সমকালিন প্রসঙ্গ •
ইসলামের বিরুদ্ধে নতুন চক্রান্ত:
কোন পথে কওমীর সন্তানেরা?
শাইখ তামিম আল-আদনানী হাফিজাহুল্লাহ
نحمده ونصلى على رسوله الكريم أما بعد
يُرِيدُونَ لِيُطْفِـُٔوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوٰهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِۦ وَلَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُونَ
“তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।”–আছ ছফ: ৮
যুগে যুগে কাফেররা ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আল্লাহ তাআলার দ্বীনের আলোকে নিভিয়ে দিতে চেয়েছে, পদদলিত করতে চেয়েছে তাওহীদের দীপ্তময় ঝান্ডাকে। তারা নানা পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়েছে–ইসলামকে ধ্বংস করে দিতে। মুসলিমদের সত্য পথ থেকে বিচ্যুত করতেই চলছে তাদের সব অভিনব ষড়যন্ত্র। নিত্যনতুন উপায়ে তারা ছক একেঁ যাচ্ছে মুসলিমদেরকে ইসলাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদের গোলাম বানিয়ে রাখতে। হাজার হাজার বছর ধরেই অব্যাহত রয়েছে কাফেরদের ইসলামকে মিটিয়ে দেওয়ার চতুর্মুখী সব হীন প্রচেষ্টা। এই উপমহাদেশে গজে ওঠা ক্বাদিয়ানি ফিতনাও তাদেরই অপচেষ্টার অংশ। মুসলিমদের ঈমান নষ্ট করার জন্য, তাদেরকে সিরাতুল মুস্তাক্বীম থেকে বিচ্যুত করার জন্য কুচক্রী ব্রিটিশ কাফেররা সক্রিয়ভাবে উত্থান ঘটিয়েছিল ক্বাদিয়ানি নামক এই নিকৃষ্ট কীটদের। আজও এই ফিরিঙ্গি কাফেররাই ক্বাদিয়ানি কীটগুলোকে টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু যখন মুসলিম উম্মাহকে গোমরাহ করার জন্য কাফেররা মির্যা গোলামকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল; ঠিক তখনই উম্মাহকে দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন আল্লামা আনোয়ার শাহ্ কাশ্মীরি রহ. এর মত সিংহ পুরুষগণ। তারা ক্ষমতাসীনদের ভয় না করে, ভয় করেছিলেন একমাত্র আল্লাহকে। তারা সৃষ্টির ভয়কে তুচ্ছ করেছিলেন; শাসকদের রক্তচক্ষুর পরওয়া না করে সত্যকে প্রকাশিত করেছিলেন। আর সত্যের পক্ষে তাদের এই দৃঢ় অবস্থান; ত্যাগ আর কুরবানীর কারণেই উম্মাহ আজও তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে। তাদের এই মেহনতের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ক্বাদিয়ানিদের ফিতনা থেকে উম্মাহকে রক্ষা করেছিলেন।
তবে, এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কাফেররা থেমে যায় নি। মুসলিম উম্মাহকে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথ থেকে, সাহাবা রাযি. এর অবস্থান থেকে বিচ্যুত করার লক্ষ্যে আজও তারা তাদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র আর কুপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এই তো আজ থেকে দশ বছর আগেও এই দেশের মাটিতে বসেই পশ্চিমা কাফেরদের আজ্ঞাবহ এনজিওগুলো গবেষণা করছিল)–কিভাবে বাংলাদেশ থেকে কওমী মাদ্রাসাগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায়? কিভাবে দেশের সব ইসলামি বিদ্যাপীঠ বন্ধ করে দিয়ে ঈমান বিধ্বংসী সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যায়? তারা এ এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গোলটেবিল আলোচনা করেছিল, গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিল। তারা চেয়েছিল এই যমিন থেকে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম ও নিশানাকে মুছে দিবে। আল্লাহর ইচ্ছায় বিপুল অর্থায়ন এবং প্রশাসনিক সমর্থন থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের এই হীন প্রচেষ্টায় সফল হতে পারে নি। পরবর্তীতে তারা তাদের ষড়যন্ত্রের কৌশল পরিবর্তন করে। তারা বুঝতে পারে–এত সহজেই মুসলিমদের ইসলাম থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। তাই তাদের মাথায় আসে এক নতুন পরিকল্পনা।
এবার তাদের টার্গেট–খোদ ইসলামকেই বদলে ফেলার। ইসলামের যে বিষয়গুলো তাদের অপছন্দ; সেগুলো বাদ দিয়ে তাদের পছন্দের এক নতুন ধর্ম চালু করার। তা হবে এমন এক ধর্ম; যা নামে ইসলামের মতোই হবে। বাহির থেকে যাকে দেখে ইসলামই মনে হবে; কিন্তু আসলে তা কুফর ছাড়া আর কিছুই নয়। কাফেররা তাদের তৈরি করা এই নতুন ধর্মের নাম দেয়–মডারেট ইসলাম, সিভিল ডেমোক্রেটিক ইসলাম। এটা হল তাদের তৈরি করা এমন এক ইসলাম–যা আল্লাহর যমিনে আল্লাহর আইন দিয়ে শাসন করাকে আবশ্যক মনে করে না; কিন্তু
