মাঝে মাঝে জিহাদী মিডিয়া পিছাতে পারে কিন্তু কখনও বন্ধ হবে না – লেখকঃ আশ শায়েখ আবু সা’দ আল-আমিলী (রঃ)
রামাদান ২৬, ১৪৩৩ হিজরী, বুধবার, আগস্ট ১৫, ২০১২
বর্তমান জিহাদে জিহাদি সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমরা জানি যে ইসলামের শত্রুরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে শুধু শারীরিক যুদ্ধেই লিপ্ত নয়, বরং তারা এমন যুদ্ধও চালু করেছে যেখানে শারীরিক সম্পৃক্ততা নেই আর তার মধ্যের একটি হল মিডিয়া যুদ্ধ। ইসলামের শত্রুদের খুব শক্তিশালী মিডিয়া সংঘ আছে যার মাধ্যমে তারা খুব সহজেই তাদের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দিয়ে ইসলাম ও মুসলিম সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষত যারা জিহাদের সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে জনগণের মতামতকে বিভ্রান্ত করে তুলছে। আর এসব ক্ষেত্রেই ইসলামিক মিডিয়া- বিশেষত জিহাদী এবং প্রো-জিহাদী মিডিয়ার বস্তাপচা প্রোপাগান্ডা যা কুফফার ও মুনাফিকরা মিলে চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনেক মানুষের অন্তরে জিহাদী মিডিয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে, এই মনে করে যে জিহাদী মিডিয়া শত্রুর গতি বিধিতে কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না। আসলেই কী তাই? যদি তা সত্য হত তাহলে কোন কারণে পাশ্চাত্য এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকরা জিহাদী ওয়েবসাইটগুলোর উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের গোয়েন্দাদের সেখানে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। প্রায়শই জিহাদী মিডিয়া অদৃশ্য শত্রুদের দ্বারা সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়া- প্রমাণ করে যে জিহাদী মিডিয়া শত্রুদের গতিবিধি পরিবর্তনে সহায়ক। শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বর্তমান বিশ্বে জিহাদী মিডিয়ার কার্যক্রম সম্পর্কে নিচে শায়েখ আবু সা’দ আল-আমিলী (হাফিজাহুল্লাহ) এর বক্তব্য তুলে ধরা হল, “মাঝে মাঝে জিহাদী মিডিয়া পিছাবে কিন্তু কখনও বন্ধ হবে না। ”
আলহামদুলিল্লাহ। মুস্তাদ’আফিনদের (দূর্বল মানুষের) রব এবং তিনি এমন একজন যিনি তাদেরকে সম্মানিত এবং সাহায্য করেন, একইসাথে, মুশরিক এবং মুনাফিকদের অপমানিত এবং ধ্বংস করেন। আমি সালাত এবং সালাম জানাই সমগ্র বিশ্বের প্রতি প্রেরিত রাসূলের প্রতি যাকে প্রস্তুত করা হয়েছে “আল-মালহামা” এর সামনাসামনি হওয়ার জন্য। কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আমি তাঁর পরিবার, সাহাবীগণ এবং অনুসারীদের প্রতিও সালাম জানাচ্ছি। অতঃপর,
জ্ঞানের অস্তিত্ব (তথ্য মাধ্যম) এবং বিশেষত জিহাদের জ্ঞান কেয়ামতের আগ পর্যন্ত বন্ধ হতে পারে না। প্রচার এবং মানহাজের-জাগরণ ফুটিয়ে তোলার যন্ত্র মিডিয়ার অবস্থান ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সফল হতে দা’য়ী এবং জাম’আহ এর অনুষ্ঠান তৈরি করছে।
