তোমার শত্রুকে চেনা

তোমার যুদ্ধের অর্ধেক

শাইখ আল-ফাতিহ আবূ মুহাম্মাদ আল-জাওলানী

এক হাতে কলম অপর হাতে তরবারি

আজকাল একটি বিষয় নিয়ে খুব জোরালো আলোচনা দেখা যাচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া সবাই এ আলোচনায় ব্যস্ত যে, আমাদেরকে নতুন প্রজন্মের হাত থেকে অস্ত্র সরিয়ে তাদের হাতে কলম তুলে দিতে হবে। একজন পাকিস্তানী নাগরিক হিসেবে বিষয়টি আমাকে খুবই অবাক করছে। আরো অনেক পাকিস্তানী এমন আছে যারা পাকিস্তানকে মনে প্রাণে ভালবাসে এবং প্রকৃতপক্ষে যারা মুসলিম, এবিষয়গুলো তাদের মনেও নাড়া দিয়ে থাকে। এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করে নিই, আমারা কলমের বিরোধী নই। কিন্তু একজন মুসলমান তার এক হাতে যদি থাকে কলম তাহলে অপর হাতে তরবারী থাকাই স্বাভাবিক। কেননা অস্ত্র এটা মহানবী ﷺ এর গরত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। তাই মুসলিম হিসেবে অস্ত্রের প্রতি আমাদের ঘৃণা নয় ভালবাসা থাকা চাই। প্রিয় নবী ﷺ বলে গেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা একটি তীরের বিনিময়ে তিনজনকে জান্নাত  দান করবেন । ১. প্রস্তুতকারী যে ভাল কাজের (জিহাদের) নিয়ত করবে। ২. শত্রুর দিকে নিক্ষেপকারী। ৩. ঐ ব্যক্তি যে  তূনীর থেকে তীরন্দাজের হাতে তীর তুলে দিবে। আর এও বলে গেছেন যে, যে ব্যক্তি তীর চালানো শিখে অবহেলা করে ছেড়ে দিল সে যেন একটি নেয়ামত হাতছাড়া করল বা নেয়ামতের অকৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করল। আজ যারা জোরালোভাবে অস্ত্রের বিরোধিতা করে যাচ্ছে তারা আমেরিকা, ইসরাইল এবং ভারতকে কি কখনো বলেছে? তোমরা যে এত বিপুল পরিমাণে বিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ  রেখেছ এগুলো নষ্ট করে ফেল- যাতে- পৃথিবীতে শান্তি  প্রতিষ্ঠিত হয়। অথচ ঐ রাষ্ট্রগুলো তাদের অস্ত্র মুসলমানদের  বিরুদ্ধেও ব্যবহার করছে। কিন্তু এসব সংগঠন এবং মিডিয়াগুলো- যারা অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারযুদ্ধে লিপ্ত কাফেরদের এজেন্টদের কখনো এ কথা  বলেনি এবং বলবেও না। কেননা তাদের জন্মই হয়েছে মুসলমানদের বিরোধিতা করার জন্য। তাদের উদ্দেশ্যই হল কিভাবে মুসলমানদেরকে কাফেরদের জন্য তরল লোকমা  হিসেবে পেশ করা যায়। যেমনিভাবে ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে ইসরাইলের সামনে নিরস্ত্র ছেড়ে রাখা  হয়েছে। যেন ইসরাইল যখন চাবে ফিলিস্তিনে এসে নিজেদের  হিংস্রতার প্রকাশ ঘটাতে পারে। অন্যথায় কেন এই সংগঠন গুলো ইসরাইলে গিয়ে অস্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেনা।  অথচ এই অস্ত্রের মাধ্যমেই এক ইসরাইলির বদলায় দুই  হাজার ফিলিস্তিনীকে শহীদ করা হয়।  অতঃএব আমাদের উচিত ঐ কাফেরদের কথায় কান না দিয়ে  প্রিয় নবী ﷺ এর জীবনী অধ্যয়ন করা। তাহলে আমরা  বুঝতে পারব অস্ত্রের প্রতি তাঁর কতইনা ভালবাসা ছিল। নিম্নের ঘটনা থেকে কিছুটা অনুমান করুন।

