JustPaste.it

ইসলামী বসন্ত

(৮ম পর্ব)

বিজয়ের সূর্য নওসানতারা থেকে উদিত হয়

শায়খ আয়মান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহু

(আস-সাহাব মিডিয়া কর্তৃক রবীউল আউয়াল ১৪৩৭ হিজরীতে প্রকাশিত)

0c6259ace5c7fc4d2e8ebb19e0bca973.jpg

 

 

অনলাইনে পড়ুন-

 

ডাউনলোড করুন

পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৭৭১ কেবি]

https://archive.org/download/IslamiBosonto8_201906/islami%20bosonto-8.pdf

https://archive.org/download/IslamiBosonto8/islami%20bosonto-8.pdf

http://www.mediafire.com/file/1ehgsfhizfh5jxn/islami+bosonto-8.pdf/file 

https://mega.nz/file/cQ4ljJYB#KglLPiuLVYd7TmmcxSibqbdUXr6ZiX-jNRhcHdh_9bk 

 

ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৯৩৯ কেবি]

https://archive.org/download/IslamiBosonto8_201906/islami%20bosonto-8.docx

https://archive.org/download/IslamiBosonto8/islami%20bosonto-8.docx 

http://www.mediafire.com/file/wffozppgxlddo5d/islami+bosonto-8.docx/file 

https://mega.nz/file/wNgHSTZD#NGgBgys7l7FnhPZhqbYA3t0fcNl8nScJjulCilQ2whY 

 

——————————————————————————————————————————————————————

 

ইসলামী বসন্ত

(৮ম পর্ব)

বিজয়ের সূর্য নওসানতারা থেকে উদিত হয়

শায়খ আয়মান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহু

(আস-সাহাব মিডিয়া কর্তৃক রবীউল আউয়াল ১৪৩৭ হিজরীতে প্রকাশিত)

 

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وصحبه ومن والاه

 

সারাবিশ্বে অবস্থানরত আমার মুসলিম ভাইয়েরা!

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

হামদ ও ছানার পর-

ইসলামী বসন্তের এটি অষ্টম পর্ব। প্রথম দুটি পর্বে আমি ইরাক ও শামে ক্রুসেডারদের হামলা, ওয়াযিরিস্তানে আমেরিকার দালাল পাকিস্তানীদের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তারপর কথা বলেছি বাগদাদী ও তার দলের দাবিকৃত তথাকথিত খেলাফত নিয়ে। তেমনি গুরুত্বারোপ করেছিলাম মুজাহিদদের এক হওয়ার প্রতি। যার সম্পর্কে আমি আরও আগেও বলেছিলাম। বলেছিলাম-জিহাদের কাতারে বিচ্ছিন্নতার ক্ষতি ও বিপদ যে কত ভয়াবহ!

তৃতীয় পর্বে নবুওয়তের আদলে খেলাফতে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যার অন্যতম আলামত হল: শরীয়তের কাছে বিচার ফয়সালা প্রার্থণা করা। বলেছিলাম, খেলাফতের ভিত্তি দুটি: শূরা ও তামাক্কুন। (পরামর্শ ও তামাক্কুন), নবুওয়তের আলোকে খলীফা নির্বাচন ও তার গুণ কী হবে তার ব্যাখ্যা, যার মধ্যে অন্যতম একটি হল: ন্যায়পরায়ণতা।

অন্যভাবে:

তৃতীয় পর্বে আলোচিত বিষয়সমূহ:

১. নবুওয়তের আদলে খিলাফাহ কী রকম হয়?

২. খিলাফাহর প্রধান বৈশিষ্টগুলো কী?

৩. খলিফাহ নির্বাচনের পদ্ধতী কী?

৪. খলীফাহর প্রধান গুণ কী?

আর চতুর্থ পর্বে কিছু সন্দেহ-অভিযোগের উত্তর দিয়েছিলাম।

১. বলপ্রয়োগের দ্বারা ইমারাহ দখর করার হুকুম কী?

২. কমসংখ্যক লোকের বায়াতের মাধ্যমে খলীফা নির্বাচন বৈধ হবে কী?

৩. জোরপূর্বক যারা খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করে বা যারা এর যোগ্য নয় তাদেরকে বাইয়াত না দিলে কী গুনাহগার হব?

৪. খিলাফাহ ঘোষণার জন্যে সঠিক সময়ের অপেক্ষায় কোন দোষ আছে কি না?

