ভুল সংশোধন নাকি ছলচাতুরী ! আর কত মিথ্যাচার ও খেয়ানত !!
আমি যখনই আইএস সমর্থক #Abdul_Ahad এর কোনো নগ্ন মিথ্যাচারের জবাব দিয়ে তার আসল সত্য তুলে ধরছি, তখনই সে তার সমর্থকদের চোখে নিজেকে ভালো সাজার এক ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে।
যেইমাত্র আমি শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর ‘ইসলামী বসন্ত’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে তার নিকৃষ্টতম ১০০ টি মিথ্যাচার+মনগড়া শরীয়ত বানানোর ব্যাপারে ১ম পোস্টটি করলাম, তখনই সে নিজেকে সংশোধনের নামে এক নতুন ছলনার আশ্রয় নিয়েছে।
তার নগ্ন মিথ্যাচার প্রকাশিত হওয়ার পর সে এখন দাবী করছে, সে নাকি বইটির মুখবন্ধ ভালো করে খেয়াল করেনি !!
ভুল সংশোধনীর নামে নিজের ছলচাতুরী ও প্রতারণা ঢাকতে চেষ্টা করা সেই পোস্ট.... https://justpaste.it/1iiol
সুবহানাল্লাহ ! অথচ একজন ভাই এই ১ নাম্বার বিষয়ে সে লেখাটি লেখার দুয়েকদিন পরই (এখন থেকে ১০ সপ্তাহ আগে) তার সেই পোস্টে কমেন্ট করে তার এই নিকৃষ্টতম মিথ্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। তখন সে কী বলেছিল দেখুন......
// একজন যাযাবর ১। "F"
মুখবন্ধের ২য় পেরায় বলা হচ্ছে,,
"টুইন টাওয়ারে যারা বরকতময় হামলা করেছিলেন এবং যে লক্ষে হামলা করেছিলো,, তাদেরকে কিছু (দাওলাহর) নিমকখোর অবিবেচক সন্তানেরা নির্মমভাবে শহীদ করেছে"।। [জবাব আমি ইসলামিক বসন্ত পড়েছি, এবং এখনো দেখেছি। হে ভাই তিনি কোথায় বলেছেন যে টুইন টাওয়ারের হামলাকারীদের হত্যা করছে দাওলা? তিনি মুজাহিদীনদের হত্যার কথা বলেছেন। তাই ...... এর পরে এভাবে লেখা খেয়ানত। আর মুজাহিদীনদের হত্যা করা সব শ্রেণী থেকে প্রমাণিত! সুতরাং অপবাদ হয়ে যাচ্ছেনা ভাই! যদিও আমি উনার সব কথার সাথে সহমত না!
Abdul Ahad: আপনি ইসলামী বসন্ত পড়েছেন আল কায়েদার দৃস্টি দিয়ে তাই শরীয়ত ও ফিক্বহ দিয়ে বিশ্লেষন করতে পারেননি।। "নিমকখোর অবিবেচক সন্তানেরা" এর ৩ লাইন আগেই টুইন টাওয়ারের প্রেক্ষাপট স্লোগান ও বরকতময় হামলার কথা উল্লেখ আছে।। আল কায়েদার বরকতময় হামলা বলতে টুইন টাওয়ারের হামলাই বুজে পুরো উম্মত এমনকি পুরো বিশ্ব।। উসুলে ফিক্বহের ভাষায় এ ধরনের কথাকে دلالة الإشارة বলা হয়।।//
.
এখনও #একজন_যাযাবর ভাইয়ের সেই কমেন্ট এবং আব্দুল আহাদের সেই উত্তর মওজুদ আছে। যে কেউ তার সেই পোস্টে গিয়ে দেখে নিতে পারেন...... https://fb.com/312667945896062
খেয়াল করুন এখন কী বলছে আর ঐ ভাই যখন তাকে এই নগ্ন মিথ্যাচারটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন, তখন সে কী বলেছিল !! সে শুধু খেয়ালই করেনি বরং // শরীয়ত ও ফিক্বহ দিয়ে বিশ্লেষন// করেছিল !!
তাহলে এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, তার উক্ত শরীয়ত ও ফিক্বহ দিয়ে বিশ্লেষন ছিল শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বিরুদ্ধে নগ্ন মিথ্যাচার। যার শরীয়তী ও ফিক্বহী বিশ্লেষণ এমন হয় , শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর বিরুদ্ধে শরীয়ত বিরোধী হওয়ার অপবাদগুলো ঠিক এমনিভাবে একে একে কর্পূরের মতো উবে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
.
তার কথিত সংশোধনীতে সে শুধু শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর জায়গায় সম্পাদক লিখে দিয়েই খালাস। এমনকি শেষের দিকে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ কে সম্বোধন করে যেসব কথা লিখেছে, তা পূর্বের মতোই বহাল আছে।
অথচ তার দাবীকৃত সেই কথাটিই মুখবন্ধে নেই।
আব্দুল আহাদের ভাষ্য.........
[মুখবন্ধের ২য় পেরায় বলা হচ্ছে,,"(টুইন টাওয়ারে) যারা বরকতময় হামলা করেছিলেন এবং যে লক্ষে হামলা করেছিলো,, তাদেরকে কিছু (দাওলাহর) নিমকখোর অবিবেচক সন্তানেরা নির্মমভাবে শহীদ করেছে"।।]
অথচ দেখুন, মুখবন্ধে কী আছে......
