JustPaste.it

খারিজী আইএসের খিলাফতের আলিম কারা একনজর দেখে নিন !!


#Abdul_Ahad এর লিখিত তাদের দলীয় খিলাফতের আলিমদের তালিকায় তাদের ঘোষিত মুরতাদ ব্যক্তি থেকে শুরু করে আল-কায়েদার মানহাজের আলিমগণ !! আছে নও মুসলিম র‍্যাপার বা ব্যান্ড সঙ্গীত তারকাও !!

সম্প্রতি সে “দাওলাতুল খিলাফাহর কিছু আলেমগণ।” শিরোনামে একটি লেখায় তাদের মনগড়া ও বানোয়াট দলীয় উদ্বাস্তু খিলাফতের ২৫ আলিমের নাম দিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করে।

২৪ নাম্বারে যে আলিমের নাম দিয়েছে তিনি হচ্ছেন, শাইখ আবু সুলাইমান আল-মুহাজির (পোস্টের ছবিতে)। যিনি সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা জাবহাতুন নুসরার একজন সাবেক শার’য়ী ছিলেন। পরে জাবহাতু ফাতহিশ-শাম গঠন হওয়ার সময় তিনি সংগঠন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইলমি ও অন্যান্য বিষয়ে কাজ করার ঘোষণা দেন।

আর শাইখ আবু সুলাইমান আল-মুহাজির আইএসের কঠোর বিরোধিতার কারণে তারা তাকে মুরতাদ আখ্যা দেয়।
এই ঘোষণা দেওয়ার পর খারিজী আইএসের এদেশীয় মুখপাত্র ওয়েবসাইট ‘আত-তামকিন’ এ ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর উনাকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে একটি পোস্ট দেয়।
তাদের ঘোষিত মুরতাদই নাকি এই আব্দুল আহাদের কাছে তাদের কথিত খিলাফার আলিম !!!
আত-তামকিনের সেই পোস্টের শিরোনামঃ “মুরতাদ আবু সুলাইমান আল মুহাজিরের আল কায়দা আর জাবহাত জুলানী ত্যাগ”
লিংক..... http://bit.ly/2GgugjK


আর আব্দুল আহাদ শাইখ আবু সুলাইমানের যে ছবিটি ব্যবহার করেছে, সেটি এই লিংকে গিয়ে গুগল সার্চ থেকে পাবেন.... http://bit.ly/2ppVnCL

 

খারিজী আইএসের জাহেল সমর্থক #Abdul_Ahad এর সেই পোস্ট.....  https://justpaste.it/1iijg 

২ নাম্বারে যে আলিমের নাম দিয়েছে, তিনি হচ্ছেন শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ এর ঘনিষ্ঠ এবং মিম্বারুত তাওহীদ ওয়াল জিহাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ আলিম শাইখ আবু মুহাম্মাদ তাহাভী হাফিঃ । তিনি কখনোই আইএসকে বাই’আত দেননি এমনকি তাদের এই খিলাফতের পক্ষেও বলেননি।
অথচ উনার ব্যাপারে সে লিখেছে, //জর্ডানের একজন বিখ্যাত আলেম,ও সালাফী মুভমেন্ট জিহাদের আমীর ছিলেন ।। ১৫ই এপ্রিল ২০১১ সালে, তগুত সরকার তিনাকে গ্রেফতার করেন।।
যিনি খলিফাহ আবু বকর আল কুরাইশীকে বাইয়্যাহ প্রদান করেন ।//

উনি কোথায় কবে বাই’আত দিয়েছেন,তার প্রমাণ যেনো সে দেয়।
২০১৪ সালে যখন প্রথম আইএস ও নুসরার বিরোধ দেখা দেয়,তিনি তখন আইএস ও নুসরার বিবাদের ব্যাপারে নুসরার পক্ষে না বলে নিরপেক্ষ থাকেন এবং আইএসের কঠোর বিরোধিতার কারণে শাইখ আবু কাতাদার সমালোচনাও করেন। কিন্তু তিনি যখন পরে মুক্তি পান(মুক্তি পাওয়ার পরে এখন সম্ভবতঃ আবার জেলে),তখন আইএসের কথিত খিলাফত কিংবা আইএসের পক্ষে একটি কথাও বলেননি।
অথচ উনাকে আজ সে তাদের খিলাফতের আলিম বলে চালিয়ে দিয়েছে।

