JustPaste.it

 

 

ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের মিডিয়া শাখার (অডিও ও ভিজ্যুয়াল বিভাগ) একটি পরিবেশনা

 

বিজয়ী বাহিনী

(১)

 

 

(এটি একটি জিহাদী পরিবেশনা; সব ধরনের বাদ্যযন্ত্রসহ সম্প্রচার নিষেধ)

 

 

 

وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّـهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ اللَّـهُ يَعْلَمُهُمْ ۚ وَمَا تُنفِقُوا مِن شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللَّـهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ ﴿٦٠

“আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে, যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না।” (সূরা আনফাল, আয়াত:৬০)

 

বিজয়ী বাহিনী

(১)

চুম্বকাংশ

সামরিক প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতা এখন ব্যায়াম, ক্রীড়া ও সামরিক অবস্থাদী প্রদর্শনের পর্যায়ে রয়েছে

শুরুতে আমরা প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার জন্য শত্রু ঘাঁটির গেইটের ক্ষুদ্র যানগুলোকে উড়িয়ে দিব তারপর পাঁচজন ফিদায়ী মুজাহিদ দ্রুত ঘাঁটি গুড়িয়ে দিবে।

 

শাইখ মুহাম্মাদ শরীফ হাফিজাহুল্লাহ

“জিহাদে বিজয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং তার পাঠদান। মুজাহিদরা বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিবে।”

 

শাইখ মুহাম্মাদ কাসিম হাফিজাহুল্লাহ

“ইসলামিক ইমারত আফগানিস্তানের সামরিক শক্তি, একটি ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী এবং স্বাধীন শক্তি।”

 

মৌলভি আব্দুর রহমান রাশেদ হাফিজাহুল্লাহ

“আমরা ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের সামরিক জিহাদী শক্তি নিয়ে গর্বিত।”

 

শাইখ শিহাবুদ্দিন দিলাওয়ার হাফিজাহুল্লাহ

“আফগানীদের অবশ্যই এই শক্তির পক্ষে দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।”

বিজয়ী বাহিনী

(১)

প্রথম পর্ব

বৈষয়িক ও নৈতিক প্রস্তুতি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যে অন্যতম। নৈতিক প্রস্তুতির মাধ্যমে একজন মুজাহিদ তাঁর দায়িত্বসমূহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম অনুযায়ী ভালো ভাবে সম্পাদন করতে পারবে এবং জিহাদের কষ্টসমূহ ও জিহাদের ফলাফলের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার ক্লান্তি সহ্য করতে পারবে।

নৈতিক প্রস্তুতির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে:

  1. ঈমানী
  2. ফিক্বহী
  3. বুদ্ধিবৃত্তিক

ঈমানী প্রস্তুতির মাধ্যমে একজন মুজাহিদ উপলব্ধি করতে পারবে কার সাথে বন্ধুত্ব করবে আর কার সাথে শত্রুতা পোষন করবে? এর দ্বারা তার অন্তরে পরকালীন নিয়ামতের প্রতি ভালবাসা ও দুনিয়ার প্রতি উপেক্ষা সৃষ্টি হবে। তার নিয়ত ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ হবে। তার চরিত্র ইসলামি শরিয়তের আলোকে সজ্জিত হবে এবং সে আল্লাহ তাআলার নিকট সবচে প্রিয় আমল ইসলামি দাওয়াত ও জিহাদ করবে।

আর ফিক্বহী প্রস্তুতির মাধ্যমে একজন মুজাহিদ জিহাদের শর্তাবলী, তার আদবসমূহ এবং বিধানাবলী জানতে পারবে। এর ফলে তার জিহাদ এমন কোন যুদ্ধে পরিণত হবে না যা ইসলামি শরীয়ত সম্মত জিহাদ নয় এবং যা আখিরাতে তার জন্য প্রতিদানের পরিবর্তে বিপদ হবে।

আর বুদ্ধিবৃত্তিক প্রস্তুতির মাধ্যমে একজন মুজাহিদ তার দাওয়াতের সত্যতা প্রকাশ করতে পারবে। উদ্ভূত সন্দেহাবলী খণ্ডনে সক্ষম হবে। শত্রুর চক্রান্ত ও কুটকৌশল ত্বড়িৎ উদঘাটন করতে পারবে এবং একই সাথে বিভিন্ন বিষয় পরিচালনা ও সম্পাদন করার যোগ্যতা অর্জন করবে।

