পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
আন-নাফির বুলেটিন
ইস্যু ৭
জুমাদা আল-উলা ১৪৩৮ হিজরী
“কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণভাবে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।”
ট্রাম্প[১] তার উদ্বোধনী বক্তব্যে ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে হুমকি প্রদানের মাত্র সামান্য কয়েকদিন পরেই, আমরা ইয়েমেনের ক্বিফা[২] এলাকায় আমেরিকান ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছি।
অতঃপর, এটা আবারো সকলের নিকট পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এই হুমকি যে কেবলমাত্র মুসলিম উম্মাহর মুজাহিদদের লক্ষ্য করে ছিল তা নয়, বরং এর বদলে উম্মাহর নারী, পুরুষ এবং এমনকি শিশু যেই হোক না কেন, সকল সাধারণ মুসলিমকে লক্ষ্য করে এই হুমকি প্রদান করা হয়েছিল। কেননা, আমেরিকানরা এই হত্যাকাণ্ডে ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নারী ও শিশুদের হত্যা করেছে এবং এমনকি মায়ের গর্ভে থাকা শিশুও তাদের এই নৃশংসতা থেকে বাঁচতে পারে নি।
এবং এ প্রেক্ষিতে আমরা এই মূর্খ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলছি: বিগত বছরগুলোতে তোমার দেশের প্রেসিডেন্ট পদে অনেকেই এসেছে, তারা সবাই আমেরিকান জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তারা মুজাহিদিনদের হত্যা করবে ও তাদের ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে। যাইহোক, তাদের সবার পালা শেষ হয়ে গেছে এবং তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার আগেই হোয়াইট হাউস পরিত্যাগ করেছে, এমনকি যদিও এদের কেউ কেউ দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসেছিল।
কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার ভাগ্যেও তাই জুটবে, কেননা জিহাদের অগ্নিশিখা জ্বলে উঠেছে আর বিশ্বের সর্বত্র তা পৌছে গেছে।
وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
“কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণভাবে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” সুরা আস-সফ (৬১:৮)
___________________________________________________
[১] কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জন ট্রাম্প ১৪ জুন ১৯৪৬ ইংরেজি সালে কুইন্স, নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র এ জন্ম গ্রহণ করে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতনে মোড়ল হিসেবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি ২০১৭ ইংরেজিতে এই উন্মাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে ক্ষমতা গ্রহণ করেই একের পর এক ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী তৎপরতা শুরু করে।
ট্রাম্প হলেন একজন প্রেসবিট্যারিয়ান খৃস্টান। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ৭০০ ক্লাবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিল, “আমি একজন প্রোটেস্ট্যান্ট, একজন প্রেসবিট্যারিয়ান। এবং অনেক বছর ধরে গির্জার সাথে আমার একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে।”
ইহুদি-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সাথেও ট্রাম্পের সু-সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৫ সালে একটি ইহুদি দৈনিক পত্রিকা অ্যালজেমেইনার জার্নালের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে “অ্যালজেমেইনার লিবার্টি অ্যাওয়ার্ড” পুরষ্কার গ্রহণকালে ট্রাম্প বলেন, “শুধু ইহুদি নাতি-নাতনিই নয়, আমার ইহুদি কন্যাও রয়েছে (ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনারের সাথে বিয়ের পূর্বে ইহুদি ধর্মে দিক্ষিত হয়েছিল) এবং আমি খুবই গর্বিত এটি নিয়ে... তার (ইভাঙ্কার) ইহুদি হওয়ার কথা ছিল না কিন্তু তবুও আমি খুশি যে সে ইহুদি হয়েছে।”
[২] গত শনিবার ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ইয়েমেনের আল বায়দা শহরের কিফা গ্রামে মার্কিন সেনা মোতায়েনের পর তারা ঐ গ্রামের নিরিহ লোকদের উপর এক ভয়ংকর হত্যাকান্ড চালায়। হত্যাকান্ডে ২৫ জনের বেশি নিরিহ মানুষ বিশেষ করে ১১ জন নারী এবং শিশু শাহাদাত বরণ করেন। যাদের মধ্যে শায়েখ আনওয়ার আল আওলাকী রহঃ এর ১০ বছরের কন্যা নাওয়ার বিনতে আওলাকীও রয়েছে। ইয়েমেনীয় মুজাহিদ আবু বকর আল বাগদাদির মুহতারামা স্ত্রী ও তাঁর গর্ভের সন্তানও রয়েছে।
উপরোক্ত ঘটনায় ইয়েমেনের জনগণের উদ্দেশ্যে আল কায়েদা জাজিরাতুল আরব শাখার আমীর শায়েখ আবু হুরাইরাহ কাসেম আর রিমি হাফিজাহুল্লাহ সান্ত্বনা বার্তা প্রদান করে প্রতিশোধ গ্রহণের ঘোষণা প্রদান করেন। (https://archive.org/details/waratq5285_gmail)
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ অভিযানের প্রশংসা করে করে একে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে আখ্যায়িত করে যা তার মতে ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং বিশ্বের নাগরিকদের উপর জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সহায়তা করবে’।
https://archive.org/details/an_nafir-7BN
https://archive.org/download/an_nafir-7BN/an_nafir-7BN.pdf
http://pc.cd/80SctalK
WORD
https://archive.org/details/an_nafir-7BN_doc
https://archive.org/download/an_nafir-7BN_doc/an_nafir-7BN.docx
http://pc.cd/SsmotalK