مؤسسة الحكمة
আল হিকমাহ মিডিয়া
Al-Hikmah Media
تـُــقدم
পরিবেশিত
Presents
الترجمة البنغالية
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
بعنوان:
শিরোনাম:
Titled
رسالة إلي الأسير في سجون الطغاة
তাগুতের কারাগারে বন্দি ভাইদের প্রতি...
In the prisoners of Tagut's prisoners...
للشيخ أبو بصير ناصر الواحيشي رحيمه الله
শাইখ আবু বাসির নাসির আল-ওয়াহাইশি রহিমাহুল্লাহ
By Sheikh Abu Basir Nasir Al-Wahaishi Rahimahullah
للقرائة المباشرة والتحميل
সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Reading and Downloading
روابط بي دي اب
PDF (428 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৪২৮ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/rxsJz6BHYwqfWMr
https://www.mediafire.com/file/u6de8i644df9yyn/TagutKaraprokostheBondi_-_SaikhAbuBasir.docx/file
https://mega.nz/file/AYNwXDAa#pOnNLsF0WqUCqIViowKwyJygTfgebi2mOUo-xsp2T3Y
https://archive.org/download/karagare-bondi-vai/TagutKaraprokostheBondi%20-%20SaikhAbuBasir.pdf
https://www89.zippyshare.com/v/jgyzJqKT/file.html
https://efss.qloud.my/index.php/s/d33rQgpGNprZZpy
روابط ورد
Word (580 KB)
ওয়ার্ড [৫৮০ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/9AScNxctQ3d7FTM
https://www.mediafire.com/file/u6de8i644df9yyn/TagutKaraprokostheBondi_-_SaikhAbuBasir.docx/file
https://mega.nz/file/VNcywDQQ#RHwKUjkUwrNlX5eVRvBesVSbCZOYF2S8BTzlpbG4vu0
https://archive.org/download/karagare-bondi-vai/TagutKaraprokostheBondi%20-%20SaikhAbuBasir.docx
https://www89.zippyshare.com/v/WmkafMU6/file.html
https://use01.thegood.cloud/s/piEmQWjy43HKFmp
روابط الغلاف- ١
book Banner [426 KB]
বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৪২৬ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/TL9Z6XQ3fQeb2Lj
https://www.mediafire.com/view/c5wk4evsow0f7gv/TaghuterKaragareBondi.jpg/file
https://mega.nz/file/wUcyhbAa#-iCATVKGdL9Y7HQ8Xu9EnnGdvKaThWO9I0BTKIbcZ0Y
https://jpcdn.it/img/28d7dedfb5cc0f961628b1f1c357c8b9.jpg
https://file.fm/thumb_show.php?i=rx7uyys5t
https://www89.zippyshare.com/v/Hyu2EZPx/file.html
https://use01.thegood.cloud/s/gqRPaDmbLD4eDsk
روابط الغلاف- ٢
Banner [998 KB]
ব্যানার ডাউনলোড করুন [৯৯৮ কিলোবাইট]
https://banglafiles.net/index.php/s/YCbDFKQHAS6tCP2
https://www.mediafire.com/view/x9gcxp2wowtl24y/banner.jpg/file
https://mega.nz/file/YMNQAJiC#CJ_JszIp9FVcgugvMu0pZCdvIYchxaulNLyNLaCyA14
https://jpcdn.it/img/2f6f0f8db40efdc6b1f4e896134050ff.jpg
https://file.fm/thumb_show.php?i=r52m5mm5r
https://www89.zippyshare.com/v/IUle2mXQ/file.html
https://use01.thegood.cloud/s/siqgQysmCg432cS
**********
তাগুতের কারাগারে বন্দি
ভাইদের প্রতি...
শাইখ আবু বাসির নাসির আল-ওয়াহাইশি রহিমাহুল্লাহ
অনুবাদ
আব্দুল্লাহ সাদী
الحمد لله، والصلاة والسلام على المصطفى وبعد،
এটি একটি বার্তা, একটি চিঠি; আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহপ্রত্যাশী বান্দা আবু বাসিরের পক্ষ হতে তাগুতের কারাগারে বন্দি ভাইদের উদ্দেশ্যে; যাদেরকে বন্দি করা হয়েছে তাদের দ্বীনের কারণে, দ্বীনের নিরাপত্তা রক্ষা করার চেষ্টার অপরাধে!
