JustPaste.it

আইএসের ঘোষিত ও দাবীকৃত খিলাফাহ কেনো গ্রহণযোগ্য নয় !!!

 


আইএসের সমর্থকরা মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের দলে নেওয়ার জন্য জঘন্য সব মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে থাকে। তারা বলে থাকে, আল-কায়েদা আইএসের খিলাফাহ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে আইএসের বিরোধিতা করে ! আল-কায়েদা নাকি খিলাফাহ চায় না,এ ধরণের মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিতেও তারা কসুর করে না।

 

আসুন, আমরা তাদের মিথ্যাচারের বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করি।

 

প্রথমতঃ সিরিয়ার জিহাদকে কেন্দ্র করে দাওলা/আইএসের ক্রমাগত সীমালঙ্ঘন,মুজাহিদ উলামা-উমারাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ, মুসলিমদেরকে তাকফীর করা শুরু করে। যেহেতু দাওলা/আইএস আল-কায়েদার অন্তর্ভুক্ত শাখা ছিলো,তাই দাওলার এসব কাজের দুর্নাম আল-কায়েদার উপর আসতে থাকে।

এমতাবস্থায় আল-কায়েদার সম্মানিত আমীর শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ বিভিন্নভাবে দাওলাকে তার এসব ভ্রষ্টতা থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। যার প্রমাণ হিসেবে রয়েছে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বহু বার্তা।

 

একপর্যায়ে কোনোভাবেই আইএসের সীমালঙ্ঘন এবং অন্যায় তাকফীর ও সিরিয়ার মুজাহিদদের রক্তপাতের কারণে আল-কায়েদার সেন্ট্রাল কমান্ড ২০১৪ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারিতে একটি অফিসিয়াল বার্তা প্রকাশ করে তৎকালীন ISIS এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং তাদের যেকোনো কাজের দায়ভার থেকে আল-কায়েদাকে মুক্ত ঘোষণা করেন। 

 

উক্ত বার্তার বাংলা অনুবাদ.....   http://tinyurl.com/hfksfy7

 মূল আরবী বার্তা.....  http://tinyurl.com/zowytzd

 

সিরিয়ার মুজাহিদদের রক্তপ্রবাহ ও সীমালঙ্ঘনের জন্য আইএসের সাথে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রায় ৫ মাস পর ২০১৪ সালের ২৯ জুন আইএস খিলাফাহ ঘোষণা করে।

যেই দলটিকে ৫ মাস আগেই বাতিল আকীদা ও মুসলিম উম্মাহর পবিত্র রক্ত প্রবাহের অপরাধে আল-কায়েদা সম্পর্ক ছিন্ন করলো, সেই দলটি তার এই অপরাধ আরো বহুগুণ বৃদ্ধি করার পর কেনো তাদের দাবী করা বাতিল খিলাফাহ মেনে নেবে ???

  দ্বিতীয়তঃ  আইএসের খিলাফাহ ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৪ সালের ২৯ জুন। আর গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত আলিম শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত এক বার্তায় আইএসকে সুস্পষ্ট ভাষায় ‘খারিজী’(হাদীসে বর্ণিত জাহান্নামের কুকুর) বলে সাব্যস্ত করেছেন।

 

অর্থাৎ আইএসের খিলাফাহ ঘোষণার ২ মাস পূর্বে স্পষ্ট ভাষায় এই দলটির ভ্রান্ত আকীদা এবং মুজাহিদদের রক্ত হালাল করার অপরাধে এই দলটিকে খারিজী বলে ফাতাওয়া দেন গ্লোবাল জিহাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একজন আলিম।

‘বালাকোট মিডিয়া’ পরিবেশিত উনার বার্তার বাংলা অনুবাদের লিংক....

লিংক-১...... http://tinyurl.com/hwuzd9g

লিংক-২....... http://tinyurl.com/znsfev6


মূল আরবী বার্তার লিংক....  https://justpaste.it/resala-1435

   এখন জানতে চাই, মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুজাহিদদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে রক্ত হালালকারী খারিজীদের ঘোষিত ও দাবীকৃত খিলাফাহ গ্রহণযোগ্য কি না ? মুসলিম উম্মাহর প্রায় ১৪০০ বছরের ইতিহাসে উম্মাহর পূর্বসুরীদের কেউ এধরণের একটি বাতিল দলের খিলাফাহ মেনে নিয়েছেন কি না ?

