مؤسسة النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
نشرة النفير العدد الثامن والثلاثين || ربيع الاخر ١٤٤٥ ه
آل سعود والرعب من طوفان الحرمين الشريفين
আন নাফির বুলেটিন - ৩৮ || রবিউল আখির ১৪৪৫ হিজরী
সৌদি রাজপরিবার এবং ‘তুফানুল হারামাইন’ এর ভীতি
An Nafir Bulletin - 38 || Rabi al-Thani 1445 hijri
AL SAUD AND ILLUSTRIOUS HARAMAYN FLOOD
|
|
|
'তুফানুল আকসা’র প্রতিক্রিয়ায় সৌদি রাজপরিবার ভীত:
বিদ্বেষী ক্রুসেডার পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইহুদীরা যেমন করে 'তুফানুল আকসা’র পর প্রতিশ্রুত আযাব নিকটবর্তী হবার কথা ভেবে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছিল, একইভাবে সৌদি রাজপরিবার এবং তাদের মত আরও যারা রয়েছে, তারাও ভয়ে কেঁপে উঠেছে। এছাড়াও আরবের বাইরে জায়নবাদী সকলেই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়েছে। তারা সকলেই এতটা ভয় পেয়েছে, যা বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মতো। ক্রুসেড যুদ্ধের ভিত্তি স্থাপন করার পর খ্রিস্টানরা যখন অত্র অঞ্চলে তাদের উপনিবেশ তৈরি করতে আরম্ভ করে, তখন থেকে আজ পর্যন্ত এতটা ভীত হতে দেখা যায়নি তাদেরকে।
ক্রুসেড যুদ্ধের পর তারা সৌদির রাজ পরিবারকে কুয়েতের একটি গ্রামের কাছে অবস্থিত শরণার্থী শিবির থেকে নিয়ে এসে জাযীরাতুল আরব ও হারামাইনের দেশে শাসন ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়। ব্যাপারটা ঠিক এমনই— যেমন তারা হলোকস্টের শিকার ইহুদীদের সন্তানদেরকে এনে নবীজির ইসরা-ভূমি এবং হারামাইন শারীফাইনের পর তৃতীয় পবিত্র ভূমির শাসন ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়।
ক্রুসেডারদের সহায়তায় খুনী ও চোর-ডাকাতের সদস্য আব্দুল আজীজ আলে সৌদ এবং তার সহযোগী ৪০ চোরের কাফেলা শাসকরূপে পথচলা শুরু করে। নিজেদের শরঈ শাসকদের বিরুদ্ধে তারা বিদ্রোহ করে। মুসলিম সম্প্রদায় এবং তাদের অঞ্চলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। মুসলিমদের পবিত্র ভূমিগুলোতে এবং জাযীরাতুল আরবে ব্রিটিশ কর্তৃক আগ্রাসন চালানোর পর এই আলে সৌদ তথা সৌদি রাজ পরিবার ক্রুসেড যুদ্ধে তাদের সহায়তা করে। ব্রিটিশ আগ্রাসনের পর ইংরেজরা আলে সৌদ, আলে সাবাহ এবং আলে খলীফার মত বিশ্বস্ত চাকরদেরকে আরবের পুণ্যভূমিতে শাসন ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যায়।
|
জায়নবাদী সৌদি আরব রাষ্ট্র তখন থেকেই নিজ ভূমি ও মুসলিমদের অবশিষ্ট ভূমিতে ইসরাঈলের অবস্থান সুসংহত করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। তারা তাদের পূর্বসূরী বনু কায়নুকা ও বনু নাযিরকে তাদের ঐতিহাসিক ভূমি খাইবার ও মদীনায় ফিরিয়ে আনতে চায়। অথচ এই অঞ্চল থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ইহুদী গোষ্ঠীগুলোকে উৎখাত করেছিলেন।
'তুফানুল আকসা’র প্রতিক্রিয়ায় ইবনে সালমান ঘোষিত ভিশন ২০৩০ পণ্ড:
