এক আরব মুজাহিদ ও সৌদি হুকুমত!
(তাগুতের হাতে গ্রেফতারের পূর্বে এক শহীদ আরব মুজাহিদের লিখিত শেষ প্রবন্ধ অনুকরণে)
...উস্তায আহমাদ নাবীল হাফিজাহুল্লাহ
এক.
কেন আমি ওয়ান্টেড পার্সন?
চারদিক থেকে জবাব আসতে লাগল: সন্ত্রাস... সন্ত্রাস ... (জঙ্গিবাদ)।
তুমি সন্ত্রাসী (জঙ্গি)। আর সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে- সন্ত্রাসকে দমন করা, জঙ্গিবাদের নির্মূল করা।
ঠিক আছে...। সন্ত্রাসের এই অপরাধ থেকে আমি মুক্ত হতে চাই, যার ফলে আমি আজ মোস্ট ওয়ান্টেড- আমাকে বন্দী ও হত্যা করা সরকারের দায়িত্ব।
বলুন, কি সেই সন্ত্রাসটি?
উত্তর: মানুষ হত্যা ...।
কিন্তু ....! সৌদি সরকারও তো মানুষ হত্যা করে। তারা শায়খ ইউসুফ আল ওয়াইরী, বীর মুজাহিদ দান্দানী সহ অন্যান্য আলেম ও মুজাহিদীনদেরকে হত্যা করেছে। তাহলে সৌদি সরকারও সন্ত্রাসী। সুতরাং আমরা যখন উভয়েই সন্ত্রাসী আমাদের ওপর আবশ্যক হচ্ছে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে সামনে বাড়া; তাহলে আমি তাদের কাছে ওয়ান্টেড হলাম কেন? নাকি সৌদি সরকার আমার থেকে ভিন্ন? কেননা সৌদি সরকার যাদেরকে হত্যা করেছে; তারা সন্ত্রাসী?
ভালো কথা ...। আমিও তো সন্ত্রাসীদেরকেই হত্যা করেছি। আমেরিকানরা কি সন্ত্রাসী নয়? ইরাক, আফগানস্থান, ফিলিস্তিন সহ অন্যান্য ভূখণ্ডে আমেরিকা যে সন্ত্রাস করেছে; এর চেয়ে বড় কোনো সন্ত্রাস হতে পারে?! আমিও সন্ত্রাসীদেরকে হত্যা করলাম, সৌদি সরকারও সন্ত্রাসীদেরকে হত্যা করল!! তাহলে আমি কেন সন্ত্রাসী হবো? অথচ আমরা উভয় একই কাজ করছি, সন্ত্রাসীদেরকে হত্যা করছি?! বরং সৌদি সরকারই এমন অনেককে হত্যা করছে; যারা সন্ত্রাসী নয়। তারা মার্কিন বাহিনীকে সহায়তার মাধ্যমে ইরাকের সাধারণ জনগণকে হত্যা করেনি?!
নাকি সৌদি সরকার আমাকে ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে এ কারণে য়ে, আমি ঐ সৈনিকদেরকে হত্যা করেছি; যারা আমেরিকান সন্ত্রাসীদেরকে পাহারা ও নিরাপত্তা দিত?! তাহলে সৌদি সরকার কি ঐ সমস্ত ব্যক্তিদেরকে হত্যা করেনি; যারা সন্ত্রাসীদেরকে পাহারা দিত?! যেমনটি করেছে তারা কাসীমের মধ্যে। আমেরিকান সন্ত্রাসীদের পাহারাদার আর অন্যান্য সন্ত্রাসীদের পাহারাদারদের মাঝে কী এমন পার্থক্য বিদ্যমান?!
দুই.