 

দ্বীন এবং ইসলামের ইতিহাসের প্রাথমিক জ্ঞানসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরে ‘না’ বলবে আশা করি।

 

তৃতীয়তঃ ২০১৪ সালের ‘মে’ মাসের মাঝামাঝি (১৪৩৫ হিজরীর রজব মাসের মাঝামাঝি) গ্লোবাল জিহাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মানিত আলিম শাইখ মাক্বদিসী হাফিঃ এই ISIS/আইএস দলটির সাথে জিহাদ ও মুজাহিদ শব্দ বেমানান বলে বার্তা দিয়েছেন। তিনি আইএসকে সিরিয়ার আল-কায়েদার শাখা ‘জাবহাতুন নুসরা’র মুজাহিদদেরকে হত্যা,তাকফীর এবং আইএসের বিভিন্ন মিথ্যাচারের জন্য অভিযুক্ত করে দুনিয়ার সব মুজাহিদদেরকে এই ভ্রান্ত দলটির ব্যাপারে সতর্ক করেন।

 

যে দলটি খিলাফাহ ঘোষণার দেড় মাস পূর্বে গ্লোবাল জিহাদের শীর্ষস্থানীয় একজন আলিম দলটিকে পথভ্রষ্ট ও ভ্রান্ত এবং মুজাহিদদের রক্ত হালালকারী বলে বার্তা প্রকাশ করলেন,সে দলটির ঘোষিত খিলাফাহ সঠিক হয় কী করে ???

শাইখ আবু মুহাম্মদ আসিম আল-মাকদিসী হাফিঃ এর বার্তাটির অনুবাদ পড়ুন......

লিংক-১....... http://tinyurl.com/jonbkoe

লিংক-২...... http://tinyurl.com/zjhrajp


মূল আরবী বার্তার লিংক....   http://tinyurl.com/h9f5hkk  
বার্তাটির ইংরেজি অনুবাদের লিংক.... https://pietervanostaeyen.com/2014/05/

 

এখন আসুন আসল কথায় !! শাইখ আবু কাতাদা হাফিঃ এবং শাইখ আবু মুহাম্মদ আসিম আল-মাকদিসী হাফিঃ যেসব কারণ উল্লেখ করে ISIS/আইএসকে তাদের খিলাফাহ ঘোষণার প্রায় ২ মাস পূর্বে খারিজী,মুসলিমদের রক্ত হালালকারী,পথভ্রষ্ট,ভ্রান্ত ও মিথ্যাচারী বলে বার্তা প্রকাশ করলেন, সেসব কারণ তাদের মধ্যে বর্তমানে আছে কি না ??

 

কিংবা শাইখ আবু কাতাদা হাফিঃ এবং শাইখ আবু মুহাম্মদ আসিম আল-মাকদিসী হাফিঃ আইএসের বাতিল আকীদা ও মুজাহিদদের রক্ত হালাল করার ব্যাপারে কী সঠিক কথা বলেছিলেন ??? নাকি না জেনেই বা ভুলবশতঃ তাদের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন !!!

 

যদি এসব বিষয় তাদের মধ্যে থেকে থাকে,তাহলে মুসলিম উম্মাহ কী এমন দেউলিয়া হয়ে গেছে যে, একটি চরম পথভ্রষ্ট দলের দাবীকৃত খিলাফাহকে স্বীকৃতি দিতে হবে !!!!!!!

 

কিংবা দুনিয়ার মুজাহিদরা কী আইএসের তাকফীর ও রক্ত হালালকে ভয় পেয়ে তাদের বাতিলকে মেনে নিয়ে চুপ থাকবে !!!! দুনিয়া প্রত্যক্ষ করেছে, আল-কায়েদা,তালিবান পৃথিবীর কোনো কুফফার,মুরতাদ ও খারিজী-তাকফীরীদের হম্বিতম্বিকে পরোয়া করে না। বরং প্রত্যেক সীমালঙ্ঘনকারীকে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে মোটেও কার্পণ্য করবে না ইনশাআল্লাহ।


সুতরাং উপরের প্রমাণাদি থেকে দিনের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল যেসব তথ্য পাওয়া গেলো, তা হচ্ছেঃ

১।  আইএসের দাবীকৃত বাতিল খিলাফাহ ঘোষণার প্রায় ৫ মাস আগে আল-কায়েদার সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের পথভ্রষ্টতার জন্য তাদের সাথে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

২। এই বাতিল খিলাফাহ ঘোষণার প্রায় ২ মাস আগে শাইখ আবু কাতাদা আল-ফিলিস্তিনী হাফিঃ আইএসকে সুস্পষ্ট ভাষায় খারিজী বলে আখ্যা দিয়েছেন।

৩। এই বাতিল খিলাফাহ ঘোষণার প্রায় দেড় মাস আগে শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসী হাফিঃ আইএসের সাথে জিহাদ ও মুজাহিদ শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।

 

অথচ আইএসের নেতা থেকে শুরু করে তাদের এদেশীয় সমর্থক পর্যন্ত জঘন্য মিথ্যাচার চালায়,তাদের এই বাতিল খিলাফাহ ঘোষণার পর থেকেই নাকি আল-কায়েদা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে !! এর আগে নাকি বলেনি !! উপরোক্ত প্রমাণাদির মাধ্যমে তাদের মিথ্যাচারের নীচতম চেহারা উন্মোচন হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

 

জিহাদ ও  দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখা পড়তে নিচের মূল পেইজের লিংকে ক্লিক করুন। 

মূল পেইজের লিংক....   https://justpaste.it/Abdullah_Hasan