গণতন্ত্রকে আবশ্যক মনে করে। এটা এমন এক ইসলাম–যা ইসলামী রাষ্ট্র চায় না; কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চায়। এটা এমন এক ইসলাম–যা আল্লাহর শরীয়তের আনুগত্য করাকে প্রয়োজন মনে করে না; কিন্তু কাফেরদের মনগড়া আইনের আনুগত্যকে ফরয মনে করে। এটা এমন এক ইসলাম–যা নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য কিছুকরার শিক্ষা দেয় না; কিন্তু সমকামীদের সমর্থনে মানববন্ধনের শিক্ষা দেয়। এটা এমন এক ইসলাম–যা হিজাব-নিকাবকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে; আর নারী অধিকারের নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় উৎসাহ দেয়। আর এটা হল এমন এক ইসলাম–যা কাফেরদের রাহে যুদ্ধ করাকে পুণ্যের কাজ মনে করে; আর আল্লাহর দ্বীনের জন্য জীবন দেওয়াকে জঙ্গিবাদ বলে। মোট কথা এটা হল এমন এক আদর্শ; যা মুসলিমদের কাফেরদের চোখ দিয়ে কুরআন পড়তে শেখায়। আর তারা এই নতুন ধর্ম প্রচারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করে। তারা এটাও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে–যদি টাই-স্যুট পরিহিত কোন ফিরিঙ্গি বাংলাদেশে এসে এ আদর্শ প্রচার শুরু করে; তাহলে কখনোই সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করবে না। এ জন্যই তারা সিদ্ধান্ত নেয়–এ দেশের কওমী সন্তানদের মাধ্যমে; অর্থাৎ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা থেকে পাশ করে বের হওয়া ইমাম-খতিবদের মাধ্যমেই তাদের এই নব্য ইসলাম প্রচার করবে। এরই লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন এনজিওর পৃষ্ঠপোষকতায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এবং জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ইমাম-খতিবদের নিজেদের কুফরি আদর্শে দিক্ষিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী হাতে নেয়। আর এ ধরনের একটি এনজিও হল মুভ ফাউন্ডেশন। জার্মান দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত মুভ ফাউন্ডেশন নামের এই এনজিওটি কথিত ‘উগ্রপন্থা’ বিরোধী এক কর্মশালার আয়োজন করে। যেখানে অংশ নেয় বাংলাদেশের স্বনামধন্য বেশ কিছু কওমী মাদ্রাসার ছাত্র। এই কর্মশালায় গিয়ে আমাদের কওমী সন্তানরা কি করছে? তারা লজ্জা-শরমের মাথা খুইয়ে গ্রুপ ওয়ার্কের নামে মেয়েদের গা ঘেষে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছে; সহনশীলতার নামে নারীর হাত ধরে নাচানাচি করছে। দেয়ালে দেয়ালে ক্রুশ, ক্রুশবিদ্ধ যিশু, পাদ্রী-পুরোহিতের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ‘শুদ্ধ’ ধর্মীয় জ্ঞান শেখার শপথ নিচ্ছে। নারী-পুরুষ পরষ্পরের হাত মিলিয়ে ‘জঙ্গিবাদ নিপাত যাক’ শ্লোগানে মেতে ওঠেছে। আজ ক্রুসেডার রাষ্ট্র জার্মানির অর্থায়নে পরিচালিত মুভ ফাউন্ডেশন নামের এনজিও আমাদের ক্বওমী পড়ুয়াদের ‘সহনশীল ও আধুনিক’ বানাচ্ছে। তাদের মডারেট ইসলামের শিক্ষা দিচ্ছে। সিভিল ডেমোক্রেটিক ইসলাম শেখাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা গেলাচ্ছে। আর আমাদের আকাবিরে দেওবন্দের উত্তরসুরি হওয়ার দাবিদারেরা তাদের কাছে ‘শুদ্ধ’ ধর্মীয় জ্ঞান শেখার শপথ নিচ্ছে। উপরে ওঠার সিঁড়ি দিয়ে কতটুকু নিচে নেমে যাচ্ছেন আমাদের ভবিষ্যতের আকাবির আল্লামারা? মুভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় অংশ–গ্রহণকারী কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের আমরা প্রশ্ন করতে চাই–শাহ সৈয়দ আহমদ শহীদের আদর্শ কি বিশুদ্ধ ছিল না? বালাকোটের বীর শহীদদের ইসলাম কি শুদ্ধ ছিল না? তিতুমীরের বাশের কেল্লা কি সঠিক ধর্মীয় ভিতের উপর গড়া ছিল না? ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জিহাদকে ফরযে আইন ফতোয়া প্রদানকারী শাহ আব্দুল আযিয আর রশিদ আহমদ গাঙ্গোহিদের ধর্মীয় জ্ঞান কি বিশুদ্ধ ছিল না? কাসেম নানুতুবী রহ. ও আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরিদের ধর্মীয় জ্ঞান কি বিশুদ্ধ ছিল না? হক্বের প্রশ্নে আপোষহীন ইমাম আবুহানিফা রহ. এর ধর্মীয় জ্ঞান কি শুদ্ধ ছিল না? তাঁদের আদর্শ পরিহার করে, তাঁদের ইলমী ওয়ারিশ হওয়ার পথ ছেড়ে দিয়ে; কেন ইসলামকে বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মুভ ফাউন্ডেশনে গিয়ে শুদ্ধ ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষার শপথ নেওয়া হচ্ছে? দখলদারিত্বের বিরোধিতার জন্য, আগ্রাসনের মুখে দ্বীন ও উম্মাহর হেফাজতের জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিভাবে সেই দেওবন্দের প্রতিনিধিত্বের দাবিদার হয়ে, যারা উম্মাহ ও দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত; তাদের কাছে গিয়ে সহনশীলতা শিখছেন? তাদের শেখানো এ সহনশীলতা কি নবী মুহাম্মাদ এর দেখানো মধ্যম পন্থা? নাকি কুফর আর শিরকের প্রতি সহনশীলতা? এটা কি কাফেরদের গোলামির প্রতি সহনশীলতা নয়? মুসলিমদের উপর চালানো হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দেওয়া নয়? যেখানে দ্বীনের স্পর্শ পেয়ে জাহিলিয়্যাতের অন্ধকারে ডুবে থাকা যুবকেরা নারীর ফিতনা থেকে ফিরে আসছে; সেখানে কিভাবে একজন তালিবুল ইলম মুর্খ জাহেলের মত পর্দাহীন অর্ধ উলঙ্গ নারীর গা ঘেষে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে থাকতে পারে? কিভাবে তাদের হাত ধরে ঘুরপাক খায়? কাফেররা যখন মির্যা গোলামের মাধ্যমে মুসলিমদের গোমরাহ করার ষড়যন্ত্র করেছিল; তখন আকাবিরে দেওবন্দ এই ফিতনার বিরুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছিলেন। তাহলে আজ কেন আপনাদের মত মাদ্রাসার ছাত্ররা ইসলামকে বদলে দেওয়ার এ যুদ্ধে কাফেরদের আদর্শিক সৈনিকে পরিণত হচ্ছেন? লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ! এখনও সময় আছে; এই অধঃপতনের পথ থেকে ফিরে আসুন! এই গোলামির পথ পরিহার করুন! সামান্য স্বীকৃতি আর দুনিয়া অর্জনের লোভে, কাফিরদের বেঁধে দেওয়া সংজ্ঞানুযায়ী আধুনিক হওয়ার মোহে, জাতে ওঠার স্বপ্নে বিভোর হয়ে; নিজেদের দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ করবেন না। ক্ষমতাসীনদের ভয়ে, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন না। যারা আল্লাহর দ্বীনের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে লিপ্ত; তাদের সহযোদ্ধায় পরিণত হবেন না। দুনিয়ায় লাঞ্ছনা আর আখেরাতে বরবাদি ছাড়া এই পথে আর কিছুই নেই। সামান্য বিনিময়ে নিজেদের ইলম ও ঈমান বিকিয়ে দেবেন না। এখনও সময় আছে; এই পথ থেকে ফিরে আসুন! আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে এই আগ্রাসন ও আক্রমণের মোকাবেলায় আকাবিরে দেওবন্দের রেখে যাওয়া উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের অনুসরণ করুন! প্রমাণ করুন! আপনারা আকাবিরে দেওবন্দের উত্তরসুরি। দেওবন্দের সুরতে মির্যা গোলামের উত্তরসুরী নন।
هُوَ الَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِالْهُدٰى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ
“তিনিই তাঁর রাসূলকে প্রেরণ করেছেন হিদায়াত এবং সত্য দ্বীন সহ সকল দীনের উপর তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দানের জন্য, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।” - আছ ছফ: ৯
আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে হেফাজত করবেন। অবশ্যই অবশ্যই এই দ্বীনকে গালেব করবেন। এটা তাঁর ওয়াদা। আর নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সৌভাগ্যবান তারা; যারা দ্বীন-বিজয়ী এ কাফেলায় অবিরাম সচেষ্ট। দুর্ভোগ তাদের; যারা এই আলোকিত কাফেলার বিরোধী। আর এ বিজয়ী কাফেলার অংশ হতে হলে, আমাদের তো সেই যোগ্যতা অর্জন করে নিতে হবে। স্রোতের বিপরীতে সত্যের উপর অবিচল থাকতে হবে। হক্বের ব্যাপারে আপোষহীন হতে হবে। কাফেরদের আদর্শ ফেরি করে নিছক নিজেদের হক্কানী দাবি করার মাধ্যমে এই বরকতময় কাফেলায় শামিল হওয়া যাবে না। আল্লাহ আমাদের সেই দ্বীন বিজয়ী কাফেলায় অংশগ্রহণের তাওফীক দান করুন!
আল বালাগ
ম্যাগাজিন ইস্যু-২