এটি একটি বার্তা, যা প্রেরণ করা হচ্ছে দাওয়াত ও কিতালের পাঠশালা থেকে ইউসুফ আলাইহিস সালামের পাঠশালার ঠিকানাতে!
হৃদয়ের নির্যাস নিংড়ে লেখা এ চিঠি প্রেরণ করছি এমন অন্তরসমূহের কাছে, যাদের পথ দ্বীন-ইসলামের পথ! যাদের মাধ্যম আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের মাধ্যম।
এ চিঠি আমাদের এমন কিছু ভাইদের উদ্দেশ্য তারা যদি আমাদের কাছে আমাদের আত্মা চাইতো, তাহলে আমরা আমাদের আত্মাকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে থরে থরে সাজিয়ে তাদের সামনে পেশ করতাম।
আমাদের এ বার্তা একই পথের পথিক ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শনকারী ভাইদের প্রতি। প্রকৃতপক্ষেই আমি জানি না, এ সকল উচ্চাকাঙ্খী হৃদয় সম্পর্কে আর কী-ই বা বলবো?! পাহাড়ের চেয়েও অটল এ সকল দৃঢ়প্রত্যয়ী ব্যক্তিদের ব্যাপারে আর কী-ই বা আমি লিখবো?!
আলহামদুলিল্লাহ। দ্বীন-ইসলামে আপনাদের মত আল্লাহর সেনা তৈরী হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, জামানা আপনাদের মত আর কাউকে জন্ম দিতে পারেনি।
আল্লাহর বাতলে দেয়া পন্থায় এবং তাঁরই তত্ত্বাবধানে অগণিত-অসংখ্য শহীদ, আহত এবং বন্দি সাথীকে সাথে নিয়ে কাফেলা চলছে তো চলছেই! কোন অপদস্তকারীর অপমান তাদের ক্ষতি করতে পারে না। কোনো যালিমের ভীতি প্রদর্শন তাদেরকে শঙ্কিত করে না। বিরুদ্ধবাদীদের সংখ্যাধিক্যও তাদেরকে বিচলিত করে না। তারা প্রত্যেকেই যেন দাঁড়িয়ে আছে সীমান্ত প্রাচীরে! সেজন্য তাদের প্রতিদানও দেয়া হবে ধৈর্যের পরিমাপ করে! আর তারা প্রত্যেকেই আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করার ক্ষেত্রে অংশীদার হবে ইনশাআল্লাহ্।
প্রিয় ভাই,
অনেক দুঃখ ভরা কণ্ঠে কথাগুলো বলছি। হৃদয়ে আবেগের যে ঢেউ উথলে উঠেছে সম্ভব নয় তা জাদুকরী ভাষায় ‘কলমবন্দ’ করা! আল্লাহর কসম! আমার বিশ্বাস ছিলো যে, খাদ্য-পানীয় না পেলেও সবর করতে পারবো, কিন্তু এটা সম্ভব নয় যে, প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে দূরে থাকবো।
দ্বীনের কর্ণধারেরা আমার!
বিশ্বাস করুন, আমরা আমাদের মজলিসগুলোতে আপনাদের কথা আলোচনা করি। যুদ্ধের ময়দানে, পিছু হটা ও আশ্রয়স্থলের প্রতিটি মুহূর্তে আপনারা আমাদের সাথেই আছেন। আমাদের কল্পনা-জগত আপনাদের মনোরম স্মৃতিতে ছেয়ে আছে। আমরা আপনাদের ভুলিনি। আপনাদেরকে ভুলতেও পারবো না কিছুতেই।
আমাদের এবং আপনাদের প্রত্যেকের একটাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা; যা বিস্মৃত করে দিয়েছে আমাদের পার্থিব স্বাদ-আহ্লাদকে। আমাদের এ উৎকণ্ঠার মূলে হলো তাওহীদ, যার ওপর দৃঢ়পদে দাঁড়িয়ে আছি আমরা।
এই যে মানুষেরা জীবন যাপন করছে। তাদের একেকজনের চিন্তা, কিভাবে সে পানাহার করবে? কিভাবে ঘুমাবে কিংবা নিরাপদে দিনাতিপাত করবে?! আর আপনাদের চিন্তা? হ্যাঁ.. আপনাদের চিন্তা হলো, কিভাবে ইসলাম তার নেতৃত্ব ফিরে পাবে? কিভাবে সে শাসন করবে পুরো বিশ্বকে?
আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের চেহারাকে শুভ্রমণ্ডিত করুন। এমনকি জেলখানার বন্দিশিবিরে থেকেও আপনারা ভুলতে পারছেন না উম্মাহর অপদস্থতার কথা। আপনাদের দৃঢ়তার বার্তা আমাদের কাছে আপনাদের রূহানী কোমল বায়ূ পৌঁছে দিচ্ছে, যার কোমলতা আমাদেরকে আল্লাহ পাকের রাজত্ব-সীমার প্রশস্ত মুক্তাঙ্গনে স্পর্শ করে।
তারা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় লাঞ্ছনাকর যিন্দেগী; মদ্যশালা ও গায়িকার বাড়ীতে কাটানো ব্যভিচারী নারীর যিন্দেগীর মত! আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি, আপনারাও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে আপনারা হাতে নিয়েছেন জ্বলন্ত অঙ্গার, আর আমাদের হাতে আছে ট্রিগারের বাট! সুতরাং মৃত্যু আমাদের সামনেই আছে, একদম সন্নিকটে! সেজন্য তারা যেন আপনাদের থেকে কেবল কঠিনতাই খুঁজে পায়; এমন কঠিনতা যে, পাথর নরম হতে পারে, কিন্তু আপনারা নন।
আমরা আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি! পৃথিবী কি ক্ষণস্থায়ী নয়? তবে কি এভাবেই চলতে থাকবে ‘সবর’ কিংবা বিজয়ের সেতুবন্ধন? তবে শুনুন, কালিমার এ ঝাণ্ডা বুলন্দ হবে হাশরের মাঠে। আসমান ও যমীনের মহান অধিপতি ডাক দিবেন সফলকামদের নাম ধরে ধরে। ফেরেশতারা সুসংবাদ দিতে থাকবে সুখের ঠিকানা জান্নাতের। তাহলে এ তাগুতগোষ্ঠী কী করবে আমাদেরকে নিয়ে? যদি মহা অধিপতি বাদশাহ আমাদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে তাগুতের এই আচরণে আমাদের কি আসবে যাবে?!
আমরা এবং আপনারা একই জাহাজের আরোহী। কেউ আছে নীচে, কেউবা উপড়ে। কিন্তু আমাদের কেউ কি রেহাই পাবে অপরদলকে ছেড়ে দিয়ে? সাবধান! আল্লাহকে ভয় করুন। ইসলামের ওপর দৃঢ়পদ থাকুন। যারা পিছনে ফিরে যায় তারা পৃথিবী নামক এক মরদেহকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। অথচ এটা তো এমন পঁচা দেহ যা তারা ইতিপূর্বে ভক্ষণ করতে চাইতো না! এমনকি খাবার টেবিলে তা পরিবেশণ করা হলে উঠে চলে যেতো।
কিন্তু কী হলো আজ তাদের?! এমন হামলে পরে গিলে খাচ্ছে যে?! এমনকি পূর্ব থেকে যারা দুনিয়ার প্রতি আসক্ত ছিল তারাও এদের কাছে হার মেনে নিয়েছে! আখেরে এটাই কি তাদের কল্যাণ লাভের নমুনা?!
আহ! কতই না মন্দ তাদের এই কল্যাণ! কতই না ক্ষতিগ্রস্থ তাদের এ ব্যবসা!
ধ্বংস হোক এ সকল পশ্চাদগামীরা!! যখন তাদের আঘাত করা হয় তখন যেন তারা ধূণিত তুলা হয়ে যায়! অথচ এ পথে মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো পথই প্রদীপ হিসেবে যথেষ্ট!
