JustPaste.it

কাফেলা এগিয়ে চলেছে এবং কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করছে – আবু মুহাম্মদ আল মাকদিসী

 

যারা আল্লাহর শানে জিহাদকে বেছে  নেয়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের জন্য সফলতা, হিদায়াত, হিকমাত ও তাঁর নিয়ামতের প্রতিশ্রুতি দান করেছেন।

সত্যিকারের মুজাহিদরা তাদের স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জ্ঞানী ও বিচক্ষন হয়ে থাকে। তাই কোন বিষয়ে সঠিক উত্তর পেতে হলে প্রত্যেককে মুজাহিদদের কাছে যাওয়া উচিত, কেননা আল্লাহ তাদেরকে জ্ঞান দিয়েছে জিহাদের ফলস্বরূপ।

মুজাহিদকে তার পরিবেশ পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকতার ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে হবে, ঠিক যেভাবে সে জিহাদের জ্ঞান অর্জন  করেছে।  আল্লাহ দেখার ও শোনার ক্ষমতা  সাধারণ মানুষের চেয়ে একজন মুজাহিদকে অনেক অনেক বেশি দিয়েছেন।

নিজেদের নেটওয়ার্কের বা সংগঠনের বাইরের কোন আলেমের মুখাপেক্ষী হবার প্রয়োজন মুজাহিদদের নেই। তাদের  আলেমগন জিহাদ এবং যুদ্ধের ব্যাপারে সবচেয়ে বিচক্ষন ও পারদর্শী। তাদের এই ক্ষমতা এসেছে  জিহাদ এবং যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যেখানে মানুষ জীবনের ভালবাসা ত্যাগ করে আল্লাহর সত্যকে দেখতে আসে। এই চূড়ান্ত অভিজ্ঞতার দ্বারা তারা ভুল করতে পারে না।

একমাত্র  মুজাহিদ ইমাম ও শায়খগণই তাদের  এই  জিহাদের  মূল্য  বোঝেন;  তারা  জানেন  তাদের  (আক্রমনের) লক্ষ্যবস্তুর যথার্থতা।

তাদের ঐসব মানুষের পথনির্দেশনার প্রয়োজন নেই যারা ঘাঁপটি মেরে বসে আছে। তাদের ঐসব মানুষের মতামতের প্রয়োজন নেই  যারা  তাদের  শাসক  বা  শাসকের পশ্চিমা  ও আমেরিকান প্রভুদের  পায়ে  নতজানু  হয়েছে-  অথবা  তাদের  মতামত  যারা বিশ্বায়নের  সংস্কৃতি  (গ্লোবালাইজেশন)  আর  সন্ত্রাসবিরোধী  বুলির  কাছে  পরাভূত  হয়েছে।  সেইসমস্ত  অনৈতিক,  ধর্মনিরপেক্ষ সাংবাদিক আর বুদ্ধিজীবীরা সবাই ভুল, যারা টিভির টক শো আর ধর্মনিরপেক্ষ পত্রিকায় ছাপা কলামের মাধ্যমে আমাদের সাথে কথা বলে।

মুজাহিদরা যখনই জিহাদে কোনো সাহসিকতা দেখায়; তখনই তারা তাদের খোঁড়াযুক্তি দিয়ে তার বিশে¬ষণ ও সমালোচনা শুরু করে, তারা জিহাদকে নিন্দা ও দোষারোপ করে। তারা বলে মুজাহিদরা অজ্ঞ এবং ওদের এই কাজ আমেরিকাকে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাবে। তারা বলে যে, এই জিহাদ ইসরাইলের অপরাধকে ম্লান করে দেবে। তারা বলে যে, মুজাহিদদেরকে জিহাদে টেনে অনা হয় কারণ তাদের ভাসা ভাসা জ্ঞান এবং এতে রহস্যজনক একটি শক্তির প্রভাব রয়েছে যেটা নিয়ন্ত্রিত হয় ইহুদি আন্দোলন এবং অন্যান্য যড়যন্ত্রের দ্বারা।

