JustPaste.it

গণতন্ত্র, ইসলামি ব্যাংকিং ও মুদ্রাব্যবস্থা: সময়ের জরুরি আলোচনা 

 

গণতন্ত্র একটি সুস্পষ্ট কুফরি মতবাদ, এটি গণতান্ত্রিক ধারায় ইসলাম কায়েম করতে চায় এমন দলগুলোও সাধারণভাবে বিশ্বাস করে। তাদের যুক্তি যেহেতু এর বিকল্প নেই, তাই এই সিস্টেমে ঢুকেই ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করতে হবে। এজন্য তারা প্রথমদিকে এটি স্পষ্টভাবে বলতো যে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। আমরা বিপ্লব-সংগ্রামে বিশ্বাসী। শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সাময়িকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমটিকে আমরা গ্রহণ করেছি ! এসব দলের মেনিফেস্টোতে বিপ্লব-সংগ্রাম শব্দগুলোও ছিল। তারা তাদের আন্দোলনকে ইসলামি গণতন্ত্র পরিভাষার মাধ্যমেও প্রকাশ করতো। তাদের এই ইসলামি গণতন্ত্রের বাস্তবতা কোথায় জিজ্ঞেস করলে শুরার কথা বলতো !

 

কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। গণতান্ত্রিক সিস্টেমে ঢুকে তা পরিবর্তন করতে চাওয়া দলগুলো একসময় বিপ্লব-সংগ্রাম শব্দগুলো বাদ দিয়ে বলতে থাকে, তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তন করতে চায় । কালের পরিক্রমায় তারা এখন সুস্পষ্টভাবে বলছে, তারা “গণতান্ত্রিক পন্থায় চেষ্টা চালাচ্ছে।” গণতান্ত্রিক ধারার বৃহৎ ইসলামি দলের ৪র্থ দফা কর্মসূচীতে এভাবে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে।

 

এই দলগুলো এখন আর গণতন্ত্রের বিরোধিতা করছে না বা জি*হা*দ-বিপ্লব-সংগ্রামের কথা আওড়াচ্ছে না। অবশ্য এমন দলও আছে, যারা এই গণতান্ত্রিক কুফরি ব্যবস্থার ভোট-নির্বাচনকেই জি*হা*দ বলে আখ্যা দিচ্ছে !
গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের ফলাফল সম্পর্কে এদেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় একজন আলিম ও রাজনীতিবিদের মূল্যায়ন পেশ করবো:-

 

সুদীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের মতো ইসলাম কায়েমের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিথযশা আলিম ও সাহিত্যিক মাওলানা আব্দুর রহীম রাহি. গণতান্ত্রিক পন্থা ছেড়ে দেওয়ার কারণ, হিসেবে তার একাধিক বইতে বলেছেন, ইসলাম কায়েমের নেক নিয়তেই তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাতে ইসলাম শক্তিশালী না হয়ে বরং গণতন্ত্রই শক্তিশালী হয়েছে।
(মাওলানা আব্দুর রহীম রাহি. এর “গণতন্ত্র নয় পূর্ণাংগ বিপ্লব” এবং “গণতন্ত্র ও শুরায়ী নিজাম” বই দুটিতে এই কথাগুলো পাবেন।)

 

গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েমের এই আন্দোলনের বাস্তব ফল হচ্ছে, এখন আর সাধারণ মুসলিমগণ গণতান্ত্রিক পন্থাকে কুফরি পন্থা মনে করছে না। কারণ, এতে ইসলামী দলগুলো যুক্ত আছে। আর ইসলামী দলগুলো যেহেতু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে, তাই তাদের পক্ষে গণতন্ত্রের বিরোধিতা করারও সুযোগ নেই।

 

এবার ব্যাংকিংয়ের প্রসঙ্গে আসি, এদেশে যারা ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাকে যারা ইসলামিকরণের চেষ্টা করছেন, তারা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের অনুরুপ নেক নিয়তেই করেছেন এবং করছেন বলে বিশ্বাস করি।
এক্ষেত্রে প্রথম ও মৌলিক কথা হলো, অর্থব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। সুতরাং রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে ইসলামী না হওয়া পর্যন্ত অর্থব্যবস্থা বা তার অংশ ব্যাংকিং ব্যবস্থা কিছুতেই সুদমূক্ত করা সম্ভব নয়।

 

