JustPaste.it
User avatar
Ishrak Abid @Ishrak_Abid · Feb 18, 2023

সংবিধান মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক

 

সংবিধান মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান থেকে সব ধরনের পরীক্ষায় প্রায় সব সময়ই প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। কিছু শর্টকাট টেকনিক ফলো করলে সহজেই আপনি সংবিধান মনে রাখতে পারবেন। চলুন সংবিধান মনে রাখার শর্টকাট টেকনিকগুলো জেনে নেই।
               
        
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার করণীয়ঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

০১। প্রথমেই সংবিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য মনে রাখুন। যেমন- কখন সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়; কতজন সদস্য ছিলেন; একমাত্র মহিলা সদস্যের নাম; তখনকার আইনমন্ত্রী এবং সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি; তারা কতটি মিটিং করেছিলেন; সংবিধান প্রণয়ন করতে কতদিন লেগেছিল; কখন এটি কার্যকর হয়; কে এতে সাক্ষর করেন নি ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো আপনি রচনামূলক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

০২। এরপর সংবিধানের ভাগগুলো এবং এই ভাগের মধ্যকার অনুচ্ছেদগুলো জেনে নিন। যেমন- প্রথম ভাগঃ প্রজাতন্ত্র (অনুচ্ছেদ ১ থেকে ৭)। দ্বিতীয় ভাগঃ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (অনুচ্ছেদ ৮ থেকে ২৫)। এই ভাবে আপনি ১১টি ভাগের অনুচ্ছেদগুলো মনে রাখুন। এই তথ্যগুলো আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। কোনো কারণে যদি ভুলে যান, সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে কি আছে; তখন কমপক্ষে ধারণা করতে পারবেন কোন ভাগে এটি পড়েছে।

 

০৩। এরপর প্রত্যেক অনুচ্ছেদের শিরোনামগুলো মুখস্ত করুন। ০৪। এরপর অনুচ্ছেদগুলো ভালোভাবে পড়ুন; বারবার পড়ুন। কোন বন্ধুর সাথে আলাপ করুন, “বলতো আইনের দৃষ্টিতে সমতা কোন অনুচ্ছেদে আছে?” প্রথম বার না পারলেও সমস্যা নেই। আস্তে আস্তে দেখবেন আপনি ঠিকই বলতে পারছেন।

 

০৫। নিজে নিজে একাকী মনে করার চেষ্টা করুন; কোন অনুচ্ছেদে কি আছে। ভুলে গেলে ভাববেন না সবকিছু শেষ। বরং চিন্তা করবেন আরো ভালোভাবে পড়তে হবে! সব সময় হাতের কাছে পকেট এডিশনের সংবিধান সাথে রাখুন। গল্পের বই (!) মনে করে পড়ুন। কি পড়তে হবে এই বিষয়ে অনেক কিছু বললাম। এইবার মূল আলোচনায় আসি।

আমি প্রথমেই প্রস্তাবনাটিকে হুবহু মুখস্ত করার জন্য বলব। কারণ, এই প্রস্তাবনা অনেকবার সংশোধিত হয়েছে। আবার সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন আসলে ভূমিকা হিসেবে কোটেশন আকারে এটি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন। যেহেতু মুখস্ত করেছেন সেহেতু কোটেশন হিসেবে দেওয়ার সময় অবশ্যই নীল রঙের কালি ব্যবহার করবেন। পরীক্ষককে বুঝান যে সংবিধানটি আপনি বেশ ভালো (!) করে পড়েছেন।

         
তো চলুন মুখস্ত করে ফেলিঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আমরা বাংলাদেশের জনগন ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির (স্বাধীনতা) জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের (যুদ্ধের) মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি। [আগ্রহী পাঠকগণ হয়তো খেয়াল করবেন, আমি বন্ধনীর মধ্যে দু'টি শব্দ ব্যবহার করেছি। কারণ, সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দগুলো একবার যোগ হয়েছে এবং একবার প্রতিস্থাপিত হয়েছে।]

আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগনকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের (স্বাধীনতার) জন্য যুদ্ধে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণ উৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল; সর্বশক্তিমান আল্লাহের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচারের সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।

[আমার কাছে এই মুহূর্তে ১৫তম সংশোধনীর পরের সংবিধানটি নেই বলে আগ্রহী পাঠকরা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে এটা ঠিক করে নিবেন। এই রকম হবার কথা- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা; সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।]

        
সংবিধানের ১১টি ভাগ মনে রাখার উপায়ঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

💮 প্র রা মৌ নি আ বি নি ম বাং জ সং বি।
      আসুন মিলিয়ে নেই-

০১। প্র- প্রজাতন্ত্র;
০২। রা- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি;
০৩। মৌ- মৌলিক অধিকার;
০৪। নি- নির্বাহী বিভাগ;
০৫। আ- আইন সভা;
০৬। বি- বিচার বিভাগ;
০৭। নি- নির্বাচন;
০৮। ম- মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক;
০৯। বাং- বাংলাদেশের কর্মবিভাগ;
৯(ক)। জ- জরুরী বিধানাবলী;
১০। সং- সংবিধান সংশোধন;
১১। বি- বিবিধ;

       
চলুন, এইবার আলাদাভাবে অনুচ্ছেদগুলোর দিকে দৃষ্টি দেই।

       
অনুচ্ছেদঃ ০১-১২
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ০১-১২ মোটামুটি এমনি মনে থাকে। এই অনুচ্ছেদগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো হল-

০২- প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা;
২(ক)- রাষ্ট্রধর্ম (মনে রাখবেন কোন সংশোধনীর মাধ্যমে এটি হয়েছে)।
৪(ক)- প্রতিকৃতি (এখানে, ১৫তম সংশোধনীতে পরিবর্তন হয়েছে)।
০৬- নাগরিকত্ব;
০৭- সংবিধানের প্রাধান্য;
০৮- মূলনীতিসমূহ (এই খানেও সংবিধান সংশোধন হয়েছে)।
০৯- স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন (এখানে, সংবিধান সংশোধন হয়েছে)।
১০- জাতীয় জীবনে মহিলাদের অংশগ্রহণ;
১১- গনতন্ত্র;
১২- ধর্মনিরপেক্ষতা (এখানে, সংবিধান সংশোধন হয়েছে)।

        
অনুচ্ছেদঃ ১৩-২৫
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ১৩ থেকে অনুচ্ছেদ ২৫ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 মালি কৃষককে মৌ গ্রামে নিয়ে গিয়ে অবৈতনিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সুযোগের সমতা সৃষ্টি করে। এতে অধিকার ও কর্তব্যরূপে নাগরিকরা নির্বাহী বিভাগ থেকে জাতীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিক শান্তির অংশীদার হলেন। চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেইঃ

১৩- মালিঃ মালিকানার নীতি।
১৪- কৃষকঃ কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি।
১৫- মৌঃ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা।
১৬- গ্রামঃ গ্রামীন উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব।
১৭- অবৈতনিকঃ অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা।
১৮- জনস্বাস্থ্যঃ জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা।
১৯- সুযোগের সমতাঃ সুযোগের সমতা।
২০- অধিকার ও কর্তব্যরূপেঃ অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম।
২১- নাগরিকঃ নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য।
২২- নির্বাহী বিভাগ থেকেঃ নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
২৩- জাতীয় সংস্কৃতিঃ জাতীয় সংস্কৃতি।
২৪- জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনঃ জাতীয় স্মৃতি নিদর্শন প্রভৃতি।
২৫- আন্তর্জাতিক শান্তিঃ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন।