তোমরা এই দুনিয়াতে থাকতেই তোমরা তোমাদের দীন, সম্মান ও সততা বিক্রি করে দিয়েছো। তোমরা তুচ্ছজ্ঞান করেছো তোমাদের ঈমান এবং জিহাদকে; এর শিক্ষা ও হুকুমের সামনে নির্লজ্জভাবে দাড়িয়ে আছো। তোমরা অনেকেই মুছে ফেলতে যাও কুরআনের ঐ আয়াতগুলো যেগুলো জিহাদের কথাবলে। তোমাদের কী অধিকার আছে জিহাদের লাভলোকসান আলোচনা করার বা এর শহীদ ও বীরদের ব্যাপারে কথা বলার? যে মা তার ছেলে হারানোর ভান করে কাঁদছে তার অশ্রু বেশী নিখাদ নাকি সেই মায়ের অশ্রু যে আসলেই তার সন্তানকে হারিয়েছে।

শোনো পরাজিতের দল, মুজাহিদদের তোমাদের সেই উপদেশের প্রয়োজন নেই যা পরাজিত হয়েছে পশ্চিমাদের মিথ্যা সংস্কৃতির পদতলে। তোমাদের ঐ বিশেষ¬ণও মুজাহিদরা চায় না যা চাপা পড়েছে রাজাকার সরকার আর ওয়াশিংটন, লন্ডন, প্যারিস  ও বার্লিনের প্রভুদের বুটের তলে।  তোমরা হোয়াইট হাউজ,  টেন ডাউনিং স্ট্রীট,  এলসি  প্যালেসের পক্ষে সাফাই গাচ্ছ-  অথচ তোমাদের প্রভুরাই ভিন্ন বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। তোমরা বলেই যাচ্ছো যে, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা কোন ক্রসেড নয় বরং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক যুদ্ধ,,যেই সন্ত্রাস ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। ধিক্কার তোমাদের ওপর, কাপুষেরা, তোমরা কিছুই জানোনা। ওরা এটাই বলেছে; এটা একটা ক্রমেড এবং ইসলামকে সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাসী ঘোষণা করা হয়েছে, ঐ শব্দগুলো বার বার ওদের জেনারেলরা উচ্চারণ করেছে, যা মুসলিমদেরকে মূর্তি ও শয়তানের পুজারী হিসাবে অখ্যায়িত করে, ওদের আদালত এবং সংস্থাগুলো দ্বারা হিজাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘেষিত হয়েছে যা নাকি সন্ত্রাসের চিহ্ন ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে হুমকিস্বরুপ।
তোমরা কান ও চোখ বন্ধ রাখাটা বেছে নিয়েছো এবং জোর দিয়েছো সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার ওপর।
মুজাহিদদের প্রয়োজন নেই তোমাদের মতো হাফ লেডিসদের, তাদের জিহাদ সংক্রান্ত কোনো উপদেশের দরকার নেই ঐসব জ্ঞানীদের কাছে থেকে যারা টাকার কাছে বিক্রি ও পরাজিত হয়েছে।  তাদের প্রয়েজন নেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করার যে এটা তোমাদের পছন্দমতো হয়েছে কিনা অথবা তাদের জিহাদ তোমাদের চিন্তাধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা। না, তাদের এসবের কোন প্রয়োজন নেই, তাদের সেইসব জ্ঞান ও দুরদৃষ্টি আছে যা তাদের দরকার। ক্ষোভে ফেটে পড়ো তোমরা এবং চালিয়ে যাও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সমালোচনা, তোমরা তাদের প্রত্যয়ে ফাঁটল ধরাতে পারবেনা; তোমদের সমালোচনার বিষদাঁত তাদের জিহাদকে আক্রান্ত করবে না। কিছুই তাদের আক্রান্ত করবে না।