‘নবী কারীম ﷺ এর তিরোধানের সময় তাঁর ঘরের অবস্থা ছিল এমন যে, চেরাগ জ্বালানোর মত তেলও মজুদ ছিল না, কিন্তু সে সময়ও হুজুর ﷺ এর ঘরে নয়টি তলোয়ার ঝুলন্ত ছিল। এর মাধ্যমে রাসূল ﷺ উম্মতকে এ শিক্ষা দিয়েছেন যে, তোমাদের উপর যেমন অবস্থাই আসুক না কেন, তোমরা এই তলোয়ার কে, এই অস্ত্র কে, এই জিহাদের পথকে, কখনো ছেড়ে দিওনা। আর এ কথাও স্মরণ রাখুন যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক নাম তলোয়ার ওয়ালা নবী, অপর নাম যুদ্ধ প্রিয় নবী। প্রিয় নবী ﷺ বলে গেছেন, ‘তরবারীর নিচে রাখা হয়েছে আমার ইজ্জতের রিযিক। এটাও বলে গেছেন যে, জান্নাত তলোয়ারের ছায়া তলে।’ বাস্তবে এ সকল সংগঠন বড় একটি মিশন নিয়ে কাজ করছে। ইসলাম এবং কুরের মধ্যকার বিশাল এক রণক্ষেত্র তৈরীতে তারা লিপ্ত। এটা ঐ ময়দান যেখানে ইয়াহুদীদের পক্ষ হয়ে মাঠে নামবে দাজ্জাল। আর মুসলমানদের পক্ষ হয়ে রণক্ষেত্র সজ্জিত করবেন ‘মাহদী’। ঐ রণক্ষেত্র প্রস্তুত হওয়ার পূর্বেই এ সংগঠনগুলো চাচ্ছে মুসলমানদের নতুন প্রজন্মকে চিন্তাগত দিক থেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে। যেন মুসলমানদের নতুন প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা অন্ধকারেই থেকে যায়। তারা অস্ত্রকে ঘৃণা করতে থাকে। নিজেদের আসল নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলে এবং নামমাত্র মুসলমান হয়ে কুফরের উপকারিতাকে পূর্ণতার শিখরে পৌছে দেয়। বাস্তবেই আজ আমরা মনের অজান্তে সে পথেই রওয়ানা হয়েছি। কাফেরদের এজেন্টরা যা বলে কোন বাছ বিচার ছাড়াই সে মোতাবেক কাজ করতে শুরু করে দেই। এ কথা চিন্তা করিনা যে, এর পিছনে তাদের মতলব কি! আপনারা ভুলে গেছেন কি বাগদাদের সেই ইতিহাস, যখন মুসলমানরা কলমের ময়দানে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু আফসোস তারা তলোয়ারকে একেবা রেই ছেড়ে দিয়েছিল। যার দরুন বিশ্ববাসী দেখেছে, হালাকুখান এসে ঐ মুসলমানদেরকে কিভাবে কচু কাটার মত কেটেছিল। আর হ্যা, কলম ও কিতাব রক্ষার জন্য তলোয়ার না থাকার কারণেই ফুরাত নদী কিতাবের স্তুপে পরিণত হয়েছিল। আর জিহাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যে প্রশ্ন ওঠে সে ক্ষেত্রে বলব, ‘যদি এ জিহাদকে অনিরাপদ ও অশান্তিপূর্ণ রুপে ব্যক্ত করা হয় তাহলে পৃথিবীর বুকে শান্তি ও নিরাপত্তা কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না। কেননা রাসূল ﷺ বলে গেছেন যে, এ জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে। আল্লাহ তাআলা কি এ ফিতনার ব্যাপারে আমাদেরকে পূর্বেই সতর্ক করে দেননি? কোরআনের এত স্পষ্ট আয়াত দেখেও আমরা কিভাবে কাফেরদের প্ররোচনার শিকার হই। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَدَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُم مَّيْلَةً وَٰحِدَةًۚ

‘শত্রুরা কামনা করে তোমরা তোমাদের অস্ত্র-শস্ত্র ও আসবাব-পত্র থেকে উদাসীন হয়ে থাক যাতে তারা তোমাদের উপর একযোগে হামলা করতে পারে। এসব কথিত শান্তিবাহক সংগঠনগুলোর জন্মই এ উদ্দেশ্যে হয়েছে, যেন তারা মুসলিম জাতির ভিতরে নড়বড়ে করে দিতে পারে। যেন কাফেররা রক্তপিপাসু হিংস্র প্রাণীর ন্যায় মুসলমানদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে এবং মুসলমানরা কাফেরদের লোকমায় পরিণত হয়।

এরপর যখন ভারত পাকিস্তানের উপর হামলা করে বসবে কারন কাফেররা মুসলমানদের অস্তিত্বই সহ্য করতে পারেনা। তখন আমরা বুঝতে পারব যে এ এজেন্টগুলো আমাদের কী ক্ষতি করে গেছে । কিন্তু তাতে কোন লাভ হবেনা। কেননা ততক্ষণে উইপোকা আমাদের ভিত সাবাড় করে ফেলবে। আজ শান্তিপ্রিয়তার পাঠ দানকারীরা একথা বলে বেড়ায় যে, ইসলামের প্রচার - প্রসার হয়েছে তলোয়ারের জোরে নয়, আখলাকের জোড়ে। এখানে আমি সালাউদ্দীন আইয়ুবী রহ. এর একটি কথা উদ্ধত করছি, তিনি বলেন, ‘আমি জানিনা ইসলাম কি তলোয়ারের জোরে ছড়িয়েছে আখলাকের জোড়ে; কিন্তু ইসলামের হেফাযতের জন্য তলোয়ারকে আমি আবশ্যকীয় মনে করি। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, রাসূল ﷺ এর চেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী কেউ পৃথিবীতে কখনো আসেনি এবং আসবেওনা। সুতরাং যখন তিনি তাঁর উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে লোকদের সঠিক পথে আনতে পারেন নি এবং আল্লাহ তাআলা তাকে আদেশ করলেন তাদের বিরুদ্ধে তলোয়ার হাতে নেয়ার। ফলে সেই তলোয়ারের জোরেই মক্কা ও ইসলামের বিজয় হল। তাহলে এ লোকগুলো আজ কিভাবে একথা বলছে যে, এখন তলোয়ারের প্রয়োজন নেই। অথচ আল্লাহ তাআলা এই তলোয়ারের জয়কেই বাস্তবিক অর্থে জয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। লক্ষ্য করুন সূরায়ে নাসরের দিকে, সেখানে কোন জয়ের কথা বলা হয়েছে যার পর মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সেটাওতো ছিল তলোয়ারের জয়। হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযি. যাকাত আদায়ে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য এ বিষয়ের সমাধান দিয়ে গেছেন যে, ইসলামের রীতি নীতিতে কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি ও কাট-ছাট করা কিছুতেই সহ্য করা হবেনা। কেননা ইসলামের নীতিতে কোন ধরনের পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাই ইসলামের প্রচারের ক্ষেত্রে যদি আমরা তলোয়ারের ভূমিকা বাদ দিয়ে দেই, তাহলে (নাউ যুবিল্লাহ) দীনের স্বার্থে সাহাবাদের কুরবানীকে অনর্থক বলা হবে। কেননা তারা এই তলোয়ারকেই ব্যবহার করেছেন, এর মাধ্যমেই অধিকাংশ এলাকা জয় করেছেন এবং এর মাধ্যমেই মন্দকে প্রতিহত করেছেন। এর পর যখন বিজয়ী বেশে কোন দেশে প্রবেশ করেছেন তখন কাফেররা মুসলমানদের উত্তম গুনাবলী দেখে দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করেছে। এখানে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল যে, ঐ দায়ীই সফল হবে যার দাওয়াতের পেছনে থাকবে তলোয়ার। মুফতি শফী রহ. তাঁর তাফসীরগ্রন্থ মাআরেফুল কোরআনে এ আয়াত:

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ

এর ব্যাখ্যায় বলেন, মুহাম্মাদ ﷺ এর উম্মত সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। একারণে যে তাদের দাওয়াতকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা। কেননা তাদের দাওয়াতের পেছনে রয়েছে জিহাদের শক্তি। যে ব্যক্তি তাদের দাওয়াত কবুল না করবে তাকে জিহাদের মাধ্যমে দমন করা হবে। পূর্ববর্তী উম্মতের মাঝে দাওয়াত তো ছিল, কিন্তু তাদের দাওয়াতের পেছনে জিহাদের পাওয়ার ছিলনা। হযরত ইদ্রীস কন্দলবী রহ. তার “সিরাতে মুস্তোফা” নামক গ্রন্থে বলেন, ভালোকথা ও সদুপদেশ অবশ্যই প্রভাব ফেলে, তবে তা সুস্থ বিবেকবানদের উপর। আর যাদের বিবেক নষ্ট হয়ে গেছে তাদেরকে আপনি যতই একনিষ্ঠতা ও সহানুভূতির সাথে সুন্দর থেকে সুন্দর উপদেশ দান করুননা কেন, তা তাদের উপর কোন প্রভাবই ফেলবেনা। কারণ মানব জাতির স্বভাব এক ধরনের নয়। এজন্যই আল্লাহ তাআলা কারো জন্য নাযিল করেছেন কিতাব আর কারো জন্য দিয়েছেন লোহা। ফোকাহায়ে কেরাম তো এটাও বলেছেন যে, যে সমস্ত অঞ্চল জিহাদের মাধ্যমে বিজিত হয়েছে সেখানে খতীবগণ তলোয়ার হাতে খুতবা দিবেন; মানুষকে একথা জানান দেয়ার জন্য যে, এ এলাকাটির জয় তলোয়ারের মাধ্যমে হয়েছে। আর কেউ যদি ইসলাম ত্যাগ করতে চায় তাহলে সে যেন একথা ভেবে নেয় যে, এখনো মুসলমানদের হাতে ঐ তলোয়ার রয়েছে যা মুরতাদদের মস্তিস্ক ঠিক করে ফেলবে। হে আমার ভাই, এ অস্ত্রকে ভালোবাস, তাকে কখনো পরিত্যাগ করো। তুমি একটু পাকিস্তানের ইতিহাসের দিকে তাকাও ! দেখ, যখন মুসলমানরা হিন্দুস্তান থেকে হিজরত করে পাকিস্তান আসছিল তার কিছুকাল পূর্বে হিন্দুরা মুসলমানদের থেকে এই বলে পুলিশের মাধ্যমে অস্ত্র তুলে নেয় যে, তোমাদের ব্যাপারে আমাদের আশংকা হচ্ছে তাই তোমাদের অস্ত্রগুলো আমাদের কাছে জমা দিয়ে দাও। আমরা তোমাদের নিরাপত্তা দেব। তখন অনেক সরলমনা মুসলমান তাদের কথায় অন্ধ বিশ্বাস করে নিজেদের অস্ত্র জমা দিয়ে দেয়। কিন্তু তারপর কী হয়েছিল? সেই হিন্দুরাই শিখদের সাথে মিলে মুসলমানদের শহীদ করেছিল। নারীদের লাঞ্ছিত করেছিল। এই অস্ত্রের কারণেই লাখো মুসলমানের জীবনকে কুরবানী দিতে হয়েছিল। আল্লাহকে ভয় করো! নিজেদের সন্তানদেরকে ইসলামের সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দাও। তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দাও ইসলামের সোনালী যুগের কথা। হযরত ওমর রাযি. এর বিজয়ের ঘটনাগুলো শুনাও তাদেরকে। যখন মুসলিম জাতি ছিল উর্ধমুখী। মুসলমানরা ছিল জয়ী। মসজিদে আকসা ছিল আযাদ। মসজিদে আকসা যতবার আযাদ হয়েছে তলোয়ারের জোরেই হয়েছে। প্রিয় ভাই, তোমার সন্তান মুজাহিদ হয়ে যাবে এটা কি লজ্জার বিষয়? মুজাহিদ হয়ে সে আত্মমর্যাদাশীল হবে। কেননা, যখন সে মুজাহিদ হবে তখন কাফেররা তার ভয়ে কাঁপতে থাকবে। কেউ আর আমাদের প্রিয় নবী ﷺ এর সাথে বেয়াদবি করার দুঃসাহস দেখাবেনা। কেউ কোরআনের অবমাননা করার চেষ্টাও করবেনা। তার সামনে তার মুসলিম বোনের গায়ে হাত দেয়ার কল্পনাও করবেনা। ভাই তোমার সন্তান ভীতু নয় সিংহের মত সাহসী বীর হওয়া চাই। গাঁধা নয় শক্তিশালী ঈগলের ন্যায় চৌকান হওয়া চাই। আর এমনটা তখনই সম্ভব যখন তার এক হাতে কলম ও অন্য হাতে তলোয়ার থাকবে। এবং অন্তরে থাকবে ঈমানী মূল্যবোধ, তার শিরা উপশিরায় দৌড়াবে ইসলামের প্রতি খাঁটি ভালোবাসার খুন। তখন পৃথিবীর কোন শক্তিই আর মুসলমানদেরকে পরাজিত করতে পারবেনা। হয়ত এ কথাগুলো আজ তোমাদের কাছে অর্থহীন মনে হবে, কিন্তু আগামীতে একথাগুলোই তোমাদের কাছে বাস্তবে রূপান্তরিত হবে। সুতরাং তোমাদের সন্তানদেরকে কাফেরদের সন্তানদের সাথে মিশতে দিওনা। তাদেরকে কাফেরদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত কর। পরিশেষে শায়েখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. এর একটি উক্তি দিয়ে শেষ করছি- ‘নিজের ঘরকে মুরগির খামার বানিওনা; বরং সিংহের গুহা বানাও। কেননা মুরগি যত বড়ই হোক না কেন এক দিন ছুড়ির নিচে তাকে জবাই হতে হবে।’

 আল বালাগ

ম্যাগাজিন ইস্যু-১