বৈষয়িক প্রস্তুতির মাধ্যমে একজন মুজাহিদ এবং জিহাদী জামাআত জিহাদের জন্য আবশ্যকীয় সমস্ত বৈষয়িক উপকরণসমূহ পূর্ণ করতে সক্ষম হবে। বৈষয়িক প্রস্তুতিরও অনেকগুলো প্রকার রয়েছে: যেমন অর্থনৈতিক, মিডিয়াকেন্দ্রিক, চিকিৎসাগত ও সামরিক।

সামরিক প্রস্তুতি, বৈষয়িক প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকার। আর সামরিক পণ্য উৎপাদন সামরিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্ব বহন করে।

সুতরাং মুজাহিদরা যদি সমরশিক্ষা অর্জন করতে পারে তাহলে তারা জিহাদকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবে। আর বর্তমানে যদিও ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদদের ভারি সামরিক উপকরণগুলো উৎপাদনের অনুকূল সুযোগ নেই, কিন্তু তারা যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক উপকরণগুলোর ক্ষুদ্র শিল্প চালু করতে সক্ষম। আমেরিকা ও তার মিত্রদের নেতৃত্বে পরিচালিত পশ্চিমা দখলদাররা বিস্ফোরক ডিভাইস, যন্ত্রাদি এবং হালকা যানসমূহের মাধ্যমে ব্যাপক জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি ভোগ করেছে। এসকল বিস্ফোরক পদার্থ ও উপকরণসমূহ ইমারতে ইসলামিয়ার মুজাহিদরা নিজেরাই উৎপাদন ও প্রস্তুত করে থাকে।

সামরিক উপকরণ ক্রয় এবং তার ব্যবহার শেখা বিশেষত – ‘নিক্ষেপণ’। একেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শক্তি বলে অভিহিত করেছেন। বডি ফিটনেস, শারিরীক কষ্ট সহ্য করার জন্য শরীরকে অভ্যস্তকরণ, যুদ্ধ দক্ষতা এবং যুদ্ধ কৌশল সামরিক প্রস্তুতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়। সবগুলোরই স্ব স্ব জায়গায় বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

আল হিজরাহ স্টুডিওর দর্শকবৃন্দ!

আল ফাতেহ বাহিনীতে বিভিন্ন ফিদায়ী ইউনিটের স্নাতকোত্তর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত “বিজয়ী বাহিনী” নামক প্রযোজনা শুরু হয়েছে। যার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অংশ বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষণ, শারীরিক ফিটনেস, সামরিক দক্ষতা ও যুদ্ধ কৌশল প্রদর্শনের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। চলুন আমরা দুটি পর্বকে শেষ করি এবং নিজেদের ঈমানি ও জিহাদি চেতনাকে আলোকিত করি।

 

 

বিজয়ী বাহিনী

(১)

দ্বিতীয় পর্ব

সামরিক কমান্ডারঃ “সামরিক প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতা এখন ব্যায়াম, ক্রীড়া ও সামরিক অবস্থাদী প্রদর্শনের পর্যায়ে রয়েছে। ইনশাআল্লাহ এটি সুশৃঙ্খলভাবে এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে চলমান থাকবে। ইনশাআল্লাহ আপনারা সবাই প্রস্তুত?”

মাঠ পর্যায়ের কমান্ডারঃ “হ্যাঁ, সম্মানিত সামরিক প্রশিক্ষণ কমান্ডার! আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ইনশাআল্লাহ আমরা এখন শো করতে প্রস্তুত।”

সামরিক কমান্ডারঃ “আলহামদুল্লিাহ। বেশ! তবে আপনাদের অবশ্যই যুদ্ধ দক্ষতা প্রদর্শনীতে সমস্ত দিক-নির্দেশনা ও পেশাগত মানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আর প্রদর্শনী ভাল করতে অত্যধিক গুরুত দিতে হবে। সর্বশেষ আমরা আল্লাহর কাছে দোআ করি...”

 

শাইখ মুহাম্মদ শরীফ হাফিজাহুল্লাহ

ইমারতে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য

“জিহাদে বিজয়ের জন্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং তার পাঠদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  মুজাহিদরা বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিবে।

উক্ববা বিন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:

سَمِعْتُ رَسولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عليه وَسَلَّمَ وَهو علَى المِنْبَرِ يقولُ: {وَأَعِدُّوا لهمْ ما اسْتَطَعْتُمْ مِن قُوَّةٍ}، أَلَا إنَّ القُوَّةَ الرَّمْيُ، أَلَا إنَّ القُوَّةَ الرَّمْيُ، أَلَا إنَّ القُوَّةَ الرَّمْيُ.