কিন্তু হে উত্তম  মুজাহিদরা, ঐসব বাজে লোকদের সবচেয়ে উত্তম জবাব হলো তাদের উপেক্ষা করা এবং জিহাদ চালিয়ে যাওয়া এবং মারতে থাকা এবং যুদ্ধ করতে থাকা প্রত্যেকটি আল্লার শক্রর বিরুদ্ধে। ওদের মতামতকে উপেক্ষা করো কাফেলা এগিয়ে চলেছে এবং কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করছে, ওরা ঘেউ ঘেউ করেই আনন্দ পায়।

জিহাদ নিয়ে ওদের মাথা ঘামানো নতুন কিছু না। কুরাইশরা (গোত্রের  নাম)  এটা  নবী  (সাঃ) এবং  ঈমানদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করেছে। ওরা মুজাহিদদের নির্বাচিত কর্মকান্ড ও লক্ষ্যবস্তুকে জিহাদের বিরূপ ছবি হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

কুরাইশরা মুসলিমদের ভাবমূর্তি নষ্টা করেছিল এবং তারা মুসলিমদেরকে খুন, অর্থ লুন্ঠন এবং অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল এমন মাসে যখন এসবের অনুমতি ছিল না।

মুসলিমরা এসব জানে এবং কখনো অস্বীকার করে না; বেঈমানদের না দরকার আছে মুজাহিদদেরকে শিক্ষা দেওয়ার, আর না মুজাহিদদের দরকার এ সমালোচনায় চিন্তিত হবার যা এখনো বেঈমানরা আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে করছে; তা নিষিদ্ধ মাসে যুদ্ধ করার চেয়েও বেশি বড় একটা অপরাধ। মুসলিমরা সমালোচনা নিয়ে চিন্তিত না, কারণ তারা জানে সমালোচনা তো হওয়া উচিত বেঈমানদেরকে নিয়েই, কারণ ওরা অপরাধ পালিয়ে যাচ্ছে, পরিকল্পনাও করছে। মুজাহিদদের চিন্তিত হওয়া উচিত নয় জিহাদের শক্রদের সৃষ্ট ঝামেলায়; যারা সমালোচনা করে তাদের জিহাদের কর্মকান্ড ও সময়সূচীর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য। জিহাদ বন্ধ  করার চেষ্টা, মুজাহিদদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আনা যেকোন অভিযোগের চেয়ে অনেক বড় অপরাধ।   যদিওবা মুজাহিদরা কোনো ভুল করে তারপরও বেঈমানদের মতামতের কোনো দরকার নেই, কারণ তারা যে কারোও থেকেই ভালো জানে কোনটি সঠিক আর কোন ভুল।

যেভাবে আবু ফিরাস (কবি) বলেছেনঃ

এটা আমাকে অবাক করে কিভাবে পথভ্রষ্ট আমাকে বলার চেষ্টা করে কোনটি সঠিক কোনটি ভুল।

মুজাহিদরা সতর্ক থেকো এবং আল্লাহর শক্রদের সামনে দুর্বল হয়ে পড়ো না। তোমার জিহাদের ক্ষতি হতে দিও না যখন ওরা তোমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