জায়নবাদী সৌদি আরব রাষ্ট্র এই কৌশলগত উদ্দেশ্য সামনে রেখে আঞ্চলিক পর্যায়ে কয়েক ডজন প্রজেক্ট হাতে নেয়— ভিশন ১৯৫০ থেকে ভিশন ২০৩০ পর্যন্ত। জায়নবাদীদের সৌদি বংশীয় পৌত্র ইবনে সালমান ২০৩০ সালে সকল ইসলামী বিধি-বিধান ও মূল্যবোধ মূলোৎপাটন করার ক্ষেত্রে সাফল্যের মাইল ফলক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছিলো। তার চেষ্টা হলো: এই পবিত্র ভূমিতে হারামাইন শারীফাইনের ধ্বংসাবশেষ ছাড়া ইসলামের আর কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট না রাখা। ইসলাম যেন গ্রানাডা কর্ডোভা ও অধিকৃত স্পেনের মসজিদগুলোর মতই এই ভূমিতে ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আপন রহমত ও অনুগ্রহ দ্বারা অহঙ্কারীদের এই ষড়যন্ত্র ডুবিয়ে দিতে চেয়েছেন। এক অমর ইসলামী রণাঙ্গনের মাধ্যমে আল্লাহ এই কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরকতময় ফিলিস্তিনের ভূমিতে গর্বিত গাজা উপত্যকায় আমাদের প্রাণপ্রিয় সাহাবায়ে কেরামের উত্তরসূরিরা সেই রণাঙ্গন পরিচালনা করেছেন।
তুফানের অশ্বারোহীদের কথা শুনে জায়নবাদী ইবনে সালমান ভিশন ২০৩০কে ভিশন ২০৪০-এ পরিবর্তন করার ঘোষণা দেয়। সময় খুব ঘনিয়েই এসেছিল ইসরাঈলে তার মনিবদের সঙ্গে সম্পর্ক নরমালিজেশনের বিষয়টা ঘোষণা করার। আসলে এই সম্পর্কে ইবনে সালমান তাদের সেবক ছাড়া আর কিছুই নয়। সে ইহুদীদের আজ্ঞাবহ গোলাম। কিন্তু তুফানের সাহসীরা তার আশা পূরণ হতে দেয়নি; বরং জায়নবাদী সকল পরিকল্পনা ডুবিয়ে দিয়েছে আর সেই সাথে ডুবিয়ে দিয়েছে ভিশন ২০৩০কে। এই ভিশন বাস্তবায়নের দায়িত্ব ইহুদীরা দিয়েছিল তাদের একান্ত অনুগত ইবনে সালমানকে। তুফানের সাহসী মুজাহিদরা এই ভিশন ডুবিয়েছে আর এর সাথে তাকেও ডুবিয়ে দিয়েছে—ঠিক যেমন তুফান কেনানকে ডুবিয়ে দিয়েছিল।
অতএব, আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন 'তুফানুল আকসা’র বীর বাহাদুরদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করেন— যাঁরা তাঁদের এই অভিযানের মাধ্যমে মুসলিমদের সকল ভূখণ্ডে ইসলামকে, মুসলিমদেরকে এবং এই উম্মাহর ভবিষ্যতকে পুনর্জীবিত করেছেন। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে আরও প্রার্থনা করি, তাঁদের হাত দ্বারা কল্যাণের অবারিত ধারা চালু করে দেন এবং তাঁদেরকে অলৌকিকভাবে সাহায্য করেন। আমীন, সু্ম্ম আমীন।
এই অবস্থায় আমাদের পক্ষ থেকে হারামাইনের ভাইদের প্রতি আবশ্যকীয় নসীহাহ বাণী হল:
আপনাদের জন্য এটা সুবর্ণ ও সোনালী সুযোগ। বায়তুল মুকাদ্দাসের কোলে আপনার ভাইদের চেষ্টা-প্রচেষ্টার পূর্ণাঙ্গতা সাধনের জন্য আপনাদের জেগে ওঠার এখনই সময়। আপনাদের ভাইয়েরা নবীজির ইসরা ভূমি এবং বন্দীদের মুক্ত করার লক্ষ্যে 'তুফানুল আকসা' রচনা করেছেন।
তাই হে জাযীরাতুল আরব এবং এই অঞ্চলের গর্বিত মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা!
