেজি।

 

Mahmudul Hasan - Meer Salman,

ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য

কাফেরদেরকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করা মুজাহিদিনদের বিপক্ষে। যায়েজ 🍌🍌🍌🍌

হাজারো মুজাহিদিন সহ নিরিহ মুমিন হত্যার জন্য মুনাফিক গাদ্দার তাগুত দায়ী।

এরগোদান তো আকিদায় পিউর সেকুলারিষ্ট & নন খেলাফতি + জনগনের ক্ষমতায় বিশ্বাসী

 

Meer Salman - Mahmudul Hasan, এখানে জায়েজ নাজায়েজের প্যাচাল প্রচন্ড বিরক্তিকর। কারণ কেউ জায়েজ বলেনি।

এরদোয়ান সেক্যুলার। তো?

রাজনীতিতে প্রথমে দেখি রাজনৈতিক স্বার্থ, ইসলামের রাজনৈতিক স্বার্থ কারও ব্যাক্তিগত আকিদা না।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এর আসসিয়াসাতিশ শারিয়্যাহর অনুবাদটা পড়েন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১)

 

যারা সারাদিন অমক তমককে আমেরিকা ইজরায়েলের এজেন্ট বলে গালাগালি করে আর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কপচায় তারাই কেন জানি আমেরিকা ইজরায়েলের ইচ্ছা ছাড়া কোনো মানবাধিকার নিয়েই অশ্রু ফেলেনা। কুর্দি তুরস্ক সংঘাত নিয়ে প্যাচাল এড়িয়ে গিয়ে বলা যায় সমস্যাটা ১০০ বছরের পুরাতন। সমস্যার স্রস্টা ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি। তাদের উপর সবচেয়ে নৃশংস নিপীড়ন চালায় কামাল পাশা। অতঃপর সাদ্দাম। দুজনেই কড়া সেক্যুলার ছিলো। কিন্তু কামালের নিন্দাবাদ আজও খুব শোনা যাচ্ছেনা। সাদ্দামের নিন্দা শুরু হয় ২০০৩ এর পরে। কুর্দিদের প্রতি বিশেষত তুর্কি কুর্দিদের প্রতি সবচেয়ে দয়ালু তুর্কি শাসক সম্ভবত এরদোয়ান। পিকেকের সাথে চুক্তি করে তাদের মূলধারায় সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি প্রচুর পদক্ষেপ নেন। সিরিয়ায় গণজাগরণের পরে দায়েশের অভ্যুত্থান হলে আমেরিকা এবং পাশ্চাত্যের প্রলোভনে পড়ে পিকেকে পিওয়াইডি পু*** মারা দেওয়ার বায়না দিয়েছে। তাই তাদের রক্তের জন্য কোনো দরদ বোধ করছিনা। হ্যাঁ এসব ছ্যাচ্চর টেররিস্ট গ্রুপের বাইরে কুর্দি জনগণের দুর্দশার জন্য আমি গভীর দুঃখ বোধ করছি। তবে হিজরা বুদ্ধিজীবী কুল যারা যাকে তাকে আমেরিকা ইজরায়েলের দালাল বলে কিন্তু কুর্দিদের প্রতি মানবতা মারায় মাত্র গত পাঁচ সাত বছর ধরে তাদেরও পু*** মারার ব্যবস্থা করা গেলে বাড়তি বিনোদন হতো। কারণ তারা কুর্দি অধিকার নিয়ে কেবল তখন সচেতন হয়েছে যখন পাশ্চাত্যের দরকার হয়েছে। কিন্তু তারাই এখনো আইরিশ সংকট, স্পেন সংকট নিয়ে এখনো ততো উদ্বিগ্ন না। ফিলিস্তিন মোটামুটি লস্ট কেস। তালিকা অনেক বড়। তবে এই শালারা অতি ধুরন্ধর ও টাউট। যেদিকে বৃষ্টি হয় সেদিকে ছাতা ধরে ফলে শালাদের টাইট দেওয়া মুশকিল।

 

২) এরদোয়ান একটা বিশিষ্ট নাটকবাজ মানুষ। এতো কাহিনী না মাড়ায়ে ন্যাটোর বেজ বন্ধ করে দিক আর শরনার্থী ইউরোপে ছেড়ে দিক। ব্যাপক কিসসা কাহিনী শুরু হয়ে যাবে। এই দেনদরবার অবশ্য তুরস্ক অনেক আগেই করতে পারতো। কিন্তু ইইউয়ের সাথে পিরিত করে তখন তুরস্কের পরিবর্তে ইউরোপের স্বার্থ রক্ষা করেছে এমন এক প্রতারণাপূর্ণ চুক্তি সেকালে এরদোয়ান সাইন করে আজকের মারা খাওয়ার পথ তৈরি করেছিলো।

 

৩)

 

তুরস্ক কুর্দি সংকট নিয়ে ফেসবুকিং করার চেয়ে স্ত্রী সঙ্গম, মুরগী চাষ অথবা পেপে গাছ লাগানো অধিক লাভজনক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলিম এবং শাইখের ছাত্র আল্লামা তাকি উসমানি (হাফি) এর শোকবার্তার উপর নির্ভর করে লেখা শাইখের জীবনী পড়ে দেখতে পারেন।

 

লিংকঃ

attahawi.com

A Biography of Shaykh ‘Abd al-Fattah Abu Ghuddah by Mufti Muhammad Taqi Usmani

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মদিনায় রাষ্ট্র প্রথম দিনেই মদিনা রাষ্ট্র হয়নি। যখন বদরের জিহাদ হয় তখন মাত্র ৩১৩ জন জিহাদে অংশ গ্রহণ করেছে। বাকিরা লড়াই করতে ভয়ে পেয়েছে। উহুদের দিন তীরন্দাজদের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছিলেন এই পজিশন ছাড়বেনা। কিন্তু যখন তারা লুটপাটের সুযোগ পেল তখন সেই জায়গা ছেড়ে তারা চলে গেলো। তারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর কথা শোনেনি।

 

আমিরুল মুমিনিন ইমরান খান (হাফি)

 

কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আমি করলে দোষ। ইমরান খান ভালো কিন্তু উস্তাদ মাওদুদি (রহ) খারাপ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ -১

 

শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ) ছিলেন একজন মহান সিরিয়ান মুসলমান। জন্ম ১৯১৭ সালে। মৃত্যু ১৯৯৭ সালে সৌদি আরবে। তিনি একই সাথে একজন হানাফি দেওবন্দি আলিম এবং ইখওয়ানি রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সিরিয়ান শাখার তৃতীয় প্রধান। তিনি হাসান আল বান্নার সাথে দেখা হলে তার দাওয়াতে ইখওয়ানে যোগ দেন। তার উস্তাদদের মাঝে ছিলেন উসমানি সাম্রাজ্যের কাজি আল্লামা জাহিদ কাউসারি (রহ), মুফতি শফি (রহ), আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরি (রহ) এবং ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের মুফতি তাকি উসমানি এবং বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফি)। তার নেতৃত্বে ইখওয়ান সিরিয়ান ডিকটেটর হাফিজ আসাদের বিরুদ্ধে আল ইখওয়ান বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহ ব্যার্থ হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে ইলমি কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ) -২

 

শাইখ (রহ) ছিলেন তাওয়াসসুব মুক্ত মানুষ। তিনি সকল মত পথের সাথে ছিলেন পরিচিত। তিনি ইলমিভাবেও সমন্বয়পন্থী ছিলেন এবং ভিন্নমত নিরসনে কাজ করেন। আমার মতে তার এই গুন অর্জনের কারণ ছিলো দুইটি।

 

১) প্রচুর সফর

২) ভিন্ন ভিন্ন মতের অগণিত উস্তাদ

 

১) যাদের সফর বেশি তাদের তাওয়াসসুব কমে যায়। কারণ তারা জগতের প্রশস্তা বুঝতে পারেন। তাদের ইলমের পরিধি বাড়ে। তারা জগতের বাস্তবতা এবং প্রয়োজন উপলব্ধি করেন। চিন্তার কূপমন্ডুকতা দূর হয়। শাইখ (রহ) বলতে গেলে মুসলিম বিশ্বের সকল ইলমি মারকাযগুলো সফর করেছেন। তাঁর বাড়ি ছিলো সিরিয়া। ফলে দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো ঘরের মতো। তিনি ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়ামেন, মিশর, মরক্কো, লেবানন, সৌদি আরবসহ অনেক দেশ, শহর, নগর বন্দর সফর করেন।

 

২) শাইখের উস্তাদের সংখ্যা ছিলো আক্ষরিক অর্থে অগণিত। তার বিশিষ্ট উস্তাদের সংখ্যা অন্তত ১৭৯ জন। তাদের মাঝে বিচিত্র চিন্তার মানুষ ছিলো। তিনি তাদের সকলের কাছ থেকে ফায়দা হাসিল করেন। এক্ষেত্রে তিনি তাঁর উস্তাদদের অন্ধ অনুসরণ এবং তাওয়াসসুবমুক্ত ছিলেন। উদাহরণসরূপ মিশরে তিনি আল্লামা জাহিদ কাওসারি এবং শাইখ আহমদ শাকির (রহ) এর কাছে ইলম অর্জন করেন। অথচ উল্লেখিত শাইখদ্বয়ের চিন্তার পার্থক্য ছিলো অন্তহীন। শাইখের উস্তাদের তালিকায় ছিলেন আবুল হাসান আলী নদভী রহ, মুফতি শফি (রহ), আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরি (রহ)। শাইখ বিভিন্ন সময় বিপুল পরিমান উস্তাদের কাছে ইলম অর্জন ছাড়াও অগনিত আহলে ইলমের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। যেমন শাইখ আলবানি, শাইখ ইউসুফ আল কারদাওয়ী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ) - ৩

 

শাইখ জাহিদ আল কাউসারি (রহ) ছিলেন অটোমান খেলাফতের শেষের দিকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাজ্ঞ সরকারি আলিম। ঐতিহ্যগত অটোমান হানাফি সুফি ধারার আলিম ছিলেন তিনি। খেলাফতের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাকে উম্মাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করতেন। ফলে খেলাফতের বিরোধিতাকারীদের তীব্রভাবে ঘৃনা করতেন। আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে ইয়াং টার্কের সেক্যুলার আইনে বিচার আচারের প্রস্তাবনাকে কুফর মনে করতেন। ফলে ইউনিয়ন এবং প্রোগ্রেসের কামালপন্থী নেতাদের কার্যক্রমকে কুফুরি মনে করতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তীকালে নজদি দাওয়াতের তৎকালীন রাজনৈতিক নেতা আব্দুল আযিয বিন সাউদ ব্রিটিশদের যোগসাজশে খেলাফতবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ফলে শাইখ জাহিদ আল কাউসারি আব্দুল আযিয বিন সাউদের তাহরিকের বিরুদ্ধে ঘৃনা পোষণ করতেন। এই ঘৃনা তার নজদি চিন্তার প্রতিও সম্প্রসারিত হয়। আর নজদি চিন্তাধারার সূচনা বিন্দু যেহেতু শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ) তাই তাকেও অপছন্দ করতেন। আর শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ) এর চিন্তার ভিত্তি শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এর রচনাবলি তাই তিনি শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) কেও ঘৃনা করতেন এবং তার চিন্তাকে প্রচন্ডভাবে খন্ডন করতে প্রয়াস চালান। শাইখ জাহিদ আল কাউসারি খেলাফতের পক্ষে এবং সেক্যুলারদের বিরুদ্ধে হওয়ায় খেলাফত ধ্বংসের পরে খলিফা এবং অগণিত উলামায়ে কেরামের সাথে তুরস্ক থেকে নির্বাসিত হন। তিনি তার পরবর্তী জীবনে দীর্ঘদিন মিশরে অতিবাহিত করেন। সেসময় তিনি ইলমি গবেষণা, কিতাবাদি রচনা এবং দরসের আমল অব্যাহত রাখেন। মিশরে তাঁর ছাত্রদের মাঝে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ একজন ছাত্র শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ)।

 

বহুকাল পরে সিরিয়ায় হাফিজ আল আসাদের বিরুদ্ধে ইখওয়ানের বিপ্লব ব্যার্থ হলে ইখওয়ানের সিরিয়ান শাখার প্রধান শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ) রাজনীতি ছেড়ে সৌদি আরবে নির্বাসনে যান। সেসময় তিনি শাইখ জাহিদ আল কাউসারি (রহ) এর ছাত্র হওয়ায় সৌদি আরবের নজদি ধারার আলিমরা অনেকেই তার ইলম এবং কামালিয়াতের প্রতি সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ (রহ) ছিলেন অত্যন্ত মুতাদিল। তাঁর প্রিয় শাইখের তাওয়াসসুব বা প্রান্তিকতা তাকে স্পর্শ করেনি। শাইখ জাহিদ আল কাউসারি ছিলেন অত্যন্ত উঁচু মাপের একজন আলিম। তার ইলমি যোগ্যতাকে তিনি স্বীকৃতি দিতেন। কিন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এর ব্যাপারে তাঁর প্রান্তিক চিন্তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে অবশ্যই তিনি শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) এরও মুকাল্লিদ ছিলেননা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রহ) - ৪

 

তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের সন্তান। পারিবারিক দাবি অনুযায়ী খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর। তার স্ত্রীও ছিলেন কুরাইশ এবং হাশেমি। তিনি ১৯৫১ সালে একজন হাশেমি নারীকে বিয়ে করেন। সেই নারীর নাম ছিলো ফাতিমা। ফাতিমা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক একজন নারী। তিনি তার স্বামীর জীবনে প্রকৃত অর্ধাঙ্গিনী ছিলেন৷ সংসারের পাশাপাশি জীবন সংগ্রাম এবং লেখালেখিতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখেন। শাইখ তার দীর্ঘ একাডেমিক এবং রাজনৈতিক জীবনে যে বিচিত্র কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছেন তাতে এই মহীয়সী নারীর সহায়তা ছাড়া সাফল্য লাভ অত্যন্ত কঠিন হতো। অন্তত সাফল্যের পরিমান অবশ্যই হ্রাস পেতো। আমাদের দীনদার তরুণদের বিয়ের সময় শাইখের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া বিশেষ জরুরি যে একজন ভালো এবং সদগুন সম্পন্ন স্ত্রী মানুষের দুনিয়া এবং আখিরাতে অত্যন্ত দরকারি।

 

শাইখের সন্তান ছিলো এগারো জন। তাদের মাঝে ছিলো তিন পুত্র এবং আট কন্যা। শাইখ শিশুদের অত্যন্ত আদর করতেন এবং তাদের সাথে শিশুদের মতো খেলতেন।

 

শাইখ পোশাক পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পরিপাটি ছিলেন। খাওয়া দাওয়ায় ভোজন রসিক ছিলেন।

 

শাইখ ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী। তার কথাবার্তা ছিলো সাধারণত অত্যন্ত কোমল। চেহারায় ছিলো নুরের ঝলক। কথা বলার সময় সেই নুর তার কথাতেও ঝড়ে পড়তো। তিনি তার লেখালেখিতে তার উস্তাদদের উক্তি এবং ঘটনাবলি প্রায়ই উল্লেখ করতেন। তিনি অন্ধ আকাবির পূজা থেকে পূর্নভাবে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও উস্তাদদের প্রচন্ড শ্রদ্ধা করতেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্নঃ স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কি মোবাইলে ভিডিও করা যাবে?

 

উত্তরঃ না। কারণ

 

১) অসতর্কতাবশত অন্য কারও হাতে যেতে পারে।

২) তাকদিরের ফায়সালার কারণে বিচ্ছেদ হলে পরস্পরকে দেখা হারাম হয়ে যায়৷ তখন শয়তান ওয়াস ওয়াসা দিতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি চরমোনাই পির এবং তার তাহরিক ফেসবুকের লেখা পড়ে পছন্দ করিনা। তাদের ভালোবাসি ফেসবুকের জন্মের অনেক আগে থেকে। তখন থেকে যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সকল ইসলামি দল বিএনপির সাথে জোট করে। হ্যাঁ তখনও তারা জোটে যায়নি। অনেকেই বিশেষত জামাতপন্থীরা বলাবলি করছিলো তারা আওয়ামী লীগের দালাল। কওমি মাদ্রাসার অনেকেই তাকে বাঁকা চোখে দেখতো। তখন শাইখুল হাদিস (রহ) জেলে। তার এক ছাত্রের (যিনি নিজে ভালো আলেম ছিলেন এবং মজলিস করতেন। পাশাপাশি জামাতের প্রতিও কোমল ছিলেন) সাথে আলাপ হলো। হুজুর বললেন চরমোনাই পির হযরত মাওলানা ফজলুল করিম সাহেব বুযুর্গ মানুষ। রাজনীতি বোঝেননা। তাকওয়া এবং পরহেজগারি এখতিয়ার করেন। যারা তাকে দালাল বলে তারা না জেনেই কথা বলে নয়তো মিথ্যা কথা বলে। তিনি শাইখ (রহ)কে আবু যর আল গেফারি (রা) এর সাথে তুলনা করেন। পাশাপাশি জোট করার পক্ষে মুসলমানদের নিরাপত্তার মাসলাহাত তুলে ধরেন। তার কিছুদিন পরে আমি মাওলানা ফজলুল করিম (রহ) এর পবিত্র মুখে কিছু দরকারি কথা শুনেছিলাম। আল্লাহ পাক তাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। শাইখুল হাদিস (রহ) তার মাত্র কয়েক বছর পরে আওয়ামী লীগের সাথে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডাস্ট্যান্ডিং সাইন করেন। মেমোরেন্ডামের ধারাগুলো ভালো ছিলো। কিন্তু কখনো বাস্তবায়ন হওয়ার কোনো কারণ ছিলোনা। বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে নিয়ে তার ছাত্ররা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা খেলাধূলা শুরু করে।

 

আমি কখনো প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য কোন রাজনৈতিক দলে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু একজন ভালো পাঠক হিসাবে অনেক কিছুর মতো রাজনীতি নিয়ে আমার পাঠ আছে। আমি জীবনে যত বই পুস্তক পড়েছি আমাদের দেশে খুব কম মানুষের তত বইয়ের নাম পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে। ফলে যে কারও ধর্মীয়, দার্শনিক, সমাজতাত্বিক রাজনৈতিক বিচার আমি করতে পারি। কিন্তু আল্লাহ জানেন শাইখুল হাদিস (রহ) এর সেই ছাত্রের মুখে মাওলানা ফজলুল করিম (রহ) এর প্রতি আমার ভালোবাসা কখনো কমেনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে

কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।

 

আমাদের এক বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা কথায় বিশ্বাসী কাজে না। কে নিন্দা জানালো? কে প্রশংসা করলো? কে কত সুন্দর ভাষন দিলো? কি কি বিবৃতি দিলো এগুলোই দিনশেষে বড় হিসাব কাজ না।

 

ইমরান খান নিয়ে অনেককে অনেক উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখেছি। তারা কথাতেই খুশি। কারণ কথাই কেউ বলে না। এখন তারাই চরমোনাই পিরদের কথায় সন্তুষ্ট না। কাজ দেখতে চায়।

 

আমি জানি তাদের বা কারও রাজনীতিতে বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে বেশি কিছু একটা কাজই করার আছে। কৌশলে দল ভারী করা। চরমোনাই পির সুনিশ্চিতভাবে এই কাজে সফল।

 

আমি বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের চেয়ে তালিম, তাযকিয়া এবং দাওয়াতি কাজে সর্বদাই অধিক আগ্রহী। শাহ জালাল (রহ) এর রাজনৈতিক আধিপত্য গিয়েছে বহু আগে। কিন্তু তার আধ্যাত্মিক আধিপত্য আজও টিকে আছে। আল হামদুলিল্লাহ আজও রাজনৈতিক নেতারা তার আধ্যাত্মিকতার রাজনৈতিক গুরুত্ব অস্বীকার করেননা।

 

মানুষ আদমের সন্তান। আদম (আ) ভুল করেছিলেন। তার সন্তানরাও ভুল করে। আল্লাহ পাক ভুল করা মুমিনদেরও ইনশাআল্লাহ সম্মানিত করবেন। চরমোনাইপন্থীরা ফেরেশতা না। তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন অন্যদের আছে। তবে নিঃসন্দেহে তাযকিয়া, তালিম এবং দাওয়াতের ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান তারা রাখছেন। রাজনীতিতে তারা যা করছেন তা হচ্ছে বোনাস।

 

আজ ধরে নেই চরমোনাইপন্থীরা সরকার এবং আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে, আপোষ করে টিকে আছে। সমস্যা কি? আপনি চান তারা আঁতাত না করে অন্যদের মতো চাপে পড়ুক? তাতে কার লাভ হবে? এমনকি উপস্থিত দুইদিন পত্রিকা এবং ফেসবুক গরম করা ব্যাতিত খোদ বিএনপিরও কি বাড়তি কোনো লাভ হবে?

 

আপনাদের এসব স্থুল অভিযোগ এবং উসকানিমূলক কথাবার্তার কারণ কি? হুজুগে নির্বুদ্ধিতা এবং অপরিনামদর্শীতা নাকি হিংসা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Mohammed Nahid Uddin - গতকাল অনেক খুজলাম আপ্নারে কই ছিলেন Meer Salman vai ?

 

Meer Salman - Mohammed Nahid Uddin, আপনাদের সাথে টাইম পাসের জন্য এসেছিলাম। তবে বদ নেশা হয়ে গিয়েছে। তাই সময় বেশি নষ্ট হচ্ছে। চিন্তা করেছি এখন থেকে আপনাদের পরিবর্তে আপনাদের ভাবির সাথে টাইমপাস করবো। এসব আজাইরা লেখালেখি আর মজা পাচ্ছিনা।

 

Hasan Mirza - Meer Salman, আসল নামে আপনি লেখেন, নিজের চিন্তাকে বইয়ের পাতায় ছড়িয়ে দেন। ফেসবুকে অল্প সময়ের জন্য চিন্তার প্রচার করা যায়। দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে আসল নামে এসে বই লেখেন।

 

Meer Salman - Hasan Mirza, কি মুশকিল। আমার চিন্তা প্রচারের কোন ইচ্ছা আমার কখনো ছিলোনা। জাস্ট টাইম পাস।

 

Hasan Mirza - Meer Salman, টাইম পাস হইলেও আপনার লেখা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। খালি গালাগালিটা পছন্দ না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য চায় তারা মুসলমানদের মেরে ফেলতে চায়। কারণ মুসলমানরা কেবল কবরস্থানেই ঐক্যবদ্ধ। সেখানে কেউ কারও সাথে ঝগড়া করেনা। অত্যন্ত মিলেমিশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, আহলে হাদিস, চরমোনাই, বেরেলভি, দেওবন্দি সহাবস্থান করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাই ছাত্রলীগ নিয়ে বলার কিছু নাই। তারা ফেরেশতা।

 

কিন্তু যে জিনিসটা আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই বুঝতামনা সেটা হচ্ছে কেন হলে থাকতেই হবে? হলে থাকার সুবিধা আছে। কিন্তু তা দাসত্বের সমস্যা থেকে বড় না। ছাত্রদলও কিছু সমস্যা করতো কিন্তু তার স্কেল এতো বড় ছিলোনা। কিন্তু দাসত্ব ছিলো।

 

প্রশ্ন হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলোতে যদি দাসত্বের তালিম নিতে হয় তবে স্বাধীনতার সুখ কবে পাবেন? হলে থাকার চেয়ে টিনশেড ঝুপড়িতে থাকাও শান্তির। যাদের মেরুদণ্ড এই তারুণ্যেই ভাঙা বুড়ো বয়সে তারা সন্ত্রাসীদের গোলামি করে টিকে থাকা ছাড়া আর কি করবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হলে থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রায় অসম্ভব। হ্যাঁ আগে এভাবে মারা অকল্পনীয় ছিলো। কিন্তু দাসত্ব আগেও ছিলো। হলেও না থেকেও সেই ম্যাচিউরিটি এচিভ করা সম্ভব। তার অনেক বিকল্প আছে। তবে কথা হচ্ছে আগের কথা না হয় বাদই দিলাম। এখন হলে থাকার দরকার কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা। পোস্টটা পড়ে চোখে পানি এসে গেলো। সাধারণত আমি খুব বেশি ফাজলামো করি। যখন গালাগালি করি তখনও সিরিয়াসলি না বরং ক্যাজুয়ালি করি। ভাই অসুস্থ জানতাম। তবে ভেবেছিলাম সেড়ে উঠেছেন। তাই কখনো কখনো কিছুটা ক্রুড দুষ্টুমি ভাইটার সাথেও করেছি। কিন্তু আজ পড়ে বুকের ভেতর কেমন মোচড় দিয়ে উঠছে।

 

আমরা দুনিয়াতে কেউ থাকতে আসিনি। চলে যাবো। তবু কিছু মুহুর্ত আমরা বেশি থাকতে চাই। এজন্য আমরা সবাই সবাইকে সহায়তা করি। এই মুসলমান ভাইটা আরও কিছু বছর দুনিয়ার আলো ছায়া দেখার তৌফিক যেন আল্লাহ পাক দেন এজন্য যদি পারেন একটু সহায়তা করেন।

 

আমার কথায় সহায়তা করতে হবে না। পোস্টটা একবার পড়ুন। তারপর যদি পারেন ভাই একটু দেখেন।

 

(তাসনীম আহসান ভাইয়ের প্রতি)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হৈমন্তীর মৃত্যুর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দায়ী। অন্য কেউ না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অপু বিশ্বাসের সাথে বাপ্পির বিয়ে কি সত্যিই হবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মদিনা সনদ এতো পপুলার কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া ক্রাইম কিন্তু এড়ানো না। যাইহোক ভ্যাট ট্যাক্স এড়ানোর কিছু উপায় হলোঃ

 

১) গরু ছাগল হাট থেকে না কিনে বাড়ি থেকে কেনা।

 

২) কাপড় চোপর বড় বড় শোরুম থেকে না কিনে ফুটপাত থেকে কেনা বা কিনে পাড়ার দর্জি দিয়ে বানানো।

 

৩) নিজের পরিবারের বা গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের সাথে দীর্ঘ কথা বলার সময় এ্যাপ ব্যবহার করা।

 

৪) দামি রেস্টুরেন্টে খাওয়া এড়ানো।

 

৫) আসবাবপত্র লোকাল ভালো সৎ মিস্ত্রি দিয়ে বানানো। হাতিল, অটবি এড়িয়ে চলা।

 

৬) বিড়ি, সিগারেট, মদ না খাওয়া

 

৭) বিলাসী পন্য ব্যবহার যথাসাধ্য কমানো

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কিছু মানুষ আমাকে জমিয়তি বলছে। আবার জমিয়তি ছাগলটা আমাকে ব্লক মেরেছে।

 

কিয়েক্টাবস্থা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাকে ভারতের দালাল ভাবেন কে কে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানিনা লোকে আমাকে প্রায়ই মিস রিয়েলাইজ করে কেন? আমি গত কয়েকদিনে অন্তত ৭-৮ বার বলেছি ইমরানের সরকার পতনে আমার আগ্রহ নাই। তবে তাকে দুর্বল করা দরকার।

 

আজ একই কথা বলায় লোকে বলছে আমি পল্টি মারলাম।

 

কারণটা কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাকে বুঝতে হলে যেব্যাপারটা আপনাকে বুঝতে হবে সেটা হচ্ছে আমি কিন্তু মাওলানা ফজলুর রহমানের লক ডাউন সাপোর্ট করিনা। আমি মনে করি এখন এখান থেকে সম্মানজনকভাবে বের হওয়ার পথ খোঁজাই তাঁর প্রধান কাজ হওয়া উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেসব জামাতিরা ডিজেল মাওলানা বলে গালাগালি করছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন ডিজেলের গল্পটা কি?

 

ঠিকমতো ধরেন ৯৯.৯৯% জানেনা ডিজেলের গল্পটা কি?

 

এরাই তারা যারা বিএনপি জামাতের এজেন্ডার বাইরে গেলেই সেক্যুলারদের সুরে সুর মিলিয়ে অত্যন্ত নোংরাভাবে আল্লামা আহমদ শফি (হাফি) কে তেতুল হুজুর বলে গালি দেয়।

 

আমি জানি দেওবন্দিরা জামাতকে মিত্র ভাবেনা। কিন্তু তারা কথাটা সোজাসাপটা বলে দেয়। কোনো মুনাফেকি এই ইস্যুতে নেই। কিন্তু জামাত মুনাফেকির চূড়ান্ত করে ছাড়ে। একদিকে বলে আমরা দেওবন্দিদের শত্রু ভাবিনা। অন্যদিকে কোনো তথ্য প্রমান ছাড়া দেওবন্দিদের গালাগালি করার কোনো সুযোগ হাতছাড়া করেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি একটা ব্যাপারে খুবই অবাক। প্লিজ কেউ উত্তর দিবেন।

 

চরমোনাইপন্থী কিছু ছেলে বাংলাদেশের বলদা জমিয়তের উপর রাগ ফাকিস্তান জমিয়তের উপর ঝাড়ছে কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পাকিস্তানে এই মুহুর্তে যদি ১ নম্বর জনপ্রিয় নেতা ইমরান খান হয় তবে ২ নম্বর মাওলানা ফজলুর রহমান। সমস্ত মিডিয়া ফোকাস মাওলানার।

 

এটা দেখে জ্বলে। কার কার জ্বলে?

 

হাহহাহা

 

দুঃখ একটাই কিছু বলদ কওমি আছে বোঝেনা। তারা কদিন আগে ভাষণ শুনে প্রেমে পড়েছে। এখন না পারে আকাবির ছাড়তে আর না ছাড়তে পারে আনকনজুমেটেড প্রেম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসলমান বলে এক সময় শাহরুখ সালমানের সিনেমা হিট হওয়ার জন্য দুয়া করতাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি গর্বিত যে, আমার দোস্ত Sadid Malek

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভাইয়েরা আমার সাথে খেলে আপনাদের সুবিধা করা মুশকিল। কারণ আমি আপনাদের খেলার তরিকা জানি।

 

মাওলানা ফজলুর রহমানের দোষ আপনাদের চাইতে ভালো বলতে পারি। কিন্তু মনে রাখতে হবে খেলা হচ্ছে পতিতালয়ে। খেলছে বেশ্যারা। এখানে খেলতে গিয়ে পর্দা, লজ্জা শব্দগুলো বেশ্যাদের মতো নির্লজ্জ হয়ে উঠে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংক্ষিপ্ত কথা হচ্ছে প্রচলিত রাজনীতি মানেই পল্টিবাজির রাজনীতি। এদায় কেবল এরশাদ বা মাওলানা ফজলুর রহমানের উপর চাপালে হবেনা। এরদোয়ান, ইমরান খান সবাই পল্টিবাজ।

 

ইমরান খানতো সকল পাকিস্তানির কাছে U-turn এর জন্য কুখ্যাত। U-turn মানেই পল্টি।

 

জামাতিরা ইমরানের U-turn নিয়ে চুপ কিন্তু মাওলানা ফজলুর রহমানের পল্টিবাজি নিয়ে সরব। কারণ যতটা ইমরানপ্রীতি তার চেয়ে বেশি দেওবন্দি বিদ্বেষ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় অনেকেই মাঠে খেলতে না পেরে ফেসবুকে আছে। যেসব দল এই কাজ সবচেয়ে অর্গানাইজড ভাবে করছে তাদের মাঝে প্রধান জামাত। জামাতিরা যেহেতু মাঠে নাই তাই ফেসবুকে খেলছেন। দেশে বিদেশে যারা রাজনীতি করছেন অথবা করছেননা তারা সবাই মিলে যৌক্তিক অযৌক্তিক মিলিয়ে বিভিন্ন ইস্যুতে অভিন্ন অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা চালান। এদিকে আমাদের দেওবন্দি ছেলেরা অনেকটা বাচ্চা। যারা পড়াশোনা এবং জানাশোনায় ভালো তারা ফেসবুকে আসেন কম। আবার যারা ফেসবুকে আসে তারা অধিকাংশই হুজুগে চলা ননপ্রফেশনাল সৌখিন ফেসবুকার। তাদের না আছে পড়াশোনা না আছে আকল। যার যা ইচ্ছা এলোমেলো লেখালেখি করে। কোনো ইস্যুতে কিভাবে পাবলিক ওপিনিয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে মোবিলাইজ করতে হয় তা নিয়ে তাদের ধারণা মারাত্মকভাবে কম। ফলে ফেসবুক উলামায়ে দেওবন্দের জন্য এক পিছিয়ে পড়া যুদ্ধের ময়দান।

 

ইমরান খান এবং মাওলানা ফজলুর রহমান নিয়ে আরও অনেক লেখালেখি করা যাবে কিন্তু আগে এই আলোচনার একটা ভিন্ন এসপেক্ট নিয়ে আলাপ পাড়া যাক। পাকিস্তানের রাজনীতিতে জামাত খুব আহামরি শক্তিশালী দল না। যদিও তারা বাংলাদেশ জামাতের চেয়ে শিক্ষিত এবং ইসলামপ্রিয়। তবে বিভিন্ন কারণে পাকিস্তানের ইসলামি রাজনীতিতে দেওবন্দি আলিমদের শক্ত প্রভাব আছে অন্তত ১৯৫৩ সাল থেকেই। তারা সংসদে কয়টা সিট পায় তা ভিন্ন বিষয় কিন্তু মাঠের শক্তিতে তারা বারবার শাসকদের অনেক কিছুতে বাধ্য করেছে। জেনারেল পারভেজ মোশাররফের আমলে সেই প্রভাব ভাঙার আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু দুইটা কারণে তা পুরোটা সম্ভব হয়নি

 

১) পল্টিবাজি

২) সকল ডিম এক হাড়িতে না রাখার রীতি

 

সাধারণত জামাত উলামায়ে দেওবন্দকে রাজনীতিতে পরাস্ত করতে চায় এবং কুৎসা রটনার কোনো সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি না। হ্যাঁ তারা তখন উলামায়ে দেওবন্দের প্রশংসা করে এবং সহানুভূতি দেখায় যখন তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির ফলাফল জামাতি এজেন্ডা অর্জনের জন্য সহায়ক হয় এবং তাতে প্রধান কুরবানি হয় উলামায়ে দেওবন্দের। তাও যখনই নিজেদের স্বার্থে উলামায়ে দেওবন্দ কোন কৌশল গ্রহণ করে তখনই তাদের প্রশংসা নিন্দায় পরিনত হতে সময় নেয়না।

 

যাইহোক এতোদিনে ইসলামি ফ্লেভারের একজন ব্যাক্তি পাওয়া গিয়েছে যিনি রাজনীতিতে দেওবন্দি প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। তিনি হচ্ছেন ইমরান নিয়াজি খান।

 

আজ যখন বাংলাদেশের জামাতিরা মাওলানা ফজলুর রহমানের নিন্দা করে এবং ইমরানের প্রশংসা করে তখন মূলত তাদের চিরায়ত দেওবন্দি বিদ্বেষ কাজ করে প্রবলভাবে। তাদের এই অর্গানাইজড ক্যাম্পেইনে সাধারণ ইসলামপন্থীরা বিভ্রান্ত হয়। অবশ্য এপথে বেকুব দেওবন্দি সহায়তা করেছে ইতোমধ্যে। তারা কিছু না বুঝেই ইমরান খানের ক্যানভাসারের কাজ করেছে। এভাবে প্রায়ই দেওবন্দি একটা অংশ জামাতের দ্বারা ব্যবহৃত হয়।

 

তবে আশা করি এবারও দেওবন্দি মোল্লাদের রাস্তায় গুন্ডা মোল্লাতন্ত্র ভাঙার স্বপ্ন তাদের পূরণ হবেনা কারণ

 

১) মাওলানা ফজলুর রহমান তার এসকেপ প্ল্যান রেডি না করলে আমি খুবই বিস্মিত হবো।

 

২) দেওবন্দিদের সকল ডিম এক ঝুড়িতে রাখা হয়নি। মাওলানা তাকি উসমানি, তারিক জামিল, মুফতি তারিক মাসুদ ব্যাকআপ হিসাবে কাজ করবেন ইনশাআল্লাহ।

 

এই বেশ্যা সভ্যতার যুগে সতিরা লড়াইয়ের ময়দানে। বাকিরা সতী না সতীর ভঙ ধরেছে। এটা দেওবন্দিরা মুরব্বিরা খুব ভালো বোঝে। তারা অন্তত ৮০ বছর ধরে ডাবল গেম খেলছে। ফলে শকুনেরা এতো সহজে গরু মারতে পারবেনা বলেই আমার ধারণা ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আওয়ামী লীগের ভারতনীতি বাস্তবতার বিচারে সঠিক। অবশ্যই কপি পেস্ট সঠিক বলবোনা। কিন্তু কিছুটা কাস্টমাইজ করে বাংলাদেশের জন্য এটাই করনীয়। আবেগি জনতা আমাকে পিটাবে। তবে মুয়াবিয়া (রা) কুফাবাসির ব্যাপারে একটা কথা বলেছিলেন যা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়।

 

"এক লক্ষ তরবারির মোকাবিলা করার চেয়ে তাদের জন্য প্রতিদিন একটা করে গভর্নর দেওয়া উত্তম"।

 

কাশ্মিরের জন্য বাগাড়ম্বরকারীরা কেউ তাদের রক্ষা করতে পারছেনা। আমাদের ক্ষেত্রেও এমন পরিনাম থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে ছাড় দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই হচ্ছে আমাদের জমিয়তি নেতা। আপাদমস্তক মূর্খ একজন মানুষ। মাওলানা ফজলুর রহমান এর কথাগুলো আমি বলায় আমাকে মানহাযি ট্যাগানো আকাবির পূজারি, ইমরান খানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভদ্রলোক ইউ-টার্ন নিয়ে ফেললো। আন্ধা পূজা ছাড়া এদের কোনো যোগ্যতাই নাই।

 

হাহাহহাহা

 

(ওয়ালিউল্লাহ আরমানকে ইঙ্গিত করে)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যেসব নেতা কর্মী আমি চিনি তাদের আকিদা সুন্দর, প্রয়োজনীয় ইলম আছে, উলামায়ে কেরামের প্রতি এই শর্তে শ্রদ্ধাবোধ আছে যে তারা শারিয়ার খেলাফ কিছু করবেনা। বাংলাদেশের অন্যান্য ইসলামি দলকে বোধগম্য কারণে অপছন্দ করলেও ভারত পাকিস্তানের উলামাদের শ্রদ্ধা করে। আগে তাদের এক পত্রিকা ছিলো কাবার পথে। সেখানে লাল মসজিদের ঘটনায় লাল মসজিদের পক্ষে তাদের বক্তব্য ছিলো। হ্যাঁ তারা কৌশলগত বিবেচনায় কাজটার বিরোধিতা করেছিলেন। আবার দেশীয় ইসলামপন্থীদের কিছু কারণে অপছন্দ করলেও সাধারণত তাদের সাথে ব্যাক্তিগতভাবে সুন্দর সম্পর্ক রাখতে তাদের দেখেছি। কিন্তু ফেসবুকে রেগুলার হওয়ার পরে দেখছি ভিন্ন চিত্র। তাদের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার অভিযোগের অন্ত নাই। কিছু চিত্র তাদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের লেখাতেও সত্যায়িত হয়। তাদের মাঝে আগের সবর, বিনয় আর সুন্নাহপন্থা হারিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় এবং পাকিস্তানি জমিয়তকেও যা ইচ্ছা তা বলে গালাগালি করছে। অথচ সেসব দেশে ইসলামি আন্দোলনের নিজস্ব কোনো শাখা না থাকায় জমিয়ত তুলনামূলক নিজস্ব মতাদর্শের দল। দেশেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে সামান্য সমালোচনার প্রতিবাদে হিংস্র আচরণের। অথচ মাওলানা ফজলুল করিম (রহ) এর সবর ছিলো প্রবাদপ্রতিম। তাদের আগের সুন্নাহর প্রতি অকাট নিরাপোষ আগ্রহ আর নেই। মডারেট কথাবার্তা হরহামেশাই তাদের নেতারাও বলছেন।