এখানে, একটি কথা বলতেই হবে। যদি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে, "রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলো সংবিধানের আলোকে আলোচনা করুন।" অনেকেই শুধু অনুচ্ছেদ-০৮ এর “মূলনীতি সমূহ” দিয়ে আসে। মনে রাখতে হবে, দ্বিতীয় ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদ-০৮ থেকে অনুচ্ছেদ-২৫ সবই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। অনুচ্ছেদ-০৮ এ বর্ণিত “মূলনীতি সমূহ” আসলে সংবিধানের মূলনীতি যা প্রস্তাবনায় বলা আছে।

এখানে আরেকটি কথা বলব, যেহেতু এই প্রশ্নটির উত্তর অনেক বড় হবে; সেহেতু আপনি অনুচ্ছেদ-০৮ এ বর্ণিত মূলনীতিসমূহ একটু বেশি আলোচনা করে অন্য অনুচ্ছেদগুলো শুধু নাম লিখে ১/২ লাইনের মধ্যে লেখা শেষ করবেন। সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি ভালো পারেন দেখে শুধু সেই প্রশ্নের উত্তর অনেক বড় করে দিবেন, সেটা করলে দেখবেন আপনি সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না। আর যাদের হাতের লেখা একটু স্লো, তাদের তো এটা আরো ভালো করে মনে রাখতে হবে।

      
অনুচ্ছেদঃ ২৬-৩১
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ২৬ থেকে অনুচ্ছেদ ৩১ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 মৌলিক অধিকার আইনের দৃষ্টিতে ধর্ম, সরকারী নিয়োগ ও বিদেশী খেতাব গ্রহণে সকলের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

২৬- মৌলিক অধিকারঃ মৌলিক অধিকারের সহিত অসামঞ্জস্য আইন বাতিল।
২৭- আইনের দৃষ্টিতেঃ আইনের দৃষ্টিতে সমতা।
২৮- ধর্মঃ ধর্ম প্রভৃতি কারণে বৈষম্য।
২৯- সরকারী নিয়োগঃ সরকারী নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা।
৩০- বিদেশী খেতাব গ্রহণেঃ বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ।
৩১- আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারঃ আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার।

        
অনুচ্ছেদঃ ৩২-৩৫
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ৩২ থেকে অনুচ্ছেদ ৩৫ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 জীবনে একবার গ্রেপ্তার হলে জবরদস্তি বিচার হয়। চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

৩২- জীবনেঃ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ।
৩৩- গ্রেপ্তারঃ গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ।
৩৪- জবরদস্তিঃ জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
৩৫- বিচারঃ বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ।

      
অনুচ্ছেদঃ ৩৬-৩৯
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ৩৬ থেকে অনুচ্ছেদ ৩৯ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 চসমা সংবা(দ)ক। চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

৩৬- চঃ চলাফেরার স্বাধীনতা।
৩৭- সমাঃ সমাবেশের স্বাধীনতা।
৩৮- সংঃ সংগঠনের স্বাধীনতা।
৩৯- বাদ(ক): চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা।

      
অনুচ্ছেদঃ ৪০-৪৩
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ৪০ থেকে অনুচ্ছেদ ৪৩ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 পেধসগৃ। চলুন, দেখি ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

৪০- পেঃ পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা।
৪১- ধঃ ধর্মীয় স্বাধীনতা।
৪২- সঃ সম্পত্তির অধিকার।
৪৩- গৃঃ গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ।

        
অনুচ্ছেদঃ ৪৮-৫৪
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ৪৮ থেকে অনুচ্ছেদ ৫৪ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমার মেয়াদে দায়মুক্তি পেতে অভিসংশন ও অপসারনের ক্ষমতা স্পীকারকে দিলেন। চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

৪৮- রাষ্ট্রপতিঃ রাষ্ট্রপতি;
৪৯- ক্ষমারঃ ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার।
৫০- মেয়াদেঃ রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ;
৫১- দায়মুক্তিঃ রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি;
৫২- অভিসংশনঃ রাষ্ট্রপতির অভিসংশন।
৫৩- অপসারনেরঃ অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারন।
৫৪- স্পীকারঃ অনুপস্থিতি প্রভৃতিকালে রাষ্ট্রপতি পদে স্পীকার।