৫ নাম্বারে যে আলিমকে এই জাহেল ও ধোঁকাবাজ তাদের খিলাফতের আলিম বলে চালিয়েছে এবং এই কাজটি তারা প্রোপাগান্ডায় ব্যবহারও করে থাকে, তিনি হচ্ছে শাইখ নাসির আল-ফাহাদ হাফিঃ (সৌদি কারাগারে বন্দী)। উনার নামে একটি পেইজ দেখিয়ে তারা দাবি করেছে, উনি নাকি তাদের কথিত খলীফাকে বাই’আত দিয়েছে।

শাইখ নাসির আল-ফাহাদ হাফিঃ “যে কাফিরকে কাফির বলে না, সেও কাফির” এই আর্টিকেলে যে আকীদার বর্ণনা করেছেন, এই একই আকীদার কারণে আইএস শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে তাকফীর করেছে।
শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ ও শাইখ আবু কাতাদা হাফিঃ যখন জেলখানা থেকে আইএসের বিরোধিতা করে বার্তা দিলেন, তখন আইএস এই বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে যে, তারা যেহেতু জেলের মধ্যে তাই তাদের কথা এখন গ্রহণযোগ্য নয়।

অথচ এখন ঠিকই উনি জেলে থাকা সত্ত্বেও উনার নামে বানোয়াট কথা প্রচার করেছে। তারা যে উনার নামে জাল স্বাক্ষর করে এই কথা প্রচার করেছে, তার প্রমাণ হচ্ছে, উনার পূর্বের হাতের লেখা ও স্বাক্ষরের সাথে আইএসের প্রচারিত লেখা ও স্বাক্ষরের মিল নেই।
ভুয়া খিলাফতের জন্য ভুয়া স্বাক্ষর ! সুবহানাল্লাহ !!
উনি যদি এধরণের কিছু করতেন,তাহলে উনার ছেলে অবশ্যই এ ব্যাপারে জানতেন এবং অবগত করতেন।
শাইখ নাসির আল-ফাহাদ হাফিঃ এর ছেলে মুস’আব বিন নাসির আল-ফাহাদকে ১ বছরের আগে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো.....
هل يمكن أن نعرف رأي الشيخ ناصر في الخلاف الجاري بين الدولة والجبهة ؟
over 1 year ago
প্রশ্নঃ দাওলা এবং নুসরার মধ্যে বিবাদের ক্ষেত্রে শাইখ নাসিরের মত জানা কী সম্ভব ?
لا رأي له في الخلاف؛ فليس يتكلم عما لم يحط به علمًا، ولا يجوز لمن جهل واقع أمر أن يذهب فيه مذهبًا، وأبي وكل سجين لا يستطيع أن يتمثل له الحال على صورته.
মুস’আব বিন নাসির আল-ফাহাদ এর উত্তরঃ “এই বিবাদের ক্ষেত্রে উনার কোনো বক্তব্য নেই। যে বিষয়ে উনার কোনো কিছু জানা নেই,সে বিষয়ে তিনি কথা বলেন না। আর কোনো পরিস্থিতি সম্পর্কে যার জানা নেই, তার জন্য সে বিষয়ে কোনো মত প্রদান করা জায়েয নয়। আমার পিতা এবং সকল বন্দীদের পক্ষে বাস্তব অবস্থা সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। ”

মুস’আব বিন নাসির আল-ফাহাদ এর https://ask.fm/Mosaab_Alfahd
যেখানে বাস্তব অবস্থা অবগত না হয়ে দাওলা ও নুসরার ব্যাপারে কোনো মত প্রকাশই করেননি, সেখানে বাই’আত নেওয়ার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কিছুই না জেনে জেলে বসে বাই’আত দিবেন, এটা শাইখের প্রতি মন্দ ধারণা রাখা ব্যক্তিরা দাবি করতে পারে, যারা সাইখের ব্যাপারে অবগত আছে তারা নয়।

৬ নাম্বারে যে শাইখের নাম লিখেছে, তিনি হচ্ছেন জ্যামাইকার তাকফিরি শাইখ ফায়সাল। যাকে এখন থেকে প্রায় ২০/২৫ বছর আগে, গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত আলিম শাইখ আবু হামযা আল-মিসরী হাফিঃ (আমেরিকার কারাগের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত) খারিজী-তাকফিরী আকীদার বলে উনার কিতাব “Allah's Governance On Earth” বাংলা অনুবাদ ‘পৃথিবীতে আল্লাহর শাসন’ এ উল্লেখ করেছেন। বিষয়টি শাইখ আবু হামযার কিতাব থেকে নিয়ে লেখা “তাকফীরের ব্যাপারে সতর্ক হোন” সংকলনেও উল্লেখ আছে।