আমি বলেছিলাম- যারা আবু বকর রা. এর খিলাফাহ ঘোষণা অল্প কয়েক জনকে নিয়ে হওয়ার অপবাদ দিয়ে কম সংখ্যক লোকের বাইয়াহ কে বৈধতা দেয় তারা মূলত মিথ্যাবাদী রাফেদীদের সহযোগী।

জোর করে অস্ত্রের মুখে যে খিলাফাহ দখল করে তার ব্যাপারে কিছু দলীল উল্লেখ করেছিলাম ইমাম আহমদ রহ. এর অভিমত থেকে। বলেছিলাম বাগদাদী ও তার সাথীদের উপর একজন সমাসীন ইমামের বাইয়াত ছিল, তিনি হলেন মোল্লা মুহাম্মদ ওমর রহ.। তাদেরকে গঠনকারী মিথ্যা ধারণা করছে। তারা গত নয় বছর ধরে বাইয়াহ ভঙ্গ করে আসছে। আমি ইমাম নববী রহ. এর অভিমত উল্লেখ করেছি- আহলুল হল ওয়াল আকদের একমত হওয়ার শর্ত না পাওয়া যাওয়ার ব্যাপারে। যেখানটায় দলীলগুলো জামাআতুল বাগদাদীর বিপক্ষে। কেননা নববী রহ. বলেন- যার ব্যাপারে মানুষেরা একমত ও একত্র হবে। আর যাদের ব্যাপারে মানুষেরা বলবেনা তারাতো অজ্ঞাত লোকদের মাঝে গণ্য হবে। তাহলে অজানা স্থানের অজ্ঞাত সময়ে অপরিচিত কিছু লোকের বাইয়াত। আমাদেরকে সে বলেছে যাকে আমরা মিথ্যাবাদী রূপে পেয়েছি।

পঞ্চম পর্বে দুটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এসছিলাম-

এক. বর্তমান সময় কী খিলাফাহ ঘোষণার উপযুক্ত সময়?

দুই. যদি খিলাফাহ ঘোষণার সময় এখন না হয়। তবে তার বিকল্প কী?

ষষ্ঠ পর্বে সাফাভীদের থেকে আসা বিপদ সম্পর্কে বলেছি।

সপ্তম পর্বে ইয়েমেনে চলমান কিছু বিপদজনক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছি।

আর প্রথম পর্বে আমি একটি ভুল খুঁজে পেয়েছি। যে ভুল অনিচ্ছা সত্ত্বেও হয়ে গেছে। আমি তা শুদ্ধ করে দিতে চাই। কেননা সঠিকতার দিকে ফেরাই তো উত্তম। তা হল, আমি বলে ছিলাম- “অন্যদিকে বাগদাদী গাযা, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ওয়াযিরিস্তান সম্পর্কে একটি কথাও বলেনি। অপরপক্ষে ইমারাতে ইসলামিয়া তার কথার মাধ্যমে, অনবরত সাহায্য করার মাধ্যমে, স্পষ্ট কৃতজ্ঞতা আদায়ের মাধ্যমে একটি উজ্জ্বল নমুনা দেখিয়েছে।”

কিন্তু বাগদাদীর কথিত খিলাফাহ ঘোষণার পরে রমজানের বিবৃতি (রমজানে মুজাহিদীন ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি বার্তা) তে একবার মাত্র আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করেছে। আর গাযা ও ওয়াযিরিস্তাকে খাস করে কিছুই বলেনি। অথচ তখন এদুটি জায়গায় জ্বালাও-পোড়াও-বোমা হামলা চলছিল পুরোদমে। তাই আমি আমার কথাকে শুদ্ধ করে নেব-

“অন্যদিকে বাগদাদী তার কথিত খিলাফাহ ঘোষণার পর গাযা, ওয়াযিরিস্তান, পাকিস্তানের মুজাহিদ, আফগানিস্তানের মুজাহিদদের সম্পর্কে খাস করে কিছুই বলেনি। অপরপক্ষে ইমারাতুল ইসলামিয়া কথার মাধ্যমে, অনবরত সাহায্য করার মাধ্যমে, স্পষ্টভাবে তাদের কৃতজ্ঞতা আদায়ের মাধ্যমে  উন্নত দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে।”

আর যে ভুলই আমার থেকে প্রকাশ পায় বা আমাকে জানানো হয়, আমি তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। কেননা আমি তো একজন মানুষ মাত্র। যে মানুষ ভুলও করে  আবার সঠিক কাজটাও করে।

এখানে আরো একটি জিনিস যোগ করব- ইমারাতে ইসলামিয়া ওয়াযিরিস্তানে বিশ্বাসঘাতক পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ও আমেরিকানদের হামলার ব্যাপারে উত্তম ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারা মুহাজির ভাইদের যতটুকু পেরেছেন সাহায্য করেছেন। এমনকি তাদের জন্যেও যারা তাদের প্রতি উদ্ধত হয়েছিল, তাদেরকে গালি দিয়েছিল, তালেবান মুজাহিদদেরকে পাকিস্তানের চর বলেছিল। আল্লাহ ইমারাতে ইসলামিয়া কে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

এই হালাকাতে আমি পূর্ব এশিয়ার ইসলামের সীমান্তবর্তী এলাকা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও তার আশপাশের স্থান সম্পর্কে কথা বলব।

***

পূর্ব এশিয়ার ভাইয়েরা!