যদি তারা বলে যে, তোমরা শিশুদেরকে হত্যা করছো এবং নবী এর বিরুদ্ধাচরণ করেছেন, তাহলে তোমরা বলো; হ্যাঁ। আমরা জানি যে, নবী এর বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। আমরা কখনো শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করিনি, যদি আমরা তা কখনো করেও থাকি তবে তার জন্য আমরা অনুতপ্ত হয়েছি, কিন্তু তোমরা ভ্রান্তির মাঝেই আছ এবং ভুল জোর দিয়েই করে যাচ্ছো। ওদেরকে বোলো, আমাদের তোমাদের উপদেশের কোনো প্রয়োজন নেই। তোমরা কিভাবে শিশুদের পক্ষে কথা বলো? তোমরাই তো জিহাদের যাবার অপরাধে তাদের বাবাকে হত্যা করেছ আর তাদেরকে করেছ এতীম। তোমরা আল্লাহর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়ছো যখন মুজাহিদরা যুদ্ধ করছে আল্লাহর শক্রদের বিরুদ্ধে। তোমরা ঈমানকে ধ্বংস করতে চেয়েছ তোমাদের কলুষিত স্কুল সিলেবাস দিয়ে। যা ওদেরকে তোমাদের প্রতি অনুগত্য শিখায়, আর শিখায় ঈমান ও জিহাদের বিরুদ্ধে যাবার শিক্ষা।

যদি ওরা বলে যে,  নিউ ইয়র্ক  ও ওয়াশিংটনে তোমাদের কর্মকান্ডের দ্বারা  তোমরা  আমেরিকাকে  সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে তাদের এবং তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অজুহাত দিয়েছো। তাহলে তোমরা ওদেরকে বোলো, আমেরিকা চিরকালই ঐসব দেশের পিছনে লেগে ছিলো? আমরা এসবের কারণ না। আমাদের এই প্রতিঘাতের পূর্ব থেকেই এসব দেশে আমেরিকানরা কোন কারণ ছাড়াই ঘাঁটি গেঁড়েছে এবং এর জন্য তাদেরকে কোন মাসূল দিতে হয়নি, আজ আমরা তাদেরকে মাসূল দেয়াচ্ছি।

যদি ওরা বলে যে, ইসরাইল তোমাদের কর্মকান্ডগুলোকে ব্যবহার করছে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ওদের সন্ত্রাসবাদ তীব্রতর করার জন্য এবং ধ্বংস করছে বাড়ি, হত্যা করছে শিশু এবং কেটে  ফেলছে গাছ। তাহলে ওদেরকে বলো, ইসরাইল তার আগ্রাসনের জন্য কারো ধার ধারে? তারা তো চিরকালই এমন অত্যাচার চালিয়েছে। ইসরাইল হলো সন্ত্রাসীদের লালনকর্তা যার অর্থযোগানদার  হচ্ছে  তোমাদের  ওয়াশিংটনের  প্রভুরা।  তারা  আমাদের  অপারেশনের আগেও ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে এবং ইসরাইলের  ধ্বংসের  পরিমান  নিউ  ইয়র্কের টাওয়ারের চেয়ে অনেক আনেক বেশী। তোমাদের এসব যুক্তি দিয়ে তোমরা কাদেরকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছো?

যদি ওরা বলে যে, ইহুদি এবং আমেরিকানদের উপরে আক্রমনের দ্বারা তোমরা দূর্বল করে ফেলেছো আরব শাসন ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্থ করছো ওদের অর্থনীতি, ধ্বংস করেছো  উন্নয়ন  কর্মসূচী,  ভয়  দিয়ে  তাড়িয়েছো  বিনিয়োগ  ও পর্যটকদেরকে। তাহলে তোমরা বলো যে, হ্যাঁ এবং ঠিক এটাই আমরা চাই। যদি আমরা জানতাম যে ওজোন স্তরের ছিদ্র ওদেরকে দূর্বল করবে, তাহলে আমরা কঠোর পরিশ্রম করতাম এটা বড় করতে। তোমরা নির্বোধ, তোমরা কি মনে করো, আমরা এসব খারাপ আর নষ্ট হয়ে যাওয়া শাসকদের ধ্বংস এবং শেষ করে ফেলা ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে বেশী ব্যস্ত?  অর্থনীতি এবং উন্নয়ন আসবে আল্লাহর শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পর।

