JustPaste.it
User avatar
Ishrak Abid @Ishrak_Abid · Feb 18, 2023

❝নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন❞

কলমেে: ইশরাক আবিদ

subscribe1621_512.gif

আমি বিশ্বাস করি যে আল্লাহ আছেন। তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা তিনি একক, এই রাজত্ব শুধুই তার। তিনি ছাড়া অন্য কেউ ইবাদত পাওয়ার য্যোগ্য ইলাহ নেই। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি সম্পর্কে, তার নিজের সম্পর্কে তিনি শুনেন, দেখেন আরো বিশ্বাস করি জান্নাতের সুখ-শান্তি ও জাহান্নামের কষ্ট-ক্লেশ সম্পর্কে, 
এটাও বিশ্বাস করি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবনব্যবস্থা নাই, আল্লাহ গোটা সৃষ্টি জগৎ পরিচালনা করেন। ফেরেশতারা সর্বদা তার জিকির করে। এবং তার হুকুম পালন করে। আর এটাও বিশ্বাস করি যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তার প্রেরিত শেষ নবী ও রাসুল। ঐশী বাণী কুরআন তার উপর নাজিল হয়েছে। আমরা এসব বিশ্বাস করি। অর্থাৎ বিশ্বাস করি মানেই হলো আমরা এসব কিছুর প্রতি ইমান এনেছি।

আমরা যদি বিশ্বাস না করতাম তাহলে নাস্তিক হয়ে যেতাম। আমরা এই মৌলিক বিষয় গুলো সন্দেহো করিনা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তবে আমরা সব-ই বিশ্বাস করি ঠিক কিন্তু মানিনা। মানা আর বিশ্বাস কি এক হলো হ্যা এখানেই আপনাকে আমি প্রশ্ন করি আপনি বিশ্বাস করেন। আমিও বলবো আপনি বিশ্বাস করেন। কিন্তু এর পর বলবো আপনি মানেন না। আপনি বলবেন না আমি তো মানি। কিন্ত আমি আবারো বলবো আপনি মানেন না। আপনি হাজার বার বলেন, আমি তো মানি। আমি হাজার বার বলবো আপনি তো মানেন না। কারণ আপনি অন্তরে বিশ্বাস করতেছেন মুখেও মানতেছেন কিন্তু আপনার অঙ্গ-প্রতঙ্গ দ্বারা তো বাস্তবায়ন করতেছেন না।
 
এটা ইমান আনার নাম নয়, ইমান আনতে হলে আপনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। মুখে স্বীকার করতে হবে এবং অঙ্গ প্রতঙ্গ দ্বারা বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মধ্য যে কোনো একটা অনুপস্থিত থাকা যাবে না। যদি না থাকে তবেই বলা হবে আপনি ইমান এনেছে।

আপনি যদি মনে মনে বিশ্বাস করেন মুখেও স্বীকার করেন কিন্তু বাস্তবায়ন করেন না। তাহলে আপনার এই বিশ্বাস করার ফায়দা কতটুকু। যেখানে আপনি কাজ করছেন না সেখানে বিশ্বাস করে কি করবেন। এতো গেলো ইমান আনা বা না আনার কথা। 

এখন কোনো বিষয়কে আপনি যদি উপলদ্ধি করতেন তাহলে অবশ্যই মানতেন। যেমন আপনি জানেন যে, এই কাজ টা করলে আমার ব্যথা লাগবে তাহলে অবশ্যই তা থেকে তো দূরে থাকেন। কিন্তু আল্লাহ যে কাজ করতে বলেছেন এবং যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে কেন সতর্কতা অবলম্বন করেন না। এখানে আপনার ইমান টা আখিরাতের থেকে দুনিয়ারটা বেশি। আপনি দুনিয়ায় ব্যথা যালা-যন্ত্রনা উপলদ্ধি করতে পারতেছেন তাই তা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতেছেন কিন্তু যেটা পরকালে দেওয়া হবে সেটা থেকে তো সাবধান থাকছেন না কারন সেটাতো দেরিতে দেওয়া হবে। দুনিয়ার এতোটুকু কষ্ট পেয়ে এতো সাবধানে থাকেন আর পরকালের কষ্ট টা কি দেখলেন না। সেটা তো আরো যন্ত্রনার। তাহলে কি এটা দারালো না আপনার ইমান টা কোথায় বেশি হয়ে গেলো। 

