আসহাবুল উখদুদের বালকের ভূমিকায় :: শাইখ হাফেজ মাহমুদ (রহঃ)
||সাহম আল-হিন্দ মিডিয়া||
PDF DOWNLOAD LINKS
http://www.datafilehost.com/d/e4ad4a17
https://www.pdf-archive.com/2017/09/08/ashabul-ukhduder-baloker/
https://ia601503.us.archive.org/23/items/AshabulUkhduderBaloker/Ashabul%20Ukhduder%20Baloker.pdf
https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZyfay7ZTRDUCheFLHFLjjuahK5V1fimVoFX
https://www.sendspace.com/file/3dlfqt
https://ufile.io/zob6s
অনলাইনে পড়ুন
আসহাবুল উখদুদের বালকের ভূমিকায় :: শাইখ হাফেজ মাহমুদ (রহঃ) || সাহম আল-হিন্দ মিডিয়া
ভূমিকা
জামা‘আতুল মুজাহিদীন এর প্রতিষ্ঠাতা শূরা সদস্য শাইখ হাফেজ মাহমুদ (রহঃ)। যিনি পৃথিবীতে জিহাদ ক্বিতালের ইতিহাসে এ যুগের আসহাবে উখদুদ এর বালকের ভূমিকায় এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন। তাঞ্জিমের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করার আগ পর্যন্ত সক্রিয় রেখেছিলেন। তিনি ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের বাইতুল মোকাররম এর লাইব্রেরী থেকে ত্বগুতদের হাতে বন্দি হন। বন্দি হওয়ার পর রিমান্ডের নামে মাসের পর মাস ত্বগুতের জেআইসি সেলে বন্দি রেখে তার উপর অকথ্য নির্যাতন চলে। তারপর তার বিরুদ্ধে তৎকালীন ত্বগুত সরকার ৫০ এর অধিক মামলা দায়ের করে। ত্বগুতের আদালত তাকে একটি মামলাতে ফাঁসির রায় এবং অন্যান্য মামলাতে ১৫০ বছর এর অধিক সাজা ঘোষণা করে। এবং আরও কিছু মামলা কথিত বিচারাধীন থাকে। তাঁর বন্দি জীবনের ৮ বছর ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে ২৩ শে ফেব্রুয়ারী জামা‘আতুল মুজাহিদীন এর ইসাবাহ’র নাসরুল্লাহ (রহঃ) ব্রিগেড তাঁকে সহ আরো ২ জনকে ময়মনসিংহ কোর্টে হাজিরা দেয়ার পথে ত্রিশাল এলাকাতে ত্বগুতের পুলিশ ভ্যানে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে মুক্ত করেন।
কিন্তু মুক্তির দিন বিকালে তিনি পুনরায় টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাতে এক চেক পোস্টে তল্লাশিতে বন্দি হন। তারপর মির্জাপুর থানার ত্বগুত বাহিনী তাঁকে অকথ্য নির্যাতন করে। এর পরের দিন ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৪ ভোরে ক্রসফায়ার এর নামে শাইখ হাফেজ মাহমুদ (রহঃ)-কে গলায় ও বুকে গুলি করে হত্যা করে ( আল্লাহ তাঁকে উত্তম শহীদের মর্যাদা দান করুন আমীন!)। তিনি যখন বন্দি ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁসি সহ যত রায় হয়েছিল তার কোনটির বিরুদ্ধে কথিত উচ্চ আদালতে আপিল করেননি, বরং ফাঁসির রায় হওয়ার পরও জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ত্বগুতের আদালতে দাঁড়িয়ে তাওহীদের বাণী উচ্চারণ করে ব্রিটিশ আইনকে শত্রুতা ও ঘৃণা সহকারে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং কোন আপিল করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁসির যে রায় হয়েছিল সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল না করে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন পাঠকদের সামনে তা তুলে ধরা হল। এই লিখা থেকে পাঠক শিক্ষা অর্জন করে আল্লাহর আইন এর বাস্তবায়নে প্রয়োজনে নিজের জীবনকে কোরবানি করার পাথেয় পাবেন এটাই মহান রব এর নিকট কামনা করি। আমীন!