আপনারা উম্মতে মুসলিমার একটি বিরাট অংশ। পূর্ব মুসলিম ভূখণ্ডের দরজায় আপনারা। ইসলামী আকীদা, মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপনাদের বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। ইসলাম ও মুসলিমদের উপর সীমালঙ্গনকারী ক্রুসেড জোটের বিরুদ্ধে আপনারা লড়াই করেছেন। তেমনি আপনারা ধর্মনিরপেক্ষতা ও শত্রুদের বিরুদ্ধে আকীদা ও রাজনীতির মাঠে আছেন। জাতীয়তা ও দেশপ্রেম লালনকারী পূজারীদের বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থান।

আপনাদের লড়াই কয়েকটি ভাগে ও কয়েকটি অস্ত্রের মাধ্যমে হবে।

আপনাদের যুদ্ধ হল প্রতিটি স্থানে আমেরিকী ও পশ্চিমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থানে আঘাত হানা। আমেরিকা ও তার অংশীদারদের প্রতিরোধ করে তাদের অপরাধের মূল্য পরিশোধ করুন। এটাই সেই পথ যা শায়খ উসামা বিন লাদেন রহ. ও তাঁর সাথীরা ইজতেহাদ করেছেন। উম্মাহকে সীমালঙ্গনকারীদের অনিষ্টতা থেকে মুক্ত করার জন্যে। বিইযনিল্লাহ যুগের হোবল আমেরিকার পতন হলে তার অন্যান্য অনুসরণকারীরও পতন ঘটবে। তখন তার চেয়ে দূর্বল শত্রুদেরকে খতম করা সহজ হবে। আর এটা বর্তমানের জিহাদের মধ্যে প্রাধান্যযোগ্য ও উত্তম কৌশল। বাকী আল্লাহই ভালো জানেন।

আপনাদের উপর আবশ্যক হল- ফিলিপাইনে অত্যাচারী ক্রুসেডারদেরকে প্রতিহত করতে জিহাদ চালিয়ে যাওয়া। আপনাদেরকে দ্বীপাঞ্চলের ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে খ্রিস্টানদের অপরাধের বিরুদ্ধে আপনাদের মুসলিম ভাইদের সাহায্য করা। আপনাদেরকে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের মুসলিম ভাইদেরকে সাহায্য করতে হবে ও তাদেরকে সমর্থন করতে হবে।

তেমনিভাবে বিভিন্ন জিহাদের ময়দানে আপনাদের মুসলিম ভাইদের সাহায্যার্থে হিজরত করতে হবে। ইসলামের এসকল এলাকায় যেন শত্রুদের প্রতিরোধে আরো শক্ত অবস্থান গ্রহণ করা যায়।

আপনাদের অনেক ভাই এ পথে অগ্রসর হয়েছেন। তাদের অনেকে হিজরত করেছেন আফগানিস্তানের বিভিন্ন জিহাদের ময়দানে। আমি কান্দাহারে দেখেছিলাম আপনাদের অনেক বড় বড় শায়েখগণ শায়খ উসামা বিন লাদেনের সাক্ষাতে এসেছেন। তাঁরা তাঁর বার্তা পৌঁছানোর অঙ্গিকার করেছেন। তাঁর পথ অনুসরণ করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ওয়াদা করেছেন।

আর শায়খ উসামা বিন লাদেনের দাওয়াতে সাড়া দিয়ে আপনাদের মধ্যকার অনেক বীর পুরুষ খ্রিস্টানদের সীমালঙ্গনের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনে দাঁড়িয়ে গেছে। এমনিভাবে খ্রিস্টান জোটের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে মালী ও জাকার্তার ভাইরাও এগিয়ে এসেছেন।

শায়খ উসামা রহ. এর এ দাওয়াত আপনাদের ওলামায়ে কেরামের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। তাঁরা এখন উম্মাহকে খ্রিস্টান ও ইহুদীদের সীমালঙ্গনকে প্রতিহত করার জন্যে উৎসাহিত করছেন।

সশস্ত্র হয়ে জিহাদ করার সাথে সাথে আপনাদের দায়িত্ব হল বয়ান, দাওয়াতের মাধ্যমে মুসলিম জাতিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করা। যার মূলনীতি হল- শরীয়তের বিচার-ফয়সালাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। গণতন্ত্র, দেশভিত্তিক চেতনা, সাম্প্রদায়িকতার নীতিকে প্রণয়ন করে। যা মুসলিম জাতিকে পঞ্চাশেরও অধিক ভাগে বিভক্ত করেছে।

নওসানতারার মুসলিম ভাইয়েরা!