আপনার দুনিয়াবি ইমান ঠিকই মজবুত আর পরকালিন ইমান একেবারে দুর্বল যেমন আরেকটি উদাহরন এভাবে দেওয়া যায় যে, মনে করেন একজন মানুষ একটি কারখানায় চাকরি করে সে জানে নিয়মিত তাকে যথা সময়ে চাকরিতে উপস্থিত থাকতে হবে আর যদি না থাকে তাহলে তার চাকরি থাকবে না। তাই সে ইনকাম করার জন্য    চাকরি করে এমনকি চাকরিটা যদি এমন হয় যে তাকে সারারাত করতে হবে তাও সে করবে কারন সে জানে চাকরি করলে টাকা দিবে এতে তার ইমান আছে। দুনিয়াতে একটু সুখে থাকার জন্য, একটু ভালো খাবার জন্য, ভালো পড়ার জন্য সে রাত জেগেও কষ্ট করতে রাজি অথচ সে জানেন না যে কতদিন বেচে থাকবে তার সমস্ত অর্থ সম্পদ সে ভোগ করতে পারবে কি পারবে না তাও কোনো নিশ্চয়তা নাই, এরপরও সে কাজ করে এটা হলো তার দুনিয়াবি ইমান। আর এটা তো অস্থায়ী। এই ক্ষনিকের দুনিয়ার বেচে থাকার জন্য সে এতো কষ্ট করে অথচ আজ বেচে আছে কাল মরে গেলে সব শেষ। তারপরও দুনিয়ার সব কিছু প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস। এসব কিছু তার দুনিয়াবী ইমানকে মজবুত করেছে। কষ্ট সুখ শান্তি কিছুটা হলেও দুনিয়ায় উপভোগ করছে। তাই দুনিয়ার প্রতি তার ইমানটা একটু বেশি। 

লক্ষ্য করুন তো আপনার ক্ষেত্রেও কি তা হচ্ছে। কষ্ট করতেছেন ভালো কথা। এখানে প্রশ্ন না। প্রশ্নটা হলো এখানে আল্লাহ আপনাকে দুনিয়ায় কিসের জন্য পাঠালেন  আর আপনি এখানে এসে কি করতেছেন। আপনাকে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ায় নেক আমলের করার জন্য তার আনুগত্য করা জন্য, তার ইবাদত করার জন্য তার গোলামি করার জন্য পাঠিয়েছেন। আর আপনি কি করতেছেন আপনি কত টুকু সময় আমলের পেছনে ব্যয় করেন। আপনি তো একদিন মৃত্যুবরণ করবেন। আপনিও পরকালে আবার উথিত হবেন সেটা নিয়ে কি ভাবেন। দুনিয়াবী কারনে আপনি এতো কষ্ট করেন কিন্তু পরকালের জন্য আপনি করতে নারাজ কেনো? এই জন্য আমি বলছি দুনিয়াবী ইমান থাকলেও আপনার পরকালিন ইমান নেই, হ্যা এটাই বাস্তব। যদি আপনার পরকালিন ইমান থাকতো তাহলে তো দুনিয়ায় পেছনে এভাবে ছুটতেন না। আসলে আপনার পরকালিন ইমানি নেই। আর যদি আপনার ইমান থাকতো তাহলে তো অবশ্যই আপনি আখিরাতকে প্রধান্য দিতেন। নামাজের সময় হলে আবার এদিকে কাজ থাকলে অবশ্যই আপনি সবার আগে আপনি নামাজটাই পড়তেন যদি আপনার ইমান থাকে তাহলে বলবেন আমি যদি সময় মত নামাজ টা না পড়ি তাহলে কত ভয়াবহ আজাব আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর যদি দুনিয়াবী কাজ টাই করেন তাহলে বুঝবেন পরকলিন ইমানের থেকে দুনিয়বি ইমানটা বেশি। কারন নামাজ পড়ার পর ভালো মন্দ বিচার হবে পরকালে আর যে কাজ টা করতেছেন সেটার ফলাফল নিকটেই তাই আপনি দুনিয়াবি কাজটা আগে করতেছেন। এতে আপনার দৃঢ় বিশ্বাস আছে আর নামাজ না পড়ার ফলাফল যে পড়ে পাবেন তাই এই বিশ্বাসটা একটু নড়বড়ে। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝদান করুন।