জেল আপিল নং-২/২০০৭
বরাবর,
সহকারী রেজিস্ট্রার
সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ,
আপিল অধিক্ষেত্র ঢাকা।
বিষয় : আল্লাহর বান্দা রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ এর পক্ষ থেকে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি।
সুত্রঃ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-১৮/০৬ জামালপুর থানার মামলা নং-৫০ (৯) ২০০৪ ধারা ৩০২/১২০/৩৪ দঃ বিধি।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি ছাড়া কোন আইন দাতা নেই। যিনি সমস্ত মানুষ এবং জ্বিন জাতিকে তাঁরই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁরই প্রেরিত রসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি। যিনি সমস্ত জাহানের জন্য রহমত ও ন্যায় বিচারক রূপে প্রেরিত হয়েছেন।
যারা হেদায়েতের অনুসরণ করে তাদের প্রতি সালাম। আমি মোঃ রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ, পিতা মোঃ আব্দুছ ছোবহান সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা এবং রসূল।
গত ০৯-১১-২০০৬ ইং তারিখে ঢাকা জজ কোর্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নং-১ হইতে আমার বিরুদ্ধে প্রদত্ত মৃত্যুদন্ডাদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল না করা প্রসঙ্গেঃ
আমি একজন মুসলিম। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশের নাগরিক। আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি আমি এবং এদেশের সমস্ত মুসলিম জনসাধারণ মহান আল্লাহর নগণ্য দাস মাত্র। তাঁর প্রেরিত রসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে যে বিধান তিনি অবতীর্ণ করেছেন তা মেনে চলতে আমি এবং মুসলিম প্রতিটি ব্যক্তি একান্ত বাধ্য। কারণ, তিনিই আমাদের জীবন দান করেছেন, আমাদের সকল প্রয়োজন পূরণ করছেন, আবার তিনিই আমাদের মৃত্যু দান করবেন, মৃত্যুর পর তার নিকটই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। সুতরাং আমি নগণ্য একজন দাস হয়ে আমার মহান রবের হুকুম ব্যতিরেকে অন্য কারো রচিত বিধানের নিকট বিচার কামনা করা আমার বিশ্বাসের চরম পরিপন্থী মনে করি। আমি আল্লাহ তায়ালার আইনের নিকট আত্মসমর্পণ করেছি। আর তাই অন্য কারো আইন মানা আমার নিকট চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া কিছুই নয়। মহান আল্লাহ তাঁর আইনের নিকট আত্মসমর্পণকারী মুসলিম জাতিকে আদেশ করেছেন,
وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ
অর্থঃ আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করুন, তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন, যেন তারা আপনাকে এমন কোন নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন। অনন্তর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে জেনে নিন, আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহর কিছু শাস্তি দিতেই চেয়েছেন। মানুষের মধ্যে অনেকেই নাফরমান। (সূরা মায়েদা ৫ : ৪৯)
إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ ۚ وَلَا تَكُنْ لِلْخَائِنِينَ خَصِيمًا
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফায়সালা করেন, যা আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান। আপনি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ থেকে বিতর্ককারী হবেন না। (সূরা নিসা : ১০৫)
কোন কুরআন বিশ্বাসী মুমিনের পক্ষে এ সমস্ত স্পষ্ট আয়াত উপেক্ষা করে অন্য কোন মানব রচিত বিধানের নিকট বিচার ফায়সালা কামনা করা সম্ভব নয়। যদি কেউ এরপরও অন্যত্র বিধান চায় তবে তার ঈমান আল্লাহর নিকট পরিত্যায্য। আল্লাহ তায়ালা এমন ঈমানদার সম্পর্কে বলেন,
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيدًا
অর্থঃ আপনি কি এমন লোকদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে আমরা সে বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে। তারা বিরোধীয় বিষয়কে তগুতের দিকে নিয়ে যেতে চায় বিচারের জন্য, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে যাতে তারা ওকে মান্য না করে। (সূরা নিসা ৪ : ৬০)
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
অর্থঃ অতএব আপনার রবের কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে ন্যায় বিচারক বলে মনে করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নিবে। (সূরা নিসা ৪ : ৬৫)
যেহেতু বাংলাদেশের কোর্ট গুলিতে আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান দ্বারা বিচার ফায়সালা করা হয় না, সেহেতু সেইসব আদালতে কোন মুমিন ব্যক্তির বিচার চাওয়া বৈধ নয়। যা উপরোক্ত আয়াতসমূহ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশে বৃটিশ প্রণীত আইন বহাল রাখার মাধ্যমে একদিকে যেমন মুসলিম জনসাধারণকে ঈমানহারা করার চক্রান্ত চলছে, অন্যদিকে দরিদ্র জনসাধারণ নির্যাতনের যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। মানব রচিত আইনের মাধ্যমে এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ঈমানের পরিপন্থী বিষয় সমূহকে অবাধে চালু রাখা হচ্ছে সমাজে। যেমন মদ, জুয়া, যিনা, ব্যভিচার, সূদ, অশ্লীল সিনেমা ইত্যাদি। যা মুসলিম জাতির জন্য চরম নিষিদ্ধ। আল্লাহ এবং তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসব বিষয়কে হারাম ঘোষণা করার পরও তা চালু রাখার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে, এ আইন ইসলাম বিরোধী আইন। যা মুসলমানদের উপরে জবরদস্তি মূলক চাপানো হচ্ছে। আর তাই এ আইনকে উৎখাত করে আল্লাহর আইন কায়েম করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ।
আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন,
قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّىٰ يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
অর্থঃ তোমরা যুদ্ধ কর কিতাবধারী ঐ লোকদের সাথে যারা আল্লাহর প্রতি, আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে না, আল্লাহ এবং তার রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মানে না, এবং গ্রহণ করে না সত্য দীন, যতক্ষণ না করজোড়ে জিজিয়া দেয়। (সূরা তাওবাহ ৯ : ২৯)
মুসলিম স্বার্থ বিরোধী এ আইনের শাসন চালু রাখার ফলে বর্তমানের আদালত মুসলিম জনসাধারণের উপর বিচার ফায়সালা করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে এবং এ আইনের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গও ইসলাম হতে বেরিয়ে গিয়েছে।
যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ
অর্থঃ আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। (সূরা মায়েদা ৫ : ৪৪)
সুতরাং মুসলিম ভূ-খন্ডে যারা বিজাতীয় শাসন ব্যবস্থা চালু রেখেছে তারা কাফের। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ফরজ। কোন মুসলিম ব্যক্তি এ আইনের পৃষ্ঠপোষক হতে পারে না। যারা এ আইনে শাসন করছে তাদের উচিত তাওবা করে আল্লাহর আইনের দিকে ফিরে আসা। অতঃপর তাওহীদী কাফেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জিহাদে শরীক হওয়া। বর্তমানে বাংলাদেশে শাসন ব্যবস্থায় এটা পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠেছে যে, ইসলাম রক্ষা করতে হলে এ তাগুতী আইনকে অবশ্যই নস্যাৎ করতে হবে। আর ঈমানী দায়িত্ব বোধের কারণেই এদেশের আপামর জনসাধারণ তাগুতী শাসন ব্যবস্থা উৎখাতের লক্ষ্যে জামা‘আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (J M B) অধীনে জিহাদী কাফেলা গড়ে তুলছে। এদেশের শাসক শ্রেণী যখন পাশ্চাত্যের অনুসরণে দেশকে একটি নাস্তিক বেলেল্লাপনা রাষ্ট্রে পরিণত করার ঘৃণ্য তৎপরতায় লিপ্ত, তখন মুসলিম যুবকগণের তার প্রতিরোধ কল্পে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। এ জন্যই জামা‘আতুল মুজাহিদীন সে দায়িত্ব দৃপ্তহস্তে গ্রহণ করেছে। ইসলাম বিরোধী অপশক্তির ধ্বংস সাধনে J M B দৃঢ় প্রত্যয়ী।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮-০৯-২০০৪ ইং তারিখে গনি গোমেজ ওরফে জোসেফ মন্ডলের হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। যার মাধ্যমে জামালপুর জেলায় ইসলামের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছিল। তাকে হত্যা করার মাধ্যমে আমরা জামালপুর জেলায় ইসলামকে শত্রুমুক্ত করতে চেয়েছিলাম। যার কোন বিকল্প পথ ছিল না।