       
অনুচ্ছেদঃ ৫৫-৫৮
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ৫৫ থেকে অনুচ্ছেদ ৫৮ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীগণ প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ ঠিক করেন। চলুন, দেখি ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

৫৫- মন্ত্রিসভায়ঃ মন্ত্রিসভা;
৫৬- মন্ত্রীগণঃ মন্ত্রীগণ;
৫৭- প্রধানমন্ত্রীঃ প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ।
৫৮- অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদঃ অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ।

       
অনুচ্ছেদঃ ৬৫-৭৯
▬▬▬▬▬▬▬

অনুচ্ছেদ ৬৫ থেকে অনুচ্ছেদ ৭৯ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটি মনে রাখতাম। 💮 সংসদ সদস্যগণ শূন্য পারিশ্রমিকে অর্থদন্ড ও পদত্যাগের কারণে দ্বৈত অধিবেশেনে ভাষণের অধিকার স্পীকারকে দিলেন। কিন্তু, কোরাম না থাকায় স্থায়ী কমিটি ন্যায়পাল নিয়োগে বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি পেতে সচিবালয় গঠন করেন। চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদগুলো মিলেয়ে নেই-

৬৫- সংসদঃ সংসদ প্রতিষ্ঠা;
৬৬- সদস্যগণঃ সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা।
৬৭- শূন্যঃ সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া।
৬৮- পারিশ্রমিকেঃ সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক প্রভৃতি।
৬৯- অর্থদন্ডঃ শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড।

৭০- পদত্যাগের কারণেঃ পদত্যাগ ইত্যাদি কারণে আসন শূন্য হওয়া।
৭১- দ্বৈতঃ দ্বৈত সদস্যতায় বাঁধা।
৭২- অধিবেশেনেঃ সংসদের অধিবেশেন।
৭৩- ভাষণেরঃ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী।
৭৩(ক)- অধিকারঃ সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার।
৭৪- স্পীকারঃ স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার।
৭৫- কোরামঃ কার্যপ্রণালী বিধি, কোরাম প্রভৃতি।
৭৬- স্থায়ী কমিটিঃ সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ।
৭৭- ন্যায়পালঃ ন্যায়পাল।
৭৮- সচিবালয়ঃ সচিবালয়।

       
এতক্ষণ ধরে পড়ার পর যারা চিন্তা করেছেন এই কবিতাই তো মনে থাকবে না, তাদের জন্য বলছি আর কোনো কবিতা বা ছন্দ আমি তৈরি করিনি! কিন্তু, তারপরেও আমি বলব, আরো বেশ কিছু অনুচ্ছেদ আপনাদের নিজেদের প্রয়োজনে পড়তেই হবে। সেই গুলো হল-

✍ অনুচ্ছেদ- ০৪৬ঃ দায়মুক্তি বিধানের ক্ষমতা।
✍ অনুচ্ছেদ- ০৬৩ঃ যুদ্ধ;
✍ অনুচ্ছেদ- ০৬৪ঃ অ্যাটনী জেনারেল।
✍ অনুচ্ছেদ- ০৮১ঃ টীকা হিসেবে অনেকবার এসেছে, টীকা হিসেবে তাই খুব' ই গুরুত্বপূর্ণ।
✍ অনুচ্ছেদ- ০৮৩ঃ অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা।
✍ অনুচ্ছেদ- ১১৭ঃ প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল;
✍ অনুচ্ছেদ- ১২২ঃ ভোটার তালিকায় নাম ভুক্তির যোগ্যতা।
✍ অনুচ্ছেদ- ১৪১ (ক, খ, গ): জরুরী অবস্থা।
✍ অনুচ্ছেদ- ১৪২ঃ সংবিধান সংশোধন।
✍ অনুচ্ছেদ- ১৪৫(ক): আন্তর্জাতিক চুক্তি।
✍ অনুচ্ছেদ- ১৪৮ঃ পদের শপথ।