 

আমি শুধু অবাক হচ্ছি।

 

তাদের এমন অবস্থার কারণ কি? তারা এখন ক্ষমতার গন্ধ পাচ্ছে নাকি সংখ্যাধিক্যের অহংকার তাদের মগজ খেয়ে ফেলছে? হায় তারা যদি জানতো তারা কত ছোট? এখনও তারা কোনো গোনায় ধরার মতো রাজনৈতিক দল না। বাংলাদেশে ভোটের রাজনীতিতে ১৫ শতাংশ ভোট সকল ইসলামপন্থী গ্রুপ জোট করলেও পাবেনা। তাহলে এই অহংকার কিসের? ভাইয়েরা শয়তান থেকে সতর্ক হন। শয়তান অহংকারে ভড়া ফাঁপা বেলুন দেখিয়ে আপনাদের ধ্বংস করতে চায়। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।

 

ভালোবাসি বলেই কথাগুলো বললাম। একজনও যদি সতর্ক হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফজলুর রহমান চরম পল্টিবাজ তা আমরা জানি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তিনি এই পল্টিবাজি দ্বারা ইসলামের উপকার করেছেন কিনা?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজনৈতিক আলাপগুলো মূলত তরকারিতে লবণ দেওয়ার মতো আপনাদের সাথে মজমা জমানোর জন্য করি। আসল কথা হচ্ছে ব্যাক্তিগত যুহদ এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্ক।

 

এখানে কাজ করেন। এটা করা সম্ভব। পাশাপাশি এটা শত্রু বিরুদ্ধে এক দূর্গের মতো। বাকিগুলো প্রায়ই হুযুগ। কিন্তু এর মাধ্যমে নির্মান করতে পারবেন এক শক্তিশালী আমি।

 

এজন্য আমার পছন্দের তিন পথ

 

১) দাওয়াতে তাবলীগ

২) মাশায়েখদের সাথে ইসলাহি নিসবত

৩) কোনো মাদরাসায় নিয়মিত যাতায়াত এবং আলিমদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা

 

আপাতত রাজনৈতিক মোল্লাদের আবেগি আলাপে বিভ্রান্ত না হওয়াই কল্যাণকর। কারণ সবচেয়ে মুখলিস রাজনীতিবিদরা মুখের আর অন্তরের কথা এক রাখতে পারেননা। এজন্য দারুণ পরিভাষা আছে। "রাজনৈতিক বক্তব্য" হাহাহা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফজলুর রহমানের আন্দোলনে ইমরান পতন হবে? অসম্ভব হবেনা। এর আগে ইমরান খান, তাহির আল কাদরি, খাদিম হোসেন রিজভী কেউ এধরণের কর্মসূচী দিয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি। মাওলানা পারার কোনো কারণ নাই। মাওলানা কি ব্যাপারটা বোঝেননা? অবশ্যই বোঝেন। কিন্তু এধরণের কাজের দ্বারা সরকারকে অজনপ্রিয় করা হয়। মানুষ সমালোচনাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শোনে। এটা দরকার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি যখন ইমরান খানের নিন্দা করলাম তখন দেওবন্দি অনেকেও আমাকে বিভিন্ন আকথা কুকথা বললেন। অথচ আমার একটা কথাও পাকিস্তান জমিয়তের বক্তব্যের বাইরে ছিলোনা। তবু অনলাইন অফলাইনে অনেকেই ভালোবাসলেন। এখন মাওলানা ফজলুর রহমান এর মার্চ ঘোষণার পর তাদের সিংহভাগ আমাকে গালাগালি করছেননা। কিন্তু আমি তাদের গালাগালি খেতে চাই। তবু তারা আমাকে গালাগালি করছেননা।

 

আজব তামাশা। হাহাহা

 

আল হামদুলিল্লাহ আকাবিরদের মেজাজ এবং ফিকির সম্পর্কে আল্লাহ আমাকে সমঝ দিয়েছেন। অনেক দাওড়া পাশ কার্টুনদের চেয়ে বেশি দিয়েছেন।

 

একদল লোক তারা পশ্চিমাদের অথবা তাদের গোলামদের মিডিয়ার চশমা ছাড়া দুনিয়া দেখতে পায়না।

 

যারা বলছে ইমরান খানের হাতে রক্ত নাই তাদের সমস্যা হচ্ছে তাদের মতে অডিও ভিডিও ছাড়া কারও হাতে রক্ত লাগেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফজলুর রহমান এর আজাদি মার্চ নিয়ে আমার বক্তব্যঃ

 

পাকিস্তান আর্মির মদদপুষ্ট ইমরান নিয়াজি খান একজন সেক্যুলার মুসলিম জাতীয়তাবাদী। তিনি মৌখিকভাবে যত চাপাবাজি করুক ইসলামের পক্ষে তেমন বিশেষ কিছু করবেননা। বরং ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে অনেক কিছু করবে। কিন্তু মাওলানা ফজলুর রহমানের চাপের মুখে ইমরান খান কিছুটা ইসলাম বান্ধব হতে বাধ্য হবে। ইসলামবিরোধী কাজ করার আগে কিছুটা বাধা অনুভব করবে। কিন্তু সরকার পতন আন্দোলন নাটক হওয়া উচিৎ। নয়তো ৫ মে এর মতো মূল্য দিতে হতে পারে। মুসলিম লীগ বা পিপিপি ইমরানের চেয়ে ভালো অপশন না। আবার জমিয়তও ক্ষমতায় আসতে পারবেনা। কারণ গ্লোবাল বা লোকাল স্ট্যাবলিশমেন্ট তা চায়না। গনতন্ত্রে জনগণ না বরং এস্টাবলিশমেন্ট ঠিক করে ক্ষমতায় কে আসবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মোরাল অব দ্যা স্টোরি মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল গফুর হায়দারি, মাওলানা জুলফিকার আহমদ নকশাবন্দী, মাওলানা মানযুর মেঙ্গল আমাদের মানে মোসাদের এজেন্ট আর ইমরান খান মুজাহিদে আযম ফিল ওয়াক্ত।

 

ঠিকই আছে আমেরিকান মুজাহিদিনদের সহায়তা করতে এবং জমিয়তিদের মতো মোসাদ এজেন্টদের দমনের জন্য ইমরান খানের মতো মুজাহিদ দরকার আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তালুতের ভক্ততো কাফেররাও হতে পারে কিন্তু কোনো মুনাফিক আসহাবুল উখদুদকে ভালোবাসতে পারেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কেউ কেউ বলেছেন আলী (রা) এর চেয়ে মুয়াবিয়া (রা) এর নেতৃত্বের যোগ্যতা বেশি ছিলো। আমি মোটেই একমত না। এব্যাপারে আলী (রা) নিজেই বলেন, যার আনুগত্য করা হয়না তার নেতৃত্ব সফল হয়না। আলী (রা) দুঃখ করে ইরাকবাসিকে বলেছিলেন যদি তোমাদের ১০০ জনের সাথে মুয়াবিয়া শামিদের ১ জন বিনিময় করতেন তাহলে আমি তাও করতাম। অনেকে বলেন আলী (রা) এর নেতৃত্বে অদক্ষতা হেতু তার আনুগত্য করা হয়নি। আমি তাতেও একমত না। কারণ ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক কারণে ইরাকবাসি ছিলো অস্থিরমতি। তারা ছিলো মাজুসদের বংশ। কিন্তু শামবাসি পূর্বে আহলে কিতাব ছিলো। তাছাড়া প্রথমে ভাই ইয়াজিদ বিন আবু সুফিয়ান (রা) এর শাসন তারপরে মুয়াবিয়া (রা) এর দীর্ঘ শাসনের ফলে সিরিয়াবাসিকে শৃঙ্খলা শেখাতে পেরেছিলেন। কিন্তু ইরাকবাসিকে বিভিন্ন কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। শুরু থেকেই তারা চূড়ান্ত দুর্বৃত্ত মানসিকতার। তারা সাআদ বিন আবু ওয়াক্কাস (রা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তিনি সালাত আদায় করেননা। একারণে কোনো শাসক সেখানে স্থিতিশীল হতে পারেনি। ফলে তাদের মাঝে যে সুযোগ সন্ধানী স্বেচ্ছাচারী মানসিকতা তৈরি হয়েছিল তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আলী (রা) হেজাজে থেকে মুয়াবিয়া (রা) এর মোকাবেলা করতে পারতেন৷ তবে তাতে আশংকা ছিলো হাররার মতো দুঃখজনক ঘটনা আগেই ঘটে যেতে পারে। আসলে হিজাজ ছিলো হুজ্জাজ এবং আহলে ইলমের প্রাণকেন্দ্র। আলী (রা) কখনো রাজনৈতিক প্রয়োজনে দীনের ক্ষতি মেনে নেননি। তাছাড়া রাজনৈতিক প্রয়োজনে যেসব অসৎ কৌশল প্রয়োগ করে এসব অসৎ কুফাবাসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন তা তিনি করতে চাননি। তিনি তাকওয়াকে এতো গুরুত্ব দেন যে তার ভাই আকিল ইবনে মুসলিম (রা) বাইতুল মাল থেকে নিজের প্রাপ্য সময়ের আগে চাইলে তিনি তাও দিতে অস্বীকার করেন। সাইয়্যেদিনা আলী (রা) তাকওয়াকে এতো গুরুত্ব দিতেন যে অন্যান্য সাহাবাদের জন্যেও তা প্রায়ই অকল্পনীয় ছিলো। তিনি তার অনুগত অবাধ্য লোকদের বলেন, আমি চাইলে তোমাদের ঠিক করতে পারি কিন্তু তোমাদের সংশোধনের জন্য আমি নিজেকে নষ্ট করতে পারবোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কি? আমার মতে তারা আন্তর্জাতিক রাজনীতি যতটা বোঝে নিজের গ্রামের এবং পাড়ার রাজনীতি ততটা বোঝেনা। যেমন ধরেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের একজন কর্মীর জন্য শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া কি বলেছেন, তা জাতীর জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর, দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পলিসি কতটা ঠিক জানার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তার ওয়ার্ড এবং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাতের প্রত্যেক সদস্যের, এলাকার মসজিদের ইমাম, স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ প্রভৃতির নাম জানা এবং তাদের ব্যাক্তিগত, সামাজিক সম্পর্ক, রুচি, স্ক্যান্ডাল সম্পর্কে ধারণা রাখা। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে তারা এসব জানার চেয়ে আমেরিকা, তালেবান, এরদোয়ান, ইমরান খান, মোদি প্রভৃতি জানতে বেশি আগ্রহী। অথচ এসব ব্যাক্তির পলিসি নির্ধারণে তাদের কিছুই করার নাই। এমনকি রেসপন্ড করার সামর্থ্যও নাই।

 

শত বছর ধরে উলামায়ে দেওবন্দের শক্তির একটা গোপন রহস্য হচ্ছে সামাজিক ফেব্রিকের অত্যন্ত রুট লেভেলে তারা অত্যন্ত পরিচিত এবং লতার মতো পেঁচিয়ে আছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সাহাবাদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান তাই যা আহলে সুন্নাহর অবস্থান। কিন্তু আলী (রা) সম্পর্কে আমি যতবার গভীরভাবে পড়েছি তাতে মনে হয়েছে মুয়াবিয়া (রা) এর ব্যাক্তিত্বের কোনো তুলনাই তার সাথে হতে পারেনা। মুয়াবিয়া (রা) দূরে থাক আনসার এবং মুহাজির এমনকি আশারায়ে মুবাশশরারের ভেতরে খুলাফায়ে সালাসা ব্যাতিত তার মর্যাদা অন্যদের থেকে উঁচু ছিলো। বিশেষত যারা তার বিরোধিতা করেছিলেন তাদের তুলনায়। আমি জানি এটাই আহলে সুন্নাহর ইজমা। তবে আমার এই অবস্থান তাকলিদমূলক নয় বরং অধ্যয়নজাত উপলব্ধি।

 

কিন্তু এতো কিছুর পরেও আমার গভীর সন্দেহ আছে যে আলী (রা) বিজয়ী হলে উম্মাহর কল্যাণ হতো। কারণ ইরাকিদের আমির শামিদের চেয়ে উত্তম ছিলো কিন্তু এস্টাবলিশমেন্ট নিঃসন্দেহে শামিদেরটাই উত্তম ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাকদির এবং কমিটমেন্ট জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।

 

মাঝে মাঝে মনে হয় চাইলেই অন্তত বায়োজিদ খান পন্নি বা ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আলী মির্যার চেয়ে বড় অডিয়েন্স তৈরি করার মেধা আল্লাহ দিয়েছিলেন।

 

কিন্তু জীবনটা হেলায় নষ্ট হলো।

 

আজকাল কেমন জানি নির্লিপ্ত হয়ে গিয়েছি। পুরানো প্রেমিকাদের কথাও আর মনে পরেনা। তারাওতো ভুলে গিয়েছে নিশ্চয়ই। তারা কার ভক্ত এখন? তারা কি ইমরান খানকে পছন্দ করে? হয়তো করে। আমি ছাড়া তাকে অপছন্দ করার প্রজ্ঞা তারা পাবে কোথায়?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার ধারণা আগামী এক সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে। তাই উউৎকন্ঠিত হয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনার দরকার নাই। সামান্য পরিমাণ কিনুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জগতে আমি নির্মান করা বড় সহজ কাজ না। অহম আর অহংকারের পার্থক্য হচ্ছে কংক্রিট স্ট্রাকচারের সাথে ফানুশের পার্থক্য। বৃদ্ধদের জন্য দৌড়ানো যেমন কঠিন তেমন আমিহীন তরুণের বসে থাকাও। যুগের ঝড়ে উড়ে যাওয়া থেকে কেবল সেই রক্ষা পেতে পারে যে নিজেতে এক কংক্রিটের আমি বানাতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইন্দোনেশিয়ায় এখন কারা ক্ষমতায়?

 

তিনদেশের সাথে কাতার এবং ইন্দোনেশিয়া সত্যিই একটা কার্যকর জোট বানালে একটা শক্তি হতে পারতো যারা বেসামরিক খাতে ভালো কিছু করতে পারবে।

 

তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক যেসব খাতে অবদান রাখতে পারে

১) শিক্ষা ও গবেষণা

২) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

৩) অর্থনীতি

৪) গণমাধ্যম

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেওবন্দি রাজনীতির যে বিষয়টি আমার অসাধারণ লাগে তা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কলা কৌশল এবং ডাইনামিকস। তারা সর্বদা প্রাসঙ্গিক থাকে। তাদের গালি দেওয়া যাবে কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জামাত, বিজেপি, কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, পিপিপি, পিটিআই কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা।

 

এই ধরেন ইমরান খান আজ যেসব কথাবার্তা ইসলামি শিক্ষা নিয়ে বললো এগুলো মূলত মাওলানা তাকি উসমানির বক্তব্য এবং মাওলানা সামিউল হকের প্রস্তাবের মিক্স। আবার মাওলানা ফজলুর রহমানকে সাপোর্ট করছে (অন্তত বাহ্যত) মুসলিম লীগ এবং পিপিপি।

 

যারা দারুল উলুম দেওবন্দ এবং দেওবন্দিয়াতের পার্থক্য বোঝেনা তারা অনেক এলোমেলো কথাবার্তা বলতে পারবে কিন্তু দেওবন্দি রাজনীতির স্ট্র‍্যাটিজিক ডেপথ বুঝতে পারবেনা। মাওলানা ভাসানী সারাজীবন মার্ক্সমার্ক্সিস্ট রাজনীতির আইকন হয়ে টাঙ্গাইলে নিজ বাড়িতে মাদ্রাসা বানিয়েছেন হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এর নামে। মাওলানা সামিউল হক, মাওলানা ফজলুর রহমান, আসাদ মাদানি, মাহমুদ মাদানি, আল্লামা আহমদ শফি সবাই মাদানি মাসলাকের। এভাবে থানভী মাসলাক, আনোয়ার শাহ কাশ্মিরির চিন্তাধারার ছাত্রদের তালিকা নিয়ে আলাপ করলে চারদিকে তাদের আদর্শিক প্রভাব দেখলে হতবাক হয়ে যাবেন। আল্লামা ইকবাল ছিলেন আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি (রহ) এর বন্ধু ও ছাত্র। আল্লামা ইকবালের বাবা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর দ্বারা প্রভাবিত। আল্লামা ইকবালও মির্যা সাহেবের ব্যাপারে অত্যন্ত সহনশীল ছিলেন। কিন্তু আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি রহ এর মুজাহাদার ফলে কাদিয়ানীদের তিনিও তাকফির করেন।

 

যাইহোক এভাবে অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু উপমহাদেশের ক্লাসিক বেরেলভি ধারা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সামর্থ্য হারিয়েছে অন্তত ১৬০ বছর। কিন্তু আজও প্রতিরোধের শেষ বাতিঘর হয়ে টিকে মাসলাকে দেওবন্দ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জ্ঞান চর্চায় আসাবিয়্যাহ, দলবাজি, মাসলাকবাজি অত্যন্ত খারাপ। কিন্তু রাজনীতিতে আসাবিয়্যাহ ফরজ। কারও আধ্যাত্মিক আকিদা ঠিক থাকলে কোনো দেওবন্দিকে আমি সাধারণত বাতিল ভাবিনা। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা হলেও এই শর্তে যে সেও দেওবন্দি আসাবিয়্যাহ লালন করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কমেন্টগুলো পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন কেন আমাদের ইমরান খানবিরোধী ফেবু সংগ্রাম দরকার ছিলো। কিভাবে মানুষ একজন সেক্যুলার চাপাবাজ ইমরান খানের মহব্বতে মহান আলিমদের প্রতি বিদ্বেষপ্রবন হয়ে উঠছে।

(নিউজঃ মাওলানা ফজলুর রহমানের ইমরান-বিরোধী আন্দোলন)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি মাওলানা ফজলুর রহমানের রাজনৈতিক মানহাযের সমর্থক না। কিন্তু পাকিস্তানের উলামায়ে কেরাম এবং মুসলমানদের জন্য তার মেহেনত, হেকমত এবং কুরবানি অনন্য। কোনো প্রশংসা বাক্য তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট না। বিশেষত নাইন ইলেভেনের পরে পাকিস্তানের দেওবন্দিদের রক্ষায় তার অবদান বিস্ময়কর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সততা একটা বিরল জিনিস। বিশেষত আজকের যুগে। যারা ইমরান খান ইস্যুতে পাকিস্তানের বিভিন্ন উলামায়ে কেরাম যেমন মাওলানা তারিক জামিল, মাওলানা তাকি উসমানি (হাফি) এর প্রশংসা তুলে ধরে বলছেন আমরা শুধু জমিয়তের বক্তব্য বলছি। কিন্তু জমিয়তি উলামায়ে কেরাম ধান্দাবাজ দুনিয়াদারদের মতো রাজনৈতিক স্বার্থে ইমরান খানের সমালোচনা করছে।

 

মাওলানা ফজলুর রহমান ধান্দাবাজ কিনা সেটা অন্য আলোচনা কিন্তু

 

১) পাকিস্তানের ইসলামপন্থীদের জমহুর অংশ বিশেষত উলামায়ে কেরামের জমহুর অংশ মোটেই ইমরান খানের ভক্ত না কথাটা আপনারা গোপন করেছিলেন। আমরা হাউ কাউ করায় এই ইস্যুতে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

 

২) তাকি উসমানি (হাফি), মাওলানা তারেক মাসুদ (হাফি) ইমরান খানের ব্যাক্তিত্বের প্রশংসা করেননি। বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মাওলানা ফজলুর রহমান ইমরান খানের বক্তব্যের একটা অংশের কৌশলগত সমালোচনা করলেও সাধারণভাবে কে ইমরান খানের বক্তব্যের সমালোচনা করেছে ভাই?

 

তাহলে আপনাদের এই স্টান্টবাজির মানে কি? আপনারা সেক্যুলার দলগুলোর চেয়ে কোনদিক থেকে সৎ?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আহ আকাবিরদের প্রতি সম্মানবোধ।

 

লেখাটা পড়ে বুঝলাম, ইমরান খান মাওলানা ফজলুর রহমানের এলাকার আসন দখল করেছেন তাই তিনি ব্যাক্তিগত বিদ্বেষবশত ইমরান খানের ধর্ম নিয়েও আকথা কুকথা বলছেন। আপনারা কি ভিন্ন কিছু বুঝলেন?

 

এরা এদেশের আকাবির ভক্ত জমিয়তি। বলার কিছু নাই। অথচ ইমরান খান বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করা সাহাবাদের কাপুরুষ বলেছেন। উহুদের সাহাবাদের মাওলানা সাআদ সাহেবের চেয়ে শতগুণ নিকৃষ্ট ভাষায় আক্রমণ করেছেন।

 

মাদখালিদের মতো দেওখালিরাও ইমানদারদের প্রতি কঠোর কিন্তু মুনাফিক এবং কাফেরদের প্রতি কোমল। খারেজিদের সিফাত এদের মাঝে অত্যন্ত প্রবল। পার্থক্য হচ্ছে খারেজিরা বীর ছিলো আর এরা আমার মতো কাপুরুষ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উম্মাহর পতনের কারণগুলোর মাঝে এটাও একটা। উলামাদের উপর শাসকদের প্রাধান্য দেওয়া। এটাকে নিছক পোপ আর রাজার যুদ্ধ হিসাবে দেখার সুযোগ নাই। এটা ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধিতা নয় বরং আধ্যাত্মিকতার উপরে বস্তুবাদকে প্রাধান্য দেওয়া, প্রাসাদপূজা, ক্রিপ্টো পৌত্তলিকতায় শক্তিপূজা এবং ওয়াহান চর্চা।

 

মাদখালি, দেওখালিদের মতো মডারেট পলিটিক্যাল ইসলামেরও শাসক এবং স্ট্যাবলিশমেন্টের লিভিয়ারেজ দেওয়ার এক তরিকা হচ্ছে তাদের জন্য নৈতিকতার আলাদা মান নির্ধারণ এবং উলামাদের চেয়ে তাদের সাথে অধিক উদারতা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানিনা ইমরান এরদোয়ান মাহাথিরের চ্যানেলটা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কিনা তবে চ্যানেলটা যদি সেক্যুলার নিউজ চ্যানেল হয় তাহলে উম্মাহর উপকার হবে। যেমন আল জাজিরা, টিআরটি উম্মাহর জন্য কল্যানকর। কিন্তু যদি পিস টিভি টাইপ ইসলামি থিওলজিকাল চ্যানেল হয় তবে তা হবে এক মারাত্মক ব্লান্ডার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বৃষ্টি আমার শিশুকালে খেলার সাথী, যৌবনে যৌন আবেদনময়ী, বার্ধক্যে ঘ্যানঘ্যান করা বিরক্তিকর বাস্তবতা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রক্ষিতারা যখন সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী বলে তখন রক্ষিতার সম্মান বাড়ে পুরুষের কমে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জীবনে উপলব্ধিগুলো বারবার আমাকে উপকৃত করার পরিবর্তে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিছু সত্য কথা আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে একজনকে বলায় আজও কড়া মূল্য দিচ্ছি। সেখানে অনেকেই ছিলো। ছাত্র শিবিরের সাথিরাও। তারা চুপ ছিলো। তাদের সমস্যা হয়নি। ড ইউনুস যেদিন নোবেল পুরস্কার পেলো সেদিন সকল জাতীয় পত্রিকায় ফ্রন্ট পেজে পূর্ণ পাতা নিউজ। পুরা জাতি উচ্ছ্বসিত। আমি খুশি হতে পারলাম না। লোকে খুব গালাগালি করলো। বিএনপি, জামাতের লোকেরাও। নয়া দিগন্তেও প্রথম পাতা জুড়ে উচ্ছ্বাস ছিলো। ২০০৮ সালে বন্ধুদের কাউকে কাউকে বলেছিলাম ভোট বর্জন করা উচিৎ। তারা কথা শোনেনি। কেউ নৌকায়, কেউ ধানের শীষে মারলো। নৌকার বন্ধুরা আজ তাওবা করেছে। বিএনপির অনেকেই বলে ভোট বর্জন করা উচিৎ ছিলো। জামাতের দোষ। হাহাহা। ২০১৩ তে হেফাজতের রাতে থাকার বিরুদ্ধে ছিলাম। লোকে আওয়ামী লীগের দালাল বললো। ডিসেম্বরে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বন্ধ করে বিএনপি হরতাল ডাকলো। বললাম বিএনপির নেতারা বিক্রয় হয়ে গিয়েছে। লোকজন বললো এতো বুঝলে রাজনীতি করিনা না কেন? পন্ডিত। নির্বাচনের পরে আন্দোলন বন্ধ করলে বললাম খালেদা জিয়াও লোভের কাছে বিক্রি হলো। বাইরের প্রভুদের কাছে আত্মসমর্পণ হলো। লোকেরা বললো ঘরে বসে বড় বড় কথা বলাই যায়। এতো রক্ত দেওয়া সম্ভব না। খালেদা জিয়া পরে বলেছিলেন আন্দোলন বন্ধ করা ভুল হয়েছিলো। আসলে ব্যাক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনে প্রায়ই এমন হয় যে আমার বুঝ আমার আশেপাশের লোকেদের বুঝ মেলেনা। একবার এক ইস্যুতে আমার মা আমাকে ফোনে অন্তত আধা ঘন্টা টানা বকাবকি করেন। আমি কোনো উত্তর দেইনি। তবে মনটা খারাপ হয়েছিলো অনেক। বেশি না দুই মাস পরে তিনি আমার কাছে ভুল স্বীকার করেন এবং আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো মেনে নেন। আমার স্ত্রীও অনেক ক্ষেত্রে আমার সাথে এক সময় প্রবল ভিন্নমত করতেন।

 

এভাবে ঘরে বাইরে নিয়মিত স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানো এবং বকাঝকা খাওয়া আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আজকাল মাঝে মাঝে মনে হয় কি দরকার এসব বোঝার। অন্যদের মতো বুঝলে কি হয়? বয়স হচ্ছে। লড়াইয়ের দম কমছে। কিন্তু কেন জানি অন্যদের বুঝতে শিখে উঠতে পারছিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

Definitely it wasn’t the path I have followed in terms of IK. Yet I felt arguments war very much compelling. However written by যামান মু. আসাদুয.

 

Comment 1:

I would frame this differently. The fact that people get excited, just to be able to witness IK in the 'Palace' of Shaytan-e-Bozorg, talking about their beloved Prophet (S) etc., it points to the possibility of recovery (a recovery of the past for the future; a recovery of Transcendence), and a natural appreciation of power. This flicker of appreciation should not be bulldozed down for political correctness. There is a hierarchy of understanding, and the umma doesn't need everybody to capture the raw details of the future we're trying to carve out. Sacrifice, too, has hierarchy -- there are Abu Bakrs, and there are Hassan ibn Thabits. And, in my opinion, a very rational/logical understanding of politics never was the feature of Islamic conquest -- a very essential mystical/non-rational component was crucial to mobilize an army to raid and defeat "high culture" Romans (e.g.).

 

Comment 2:

Three things:

 

  1. War is deception. (Check out al-Nawawi's sharh for explanation)
  2. Our point of discussion is not IK; rather the believers. So in terms of deception and whatnot, we should be talking as stakeholders, not victims (complaining is seen as weakness).
  3. Our plan to generate the marshal-spiritual-cultural prowess for the umma is about strategy. So being politically correct, many times, obviously not always, defeats the purpose of that strategy.

 

And, everyone knows that modern states have limitations. Even non-believers like Wael Hallaq showed it succinctly. We shouldn't argue about things people already understand as imperfect. So we have to create incentives (again, strategy) to persuade their psychological nudges.

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশে কিছু পাকিস্তানের দালাল আছে যারা সুযোগ পেলেই ভারতের নিন্দা করে। সারা বছর ফারাক্কা বাঁধের নিন্দা করে। এখন বাঁধ খুলে দিয়েছে সেটাও ভারতের দোষ। আরে বাবা বাঁধ না বানালেওতো পানি আসতো। বাঁধ খোলার ব্যবস্থাতো রাখা হয়েছে দরকারে খোলার জন্য। পানি বেশি হলে কি হবে? ভারতে অতি বন্যা হবে। ফলে ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি হবে। এতে পাকিস্তানের সুবিধা। পাকিস্তানের নিজের কোনো কিছু করার ক্ষমতা নাই। খালি ভারতের অমঙ্গল কামনা। তাতে সায় এদেশে পাকিস্তানি দালালদের। বাঁধ না খুললে যদি বাঁধ ভেঙে যায় তখন কত ক্ষতি হবে ভেবেছেন। তার চেয়ে ধীরে ধীরে পানি আসছে। একটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাছাড়া পানির সাথে মাছও আসবে। ইলিশ তারা ৫০০ টাকা কেজি নিয়েছে। কিন্তু এই মাছগুলো ফ্রি। সারাবছরে যে পরিমাণ কিউসেক পানি দরকার তাও অনেকটা পাওয়া যাচ্ছে এই সুযোগে।

 

যাইহোক এছাড়াও অনেক সুবিধা আছে। কিন্তু এতো বলে লাভ কি? পাকি দালালেরা বুঝবেনা। এদেরকে পাকিস্তানও না কাশ্মীর পাঠিয়ে দিতে হবে।

 

সংযুক্তিঃ যারা এই পোস্টে হাহাহা দিবে তারা ফাকিস্তানের দালাল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা বলছে ইমরান খানের হাতে রক্ত নাই তাদের সমস্যা হচ্ছে 'আব্বু তুমি কাঁদছো যে' টাইপ অডিও ভিডিও ছাড়া তাদের মানবতা জাগ্রত হয়না। তাদের মতে অডিও ভিডিও ছাড়া কারও হাতে রক্ত লাগেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার পোস্ট কোনটা সিরিয়াস, কোনটা সার্কাজম, কোনটা ভঙ নিজেই কনফিউজড হয়ে যাই। আপনাদের আর দোষ কি?

 

হাহাহা

 

তবে একটা কাজের কথা বলি। ফারাক্কা, ইলিশ, পান্তা কোনোটাই রোগ না ভাই, রোগের উপসর্গ। ক্যান্সার হয়ে গিয়েছে। জড় নিয়ে আলাপ অর্থহীন। যাদের বাচ্চা কাচ্চা আছে চেষ্টা করেন দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে। যাদের পক্ষে সম্ভব তারাও দেশ ছাড়ুন। যেখানে পারেন যান ভাই।

 

পালান। পালান ভাই পালান। ইউরোপ, আমেরিকা, মিডল ইস্ট, ফার ইস্ট যেখানে পারেন পালান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

'আল্লাহ এক' কথাটা সত্য হলেও কথাটির ব্যাখ্যা বোঝা দরকার কারন সাধারন অর্থে আমিও এক। শেখ হাসিনাও এক, খালেদা জিয়াও এক। সবাই এক।

 

অনেকে বলেন আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি। একথাটাও দুর্বোধ্য। সম্ভবত ব্যাকরনগতভাবে কালিমার আপিলকে বেশ অনেকটা কমিয়ে ফেলে। কারন এর দ্বারা বোঝা যায় অন্যরা অনেক আল্লাহর ইবাদত করে আর আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি। তারপর ইবাদতের এক ন্যারো ডেফিনিশন ড্র করি। ফলে আমাদের কালিমা নিয়ে না কাফিরদের খুব কঠোর আপত্তি থাকে আর না তাগুতের।

 

আসলে আমাদের শাহাদাহ হচ্ছে আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে অর্থাৎ কোন তাগুতকে ইলাহ হিসাবে গ্রহণ করিনা। তাগুত কারা? শয়তান, নফস, মূর্তি এবং সেসকল মানুষ যারা নিজেদের জন্য আল্লাহ অধীকার দাবি করে। যেমন ফিরাউন দাবি করেছিল, 'আমি তোমাদের সর্বচ্চো রব'। অর্থাৎ আল্লাহর উলুহিয়াতে ভাগ বসাতে চায় এমন যে কোন সত্ত্বাই তাগুত।

 

এখন আমরা এই হাস্যকর কথা, 'এক আল্লাহর ইবাদত করি বলায় শতশত বছর ইসলামের পেরিফেরাল ভূখন্ডে এমনকি কলোনিয়াল যুগে মূল জাজিরাতুল আরবেও কালিমার দাবি সম্পর্কে মুসলমানদের ভেতর একটা অপেক্ষাকৃত হালকা ধারনা গড়ে উঠেছে। এমনকি তথাকথিত আলিম নামের দাওরাহ পাশ তালিবে ইলম অথবা জাহিলগনের (আমি দাওরাহ পাশ কারিদের আলিম মনে করিনা বরং তালিবে ইলম মনে করি। থানভি (রহ) বলেন দাওরাহ পাশের মাধ্যমে তালিবে ইলমগন আলিম হওয়ার পথ সম্পর্কে জানতে পারেন।) কাছেও কালিমার অর্থ ও দাবি পরিস্কার নয়।

 

আমাদের ভূখন্ডে কালিমার আর একটা অনুবাদ করা হয় আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মাবুদ মানে কি? সেটা আমাদের ‘ইসলাম শিক্ষা’ পড়া কোন বন্ধু জানে বলে দেখিনি। এখন ‘ইলাহ’ বা ‘মাবুদ’ অর্থ না জানা ব্যাপারটা একটা ভয়ঙ্ককর ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারনে উলামাগন আমার মত জাহিলদের কাছে তাওহীদ আর শিরকের একটা স্বচ্ছ সংজ্ঞা প্রচারে তেমন আগ্রহী পাইনি।

 

তাওহীদের আর শিরকের পার্থক্য শেখানোর সময়ও তারা আমাদের সর্বচ্চো শিরকের মূলের পরিবর্তে ফলগুলো অথবা মাসলাকগত বিভিন্ন বিষয় শিখিয়েছেন। বড় শিরক ছোট, শিরক গুলিয়ে শিখিয়েছেন। অন্তত মৌলিক ও শাখাগত আকিদ্বার পার্থক্য অনুধাবনের মূলনীতি তারা কখনো স্বেচ্ছায় আমাদের শেখাননি। ফলে অবস্থা এমন হয়েছে যে হক্কানি আলিমগনও তত্ত্বগতভাবে না হলেও কার্যগতভাবে এক ধরনের ব্রাহ্মন্যবাদ বা পোপতন্ত্র প্রতিষ্টা করে ফেলেছেন।

 

তাদেরকে ছাড়া আমরা দ্বীনের মৌলিক বিষয়গুলোও শুদ্ধভাবে পালন করতে পারিনা। ফলে সাধারন আলিমগন জানেননা আর বড় আলিমগনকে সর্বদা হাতের কাছে পাওয়া যায়না। ফল আমরা কিছু চেনা তাগুতের বাইরে নতুন তাগুতের হামলা হলে বা তাগুতের রূপ বদল হলেই বিপদে পরে যাই বা ধোকায় পরে যাই। এসকল কথা ভেবে সার্বিক বিবেচনায় আমার মনে হল, ইলাহ কি জিনিস আমি শিখব।

 

ইলাহর অর্থ শিখতে গিয়ে প্রথমে সমস্যা হল, আমি আলিম নয়। জাহিলে মুরাক্কাব বলতে যা বোঝায় আমি হচ্ছে তা। তাহলে কিভাবে শেখা যায়? কেউ কেউ সতর্ক করলেন আলিম না হয়ে এমন কাজ নাকি ফিতনার কারন হতে পারে। আমি গোমরাহ হয়ে যেতে পারি। কথা সত্য। বিপদতো আছেই। কিন্তু আবু হানিফার উসুল অনুযায়ী রসুল না আসলেও তাওহীদে ইমান আনতে হবে। রিসালাতে ইমান না আনলেও চলবে। সুতরাং শিরকের ঝুকির মধ্যে থাকতে আমি রাজি ছিলাম না। তাই আমি বিষয়টা নিয়ে পড়াশোনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার শর্ত ছিল কোনভাবেই সাহাবাদের পরে কারও ব্যাখ্যা দিয়ে আমি ইলাহ বুঝতে রাজি না। এমনকি আবু হানিফা বা হাম্মাদ বা উরওয়া ইবনে জুবায়ের (র) এর অভিমতও না।

 

আমি চিন্তা করলাম কেন সাহাবারা কালিমা একবার পড়লে পুরোটা চেঞ্জ হতেন কিন্তু আমরা হাজারবার পড়লেও কোন চেঞ্জ হয়না। কেন কালিমা পড়লে তখন সবাই ক্ষেপে যেত কিন্তু এখন বুশ, ওবামা কারও কোন আপত্তি নেই। বড় শিরক আর ছোট শিরকের ধুম্রজালে আকিদা ব্যাপারটাই কেমন জানি গুলিয়ে যায়। মরার উপর খাড়ার ঘা আশয়ারি, মাতুরিদি, আসারি আক্বিদার ক্যাচাল।

 

কারও কাছে যা মুস্তাহাব আরেকজনের কাছে তা শিরক কেন? আবার সুফিরা ইলাহর তাওহীদের বৈশিষ্ট্য বলতে যেসব শিরকের বর্ননা দেয় তা মূলত তাওয়াক্কুল বিষয়ক আলোচনা আবার রাজনৈতিক ইসলামের অনুসারি ভাইয়েরা ইলাহ একটা রাজনোইতিক ব্যাখ্যা দেয়। এটা নিয়ে দুই গ্রুপের লোকজন ঝগড়া ফ্যাসাদ করে। ড ইসরার আহমদের ভাষায় মাওলানা মাওদুদি মূলত হুকুমের ব্যাপারটা জোড় দিয়েছেন, দেওবন্দিরা ইশকের জায়গা থেকে তার সমালোচনা করেছে।

 

কিন্তু কোনটা সত্য? আমি হিসাব করে দেখেছি সবগুলো বক্তব্যের পার্থক্য খুব বেশিনা। অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্য শব্দগত, অনেক ক্ষেত্রে অসম্পূর্ন। অনেক ক্ষেত্রে ফেরকা আর মাসলাকগত কারনে শাখাগত বিষয়কে মৌলিক বানানো হয়েছে। অনেকে দার্শনিক বিতর্ককে আকিদার বিষয় বানিয়েছে। অনেকে আবার তাওহীদ আলোচনা করতে গিয়ে পুরো কুরআন হাদীসকেই কালিমার অর্থ বলে দাবি করেছেন। সবকিছুই কুরআন হাদীসে আছে। এব্যাপারে মাওলানা আব্দুর রহিম (রহ) এর ‘কালিমা তাইয়্যেবা’ নামে একটা অসাধারন বই আছে।

 

বইটিতে তাওহীদ শিরক নিয়ে খুবই সুন্দর আলোচনা হয়েছে কিন্তু প্রচুর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু আমি ইলাহর সংজ্ঞা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারন কুরআন অনেক বড় বই। এটা সবার পক্ষে আয়ত্ত্ব করা সম্ভব না। কিন্তু কুরআন শিখতে না পারলে তাওহীদ শেখা যাবেনা এটা হতে পারেনা। কারন কালিমার দাওয়াত রোম এবং পারস্যের রাজা যেমন পেয়েছে, তেমন যে সাহাবা গুনতে পারেনা সেও পেয়েছে। ফলে ইলাহ অর্থ এমন কিছু হতে পারেনা যা কেবল প্রাজ্ঞ লোকেরাই বুঝতে পারবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ইলাহ কি? যা সাহাবারাতো বটেই এমনকি আরবের জাহিল কাফিররাও বুঝতো।