আপনাদেরকে মুসলিম উম্মাহর নিকট তাওহীদের আকিদা বর্ণনা করার জন্যে চেষ্টা-সাধনা চালিয়ে যেতে হবে। নিকৃষ্ট বানকীশিলীয় আকীদাকে প্রতিহত করতে হবে। যা পাঁচটি মৌলিক বিশ্বাসের দিকে আহ্বান করে- এক ইলাহ, জাতীয় চেতনা, মানবতা, গণতন্ত্র, সামাজিক নীতিবোধ। যে আকিদা ভয়-ভীতি, উৎসাহ, জ্বালাও-পোড়াও, অস্ত্রের মুখে মুসলিমদের উপর সীমালঙ্গনকারীদের বিচার ব্যবস্থাকে চাপিয়ে দেয়। আপনারা জানিয়েছেন এ আকীদা ইসলামী আকীদার বিপরীত। তাহলে এ আকীদার বিরুদ্ধে আপনাদের মোবারক কাজ চালিয়ে যান। আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করি তিনি যেন নওসানতারার উম্মতে মুসলিমার সামনে তাওহীদের বিশুদ্ধ আকীদা পেশ করার তাওফীক দান করেন। যেরকম আকীদা আমাদের নেতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল হয়েছে। যা তাঁর সাহাবারা (রা.) বিস্তার করে গেছেন।

আর এটা মুসলিমদের মাঝে একতার জাগরণের লড়াই। এটা বলার লড়াই যে আটলান্টিক উপকূল থেকে পূর্ব তুর্কিস্তান পর্যন্ত আমরা সকলে এক জাতি। এক উম্মাহ। যাকে এক দীন এক আকীদা একত্রিত করেছে। যেখানে কালো-সাদা, আরব-অনারবে পার্থক্য নাই। যেখানে মাপার মানদণ্ড হল তাকওয়া।

সত্যিকার দায়ীদের প্রতি আমার আহ্বান- উম্মাহর কাতারসমূহকে এক করতে, শত্রুদের বিরুদ্ধে একত্রিত করতে। আপনারা উম্মতের সামনে শায়খ উসামা বিন লাদেন রহ. এর নেতৃত্বে মুজাহিদদের বরকতময় কাজের কথা তুলে ধরুন।

শায়খ রহ. উম্মাহকে একটি উদ্দেশ্যে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। তা হল খ্রিস্টান ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা। যুগের হোবল আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করা। তিনি জিহাদী জামাআতসমূহকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি একটি ইসলামী দল প্রতিষ্ঠা করেন। ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানকে বাইয়াত দেন। মুসলমানদেরকে আহ্বান করেছেন- তারা যেন ইমারাহকে বায়াত দেন, যেন এক পতাকার নিচে সমবেত হওয়া যায়। আপনারা এ ডাকে সাড়া দিন। ইমাম মুজাদ্দিদ রহ. এর এ পথকে পূর্ণ করুন।

সত্যিকার দায়ীদের উপর আবশ্যক হল- আপনারা পূর্ব এশিয়ার উম্মতে মুসলিমার কাছে স্পষ্ট করে তুলুন ইসলামী রাষ্ট্রের স্বরূপকে যার প্রতি আমরা দাওয়াত দিয়ে থাকি। এটি হল শান্তির রাষ্ট্র। পরামর্শ ও ন্যায়পরায়নতার রাষ্ট্র। ক্রোধ ও দমনের নয়। নয় বিস্ফোরণের।

এমন রাষ্ট্র যা শরীয়তের বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। তা থেকে পালানোর নয়।

এমন রাষ্ট্র যাদের নীতি হবে ওয়াদা পূর্ণ কর। ওয়াদা ভঙ্গ করা নয়।

এমন রাষ্ট্র যা মুসলমান ও মুজাহিদদের আমানতকে, তাদের মৌলিক অধিকারের হেফাযত করবে। তাদেরকে তাকফীর করে নয়। তাদের সমালোচনা করে নয় বা তাদেরকে তাগুতের চর বলে গালি দিয়ে নয়। তাদের রক্তকে হালাল করে নয়।