আপনারাও ‘তুফানুল হারামাইন’ রচনার জন্য প্রস্তুত হোন। ওই সত্তার শপথ যার হাতে আমাদের প্রাণ! আপনারা যাদেরকে ভয় করছেন, তারা ইসরাঈলের চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল। আল্লাহ তায়ালা খোরাসানের সাহসী এবং তুফানুল আফগানের বীর বাহাদুরদের মাঝে আপনাদের জন্য ধৈর্য, কষ্ট-সহিষ্ণুতা, বীরত্ব ও সাহসিকতার উত্তম দৃষ্টান্ত রেখেছেন। আপনারা দেখুন তাঁরা কেমন করে আমেরিকা সহ ক্রুসেডার ন্যাটো জোটের আমেরিকার মিত্রদের মোকাবেলা করেছেন।
এরপর আল্লাহ তায়ালা আরো বাস্তব দৃষ্টান্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরেছেন আমেরিকার চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল ইসরাঈলের বিরুদ্ধে 'তুফানুল আকসা' অভিযানে আপনাদের ভাইদের হাতে। তিনি আপনাদের এবং
গোটা বিশ্বের সকলকে ইসরাঈলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুজাহিদীনের বীরত্বের চিত্র প্রত্যক্ষ করিয়েছেন। ইসরাঈল তো আমেরিকা সহ ন্যাটো জোটের সম্মিলিত মার্কিন মিত্রবাহিনীর তুলনায় অনেক দুর্বল।
তাই আপনারা আপনাদের রব আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখুন। তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। তাঁর রজ্জু আঁকড়ে ধরুন এবং একমাত্র তাঁর উপর তাওয়াক্কুল করুন। আপনারা সৌদি রাজপরিবারের তাগুত গোষ্ঠীকে উৎখাত করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমরা আল্লাহর শপথ করে আপনাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছি! ইনশা আল্লাহ, এই সৌদি রাজপরিবার এবং ইসরাঈলের পতন সন্নিকটে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের আপনাদের অপেক্ষা অধিক আত্মমর্যাদাশীল ওহীর অবতরণ ভূমির ব্যাপারে যে ভূমি শ্রেষ্ঠত্ব এবং পবিত্রতা দিয়ে ঘেরা। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা গাজার সন্নিকটে ইহুদীদের প্রেম উৎসব এবং গোপন সঙ্গীত অনুষ্ঠানের অতিথিদেরকে ছেড়ে দেননি। জায়নবাদীরা পুরো ইসরাঈলে তাদের এই নিকৃষ্ট আয়োজনের জন্য অন্য কোনো জায়গা খুঁজে পায়নি। ঈমানদার ও বায়তুল মুকাদ্দাসের অধিবাসীদের এত নিকটে গাজা স্ট্রিপের প্রান্তেই তাদের এই আয়োজন করতে হলো।
এজন্যই আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর নিজ বাহিনীকে চাপিয়ে দিয়েছেন। তুফান তাদের উপর আঘাত হেনেছে। আল্লাহর বাহিনী ইহুদীদের উপর তাদের ধর্মীয় ছুটির দিবসে (শনিবারে) সবদিক থেকে (নৌ, স্থল ও আকাশ পথে) ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এভাবেই তাঁরা আল্লাহর উদ্দেশ্য তাদের উপর বাস্তবায়ন করেছেন, তাদের গর্দানে আঘাত করেছেন এবং তাদেরকে কেটেছেন জোড়ায় জোড়ায়। সেদিন নিশ্চয়ই আসমান থেকে আল্লাহর আযাব, রহমত ও শান্তির ফেরেশতারা অবতরণ করেছিলেন এবং ‘তুফানুল আকসা’র সাহসী মুজাহিদদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। আসমানী সাহায্যের বারিধারা এই পবিত্র যুদ্ধে ও বরকতময় রণাঙ্গনে নেমে এসেছিল। আমরা জানি না সেদিন পাথর ও গাছপালা মুজাহিদীনের সঙ্গে কথা বলেছিল, নাকি প্রতিশ্রুত দিবসের জন্য তারা তখনও আড়ালে ছিল?
