JustPaste.it

আন নাফির বুলেটিন -ইস্যু-১৮

সৌদি পোশাকে নতুন একটি ক্রুসেডার জোট

 

 আস সাহাব মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ও আন নাসর মিডিয়া কর্তৃক বাংলায় অনূদিত

রবিউল আউয়াল || ১৪৩৯ হিজরী

 



আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেছেন-

إنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ ۚ فَسَيُنْفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ ۗ وَالَّذِينَ كَفَرُوا إِلَىٰ جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ

لِيَمِيزَ اللَّهُ الْخَبِيثَ مِنَ الطَّيِّبِ وَيَجْعَلَ الْخَبِيثَ بَعْضَهُ عَلَىٰ بَعْضٍ فَيَرْكُمَهُ جَمِيعًا فَيَجْعَلَهُ فِي جَهَنَّمَ ۚ أُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ

নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যেন বাধাপ্রদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুত এখন তারা আরও ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যাতে আল্লাহ অপবিত্র এবং নাপাককে পবিত্র ও পাক থেকে পৃথক করে দেন। আর যাতে একটির পর একটিকে স্থাপন করে সমবেত স্তুপে পরিণত করেন এবং পরে দোযখে নিক্ষেপ করেন। আর এরাই হলো ক্ষতিগ্রস্ত। -সূরা আনফাল, আয়াত ৩৬-৩৭

বর্তমানে আমাদের মাঝে যে কথা এবং পরিভাষাগুলো সর্বাধিক বিস্তার লাভ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো “সন্ত্রাসবাদ”। আর এ পরিভাষাটি প্রকৃতপক্ষে যা হওয়ার কথা ছিল বাস্তবতায় তা নয়, কেননা সমসাময়িক ক্রুসেডার নেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো এই পরিভাষাটিকে ব্যবহার করে। তাদের স্বার্থ হাসিল হয় না -এমন কোনো কথা এবং পরিভাষাকে তারা মূল্য দেয় না। প্রাথমিক অবস্থায় মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসী নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত ও সামগ্রিকভাবে মুসলিমদের দিকে নির্দেশনা ব্যতীত কোনো কনফারেন্সেই সন্ত্রাসবাদের উল্লেখ করা হয় না। (অর্থাৎ সন্ত্রাসী হিসেবে সব কনফারেন্সে মুসলিমদেরকেই বুঝানো হয়) এ কারণে তাদের মতে মুসলিম ছাড়া অন্যদের (কাফিরদের) করা হামলাগুলো হলো প্রতিরক্ষা এবং প্রতিক্রিয়া মূলক। আর সর্বশেষ যে অত্যাধুনিক পরিভাষাটি (মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসী বলা) তারা পেশাগত এবং সতর্কভাবে ব্যবহার করে, তার দিকে করা সক্রিয় অপারেশনসমূহকেও প্রতিরক্ষা এবং প্রতিক্রিয়া মূলক বলে অভিহিত করে। বর্তমানে ক্রুসেডাররা তাদের এই ধারণাকে লোকজন এবং সমাজের মধ্যে বদ্ধমূল করতে সদা তৎপর।

তারা এই তৎপরতা চালায় বিভিন্ন কনফারেন্স, মিটিং এবং সেমিনারের মাধ্যমে, যেগুলো চালু রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। আপনারা এমন কোনো আঞ্চলিক কনফারেন্স বা আন্তর্জাতিক কনফারেন্স খুঁজে পাবেন না, যেটার আলোচনার শীর্ষ তালিকায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ”-এ বিষয়টি থাকবে না। এই কনফারেন্সগুলো কখনো নির্দিষ্ট সময় আবার কখনো অনির্দিষ্ট সময় অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি মহিলাদের জন্যও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়; মহিলাদেরকে যেদিকে টেনে নেওয়া হয়েছে, তাদের জন্য যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাদেরকে যেদিকে যেতে বলা হয়েছে এবং তারা যে সে পথেই হাঁটছে কনফারেন্সগুলোতে এ বিষয়টি তাদের মনিবদের কাছে প্রমাণ করার জন্যই আলোচনা হয়। এই আলোচনা ব্যতীত অন্য কোনো আলোচনা ঐ কনফারেন্সগুলোতে হয় না।

তথাকথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে আরব ইসলামি দেশসমূহের নেতারা এটা বেছে নিয়েছে যে, তারা ক্রুসের ঝাণ্ডাতলে ঐক্যবদ্ধ সারি; এটার সেবা করার জন্য এবং ভর্তুকি প্রদানের জন্য তারা তাদের ভূমিগুলো, তাদের সক্ষমতা ও ধনীদেরকে এবং তাদের সেনাবাহিনী ও ইন্টেলিজেন্স সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে। ইসলামের বিরুদ্ধে কাফেরদের করা যুদ্ধের ময়দানগুলোতে তারা মুসলমানদের পক্ষে অগ্রগামী ছিল না, তবে তাদের মনিবদের (আমেরিকা ও পশ্চিমা জোট) প্রতি আনুগত্য, ভালবাসা এবং দাস মনোভাব প্রমাণ করার জন্য অগ্রগামী ছিল।

চলমান এই ক্রুসেড যুদ্ধের সর্বশেষ অধ্যায় শুরু হয়েছে মৃতদেহ এবং ছিন্নভিন্ন গোশতের একেকটি রক্তাক্ত এবং অতি জঘন্য দৃশ্যাবলী দিয়ে, যা সন্ত্রাসবাদের নাম নিয়ে অতি নিকৃষ্ট পন্থায় এই শাসকবর্গ করেছে। তারা নিজেদেরকে তাৎক্ষণিক বীরবানিয়ে ফেলতে মুসলিমদের মাঝে ঘোষণা করে যে, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অটল রয়েছে এবং যারা দেশ ও বিশ্বজুড়ে তাকফির করে তাদেরকে তারা বর্জন করেছে। তারা এ ঘোষণাটি সৌদির রাজধানী রিয়াদ ঘোষণা করে, যা তাদের আশা ছিল। এ ক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করে মিডিয়া নামক নির্লজ্জ অস্ত্রকে।

যখন সারাবিশ্বে মুসলিমরা দুঃখ-দুর্দশায় জর্জরিত তখন রাজনৈতিকভাবে অপরিণত মুহাম্মদ বিন সালমানের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইসলামি সামরিক জোট’-এর প্রথম সমাবেশের শুরুতে তারা এই ঘোষণাটি দিয়েছে। তাদের এই ঘোষণার কারণ ছিল সৌদি আরব, ইরাক, পূর্ব ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চল, ইয়েমেন এবং লেবাননের ভেতরে যুবক আমিরদের কারণে বারবার সৃষ্টি হওয়া ব্যর্থতাকে ঢাকা এবং পুনরায় পুরাতন নামের পরিবর্তে ক্রুশের চাকরহিসেবে যুবক আমিরের উপনাম দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করা। এই কাজগুলো শুরু করেছিল সিসি। [আর এটা হলো আমাদের ইসলামি বিশ্বজুড়ে নিরপরাধ হাজার হাজার মুসলিমের রক্তের দাম নষ্ট করে ফেলা।

যে যুদ্ধকে আমেরিকা এবং পশ্চিমা জোট ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধনামে পরিচালিত করছে, তা মূলত ইসলামের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক ক্রুসেড যুদ্ধের অংশ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন-

وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّىٰ يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُوا ۚ وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَٰئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ وَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তোমাদের ধর্ম থেকে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিতে পারে, যদি তারা সক্ষম হয়। তোমাদের মধ্যে যারা স্বীয় দ্বীন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের যাবতীয় আমল বরবাদ হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” -সূরা বাকারা, আয়াত ২১৭

মুসলিমদের সামনে নিজেদের ভাবমূর্তি উন্নত করার জন্য আধুনিক পরিভাষার সাথে মানানসই হবে এমন শব্দ ব্যবহাররে মাধ্যমে শব্দরে পিছনের বাস্তবতাকে ঢেকে ফেলেছে। তবে সেটা ঢাকে নি যেটা তাদের নেতাদের মুখ থেকে বারবার প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি বুশ আফগানিস্তানে হামলার পূর্বে বলেছিল, “আমরা একটি নতুন ধরণের ক্রুসেড যুদ্ধ করছি।আর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার তার সৈনিকদের বসরা পাঠানোর পূর্বে বলেছিল, “তোমরা এখানে এসেছ ইসলামি ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে।ট্রাম্প বর্ণনা করেছিল যে, জর্ডানের রাজা এবং সিসি চরমপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দুটি মৈত্রী জোট। আর ইসলামকে শেষ করে দিতে একটি শয়তানি ইঙ্গিত ঘোষণা দিয়েছে যে, “জেরুজালেম ইহুদিদের রাজধানী।এটাই হলো এই যুদ্ধের বাস্তবতা এবং যারা এটা বুঝতে না পারে তারা সংঘাতের প্রকৃতি জানে না। আর এই নিষ্ঠুর ক্রুসেড যুদ্ধের বাস্তব মাত্রা কি এখনো স্পষ্ট হয়নি!

 

ডাউনলোড করুন

docx - 106 KB

https://annasrblog.files.wordpress.com/2017/12/an-nafir-bulletin-18.docx

http://www.mediafire.com/file/8pnqhrpaw5q9vu1/An_Nafir_Bulletin-18-.docx

https://archive.org/download/AnNafirBulletin18_201712/An%20Nafir%20Bulletin-18-.docx

https://mega.nz/#!ZeAjnQQa!jzuTexKporlbfaixUHKjf5OUvTREZrRmvfL2ankCsPg

https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZmdIF7Zlc3Vu5M6VobXyGC24KTcrJwubqB

 

pdf 568.74 KB

https://annasrblog.files.wordpress.com/2017/12/an-nafir-bulletin-18.pdf

http://www.mediafire.com/file/fwm29j9nwc683ay/An+Nafir+Bulletin-18.pdf

https://archive.org/download/AnNafirBulletin18/An%20Nafir%20Bulletin-18.pdf

https://mega.nz/#!gLAU1SBa!4EQnoxwhMl0c5aq2Q4MS9aMYWQEnmHs4elRmWzVFi1Q

https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZYdIF7ZeaVqBB7EowXmuBuqq9QdGR8hwMqy