এমন একটি রাষ্ট্র যা কোরআনের আলোকে পরিচালিত হবে। যেরকম আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- وأمرهم شورى بينهم  আর তাদের বিষয় সমূহ পরিচালিত হবে তাদের নিজেদের মাঝে পরামর্শ করার মাধ্যমে। বাগদাদীর বেদাআতী পদ্ধতীতে নয়, যা হল: وأمركم شورى بيننا মুসলমানদের বিষয়গুলো পরিচালিত হবে আমাদের মাঝে যে পরামর্শ হয় তার মাধ্যমে।

এমন রাষ্ট্র যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত হবে। যেমন তিনি বলেছেন:

أول من يغير سنتي رجل من بني أمية”. حسنه الشيخ الألباني رحمه الله، وقال: “ولعل المراد بالحديث تغيير نظام اختيار الخليفة، وجعله وراثة

প্রথম যে আমার সুন্নতকে পরিবর্তন করবে সে হল বনু উমাইয়ার এক লোক। শায়খ আলবানী রহ. এ হাদীসের সনদকে হাসান বলেছেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

أوصيكم بتقوى اللّه والسمع والطّاعة وإن كان عبدا حبشيًّا، فإنّه من يعش منكم بعدي فسيرى اختلاف ا كثيرا، فعليكم بسنّتي وسنّة الخلفاء الّراشدين المهديّين، فتمسكوا بها وعّضوا عليها بالنّواجذ

“আমি তোমাদেরকে ওসিয়ত করছি -আল্লাহকে ভয় করবে। আদেশ শুনবে ও মান্য করবে, যদিও নেতা কোন হাবশী গোলাম হোক না কেন। কেননা আমার পরে যারা জীবিত থাকবে তারা অনেক মতপার্থক্য দেখবে। তাই তোমরা আমার সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরো আর আঁকড়ে ধরো সৎপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহকে, তোমরা তাকে নাওয়াজিয দাঁত দিয়ে হলেও কামড়ে ধরো।”

এমন রাষ্ট্র যা খোলাফায়ে রাশেদীনের শিক্ষা অনুসারে পরিচালিত হবে। যেরকম আমাদের নেতা উমর ইবনুল খাত্তাব রা. বলেছেন: إنّه لا خلافة إلا عن مشورة খিলাফাহ পরিচালিত হবে পরামর্শের ভিত্তিতে। আর এর সনদ সহীহ, ছিকাহ রাবীর বর্ণনাতে ক্রমানুসারে এসে পৌঁছেছে।

আমাদের নেতা আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা. আলী রা. কে বলেন (যা বোখারী রহ. বর্ণনা করেছেন): পরসমাচার। হে আলী আমি দেখেছি মানুষ উসমান রা. এর ক্ষেত্রে ইনসাফ করেনি। তাই আপনি আপনার ব্যাপারে তাদেরকে এমন সুযোগ দিবেন না। আলী রা. বললেন- আমি আপনাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরের দুই খলীফার সুন্নাহ অনুসারে বাইয়াত দিচ্ছি। তারপর আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রা. তাঁকে বাইয়াত দিলেন এবং আনসার ও মুহাজিররা তাঁকে বাইয়াত দিলেন। মুসলমান সেনাবাহিনীর নেতা, মুসলমানদের নেতাগণ তাঁকে বাইয়াত দিলেন।

এটা হবে খিলাফার রাষ্ট্র। যার ভিত্তি হবে নবুওয়তী মানহাজ। যাতে অনুসৃত হবে না ইউসুফ পুত্র হাজ্জাজ বা আবু মুসলিম খোরাসানী। কিংবা বাগদাদীর বেদাআতী পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে তারা ডাকাতি ও জোরের মাধ্যমে বিস্ফোরণ-বিস্ফোরকের মাধ্যমে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করে!