সেই পুরোনো তাকফিরি তাদেরকে বাই’আত দিয়েছে। সুতরাং বুঝে নিন !!
এছাড়া শাইখ ফায়সালের তাকফিরি আকীদা নিয়ে তার সাথে এখন থেকে ২০ বছরেরও বেশি আগে গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত আলিম শাইখ আবু কাতাদা হাফিঃ একটি বিতর্কও করেন। সেই বিতর্কটির ভিডিও রয়েছে।

আবার ৮ নাম্বারে গিয়ে সেই ৬ নাম্বারের শায়েখ ফায়সালের নামই উল্লেখ করেছে। তার মানে ২৫ জন উল্লেখ করা হলেও লোক ২৪ জন ।

১২ নাম্বারে যার নাম উল্লেখ করা হলো, তিনি হচ্ছেন, কেনিয়ার জিহাদপন্থী ও আল-শাবাবপন্থী আলিম শাইখ হাসান হুসাইন আবু সালমান।
তার ব্যাপারে সে লিখেছে, //ইনি আল শাবাবের (সাবেক) বড় মাপের একজন শায়েখ মুজাহিদ।।
মার্চ ২০১৫ সালে তিনি খলিফাহকে বাইয়্যাহ দেন।। তিনার সাথে আল শাবাবের একটি জামাআত ছিল।//
এখানকার ৩ টি বাক্য একটিও সঠিক নয়। তিনি আল-শাবাবের অন্তর্ভুক্ত কিংবা শূরার কোনো আলিম নন বরং জিহাদের পক্ষে কথা বলেন, সেই হিসাবে আল-শাবাবের পক্ষেও কথা বলতেন।
তিনি আইএসকে বাই’আত দেননি এবং উনার সাথে আল-শাবাবের একটি জামা’আত থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।
বরং তিনি আইএসের খারিজী মতবাদ প্রকাশ হওয়ার পূর্বে আইএসের খিলাফত সঠিক এই মত দিয়েছিলেন। কিন্তু বাই’আত দেননি।
আর সে যে ছবিটি দিয়েছে এটিও উনার নয়। উনাকে চিনেই না অথচ উনার নামে মনগড়া একদলা কথা ছেড়ে দিলো !!!

১৪ নাম্বারে শাইখ লেবাননের স্কলার শাইখ বিলাল দুক্বমাককে তাদের খিলাফতের আলিম বলে চালিয়ে দিয়েছে। তার ব্যাপারে সে লিখেছে, // তিনি ইসলামীক স্টেটকে সরাসরি সমর্থন করেন।।//
এক টিভি সাক্ষাৎকারে উনি বলেছিলেন, “আমি আইসিস এর কিছু নীতি এবং কিছু ধর্মীয় বিষয়ে তাদের সাথে একমত।”
উক্ত সাক্ষাৎকারে উনার এই কথার ব্যাখ্যা চাওয়া হলে শাইখ বিলাল দুক্বমাক বলেন, তিনি জিহাদের ব্যাপারে আইএসের নীতির সাথে একমত অর্থাৎ ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে।
এইটুকু বলাতেই তাদের আলিম বনে গেলো ??? অথচ তাদের মতবাদের কিছু অংশেরও যারা বিরোধিতা করেছে,তারা এমন আলিমদেরকেও মুরতাদ-ত্বগুত বলে আখ্যা দিয়েছে। আর বিলাল দুক্বমাক মাত্র কিছু বিষয়ে আইএসের সাথে একমত।
উনি কোথায় আইএসকে সরাসরি সমর্থন করেছেন, এটা যেনো সে দেখায় !!
দেখুন উনার সেই সাক্ষাৎকার.......
https://www.memri.org/…/lebanese-cleric-sheikh-bilal-duqmaq…

১৫ নাম্বারে আইএসের কমান্ডার উমার হুসাইনের নাম উল্লেখ করেছে। প্রথমতঃ সে কোনো আলিম নন বরং একজন সামরিক কমান্ডার।
দ্বিতীয়তঃ আইএসের রাক্কার কারাগারে যেসব কয়েদীদের নাম মিডিয়া দেখতে পেয়েছে, তার মধ্যে এই উমার হুসাইনের নামও ছিলো। আইএসের হাতে তার ৪৯ দিনের জেল হয়েছে বলে জেলের নথিপত্র থেকে ব্রিটিশ মিডিয়া জানিয়েছে। এই হচ্ছে খিলাফার আলিম !!!