মনে হয়, এখন আমি বুঝতে পেরেছি! সৌদি সরকার আমাকে ওয়ান্টেড ঘোষণা দিয়েছে কারণ আমি সন্ত্রাসীদের বন্ধু, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আর নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসীর বন্ধুও সন্ত্রাসী। কিন্তু সৌদি সরকার কি ঘোষণা দেয়নি?- আমেরিকা তাদের বন্ধু?! পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী কি আমেরিকা নয়?! প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদি ও আমেরিকার মধ্যকার গভীর সম্পর্কের ব্যাপারটা কি মন্ত্রীরা নিশ্চিত করেনি?!! অনুগ্রহ করে আমাকে জবাব দাও! কেন আমি ওয়ান্টেড হলাম?! আমি যেমন সন্ত্রাসী সৌদি সরকারও কি একই রকম সন্ত্রাসী নয়?! তাহলে সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে তাদের ভ্রাতাকে কীভাবে তারা তাড়া করে? আমি হত্যা করেছি আমেরিকান সন্ত্রাসীদের পাহারাদারদেরকে, সৌদি হুকুমত হত্যা করছে শরয়ী ইসলামি ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয়দাতাদেরকে। আমি যেমন সন্ত্রাসীদেরকে ভালোবাসি, তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করি; সৌদি সরকারও মার্কিন সন্ত্রাসীদেরকে ভালোবাসে, তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। বরং তারা এই বন্ধুত্ব নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে থাকে।
তিন.
হতে পারে- আমি ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী; কারণ আমি মুসলিমদের দেশে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। কিন্তু ....। ইরাক মুসলিমদের দেশ, আমেরিকা ইরাকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। জঙ্গি বিমান থেকে মিসাইলের আঘাতে পুরো দেশকে চূর্ণ বিচূর্ণ করেছে। অথচ সৌদি আমেরিকাকে ওয়ান্টেড হিসাবে আখ্যায়িত করে না। এমনকি শত্রু পর্যন্ত ভাবে না; বরং তাদেরকে সাহায্য করে। সৌদি সরকারের কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি?- আমি সন্ত্রাসীদেরকে কোনো সাহায্য করেছি? যদি থাকে তাহলে ভালো কথা! একইভাবে সৌদি সরকারও আমেরিকান সন্ত্রাসীদেরকে, তাদের সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। আমি কি তাদের আশ্রয় দিয়েছি? সৌদি সরকার মার্কিন বাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে। আমি কি তাদের অস্ত্রের হেফাজত করেছি? সৌদি সরকার সৌদিকে আমেরিকার অস্ত্রগুদাম বানিয়েছে। তারা কি আমার কাছ থেকে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে? মার্কিন বিমানগুলো সৌদি থেকে ইরাকে গিয়ে তাদের সন্ত্রাস পরিচালনা করছে। আমি কি তাদেরকে মাল দিয়ে সাহায্য করছি? অথচ ইরাক-আফগানের যুদ্ধে সৌদি হচ্ছে, আমেরিকান সন্ত্রাসীদেরকে সাহায্যকারী অন্যতম একটি রাষ্ট্র। ওহে সৌদি শাসকগোষ্ঠী! তোমরা লক্ষ্য করো, আমরা আর তোমরা উভয়েই সন্ত্রাসের অংশীদার! হ্যাঁ, তবে যদি আমি তোমাদের থেকে বেশি করে থাকি, আলহামদুলিল্লাহ্! কেননা আমি মুসলিম।
চার.
হ্যাঁ, এখন আমার বুঝে এসেছে, আমি সন্ত্রাসী; কেননা আমি সৌদি শাসকদেরকে তাকফীর করেছি। কিন্তু ...! উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় তো সৌদি সরকারও সাদ্দামকে তাকফীর করেছিল! সৌদি সরকার সাদ্দামকে কেন তাকফীর করল? এই কারণে তাকফীর করেছে, সে আল্লাহ তাআলার বিধান ছাড়া ভিন্ন বিধানে শাসন পরিচালনা করে। সৌদি সরকারও তো আল্লাহ তাআলার বিধান ব্যতিরেকে ভিন্ন বিধানে শাসন পরিচালনা করে থাকে। আর আমি তো তাকফীরের এই ফতওয়া পেয়েছি সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলে-শাইয়েখ রহ. এর ফতওয়া থেকে; যার ফলে এই ফতওয়া সৌদি সরকার বাজারে নিষিদ্ধ করেছে। শায়েখ আবদুল্লাহ বিন হামীদ সহ অন্যান্য শায়খদের থেকেও একই ফতওয়া বিদ্যমান আছে। আর আমি দেখছি বিলাদুল হারামাইনের অধিকাংশ বিষয়ে, মানব রচিত আইন দ্বারা ফায়সালা করা হয়। তাহলে কেন তারা সাদ্দামকে তাকফীর করল? উত্তর: এ কারণে যে, সে একজন বাথিস্ট। বাথিস্ট কি? এই শব্দে তো ঈমান ভঙ্গের কারণ সমূহের মধ্যে কোনো কারণ বিদ্যমান নেই। তারা কি এ কারণেই কুফর মনে করে না যে, বাথিস্টদের কাছে সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্বের মাপকাঠি হচ্ছে- দ্বীনের পরিবর্তে জাতীয়তা? সৌদির কাছেও তো সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের মাপকাঠি, দ্বীনের পরিবর্তে দেশ ও আরব জাতীয়তার ওপর। বাথিস্টরা কি এ জন্যে কাফের? কেননা তাদের কাছে একজন আজমি মুসলিমের চেয়ে আরবি কাফের শ্রেষ্ঠ? আরব জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সৌদি শাসকদের কাছে একজন আরবি কাফের একজন বাংলাদেশী মুসলিমের চেয়ে উত্তম! হ্যাঁ, যদি আমি এ কারণেই সন্ত্রাসী হই যে, আমি সৌদি সরকারকে কাফের মনে করি। তাহলে সৌদি সরকারও এ জন্যে সন্ত্রাসী যে, তারা সাদ্দাম হুসাইন কে কাফের মনে করে। বরং সৌদি সরকার এ ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে- ১১ই সেপ্টেম্বরের মোবারক আক্রমণ পরিচালনাকারী বীরদেরকে সুলতান বিন আব্দুল আযীয তাকফীর করেছে। সে বলেছে, তারা নাকি ইসলামি মিল্লাত থেকে খারেজ হয়ে গেছে। তাহলে যেভাবে আমি ওয়ান্টেড একইভাবে সুলতান বিন আব্দুল আযীযও যেন ওয়ান্টেড হয়। রিয়াদের মধ্যে মার্কিন ক্রসেডারদের ওপর আক্রমণ পরিচালনাকারীদেরকে আব্দুল্লাহ তাকফীর করেছে। সুতরাং আমার মতো যেন আবদুল্লাহ ওয়ান্টেড হিসাবে গণ্য হয়। ওরে সন্ত্রাসীর দল! আমাকে ঐ সন্ত্রাস বোঝাও! যেটার কারণে আমাকে তোমরা ওয়ান্টেড আখ্যায়িত করছ?! আমি যা করেছি তা কি আমেরিকা করেনি?! বরং এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি করেছে। তাহলে তারা কেন সন্ত্রাসী (জঙ্গি) হচ্ছে না?! কেন আমেরিকার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ অপরাধ বলে বিবেচিত হচ্ছে না?! যেভাবে আমার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ অপরাধ বলে গণ্য হচ্ছে?! আমাকে কি তোমরা নাসারা (খ্রিস্টান) হতে বলছ?! কুফরী করতে বলছ?! তাহলে আমেরিকার মতো আমি এই সন্ত্রাসের অপরাধ থেকে মুক্তি পাব?! এটাই কি সৌদি সরকার আমার থেকে আশা করে?! ইয়াহুদী-নাসারা তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না; যতক্ষণ না তুমি তাদের ধর্ম গ্রহণ করো। সৌদি সরকার সন্ত্রাস করেছে। সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সহানুভূতি দেখিয়েছে। সন্ত্রাসীদেরকে সাহায্য করেছে। তাদেরকে মাল দিয়ে শক্তিশালী করেছে। মার্কিন সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে সব করেছে। তথাপি কেন তারা জঙ্গি-সন্ত্রাসী হবে না?! এই কারণে কি, তারা হচ্ছে একটা হুকুমত বা সরকার?! তাহলে আমার ওপরও তো আবশ্যক হচ্ছে- যে কোনোভাবে ক্ষমতা দখল করা। যাতে আমিও এই সন্ত্রাসের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাই।
পাঁচ.