যদি ওরা বলে যে, ইস্তানবুলে আক্রমনের মাধ্যমে তোমরা তুরস্কের মধ্যমপস্থী মুসলিমদের হতবুদ্ধি করেছো এবং ওদেরকে ঠেলে দিয়েছো আমেরিকান ও ইউরোপিয়ানদের দিকে। তোমরা ওদেরকে বোলো, আমরা তাদেরকে হতবুদ্ধি করতে চাই যারা তাদের নিজেদের ধর্মকে বিক্রি করে, আতাতুর্কের প্রশংসা করে। তারা এই  ধর্মনিরপেক্ষতার নামে দীনকে অস্বীকার করে, জিহাদের বদনাম করে এবং সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নামে শত্রুদের সাথে হাত মিলায়। সবসময় তুরস্ক কঠোর চেষ্টা চালিয়েছে ইউরোপকে খুশি করতে যাতে তারা  ক্রসেডারদের দলে যোগ দিতে পারে এবং আমেরিকান ও ইহুদীদের সাথে তারা সবসময়  ঘনিষ্ট থেকেছে।

যদি ওরা বলে যে, তোমাদের সন্ত্রাসকে ব্যবহার করে আরব শাসনতন্ত্র গুলোর উপর সংস্কার চাপ আসছে। যা নিয়ে যাচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতার দিকে এবং বদলে দিচ্ছে সিলেবাস, বিশ্বায়নের সুবিধার্থে এবং বাড়াচ্ছে ভালবাসা ও ভাতৃত্ব পশ্চিম অবিশ্বসীদের জন্য। তাহলে তোমরা বলো হ্যাঁ, ঐসব শাসনতন্ত্রকে হতুবুদ্ধি করাই আমাদের জিহাদের চূড়ান্ত— লক্ষ্য, আমরা ওদের মিথ্যাকে প্রকাশ করতে চাই এবং ইসলামের পিছনে লুকিয়ে থাকাও শেষ করতে চাই। তারা গোপনে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এবং আবিশ্বসীদের জন্য সবসময় তাদের  দরজা খুলে  দিয়েছে। তারা পূর্ব ও পশ্চিমের অবিশ্বাসীদের সাথে ঘনিষ্ট হতে এখনো সিলেবাসের সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছে। এখন ওরা প্রকাশ্যেই করছে যা এতদিন গোপনে করতো। এবং তারা আমেরিকান প্রভুদেরকে খুশি করতে যুদ্ধ করছে নদার মানুষের বিরুদ্ধে সেই-ঈমান যা জিহাদকে ত্বরানিত করে। এসব সরকারগুলোকে পরাজিত করা প্রথম ধাপ হচ্ছে ওদেরকে লাঞ্চিত ও অপমানিত করা।

যদি ওরা বলে যে, তোমরাই ঘৃনার আগুন ছড়াতে শুরু করেছো পশ্চিমা এবং মুসলিমদের মধ্যে এবং শুরু করেছো সাংস্কৃতিক যুদ্ধ এবং ওদেরকে সরকারী স্কুলে হিজাব ব্যবহার করা প্রত্যাখান করিয়েছো। তাহলে তোমরা তাদেরকে বলো, হ্যাঁ। এবং মুসলিম ও তার শক্রদের মধ্যে বন্ধন কেটে ফেলা মুসলিম হিসাবে আমাদের কর্তব্য। স্কুলে হিজাবের ব্যবহার প্রত্যাখান আমাদের মেয়েদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ যা তাদেরকে কলুষিত সমাজ এবং বাজে শিক্ষাপ্রনালীর নিয়ন্ত্রন থেকে পবিত্র রাখবে।