মাঝে মাঝে হকের দায়ী বা, জাম’আহকে আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক কিছু কারণে অসহনীয় পশ্চাদপসারণের অভিজ্ঞতায় পড়তে হচ্ছে। ফলে দায়ী বা, জাম’আতের পক্ষ থেকে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ এবং বাধা দূরীকরণের জন্য মনস্তাত্ত্বিক আগ্রহ অপরিহার্য হয়ে উঠছে যেন হকের পক্ষে অবিরত কথা বলা সম্ভরপর হয় যতক্ষণ না মানুষের অন্তরে প্রভাব বিস্তার করা যায়।
এসব কারণে, এটা আশা করা যায় যে, এমন প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধেই সব ধরণের হানিকর বিষয় তুলে ধরা হবে যে ঐক্যবদ্ধ করতে জ্ঞানের ময়দানে সোচ্চার হয়ে উঠছে তার প্রচেষ্টাগুলো ম্লান করা যায় আর এগুলো তাদেরকে মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে যেন তদের কাজের অগ্রগতি ব্যাহত বা হয় এবং এই কাজের প্রেক্ষাপট যেন তারা বুঝতে পারে। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি যে আমাদের প্রত্যেক আনসার ভাইএর আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করার জন্য বিশুদ্ধ নিয়্যাত আছে এবং তারা নিজেদেরকে ইসলামের বিভিন্ন দূর্গগুলো থেকে কোন একটা দূর্গতে নিজেদেরকে পৌছানোর চেষ্টা করছেন, যার মধ্যে আল-‘ইলমের দূর্গও অন্তর্ভূক্ত যা এখন একটি প্রভাব বিস্তারকারী এবং খুবই মারাত্মক একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের এবং আমাদের শত্রুদের মধ্যে সংঘর্ষের ইতিহাস জুড়ে থাকা এই দূর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে।
এই পশ্চাদপসারণের বাহ্যিক কারণগুলো হচ্ছে ঐ বাধাসমূহ যা আঘাত করে চলছে জিহাদী ‘ইলম কার্যক্রমকে ফলে ভাইয়েরা বিচরনের ক্ষেত্রে বাধা ও বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের ব্যাপারে আমি বাড়াবাড়ি কিছুই বলছি না। শত্রুরা সবধরনের পদ্ধতি এবং বিজ্ঞান ব্যবহার করছে যা আমাদেরকে বিপদের মুখে এবং ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং জনগনের সাথে আমাদের দূরত্ব বাড়াতে পারে যা তারা পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আরো জোরেশোরে করে যাচ্ছে।
ইন্টারনেট অবকাঠামো শত্রুদের দ্বারা তৈরি এক অস্ত্র যা তৈরি হয়েছে সম্মোহিত করার জন্য। পরবর্তীতে তারা অনুধাবন করতে পারে যে, ব্যাপক পরিবর্তন করতে ইন্টারনেট এক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন মাত্রায় যে, তাদের স্বার্থের জন্য এই পৃথিবীতে সংগঠিত যেসব ধ্বংসাত্মক কাজ হচ্ছে যেমন- স্বাধীনতা ক্ষুন্ন, সম্পদ হরণ এবং জাতিগত মূল্যবোধ ধ্বংস বিশেষত মুসলিম জাতির এ অস্ত্রটি ব্যবহার করছে।
সবকিছু উপর, আল্লাহ হলেন সবকিছুর নির্ধারক যিনি তার ইচ্ছা দিয়ে এমন এক গুপ্ত বাহিনী তৈরি করলেন যার আলামত শত্রুদের কাছে ছিল না। এই অদৃশ্য সেনারা সাথে সাথেই ঐ অস্ত্রগুলোর দখল নেয় এবং তৎক্ষণাৎ তা দ্বারা আল্লাহর শত্রুদের ঘাড়ে আঘাত হানেন। এই অদৃশ্য বাহিনীরা ইন্টারনেট অবকাঠামোকে পরিবর্তন করে ফেলেছেন যার মাধ্যমে আল্লাহর শত্রুদের ভয় দেখাচ্ছেন ফলশ্রুতিতে যুদ্ধের কর্মকান্ডে ব্যাপক পরিবর্তন এবং তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবী করা উদ্দেশ্যকে চুরমার করে দিয়েছে যদিও তা বেশির ভাগ মানুষের কাছে তা সবল বলে প্রতীয়মান হচ্ছে কিন্তু সত্য হচ্ছে তা খুবই দূর্বল।