আল্লাহর শপথ! আমাদের কামনা তো এটাই যে, আমাদের শরীর পেতে দিয়ে হলেও যদি আপনাদের দেহে বিদ্ধ হওয়া কাঁটাগুলো প্রতিরোধ করতে পারতাম!
দ্বীনের কর্ণধারেরা আমার!
যে দিন থেকে আপনারা আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন সে দিন ফজরের পর থেকে নিয়ে আমরা আজও মসজিদেই পড়ে আছি। অচিরেই ‘ইশরাক হবে। বিকিরণ করবে সূর্য তার আলোক-রশ্মিকে। কিন্তু বাদুর এর মতো করে তাগুত ও তাদের সাহায্যকারীরা সে সূর্য-রশ্মিতে অন্ধ হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ্! সুতরাং অপেক্ষা করুন, আমরাও অপেক্ষা করছি।
আল্লাহর শপথ, এটা হবে এমন এক ফজরের উদয় যা নবুওতের সময়ের পর থেকে আর আলোর মুখ দেখেনি। হ্যাঁ.. নবুয়তের যুগের কথা বলছি। যে সময়টিতে বেলাল, খাব্বাব রাদিয়াল্লাহু আনহু’রা ছিলেন ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক। আবু বকর, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুসহ অন্যান্য সাহাবাগণ ছিলেন বিজয় সেনানী। কায়সার-কিসরার সাম্রাজ্যকে বিরাণ-ভূমিতে পরিণত করে দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর অতিবাহিত হয়েছে দীর্ঘকাল। ইসলামের ক্ষমতা দিনকে দিন হয়েছে নিষ্প্রভ। অবশেষে ফের উচ্চকণ্ঠে ধ্বণিত হলো,
" بدأ الإسلام غريبا وسيعود كما بدأ، فطوبى للغرباء"
“ইসলাম প্রকাশ পেয়েছে অচেনা অবস্থায় (অর্থাৎ, দুর্বোধ্য এক দ্বীন হিসেবে) আর অচিরেই তা পরিণত হবে দুর্বোধ্য এক দ্বীনে। সুতরাং কতই না উত্তম যারা এ পথের পথিক”।
হ্যাঁ, এটা হলো তাদের কণ্ঠস্বর যারা ভালোবাসেন সাহাবায়ে কেরামকে। এটা তাদেরই কণ্ঠস্বর যারা (বেঁচে আছে) দুঃসাহসী মুসলিম বিজেতাদের উত্তরসূরি হয়ে।
সুতরাং হে অচেনা পথের যাত্রীরা আমার!
ঝাণ্ডা হাতে নিন। প্রদক্ষিণ করুন যেভাবে প্রদক্ষিণ করেছিলেন মহান সাহাবায়ে কেরাম পুরো পৃথিবী জুড়ে। আল্লাহর কসম, আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অভিন্ন। রাস্তাও পরিষ্কার। দিবা-রাত্রি তার সমান। সুতরাং এ পথ কেবল সে ব্যক্তিই হারাবে ধ্বংস যার কপালে লেখা আছে।
হে নয়া জামানার মিকদাদ! আপনারা সাহাবী মিকদাদ এর দেখানো পথেই আছেন।
হে আকরাম! পাঠ করুন তাসবীহ আপনার ‘আকরাম’ রবের নাম জপে।
হে হারেছা! আবু বকর! হে মুয়ায! আবু উবায়দা! হে খালেদ! হে মুসান্না! ওহে কে আছেন আর সাথে?! নাম নয় শুধু, অন্তরও আজ আমাদের সাদৃশ্যপূর্ণ! আমি কি বলিনি আমাদের মিশন এক?!
হে জাতীর কর্ণধারগণ!