 

আমি বিষয়টা নিয়ে অনেক চিন্তা করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম। সেটা হচ্ছে ভাষাতাত্বিকভাবে একটা শব্দ কেবল একটা জনগোষ্ঠীর ভাবই ব্যাখ্যা করেনা বরং সেই সময়ের পারিপার্শ্বিকতাও শব্দগুলো ধারন করে। একটা শব্দ কেবল শব্দ না তাঁর চেয়ে বেশী কিছু। তাই আল্লাহর উলুহিয়াতের দাওয়াত বুঝতে হলে কেবল অভিধান দেখে ইলাহ শব্দটির অর্থ বুঝলে হবেনা। বরং সেই সময়ের দাওয়াতের লক্ষ্য জনগোষ্ঠির কাছে শব্দটির আবেদনের ব্যাপকতাও বুঝতে হবে। যেমন জিহাদের শাব্দিক অর্থ যাইহোক যে বলে জিহাদের শারঈ অর্থ কিতাল ছাড়া অন্য কিছু সাহাবারা বুঝতেন তারা হয় পাগল না হয় এব্যাপারে মূর্খ আর না হয় মুনাফিক। একইভাবে ইলাহ শব্দের শাব্দিক অর্থ যাইহোক এর পারিভাষিক আবেদন বুঝতে হবে।

 

সেসময় শুধু আরব সমাজ নয় বরং সারা দুনিয়ায় ধর্ম ছিল জগত ও জীবনের কেন্দ্র। ঈশ্বর সঙ্ক্রান্ত ধারনা তথা ধর্ম থেকে তৎকালীন মানুষের যেমন দৈনন্দিন জীবনাচার প্রভাবিত হত তেমন তাদের অতিপ্রাকৃতিক শক্তির সাথে সম্পর্কের ধারনাও নির্ধারিত হত। প্রত্যেক সাম্রাজ্য তাদের রাজনৈতিক বৈধতা খুঁজতো ধর্ম থেকে। আর এই আধ্যাত্মিক ধারনা জগতের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল ইলাহ। সেঅর্থে এদাবি সঠিক যে ইলাহকে জাগতিক নেতার মতো মনের করার চেয়ে আধ্মাতিক বা অতিলৌকিক শক্তি ও ধর্মীয় সত্ত্বা হিসাবে ব্যাখ্যা করা আভিধানিক জায়গা থেকে অধীক সঠিক।

 

কিন্তু এটা নিয়ে শুধু সাহাবা নয় বরং প্রাচীন আরব অনারব কোন গোষ্ঠর অন্তরে কোন সংশয় ছিলনা যে ধর্মীয় জীবনের বাইরে জাগতিক জীবনের কোন আলোচনা হতে পারেনা। আমাদের জাগতিক ঘটনাবলি মূলত আমাদের আদ্মাতিক জগতের সম্পরসারিত রূপ। এজন্য ইহুদি সমাজের নেতা হত ইহুদি আলিম আর নবিরা। পারস্য সাম্রাজের সম্রাটের ব্যাপারে ধারনা ছিল তাঁর শরীরে ঈশ্বরের রক্ত প্রবাহিত। খ্রিস্টান সাম্রাজ্যগুলো ভাগ হতো তাদের ঈশ্বর সঙ্ক্রান্ত ধারনার পার্থক্যের উপর।

 

প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাম্রাজ্যে তাদের মিথলজিক্যাল দেবতাদের সম্পর্কে ধারনা দ্বারা রাজনৈতিক কাঠামোকে রচনা করতো। এমনকি এই সেদিন সাফাভি সাম্রাজ্য অটোম্যানদের বিরুদ্ধে দাড়ানোর নিমিত্তের ইসনা আশারিয়া শিয়া মতবাদ গ্রহণ করে। কিন্তু পোস্ট রেনেসান পিরিয়ডে ধর্মের গুরুত্ব কমে যায়। ফলে তখন রাস্ট্র আর চার্চ আলাদা করার প্রয়াস শুরু হয়। আল্লাহর উলুহিয়াত থেকে তাঁর হাকিমিয়্যাতকে আলাদা করার প্রয়াস শুরু হয় মূলত বস্তুবাদি কলোনিয়াল শাসকদের হাত ধরে।

 

সেকালে ইউরোপিয় দার্শনিকরা অধঃপতিত কলোনিগুলোতে যে বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসন চালান তার হাত ধরেই মুসলিম্ম বিশ্বে আল্লাহ উলুহিয়াত আর হাকিমিয়্যাত আলাদা হয়েছে। কিন্তু মানুষতো ইলাহ ছাড়া চলতে পারেনা। আল্লাহ পাক বলেন, তারা তাদের নফসকে ইলাহ হিসাবে গ্রহণ করেছে। তাই বস্তুবাদিগন ঠিকই গনদেবতা, রুশো, ভলতেয়ার, জন লক, মার্ক্স, নফস প্রভৃতির উলুহিয়্যাতকে মেনে নেয়। কিন্তু তারা গাঢ় রেটরিক আর চাকচিক্যময় প্রচারনা দ্বারা ঢেকে রেখেছে। 'ক্যারট এবং স্টিকের' মাধ্যমে প্রথমে কিছু মুসলমানকে এটা মানতে বাধ্য করেছে। তারপর দুর্দান্ত রাজনৈতিক, সামরিক আর অর্থনৈতিক সক্ষমতা দিয়ে একটা ইন্টেলেকচুয়াল ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়েছে।

 

তা না হলে আজ থেকে তিনশত বছর আগেও উলামা বা আওয়াম কারও মনে আল্লাহর উলুহিয়াত আর হাকিমিয়াত আলাদা হবার ধারনাও আসেনি। এমনকি কাফিরদের মধ্যেও না। তারা যখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো তখন তারা অন্য কোন ইলাহর আনুগত্যের ভিত্তিতেই করতো। যেমন ভারতে মুঘলদের বিরুদ্ধে শিবাজির বিদ্রোহও কিন্তু মন্দির কেন্দ্রিক ছিল।আজ যারা সেকুলার কাঠামোতে চিন্তায় অভ্যস্ত হওয়ায় সুলতান মাহুমুদের সোমনাথ মন্দির আক্রমনের নিন্দা জানায় তারা এটা উপলব্ধি করেনা যে তাদের মন্দির তাদের আদ্মাতিকতা ও জাগতিকতার সংমিশ্রিত কেন্দ্র ছিল। এমনকি আমরা যাদের মাযার পূজারী বলি তাদের মাযার এবং খানকা সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার একটি কেন্দ্র যা নিজেদের প্রয়োজনে আইন, রীতি ও আচার প্রনয়ন ও প্রচলন করেছে।

 

ফলে আমার গবেষনার রাসুল (সা) এবং পূর্ববর্তি নবিদের চোখে ইলাহ হচ্ছে এমন মহাজাগতিক স্বত্বা যিনি দৃশ্যমান অদৃশ্যমান সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ফলে তাকে প্রচন্ড ভক্তি ও ভয় করতে হবে। আর এই ভক্তি ও ভয়ের ফল হিসাবে আধ্ম্যাতিক ও জাগতিক সকল বিষয়ে তাঁর বাধ্য হতে হবে।

 

সামগ্রিক নিও কলোনিয়াল আগ্রাসী কাঠামোতে, হাকিমিয়্যাহ যে উলুহিয়্যার অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ তা কখনো মুসলিম জনসাধারনকে আপনি তর্ক করে বোঝাতে পারবেননা। এর আগে আপনাকে অবশ্যই মুসলিম জনসাধারনকে ফিরাউনের রাজত্ব থেকে একটা স্বাধীন ভূখন্ডে নিতে হবে। তা না হলে তারা ফিরাউনের শিক্ষার রেশে গাভি থেকে ভাস্কর্য কিম্বা দিনার, দিরহাম বা ডলারের বা গন দেবতা, ওয়াতান সকল তাগুতের উলুহিয়্যাত সে মেনে নিবে। ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া হুকুম দেবার অধীকার কারও নেই। এই হুকুমই হচ্ছে হাকিমিয়্যাতের কাজ।

 

হাকিমিয়্যাতের তাওহীদের ঘোষণা এই আয়াতে সুস্পষ্ট। কিন্তু এটা আপনি কখনো মানুষকে তর্ক করে বোঝাতে পারবেননা। কারন তাদের হৃদয়, কাফিরদের দ্বারা প্রভাবিত, জাহালত আর ওয়াহানে পূর্ন। দলিল কখনো তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবেনা। যখন কাফির এবং মুশরিকদের অসন্তুষ্ট করে আল্লাহ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন তখন ইযা যা নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু...... মানুষ বুঝতে পারবে হাকিমিয়াহ অবশ্যই উলুহিয়্যার পূর্ন অংশ নয় তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও অবিচ্ছেদ্য অংশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নভেম্বর ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

 

 

ধর্মমন্ত্রী দেওবন্দি এটা আমাদের জন্য সুখের ব্যাপার হতো যদি আমরা মুখলিস হতাম। আমাদের ইখলাসের খবর অন্তত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারতো। ইখলাস বড় দামি জিনিস। শত্রু মিত্র সবাইকে প্রভাবিত করে। মুজাদ্দিদে আলফে সানিকে জেলে বন্দী রেখেও সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হন। কিন্তু এখন যা হলো তা নিয়ে বলার কিছু নাই।

 

আমাদের উপমা হচ্ছে সেই জাতির মতো যাদের আল্লাহ নেয়ামত দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের নাফরমানি রহমতকে গজবে রুপান্তরিত করে দিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

ধর্মমন্ত্রীর পুরো বয়ান শুনলাম। খুব ভালো লেগেছে। বাস্তবতা হচ্ছে তিনি দেওবন্দি। দেওবন্দি উলামাদের চিনেন। দেওবন্দি মেজাজ বুঝেন। সেই অর্থে তিনি একটা নেয়ামত। সমালোচনা তার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবতা বুঝতে পারলে এটা আপনাকে মানতেই হবে তিনি যে সরকারের মন্ত্রী তাদের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবেই। পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও আমাদের একজন মন্ত্রী আছে ব্যাপারটা সৌভাগ্যের। এটাকে ব্যাক্তিস্বার্থের পরিবর্তে দীনী স্বার্থে ব্যবহার করা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

কাটপিস বক্তব্য শুনে প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়ুন। শেখ আব্দুল্লাহর পুরা বক্তব্য শুনেন। আপনারা যা বলছেন এবং তিনি যা বলেছেন তা আলাদা।

 

আরেকটা কথা হচ্ছে জামাতি ভাইদের এতো খুশি হওয়ার দরকার নাই। শেখ আব্দুল্লাহ সিকাহ হলে গোলাম আযম নিয়ে যা বলেছেন তাও কিন্তু সত্য।

 

 

 

 

 

 

 

এটা দিনের আলোর মতো পরিস্কার মেঘমুক্ত আকাশে মধ্য দুপুরের সূর্যের মতো পরিস্কার সময়টা মুসলমানদের জন্য খুব সারা দুনিয়াতেই খারাপ। সারা দুনিয়াতে মুসলমানদের জন্য একটা পূর্ণ নিরাপদ শহর নাই। সর্বত্র বিপর্যয় ছেয়ে গিয়েছে। এমন সময় আমরা এতো পাতলামি করলে আমাদের ভবিষ্যৎ অস্তিত্বের লড়াইয়ে আমরা কিভাবে টিকবো?

 

শেখ আব্দুল্লাহ আলিমদের মজলিসে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে যা বলেছেন তার সারাংশ হচ্ছে,

 

"আমি শামসুল হক ফরিদপুরি (রহ) এর রুহানি সন্তান। আওয়ামী লীগে বাম, ডান, হিন্দু সকল চিন্তার মানুষ আছে। আমরাও আছি। আমাদের কৌশলে কাজ করতে হয়। তার ভাষায়, 'এজন্য নিয়ম কানুন আছে'। আমি আপনাদের প্রতিনিধি হিসাবে সেখানে মন্ত্রী। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আছে। তার মাঝে যেটুকু পারবো আপনাদের খেদমত করবো যেমন এতোদিন সাধ্যমতো করেছি। তবে ধর্মমন্ত্রনালয় দেওবন্দি মন্ত্রণালয় না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বেরেলভি, আলিয়া সবার মন্ত্রণালয়। ফলে এই সীমাবদ্ধতা উলামায়ে কেরামকে বুঝতে হবে। তিনি বলেছেন তিনি চলে গেলে দেওবন্দিদের জন্য কাজ করার মতো উপযুক্ত মানুষ আপাতত তিনি দেখছেননা। তাই তার জন্য দুয়া করতে এবং তাকে সহায়তা করতে উলামায়ে কেরামকে অনুরোধ করেছেন"।

 

তিনি একথাও বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভুলের কারণে সরকারের সাথে উলামাদের যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে তিনি সাধ্যমতো সেসব ভুল সংশোধন করে দূরত্ব কমাতে চেষ্টা করবেন।

 

এই অসাধারণ বক্তব্যকে আপনারা কি বানিয়ে তুলকালাম করে ফেললেন।

 

একটা সহজ কথা বোঝার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগ এই ভুখন্ডে তামকিন অর্জন করেছে। যেভাবেই হোক তামকিন আওয়ামী লীগের। এখন তারা ইমনদার, কাফির, মুত্তাকি, ফাসিক যাইহোক এই ভূখণ্ডে থাকতে গেলে তাদের সাথে একটা ওয়ার্কিং রিলেশানশিপ থাকতেই হবে। তাই তাদের ভালো কাজগুলোতে অন্তত খারাপ অর্থ আরোপ করার বদভ্যাস ত্যাগ করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যুদ্ধক্ষেত্র ব্যাতিত পৃথিবীতে যে জায়গায় সবচেয়ে বেশি জুলুম হয়েছে তার নাম আদালত।

 

ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (রহ)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজগুবি কথা বার্তা আমার একদম পছন্দ না। লোকেরা বক্তৃতায় হাতী ঘোড়া মারছে। কয়েকটি নাম মুখস্ত করেছে মুহাম্মদ বিন কাসিম, সুলতান মাহমুদ গজনভি, সালাউদ্দিন আইয়্যুবি, মুহাম্মদ আল ফাতিহ। এখন প্রত্যেক দিন ভাতের সাথে এসব নামে এক চিলতা দিয়ে খেয়ে ফেলে। কিন্তু কাজের কাজ কাজ কিছু হয়না। পুছকে পোলাপান বড় বড় গল্প মারে। কয়েকদিন পর বিয়ে শাদি করে ফেললে বিপ্লব শেষ।

 

আমি বলি কি এসব জ্বালাময়ী বয়ান বাদ দেন। এভাবে চললে বাবরি মসজিদ কেন কোনো মসজিদ আগামি একশত বছর পরে বাঁচানো সহজ হবেনা। দুনিয়ায় মুসলমানদের টিকে থাকতে হলে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি তৈরির বিকল্প নাই। এজন্য আপাতত মুসলিম সংগঠনগুলোকে আমি অনুরোধ করবো শিক্ষা এবং বাণিজ্যে নিজেদের অবস্থা শক্ত করুন। প্রত্যেক মুসলমানকে পার্থিব এবং আধ্যাত্মিক তালিম দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। নিজেদের যোগ্যতা বাড়াতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমরা আবার পৃথিবীতে আমাদের প্রভাব বলয় তৈরি করতে পারবো। মুসলমানরা আড়াই হাজার বছর পরে হলেও ফিরে পাবে আয়া সোফিয়া, বাবরি মসজিদ যেমন ইহুদিরা আজ দাবি করছে জেরুজালেম।

 

 

 

 

 

 

যারা না চান যে রাজনৈতিক মোল্লারা আপনাদের নিয়ে ব্যবসা করুক তারা বাবরি মসজিদ নিয়ে যেকোনো মিছিল, শোডাউন বর্জন করুন। হ্যাঁ আপনি যদি সেই দলের কর্মী হন তবে ভিন্ন কথা।

 

আমার মতো আম জনতাকে আমার পরামর্শ, যেকোনো কর্মসূচিতে এজন্য অংশ গ্রহণ করবেননা যে কিছু একটা করা দরকার তাই করলাম। বরং যত কমই হোক ফায়দা নিশ্চিত করে কাজ করুন।

 

 

 

 

 

 

 

বাবরি মসজিদ নিয়ে যা হচ্ছে তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ না। অক্ষমের ক্ষোভ হাস্যকর এবং আরও পরাজয় ও হতাশার বায়না। হাজার বছর ধরে মুসলমানদের দাওয়াতি দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি এসব। আজ ক্ষোভ অর্থহীন।

 

বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। জমিনের অধিকার তার যার অথবা যাদের মিত্রদের তরবারির ধার সর্বাধিক। এটাই আল্লাহর সুন্নাহ। ফলে উম্মাহর শক্তি অর্জনে কাজ না করে যারা ক্ষুব্ধ তাদের জন্য তিন বালতি সমবেদনা।

 

আমি বিশ্বাস করি এই মুহুর্তে সেই কাজের প্রথম ধাপ উম্মাহর শিক্ষার জন্য আমাদের সাধ্যের সীমায় সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রয়াস চালানো। মসজিদে টাইলস লাগানোর চেয়ে দরিদ্র মুসলমান ছাত্রদের উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি প্রদান।

 

 

 

 

 

 

 

আমি জানি আমার কথা প্রায়ই অজনপ্রিয়। তবু অজনপ্রিয় কথাগুলো বলা উচিৎ।

 

ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন বা চরমোনাই পিরদের অবশ্যই বেপরোয়া কথাবার্তা পরিত্যাগ করা উচিৎ। তাদের ভারতবিরোধী প্রোগ্রাম কমানো উচিৎ। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজেদের শক্তি গোপন করা উচিৎ।

 

হরিণের সুন্দর চামড়াই তার সবচেয়ে বড় শত্রু। চরমোনাই পিরের শক্তি প্রদর্শন তাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইট পাথরের বাবরি মসজিদের চেয়ে আমার দেশের রক্তে মাংসের নিখোঁজ মুসলমান জেলেরা অনেক দামি। তারা যদি শিক্ষা দিক্ষা পেতো তাহলে এমন দিনে সাগরে যেতোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উম্মাতের নেতাদের দাস্তান গাদ্দারি আর মুনাফিকির দাস্তান। কার্তারপুরের বর্ডার খোলা সিধান্ত পাকিস্তানের জন্য ভালো একটা সিদ্ধান্ত। কিন্তু একদিকে কাশ্মির অন্যদিকে বাবরি মসজিদ মাঝখানে আমিরুল মুমিনিন খলিফাতুল মুসলিমিন ইমরান খান আর বিজেপি নেতা সিঁধুর গলাগলি।

 

তবু ভারতীয় এজেন্ট মাওলানা ফজলুর রহমান।

 

এটাই উম্মাহর তাকদির।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ভারত ভাগ না হলে কি হতো?

 

১) হিন্দুত্ব ইস্যুতে আওয়ামী লীগ এবং জামাত এক জোটে থাকতো। এমনকি কমিউনিস্ট পার্টিগুলোও সম্ভবত বিজেপির বিরুদ্ধে থাকতো। বঙ্গবন্ধু কিন্তু প্রবল হিন্দুত্ববাদ বিরোধী নেতা ছিলেন। বিশ্বাস না হলে পড়ুন তার তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী।

 

২) ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৬৫, ৭১, ৯৯ এর গল্পগুলো ভিন্ন হতো। ৭১ না হলে জামাত নেতৃবৃন্দকে এমন পরিনতি ভোগ করতে হতো না। উল্লেখ্য মোদির ভারতেও জামাত নেতৃবৃন্দের সাথে সে নৃশংসতা হয়নি যা বাংলাদেশে হয়েছে।

 

৩) ভারতের সীমান্ত তখনও থাকতো আফগানিস্তান, ইরান, ওমানের মতো মুসলিম দেশের সাথে। হিন্দু মুসলিম ঐক্যবদ্ধ ভারত চীনের সমান শক্তিশালী হতো। তাতে মুসলমানদের একটা বড় দখলও থাকতো। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দেশ হতো ভারত।

 

৪) প্রবল হিন্দুত্ববাদি চাপ মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ রাখতো। ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে দেওবন্দি, বেরেলভি, আহলে হাদিস মুসলমানদের এমনকি মুসলিম কমিউনিস্ট এবং কাদিয়ানিদের পর্যন্ত মুসলিম লীগের ছাতার তলে ঐক্যবদ্ধ দেখা যায় হিন্দুদের ভয়ে। কিন্তু যখন হিন্দুদের চাপ কমে গেলো তখন ভাঙাচূড়া (জিন্নাহর ভাষায় পোকায় কাটা) পাকিস্তান নিয়ে মুসলমানরা কুত্তার হাড্ডি নিয়ে ঝগড়া করার মতো কাইজ্যা শুরু করলো। অনেকে ভারতীয় হিন্দুদের দালালি করে অপর মুসলমানদের কাছ থেকে হাড্ডির দখল নিলো। আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবে কংগ্রেসের মিত্র। বিজেপির সাথে মৈত্রী কেবল পরিবর্তিত বাস্তবতার কারণে। আবার বিএনপি এবং জামাতও বাস্তবতার অযুহাতে মোদির সাথে মৈত্রীর প্রচেষ্টা চালায়।

 

উল্লেখ্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (রহ), মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এসব বাস্তবতা সম্পর্কে বারবার ভবিষ্যৎ বানী করেছিলেন।

 

ডিসক্লেইমারঃ আমি সব সময় বিশ্বাস করি যে ভারত বিভাগের ক্ষেত্রে কিসে কল্যাণ ছিলো তা নিয়ে আমি আজও নিশ্চিত না। কিন্তু মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) এর বিরুদ্ধে কিছু মানুষের নিয়মিত কুৎসা রটনা এব্যাপারে কিছু যুক্তি ছুড়ে দিতে বাধ্য করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার একটা অভিজ্ঞতা হচ্ছে সবচেয়ে দায়িত্বহীন এবং অকেজো লোকেরা আমাদের যুগে সবচেয়ে বেশি গরম বয়ান দেয়।

 

 

 

 

 

 

 

দুইদিন আগে বলেছিলাম জামাতের অন্যান্য ক্ষেত্রে বড় সাফল্য থাকলেও তাদের রাজনৈতিক সাফল্য নাই। যদিও এজন্য কড়া মূল্য দিতে হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম রাজনীতিতে চূড়ান্ত অযোগ্য কওমিদের সাফল্যও তুলনামূলক বেশি। কথাগুলো বলেছিলাম সত্যিই জামায়াতকে ভালোবেসে। বোঝাতে চেয়েছিলাম অতিরাজনৈতিকতা ইসলামপন্থীদের জন্য খুব ভালো জিনিস না। অরাজনৈতিকভাবে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করা যায়।

 

কিন্তু জামাতি ভাইয়েরা রেগে গেলেন। তাদের ধারণা কথাগুলো নিন্দা করার জন্য বলেছি। আসলে ধারণাটা খুবই ভুল ছিলো।

 

আমি প্রায়ই বলি যারা ঐক্যের বয়ান দেয় তারা বোকা। প্রথমত স্লোগান দিয়ে ঐক্য হয়না। ঐক্যের জন্য নিজেকে সাগর বানাতে হয় যাতে সবাই এসে মিশে যেতে পারে কিন্তু কুয়াগুলো কখনো সাগর হবেনা। দাসত্বের যুগের মুসলমানরা স্বভাবতই কূপমণ্ডূক হতে বাধ্য। ফলে ঐক্য অসম্ভব।

 

তারপর আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এখানে দেড়শো কোটি মুসলমান থাকলেও তারা কোনো কিছুতে একমত না। মুসলিম উম্মাহ বিশ্বাস করে আল্লাহ এক। কিন্তু আল্লাহ কি তা নিয়ে মুসলমানদের মতপার্থক্যের অন্ত নাই। এক মানে কি তা নিয়েও মুসলমানদের মাঝে শত শত কথাবার্তা। মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসুল। কিন্তু মুহাম্মদ (সা) কি তা নিয়ে মুসলমানদের মারাত্মক মারামারি। মুহাম্মদ (সা) এর গঠনগত উপাদান মানে তিনি মাটির তৈরি না নুরের তৈরি তা নিয়ে তা নিয়ে তারা পরস্পর জান-ই-দুশমন। মুহাম্মদ (সা) কি রক্তে মাংসের মেধাবী মানুষ না অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন দৈব সত্ত্বা তা নিয়ে তারা একমত না। রাসুলুল্লাহ (সা) এর প্রধান মিশন কি তা নিয়ে তাদের হাজার হাজার মত। কারও মতে নিজের দৈবসত্ত্বার জন্য পূজা অর্জন তার প্রধান উদ্দেশ্য (যদিও তারা একথা ভিন্ন শব্দে বলে থাকেন)। কারও মতে স্বীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য। কারও মতে আল্লাহর স্বার্বভৌমত্বের প্রতিষ্ঠা তার উদ্দেশ্য। কারও মতে বৈরাগ্য এবং পার্থিব জীবনের অন্তস্বারশূন্যতার মায়াবাদ প্রচারই তার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো। মজার ব্যাপার মুহাম্মদ (সা) জীবিত নাকি মৃত তা নিয়েও মুসলমানদের শক্ত মতভেদ আছে। রীতিমতো কল্লা কাটাকাটি টাইপ মতভেদ।

 

এতো গেলো গল্পের এক দিক। ভিন্ন পিঠ আরও মারাত্মক। মুসলমানদের কোনো একক রাষ্ট্র নাই। ইনফ্যাক্ট কোনো রাষ্ট্রই নাই। রাষ্ট্রের স্বার্বভৌমত্বের দাবির প্রধান শর্ত হচ্ছে নিরংকুশ আনুগত্য দাবি। ফলে রাষ্ট্রে বাস করতে গেলে রাষ্ট্রের চেয়ে অধিক আনুগত্য করে সে রাষ্ট্রে বসবাস করা যায়না। ফলে মুসলমানরা যেসব অনুসরণ করে তারা সাধারণত আল্লাহর দালালির চেয়ে বিভিন্ন রাষ্টের দালালিকে অগ্রাধিকার দেয়। এসকল অনুসরনীয় আলিম কেউ তুরস্ক, কেউ সৌদি, কেউ ফাকিস্তান, কেউ ইরান, কেউ ভারতের দালাল। এসব বিবদমান রাষ্ট্রের দালাল আলিমরা যেহেতু ইসলামের চেয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থ ইচ্ছায় অনিচ্ছায় বেশি দেখেন ফলে মুসলমানদের কোনো সাধারণ স্বার্থও নাই।

 

ফলে মুসলিম উম্মাহ ধারণাটা উলামা, বুদ্ধিজীবীদের বক্তব্য এবং ইতিহাস বইয়ের পাতা ছাড়া কোথাও এগজিস্ট করেনা। যার অস্তিত্বই নাই তার ঐক্য বা অনৈক্যের কি আছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম। বড় লোকের ছোট বাচ্চারা 'এই যে বাবু শোনোতো' কিন্তু ছোটলোকের বাচ্চারা 'এই পিচ্চি শোন'।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আগেই পরামর্শ দিয়েছিলাম এসব চাপাবাজদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। চরমোনাই গ্রুপকেও লং মার্চের হুমকি দিতে দেখলাম।

 

এসব আন্দোলন সংগ্রাম বর্জ্য বর্জন করে পড়াশোনায় মনোযোগ দিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজনীতি বিষয়টির উপর ঘৃনা ধরে গিয়েছে। মাওলানা তারিক জামিল সাহেবকে শুধু রাজনৈতিক কারনে কুকুর বলার মতো জঘন্য কথাবার্তা যখন কোনো বড় আলিম বলতে পারে তখন দুনিয়াটাই এক তামাশা মনে হয়।

 

মাওলানা ফজলুর রহমান কোনো ফেরেশতা না। বলা শুরু করলে তালিকা অনেক লম্বা। দিনশেষে বিভিন্ন রাষ্ট্রের আলিমরা সেসব দেশের দালাল। আমাদের আকাবিরদের অনেকেই পাকিস্তানের দালাল।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সাধারণত চেষ্টা করি ট্রেনে চড়তে। কারণ বাস দুর্ঘটনা এড়ানো।

 

আহা জীবন, আহারে জীবন।

গানটা সুন্দর না?

 

 

 

 

 

 

দেখলাম তিনজন ওয়ায়েজের ওয়াজ নিষিদ্ধ হয়েছে কুমিল্লায়। আমার মনে হয় সারাদেশেই ওয়াজ নিষিদ্ধ করা উচিৎ। কারণ

 

১) ভালো ওয়ায়েজ নাই বললেই চলে। বানোয়াট কিসসা কাহিনী আর জাল হাদিসের মহৎসব হচ্ছে ওয়াজ মাহফিল

২) প্রচলিত ওয়াজ মাহফিল আর কনসার্টের ভেতর পার্থক্য নাই।

৩) এগুলো সমাজে হিংসা বিদ্বেষ আর হুজুর জাতের কাইজ্জা ছড়াচ্ছে।

৪) অসম্ভব শব্দ দূষণ

 

 

 

 

 

 

 

 

এদেশে হুজুররা যত ফালতু কথা বলে তার মধ্যে একটা হচ্ছে সা'দ সাহেব ইজরায়েলের টাকা খেয়ে ফেতনা করছে।

 

বলদের জাত।

 

 

 

 

 

 

একটা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং বিতর্কিত কথা হলেও ব্যাপারটা সত্য।

 

মুহাদ্দিসদের চরিত্র যদি আমাদের হুজুরদের মতো হয়ে থাকে তাহলে আসলেই হাদিস শাস্ত্রে আমার বিশ্বাস ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যাবে।

 

আমাদের হুজুরদের মাঝে আমি কোনো সিকাহ রাবি সম্ভবত চিনি বলে আপাতত মনে করতে পারছিনা।

 

 

 

 

 

 

যাইহোক মাওলানা ফজলুর রহমানের মার্চ শেষ হলো। আন্দোলন খতম। এটাই দুঃখ যে তিনি নাওয়াজের জন্য ভাড়া খাটলেন কিন্তু লাল মসজিদের জন্য চুপ ছিলেন। কালও, আজও। তবু গাল শুধু মাওলানা তারিক জামিলের জন্য।

 

আহা জীবন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতের নতুন আমিরের জন্য দুয়া। আল্লাহ তাকে ইসলাম এবং মুসলমানদের খেদমত করার তৌফিক দান করুন। আমিন

 

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমিরের চেহারা সুরত সুন্দর না। কেমন জানি ব্যাক ডেটেড লুক। কাপড় চোপরও স্মার্ট না।

 

আমার সুযোগ থাকলে তাকে একটা জিন্স আর ক্যাটস আই এর শার্ট গিফট করতাম। অবশ্য দাড়ির কাটটাও যেনো কেমন।

 

জামাতকে অবশ্যই তাদের লুক আপ গেট আপে স্মার্ট এবং আধুনিক হওয়া উচিৎ। অথচ তাদের লুক ব্রিটিশ বা আইয়্যুব আমলের ভদ্র ছেলে বা প্রাইমারি স্কুল মাস্টারের মতো।

 

তারা ফ্যাশান এক্সপার্ট হায়ার করতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে বাচ্চা ছেলেদের চুল বড় করতে দিতোনা। স্কুলে যাওয়ার সময় মাথায় তেল দিয়ে দিতো। ভোলাভালা চেহারায় ঘারে স্কুল ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতাম। আমার এক হিন্দু স্যার ছিলেন। তিনিও মাথায় তেল দিয়ে সিঁথি করে আমাদের বাসায় আসতেন। সবাই সে যুগে অকাট ভদ্রলোক ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে আমরা সবাই চেঞ্জ হলাম কিন্তু জামাত শিবিরের নেতা কর্মীরা চেঞ্জ হয়না। আমার এক বন্ধু শিবির করতো। তার চুল বড় ছিলো। তার দায়িত্বশীল তাকে বললো এভাবে চুল রেখোনা। চুল ছোট কর। যেনো ভদ্র দেখা যায়। এটা কিন্তু ইউনিভার্সিটি ছিল। জামাত শিবিরের নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ ঠিক ট্র‍্যাডিশনাল ইসলামি ড্রেস পড়েনা। আবার ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে কেমন হাফ হার্টেড ভাবে। এজন্য যদিও তারা প্যান্ট শার্ট বা পাঞ্জাবি পড়ে তবু্ও তাদের সামগ্রিক লুক দেখলেই মনে হয় জামাত। জামাতের গোলাম আযম সাহেব, তার ছেলে আযমি সাহেব, শাহ আব্দুল হান্নান প্রমুখের লুকটা ভালো কিন্তু। মঞ্জু সাহেব দেখলাম জামাত থেকে বের হয়ে এসে চলতি ফর্মেটে দল করতে। কিন্তু এখনো দেখতে শুনতে সেই সাবেক জামাত করা আব্বু আম্মুর বাধ্য তেল দিয়ে সিঁথি করা গুড বয়। তুতুতু। কিন্তু আমার মনে হয় তাদের ফ্যাশান সেন্স আরেকটু বাড়ানো উচিৎ। মানুষ গুড বয়দের শ্রদ্ধা করে কিন্তু প্রেমে পড়েনা। আমি মেয়ে হলে কখনো মঞ্জু সাহেবকে বিয়ে করতাম না। অনেকে ভাবতে পারেন ইসলামি ড্রেসে আমার সমস্যা। আসলে কিন্তু তা না। মুফতি হারুন ইযহারের ড্রেসিং সেন্স আমার ভালো লাগে। চরমোনাই পিরেরটাও খারাপ না। চলে কিন্তু পান খায়। খুব খাস্টে লাগে। তবে তাদের ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেটা কিন্তু ঠিক আছে।

 

আমার মনে হয় জাতীকে নেতৃত্ব দিতে হলে ফ্যাশান সেন্সটাও দরকারি।

 

আপনারা আমার সাথে ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন।

 

ভলতেয়ার বলেন,.....