“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মিম্বরে আসীন অবস্থায় বলতে শুনেছি। তিনি বলেন: “তোমরা তাদের মোকাবিলায় সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি সঞ্চয় করে রাখো।” (সূরা আনফাল, আয়াত: ৬০) আর জেনে রাখো, এ শক্তি হচ্ছে নিক্ষেপণ শক্তি, জেনে রাখো, এ শক্তি হচ্ছে নিক্ষেপণ শক্তি, জেনে রাখো, এ শক্তি হচ্ছে নিক্ষেপণ শক্তি। [সহিহ মুসলিম- ১৯১৭]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪শ বছর পূর্বেই আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন যে, ‘নিক্ষেপণ প্রস্তুতির অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকার। কাফেররা নিক্ষেপণ ও মিসাইলে উন্নতি করেছে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শিক্ষা থেকে উপকৃত হয়েছে। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, ‘নিক্ষেপণ হচ্ছে আল্লাহর কালিমা সমুন্নত করা, তাঁর দ্বীনকে বিজয়ী করা এবং মুসলমানদের রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তোমরা অস্ত্রের গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য করো, যার কাছে অস্ত্র আছে সে বিশ্বে কর্তৃত্ব করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে জানিয়ে গেছেন অথচ কাফেররা সেটাকে গ্রহণ করেছে আর মুসলমানরা অবহেলা করেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন মুসলমানদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেন।”

 

(কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শো শুরু হয়েছে)

إِنَّ اللَّـهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ ﴿٤

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ভালবাসেন যারা তাঁর রাস্তায় সীসাঢালা প্রাচিরের ন্যায় সারিবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে। (সূরা আস,-সফ ৬১: ৪)

 

 

শাইখ মুহাম্মাদ কাসিম হাফিজাহুল্লাহ

ইমারতে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য

“আলহামদু লিল্লাহ বর্তমান বাস্তবতা সুদৃঢ় এবং সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত করে যে, ইসলামিক ইমারত আফগানিস্তানের সামরিক শক্তি - একটি সমন্বিত, শক্তিশালী, স্বাধীন এবং পুরো আফগান জনগণের শক্তি। এর ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী এবং এর ইউনিটগুলোর মাঝে সুদৃঢ় শৃঙ্খলা রয়েছে ও পেশাদারি দক্ষতা রয়েছে।

এই দল বিশুদ্ধ ইসলামি আক্বিদা ও তার পবিত্র ভূমিসমূহকে রক্ষা করে এবং ইমারতে ইসলামিয়ার নেতৃত্বের প্রতি দৃঢ়ভাবে আনুগত্য প্রদর্শন করে। এই শক্তি তার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাগত বিষয়ে ইসলামি শরীয়ার নীতিমালাকে কঠোরভাবে অনুসরণ করে। আমরা ইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক শক্তি নিয়ে সম্মানিত বোধ করি এবং তাকে আফগানিস্তানের প্রকৃত শক্তি হিসেবে গণ্য করি। আল্লাহর কাছে দোআ করি যেন তিনি তাকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ সফলভাবে সম্পন্ন করার তাওফিক দেন।”

 

 

 

বিজয়ী বাহিনী

(১)

তৃতীয় পর্ব

সামরিক কমান্ডারঃ “আলহামদুলিল্লাহ চলমান প্রশিক্ষণের সামরিক প্রদর্শনী বিষয়ক প্রথম পর্ব এবং যুদ্ধ দক্ষতা বিষয়ক দ্বিতীয় পর্ব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা তৃতীয় পর্ব শুরু করবো।

আর তৃতীয় পর্বে যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলসমূহ প্রদর্শন করা হবে। যেমন দৈনিক আক্রমণ, কম্বিং অপারেশন, রাতের ফিদায়ী হামলাসমূহ, কম্বিং, শিকার, বন যুদ্ধ এবং ব্রেকিং অভিযান। ইনশাআল্লাহ আপনারা প্রস্তুত?”

মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার (১ম জন): “হ্যাঁ, সম্মানিত কমান্ডার! আলহামদু লিল্লাহ সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিছু সরঞ্জাম অপূর্ণ রয়েছে সেগুলো অচিরেই পূর্ণ হবে। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।”

মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার (২য় জন): “প্রদর্শনীর জন্য বরাদ্দের সময় কিছুটা বাড়ানো দরকার যাতে প্রদর্শনীটি ভালোভাবে করা যায়।

মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার (৩য় জন): “আলহামদুলিল্লাহ প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত যুবকেরা সবাই যথেষ্ট মেধাবী। তারা পরীক্ষামূলক প্রদর্শনীতে যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছে।”

মাঠ পর্যায়ের কমান্ডার (৪র্থ জন): “আসলে কমান্ডাররা প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশনা দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তারা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আছে, আমাদের এখন অগ্রসর হওয়া উচিত।”

সামরিক কমান্ডারঃ “সামরিক প্রশিক্ষণের এ পর্বটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদেরকে অবশ্যই নির্ভুল, তড়িৎ ও আকস্মিক (পদক্ষেপ) নিতে  হবে। যে কোন সামরিক কৌশলে, আপনাদেরকে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত পেশাদারী নির্দেশিকা লক্ষ রাখতে হবে। এমন ভাবে প্যারেড করুন যা শত্রুকে সন্ত্রস্ত করে এবং মুমিনদের অন্তরকে প্রশান্ত করে।”

 

মৌলভি আব্দুর রহমান রাশেদ হাফিজাহুল্লাহ

ইমারতে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য

“আমরা ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সামরিক শক্তি নিয়ে গর্বিত। প্রকৃতপক্ষে এটা সমস্ত আফগানীদের শক্তি, বরং এটি পুরো আফগানিস্তানের প্রকৃত সামরিক শক্তি। আফগানিস্তান ফিতনা-ফাসাদ থেকে মুক্তি লাভ করেছে। দীর্ঘ সময় পর পৃথিবীর বুকে সঠিক ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা এখনো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে যাচ্ছে এবং দুই দশক ধরে দখলদার আমেরিকা ও তার অভ্যন্তরীন মিত্রদের সাথে লড়াই করছে। তাদের ইসলামি আকীদা, পবিত্র নীতি ও নিজ ভূমি রক্ষা করে আসছে। আর তারা এত বিশাল বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে যা ইতিহাসে খুব কমই পরিলক্ষিত হয়।

আমরা যদি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির ইতিহাসের পাতা উল্টোই তাহলে দেখব গোলাম সরকারের সৈন্যরা সর্বদাই দখলদারদের সহায়তা করেছে এবং দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এখনও তারা দখলদারদের রক্ষায় আফগান জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আর শত্রুর সারিতে মিলে আছে। তারা আমাদের ইসলামি আকীদা, নিয়ম নীতি ও আমাদের দেশের বিরুদ্ধে (অবস্থান নিয়েছে)।”

 

এখন লেজার অপারেশনের জন্য মাঠ প্রস্তুত হয়েছে শুরুতে কমান্ডার আক্রমণকারী ও স্নাইপারদের ইশারায় নির্দেশ দিবেন এবং শত্রু পয়েন্টের কাছে পৌঁছে যাবেন। যখন মুজাহিদরা নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছে যাবে তখন গার্ডদের টার্গেট করে স্নাইপিং শুরু করবে। তারপর মুজাহিদরা শত্রু পয়েন্টে হ্যান্ড গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ করবে এবং সেটা গুড়িয়ে দিবে।

 

এখন বন যুদ্ধের পর্যায় প্রথমে একদল ভাই বনের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে এবং উপযুক্ত স্থানে ঘাঁটি করবে। এরপর “ড্রাগনভ” রাইফেল দিয়ে শত্রুর গার্ডদের হত্যা করবে। তারপর আক্রমণকারী মুজাহিদরা আক্রমণ শুরু করবে।

এখন শত্রুর আকস্মিক আক্রমণ প্রতিরোধ কার্যক্রমের মাঠ প্রশিক্ষণ চলবে মুজাহিদরা একটি সুড়ঙ্গে প্রবেশ করবে এবং তার চারপাশে মাইন পুঁতবে। যখনই কমান্ডার (শত্রু সৈন্যরা) সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছবে মুজাহিদরা বোমাগুলো বিস্ফোরন করবে। সাথে সাথে নাইট ভিশন বাইনোকুলার ব্যবহার করে তাদের উপর গুলি বর্ষণ করবে। ফলে আক্রমণকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে পালিয়ে যাবে এবং অভিযান ভেস্তে যাবে।