আর আপনাদের লড়াই হল উম্মাহকে এক করার রাজনৈতিক বা কুটনৈতিক লড়াই। উম্মাহকে কাঙ্খিত পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাওয়ার লড়াই। যেন মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা করা যায়। ইসলামের বড় বড় শত্রুকে প্রতিহত করা যায়। এমন এক খিলাফাহর অধীনে যা সন্তুষ্টি ও পরামর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাওহীদ, উম্মাহকে এক হওয়ার দাওয়াত দেয়া, মুসলমানদের শাসন প্রতিষ্ঠার দাওয়াত দেয়া। যা মুসলিমদেরকে সন্তুষ্টি ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি খেলাফাহর অধীনে একত্র করবে। একত্রিত ও শৃঙ্খলা আনয়নের এই কাজটির জন্যে উম্মাহর মাঝে চেষ্টা-সাধনা করতে হবে। তাওহীদের আকীদা প্রচার করার জন্যে, খ্রিস্টান মিশনারীদের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে সাধারণভাবে উম্মাহর মাঝে শহরে, গ্রামে, বিভিন্ন অঞ্চলে দাওয়াহর কাজটি করে যেতে হবে। আপনাদের কাছে আরো চাওয়া হল-উম্মাহর প্রতি দায়িত্ব ও নাস্তিকতা, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, জাতীয়তাবাদের দাওয়াত মোকাবেলায় যুবক ও ছাত্রদেরকে জাগ্রত করা। আপনাদের কাছে চাওয়া হল আপনারা শুভাকাঙ্খী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষকদের মাঝে কাজ করে যাবেন। তাদেরকে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, গণতন্ত্রের মত বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ব্যবস্থার স্বরূপ তুলে ধরবেন। মুসলমানদের মাঝে চলমান ফাসাদ ও বিচ্ছিন্নতার কথা তুলে ধরবেন।

সাথে সাথে এটা একটা সামাজিক আন্দোলনও যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা, সুস্থ ব্যবসা পদ্ধতি, সমাজের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। মুসলিম উম্মাহকে বিপর্যয়ে সাহায্য করা হবে। জাতীয়তাবাদী ও খ্রিস্টান মিশনারীদের মেহনতকে প্রতিহত করা হবে।

আপনাদের লড়াই হল শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণের লড়াই। যেন আমরা শরীয়ত, তার আহকাম, তার আদাব মানার উপযুক্ত হতে পারি।

আমরা কীভাবে উম্মাহকে বলবো যে, আমরা তোমাদের কাছে যা চাইছি তা হল শরীয়তের বিচরা ফয়সালা, এ ব্যাপারে আমাদেরকে বিশ্বাস করো। অথচ জিহাদের প্রতি সম্পর্ক করা হয় এমন এক দল শরীয়তী বিচার ফয়সালা থেকে পলায়ন করে! যারা শরীয়তকে দু ভাগ করে দিয়েছে। এক. এ প্রকার তারা ব্যতীত অন্য সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। দুই. এ প্রকার প্রয়োগে তারা শরীয়ত থেকে পালানোর সুযোগ পায়।

কীভাবে শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে তাদেরকে বিশ্বাস করা যায়? তারাই তো শরীয়তের বিচার-ফয়সালা থেকে পালানোর শত কৌশল অবলম্বন করছে। এমনকি তারা যে সকল অপবাদ আরোপ করে, তার জন্যে তাদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা ধর-পাকড়ের বাইরে থাকে। স্বাধীন শরীয়তী আদালতের সামনে তাদের বিবাদ তাদের বিরুদ্ধে যে দলীল দাঁড় করায় তারা তার প্রতিও ভ্রুক্ষেপ করে না।

কীভাবে উম্মাহ আমাদের উপর পরিতৃপ্ত হবে যে, আমরা তাদের সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করব? অথচ আমাদের মধ্যেও এমন লোক আছে যারা স্বীকৃতি দেয় যে তারা ওয়াদাগুলো পূর্ণ করবে। আর ঘোষণা দেয় যে তারা এক্ষেত্রে দীনকে মেনে চলবে। তথা এটা তাদের আকীদার অংশ হবে। তারপর তারাই কয়েক মাস পরে ওই আকীদার অবজ্ঞা করে!

কীভাবে মুসলমানগণ এ কথা সত্য বলে মেনে নেবে যে, আমরা তাদের অধিকার সংরক্ষণ করব? অথচ আমাদের মধ্যেই কিছু লোক মুসলমানদের রক্ত ঝরানোতে লিপ্ত হয়। তারাই এমন ফেতনা ছড়ায় যাতে হাজার হাজার মুজাহিদ নিপতিত হয়।

আমরা কীভাবে উম্মাহকে পরিতৃপ্ত করতে পারি যে, আমরা তাদেরকে তাকফীর করবো না? অথচ জিহাদের প্রতি সম্পৃক্ত করা হয় ও যারা মুসলমানদের নেতৃত্ব দেওয়ার দাবী করে এমন লোকেরাই তাদের সাথে বিরোধকারীদের কোন দলীল ছাড়াই মিথ্যা ও অপবাদের ভিত্তিতে তাকফীর করে। কোন কোন সময় অন্যের অনুগত হওয়ার কারণে তাকফীর করে।

আমরা কীভাবে উম্মাহকে পরিতৃপ্ত করবো যে নবুওয়তের রীতি-নীতি অনুসরণে আমরা পরামর্শ ও খেলাফতে রাশেদা প্রতিষ্ঠা করবো? অথচ কিছু লোক কোন পরামর্শ ব্যতিত জোর করে বিস্ফোরনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত খিলাফাহকে নিয়ে গর্ব করে।

উম্মাহ কীভাবে পরিতৃপ্ত হবে যে আমরা নবুওয়তী নীতির আলোকে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করা চেষ্টা করছি? অথচ এমন ব্যক্তিও আছে যে মনে করে উম্মাহর হক চুরিকারী কিছু ব্যক্তির বাইয়াতে সে খলীফা হয়ে গেছে। আমরা যাদের না নাম জানি। না তাদের কুনিয়াত। না তাদের সংখ্যা। না তাদের গুণ বা ইতিহাস। আমরা জানিনা তারা কোথায় কখন একত্র হয়েছে। কিংবা যখন তারা একত্র হয়েছে কে তাদের বিরোধিতা করল বা কে তাদের মেনে নিল। কে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হল কে তাদেরকে অপছন্দ করল। যারা তাদের বিরোধিতা করল তাদের ব্যাপারে তারা কী করল?

নওসানতারার মুসলিম উম্মাহ আর সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ! নিশ্চয় আমাদের বার্তা সুস্পষ্ট।

আমরা চাই শরীয়তী বিচার ব্যবস্থা। তা থেকে পলায়ন করার ইচ্ছা পোষণ করি না। সাউদ পরিবারের মত শরীয়তকে দুভাগে ভাগ করতে চাই না।

আমরা পরামর্শক্রমে শাসন চালাতে চাই, হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের জুলুমের অনুসরণে নয়। আমরা এমন খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করতে চাই যার ভিত্তি হবে নবুওয়তের মানহাজ, যার ভিত্তি কোন ক্রমেই হাজ্জাজ নয়।

আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। খোলাফায়ে রাশেদীন রা. এর সুন্নাহ চাই। কামড়ে থাকা রাজতন্ত্র নয়।

আমরা নিজেদের মধ্যে নির্ভরযোগ্যতা চাই। আমরা নিজেদের ওয়াদা পূর্ণ করতে চাই। শ্রমবাজারের ডলারের দাম পরিবর্তন করতে চাই না।

আমরা চাই আপনারা এ কথা নিজেদের মনে বদ্ধমূল করে নিন যে, আমরা আপনার প্রতি সদয়। আপনার প্রতি একাগ্র। আপনার অধিকারের সংরক্ষক। আমরা ফেতনা ছড়াতে চাই না, যাতে মুসলমানদের হাজার হাজার লোক নিপতিত হবে।

আমরা উম্মাহকে এক করতে চাই। তাদেরকে পৃথক করতে নয়।

তাই আমরা বাগদাদী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কৃতকর্ম থেকে মুক্ত। আমরা তাদের মত নই। তাদের অন্তর্ভূক্ত নই। আল্লাহর অনুগ্রহক্রমে আমাদের মানহাজ তাদের মত নয়।

নওসানতারার ও গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ! আমাদের মূল যুদ্ধ হল সবচেয়ে বড় শত্রুর সাথে। যারা তাদের সৈন্য দিয়ে ইসলামী বিশ্বকে অবরোধ করে রেখেছে। তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করছে। তাদের উপর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের উপর বিশ্বাসঘাতক ও চোর কর্মচারীদের চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদেরকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তাদেরকে ত্রাসে রাখার পাঁয়তারা করছে। তারা শরীয়তকে বিশৃঙ্খলা, দূর্বলতা ও অশ্লীলতার মাধ্যম বলে। তাই তারা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে, যেন আমরা সংযমশীলতা ও কল্যাণের মাধ্যম ত্যাগ করে দুনিয়ার সুখ-স্বাচ্ছন্দের পিছনে লেগে থাকি।

শত্রু হল সে যে তৃতীয় পবিত্রভূমিকে দখল করে রাখা ইজরায়েলের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। যারা জোর করে পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করে ফেলেছে। শীশান, দক্ষিণ ফিলিপাইন, ফাতামী, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনকে দমন-পীড়ন, জুলুম, হত্যা, সীমালঙ্গনের মধ্যে রেখেছে।