“হৃদয় ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যায় ! আজ যখন দেখি, উম্মাহর রত্ন মানিকতুল্য মুজাহিদগণ যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জিহাদ শুরু করেছিলেন, যার জন্য এত এত রক্ত ঝরল উম্মাহর। আজ তাদের নিমকখোর কিছু অবিবেচক ইসলামের নামে মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুজাহিদদের নির্মমভাবে শহীদ করছে। জিহাদের পথে যারা দশক- দশক ধরে নিজেদের জান-মাল-স্ত্রী-সন্তান কুরবান করে ফেরারী জীবন-যাপন করছে- কারা এরা; যারা তথাকথিত খিলাফতের নামে তাদের রক্ত হালাল করছে।”
তার খেয়ানত কোন মাত্রার লক্ষ্য করুন, সে বলছে, এর ৩ লাইন পূর্বে টুইনওটাওয়ার হামলার কথা আছে, এজন্য সে এর সাথে টুইনটাওয়ার হামলার কথা জুড়ে দিয়েছে !!
আচ্ছা, এই অংশটুকুর ৫ লাইন পূর্বেতো শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহঃ এর কথাও আছে !! তাহলে সেটার সাথেও জুড়ে দেওয়া যাক যে, মুখবন্ধে বলা হয়েছে, .......তারা উসামা বিন লাদেন রাহঃ কেও হত্যা করেছে ????
.
তার কথিত ভূল সংশোধনীতে সে নিজেকে ভালো বানানোর জন্য লিখেছে, আমার মাধ্যমে নাকি তার ভুলগুলো সংশোধন হয়ে যাচ্ছে !!! তাহলেতো তার উচিৎ ছিল, আমার কাছে এবং আল-কায়েদা ও শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর কাছে ক্ষমা চেয়ে এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা। কিন্তু না, বরং সে আরো নিত্য নতুন মিথ্যাচার ও ছলচাতুরী করেই যাচ্ছে।
আচ্ছা, এই যে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর বিরুদ্ধে এধরণের নগ্ন মিথ্যাচার করলো। আওয়ামীলীগ-বিম্পির সাথে তুলনা দিলো ! এখনতো প্রমাণিত হলো এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এই কথাটিই মুখবন্ধে নেই।
তার এই পোস্টটি পড়ে যে শত শত মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছিল, তাদের কাছে এখন কী সে এজন্য ক্ষমা চেয়ে প্রকাশ্যে পোস্ট দিয়ে বলেছে যে, এটি শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরীর বিরুদ্ধে তার মিথ্যাচার ছিল ????
নাকি ভুল সংশোধনী নাম দিয়ে ভেতর থেকে শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ এর নামের পরিবর্তে সম্পাদক লিখে দিলেই হলো !!! এটিওতো আরেকটি মিথ্যাচার। কারণ এই কথাটিই উক্ত বইতে নেই।
এখনতো আড়াই মাস আগে লেখা সেই নগ্ন মিথ্যাচারের পোস্টে কথিত ছলচাতুরীর সংশোধনীও কেউ পড়বে না !!!
.
এরপরে আসুন, প্রায় ২ বছর আগে আমি যখন আইএসের তাকফীরের ক্ষেত্রে বিচ্যুতি নিয়ে প্রমাণ পেশ করলাম যে, আইএস সিরিয়ায় আল-কায়েদার সাবেক শাখা জাবহাতুন নুসরার প্রত্যেক মুজাহিদকে মুরতাদ আখ্যা দিয়েছে। তখন সে তার ৩ টি লেখায় আমাকে //মুনাফিক্ব, আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ইত্যাদি// জঘন্য গালিগালাজ করে বললো যে, আইএস কাউকে তাকফীর করেনি। সাহাওয়াত বলে আইএস নাকি জাবহাতুন নুসরাহকে তাকফীর করেনি।
এখনতো আমি সেই সময়ে আইএসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত অফিসিয়াল প্রমাণাদির মাধ্যমে তার এই নগ্ন আক্রমণ ও মিথ্যাচারের জবাব দিলাম, এখন সে তার পোস্টে বলছে, সে নাকি সাহাওয়াত শব্দকে শুধু ভুল বুঝেছিল !!!
সুবহানাল্লাহ !! আমি শুধু তার এই শব্দগত ভুল ধরেছি ???
সে যেই কারণে আমাকে //মুনাফিক্ব, আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ইত্যাদি// আখ্যা দিলো, এখনতো সেগুলো অকাট্য সত্য হলো। সে এসবের জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাওয়াতো দূরের কথা বরং নিত্য-নতুন ধোঁকাবাজি নিয়ে হাজির হচ্ছে।
সে যদি সত্যি সত্যিই সংশোধন হতো, তাহলে তার এই নিকৃষ্ট আক্রমণ ও নীচতম জাহালাতের জন্য ক্ষমা চেয়ে খারিজী আইএসের প্রতি তার সকল সমর্থন প্রত্যাহার করতো, যেমনটি আমি করেছি।
আমিও ২০১৪-২০১৫ তে আইএস জাবহাতুন নুসরাহ কিংবা আল-কায়েদাকে তাকফীর করে না এমনটি দাবি করে বিশাল বিশাল পোস্ট+নোট লিখেছিলাম, কিন্তু যখনই আমার কাছে প্রমাণ আসলো যে, আসলেই খারিজী আইএস মুজাহিদদেরকে তাকফীর করছে। সাথে সাথে তাদের সমর্থন ছেড়ে দিলাম এবং তাদের গোমরাহীর বিরুদ্ধে লেখা শুরু করলাম।
.
এখনো তার সামনে এসব ছলচাতুরী পরিহার করে তাওবার পথ খোলা আছে এবং নিকৃষ্টতম জাহালাত ও নগ্ন মিথ্যাচারের পথ পরিহার করে সত্যকে গ্রহণ করার পথ উন্মুক্ত আছে। কিয়ামতের দিন এসব ছলচাতুরী ও ধোঁকাবাজি তার জন্য জাহান্নামের পথকেই শুধু প্রশস্ত করবে।