১৬ নাম্বারে যাকে আলিম বানিয়েছে, সে হলো আইএসের যোদ্ধা ও নও মুসলিম আবু তালহা আলমানী। সে জার্মানির একজন সাবেক র‍্যাপার বা ব্যান্ড সঙ্গীত তারকা ছিলো। ২০১০ সালে ইসলাম গ্রহণ করে। ২০১৩ সালে প্রথমে জুনদুশ শাম অতঃপর আইএস এ যোগ দেয়।
তার ব্যাপারে এই আব্দুল আহাদ লিখেছে, // ইনি জার্মানের একজন বিখ্যাত শায়েখ ও দা'য়ী।। আল কায়েদার সাথে সরাসরি লিংক থাকার কারনে অস্ট্রেলিয়া ও জার্মান সরকার উনাকে নিষিদ্ধ করেন।।//
কীভাবে এবং কবে উনি বিখ্যাত শায়েখ কিংবা আলিম হলেন,তার প্রমাণ যেনো সে দেয়। শুধুমাত্র আইএস এ যোগ দেওয়ার কারণে একজন নওমুসলিম বিখ্যাত শায়েখ হয়ে যায় !!
আর সারা জীবন ইলম অর্জন,জিহাদের ময়দানে কাটানো, প্রায় ১৫ বছর বন্দী হিসেবে জেলখানায় কাটানোর পর এই আইএসের কাছে শাইখ মাক্বদিসীর হাফিঃ এর মতো আলিম হয় ত্বগুত !!!!!!!!
এখানে দেখে নিন তার পরিচয়..... https://en.wikipedia.org/wiki/Denis_Cuspert

১৭ নাম্বারে যার নাম উল্লেখ করা হলো, তিনি হচ্ছেন, ডঃ সা’দ আল-হুনাইতী। ২০১৪ সালে আইএসে যোগ দিলেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাগদাদীর সাথে মতবিরোধ তৈরি হলে আইএস উনাকে হত্যা করে এই সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে পাওয়া যায়। আইএসের পক্ষ থেকে উনাকে হত্যা কিংবা জীবিত থাকার ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। আল্লাহই ভালো জানেন, উনাকে আসলেই হত্যা করা হয়েছে, নাকি এখনো বেঁচে আছেন।
বেঁচে থাকলে এবং আইএসে থাকলে উনার কথা অবশ্যই আইএসের মিডিয়ায় আসতো।
উনাকে আইএস কর্তৃক হত্যার সংবাদ..... https://www.alaraby.co.uk/…/islamic-state-kills-own-jordani…

১৯ নাম্বারে যার নাম উল্লেখ করা হলো, তিনি মালিতে আল-কায়েদার একজন শাইখ ছিলেন। ২০১৪ সালে যখন খারিজী আইএসের বাতিল মতবাদ প্রকাশিত হয়নি, তখন আইএসকে সমর্থন দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে উনার ব্যাপারে আর কিছু জানা যায় না।
আশ্চর্যের বিষয় কী জানেন, সেসময় তিনি আইএসের পক্ষে একটি লেখা লিখেন এবং সেই লেখার শেষে শাইখ মাক্বদিসীর কিতাব থেকে একটি উক্তি লিখে তা সমাপ্ত করেন। সেখানে তিনি শাইখের নাম লিখতে গিয়ে লিখেন, “শাইখ আবু মুহাম্মাদ মাক্বদিসী হাফিঃ”।
তিনি যা বলেছিলেন,
ونقل الشيخ أبو محمد المقدسي حفظه الله في رسالته الثلاثينية والتي لا يستغني عنها طالب حق لما فيها من النقول الطيبة لأهل العلم والمناقشة العلمية نقل فيها عن القاضي عياض ” إن استباحة دماء المسلمين الموحدين خطر ، والخطأ في ترك ألف كافر أهون من الخطأ في سفك محجمة من دم مسلم واحد “
অর্থঃ শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসী হাফিঃ উনার ‘আস-সালাসিনিয়্যাহ’ আর্টিকেলে এমন একটি কথা উদ্ধৃত করেছেন, যা থেকে কোনো সত্য অনুসন্ধানী বিমুখ থাকতে পারে না, যেহেতু তা ইলম ও ইলমী আলোচনার অধিকারীদের জন্য একটি উত্তম কথার অন্তর্ভুক্ত। তিনি তাতে কাযী আয়াজ রাহঃ থেকে উদ্ধৃত করেছেনঃ
“নিশ্চয়ই তাওহীদবাদী মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করা অত্যন্ত ভয়াবহ। আর এক হাজার কাফিরকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুল করা একজন মুসলিমের শরীর থেকে সামান্য রক্তপাত করার ক্ষেত্রে ভুল করার তুলনায় অতি তুচ্ছ।”

তিনি বেঁচে আছেন কিনা জানি না, কোন অবস্থায় আছেন তাও জানি না। বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন কত হাজার হাজার মুজাহিদকে মুরতাদ আখ্যা এই নব্য খারিজীরা হত্যা করেছে।

২০ নাম্বারে যার নাম উল্লেখ করা হলো, সে আইএসের একজন সামরিক কমান্ডার, কোনো আলিম নয়। আইএসের ইরাকের একটি ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে। এই নামে দুনিয়াতে কোনো আলিমের অস্তিত্ব নেই। কীভাবে তাকে কথিত খিলাফার আলিম বলে চালিয়ে দিলো !!!

