JustPaste.it

মুবাহালা কী এবং আইএস সমর্থক @Abdul Ahad এর মুবাহালার আহবানের জবাবে.......

 


মুবাহালা কুরআনুল কারীমে বর্ণিত একটি শর’য়ী বিষয়,যা বাতিলপন্থীদের সাথে করা হয়ে থাকে।মুবাহালা শব্দের অর্থ হচ্ছে, ‘মুলা’আনাহ’ তথা একে অপরকে লা’নত বা অভিশাপ দেওয়া।

সংক্ষেপে মুবাহালা হচ্ছে দু’টি দল বা পক্ষের মধ্যে কোনো বিষয়ে হক্ব-বাতিল হওয়া নিয়ে শরীয়তসম্মত উপায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে এই মর্মে লা’নত বা অভিশাপ দেওয়া যে, যদি তারা নিজেরা বাতিল হয়, তাহলে তারা যেনো ধ্বংস বা আল্লাহ তা’আলার আযাবে নিপতিত হয়। আর যদি বিপরীত পক্ষ বাতিল হয়ে,তাহলে উক্ত পক্ষ যেনো অনুরুপ ধ্বংস বা আল্লাহ তা’আলার আযাবে নিপতিত হয়।।

ইমাম ইবনুল কায়্যিম রাহঃ মুবাহালার ব্যাপারে বলেন,
السُّنَّة فى مجادلة أهل الباطل إذا قامت عليهم حُجَّةُ اللهِ ولم يرجعوا ، بل أصرُّوا على العناد أن يدعوَهم إلى المباهلة ، وقد أمر اللهُ سبحانه بذلك رسولَه ، ولم يقل : إنَّ ذلك ليس لأُمتك مِن بعدك "
“বাতিলপন্থীদের সাথে বিতর্কের ক্ষেত্রে সুন্নাহ হচ্ছে, যখন তাদের উপর আল্লাহর হুজ্জাত (দলীল/প্রমাণ) উপস্থাপন করা হয়, কিন্তু তারা ফিরে না আসে বরং গোমরাহী বা অবাধ্যতার উপর অটল থাকে, তখন তাদেরকে মুবাহালার দিকে আহবান করা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর রাসূলকে এর নির্দেশ দিয়েছেন। আর আল্লাহ তা’আলা এটি বলেননি যে, ইহা আপনার পড়ে আপনার উম্মতের জন্য নয়।” (যাদুল মা’আদ-৩/৬৪৩)

আল্লামা আহমাদ ইবনে ইব্রাহীম রাহঃ “শারহু কাসীদাতি ইবনিল-কায়্যিম” নামক কিতাবে বলেন,
" وأما حكم المباهلة : فقد كتب بعض العلماء رسالة في شروطها المستنبطة من الكتاب والسنة والآثار وكلام الأئمة ، وحاصل كلامه فيها : أنها لا تجوز إلا في أمر مهم شرعا وقع فيه اشتباه وعناد لا يتيسر دفعه إلا بالمباهلة ، فيشترط كونها بعد إقامة الحجة ، والسعي في إزالة الشبه ، وتقديم النصح والإنذار ، وعدم نفع ذلك ، ومساس الضرورة إليها " انتهى .
অর্থঃ “আর মুবাহালার হুকুম হচ্ছে, কিছু উলামায়ে কিরাম কিতাব,সুন্নাহ,আছার এবং ইমামদের বক্তব্য থেকে উদ্ভাবিত বিভিন্ন শর্তের বিষয়ে পুস্তিকা লিখেছেন। আর সেসব বক্তব্যের সারাংশ হচ্ছে, এটি (মুবাহালা) শর’য়ী গুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয় ব্যতীত বৈধ নয়,যাতে সে এমন সংশয় ও গোমরাহীতে নিপতিত হয়েছে এবং তা নিষ্পত্তি করার জন্য মুবাহালা ব্যতীত অন্য কোনো কিছু সহজতর হবে না। অতঃপর হুজ্জাত তথা দলীল-প্রমাণ উপস্থাপন, সংশয় দূর করার চেষ্টা, নাসীহাহ এবং সতর্ক বার্তা উপস্থাপন, এতে কোনো উপকার না থাকা এবং মুবাহালার প্রয়োজনীয়তার সম্পর্ক (বর্ণনার) পর তা সংঘটনের শর্তারোপ করা হয়েছে।” "شرح قصيدة ابن القيم" 1 /37