এটা মুসলিমদেরকে জাগ্রত করবে এবং তাদেরকে সতর্ক করবে ইসলামিক রীতি রেওয়াজের প্রতি ঐসব অবিশ্বসীদের ঘৃণা সম্বন্ধে; যা মুসলিমদের সাহস যোগাতে পারে বিকল্প মুসলিম স্কুল তৈরিতে। হিজাবের বির“দ্ধে যুদ্ধও ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সাংস্কৃতিক যুদ্ধ শুরু হয়েছে আক্রমনগুলো হওয়ার আরো অনেক আগে থেকে এবং হানটিংটন ও ফুকুয়ামারও আগে । এই যুদ্ধের অস্তিত্ব তখন থেকে যখন থেকে অবিশ্বসী ও মুসলিমদের অস্তিত্ব। সবখানেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের ক্রসেড ও হত্যাযজ্ঞ দেখা যায়।

ওদেরকে আরও বলো যে, ওদের সমালোচনা ভুল এবং ভিত্তিহীন এবং তোমাদের প্রভূদের দিয়েই তা ভুল হিসেবে প্রমানিত। ওরা ওদের পরিসংখ্যানের ফল প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় যে, নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন আক্রমনের পর ইসলামের প্রতি পশ্চিমাদের কৌতুহল বাড়ছে।

আমি শেষ করছি ঐসব পশ্চিমাদের একজনের বিবৃতি দিয়ে। যে বলেছিল যে, মুজাহিদরা বিচক্ষন এবং নিভুর্লভাবে জানে তারা কি করছে। ইংল্যন্ডের ইন্ডিপেনডেন্ট সংবাদপত্রে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ রবার্ট ফিষ্কের একটি লেখা ১১/২১/২০০৩ তারিখে প্রকাশ পেয়েছিল। সে বলেছিল যে, “তুরস্কে ব্রিটিশ লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আক্রমন হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের যোগদানের ফল। সে বলেছিল যে, আমাদেরকে আক্রমনকারীদের মানসিক সক্ষমতার ব্যাপারে পথভ্রষ্ট হওয়া উচিত না; তারা বহির্বিশ্বের ব্যাপারে জ্ঞান রাখতে সক্ষম। তারা নিভুর্লভাবে জানতো তারা কি করছে, যখন তারা বালিতে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে আক্রমন করেছিল। তারা জানতো যে, আস্ট্রেলিয়ানরা যুদ্ধের বিপক্ষে এবং অষ্ট্রেলিয়ান প্রধানমস্ত্রীর উপর দোষটা পড়বে এবং ইতালীর ঘটনাও একই রকম। তারা জানতো বুশের ইল্যান্ড সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কথা। ইংল্যান্ড আক্রমন সহজ ব্যাপার নয় এবং সে কারণেই তুরস্কে ব্রিটিশ লক্ষ্যবস্তুতে তারা আক্রমন চালিয়েছিল। তারা জানতো বুশ ইরাক যুদ্ধের সমর্থন আদায় করতে চায়। এবং সে কারণেই তারা ইরাকে অমেরিকান সশস্ত্রবাহিনীর ঔপর আক্রমন তীব্রতর করেছিল। তারা মনস্থ করেছিল বুশ এবং বে¬য়ারকে (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী) শারিরিকভাবে সম্ভব না হলেও রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস করবে।” এটা হেচ্ছ তোমদের প্রভুদের বিশ্লেষণের একটি নমুনা। যেমনটি আমি আগে বলেছি, মুজাহিদদের দরকার নেই তোমাদের ও তোমাদের প্রভুদের মতামত। তাদের নিজেদের আলেম ব্যক্তিত্ব রয়েছে এবং এক মহান কিতাব তাদেরকে পথ দেখাচ্ছে। তাদের প্রয়োজন নেই মানসিক ভারসাম্যহীন এবং পরাজিতদের দিকনির্দেশনা। আল্লাহ মুজাহিদদের চোখ খুলে দিন এবং তাদেরকে পথ দেখান এবং তাদের শক্রদেরকে তিনি করে দিন অজ্ঞ এবং বোকা। কিভাবে আমরা তাদের মতামত অথবা পরাজিত বিশেষণে কোনোরকম মনোযোগ দিতে পারি?