-শাইখ খালিদ বাতারফি আবু আল মিকদাদ আল কিনদি (মহান আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন)
আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (৩:১৪৬)
সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য এবং রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রিয় নবী ও আল্লাহর বার্তাবাহক হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। তারা আর কিছুই বলেনি-শুধু বলেছে, হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা কিছু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে আমাদের কাজে। আর আমাদিগকে দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের উপর আমাদিগকে সাহায্য কর। (৩:১৪৬-১৪৭)
দুই যুগের বেশী সময় ধরে জ্বিহাদ ও সংগ্রামের পথ অতিক্রম করে আমরা পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য গর্ভবোধ করি এবং বিশেষ করে আল আনিশা (Anisah) উপজাতির জন্য। জ্ঞানী মুজাহিদ শাইখ আবু মুহাম্মাদ ইবনে আলি আল আনিসি আমেরিকার আক্রমণে তার বড় ছেলে মুহাম্মাদ এবং তার আরো কিছু ভাই সহ নিহত হয়েছেন। মহান আল্লাহ তাদের উপর দয়া করুন এবং তাদেরকে শহীদের মর্যাদায় কবুল করুন। আমিন।
শাইখ আবু মুহাম্মাদ ইবনে আলি আল আনিসি অনেক বছরের কঠিন পথ অতিক্রম করে মহান আল্লাহর নিকট উপস্থিত হয়েছেন। দীনের শত্রুরা শেষ পর্যন্ত তাকে তার ঘোড়া থেকে নামাতে পেরেছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি ছুটে গিয়েছেন বিভিন্ন জ্বিহাদের ময়দানে, পূর্ব থেকে পশ্চিমে, ফিলিপিন থেকে কাশ্মীর ও আফগানিস্তান এবং তাজিকিস্তান থেকে ইয়েমেন। তিনি সর্বদা তার তরবারি ও জবান দ্বারা জ্বিহাদ করেছেন। তিনি তার কাজে ও ত্যাগের ক্ষেত্রে গভীর মনোযোগী ছিলেন। তিনি দীনের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করতে সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন। আপনারা তাকে খুব বেশী দেখেন নি, কিন্তু তিনি ছুটে বেরিয়েছেন বিভিন্ন জিহাদের ময়দানে এবং বসেছেন জ্ঞানীদের জ্ঞানের বৈঠকে। তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেছিলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুজাহিদ প্রশিক্ষক এর নিকট হতে এবং জ্ঞান লাভ করেছিলেন উত্তম উলামাদের নিকট থেকে; এই দুই জ্ঞানের সমন্বয় তিনি তার দীনি জ্ঞান লাভ করেছিলেন।
মহান আল্লাহ শাইখ আবু মুহাম্মাদ ইবনে আলি আল আনিসির উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তিনি ছিলেন এই সময়ের একজন অন্যতম প্রভাবশালী ইমাম, যেমন ছিলেন পিতা ও পুনর্জীবনকারী শাইখ উসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন)। শাইখ উসামার নিকট হতে শাইখ আনিসি শিক্ষা লাভ করেছেন জ্ঞান ও নিরবতা, জিহাদের ফিকাহ, অভিযানের কৌশল এবং ইসলামের দিকে দাওয়াতের পদ্ধতি। তিনি বিভিন্ন অভিজ্ঞ নেতাদের কূপ হতে পানি পান করেছেন যেমন পিতা শাইখ আইমেন আল জাওহাহিরি (আল্লাহ তাকে হেফাযত করুন), শাইখ আবু হাফসা আল মিসরী(আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন), শাইখ মুস্তফা ইবনে ইয়াজিদ(আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন), শাইখ সাফ আল আদিল, শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল মিশরী এবং শাইখ আবু খাইর। তারা ছিলেন জ্বিহাদের প্রথম প্রজন্মের প্রভাবশালী নেতা এবং আধুনিক জ্বিহাদের প্রতিষ্ঠাতা। শাইখ আবু মুহাম্মাদ ইবনে আলি আল আনিসি ছিলেন প্রতিষ্ঠান যার ছিল অনেকগুলো দরজা। শাইখ আবু মুহাম্মাদ ইবনে আলি আল আনিসি বিভিন্ন জায়গা হতে পানি পান করেছেন, বিভিন্ন জায়গা হতে পরিপক্ব ফল ও খাদ্য আহরণ করেছেন, অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জ্ঞান লাভ করেছেন, পরিস্থিতির মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হয়েছেন, তিনি হয়েছেন সবল ও শক্তিশালী, তার মানসিকতা ছিল তীক্ষ্ণ এবং নিভু নিভু ছিলনা। উম্মাহর জন্য ছিল তার সকল সংগ্রাম ও চিন্তা-চেতনা। তিনি সর্বদা জীবন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মনযোগী ছিলেন এবং এর মাধ্যমে তিনি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে পুণ্যবান ব্যক্তিদের একজন হিসেবে উদাহরণ হয়ে থাকবেন। তাদের অশ্রু এখনও তাদের জন্য কাঁদে। কাফেলা ধর এবং এর সাথে যুক্ত হও। শাইখ প্রায় এক যুগ ধরে নিজেকে সম্পূর্ণ ব্যস্ত রেখেছেন ধর্মীয় জ্ঞান এবং ইসলামী ফিকাহ এর জ্ঞান অর্জনের জন্য। এছাড়াও তিনি, মুজাহিদদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতেন, সামরিক প্রশিক্ষণ এর নির্দেশাবলী ও বই লিখতেন, সামরিক প্রশিক্ষণ এর বৈঠক করতেন। তিনি মুজাহিদদের পাঠাতেন ইরাক এবং আফগানিস্তান এবং অন্যান্য জ্বিহাদী ময়দানে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ধর্মীয় জ্ঞান এবং ইসলামী ফিকাহ জ্ঞান অর্জন করা জ্বিহাদের পথে বাধা নয়। তিনি এটাও নির্দেশ করে দেখিয়েছেন যে, দীনি জ্ঞান অর্জন ও জ্বিহাদের ময়দান একটি আরেকটি হতে পৃথক নয়। জ্ঞান ও উলামা ছাড়া কোন জ্বিহাদ নেই। জ্বিহাদ করা যখন প্রয়োজনীয় ও বাধ্যতামূলক, তখন একজন ব্যক্তি যিনি দ্বীনী জ্ঞান অর্জনে ব্যস্ত, তার জন্য জ্বিহাদ ব্যতীত অন্য কিছু করা ঠিক নয়। আমরা আমাদের পুণ্যবান অগ্রজদের নিকট থেকে এই শিক্ষাই পেয়ে থাকি। মহান আল্লাহ তাদের সবাইকে রহমত বর্ষণ করুন, যারা জ্ঞান অর্জন এবং জ্বিহাদ করেছেন। তাদের মত ব্যক্তিবর্গ হল দুই জগতের আসল যোদ্ধা এবং জ্ঞানী মুজাহিদদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
