مؤسسة الفردوس
আল ফিরদাউস
Al Firdaws
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
في اللغة البنغالية
বাংলা ভাষায়
In the Bengali Language
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled:
بيان أمیرالمؤمنین الشیخ المولوي هِبة الله آخندزاده _حفظه الله
ورعاه بمناسبة حلول عيد الفطر السعيد لعام ۱۴۴٣هـ
১৪৪৩ হিজরির ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে
আমিরুল মু’মিনিন শাইখুল হাদিস হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র
“ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তা”
Message of Felicitation of the Esteemed
Amir-ul-Mumineen Sheikh-ul-Hadith Mawlawi Hibatullah Akhundzada (may Allah protect him)
on the occasion of Eid-ul-Fitr
روابط بي دي اب
PDF (315 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৩১৫ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/6aWyyyRPsxoJiwi
https://mega.nz/file/U98gSLSA#Nh-RWgLIR6yb7EEoU2dL4xR8GNMrGonFKho-PA4iBu0
https://www.udrop.com/6zA2/Eid_Ul_Fitr_Barta_-_1443_-_Amirul_Muminin.pdf
روابط ورد
Word (1.37 MB)
ওয়ার্ড [১.৩৭ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/q3gbkLZe6Gf5jn3
https://mega.nz/file/wo0ASQRA#z3JIlkzFhAagDgsajYoAI0GW-0a_s34xHh4lihv8vBA
https://www.udrop.com/6zA4/Eid_Ul_Fitr_Barta_-_1443_-_Amirul_Muminin.docx
روابط الغلاف- ١
book Banner (1.58 MB)
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [১.৫৮ মেগাবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/w27BJ4Q3zBZK4Fi
https://mega.nz/file/89lQiCjC#uN190iC4aJj6ZgDMkkKKzQJyCjUyl8vMM5aLv2QuIwU
https://www.udrop.com/6zA3/Eid_banner_-_1443.png
روابط الغلاف- ٢
Banner (726 KB)
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৭২৬ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/H7doZ3kXB8pwe7q
https://mega.nz/file/0psQhIhS#guUOJ7TJxkLS3wqezJYXshBd5ItT2Xh9JDym57PcUwU
https://www.udrop.com/6zA3/Eid_banner_-_1443.png
*********
১৪৪৩ হিজরির ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে
আমিরুল মু’মিনিন শাইখুল হাদিস হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ’র
“ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা বার্তা”
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং তার কাছেই সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা আমাদের অন্তরের সকল অনিষ্টতা হতে এবং আমাদের সকল বদ আমল হতে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ তায়ালা যাকে পথ প্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্ট করার মতো কেউ নেই। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে আল্লাহ ব্যতীত সঠিক পথ দেখানোর কেউ নেই।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন সহযোগী নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন-
وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَىٰ لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا ۚ يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا ۚ وَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
“অর্থঃ তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন-কর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসন-কর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের দ্বীনকে যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য”। (সুরা নূর ২৪:৫৫)
আফগানিস্তানের মুজাহিদগণ, জনসাধারণ, বিশ্বব্যাপী অগ্রগামী মুজাহিদ ও সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা -
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
- পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আপনাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনাদের সিয়াম, সালাত ও দোয়াসমূহ কবুল করে নিন, আমিন।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ অনুগ্রহে আমরা এবারের ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে চলেছি এমন একটি সময়ে - যখন আমাদের দেশ বহি:শত্রু মুক্ত ও পরিপূর্ণ স্বাধীন। আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ ৪৩ বছর পর আমাদের দেশ সমস্ত যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে মুক্ত হয়েছে। সেইসাথে ইসলামী হুকুমের অধীনে একটি সুন্দর, শান্তি ও নিরাপত্তাময় পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রিয় দেশবাসী!
- দেশের স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতা অর্জনে, দীর্ঘ সময় ধরে ইমারাতে ইসলামিয়ার সকল নিবেদিত প্রাণ মুজাহিদ এবং তাদের সহযোগী সাধারণ জনগণের জিহাদ এবং ত্যাগ তিতিক্ষা ছিল - অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন, আমিন।
আল্লাহ তায়ালা বিগত ২ দশকের লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারী সকল শহিদদের শাহাদাত এবং সকল মুজাহিদদের জিহাদ কবুল করুন, আমিন। আল্লাহ সকল অক্ষম, বাস্তুহারা, যুদ্ধাহত আফগান এবং বন্দিদেরকেও উত্তম প্রতিদান দান করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আফগানের বিধবা এবং এতিমদের জীবন ধারণের পথকে সহজ করার জন্য সাহায্য করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
- আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর সাহায্যে আমরা বিদেশী শক্তির আগ্রাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন সময় এসেছে - সমগ্র আফগান জাতি ভ্রাতৃত্বের সুগভীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, হাতে হাত রেখে, নিজেদের দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাওয়ার।
উন্নতি ও অগ্রগতির প্রথম শর্ত হল - শান্তি ও নিরাপত্তা। আলহামদুলিল্লাহ, ইমারাতে ইসলামিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রেখেছে। এখন সকল দেশবাসীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হল – আপনারা বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত শান্তি ও নিরাপত্তার আলোকে নতুন আফগানের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট হবেন। সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে নিজ দেশ ও দেশবাসীর সেবা করবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় দেশবাসী!