মূল বিষয় হচ্ছে:
হয়তোবা আমরা তাদের নিকৃষ্ট উৎসব, ব্যভিচার, আল্লাহ ও নবীদেরকে জেদ্দা, রিয়াদ ও দাম্মামে গালিগালাজ করার কারণে আল্লাহর আযাব অচিরেই দেখতে পাবো। কারণ আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা জমিনের পবিত্র ভূমি ও স্থানগুলোর পবিত্রতা বিনষ্ট হওয়া এবং মক্কা মদীনায় কদর্যতা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টা আপন শাস্তি ও বাহিনী প্রেরণ না করে ছেড়ে দেবেন না। জায়নবাদী সৌদি অপশক্তিকে উৎখাত করে হারামাইনের ভূমি পবিত্র করার জন্য আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
তাই আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি, যেন তিনি আমাদেরকে তাঁর যোদ্ধা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে নেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে ঈমানদারদের প্রতি রহমত হিসেবে এবং কাফের ও মুরতাদদের জন্য আযাব ও শাস্তি হিসেবে প্রেরণ করেন। (আমীন)
আগামী দিনে খুব শীঘ্রই হয়তোবা আমরা তা দেখতে পাবো। (ইনশা আল্লাহ)
হে হারামাইনের খাঁটি আরব গোত্রের সন্তানগণ! হে তালিবুল ইলম! দাওয়াতী অঙ্গনের সাধক এবং কুরআনের ধারক বাহক! হে ইসলামী দাওয়াতের শিক্ষার্থীবৃন্দ!
যারা বিলাদুল হারামাইনের প্রতিটি প্রান্তে সুন্নাহ ও তাওহীদের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন! আপনাদের তরবারিকে ধারালো করুন। আপনাদের জবান ও বাকশক্তি ব্যবহার করে বিশুদ্ধতা প্রচার করুন! ‘তুফানুল হারামাইন’ আপনাদের থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সৌদি রাজ পরিবারের জায়নবাদী কারাগার থেকে আমাদের বন্দীদের মুক্তির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় খুব কাছে। যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে, তখন বীর-বাহাদুরদেরকে সৌদি রাজপরিবারের রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করতে দেখতে পাবেন। সুতরাং ঈমানের দমকা হাওয়ায় জ্বলে উঠুন। রিদ্দাহ, অশ্লীলতা ও সীমালঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্তদের কণ্ঠে আপনাদের বিপ্লবের তরবারি গেঁথে দিন।
আল্লাহু আকবার! আল্লাহ সর্ব মহান। ইজ্জত-সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহর, তাঁর রাসূল এবং ঈমানদারদের জন্যই। নিশ্চয়ই এটি বিজয় অথবা শাহাদাতের জিহাদ। আর সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই।
***
روابط بي دي اب
PDF (812 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৮১২ কিলোবাইট]
https://archive.org/download/an-nafir-38/An-nafir%2038.pdf
https://drive.proton.me/urls/N1QFHPFHAR#E4VC9jCfzHxo
https://upload07.files.wordpress.com/2023/11/an-nafir-38.pdf
https://www.mediafire.com/file/dgx3l1yrlvh7598/An-nafir+38.pdf/file
روابط ورد
Word (3.31 MB)
ওয়ার্ড [৩.৩১ মেগাবাইট]
https://archive.org/download/an-nafir-38/An-nafir%2038.docx
https://drive.proton.me/urls/X51GW6XFQC#9NN2LaN7IJrJ
https://upload07.files.wordpress.com/2023/11/an-nafir-38.docx
https://www.mediafire.com/file/1w3f8hlt43fm4nv/An-nafir+38.docx/file
روابط الغلاف
Banner [4.24 MB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৪.২৪ মেগাবাইট]
https://justpaste.it/img/e24f9fe3f634adae6c3a76c2418ee65a.jpg
https://drive.proton.me/urls/9D3RG709BM#bmNat3mIxXxL
https://justpaste.it/img/1549de7e41f30dbeacedbe66c570fe9d.jpg
https://www.mediafire.com/file/po5jr9he998kj7v/An-nafir-38.jpg/file
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة النصر للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের ভুলবেন না!
আন নাসর মিডিয়া
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent