শহীদ আমির হারুন আব্বাস রহিমাহুল্লাহ্ এর শাহাদাত বরণ উপলক্ষে
‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ এর পক্ষ থেকে বিবৃতি:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।
ঈমান এবং পরীক্ষার এই কাফেলার আরেকজন সৈনিক আমির আবদুল হামিদ লোন ওরফে হারুন আব্বাস রহিমাহুল্লাহ্ এর শাহাদাত বরণে ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ এর পক্ষ থেকে মুমিনদের প্রতি শোক ও অভিনন্দন জানানো যাচ্ছে।
‘হয়তো শরিয়াহ নয়তো শাহাদাতের’ এই জিহাদী আন্দোলনে ‘আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ’ এর দ্বিতীয় আমির আবদুল হামিদ, মুজাহিদ ভাই রাশেদ ভাট এবং মুজাহিদ ভাই নাভিদ টাক দক্ষিণ কাশ্মীরের ‘ত্রাল’ নামক স্থানে গত ২৩ শে সফর, ১৪৪১ হিজরি (২২ শে অক্টোবর, ২০১৯ ইসায়ী) তারিখে হিন্দু মুশরিক সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আলহামদুলিল্লাহ ভাইরা আল্লাহর দেয়া তাওফিকে আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছেন।
শহীদ হারুন আব্বাসের (আল্লাহ তাকে কবুল করুন) জীবন - সত্যের পথে মানুষকে আহবান করা এবং মিথ্যা ইলাহকে গুড়িয়ে দেওয়ার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
‘আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ’ মুজাহিদ ভাই আবু মুসলিম এবং মুজাহিদ ভাই আব্বাস ভাট এর শাহাদাত বরণেও ঈমানদার ভাইবোনদের প্রতি শোক জানাচ্ছে। এই দুই মুজাহিদ ভাই দক্ষিণ কাশ্মীরের ‘আওয়ান্তিপোরা’ নামক স্থানে গত ৯ই সফর, ১৪৪১ হিজরি (৮ই অক্টোবর, ২০১৯ ইসায়ী) তারিখে হিন্দু মুশরিক সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শাহাদাত বরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এই দুই মুজাহিদ ভাই ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ এর ‘হয়তো শরিয়াহ নয়তো শাহাদাত’ এর ডাকে সকল মিথ্যা ইলাহ ও জাতিগত বিভক্তিকে অস্বীকার করে এই কাফেলার সঙ্গী হয়েছিলেন। তারা আল্লাহর জমিনে এক আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে তরবারি হাতে তুলে নেন। অতঃপর শাহাদাত বরণের মাধ্যমে তারা রবের সাথে তাদের কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উপরোক্ত সকল ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নিন। আমীন।
এই বরকতময় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ’ ঈমানদারদের আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, আমাদের জিহাদ একমাত্র আল্লাহর জন্য, আল্লাহর আইন এই জমিনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
কাশ্মীর ও ভারতজুড়ে তাওহীদের পতাকা উত্তোলন করার আগ পর্যন্ত মুশরিক হিন্দুদের বিরুদ্ধে আমাদের জিহাদ চলতেই থাকবে। এই ভূমিতে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের জিহাদ অব্যাহত রাখবো ইনশা আল্লাহ।
‘আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ’ কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়। এটি একটি আন্দোলন এবং প্রতিশ্রুতির নাম। প্রতিটি বরকতময় শাহাদাতের ঘটনার পর এই প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় হয় এবং এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়। আমির হারুন আব্বাস রহিমাহুল্লাহ্ এর শাহাদাতের পর গাজী খালিদ হাফিজাহুল্লাহ ‘অন্তর্বর্তীকালীন আমির’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন ডেপুটি আমির হিসেবে থাকবেন আবু বকর শোপাইনি হাফিজাহুল্লাহ এবং উমর মনসুর হাফিজাহুল্লাহ। শুরা কমিটির পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই তিনজন আমির ও ডেপুটি আমিরের দায়িত্ব পালন করবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুরুব্বীদের এই সিদ্ধান্তে বারাকাহ দান করুন। এবং এই মুজাহিদ ভাইদেরকে কাফেরদের অন্তরজ্বালার ও মুমিনদের অন্তরের প্রশান্তির কারণ বানিয়ে দিন। আমীন।
পরিশেষে সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের মালিক একমাত্র আল্লাহর জন্য।
******************