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হুজুররা অনেকেই দাড়ি রেখে গোফ সেভ করে। আমার বক্তব্য হচ্ছে হয় ক্লিন সেইভ করেন না হয় দাড়ির সাথে গোফ রাখেন। গোফ ছাড়া দাড়ি বিশ্রী লাগে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহ) মোটামুটি বুদ্ধিমান ছিলেন। তার যুগের এবং আন্দোলনের ইতিহাস সসংরক্ষণের জন্য একজনকে দায়িত্ব দেন। তার নাম ছিলো। ইবনে গান্নাম। ইবনে গান্নামের লেখা ইতিহাস "তারিখুল নজদ"। মজার ব্যাপার ইবনে গান্নাম শাফেয়ী। ইবনে ওয়াহাব হাম্বলি।

 

 

 

 

 

 

বাড়ির পাশের দোকানে পিঁয়াজের দাম একদিনে বেড়েছে ৮০-৯০ টাকা। আল্লাহ জানে এটা যদি চাল হতো তবে কি হতো। কিছু পোস্ট ফেসবুকে মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করতো যে গাযওয়াতুল হিন্দের প্রস্তুতি হিসাবে খাবার মজুদ রাখেন৷ হাতে টাকা থাকবে বাজারে খাবার থাকবেনা। মনে হতো রোমান্টিক ফাজিল পোলাপান আজাইরা ক্রিপ্টো এপোকেলিপ্টিক ফ্যান্টাসি ছড়াচ্ছে। অথচ বাস্তবতা দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। হাদিসে আছে দাজ্জাল আসলে নাকি মুমিনদের কাছে খাবার থাকবেনা। তারা জিকির করে বেঁচে থাকবে।

 

আমি কোনোভাবেই বলছিনা যে পিঁয়াজ অপরিহার্য কোন খাদ্য। এটা ছাড়া চলা যায়না। বরং এটা জুহদ এবং কৃচ্ছতা শেখার ভালো সময়। কিন্তু দাজ্জালের সময় আমাদের বংশের বাচ্চাদের কথা ভেবে ভয় লাগছে। হাজার হলেও আমার বংশধর।

 

 

 

 

 

 

 

 

সাম্রাজ্যবাদী শত্রুদের মোকাবেলার বড় উপায় তাদের পন্য বর্জন। কিন্তু তা কেবল তখনই সম্ভব যখন জুহদ এখতিয়ার অর্থাৎ কৃচ্ছসাধন শিখতে পারা যায়।

 

স্বল্পদামি পুরাতন কাপর পড়ুন। নিয়মিত নতুন কাপড় পরিধান পরিত্যাগ করুন। বাসার আঙিনায় ফল গাছ লাগান। বাসায় সম্ভব হলে হাঁস মুরগী পালুন। সফট ড্রিংকস বর্জন করুন। রিকশা ভাড়া বাঁচানোর চেষ্টা করুন। দাওয়াতে তাবলিগের সফর এবং কোনো প্রয়োজনীয় সফর ছাড়া ট্রাভেলিং কমান। টিভি একান্তই রাখতে হলে ছোট টিভি রাখুন। তবে ল্যাপটপ বা মোবাইলেই আরও গরম জিনিসপত্র দেখা যায়। সৌখিন জিনিসপত্র যেমন শোপিস ইত্যাদি কম কিনুন। ফার্নিচার পুরাতন আইটেম কিনুন বা নিজেরা মিস্ত্রি দিয়ে বানিয়ে নিন। কর্পোরেট মার্কেট বর্জন করুন। বাসায় টাইলস টয়লেট এবং কিচেন ছাড়া না লাগানোই ভালো।

 

টাকা পয়সা যা বাঁচে তা সন্তানের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যে ব্যয় করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

উমার বিন আব্দুল আযিয (রহ) কে কেউ বলেছিলেন উমার যদি সবাই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পায় কিন্তু তুমি আটকে যাও তবে তোমার কি লাভ? আর যদি সবাই আটকে যায় কিন্তু তুমি ছাড়া পাও তবে তোমার কি ক্ষতি। আমাদের আন্দোলনমুখি ইসলামি দলগুলো প্রায়ই মুসলমানদের সামষ্টিক জীবন নিয়ে যত কথা বলে ব্যাক্তি জীবন নিয়ে ততটা বলেনা। তার যৌক্তিক কারণও আছে। জামাতগুলোর কাজই মূলত সামষ্টিক কাজের জন্য। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের কাছে শুধু কুরআন এবং সুন্নাহ না বরং কুরআন সুন্না বোঝার ক্ষেত্রে সালফে সালেহিনের এবং উম্মাহর ১৪০০ বছরের কর্মপন্থাও আছে। আল্লাহ পাক মুসলমানদের উপর তাদের সাধ্যের অতিরিক্ত কোনো কিছু চাপিয়ে দেননা। যেসকল বড় দায়িত্ব এবং ফরজিয়াত আদায়ের সামর্থ্য আমাদের নাই তার দায় পালনে অক্ষমতা হেতু ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু।

 

সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতিরোধ এবং তাদের থেকে উম্মাহকে রক্ষা করা এই দীনের কাতঈ অংশের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু যখন তা আমাদের সাধ্যের অতিরিক্ত তখন তা আমাদের জন্য আল্লাহর দয়া এবং ছাড়ের অন্তর্ভুক্ত। যেমন বনু উমাইয়ার এবং বনু আব্বাসের জালিম খুলাফাদের সাথে সলফে সালেহিনের আমর বিল মারুফ নাহি আনিল মুনকার এর তরবারি ব্যার্থ হলে সালাফের এক অংশ দাওয়াত এবং তালিমের মাধ্যমে ব্যাক্তি ও সামাজ গঠনের ভেতর দিয়ে দীনের তাজদিদি কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। ১৮৫৭ সালের জঙ্গে আজাদি ব্যার্থ হলে বিশাল পাক ভারত উপমহাদেশে সবাই মাওলানা কাসিম নানুতুভি (রহ) একজন ছাত্র নিয়ে তাহরিকে দেওবন্দ শুরু করেন যা আজ বিশ্বব্যাপী বিশেষত খোরাসান থেকে আরাকান পর্যন্ত ফুলে ফলে দারুণ সুশোভিত এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে উম্মাহর সবচেয়ে বড় ঢাল (তরবারি যদি নাও হয়ে থাকে)।

 

আমি যখন সাম্রাজ্যবাদীদের বিলাসি পন্য বর্জনের দাওয়াত দেই তখন এই দাওয়াত তাদের অর্থনৈতিক শক্তি প্রত্যক্ষভাবে ভেঙে ফেলার দাওয়াত না। বরং আমাদের নিজেদের ব্যাক্তিগত ও সামাজিক সামর্থ্য রক্ষার দাওয়াত। শত্রু আমাদের অসংখ্যভাবে আক্রমণ করছে। তার মাঝে একটা হচ্ছে আমাদেরকে ভুল খাতে আগ্রহী করে তুলছে। আমার বক্তব্য হচ্ছে তাদের বিলাসি পন্য বর্জন করলে আমাদের লোয়ার ক্লাস, মিডল ক্লাস পরিবারগুলো নিজেদের স্বার্থে সেই সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করতে পারে। ধরেন আপনি যদি আপনার ব্যয় কমাতে পারেন তবে আপনার স্ত্রীকে কোনো পুঁজির দাসত্ব করে সস্তা শ্রম বেচতে বাইরে যেতে হবেনা। আপনার স্ত্রীর শ্রম সংসারে বিনিয়োগ হবে। ফলে পুঁজিবাদিরা তার সস্তা শ্রম থেকে বঞ্চিত হবে কিন্তু আপনি এবং আপনার সন্তানেরা সেই শ্রম উপভোগ করবেন। আপনি যদি সফট ড্রিংকস না খেয়ে সেই টাকা পুষ্টিকর হোম মেইড খাবারে ব্যয় করেন তাহলে কিন্তু লাভ আপনার। আপনি যদি দামি কাপড় না কিনে সন্তানের শিক্ষার পেছনে ব্যয় করেন তাতেও লাভ আপনার। আপনার সন্তান যদি টিভি শো না দেখে সেই সময় আরবি/ উর্দু/ ফ্রেঞ্চ/ স্প্যানিশ শেখে তাতে ফায়দা আপনার। সে হয়তো তার প্রফেশনাল জীবনে এজন্য বড় সুবিধা হতে পারে। আমার পরিচিত একজন জাপানি ভাষা জানায় তার কোম্পানি লোক ছাঁটাইয়ের সময় তার চাকরি টিকে যায়। আপনি যদি দশ পাড়া কুরআন হিফয করতে পারেন তবে আপনার সালাত দীর্ঘ এবং সুন্দর হবে। শেষ বয়সে সময় কাটাতে লোকেদের বিরক্ত করতে হবেনা। এভাবে অনেক কথা বলা যায়।

 

তবে চূড়ান্ত কথা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের বিলাসি পন্য বর্জনে আমার দাওয়াত আমাদের হুজুরদের মতো আবেগি এবং প্রতিক্রিয়াশীল দাওয়াত না। বরং ঠান্ডা মাথায় নিজেকে গড়ার দাওয়াত। অর্থনীতির ভাষায় সবচেয়ে উৎপাদনশীলখাতে নিজেদের রিসোর্স এবং এনডোওমেন্ট এমপ্লয় করার দাওয়াত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার ব্যাপারে আপনাদের করনীয় ব্যাখ্যা করতে আজ পর্যন্ত যত বক্তব্য পেয়েছি তার মধ্যে নুসায়ের তানজিম ভাইয়ের এই বক্তব্য সবচেয়ে সুন্দর। আল্লাহ ভাইটিকে ইলম এবং হিকমাত দান করুন।

 

তবে ভাই বিশ্বাস করেন আমি খ্রিস্টান না। অন্তত আপনাদের সাথেতো অবশ্যই না। ওয়াল্লাহি আপনাদের সাথে আমি বাইবেল অনুয়ায়ী ব্যবহার করবোনা। আপনারা এক গালে চর মারলে আমি আরেক গাল পেতে দেবোনা।

 

ইটের বদলে পাথর খাবেন। একটা গালি দিলে দশটা গালি খাবেন। বায়াসড সেক্যুলার মিডিয়ার তথ্য দিয়ে একজনকে গালাগালি করলে আপনারা সেক্যুলার মিডিয়ার বায়াসড তথ্যের গালি খাবেন। মাওলানা ফজলুর রহমানকে ডিজেল মাওলানা বললে ওয়াল্লাহি আপনাদের ৭১ এর নারী সাপ্লাইকারি গালি খেতে হবে। মাওলানাকে র এর এজেন্ট বললে আপনাদের সিআইএর এজেন্ট বলবো। আল্লাহ ছাড়া কেউ ঠেকাতে পারবেনা।

 

আমি ভদ্রলোক না। কাঁচের ঘরে থেকে ঢিল ছুড়ে লাভ নাই। আমাকে আনফ্রেন্ড বা ব্লক করার দরজা খোলা আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

উস্তাদ মাওদুদি (রহ) ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার পরিবর্তিত বাস্তবতায় বলেছিলেন যেভাবে বাস্তবতা এগোচ্ছে তাতে আগামীতে আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষিত ব্যাক্তিদের এবং আধুনিক পাশ্চাত্য ধারার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষিতরা পরস্পরের কাছে এতোটা অচেনা হয়ে যাবে যে তারা একজন আরেকজনের ভাষাও বুঝবেনা। তাদের পরস্পরের ভাষা বুঝতে একজন অনুবাদক দরকার হবে। তিনি চেয়েছিলেন এই দুরত্ব দূর হোক। তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন এই দুরত্ব ঘোচাতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার আন্তরিক প্রয়াস সত্ত্বেও তার বক্তব্য এবং ব্যাখ্যা প্রায়ই গোঁজামিলে পরিনত হত। তিনি ইসলামি পরিভাষার সাথে আধুনিক পাশ্চাত্যের পরিভাষা সমন্বয়ে এমন এক নতুন পরিভাষা তৈরি করেন যা দুই ধারার কাছেই এক উদ্ভট জিনিস হিসাবে পরিগনিত হয়। উদাহরণসরূপ তিনি খেলাফতকে বলেন থিও-ডেমোক্রেসি। অথচ থিওক্রেসি, ডেমোক্রেসি সম্পূর্ণ আলাদা এবং সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক মতবাদ। খেলাফতের সাথেতো দুইটা রাজনৈতিক দর্শনেরই মিলের চেয়ে অমিল বেশি। ফলে তার তার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুসারীগন সম্পূর্ণ নতুন এক পরিভাষায় দীক্ষিত হয়।

 

উস্তাদ মাওদুদি (রহ) এমন এক ভাষার জন্ম দেন যা তার উল্লেখিত উভয় ধারার কাছেই অবোধগম্য এবং অনুবাদ প্রযোজ্য বিষয়ে পরিনত হয়। যা সবার সাথে তাদের বিস্তর ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে। গত ৮০ বছরে আফগানিস্তান থেকে আরাকান পর্যন্ত মুসলমানদের এই ভুল বোঝাবুঝির চড়া মূল্য দিতে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ভাসানির রুহের উপর সালাম। তিনি শেষ জীবনে তার আজীবন অনুসৃত কর্মপন্থা থেকে পরিচ্ছন্ন তাওবা করেছিলেন। তিনি আমাদের আকিদা বা ফেকাহর ইমাম না। এমনকি আলিম দূরে থাক মাওলানাও না। তিনি তরিকতের লাইনে কিছু কাজ করেছিলেন। দারুল উলুম দেওবন্দ কিছুদিন সময় কাটান। আশিকে হুসাইন আহমদ মাদানি ছিলেন। টাঙ্গাইলে নিজের বাড়িতে তিনি মাদানি (রহ) এর নামে মাদ্রাসা তৈরি করেন। খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে প্রথম জীবনে হুসাইন আহমদ মাদানির সহযোগী ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান হওয়ার পরে বিভিন্ন মাসলাহাতের দোহাই দিয়ে কমিউনিস্টদের সাথে জীবন কাটান।

 

আমার কাছে যে বিষয়টি বিস্ময়কর এবং শিক্ষনীয় মনে হয় তা হচ্ছে মাওলানা ভাসানী কোনো বড় পন্ডিত ছিলেননা। কমিউনিজম তখন সারাদুনিয়া তোলপাড় করা মতাদর্শ। সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিস্তৃত এলাকা তখন কমিউনিস্টদের দখলে। খোদ ভারতবর্ষ এবং বাংলায় কমিউনিস্টদের বড় বড় তাহরিক হয়েছে। কমিউনিস্ট বড় বড় জাঁদরেল নেতা তার ছাত্র। মতিয়া চৌধুরী, মেনন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তদের গুরু তিনি। কিন্তু জীবনে একদিনের জন্য তিনি নিজেকে কমিউনিস্ট স্বীকার করেননি। ১৯৫৮ সালের কাগমারি সম্মেলনের সময় যখন পুরো আরব বিশ্ব নাসেরের সফট সমাজতন্ত্রের জোঁয়ারে ভাসছে তাদের সমর্থন করেও তিনি কমিউনিস্ট ব্যাক্তিদের মুখের উপর বলেছেন আমি কমিউনিস্ট না৷ কমিউনিস্টরা হুক্কুল ইবাদ নিয়ে কথা বলে তাই আমি তাদের সাথে আছি। সারাজীবন নামাজ রোযা করেছেন। কখনো বড় বড় পন্ডিত মগজ ধোলাই করে তাকে নাস্তিক বানাতে পারেনি।

 

মাওলানা ভাসানি আমার মুর্শিদ না। কিন্তু তার জীবন এটা প্রমান করে ভারী ভারী যুক্তির চেয়ে মানুষের ইমান ধরে রাখতে ইশক অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। তরিকতের রাজনীতি অনেক গভীর। আমাদের সমকালীন ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলো দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই তরিকতের রাজনীতি আত্মস্থ করতে ব্যার্থ হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

''একটু চিন্তা করে দেখুন! হযরত মাদানী রহ. এবং তাঁর চিন্তা ধারার আলেমগণ তারাও যদি পাকিস্তানে পাড়ি জমাতেন, তাহলে আমাদের মাদারে ইলমী দারুল উলূম দেওবন্দের কি অবস্থা হত। যে দারুল উলুম আজ বিশ্ব মুসলিমের রাহবার। গোটা বিশ্বের আনাচে- কানাচে ছড়িয়ে আছে দারুল উলূমের সন্তানেরা। আজো মানুষ যে কোন সমস্যায় দারুল উলুমের স্মরণাপন্ন হয়।উনারাও যদি এই দারুল উলুমকে ছেড়ে চলে যেতেন, আল্লাহ না করুন, আল্লাহ না করুন, দারুল উলুমের দশাটা আজ বাবরি মসজিদের মত হত।''

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা লোকেরা আমার সাথে কাইজ্যা লাগলে আমাকে আলেম বা হুযুর ভাবে কেন?

 

এই পোস্ট মডার্ন নিওকলোনিয়াল ওয়েস্টার্ন কালচারাল হেজিমনিক যুগে কেউ হুযুর বললে কেমন জানি লাগে? কেমন জানি খ্যাত খ্যাত। অযোগ্য, আনস্মার্ট, ব্যাকডেটেড।

 

ঠিক সাহেবদের আদর্শ চাকর হয়ে উঠতে পারিনি মনে হয়। তাহলে এতো বছর এতো পড়ে লাভ কি হলো? প্লিজ হুজুর না বলে স্যার বলুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি অনেক লেখকের লেখা জীবনে পড়েছি। কিন্তু মাওলানা তাকি উসমানি (হাফি) এর চেয়ে বেশি বিনয় কারও লেখায় এতো কনসিসটেন্টভাবে ফুটে উঠতে দেখিনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ নিঃসন্দেহে আমাদের আকাবির। আমাদের মাথার তাজ। ইলম, আমল, তাযকিয়ায় অনন্য। বড়দের ভুল হয়। তারা নবী বা ফেরেশতা না। তাতে তাদের মহান দীনী খেদমত অস্বীকার করার পথ তৈরি হয়না। কারও আমল সুন্দর হলে আমরা তার অন্তর নিয়ে সুধারণা করি। তার ভুল ত্রুটিকে মানবীয় বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত মনে করি।

 

তবে একটা কথা পরিস্কার। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) আমাদের আকাবির। তার চ্যালা চামুন্ডা, চাটুকাররা না। চাটুকাররা বার্ধক্যে হাফেজ্জি হুযুর (রহ), শাইখুল হাদিস (রহ)সহ অসংখ্যা আকাবিরে দীনের ক্ষতি করেছে সে ইতিহাস আমরা জানি। আমরা ইতিহাস বিচারে কাঁচা না।

 

আপনি যখন দেখবেন কারও ইলমি, আমলি, দাওয়াতি কর্মকাণ্ড দুর্বল কিন্তু কোনো মহান আকাবিরের স্তুতি বাক্য এবং অন্যান্যদের সমালোচনাই তার মূল কর্মকান্ড তখন বুঝবেন এই ব্যাক্তির মাঝে সমস্যা আছে। এটাই মুয়াবিয়া (রা) এর সাথে ইয়াজিদের পার্থক্য। এটাই মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর সাথে তার চাটুকারদের পার্থক্য। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ এখনো অসংখ্য ইসলাহি মজলিস করেন। হ্যাঁ কখনো তিনি অন্যান্য উলামাদের সঠিক বা ভুল সমালোচনা করেন। এটা হতে পারে। তারাও মানুষ। রক্তে মাংসে মানুষ। কিন্তু এই সমালোচনা তার বক্তব্যের কত শতাংশ? কিন্তু তার চাটুকারেরা সুযোগ পেলেই অন্যদের সমালোচনা করেন। এটাই তাদের প্রধান কাজ। এটা ছাড়া তাদের বড় কোনো অবদান নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

চামচা শুধু মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর খারাপ তা নয় বরং মাওলানা আব্দুল মালিক (হাফি) এর গুলোও। এদের মাঝে অনেকেই চূড়ান্ত উগ্র এবং অভদ্র।

 

চামচা জাতটাই এমন। একেই বলে পিরের চেয়ে মুরিদ জবর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ভাষায়,

 

বাবু যত বলে পারিষদ দলে বলে তার শতগুন

 

 

 

 

 

 

 

 

সকল পশ্চাৎপদ ধারণা থেকে বের হয়ে এসে আসুন একটা উদার আধুনিক গনতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলি।

 

তালেবানি ধ্যান ধারণা থেকে জাতীকে মুক্ত করতে জামাত শিবিরসহ সকল মৌলবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা, আফগানিস্তানের তালেবান আন্দোলন এবং জামাতি ভাইয়েরা

 

এটা কোনো গোপন বিষয় না যে আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্ব দেওবন্দি চিন্তাধারার একটা দল। ইখওয়ান এবং জামাতের যথেষ্ট পার্থক্য সত্ত্বেও আপনারা যেমন ইখওয়ানের সাফল্যে খুশি হন তেমন দেওবন্দিরা বিশ্বব্যাপী তাদের সমচিন্তার কারও সাফল্যে খুশি হয়। কিন্তু দেওবন্দি আন্দোলন অত্যন্ত ফ্লেক্সিবল এবং ভার্সেটাইল। মতাদর্শগত মিল সত্ত্বেও কর্মকৌশলগত বিপুল পার্থক্য দেওবন্দিদের মাঝে আছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশে দেওবন্দিরা স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কাজ করে। একই দেশেও তাদের মাঝে কর্মকৌশলগত পার্থক্য আছে। তাবলিগের মাওলানা জুবায়ের সাহেব দেওবন্দি আবার মোল্লা উমার দেওবন্দি। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ দেওবন্দি আবার মাওলানা সামিউল হক বা মাওলানা বাবুনগরি দেওবন্দি। তাদের এই ডাইনামিক চরিত্র আপনাকে বুঝতে হবে। অন্তত বাংলাদেশ এবং ভারতে দেওবন্দিরা মোটেই সশস্ত্র কর্মপন্থা গ্রহণ করবেনা। প্রয়োজনে তাদের একটা অংশ অধিক কৌশলী হবে। যদিও আপনারা একই মুখে তাদের জঙ্গি এবং দরবারি হওয়ার অক্সিমরণ অভিযোগ করেন তবে তারা কোনোটাই না। তারা উপমহাদেশের প্রাচীন এবং ডাইনামিক হানাফি সুফি ইসলামি ধারা। এই সাধারণ সত্য না বোঝায় আপনারা চারদলীয় জোট সরকারের সময় দেওবন্দিদের সাথে গুতাগুতি করেছেন। সালাফি জেএমবি বিদ্রোহের সাথে দেওবন্দিদের মিশিয়েছেন। দেওবন্দি মাদ্রাসায় তালেবান খুঁজেছেন। ব্যাপারটা আপনাদের জন্য লাভজনক হয়নি। আজও দেওবন্দিদের মাঝে তালেবান খুঁজে তাদের খুচিয়ে লাভ করতে পারবেননা। কারণ তাদের স্ট্র‍্যাটিজিক ডেপথ অনেক গভীর। হাজার বছরের পুরানো শিকড়। এসব হালকা কথায় তা উপড়ানো যাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতিরা যে কওমিদের গালাগালি করে এতে কিন্তু আমি দারুন খুশি। কারণ জামাত নেতৃবৃন্দের ফাঁসির পরে যারা কট্টর জামাতবিরোধী তারাও অনেকে ব্যাক্তিগতভাবে মজলুম হিশাবে তাদের প্রতি সহানুভূতি বোধ করেন। কিন্তু এর মাধ্যমে তাদের ভুলভাল অনেক চিন্তা দেওবন্দিদের মাঝে ঢুকছিলো। এখন জামাতিরা যদি দেওবন্দিদের গালাগালি করে তবে এই সহানুভূতি দুর্বল হয়ে যাবে এবং তাদের চিন্তার ফেতনা থেকে দেওবন্দিদের বাঁচানো যাবে।

 

তাই আমি প্রায়ই জামাতিদের উস্কাই যেনো তারা দেওবন্দিদের গালাগালি করে। মোসাদের কৌশল বোঝা দায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর আকাবিরে দেওবন্দের অন্তর্ভুক্ত। তিনি শহীদে বালাকোট সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর মুরিদ ছিলেন।

 

উল্লেখ্য তিনি শিরক বিদয়াত বিরোধী সুফি ছিলেন। আহলুল হাদিস ভাইয়েরা পির মুরিদির বিরুদ্ধে। ফলে তিতুমীর (রহ) এর লিগেসি তারা দাবি করতে পারেননা। কারণ তিনি ডিফল্ট বিদাতি। বেরেলভি ভাইয়েরা সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ)কে কাফের ভাবেন। যার পির কাফের সে কিভাবে অনুসরণীয় হতে পারে। ফলে দেওবন্দি চিন্তাই তার সাথে সাযুজ্যপূর্ণ।

 

উল্লেখ্য রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, কাসিম নানুতুভি, হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি সবাই সিলসিলাগতভাবে শাহ আব্দুল আযিয এবং সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) এর সিলসিলার মাশায়েখ ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মেজর জলিল জামাতকে পছন্দ করতেননা। তার তাওবা করে ইসলামি হওয়ার পরেও। জামাতকে বলতেন পুঁজিবাদী ইসলামের ধারক। তবে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী বিরোধী হওয়ায় এবং ইসলামপন্থায় রুপান্তরের কারণে জামাত বাজারে তাকে জনপ্রিয় করতে অবদান রাখে। তিনি হাফেজ্জি হুযুরকে সম্মান করতেন। ইরান বিপ্লবে মুগ্ধ ছিলেন। শিয়া সুন্নি ঐক্যের গান গাইতেন। রাজনৈতিক বিপ্লবে আস্থা হারাননি। শুধু মার্কসবাদের জায়গায় ইসলাম বসাতে চেয়েছেন। কিন্তু মেহেনতি মানুষের রাজনীতি এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার স্লোগান আমৃত্যু ধরে রেখেছিলেন। আসলে মানুষের মৌলিক পরিবর্তন কঠিন। এজন্য শৈশব, কৈশোর এবং তারুণ্যে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লবণ ছাড়াও চলা যায় মানে খাওয়া যায়। সম্ভবত জাপানিরা লবণ ছাড়াই খায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার মোসাদ হওয়ার গল্প

 

সকল দলের মানুষের সাথে আমার ছোটবেলা থেকেই খাতির কিন্তু দুই চারদিন তাবলিগ ছাড়া কোনো দলের সাথে কাজ করিনি। একবার শিবিরের কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির সাথে আড্ডা হয়। আমার সাথে আলাপ করে তার ভালো লাগে। আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি নিয়ে কম বেশি জানি। কথায় কথায় তাবলীগ প্রসঙ্গ আসলো। আমি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলাম কেন তাবলিগ একটা ভালো এবং উপকারি জামাত। তবে কথা বলেছিলাম থার্ড পার্টি হিশাবে। অবশ্যই টিপিক্যাল তাবলিগিরা আমার মতো ইসলামের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখেনা। ফলে তিনি কল্পনাও করেননি তাবলিগের সাথে আমার কোনো এ্য্যাফিলিয়েশন থাকতে পারে। বললেন তাবলিগ জামাত ইহুদি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা সংগঠন। ইজতেমায় কিছু ব্যবস্থাপনায় নাকি বাটা স্পন্সর করে। আমাদের দেশে অনেকের মতে বাটা ইহুদি প্রোডাক্ট। সেই সভাপতি ভাই বললেন ইজরায়েলের স্পন্সরে তাবলীগ চলে। মুসলমানদের রাজনৈতিক চেতনাশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হচ্ছে তাবলীগ। তাকে বোঝানো সম্ভব হয়নি যে এই ধারণা অসত্য। বরং শান্তিপ্রিয় হওয়ায় বুঝতে পারলাম তাবলীগ জামাত ইহুদি ইজরায়েলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। ভালোবাসা মারাত্মক জিনিস। বোধ বুদ্ধি ধ্বংস করে ফেলে। যেহেতু তাবলীগ করতাম তাই বুঝতে পারলাম ইজরায়েলের জন্য কাজ করছি এবং কাজটা বেশ গোপনভাবে হচ্ছে অনেকটা গোয়েন্দা সংস্থা স্টাইলে তাই আমি মোসাদের জন্য কাজ করছি বলাই যায়। মোসাদ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং গৌড়বময় প্রতিষ্ঠান। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক আছে উপলব্ধি করে আলাদা সুখ অনুভব করলাম। সেই থেকে আমি মোসাদ এজেন্ট।

 

অনলাইনে গল্পটা আগে কখনো বলিনি। ইচ্ছা হয়নি। আজ বলতে ইচ্ছা হলো তাই বলে ফেললাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ নিঃসন্দেহে বড় আলিম। তার চরম শত্রুও তার যোগ্যতা স্বীকার করে। তার ছাত্রদের অনেকেও বড় বড় আলিম। কিন্তু তাকে জামায়াতে ইসলামি বেশ অপছন্দ করে কওমি ঐতিহ্যগত জামাতবিরোধী অবস্থানে তার দৃঢ়তার কারণে। বিগত জোট সরকারের সময় মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে জেলে যান। তাঁর নিজের দাবি এর পেছনে জামাতের হাত ছিলো। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের অভিমতও তাই। কিন্তু এই নিপীড়ন তাকে প্রতিশোধ পরায়ণ করে তোলে। তিনি জামাতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণের কোনো সুযোগ ছাড়েননি। ফলে জামাতের সাথে তার সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।

 

তবে কেবল জামাতপন্থীরা না কওমিদের বিপুল অংশও তার বিরুদ্ধে। শাহবাগ আন্দোলনের সময় থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে জমহুর উলামাদের সাথে তাঁর ভিন্নতার সূচনা হয়। সর্বশেষ মাওলানা সা'দ ইস্যুতে তাবলিগের বিভক্তিকে কেন্দ্র করে জমহুর উলামাদের সাথে তাঁর বিভক্তি প্রকাশ্য এবং চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।

 

তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম অভিযোগ আছে তবে ইসলামি জনতার প্রধান অভিযোগ আওয়ামী লীগের সাথে তাঁর অতি খাতিরের বিষয়টি। তবে আমার মতে যারা সরকারের সাথে মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের সুসম্পর্ক খারাপ চোখে দেখেন, যারা আন্দোলনেই সকল সমস্যার সমাধান খোঁজেন তারা বোঝেননা যে এদেশের সকল কওমি হুজুরকে যদি আসহাবে উখদুদের মতো হত্যা করা হয় তবে তাতে সাময়িক হাঙ্গামা ছাড়া ক্ষমতাসীনদের বড় কোনো সমস্যা হবেনা। বরং সেই হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাবলিশমেন্টের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিবে।

 

কিন্তু হিকমাহ এবং উম্মাহর নিরাপত্তার নামে আকিদা এবং ফেকাহ সংক্রান্ত ধারণা যদি দূষিত করা হয়, যদি ইসলামের বিশুদ্ধতা রক্ষা করা না যায় তবে সেটাওতো গ্রহণযোগ্য না। এভাবেই ইহুদি এবং খ্রিস্টানরা প্র‍্যাগমেটিক প্রয়োজনের অযুহাতে নিজেদের দীন বিকৃত করেছে। তাছাড়া ইসলামের মৌলিক আকিদা এবং ফেকাহ সংক্রান্ত ধারণায় বিচ্যুতি প্রতিরোধে ব্যার্থ হলে ফ্রেঞ্চ রেভ্যুলেশনের মতো মানুষ উলামাদের প্রতি আস্থা হারাবে এবং র‍্যাডিকেল টেররিজমে জড়িত হবে। আজেবাজে কথা বলে তা ঠেকানো যাবেনা।

 

অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে লক্ষ্যনীয় যে শাইখের আশেপাশে অনেকেই লিবারেল ইসলামে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। অনেকে প্রকাশ্যে ইসলামি রাষ্ট্র ধারণা প্রত্যাখ্যান করছে। এগুলো আমাদের হতাশ করে। আমাদের অবশ্যই কৌশল এবং ধান্দার পার্থক্য পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্র‍্যাগমেটিজম যেন ইসলামের বিশুদ্ধতা নষ্ট না করে তার দায় আমাদের। পাশাপাশি মুসলমানদের অস্তিত্ব ছাড়া কোনো ভালো ইসলাম বা ইসলামি বিজয় হবে মনে করা বোকাদেরও সতর্ক করা উচিৎ। আল্ট্রা ফ্যানাটিসিজম কোনো ভালো কাজ না।

 

সার্বিক সমন্বয়ই হক পথ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলিমদের মজলিশে কারও সম্মান গায়ের জোড়ে প্রতিষ্ঠা করা যায়না। এটার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। যারা আহলে ইলমের সাথে গভীর সম্পর্ক রেখেছেন তারা জানেন। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় তার ভক্তবৃন্দ অত্যন্ত মর্মাহত। ফলে তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন এবং পাল্টা গালাগালি শুরু করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে মাওলানা মাসুদের জন্য সর্বোচ্চ মাত্রার সুধারণা রেখেও যদি কথা বলি তবে আমার কয়েকটি পর্যবেক্ষণঃ

 

১) মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ নিজে পরিস্কার বলেছেন তিনি জমহুরের কাছে তার মান ইজ্জতের তোয়াক্কা করেননা। সেটা সত্য হলে তার ভক্তবৃন্দের জন্য তা না মেনে উপায় নাই। এমন হতে পারেনা যে তিনি খিজির (আ) এর জিন্দেগী এখতিয়ার করবেন আর আহলে মুসা আপত্তি করবেনা।

 

২) মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ সাহেবের ভক্তবৃন্দ যদি ওজাহাত করতে চান তবে তারা মাওলানা মাসুদ সাহেবকে তার উস্তাদ, ছাত্র এবং মহান উলামায়ে কেরাম ৫-৭ বছর আগে কে কি বলেছে তা দিয়ে পিঠ বাঁচাতে পারবেননা। কারণ অন্তত কওমিপন্থী সমালোচকদের মাঝে এব্যাপারে মোটামুটি ইজমা আছে যে তিনি আকাবিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পরে বালআম বাউরের মতো তার অধঃপতন হয়েছে। জামায়াতও তাকে বড় আলেম স্বীকার করে। ফলে পুরাতন দীনী ক্রিডেনশিয়ালগুলো তাঁর জন্য ঢাল হিসাবে কাজ করবেনা।

 

৩) যারা মাওলানা মাসুদের পক্ষে লিখেছেন তাদের কারও কারও লেখায় আওয়ামী ক্ষমতার অহংকার পরিস্কার। হয়তো আকাবির পূজা নয়তো আওয়ামী ঔদ্ধত্য। কিন্তু আহলে ইলমের মাঝে এভাবে সম্মান অর্জন করা যায়না। আকাবিরপূজা ও আসাবিয়্যাহ আম জনতা এবং রাজনীতিতে দরকারি হলেও আহলে ইলমের মজলিশে নিকৃষ্ট মুনকার। এখানে কথা হওয়া উচিৎ দালিলিকভাবে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের জবাব কুরআন, সুন্নাহ এবং সাহাবাদের আসারের ভিত্তিতে দিতে হবে। আপনার উপর যখন মৌলিক ইসলামি আপত্তি করে তখন আকাবির আমল ও বক্তব্যও দলিল না। সেখানে আওয়ামী ঔদ্ধত্য প্রদর্শন আপনাদের আরও ঘৃণিত করার চেয়ে বেশি কিছু করবেনা। উলামায়ে কেরাম এবং আওয়ামকে হত্যা করা যাবে, জেল জুলুম করা যাবে, হয়রানি করা যাবে কিন্তু প্রেম বা শ্রদ্ধা কোনোটাই এভাবে পাওয়া যাবেনা। শাসকরা আলিমদের বলতে পারে, মন চাইনা দেহই দে কিন্তু আলিমরা কি তা বলতে পারে?

 

৪) বাস্তব সত্য হচ্ছে এদেশে জমহুর উলামা আওয়ামী লীগকে মেনে নিয়েছে সেই মেয়ের মতো যার নিপীড়ক স্বামীকে ঘৃনা করা সত্ত্বেও যাওয়ার জায়গা না থাকায় আটকে আছে। সে হয়তো স্বামীর সাথে শয়, সহবাসের ফোরপ্লের সময় সেও স্বামীকে আদর করে, প্রতিবেশির কাছে স্বামীর ঐশ্বর্যের গৌরব করে কিন্তু মন থেকে ঘৃনাও করে। শুকরিয়া মাহফিলের কারণে তাদের অন্তরের ঘৃনা যায়নি। হ্যাঁ তাদের নিন্দা করতে পারবেন এবং তাদের মানুষের সামনে শুকরিয়া মাহফিলের কথা বলে হেয় করতে পারবেন কিন্তু তার মানে এটা না যে আপনি তাদের অন্তরে জায়গা পাবেন। জঙ্গি জুজু, পাকিস্তানপন্থার ট্যাগ ইত্যাদি দলিল না হুমকি। এগুলো রাজনীতিতে চলবে। কিন্তু সম্মান মর্যাদা ভিন্ন জিনিস।

 

৫) সম্পূরক আলাপ আগের পোস্ট। তবে যদি ধারণা হিসাবে ইসলামি রাষ্ট্র ইলমি ময়দানে অস্বীকার করেন তবে তা সুস্পষ্ট জান্দাকা। মুসলমানদের হাজার বছরের সকল মাজহাবের ফিকাহর কিতাব ডাস্টবিনে ছুড়ে মারতে হবে যদি দারুল ইসলাম এবং দারুল কুফরের ধারণা ছুড়ে ফেলা হয়। খারেজি বলেছে বলে 'ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ' কুরআন থেকে মানসুখ হয়নি। হাকিমিয়্যা তাওহীদের মূল অংশ না কিন্তু তাওহীদ বহির্ভূত না। এর ফরজিয়াত অস্বীকার করা অবশ্যই কুফর কারণ তা বিপুল পরিমান আয়াতের জাহেরি এবং বাতেনি অর্থের বিরুদ্ধে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানুষ আরামে থাকলে অলস হয়ে যায়। পাঞ্জাবি জুব্বা বেশ আরামদায়ক এবং বিলাসি পোশাক। পাশাপাশি কিছুটা অভিজাত। কিন্তু সাধারণত হুযুররা আর অভিজাত শ্রেনীতে নাই। লোয়ার ক্লাশ। সর্বোচ্চ লোয়ার মিডিল ক্লাশ। তাই মাদ্রাসাগুলোতে পায়জামা, পাঞ্জাবি, জুব্বা নিষিদ্ধ করে ইউনিফর্ম হিশাবে থ্রি কোয়ার্টার এবং টি শার্ট বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। দাড়ি যেহেতু ওয়াজিব তাই সেটা থাক।

 

একবার ভাবেন মুফতি ফয়জুল্লাহ, নূর হোসেন কাসেমি, ওলিপুরি, ফরায়েজি হুজুরেরা সবাই মিলে থ্রি কোয়ার্টার পরে জাতীয় উন্নয়নে মাঠে ঘাটে কাজ করছে। কি অসাধারণ দৃশ্য। জাস্ট ভাবুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাম যদি হেরে যেতো রামায়ণ লেখা হতো রাবণ দেবতা হতো সেখানে।

..................................................................

ভালোবাসা আসলেতে পিটুইটারির খেলা আমরা বোকারা বলি প্রেম

 

মহাকবি নচিকেতা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

* শাইখের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আল্লাহ বাড়িয়ে দিন। অসাধারণ।

 

* জোশ এবং জজবায় অযথা সরকারের সাথে কাইজ্জা করে ঝামেলা বাদিয়ে অন্যদের প্রজ্ঞার সমালোচনা করা একটা ফালতু কাজ।

 

* এমন প্রোগ্রাম মাঝে মাঝেই করা চাই।

 

YOUTUBE.COM

যুব আলেমগণের সাথে মতবিনিময় সভায় কি আলোচনা করলেন শায়খে চরমোনাই?বিএম‌এ মিলনায়তন, ঢাকা।

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রাথমিকভাবে অনলাইন ইসলামপন্থী একটিভিস্টদের নিয়ে কেউ গেট টুগেদার করতে পারেন যেভাবে যুব আন্দোলন যুবক আলিমদের নিয়ে করলো।

 

বিশেষত ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কাছে এব্যাপারেও উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি.

