JustPaste.it

শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ‘ইসলামী বসন্ত’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ১০০ টি মিথ্যাচার

ও নব্য খারিজী সমর্থকদের নতুন শরীয়ত প্রণয়ন।    (৪র্থ পর্ব)

 ( #Abdul_Ahad এর নতুন শরীয়ত প্রণয়ন এবং খারিজী মতবাদে পতিত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ।) 

 

ইতোপূর্বে ‘ইসলামী বসন্ত’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে #Abdul_Ahad নামে এক আজিব আইএস সমর্থকের জবাবে ৩ টি পর্ব লিখেছি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ‘ইসলামী বসন্ত’র উক্ত ৩ টি বক্তব্য যে সঠিক ছিল এবং সে যে এক নীচতম মিথ্যাচার ও জাহালাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত তা শুধু প্রমাণিতই হয়নি বরং আলহামদুলিল্লাহ্‌, সে মাঝে মাঝে নিজের এই মিথ্যাচার সংশোধনের ঘোষণা দিতেও বাধ্য হয়েছে।

 

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, উক্ত ৩ টি বক্তব্যের একটিও শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ছিল না বরং ২ টি ছিল সম্পাদকের, আর ১ টি ছিল আল-শাবাবের আমীর শাইখ মুখতার আবু যুবাইর রাহিঃ এর।

আজকের ৪র্থ পর্বের এই বক্তব্যটিও আল-শাবাবের আমীর শাইখ মুখতার আবু যুবাইর রাহিঃ এর।

শাইখ মুখতার আবু যুবাইর রাহঃ আইএসের এই মনগড়া ও বাতিল খিলাফত ঘোষণার প্রায় ১ বছর পূর্বে ২০১৩ সালে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর প্রতি লেখা এক চিঠিতে এই কথাটি লিখেন।

ইসলামী বসন্তের ১৩ পৃষ্ঠায় এই চিঠিটি উল্লেখ আছে। শাইখ মুখতার আবু যুবাইর রাহিঃ বলেন,  

>> “আমরা দিবা-নিশি এমন একটি খিলাফাহ ব্যবস্হার করছি,
যেখানে গোটা দুনিয়ার মুসলিম একতাবদ্ধ হয়ে যার অধীনে থাকবে।।"<< 

 

উপরের লাইন দু’টি উল্লেখ করে #Abdul_Ahad নামে এই কিংবদন্তি জাহেল ও মিথ্যাবাদী লিখেছে

//কুরআন হাদিসের কোথাও শর্তারোপ করা হয়নি যে, খিলাফাহ ঘোষনা করার জন্য গোটা দুনিয়ার মুসলিমদের একতাবদ্ধ হতে হবে।। ( এখানে সে কুরআনের এই আয়াতগুলো অর্থ সহ উল্লেখ করেছে___ সূরাহ হুদ- ১১৮, সূরাহ নাহল – ৯৩, সূরাহ আনআম – ৩৫, সূরাহ সিজদাহ, - ১৩।)

গোটা দুনিয়ার মুসলিম একতাবদ্ধ করার কাজ কোন নবী রসুলগণই করতে পারেননি।
এমন একটি শরীয়ত বহির্ভুত কথা কিভাবে তিনি বলেন??।।//  

 

প্রথমতঃ শাইখ মুখতার আবু যুবাইর রাহিঃ খিলাফত ব্যবস্থার অধীনে সমস্ত মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে, দুনিয়ার মুজাহিদিনগণ সেই খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন একথা ব্যক্ত করেছেন। বাংলা পড়ে বুঝতে না পারা এই আইএস সমর্থক সেটিকে //খিলাফাহ ঘোষণার করার জন্য গোটা দুনিয়ার মুসলিমদের একতাবদ্ধ// হওয়া বলে চালিয়ে দিয়েছে। আর একথাটি সে আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর নামে চালিয়েছে, যার জবাব ৩য় পর্বে দেওয়া হয়েছে।

 

দ্বিতীয়তঃ খিলাফত ইসলামের এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা যার অধীনে মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকে। খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মূল পদক্ষেপই হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহর ‘আহলুল হাল্লি ওয়াল আক্বদ’ খলীফাহকে মনোনীত করবে । ‘আহলুল হাল্লি ওয়াল আক্বদ’ হচ্ছেন, মুসলিম উম্মাহর উলামা ও নেতৃত্বস্থানীয় সে সব ব্যক্তিবর্গ; যাদের কথার উপর মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং যাদের কাছে যমীনে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় শাওকাহ তথা শক্তি বিদ্যমান থাকবে। ফলে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হওয়া মানেই হচ্ছে ‘আহলুল হাল্লি ওয়াল আক্বদ’ এর মাধ্যমে মনোনীত খলীফাকে কেন্দ্র করে পুরো মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

 

এমতাবস্থায় উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীর ব্যাপারে রাসূল সাঃ  বলেন,

(مَنْ أَتَاكُمْ وَأَمْرُكُمْ جَمِيعٌ عَلَى رَجُلٍ وَاحِدٍ، يُرِيدُ أَنْ يَشُقَّ عَصَاكُمْ، أَوْ يُفَرِّقَ جَمَاعَتَكُمْ، فَاقْتُلُوهُ (رواه مسلم.

 অর্থঃ “তোমরা কোনো একজন ব্যক্তির উপর ঐক্যবদ্ধ থাকা অবস্থায় যদি অন্য কেউ তোমাদের ঐক্য ভাঙতে চায় অথবা তোমাদের জামা’আতে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়,তাহলে তোমরা তাকে হত্যা করো।”  (সহীহ মুসলিম,হাদীস নং-৩৪৪৯)

 

রাসূল সাঃ আরো ইরশাদ করেন, “যখন দুইজন খলীফার বাই’আত গ্রহণ করা হবে, তখন তোমরা তাদের মধ্যে দ্বিতীয়জনকে হত্যা করো।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৯০৫)

 

খিলাফত মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ রাখে বলেই রাসূল সাঃ মুসলিম উম্মাহর একজন শরীয়তসম্মত খলীফা থাকা অবস্থায় অপর কেউ উম্মাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন । খিলাফতের অধীনে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকবে, আল-কায়েদা এমন খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, একথা বলা যদি শরীয়ত বহির্ভুত হয়,তাহলে রাসূল সাঃ কী শরীয়ত বহির্ভূত কথাকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্যই এধরণের কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন ?

 

*** খলীফাকে কেন্দ্র করে মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকেঃ ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহিঃ ‘মিনহাজুস সুন্নাহ’ কিতাবে উল্লেখ করেন,

وقال في رواية إسحاق بن منصور [15] ، وقد سئل عن حديث النبي - صلى الله عليه وسلم - " من مات وليس له إمام مات ميتة جاهلية " ',  [16]  ما معناه ؟ فقال : تدري ما الإمام ؟ الإمام الذي يجمع عليه المسلمون ، كلهم يقول : هذا إمام ؛ فهذا معناه [ ص: 530 ]

 

 অর্থঃ ইসহাক ইবনে মানসূরের রেওয়ায়েতে তিনি (ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল)  বলেনঃ , নবী সাঃ এর হাদীস যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় মারা গেলো যার কোনো ইমাম নেই, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করলো” সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল, এই হাদীসের মর্ম কী ? অতঃপর তিনি বললেন, তুমি কী জানো ইমাম কে/কী ? ইমাম হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যার উপর মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকে। প্রত্যেকেই বলবে, এই হচ্ছেন আমাদের ইমাম। এটিই হচ্ছে এর মর্মার্থ। -মিনহাজুস সুন্নাহ..., ১ম খ-, পৃষ্ঠা: ৫২৯

 

খিলাফতের অধীনে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ থাকবে, আল-কায়েদা এমন খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, একথা বলা যদি শরীয়ত বহির্ভুত হয়, তাহলে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ (ইমাম হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যার উপর মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকে।) এখানে শরীয়ত বহির্ভুত কথা বলেছেন ???

হাদীস এবং ফিকহের এই অবিসংবাদিত ও মহান আলিম ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ হাদীসের মর্ম এবং শরীয়ত বুঝেননি ???

শরীয়ত বুঝেছে এই গণ্ডমূর্খ #Abdul_Ahad  ??? 

 

*** আদনানীর হাকীমুল উম্মত শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ২০০৯ সালের বক্তব্যঃ

 

২০০৯ সালে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাকের অবস্থানের ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ বলেন,

وعسى أن تقوم قريباً دولة الخلافة التي تجمعهم وسائر المسلمين. والشيخ أسامة بن لادنٍ -حفظه الله- جنديٌ من جنود أمير المؤمنين الملا محمد عمر حفظه الله،.

অর্থঃ “আশা করা যায়, সত্বরই খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এই (ইমারত) গুলোকে এবং সমস্ত মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে। আর শাইখ উসামা বিন লাদেন হাফিঃ আমীরুল মুমিনীন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার হাফিঃ এর সৈনিকদের মধ্য হতে একজন সৈনিক।”

লিংক.... http://www.ilmway.com/site/maqdis/MS_19720.html

 

‘ইসলামী বসন্ত’ বক্তব্যে শাইখ মুখতার আবু যুবাইর রাহিঃ এর এই কথাটিই ২০০৯ সালে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন।

 

শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ থেকে শুরু করে দুনিয়ার কোনো মুজাহিদ আলিম এমনকি আজকের বাগদাদী-আদনানীরাও শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর এই বক্তব্যকে শরীয়ত বহির্ভূত বলেননি। এই বক্তব্য দেওয়ার পরেও বছরের পর বছর ধরে আইএসের মুখপাত্র আবু মুহাম্মাদ আদনানী শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে ‘হাকীমুল উম্মত’ বা উম্মতের প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি বলে সম্বোধন করেছে।

 

(খিলাফতের অধীনে মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে ) এই কথাটি যদি শরীয়ত বহির্ভূত হয়,তাহলে আইএসের মুখপাত্র আবু মুহাম্মাদ আদনানী কীভাবে শরীয়ত বহির্ভূত কথা বলা একজন ব্যক্তিকে কে ‘হাকীমুল উম্মত’ বা উম্মতের প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি বলে সম্বোধন করেছে ??

তার মানে আদনানী তখন শরীয়ত বুঝতো না ??? 

গ্লোবাল জিহাদের কোনো আলিম শরীয়ত বুঝেননি ???

শরীয়ত বুঝেছে এই #Abdul_Ahad  ???

 

খারিজী আইএসের সমর্থক #Abdul_Ahad  এর বক্তব্য যদি সঠিক হয়,তাহলে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ থেকে শুরু করে গ্লোবাল জিহাদের আলিমগণের কেউ এই শরীয়ত বুঝেননি !!

তার মানে এটি প্রমাণিত হয় যে, তার এই শরীয়ত ১৪০০ বছর পর তৈরি করা এমন এক মনগড়া শরীয়ত,যার সাথে ইসলামী শরীয়তের কোনো মিল নেই। যার সাথে রাসূল সাঃ, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রাহঃ থেকে শুরু করে গ্লোবাল জিহাদের আলিমগণের শরীয়ত বুঝার কোনো মিল নেই

 

তাহলে আব্দুল আহাদের এই শরীয়ত কোন ফ্যাক্টরি ও ফর্মুলায় তৈরি ??? এর জবাব নিচে দেখুন...... !

 

 

*** খারিজীদের ফর্মুলায় #Abdul_Ahad:

 

আল্লাহ তা’আলার অপরিসীম কুদরতের শুকরিয়া আদায় করছি যে, তিনি প্রত্যেক বাতিল আকীদার লোককে তার মাধ্যমেই উক্ত আকীদার বহিঃপ্রকাশ ঘটান,যাতে সত্য অনুসন্ধানী কারো হক্ব বুঝতে সমস্যা না হয়। আব্দুল আহাদের ক্ষেত্রেও সেটিই ঘটেছে, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

 

তার এই নতুন শরীয়ত সঠিক প্রমাণ করার জন্য সে কুরআনের ৪ টি আয়াত দলীল হিসেবে পেশ করে।

উক্ত ৪ টি আয়াত দিয়ে সে বুঝাতে চেয়ে “খিলাফতের অধীনে মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে” একথা বলা নাকি শরীয়ত বহির্ভূত ???

কীভাবে ??

এই ৪ টি আয়াতই কাফির-মুশরিকদের ক্ষেত্রে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা সকল কাফির-মুশরিকদের হিদায়াত দিবেন না, এই  ৪ টি আয়াতেই একথা ইরশাদ হয়েছে।

যেই আয়াতগুলো কাফির-মুশরিকদের বুঝাতে নাযিল হয়েছে, সেই এই আয়াতগুলোকে মুসলিমদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, “খিলাফতের অধীনে মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে” এটি নাকি এসব আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক !!!! 

 

কিন্তু যে আয়াতগুলো কাফির-মুশরিকদের জন্য নাযিল হয়েছে অর্থাৎ সকল কাফির-মুশরিক হিদায়াত গ্রহণ করবে না বলে আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দিয়েছেন, সে আয়াতগুলোকে “মুসলিমরা খিলাফতের অধীনে ঐক্যবদ্ধ” হওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে !!

 সুবহানাল্লাহ্‌  ! এটিই খাওয়ারিজদের বৈশিষ্ট্য।

দেখুন এর প্রমাণ............... 

ইমাম বুখারী রাহঃ সহীহ বুখারীর  كتاب استتابة المرتدين والمعاندين وقتالهم অধ্যায়ের باب قتل الخوارج والملحدين بعد إقامة الحجة عليهم  পরিচ্ছেদের শুরুতে বর্ণনা করেন,

وكان ابن عمر يراهم شرار خلق الله وقال إنهم انطلقوا إلى آيات نزلت في الكفار فجعلوها على المؤمنين    

অর্থঃ “আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ খারিজীদেরকে সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচনা করতেন। তিনি বলেনঃ তারা (খারিজীরা) যে আয়াতগুলো কাফিরদের ক্ষেত্রে নাযিল হয়েছে,সেগুলোকে মুমিনদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে।”

সে “খিলাফতের অধীনে মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে” এই বক্তব্যকে শরীয়ত বহির্ভূত বানাতে গিয়ে যে ৪ টি আয়াত (সূরাহ হুদ- ১১৮, সূরাহ নাহল – ৯৩, সূরাহ আনআম – ৩৫, সূরাহ সিজদাহ, - ১৩।) উল্লেখ করেছে, কষ্টকরে শুধু একবার তাফসীরে ইবনে কাছীর কিংবা যেকোনো তাফসীর থেকে দেখে নিন,এই আয়াতগুলো কাদের জন্য নাযিল হয়েছে, তাহলে বুঝতে পারবেন #Abdul_Ahad কাদের পথ ধরেছে।

 

উদাহরণ হিসেবে তাফসীরে ইবনে কাছীর  থেকে শুধু সূরাহ নাহল-১১৮ এর তাফসীরের প্রথম লাইন উল্লেখ করছি,

يخبر تعالى أنه قادر على جعل الناس كلهم أمة واحدة ، من إيمان أو كفران كما قال تعالى : ( ولو شاء ربك لآمن من في الأرض كلهم جميعا ) [ يونس : 99 ] .

অর্থঃ “আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি ঈমান কিংবা কুফরের (যে কোনো একদিক) বিবেচনায় সকল মানুষকে এক উম্মতে পরিণত করতে সক্ষম। যেমন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ ফরমানঃ আর যদি আপনার রব ইচ্ছা করতেন,তাহলে যমীনের প্রত্যেকে একসাথে ঈমান আনতো। [সূরাহ ইউনুস-৯৯]”

 

অবশিষ্ট ৩ টি আয়াতও হুবহু একই প্রসঙ্গে এসেছে। তাফসীর খুলুন, বাতিল হাতেনাতে চিনুন ইনশাআল্লাহ্‌।

 

যুগে যুগে এভাবেই খাওয়ারিজরা মুসলিম উম্মাহর অনেক সদস্যকে কুরআনের আয়াত ও হাদীসের মনগড়া ব্যাখ্যা বানিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। যুগের খারিজী আইএস ও তাদের সমর্থকরাও একই কাজ করছে।

খারিজী সমর্থকদের এসব সুস্পষ্ট ভ্রষ্টতা হাতেনাতে ধরিয়ে দেওয়ার পরও যারা বাতিল আকীদা ও মনগড়া ব্যাখ্যার অনুসরণ করবে, আমার লেখাগুলো আমার এসব লেখা কিয়ামতের দিন তাদের বিপক্ষে দলীল হবে ইনশাআল্লাহ্‌।  

 

খারিজী আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad ও অন্যান্যদের নির্মম জাহালাত,মিথ্যাচার ও ভ্রষ্টতার জবাব

 পেইজের লিংক....  https://justpaste.it/is_jobab