এখন আমরা দিনের বেলা হামলা এবং চিরুনি অভিযানের মাঠ প্রশিক্ষণ দেখবো আমাদের লক্ষ্য শত্রুর নতুন ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতে অন্যান্য কক্ষগুলো ছাড়াও একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে। আর শত্রু গেটে ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ঘাঁটি সুরক্ষার জন্য দুটি চেকপোস্ট রয়েছে। প্রথমে ডান দিকের চেকপোস্টকে আরপিজি দ্বারা টার্গেট করা হবে। তারপর মুজাহিদরা ফায়ারিং ও নির্দিষ্ট কলাকৌশল ব্যবহার করে তিন ভাগে এগিয়ে যাবে। তারপর বাম দিকের চেকপোস্টকে আরপিজি দ্বারা টার্গেট করা হবে। এরপর মুজাহিদরা ফায়ারিং ও নির্দিষ্ট চলার পদ্ধতিতে এগিয়ে যাবে। এভাবে অতি দ্রুত শত্রুর ঘাঁটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। একদল নিচতলায় চিরুনি অভিযান চালাবে। আরেকদল হ্যান্ড গ্রেনেড মারার পর উপর তলায় উঠবে এবং সেখানে চিরুনি অভিযান চালাবে।

আলহামদুলিল্লাহ আমরা রাত্রিকালীন ফিদায়ী অপারেশনের জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি প্রথমে আমরা প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য শত্রু ঘাঁটির গেটে পার্কিং করা গাড়ি উড়িয়ে দিব। তারপর পাঁচজন আত্মত্যাগী অতিদ্রুত ঘাঁটিতে আক্রমণ করবে এবং সুশৃঙ্খল ও পেশাদার পদ্ধতিতে চিরুনি অভিযান চালাবে।

 

শাইখ শিহাবুদ্দীন দিলাওয়ার হাফিজাহুল্লাহ

ইসলামি ইমারতের আলোচনা পর্ষদের সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যুরোতে আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বিভাগের প্রধান

“ইসলামি ইমারতের সামরিক শক্তি আমাদের দেশের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক সুরক্ষা ও ইসলামি শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করেছে। আফগানীদের অবশ্যই তাদের এই শক্তির প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। আর ইমারতে ইসলামি আফগানিস্তানের দায়িত্বশীলদের অবশ্যই তাদের পরবর্তী গুরুদায়িত্বসমূহ পালনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আসন্ন ইসলামি ব্যবস্থা, শান্তি ও দেশের অগ্রগতির জন্য আপনাদের উত্তম পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, শক্তি এবং দৃঢ়তা দরকার। সুতরাং আপনাদের ইউনিটগুলোর ঐক্য রক্ষা করুন এবং তাকে পেশাদার ও উন্নত দক্ষতায় সজ্জিত করুন। আমরা আপনাদের ত্যাগ ও বীরত্বে গর্বিত। আমরা আপনাদেরকে দ্বীন, সম্মান ও স্বদেশের রক্ষক শক্তি মনে করি। আমরা আল্লাহর কাছে দোআ করি, তিনি যেন আপনাদেরকে আরো অধিক বিজয় এবং কৃতিত্ব দিয়ে সম্মানিত করেন।”

 

 

“আমার মুজাহিদ ভাইয়েরা!

যেহেতু আমরা আল্লাহর ইচ্ছায়, আল্লাহর সাহায্য, তারপর আপনাদের ত্যাগ ও বীরত্বের মাধ্যমে একটি ইসলামিক ব্যবস্থা কার্যকর করতে চলেছি, সুতরাং আপনাদের ইউনিটগুলোকে শক্তিশালী ও সমন্বিত করুন ঐক্যবদ্ধ হোন আল্লাহকে ভয় করুন আনুগত্যের সাথে চলুন এবং আপনাদের প্রভুর শুকরিয়া আদায় করুন এমন কথা বা কাজ এড়িয়ে চলুন যা আল্লাহর ক্রোধ ও শাস্তি নিয়ে আসে।”

 

আমিরুল মুমিনীন শাইখুল হাদিস হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিজাহুল্লাহ

সফরুল মুজাফ্ফার ১৪৪২ হি.

*************