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি এখনো বিশ্বাস করি মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এবং তার চামচারা এক না। তবে আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে অনেক চামচা সত্যি সত্যি আকিদাগত সেক্যুলার। এদের অন্তরে ইবলিশের বিশাল বাসা। এরা চাইলের জনকন্ঠে কলাম লিখতে পারে। এরা প্রত্যেক বিরোধীদের খন্ডন না দমন করতে চায়। ফলে যার তার মাঝে তারাও জনকণ্ঠ স্টাইলে জামাত, আল কায়েদা, বাগদাদি সবকিছু দেখতে পায়।

 

আমার কাছে মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ বা মাওলানা আব্দুল মালিকের ব্যাক্তিসত্ত্বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। পছন্দ না হলে যেকেউ যেকাউকে গালাগালি করতে পারে। কেউ মূর্খ না হলে অবশ্যই জানবে যে আলেমরা পছন্দ না হলে হাজার বছর ধরে যাকে ইচ্ছা তাকে গালাগালি করেছেন। ন্যায় এবং অন্যায় উভয়ভাবেই গালাগালির উদাহরণ সাহাবাদের যুগ থেকেই আছে। এগুলো সহই মুসলমানরা হাজার বছর ধরে একই সমাজে সহাবস্থান করেছে। কখনো শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বা বিচ্ছিন্নভাবে সামরিক বা কৌশলগত লড়াই করেছেন। কিন্তু সেক্যুলারিজমের দর্শন এবং আকিদা অবশ্যই অবশ্যই কুফর।

 

আল্লাহর ওয়াস্তে কেউ এখন মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) বা দারুল উলুমের কংগ্রেস সমর্থনের দলিল দেওয়ার ছাগলামি কেউ করবেননা। ওটা আকিদা না বরং মাসলাহা এবং মাফাসিদ সম্পর্কিত ফেকাহ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রুজভেল্ট থেকে শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত সকল মার্কিন প্রেসিডেন্টের মাঝে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনীতি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। উপমহাদেশে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে আরএসএসের কাজ। আমার কাছে কেউ করনীয় কি জানতে চাইলে আমি তাকে পরামর্শ দেই আরএসএস নিয়ে পড়ো।

 

ভাই আমি কখনো বলিনি আপনাকে আমার সাথে এসব ব্যাপারে একমত হতে হবে। কিন্তু এটাই আমার মত।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি মাঝে মাঝে ভাবি অন্যদের সমালোচনা ছেড়ে দেবো। বিশেষত জামায়াতের সমালোচনা ছেড়েই দিতে ইচ্ছা করে। লেবু বেশি চিপলে তিতা হয়ে যায়। কিন্তু ছাড়া মুশকিল। কারণ হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের মতভিন্নতা কেবল একটা, দুইটা, চারটা মাসয়ালার না। নেতৃত্বের সংঘাতও না। বরং এটা হচ্ছে মৌলিক উসুলি এখতেলাফ। যেকারণে কোনো কিছুতেই তাদের সাথে একমত হওয়া যায়না। যেখানে একমত হওয়া যায় সেখানেও অনেক কিছু খসখস করে।

 

জামায়াতের কাছে ইসলামের এবং তাওহীদের মূল হচ্ছে হাকিমিয়্যা। ফলে ক্ষমতা দখল ছাড়া ইসলামের সকল আকিদা এবং আমল অর্থহীন। তারপরে বৈশ্বিক পরাধীনতা এবং দুর্বলতার যুগে যেহেতু ক্ষমতা দখল করা প্রায় অসম্ভব তাই তারা৷ তাবিল করে ইসলাম ছেড়ে দিয়ে হলেও ক্ষমতা দখল করতে চায়। এই রোগ শুধু জামায়াতের সাথে সম্পৃক্তদের মাঝেই আছে তা নয় বরং যারা তাদের দ্বারা প্রভাবিত তাদেরও আছে।

 

আজকাল নতুন তামাশা শুরু হয়েছে বিদয়াতের সঙ্গায়ন নিয়ে। এককালে পেট্রোডলার আর জামাতের প্রেম পীরিতি সকল মহলে ব্যাপক পরিচিত ছিলো। তখন তারা এতো সালাফি ঘেঁষা হয়ে গেলেন যে কওমিদের তারা ব্যপকভাবে বিদয়াতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা শুরু করলেন। কেবল কামালুদ্দিন জাফরিদের মতো আলিমরাই না বরং সারসিনা মাদ্রাসা থেকে পাশ করা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদি সাহেব ATN BANGLA চ্যানেলে সালাফি ফতোয়াগুলো দিতেন। প্রত্যেক ইস্যুতে তাদের ফতোয়ায় এমন ব্যাখ্যা জুড়ে দেওয়া হতো যাতে মনে হতো ফিকহি বিষয়গুলোতে হানাফিদের কোন বিশেষ দলিলাদি নাই। সালাফিরা হচ্ছে দলিলের ডিব্বা। তারপর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিবর্তিত অবস্থায় মাদখালি ডমিনেটেড সালাফিবাদের সাথে তাদের ডিভোর্স হলে সাবেক স্ত্রীর সেলাই করা টুপি জায়নামাজও ডাস্টবিনে ফেলে দিতে তারা বদ্ধ পরিকর। বিদয়াতের সংঙ্গায়ন নিয়ে তারা শাফেয়ী সুফিদের সবচেয়ে উদার উসুল প্রোমোট করা শুরু করেছে। পাশাপাশি অনেক সুস্পষ্ট বিদয়াতের ভেতর তাদের অনেক কালচারাল শক্তি খুঁজে পাচ্ছেন। গল্প কেবল এখানেই শেষ না। যারা বিদয়াতের সালাফি সঙ্গায় বিশ্বাস করেন তাদের বক্তব্যে তারা মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি বা আবুল হাসান শামসাবাদি স্টাইলে কেউ কেউ ইহুদি নাসারা এজেন্টও খুঁজে পাচ্ছেন।

 

জামায়াতের ভাইদের সাথে এসব প্যাচাল নিয়ে ক্যাচাল করে লাভ নাই। অনেকে আমার কাছে বিদয়াত নিয়ে জানতে চান। তাদের বলবো মাওলানা আব্দুর রহিম এর 'সুন্নাত ও বিদয়াত' বইটি পড়ে নিতে পারেন। তবে জামায়াতের সাথে যেকোনো বিষয়ে ক্যাচালের আগে যে বিষয়টি মিমাংসা করতে হবে তা হচ্ছে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি চর্চা না করেও ইসলাম চর্চার কোনো উপায় আছে কিনা। নয়তো সারাদিন গাছের শাখা প্রশাখায় যতই অস্ত্র চালান দিনশেষে রাবনের মাথার মতো ঝগড়ার নতুন নতুন বিষয় গজাতেই থাকবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দারুল উলুম দেওবন্দ নতুন কোন ফেরকার ভিত্তি স্থাপন করেনি; বরং জমহুর উম্মত যে আকিদা-বিশ্বাসের প্রবক্তা এবং যেই কর্মধারার অনুসারী উলামায়ে দেওবন্দ ঠিক সেই আকিদা ও আমলেরই অনুসরণে যত্নবান। হ্যাঁ এই বৈশিষ্ট্য তাদের অবশ্যই আছে যে যখনই তারা জমহুর উম্মাতের আকিদা-বিশ্বাস ও তাদের অনুসৃত আমলের উপর কোনো ধুলোবালি (শিরক ও বিদয়াত) পড়তে দেখেছে তখন তারা হিকমত ও দৃঢ়তার সাথে তা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। সেই প্রশংসনীয় চেষ্টার ফলে তাদের প্রতি বিদ্বেষী কোনো কোনো মহল মানুষকে ধারণা দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছে যে, তারা একটি সতন্ত্র ফেরকা, একটা আলাদা দল।

 

মাওলানা তাকি উসমানি

 

দেওবন্দিরা মূলত ঐতিহ্যবাহি ভারতীয় সুফি হানাফিদের শিরক বিদয়াতবিরোধী ধারার উত্তরসূরী।

 

মীর সালমান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খোমেনি এহসান নামে একজন বলেছেন যে সাহাবাদের যুগে আলিম, মুফতি, আল্লামা নামে নাকি আলাদা কোন গ্রুপ ছিলোনা৷ হাহাহহা হাস্যকর। কয়েকদিন ধরে তিনি বিদয়াতের যেসব সঙ্গায়ন করেছেন তা তার অন্তহীন অজ্ঞতার ফল। আলেম মুফতি বেদাত কথাটা আরও বড় অজ্ঞতার ফল ও ফসল। বাস্তবতা হচ্ছে সাহাবাদের মাঝে মুফতি ছিলেন যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, মুহাদ্দিস ছিলেন যেমন আবু হুরায়রা, সুফি ছিলেন যেমন আবু জর আল গেফারি।

 

যাইহোক জাহিল লোকেরা যখন রাজনৈতিক স্বার্থে আজেবাজে বকে তখন খুব হাস্যকর কথাবার্তা ছাড়া আর কি বের হবে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাঙালি সুফিদের বড় ব্যার্থতা আবু আব্দুল্লাহ হারিস আল মুহাসিবি (রহ) কে নিজেরা ভালো করে না চেনা এবং অন্যান্য মুসলমানদের না চেনানো।

 

 

 

 

 

 

 

 

নাবালেগদের কাছ থেকে হাদিয়া মানে উপহার নেওয়ার আগে তার পিতামাতার অনুমতি নিতে হবে। পিতামাতার অনুমতি ছাড়া তাদের উপহার নেওয়া বৈধ না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজকাল বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজ নসিহতের জন্য আয়োজিত মাহফিলগুলো থেকে যথেষ্ট ফায়দা অর্জন করা যাচ্ছেনা উপযুক্ত ওয়ায়েজের অভাবে। অনেকেই ইলম থাকলেও তা সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারেননা সাধারণ মানুষ সম্পর্কে, মানুষের চিন্তা ভাবনা ও সমস্যা সম্পর্কে। আমাদের উলামাদের অনেকেই সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রাখেননা। আবার অনেকের কুরআন হাদিস সম্পর্কে যথেষ্ট ইলম না থাকায় কিসসা কাহিনী নির্ভর ওয়াজ করেন। অনেকের জানাশোনা ভালো হলেও শব্দ চয়নে সমস্যা আছে। ওয়াজ মাহফিলগুলোতে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাগুলোর জন্য অর্থ আদায় করাও একটা উদ্দেশ্য থাকে। এজন্য দরকার একজন উপযুক্ত হাইপ্রোফাইল ব্যাক্তি যার শুধু ইলমি যোগ্যতা থাকবেনা সাথে থাকবে উপযুক্ত প্রোফাইলও। আর এতো কিছুর পরে বড় বড় বক্তারা প্রতিটি ওয়াজে নিবেন লাখের উপরে টাকা। আসন্ন শীতকালে সারাদেশে জমিয়ে চলবে ওয়াজ মাহফিল। আয়োজকদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তারা কাকে দাওয়াত দেবেন তারা।

 

উপরিউক্ত সমস্যাগুলোর সমাধান পেতে পারেন একজন প্রাজ্ঞ ব্যাক্তিত্বের মাধ্যমে। তিনি হচ্ছেন তরুণ উদীয়মান বক্তা, বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, ইজতিহাদি এবং তাজদিদি মেজাজ বহনকারী, সত্যের পথে আপোষহীন, রাজপথের লড়াকু সৈনিক, বাতিলের আতঙ্ক, শীতল মস্তিষ্কের গরম ওয়ায়েজ বিশিষ্ট ইসলামি ব্যাক্তিত্ব হযরত আল্লামা সাইমুম সাদী ভাই।

 

দ্রষ্টব্যঃ খরচ অত্যন্ত কম। মাত্র ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র। আর্থিক সমস্যা থাকলে সাদী ভাইয়ের ২৫,০০০/- থেকে ছাড় পেতে পারেন। বাকিটা আমার। আমি গড়িব মানুষ। গড়িবের হক মারার জন্য আমার অংশের টাকা কমানোর অপচেষ্টা না করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেখ ইয়াসির কাদি মদিনা থেকে পড়েছেন। আর পড়েছেন ইয়েল থেকে। ইয়েল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া অনেক আলিম আমাদেরও আছে। হ্যাঁ ইয়েল পড়া আলিম আমাদের দেশে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে দেশিয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়েছেন এমন আলিম পাওয়া কঠিন না। তবে ইয়াসির কাদির অতিরিক্ত গুণ প্রচুর ব্যাক্তিগত পড়াশোনা, বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামি ইলমি, দাওয়াতি, তাজদিদি ধারাগুলো নিয়ে বিস্তর এবং নিয়মিত জানাশোনা। সাথে পর্যাপ্ত আক্কেল। আমাদের দেশীয় আলিমদের মাঝে এসবের অভাব আছে। যাদের এসব গুনের কিছুটা আছে তারা ফেসবুকে লিখেন না। ওয়াজের ময়দানেও দৌড়ান না। তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। ইয়াসির কাদি ওয়েল পেইড। আমরা আমাদের ইমামদের যথেষ্ট পে করতে পারিনা। অথচ বাজারে ওয়ায়েজরা প্রচুর টাকা পান। সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের ওয়াজ মাহফিলগুলো পপ গানের কনসার্টের মতো হয়ে গিয়েছে। এজন্য ওয়ায়েজরা কেউ গান গায়, কেউ ইংরেজিতে ড্রামাটিক ডায়ালগ আওড়ায়, কেউ ইন্সট্রুমেন্ট ছাড়াই বিশেষ তালে চিৎকার চেঁচামেচি করে। তাছাড়া সুরেলা পুঁথিতো আছেই। বরং ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে পুঁথি পাঠ আসরের আধুনিক সংস্করণ। তবে এজন্য যতটা দায়ী ওয়ায়েজরা তার চেয়ে বেশি দেশের মূর্খ জনতা। শ্রোতারা মূলত শিখতে যায়না। যায় একটা থিয়েটার উৎসবে গিয়ে আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে হেঁসে কেঁদে মৌজ মাস্তি করতে। ফলে শ্রোতারা ভালো আলিম এবং বক্তাদের পেছনে ইনভেস্ট করতে চায়না। আমি মনে করি অন্তত উপজেলার বড় বড় মসজিদে আলিমদের স্যালারি ৩০ হাজার হওয়া উচিৎ। ঢাকা চিটাগাং বড় বড় মসজিদে ইমামের স্যালারি হতে হবে অন্তত ৫০-৬০ হাজার। তাহলে আপনি মেধাবী ব্যাক্তিদের আলিম হিশাবে পাবেন।

 

তবে আপাতত দায়িত্বশীল তরুনদের উচিৎ ভালো পাঠক আলিমদের দিয়ে ওয়াজ ও বক্তব্যের আয়োজন করা। জনতাকে পর্ন আর চটির অসৎ আনন্দ না দিয়ে শেখাতে উদ্যোগ নেওয়া। হ্যাঁ সেক্ষেত্রে প্রথম দিকে ফান্ড নিয়ে সমস্যা হবে। কিন্তু তবু চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। স্বল্প ব্যায়ে কাজ করতে হবে।

 

ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের আমার কিছু পরামর্শঃ

 

১) যারা কমার্শিয়ালি ওয়াজ করেন এবং বেশি টাকা দাবি করেন তাদের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত তরুণ কিন্তু ভালো পাঠক ওয়ায়েজ দিয়ে ওয়াজ করান।

 

২) মাইকের সংখ্যা যতটা সম্ভব কমান। সম্ভব হলে সাউন্ড বক্স ব্যাবহার করুন।

 

৩) ফান্ড ক্রাইসিস থাকলে বিজ্ঞাপনে খরচ কমাতে চেষ্টা করুন।

 

৪) মঞ্চ তৈরিতে খরচ কমান

 

৫) বিশাল মাহফিলের প্রবনতা সাধারণভাবে কমানোই ভালো। ছোট ছোট কিন্তু শিক্ষনীয় মাহফিল হোক।

 

৬) সাধারণ ওয়াজ মাহফিলের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক ওয়াজের আয়োজন করা যেতে পারে

 

৭) আপনার দিনে একাধিক মাহফিল থাকতে পারে এমন বক্তাদের এড়িয়ে চলুন।

 

৮) বক্তার বক্তব্যের পরে অন্তত আধাঘন্টা প্রশ্ন উত্তর সেশন রাখুন।

 

৯) রাত ১১টার ভেতর মাহফিল শেষ করুন।

 

১০) মাহফিলের বক্তব্য রেকর্ড করুন এবং প্রয়োজনে এডিট করে ফেসবুক, ইউটিউব এর মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নিচের চারটি প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তারপর বলেন মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) কিভাবে আকিদাগত সেক্যুলার হতে পারেন? এটা কিন্তু তার শাহবাগের ঘটনার পরে দেওয়া সাক্ষাৎকার।

 

প্রশ্ন : ভবিষ্যতে কি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা আছে?

 

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ : না। আমি রাজনীতি করিনি। রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা নেই, না আসারও ইচ্ছা নেই। এটা মানুষকে পরিস্থিতি তৈরি করে। বর্তমানে রাজনীতিকে আমি জায়েজ মনে করি না। এটা হলো পলিটিক্স। ইসলামে রাজনীতি আছে এটা আমি স্বীকার করি। তবে বর্তমান রাজনীতির যে রূপ, এটা ইসলাম সমর্থন করে বলে মনে করি না।

 

প্রশ্ন : বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আলেমদের কোন পথে এগুনো উচিত বলে মনে করেন?

 

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ : ওইপথে অগ্রসর হতে হবে যা ইমাম মালেক রহ. বলেছিলেন,আখেরি জমানায় উম্মতকে বাঁচার জন্য প্রথম যুগের উম্মতকে অনুসরণ করতে হবে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই হাদিস মনে রাখতে হবে, যে উত্তম কাজের জন্য মন্দকাজের মাধ্যম গ্রহণ করে সেখানে সফলতা আসবে না। আপনি কাজ করবেন ভালো কিন্তু পদ্ধতিটা খারাপ,এভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে না। ইহুদি নাসারা যে পদ্ধতি অবলম্বন করছে, আপনি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সেটাই অবলম্বন করবেন, সেটা হবে না।

 

প্রশ্ন : প্রচলিত গণতন্ত্র সমর্থন করেন কি?

 

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ : শুনুন, ইসলাম ইসলামই। ইসলামি নামাজ বা হজ বলতে কোনো কথা নেই। ইসলামী সমাজনীতি বা ইসলামী অর্থনীতি বলাটাও ভুল। এভাবে ইসলামী রাজনীতি কথাটাও ভুল। ইসলাম তার পরিচয়ের জন্য আলাদা সম্পৃক্ততার দরকার পড়ে নাই। ইসলাম নিজে নিজের পরিচয়। পূঁজিবাদ, সমাজবাদ- এরা কি আরেকজনের সাথে মিলিয়ে পরিচয় দেয়? ইসলামী গণতন্ত্র বলে কোনো কথা নেই। এটা আমাদের পরাজিত চিন্তা, ইসলামের পরিচয় দেয়ার জন্য আলাদা একটা বিষয়কে উল্লেখ করতে হবে।

 

প্রশ্ন : বাংলাদেশে ব্লাসফেমি আইন চালুর দাবি উঠেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। আপনি কী বলেন?

 

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ : এটা বুঝে না মৌলভিরা। ব্লাসফেমি আইন হলো খৃষ্টানদের আইন । আমরা কি খৃষ্টানদের আইন চালুর দাবি করবো? আমরা শরিয়ত চালু করতে চাই। আমরা ব্লাসফেমি চাই না। শরিয়ত যা চেয়েছে, আমরা তাই-ই চাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকেই মূর্খ না মূর্খ সেজে থাকে। অনেকেই দালাল না। দালাল সেজে থাকে। ভাগ্যের ফ্যারে আপনাকে যদি আজীবন বেশ্যা পাড়ায় বন্দী থাকতে হয় তবে কুরআন হাদিসে যাই থাক বিয়ে কিন্তু কোনো বেশ্যাকেই করতে হবে। তখন বিভিন্ন মাসলাহা বিবেচনায় ঠিক করতে হবে কোন বেশ্যাকে বিয়ে করবেন। এটাই জীবন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সবার সমালোচনা করি তার মানে কি আমি সবাইকে ঘৃনা করি বা সবাইকে ব্যার্থ ভাবি? মোটেই না। বরং আমি সুন্নি প্রত্যেক গোষ্ঠীকে মুসলমানদের সম্পদ মনে করি। তাদের ভুল বা মুনকারের জন্য তাদেরকে মাজুরিয়াত বা জাহালতের ওজর দেই, তাদের পক্ষে তাবিল করি বা মানবীয় সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করি। আমি আহলে সুন্নাহভুক্ত দলগুলোর সদস্যদের পাপকেও নবীরা ছাড়া সবাই পাপি হিসাবে একটা ছাড় দিতে চেষ্টা করি। আমি তাদের প্রায়ই ভুল ইজতিহাদের ওজর দেই।

 

আমি বিশ্বাস করি আহলে সুন্নাহর বিভিন্ন গ্রুপের সবার ভুল ত্রুটি সত্ত্বেও তাদের ইলম, হিকমাহ, আমল এবং কুরবানির ফলে কলোনিয়ালিজমের আড়াই শত বছর পরেও মুসলমানদের বিপুল সংখ্যা, প্রভাব, অর্জন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।

 

আমি মনে করি খেলাফতের পতন ফুল স্কেলে শুরু হয় ১৮৪২ সালে তানজিমাতের মাধ্যমে। চূড়ান্ত ধ্বংস ১৯০৯ সুলতান আব্দুল হামিদের পতনে। তার পরে যা ছিলো তা আমরা খেলাফত স্বীকার করতে পারিনা। কথা হচ্ছে খেলাফত পতনের ১৮০ বছর পরেও মুসলিম উম্মাহর নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আজও ইসলামি রাষ্ট্র চায় সেটা নিঃসন্দেহে সকল ইসলামি জামাত এবং তাহরিকের সমন্বিত অবদান

 

তাহলে আমি সমালোচনা করি কেন? কারণ আমি বিশ্বাস করি আত্মসমালোচনার মাধ্যমে উন্নয়নের আরও অনেক জায়গা আছে। আমি সেসব জায়গায় পরামর্শ দিতে চাই। অন্যান্য হতাশাবাদি বা ছিদ্রান্বেষী সমালোচকদের সাথে আমার পার্থক্য হচ্ছে আমি আমার প্রত্যেক সমালোচনার পাশাপাশি বাস্তব সমাধান পরামর্শ দেই। কিন্তু অনেকেই সমালোচনার পাশাপাশি পরামর্শ দেননা। দিলেও সমাধান হিসাবে যে পরামর্শ দেন সেটা রোমান্টিক বা ডগমেটিক গোড়ামিপূর্ণ।

 

দ্রষ্টব্যঃ একই বক্তব্যের পোস্ট আগেও বেশ কবার দিয়েছিলাম। কিন্তু তা পুরাতন হয়ে যাওয়ায় আপনাদের সুবিধার্ধে নতুন পোস্ট দিলাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আলিমদের মাঝে যারা অখণ্ড ভারতের কথা বলেছেন তারা আকিদাগত সেক্যুলারিজম বা ব্যাক্তিগত স্বার্থে নয় বরং ইসলামের বৈশ্বিক সংগ্রামে কৌশলগত সুবিধার বিবেচনায় বলেছিলেন। আমি সত্যিই জানিনা যে বিবেচনা সঠিক ছিলো নাকি ভুল।

 

 

 

 

 

 

 

 

মাহমুদুর রহমানকে আমরা অনেক সম্মান করি। আমিও করি। কিন্তু আমার দেশ প্রথম দিন শাহবাগের পক্ষে লিখেছিলো। তারপর শাহবাগ থেকে 'আমার দেশ' এর বিরুদ্ধে বক্তব্য আসার পরে তারা শাহবাগের বিরুদ্ধে প্রথম লিখে, 'শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যায়'।

 

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস? তবু মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের সাইয়্যেদ কুতুব। মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ দালাল। আল্লামা আহমদ শফি গাদ্দার।

 

আসলে কথা হচ্ছে হুজুররা নিজেদের স্বার্থ দেখবে কেন? তারাতো ফকিন্নির জাত। রাজনীতিতে বড়জোড় ভাড়াখাটা লাঠিয়াল। তারা জান্নাতের জন্য দুনিয়া কুরবানি দিয়ে খালেদা জিয়াকে গদিতে বসাবে। এটা হলে সব ঠিক। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে নিজের স্বার্থ বাঁচাতে গেলেই হুযুর ভালোনা। মুনাফিক।

 

 

 

 

 

 

 

 

‘শাহবাগে জনসমাগম বাড়ছে : কাদের মোল্লার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা’

 

রাজধানীর নানা পেশার হাজারও মানুষ গতকাল মিলিত হয়েছিল শাহবাগ চত্বরে। সময় গড়ানোর সঙ্গে প্রতিবাদী আন্দোলনকারীদের সমাগমও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় সব স্তরের জনতার ঢল নামে সেখানে। জড়ো হন হাজারো প্রতিবাদী মানুষ। তাদের মুহুর্মুহু স্লোগানে ছিল বারুদের উত্তাপ। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনে জড়ো হন তারা। স্বাধীনতাবিরোধীদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর। বিরামহীন স্লোগান আর গণসঙ্গীতে পুরো এলাকায় গণস্রোত নামে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল শাহবাগ ছেড়ে না যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা আসে জনতার কণ্ঠ থেকে। তরুণদের দীপ্ত কণ্ঠের এ হুঙ্কার শাহবাগের আকাশ ভারি করে তোলে। গণজাগরণ আর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আরেক নাম হয়ে ওঠে শাহবাগ। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের দাবিতে এখান থেকেই আন্দোলনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ আন্দোলন শুরু হলেও তা ছড়িয়ে পড়ে নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষের মধ্যে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।

 

দৈনিক আমার দেশ

 

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩।

 

 

 

 

 

 

 

জালিম সুলতান এবং কলোনিয়াল যুগে সুফিরা অত্যন্ত সফল ছিলেন। নিও কলোনিয়াল যুগে তাদের সাফল্য হ্রাস পেলেও অন্যান্য ধারার তুলনা তাদের সাফল্য খারাপ না। কারণ তাদের কাজ আইনভিত্তিক ছিলোনা। ছিলো প্রেম ভিত্তিক। তাদের অনেকে উন্নত ফকিহ না হয়েও ইজতিহাদ করেছেন। এজন্য আকাবিরে দেওবন্দসহ মুহাক্কিক ফকিহ ইমামরা অনেকে অনেক সুফিকে শ্রদ্ধা করার পরেও তাদের ফিকহ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দাওয়াত এবং তাজদিদের ময়দানে কাজ করা প্রত্যেক সুফি ইজতিহাদের চেষ্টা করতেন। এজন্য আমরা দেখবো উপমহাদেশের বড় বড় সুফি ধারা যেমন বেরেলভি, থানভি, মাদানি প্রভৃতির প্রধান ব্যাক্তিদের শুধু ফেকাহ নিয়ে নকল করা বক্তব্যই নাই বরং প্রচুর ইজতিহাদও আছে। ফকিহরা নির্জনতাপ্রিয় হয়েও তাদের ইজতিহাদ হতো মানুষকে উপলব্ধি করে, তাদের ফিতরাতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে।

 

আমাদের নিওকলোনিয়াল যুগে সালাফিদের সুফি বিদ্বেষ এবং পেট্রোডলার সুফিদের যথেষ্ট বদনাম ছড়িয়েছে। অনেক সালাফি জিহাদি পেট্রোডলার না খেয়েও সালাফি শাইখদের সুফি বিদ্বেষের কারণে সুফিদের বিরুদ্ধে অনেক ভুল ও মিথ্যা কথা ছড়িয়েছে। ফলে নিওকলোনিয়াল ওয়ার্ল্ড ওর্ডারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাসাউফের শক্তিকে যথেষ্ট ব্যবহার করা যায়নি।

 

আইন একটা রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক ব্যাপার। ফলে খেলাফত পতনের পরে প্রায় সারা দুনিয়া দারুল কুফরে পরিনত হয়েছে এবং ফেকাহর সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ পতন হয়েছে। তাই তথাকথিত মুসলিম বিশ্বে নিছক ফিকাহ দিয়ে লড়াই অব্যাহত রাখা অসম্ভব। কারণ ইসলামি সালতানাত ফিকাহর কাছে দায়বদ্ধ। পোস্ট এনলাইটমেন্ট নেশন স্টেটগুলো যা কার্যত দারুল কুফর তারা না। (দারুল আমান বা দারুল আহাদ দারুল কুফরের একটা রূপ)। হ্যাঁ মুসলিম বিশ্বে ফিকাহর আবেদন অবশিষ্ট থেকেছে কারণ মুসলিম জনসাধারণের ফিকাহর প্রতি কিছু শ্রদ্ধা ও প্রেম অবশিষ্ট থেকে গিয়েছে। কিন্তু জনগণ আইন বাস্তবায়ন করেনা, করে রাষ্ট্র। তাই ফেকাহ বৃহত্তর পরিসরে অচল।

 

মডারেট ইসলামপন্থীরা মূলত দারুল কুফরের বাস্তবতা এবং ইসলামি আইনের ফাঁক মিলিয়ে একটা ইসলাম বানাচ্ছেন। এটা প্রতিরোধে রক্ষণশীল মুসলিম ফকিহদের কিছু করার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। কারণ তাদেরকে যখন বিকল্প দিতে বলা হবে তখন তারা দিতে পারবেনা। যদি তারা বিকল্প দেয় তথাপি সেটা মোটেই জনপ্রিয় হবেনা। কারণ তাদের সবচেয়ে উদার ফতোয়াও তারা দেন দারুল ইসলামের হুকুম মাথায় রেখে যা দারুল কুফরে প্রযোজ্য হবেনা। দারুল কুফরে তার উপর আমল করলে অনেক চড়া কুরবানি দিতে হবে। কিন্তু কুরবানি দেওয়া সাধারণত সহজ না। কারণ দারুল কুফরে তালিম এবং প্রচারনার নেজামও সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা। তাই সুফি তরিকাগুলোর সফল হওয়া সবচেয়ে সহজ। তাদের প্রেমই কেবল ইসলামের মডারেট ধারণা মোকাবেলা করতে পারে। যেমন ধরেন দাড়ি। দাড়ি ওয়াজিব না মুস্তাহাব বিতর্ক অর্থহীন। কারণ দাড়ি রাখার জন্য আপনার সন্তানকেও আপনি মারতে পারবেননা। সে অভিযোগ করলে পুলিশ হাঙ্গামা করবে। জঙ্গি সন্দেহে বিরক্ত করবে। যখন কেউ দাড়ি রাখতে বাধা দিবে তখন আপনি কোর্টে গিয়ে প্রধান যুক্তি দিবেন ব্যাক্তি স্বাধীনতা। রাসুলুল্লাহ (সা) এর নির্দেশ প্রসঙ্গ বড়জোড় সেকেন্ডারি যুক্তি। ফলে বাস্তবে দাড়ি ওয়াজিব কথাটা ভিত্তিহীন। কিন্তু যখন মুর্শিদ মুরিদের অন্তরে ইশকে রাসুল বসিয়ে দেয় তখন দাড়ি মুবাহ হলেও রাসুলুল্লাহ (সা) এর চেহারা মোবারকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন হওয়ায় মুরিদ তা রাখবে। দারুল কুফরে একজন ফকিহর কাজ হচ্ছে প্রকৃত দীনী ইলম সংরক্ষণ, বিদ্যমান বাস্তবতায় কতটা আমলযোগ্য তা খুঁজে বের করা এবং ভবিষ্যতের দারুল ইসলামে তার চর্চিত ফেকাহর বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখা। এর বেশি কিছু করার সামর্থ্য আপাতত ফুকাহাদের নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা সংক্ষিপ্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যঃ

 

আমার পুরাতন পাঠকরা জানেন আমি শাইখ ইউসুফ আল কারদাওয়ীর কঠোর সমালোচক কিন্তু একনিষ্ঠ পাঠক। আমার জানা মতে বাংলা অনুবাদ হয়েছে তার এমন সকল লেখা পড়া। আমি মূলত তার গবেষণা এবং অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। কিন্তু তার চিন্তা মূলত মডারেট ইসলানপন্থীদের শক্ত ভিত্তি দেয়। উল্লেখ্য তিনি মূলত মডারেটরদের ভিত্তি দিয়েছেন, সাধারণত মডার্নিস্টদের না। যদিও কিছু বিষয় যেমন তার রজম অস্বীকার করার তরিকা মডারেট না বরং মডার্নিস্ট সিনড্রোম। তবে ব্যবহারিক জীবনে যারা আধুনিক জাতীরাষ্ট্রগুলোর মূল ধারায় বিচরণ করতে চায় এবং ইসলামকে সাথে রাখতে তাদের জন্য তার রচনায় হাজারো উপকারি বিষয়বস্তু ছড়িয়ে আছে। কিন্তু তার প্রধান অপরাধ হচ্ছে তার সকল গবেষণাকে ইসলামি বৈধতা দিতে গেলে দুইটা প্রিমাইস বা শর্ত উল্লেখ হবে

 

১) এটা দারুল কুফরের ফিকহ

২) এগুলো দুর্বলতার/ মাজুরিয়াতের ফিকহ

 

এই দুইটি প্রিমাইস উল্লেখ ছাড়া যখন তার ফিকাহ ছড়ানো হয় তখন ইসলামি আকিদা এবং ফিকাহর মূলে আঘাত করা হয়।

 

অবশ্য এই শর্ত দুইটি ইসলামি পরিভাষায় উল্লেখ না করে বা গোপন রেখে সাধারণ ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগে মাওলানা তাকি উসমানি, মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ, ইয়াসির কাদি, সালিহ আল ফাউযান, হামজা ইউসুফসহ অসংখ্য বড় বড় আলিম অভিযুক্ত কোনো না কোনো মাত্রায় অভিযুক্ত হবেন। তবে শাইখ আল কারদাওয়ী এক্ষেত্রে অনেক বড় অপরাধী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা মিথিলার দার্শনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব বোঝেনা তারা আধুনিক মানুষের জীবন সংগ্রামে অপ্রাসঙ্গিক। সংসারী মানুষের উচিৎ তাদের বৈষয়িক বিষয়ে এসব সন্ন্যাসীদের এড়িয়ে চলা।

 

মিথিলা কেবল একটা ভিডিও, পাঁচটা ছবি না। তার একটা গল্প আছে। একটা সুন্দর চেহারা আছে। অসম্ভব জনপ্রিয়তার ইতিহাস আছে। পতনের শব্দ আছে। টিকে থাকার প্রাসঙ্গিকতা আছে। আশ্রয়ের আবাস আছে। কোটি কোটি টাকার বানিজ্য আছে। পাপ, কাম, মায়া, স্নেহ, মাতৃত্ব, স্বপ্ন, বৈচিত্র্য, পরিবর্তন, উচ্চাভিলাষ, দুঃখ বিলাষ, সংগ্রাম, সেলিব্রেটিজম সব মিলিয়ে এক অন্যন্য পোস্ট মডার্ন থার্ড ওয়ার্ল্ড রোল মডেল নারীর গল্প।

 

যারা ভাবছেন মিথিলা শেষ হয়ে গিয়েছে তারা ভুল ভাবছেন। এই লড়াই সংগ্রাম চলবে। এই সংগ্রাম শুধু বাংলাদেশের না বরং সমগ্র মুসলিম অধ্যুষিত জাতিরাষ্ট্রগুলোর সংগ্রাম। মিথিলা শুধু নারীদের সংগ্রামের গল্প না বরং স্ট্যাবলিশমেন্ট এবং এন্টিস্ট্যাবলিশমেন্টের সংঘাত, সম্পর্ক, সংগ্রাম এবং বিবর্তনের গল্প। যারা এই গল্প বুঝবেনা তারা এশিয়া, আফ্রিকায় রক্ষণশীল সমাজগুলোতে আগামী দিনে কোনো দার্শনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক পরিকল্পনায় সফল হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি কাউকে প্রেম করতে পরামর্শ দিচ্ছিনা। তবে একটা ব্যার্থ প্রেম আপনাকে যতটা ম্যাচিউর বানায় একটা ব্যাচেলর ডিগ্রি বা চার বছরের অনার্স কোর্স তা বানাতে পারেনা।

 

আমার মনে হয় ব্যার্থ প্রেমের অভিজ্ঞতা নাই এমন কাউকে কোনো সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া ঠিক না।

 

আচ্ছা ডাক্তার শফিক, জুনায়েদ বাবুনগরি, ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, নুর হোসেন কাসেমি, চরমোনাই পির প্রমুখের মাঝে কার কার একটা জম্পেশ প্রেমের পরে ব্যার্থ হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডাক্তার রোগ হলেই ঔষধ দেয়না৷ গর্ভবতী মেয়েদের অনেক ওষুধ দেওয়া হয়না। কারণ সেটা বাচ্চার বিপদের কারণ হতে পারে। ফকিহরা হচ্ছে ডাক্তারের মতো। সার্বিক বিবেচনায় তারা প্রেসক্রিপশন লিখেন।

 

আমি কুরআন খতম, বুখারি খতম, মরা খাওয়া গ্রুপের মানুষ না। কিন্তু এগুলোর সাথে সাথে মানুষের ধর্মানুভূতির সম্পর্ক আছে। দারুল কুফরে ধর্মানুভূতির গুরুত্ব অপরিসীম। এটা ধ্বংস করা কোনো মুহাক্কিক ফকিহর কাজ না। আমাদের মহান পূর্বসূরি সুফিগন অনেকেই বাস্তব কারণে নিজেরা শিরক, বিদয়াত, রসম, রেওয়াজ পছন্দ না করলেও তা নিয়ে হাঙ্গামা বাধাননি। তারা অন্য কিছুকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

 

প্রিয় নবি মুসা (আ) এর কর্মকাণ্ডে শেখার আছে অনেক কিছু। কুরআন বা বিশুদ্ধ সুন্নাহয় সবকিছু খুব বিস্তারিত আলোচিত না হলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত আছে। মুসা (আ) ভূমধ্যসাগর পাড় হয়ে আসার পরে বনি ইস্রাইলের কর্মকাণ্ড প্রমান করে তাদের তরবিয়াত ফেরাউনের রাজত্বে যথেষ্ট ছিলোনা। কিন্তু মুসা (আ) এর সাথে বনি ইস্রাইলের যেসকল হাঙ্গামার খবর আমরা কুরআন এবং হাদিস থেকে পাই তা মূলত ফেরাউন থেকে নাজাত পাওয়ার পরে। তার অর্থ হচ্ছে ফেরাউনের রাজত্বে অযথা ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়ানো আম্বিয়াদের কাজ না।

 

আমি জানিনা যখন প্রকাশ্য কুফর এবং ইলহাদ দূর করা যায়না তখন মুসলমানদের দুর্বলতার সময়ে অযথা সামাজিক আচার যা মানুষের সাথে আল্লাহর রূহানী নিসবত তৈরিতে অবদান রাখে তা নিয়ে অযথা হৈচৈ করা, মারামারি করা, মুসলমানদের উত্যক্ত করা কোন নবির সুন্নাহ?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আসলেই সেই হুযুরকে চিনতে চাই যার

 

* মা, বোন, বউ কখনো কোনো পুরুষ দোকানদারের কাছ থেকে মাল কিনেনি।

 

* তিনি ব্যবসায়ী কিন্তু মহিলাদের কাছে মাল বিক্রয় করেননা।

 

* তার মা, বোন, বউয়ের ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস কোনো পুরুষকেই তিনি বোরকার উপর দিয়ে দেখাননা।

 

এতো বড় গাইরতওয়ালা হুজুরের কাছে বায়াত হওয়া বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। সুযোগ হেলায় হারাবেননা।

 

 

 

 

 

 

 

আমি আমার স্ত্রীকে ডিপার্টমেন্ট শপ, কাপরের দোকান, মেয়েদের সাইড ব্যাগের দোকান, বাচ্চাদের দরকারি জিনিসের দোকানে নিয়ে যাই। রাস্তার ধারে সবজি বা মাছ কেনার মতো পেলে, সে সাথে থাকলে তার সাথে পরামর্শ করে একসাথে কিনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

দুইটা কথা আছে আমাদের দেশে প্রবাদ আকারে।

 

১) পেছন দিয়ে হাতী গেলে সমস্যা নাই কিন্তু সামনে দিয়ে মশা যেতে পারবেনা।

 

২) হেগে সৌচ কার্য করেনা কিন্তু পেদে গোসল করে।

 

অর্থ মোটামুটি একই।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ফেবুতে ইয়ারকি, ফাজলামি, ট্রল, সার্কাজম, সিরিয়াস আলাপ, তর্ক, ঝগড়া, যুক্তি মিলিয়ে যা বলেছি এই এক আর্টিকেলে তার সারমর্ম আছে। আমি এর বাইরে কখনো কিছু বলিনি। একারণে আমি তথাকথিত ইসলামি রাজনীতির বিরোধী। রাজনীতি এবং ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন আমার গভির এবং দীর্ঘ পাঠ এবং চিন্তা ফিকিরের বিষয় বস্তু হওয়া সত্ত্বেও আমি কখনো ইসলামি রাজনৈতিক আন্দোলনগুলোতে অংশগ্রহনে আগ্রহবোধ করি। প্রত্যেক ইসলামি সংগঠনের পরিচিত কর্মীরা আলাপের শুরুতে আমাকে আপন ভেবেছে। কিন্তু দ্রুতই আমার প্রতি তাদের মোহমুক্তি হয়েছে। অনেক বন্ধুরা বিরূপ হয়েছে। কিন্তু আমি কারও সাথে কাজ করতে পারিনি। আমার পড়াশোনা, উপলব্ধি, বিবেক আমাকে সর্বদা রাজনৈতিক সংগঠনগুলো থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করেছে।

 

যাইহোক আমার চিন্তার সারাংশ পড়ুন আর্টিকেলটি থেকে।

 

FATEH24.COM

ধর্মীয় রাজনীতি 'ইসলামের ক্ষতি করছে', মরক্কোর ফরিদ আনসারীর বিকল্প ব্যাখ্যা | Fateh24

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের যুগে ইসলামের জন্য কাজ করার সবচেয়ে ভালো উপায় কাফের হয়ে যাওয়া। কাফেরদের ধোকা দেওয়ার জন্য না, হুজুরদের হাত থেকে বাঁচার জন্য।

 

আমাদের হুযুররা মুসলমানদের প্রতি ছিদ্রান্বেষী এবং কঠোর কিন্তু কাফেরদের জন্য কোমল। তাদের মতে এটাই ফিতনা ঠেকানোর উপায় কারণ মানুষ কাফেরদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয় না, মুসলমানদের দ্বারা হয়।

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের আমি পাকিস্তানি ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখতে পরামর্শ দেবো।

 

মাওলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ) এর ছাত্রদের একটা অংশ ছাড়া ইসলামপন্থীদের বিরাট অংশ বিরাট অংশ মোটেই জিন্নাহকে পছন্দ করতেননা। তথাপি তারা প্রায় সবাই জিন্নাহকে মেনে নিয়েছেন। ইসলামের পক্ষে তার অবদানগুলো নিজেদের ইসলামি এজেন্ডাগুলোর সমর্থনে তুলে ধরেন। মুফতি মাহমুদ (রহ) বলেছিলেন, পাকিস্তান বানানোর পাপে আমার কোনো অংশ নাই। তথাপি কদিন আগে আজাদি মার্চে মাওলানা ফজলুর রহমান জিন্নাহ ইসলামি অবদান তুলে ধরেন। ড ইসরার আহমদের মতো মানুষও জিন্নাহর প্রশংসা করেন।

 

আমি মনে করি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ নিয়ে আপনার বিরোধিতা থাকতে পারে। ইতিহাসের একাডেমিক পর্যালোচনা চলতে পারে। কিন্তু সাধারণভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ইসলামপন্থীদের মেনে নেওয়া উচিৎ। নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধুর শক্তিশালী ইসলামি লিগেসি এবং আবেগ ছিলো। তা তুলে ধরা উচিৎ। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ুন। দেখুন কত জায়গায় ইসলামি আবেগের উচ্ছ্বাস। জিন্নাহ শিয়া ছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু সুন্নি বংশদ্ভূত। প্রচলিত রাজনীতির আঙিনায় আমিতো বঙ্গবন্ধুকে জাতীর জনক মানতেও আপত্তি দেখিনা। কারণ যারা তাকে জাতীর জনক বলে তারা তাকে মুসলমানদের জাতীর জনক বলে না। বলে বাঙালি জাতীর জনক। অর্থনীতি, ইতিহাস, জীববিজ্ঞানের জনক আছে। বাঙালি জাতীরও একটা জনক থাকলে কি এমন সমস্যা? বরং বাঙালি জাতীর জনক মুসলমান হওয়া একটা ভালো ব্যাপার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিডিয়ার অধিকাংশ হচ্ছে ইহুদিদের নিয়ন্ত্রিত। সোশ্যাল মিডিয়াও তাদের।... ফেসবুক একটা ফিতনার জায়গা। ----- মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ

 

আসলেই ফেসবুক একটা আজব জায়গা। ইসলামি রাজনীতিতে আগ্রহী কেউ একজন আমাকে আক্ষরিক অর্থে ইহুদিদের দালাল বলেছিলেন একারণে যে আমি ইহুদিদের নবী মুসা (আ)কে আমাদের সময়ে মডেল মনে করি।

 

 

 

 

 

 

 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (রহ) তিনটি রাস্ট্রে একটি জনপদ নিয়ে কাজ করেন। ব্রিটিশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আমলে রাজনীতিতে বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী রেটরিকে পরিবর্তন আনেন। কিন্তু তাঁর সারাজীবনের রাজনীতির সাধারণ রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে বাঙালি মুসলমানদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন।

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন : সমালোচনা আছে, আপনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলে থাকেন…

 

মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ : হ্যাঁ, এটাতো দোয়া। আমি বুঝি না, মৌলভিরা এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কেনো করে? রহমাতুল্লাহি আলাইহি কেবল অলিদের জন্য খাস, এমন তো নয়। যে কোনো মুসলমানের জন্য হতে পারে। আর এই অলি, যেমন খাজা মাইনুদ্দিন চিশতি রহ. তিনি যে জান্নাতি হবেন তা কেউ নিশ্চিত বলতে পারে? নিশ্চিত জান্নাতি বা জাহান্নামি হবেন, যাদের সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গেছেন। আমি সরাসরি ফতোয়া দিচ্ছি না, তবে আমার মতে যেকোনো মুসলমানদের ক্ষেত্রে বলা যাবে। তাতে শরিয়তের কোনো বাধা নেই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডিসেম্বর ২০১৯ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

 

 

 

কার্ল মার্ক্স আর পাঁচজন মানুষের মতো সঠিক এবং ভুল মিলিয়ে একজন মানুষ। তাঁর তত্ত্বেও প্রচুর ভুল আছে। কিন্তু শিল্প বিপ্লব পরবর্তী পুঁজির চরিত্র বুঝতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

সাবেক সামরিক, বেসামরিক আমলা, তারকা অভিনেতা, খেলোয়াড়, বড় বড় দলের বড় বড় নেতা কোনো কিছুই একটা রাজনৈতিক দলকে বড় লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেনা। জনসমর্থনও খুব কাজের জিনিস না। কারণ প্রথমত জনসমর্থন একটা ফ্লুইড জিনিস। দ্বিতীয়ত পুঁজির সামর্থ্যের ভারসাম্য ব্যাতিত তা বন্দুক হাতে শিকারির সামনে নিরীহ পাখির মতো অসহায়। তবে হ্যাঁ পুঁজি দ্বারা সমর্থিত হলে এক এর ডান পাশের শূন্যগুলোর মতো জনসমর্থন অত্যন্ত কাজের জিনিস।

 

রাজনৈতিক দলকে সেবিষয়গুলো অর্জনে গুরুত্ব দিতে হবে

 

১) নেতৃত্বের দুরদর্শিতা

২) কর্মীদের মোটিভেশান

৩) অর্থনৈতিক সামর্থ্য

৪) স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সামরিক শক্তি ভারসাম্যে একটা তুলনামূলক নিরাপদ অবস্থান খুঁজে বের করা।

 

দ্রষ্টব্যঃ পোস্টটি প্রাথমিকভাবে জামায়াত, জন আকাঙ্খাকে লক্ষ্য করে বলা হলেও সকল ইসলামপন্থী দলের জন্যই বিষয়টি দরকারি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের ওয়ায়েজদের এক মুখস্ত বয়ান

 

শাম, কাশ্মির, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান....