আমাদের যুদ্ধ হল সবচেয়ে বড় শত্রুর বিরুদ্ধে যেন তাদের আঘাতকে প্রতিহত করা যায়। যা তারা ও তাদের সীমালঙ্গনকারী কর্মচারীরা আপনার স্বাধীনতা, সম্পদ ও বিশ্বাসের উপর করেছে।

নওসানতারা ও পুরো মুসলিম উম্মাহ! আমরা আপনাদের স্বাধীনতা চাই। আপনাদের মান-সম্মান চাই। চাই আপনারা লাঞ্ছনা, দূর্বলতা, বিশ্বাসঘাতক চোর কর্মচারীর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবেন।

আমরা আপনাদের প্রত্যেক মজলুম অংশের পাশে দাঁড়াবো, চাই তারা ছোটই হোক না কেন। আমাদের মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যে ব্যক্তিই নির্যাতিত হবে বা কাফেরদের মধ্যে যেই নির্যাতিত হবে, আমরা তার থেকে জালিমকে প্রতিহত করবো। এটা আমাদের দীন। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন:

يا أيها الذين آمنوا كونوا قوامين لله شهداء بالقسط ولا يجرمنكم شنآن قوم على ألا تعدلوا اعدلوا هو أقرب للتقوى

“হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে অধিক জানেন।”

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

شهدت حلف المطيّبين مع عمومتي، وأنا غلام، فما أحب أ ّن لي حمر النّعم وأ ّني أنكثه

“ছোটবেলায় আমি সুগন্ধিওয়ালাদের অঙ্গীকারে (হিলফুল মুত্তায়িবীন) আমার চাচাদের সাথে উপস্থিত ছিলাম।  আমাকে লাল উট দেওয়া হলেও আমি তা ভঙ্গ করবো না।”

من قتل دون ماله فهو شهيد، ومن قتل دون أهله فهو شهيد، ومن قتل دون دينه فهو شهيد، ومن قتل دون دمه فهو شهيد

“যে তার মাল রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ। যে তার পরিবার রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ। যে তার দীন রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ। যে আত্মরক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

من قتل دون مظلمته فهو شهيد

“যে জুলুমের কারণে নিহত হয় সে শহীদ।”

তাই যে ব্যক্তিই জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী অবস্থায় আছে আমরা তার পাশে আছি। জুলুম করে কারখানার যে কর্মচারীর বেতন কেটে নেয়া হয়েছে আমরা তার সাথে আছি। জুলুম করে যে গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করা হয়েছে আমরা তার সাথে আছি। আমেরিকার গোলাম পুলিশ যাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে আমরা তার সাথে আছি। প্রত্যেক মহিলা, যুবতী, এতিম, বিধবা যার উপর সীমালঙ্গন করা হয়েছে বা তাকে অপমান করা হয়েছে কিংবা তার অধিকার হরণ করা হয়েছে আমরা তাদের সাথে আছি। অন্যায়ভাবে যার অধিকার খেয়ে ফেলেছে আমরা তার সাথে আছি। চাই সে মুসলিম হোক বা কাফের।

হে আমাদের প্রিয় উম্মাহ! যারাই আপনাদের উপর সীমালঙ্গন করেছে তারা তাদের ধারণা মত একজন খলীফা বসিয়ে দিয়েছে। না কোন পরামর্শ করেছে না কারও মত নিয়েছে। না তাদের কোন যোগ্যতা আছে। তারা বিস্ফোরণের মাধ্যমে, জোর-জবরদস্তির মাধ্যমে, মিথ্যা দাবী বাতিল প্রচারণার মাধ্যমে নিজেদেরকে এ অবস্থানে এনেছে। আমরা তার বিরোধিতা করি তাদের বিপরীতে। যারাই পরামর্শ ভিত্তিক, ন্যায়, তুষ্টি, ঐক্যমত ভিত্তিক ও খোলাফায়ে রাশেদীনের মানহাজ ভিত্তিক কাজ করতে চাইবে আমরা তার সাথে আছি।

***

নওসানতারা ও বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহ! আল-কায়েদা শুধু কোন তানজীম বা দল নয়, নয় কোন ব্যক্তি বা সংখ্যার নাম। বরং এটা হল এসকল প্রত্যেক জিনিসের পূর্বে তার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণভাবে একটি বার্তার নাম আর এটাই আমাদের বার্তা।

আল্লাহর কাছে চাওয়া তিনি যেন একে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির জন্যে বানিয়ে দেন। তাঁর শরীয়ত অনুসারে বানিয়ে নেন। এটিকে কবুল করে নেন।

 

وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين، و صلى الله على سيدنا محمد وآله وصحبه وسلم.

والسلام عليكم ورحمة الله وبركاته