উপরোক্ত দু’টি বক্তব্য থেকে মুবাহালার ব্যাপারে যে বিষয়গুলো জানা যায়, তা হচ্ছে__


১। মুবাহালার বিষয়টি শর’য়ী গুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয় হতে হবে, যার সমাধান মুবাহালা ব্যতীত সম্ভব নয়।
২। মুবাহালায় দু’টি পক্ষ থাকতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট বিষয় থাকতে হবে।
৩। মুবাহালা সেসব বাতিলপন্থীদের সাথে হতে পারে,যাদের কাছে দলীল উপস্থাপনের পরও তা মেনে নেয় না।
৪। মুবাহালার পূর্বে অবশ্যই বাতিলের সামনে সত্যের সপক্ষে হুজ্জাত তথা দলীল-প্রমাণ পেশ করতে হবে।
৫। মুবাহালার পূর্বে বাতিলপন্থীদেরকে নাসীহাহ দেওয়া এবং তাদেরকে এই মুবাহালার পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করা।

এবার আসুন......
প্রথমতঃ আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad এর মুবাহালার আহবানের সাথে যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো মিলানোর চেষ্টা করি,তাহলে দেখব, সে আসলে কোনো পক্ষ নয়। কারণ, সে আইএসের কোনো প্রতিনিধি নয়।
এমনকি আইএসের খারিজী আকীদার অনেক বিষয় সে নিজেই জানে না।

এর প্রমাণ তার টাইমলাইনে অনেক আছে। যেমনঃ সে এখনো পর্যন্ত দাবি করে যে, আইএস আল-কায়েদার সকল শাখাকে তাকফির করে না। অথচ আইএস আল-কায়েদার সকল শাখা, শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ, আল-কায়েদা,তালিবানের সকল মুজাহিদ এবং আল-কায়েদাকে যারা মুরতাদ মনে করে না বরং ভালোবাসে তাদেরকেও মুরতাদ আখ্যা দেয়। (এর প্রমাণ আমার আর্টিকেলে আছে। যদি তা তাদের জন্য যথেষ্ট না হয়,তাহলে যেনো বিতর্কে আসে।)

শুধু তাই নয়, যখন আমি গত কয়েকদিন আগে #Abdul_Ahad এর লেখার জবাবে ১ম পর্বে আইএস কর্তৃক আল-কায়েদার সিরিয়ার সাবেক শাখা জাবহাতুন নুসরার প্রত্যকে মুজাহিদকে মুরতাদ আখ্যা দেওয়ার অকাট্য প্রমাণ পেশ করলাম, সে তখন বললো, সে আইএসের এই কথার সাথে একমত নয় যে, জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদ মুরতাদ !!!!

চিন্তা করুন ! সে আইএসের আকীদা জানে না এবং “জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদ মুরতাদ” আইএসের আকীদায় মুরতাদ ছিলো, এর সাথে একমতও নয় !! এরকম একজন ব্যক্তি কীভাবে আইএসের সপক্ষে মুবাহালার একটি পক্ষ হয় ???
বরং আইএসের তাকফির নীতির আলোকে সে নিজেই মুরতাদ হওয়ার কথা।

দ্বিতীয়তঃ আইএস যে একটি খারিজী দল এই বিষয়টি শর’য়ী এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, যা মুবাহালা ব্যতীত সমাধান করা সম্ভব নয় বরং আইএস যে একটি খারিজী দল তা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট+++ প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে, আলহামদুলিল্লাহ।
আমরা আইএসের এদেশীয় সদস্যদেরকে তাদের অফিসিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সম্ভাব্য যেকোনো উপায়ে বিতর্কে আসার আহবান জানাচ্ছি, যেখানে আমরা অকাট্যভাবে প্রমাণ করবো যে, কীভাবে আইএস একটি খারিজী দলে পরিণত হয়েছে ইনশাআল্লাহ্‌।