 

কোথায় খালিদ, মুহাম্মদ বিন কাসিম, কুতায়বা, সালাদিন....?

 

আসলে প্রত্যেক সময়ের সংকট আলাদা। তাকে একইভাবে চ্যালেঞ্জ করা যায়না।

 

ধরেন শাহ ওয়ালিউল্লাহ্, টিপু সুলতান বা সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ (রহ) তাদের যুগে যা যা করেছিলেন তাও আজকের আজকের যুগে উলামাদের পক্ষে সরাসরি অনুকরণ করা সম্ভব না।

 

সেযুগে খেলাফত ছিলো। আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম সালতানাত ছিলো। খোদ দিল্লিতে ছিলো মোঘল সালতানাত। উলামাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য ছিলো। জনতার কলোনিয়াল ইনডক্ট্রিনেশন হয়নি। শক্তির পার্থক্য তুলনামূলক অনেক কম ছিলো।

 

প্রত্যেক যুগে মুসলমানদের কিছু মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়াস চালিয়েছে, চালাচ্ছে। রেটরিক্যাল চাপাবাজি উম্মাহর সমস্যার সমাধান না। আপনি আপনার জায়গায় আপনার সর্বোচ্চ কুরবানি দিয়ে ডগমেটিক বা দলীয় গোঁড়ামির উর্ধ্বে উম্মাহর জন্য মিনিংফুল কি অবদান রাখতে পারেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। বাকিসব বকোয়াস।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানলাম চরমোনাই পির এবং তার মুরিদরা বিদাতি। কিন্তু তাদের চেয়ে ভালো এদেশের কত শতাংশ মানুষ? রহমানি সাহেবওতো তাদের তাকফির করেননি।

 

আপনার নাহী আনিল মুনকারের অগ্রাধিকার যদি চরমোনাই পির হয় তবে বলতেই হবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত সংকীর্ণ। আপনি রাষ্ট্র বা সমাজের নেতৃত্ব দানে সক্ষম না।

 

বাস্তবতা হচ্ছে জামাত, খেলাফত, চরমোনাইসহ সকল মত পথের ইসলামপন্থীর সমন্বিত শক্তি শুধু আওয়ামী লীগ বা শুধু বিএনপির শক্তির তিনভাগের এক ভাগও না।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার আকিদা

 

‘আমানতু বিল্লাহি, ওয়া মালায়িকাতিহি, ওয়া কুতুবিহি, ওয়া রাসুলিহি, ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল কদরি খয়রিহি ওয়া শাররিহি মিনাল্লাহি তাআলা, ওয়াল বাআছি বাদাল মাউত।’ অর্থাৎ: আমি বিশ্বাস আনলাম আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসুলগণের প্রতি, কিয়ামতের দিনের প্রতি; তাকদিরের প্রতি, ভাগ্যের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে; মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।’ (শুআবুল ইমান)

 

আমি আশয়ারি, আসারি, মাতুরিদি না। কারণ এর বাইরে আমার কোনো আকিদা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

কোনো কিছু বিশ্বাস করা আর তা আকিদা হওয়া এক কথা না। ধরেন আমি বিশ্বাস করি ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। কিন্তু কেউ মনে করে ঢাকা না দিল্লি বাংলাদেশের রাজধানী। এই বিশ্বাসের কারণে আমি বা সে কাফের হবো না।

 

একইভাবে ইয়াদ দ্বারা হাত, শক্তি বা অর্থ আল্লাহর উপর সমর্পণ করার দ্বারা কেউ কাফের বা ফাসেক হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইমাম আবু হানিফা রহ বা ইমাম আহমদকে জান্নাতি বলার সুযোগ আমাদের আকিদায় নাই। কারণ এব্যাপারে অকাট্য নস নাই।

 

আমরা জাহেরের উপর ভিত্তি করে সুধারণা রাখি। জান্নাতে উঁচু মর্যাদার ব্যাপারে আশা রাখি।

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা দাওয়াতের ময়দানে কাজ করতে চান তাদের অনুরোধ করবো বক্তব্যটি অন্তত একবার অবশ্যই শুনতে।

 

বিশেষত আহমদ #দিদাত, #জাকির নায়েক এবং আস্তিক নাস্তিক বই পুস্তক লেখায় ও পড়ায় যারা বিশেষ শ্রম দিচ্ছে।

 

বিশেষত যারা মনে করেন তর্ক বিতর্ক যারা করে তারাই সব করছেন কিন্তু ইসলামের অন্যান্য গঠনমূলক ময়দানে যারা কাজ করছে তারা পশ্চাৎপদ বা অকেজো তাদেরও শোনা উচিৎ।

 

তবে সবারই শোনা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দাওয়াতে তাবলিগের মেহেনতের ব্যাপারে অনেকের অভিযোগ তারা বিশ্বব্যাপী অনৈসলামিক এবং ইসলামোফোবিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেনা।

 

কথাটি সত্য না।

 

প্রথমত তারা জেনেরিকভাবে তাদের বয়ানে সমালোচনা করে। হ্যাঁ সাধারণত স্পেসিফিক কোনো ইস্যু টার্গেট করে অফিসিয়াল বক্তব্য দেয় না। দেয়না কারনঃ

 

১) সবাইকে সবকিছু করতে হবে কেন?

 

২) সাধারণত এই নিন্দা জানানোর বিশেষ কোনো আউটপুট থাকেনা।

 

৩) এই আজগুবি বিবৃতি জিনিসটা কি? বিভিন্ন ইসলামি গ্রুপ যে-ধরনের বিবৃতিবাজি করে এই ধরনের ফলাফলহীন আজাইরা সংবাদ সম্মেলন করে দেওয়া বিবৃতি পাশ্চাত্য সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ যার কোনো নযির মধ্যযুগীয় মুসলিম রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নাই। (আমি হারাম বলছিনা)

 

৪) ইমরান খান যখন তার নিজের বাস্তব প্রয়োজনে জিনজিয়াং এর মুসলিম নিপিড়ন নিয়ে চুপ থাকে তখন এসকল সমালোচকরা ওযর খুঁজে পায়। এরদোয়ানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য কিন্তু তাবলিগের নিজস্ব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যেসকল বাস্তব কৌশলী স্ট্র‍্যাটিজিক অবস্থান তারা নিয়েছে তারা তার জন্য ওযর পায়না।

 

এধরণের দলকানা ধান্দাবাজ বেকুবদের কাছে জবাবদিহি করার দায় তাবলিগওয়ালাদের নাই।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি জানি আমার পরামর্শ শোনার দায় জামায়াতে ইসলামীর ভাইদের নাই। তবু কল্যাণকামীতার জায়গা থেকে পরামর্শ রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, যে যেতে চায় তাকে যেতে দিন। যে আপনার সে আপনারই থাকবে।

 

জামায়াতের কেন্দ্র থেকে পরিস্কার বলে দেওয়া হোক কেন জন আকাঙ্খা ইসলামি আদর্শের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং রাজনৈতিকভাবে অকেঁজো। তারপর সবাইকে ছেড়ে দিন। যার ভাতার দরকার সে ভাতারের সাথে থাক, যার নাঙের দরকার সে নাঙের সাথে যাক। নাঙের আশায় ভাতার ছেড়ে কোনো লাভ হবেনা তাও বলে দেওয়া হোক।

 

অতঃপর অসুস্থ কামড়াকামড়ি অথবা কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হওয়া উচিৎ। যেহেতু জন আকাঙ্খা ঘোষণা দিয়ে আদর্শহীন রাজনৈতিক দল তাই তাদের আখলাকের দায় নাই। কিন্তু জামায়াত যতক্ষণ নিজেদের ইসলামি দাবি করে ততক্ষন তাদের আখলাকে ইসলাম থাকা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে কথা বলতে চাইনা। তবে দুয়া করি আল্লাহ তাকে তার কৃত জুলুম থেকে তাওবা করার তাওফিক দান করুন। তার শেষ বয়সের করা কষ্টগুলোকে তার আজীবনের জুলুমের কাফফারা হিসাবে কবুল করুক।

 

ইমাম শামিল শেষ জীবনে জারদের হাতে বন্দি হন। ইতিহাসে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইমাম শামিল না।

 

 

 

 

 

 

 

 

অর্ধশিক্ষিত ওয়ায়েজদের অবশ্যই বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলা বন্ধ করা উচিৎ।

 

 

 

 

 

 

 

 

ওয়াজ মাহফিলগুলোর নাম হওয়া উচিৎ ট্র‍্যাডিশনাল ফোক কনসার্ট। তাহলে আমরা সহজেই হুজুরদের সাইন্সকে সাইন্স ফিকশান বিবেচনা করতে পারতাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

বনু উমাইয়ার মিম্বর থেকে আলী বিন আবু তালিবের বিরুদ্ধে লানত করা হতো।

 

ইয়াজিদ আর মারওয়ান আজ কোথায়?

 

মিম্বরগুলো বনু উমাইয়ার বিরুদ্ধে বড় সাক্ষী।

 

প্রত্যেক অভিশাপ আলী বিন আবু তালিবের মর্যাদার ঘোষক।

 

 

 

 

 

 

 

প্রাচীন উলামারা বলতেন আগে ইলমে শরিয়াত বা জাহেরি ফেকাহ শিখতে হবে তারপরে ইলমে মারিফাত। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় আমি বিষয়টিতে একমত না। কারণ আগে ইলমে শরিয়াত শেখার সময়ও যথেষ্ট মুজাহাদা করা হতো। ফলে মারিফাতের চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানুষিক ফিটনেসও মানুষের থাকতো। কিন্তু এখন অলস ও বিলাসী জীবন এবং জাহেলি সমাজ ব্যবস্থার কারণে কেবল শরিয়াত শিক্ষা মোটেই যথেষ্ট না। তাই সন্তানদের তালিমের সময় যুগপৎ ইহজাগতিক প্রয়োজনীয় ইলম, ইলমে শরিয়াত এবং ইলমে মারিফাত যুগপৎ শিক্ষা দিতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দুর্বলরা আন্দোলন করে কি লাভ হয়?

 

 

 

 

 

 

 

 

অসুন্দরী মেয়েদের সাথে যৌনতা নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনাতে কোন মজা নাই।

 

 

 

 

 

 

 

আজকাল মসজিদে যেতে ইচ্ছা করেনা কারণ বউ নিয়ে মসজিদে যাওয়া যায়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

আহলে হাদিস ভাইয়েরা একটা দিকে সুনিশ্চিত দেওবন্দিদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তারা তাদের মসজিদে মহিলাদের সুযোগ দেন। দেওবন্দি মহিলা মাদ্রাসায় যেসব কুকীর্তি হয় সেটা অন্তত আহলে হাদিস মসজিদে হয়না।

 

জুমা ছাড়া অধিকাংশ দুইতলা বা ততোধিক তলার মসজিদে মহিলাদের নিরাপদ ব্যবস্থা করা সম্ভব।

 

 

 

 

 

 

সাধারণ মাসলা মাসায়েল মুখস্ত করাতো সকল মুসলমানদের জন্য ফরজ। কিন্তু আলিমদের উচিৎ উসুল ভালো করে বোঝা এবং তার ভিত্তিতে ইজতিহাদ করা।

 

আমি মুজতাহিদে মুতলাকের কথা বলছিনা। বলছি মুজতাহিদ ফিল মাজহাবের কথা।

 

 

 

 

 

 

 

 

বর্তমান বাস্তবতায় যারা সকাল সন্ধ্যা ৪৭ এবং পাকিস্তানের চেতনা তুলে ধরার দাওয়াত দিচ্ছেন তাদের এই সামান্য কথাটা বোঝা দরকার যে পাকিস্তান যদি উম্মাহর চেতনা রাখতো তাহলে বিজেপি যে পেট্রোল ছড়াচ্ছে তাতে পাকিস্তান সহজেই আগুন ধরিয়ে ভারত পুরোটাই জালিয়ে দিতে পারতো।

 

আজকের দিনে উম্মাহ বলে অবশ্য কিছু নাই। উম্মাহর চেতনা হচ্ছে চাপাবাজি। বুড়ো বাবা মাকে যারা ঠিকমতো বেঁচে থাকতে খেদমত করেনা মরে গেলে তার দায় তারাই কেঁদে শোধ দেয়। কাঁদতে তেমন একটা খরচ হয়না।

 

 

 

 

 

 

 

জামিয়া মিল্লি ইসলামিয়া

 

প্রতিষ্ঠাতাঃ

শাইখুল হিন্দ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মুহাম্মদ আলী জাওহার,

 

চ্যান্সেলরঃ বিজেপি নেত্রী নাজমা হেপতুল্লাহ

ভিসিঃ নাজমা আক্তার

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গিবত কিভাবে বাদ দিবো? গিবত ছাড়া কোনো আড্ডা জমেই না।

 

 

 

 

 

 

 

গিবত থেকে বাঁচার উপায়

 

১) জিকির

২) তিলাওয়াত

৩) নফল সালাত

৪) পড়াশোনা

৫) দীনি মুযাকারাকেই আড্ডার বিষয় বস্তুতে পরিনত করা।

৬) নির্জনতা বাস

 

মনে রাখবেন যার অন্তর জিকিরের স্বাদ পায়নি তার জিহবা কখনো গিবত থেকে বাঁচতে পারবেনা।

 

পার্থিব বিষয় নিয়ে প্রয়োজন অতিরিক্ত একটা হালাল কথাও গিবতের বর্শিতে গাঁথার জন্য শয়তানের টোপের মতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি সব সময় বিশ্বাস করি ৪৭ কে মেনে নেওয়া, বিশ্বাস করাই ভারতীয় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ভুল এবং অপরাধ। ৪৭ এক প্রতারণা ছিলো। ভারত, পাকিস্তান কেউ কখনো স্বাধীন হয়নি। ব্রিটিশরা যখন দেশ ছাড়লো তখন তারা বিচারক কিন্তু মারামারি করলো দেশিয় হিন্দু মুসলমান। নিঃসন্দেহে ভারতীয় নেতৃত্ব চলমান বাস্তবতার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনি। আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং খেদমতে খালকের জজবার পরিবর্তে পার্থিব সমৃদ্ধি অর্জনের লালসা এবং তাড়াহুড়াপ্রিয়তা ভারতবাসীকে ধ্বংস করেছে।

 

সাতশত বছর মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে। মুসলমানরা ইসলাম এবং শরিয়া দ্বারা ভারত শাসন করে। প্রয়োগ সর্বদা যথার্থ হোক বা না হোক আকবরের যুগ ছাড়া এবং বিরল ব্যাতিক্রম ছাড়া কখনো আইন অনৈসলামিক ছিলোনা। এদেশে মুসলিম শাসকরা ছিলেন সুফি ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষক এবং হানাফি আইনের ধারক। কিন্তু তারা কখনো একদিনের জন্য সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেনি। মুসলমানদের মাঝে প্রথম আধুনিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেন সম্ভবত স্যার সাইয়্যেদ আহমদ। তারপর ক্রমশ সবাই ধীরে ধীরে এতে জড়িয়েছে। এমনকি ভারতীয় উলামারা যারা সেক্যুলার সংবিধান এবং রাষ্ট্রের দাবি করেন যেমন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ তারাও চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িক। তাদের কাজ সেক্যুলারিজমের ধোঁয়া তুলে হিন্দু আগ্রাসনের মুখে মুসলমানদের রক্ষা করা। এধরণের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি চূড়ান্ত বিচারে অতিরক্ষনাত্মক। এই রক্ষনাত্মক রাজনীতির দায় মুসলমানদের আজ শোধ করতে হচ্ছে।

 

আমি মনে করি ৮৫-৯০ ভাগ ভারতীয় মজলুম। তাদের শিক্ষা নাই, জীবিকা নাই, টয়লেট নাই এমনকি মানুষ হয়ে বাঁচার অধিকার নাই। প্রতি বছর শত শত কৃষক এবং বেকার যুবককে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। এমন অবস্থায় ভারতীয় মুসলমানদের উচিৎ ছিলো মুসলমানদের স্বার্থের আন্দোলনের পরিবর্তে সর্বভারতীয় কল্যাণের রাজনীতির দাওয়াত দেওয়া। মুকেশ আম্বানির মতো পুঁজিপতি লুটেরা এবং বিজেপি কংগ্রেসের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে মজলুম ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের রাজনীতি করা। কিন্তু তারা অসাম্প্রদায়িক ইসলামি রাজনীতির পরিবর্তে সেক্যুলার ও সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বা আরও সংকীর্ণ মাসলাকবাজিতে ৭০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে।

 

আজকের দুর্বলতা এবং অসহায়ত্ব সেই পাপেরই ফল।

 

 

 

 

 

 

 

 

আল্লামা কাল মার্ক্স উদ্বৃত্ত মূল্যের যে তত্ত্ব দিয়েছেন তার মূল কথা হচ্ছে একজন শ্রমিক যা উৎপাদন করে সেটা থেকে তার মজুরি বাদ দিলে যা থাকে সেটাই উদ্যোক্তার প্রফিট। তিনি প্রফিটকে শ্রম শোষণ বলেছেন। আমরা বলি তিনি এখানে ভুল ইজতিহাদ করেছেন। তিনি উদ্যোগের মূল্য নিরূপণে ব্যার্থ হয়েছেন। তবে মূল ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ শুধু নিজের শ্রম দিয়ে কেউ ধনী হতে পারেনা। উদ্যোগের মাধ্যমে অন্যের শ্রম থেকে লভ্যাংশ সংগ্রহ করতে হয়। ধারণাটি বিশ্বব্যাপী রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ। ইহুদিদের শক্তির একমাত্র কারণ তারা অইহুদিদের দ্বারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্ষম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জায়ান্ট মাল্টিন্যাশনাল ফার্মগুলো নিজেদের সত্ত্বার বাহিরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মতাদর্শিক স্ট্র‍্যাটিজিক সহায়তা সংগ্রহ করতে পেরেছে।

 

উপমহাদেশে মুসলমানরাও হিন্দু এবং অন্যান্য কাফিরদের সাথে মৈত্রী ছাড়া এক চূড়ান্ত রাজনৈতিক জঞ্জালে পরিনত হতে বাধ্য। যেসব ইসলামি রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে অর্থাৎ শুধু মুসলমানদের স্বার্থে লড়াই করে তারা কখনো উপমহাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে পারবেনা। আমাদের ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইতিহাস সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞ। ফলে তারা অমুসলিমদের সমর্থন অর্জনে কোনো কৌশলপত্র প্রণয়নে আজ অব্দি সমর্থ হয়নি। এটাই ভারতীয় মুসলমানদের সমস্যা। এটা বাংলাদেশেরও সমস্যা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি অত্যন্ত পরিস্কারভাবে বলতে চাই, মাওলানা মাহমুদ মাদানি (দাবা) বা মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ (দাবা) এর রাজনীতির যেদিকটি আমার সবচেয়ে অপছন্দনীয় সেটা হচ্ছে তাদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। তারা প্র‍্যাগমেটিজমের জমিনে দাঁড়িয়ে সেক্যুলার স্লোগান ব্যাবহার করতে পারেন কিন্তু তাদের রাজনীতি আপাদমস্তক সাম্প্রদায়িক। তারা হিন্দু এবং সেক্যুলারদের সাথে আপোষ করে মুসলমানদের রক্ষা করতে চান। তারা যদি অসাম্প্রদায়িক হতেন তবে তারা হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে গণমানুষের এজেন্ডা রক্ষার রাজনীতি করতেন। তাদের সেসকল উদ্যোগে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল সম্প্রদায়ের অবদান থাকতো। যেমন শাইখুল হিন্দ (রহ) এর খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধীর সমর্থন ছিলো। গান্ধী এই আন্দোলনকে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ আন্দোলনের অভিজ্ঞতা মনে করতেন।

 

 

 

 

 

 

 

জাতীয়তাবাদ সকল ক্ষেত্রেই হারাম নাও হতে পারে।

 

সংক্ষিপ্তকথা হচ্ছে ইসলামের এবং মুসলমানদের পক্ষে হলে হালাল বিরুদ্ধে হলে হারাম।

 

রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কায় বনু হাশিমের জাতীয়তাবাদি সমর্থন গ্রহণ করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেকোনো ভালো সিরাত এবং মাগাযির কিতাব পড়েন। রাসুলুল্লাহ (সা) এবং খুলাফায়ে রাশেদিনের যুগে ইসলামের পক্ষে গোত্রীয় জাতীয়তাবাদের ব্যবহারের শত শত নযির পাওয়া যাবে।

 

ঠান্ডা মাথায় আর রাহিকুল মাখতুম পড়া শুরু করুন এবং মিলিয়ে নিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামের আল আহকামুস সুলতানিয়্যা শুধু কুরআন হাদিস না বরং কুরআন হাদিসকে উম্মাহর জমহুর কিভাবে খোলাফায়ে রাশেদিন, বনু উমাইয়া, বনু আব্বাস, মামলুক সালতানাত এবং উসমানিদের যুগে বুঝেছে এবং বাস্তবায়ন করেছে। যারা জনবিচ্ছিন্নতা মানহায অবলম্বন করে গুরাবা ফিলিংসে বুঁদ হয়ে জামাহর পরিবর্তে কাল্ট গড়ে তারাও মডারেটদের মতো বর্জনীয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

কুরআন, হাদিস, আকিদা, উসুলে ফেকাহ অপরিবর্তনীয় কিন্তু ফেকাহ পরিবর্তনশীল।

 

অবশ্যই অবশ্যই ওয়েস্টফেলিয়ান সোভারেন্টির ধারণা শুধু ইসলামবিরোধী নয় এমনকি ক্যাথেলিক চার্চেরও বিরোধী। এর মূল উদ্দেশ্য ছিলো মূলত পোপকে ক্ষমতাহীন করা। ঔপনিবেশিক যুগে মুসলমানদের বিচ্ছিন্ন ও দুর্বল করতে এবং ঔপনিবেশিক শক্তির গ্রিপ শক্ত করতে মুসলিম বিশ্বে ওয়েস্টফেলিয়ান সোভারেন্টির খোলশ চাপিয়ে দেওয়া হয়। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মূর্খতা এবং দুর্বলতাবশত মুসলিম বিশ্বে ওয়েস্টফেলিয়ান সোভারেন্টি বেজড জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছে। এটা ঠিক ভুল যাই হোক মুসলিম বিশ্বের ডি ফ্যাক্টো বাস্তবতা। এটা অস্বীকার করা গোঁয়ার্তুমি। মোটেই কাজের কিছু না।

 

এই ন্যাশনালিজম হারাম হতে পারে কিন্তু কুফর আল আকবর না। বিশেষত অজ্ঞতা অথবা মাসলাহাতবশত হলে। অথচ আমরা দেখেছি খারেজি দায়েশ জাতীয়তাবাদি অবস্থানের কারণে মানুষকে ঢালাওভাবে তাকফির করেছে। কাছাকাছি ধরনের একটা মানুষিকতা এদেশে একদল ইঁচড়েপাকা ছেলেদের মাঝে দেখা যাচ্ছে। তারা এই সাধারণ কথা বোঝেনা যে ওয়েস্টফেলিয়ান সোভারেন্টিতে ইমান রাখা আমাদের আকিদার সাথে সাংঘর্ষিক কিন্তু সেই সোভারেন্টি ধারণার কিছু বাস্তব সুবিধা যখন উম্মাহ পায় এবং সেকারণে উম্মাহর বিশাল অংশ মূর্খতাবশত অথবা অন্য কারণে ওয়েস্টফেলিয়ান সোভারেন্টি বেজড জাতীয়তাবাদের আবেগে আক্রান্ত হয় তখন সেই আবেগকে কাফেরদের আগ্রাসনের মোকাবিলায় ব্যবহার করা মোটেই এক বিষয় না।

 

আজব ব্যপার এই মানুষগুলো তাদের মূর্খতাকে আল ওয়ালা ওয়াল বারার ভিত্তি বানিয়ে ফেলেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পারভেজ মোশাররফের উপর লানত। কত নিকৃষ্ট জালিম সে। মুসলমানদের ধরে ধরে ডলার এর বিনিময়ে বেঁচে দিতো। স্বাধীন মানুষকে দাস হিসাবে বেচা এক ভয়ংকর অপরাধ। সেখানে মুসলমানদের ধরে ধরে বেচে দিয়েছে সামান্য কয়েক ডলারে। তার উপর ক্ষমতার গর্বে উদ্ধতভাবে তার আত্মজীবনীতে লিখে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে। কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে। কিন্তু সে দুনিয়াতেই অহংকারবশত নিজের বিরুদ্ধে হুজ্জত কায়েম করেছে। আল্লাহর পাকরাও বড় ভয়ংকর। তার উপর আল্লাহর আজাব আরও দ্রুত চলে এসেছে। সামান্য কয়েক বছরে ক্ষমতা হারিয়েছে। অতঃপর আল্লাহর আজাব, মামলা, ফেরারি জীবন, কঠিন রোগ। পার্থিব জীবন এক প্রতারণা বৈ কিছুই না।

 

আল্লাহ এভাবে মাঝে মাঝে ইমানদারদের হৃদয় ঠান্ডা করে দেন। নয়তো অনেকের জন্য ইমান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যেতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

আজ মাওলানা আরশাদ মাদানি যা বলেছেন তা মাহমুদ মাদানি বললে অনেকের আচরণের চিত্র ভিন্ন হতো।

 

আরশাদ মাদানির অবস্থান আমি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।

 

একজন প্রশ্ন করেছেন ৪৭ এর পরে দারুল উলুমের অবদানটা কি?

 

আমি বলি, সবকিছু বাদ দিলে প্রতিবছর কয়েক হাজার আলিম বের করেছে। তাই কম কি?

 

যদি বলেন মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা কি? তাদের বলি মাদ্রাসার কয়েক হাজার মানুষ তৈরি বন্ধ হয়ে গেলে যদি সমস্যা না হয় তবে এই কয়েক হাজার মানুষ ছাড়াও কোটি কোটি মানুষ আছে। এই অপদার্থদের ছেড়ে বাকিদের নিয়ে যা করার করুন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Moazzam Begg -

 

All I have to say, Mr Musharraf, is that I still remember the prayers brothers used to make against you in the middle of the night, when nothing stirred except the sounds of crickets and the soft Caribbean breeze rubbing the barbed wired against the razor wire.

 

The noble Prophet said:

 

"Fear the prayer of the oppressed for between it and Allah there is no barrier."

 

Those prayers are being made - and answered - even now.

 

ভাইরে আসার সিরিয়াল আছে, যাওয়ার নাই। ফেসবুকে এসেছি মশকরা করতে। কোনো দায়িত্বশীলতা আমার নাই। তাই প্রায়ই অনেকের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছি।

 

ভাইয়েরা আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিবেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এতো বুদ্ধি মানুষকে মাঙনা দেওয়া যায়না। ইশশ কি যে কইতাম।

 

যারা নতুন রাজনৈতিক দল খোলার চেষ্টা করছেন তাদের বোঝা দরকার শুধু ডেডিকেশন আর সৎ উদ্দেশ্য দিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল সফল হতে পারেনা। বরং নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে সফল হতে প্রচুর টাকা দরকার। যে দলের টাকা যতো বেশি হবে সে ততো সাফল্য পাবে।

 

একথা পুরাতন দলগুলো বা দলগুলোর শাখাগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

 

ধরেন খেলাফত মজলিসের পাগলা শাখা যদি কোনোভাবে ১০০ কোটি টাকা যোগাড় করতে পারে তাহলে তারা দ্রুত এলাকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী দলে পরিনত হতে পারবে।

 

ফলে রাজনৈতিক অভিলাষ যাদের আছে তাদের প্রাথমিক চিন্তাগুলোর একটা হওয়া উচিৎ অর্থনৈতিক সামর্থ্য অর্জন। কারণ যত টাকা ততো সাফল্য ও জনসমর্থন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা কোয়ার্টার কোয়ার্টার সেলিব্রেটি আইডি থাকাও অনেক ভালো। আমার ফেবু বন্ধুরা আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনারা আমার দুশ্চিন্তা দূর করেছেন। ড্রোনাল্ড ট্রাম্পের পতন হয়নি।

 

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাশে।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের আশে পাশে বিশেষত ফেসবুকে কিছু ফেতনাবাজ জেহাদি দাবিকারি ফ্যাসাদি আবির্ভাব হয়েছে। এই ইতরের জাত এখন সমকালীন আলিমদের পদস্খলন নিয়ে বলতে বলতে হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ), এমনকি হাজি ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি, মাওলানা কাসিম নানুতুভি, রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি, ইয়াকুব নানুতুভিদের মতো মহান মাশায়েখদেরও নিছক সমালোচনা না বরং কটাক্ষ করে এবং তীর্যক খোঁচাও দেয়।

 

আজব ব্যপার, এই অসভ্য ছেলেদের অভিযোগ শামেলির পরে তারা লড়াই ছেড়ে দিয়েছেন। কারও কারও মতে হয়তো খানকায় সুখে শান্তিতে জীবন কাটিয়েছেন।

 

খুব সোজাসাপটা কথা এসব ফেতনাবাজদের দমন করতে হবে। যারা দারুল উলুমের প্রথম জেনারেশন নিয়ে কোনো সামান্য শব্দও উচ্চারণ করবে তারাই সম্ভাব্য খারেজি। খারেজিদের মতোই তাদের দমন করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

এক সেমিখারেজি তাকি উসমানি (দাবা) এর কথার চূড়ান্ত বিকৃতি এবং অপব্যাখ্যা করে বলেছে, দেওবান্দ ব্রিটিশ স্বার্থ রক্ষা করেই প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এইসব সেমিখারেজিরা আগামী দিনে মুসলমানদের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

কবরের আজাব আহলে সুন্নাহর আকিদার অংশ। কবরের আজাবের ধারণা মুতাওয়াতির। এব্যাপারে বিপুল পরিমান হাদিস হাদিসের কিতাবগুলোতে আছে। কবরের আজাব অস্বীকার করা মানে ডজন ডজন হাদিস অস্বীকার করা। মুতাজিলাদের সবাই নয় বরং একটা অংশ কবরের আজাব অস্বীকার করতো। তারা তাদের স্বভাব মতো যা বুঝতে পারতোনা এবং তাদের আকলের সাথে সাংঘর্ষিক হতো এমন সকল কিছু নিজেদের যুক্তির ভিত্তিতে অস্বীকার করতো। প্রাচীন উলামাদের যারা আকিদা নিয়ে কিতাব লিখেছেন যেমন ইমাম আহমদ, ইমাম তাহাবি প্রমুখ তারা সবাই বলেছেন কবরের আজাব আমাদের আকিদার অংশ। ফলে যারা কবরের আজাব অস্বীকার করে তাদের আকিদা শুদ্ধ না।

 

শাইখ ইয়াসির কাদির Life in the Barzakh Series অবলম্বনে প্যারাফ্রেজড।

 

 

 

 

 

 

 

 

আযহারির বয়ান শুনবো। কিছু ভালো বয়ান দিবেন যার ইন্টেলেকচুয়াল মান ভালো। দয়া করে রেডিও মুন্না স্ট্যান্ডার্ড ফালতু কোনো লিংক দেবেননা। আপনার শোনা উন্নত বুদ্ধিবৃত্তিক বয়ান দিবেন। লিংক শুনে যদি দেখি সেখানে তেমন কিছু নাই তবে আপনার সম্পর্কেও একটা কুধারণা হতে পারে।

 

সংযুক্তিঃ যে কেউ এই পোস্টে লাইক দিলে আনফ্রেন্ড করবো

 

 

 

 

 

 

 

 

আমরা প্রায়ই বলি ইহুদিরা উন্দুলুসিয়ায় মুসলমানদের কাছে আশ্রয় পেয়েছে। কিন্তু আমরা বুঝিনা যে বৈরী ইউরোপে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ইহুদি মেধা আমাদের শক্তির উৎস ছিলো। আমরা বলি শেক্সপিয়রের যুগে খ্রিস্টান আগ্রাসন থেকে আমরা ইহুদিদের বাঁচিয়েছি। কিন্তু আমরা বুঝিনা ইহুদি শ্রেষ্ঠ মেধাগুলোকে আমরা খ্রিস্টানদের মোকাবিলায় উপভোগ করেছি। আমাদের ধারণা হিন্দুরা হাজার বছর আমাদের করুণার পাত্র ছিলো। কিন্তু আমরা চিন্তা করি তাদের সহায়তা ছাড়া এই বিশাল ভারত আমরা কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না।

 

কুরআন, সুন্নাহভিত্তিক ফিকহে হানাফি এবং সুফি ঐতিহ্যে গড়া অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিই ভারতীয় মুসলমানদের রাজনৈতিক পুনঃরুত্থানের একমাত্র পথ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

'নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন, মরণ আমার রব আল্লাহর জন্য'

 

কিন্তু রাজনৈতিক ময়দানে আপনার এবং উম্মাহর নিয়্যাত স্বস্থানে রেখে কাফেরদের সাথে জোট করার সময় আপনাকে তাদের সাথে ডায়লগের ভাষা শিখতে হবে।

 

'আল্লাহ প্রত্যেক রাসুলকে স্বজাতীর ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছেন।

 

কাফেরদের সাথে জোট করার সময় যৌক্তিকভাবেই তাদের কাছে তাদের লাভ তুলে ধরতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে সেই বয়ান শিখতে হবে যাতে কাফেররা ইসলাম এবং মুসলমানদের সাথে রাজনৈতিক ঐক্যে নিজেদের জাগতিক কল্যাণ উপলব্ধি করতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আল ওয়ালা ওয়াল বারা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু আলোচনা তৈরি হয়েছে। একদল মুসলমান পরিভাষাটির ব্যাপারে উদাসীনতার জন্য অন্যান্য মুসলমানদের অভিযুক্ত করছেন। তাদের বক্তব্য সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে প্রথমে নিচের দুইটা আয়াত পড়ুন

 

আল-মুমতাহিনা, আয়াত ৮।

 

ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।

 

আল-মুমতাহিনা, আয়াত ৯।

 

আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে (মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে)। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।

 

অত্যন্ত প্রাচীনকাল থেকেই উলামায়ে কেরামের মাঝে আয়াত দুইটির ফিকহি পরিনতি নিয়ে এখতেলাফ আছে। একদল বলেছেন মানসুখ। অন্যরা বলেছেন না তা এখনো বলবত। অপেক্ষাকৃত কঠোর দল যারা মানসুখ বলেন তাদের মতে ইমান ব্যাতিত যুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা নেওয়া বা মুসলমানদের সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণ বৈধ না। কিন্তু ভিন্নদল বৈধতা স্বীকার করে। এই অপেক্ষাকৃত উদার অবস্থান হানাফি মাযহাবের বৈশিষ্ট্য। ফলে ভারতের মুসলিম শাসকগন হানাফি মাযহাব অনুযায়ী সর্বদাই নিজেদের সেনাবাহিনীতে কাফেরদের বড় বড় পদ পদবি দিয়েছেন।

 

যাইহোক সংক্ষিপ্ত কথা হচ্ছে হানাফি উলামাগন আয়াত দুইটিকে মানসুখ ভাবেননা। কিন্তু সালাফি উলামাদের (যারা মূলত হাম্বলি মাযহাব দ্বারা বেশ প্রভাবিত) দ্বারা প্রভাবিত কিছু ভাই এই আয়াতগুলোকে মানসুখ প্রমান করার চেষ্টা করে আল ওয়ালা ওয়াল বারা ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু তাদের এমন মাযহাব উপমহাদেশে বাস্তবায়ন অযোগ্য। গত ৭০০ বছরে উপমহাদেশের হানাফি উলামাদের অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি মুসলমানদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক।

 

আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতি হানাফি ফিকাহ অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে। পাশাপাশি আমরা আল ওয়ালা ওয়াল বারা আয়াত দুইটি বলবত ধরেই ব্যাখ্যা করবো। 'আল ওয়ালা ওয়াল বারা' সালাফি কঠোর ব্যাখ্যা এই পলি মাটির দেশে প্রত্যাখ্যান করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকে বলেন মুসলমান আরও মার খাওয়া দরকার। তবে ঐক্য হবে। কিন্তু এটা সত্য না। সমাজে দুর্বল এবং প্রান্তিক মানুষরা বিভিন্ন কারণে অনেক খারাপ চারিত্রিক দোষাবলিতে আক্রান্ত হয়। তারা ঝগড়াতে এবং কলহপ্রিয়। চিন্তাচেতনায় কূপমণ্ডূক এবং সংকীর্ণ। তারা মহৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা করা সাহস ও যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। উপরন্তু স্বার্থপর এবং কাল্টবাজ হয়ে উঠে। বিষয়টি বুঝতে বনী ইস্রাইলের ইতিহাস আমাদের জন্য সহায়ক। মুসা (আ) যাকে বাঁচালেন সেই মানুষই নিজের স্বার্থে মিথ্যা আতঙ্কে মুসা (আ) কর্তৃক কিবতি ব্যাক্তি হত্যার ঘটনা ফাঁস করে দেয়। অথচ এই হত্যাকাণ্ড অনিচ্ছাকৃত ছিলো। সেটাও সেই ব্যাক্তিকেই বাঁচাতে। ফলে মার খেয়ে মুসলমানদের ঐক্য হবেনা। আল্লাহর কাছে মুসলমানদের জন্য আরও প্রশস্ততার দুয়া করুন। মার খাওয়ার বদদুয়া না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেকারনেই হোক যদি হিন্দুদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এখন পর্যন্ত মুসলমানদের পাশে না থাকতো তাহলে ভারতীয় মুসলমানদের উপর বিজেপির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে সামান্য প্রতিরোধ হচ্ছে তাও ধরে রাখা যেতোনা। খুব সহজেই হিন্দ উন্দুলুসিয়ায় পরিনত হতো। যেসব হিন্দুরা মুসলমানদের অস্তিত্বের সংগ্রামে তাদের পাশে আছে মুসলমানদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের শত্রু না বানানোই আমাদের আল ওয়ালা ওয়াল বারার আকিদা।

 

 

 

 

 

 

 

 

আল ওয়ালা ওয়াল বারার হানাফি মত এবং সালাফি মতের পার্থক্য আছে।

 

সালাফিদের একাংশের মতে মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা এবং হরবি, জিম্মি বা চুক্তিবদ্ধ যেকোনো রকম কাফেরদের ঘৃনা করাই আল ওয়ালা ওয়াল বারা।

 

হানাফিদের অভিমত হচ্ছে, আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইসলাম বিজয়ী করা এবং মুসলমানদের কল্যাণের জন্য প্রয়োজন মতো ভালোবাসা ও ঘৃনা করা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অসাম্প্রদায়িকতা একনা। মূলধারার ধর্মনিরপেক্ষতা প্রায়ই সাম্প্রদায়িক যা ব্যাবহারিকভাবেতো মিসইউজড হয়ই এমনকি দার্শনিকভাবেও লিবারেলিজমের আকিদায় ইমান রাখা সম্প্রদায়কে বাড়তি পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

যাদের বউ পুরাতন হয়ে গিয়েছে তাদের বলছি। তাদের বলছি যাদের প্রেম করার সুযোগ বিভিন্ন কারণে কমে গিয়েছে।

 

ভালোবেসে মাঝে মাঝে শুধু হাতটা ধরেন। এখনও ভালো লাগবে। আপনারও তারও।

 

 

 

 

 

 

 

 

দাম্পত্য জীবনে অযৌন রোমান্টিকতাগুলো শেখা খুব দরকার।

 

সহবাস আর ক মিনিট করা যায় বলেন? জীবনতো অনেকটা বড়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইসলামে একটা ব্যাপার আমার খুব পছন্দ। সেটা হচ্ছে গোপন করা হলেও ইমান মূল্যবান।

 

আমাদের আশেপাশে অনেক অমুসলিম ভাই আছেন যারা সত্য উপলব্ধি করেও বিভিন্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পারিপার্শ্বিক সমস্যার কারণে ইসলাম গ্রহণ করতে পারেননা।

 

এমন কাউকে পেলে বলুন অনতিবিলম্বে ইমান আনতে। সমস্যা অতিক্রম তার জন্য দুঃসাধ্য হলেও তিনি যেন ইমান আনেন। প্রয়োজনে তিনি তাঁর ইমান গোপন রাখুক। প্রয়োজনে সালাত নিয়মিত আদায় থেকে বিরত থাকুক। প্রয়োজনে অন্যান্য প্রকাশ্য, গোপন ফরজ পালনে বিরত থাকুক। মুশরিক স্বামী, স্ত্রীর সাথে সংসার করুক। তবু যেন ইমান আনে। কারণ নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। সকল প্রকার গুনাহ আল কাবায়ের সত্ত্বেও ইমান মূল্যহীন না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি ব্যাখ্যামূলক পোস্ট

 

আমার আগের পোস্টে কারও কারও মতে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে যে আমি ছাত্র আন্দোলনের মারুফ ভাইকে মুরজিয়া বলেছি। কিন্তু না আমি মারুফ ভাইকে মুরজিয়া বলিনি। বলেছি পোস্টের বক্তব্য ইরজা। কারও কোনো কথা কুফুরি হলেই যেমন কাফের হয়না তেমন কোনো কথা ইরজা প্রকাশ করলেই সে মুরজিয়া হয়না।

 

অনেকেই বলছেন আবেদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ করাই সেই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিলো। আবেদের প্রশংসা করা নয়। আমি মনে করি, আপনার শত্রুর প্রশংসা করার ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষত আদর্শিক সংঘাত চলাকালীন। এজন্য র‍্যান্ড প্রতিপক্ষকে ইভিল হিরো হিসাবে দেখাতেও নিষেধ করেছে। উদ্বুদ্ধ করার জন্য উদাহরণ এর অভাব নাই। আপনি আরএসএস দিয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। মুসলমানদের মধ্যে সংশয় তৈরি হবেনা। কিন্তু আবেদ বা ইউনুসের দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত হওয়া সহজ। তাছাড়া আবেদ যা করেছে তা ক্রুসেডেরদের অন্তহীন সহযোগিতা ছাড়া করা সম্ভব ছিলোনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি জীবনে কোনো ইসলামিপন্থী গ্রুপের সাথে থাকতে পছন্দ করিনি তার প্রধান একটা কারণ প্রত্যেক দল একেকটা উম্মাহ। কাদিয়ানিরা এক নবি বানিয়ে কাফের। কিন্তু প্রত্যেক ইসলামি দলের প্রত্যেক কেন্দ্রীয় নেতারা সবাই নবি। আর কর্মীরা হচ্ছে উম্মাত।

 

আমি নিশ্চিত শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা ফয়জুল করিম বা মাওলানা রেজাউল করিম যদি ফাহমির বদলে মিথিলার সাথে বিবাহ ছাড়াই সহবাস করতো আর তার প্রভার মতো পরিস্কার ভিডিও থাকতো তাহলে তাদের উম্মাতেরা বলতো এটা খিজির (আ) এর সুন্নাত। মুশরিক আর ফাসিকদের হাত থেকে বাঁচাতে তারা মিথিলাকে সুখ দিয়েছে। সব দাওয়াত ও ইকামতের দীনের প্রয়োজনে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি অন্তত গত ১০ বছরে একটা উপলব্ধি লালন করি। মানুষ আসলে নিজে ভালো বা খারাপ না। ধর্মবাদী জায়গা থেকে তাকদির বা ভাগ্য এবং সেক্যুলার বা ইহজাগতিক বিচারে পারিপার্শ্বিক অবস্থান মানুষকে অন্তত ৯০ ভাগ তৈরি করে। আজকাল হুযুরদের সাথে মিশিনা। তাদের খুব বোকা লাগে। নামাজে শেষের কাতারে দাঁড়াই। চলে আসি। কেমন জানি বিরক্ত লাগে। বোকা বোকা কথা, ন্যাকামি একদম পছন্দ না। কে কি করে? কেন করে? গন্তব্য কোথায় কেউ জানেনা। জাস্ট রুটিন এবং আবেগে চলা মানুষজন। তবু কখনো কথা হলে রাজনৈতিক আলাপ কম করি। একান্তই আলাপ হলে বলি ভাইয়েরা তোমরা যদি রাজনীতি করই তবে আওয়ামী লীগ না হয় বিএনপি করবা। জামাত, চরমোনাই, মজলিশ ইত্যাদি দল মোটেও না। কারণ এসব করার কোনো মানে নাই। দীনও নাই। দুনিয়াও নাই। এসব দল কখনো ক্ষমতায় যাবেনা। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই যাবে তবে ক্ষমতায় জামাত আর আওয়ামী লীগের পার্ফর্মেন্সের পার্থক্য বেশি হবেনা। শুধু এটুকু পার্থক্য হবে যে আওয়ামী লীগ যেকাজগুলো চাপে ও লোভে পড়ে করে কিন্তু চাপ স্বীকার করেনা সেই কাজে তারা চাপের ওজুহাত দিবে।

 

তাই মোল্লাদের দল থেকে দূরে থেকে দাওয়াতে তাবলিগের সাথে থাকুন এবং সেক্যুলার লাইফ সেক্যুলার মূলধারার সাথে মিলেমিশে থাকেন। অধিক সম্মান, টাকা এবং ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

এভাবেই দুনিয়া বদলে যায়। আল্লাহ ইলম তুলে নিবেন আলিমদের মৃত্যুর মাধ্যমে। আল্লাহ মাওলানা ফজলুল করীম (রহ) কে জান্নাতুল ফেরদৌসে দাখিল করুন। তার খেদমতের হেফাজত করুন। তার মতো কাউকে আজ দেখছিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আপাতত দুই মিনিটের জন্য যদি ধরে নেই যে শত্রুর কোনো প্রশংসা করা হয়নি শুধু তার সাফল্যের প্রশংসা তাহলেও বলতে হবে আপনার লিডার বিশুদ্ধ মূর্খ। কারণ আবেদের মতো করে সাফল্য আপনারা কখনো পাবেননা। সে তার প্রজেক্টের ইনপুট হিসাবে যেভাবে গ্লোবাল স্ট্যাবলিশমেন্টের ফান্ড এবং মাসল পাওয়ার পেয়েছে তা আপনার পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব। কারণ সে তার লজিস্টিকস পেয়েছে এই শর্তে যে ক্রুসেডারদের সমর্থনে ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

 

ভাইয়ারা দলবাজি, চামচামি, তোষামোদি বাদ দিয়ে লিবারেলিজম এবং নিওকলোনিয়ালিজম নিয়ে একটু পড়াশোনা করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় এনজিও হচ্ছে কওমি মাদ্রাসাগুলো।

 

বলেছেন পাকিস্তানের দেওবন্দিবিরোধী চিন্তাবিদ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আলী মির্জা

 

বাংলাদেশেও কি তা অসত্য?

 

 

 

 

 

 

 

 

কাছের মানুষের দাফনে অংশগ্রহণ করুন। দার্শনিকতা এবং আধ্যাত্মিকতা অনেক উঁচু মাকামে দ্রুত পৌঁছানো সহজ হয়ে যায়। একটা জলজ্যান্ত মানুষ কত সহজে কত দ্রুত নেই হয়ে যায়। কুরবানির গরু আর বহু বছরের পরিচিত মানুষটার উত্তেজনা থিতিয়ে আসে সমান ক্ষিপ্রতায়। প্রচন্ড ক্ষমতাবান মানুষেরা অন্যের হাতে কেটে ফেলা নখের মতো অক্ষম হয়ে পড়ে থাকে। কবরের পোকামাকড় বড় বড় রাজা, বাদশা, আমির উমারা আর জল্লাদের খড়গের তলায় নিহত মজলুমের লাস খেয়ে ফেলে একই সময়ে। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা কাঁদতে কাঁদতে তাকে পবিত্রতার অনুভূতিতে নিঃসঙ্গ ছেড়ে এসে ভুলে যেতে চেষ্টা করে আপ্রান। দিনশেষে আল্লাহ ছাড়া কেউ কারও না।

 

অবশ্য এই উপলব্ধি সাধারণত খুবই সাময়িক। এটা টেকাতে মেহেনত করতে হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মিজানুর রহমান আজহারির হিজাব বিষয়ক ফতুয়াটি ঠিক ভুল আলাপে আপাতত যাবোনা। তবে তার উচিৎ দাঈ হওয়া৷ ফতোয়া দেওয়া না। আমাদের দীনী ঘরানায় একজন সবকিছু হতে গিয়ে অনেক ঝামেলা তৈরি হয়। তাই তার উচিৎ যথাসম্ভব ক্যাচাল এড়িয়ে চলা।

 

বিপরীতে আমি নেকাবের ফরজিয়াতের পক্ষে। বিপরীত মত প্রতিহত করা দরকার মনে করি। কিন্তু যারা ইজমা বয়ান করছেন তাদের পড়াশোনার লেভেল হাস্যকর রকমের কম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাহাথিরকে আমি অপছন্দ করতাম তার আগের শাসনকালের কারণে। কেন আপাতত ব্যাখ্যা করবোনা৷ তবে এবার মনে হচ্ছে তার নিয়্যাত ভালো। হ্যাঁ তাঁর ইসলামি আকিদা এবং ফিকহ কতটা সঠিক বলা শক্ত৷ ইলমেও সমস্যা আছে। তবে এই বয়সে সম্ভবত ইসলামের জন্য কিছু একটা করে যাওয়ার আকুতি তার আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া। দিয়েছেন শাইখুল ইসলাম ইমামুত তাফসির ওয়াল হাদিস ওয়াল ফিকাহ ওয়াল ফালসাফা ওয়াল মানতিক ওয়াল তারিখ হযরত মীর সালমান (দাবা)

 

মেয়েদের হিজাবের ক্ষেত্রে নিকাব ফরজ কিনা তা নিয়ে সাহাবাদের যুগ থেকে কিছু এখতেলাফ থাকলেও এব্যাপারে কোনো এখতেলাফ নাই যে মেয়ের অভিভাবক যেমন পিতা বা স্বামী যদি নিকাব পড়তে নির্দেশ দেয় তবে মেয়েদের জন্য তা পালন করা বাধ্যতামূলক।

 

আমি নিজে যদিও উপযুক্ত শর্তসাপেক্ষে মেয়েদের মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দানের পক্ষে তথাপি কোনো মেয়ের স্বামী তাকে যেতে নিষেধ করলে তার জন্য মসজিদে যাওয়া বৈধ না। হাদিসে মেয়েদের মসজিদে যেতে বাধা দিতে যে নিষেধাজ্ঞা তা স্বামীর জন্য। তথাপি স্বামী নিষেধ করলে মেয়েদের জন্য মসজিদে যাওয়া বৈধ না।

 

 

 

 

 

 

১) জগতে যত ফেতনা ফ্যাসাদ তা প্রতিহত করার সুযোগ নাই। জানার কোনো শেষ নাই। জানার চেষ্টা বৃথা তাই।

 

যে জায়গায় আসলেই মিনিংফুল কিছু করা সম্ভব তা হচ্ছে পরিবার এবং নিজে। এই জায়গায় মেহেনত বাড়ান। দুনিয়া পরিবর্তনের মেহেনতে উম্মাহর যে পরিমান ফায়দা হবে তার চেয়ে পরিবারকে যোগ্য মুসলমান বানাতে পারলে উম্মাহর ফায়দা আরও বেশি হবে।

 

২) নারীদের স্বামীর আনুগত্য শেখানো জরুরি। শরিয়াতের অনেক এখতেলাফি মাসয়ালায় স্বামীর অভিমত স্ত্রীর জন্য ফতুয়ায় পরিনত হয় এমনকি আবু হানিফার মত যদি তার বিপরীত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের অবশ্যই অতিরক্ষণশীল খেলা থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।

 

উলামায়ে কেরামের ভেতর যারা স্কুলের কারিকুলাম থেকে বিবর্তনবাদ বাদ দিতে চাচ্ছেন তারা বুঝতে পারছেননা যে তাদের দাবি জ্ঞানগতভাবে দুর্বল এবং বাস্তবায়ন অযোগ্য।

 

আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ বিবর্তনবাদের সাথে ফিলোসোফি অব সাইন্সকে টেক্সট বইয়ে সংযুক্ত করার দাবি তুলুন। ইনশাআল্লাহ এটা পড়লে কেউ গোমরাহ হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

নেকাবের ফরজিয়াত ইস্যুতে ইউসুফ আল কারদাওয়ীদের ব্যাপারে চুপ থাকবেন আর মিযানুর রহমান আযহারিকে গালাগালি করবেন এটা কি ধরনের মজা? তাকি উসমানি কারদাওয়ীকে সম্মান করে বলে? বিষয়টি একই সাথে আপনার মূর্খতা এবং মাসলাকবাজি প্রমান করে। আযহারি সাহেবরা কিন্তু এসব কারদাওয়ীদের কাছেই শিখেছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা আমাদের দেওবন্দি হুযুররা এতো ইজমা পায় কোথায়?

 

হুযুর বিবিরে ফুঁসলিয়ে রাজি করে বলে উম্মাতের ইজমা হয়ে গিয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

আজহারি যা বলেছেন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ একই কথা বলেছিলেন।

 

#নেকাবিস্যু

 

 

 

 

 

 

দারুল উলুম দেওবন্দ এর যারা বাপ দাদা যেমন শাহ ওয়ালিউল্লাহ্, সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ রহ বা যারা দারুল উলুমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তারা ছিলেন অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত বংশীয়। অতঃপর শাইখুল হিন্দ থেকে আজকের যুগের বড় বড় আলিম যেমন তাকি উসমানি, সাজ্জাদ নোমানি, আব্দুল খালিক মাদ্রাজি প্রমুখ উন্নত বংশ মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু বিপুল পরিমান ছোটলোকদের রাস্তা থেকে তুলে এনে এই তাহরিক মানুষ বানিয়েছে। এই রাস্তার মানুষদের অনেকেই মাদ্রাসায় বার চৌদ্দ বছর বা আরও অনেক বেশি সময় থেকেও রাস্তার খাসলত ছাড়তে পারেনি।

 

মাঝে মাঝে ভাবি আসলে এই রাস্তা থেকে আনা মালগুলো তাহরিকের জন্য দায় না সম্পদ। সম্ভবত সম্পদ। কারণ মানব সমাজে ছোটলোকেরা বেশি। ফলে এদের বাদ দিলে তাহরিক দুর্বল হয়ে যাবে। দিনশেষে সংখ্যা একটা ইস্যু।

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি আকিদা এবং ফিকাহর অসংখ্য ক্ষেত্রে শেখ ইয়াসির কাদির চিন্তা চেতনার বিরুদ্ধে। কিন্তু সত্য বলতে শিক্ষা এবং চিন্তার ব্যাপ্তিতে আমি তার মতো কাউকে চিনিনা। আমার সন্তান আলিম হলে তার মতো হোক কারণ তিনি এমন আলিম যিনি একজন সুবক্তা হওয়ার পরেও তার প্রত্যেক বক্তব্য থেকে আজও অনেক কিছু শিখতে পারি। তার প্রত্যেক স্পিচ শোনা মানে নিজের ইলমের পরিধি আরও একটু সম্প্রসারিত করা।

 

ফলে যারা নিজস্ব কন্টেন্ট তৈরি না করে মাদখালিদের মতো তাকে খন্ডন করাই নিজেদের লক্ষ্যে পরিনত করেছে তারা মূলত তাঁর অংশ। তাঁর কাজের পরিপূরক৷ তাকে মোকাবেলা করার উপায় হচ্ছে একই বিষয়ে তার ইলম আত্মস্থ করে আরও অধিক শক্তিশালী চিন্তা দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করা।

 

 

 

 

 

 

 

আমি ইবাদত সংক্রান্ত মুস্তাহাবগুলো নিয়ে কাইজ্জা করাকে খুবই অপছন্দ করি। কেউ যদি হানাফি হয়ে ঘাড়ে হাত বাঁধে, আমিন বলার সময় মাইক লাগিয়ে চিক্কর দেয়, সুবহানাল্লাহ বলে নামাজ শুরু করে তাহলে আমার সামান্য আপত্তি নাই।

 

আমি সেক্যুলার বা ইহজাগতিক কল্যাণ নিয়ে অধিক আগ্রহী। যাতে পার্থিব জীবন প্রভাবিত হয়না তা আকিদা হোক আর ফেকাহ তাতে আমার যায় আসেনা। একারণে কেউ যদি বলে নবি মাটিও না, নুরও না ডায়মন্ডের তৈরি তাতে আমার যায় আসেনা। নবি জ্যাতা না মরাতেও যায় আসেনা। নবি গায়েব জানে কি জানেনা তাতেও যায় আসেনা।

 

আমি বুঝি নবির নিঃশর্ত আনুগত্য করতে হবে। তবে দুয়া কেবল আল্লাহর কাছে।

 

আমরা কেবল তার ইবাদত করি এবং তার সাহায্য চাই।

 

 

 

 

 

 

 

কিছু মানুষের যুক্তি এবং দলিল দেওয়ার ধরন সত্যিই মজার।

 

যেমন ধরেন আপনি বললেন মানুষ মাটির তৈরি। সে বলবে, যে একথা বলবে সে কাফের। মানুষ আল্লাহর তৈরি।

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশকে দেশের ভেতর থেকে সমর্থন করা বেশ কঠিন। দেশটিকে যারা ভালোবাসেন তাদের বুঝতে হবে যে দেশটিকে শক্তিশালী করতে চাইলে দেশের শক্তিকেন্দ্র তৈরি করতে হবে দেশের বাহিরে। ঠিক ইজরায়েলের মতো। ইজরায়েলের মার্কিন এবং ইউরোপীয় শক্তিকেন্দ্রগুলো যদি নিস্তেজ হয়ে যায় তবে দেশটি এক মাসও নিজের অস্তিত্ব টেকাতে পারবেনা। তেমন বাংলাদেশকে শক্তিশালী করতে হলে দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষকে উচ্চশিক্ষিত করে বিভিন্ন দেশে পাঠাতে হবে। সেখানে তাদের প্রভাব ও মিত্র অর্জন করতে হবে। অবশ্যই তাদের একটা মতাদর্শ থাকতে হবে। সেটা হচ্ছে ইসলাম এবং বাঙালি মুসলমানদের জন্য কমিটমেন্ট। এই কাজে সফল না হতে পারলে দেশের ভেতর চেঁচামেচি আত্ম উৎসর্গের গৌড়ব ছাড়া কিছুই অর্জন করতে পারবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসলমানরা যখন কন্সট্যান্টিনোপল জয় করে তখন খ্রিস্টান পাদ্রীরা নাকি তর্ক করছিলো যিশুর পায়খানা পাক না নাপাক। আমর ইবনে আস (রা) মিশর বিজয় এজন্য এতো সহজে করতে সক্ষম হন যে সেখানে মনোফিসাইট এবং ডায়োফিসাইট খ্রিস্টানদের প্রবল দন্দ্ব ছিলো।

 

শালা বোকা মোল্লাগুলো তর্ক মারাচ্ছে ইউটিউব আর প্রজেক্টের নিয়ে। এদিকে মসজিদের চার তলায় নামাজ পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরালে বিলবোর্ডে চোখে পড়ে মেহজাবিন বা বিদ্যা সিনহা মিমের গোসল করার ছবি। বাম দিকে সালাম দেওয়ার আগেই ওটা দাঁড়িয়ে যায়।

 

মজার ব্যাপার এসব হাইপার মোল্লাদের অন্তত ৫০% এর বউ মোবাইলে তাদের আগের বয়ফ্রেন্ডের সাথে মাস্তি করে। কি করবে বর ব্যাস্ত। সময় দেয়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ফতোয়া দিচ্ছি প্রজেক্টেরে বা ইউটিউবে ওয়াজ শোনা বৈধ। রাসুলুল্লাহ (সা) কে মহিলা সাহাবারা দেখতেন। হ্যাঁ বিশেষ কোনো কারণে কারও প্রতি মানে কোনো ওয়ায়েজের প্রতি কোনো নারীর দুর্বলতা থাকলে সেক্ষেত্রে পরহেজ করতে হবে।

 

বাকি থাকে আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা) সংক্রান্ত হাদিস। এব্যাপারে জবাব হচ্ছে

 

১) সাধারণত উম্মাহাতুল মুমিনিনদের মর্যাদার কারণে শরিয়াত তাদের উপর অতিরিক্ত দায় চাপায়। তথাপি প্রয়োজনবশত দরকার হলে তারা অন্যদের সাথে দেখা করেছেন। যেমন আয়শা (রা) জামালের দিন।

 

২) সেখানে কোনো প্রয়োজন ছিলোনা।

 

৩) মহিলাদের জন্য যেসব হাইপার কড়া পর্দার ফতোয়া দিচ্ছেন তার চেয়ে ইমান অর্জন মুসলিম নারীদের জন্য অধিক দরকার। বিভিন্ন স্পিচের মাধ্যমে দীনের জ্ঞান অর্জন করা যায়। এই ইলম ছাড়া মেয়েরা কিভাবে ইসলামে টিকে থাকবে?

 

৪) আপনারা অথবা আপনাদের আকাবিররা শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, রওশন এরশাদ, সোনিয়া গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, বেনযির ভুট্টোর সাথে সাক্ষাতের সময় এইসব ফতোয়া মনে রাখে?

 

৫) দারুল কুফরে দারুল ইসলামের কঠোরতা যারা আরোপ করতে চায় তারাই চরমপন্থী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আবরারের খুনিদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়ে আদালত আইনসঙ্গত কাজ করেছে। যারা বিরুদ্ধে বলছেন তারা কেউ আইন জানেননা। আবেগে বলছেন।

 

আইনত তারা এখনো অভিযুক্ত কিন্তু খুনিনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১)

 

ভালো সাজা আর ভালো হওয়ার ভেতর পার্থক্য অনেক। কদিন আগে সবাইকে শেখানোর জন্য একটা পোস্ট দিলাম যে গিবত ছাড়া আড্ডা জমেনা। বোঝাতে চাইলাম অপ্রয়োজনীয় আড্ডা বাদ দিতে। হঠাৎ সবাই ভালো হয়ে গেলো। ছি ছি আপনি গিবত করেন?

 

হাহাহাহা

 

তারা নাকি গিবাত করেনা।

 

হাহাহাহহা

 

২)

 

চরমোনাইপন্থীদের দুইদিন আগে মডারেট বলে গালাগালি করেছি। তবে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা হচ্ছে তাদের মূর্খ ভাবি বাতিল না।

 

৩)

 

আল্লামা কাল মার্ক্সস এর মতে অর্থনীতি ছাড়া বাকি সবকিছু হচ্ছে সুপার স্ট্র‍্যাকচার। কথাটা পুরো সত্য না হলেও মিথ্যা না। পৃথিবীতে যে ধর্মীয় সংঘাত সংঘর্ষ আমরা দেখি তার কারণ প্রায়ই যতটা মতাদর্শিক তার চেয়ে বেশি গোষ্ঠীগত।

 

যেমন ধরেন ক্রুসেড, বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ব, আহলে হাদিস হানাফি মারামারি ইত্যাদি।

 

হুযুররা যে বোকা বোকা ইস্যু নিয়ে মারামারি করে তার কারও মূলত গোষ্ঠ স্বার্থ যার সাথে প্রায়ই অর্থনৈতিক বিষয়ও জড়িত।

 

ধরেন নামাজে হাত বুকে পেটে না রেখে পুরুষাঙ্গে রাখলেই কি হবে? এতে কিন্তু নামাজ ফাসেদ হয়না। কিন্তু এরকম একটা ননইস্যুকে এমন হাঙ্গামার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করা হয় কেন? কারণ সিরিয়াস ইস্যুগুলো সেক্যুলার স্ট্যাবলিশমেন্টের দখলে। এখন বাজারে পরে আছে ধর্ম। তাই সেই মার্কেটে দখলের জন্য কিছু প্রতিকি বিষয় দরকার। এটা অনেকটা পতাকার মতো যে কে আমার মাসলাক বা গ্রুপে। এই ফালতু টপিকে ঝগড়া করলে স্ট্যাবলিশমেন্টের কোনো সমস্যা নাই। আবার আপনি এমন একটা ইস্যু কেন্দ্র করে মুরিদ ধরে রাখা, বক্তা হিসাবে জনপ্রিয় হওয়া, নিজস্ব ধারার মাদ্রাসায় জনতার ফান্ড কালেকশন ইত্যাদিও করতে পারলেন।

 

ব্যাপারটা আরও জটিল ও ক্রিটিক্যাল। আমি সম্ভবত আমার ভাবটা পুরো ফুটিয়ে তুলতে পারলাম না। কিন্তু ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

 

৪)

 

আযহারির বক্তব্যের আমি বিরুদ্ধে। আবার এই ইস্যু নিয়ে তাকে জাহান্নামে পাঠানোরও বিরুদ্ধে। আমার বক্তব্য হচ্ছে মানুষের ভুল হয়, পাপও হয়। সাহাবাদেরও হয়েছে। কিন্তু ভুলের কারণে কাউকে পরিত্যাগ করতে হলে দুনিয়ায় অনুসরণীয় মানুষ পাওয়া যাবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আচ্ছা হুজুররা টুকটাক ভুলের কারণে একজন আরেকজনের যত ভুল ধরে তার ১০ ভাগের একভাগ কি মুশরিক বা বিশুদ্ধ আহলে বিদয়াহর বিরুদ্ধে করে?

 

প্রশ্নটা করলে তারা বলবে তারা যে গোমরাহ সবাই জানে। কিন্তু বাস্তবতা কি বলে? মুশরিক এবং বিশুদ্ধ আহলুল বিদয়াহর সংখ্যা কি আমাদের দেশে কম?

 

কেউ ভুল মনে করে শিরক, কুফর বা বিদয়াত করে?

 

আসলে যেটা তারা বলেনা সেটা হচ্ছে এইসব টুকটাক ভুল করা, বিদয়াত করা লোকেরা আমার গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য হুমকি। তারা আমার উম্মাত ভাগানোর সম্ভাবনা রাখে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই যে আমাদের ওয়ায়েজরা একজন আরেকজনের পেছনে লেগে আছে এগুলো কি দীনের জন্য? কখনো না। মূলত এগুলো গোষ্ঠী স্বার্থ, ব্যাক্তিবিদ্বেষ বা কোনো ধান্দায় বলেন। হ্যাঁ বিষয়টিকে আদর্শিক রূপ দিতে কিছু মাসলা মাসায়েল লাগে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আজহারি কোনো এক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলায় যদি তাকে বাতিলের খাতায় ফেলতে হয় তবে বাতিলের তালিকা অনেক লম্বা। যেমন ধরেন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ), দেলোয়ার হোসেন সাইদি (হাফি), উলামায়ে আহলুল হাদিস এবং আমাদের জীবিত আকাবিরদের এক বিরাট সংখ্যা।

 

পিঠ বাঁচানো এবং স্ট্যাবলিশমেন্টের কাছে ভালো হওয়ার আকাঙ্খা মানব জাতীর জমহুরের আদিম ও অকৃত্রিম। তার উপর বক্তব্যটা সাম্প্রতিক না। এখন আপনারা যেহেতু তার পেছনে লেগেছেন তাই তার সকল দোষ খুঁজে খুঁজে জমা করে তাকে পঁচাতে হবে। কিন্তু ল্যাংটা করে দেখেন ঘা কম বেশি প্রায় সবার গায়েই আছে। সত্যিকারের কিছু গুড়াবা ছাড়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সবার কাছেই অনেক কিছু শেখা যায়। আমি হেজবুত তৌহিদের লোকদের ইমানের ব্যাপারে গভীর সন্দেহ করি। কিন্তু তারা একটা দারুণ কাজ করতে পেরেছে। তারা নিজেদের একটা কমিউনিটি বিল্ড করেছে। নিজেদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক বিবাদ মিমাংসার জন্য নিজেদের ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে। নিজেদের একজন ইমাম নিয়োগ দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অতঃপর নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষায় পরস্পরকে সহায়তা করে।

 

এই কাজটা যদি দেশের মূলধারার মুসলমানরা করতে পারতো তবে তাদের বৈষয়িক স্বার্থ রক্ষা হতো। পাশাপাশি অনেক হারাম থেকে দেশীয় মুসলমানদের বাঁচানো যেতো।

 

ফরায়েজি আন্দোলনের সময় মুসলমানরা কাজটা করেছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

হানাফিঃ চীনে মুসলমানদের উপর অত্যাচার চলছে। এখন মুসলমানদের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভেদ করার সময় না। আসেন মুসলিম উম্মাহর ইজমা অনুযায়ী চার মাজহাবের এক মাজহাব মানি। কিন্তু এদেশে যেহেতু হানাফি মাযহাব প্রচলিত তাই হানাফি মাযহাব মেনে ঐক্যবদ্ধ হই। সবাই আমিন আস্তে বলি। রফয়ে ইয়াদাইন না করি। আট রাকাত তারাবির বিদয়াত থেকে দূরে থাকি। আসেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।

 

আহলে হাদিসঃ চীনে মুসলমানদের উপর অত্যাচার চলছে। এখন মুসলমানদের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভেদ করার সময় না।আসেন কোনো ইমামের না, কুরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ হই। সবাই আমিন জোড়ে বলি। রফয়ে ইয়াদাইন করি। বিশ রাকাত তারাবির বিদয়াত থেকে দূরে থাকি। আসেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।

 

এভাবেই উম্মাহর ঐক্য প্রচেষ্টা চলছে শতশত বছর ধরে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যেসব ভাইয়েরা দারুল উলুম দেওবন্দের মায়েরে বাপ করে গালাগালি করলেন তাদের জানা উচিৎ আন্দোলনের কৌশল নির্মান করার অধিকার অবশ্যই যেকারো আছে। আপনার বুদ্ধিতে কেউ মারা খাবেনা।

 

জমিয়ত একটা বিশুদ্ধ দেওবন্দি সংগঠন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তাওহীদ না উম্মাহর শক্তি অথবা নিরাপত্তা ঐক্যের ভিত্তি হতে পারে। যেমন আমাদের ইহুদি ভাইয়েরা নিরাপত্তা আতঙ্কের কারণে একত্রিত হয়েছেন।

 

তাওহীদের ভিত্তিতে উম্মাহ একত্রিত হতে পারবেনা। অধিকাংশ মুসলমান আল্লাহর জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে রাজিনা। তাছাড়া তাওহীদ কি তা নিয়ে উম্মাহ কোনো দুইটা গ্রুপ একমত না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসা (আ) কে কতটা ভালোবাসি বোঝানো অসম্ভব। তাকে জীবনে এতো বেশি কাজে লাগে তাও বোঝানো অসম্ভব। ভাবছি একটা বই লিখা দরকার "আমাদের সময়ে মুসা (আ)।

 

যাইহোক আজ আর একটা গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিয়ে আলাপ করবো ইনশাআল্লাহ।

 

মুসা (আ) তথাকথিত সুশীল দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবীদের উসুল অনুযায়ী একটা অকৃতজ্ঞতার কাজ করেছিলেন। সেটা হচ্ছে ফেরাউনের ঘরে মানুষ হয়ে ফেরাউনের খেয়ে, ফেরাউনের পরে ফেরাউনের বিরুদ্ধে দার্শনিক এবং রাজনৈতিক লড়াই সংগ্রাম পরিচালনা করেন।

 

সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পূর্বে সিস্টেমের সুবিধা ভোগ করে নিজেকে অযোগ্যতা থেকে হেফাজত করা এবং আল্লাহর মোকাবিলায় অন্যদের ফালতু কৃতজ্ঞতার দায় থেকে মুসলমানদের মুক্তির দারুন দলিল বিষয়টি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাসুলুল্লাহ (সা) কোনো কিছু করাই তা বাধ্যতামূলক হওয়া প্রমান করেনা। সাধারণভাবে কেবল বৈধতা প্রমান করে। রাসুলুল্লাহ (সা) কোনো কিছু না করা তা হারাম হওয়া প্রমান করেনা। কেবল তা ওয়াজিব না হওয়া প্রমান করতে পারে।

 

আমাদেরকে বুঝতে হবে সাহাবারা বিভিন্নজন আলাদা আলাদা রকম আমল করেছেন। নিজেদের বাস্তবতা অনুযায়ী নিজের দাওয়াত ও ইলায়ে কালিমাতুল্লাহর সংগ্রাম করেছেন। ফলে কোনো একক পদ্ধতি হক বলা চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতা। আমাদের জন্য মানসুখ না হলে কুরআন বা গ্রহণযোগ্য হাদিসে বর্নিত অন্যান্য রাসুলদের আমল এবং বিভিন্ন সাহাবা কর্মপন্থা যা সাধারণভাবে রাসুলুল্লাহ (সা) কর্তৃক স্বীকৃত তা থেকে আমরা আমাদের মানহায সংগ্রহ করতে পারি।

 

দীনের মাঝে কোনো সংকীর্ণতা নাই। যারা এই দীনকে সংকীর্ণ করবে এবং কঠোরতা করবে তারা নিজেদের খোঁড়া গর্তে নিজেরাই পতিত হবে এবং তাদের পরিকল্পনায় কখনোই সফল হবেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই নেন ইটের বদলে পাটকেল।

 

আমাদের মাসলাকি রাজনৈতিক দলগুলোর বড় সমস্যা হচ্ছে যেখানে ভিন্নধর্মীয়দের সমর্থন একটা রাজনৈতিক দলের দরকার সেখানে ভিন্ন মাসলাকের ভোট অর্জনও সম্ভব হচ্ছেনা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানুষকে জাহিল বলার আগে নিজে যথেষ্ট শিক্ষিত হওয়া অত্যন্ত দরকার।

 

আমি উগ্র নেকাবপন্থী মানুষ। কেন আগে কিছু বলেছি পরে নেকাব নিয়ে আরেকটা পোস্ট দেবো। আমি মনে করিনা কোনো বিষয়ে এখতেলাফ থাকলেই তা আমলযোগ্য। তবে আপাতত আলোচ্য বিষয় আজহারি।

 

আপনাদের দাবি আজহারি তাফসির নিয়ে পড়ে ফতোয়া কেন দেয়? কথা অত্যন্ত যৌক্তিক। কিন্তু মনে রাখতে হবে একজন সাধারণ মানুষ ফতোয়া না দিতে পারলেও তিনি কিন্তু ফতোয়া নকল করে বলতে পারে। অর্থাৎ কোনো আলিমের কওল নকল করতে পারে। বিশেষত তিনি যদি মুকাল্লিদ হন। আজহারি মোটেই বড় আলিম না। একটা এভারেজ ইংরেজি বা ইকোনোমিকস ছাত্র অনার্স মাস্টার্স করলে ইংরেজি বা ইকোনমিকস যেমন জানে তিনিও ইসলাম তেমন জানেন। অনেকটা আমাদের মাওলানা ইক্যুইভ্যালেন্ট। আল আজহারে পড়েছেন। আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়টি মিশরে অবস্থিত। মুসলিম বিশ্বে মিশর সবার পূর্বে ওরিয়েন্টালিস্ট এবং ওয়েস্ট্রার্নাইজেশনের শিকার হয়। ভারতের কোনো কোনো অংশ মিশরের আগে ব্রিটিশ দখলে গেলেও তার চিন্তাগত প্রভাব বহুদিন পর্যন্ত কেবল হিন্দুদের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু নেপোলিয়ন মিশর দখল করার সাথে সাথেই মিশরে পশ্চিমা চিন্তা মুসলমানদের মাঝে প্রবেশ করে। তার বিভিন্নমুখি ফলাফল আছে। তার একটা হচ্ছে মিশরিয় আলিমদের অনেক বড় অংশ নেকাবকে ফরজ মনে করেননা। আজহারি যে আল আজহারে পড়ে এসেছেন সেই আজহারের ফতোয়া কিন্তু আলাদা না। তাছাড়া তিনি জামাতপন্থী হিসাবে ইখওয়ান সমর্থন করেন। আল কারদাওয়ীর প্রভাব তাদের উপর অনন্য।

 

এখন কেউ যদি তাকে জাহেলও বলেন তবে মনে রাখতে হবে তার জাহেলিয়াত ইজতিহাদি না তাকলিদি। তার আজহারের উস্তাদদের প্রভাব। ফলে আল আজহার এবং কারদাওয়ী নিয়ে কথা না বলার মাধ্যমে আপনি প্রমান করছেন যে শিকড় কাটার প্রজ্ঞা আপনার নাই। আপনি শুধু পাতা ছিড়তে জানেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এই নিউজটা পড়েন। মগডাল ছেড়ে গোড়া ধরেন।

 

DAWN.COM

Niqab banned at al-Azhar University

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নেন নিকাব দীনের অংশ না হওয়া নাকি উম্মাহর জমহুর অংশের মত।

 

হাহাহাহা

 

বোকা বাঙালি হুগুরস

 

#Fatwa

The niqab between worship and customs

 

Wearing the niqab (full face veil) is becoming a growing tradition in many places. However, many people quote Al-Azhar which declares it to be a purely Arab custom and not a religious obligation. Kindly explain.