আচ্ছা, ঠিক আছে। যা আলোচনা হলো সব বাদ। যদিও আমি কোনো অভিযোগ ব্যতিরেকেই অভিযুক্ত! যে সৌদি সরকার আমাকে ওয়ান্টেড আখ্যায়িত করেছে, যদিও সে আমার চেয়ে অনেক বেশী অপরাধে অপরাধী; তথাপি আমি নিজেকে সমর্পণ করবো! তবে আমি কিছু শর্ত দেবো। আমি এমন শর্ত দেবো না, যার হক্ব শরীয়ত আমাকে দেয়নি। আমার প্রথম শর্ত হচ্ছে- আমার ফায়সালা করতে হবে শরয়ী মাহকামাতে, ইনসাফের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত প্রকাশ্য মাহকামা। আমার আরেকটি শর্ত হচ্ছে- আমাকে নির্যাতন করা যাবে না। আমার শেষ শর্ত- আমার যে সমস্ত আপনজনকে সরকার জিম্মি হিসাবে আটক করেছে, তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে। হ্যাঁ, এগুলোই আমার শর্ত। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছে, সৌদি সরকার আমাকে জেলে ভরবে, আমার সকল শর্ত অস্বীকার করবে। তাহলে আমার পক্ষে কীভাবে সম্ভব হবে? সরকারকে এই শর্ত পূরণে বাধ্য করতে; অথচ আমি জিন্দানখানায় শিকলাবদ্ধ! একটা সমাধান পেয়েছি, আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পর্ক আছে এমন কোনো শায়খের কাছে যাবো। তিনি হতে পারেন, সাফার আল- হেওালী। আমি তার কাছে আমার শর্তগুলো পেশ করবো, তাকে এ ব্যাপারে সরকারের সাথে আলোচনা করতে বলবো। তিনি যে এটা করতে সক্ষম হবেন, আমি এই নিশ্চয়তা পাবো কীভাবে? হ্যাঁ, এটা করা যেতে পারে- সরকার শর্ত মানলে তাকে এ ব্যাপারে মিডিয়ার মধ্যে প্রকাশ্য ঘোষণা দিতে হবে। কিন্তু....! এই একই কাজ কি ফাকআসী করেননি? ফাকআসীর শর্তগুলো হেওালী কি সৌদি পত্রিকাসমূহের মধ্যে প্রকাশ করেননি? তথাপি ফাকআসী তার হক্বসমূহের নিশ্চয়তা পেয়েছে কি? না পায়নি! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নায়েফ দৃশ্যপটে এলো, সে হেওালীকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করল। ফাকআসীর শর্তসমূহ অস্বীকার করল। নায়েফের দাবী অনুযায়ী হেওালি মিথ্যা বলেছিল কি? না এটাই স্বাভাবিক যে, নায়েফ হেওালীকে মিথ্যার অপবাদ দিয়েছে? তাহলে দুর্বল কারাবন্দী ফাকআসীর ক্ষেত্রে কি অবস্থা হয়েছে? আর কে আছে এমন, যে ফাকআসীর শর্তের নিশ্চয়তা দেবে? তার জামিন নেবে? আমি আত্মসমর্পণের চিন্তা থেকে সরে এসেছি, কারণ আমি যে সতর্কতাই নিতে চাই; ফাকআসী তাই গ্রহণ করেছিল; কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই মৃত্যুই আমার কাছে উত্তম ও অধিক প্রিয়।
ছয়.