এখন যারা ব্যাংকিং সেক্টরকে যতটা সম্ভব সুদমুক্ত করার টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন, আমি শর্তসাপেক্ষে তাদের কাজকর্মকে সাধুবাদ জানাই। তাদের এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে যদি কিছু অংশও সুদমুক্ত হয়, তাহলে তাও প্রশংসার যোগ্য বলে মনে করি।

 

এক্ষেত্রে জরুরি কথা হচ্ছে, তারা আশা করি ভালোভাবেই জানেন যে, প্রচলিত ইসলামি ব্যাংকগুলো নাম ও ব্যানারে ইসলামি ব্যাংকিং করছে বলে দাবি করলেও অতি সামান্য অংশেই তারা সুদ পরিহার করে চলছে। একদিকে যেমন-কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদভিত্তিক হওয়ায় কিছুতেই সুদের লেনদেন হতে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। অনুরুপ ইসলামি ব্যাংকগুলোকে সুদমুক্ত করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা-প্রচেষ্টা সেক্যুলার রাষ্ট্র এবং তার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষুবই ক্ষীণ।

 

যেসব আলিমগণ ইসলামি ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করছেন, তারা যদি শরিয়াহর নীতিমালার আলোকে ইসলামি ব্যাংকগুলোর প্রতিটি লেনদেন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে কোনটি সুদমুক্ত এবং কোনটি সুদী লেনদেন, তা সুস্পষ্ট ভাষায় মানুষের সামনে পরিষ্কার করেন, তাহলে মানুষ ইসলামী ব্যাংকগুলোর হারাম লেনদেন থেকে বেঁচে থাকতে পারবে।

 

অন্যথায় ইসলামী নাম ও লেবেল ব্যবহারের কারণে এবং ইসলামি ব্যাংকিং সমর্থনকারী আলিমদের সংক্ষিপ্ত ইতিবাচক কথায় বিভ্রান্ত হয়ে সাধারণ জনগণ যদি সুদী লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। ঠিক যেমনিভাবে গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কায়েমের চেষ্টায়রত দলগুলো গণতান্ত্রিক কুফরি ব্যবস্থা নরমালাইজের দায় এড়াতে পারেন না।

 

একটি বাস্তব ঘটনা বলি, আমাদের মহল্লার ইমাম, হাফেজ্জি হুজুর রাহি. এর ছাত্র (লালবাগ মাদরাসার দাওরাহ ফারেগ+ কামিল পাশ) আলিয়া মাদরাসার সরকারি বেতন হালাল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন কিন্তু তিনিই ইসলামী ব্যাংকে ডিপোজিট রেখে ইন্টারেস্ট খাচ্ছেন ! ইন্নালিল্লাহ।

 

এরকম অগণিত সংখ্যক মুসলিম ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সুদী লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছেন। অথচ এসব মানুষ কখনোই সুদী ব্যাংকে লেনদেন করেনি। কারণ, তারা জানে সুদী ব্যাংকে সুদ দেয়। পক্ষান্তরে ইসলামী ব্যাংকগুলো শরিয়াহর নামে পরিচালিত হওয়ায় ইসলামপ্রিয় এসব মানুষ জায়েয মনে করে সুদে জড়িয়ে পড়ছেন। মা’আযাল্লাহ।

 

মুদ্রাব্যবস্থা নিয়ে সুদের যে প্রশ্নটি রয়েছে, সেটি সুদী অর্থ ব্যবস্থার কারণে। কারণ, সেক্যুলার কুফরি শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা তৈরির পর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সুদের ভিত্তিতে ঋণ দেয়। পক্ষান্তরে ইসলামী শাসনব্যবস্থা হলে যেহেতু সুদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের ভিত্তিতে ঋণ দিবে না বরং সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনা সুদে ঋণ/অর্থ দিবে। যেমনটি এখন আফগানিস্তানে চলছে। ফলে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ই একমাত্র সুদমুক্ত অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানো সম্ভব।

 

কুফরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কিংবা ইসলামী ব্যাংকের নামে সুদের লেনদেন সম্পর্কে সতর্ক করতে চাইলে অনেকেই প্রশ্ন করেন, তাহলে এর বিকল্প কী ? জি, গণতন্ত্রের বিকল্প হচ্ছে ইসলামী শরিয়াহ। আর তা প্রতিষ্ঠা করতে হলে নববি পন্থা অনুসরণ করতে হবে, যেমনটি খোরাসানে করা হয়েছে। এছাড়াও সোমালিয়া,মালি,ইয়েমেনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ্‌।