 

Answer

According to the majority of scholars and the position we adopt, the niqab is a custom and not part of religion or adornment. This is based on the fact that a woman's face is not part of her 'awrah (those parts of the body that must not be exposed before non-mahrams). This is the established opinion of the Hanafi, Maliki and Shafi'i schools of jurisprudence, the sound opinion of Imam Ahmed and the opinion maintained by his students, and the opinion of al-Awza'i and Abu Thawr.

Read more...

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি ফতোয়া দিচ্ছিনা। তবে আমার মনে হয় দারুল কুফরে কাফেরদের কাছে এবং সরকারের কাছে সুদ নেওয়া বৈধ হওয়া উচিৎ। বিশেষত পেট্রোডলারের যুগে অন্তত ইনফ্ল্যাশন রেটের সমান। নয়তো বিভিন্ন কারণে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং কাফেররা উপকৃত হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মানুষ বোঝেনা যে তাওরাত, ইঞ্জিল বা কুরআন কোনো কিছুই বৃষ্টির মতো আকাশ থেকে পড়েনি। হঠাৎ গুপ্তধন পাওয়ার মতো মাটি খুঁড়েও পাওয়া যায়নি। এগুলো নাযিল হয়েছে একেকজন রাসুলের উপর, একেকটা বিশেষ সমাজে, বিশেষ বাস্তবতায়।

 

আসমানী কিতাব দূরে থাক প্রত্যেক কবির কবিতা, গানের সুর, প্রেমের উচ্ছ্বাস শূন্যে ভেসে জীবনে পরেনা। সবকিছুর একটা প্রেক্ষাপট আছে। এই প্রেক্ষাপট অস্বীকার করে গায়ের জোড়ে ঢালাওভাবে তা উপভোগ করতে চাইলে দ্রুতই হতাশার অন্তহীন তরঙ্গে হারানো ছাড়া আর কোনো পরিনতিই অপেক্ষা করেনা।

 

জানিনা whether end should justify means or not কিন্তু ডেফিনেটলি এন্ড ইজ ভ্যালুয়েবল দ্যান মিন্স।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মডারেট শব্দটিকে কিছু মানুষ ইহুদি খ্রিস্টানের দালালের মতো হালকা বানিয়ে ফেলেছেন।

 

রাখাল বালকের গল্প শুনেছেন। প্রতিদিন বাঘ দেখালে সত্যিকারের বাঘ আসলেও মানুষ বিশ্বাস করবেনা।

 

আপনাদের অত্যাচারে ইহুদি খ্রিস্টানের সত্যিকারের দালাল এবং সত্যিকারের মডারেটদের পোয়াবারো।

 

ইহুদি খ্রিস্টানের সত্যিকারের দালালের উদাহরণ হচ্ছে ফজলে হাসান আবেদ, ইউনুস এবং সত্যিকারের মডারেটের উদাহরণ রিয়াসতে মদিনার ইমরান খান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দারুল ইসলাম না হলে ইসলাম নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে কিছু সমস্যা থাকেই। থাকাটা বৈধ বলছিনা। তবে এটাই অনিবার্য বাস্তবতা। বিশেষত যারা গণমানুষের ভেতর ইসলামের দাওয়াত দেয়। এজন্য চরমোনাই পিরের মধ্যে বেদাত পাবেন৷ আজহারির ভেতর মডারেট ইসলামের ইলিমেন্ট পাবেন। জাকির নায়েকের ভেতর অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ পাবেন। হামজা জরজিস, তাকি উসমানি, আওলাকিরা কখনো জনপ্রিয় হবেনা উপরোক্তদের মতো।

 

মেয়েরা ভারতীয় সিরিয়াল ছেড়ে আযহারির বয়ান শুনছে, বাচ্চারা কার্টুন না দেখে আজহারির ওয়াজ শুনছে, রাস্তাঘাটে লোকেরা রাবেয়া বসরির সাথে বেলাল (রা) এর বিয়ের আজগুবি কিসসা কাহিনীর ওয়াজের পরিবর্তে আযহারির বয়ান শুনছে। এমনকি সাধারণত আমাদের আশেপাশে হিন্দুদের দাওয়াত দেওয়ার যে দায় আমাদের ছিলো তাও তার দ্বারা কিছু না কিছু আদায় হচ্ছে। আমার পরিচিত কোনো কোনো হিন্দু তার বক্তব্য শোনে। এগুলো আমার কাছে অনেক বড় কিছু।

 

হ্যাঁ ভুল ভুলের জায়গায়। কেউ ফেরেশতা না, নবি না, সাহাবাও না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কোন ইস্যুতে কয়েক হাজার আয়াত হাদিস জমা করায় কিছুই প্রমানিত হয়না। এতো জানা কথা প্রত্যেক মুজতাহিদের মতের পক্ষে দলিল আছে। এমনকি খারেজি, রাফেজি, মুতাজিলা, মুরজিয়া, মুলহিদ সবার পক্ষেই দলিলের স্তুপ আছে। ফলে কথায় কথায় কুরআনে আছে, সহীহ হাদিসে আছে, অমক তমক সালাফ খালাফ আলিমরা বলেছে বলে ভিন্নমতকে যারা উড়িয়ে দেন তারা কেবলই আমার তামাশার বস্তু।

 

আমি আলিমদের মাপি বিরোধী মত উপস্থাপনায় তাদের সততা এবং খন্ডনের স্মার্টনেস দিয়ে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

দেওবন্দিরা যখন বেরেলভিদের সাথে তর্ক করে তখন তারা আকাবির পূজার বিরুদ্ধে বলে। দলিলের কথা বলে। কিন্তু যখন জাহেরি বা সালাফিদের সাথে তর্ক করে তখন বলে আল্লাহ শুধু কিতাব পাঠাননি রিজালও পাঠিয়েছেন। তারা মানাকিবে আকাবির বয়ান শুরু করেন। এই একই যুক্তি বেরেলভিরা দেওবন্দিদের সাথে তর্কের সময় দেয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা ঐক্যের স্লোগান দেয় তাদের পক্ষে প্রায়ই ঐক্য সম্ভব হয়না। কারণ ঐক্যের জন্য যে মানুষিকতা দরকার তা প্রায়ই দলের জন্য ক্ষতিকর।

 

ইনসাফ ছাড়া ঐক্য সম্ভব না। কিন্তু ইনসাফের কারণে দলীয় অন্ধত্ব নষ্ট হয়। এই দলীয় মানস ছাড়া দলীয় আসাবিয়্যাহ থাকেনা। দলের নেতৃত্ব শক্তিশালী হয়না। কারণ দলবাজি এবং আনুগত্যের মাঝে পার্থক্য এতো সূক্ষ যে সাধারণ মানুষ দূরে থাকা অনেক মহান মানুষও তা বজায়ে রাখতে ব্যার্থ হন।

 

ঐক্যের জন্য প্রয়োজনীয় চিন্তা অর্জন করা সহজ না। এর জন্য অনেক সাধনা দরকার। সেটা গনমানুষ পারেনা।

 

ঐক্য দলীয় চিন্তার বিশুদ্ধতার জন্য ক্ষতিকর। একটা জামাতের নতুন ছেলে তাবলিগিদের সাথে সময় দিলে তার দলীয় আনুগত্য কমে যাবে। আবার তিন দিন সময় লাগানো একটা ছেলে শিবিরের ছেলেদের সাথে মিশলে তাদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ থাকে। আজকাল সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার সময় আপনি বাদ পড়তে পারেন শুধু একারণে যে আপনি সরকার বিরোধী কারও সাথে উঠাবসা করেন। এই সূত্র সকল দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

 

অনেক সময় নেতারা অন্য দলের বিরুদ্ধে বলেন শুধু একারণে যে কর্মীরা যেন একটা উপযুক্ত পার্থক্য পায় এবং অন্যদলে যুক্ত না হয়। এটাকে তাদের পরিভাষায় বলা হয় জনশক্তি যেন বিভ্রান্ত না হয়।

 

যাইহোক আমি যেহেতু আমার সময়ের শ্রেষ্ঠ ভাস্যকারদের একজন তাই এভাবে বলতে চাইলে অনেক কিছু বলা যাবে। কিন্তু এতো কিছু বজায়ে রেখে ভারসাম্য ধরে রাখা এবং ভারসাম্যপূর্ণ কথা বলা প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া যারাই এসব বেশি বোঝে এবং আমল করতে চায় তারা কর্মী হিসাবে খুব নিরুত্তাপ এবং অকেজো হয়।

 

মূলকথা ঐক্য দলের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর, নেতার নেতৃত্বের জন্য ক্ষতিকর কিন্তু বক্তৃতায় বলার জন্য সুন্দর। একজন বুদ্ধিজীবী হিসাবে আপনি যা বলতে পারেন একজন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নেতা তা বলতে বা করতে পারেনা। বুদ্ধিজীবীরা একাকি চলতে পারেন। কিন্তু জননেতারা না।

 

তাই ঐক্যের স্বপ্ন দেখা আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক অপরিপক্কতার প্রমান।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কারদাভি সহ বিভিন্ন দেশের ফকীহগণ মিল্ক ব্যাঙ্ক হালাল ফতওয়া দিয়েছেন। ওরা কারা, যারা বলে বেড়াচ্ছে যে চার মাজহাব মিলে হারাম বলেছেন? - Muntaqim Chowdhury

 

ল্যাও ঠ্যালা

 

কারদাওয়ী ভালো মানুষ কিন্তু মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ খারাপ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমার পরামর্শ হচ্ছে আল্লামা আশরাফ আলীর নামে একটা গ্রুপ খুলে সেখানে হুজুরের পরিচিত সবাই যুক্ত হন। তারপর তার ব্যাপারে আপনার নিজের স্মৃতি বা অন্য কারও নামসহ তার স্মৃতি উল্লেখ করেন।

 

সে ভিত্তিতে একটা স্মারক হতে পারে। প্রত্যক্ষ রাবির বর্ননা হুযুরের জীবনকে প্রামাণ্যভাবে সংরক্ষণ করতে সহায়তা করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কারদাওয়ী গং সারাদিন মাকাসিদ জপে। অথচ নিকাব ইস্যুতে এখতেলাফের দোহাই দিয়ে শিথিলতার পক্ষে ঢালাও ফতোয়া দেয়। পর্নগ্রাফির যুগে নিকাব সত্ত্বেও নারীর শরীরের যেসব ভাঁজ, উঁচু নিচু অনিবার্যভাবে বোঝা যায় তাতেও পুরুষের অন্তরে কুচিন্তা আসে।

 

বাস্তবতা হচ্ছে তাদের ফিকহের ভিত্তি দলিল বা ফকিহদের ইখতিলাফ না বরং পাশ্চাত্যের মনোতুষ্টি এবং নফশের খাহেশাত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামাতের উস্কানিতে এই ফালতু কাজে জড়িত হওয়া ভুল হবে। গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা সরকার পতনের দায় নেওয়ার কোনো দরকার আমাদের নাই।

 

TIMESREPORT24.COM

‘গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে’ মাঠে নামছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম - Times Report

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ) অখণ্ড ভারতের পক্ষে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়ায় যে ভাইয়েরা দেওবন্দিদের প্রতি সাধারণভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা মাওলানা আশরাফ আলী থানভি, মুফতি মুহাম্মদ শফি, মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানি, মাওলানা জাফর আহমদ উসমানি, মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি প্রমুখের ব্যাপারে কি ধারণা পোষণ করেন?

 

পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখিত উলামাদের অবদান কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

[ভেবেছিলাম রাজনীতি নিয়ে কথা না বলার চেষ্টা করবো। তাই কথাটা একদম জেনেরিকভাবে নিবেন। কোনো নির্দিষ্ট দেশের বা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত ভাবার দরকার নাই।]

 

আন্দোলন, সংগ্রাম, প্রতিবাদ শুধু দায় বা কর্তব্য না। একটা রোমান্সও। জোয়ান বয়সে অনেক তরুনকে আন্দোলনের রোমান্টিকতা ষোড়শি তন্বীর চেয়েও বেশি টানে। অক্টোবর বিপ্লবের পরে কতো সম্ভাবনাময় তরুণ ক্যারিয়ার, প্রেমিকা এমনকি ধর্ম ছেড়ে দিয়েছে শোষণমুক্ত শ্রেনীহীন সমাজ গড়ার লড়াইয়ের ফ্যান্টাসিতে। খাবার, পানি, সহবাসের মতোই সত্যের জন্য আন্দোলন মানব ফিতরতের এক অনিবার্য চাহিদা। শরাবের চেয়েও বড় নেশা।

 

তবে মানুষ অনর্থক পতঙ্গের মতো আত্মহুতি দিতে পারেনা। সে আত্মউৎসর্গ করে একটা স্বপ্নে। সাফল্যের স্বপ্নে৷ যদি সাফল্যের ন্যুনতম সম্ভাবনা না থাকে তবে খুব কম মানুষ সেই সংগ্রামে কুরবানি দিতে রাজি হয়। ফলে যখন ব্যার্থতা অনিবার্য হয় তখন মানুষ ভিন্নপথ ধরে।

 

কোনো জায়গায় যদি ইসলামের জন্য সংগ্রামের পথ রুদ্ধ হয়ে যায় কিন্তু অন্য কোনো আদর্শের জন্য সংগ্রামের পথ খোলা থাকে তবে মানুষের একটা বড় অংশ যুগের হুজুগে প্রতারিত হয়। মানুষ ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণদের অকর্মণ্য ও নির্বোধ ভাবে। ইসলামের আদর্শকে পুরাতন ও অচল ভাবা শুরু হয়। যারা সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত আবেগে ইসলামের চাদর খুলতে পারেনা তারাও সাথে ঘুঙুর পরে নেয়। এভাবে মুসলমানদের অনেক সম্ভাবনা ভাগাড়ে পচার জন্য আলো ভেবে আলেয়ার পেছনে দৌড়ায়।

 

ফলে কোথাও যদি ইসলামের জন্য সংগ্রামের পথ রুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে ভিন্ন আদর্শের লোকেদের সংগ্রামের পথ খোলা থাকা বোদ্ধা মুসলমানদের জন্য প্রত্যাশিত হতে পারেনা। বিশেষত ভিন্ন আদর্শের কর্মীদের যখন দীর্ঘ ইসলাম বিরোধী লড়াইয়ের ঐতিহ্য থাকে। অন্য কেউ তাদের টুঁটি চেপে ধরাকে কৌশলগত কারণে উদযাপন করা না গেলেও মনে মনে ডিভাইন জাস্টিস মনে করে মুখ টিপে হাসা যেতেই পারে। সাবধান ভুলেও অট্টহাসি হাসি দিবেননা। সেটা সুন্নাহর খেলাফ। সাফল্য সুন্নাতের উপর আমলকারীদের জন্য।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের অনেক দেওবন্দি দাবি করা ভাইয়ের একটা সমস্যা হচ্ছে তারা মনে করেন এই বঙ্গে সমস্ত ধর্মীয় বিষয়ের তালুক তাদের। এজন্য তারা হানাফি মাযহাবের একটি শাখা দেওবন্দি আলিমদের মতকেই একমাত্র বৈধ ফিকহি রায় হিসাবে গ্রহণ করতে সবাইকে বাধ্য করতে চান। যেহেতু বহু শতাব্দি ধরে এদেশে এককভাবে হানাফি মাযহাব প্রচলিত তাই আওয়াম এবং তালিবে ইলমরা মাসলা মাসায়েলে এখতেলাফের পরিধি সম্পর্কে অত্যন্ত কম জানেন। ফলে তারা ফিকহে হানাফির রায়কে কুরআন মানার মতো কার্যত অকাট্যভাবে মানতে সবাইকে বাধ্য করতে চান। কেউ ফিকহে হানাফির বাহিরে কথা বললে তারা বিষয়টিকে কুফুরির নিকটবর্তী মনে করেন। এজন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের বৈধতা স্বীকার করলেও কেউ যদি ভিন্ন মাযহাবের প্রচলনের পূর্ণ প্রয়াস চালান তবে তারা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবেননা। পাশাপাশি আপনি যদি দুইজন আলিমকে পছন্দ করেন এবং তারা যদি কোনো বিষয়ে পরস্পরবিরোধী অভিমত পোষণ করেন তাহলে তারা আপনাকে দুজনের মাঝে যার মত তাদের মতের সাথে মিলবে তার মত দিয়ে আপনাকে ব্ল্যাক মেইল করবেন। তারা এটা মানতে রাজি হবেননা যে দুইজনের এখতেলাফ মেনেই দুইজনকে সম্মান করা যায়। তাদের দৃষ্টিতে এই অধিকার কেবলই মুজতাহিদ ইমামদের। কিন্তু তারা সাধারণত উপলব্ধি করতে চাননা যে মুজতাহিদের সাত বা তারও অধিক স্তর আছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানুয়ারী ২০২০ এর লেখাসমুহ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ইহুদি খ্রিস্টানরা মারার সময় কে শিয়া কে সুন্নি দেখেনা। মুসলমান দেখে।

 

বাল বুঝো রাজনীতি।

 

তারা মুসলমানও দেখেনা। দেখে স্বার্থ। সেই স্বার্থে প্রয়োজনে মুসলমান দেখে, প্রয়োজনে শিয়া সুন্নিও দেখে।

 

 

 

 

 

 

 

 

একটা গুরুত্বপূর্ণ এজাম্পশন

 

আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ (সেটা ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক যেকোনো দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য) নিয়ে আমরা যখন বিবৃতি দেই বা পর্যালোচনা করি তখন আমরা ফলাফলের দায় নিয়ে কথা বলিনা। রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনার দায়ও আমাদের নাই।

 

যেকোনো সংঘাত আমাদের জন্য আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল বা ভারত-পাকিস্তান ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ম্যাচের বিগ ফাইট শো। আমরা মজা, তামাশা করা এবং একটা ফিলিংস পাওয়ার জন্য পর্যালোচনা করি।

 

ফলে যারা আমাদের বলে আমাদের খুশি হওয়া বা দুঃখ পাওয়ার পরিনতি সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে তাদের দেখে আমরা দশ পাটি দাঁত বের করে ক্যালায়ে ভ্যাটকাই।

 

হেহেহেহেহেএহেএহহে হাহাহাহহাহাহহাহ হেএএএএএএহেহেহেহহেএহেহে হেহেহেহ হাহাহাহা হাহ হাহ হাহ হাহ হেহে এএএএ

 

বেক্কল একটা কেরাম খেলতে এসে ইমোশনাল হয়ে গিয়েছে। ভাবটা এমন যেন বাপের জমি বেচে বা বউ বাজি রেখে জুয়া খেলছে আমির খানের লগন টিম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সোলেমানি হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। তার শাহাদতের বদলা হিসাবে মোহাম্মদ বিন জায়েদের কোনো গতি করা যায় কিনা ভেবে দেখতে ইরানের আল কুদস ফোর্সকে আহ্বান জানাচ্ছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সোলেমানি এবং মেহেন্দাস হত্যায় পরিনতিতে প্রত্যাশার জায়গা

 

১) ইরান অক্ষমতাবশত আমেরিকার বদলে আলে সাউদের উপর শোধ নিতে পারে। আলে সাউদ মারা খেলেও খারাপ না।

 

২) ইরানের সামর্থ্যের উপর অবশ্যই এটা একটা আঘাত। রেটরিক্যালি যতই বলেন একজন শহীদ মরেনা। হাজারো সোলেমানি আছে কিন্তু বাস্তবে আরেকজন ক্যারিশমাটিক জেনারেল পাওয়া সর্বদা তত সহজ না।

 

৩) আশা করি সিরিয়াতে সামান্য হলেও চাপ কমতে পারে। ফলে তুরস্কের লিবিয়ায় হাফতারবিরোধী এ্যাকশনে সামান্য হলেও উপকার হতে পারে।

 

যদিও একটা ঘটনা খুব বড় কিছু না। তবে অবশ্যই গত দুই দশকে ইরানকে মার্কিন যে ছাড় দেওয়া হচ্ছিলো সেটা একটা ধাক্কা এটা।

 

৪) রেয়ান সি ক্রোকারের পরামর্শে আফগানিস্তানে মার্কিন ইরান জোট হওয়ার সম্ভাবনা আশা করি কমবে। আমি তালেবান নেতা হলে এই ঘটনার নিন্দা জানাতাম।

 

তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা মনে রাখতে হবে, একটা ওয়ার অনেকগুলো ব্যাটেলের সমাষ্টি। আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ অনেক সময় নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যু পরিবর্তন করে। আনাদের চায়ের আড্ডায় দুই দুই চারের মতো না বিষয়টি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আবার বলি ভোটের রাজনীতি করলে আজহারি সাহেবকে আপনাদের দরকার নাই। কিন্তু তার অজামাতি ভক্তদের দরকার আছে। এই অজামাতি আজহারি সমর্থকদের আওয়ামী লীগও অবজ্ঞা করেনা। অপ্রয়োজনে ঝামেলায় বাধাতে চায়না।

 

আমি বলছিনা আপনাকে তার চিন্তাগত দিক মানতে হবে। কিন্তু বিরোধিতা আদব শিখতে হবে। আপনি কি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ) কে মানেন? না আপনি তাকে মানেননা। আকিদাতেও না, ফেকাহতেও না। গোঁড়া দেওবন্দিদের অনেকেতো তার আকিদাকে মুজাসসিমাদের আকিদাও বলে। কিন্তু কোনো দেওবন্দি আলিমকে দেখেছেন যিনি ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ)কে অশ্রদ্ধা করেছেন? না দেখেননি।

 

বেকুবের মতো মাওলানা ফয়জুল করিম যেভাবে আজহারিকে জাহিল বললেন সেটা খুবই হাস্যকর। এভাবে রাজনীতি হয়না৷ পির মুরিদি আর রাজনীতি এক না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

১)

 

কেউ ইহুদি নাসারার দালাল শুনলে ছোটবেলায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়তো। বিশাল কিছু মনে হতো। বিশেষত আমাদের পথ দেখাতো একটা আয়াত এবং একটা হাদিস। আল্লাহ পাক বলেন, ইহুদি নাসারাদের যে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবে সে তাদের মাঝে গন্য হবে। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, (মোটামুটি আশেপাশে) কেউ ইমানের স্বাদ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্নরূপে পাবেনা যতক্ষণ আকাশ থেকে তাকে ফেলে দেওয়ার চেয়েও ইসলাম ছেড়ে দেওয়া তার কাছে কঠিন মনে হবে।

 

এখন ইহুদি নাসারার দালাল শুনলেই শরীলের মইদ্যে একটা ভাব আসে। একটা দারুণ তামাশার বিষয় মনে হয়। একটা ফিলিংস লাগে। বক্তাকে চিরিয়াখানার চিরিয়া, কার্টুন নেটওয়ার্ক এর কার্টুন লাগে।

 

এর জন্য দায় কার?

 

২)

 

আমি সন্দেহাতীতভাবে নেকাবের পক্ষে। কিন্তু যারা ব্যাপারটা নিয়ে মারাত্মক ছোটলোকি স্টাইলে নিন্দা করছেন তাদের নিয়ে উপহাস করি।

 

যাইহোক সামনে ফজলে বারি মাসুদ ভাই হুজুরদের একমাত্র প্রার্থী। চরমোনাইওয়ালারা যে উন্মাদনায় মাতাল সমালোচনা করছেন তাতে কি আপনাদের মনে হয় আজহারি ভক্তরা আপনাদের ভোট দিবে?

 

হাহাহহা

 

আপনাদের নেকাব ছাড়া, হেজাব ছাড়া, ওড়না ছাড়া মেয়েদের ভোট দরকার নাই?

 

হাহাহা

 

ওড়না ছাড়া, ব্রা ফিতা দেখা যাওয়া মেয়েদের ভোট ছাড়া ঢাকা শহরের কুত্তা পরিষদের ভোটে কেউ জিততে পারবে?

 

এধরণের মাসলাকি বলদামি গনতান্ত্রিক রাজনীতি করে আমাদের ইসলামি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখায় বলদা ইসলামি গ্রুপগুলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তোমরা দারুল উলুমের চার দেওয়ালের বাইরে গিয়ে যা ইচ্ছা কর। মহৎ কিছু করলে তার বিনিময় আল্লাহ দিবেন, অন্যায় করলে তার ফল তুমিই ভোগ করবে। কিন্তু দারুল উলুমের ভেতরে থেকে তোমার কোন কর্মে দারুল উলুমসহ মাদারিসে ইসলামিয়া ও গোটা উম্মাহের কোন ধরনের বরবাদির কারণ স্বরূপ যদি তুমি সাব্যস্ত হও, আর আল্লাহ না করুন যদি দারুল উলুমকে উজাড় করে দেওয়া হয়, তার দরজা বন্ধ হয়ে যায়, আর এর কারণ দারুল উলুমের ভেতরে বসা তার নেমকখোর তুমি হও, তবে শত ধিক ও ধ্বংস তোমার জীবনের প্রতি

 

সহমত

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(১)

 

যারা আমাকে গালাগালির আদব শেখান তাদের অনেকেরই মাওলানা ফরিদুদ্দিন মাসুদ নিয়ে কথা বলার সময় মুখের ভাষা হয়ে যায় এক উচ্চাঙ্গের মেথর পট্টিয় গালি সাহিত্য।

 

(২)

 

শালীনতা একটা আপেক্ষিক বিষয়। আমার মতে বিনা দলিলে কাউকে ইহুদি খ্রিস্টানের দালাল বলা কাউকে চুতমারানি তোর ...কে.... বলার চেয়ে বেশি জঘন্য। কারণ এটা তাকফিরের কাছাকাছি।

 

(৩)

 

মজার ব্যাপার যারা কথায় কথায় মানুষকে ইহুদি নাসারার দালাল বলে তারা কাল থেকে ইহুদিদের এতো আন্তরিক প্রশংসা করা সত্ত্বেও আমাকে এখনো মোসাদ এজেন্ট বলেনি। অথচ আমি এটা পর্যন্ত বলেছি অনেক মুসলমানের (যেমন রাফেজি, বাউলপন্থী, মাজারপূজারী) চেয়ে ধার্মিক অর্থোডক্স ইহুদিদের আকিদা ভালো বলেছি।

 

হ্যাঁ কেউ কেউ মডারেট বলেছে। অবশ্য এদেশে মানহাযি, মূলধারা কেউই সাধারণত মডারেট এবং মডার্নিস্ট সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বোঝেনা। শিখেছে একটা শব্দ। সেটা যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঢুকায়ে দেয়।

 

আমার এক লুচ্চা ফ্রেন্ড একবার আমার এক বান্ধবীর সাথে রিলেশন করতে চাইলো। আমার হেল্প চায়। বললাম দোস্ত চেহারাতো খুবই খারাপ। বললো, প্রস্রাব করে?

 

এদের হয়েছে সেই দশা। একটা কিছু পেলে সেটা নিয়েই লাফালাফি করবে। ছিদ্র পেলেই ঢুকিয়ে দিবে।

 

আচ্ছা বাঙালি এতো মূর্খ কেন?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যত মানুষ পর্ণ দেখে অভ্যস্ত প্রত্যেকে তাদের ব্যাক্তিগত জীবনেও যৌন বিকৃতির স্বীকার। এনাল সেক্স বিশেষত ওরাল সেক্সের বড় চর্চা আমাদের তরুণ তরুনীদের মাঝে আছে। ছেলে মেয়েরা এতে আসক্ত। আল হামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে এই কুকর্ম থেকে হেফাজত করেন। ফলে আমি কখনো ওরাল বা এনাল সেক্সে আগ্রহ বোধ করিনি।

 

আপনার যদি চটি পড়ার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বুঝবেন সমস্ত যৌন বিকৃতির বর্ণনার একটা এনসাইক্লোপিডিয়া হচ্ছে এই চটিগুলো। যারা এধরণের চটি পড়ে তারা ইনসেস্ট এবং ওয়াইপ সোয়াপের মতো চূড়ান্ত ফ্যান্টাসিতেও আক্রান্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সমাজে এতো প্রবল সমস্যা হচ্ছে যে তা সেখানে ওপেন সিক্রেটে পরিনত হচ্ছে। বর্তমান যুগে যে যৌন বিকৃতির প্রসার তার কোনো উপমা ইতিহাসে আছে কিনা আমার জানা নাই। গ্রিক মিথলজি এবং ইন্ডিয়ান মিথলজিগুলোতে অবশ্য এধরনের পার্ভার্সন দেখা যায়।

 

আমার পূর্ণ রেওয়ায়েত মনে নাই। কিন্তু ঘটনার সার হচ্ছে মোটামুটি এমন যে রাসুলুল্লাহ (সা) একবার এক মাহরাম পুরুষের সাথে এক নারীকে হিজাব করতে বলেন। তাদের সম্পর্ক ছিলো সম্ভবত ভাইবোন। কারণ ছিলো ফিতনার আশঙ্কা।

 

যদিও নেকাবের ব্যাপারে ভিন্নমতটা আসল সহীহ হতো এবং নেকাবের পক্ষে কোনো নস না থাকতো তথাপি মাকাসিদুশ শরিয়া এবং ফিকাহর বিভিন্ন উসুল অনুযায়ী বর্তমানে নেকাব পরিধান করা উম্মাহর কন্যাদের জন্য বাধ্যতামূলক হতো। কারণ চূড়ান্ত দুশ্চরিত্রদের সমাজে যেখানে ফিতনা ও গুনাহর উপকরণের প্রাচুর্য বিদ্যমান এবং তাকওয়া নিম্নগামী সেখানে নেকাবই তুলনামূলক কার্যকর ঢাল। সম্ভব হলে মেয়েদের বাড়ির বাহিরে যেতেই দেওয়া অনুচিত। কারণ নিরাপত্তা আশঙ্কা থাকলে নারীদের জন্য বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়ার দাবি রাখে।

 

বর্তমান বাস্তবতায় কুরআন হাদিসে কিছু ব্যাখ্যাসাপেক্ষ দলিল থাকলে বা সাহাবাদের ও ফকিহদের মাঝে ভিন্নমত থাকলেই যদি সকল মত আমলযোগ্য হতো তবে জেনে রাখুন দুই একটা কাজ ব্যাতিত শতকরা ৯৯ শতাংশ বিতর্কিত কাজের ক্ষেত্রে দায়েশেরও দলিল আছে এবং কেবল কোনো না কোনো বড় ফকিহর ফতোয়াই না বরং প্রায়ই কোনো মাযহাবের মতও তারা ব্যবহার করতে পারবে। জামাতপন্থী ও আধুনিকতাবাদি ভাইয়েরা এসকল ক্ষেত্রে ভিন্নমত মেনে নিতে রাজি হবেন? তখন তারা ঠিকই বলবেন এগুলো হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধপূর্ব ফিকাহ। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত দরকারি বিষয়টিতে শিথিলতার বিপদ তারা অনুভব করতে ব্যার্থ হচ্ছেন।

 

হ্যাঁ কারও কোনো খাস ওযর থাকলে সেটা বিশেষ ব্যাক্তির জন্য বিশেষ মহলে বিশেষ ফতোয়া হতে পারে। কিন্তু কখনোই ঢালাও ফতোয়ার বিষয় না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমাদের হুযুররা যেভাবে মিজানুর রহমান আজহারির ছিদ্রান্বেষণ করছেন সেভাবে যদি দেওবন্দি ওয়ায়েজদের ছিদ্রান্বেষণ করা হতো অর্ধেককে কাফের ফতোয়া দেওয়া যেতো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তর্কের খাতিরে মানলাম তাওহীদবাদি আহলে কিতাব বিয়ে করা যাবে। ট্রিনিটিতে বিশ্বাস করলে বিয়ে হারাম।

 

তাহলে ইহুদি এবং ইউনিটেরিয়ান খ্রিস্টানদের কি সমস্যা?

 

মূর্খ হুজুররা জানেইনা ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বিভিন্ন ডিনোমিনেশনের আকিদা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কত বড় বলদ চোদা হলে বলা সম্ভব,

 

///আর বর্তমান যুগের সকল উলামায়ে কেরামের ইজমা হলো যে, ইহুদি / খৃষ্টান্দের বর্তমান ধর্ম সম্পূর্ণ পরিবর্তিত। প্রকৃত আহলে কিতাব কেউ নেই। অতএব, আহলে কিতাবিদের সাথে বিবাহ জাইজ নয়। /////

 

এই শালার পাবলিকে ইজমারে মুড়ির চেয়ে সস্তা বানিয়ে ফেলেছে।

 

বলদা হুজুরের জাতকে আমি আর মোটেই বিশ্বাস করিনা।

 

এদের কথায় কাদিয়ানীদেরও কাফের মনে করা মুশকিল। যদি নিজে তাদের তাফসিরে না পড়তাম তবে বিশ্বাস করতাম না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা সতি ইহুদি নারীকে বিয়ে হালাল হওয়া অস্বীকার করে প্রবন্ধক না থাকলে তারা কাফের।

 

সতি ইহুদি নারীকে বিয়ের বৈধতা ইমামের পেছনে ফাতিহা পড়া, রফয়ে ইয়াদাইন করা, মিলাদের বৈধতা নিয়ে তর্ক করা এমনকি আল্লাহর সিফাত এবং আল্লাহর আরশে ইসতাওয়ার মতো শাখাগত ক্যাচাল না।

 

ইহুদি নারীকে বিয়ের বৈধতা দানিকারি আয়াত মানসুখ না, মুতাশাবিহাতও না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

যারা ইহুদি এবং খ্রিস্টান নারীদের বিয়ে করার বৈধতা অস্বীকার করে তারা কুরআন অস্বীকার করে।

 

আমি বা আমার কোনো বন্ধু বা আত্মিয় আহলে কিতাব বিয়ে করার কোনো সম্ভাবনা দৃশ্যমান ভবিষ্যতে নাই।

 

তবে কুরআন যা হালাল করেছে তা হারাম বলা কুফুরি যেমন গমের রুটি হারাম বলা কুফুরি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মুসলমানদের পরে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো আকিদা ইহুদিদের।

 

ইহুদিদেরও যারা রাজনীতির বাহিরে কথা বলেন তারাও স্বীকার করেন মুসলমানদের আকিদা অইহুদিদের ভেতর সবচেয়ে ভালো। তাদের বক্তব্য হচ্ছে মুসলমানরা গোমরাহ অন্য কারণে। কিন্তু তাদের তাওহীদ ঠিক আছে।

 

উল্লেখ্য আমাদের সময়ে ইহুদিরা উযায়ের (আ)কে আল্লাহর সন্তান বলেনা।

 

দ্রষ্টব্যঃ ইউনিটেরিয়ান খ্রিস্টানদের আকিদা ভালো হলেও তারা প্রায় বিলুপ্ত। তাছাড়া আধুনিককালে তাদের আকিদায় বিভিন্ন বাজে জিনিস বেড়েছে। তাছাড়া তারা ইসা (আ) এর ক্রসিফিকশনে বিশ্বাস করে।

 

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জায়োনিস্টরা মূলত সেক্যুলার। অধিকাংশ জায়োনিস্টরা নাস্তিক। ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ধার্মিক ইহুদিরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ছিলো।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। [ সুরা মায়েদা ৫:৫ ]

 

দ্রষ্টব্যঃ আহলে কিতাব বলতে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের বোঝায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আমি যখন থেকে ইসলামি রাজনীতি বুঝতে শিখেছি তখন থেকে মুফতি আমিনি (রহ) এর রাজনীতি অপছন্দ করি। হয়তো শাইখুল হাদিস (রহ) এর ছাত্ররা আমার আশেপাশে অধিক হওয়ার কারণেও এমন হওয়া সম্ভব। তবে আমি একটা জিনিস সবসময় মনে রাখি। শয়তান যখন তার ব্যাপারে কোনো বাজে ওয়াসওয়াসা দেয় তখন আমার নফসকে বলি মুফতি আমিনি (রহ) কখনো সালাত কাযা করতেননা। তার এক রমজানের আমল আমার সারাজীবনের আমলের চেয়ে বেশি। বাকি দরস, সদকা, খেদমতে উলামাসহ অসংখ্য সোয়াবের হিসাব না হয় বাদই দিলাম। ফলে যদিও তার রাজনীতির উত্তরাধিকার আমি কখনো দাবি করিনি কিন্তু আমার চেয়ে তাকে সারাজীবন কোটি কোটিগুন উত্তম বলে বিশ্বাস করেছি।

 

আল্লামা আশরাফ আলী (রহ) এর কোনো রাজনৈতিক বা পার্থিব কর্ম ভুল ইজতিহাদ হতে পারে। অথবা তাতে নফশের খাহেশাত মেশানো থাকতে পারে। মানুষতো পাপি। হযরতো আর মাসুম ছিলেননা। আবার এমনও হতে পারে যে তাঁর ইজতিহাদ সঠিক ছিলো। কিন্তু আমি তাকে বুঝিনি। অথবা আমি ভুল ইজতিহাদ করছি। কিন্তু সকল বিবেচনা পাশে রেখে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে তার একবছর দরসে হাদিসে সদকায়ে জারিয়ার যে পরিমান সাওয়াব হাসিল হবে আমার মতো কেউ ফাহেশাতগুলো বাদ দিয়ে ভাল যা আছে তাও একশত বছর লিখলে সে পরিমান সোয়াব হবেনা।

 

মিজানে যখন মাপা হবে তখন শাইখের দোষগুলো যদি মিজানে উঠে তবে শাইখের সোয়াবগুলোও উঠবে। আমাদের জন্য মিযান আলাদা হওয়ার কথা না। আমাদের দোষগুলোও মিযানে উঠবে। তারপর দুই মিজানের তুলনা করে একটু চিন্তা করলে আমাদের অপরিপক্কতা অনেক কমবে। যদি টেনেটুনে রবের দয়ায় পাশ করেও যাই তবে নিজে ৩৩-৪০ পেয়ে ক্লাসের সেকেন্ড বয় একটা অংক ভুল করে অংকটিতে গোল্লা পেয়েছে বলে উপহাস করাটা হাস্যকর। আকাশের দিকে থুতু মারলে নিজের গায়ে লাগে। সূর্যের দিকে তাকালে চোখ ঝলসে যায়।

 

আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুক।