JustPaste.it

22 bortoman-somaje-ohorohoporokiya

বর্তমান সমাজে অহরহ পরকিয়া, ডিভোর্স, দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মূল কারণ

 

বর্তমান সমাজে অহরহ পরকিয়া, ডিভোর্স, দাম্পত্য জীবনে অশান্তির মূল কারণ পরিবারের মধ্যে ইসলাম না থাকা। আর যে পরিবারে ইসলাম থাকবে না সে পরিবারে থাকবে না আল্লাহভীতি এবং নিজ কমের্র জবাবদিহিতা। এতে করে শয়তানের পরিকল্পনা অনুযায়ী যাচ্ছেতাই করে যাওয়া যায়। যার দরুন ঘরে বৌ থাকা সত্ত্বেও পর-নারীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কিছু পুরুষের জন্য মামুলি ব্যাপার। এভাবে একটা পর্যায়ে ঐ পুরুষরা নিজ বৌয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং পরকিয়ায় জড়িয়ে যায়। এরপর পারিবারিক অশান্তি, এমনকি ডিভোর্সের মত ঘটনাও ঘটে। আর এটা ঘটে ঐ পুরুষগুলোর মধ্যে আল্লাহ ভীতি না থাকার কারণে। আল্লাহভীতি তো সেটাই যা স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর আল্লাহর জন্য নিজেদের চোখ ও অন্তরকে হেফাজত করে এবং আল্লাহর জন্য একে অপরকে গভীরভাবে

ভালোবাসে। যে ভালোবাসা বিয়ের দিন যেমন থাকে, বিয়ের ৩০ বছর পরেও একই রকম থাকে। আর এটা হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য রহমত। তারা আল্লাহর জন্য নিজেদের চরিত্র হেফাজত করেছেন বলে আল্লাহ তাদের দুজনের মধ্যে এমন গভীর ভালোবাসা স্থাপন করে দিয়েছেন। ইসলামের বিপরীত স্রোতের মানুষগুলোর জন্য যা শুধু কল্পনা ! আমাদের সমাজে তথাকথিত মা-বাবারা তাদের সন্তানদের বিয়ে দেয়ার সময় তাকওয়া দেখে বিয়ে দিতে চায় না। তারা দেখে ছেলে কত টাকার মালিক, ফ্যামিলি স্ট্যাটাস কেমন, কত গুলো ডিগ্রী আছে ছেলের বাস্কেটে। অথচ, একবারের জন্য ভাবতে চায় না, যে ছেলের কাছে সারা জীবনের জন্য তার মেয়েকে দিচ্ছে, সে ছেলের চরিত্র ঠিক কিনা বা ছেলেটির ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহভীরুতা আছে কিনা! একইভাবে দেখা যায় ছেলেদের ক্ষেত্রে। সুন্দরী বৌয়ের খোঁজে তারা তাকওয়াবান স্ত্রীর কথা ভুলে যায়। একসময় দেখা যায়, সেই সুন্দরী বৌ তাকে ফেলে চলে যায় বা পরকিয়ায় আক্রান্ত হয়, বা তার নিজের রুপের অহংকারে সংসারে সবসময় অশান্তি লেগেই থাকে। অথচ, রাসূল ﷺ বলেছেন, দুনিয়ার যত সম্পদ আছে, তার মধ্যে উত্তম সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। আমাদের মা-বাবাদের উচিত তাদের কন্যাদের সু-পাত্রস্থ করতে চাইলে দীনদার, পরহেজগার, তাকওয়াবান যুবকদের সাথে বিয়ে দেয়া। এতে করে কন্যাও সুখী হবে এবং সমাজেও পরকিয়া, ডিভোর্সের মত ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। এই ব্যাপারে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশনা হল :- ‘যার দীনদারী ও আখলাক-চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, এমন কেউ প্রস্তাব দিলে তার সাথে তোমরা বিবাহ সম্পন্ন কর। তা না করলে পৃথিবীতে ফিৎনা দেখা দেবে ও ব্যাপক ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে।’ (তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৪)

আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আল বালাগ

ম্যগাজিন ইস্যু-১