এবার আসুন দুনিয়ায় আপনি কি করতেছে বা গত হয়ে যাওয়া দিন গুলোতে কি করেছেন ভবিষ্যতে কি করবেন আপনার এসব কর্মগুলো নিয়ে কি ভাবেন বা সেগুলোর ফলাফল পরকালে কি হতে পারে সেটি ভেবেছেন। আমি আপনাকে আজকে শুধু আপনার কর্ম নিয়ে বলবো। কর্ম বলতে আপনার নেক কর্ম ও আপনার মন্দ বা খারাপ কর্ম। কিছু না হলেও আপনার কর্ম গুলোর দিকে একটু নজর দিন হতে পারে আপনি একজন মধ্যবয়সি কিংবা ১৫-২৫ বছরের যুবক যাই হোন না কেনো আপনি আপনার অবস্থান থেকে আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন তো আমার গত হয়ে যাওয়া দিন গুলো কিভাবে কেটেছে। আমি একজন ছাত্র এই মুহূর্তে আমার ১৮-২০ বছর পার হয়ে যাচ্ছে আমি কি একদিন আল্লাহর কাছে আমার গুনাহগুলো নিয়ে অনুতপ্ত হয়েছি কিংবা এই বিশ বছরে আমি কয়দিন তাহাজ্জুদ এ উঠেছি নিয়মিতভাবে কয় মাস নামাজ পড়েছি। রোজার মাসে কি পূর্ন মাসে রোজা রেখেছি, আল্লাহ যে বিষয়গুলো হারাম করেছেন সেগুলো থেকে কি দূরে থাকার চেষ্টা করেছি নাকি হারাম এর মধ্যে ডুবে থেকেছি। আমার জীবনে কয়দিন নফল রোজা রেখেছি। আমি কোন দিনটি একটিও মিথ্যা কথা বলিনি এমন কোনো দিন আছে যে আমি সম্পূর্ণ আল্লাহর জন্য কাজ করেছি কয়দিন আমি অসহায় ব্যক্তিকে সাহায্য করেছি আমি কি কোনো দিন রাতে গিয়ে আমার পাশের প্রতিবেশির খবর নিয়েছি যে তাদের পরিবার কি ঠিক মত খাওয়া করেছে কিনা আমি কি কাউকে কষ্ট দিয়েছি ইত্যাদি এসব আরো শত শত বিষয় আছে এসব ভাবুন আর এটাও ভাবুন আপনি ভবিষ্যতে কি করবেন আপনি কি এভাবেই চালিয়া জাবেন নাকি নিজেকে একটু পরিবর্তন করবেন। আপনার কি পরিবর্তন হওয়াটা দরকার। নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন....

আমরা সকলেই গুনাহ করে থাকি নবী-রাসুল ব্যতীত জ্বীন-ইনসান এর মধ্যে এমন কোনো বান্দাকে পাওয়া যাবে না যে, সে গুনাহ করেনি। আবার এমন না যে গুনাহ করেছি বিধায় আল্লাহ আমাকে জান্নাত দিবে না। বান্দার গুনাহ হবে স্বভাবিক। আর আল্লাহ তায়ালা গুনাহ থেকে বেচে থাকার জন্য এর বিকল্প রাস্তা খুলে রেখেছেন সেটা হলো ❝তাওবা❞ গুনাহ তো করেছেন অনেক কিন্তু তাওবা করেছন কয়দিন। আমি/আপনি একটি সরষে পরিমান খারাপ কাজ করলাম কিন্তু তাওবা করলাম না আর পরকালে বিচার দিবসে সে কাজটি বড় বাধা দাঁড়াবে জান্নাত যাওয়ার জন্য। তখন আপনি কি করবেন এতোটুকু নেক আমল আপনাকে কে দিবে সে ভয়াবহ দিনে। ভাবেন তো আপনি একটি গুনাহ করলেন সেটা দেখতে কত বড় কি রকম হতে পারে। গুনাহ টি হতে পারে আপনার কাছে ছোট কিন্তু এই ছোট গুনাহটি যদি আকাশের চেয়েও বড় হয়, এর ওজন যদি পাহাড়ের চেয়েও বেশি ভারি হয়, তাহলে আপনি কি করবেন? আপনি তো গুনাহটিকে তুচ্ছ মনে করছেন। কিন্তু গুনাহটি তো তুচ্ছ না। সেটি তো আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে যাচ্ছে।


আমরা পাপ কাজকে তোয়াক্কা করি না। ছোট খাটো পাপ কাজ আমারা প্রতিনিয়ত করেই যাচ্ছি কিন্তু তাওবা করতে ভুলে যাই। আমরা যদি আমাদের পাপ কাজকে দেখতে পেতাম তাহলে ভুলেও একটি পাপ কাজ করে ফেললে পরে আরেক পাপ করার চিন্তাও করতাম না। আমরা কতটা গাফেল হয়ে গেছি। আমরা শুধু পাপ করতেই থাকি। মনে রাখবেন আমরা পৃথিবীতে আমাদের পাপ কর্মটি কেউ না দেখলেও কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আমাদের পাপ কর্মটি দেখতেছেন। যিনি আপনাকে/আমাকে সৃষ্টি করলেন তার সামনেই আমরা কিভাবে পাপ করি, তার নফরমানি করি, আমাদের কি একটুকুও লজ্জা হয় না। 

ভাবুন আপনার প্রতিটি মুহুর্ত সিসি টিভির মত সেভ করা হচ্ছে। ভালো কর্ম হোক কিংবা পাপ কর্ম। যদি আল্লাহ তায়ালা আপনার পাপ কাজটি মানুষের মাঝে প্রকাশ করে দেন তাহলে আপনি মানুষের কাছে আপনার মুখ দেখাবেন কিভাবে যারা আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানতো। আর আল্লাহ তায়ালা যখন কিয়ামতের মাঠে কোটি কোটি মানুষের সামনে আপনার পাপ কাজ গুলো সি সি টিভির মত দেখাবেন যে যেখানে আপনার বাবা-মা ভাই-বোন আত্মীয় -স্বজন বন্ধু-বান্ধবসহ পৃথিবীর সকল মানুষ সেখানে থাকবে। সেখানে আপনি কি করবেন? কি অজুহাত দিবেন বাচানোর জন্য। সেখানে তো আপনাকে সকল প্রমানসহ দেওয়া হবে। যে বাব-মা আপনার উপর ভরসা করতো আর এটা ভাব তো আমার সন্তান জান্নাতে গেলে হয়তো আমার জন্য সুপারিশ করবে। আর আজ সে-ই জাহান্নামের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। বাবা-মা দুনিয়াতে আপনাকে এতো নেক গুজারি দেখতো আপনাকে নিয়ে আশা ভরসা ছিলো। আর আপনি কি করেছেন সুযোগ পেলেই বিভিন্ন গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। গুনাহকে গুনাহ মনে করেন না। 

আপনি একটু আপনার নেক আমল আর বদ আমলের হিসাব-নিকাশ করুন দেখবেন নেক আমল এর থেকে বদ আমলগুলো পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আপনি কি ভুলে গেছেন আপনার দুই পাশে দুইজন ফেরেশতা আছে তারা আপনার প্রতিটি মুহূর্ত নোট করতেছে। আপনি তাদের দেখতে পান না কিন্তু তাদের আপনি বিশ্বাস করেন যে সে আমার প্রত্যেক টি কাজ লিখে রাখছে ভালো করলেও তা লিখছে খারাপ করলেও লিখছে। তারা তো এমনি এমনি লিখছে না তারা আপনার জীবনের ডায়েরিটি আল্লাহর কাছে জমা দিবে। তাহলে একটু সে সময়টা উপলদ্ধি করুন যে কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ আমাকে সমস্ত জীবনের কর্মগুলো দেখাবেন  তখন আপনার কি পরিস্থিতি হবে। সে সময় এর কথা ভেবে জন্য একটু ভয় করুন। এই কথাগুলো কি আপনার হৃদয়ে একটুকুও আঘাত করে না। আপনার হৃদয় কি পাশান হয়ে গেছে। যদি আপনার হৃদয়টা একটুকু নরম হয়। তাহলে বুঝবেন আপনার ইমানের শেষ বিন্দুটুও হলেও তা আছে তাহলে এতো দেরি কেনো আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষাম চান, সেজদায় লুটে পরুন দৃঢ় ভাবে তাওবা করুন। আপনি আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হোন। আপনি একনিষ্ঠ ভাবে তাওবা করলে আপনাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। আপনি হয় তো এতো গুনাহ করেছেন আর ভাবছে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন না। তাহলে আপনার ধারণা ভুল বান্দা গুনাহ করতে ভালোবাসে আর আল্লাহ মাফ করতে ভালোবাসেন কখনো নিরাশ হবেন না। আল্লহর দয়া ও রহমতের আশা করুন। আল্লাহর দয়া কখনো শেষ হবে না। তাই বলে এটা ভাববেন না যে, আমি পাপ করতেই থাকবো আর আল্লাহ কাছে পরে ক্ষমা চেয়ে নিবো। তাহলে আপনি চরম ভুল করবেন। এই কথা বলে শান্ত্বনা দেওয়া মানে শয়তানকে কে খুশি করা। এটা কিন্তু শয়তানের একটা বিরাট পরিকল্পনা এভাবে শয়তান আপনাকে ধোকা দিবে। আপনি একটি পাপ কাজ করলেন আর ভাবলেন পরে তাওবা করে নিবো অথবা ভাবছেন তাওবা করেলে আল্লাহ তোয়ামাকে ক্ষমা করবেন কিন্তু এটা কি ভেবেছেন আপনি কি তাওবা করার সুযোগ পাবেন আপনার হায়াত কতটুকু আপনি যদি সে পর্যন্ত বেচে না থাকেন। শয়তানের এই ধোকায় অনেকে পড়েছে পরে তাওবা করে নিবে বলে গুমিয়েছে তার আর ঘুম ভাঙ্গেনী। আপনার আমার মত কত যুবক-যুবতি আজ কবরের শুয়ে আছে তাওবা করা তো দূরের কথা তারা ভাবেও নি মৃত্যু তার এতো নিকটে ছিলো আহ আর এটাই আপনি কিভাবে গেরান্টি দিতে পারেন যে আপনার তাওবা কবুল হয়েছে।

আপনি এই পর্যন্ত বেচে আছেন শিঘ্রই তাওবা করুন। হয় তো আজকে রাতে ঘুমিয়ে গেলেন কিন্তু আপনার জীবনে আর কোনো সকাল আসলো না। আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন। একটু অনুতপ্ত হোন। বেশি বেশি তাওবা করুন আর অতিতে যে গুনাহ করেছেন সেগুলো আর যেনো পুনরায় না করেন তার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বেশি বেশি নেক আমল করা ও খারাপ বা মন্দ কর্মগুলো থেকে নিরাপদ রাখুন। (আমন)