JustPaste.it

শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ‘ইসলামী বসন্ত’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে ১০০ টি মিথ্যাচার ও নব্য খারিজী সমর্থকদের নতুন শরীয়ত প্রণয়ন।    (২য় পর্ব)

 

বিষয়-২। আইসিস কতদিন ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত !  

মুখবন্ধের আরেকটি অংশ তুলে ধরে সে লিখেছে.....

//২। "F"
মুখবন্ধের ৩ য় প্রবন্ধে বলা হচ্ছে,
" বছর দেড়েক হল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি নাম ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে , যাদের আমরা আইসিস ....... .. নামে জানতে পারি" ।//

“ইসলামী বসন্ত’র এই অংশটুকু উল্লেখের পর ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক প্রতিষ্ঠা নিয়ে একটি বিবরণ দেয়। তারপর লিখেছে......

 //এসব ঘটনার সত্যতা প্রমান করতে কি কোন লিংক দলীলের প্রয়োজন আছে?
তাহলে ইতিমধ্যে তিনি সাড়ে ৭ বছর ঘুমিয়ে ছিলেন?
না... এ রকম হওয়াটাতো অসম্ভব!
!   নাকি দলীয় দ্বন্ধ ও নিজের মতের অমিল হওয়ার কারনে এ দীর্ঘ প্ররিশ্রম নিজেই অস্বীকার করছে?
তাহলে আমরা কি ধরে নিব তিনি জেনে শুনেই মিথ্যা বলছেন!!
তিনি কি তাহলে দাওলাহকে মাত্র দেড় বছর আগে থেকেই চিনেন?
তাহলে কিভাবে তিনি দাবী করেন দাওলাহ তানজীম আল কায়েদার বাইয়্যাহবদ্ধ ছিল??//

 

এই মুখবন্ধটি শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর নামে চালিয়ে সে তার মনে লুকায়িত বিদ্বেষ ও মিথ্যাচার উদগীরণ করেছিল। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, মাত্র ১ম পর্ব লেখার মাধ্যমে তার এই নীচতম মিথ্যাচার ও প্রতারণার কুৎসিত চেহারা উন্মোচিত হওয়ায় লেখাটির উক্ত অংশ থেকে সে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর নাম পরিবর্তন করে সম্পাদকের নাম দেয়।

 

যাইহোক, এবার আসুন ! মুখবন্ধের ৩য় প্যারায় বলা হয়েছে, //তবে বছর দেড়েক হলো একটি নাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে; যাদের আমরা-আইসিস, আই.এস.আই.এল, আইএস‑ নামে জানতে পারি। //

প্রথমতঃ  আব্দুল আহাদ আন্তর্জাতিক অঙ্গন কাকে বলে এটি বুঝে কি না যথেষ্ট সন্দেহ আছে ! যদি বুঝতো এবং উপরের লাইনটি পড়ে তার বক্তব্য বুঝতো,তাহলে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সে টেনে আনতো না। কারণ ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক প্রতিষ্ঠা নিয়ে এখানে কোনো প্রশ্নই তোলা হয়নি। বরং আইসিস, আই.এস.আই.এল, আইএস‑ নাম কবে থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে তা বলা হয়েছে।  

 

দ্বিতীয়তঃ  ‘ইসলামী বসন্ত’ বাংলায় পুস্তক আকারে বের করা হয় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। আইসিস(ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক) নামক দলটি যেহেতু পূর্বে আল-কায়েদার অধীনস্থ ছিলো। কিন্তু ২০১৪ সালের শুরুর দিকে সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ লড়াই এবং আইসিসের ভ্রান্ত মতবাদকে কেন্দ্র করে আল-কায়েদা তাদের যেকোনো কাজের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারপর থেকে আইসিস দলটি আলাদাভাবে পরিচিতি পেতে শুরু করে। তার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গন তথা পৃথিবীবাসী জানতো এই দলটি আল-কায়েদার শাখা এবং অধীনস্ত।

 

২০১৪ সালের পূর্বে যদি #Abdul_Ahad কিংবা কোনো আইএস সমর্থক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আল-কায়েদার সাথে যুক্ত করা ব্যতীত আইসিসকে আলাদাভাবে ব্র্যান্ডিং করা দেখাতে পারে,তাহলে যেনো দেখায়।

আমাদের এই দাবির পক্ষে আমরা ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর ইসলামিক স্টেইন ইন ইরাক গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তারা যে মূলতঃ আল-কায়েদার শাখা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত ছিলো, তার     কিছু প্রমাণ দিচ্ছি।

 

১। ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর আবু বকর বাগদাদীকে যখন মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক স্পেশাল সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে,তখন তাকে আল-কায়েদার ইরাক শাখার নেতা উল্লেখ করেই তালিকাভুক্ত করে। এমনকি সেখানে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক শব্দটিও ছিলো না।

প্রমাণ.... https://www.state.gov/j/ct/rls/other/des/266629.htm

দেখুন তাতে....   Abu Du’a is the leader of al-Qa’ida in Iraq (AQI). AQI is listed as a Foreign Terrorist Organization (FTO), and was listed by the UNSCR 1267 Committee in 2004.