আনসারদের কাজের ক্ষেত্রে পশ্চাদপসারনের আভ্যন্তরীণ কারনগুলো হলঃ সংকল্পের দূর্বলতা যা সদাসর্বদা বিরাজ করা উচিত ছিল, গুপ্ত সেনা হওয়ার প্রতি অনিচ্ছা এবং তাদের সঠিক দূর্গে অবস্থান না করা নিয়ে সংশয় বরং তারা মনে করছে যে তারা সাময়িক কোন অলীক কল্পনার দূর্গে অবস্থান করছেন। অথচ, ইলমের জগৎ যে সঠিক দূর্গ সে ব্যাপারে কোন সংশয় হতেই পারে না।
আমাদের অধিকাংশরা আরোও বিশ্বাস করেন যে, ইলমের জগতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া শুধুই একটি নফল আমল অথবা, একটি অস্থায়ী কাজের অংশ, একটি সস্তা কাজ, একটি অর্থহীন রুটিন অথবা, বেশি হলে কোন পোস্টের লেখককের জন্য তার করা পোস্টের জন্য দোয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ, আর এ কথা বলা বাতুলতা হবে যে কোন টপিকে উপকারী কোন মন্তব্য করলে তা জ্ঞানের সীমা বাড়াতে সহায়ক এবং তা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাতে পারে।
যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের মধ্যে এই আস্থা সৃষ্টি না হবে যে আমরা সত্যিকার অর্থে আনসার, আমরা আমাদের মুজাহিদীন ভাইদের চাদর এবং এই আমল ফারদুল আইন, নফল নয়- যা আমরা করি বা, না করি আমাদের ইচ্ছাধীন। যারা এই কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না এবং যাদের অন্তরে এই কাজের বুঝ প্রবেশ করেনি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আমি বলছি, এই মনমানসিকতা নিয়ে আমরা যদি আনসারদের একটি অংশ হই তাহলে তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমনকি জিহাদী ‘ইলমের ময়দানে আমরা কাঁটা হয়ে যেতে পারি এবং আমাদের দিয়ে মরিচীকা দেখানো ছাড়া আর কিছুই দেখানো হবে না।
আমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং আমাদের সবাইকে আমাদের দায়িত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, এখন সময় হয়েছে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর সামনা সামনি হওয়ার এবং তা প্রতিহত করার। আল্লাহ সর্বক্ষণ আমাদের সাথে রয়েছেন এবং তিনি কখন সর্বোত্তম আমলের প্রতিদানকে নষ্ট করে দিবেন না।
যা আমি আগের প্যারাতে বলেছি তাতে আমি জোর দিচ্ছি মানে হল জিহাদী ইলমের জন্য ইন্টারনেট আমাদের কাছে থাকা একমাত্র অস্ত্র নয় যদিও তা সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকর মাধ্যম। ইন্টারনেট ছাড়াও সাধারন যে মাধ্যম আমরা ব্যবহার করি যার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ এবং কাজের সুফল বয়ে আনতে পারি যতক্ষন না এই রাস্তার বাধাগুলো জমাট বাঁধতে থাকে। আর যদি এই বাঁধাগুলো খুবই বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায় তখন আমরা ইন্টারনেটের দিকে ফিরে আসতে পারি যা খুবই সহজে নিয়ন্ত্রিত একটা মাধ্যম।