 

আর সুদের বিপরীত হচ্ছে ইসলামী অর্থব্যবস্থা, যার জন্য অপরিহার্য হচ্ছে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা। কারণ, অর্থব্যবস্থা হচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর পুরো শরীরে ক্যান্সার হলে যেমন কোনো একটি অঙ্গকে সুস্থ রাখা যায় না। তেমনি ক্যান্সার আক্রান্ত কুফরি রাষ্ট্রব্যবস্থায় অর্থনীতি/ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ইসলামী রাখা সম্ভব নয়।

 

এধরণের প্রশ্ন যারা করেন, তারা কি চান, কুফরি ব্যবস্থার মধ্যে থেকে সেই কুফরি ব্যবস্থাকেই ইসলামি ব্যবস্থা আখ্যা দিতে ? সুদী পদ্ধতির মধ্যে থেকে সেটিকেই জায়েয আখ্যা দিতে ? তাদের প্রশ্নের ধরণ দেখে মনে হয়, তারা ইসলামি শরিয়াহ কায়েমের জন্য কিছুই করতে চান না। কুফরি সিস্টেম ছাড়তেও চান না, এমনকি এটি যে কুফরি ব্যবস্থা, তাও বুঝতে চান না। তারা চান না সুদী লেনদেন ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনে কষ্টকর হলেও সুদমুক্ত জীবনযাপন করতে। বরং তারা যে আয়েশী জীবন-যাপন করছেন, সেটিকেই ঠিক রাখতে চান এবং সুদী লেনদেন হলেও সেটিকে জায়েয বানাতে চান।

 

মানে, আমার কোনো দায়দায়িত্ব নেই, আমাকে গণতন্ত্রের বিকল্প নিরাপদ ঝুকিহীন কিছু দেখান, যাতে আমার আয়েশে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। সুদী লেনদেন ছাড়া লাগবে না, কোনো কষ্ট করা লাগবে না, এমন অবাধ, ঝুকিহীন লাভ/মুনাফা পাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা দেখান। অথচ ব্যবসা মানেই ঝুঁকি। কারণ, রিবার সংজ্ঞায় হাদিসে এসেছে, كل قرض جر نفعا فهو ربا
অর্থাৎ এমন প্রত্যেক ঋণ যা নিশ্চিত লাভ আনে,তাই সুদ।
সুতরাং যারা সুদের বিকল্প দেখাতে বলেন কিন্তু ঝুঁকি নিতে চান না, তারা আসলে প্রকৃতপক্ষে সুদ ছাড়তে চান কিনা সন্দেহ।

 

এধরণের মানসিকতার সুযোগ নিয়ে এদেশে ইসলামের নামে হাজার হাজার সমবায় সমিতি, মাল্টিপারপাস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা আপাদমস্তক সুদে পরিপূর্ণ। এসব প্রতিষ্ঠান গড়ার মূল অনুপ্রেরণা হচ্ছে ইসলামি ব্যাংক। এসবের মাধ্যমে সুদের এতো বিস্তার ঘটেছে, যা অকল্পনীয়।

 

২০০৫ সালের দিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়া কাউন্সিলের একজন সদস্যকে একটি সেমিনারে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ইসলামী ব্যাংক ‘মুশারাকা’ পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করে কিনা ?
উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ইসলামী ব্যাংক তখন পর্যন্ত মোট ২ জন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে ‘মুশারাকা’ পদ্ধতিতে ব্যবসার জন্য অর্থ প্রদান করেছিল কিন্তু ২ জনই ‘লস’ দেখিয়েছেন। ফলে ইসলামী ব্যাংক ‘মুশারাকা’ পদ্ধতিতে কোনো বিনিয়োগ করে না। আমি সেই সেমিনারে বক্তার সামনে উপস্থিত ছিলাম। অর্থাৎ ব্যাংক তার বিনিয়োগে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।

 