হে মুসলিম উম্মাহ, এটা হলো আপনাদের যোদ্ধাদের মধ্যে একজন যোদ্ধা, আপনাদের বীরদের মধ্যে একজন বীর, আপনাদের একজন খুঁটি। তিনি তার সুউচ্চ ঈমান এবং আকিদার উপর ধৈর্য ধারণ করে, মহান আল্লাহ নিকট ধাবিত হচ্ছেন।তিনি তার আঙ্গুল সর্বদা নিশানার উপর রাখে এবং তিনি জিহাদের ময়দান ছেড়ে কোথাও যেতে অস্বীকার করে। তিনি জ্বিহাদের ময়দানে তার মুজাহিদ ভাই ও সন্তানদের পরামর্শ প্রদান, পরিচালনা করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করতে অগ্রগামী। তিনি ভ্রান্ত পথ থেকে সবাইকে দূরে রাখে এবং যারা জিহাদকে পরিবর্তন করতে চায় তাদের হাত থেকে জিহাদকে রক্ষা করে। তিনি এবং তার পূর্বে যেসব শহীদ নেতা এসেছে তারা পরস্পর ঘনিষ্ঠ এবং তাদের পরে যারা নতুন এসেছে তাদেরকেও তারা ত্যাগ করে না। যদি কখনো বিপদ বৃদ্ধি পায় তারা তখনো ময়দান ত্যাগ করে না। তারা শত্রুর জন্য ওঁত পেতে বসে থাকে। তারা মুজাহিদ গনের নিকট অনুকরণীয় আদর্শ এবং তাদের ছাত্রদের নিকট শ্রেষ্ট শিক্ষক। তারা বড় একটি মুজাহিদ দলকে ভালোবাসা, স্নেহ, দয়া এবং ধৈর্যের সাথে পরিচালনা করে। এই ক্ষেত্রে তাদের আদর্শ হল রসূল মুহাম্মাদ (আল্লাহ নবী, তার পরিবার ও তার সাহাবীদের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।)। নবী (সাঃ) তার সুফুফকে (sufuf) সামনের সারি হতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নবী (সাঃ) আহত হওয়ার আগ পর্যন্ত ময়দানে থেকে মুজাহিদদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ময়দানে যুদ্ধ করতে গিয়ে রাসুল (সাঃ) এর দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন এবং তার অনুসারীরা তার নিকট হতে দূরে সরে গিয়েছিল। তিনি তার প্রিয় সাহাবীদের নিয়ে উহুদ এবং হুনাইয়ের যুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। রাসুল (সাঃ) এর দেখনো পথ ও পথ নির্দেশনা আজও মুজাহিদ নেতাগণ অনুসরণ করেন। এতটাই যে, তারা মারা যাবে না যতক্ষণ না তারা মৃত্যুকে বার বার ধোঁকা দেয়। সুতরাং তারা যুদ্ধকে সাধারণভাবে নেয়, তারা নিশ্চিতভাবে জানে যে, দুঃসাহসিকতা শাহাদাতের মর্যাদাকে ত্বরান্বিত করবে না আবার এটাকে ছেড়ে দিলেও তা দেড়ি হবে না। প্রতিটি মুহূর্তে তিনি মুসলমানদের নেতা আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর এই কথাটা বারবার বলতেন। যারা হাতে মুহাম্মাদ এর প্রাণ, আমি ইচ্ছা পোষণ করি যে, আল্লাহর পথে লড়াই করি ও শহীদ হই, আবার লড়াই করি ও শহীদ হই এবং আবার লড়াই করি এবং শহীদ হই।
হে মুজাহিদগণ; মহান আল্লাহ আপনাদেরকে বাছাই করেছেন এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে দৃঢ়পদ রেখেছেন, যে লড়াই গুলো ছিল ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও দুর্ধর্ষ যুদ্ধ। সবচেয়ে নতুন দুর্ধর্ষ যুদ্ধটি ১৫ বছর ধরে চলছে। আপনারা যুদ্ধ করছেন বর্তমান সময়ের হুবাল (কুরাইশদের অনেক মূর্তি ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল) এর সাথে, আমেরিকা এবং সে সব মুরতাদ যারা আমেরিকাকে সাহায্য করে। আপনারা তাদের ক্লান্ত ও ব্যস্ত রেখেছেন আপনাদের জ্বিহাদ ও আক্রমণ দ্বারা। আপনারা পৃথিবীর ইতিহাসে তাদের চেয়ে বেশী ধৈর্য ধারণ করেছেন। এবং যত কঠিন ত্যাগ স্বীকার করা যায় আপনারা তা করেছেন। এই জ্বিহাদী ব্যানারের কখনো পতন হবে না, যদি তা কখনো দুর্যোগে আক্রান্ত হয় এবং শত্রুর শিকল দ্বারা আবদ্ধ হয়। বর্তমান সময়ে এত ত্যাগ স্বীকার করার পর এই পথ পরিপূরণ হয়ে গিয়েছে হাজার বন্দি ও শহীদ দ্বারা এবং হাজার বিধবা ও এতিম শিশু দ্বারা। সারা বিশ্বের মুসলমানদের অন্তর আপনাদের জন্য খুলে গিয়েছে, তাদের সুফুফ (sufuf) আপনাদের ঘিরে রেখেছে এবং তাদের কান আপনাদের জন্য খুলে গিয়েছে। এটাই হল উত্তম প্রকারের বিজয় অর্জন।
এটা কোন আশ্চর্যের কারণ নয় যে, মহান আল্লাহ ময়দানে আমাদেরকে বিজয় দান করেন এবং ট্যাক্স হিসেবে শহীদদেরকে আমাদের নিকট হতে নিয়ে নেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন: যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী (১১০:১-৩)। প্রতিটি জ্বিহাদের প্রতিটি অধ্যায়ে আল্লাহ মুজাহিদগণের নিকট হতে শহীদদের নিয়েছেন। যখন রাশিয়া কে আফগানিস্তান হতে বের করে দেয়া হয়েছে তখন আল্লাহ তায়ালা মুজাহিদদের নিকট হতে মুজাহিদদের শাইখ, শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম(রঃ) কে নিয়ে গিয়েছেন। বরকতময় আরব বসন্তের বিপ্লবের পর মুসলমানদের মধ্যে যে জাগরণ শুরু হয়েছ, আল্লাহ তখন বাছাই করেছেন ইমামকে যিনি ইমানকে পুনঃ জাগরিত করেছেন; তিনি হলেন শাইখ ওসামা বিন লাদেন (রঃ)। আজকে যখন বীর মুজাহিদ গণ বিভিন্ন ভূমিতে বিজয় অর্জন করছেন তখন একদল নেতাকে বিশ্বের বিভিন্ন ভূমি থেকে আল্লাহ তায়ালা শহীদ হিসেবে তার নিকট নিয়ে নিচ্ছেন। তারা উত্তমরূপে আল্লাহর পথে জ্বিহাদ করতেন, তারা উম্মাহকে উপদেশ দিতেন, তারা বিশ্বাসকে পরিপূর্ণ করতেন। আমরা তাদের সম্পর্কে এই ধারণাই পোষণ করি, মহান আল্লাহ চূড়ান্ত ও সর্বোত্তম বিচারক। মহান আল্লাহর সঠিক জ্ঞানের আলোকে আমরা কোন ব্যক্তির গুণাবলীর প্রশংসা করি না। আল্লাহ তাদের ইসলাম ও মুসলিম করে পুরস্কৃত করেছেন। আমরা আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি যে আল্লাহ তাদেরকে তার রহমত ও দয়া দ্বারা রক্ষা করবেন। আমরা আমাদের দয়ালু/মহান উম্মাহকে এই সুসংবাদ দিতে পারি যে জ্বিহাদ ও মুজাহিদের পথ কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না, যদিও কোন মুজাহিদ ও মুজাহিদ নেতা শহীদ হন। এই উম্মাহ হল অসংখ্য বৃষ্টির ফোঁটার মত। আমরা জানিনা যে, শুরুর দিকটা ভাল না শেষটা, যেমন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন। ইসলাম যেমন বিস্তৃত হবে তেমনি জ্বিহাদও বিস্তৃত হবে। ইসলামের এই বিস্তৃতি কখনো কোন শক্তিশালী শক্তি বা দুর্বল বান্দার কারণে বন্ধ হবে না। বরং এটি বজায় থাকবে এবং বিস্তৃত হবে, যদিও বা কুফার ও মুরতাদরা তা অপছন্দ করে।
আমরা একসাথে থাকব আমাদের আশা দ্বারা, আমাদের বন্ধুত্ব দৃঢ়।