আঃ গনি গোমেজ পূর্বে ছিল একজন মুসলিম। যে অর্থের লোভে পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে। পরিণত হয় একজন জাতির গাদ্দারে। বিশ্বব্যাপী ইসলাম নির্মূলের যে ইহুদী-খ্রিষ্টানদের চক্রান্ত শুরু হয়েছে গনি গোমেজ তাদেরই এজেন্ট হয়ে কাজ করতে শুরু করে। বিভিন্ন ভাবে গ্রামের সরলমনা মুসলিম জনসাধারণকে খ্রিষ্টান ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করতে থাকে। এই কাজে সে তার উপরস্থ কর্তাদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে তা দরিদ্র জনসাধারণকে প্রলোভন দেয়ার কাজে ব্যয় করে। যার ফলশ্রুতিতে জামালপুর জেলায় অসংখ্য মুসলিম খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে।
যার মাধ্যমে এক পর্যায়ে তার এই কর্মকান্ড সচেতন মুসলিম জনসাধারণ তীব্র বিরোধিতা করে। মিছিল, মিটিং বিভিন্ন মাধ্যমে তার এই পথভ্রষ্টতা বন্ধের আহবান জানায়। সরকারী মহলেও এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কোন ভাবেই যখন তা দমন না হয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাচ্ছিল। তখন তাকে হত্যা করা ছাড়া মুসলমানদের জন্য কোন পথ খোলা ছিল না। কারণ, এক দিকে তার এই কাজের জন্য যেমন ছিল পাশ্চাত্যের মদদ তেমনি অপরদিকে ছিল রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। প্রশাসনের উপরস্থ কর্তা ব্যক্তিদের খ্রিষ্টানপ্রীতি এবং তাদের কাজে কোন রকম সরকারী প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় তাদের শেকড় অনেক গভীরে। আমরা বুঝতে পারি, গনি গোমেজ আমাদের দেশে একজন নয়, অসংখ্য। আর তাদের দমন করে এদেশে ইসলাম রক্ষা করা প্রতিটি ঈমানদারের জন্য ফরজে আইন। যা জামা‘আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ নিরবচ্ছিন্নভাবে পালন করে যাচ্ছে। সুতরাং আঃ গনি গোমেজ ওরফে জোসেফ মন্ডলের মত এক ইসলামের শত্রুকে হত্যা করতে পেরে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তাকে হত্যার কাজে শরীক থেকে আমি আমার রসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হুকুম পালন করেছি। তিঁনি বলেছেন,
مَنْ بَدَّلَ دِيْنَهٗ فَاقْتُلُوْهُ
অর্থঃ যে ব্যক্তি তার দ্বীন পরিবর্তন করল তাকে হত্যা কর। (সহীহ বুখারীঃ ৩০১৭, ইফাবা হাঃ ২৮০৫)
বুখারী ও মুসলিমের অপর এক হাদীসে রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তিনটি কারণে কোন মুসলমানের রক্ত হালাল হয়ে যায় যার মধ্যে একটি হলো, যে ব্যক্তি ইসলাম ত্যাগ করে তার শাস্তি হল হত্যা।
সুতরাং আমি রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই হুকুম পালন করে কোন অন্যায় করিনি। কারণ আমরা মুসলিম। রসূলের আনীত বিধান মানি বলেই আমরা মুসলিম। অন্য কারো রচিত বিধান আমরা মানি না। যদিও গনি গোমেজের এই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা ছিল এদেশের সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকার সে দায়িত্ব পালন না করে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকে যেভাবে মদদ যোগাচ্ছে তাতে তাদের খ্রিষ্টান প্রীতির প্রমাণ বহন করে। আমাদের এই মহতী কাজকে সমর্থন না করে এদেশের সরকার তাদের মস্তিষ্ক প্রসূত আইনে আমাদের অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি তাদের সহযোগিতার হাত প্রসার করেছে। আর এদেশের কোটি কোটি মুসলিম মানুষের ঈমানকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে সরকার অবস্থান গ্রহণ করেছে ইসলাম বিরোধী শিবিরে। যা মুসলিম জাতির ক্ষমতায় আরোহণ করে তাদেরই সাথে গাদ্দারী ও বেঈমানী করা হচ্ছে। মুসলমানদের পরিশ্রম লব্ধ অর্থে লালিত এদেশের পুলিশ, বিডিআর, র্যাব, আর্মিদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে ইসলামেরই বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হচ্ছে মুজাহিদদেরকে, আর নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে জাতির শত্রুদেরকে।