আমি হিমালয়সম দৃঢ়তা নিয়ে প্রায় একবছর আগে আইএসের এদেশীয় সদস্যদের (যদি কেউ অবশিষ্ট থাকে) প্রতি করা চ্যালেঞ্জটি পূনরাবৃত্তি করতে চাই, আমি বাগদাদী থেকে শুরু করে আইএসের এদেশীয় নেতাদের সাথে অফিসিয়ালি (আল-কায়েদার পক্ষ থেকে আমি অনুমতি সাপেক্ষে) আল-কায়েদার পক্ষে চ্যালেঞ্জ করছি যে, আমি তাদের সাথে বিতর্ক করতে চাই এই বিষয়ে যে, তারা শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহ. এর মানহাজ থেকে আকাশ-পাতাল দূরত্বে ছিটকে পড়েছে এবং তারা যে মানহাজ অনুসরণ করে আল-কায়েদা ও তালিবানদেরকে তাকফির করছে, তা সম্পূর্ণ খারিজীদের মানহাজ। আইএস সুস্পষ্টভাবে একটি খারিজী দলে পরিণত হয়েছে।
যদি আমি সেটি প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে আমি আমার জীবন,সম্পদ সবকিছু আইএসের মানহাজের পক্ষে ব্যয় করবো ইনশাআল্লাহ্‌ ।

তৃতীয়তঃ #Abdul_Ahad বা কেউ যদি কোনো বিষয়ে মুবাহালা করতে চায়, তাহলে তা ব্যক্তিগত বিষয় হবে। সেজন্য আব্দুল আহাদকে সর্বপ্রথম বিতর্কের মাধ্যমে হুজ্জাত বা প্রমাণ পেশ করতে হবে যে, আইএস খারিজী দল নয়।
এমন কোনো হুজ্জাত সে পেশ করাতো দূরের কথা বরং সে নিজেই আইএসের আকীদা পুরোপুরি জানে না, আবার কিছু অংশের সাথে সে নিজে একমতও নয়।

এমতাবস্থায় আইএস খারিজী দল কি না, এটি নিয়ে তার মুবাহালা করার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে কোনো সুস্থ মানুষের মনে হবে না আশা করি।
বরং সে যে আইএসের আকীদা অনুযায়ী নিজেই মুরতাদ হয়ে যায়, তার প্রমাণের জন্য বিতর্কে আসতে পারে। কিন্তু তার ছলচাতুরী,সত্যকে পাশ কাটানো, জাহালাত, প্রবৃত্তি অনুযায়ী দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা এবং বুঝের স্বল্পতা দেখে আমার কাছে মনে হয়, তাকে যতই সত্য গিলিয়ে খাওয়া হোক না কেনো, তা তার পেটে হজম হবে না।

চতুর্থতঃ সে যদি মনে করে যে, শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বিরুদ্ধে ১০০ টি (তার ঘোষণা অনুযায়ী) মিথ্যাচার ও মনগড়া শরীয়ত বানানো সম্বলিত লেখাগুলো আইএস যে খারিজী নয়, তার পক্ষে হুজ্জাত বা প্রমাণ, তাহলে সে যেনো সেই ঝড়ের অপেক্ষা করে, যা তার সবগুলো মিথ্যাচারকে চূর্ণবিচুর্ণ করে দিবে এবং তার এসব মিথ্যাচার তার জন্য লাঞ্চনা ও মুখ লুকানোর কারণ বানাবে ইনশাআল্লাহ্‌।

আশা করি ১ম পর্বের মাধ্যমে বিবেকবান মুসলিমগণ সেটি অনুধাবন করতে পেরেছেন। সে নিজেও কিছুটা টের পেয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
বাস্তবিক তার কথা যে হুজ্জাতের ধারে কাছেরও নয়, তা সে জাবহাতুন নুসরাকে আইএস তাকফির করে না বলে যে নির্মম জাহালাত ও মিথ্যাচার করেছিলো, তা আমার প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

পঞ্চমতঃ আইএসের এদেশীয় নেতারা অফিসিয়ালি ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক করার প্রায় ১ বছর আগের আহবান গ্রহণ করলে, তাদের সামনে তাদের খারিজী হওয়ার সকল প্রমাণ পেশ করার পর প্রয়োজন মনে করলে আমরা মুবাহালা করতে পারি।
যদিও গ্লোবাল জিহাদের উলামাগণ আইএসের মুখপাত্র আবু মুহাম্মাদ আদনানীর মনগড়া মুবাহালায় সাড়া দেননি বরং তার দু’আ এবং মুবাহালা তার নিজের উপরই নিক্ষিপ্ত হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
তবে শাইখ হানী আস-সিবা’ঈ হাফিঃ আইএসের নেতাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, তারা যেনো উনার সাথে বিতর্কে আসে, তিনি প্রমাণ করে দিবেন যে, আইএস একটি খারিজী দল। ফলশ্রুতিতে এখন শাইখ হানী আস-সিবা’ঈ হাফিঃ কে মুরতাদ(ত্বগুত) আখ্যা দিয়েছে।

এখানে একটু সংক্ষেপে আদনানীর দু’আ এবং মুবাহালার বিষয়ে একটু বলে রাখছি,
আদনানী তার একটি দু’আয় বলেছিল, যদি এই দাউলা/আইএস খারিজীদের রাষ্ট্র হয়, তাহলে আল্লাহ যেনো এর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন, এর নেতাদের হত্যা করেন এবং এর পতাকা/ক্ষমতাকে অবনমিত করে দেন ইত্যাদি।

আলহামদুলিল্লাহ, যাদের চক্ষু আছে তারা আজ আদনানীর দু’আর প্রত্যক্ষ ফল দেখতে পাচ্ছেন।
আদনানী যেসব বিষয়ে মুবাহালা করেছিল, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, আইএস এটি আকীদা রাখে না, যে ব্যক্তি আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায় অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে যায়।
অতঃপর মুবাহালার শেষে এটি বলেছিল যে, // হে আল্লাহ ! আমাদের মাঝে যে মিথ্যাবাদী,আপনি তার উপর লা’নত দিন এবং আমাদেরকে তার নিদর্শন দেখিয়ে দিন ও তাকে উপদেশ বানিয়ে দিন। হে আল্লাহ ! এমন প্রত্যেক ব্যক্তি যে জিহাদ ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে,আপনি তার চক্রান্তকে তার গর্দানে ফিরিয়ে দিন এবং গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে দিন এবং লুকানো উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে দিন,আর তাকে উপদেশ গ্রহণকারীর জন্য উপদেশ বানিয়ে দিন।// (আইএসের মুখপাত্রের মুবাহালার বক্তব্যের হুবহু অনুবাদ)

আদনানীর এই মুবাহালার ঠিক ১ বছর সাড়ে ৩ মাস পরেই আদনানী এক বার্তায় স্পষ্টভাবে তার নিজের করা মুবাহালার বিপরীত বক্তব্য দিয়ে জানিয়ে দিলো, //সুতরাং তুমি বুঝো আর না বুঝো (আইএস)ইসলামিক স্টেইটের বিরুদ্ধে লড়াই করার মাধ্যমে তুমি কুফরে পতিত হবে। //
অর্থাৎ আদনানীদের লুকানো আকীদাকে তার মুবাহালার সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে তার মুখ দিয়েই প্রকাশ করে দিলেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার আর্টিকেল... "তাকফীরের ক্ষেত্রে আইএসের ভয়াবহ বিচ্যুতি" পড়ুন এবং আইএসের গোমরাহীর প্রমাণাদি দেখুন.....  https://justpaste.it/takfir_is 

ষষ্ঠতঃ আইএস সমর্থকরা আমার এই লেখাটিকে আব্দুল আহাদের সাথে মুবাহালা করতে আমি রাজি নই, এধরণের প্রোপাগান্ডা চালানোর চেষ্টা করতে পারে (তাদের ব্যাপারে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)।
এধরণের প্রোপাগান্ডা তাদের নেতা আদনানীর ব্যাপারেও তারা করেছিলো।
মুবাহালার মৌলিক শর্তই তার মধ্যে নেই। না সে আইএসের আকীদার, আর না সে আইএস খারিজী নয় এর সপক্ষে কোনো দলীল-প্রমাণ পেশ করেছে।

মুবাহালার সব শর্ত পূরণ করে আসলে তখন সে মুবাহালার নাম মুখে নিতে পারে।
তথাপিও সে যেভাবে তার লেখাগুলোতে জাহালাত ও অবর্ণনীয় মিথ্যাচারের সমাবেশ ঘটিয়ে বছরের পর বছর ধরে কতিপয় সমর্থককে প্রতারিত করে যাচ্ছে, ঠিক সেভাবে তার খায়েশ থাকলে আইএসের মুখপাত্র আদনানীর মতো নিজে নিজেই মুবাহালা করে অপেক্ষা করে তার নিজের ধ্বংস সে নিজেই ডেকে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারে। যদিও আমি তার ধ্বংস চাই না বরং তার হিদায়াত চাই।

সুতরাং আবারো চ্যালেঞ্জ করছি, আইএস সমর্থকরা যেনো অফিসিয়ালি ঘোষণা দিয়ে আমার সাথে বিতর্কে আসে, যেখানে আমি প্রমাণ করে দিবো যে, আইএস একটি খারিজী দল। অবশ্য আমার প্রায় ১ বছর আগের চ্যালেঞ্জে কেউ সাড়া দেয়নি।
আকীদা ও মানহাজ নিয়ে আমার সেই চ্যালেঞ্জ করা পোস্টটি এখানে পাবেন.....  https://justpaste.it/is_debate

এরপরেও যদি তারা আমার চ্যালেঞ্জে সাড়া না দিয়ে হইচই ও মিথ্যাচার করতে থাকে এবং আব্দুল আহাদের মতো লা’নত বা অভিশাপ দিতে থাকে, তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখছি, বিগত প্রায় ২ বছর ধরে আইএস সমর্থকরা আমাকে শতশত বার লা’নত বা অভিশাপ দিয়েছে। অসংখ্যবার তাদের ডজন ডজন সমর্থক আমাকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছে।

এমনকি এই #Abdul_Ahad ও আমাকে বহুবার লা’নত দিয়েছে, যা তার বাতিল হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কেননা
আলহামদুলিল্লাহ, ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা’আলার অফুরন্ত রহমতে তাদের এই শত শত অভিশাপ আমার কোনো ক্ষতি-ই করতে পারেনি বরং তারা নিজেরাই এখন বিলুপ্ত প্রজাতির ন্যায় নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে।

তারা যদি তাদের বাতিল মতবাদ পরিহার না করে হাজার হাজার বারও লা’নত দিতে থাকে, তা আল্লাহ তা’আলা তাদের উপরেই ফিরিয়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ্‌।

বিপরীতে তাদের এই শত শত লা’নতের জবাবে তাদেরকে একবারও আমি লা’নত প্রদান করিনি।
পরিশেষে বলবো, শীঘ্রই আপনারা #Abdul_Ahad এর ১০০ মিথ্যাচার ও বানোয়াট শরীয়তের ধারাবাহিক জবাব পাবেন, যা আদনানীর মতো তার জাহালাত, ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা এবং শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বক্তব্যকে সত্য এবং শরীয়ত অনুযায়ী হওয়া প্রমাণ করবে ইনশাআল্লাহ্‌ এবং ঠিক প্রথম পর্বের মতোই তার কুৎসিত চেহারাকে আরো সুস্পষ্ট করবে ইনশাআল্লাহ্‌।

 

খারিজী আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad ও অন্যান্যদের নির্মম জাহালাত,মিথ্যাচার ও ভ্রষ্টতার জবাব

পেইজের লিংক.....  https://justpaste.it/is_jobab