যদিও আমি আত্মসমর্পণের চিন্তা বাদ দিয়েছি; কিন্তু সন্ত্রাসের অভিযোগ থেকে মুক্ত হবার দৃঢ় সংকল্প থেকে পিছে সরে আসতে পারিনি। সন্ত্রাসের সকল উপকরণ দ্বারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে আমেরিকা। তাদেরকে সন্ত্রাসের সকল সংজ্ঞা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যায়। অথচ অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো আমেরিকার ভালোবাসা অর্জনে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, আমাকে অপরাধী সাব্যস্তকারী সৌদি সরকার এ ক্ষেত্রে আরও অগ্রগামী। আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক ও ভালবাসা তাদের জন্যে গর্বের ব্যাপার কেন? অথচ আমার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ অপরাধ!! যে রাষ্ট্র মার্কিন সন্ত্রাসীদেরকে সাহায্য করে, তার সাথে সম্পর্ক রাখা জনগণের ওপর ওয়াজিব কেন?!! আর শরয়ী জঙ্গিদের (সন্ত্রাসীদের) ব্যাপারে সামান্য সহানুভূতি প্রকাশ জনগণের জন্যে হারাম কেন?!! সন্ত্রাসী সৌদি সরকারকে সাহায্য করা, কেন জনগণের ওপর আবশ্যক? আর আমাদেরকে সাহায্য করা হারাম?!! আমি কারণ খুঁজে পেয়েছি। হ্যাঁ... হ্যাঁ...আমি এখন কারণ বুঝতে পেরেছি ...। আমি উসামা রহ. এর আওয়াজ শুনতে পেলাম-
إنَّ الناس يميلون مع القوي
إرهابُنا جريمة .. وإرهاب أمريكا أمر مشروع
أبرياؤهم أبرياء .. وأبرياؤنا ليسوا أبرياء
মানুষেরা ঝোঁকে শক্তিশালীর দিকে ..।
আমাদের ‘সন্ত্রাস’ হচ্ছে অপরাধ!
আর আমেরিকার সন্ত্রাস হচ্ছে বৈধ!
তাদের নিরাপরাধ জনসাধারণ নিরপরাধ!
আর আমাদের নিরপরাধ জনসাধারণ অপরাধী!!
আল্লাহ তাআলা আপনার প্রতি রহম করুন, হে উসামা! এখন বুঝেছি কবিতার পঙ্ক্তি। এখন চিনেছি ঘোড়ার লাগাম। এখন পেয়েছি সমস্যার সমাধান! হ্যাঁ, এখন বুঝেছি...। আমাকে শক্তিশালী হতে হবে। যখন তুমি শক্তিশালী হবে, তখন তুমি যাই করো, সন্ত্রাসী হবে না। ঠিক আছে! কিন্তু আমি যে দুর্বল এটা তাদেরকে কে বলল? হয়তো আমি শক্তিশালী কিন্তু সেটা তারা জানে না! আচ্ছা! তাদেরকে আমার শক্তি দেখাতে হবে, যেমন তারা আমেরিকার শক্তি দেখেছে। আর তখনি আমার সাথে ক্ষমতাশীলরা উষ্ণ বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করবে। তখনি সৌদি শাসক নড়েচড়ে বসবে, আমার সাথে চুক্তি করতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এই শাসকেই তো শ্যারন এর সাথে চুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ইয়াহুদী সন্ত্রাসী শ্যারন কি একজন মুসলিম জঙ্গির চেয়ে ভালো? সন্ত্রাসের (জঙ্গিবাদের) অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাত্র উপায় হচ্ছে- তোমাকে শক্তিশালী হতে হবে। ঠিক আছে, কিছু সময় অপেক্ষা করো! অচিরেই ইনশাআল্লাহ তোমরা আমরা শক্তি দেখতে পাবে। এটাই ইসলামি সন্ত্রাসীর বার্তা...। হে আল্লাহ! আপনি মুজাহিদীন সন্ত্রাসীদের ত্রাসকে আপনার পথে কবুল করুন। হে আল্লাহ্! আপনি নিহত জঙ্গিদের রূহগুলোকে আপনার পথে গ্রহণ করুন।
...al-balagh 1438 ।2017। issue 4