৮/৯ বছর আগে ইসলামী ব্যাংকে গিয়েছিলাম, মাসিক সুদমুক্ত কোনো ডিপোজিট স্কিম আছে কিনা জানার জন্য, যাতে কোন সুদ যুক্ত হবে না। ব্যাংক কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলো, এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। লভ্যাংশ (আসলে সুদ) যুক্ত হওয়া ব্যতীত ডিপোজিট স্কিমের কোনো সুযোগ নেই।
একজন মুসলিমের মূলনীতি থাকবে, কোনো অবস্থাতেই সুদের সাথে যুক্ত হওয়া যাবে না, সেটি ইসলামী ব্যাংক হোক কিংবা যেই হোক। সেজন্য লেনদেনের পূর্বে অবশ্যই ব্যাংক সংশ্লিষ্ট লেনদেন বিষয়ে ভালোভাবে অবগত আছেন, এমন বিশেষজ্ঞ আলিম থেকে জেনে নিতে হবে।

 

এপ্রসঙ্গে সাধারণ কিছু কথা বলা জরুরি মনে করছি,
১। যেকোনো ব্যাংকে হোক সেটা ইসলামী বা সাধারণ ব্যাংক, টাকা ডিপোজিট রেখে কোনো ধরণের লাভ গ্রহণ করা সুস্পষ্ট সুদ। সুতরাং সুদ যুক্ত হয় এমন কোনো একাউন্ট খোলা জায়েয হবে না। বরং সুদ যুক্ত হয় না এমন একাউন্ট খুলতে হবে। আর এক্ষেত্রে যে সার্ভিস চার্জ কেটে রাখা হয়, তা বৈধ।

 

২। যেকোনো ব্যাংক হোক সেটা ইসলামী বা সাধারণ ব্যাংক, তা থেকে টাকা উত্তোলন করে কোনো প্রফিট দেওয়া যাবেন, এধরণের লেনদেন সম্পূর্ণ সুদ। সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ঋণ হলে তা নেওয়া যাবে।

 

৩। ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ‘বাইয়ে মুরাবাহা’ যেসব বিনিয়োগ করা হয়, তার কোনোটাতেই ইসলামি শরিয়ায় বর্ণিত ‘বাইয়ে মুরাবাহা’র শর্তগুলো মানা হয় না। ফলে এসব বিনিয়োগ সম্পূর্ণ হারাম। যদি কোনো ব্যাংক ‘বাইয়ে মুরাবাহা’র শর্তগুলো মেনে লেনদেন করে,তখনই এধরণের লেনদেন জায়েয হবে, অন্যথায় নয়।

 

৪। ইসলামী ব্যাংক হোক কিংবা সাধারণ ব্যাংক হোক, যেকোনো ব্যাংকের সব ধরণের মাসিক ডিপোজিট স্কিম এবং বীমা স্কিম (হজ্জ/উমরাহ/বিবাহ) সম্পূর্ণ হারাম ও সুদযুক্ত লেনদেন, যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।

 

আমরা যদি বাস্তবে পরিপূর্ণ সুদমুক্ত হতে চাই, তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে কুফরিমুক্ত তথা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের কোনো বিকল্প নেই। কেননা একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ই পরিপূর্ণভাবে সুদমুক্ত হওয়া সম্ভব। যেমন- আফগানিস্তানে সব ধরণের সুদী লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক করা হয়েছে। আফগানিস্তানে সকল সুদী লেনদেন নিষিদ্ধের নিউজ লিংক… https://shorturl.at/kwBCR
নিউজে বলা হয়েছে, The Governor of Da Afghanistan Bank (DAB), Mullah Hidayatullah Badri, announced that all interest transactions are forbidden in Afghanistan and that the country’s banking and financial sector has been fully Islamicized
অর্থঃ “আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোল্লা হিদায়াতুল্লাহ বাদরি ঘোষণা করেন যে, আফগানিস্তানে সকল সুদী লেনদেন নিষিদ্ধ এবং এদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতকে পুরোপুরি ইসলামীকরণ করা হয়েছে।”

 

পরিশেষে বলবো, আমরা যদি সত্যিকার অর্থে সুদ থেকে বেঁচে থাকতে চাই, তাহলে ব্যাংকের সাথে লাভযুক্ত সবধরণের লেনদেন পরিহার করতে হবে। এর বিকল্প হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ, জমি ক্রয়, স্বর্ণ ক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সুদমুক্ত জীবনযাপন করতে পারি। আর পরিপূর্ণভাবে সুদের ধূলা থেকে মুক্ত হতে চাইলে, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ব্যয় করার কোনো বিকল্প নেই।