JustPaste.it

পেশোয়ারে হামলা সম্পর্কে TTP-র অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

 

গতকাল সকালে তেহরীকে তালিবান পাকিস্তানের ছয়জন ইস্তিশহাদী সদস্য (ফিদায়ী), পাকিস্তানের পেশোয়ারে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত, কঠোর সিকিউরিটি জোনে অবস্থিত একটি স্কুল এন্ড কলেজে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। (যেখানে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখা হয়)

 

তারা সেখানে উপস্থিত আর্মি অফিসার এবং তাদের যুবক ছেলেদেরকে হত্যা করেন। এই যুবক ছেলেরাই ভবিষ্যতে তাদের পিতার পদে আসীন হয়ে, পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী অসহায় গোত্র (FATA এলাকার) এবং সারা দেশজুড়ে পারিচালিত সেনা অভিযানে অংশ নিতো। এজন্যই তাদেরকে গড়ে তোলা হচ্ছিল।

 

ছবির ক্যাপশন: আর্মি অফিসারদের আঠার এবং পঁচিশ বছরের সন্তানরা মাসুমশিশু...!! কিন্তু সোয়াত ওয়াজিরিস্তানের মাসুম বাচ্চারা তবে সন্ত্রাসী কেন...?? 

 

এই ইস্তিশহাদি হামলা (ফিদায়ী অপারেশন) পরিচালিত হয়েছে মুহতারাম খলীফা ওমর মানসুর হাফিযাহুল্লাহর অধীনে। তিনি তেহরীকে তালিবান পাকিস্তানের সামরিক শাখার দায়িত্বশীল এবং ‘হালকায়ে পেশওয়ার দাওরায় আদম খাইলের’ যিম্মাদার।

 

অভিযান চলাকালীন পুরো সময়টাই তিনি (খলীফা ওমর মানসুর) মুজাহিদদের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন। অনবরত দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।

 

 

এই হামলা অংশগ্রহণ করেছে ছয় জন ‘ফিদায়ী’। এরা সবাই ছিলো এম.এস. জি.এর সদস্য। এটা তেহরীকে তালিবানের বিশেষ শাখা। এই শাখার সদস্যরা বিশেষ অপারেশনেই শুধু ব্যবহৃত হয়।

 

একজন কর্নেল, গোয়েন্দা সংস্থার কয়েক ডজন অফিসার, দুইশরও বেশি সামরিক অফিসার এবং তাদের যুবক ছেলেরা নিহত হয়েছে।

 

ছবির ক্যাপশন: এসএমজি গ্রুফের জানবাজ বীরগণ, ইসলামের বীর সেনানি, তেহরীকে তালিবানের সামরিকশাখা এবং হালকায়ে আদম খাইল পেশোয়ারের দায়িত্বশীল মুহতারাম খলীফা ওমর মানসুর (হাফিযাহুল্লাহ)তাদের সাথে আছেন। 

 

পাকিস্তানের নাপাক সৈন্যরা বিগত ছয় বছর ধরে, পাকিস্তানর সীমান্তবর্তী গোত্রগুলোর ওপর যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে কত নিরপরাধ, অসহায় গরীব মুসলমান শহীদ করেছে, তার হিসাব কি কেউ রেখেছে?

 

‘রাহে রাস্ত, রাহে নাজাত, শের দিল, যরবে আযব ও খায়বর-সহ আরো বিভিন্ন নামে যে অসংখ্য অভিযান চালানো হয়েছে, কত হাজার হাজার মুসলিমকে শহীদ এবং কত লাখ মুসলমানকে ঘরছাড়া করা হয়েছে তার হিসাব কি কেউ রেখেছে?