আমাদের পতাকা উঁচুতে উড়ে, পূর্বকে পশ্চিমের সাথে সংযুক্ত করে।
আর ও দুশমনেরা আল্লাহর জন্য তোমাদেরকে এই সংবাদ দিচ্ছি যা তোমাদের সাথে হবে, শুনে রাখ। আল্লাহ তোমাদেরকে রক্ষা করছেন একটি উর্বর উম্মাহর জন্য। এই উম্মাহর সন্তানরা লড়াই করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং উম্মাহর জনগণ লড়াই করার জন্য সামনে এগোচ্ছে। যখন একজনের পতন হয় তখন তার পতাকা আরেকজন তুলে নেয় এবং এই জীবনদান, ত্যাগস্বীকার ও জ্বিহাদ চলতেই থাকে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এই বিশ্বে মুসলমানরা থাকবে।
হে ক্রুসেডর, তোমরা আমাদের সাথে কয়েক শতাব্দী ধরে যুদ্ধ করছ। তোমরা কি আমাদেরকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে দেখনি ? আমাদেরকে আমাদের নীতির উপর অটল থাকতে দেখনি ? যুদ্ধের সংগ্রাম আর পরীক্ষা উভয়ই আমাদের আঘাত করেছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে কে লড়াই থেকে পিছনে সরে গিয়েছে ? কে লড়াই এর ময়দান পরিত্যাগ করেছিল ? কে ইরাক, আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার ময়দানে ছুটে এসেছিল এবং পরাজয় নিয়ে ফিরে গিয়েছে। তোমরা আমাদের হাজারো শহীদকে হত্যা করেছ। কিন্তু তোমরা কি আমাদের বিস্তার ও পথকে পরিবর্তন করতে পেরেছ। তোমরা আমাদের দীনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলে। কিন্তু মুসলমানরা তখনই প্রকাশ্যে জাগ্রত হয় যখন তাদেরকে জ্বিহাদ ও লড়াই এর জন্য আহবান করা হয়। তোমরা কয়েক যুগ ধরে জিহাদকে মুসলিম উম্মাহ হতে পৃথক করার চেষ্টা করেছ কিন্তু তোমরা সফলকাম হও নি। দেখ কিভাবে এই উম্মাহ মুজাহিদদের সন্তানদের নিকটে সমবেত হয়েছে। আমাদের মধ্যে এই অধ্যায়ে কে বিজিত হয়েছে ? আমাদের মধ্যে কে বিজয় লাভ করেছে। আমাদের যুদ্ধ তোমাদের অবশিষ্টদের সাথে আমরা এখনও তোমাদের চেয়ে বেশী অধীর আগ্রহে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা আমাদের প্রভু আল্লাহর নিকট হতে সেটাই যেটা তোমরা আশা কর না। কারণ আমরা হলাম এক উম্মাহ যারা কখনও অন্যায়কে অনুমতি দেয় না। এই উম্মাহ আল্লাহ এবং তার শরিয়াহ ব্যতিত কারো কাছে মাথা নত করে না। আমরা আমাদের পথ তৈরি করেছি এবং আমাদের প্রতিজ্ঞা শক্তিশালী। হয় ইসলাম এর সম্মান ও ঐতিহ্য ফিরে আসবে এবং আল্লাহর আইন দ্বারা বিচার হবে এবং শারিয়াহ ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। অথবা আমরা হামযা আল মুত্তালিব (রাঃ) মত পরীক্ষিত হবো।
আমরা এই পৃথিবীতে এক উম্মাহ যাকে কখনও অন্যায় এর মাধ্যমে ধংস করা যাবে না। যদিও এই দীনের শত্রুরা এই উম্মাহকে অপমান করছে। কিন্তু কখনও বলো না এই উম্মাহ ধংস হয়ে যাবে। কেউ কি বিশ্বাস করবে একটি ইঁদুর একটি সিংহকে ধংস করবে।
এবং আমাদের সর্বশেষ দোয়া হলঃ সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
হে আকসা ! আমরা আসছি।