 

২। ২০১২ সালের ৩১ জুলাই মার্কিন স্টেইট ডিপার্টমেন্ট বিশ্বের ৪৯ টি সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন নামে তালিকাভুক্ত করে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, AL-QA'IDA IN IRAQ (AQI)সেই তালিকায় ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক নামে কিছুর অস্তিত্ব নেই।  অথচ ২০০৬ সালে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক প্রতিষ্ঠিত হয়।

দেখুন....  https://www.state.gov/j/ct/rls/crt/2011/195553.htm#AQI

 

৩। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই ইরাকের মুজাহিদরা প্রায় ৫০০ বন্দীকে মুক্ত করে। তাতে রয়টার্সের শিরোনামটা দেখুন.... Al Qaeda says it freed 500 inmates in Iraq jail-break 

লিংক.... http://reut.rs/2oBlUNe   

 

৪. ২০০৭ সালের ৯ জুলাই ইরাকের মুজাহিদরা ইরানে হামলার হুমকি দিলে আল-জাযিরার হেডলাইন......   Al-Qaeda threatens war against Iran 

লিংক.... http://bit.ly/2oIB5n2         http://tiny.cc/8zgiry

https://www.rt.com/news/iraq-abu-prison-escape-430/  

 

৫।  ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক এর আমীর শাইখ আবু উমর আল-বাগদাদী রাহিঃ এবং শাইখ আবু হামযা আল-মুহাজির রাহিঃ শহীদ হলে সেখানেও সারা দুনিয়ার মিডিয়া উনাকে আল-কায়েদার নেতা হিসেবেই পরিচিত করে।

  শিরোনাম.... Top Qaeda Leaders in Iraq Reported Killed in Raid

লিংকগুলো দেখুন….. http://nyti.ms/2hSro0A    http://reut.rs/2F7AUc1  http://wapo.st/2F5x6f7 

  http://bit.ly/2ozjOxp  http://bit.ly/2FkcOxM  http://bit.ly/2tbHegT

.

৬। ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি আইসিসের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা হাজী বকর (আসল নাম সামির আবদ মুহাম্মাদ আল-খালিফাউয়ী) সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে নিহত হলে তাকেও সারা দুনিয়ার মিডিয়া আল-কায়েদার নেতা হিসেবেই পরিচিত করে। কেননা তখনো আল-কায়েদা আইএসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়নি।

শিরোনাম.....   Key al-Qaida militant reportedly killed in Syria

 দেখুন তার প্রমাণগুলো.....   http://tiny.cc/djgiry    http://tiny.cc/1kgiry    http://tiny.cc/0lgiry

 

২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দুনিয়া (আন্তর্জাতিক অঙ্গন) এবং সারা দুনিয়ার মুজাহিদরা জানতো ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক আল-কায়েদার ইরাক শাখা। এজন্য সারা দুনিয়া ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক মুজাহিদদেরকে আল-কায়েদার ইরাক শাখা বলেই পরিচয় করিয়ে দিতো

 

উপরে মাত্র ১৫ টি লিংক দিয়ে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইসিস নামে কোনো আলাদা পরিচিত ছিলো না বরং আল-কায়েদা নামেই তারা পরিচিত ছিলো তার প্রমাণ দিলাম।

এর সপক্ষে ১৫০০ লিংকও দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ্‌। 

এবার #Abdul_Ahad কে জিজ্ঞেস করতে চাই, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আল-কায়েদা কর্তৃক আইসিসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর আইসিসের আলাদ পরিচিতি হওয়া থেকে শুরু করে ২০১৫ সালের শেষের দিকে ‘ইসলামী বসন্ত’ বই আকারে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত কতদিন সময় হয় ??? প্রায় অছর দেড়েকের মতো নাকি  ৭ বছর ?????

এখন #Abdul_Ahad চাইলে রাগে ক্ষোভে আরো একদলা অভিশাপ দিতে পারে কিংবা আদনানীর মতো নিজেই নিজের সাথে মুবাহালা করতে পারে !!! 

 

আবু বকর বাগদাদী থেকে শুরু করে তাদের এদেশীয় আইএস সমর্থক পর্যন্ত প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন রাখছি, ২০০৬ সালে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক গঠিত হওয়ার পর এই যে সারা দুনিয়া তাদেরকে আল-কায়েদার শাখা বলে হাজার হাজার বার পরিচয় দিলো, আমেরিকা এই পরিচয়ে এই সংগঠন এবং বাগদাদীকে তালিকাভুক্ত করলো, কখনো কী ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক এর নেতাদের কারো মুখ থেকে এই কথাটি সঠিক নয় অর্থাৎ আমরা আল-কায়েদার শাখা নইএমন একটি কথা বের হয়েছে ???

 

যেহেতু আদনানী ও তার সমর্থকদের নব্য শরীয়ত অনুযায়ী কীভাবে ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক আল-কায়েদার অধীনে থাকা শরীয়তসম্মত হয় এই প্রশ্ন উঠে, তাই আমাদের জিজ্ঞাসা, এই ইসলামিক স্টেইট ইন ইরাক কে আল-কায়েদার শাখা সংগঠন বলে প্রায় ৮ বছরব্যাপী হাজার হাজার বার শরীয়ত বিরোধী কথা দুনিয়াতে চললো, একবারের জন্যও কী তারা এর বিরোধীতা করেছে ???  না, করেনি। পারলে যেনো দেখায় !!!

 

শরীয়তের বিরোধীতা হচ্ছে অথচ একবারের জন্যও এর প্রতিবাদ করা হবে না, এটি কেমন শরীয়ত ??? 

আসলে এটি নতুন শরীয়ত যা, ২০১৪ সালের জানুয়ারির পর তৈরি হয়েছে।

 

খারিজী আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad ও অন্যান্যদের নির্মম জাহালাত,মিথ্যাচার ও ভ্রষ্টতার জবাব

 পেইজের লিংক....  https://justpaste.it/is_jobab