 

 

ছবির ক্যাপশন: হে নাপাক সৈন্যরা! বলো তো এই মাসুম শিশুদের কী অপরাধ ছিলো? (প্রথম সারি)।

এরা মানুষ হিসেবে পরিচিত হওয়ার যোগ্য নয়? মিডিয়া কেন তাদের ক্ষেত্রে সরব হয়ে ওঠে না? (দ্বিতীয় সারি)

 

 

 

ছবির ক্যাপশন: তের বছর ধরে চলে আসা পাক সেনাদের এই বর্বরতার পরও কোনও মুসলমানের কি তাদেরসাথে সম্পর্ক রাখা জায়েয হবে? 

পাকিস্তানি সেনারা মুজাহিদদের বাপ-ভাইদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে শহীদ করে দেয়। এ অহরহই ঘটছে। তার মেরে ফেলার পর লাশগুলোও ফেরত দেয় না। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ফেলে দেয়। চলতি বছরেই শুধু ছয়শরও বেশি নিরপরাধ মানুষকে গুপ্তভাবে শহীদ করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এই নারকীয়তার প্রতিবাধ কেউ করে না।

 

ছবির ক্যাপশন: শুধু এই বছরেই ছয়শরও বেশি নিরপরাধ মানুষ শহীদ হয়েছে। এসব ঘটেছে গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর হাতে বন্দী থাকাবস্থায়। এই মাযলুম শহীদদের অপরাধ কী ছিলো তা কি কেউ কোনও দিন জানারচেষ্টা করেছিলো? 

 

 

ক্যাপশন: বেলুচিস্তান থেকে কাবায়েল পর্যন্ত পঞ্চাশ হাযারের চেয়েও বেশি নিখোঁজ মানুষের স্বজনরা আর কতদিনআহাজারি করে বেড়াবে?এই স্বজনহারা মানুষদের ব্যথা পাক জেনারেলরা তখনই বুঝবে, যখন তারাও তাদেরস্বজনকে হারাবে 

 

তেহরীকে তালেবান পাকিস্তান বারবার পাক সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে, এই ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ না চালাতে বলে এসেছে। সরকারকে নিখোঁজদের লাশ হস্তান্তর করতে বলেছে, কিন্তু কোনও পক্ষই এসব আবেদনে কান দেয় নি।

 

সরকার এবং সেনাদের দ্বারা পরিচালিত পাশবিক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে, বাধ্য হয়েই তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।

আমরা সামরিক বাহিনী পরিচালিত স্কুল এন্ড কলেজকে টার্গেট করেছি। আমরা শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের ওপরই হামলা করেছি।

পঞ্চম পৃষ্ঠা:

 

তেহরিকে তালিবান পাকিস্তান এই অভিযানের মাধ্যমে, পাকিস্তান সরকার এবং সেনা কর্তৃপক্ষকে এই পয়গাম দিচ্ছে যে:

 

১. তালেবানের বিরুদ্ধে অপারেশনের নাম দিয়ে FATA এলাকার মুসলিমদের সন্তান হত্যা করা, এই মুহুর্তে বন্ধ করতে হবে।

 

২. গোপন এজেন্সীগুলোর হাতে বন্দী মুজাহিদদের নিরপরাধ নিকট আত্মীয়-স্বজনদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে, তাদেরকে হত্যা করার প্রক্রিয়া এই মুহুর্তে বন্ধ করতে হবে...

 

৩. মুজাহিদদের পরিবারভূক্ত নারীরা যাদেরকে নিরাপত্তা বাহিনী বন্দী করে রেখেছে তাদেরকে এই মুহুর্তে ছেড়ে দিতে হবে।

 

তা নাহলে তেহরীকে তালেবান পাকিস্তান পুরো দেশে আর্মি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর (পুলিশ) সাথে জড়িত প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণের লক্ষ্য বানাতে বাধ্য হবে।

 

আমরা সাধারণ মুসলিম জনগনকেও এ কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে তারা যদি আর্মি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে অতি শীঘ্রই পৃথক হয়ে যান, নয়ত কোন ক্ষতি হলে এর জন্য আমরা দায়ী থাকব না।

 

মুহাম্মদ খুরাসানী,

অফিসিয়াল মুখপাত্র,

তেহরীকে তালেবান পাকিস্তান।