মধ্যবর্তী এ সময়ে আমরা হারিয়েছি আমাদের এমন কিছু ভাইদেরকে, যারা গমন করেছে আল্লাহ তাআলার নিকট। সাক্ষাত করেছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের কাফেলার সাথে। তাদের এই প্রস্থান ছিলো মর্যাদাপূর্ণ এক প্রতিনিধিদলের কাছে যাদেরকে বেষ্টন করে রেখেছিলো ফেরেশতারা। বিদায় জানাতে পিছে পিছে এসেছিলো তামাম আসমান-জমিন। তাদের থেকে মেশকে আম্বরের সুবাস ছড়াচ্ছিল। তাদের মৃদু হাসির স্নিগ্ধতায় ভরে গিয়েছিল মহাশূন্যজগত!!
তাদের শাহাদাত অঙ্গুলি ছিলো উর্ধমূখী, সাক্ষ্য দিচ্ছিলো তা আসমান-যমীনের রবের একত্ববাদের কথা। আমাদের আশা - আল্লাহ তাআলার নিকট ধাবিত অন্যতম একটি বড় পবিত্র ও মুত্তাকী প্রতিনিধিদল এটি। তারা আমাদের জন্য (রবের) সান্নিধ্য পাবার রাস্তা প্রস্তুত করে দিয়েছেন। তারা আমাদেরকে তাদের পথে পা রাখার সুসংবাদ দিচ্ছেন। আজ অবধি তারা এ আশাতেই রয়েছে । কিন্তু যে তার রাস্তা পরিবর্তন করবে তার জন্য রয়েছে শুধুই ধিক্কার, বহু দূরে সে হারিয়ে যাবে।
فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا
“তাদের মধ্য হতে কেউ তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছে, কেউ আছে অপেক্ষায়, আর তারা (তাদের প্রতিশ্রুতিকে) সামান্যতমও পরিবর্তন করেনি”। (সূরা আহযাব ৩৩:২৩)
যুগ যুগ ধরে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, এক সিংহের হাত ধরে আরেক সিংহ, এভাবে তারা সম্মান ও মর্যাদার এ পথে অটল থেকেছে। তাদের মাঝে মধ্যস্থতা বলতে কিছু নেই। তাদের রয়েছে প্রশস্ত বক্ষ, যা জগতবাসীর জন্য উন্মক্ত হয়ে আছে। কিংবা রয়েছে কবর, মর্যাদা, এবং বদান্যতা যা পৌঁছে আসমান পর্যন্ত।
না.. এতেও তারা তুষ্ট হ্য়নি। বরং একের পর এক সিঁড়িঁ ভেঙ্গে উচ্চাকাশের সীমা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে জান্নাতে। তাদের এ যাত্রাপথ কতই না আনন্দদায়ক! কতই না বরকতময়!
আর কেনই বা হবে না?! তাদের পূর্বে গত হয়েছে এ পথে কত শুহাদা! কত “আসরা”! এ যাত্রা শুভ ও প্রশংসিত হওয়ার জন্য এদের পরিচিতিই যথেষ্ট!
ভাইয়েরা আমার!
মুক্তির কথা আমরা বলছি!
এটা হলো হকের ওপর অটল থাকার মুক্তি, নির্যাতন-নীপীড়নে দাঁত কামড়ে থাকার মুক্তি, বাতিল শক্তির ওপর নফসের বিজয় লাভের মুক্তি। সমস্ত দ্বিধা-সংশয়, লোভ এবং কামনার ওপর নফসের বিজয় লাভ। এটা হবে পবিত্রাত্মাদের এমন এক জগতে উর্ধগমন যেখানে কারো কোনো রাজত্ব নেই। কিন্তু একজনের রাজত্বই কেবল থাকবে। তিনি হলেন সকল প্রাণের মালিক।
জগতবাসী যতই পার্থিব সচ্ছলতায় থাকুক না কেন এ মুক্তি-আনন্দ তারা অনুভব করতে পারবে না। তবে আপনারা যে স্বাদ পেয়েছেন যদি কেউ তা পায় তাহলেই কেবল সে বুঝতে পারবে এ মুক্তি-আনন্দের মর্ম কথা।
আমার ভাইয়েরা!
আমরা এবং আপনারা তাওহীদের জান্নাতে আছি। আর এটা এমন এক জান্নাত যে, এতে কেউ প্রবেশ না করলে সে আখিরাতের জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না। হ্যাঁ.. আপনারা এমন জান্নাতে আছেন অন্যান্য কয়েদীরা যা থেকে বঞ্চিত। তাদের অন্তরসমূহ সংকীর্ণ, সংকটপূর্ণ! যেন তারা ছুটে চলে যেতে চায় উর্দ্ধাকাশে!