সারা বিশ্বে ইহুদী খ্রিষ্টানরা মুসলিম জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ইরাক, ফিলিস্তিন, লেবানন, আফগানিস্তান সহ সর্বত্র নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। তখন তাদেরই একজন এজেন্টকে সেই অপরাধে বাংলাদেশে হত্যা করার কারণে আমাদেরকে গ্রেফতার করা হলো। নির্যাতন করা হলো স্বজাতীয় ভাইদের হাতে। আদালতে হাজির করে মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করে তুষ্ট করা হলো পাশ্চাত্যের মুরুব্বীদের। এই সব আদালত বা কোর্ট কোন দিনই মুসলমানদের স্বার্থে আসতে পারে না তা দিবালোকের মত স্পষ্ট।
কারণ, এই সংবিধান বৃটিশ কাফেরদেও প্রণীত সংবিধান। ইসলামের সুমহান সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে তারাই বৃটিশ আইন বাস্তবায়ন করছে যারা ইংরেজদেরকে আরো প্রভ’ মনে করে। যারা মুসলিম স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ইংরেজ প্রভূদেরকে খুশি করার চেষ্টা করছে তারা আর যাই হোক মুসলিম হতে পাওে না। কেননা কোন মুসলিম আল্লাহর দেয়া শরীয়তকে পরিত্যাগ করার মত জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত হতে পারে না।
আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে বলেছেন,
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ۚ وَلَوْلَا كَلِمَةُ الْفَصْلِ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ ۗ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অর্থঃ তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে যারা তাদের জন্য সে ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকত তবে তাদের ফায়সালা হয়ে যেতো। নিশ্চই যালেমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সূরা শুরা ৪২ : ২১)
অতএব, যারা বৃটিশদের নিজের দেবতা বানিয়ে নিয়েছে, তাদের জেনে রাখা উচিত, এ জমিন আল্লাহর। আল্লাহর জমিনে বাস করে মানুষের তৈরী আইন দিয়ে আল্লাহর বান্দাদের উপরে শাসন করার কোন অধিকার কারো নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ
অর্থঃ জেনে রাখ, সৃষ্টি তাঁর, হুকুমও তাঁর। (সূরা আরাফ ৭ : ৫৪)
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান দেবার ক্ষমতা নেই। (সূরা ইউসূফ ১০ : ৪০)
وَلَا يُشْرِكُ فِي حُكْمِهِ أَحَدًا
অর্থঃ তিনি তাঁর আইনের মধ্যে কাউকে শরীক করেন না। (সূরা কাহ্ফ ১৮ : ২৬)
উপরোক্ত আয়াত সমূহ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য কোন আইনে শাসন করা সুস্পষ্ট কুরআনের বিরোধিতা করা। আল্লাহর বিধান না থাকার কারণে আল্লাহর বান্দাদের সমাজ হয়ে গেছে বিশৃঙ্খল। আজ তাগুতী আইনের কারণে জালিমদের জুলুম, শোষণ, নির্যাতন বেড়েই চলছে। আর নির্যাতিত মানবতা হাহাকার করছে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায়। দরিদ্র জনসাধারণ অভাবের কারণে মিটাতে পারে না শয়তানের আদালতের শোষকদের ক্ষুধা। উকিল, পেশকার, তদন্ত অফিসার এমনকি বিচারক পর্যন্ত আজ সর্বত্র পয়সার জন্য লালায়িত। সুতরাং অভাবী মানুষ কোন দিনই এতসব মানুষের অবৈধ চাহিদা পূরণ করতে পারে না, তাই তার ন্যায় বিচারও পক্ষে আসে না। নির্যাতনের এই প্রক্রিয়া বন্ধের মাধ্যমে আল্লাহর আইনের শাসন কায়েম করে সব ধরনের মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা সশস্ত্র যুদ্ধ ফরজ করেছেন। তিঁনি বলেন,
وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ
অর্থঃ আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভ‚ত হয়, আর আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। (সূরা আনফাল ৮ : ৩৯)
অতএব, একজন মুসলিম হয়ে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক এই ঘৃণ্য শাসন ব্যবস্থার অপনোদনই আমার লক্ষ্য। কালেমা পাঠকারী প্রতিটি মুসলিমই এ দায়িত্ব গ্রহণে বাধ্য। আজ আমরা গনি গোমেজকে হত্যার মাধ্যমে আল্লাহর জমিন থেকে ফিতনা দূরীভ‚ত করার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলাম তা তাগুতী সরকারের গায়ে জ্বালা ধরেছে। তারা মুসলিম নাম ধারণ করে মুসলমানদের ক্ষমতায় এসে মুসলমানদেরকেই গ্রেফতার করার দ্বারা খ্রিষ্টানদের মন তুষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা তাদেরকে চরম গোমরাহীর মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের অস্ত্রগুলি ব্যবহার হচ্ছে খ্রিষ্টানদের স্বার্থে ইসলামের বিরুদ্ধে।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল সে আমাদের দলভূক্ত নয়। (বুখারী ও মুসলিম)।
অতএব, যারা মুজাহিদদের গ্রেফতার করে তাগুতের আদালতে সমর্পণ করে তারা মুসলিম নয়। আমি আমার উপরোক্ত বক্তব্যে কুরআন হাদীস দ্বারা আমার কর্মকান্ড ও গনি গোমেজ হত্যার কারণ ও দলিল পেশ করেছি। যারা মুসলমান তারা কুরআন হাদীসের কথা শুনলে সাথে সাথে মেনে নেয়। তাদের প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
অর্থঃ তারা (মুসলমানগণ) বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের রব, তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (সূরা বাকারাহ ২ : ২৮৫)
আর যারা কাফের বা মুনাফিক তারা বলে,
قَالُوا سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا
অর্থঃ তারা বলে, আমরা শুনলাম আর অমান্য করলাম। (সূরা বাকারাহ ২ : ৯৩)
অবশ্য এই ধরণের সত্য কথা নিয়ে যে সমস্ত নবী রসূল যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন তাদের কথাও তখনকার লোকেরা মেনে না নিয়ে বিদ্রুপ করেছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَا حَسْرَةً عَلَى الْعِبَادِ ۚ مَا يَأْتِيهِمْ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
অর্থঃ বান্দাদের জন্য আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না। (সূরা ইয়াসিন ৩৬ : ৩০)
পরিশেষে যারা বাংলাদেশের বিচার কার্যের সাথে জড়িত তাদের প্রতি আহবান আসুন আমরা আল্লাহ তায়ালার আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করি। যিনি মানুষের স্রষ্টা, আসমান যমিনের স্রষ্টা। যার কাছে আমাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে। যিনি আমাদের কাজের হিসাব গ্রহণ করবেন। জান্নাত ও জাহান্নাম তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন। যদি আপনারা আল্লাহর আইন মেনে নেন তবে আপনারা আমার ভাই। সুতরাং আল্লাহর আইনে যদি আমি অপরাধ করি তবে আমি আল্লাহর আইন মানতে বাধ্য। আর যদি আমার কাজ আমার স্রষ্টার আইনের অনুক‚লে হয় তবে আসুন আপনারাও আমার সাথে মিলে দ্বীন কায়েমের জন্য জিহাদ করি। যদি আপনারা আল্লাহর আইন মেনে নিতে না পারেন, তবে জেনে রাখুন, সাক্ষী থাকুন, আমি মুসলিম। আমি আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য কোন আইন মানি না। যারা কাফেরদের আইন মেনে চলে তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَآءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَدًا حَتَّىٰ تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ
অর্থঃ তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ইবাদত কর, তাদের সাথে আমাদের কোন স¤পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করলে তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রুতা থাকবে। (সূরা মুমতাহিনা ৬০ : ০৪)
অতএব, আল্লাহর শেখানো উপরোক্ত কথাগুলি ছাড়া আপনাদের বলার মত কিছু নেই।
قُلْ هَٰذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ ۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي ۖ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ এই আমার পথ। আমি আল্লাহর দিকে বুঝে সুঝেই দাওয়াত দেই আমি এবং আমার অনুসারীরা। আল্লাহ পবিত্র। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভ‚ক্ত নই (সূরা ইউসুফ ১২ : ১০৮)
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অর্থঃ আপনি বলুন, আমার নামায, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ সারা বিশ্বের রব আল্লাহরই জন্য। (সূরা আনআম ৬ : ১৬২)
إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
অর্থঃ আমি একমুখী হয়ে আমার মুখ ঐ সত্তার দিকে করেছি যিনি নভোমন্ডল ও ভ‚-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিক নই। (সূরা আনআম ৬ : ৭৯)
আঃ গনি গোমেজ এর হত্যার ব্যাপারে হাইকোর্টের প্রতি আমার শেষ কথাঃ আমি গনি গোমেজকে হত্যা করেছি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশে। এতে আমার বিন্দুমাত্র দোষ নেই। সেই সাথে জজ কোর্ট হইতে প্রদত্ত কুফরী আইনের মৃত্যুদন্ড আমি মানি না। হাইকোর্ট যদি আল্লাহর আইনে বিচার করে তবে আমার আপিল আল্লাহর আইনের নিকট। তাগুতী বা শয়তানী কোন কোর্টে আমি আপীল করব না।
قَالُوا لَنْ نُؤْثِرَكَ عَلَىٰ مَا جَاءَنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالَّذِي فَطَرَنَا ۖ فَاقْضِ مَا أَنْتَ قَاضٍ ۖ إِنَّمَا تَقْضِي هَٰذِهِ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا إِنَّا آمَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَايَانَا وَمَا أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ السِّحْرِ ۗ وَاللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ
অর্থঃ অতএব, আমাদের কাছে যে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তার উপর আমরা কিছুতেই আপনাদেরকে (বা আপনাদের আইনকে) প্রাধান্য দিব না। অতএব, আপনারা যা ইচ্ছা করতে পারেন। আপনারা তো শুধু পার্থিব জীবনেই যা করার করবেন। আমরা আমাদের রবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তিনি আমাদের পাপ এবং তুমি আমাদেরকে যে যাদু করতে বাধ্য করেছ তা মার্জনা করেন। আল্লাহ শ্রেষ্ঠ ও চিরস্থায়ী। (সূরা ত্বহা ২০ : ৭২-৭৩)
প্রেরণ করা হইল।
স্বা/-অস্পষ্ট
সিনিয়র জেল সুপার
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, গাজীপুর।
আহবানে
মোঃ রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ।
কয়েদী নং-৩৮৫/এ
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১
কাশিমপুর, গাজীপুর।
সত্যায়িত
স্বা/-অস্পষ্ট
১৬-১১-০৬
ডেপুটি জেলার
কেন্দ্রীয় কারাগার কাশিমপুর, গাজীপুর।
১৬। অনুমোদনের চিঠি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নং-১ এর কার্যালয়, ঢাকা।
স্মারক নম্বর দ্রুত বিঃ ট্রাঃ---------------।
প্রেরকঃ শাহেদ নুর উদ্দিন
বিচারক
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১
ঢাকা।
প্রাপকঃ মাননীয় রেজিস্ট্রার
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা।
বিষয়ঃ ফৌজদারী কার্য বিধির ৩৭৪ বিধান মতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল
মামলা নম্বর ১৮/২০০৬ (জামালপুর জেলা--- জামালপুর থানার মামলা নং- ৫০(০৯) ০৪) এর আসামী (১) সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন ওরফে সজিব ওরফে তাওহীদ। (২) মোঃ রাকিব হাসান ওরফে রাসেল ওরফে হাফেজ মাহমুদ গণদের দন্ড বিধির ৩০২/১২০-খ/৩৪ ধারায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রসংগে।
মহোদয়,
যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক নিবেদন এই যে, বিষয়ে উল্লেখিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১৭/২০০৬ এ ০৯-১১-২০০৬ ইং তারিখের ঘোষিত রায়ে উপরোক্ত আসামীগণকে দন্ড বিধির ৩০২/১২০-খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