২২ নাম্বারে আইএসের মিডিয়ার দায়িত্বশীল আবু মায়সারা আশ-শামী যে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে তাকফির করে হত্যার হুমকি দিয়েছে। সেও কোনো আলিম নয় বরং একজন আইটি এক্সপার্ট।

২৩ নাম্বারের ব্যক্তি আইএসের ভিডিওতে প্রদর্শিত একজন কমান্ডার। সে কোথাকার আলিম, কীভাবে সে আলিম তার কিছুই কারো পক্ষে জানার সুযোগ নেই।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ৭ নাম্বার মূসা সেরান্টোনিও এবং ব্রিটেনে বসবাসরত ৯ নাম্বার মিজানুর রহমান ওরফে আবুল বারা, ১০ নাম্বার আবু ওয়ালীদ, ১১ নাম্বার আব্দুল্লাহ এবং ১৩ নাম্বার শায়েখ আনজেম চৌধুরী এর হচ্ছে দায়ী। এরা একজনও আলিম নয়। দায়ী আর আলিমের তফাৎ আশা করি বলে দেওয়া লাগবে না।

১ নাম্বার ব্যক্তি সুদানের একজন আলিম। আইএসকে বাই’আত দিয়েছে। পরে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। উনার বর্তমান অবস্থা কিছুই জানা যায়নি। তিনি গ্লোবাল জিহাদের সাথে যুক্ত কোনো আলিম ছিলেন না। ২০১৪ সালের আগে দুনিয়ার কোনো জিহাদের ময়দানের সাথে উনার সংযুক্তি কিংবা মুজাহিদদের ব্যাপারে উনার কোনো কথাই নেই। এমনকি দুনিয়ার কোনো মুজাহিদরা কখনো উনার নামটি উচ্চারণ করেছে, এমনটিও আমার জানা নেই।

৩ নাম্বার ব্যক্তি উমার মাহদী যায়দান। জর্ডানের অধিবাসী। সাইখ মাক্বদিসী ও মিম্বারুত তাওহীদের সিনিয়র আলিমদের ছাত্র। আইএসে মসূলের মুফতি। গ্লোবাল জিহাদের ইলমী অঙ্গনে টর্চ লাইট দিয়ে খুঁজেও তার অবস্থান পাওয়া যাবে না।
৪ নাম্বার হচ্ছে বাগদাদী। কথিত খলীফা।
১৮ নাম্বারের ব্যক্তি একসময় চেচনিয়ার মুজাহিদদের সংগঠন জাইশুল মুহাজিরীন ওয়াল আনসারের একজন শার’য়ী ছিলো। পরে আইএসে যোগ দেয়।
২১ নাম্বার হচ্ছে শাইখ মাক্বদিসীর একসময়ের ছাত্র। ৩২ বছর বয়স্ক আইএসের প্রধান মুফতি।
২৫ নাম্বার ব্যক্তি ওয়াজিরিস্তানে আল-কায়েদার সাথে যুক্ত ছিলেন। আল-কায়েদার সাধারণ পর্যায়ের একজন আলিম ছিলেন। আব্দুল আহাদ উনার ব্যাপারে লিখেছে, // তিনাকে জমানার সফীনাতুল ইলমও বলা হয়ে থাকে।//
আইএসে যোগ দিয়ে সফীনাতুল ইলম (ইলমের জাহাজ) হয়ে গেছে ! সুবহানাল্লাহ। কিন্তু কী ইলমী অবদান তার আছে, তা দুনিয়া জানতে পারলো না !

সারকথা হচ্ছে এই শেষোক্ত ৫ জনকে তারা তাদের কথিত খিলাফতের আলিম দাবি করতে পারে,যারা আইএসের ভুমিতে ছিলো এবং তাদের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। বাকী যাদের কথা বলেছে, তারা হয়তো কেউ আলিম নয়, কেউ কেউ আল-কায়েদার মানহাজের অথবা কেউ সমর্থন করেছে এতোটুকু।