এ সকল বন্দি এবং (ওই সকল বন্দি) যাদের অন্তরকে ইসলামের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, আল্লাহ্ পাক যাদেরকে তাঁর রাস্তায় কষ্টবরণ করার তাওফিক দান করেছেন, আর যারা শুধু আল্লাহ পাকের জন্যই নিজেদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির মাঝে নিপতিত করেছে; এই উভয় দল কি সমান হতে পারে?
দেখুন, বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর পিঠের চাবুকের যন্ত্রণা আল্লাহ পাক মুচকি হাসিতে পরিণত করেছিলেন! কেননা এই বিলাল যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সাথে ঈমানের মিষ্টতাকে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এটা হলো আত্মিক স্বাদ, নফসের মর্যাদা এবং বাতিলপন্থীদের ওপর প্রাবল্য অর্জন।
সুসংবাদ দিচ্ছি আপনাদেরকে। আপনারা অচিরেই বেরিয়ে আসবেন মুক্ত পৃথিবীর বুকে। কিন্তু এ পৃথিবী তো আপনাদের বর্তমান জেলখানা থেকেও অনেক বড় জেলখানা। আর এ সময়টা অতি নিকটেই ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের এবং আমাদের ভাইয়েরা জুলুমের প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে, বাতিলের সিংহাসন চূর্ণ- বিচুর্ণ করছে। দিনকে দিন এই প্রাচীরগুলো নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে। বিজয় অল্প কয়েক পা সামনেই রয়েছে। বিজয় আর কিছু সময় সবরের পর আসবে। তখন এই জেলখানা, এই শৃংখল-বেড়ী আর থাকবে না।
এই তো আর কয়েকদিন! তুচ্ছতা-কৃচ্ছতা ঘুচে যাবে। দুর্বিপাকের পর্ব উঠে যাবে। শুরু হবে কেবল কর্তৃত্বের ‘মারহালা’।
শুনুন! অপেক্ষা করুন! ফজর দেখুন উদয়ের পথে।
নববী ধারার খেলাফতে রাশেদার ফজর উদয়ের পথে। এই পাতাগুলো কেবল সংবাদবাহক নয়। জানি, আপনাদের কাছে এমন অনেক কথা পৌঁছেছে যা আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। কিন্তু এটা হলো নবী ইঊসুফ আলাইহিস সালাম- এর দাওয়াতের একটি নমুনা। যেমন তিনি জেলখানায় বসেই দাওয়াত দিয়েছিলেন,
إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ
“ক্ষমতার মালিক কেবল আল্লাহ।” (সূরা আনআমঃ ৫৭)
সুতরাং আমাদের পাঠশালা অভিন্ন। আম্বিয়ায়ে কেরাম তাঁরা তো তাঁরাই। কিন্তু আপনারা কি এ পথে কোনো ভিন্নতা দেখতে পাচ্ছেন যেমনটা খুঁজে ফেরে সংশয়বাদীরা?!
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদেরকে - আপনাদের জেল থেকে মুক্তি ও যন্ত্রণা থেকে উদ্ধারের উসীলা বানান। আল্লাহর কাছে আমাদের এটাই কামনা।
আল্লাহ প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকে প্রতিদান দান করুন যে এই চিঠি পৌঁছে দিবে (দ্বীনের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে) বন্দি ভাইদের কাছে; চাই তারা যে স্থানেই থাকুক না কেন।
আপনাদের প্রিয়তম ভাই, একজন সাবেক বন্দি
আবু বাসির নাসির আল-ওয়াহাইশি
জাজিরাতুল আরব, ১৪৩৪ হিজরি
*****************
مع تحيّات إخوانكم
في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية (بنغلاديش)
আপনাদের দোয়ায়
আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ (বাংলাদেশ শাখা)
In your dua remember your brothers of
Al Hikmah Media
Al-Qaidah in the Subcontinent [Bangladesh]