আনসারদের উচিত হবে দাওয়াহর ময়দানে ঝাপিয়ে পড়া, নিজেদেরকে এমন কাজে ব্যস্ত রাখা যা হবে ভাল, নির্ধারিত এবং সম্বন্বিত। আজ পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হচ্ছে এবং সুযোগ আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে, অথচ আমাদের অতিরিক্ত শক্তি এবং কাজের পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন। এই জন্য আমরা সব আনসার এবং মুজাহিদীনদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছি যেমন- দাওয়াহ কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সামর্থ্যের মধ্যে থাকা সব ধরনের দূর্গ সমন্বয় করা যা দিয়ে যারা ইহুদী-ক্রুসেডার মিডিয়ার অপপ্রচারের শিকার হয়েছে এবং যারা ক্রুসেডারদের শিক্ষার বলী হয়েছে তাদের অন্তরকে একটি কাঠামোর ভিতরে এনে পরিচ্ছন্ন করার কর্মপদ্ধতি গৃহিত হয়। আমরা তাদেরকে খানাখন্দ থেকে বের করে আনতে তারপরে তাদেরকেই উদ্দিপ্ত করার কাজে নেমেছি যেন তারা আল-হাক্বের বাহিনী এবং ঈমানের সেনা হতে পারে যে অতিসম্প্রতি জিহাদ এবং ফিদায়ীর ময়দানে ঝাপিয়ে পড়বে।
এখন আমাদের সামনে পরিষ্কার ভাবে ই’দাদের ময়দান পড়ে আছে, তারবিয়্যাহর ক্ষেত্র এবং আভ্যন্তরীণ কাঠামো গঠন যার অনেকগুলো নির্দিষ্ট শাখা রয়েছে। সব ধরনের জ্ঞানের শাখায় প্রবেশ করে তা হজম করে নিন যত বেশি করে সম্ভব এবং বিজ্ঞান ও ময়দানের বিভিন্ন শাখায় নিজেদেরকে পারদর্শী করে তুলুন। যদিও এর ফলে শত্রুদের ক্ষমতার সাথে পাল্লা দেয়া যাবে না, তথাপি আল্লাহ হচ্ছেন সবচেয়ে মহান, তিনি আমাদের জন্য অন্য কোন সক্ষমতার দ্বার উন্মোচন করে দিতে পারেন যেন আমরা আমাদের শত্রুদের দূর্বল করে দিতে পারি যে আমাদের সামনে হোঁচট খেতে থাকবে। আল্লাহর জমীন পরিব্যাপ্ত। আমলে সোলিহাতের ক্ষেত্রও ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে এবং পরিব্যাপ্ত হচ্ছে, আমরা যেন আল্লাহ যা ব্যাপক করে দিয়েছেন তা যেন সংকীর্ণ না করে দেই। কারন প্রতিটি আমলে সালেহ এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য ইখলাসুন নিয়্যাত শুধু আল্লাহর জন্য হওয়া বাধ্যতামূলক যেন আমলগুলো গায়েব না হয় এবং এর বিনিময়গুলো আল্লাহর কাছে অক্ষুন্ন থাকে এবং আল্লাহ এই আমলকে ইচ্ছা করলে এমন মহৎ করতে পারেন যার ফলে তা মানব জাতির জন্য উপকারী হয়ে উঠবে।
আল্লাহর বারাকাহর উপর দিয়ে হাঁটেন, হতাশ হবেন না এবং দুঃখিতও হবেন না কারন আল্লাহ তা’আলা কখন ভুলে যান না এবং তিনি সব অদৃশ্যের জ্ঞানী, কোন কিছুই তাঁর দৃষ্টির অন্তরালে হয় না তিনি এমন একজন যিনি আমাদের শত্রুদের মুখ চূর্ণ করে দিতে পারেন এবং এই মিম্বারের সুযোগ যেই নিবে সে নিঃসন্দেহে আনসার ও সাহায্যকারী হিসাবে যুক্ত থাকলো যা এই শত্রুদেরকে হারানোর কারন হবে।
এটি আল্লাহর সুন্নাতের একটি অংশ, কিছু সময়ের জন্য আমরা পিছিয়ে যাই এবং বাধাপ্রাপ্ত হই কিন্তু আমরা কখনই ধ্বংস হব না এবং কখনই থেমে যাব না। পরীক্ষা এবং ধারাবাহিকতার (তাসাবাত) মধ্য দিয়েই বিজয় এবং বিজয়ী অবস্থা (তামকিন) প্রাপ্ত হয়।
আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাওয়াত এবং সালাম এবং তাঁর বারাকাহ বর্ষিত হোক ইমাম মুহাম্মাদ (সাঃ), তাঁর পরিবার এবং সব সাহাবীদের প্রতি।
আমাদের আহবান শেষ করছি এই বলে, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর- সারা জাহানের রব”
লেখকঃ আশ শায়েখ আবু সা’দ আল-আমিলী (রঃ)
জুম’আদুল উলা, ১৪৩৩ হিজরী