JustPaste.it

আমেরিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাবেক মুফতী শাইখ নিজামুদ্দীন শামজাই (রহঃ) এর ফতোয়াঃ

 ———————————————————————

আফগানিস্তানে মার্কিন হামলার পর মুসলমানদের উপর শরীয়তের বিধান নিম্নরূপঃ

প্রথমতঃ সকল মুসলমানের উপরই জিহাদ ফরজে আইন হয়ে আছে। বিশেষতঃ বর্তমান প্রেক্ষাপটে। কেননা ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সেই একক ইসলামী রাস্ট্র যেখানে শরীয়তের বিধান বাস্তবায়িত। এর প্রতিরক্ষা প্রতিটি মুসলমানের উপর ওয়াজিব। ইহুদী- আমেরিকী এই আক্রমণের মূল লক্ষ্য আফগানিস্তানের ইসলামী শাসনকে ধ্বংস করে দেয়া।

দ্বিতীয়তঃ যে কোন দেশের যে কোন মুসলমান, হোক সে সরকারি চাকুরীজিবী অথবা অন্য কেউ – তার জন্য আফগানিস্তানে আমেরিকার আগ্রাসনে যে কোনরূপে, যে কোন ধরনের সহয়তা করা জায়েজ নেই। বিশেষতঃ মুসলিম আফগানিস্তানের উপর আগ্রাসন ক্রুসেড যুদ্ধের রুপ পরিগ্রহ করেছে। যে কোন মুসলমান এই আগ্রাসনে সহায়তায় এগিয়ে আসবে সে ধর্মত্যাগী মুরতাদ বলে গন্য হবে।

তৃতীয়তঃ যে কেউ আল্লাহ পাকের বিধানাবলী এবং তার শরীয়তের বিরোধীতা করে, তার অধিনস্থ কর্মচারী অথবা সেনাসদস্য বা অন্য সবার উপর সেই ব্যক্তির নির্দেশাবলীর বিরোধীতা করা ও তার আনুগত্য পরিহার করা ওয়াজিব।

চতুর্থতঃ যে সকল দেশ এই যুদ্ধে আমেরিকাকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ভূমি, আকাশ অথবা তথ্য দ্বারা সহায়তা করছে এবং মুসলমানদেরকে তাদের কর্তব্য পালনে বাঁধা দিচ্ছে, এ ধরনের প্রশাসন ও শাসকদেরকে যে কোন উপায়ে অপসারন করা মুসলমানদের উপর ওয়াজিব।

পঞ্চমতঃ বর্তমান সময়ে আফগান মুজাহিদদেরকে আর্থিক, নৈতিক ও রশদ-সামগ্রী দ্বারা সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ, আর যার পক্ষে আফগানিস্তানে পৌঁছা এবং তাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করা সম্ভব নিশ্চিতভাবে তার জন্য শরয়ী ওয়াজিব হলো সরাসরি তাতে অংশগ্রহণ করা। আর যে এতে অক্ষম তার কর্তব্য হলো সম্ভাব্য সব পদ্ধতিতে তাদেরকে সহায়তা করা।

—————————

করাচী, ৮ অক্টোবর ২০০১

 মূল আরবী ফাতওয়ার লিংক...... https://goo.gl/z9rF3x

ফাতওয়াটির অনুবাদ সূত্রঃ  http://darulilm.org/2017/03/10/muftishamzifatwa/#more-121

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

তাওহীদ ও জিহাদের বিশুদ্ধ মানহাজের উপর গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা সম্বলিত মূল পেইজ

লিংক...https://justpaste.it/tawhid_jihad