- ইমারাতে ইসলামিয়া সকল বিরোধীদেরকে ‘সাধারণ ক্ষমা’র ঘোষণা দিয়েছে এবং তা যথাযথ কার্যকর করেছে। এ সাধারণ ক্ষমার ভিত্তিতে আমরা বিরোধী পক্ষকে আহবান করছি যে, আপনারা ভাই ভাই হয়ে নিজেদের দেশে শান্তিতে জীবন যাপন করুন। এখন আর দেশবিরোধী কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ নেই। নিজ জাতির প্রতি আমরা সহমর্মী হবো, যাতে আমাদের মাধ্যমে কোন ফেতনা বা মুসীবতের দরজা না খুলে। আল্লাহ হেফাজত করুন।
যদি সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে কোন দুষ্কৃতিকারী বিদ্রোহ এবং নতুন করে লড়াইয়ের চেষ্টা করে, তাহলে তাকে আফগান জাতির কর্কশ প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে। বহিরাগতদের ইন্ধনে দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করার কোন সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
- আফগান বিজয়ের পর দেশত্যাগকারী সকল আফগানদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি -
আফগানিস্তান আমাদের সকলের ভূমি। এখানে নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার সকলের রয়েছে। আপনাদের সাথে কারও কোন শত্রুতা নেই। কাউকেই কোন চাপ প্রয়োগ করা হবে না। ইতিমধ্যে যারাই নিজ ভূমিতে ফিরে এসেছেন, তাদেরকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করা হয়েছে। তারা শান্তিতে জীবন যাপন করছেন। সুতরাং আপনারাও ফিরে আসুন। আমরা আবারো বলছি - পরদেশের সংকীর্ণ জীবন ছেড়ে নিজ শান্তির দেশে ফিরে আসুন।
- ইমারাতে ইসলামিয়া দেশকে নতুনভাবে সাজানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে একটি মজবুত অর্থনৈতিক কমিশন গঠন করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আফগানে বিদ্যমান সকল মাধ্যম এবং উপায়-উপকরণের যথাযথ ব্যবহার এই কমিশনের অধীনে করা হবে ইনশাআল্লাহ। রাষ্ট্রের সকল ব্যবসায়ী, সম্পদশালী এবং শিল্পপতিদেরকে আফগান পুনর্গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহবান জানানো হচ্ছে। আপনারা আফগান পুনর্গঠনে আপনাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। সংস্কার ও পূর্ণগঠনমূলক সকল কাজে ইমারাতে ইসলামিয়া পরিপূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ।
আমরা আফগানিস্তান এবং ভিনদেশী সকল সম্পদশালী শিল্পপতি এবং আন্তর্জাতিক শিল্পপতিদেরও আহবান করছি - আফগানিস্তান বাণিজ্যের একটি উর্বর ভূমি। তাই আপনারা আসুন ও আফগানের অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন। এই সকল কাজে ইমারাতে ইসলামিয়া আপনাদের সবধরনের সহযোগিতা করবে।
- ইমারাতে ইসলামিয়া নিজেদের সীমান্তবর্তী ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অন্য সকল রাষ্ট্রের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক রাখতে চায়। ইমারাতে ইসলামিয়া কাউকে তাদের নিজ ভূমি ব্যবহার করে অন্য কোন রাষ্ট্রের উপর আক্রমণ করার অনুমতি দিবে না। সেইসাথে অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিও আমাদের আহবান থাকবে, তারাও যেন আমাদের সাথে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ বজায় রাখে।
এখনো পর্যন্ত আমেরিকা ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ‘দোহা চুক্তি’ বলবত আছে। সেই চুক্তির আলোকে আমেরিকা আফগানে কোন প্রকার কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করবে না। আমরা আবারো তাদের প্রতি আহবান করছি; তারা যেন চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে এবং সংকট সৃষ্টির পরিবর্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ইমারাতে ইসলামিয়া তদের কৃত চুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত আছে এবং থাকবে।
- এতে কোন সন্দেহ নেই যে, পুরো পৃথিবী এখন একটি গ্রামের মতো হয়ে উঠেছে। প্রতিটি রাষ্ট্র একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। পৃথিবীর শান্তি ও নিরাপত্তায় আমাদের দেশ আফগানিস্তানেরও ভূমিকা রয়েছে। তাই বিশ্বের অপরাপর দেশসমূহের উচিত - ইমারাতে ইসলামিয়াকে সাহায্য সহযোগিতা করা এবং তাদের শাসনব্যবস্থা মেনে নেয়া। যাতে আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো দূতাবাসের মাধ্যমে কূটনৈতিক নিয়মনীতি ও দায়িত্বশীলতার সাথে আঞ্জাম দিতে পারি।
- প্রতিবেশী এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের আহবান - আমাদের শরণার্থী ভাইদের সাথে যেন আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে আচরণ করা হয় এবং তাদেরকে সসম্মানে নিজ দেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়া হয়। শরণার্থীদের সাথে মানবতাবিরোধী এমন কোন আচরণ করা উচিত নয়, যা জাতিগোষ্ঠীর মাঝে পরস্পর বিদ্বেষ ও শত্রুতাকে উস্কে দিবে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংগঠনগুলোর উচিত - শরণার্থীদের বিষয়ে আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করা। যাতে তারা উত্তমভাবে নিজ দেশে ফিরতে পারে।
- আমর বিল মারুফ এবং নাহি আনিল মুনকার ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরিজাহ। এই মহান কাজে নিয়োজিত সকল দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান - নিজ জাতিকে পরিপূর্ণ হিকমাহ’র সাথে শরীয়তের প্রতি আহবান করুন। সতর্কতার সাথে তাদেরকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখুন। দায়িত্বশীলগণ অবশ্যই এই কাজে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি হওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন। মানুষকে দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে হবে সহজ ও সাধারণভাবে। কোন জায়েজ স্তরের কাজকে আমলিভাবে বা ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে কোন অন্য কোন গুনাহ বা শাস্তির রাস্তা উন্মুক্ত করা উচিত নয়। সর্বস্তরের সাধারণ মানুষদেরও দায়িত্ব হল - আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকারের কাজে দায়িত্বশীলদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আমরা যেন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্র থেকে সকল প্রকার খোদাদ্রোহিতা ও গুনাহ দূর করতে পারি। এই ফরজ দায়িত্বের যথাযথ আঞ্জামে সকলের সহযোগিতা কাম্য।
- এখন থেকে আফগানিস্তানে সকল প্রকার মাদক, বিশেষ করে আফিম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশবাসী ইমারাতে ইসলামিয়ার এই সিদ্ধান্তকে যথাযথ মর্যাদা দিবেন এবং সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ। সকল প্রকার মাদক ও আফিম, চাষ ও উৎপাদন থেকে বিরত থাকবেন।
মাদক উৎপাদন ও বিক্রি আমাদের লাখো জনগণের সুস্থ জীবনকে হুমকিরে মুখে ঠেলে দেয়। মনে রাখতে হবে, ইমারাতে ইসলামিয়া কৃষকদের বিকল্প পদ্ধতিতে আয় উপার্জনের ব্যবস্থাপনা আঞ্জাম দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আমাদের বিশেষ অনুরোধ –
আপনারাও আমাদের কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর আফিমের বিকল্প চাষাবাদের ব্যবস্থা করার প্রতি মনোযোগী হন। মাদক উৎপাদন পুরো রাষ্ট্র, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার জন্য জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাই বিষয়টিকে কোনভাবেই গুরুত্বহীন মনে করবেন না। বরং এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ইমারাতে ইসলামিয়া এবং আফগান জনগণকে সাহায্য করুন।
- আমরা আফগানিস্তানের সকল নারী-পুরুষের শরয়ী অধিকারকে সম্মান জানাই এবং আমরা তাদের সকল শরয়ী অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর। তাই এবিষয়ে কোন ধরণের সন্দেহ-সংশয় রাখা উচিত নয়। এই স্পর্শকাতর বিষয়টিকে কেউ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম বানানোর চেষ্টা করবেন না। একথা সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য হবে যে, গত ২০ বছরের তুলনায় বর্তমানে আফগান জাতি তাদের সকল মৌলিক অধিকার যেমন- জীবন, নিরাপত্তা, সম্মান ও যাবতীয় অধিকার অধিক ভোগ করতে পারছে।
- শিক্ষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ক্রমোন্নতির জন্য ইমারাতে ইসলামিয়া যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দ্বীনি ও সমকালীন শিক্ষা সকলের কাছে সহজলভ্য করার জন্য কেন্দ্রীয় শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে স্কুল ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সেখানে শিক্ষা অর্জনের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষকদের বেতন ভাতাও সন্তোষজনক। একটি নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা দুনিয়ার সাধারণ মর্যাদা ও আখিরাতে মুক্তির একমাত্র উপায়। তাই ইমারাতে ইসলামিয়া শিক্ষার উন্নতিকল্পে সকল ধরণের চেষ্টা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।
- ইমারাতে ইসলামিয়া শরয়ী সীমারেখা ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থের মধ্যে থেকে যে কোন ধরণের ‘স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার’ দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সত্য এবং সুস্থ প্রচার মাধ্যমগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে - ইমারাতে ইসলামিয়াকে সহযোগিতা করা। ইমারাতে ইসলামিয়ার অধীনস্থ এবং বাইরের সকল মিডিয়া বা প্রচার সংস্থার প্রতি আহবান - আপনারা সর্বদা জাতীয় স্বার্থ ও দ্বীনকে প্রাধান্য দিবেন। দ্বীনি বিশ্বাস এবং শরীয়ত সম্মত বিষয়কে সামনে রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সংবাদ প্রচার করবেন।
- দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধের কারণে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক অঞ্চল বিপুল পরিমাণের সাহায্যের মুখাপেক্ষী। যুদ্ধের কারণে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগও যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সেবা সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতি আহবান - আপনারা এই খাতে আফগান জনগণকে সহযোগিতা করুন। এক্ষেত্রে ইমারাতে ইসলামিয়া আপনাদের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
- আলহামদুলিল্লাহ, ইমারাতে ইসলামিয়া অল্প সময়েই দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে একটি ‘সুসংহত বাহিনী’ গঠন করেতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি কার্যকরী ‘পুলিশবাহীনি’ গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় একটি চৌকশ 'গোয়েন্দাবাহীনি’ও তৈরি করা হয়েছে। আফগানিস্তানের সামগ্রিক কল্যাণের লক্ষ্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথ গুরুত্বের সাথে আঞ্জাম দেয়া হয়েছে। এভাবেই ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে, যাতে কেউ আফগানের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।
- ইমারাতে ইসলামিয়ার সকল দায়িত্বশীল, মুজাহিদ এবং সর্বস্তরের কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা হল - সাধারণ জনগণের সাথে উত্তম আখলাক ও আচরণ বজায় রাখা আপনাদের মৌলিক দায়িত্ব। কখনোই জনগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করবেন না। নিজের অস্ত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যের উপর নিজের শক্তি ও দাপট প্রকাশ করবেন না। ক্ষমতা একটি আমানত, যা আপনার উপর অর্পিত হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার - আমানতের খেয়ানতও বটে।
তেমনিভাবে দায়িত্বশীলগণ খুব সতর্কতার সাথে বায়তুল মালের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যাদি আঞ্জাম দিবেন। বায়তুল মালও একটি বড় আমানত, যা আপনাদের উপর অর্পিত হয়েছে। বায়তুল মালের সম্পদ নষ্ট করার এবং জাতীয় সম্পদ আত্মসাৎ করার অধিকার কারও নেই। কেউ যদি বায়তুল মালের সম্পদ ব্যবহারে অসতর্কতার পরিচয় দেয়, তাহলে ইমারাতে পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহ তায়ালাও কিয়ামতের দিন তার সাথে কঠিন আচরণ করবেন।
সকল সম্পদশালী ও শিল্পপতির প্রতি আহবান - ঈদের এই আনন্দঘন দিনগুলোতে অসহায় দেশবাসীর কথা ভুলে যাবেন না। যথাসাধ্য তাদের প্রতি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
পরিশেষে আরও একবার আপনাদের ঈদের মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আনন্দে ভরে উঠুক আপনাদের দিনরাত।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই দেশে সুখ, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দিন, আমিন।
ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের প্রধান
আমিরুল মু’মিনিন শাইখুল হাদিস মৌলভি হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিযাহুল্লাহ
28/০৯/১৪৪3 হিজরি চন্দ্র-বর্ষ
09/০২/১৪০1 হিজরি সৌর-বর্ষ
29/০4/২০২2 খ্রিস্টাব্দ
************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الفردوس للإنتاج الإعلامي
আপনাদের দোয়ায় মুজাহিদ ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
In your dua remember your brothers of
Al Firdaws Media Foundation